মোটামুটি গ্রিকদের সময় থেকেই দার্শনিকদের ধারণা ছিলো সকল পদার্থ, পরামানু (Atom) নামক অতিক্ষুদ্র, অবিভাজ্য কণা দ্বারা গঠিত। অর্থাৎ যেকোনো পদার্থকে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে সর্বশেষ যে অবস্থা পাওয়া সম্ভব তাই পরমানু। কিন্তু বর্তমানে আমাদের ভাঙ্গার দৌড় পরমানু পর্যন্ত আটকে থেকে নেই। পরমানুকে ভেঙ্গে আমরা এর ভেতর থেকে বের করে এনেছি ইলেক্ট্রন, নিউক্লি (Nuclei)। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীরা ইলেক্ট্রন, নিউক্লিকেও ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন এবং আবিষ্কার করেছেন আরও অসংখ্য অতিপারমানবিক কণার (Subatomic Particle) অস্তিত্ব। কিন্তু আগেকার সময়ের বিজ্ঞানী এবং দার্শনিকরা পরমানুর মাধ্যমে যেকোনো ধরণের পদার্থ সৃষ্টি হবার যে সরল কাঠামো (Framework) বের করে ফেলেছিলেন, অতিপারমানবিক কণাগুলো আবিষ্কার করার পর সেটা করা প্রায় অসম্ভব এবং ঝামেলার কাজ হয়ে দাঁড়ালো। নিউট্রিনোস, কোয়ার্কস, মেসন, লেপটনস, হার্ডডন্স, গ্লুওনস, ডব্লিও-বোসন ইত্যাদি ইত্যাদি উদ্ভট নামের এবং ধর্মের অতিপারমানিক কণার জঙ্গলই যে প্রকৃতির একেবারে মৌলিক পর্যায়ের অবস্থা সেটা মেনে নেওয়াটা কষ্টকরই বটে।
পদার্থের গাঠনিক কাঠামো ব্যাখ্যা করার কষ্টসাধ্য এই বিষয়টাকে অতিচমৎকার ও সরলভাবে উপস্থাপন করা যায় স্ট্রিং তত্ত্ব (String theory) এবং এম তত্ত্ব (M-theory) দ্বারা। অতিপারমানবিক কণা দ্বারা সকল ধরণের পদার্থ সর্বোপরী মহাবিশ্ব সৃষ্টিকে আসলে তুলনা করা যায় ভায়োলিনের তার কিংবা ড্রামের মেমব্রেনের মাধ্যমে সুর সৃষ্টির সাথে। তবে মনে রাখা দরকার, এগুলো সাধারণ তার কিংবা মেমব্রেনের মতো নয়, এদের অস্তিত্ব দশ-এগারো মাত্রা পর্যন্ত বিস্তৃত।
ব্যাপারটাকে আরেকটু বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। পদার্থবিজ্ঞানীরা ইলেক্ট্রনকে গণ্য করেন অতিঅতিক্ষুদ্র একটি মৌলিক কণা হিসেবে। যখন তারা ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের নতুন ধরণের কোনো অতিঅতিক্ষুদ্র কণার সন্ধান পান তখন তার জন্য একটি নতুন নাম বরাদ্দ করেন। এরফলে বর্তমানে প্রায় শ’খানেক মৌলিক কণা নিয়ে তাদের মাথা ঘামাতে হচ্ছে। এগুলোই উপরে বর্নিত অতিপারমানবিক কণা। কিন্তু স্ট্রিং তত্ত্ব মতে, ইলেক্ট্রনের ভেতরটা যদি সুপারমাইক্রোস্কোপ দ্বারা দেখা সম্ভবপর হতো তাহলে আমরা কোনো কণা দেখতাম না, আমরা দেখতাম কম্পিত এক তার। এটাকে আমাদের কণা বলে মনে হয় কারণ আমাদের যন্ত্রগুলো এতো সুক্ষ্ম পরিমাপ উপযোগী নয়।
এ-নোট
এই অতিক্ষুদ্র তারগুলোই আসলে ভিন্ন ভিন্ন কম্পাঙ্কে স্পন্দিত এবং অনুরণনিত হয়। আমরা যদি একটি অতিপারমানবিক কণার সুক্ষ্ম তারের কম্পনের হার পরিবর্তন করে দেই তাহলে ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের আরেকটি অতিপারমানবিক কণা সৃষ্টি হবে, ধরা যাক কোয়ার্ক। এখন সেটি যদি আবার পরিবর্তন করি তাহলে হয়তো পাওয়া যাবে নিউট্রিনো। সঙ্গীতে আমরা যেমন ভায়োলিন বা গিটারের তার কাঁপিয়ে ভিন্ন ভিন্ন নোট সৃষ্টি করি, অতিপারমানবিক কণাগুলোও সেরকম ভিন্ন ভিন্ন নোট। সুতরাং অসংখ্য অতিপারমানবিক কণাগুলো শুধুমাত্র একটি বস্তু দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা সম্ভব, সেটা হলো স্ট্রিং বা তার!
স্ট্রিং তত্ত্ব আলোকে, হাজার বছর ধরে পদার্থবিজ্ঞানের যে নিয়মনীতিগুলো আমরা আবিষ্কার এবং লিপিবদ্ধ করেছি সেগুলো গিটার কিংবা ভায়োলিনের বিভিন্ন নোটের সমন্বয়ে সৃষ্ট প্রীতিকর সংমিশ্রন (Harmony)। রসায়নবিজ্ঞানকে বলা যেতে পারে সুর (Melody) আর পুরো মহাবিশ্ব সেক্ষেত্রে হবে লুদউইন ভ্যান বেইতোভেন কোনো সিম্ফোনি!!
অনুবাদ নোটঃ লেখাটি Michio Kaku এর Parallel Worlds: A Journey Through Creation, Higher Dimensions, and the Future of the Cosmos বইটির দ্বিতীয় অধ্যায়ের একটি ক্ষুদ্র অংশের প্রায় ভাবানুবাদ।
উফফফ! আমার মন্তব্য যায় না। বিশাল মন্তব্য লিখি কিন্তু মাত্র দুইটা শব্দ যায় … :((
@রায়হান আবীর,
এতটুকু লেখার মধ্যে মনে হয় বিশাল মন্তব্য বেমানান দেখায়। তাই মাত্র দুইটা শব্দ যায়। 🙂 🙂 🙂
@রনবীর সরকার,
হে হে হে । ঠিক্কইছেন। কাজের চেয়ে কথা বেশি 🙁
স্ট্রংতত্ত্ব নিয়ে আমার একটা লেখা আছে, ২০০৪ সালের লেখা, পরে সেটা আমার ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ (২০০৫/২০০৬) এর অন্তর্ভুক্ত হয়। এখানে আছে লেখাটা-
নাচছে সবাই সুতার টানে :pdf:
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ অভিজিৎদা চমৎকার লেখাটা শেয়ার করার জন্য।
@অভিজিৎ দা,
পড়ছি লেখাটা 🙂
ফাঁকিবাজ রায়হান 🙂
@অভিজিৎ দা,
সহমত (Y)
লেখা প্রাঞ্জল এবং সুবোধ্য। কিন্তু হতাশ, আমি ভেবেছিলাম স্ট্রিং তত্ত্বের মজার বিষয়গুলোর দিকে আলোকপাত করবেন। আশা করি পরের পর্বে আরো কিছু পাব।
@বিনায়ক হালদার,
পরের পর্বে অন্য কিছু নিয়ে হতাশা ব্যাঞ্জক লেখা উপহার দেবার ইচ্ছা থাকলো :))
সবাই ছডু ছডু কইরা ছিল্লাইতাসে, আপনে একডা চাপা-ভাঙ্গা জবাব দিয়া দ্যান…বিশাল এক লেখা ছাড়েন :))
দিন কাডে আশায় আশায়… 😛
আসলেই পড়ে হতাশ হলাম, মনে হল যে শুধু ভূমিকাটা এসেছে। নীচের ভিডিও সিরিজটা ভাল ধারনা দেয়।
httpv://www.youtube.com/watch?v=E7FV9aaiwKQ
@আদিল মাহমুদ,
ফ্রাস্টেশন, আমি হতে চাই সেনশেশন … ইয়াআআআআ (আল মাইলস, সুরা আয়াত ভুলে গেছি :)) )
অনেক আশা নিয়ে লেখাটা পড়তে বসলাম। কিন্ত বড়ই আশাহত হলাম ভাই।
লেখাটা অনেক ছোট হয়ে গেছে।
@রনবীর সরকার,
আশাহত করার জন্য দুঃখিত ভাই। শিরোনামটা স্ট্রিং তত্ত্ব না দিয়ে অন্য কিছু দিলে বোধহয় এমন হতোনা। তবে আমার অবস্থানটা উপরের কয়েকটা মন্তব্যে পরিষ্কার করেছি 🙂
আমি মানবিক শাখার ছাত্র। তাই বিজ্ঞানের বিষয়গুলো বুঝতে অনেক সময় কষ্ট হয় অথবা বুঝে উঠতে পারি না। সেদিন গ্রান্ড ডিজাইন বই পড়তে গিয়ে এ-রকম সমস্যায় পড়েছি। কিন্তু এই লেথাটা পড়ে মনে হলো বিজ্ঞানের বিভিন্ন সূত্র ো তত্বগুলোো সাবলিল এবঙ বোধগম্য করে উপস্থাপন করা সম্ভব…
অনেক ভালোলাগা।।
@মাহমুদ মিটুল,
ধন্যবাদ মিটুল আপনার প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য … ভালো থাকবেন।
হে হে আবীর, তোমারে নতুন নতুন লাগে দেখি। 😀
(F)
@নীল রোদ্দুর,
নীল পানি খাইছেন নি? আমি তো সেই আগের মতোই আছি, আপনিইই না অনেক বেশি বদলে গেছেন :))
@রায়হান আবীর, মাঝে মাঝে এমন তীব্রভাবে ঘুরে দাড়াতে হয়, অপরিচয়ে হারিয়ে যাবার আগে।
পুরোন আবীরকে গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে দেখে তাই ভালো লাগছে। আমার বেলায় তোমার সাথে পরিচয়েরও আগের শাতিল গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে। 😀
এই ছবিটা শুধু যোগ করি
[img]http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/5/50/Barack_Obama_speaks_to_Stephen_Hawking.jpg/120px-Barack_Obama_speaks_to_Stephen_Hawking.jpg[/img]
@কাজী রহমান,
ছবিটা ভুলবশত এখানে। দিতে চেয়েছিলাম আসলে “চমৎকার সে হতেই হবে যে ! হুজুরের মতে অমত কার ?” ( পর্ব এক ) নাসিম মাহমুদের লেখাতে।
(Y)
ছোট লেখা দেখতে ভাল। কিন্তু পড়ে তৃপ্তি নাই।
@আসরাফ,
আমার কিন্তু ছোট লেখা বেশ ভালো লাগে দেখতে এবং পড়তে। বড় লেখা দেখলে পালিয়ে যাই সাধারণত 🙂
জটিল বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব বা তথ্য এত সুন্দর সহজ করে ছবির মত উপস্থাপন করে দিলে আমাদের মত ফাঁকিবাজ পাঠকরা একদমে পড়ে ফেলে কৃতজ্ঞ এবং সুখী হয়। সংক্ষিপ্তই বরং ভাল। অনেকগুলো জটিল বৈজ্ঞানিক সংক্ষিপ্ত লেখা = অনায়াস জটিল বৈজ্ঞানিক বড় লেখা = আরো বেশি বিজ্ঞানপ্রেমী তৈরী। (Y) :clap
ধন্যবাদ।
@কাজী রহমান,
লেখাটা যেদিন দিয়েছি সেদিন আব্বু হার্ট এট্যাক করায় মন্তব্যগুলোর জবাব দিতে পারিনি। তবে মোবাইলে চেক করছিলাম। আপনার মন্তব্য দেখে মনে হয়েছে- যাক আমার মনের কথাটা আমার হয়ে কেউ বলে দিলো 🙂
কিন্তু ফারুক ভাইয়ের মন্তব্যে আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শনের কারণ ধরতে পারলাম না।
@রায়হান আবীর,
বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শনের ব্যাপারটায় বলতে চেয়েছিলাম যে উদ্ধৃতি গুলো মজার। ওটা সমর্থন সুচক কিছু নয়। আসলে আমারই আর পরিষ্কার ও সতর্ক মন্তব্য করা উচিৎ ছিল।
@কাজী রহমান,
ওহ!! তাই বলেন … 🙂
কম্পন থেকেই সুর বা শব্দের(Sound) সৃষ্টি। স্ট্রিং তত্ত্ব সত্য কি মিথ্যা জানি না বা ধর্মগ্রন্থ গুলো প্রাচীন কাল থেকেই এরি কথা বলছে কি না তাও জানি না , তবে শব্দ (sound) থেকেই সকল কিছুর সৃষ্টি , সেটা কিন্তু প্রাচীন কাল থেকেই মেইনস্ট্রীম ধর্মগ্রন্থ গুলো বলে আসছে। আশ্চর্য না!!
‘ওম’বা ‘ঔম’ এই শব্দটির সাথে সকল হিন্দু ভাইরা পরিচিত। ‘শব্দ যোগ’ (Shabda Yoga) আধ্যাত্বিক জ্ঞানের একটি শাখা , যা আলো ও শব্দের (sound) সাথে জড়িত। এদের মতে সকল কিছুই সৃষ্টি হয়েছে সৃষ্টিকর্তার আলো ও শব্দ থেকে। এই শব্দের নাম ‘ওম’বা ‘ঔম’।
প্রাচীন বেদে বলা হয়েছে – Prajapatir vai idam asit: In the beginning was Brahman. Tasya vag dvitya asit; with whom was the Vak (or Sound)… Vag vai paramam Brahma; and the Vak (Sound) is Brahman”
বাইবেলে – জন ১:১-৩ IN THE beginning [before all time] was the Word (Sound), and the Word was with God, and the Word was God Himself. He was present originally with God. All things were made and came into existence through Him; and without Him was not even one thing made that has come into being.
আদিতে ছিলেন বাণী , বাণী ছিলেন ঈশ্বরমুখী , বাণী ছিলেন ঈশ্বর। আদিতে তিনি ছিলেন ঈশ্বরমুখী। সবই তাঁর দ্বারা হয়েছিল , আর যা কিছু হয়েছে , তার কোন কিছুই তাঁকে ব্যতীত হয়নি।
কোরানে – ২:১১৭ Initiator of heavens and earth, when He decrees a command, He merely says to it, “Be,” (Sound) and it is.
তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের উদ্ভাবক। যখন তিনি কোন কার্য সম্পাদনের সিন্ধান্ত নেন, তখন সেটিকে একথাই বলেন, ‘হও’ তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়।
@ফারুক,দারুন মিল তো। অবশ্য বেদ-বাইবেল-কোরান কেনো শব্দ নিয়ে বললো এটা বুঝলাম না। কারন আগে তো তার, এর পরে ভাইব্রেশন এর পরে ক্ষেত্র বিশেষে শব্দ। তার থেকে যে শব্দ করা যায় এটাও তো সবাই জানতো। তাহলে সরাসরি তারের কথা কেনো বললো না। সবার আগে তারের কম্পন বললেই তো আর সমস্যা হতো না।
@ফারুক, (Y)
@ফারুক,
ভাই স্ট্রিং তত্ত্ব সম্পর্কে একটু পড়ে কথাগুলো বললে বোধহয় ভাল হত। অবশ্য এটা শুধু আপনার দোষ না। স্ট্রিং থিওরীর সাথে গীতার অনেক শ্লোককে মেলানোর চেষ্টায় অনেক হিন্দু ধর্মবেত্তাদের ব্যস্ত থাকতে দেখেছি।
ভাই বায়ু না থাকলে কম্পন থেকে সুর কেমনে হবে বলেন?
স্ট্রিং থিওরী যদিও এখনো পুরোপুরি প্রমানিত তত্ত্ব না, তবে এটা যা বলছে তার ধারে কাছেও বোধহয় প্রাচীন ধর্মগ্রন্থপ্রণেতারা ছিলেন না। বিশেষত স্ট্রিং থিওরীর দশ-এগারো মাত্রা কেন, সেসময় সময়কেও স্পেসের মতো একটা মাত্রা হিসেবে কল্পনা করা কষ্টকর ছিল।
তবে এজন্য কিন্তু আমি প্রাচীন দর্শনকে কখনও দোষারোপ বা গালগালাজ করব না। কারন তারা তাদের সময়ের প্রেক্ষিতে যতটুকু চিন্তা করতে পেরেছেন তা করেছেন, কিন্তু আমাদের চিন্তা করতে হবে বর্তমানে যে গবেষনা হচ্ছে তার নিমিত্তে।
তবে হিন্দুধর্মে শব্দ আসলে চার প্রকার -পরা, পশ্যন্তী , মধ্যমা ও বৈখরী.
আমাদের শব্দ যা বাতাসের মাধ্যমে কর্ণে গিয়ে শ্রুত হয় তাকে বৈখরী বলে। মনে মনে যে চিন্তা করা হয় তাকে মধ্যমা বলে। মেডিটেশন বা ধ্যানের গভীরে অনেক সময় কিছু শব্দ শোনা যায় তাকে পশ্যন্তী। আর ওঁ এর মত শব্দ যেই শব্দের কারনে সৃষ্টির শুরু হয়েছিল তাকে পরা বলে।
তবে এগুলোর সাথে স্ট্রিং থিওরীকে মেলানো বালখিল্যতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
@রনবীর সরকার, আপনার মন্তব্য পড়ে চিন্তার আরো খোরাক পেলাম। আপনাকে ধন্যবাদ।
@ফারুক,
রনবীর সরকার এর মন্তব্য পড়ে আপনার চিন্তার খোরাক পেলেন, এমনিতে আপনার চিন্তার খোরাকের বড্ড অভাব পড়েছিল।
বিজ্ঞানীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সারাটা জীবন গবেষণার পর গবেষণা করে কোনো একটা থিওরি বের করবেন আর তা করার পরই আপনারা তা খুঁজে পাবেন বস্তাপঁচা ধর্মগ্রন্থগুলোতে। এটি বিজ্ঞানীদের প্রতি চরম অসম্মান ছাড়া আর কিছুই নয়।
আর এটি যে কতটা অসততার পরিচায়ক তা যাদের মাথায় ঘিলু আছে তাদের বুঝতে পারার কথা।
@ফারুক,
সকল ধর্মগ্রন্থই মহাবিজ্ঞানময়। হুদা কামে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করেন। সবার উচিত আরবী, হিব্রু শিখে ধর্মগ্রন্থগুলো মন দিয়ে পড়া- তাহলেই দুনিয়াবি সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
@রায়হান আবীর,
অনুবাদ খুবই ভাল লেগেছে। দয়া করে পুরু বইটা অনুবাদ করুন না।
মুক্তমনায় কয়েকদিন খরা চলতেছিল, আপনার লেখায় বৃষ্টি নামল।
(Y)
@হেলাল,
আপনাকে জোরালো সমর্থন জানাচ্ছি।
:lotpot:
@আসরাফ ভাই,
জোক্সটা বুঝিনাই 🙁
@হেলাল,
কী যে বলেন। মুক্তমনায় এতো দারুন দারুন লেখা আসে, আমি ভয়ে লেখার সাহস পাইনা। বইটা অনুবাদ করতে পারলে নিজের কাছেই ভালো লাগতো। কিন্তু চারশ পাতা দেখে ভয় খেয়ে যাই। তবে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ইন্টারেস্টিং অংশগুলো করার চেষ্টা করবো।
বড় লেখকেরা কি এমনই ফাকিবাজ হয়? 😛 (মাইরেন্না প্লিজ (F) )
বেশি ছোট হইয়া গেল তবু আপ্নারে পায়া কঠিন ভাল লাগল।আল্লাহ তো সত্যিই আছে দেখি, এতদিন পর কম্পুতে বইসাই আপ্নের লেখা।(বেশি খুশি হইয়েন্না, তেল মারতেছি হুদাই :rotfl: )
ফাকিবাজি কম করেন। ভাল থাকেন। আরো লেখা দেন, সব পরিস্থিতি মিলায়া মাথার তার ছিড়ে আছে, স্ট্রিং থিউরি বিশদ পড়তে খারাপ লাগবেনা :))
@লীনা বেগম,
তোমার মন্তব্য পেয়ে আবেগাপ্লুত হলাম। অনেকদিন ডেটিং হয়না, একটা টাইম ফিক্স করো :))
স্ট্রিং-তত্ত্ববিদেরা বলেন, মহাবিশ্বের গাঠনিক একক আসলে কণা নয়, স্ট্রিং বা সুতা। এই স্ট্রিংগুলো খোলা হতে পারে, বন্ধ হতে পারে, আবার স্পন্দিতও হতে পারে। একটি স্ট্রিং একভাবে স্পন্দিত হচ্ছে বা কাঁপছে, তার নাম ইলেকট্রন। আবার অন্য একটি স্ট্রিং অন্যভাবে কাঁপছে, তার নাম হয় নিউট্রিনো।
কিছু বিজ্ঞানী স্ট্রিং-তত্ত্বের সমালোচনা করে বলেন, স্ট্রিং-তত্ত্ব আসলে স্ট্যান্ডার্ডের মডেলে মহাকর্ষের যোগসাধন। এখনো পর্যন্ত এই তত্ত্বের কোনো প্রমাণ নেই। তাই অনেকে একে বিজ্ঞান বলেন না, বলেন দর্শন।
ইউক্লিডের সময় থেকে মানুষ জানত যে পৃথিবী ত্রিমাত্রিক। আইনস্টাইন এসে লাগালেন প্যাঁচ! বললেন, না মাত্রা তিনটি (দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা) নয়, চারটি। সেই চতুর্থ মাত্রাটি হলো সময়। আর সত্তরের দশকে স্ট্রিং-তত্ত্ব এসে তো সবকিছু ভজকট পাকিয়ে দিল; বলল, তিন নয়, চার নয়, মোট মাত্রা ১১!
((স্ট্রিং তত্ত্ব আলোকে, হাজার বছর ধরে পদার্থবিজ্ঞানের যে নিয়মনীতিগুলো আমরা আবিষ্কার এবং লিপিবদ্ধ করেছি সেগুলো গিটার কিংবা ভায়োলিনের বিভিন্ন নোটের সমন্বয়ে সৃষ্ট প্রীতিকর সংমিশ্রন (Harmony)। রসায়নবিজ্ঞানকে বলা যেতে পারে সুর (Melody) আর পুরো মহাবিশ্ব সেক্ষেত্রে হবে লুদউইন ভ্যান বেইতোভেন কোনো সিম্ফোনি!!))— লাইনটা ভাল লাগলো…। :-s
@নীল,
ধন্যবাদ নীল আপনার চমৎকার মন্ত
@নীল,
ধন্যবাদ নীল আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য। শেষ প্যারাটা আসলেই দারুন। তবে সব প্রশংসা কাকুর জন্য। তবে লুদউইন সাহেবের লাইনটার জন্য আমাকে একটা আইসক্রিম খাওয়ালে মাইন্ড করবো না :))
বেশি ছোট হয়ে গেল লেখাটা :guli:
@রৌরব,
হে হে হে। গুলির আগে শুনেন। তি
রৌরব ভাই, কালকে একটা মন্তব্য করলাম ব
@রৌরব,
রৌরব ভাই, কালকে একটা মন্তব্য করলাম বড়সড় তারপর সেটা আমার দূর্বল নেটের কল্যাণে সেটার মাত্র দুই অক্ষর আসলো। আবার চেষ্টা করি …
লেখাটার তিনটা উদ্দেশ্যঃ
ক। অনেক অনেক দিন ব্লগিং করিনা। করতে চাইলেও ইদানিং ভয় লাগে লিখতে। এই ছোট এবং অমৌলিক লেখাটা মাথা তোলার প্রয়াস।
খ। পদার্থবিজ্ঞান অনুবাদ কেমন করতে পারি, সেটা দেখা। মানুষজন আমার লেখা বুঝতে সক্ষম হলে পুরো বইটা অনুবাদ করার চেষ্টা করতে পারি।
গ। পদার্থবিজ্ঞানের নতুন নতুন ধারণাগুলো অনেকের কাছে বিমূর্ত এবং হুদাই বলে মনে হয়। সে ধারণা ভাঙ্গার প্রয়াস। স্ট্রিং তত্ত্ব বোঝানো নয়, আগ্রহ তৈরি বলতে পারেন।
এখন বলেন, গুলি কী চলবে? না ক্ষমা পেতে পারি? :))
স্ট্রিং থিউরি হুইনা হাকাবাকা কইরা পড়া শুরু করলাম…খুব এট্টা তৃপ্তি পেলুম না 🙁
মুক্তমনার উপর রাগ বাড়ছে :-X আমার সাধের পদার্থবিজ্ঞানের লেখা খুব কম পাচ্ছি! জীববিজ্ঞানী আর দার্শনিকরা রাজত্ব চালাচ্ছে, পদার্থের জন্য কোটা পদ্ধতি চালু করার জন্য জোরালো আবেদন জানাচ্ছি, অভাগা বেচারি :))
তানভীরুল ভাইকে ছাড়া সবাইকে বোম্ব মারা হবে, নারায়ে তাকবীর! জয় পদার্থবিজ্ঞান!!
নাহ! ধন্যবাদ দিলাম না, আংশিক কেনো হাহ? পুরো অনুবাদ করার কথা দিন! নাহলে কিন্তু :-[
@টেকি সাফি,
একসময় মুক্তমনায় অভিদা আর ফরিদ ভাই মিলে পদার্থবিজ্ঞানের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন- কিন্তু মাননীয়া বন্যাপা বাংলায় লেখা শুরু করার পর ডারউইনের হাতে সে সম্রাজ্যের পতন ঘটে।
প্রথম আলুর মতো তাই এখন বলতে হয়, আপনিই শুরু করুন, অন্যরা ঠিকই বদলাবে :)) [মুক্তমনাকে নাকি ইদানিং প্রথমালুর মতো বুর্জোয়া, জনবিচ্ছিন্ন গোষ্ঠি বলা হয় তাই এই উপমাটা মুক্তমনার জন্য সবচেয়ে লাগসই :))]
পুরা বইটা পুরাটা অনুবাদ করার সময় ধৈর্য্য কোনোটাই এই অধমের নাই, তবে যতদূর পারি চেষ্টা করার ইচ্ছা আছে।
বহুদিন পর মুক্তমনায় বিজ্ঞান নিয়ে লেখা দেখতে পেলাম। সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। অবশ্য অনুবাদ না করে আপনি নিজে বরং স্ট্রীং তত্ত্ব নিয়ে একই পরিসরে কিছু লিখলে তা Michio Kaku এর এ লেখাটার চাইতে স্বচ্ছতর ধারনা দিতো বলেই প্রতীয়মান হয়।
যাহোক , বীমা কোম্পানীগুলোর মত আপনিও দেখি মূল লেখার নীচে ‘সুপারস্ক্রীপ্ট’ ব্যবহার করছেন যেগুলো না পড়েই গ্রাহকেরা বীমাপত্রে সই করে দেয়। :))
@সংশপ্তক,
:hahahee: :guli:
আর এইসব স্ট্রিং- ফিস্ট্রিং নিয়ে নিজে লেখার মুরোদ নেই। বইটা পড়তে যেয়ে এই অংশটা পরীক্ষামূলক অনুবাদ করলাম : (D)
@রায়হান আবীর,
অনুবাদ ভাল হয়েছে।
স্ট্রিং তত্ত্ব কোরান শরীফে আছে। কাজেই বিজ্ঞানীদেরকে বাহবা দিবেন না। কোরান খুঁজলেই স্ট্রিং তত্ত্ব পেয়ে যাবেন।
@আবুল কাশেম,
এমন কোন তত্ত্ব দুনিয়ায় আবিষ্কার হয়নি বা আগামীতে হবে, যা কোরানে নেই। এই যে মাল্টিভার্সের ব্যাপার এটা কিন্তু কোরানে আছে, সেটা একমাত্র তখনই মানুষ কোরানে খুঁজে পাবে যখন মানুষের ব্রেইন স্ট্রিং তত্ত্ব বুঝার উপযুক্ত হবে। মানুষ কখন কতটুকু বিজ্ঞান তার মাথায় ধারন করতে পারবে, আল্লাহ তা জানেন, আর সেই অনুযায়ী কোরান থেকে একটু একটু করে কাফিরের মাথায় বিজ্ঞান ছাড়েন।
আল্লাহ কেন কাফিরদের মাথায় একটু একটু বিজ্ঞান ছাড়েন ? কেন মুসলমান দের মাথায় ছাড়েন না ? বড়ই জটিল । আবিস্কার করার পর কুরআন থেকে জানলে কুরআনের মহিমা কতটুকু বাড়বে?
@সংশপ্তক,
হুম ঠিক বলেছেন।
(F)