৮
সেই মহান নকশা
এই বইয়ে আমরা বলেছি কীভাবে নভোমন্ডলের বস্তুসমূহ, যেমন- চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারাদের, ছন্দবদ্ধ গতি থেকে বোঝা যায় এগুলো সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পরিচালিত হচ্ছে, কোনো দেব-দেবী বা অসুরের খেয়াল খুশি মত নয়। এ ধরণের কিছু নিয়মের যে অস্তিত্ব আছে সেটা শুরুতে সামনে আসে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে (আসলে জ্যোতিসশাস্ত্র, কারণ সে যুগে এ দুটোর চর্চা একই ছিলো)। পৃথিবীর বুকে বস্তুসমূহের গতিবিধি এতটাই জটিল, এবং একটা বস্তুর উপর এত বেশি সংখ্যক অন্য বস্তুর প্রভাব কাজ করে যে প্রাচীন সভ্যতাগুলো এদের কোনো নিয়মবিধি খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছিলো। ধীরে ধীরে অবশ্য জ্যোতির্বিজ্ঞান ছাড়াও জ্ঞানের অন্যান্য শাখাতে বিভিন্ন সূত্র আবিষ্কার হতে লাগলো, ফলে জন্ম হলো বৈজ্ঞানিক নির্ধারণবাদের। এ মতবাদ অনুযায়ী, এমন এক সেট পূর্ণাঙ্গ নিয়ম থাকবে, যার সাহায্যে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে মহাবিশ্বের অবস্থা পুরোপুরি জানা থাকলে, পরবর্তী যে কোনো সময়ে এটি কিভাবে বিবর্তিত হবে তা নির্ণয় করা সম্ভব হবে। আর এই নিয়মগুলো কাজ করবে সকল স্থানে এবং কালে; অবশ্য না হলে এগুলো তো নিয়মের মর্যাদাই পেত না। ফলে বিশ্ব পরিচালনায় দেবতা বা অসুরদের নাক গলানোর আর কোনো অবকাশ থাকলো না।
প্রথম যখন বৈজ্ঞানিক নির্ধারণবাদ প্রস্তাব করা হয়, তখন আমাদের জানা প্রকৃতির নিয়ম ছিলো শুধুমাত্র নিউটনের মহাকর্ষ ও গতির সূত্রগুলো। আমরা দেখেছি আইনস্টাইন কীভাবে এ সূত্রগুলোকে তার সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধ করেছেন, এবং কীভাবে মহাবিশ্বের অন্যান্য ঘটনাবলী ব্যাখ্যা করার জন্য অন্যান্য সূত্রসমূহও পরে আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রকৃতির এ নিয়মগুলো বর্ণনা করে কীভাবে আমাদের মহাবিশ্ব আচরণ করে, কিন্তু এ বইয়ের শুরুতে করা কেন? প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর তারা দেয় না।
কেন কোনো কিছু না থাকার বদলে কিছু আছে?
কেন আমাদের অস্তিত্ব আছে?
কেন ভৌত সূত্র সমূহের ঠিক এই সেটটাই আমরা দেখছি, অন্যরকম নয় কেন?
এসব প্রশ্নের উত্তর হিসাবে কেউ কেউ দাবি করবেন যে, নিশ্চই এমন এক ঈশ্বর আছেন যিনি এই মহাবিশ্বকে ঠিক এভাবেই সৃষ্টি করেছেন। কে বা কী এই মহাবিশ্বকে বানিয়েছে, এ প্রশ্ন উদয় হওয়া যৌক্তিক; কিন্তু তার উত্তর যদি হয় ঈশ্বর, তাহলে প্রশ্নটা স্রেফ একটু সরে গিয়ে দাঁড়ায়- ঈশ্বরকে বানিয়েছে কে? এ প্রসঙ্গে এটা গ্রহণ করে নেওয়া হয় যে, কোনো একটা স্বত্তা থাকবে যার অস্তিত্বের জন্য কোনো সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন নেই। এই স্বত্তাকেই বলা হবে ঈশ্বর। এটাকে বলা হয় ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রথম-কারণ-যুক্তি। অবশ্য আমরা দাবি করছি, এসব প্রশ্নের উত্তর, কোনো স্বর্গীয় সত্ত্বার আশ্রয় না নিয়ে, পুরোপুরি বিজ্ঞানের আয়তাধীন থেকেই দেওয়া সম্ভব।
তৃতীয় অধ্যায়ে বর্ণীত রূপায়ণনির্ভর বাস্তবতা অনুযায়ী আমাদের মস্তিষ্ক আমাদের ইন্দ্রিয়সমূহ থেকে পাওয়া প্রেসনার সাপেক্ষেই বহির্জগতের কাঠামো সম্পর্কে ধারণা লাভ করে। এভাবে আমরা আমাদের বাড়ি, গাছপালা, মানুষজন, বৈদ্যুতিক তারের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ, অণু, পরমাণু এবং অন্যান্য মহাবিশ্ব সম্পর্কে মানসিক চিত্র গঠন করি। এসব মানসিক ধারণাই আসলে আমাদের জানা একমাত্র বাস্তবতা। বাস্তবতাকে কখনোই রূপায়ন অনির্ভর ভাবে যাচাই করা সম্ভব নয়। তাই দেখা যায়, একটা সুগঠিত রূপায়ণ তার নিজস্ব বাস্তবতা গঠন করতে পারে। বাস্তবতা এবং সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করতে যে উদাহরণ আমাদের সাহায্য করতে পারে তার নাম, গেম অফ লাইফ বা জীবনের খেলা। ১৯৭০ সালে কেম্ব্রিজের তরুণ গণিতবিদ জন কনওয়ে এটি উদ্ভাবন করেন।
গেম অফ লাইফের, “গেম” বা “খেলা” শব্দটা একটু বিভ্রান্তিকর। কারণ এই খেলায় কোনো হার-জিত নেই, এমনকি নেই কোনো খেলোয়াড়ও। এটা বস্তুত কোনো খেলা নয়, বরং কিছু নিয়মের সমষ্টি, যে নিয়মগুলো একটি দ্বিমাত্রিক মহাবিশ্বকে পরিচালিত করে। তাই এটা একটা সুনির্ধারিত মহাবিশ্ব: আপনি যদি শুরুর একটা বিন্যাস বা শুরুর শর্তগুলো সাজিয়ে দেন, এরপর ভবিষ্যতে এখানে কী ঘটবে সেটা শুধুমাত্র কিছু নিয়ম দ্বারাই নির্ধারিত হবে।
কনওয়ে যে জগৎটি কল্পনা করেছিলেন সেটা অনেকটা বর্গাকার দাবার ছক এর মত কিন্তু এ ছকের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ সব দিকেই অসীম। আর এ জগতের প্রতিটি ঘর বা কোষ দুইটি অবস্থায় থাকতে পারে: জীবিত (সবুজ) বা মৃত (কালো)। প্রতিটি ঘরের প্রতিবেশী ঘর মোট আটটি (উপরে, নিচে, ডানে, বামের চারটি ঘর আর চার কোণার চারটি ঘর)। এই জগতে সময় অবিচ্ছিন্ন নয়। বরং বিচ্ছিন্ন ধাপে ধারাবাহিক ভাবে অতিবাহিত হতে থাকে। শুরুতে মৃত ও জীবিত ঘরের যে কোনো সজ্জা দেওয়া থাকলে, সে সজ্জার প্রতিটি ঘরের প্রতিবেশীদের মধ্যে কতজন জীবিত বা মৃত, সেটাই নির্ধারণ করে পরবর্তি ধাপে ঘরটির অবস্থা কী হবে। পুরো ব্যাপারটি নির্ধারিত হয় নিম্নে বর্ণীত নিময়মগুলো মেনে:
১. কোনো জীবিত ঘরের যদি দুই বা তিনটি জীবিত প্রতিবেশী থাকে তাহলে সেটি টিকে যায়। (জীবিত থাকা)
২. কোনো মৃত ঘরের যদি ঠিক তিনটি জীবিত প্রতিবেশী থাকে তাহলে কোষটি নিজেও বেঁচে ওঠে। (জন্ম)
৩. অন্য সকল ক্ষেত্রেই কোনো কোষ হয় মারা যায় অথবা মৃত অবস্থাতেই থাকে। অর্থাৎ, কোনো জীবিত ঘরের যদি শুধু শূন্য বা একটি মাত্র প্রতিবেশী থাকে তাহলে সেটি মারা যাবে একাকিত্বের কারণে; আর যদি তিনের অধিক প্রতিবেশী থাকে তাহলে মারা যাবে ভীড়ের চাপে।
পুরো ব্যাপারটার কারিগরি এটুকুই। ফলে শুরুর একটা অবস্থা নির্ধারণ করে দেওয়ার পরে এ নিয়মগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম জীবিত কোষ সৃষ্টি বা বিনাশ করতে থাকে। কোনো একটা বিচ্ছিন্ন জীবিত কোষ, বা দুজনের একটা বিচ্ছিন্ন কোষজুটি পরের প্রজন্মেই মারা পড়ে, কারণ তাদের যথেষ্ট প্রতিবেশী নেই। কোনাকুনি বরাবর তিনটি জীবিত কোষ বাঁচে একটু বেশি। কারণ, তখন প্রথম ধাপে দুকোনার দুই কোষ মারা পড়ে, থাকে শুধু মাঝেরটা। এবং পরের ধাপে সেটাও মারা পড়ে। কোষদের এমন যেকোনো কোনাকুনি দাগই এভাবে সময়ের সাথে সাথে “উবে যায়”। আবার এই তিনটি জীবিত কোষকে যদি শুরুতে আনুভুমিক সারি বরাবর পাশাপাশি বসানো হয় তাহলে। প্রথম ধাপে দুপাশের দুটি কোষ মারা যায় ঠিকই, কিন্তু এ ক্ষেত্রে মাঝের কোষের ঠিক উপরের এবং নিচের কোষদুটি বেঁচে ওঠ। তাই আনুভুমিক সারিটি হয়েযায় একটি খাঁড়া স্তম্ভ। এভাবে, পরের প্রজন্মে এই খাঁড়া স্তম্ভ আবার আনুভুমিক সারিতে পরিণত হয়। এবং এভাবেই একটা থেকে আরেকটা বারে বারে পুনরাবৃত্ত হতে থাকে। এ ধরণের পুনরাবৃত্ত সজ্জাকে বলা হয় ব্লিঙ্কার।
যদি তিনটা জীবিত ঘরকে L আকৃতিতে সাজানো হয় তাহলে নতুন একটা ঘটনা ঘটে। পরের প্রজন্মে L দিয়ে ঘেরা কোনার কোষটি বেঁচে ওঠে এবং জীবিত কোষের একটা ২x২ বর্গ সৃষ্টি হয়। এ বর্গটি এক ধরণের কোষ বিন্যাসের সদস্য যাদেরকে বলে “স্থির জীবন”। কারণ এধরণের বিন্যাস প্রজন্মের পর প্রজন্ম অপরিবর্তিত অবস্থায় টিকে যেতে পারে। বিভিন্ন ধরণের আদি কোষ বিন্যাস আছে যারা শুরুর কিছু প্রজন্মে বিবর্তিত হয় কিন্তু শিঘ্রই হয় স্থির জীবন ধারণ করে অথবা মারা যায়, অনেকে আবার ঘুরে আদি বিন্যাসে ফিরে যায় এবং পুরো চক্রটাকেই ক্রমাগত পুণরাবৃত্তি ঘটাতে থাকে।
এছাড়াও এমন বিন্যাস আছে যাদেরকে বলে গ্লাইডার, বা উড়ুক্কু। এরা বিবর্তিত হয় অন্য আকৃতি ধারণ করে, এবং এভাবে কয়েকক প্রজন্ম পরে আবার ফিরে যায় নিজের আদি আকৃতিতে, কিন্তু ততক্ষণে পুরো আকৃতিটাই সরে গেছে কোনাকুনি এক বর্গ নিচের একটা অবস্থানে। আপনি যদি এদেরকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম দেখতে থাকেন তাহলে মনে হবে এরা ছকের উওর কোনাকুনি হামাগুড়ি দিয়ে এগোচ্ছে। এ ধরণের উড়ুক্কুরা যখন একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তখন তারা সংঘর্ষকালীন কে কী সজ্জায় ছিলো তার উপর নির্ভর করে দারুণ সব ব্যাপার ঘটে।
এই ছকের মহাবিশ্বটা আগ্রোহদ্দীপক এই কারণে যে, যদিও এর মৌলিক ‘পদার্থবিজ্ঞান’ খুবই সরল, কিন্তু এ থেকে জটিল সব ‘রসায়ন’এর উদ্ভব হতে পারে। মানে, বিভিন্ন মাত্রার জটিল বস্তুসমূহ এ জগতে থাকতে পারে। একেবারে ক্ষুদ্রতম স্কেলে এখানকার মৌলিক পদার্থবিদ্যা আমাদের বলছে শুধু দুই রকম কোষ ঘর আছে, জীবিত বা মৃত। কিন্তু আরেকটু বৃহৎ স্কেলে ভাবলে সেখানে, গ্লাইডার, ব্লিঙ্কার, এবং স্থির জীবনের বিন্যাস দেখা যায়। আরো বড়ো স্কেলে, আরো জটিল সব বস্তু থাকতে পারে, যেমন গ্লাইডার বন্দুক: এটা একটা স্থির কোষ সজ্জা, যা নির্দিষ্ট সময় পর পর নতুন নতুন গ্লাইডারের জন্ম দেয় যেগুলো সেই নীড় ছেরে বেরিয়ে পরে বাইরে।
আপনি যদি এই গেম ওফ লাইফ জগৎ এর ঘটনাবলি যে কোনো আকারের স্কেলেই পর্যবেক্ষণ করেন তাহলে সেই স্কেলের বস্তুসমূহের আচরণ নিয়ন্ত্রণকারী সূত্র আপনি নির্ণয় করতে পারবেন। যেমন হয়তো অল্প কয়েক ঘর মিলে তৈরি বস্তুদের জন্য আপনি সূত্র পাবেন “চারকোনা ব্লক কখনো সরে না”, “গ্লাইডাররা কোনাকুনি সরে”। এছাড়াও দুইটি বস্তুর সংঘর্ষের ফলে কী ঘটতে পারে সেগুলোর বিবিধ সূত্র আপনি পাবেন। অর্থাৎ, আপনি যেকোনো পর্যায়ের মিশ্রবস্তুর জন্যই পূর্ণাঙ্গ একটা পদার্থবিজ্ঞান গঠন করতে পারবেন। এ পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলোর মধ্যে এমন সব ধারণা এবং অনুসঙ্গ থাকবে একদম মূলসূত্রের মধ্যে যাদের কোনো স্থান নেই। যেমন, মূল সূত্রে, “সংঘর্ষ”, বা “সরণ” এর কোনো ব্যাপার নেই। তারা শুধুমাত্র স্থির একটা ঘর জীবিত নাকি মৃত থাকবে সেটা বর্ণনা করে। আমাদের এই মহাবিশ্বের মত এই গেম অফ লাইফেও আপনার বাস্তবতা নির্ভর করবে কী ধরনের রূপায়ণ আপনি ব্যবহার করছেন তার উপর।
কনওয়ে এবং তার ছাত্ররা এই জগৎ তৈরি করেছিলেন কারণ তারা জানতে চাচ্ছিলেন- কোনো মহাবিশ্বে, যেখানে মৌলিক নিয়মগুলো এই গেম অফ লাইফের নিয়মের মত এতটাই সরল, সেখানেও কি জটিল কোনো বস্তুর উদ্ভব হতে পারে, যা বংশবিস্তার করতে সক্ষম? এই জগৎএ কি এমন কোনো মিশ্র বস্তু থাকতে পারে যেটা, কয়েক প্রজন্ম ধরে এ জগৎ এর নিয়মগুলো মেনে চলার পরে অন্য ধরণের বস্তুর জন্ম দিতে পারে? কনওয়ে এবং তার ছাত্ররা শুধু এমন কিছু বস্তু খুঁজে পেতেই সক্ষম হননি, তারা আরো দেখিয়েছেন যে এ ধরণের বস্তু চাই কি ‘বুদ্ধিমান’ ও হতে পারে! প্রশ্ন আসে, এখানে বুদ্ধিমান বলতে তারা কী বোঝাচ্ছেন? তারা আসলে দেখাতে সক্ষম হয়েছেন, যে এসব কোষের বিশাল একটা সমাবেশ, যেটা বংশ বিস্তার করতে সক্ষম, আসলে একটা “সার্বিক টুরিং মেশিন”। এর মানে হচ্ছে, আমরা আমাদের কম্পিউটার দিয়ে যে সব হিসাব করতে পারি, সেগুলোকে এই গেম অফ লাইফের জগৎ এর এসব কোষ সমাবেশও উপযুক্ত পরিবেশ পেলে করে ফেলতে পারে। অর্থাৎ কয়েক প্রজন্ম পরে এরা এমন একটা অবস্থায় যেতে পারে যেখান থেকে আমাদের কম্পিউটার হিসাব করে যে ফলাফল পেত, সে হিসাবগুলোই পাওয়া যাবে।
পুরো ব্যাপারটার একটা স্বাদ পেতে, চলুন দেখি কী ঘটবে যখন ২x২ মাপের একটা জীবিত বর্গের দিকে একটা গ্লাইডার ছুড়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষের সময় গ্লাইডারটা কী অবস্থায় স্থির বর্গটার কাছে পৌছাচ্ছে তার উপর নির্ভর করে বর্গটা গ্লাইডারের উৎসের দিকে বা উৎস থেকে দূরে একঘর সরে যাবে। এভাবে এই স্থির বর্গ একটি কম্পিউটারের স্মৃতিকোষের মত আচরণ করতে পারে। আসলে, আধুনিক কম্পিউটারের সকল মৌলিক উপাদান যেমন AND ও OR-গেট এই গ্লাইডারের সাহায্যে তৈরি করা সম্ভব। ফলে কম্পিউটার যন্ত্রে ঠিক যেভাবে তড়িৎ সিগন্যাল পাঠিয়ে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করা হয় তেমনি একসারি গ্লাইডার ব্যবহার করেও তথ্য প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব।
এই গেম অফ লাইফের জগতে সৃষ্ট বংশবিস্তারকারী বস্তুগুলোর বিন্যাস ও ঘঠন আমাদের জগৎ এর বস্তুগুলোর মতই অনেক জটিল। জন ভন নিউম্যানের কিছু প্রাথমিক হিসাব মতে অনুমান করা হয়, গেম অফ লাইফের জগৎএ বংশ বিস্তার সক্ষম ক্ষুদ্রতম বিন্যাসে ঘরের সংখ্যা হবে প্রায় দশ ট্রিলিয়ন- প্রায় একটি মানবকোষের মোট অণু সংখ্যার সমান।
আমরা জীবন্ত সত্ত্বা বলতে বুঝি, নির্দিষ্ট আকারের এমন কোনো জটিল ব্যবস্থা যারা স্থিতিশীল এবং বংশবিস্তার করতে পারে। একটু আগে যে জটিল বস্তুটার কথা বলা হলো, সেটা উপরের এই বংশবিস্তারের শর্ত পূরণ করে ঠিকই কিন্তু সম্ভবত সেটা স্থিতিশীল নয়। অর্থাৎ বাইরে থেকে প্রযুক্ত মৃদু আলোড়নই এর সূক্ষ্ম কারুকাজকে নষ্ট করে দিতে পারে। অবশ্য প্রাথমিক নিয়মগুলো আরেকটু জটিল হলে সেটা এমন সব জটিল ব্যবস্থার বিকাশ ঘটাতে পারবে যাদের জীবনের সকল গুণাবলীই আছে। এমন একটা সত্ত্বার কথা কল্পনা করুন, যেটা কনোওয়ের জগতের মত কোনো জগতের একটা বস্তু। এ ধরণের একটা বস্তু যদি পরিবেশগত প্রেসনার সাপেক্ষে প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে, তখন দেখে মনে হবে এটা বুঝি সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম। এধরণের একটা জীবন কি নিজের ব্যাপারে সচেতন হবে? অর্থাৎ, এটাকে কি আত্মসচেতন বলা যাবে? এ প্রশ্নের উত্তর নিয়ে প্রসংগে তীব্র মতবিভেদ দেখা যায়। কেউ কেউ দাবি করেন আত্মসচেতনতা মানুষের একটি অনন্য গুণ। এই আত্মসচেতনতাই হচ্ছে মুক্ত ইচ্ছার উৎস, যেটা তাদেরকে দিয়েছে বিভিন্ন কার্যপ্রবাহ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা।
একটা সত্ত্বার মুক্ত ইচ্ছা আছে কি না সেটা কীভাবে বলা সম্ভব? কেউ যদি একটা ভিনগ্রহবাসীর সম্মুখীন হয়, তাহলে কীভাবে নিশ্চিত হবে, যে এটা একটি রোবট নাকি, নিজস্ব মন ধারী সত্ত্বা? একটা রোবটের আচরণ থাকবে পুরোপুরী পূর্বনির্ধারিত, যেখানে একটা মননশীল সত্ত্বার মুক্ত ইচ্ছার ক্ষমতা থাকার কথা। ফলে কেউ হয়তো একটা রোবটকে চিহ্নিত করতে পারে এভাবে যে, এর সকল আচরণ পূর্বানুমান করা সম্ভব। যেমনটা আমরা দ্বিতীয় অধ্যায়ে বলেছি, এ কাজটা অসম্ভবরকমের কঠিন হয়ে যেতে পারে, যদি সত্ত্বাটি বৃহৎ এবং জটিল হয়। আমরা তো এমনকি তিন বা তার অধিক কণিকার পারস্পারিক মিথস্ক্রিয়াই পুরোপুরি গণনা করতে পারি না। সেখানে একটি মানবাকৃতির ভিনগ্রহবাসির গঠনকারী কণিকা হবে হাজার ট্রিলিয় ট্রিলিয়ন। তাই এটা যদি একটা রোবটও হয় তাহলেও সমীকরণ সমাধান করে এর আচরণ অনুমান করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। ফলে আমরা বলতে বাধ্য হবো, যে কোনো জটিল সত্ত্বাই মুক্ত ইচ্ছার অধিকারী। মুক্ত ইচ্ছা এসব সত্ত্বার একেবারে মৌলিক গুণ না হলেও, এদের আচরণ হিসাব করতে ব্যর্থতা আমাদেরকে মুক্ত ইচ্ছার অনুকল্পটিকে এদের আচরণের একটা কার্যকর তত্ত্ব হিসাবে গ্রহণ করতে বাধ্য করছে।
কনওয়ের জীবনের খেলা থেকে দেখা যাচ্ছে যে একেবারে সরলতম এক সেট নিয়মও জটিল সব বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটাতে পারে, যেটা বুদ্ধিমান জীবনের সমতুল্য। নিশ্চই এ ধরণের বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ এমন অনেক সেট নিয়ম সম্ভব। প্রশ্ন আসে, আমাদের মহাবিশ্বকে চালনাকারী মৌলিক নিয়ম সমূহ (প্রকাশ্য নিয়ম সমূহ নয়) কীভাবে নির্ধারিত হলো? কনওয়ের মহাবিশ্বের মত আমাদের মহাবিশ্বের বিবর্তনও একটা নির্দিষ্ট সময়ে কোনো নির্দিষ্ট অবস্থা থেকে এসব নিয়ম মেনেই ঘটে। কনওয়ের জগৎএ আমরা হচ্ছি সৃষ্টিকর্তা, যারা ঐ মহাবিশ্বের আদি অবস্থায় বস্তু সমূহের অবস্থান ও প্রকৃতি নির্ধারণ করে দিচ্ছি।
গেম অফ লাইফে যেটা গ্লাইডার, ভৌত মহাবিশ্বে তার তুল্য হতে পারে ছুটে চলা বস্তুকণা। আমাদের জগতের মত অবিচ্ছিন্ন একটা জগৎকে বর্ণনাকারী কোনো নিয়মের সেটে অবশই সংরক্ষণশীল শক্তির ধারণা থাকবে। অর্থাৎ সময়ের সাথে ব্যবস্থাটির মোট শক্তির মান পরিবর্তিত হবে না। শূন্যস্থানে এই শক্তির মান স্থান এবং কাল নিরপেক্ষভাবে ধ্রূব থাকবে। স্থানের নির্দিষ্ট কোনো আয়তনে ধারণকৃত মোট শক্তি থেকে, সমআয়তনের শূন্যস্থানের মোট শক্তি বিয়োগ করে কেউ যে কোনো হিসাব থেকে এই শূন্য স্থানের শক্তিকে বাদ দিতে পারে। তাই আমরা চাইলে শূন্যস্থানের বা ফাঁকাস্থানের শক্তির মান শূন্য ধরে নিতে পারি। প্রকৃতির যেকোনো নিয়মকে অবশ্যই যে শর্তটা পূরণ করতে হয় সেটা হলো শূন্যস্থান দিয়ে ঘেরা কোনো বিচ্ছিন্ন বস্তুর মোট শক্তি অবশ্যই ধনাত্বক হতে হবে। যার অর্থ ঐ স্থানে বস্তুটিকে গঠন করতে শুরুতে শক্তি প্রয়োগ করতে হয়েছে। বিচ্ছিন্ন বস্তুর শক্তি ঋণাত্বক হওয়া সম্ভব নয়। কারণ এটা ঋণাত্বক হলে সেই বস্তুটিকে এমন একটা গতিশীল অবস্থায় তৈরি করা সম্ভব হতো, যেন বস্তুটির গতিশক্তি তার নিজস্ব ঋণাত্বক শক্তিকে কাটাকাটি করে ফেলে। এই ঘটনা সম্ভব হলে যে কোনো জায়গায় হুঠ করে কোনো বস্তুর আবির্ভাব না হওয়ার কোনো কারণ থাকতো না। ফলে শূন্যস্থান তখন অস্থিতিশীল হয়ে পড়তো। কিন্তু বিচ্ছিন্ন বস্তু সৃষ্টি করতে যদি ধনাত্বক শক্তি আবশ্যক হয় তাহলে আর এ ধরণের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে না, কারণ আমরা জানি মহাবিশ্বের মোট শক্তি ধ্রুব। কোনো মহাবিশ্বে স্থানিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এ শর্ত আবশ্যক, না হলে শুন্য থেকে এখানে-ওখানে বিভিন্ন বস্তুর আবির্ভাব ঘটতো।
যদি একটা মহাবিশ্বের মোট শক্তির মান সবসময়ই শূন্য হতে হয়, এবং যদি বস্তুসমূহ সৃষ্টি করতে ধনাত্বক শক্তির প্রয়োজন হয়, তাহলে শূন্য থেকে আস্ত একটা মহাবিশ্ব কীভাবে সৃষ্টি হলো? এ ব্যাপারটা থেকেই মহাকর্ষের মত নিয়মের প্রয়োজনীয়তা। যেহেতু মহাকর্ষীয় বল আকর্ষী, তাই মহাকর্ষীয় শক্তি ঋণাত্বক। আর তাই মহাকর্ষীয়ভাবে আবদ্ধ দুটি বস্তুকে, যেমন পৃথিবী ও চন্দ্র, পৃথক করতে বাইরে থেকে কাজ করতে হয়। এই ঋণাত্বক শক্তির সাথে বস্তু তৈরিতে প্রয়োজনীয় ধনাত্বক শক্তির ভারসাম্য হতে পারে। কিন্তু ব্যাপারটা অতটা সরল নয়। পৃথিবীর মোট ঋণাত্বক মহাকর্ষীয় শক্তি, পৃথিবীকে গঠনকারী কণিকাসমূহের ধনাত্বক শক্তির বিলিয়ন ভাগের এক ভাগেরও কম। এদিকে, একটা নক্ষত্রের মত বৃহৎ বস্তুর ঋনাত্বক মহাকর্ষীয় বল অনেক বেশি হবে, আবার নক্ষত্রটি যত ছোটো হতে থাকবে (অর্থাৎ এর গঠনকারী কণিকাসমূহের পারস্পরিক দূরত্ব যত কম হবে) এই ঋণাত্বক মহাকর্ষীয় বলও তত বাড়বে। কিন্তু এভাবে ঋণাত্বক শক্তি বাড়তে বাড়তে নক্ষত্রটির ধনাত্বক শক্তির সমান হওয়ার অনেক আগেই এটি একটি কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত হয়। আর আমরা জানি কৃষ্ণগহ্বরের শক্তি ধনাত্বক। এসব কারণেই শূন্যস্থান স্থিতিশীল, ফলে নক্ষত্র বা কৃষ্ণগহ্বরের মত বস্তু হঠাৎ করে উদয় হতে পারে না। কিন্তু একটা আস্ত মহাবিশ্ব ঠিকই পারে।
যেহেতু মহাকর্ষই স্থান ও কালকে আকৃতি দানকারী করে, সেহেতু এটা স্থান-কালকে স্থানিক স্থিতি দিলেও একটা সামগ্রিক অস্থিতি দান করে। ফলে পুরো মহাবিশ্বের স্কেলে, বস্তুসমূহের ধনাত্বক শক্তি মহাকর্ষীয় ঋণাত্বক শক্তি দ্বারা ভারসাম্য লাভ করতে পারে। তাই শূন্য থেকে পুরো একটা মহাবিশ্ব সৃষ্টি হওয়ায় কোনো বাধা থাকে না। যেহেতু মহাকর্ষের মত একটা নিয়ম আছে, সেহেতু একেবারে শূন্য থেকে মহাবিশ্ব শুরু হতে পারে এবং হয়। যে প্রক্রিয়া আমরা ষষ্ট অধ্যায়ে আলোচনা করেছি। এই স্বতস্ফুর্ত সৃষ্টিই হচ্ছে কোনো কিছু না থাকার বদলে কিছু থাকার কারণ।এ কারণেই অস্তিত্ব আছে আমাদের। আর তাই মহাবিশ্বকে শুরু করার সলতেয় আগুন দিতে কোনো ঈশ্বররের প্রয়োজন নেই।
এখনো প্রশ্ন থাকে, মৌলিক নিয়মসমূহ আমরা যেমন বললাম তেমন কেন? আমরা জানি, একটা পরম তত্ত্বকে অবশ্যই হতে হবে সুসংহত এবং পরিমাপযোগ্য চলকসমূহের সসীম মান অনুমান করতে সক্ষম। ফলে, অবশ্যই মহাকর্ষের মত একটা নিয়ম থাকতে হবে। আর পঞ্চম অধ্যায়ে আমরা এও দেখেছি যে মহাকর্ষের মত একটা তত্ত্বকে সসীম মান অনুমান করতে হলে, এ তত্ত্বে অবশ্যই প্রকৃতির বলসমূহ এবং সেই বল যেসব পদার্থের উপর কাজ করে, তাদের মধ্যে এক ধরনের মহাপ্রতিসাম্য থাকতে হবে। এম-তত্ত্ব হচ্ছে মহাকর্ষের সবচেয়ে সাধারণীকৃত মহাপ্রতিসম তত্ত্ব। এসব কারণে এম-তত্বই হচ্ছে মহাবিশ্বের একটি পূর্ণাঙ্গ তত্ত্বের একমাত্র প্রার্থী। এটা যদি সসীম হয় – এই সসীমতা এখনো প্রমাণ করা বাকি- তাহলে এটা হবে মহাবিশ্বের এমন একটা রূপায়ণ, যে মহাবিশ্ব নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করে। আর আমরা বাধ্য হয়েই এই মহাবিশ্বের অংশ কারণ এ ছাড়া আর কোনো সুসংহত রূপায়ণ নেই।
এম-তত্ত্ব হচ্ছে সেই সার্বিক তত্ত্ব যেটার খোঁজ আইনস্টাইন করেছেন। আমরা মানুষরা -যারা নিজেরাই প্রকৃতির মৌলিক কণিকাসমূহের একটি সন্নিবেশ ছাড়া কিছুই না- তারা যে আমাদের চালনাকারী নিয়মসমূহকে বুঝে ফেলার এত কাছে চলে এসেছি, সেটা নিশ্চয়ই একটা বড় বিজয়। কিন্তু হয়তো সত্যিকার অলৌকিক ব্যাপার হচ্ছে, যুক্তির একটা বিমূর্ত রূপায়ণ থেকে এমন একটা অনন্য তত্ত্বে পৌছাতে পারা, যেটা বৈচিত্রময় জিনিসে পূর্ণ যে সুবিশাল মহাবিশ্বকে আমরা দেখি, সেটাকে বর্ণনা ও অনুমান করতে পারে। এই তত্ত্বকে পর্যবেক্ষণ দ্বারা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে, এটাই হবে আমাদের প্রায় ৩০০০ বছরব্যাপি অনুসন্ধানের একটা সফল পরিসমাপ্তি। আর এভাবেই আমরা খোঁজ পেয়ে যাবো সেই মহান নকশার।
‘দ্য গ্রান্ড ডিজাইন’ < পর্ব ৭ । পর্ব ৮(শেষ)। পর্ব ১>
[অনুবাদকের নোট]
নভোমন্ডলের বস্তুসমূহ – Astronomical Bodies
দেব-দেবী এবং অসুর – gods and demons
জ্যোতিসশাস্ত্র – Astrology
জ্যোতির্বিজ্ঞান – Astronomy
বৈজ্ঞানিক নির্ধারণবাদ – Scientific Determinism
প্রবৃদ্ধ – Extend
প্রথম-কারণ যুক্তি – First-Cause Argument
সুনির্ধারিত- Deterministic
টিকে যাওয়া – Survival
উবে যায় – Evaporates
স্থির জীবন – Still Life
সার্বিক টুরিং মেশিন – Universal Turing Machine
কৃতজ্ঞতা: এ পর্বের বেশকিছু বানান প্রমাদ সংশোধন করে দিয়েছেন সেজবা ।
কিছু কথা:
TED এ একটা লেকচার আছে স্টিভেন হকিং এর। লেকচার শেষে উপস্থাপক তাকে একটা প্রশ্ন করেন। তিনি তার চোখের নিচের মাসলটা নেড়ে নেড়ে সেই প্রশ্নটার উত্তর তৈরি করতে সময় নেন প্রায় ৭ মিনিট। দেখে মনটা কেমন যে দুঃখে ভরে গেছিলো বলে বোঝাতে পারবো না। একই সঙ্গে ভালোও লেগেছিলো। জীবনকে জিতে যেতে দেখে। এই শারীরিক ভাবে অসহায় মানুষটা, কী অপার বিশ্বয় আর কী অসীম ভালোবাসা বুকে নিয়ে বেঁচে আছেন! আমরা সুস্থ সবলরাই কী তার খোঁজ জানি? এই হার না মানা মানুষটার লেখা অসাধারণ বইগুলোর কথা ভাবি আর শ্রদ্ধায় মাথানত হয়ে আসে। তার জীবনীশক্তির কাছে নিজেকে তুচ্ছ মনে হয়। যে প্রশ্নগুলোর উত্তর এই বইয়ে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে দিনের পর দিন চিন্তা করে, এবং এত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও অসীম ধৈর্য্য আর যত্নের সাথে বইটি লিখে তিনি শুধু আমাদের বৈজ্ঞানিকভাবেই আলোকিত করেন নি। দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এক মহিমানিত্ব জীবন দর্শনের।
তার সহলেখক লিওনার্দ ম্লদিনাওকেও এ সুযোগে কৃতজ্ঞতা জানাই।
শেষের কথা:
যাক, অবশেষে এটা শেষ করতে পারলাম। মূল লেখকদ্বয়ের ‘কৃতজ্ঞতা’ এবং টীকা সেকশনটা এখানে আর পোস্ট করছি না। ই-বুক আকারে সঙ্কলিত হলে সেখানে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
মুক্তমনার সদস্য এবং পাঠকদের কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা আমার। সামগ্রিক ভাবে মুক্তমনার কাছেই কৃতজ্ঞ। এমন একাগ্র পাঠক অন্য কোথাও পেতাম না বলেই মনে হয়। পরিভাষা, বানান, বাক্য এসব ব্যাপারে পাঠকরা প্রচুর সাহায্য করেছেন। তাদের চিন্তাশীল মন্তব্য আমাকে অনুবাদের অনেক অংশ নিয়েই নতুন করে ভাবিয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞতা আমার অনুবাদ প্রচেষ্টাকে মানসিক সমর্থন দিয়ে যাওয়ায়।
আমি খুব দ্রুতই কোনো কিছু থেকে আটেনশন হারাই। যথারীতি মাঝপথে এটা করতে গিয়েও থেমে গিয়েছিলাম। সে সময় অভিজিৎ দা, রায়হান আবীর, সোহাগ, নীল রোদ্দুর, নিপুন, স্বাধীন ভাই, স্বাক্ষর শতাব্দ, এবং ধ্রুব(রূপম) ভাই এঁরা ক্রমাগত আমাকে প্রেরণা, তাগাদা এবং ঝাড়ির একটা মিশ্রন জুগিয়েছেন কাজটা শেষ করার জন্য। ভবিষ্যতেও এঁদের সাথে পাবো বলেই আমার বিশ্বাস। নিয়মিত এবং মনোযোগী পাঠক হিসাবে রৌরব, রনবীর সরকার, আকাশ মালিক, সংশপ্তক, সেজবা, অপার্থিব, ফরিদ আহমেদ এঁদেরকে পেয়ে আমি ভাগ্যবান। আর সেজবা, আকাশমালিক এবং তৃষিয়া নাশতারান অনেকগুলো পর্বের প্রুফ রিডিং করে দিয়েছেন যত্ন করে। এছাড়াও মন্তব্যে, ফেসবুকে এবং মেইলে আরো অনেকেই ক্রমাগত পরামর্শ ও উৎসাহ যুগিয়েছেন। আপনাদের সবাইকে সঙ্গে না পেলে এটা শেষ করা সম্ভব হতো না হয়তো।
বড় আকারে কিছু একটা লিখতে কেমন লাগবে সেটা পরীক্ষা করে দেখতে গিয়েই এই অনুবাদ প্রকল্পের শুরু। স্পেশালি বই লিখতে কেমন লাগে সেটা দেখার শখ হয়েছিলো। শুরু করেছিলাম হুমায়ূন আহমেদের বই দিয়ে। মানে বই ধরে দেখে দেখে টাইপ করে বোঝার চেষ্টা করা। কম্পিউটারে কতটুকু লিখলে বইএর কতটুকু হয়। পরে সুনীলের প্রথম আলোরও কয়েক পৃষ্টা টাইপ করে দেখলাম। ব্লগে আমার নিজের কোনো লেখা আগে কখনো পাঁচ পৃষ্ঠা ক্রস করে নি। সে হিসাবে এই অনুবাদ ছিলো রীতিমত ম্যারাথন দৌড়। দৌড় শেষ করে ভালো লাগছে। দমও বেড়েছে আশা করি। দেখা যাক ফলাফল কী দাঁড়ায়। সবশেষে, সবার জন্য সবার জন্য রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
আমাদের সবার জীবন দীপান্বিত হোক।
বইটির অনুবাদ আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
(Y) দ্বিতীয়বারের মত পড়লাম।
এক কথায় অসাধারন, এবং ঝরঝরে অনুবাদ ।এর “Brief history of time ‘” এর বাংলা অনুবাদ পড়েছিলাম ।তবে সেটা এতটা প্রাণবন্ত নয়। 🙂
অনেক দিন আগে কি জানি একটা লেখা দেখে ছিলাম মুক্তমনায়, (লেখাটি দেখলেই চিনে নিতে পারব, কারন এখন তার বিষয়বস্তু ও আমার স্মরনে আসছে না, শুধু এতটুকু মনে আছে, সেটা ছিল স্মৃতিচারন মূলক) লেখাটি অনেক খোঁজার পর না পেয়ে ভাবলাম, সদস্য হতে পারি কিনা দেখি। তখন হয়তো পাওয়া যাবে এই ভেবে চেষ্টা চালিয়ে ছিলাম। তাতে দেখলাম বিশাল নিয়মাবলী। একটু পড়েই ধর্য্য হারিয়ে ফেলি। তারপর মেইন পেইজে গিয়ে প্রথম যে লেখাটি পেলাম তার শেষেই মন্তব্য লিখে ছিলাম। এ জন্য কিছু মনে করবেন না। যেহেতু নতুন ট্রাই করছিলাম মেম্বার হতে, তাই এরকম হয়ে ছিল। একটু সময় পেলেই নেটে আসি। নিজের চিন্তা চেতনার সাথে মিল থাকে এই রকম মাত্র কয়েকটি সাইটে যাই, এতে মুক্তমনাও একটি। দেখছেনতো, বর্তমানে কত কত সাইট তৈরী হয়েছে, যার যার মত করে। সবার সব কিছুতো পছন্দ হয় না। যাহা পছন্দ হয় তাহা যদি সহজে পাওয়া না যায় তখন …! এই জন্যই আমার ধর্য্যহীনতা ছিল গত কালকের মন্তব্যে। আমি “সংগ্রামীমানুষ” নামেই থাকতে চাই যদি এই নামে পূর্বে কেউ এই সাইটে না থেকে থাকে।
সবার জন্য শুভ কামনা।
আমার নিক নেইম হবে সংগ্রামীমানুষ…চেক না করার জন্য দুঃখিত।
@সংগ্রামীমানুষ,
আপনি আপনার মন্তব্য প্রকাশ করেই সাথে সাথে আবার আমাকে ইমেইল করে ভুলভাবে অভিযোগ করেছেন ‘মন্তব্য গায়েব’ করে দেবার! আপনার মন্তব্য যে গায়েব করা হয়নি তা দেখতেই পাচ্ছেন বোধ হয়। ওটা পেন্ডিং এ পড়ে ছিলো। এখন এপ্রুভ করা হয়েছে। আপনি ছোট বিষয়ে এতো অস্থির না হয়ে এখানে বিভিন্ন প্রবন্ধে মন্তব্য করতে থাকেন, একসময় হয়তো সদস্য হয়ে যাবেন। আর লেখার কিংবা অভিযোগ করার আগে আমাদের নীতিমালাটা পড়ে নিলেই আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যেতেন-
মুক্তমনায় সরাসরি সদস্যপদ দেয়া হয় না। কেউ সদস্য হতে চাইলে তাকে মুক্তমনা ব্লগে ক্রমাগত মন্তব্য করে যেতে হবে। মন্তব্যের গুণাগুণ সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত হবে। মন্তব্যের গুণাগুণ বিবেচনায় পূর্নাঙ্গ লেখক হিসেবে সদস্যপদ দেয়া হলেই তিনি কারো হস্তক্ষেপ ছাড়া মুক্তমনা ব্লগে লেখা প্রকাশ করতে পারবেন।
আপনি বলেছেন, আপনি আপনার কথা শেয়ার করতে চান, কিন্তু আবার বলেছেন,
কথা শেয়ার করার জন্য প্রথমেই সদস্য হতে হবে কেন? অনেকেই অতিথি হিসেবে মন্তব্য করেছেন, তাদের কথা শেয়ার করছেন, পূর্ণ সদস্য না হয়েই। আপনিও করতে থাকুন। মন্তব্যের ভিত্তিতে অন্য সবাইকে যেভাবে সদস্যপদ দেয়া হচ্ছে, আপনি তার ব্যতিক্রম হতে চাচ্ছেন কেন?
আরো একটা ব্যাপার, ব্লগের সদস্য হবার জন্য মুক্তমনার সামগ্রিক উদ্দেশ্যের পাশাপাশি ব্লগারদের লেখার ভাষা, ব্যবহার, বাচন শৈলী, মডারেটর এবং অন্য সদস্যদের সাথে আন্তঃসংযোগের ধাঁচ প্রভৃতি সদস্য হবার ক্ষেত্রে প্রধানতম মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হয়। কাজেই অতিরিক্ত অস্থিরতা কিংবা বিনা কারণে উষ্মা দেখানো বরং নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে সদস্য হবার ক্ষেত্রে।
মুক্তমনায় লেখার জন্য ধন্যবাদ।
যুক্তি এবং বিদ্যা দুইটি আলাদা বিষয় বলে মনে হয় আমার। মুক্তমনা ওয়েব সাইটের মালিক আপনি সদস্য হবার নিয়ম “বলে” একটি বাটন রেখেছেন। সরাসরি সদস্য হবার জন্য একটি বাটন রাখলেন না কেন? আমি আজ ২ সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করে না পেরে এই খানে লিখতে বাধ্য হলাম। আমি সদস্য হতে চাই, কি ভাবে হব, (বুঝতে পারছেন আমি আনারী পাব্লিক…) বলবেন কি? সুযোগ পেলে আমিও আমার অনেক কথা শেয়ার করতে পারি, সদস্য না হলেতো পারছি না, সুযোগটি কি পাব?
@সংরামীমানুষ,
আপনি আসলেই সংগ্রামী:)
কিন্তু যুক্তিহীনভাবে কোনো বিদ্যা হতে পারে কী?
Mission Impossible কে Possible করার জন্য অভিনন্দন।
@নিশাচর,
ধন্যবাদ নিশাচর। আসলে কাজটা বেশি কঠিন না হলেও, আমার জন্য ইম্পসিবলই ছিলো। এতদিন একটা ব্যাপারে ফোকাস ধরে রাখা 🙁 অবশেষে হাফ ছাড়লাম।
শুভেচ্ছা…
@তানভীরুল ইসলাম,
অনুবাদ খুবই কঠিন একটি কাজ।এ কঠিন কাজটুকু করতে আপনাকে কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়।অনুবাদের ভাষা এবং লেখার ধরন খুবই সুন্দর হয়েছে।অনুবাদের শেষে আপনার নিজস্ব কথাগুলো আরো ভালো লেগেছে।বিশেষ করে ,
@তামান্না ঝুমু,
ধন্যবাদ তামান্না ঝুমু,
বেশি পরিশ্রম মনে হয় নি। আসলে একটু একটু করে করলে তেমন মনে হয় না। আর বইটা খুবই ইন্টারেস্টিং বোঝাই যায়না কখন শেষ হয়ে গেল।
শুভেচ্ছা…
মুক্তমনার সবাই মিলে, তানভীর ভাই এর জন্য স্পেশাল পার্টির ব্যবস্হা করা দরকার । তিনি আমাদের কে অনেক বড় কিছু উপহার দিয়েছেন ।
ই-বুক এর অপেক্ষায় রইলাম ।
অহ্ একটা কথা বলতে চাই, অনুবাদে সাধু আর চলিত ভাষার মিশ্রণ আছে, যেমন “প্রতিটি”, “একটা” ইত্যাদি । আর আমার যতদুর মনে পড়ছে, একই বানান, দুই ভাবে লেখা হয়েছে ।
আশাকরি ব্যপারটার দিকে নজর দিবেন ।
ভয় নেই তানভীর ভাই, আপনে এগিয়ে যান, বানান, বাক্য এই গুলো দেখার জন্য তো আমরা মুক্তমনার সবাই আপনার পাশেই আছি ।
খুব ভাল থাকবেন ।
ধন্যবাদ
@সেজবা,
অনেক ধন্যবাদ সেজবা। আপনার প্রতি স্পেশাল কৃতজ্ঞতা রইলো।
টি এবং টা নিয়ে মুশকিলে পড়ি। কোনো বাকে কোনো কথা টি দিয়ে ভালো লাগে কোনোটা ভালো লাগে টা দিয়ে। তাই মিলেমিশে যায়। আর পুরো অনুবাদটা করতে করতেও বেশ কিছু টেকনিক ক্রমবিবর্তিত হয়েছে। ব্যাপারটা বিচ্ছিন্ন একেকটা পোস্টে চোখে না পড়লেও একটা বই আকারে খটকার জন্মদেবে। এগুলো নিয়েও ভাবছি।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। (F)
শুভেচ্ছা…
অভিনন্দন! (F)
@Atiqur Rahman Sumon,
ধন্যবাদ 🙂
বাংলায় এই অসাধারন অনুবাদকর্মটি আপনি এত দ্রুত না করে দিলে কত মাসে যে বইটা পড়া হত বলা মুশকিল। অভিনন্দন এবং আমার মত সাধারন পাঠকদের পক্ষ থেকে অকৃপণ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
@কাজী রহমান,
ধন্যবাদ সাথে থাকার এবং পড়ার জন্য। 🙂
এত কঠিন একটা কাজ অপূর্ব দক্ষতার সাথে শেষ করার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি ।
বিভিন্ন সূত্রের জটিল চিন্তা ভাবনায় না গিয়েও বলা যায়, অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল ।
আর একটি কথা, আমার মনে হয়, মহাবিশ্বের “সৃষ্টি” বা “ধ্বংস” ইত্যাদি হলো মানুষের view কর্তৃক তৈরী শব্দ, বাস্তবিকপক্ষে সবই হল “প্রকৃতির বিভিন্ন শক্তির পারস্পারিক মিথস্ক্রিয়ার চলমান একটা পর্যায়” ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। আরও বিজ্ঞান সংক্রান্ত বইয়ের অনূবাদ আশা করছি ।
@রুপম,
আমারও আপনার মতই মনে হয়েছে। পড়ার ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
@তানভীর ভাই,
যাক। শেষ হলো অবশেষে।
(F)
শেষ দুপর্ব একসাথে পড়লাম।
ধন্যবাদ। :clap
@সমুদ্র,
ধন্যবাদ সমুদ্র! শেষ দুপর্ব আমি অনুবাদও করেছি এক সঙ্গে 🙂
বিশাল এই যজ্ঞ শেষ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন। ফেইসবুকে যেমন বলেছিলাম, অনুবাদটি এই বইমেলাতেই বই আকারে বের করে ফেলা সম্ভব বলে আমার মনে হয়। আমার ধারণা প্রকাশক পেতে কোন সমস্যা হবে না। মূল বইটির প্রকাশকদের কাছে থেকে অনুমতি নেওয়ার জন্য যোগাযোগ শুরু করে দিতে পারো, আশা করি সেটা পেতে সমস্যা হবে না। এটি বই আকারে বের হলে আরো অনেক পাঠকের কাছে লেখাটি পৌছে যাবে আর সে জন্য এই বই মেলার চেয়ে ভাল কোন উপলক্ষ হতে পারে না। একটু জোর ইচ্ছে নিয়ে আগাও। প্রথম দিকে না হলেও বই মেলার শেষের দিকে হলেও প্রকাশ করতে পারো। যদি অনুবাদটিকে আরো উন্নত করার চিন্তা থাকে, সেটা পরের মুদ্রণেও করা সম্ভব। আমার অনুরোধ হবে যেভাবেই হোক এই বইমেলাতেই প্রকাশ করো। ই-বুক পরে করলেও হবে। এখনি কোন প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করো। অথবা অভিজিৎ’দা, বন্যাপু এই ব্যাপারে এগিয়ে আসতে পারেন। শুভ কামনা রইল। অনুবাদটি শেষ করার জন্য আবার অনেক অনেক ধন্যবাদ।
@স্বাধীন,
ধনব্যাদ স্বাধীন ভাই। আপনি পুরোটা সময় উৎসাহ যুগিয়েছেন। 🙂
প্রকাশকের সাথে আসলে আলাপ চলছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী অবস্থা দাঁড়ায়।
@তানভীরুল ইসলাম,
পরের অনুবাদ প্রজেক্ট হিসেবে সেলফিশ জিন অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বই। তবে আমার ইচ্ছে আছে (যদি কোন দিন সময় হয় আর কি) মানব জাতির ইতিহাসের উপর কোন বই অনুবাদ হিসেবে দেখার। আমার কাছে মনে হয় বাংলায় সেরকম কোন বই নেই যেটা পড়ে কেউ মানব জাতির সম্পূর্ণ ইতিহাসটি চোখের সামনে দেখতে পারবে। অবশ্য পুরো ইতিহাস সল্প পরিসরে ভালো ভাবে তুলে আনা সেটাও একটি কঠিন কাজ। তোমার এই বইটা পড়া আছে কিনা জানি না। আমার কাছে বইটা ভালো লেগেছে। সল্প পরিসরের মাঝে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো/পরিবর্তনগুলো তুলে ধরেছে। সবচেয়ে ভাল লেগেছে যে ইতিহাসটি অনেকটা বিবর্তনের দৃষ্টিকোন থেকে দেখা হয়েছে। যদি আগ্রহী থাকো এবং বইটি পড়ে আগ্রহ পাও, এই বইটিকেও অনুবাদের জন্য বিবেচনায় নিতে পারো। অথবা তোমার মানব জাতির ইতিহাসের উপর অন্য কোন বই জানা থাকলে সেটাও বিবেচনায় আনা যেতে পারে। যা হোক, আপাতত বর্তমান অনুবাদটি বইমেলায় প্রকাশ করা হচ্ছে ফরজ কাজ।
@স্বাধীন,
এ ‘ব্রিফ হিস্ট্রি অফ নেয়ারলি এভ্রিথিং’ বইটা কিনেছি রিসেন্টলি। পড়ে দেখি কেমন লাগে। আপনার বলা বইটাও দেখবো সময় করে। আর বইমেলার ব্যাপারে ভাবছি 🙂
@তানভীরুল ইসলাম,
এই বইটাও ইন্টারেস্টিং হবে বলে মনে হচ্ছে । তবে উইকি পড়ে মনে হলো সাইন্টিফিক ডিসকাভারিগুলো কাভার করেছে বেশি। এনি ওয়ে, পড়ে জানিও কেমন লাগলো। ভালো লাগলে আমি কিনবো।
@স্বাধীন,
বইটার কথা অনেক শুনসি। সিরাত সহ আমার কয়েক ফ্রেন্ডের প্রিয় বই। দেখি কেমন লাগে। জানাবো তারপর। 🙂
@ তানভীরুল ইসলাম,
দুঃখিত লেখাটি পড়তে পারছি না। সময় পেলে ঠাণ্ডা মাথায় পড়ব। আপনাকে আমি এটা বলতে চাই যে এখন অনেক দেরী হয়ে গেলেও বইটি বই মেলার মধ্যে প্রকাশ করা আমার কাছে অত্যন্ত সম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। আপনি ভাল কোনো প্রকাশনীর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন আর বন্যাদির মন্তব্যটি(৮ নম্বর) খেয়াল করেন।
এত তাড়াতাড়ি অনুবাদ কর্ম শেষ করায় অনেকটা অবাক হয়ে গেলাম।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
@সৈকত চৌধুরী,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পাঠক হিসাবে পেয়েছি পুরোটা সময়। সময় করে পড়ে ফেলবেন আশাকরি। এ অধ্যায়টাতেই আসলে ‘কেন’ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়া হয়েছে।
বই আকারে প্রকাশের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা চলছে। বন্যা আপুকে আমি ই-মেইলে জানিয়েছি এ বিষয়ক বিস্তারিত। তবে ই-বুক আকারে কয়েকদিনের মধ্যেই মুক্তমনাতে পাওয়া যাবে বইটা।
পড়ার পরে কোনো অংশ নিয়ে মন্তব্য থাকলে জানাবেন আশাকরি।
শুভেচ্ছা।
কনওয়ে যে জগৎটি কল্পনা করেছিলেন ,সেটা মাথার উপর দিয়ে গেল।
আশা করেছিলাম বইটি শেষ হলে আমরা নিশ্চিত ভাবে জানতে পারব , এই মহাবিশ্বের শুরুটা কিভাবে হয়েছিল। হকিং সাহেব সত্যি সতিই সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর/আল্লাহকে মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ধর্ম নিয়ে আর ধর্মান্ধরা বাড়াবাড়ি করবে না , সকলেই তোবা করে ধর্ম পরিত্যাগ করে মানবসেবায় নিয়োজিত হয়েছেন। একটি বঞ্চনামুক্ত , ধর্মীয় অনাচার ও শোষনমুক্ত বিশ্ব আর বেশি দুরে নেই। অন্যদের কথা জানি না , আমি হতাশ হলাম। কারন কোন প্রশ্নেরি উত্তর পেলাম না। এম তত্ব বা মহাকর্ষ নুতন কিছু না। এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে মহাকর্ষ থাকতে পারলে , ঈশ্বর থাকতে অসুবিধা কোথায়?
দৈব সংযোগ গুলোর পর্যায়ক্রমিক সম্ভাব্যতা নিয়ে কিছু বলার নেই , কারন আমি স্তম্ভিত।
@ফারুক,
এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে মহাকর্ষ থাকতে পারলে , ঈশ্বর থাকতে অসুবিধা কোথায়?
ঈশ্বর থাকতে একদম কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ঈশ্বরের অস্তিত্বটা প্রমাণ করতে হবে তো। আর এটা প্রমাণের দায়িত্ব যারা তা দাবী করেন তাদেরই অর্থাৎ আপনাদেরই। এবার প্রমাণ করেন তো। এছাড়া ঈশ্বর জিনিসটা কী, ওটা কী করে, খায় না মাথায় দেয় তাও পরিষ্কার করার দায়িত্ব আপনাদেরই।
আপনার এ মন্তব্যটা পড়ে ডকিন্সকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাঁর “গড ডিলিউসন” কথাটির জন্য।
@ফারুক,
একটা ‘আবস্ট্রাক্ট তত্ত্ব’ থেকে কীভাবে একটা মহাবিশ্ব সৃষ্টির অনুমান করা হচ্ছে সেটা একটু জটিল। আসলে এই তত্ত্ব ঠিক ‘মহাবিশ্বের সৃষ্টি’ নিয়ে কথা বলে না। তত্ত্বের প্রয়োগের সাবজেক্ট হচ্ছে আমরা যে ‘বাস্তবতাটা দেখি’ এই বাস্তবতাটা কীভাবে এলো। আর এই ‘বাস্তবতাটাই’ কিন্তু আসল। একে ব্যাখ্যা করতে গিয়েই আমাদের ধরে নিতে হয় আমরা আছি একটা মহাবিশ্বের মধ্যে, যে মহাবিশ্ব আবার বহুমহাবিশ্বের মধ্যে একটি। আর এমন না ধরলে ফ্যালাসি চলে আসে। অধুনা বৈজ্ঞানিক অভিক্ষায় যে বাস্তবতার মডেলটা গ্রহণ করা হয় (কারণ বর্তমান পর্যবেক্ষণ ব্যাখ্যা করতে এ মডেলটা এমন না হয়ে উপায় নেই) সেটা হচ্ছে রূপায়ননির্ভর বাস্তবতা বা মডেল ডিপেন্ডেন্ট রিয়েলিজম। এ বিষয়ে এই বইয়ের একটা চ্যাপ্টারই আছে। নাম ‘বাস্তবতার প্রকৃতি’ আপনি একটূ পড়ে দেখবেন আশা করি।
আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এই ‘গেম অফ লাইফ’ দিয়ে যে ধরণের লজিক্যাল ইনফারেন্স করা হয়েছে সেটা বেশ সূক্ষ্ম। সত্যিকার অর্থে কম্পিউটেশন থিওরী সম্পর্কে জানা না থাকলে। এবং অন্য আরো অনেক ধরনের তত্ত্ব জানা না থাকলে এটা পুরোপুরি উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। তবে একটা (সঠিক)চিত্র পাওয়া সম্ভব। এই বইটা মূলত পাঠককে একটা ‘লুক অ্যান্ড ফিল’ দেওয়ার জন্য লেখা। এম-তত্ত্ব বা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ফাইনম্যানীয় রূপায়ন বা কোয়ান্টাম ফিল্ড তত্ত্ব এগুলো সম্পর্কে সাম্যক জ্ঞান লাভ কঠোর সাধনার বিষয়। বেশিরভাগ মানুষই সে সাধনার বদলে সহজ জিকির আজগর করে পরকালে লাভ নিশ্চিত করাটাই বেছে নেবেন। কিন্তু তারপরেও একটু সদিচ্ছা থাকলে কিন্তু হকিং কী বলতে চাচ্ছেন তার চিত্রটা উপলব্ধি করা সম্ভব।
আপনাকে একটূ অপ্রাসঙ্গিক হলেও আমার একদম প্রথমদিককার একটা লেখার লিঙ্ক দেই। নাম অনির্ণেয়তা এটা একটু পড়ে দেখেন। লজিক্যাল ইনফারেন্সের যে ধরণের প্রয়োগ এখানে করা হয়েছে, অনেকটা সে ধরণের ইনফারেন্সই আপনাকে এম-তত্ত্বের প্রতিপাদ্যগুলো বুঝতে প্রয়োগ করতে হবে। এই অনির্ণেয়তার প্রমাণ প্রথম পাঠে মনে হতে পারে। ‘হয়না তাই হয়না’ টাইপের কোনো যুক্তি বুঝি। আসলে তা নয়। যুক্তিটা সলিড গাণিতিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। এসব তত্ত্ব ব্যবহার করা হয় হরহামেশাই। সব ধরণের কম্পিউটারেই। এবং সেটা কাজ করে।
আর এত কথার শেষে আপনার জন্য আশার বাণী হচ্ছে, ‘এম-তত্ত্ব’ এখনো এক্সপেরিমেন্টালি পরীক্ষা করা বাকি। অনেকটা আইনস্টাইনের জেনারেল রিলেটিভিটি প্রথম যেমন একটা সূর্যগ্রহণের সময়কার পর্যবেক্ষণ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছিলো। তেমনই এক ‘সূর্যগ্রহনের’ অপেক্ষায় আছি আমরা এখনো। এ তত্ত্বটা তাই ভুল বা সঠিক প্রমাণের অবকাশ রয়েছে। কিন্তু এর বদলে যে দেবতত্ত্ব সেটা কিন্তু অলরেডি একগাদা ‘ফ্যালাসিতে দুষ্ট’।
আর বেশি কথা বাড়িয়ে আসলে লাভ নেই। শুভেচ্ছা জানবেন। আর আমার কোনো লেখায় কখনো দ্বিমত হলে অবশ্যই জানাবেন। আমি আমার সাধ্যের মধ্যে উত্তর দিতে চেষ্টা করবো। আর এমন কোনো প্রশ্ন হয়তো আপনি করে ফেলতেই পারেন যেটা নতুন কোনো দিগন্ত উন্মোচন করবে আমাদের সামনে। সবশেষে ভলতেয়ারের একটা বাণী উদ্ধৃত করছি-
” I disagree with your opinion, but I’ll defend to the death your right to say it.”
আমাদের সবার জীবন দীপান্বিত হোক।
অভিনন্দন!
@আশরাফ মাহমুদ,
ধন্যবাদ আপনাকে 🙂
বিশাল একটা কাজ করলেন। মুক্তমনা আরো সমৃদ্ধ হলো। ভূতুরে অভিনন্দন জানাচ্ছি :-[
@রামগড়ুড়ের ছানা,
তোমাকেও ভূতুড়ে ধন্যবাদ :-[
শেষ পর্যন্ত শেষ হলো! :clap অভিনন্দন!
এবার একটা “অল ইন ওয়ান”…
@শ্রাবণ আকাশ,
ধন্যবাদ। অল-ইন-ওয়ান হবে 🙂
@ তানভীরুল, বইটা বের করে ফেললে হয় না? প্রকাশকের সাথে যোগাযোগের ব্যাপার থাকলে জানায়েন। আর অরিজিনাল বইটার প্রকাশকের সাথে যোগাযোগের কাজটাও সেরে ফেলা দরকার। ই-মেইল কইরেন একটা এ বিষয়ে।
আর আপনি নেক্সট যে বইটা অনুবাদ করার কথা ভাবছেন সেটা না করে অন্য আরেকটা অপেক্ষাকৃত নতুন বইএর কথা চিন্তা করলে কেমন হয়? বইটা আমারও প্রিয় কিন্তু কেমন যেন একটু পুরনো মনে হয়। তবে ক্লাসিক কখনও পুরনো হয় না, এটাও ঠিক।
আর এই বইটা অনুবাদের কাজ শেষ করার জন্য কীভাবে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানাবো জানি না। আমার এখনও বিশ্বাস করতে অসুবিধা হচ্ছে যে আপনি এত অনায়াসে কাজটা করে ফেললেন।
@বন্যা আহমেদ,
বই মেলার তো বেশিদিন বাকি নেই, এত অল্প সময়ের মধ্যে কি এটা বের করা যাবে? বাংলাদেশের বাস্তবতায় বই মেলা ছাড়া অন্য কোন সময় বইটা বের করাটাও ঠিক হবে না, পাঠকদের গোচরে আসবে না। এবারের বই মেলায় না হলে আগামী বছরের বই মেলায় যেভাবেই হোক এই বইটা বের করতে হবে। বিবর্তন আরকাইভের সাথে এই বইটা প্রকাশ করতে পারলে একটা মাইলফলক স্থাপন করা যাবে।
এরপর অন্য কোন বই অনুবাদ করতে চাইলে বিবর্তন সম্পর্কিত কোন বইতে হাত দিলে ভাল হয়। রিচার্ড ডকিন্সের মত বিশ্বনন্দিত একজন ফেনোমেনাল লেখকের বই বাংলায় পাওয়া যাচ্ছে না, এটা কি মানা যায়! “সেলফিস জিন”, “দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ” অথবা “দ্যা ব্লাইন্ড ওয়াচমেকার” এর দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে। সেলফিস জিন একটু টেকনিক্যাল হলেও বাকি দু’টো খুবই সহজবোধ্য।
@পৃথিবী,
মুক্তমনার জন্য ইবুক করে ফেলবো দুয়েকদিনের মধ্যেই। কিন্তু এই পোস্টে সবাই ‘ধন্যবাদ অভিনন্দন’ যতটা দিচ্ছে। ফিডব্যাক তেমন দিচ্ছে না 🙁
ফিডব্যাক পেলে এডিট করে ফাইনালাইজ করে ফেলবো।
আর পরবর্তী প্রজেক্ট নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছি। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য 🙂
@বন্যা আহমেদ,
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ 🙂
বইয়ের ব্যাপারে একজন প্রকাশকের সাথে কথা হয়েছে। আপনাকে এ নিয়ে বিশদ মেইলে জানাচ্ছি।
আপনার প্রত্যেকটি পর্ব মনোযোগ সহকারে পড়েছি। এত সুন্দর সাবলিল অনুবাদ করেছেন তা বলার বাকি রাখে না।
আবারও আমি পর্বগুলি পড়ে নেব এক এক করে। ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি উপহার দেওয়ার জন্য।
@সুমিত দেবনাথ,
ধন্যবাদ আপনাকে। অনুবাদ ভালো লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি খুব। এর পরে এধরণের প্রজেক্ট হাতে নিতে আরো ভরসা পাবো।
শুভেচ্ছা।
একটা অসাধারণ এবং অসম্ভব কাজকে অতিদ্রুত সম্পন্ন করার জন্য একরাশ অভিনন্দন তানভীর।
তবে, অভিনন্দন জানাচ্ছি বলে আবার মনে করবেন না যে সব ভুলে গিয়েছি আমি। আমার চল্লিশ ডলার খোয়ানোর অপরাধের কোনো ক্ষমাপ্রাপ্তি নেই আপনার।
@ফরিদ আহমেদ,
এবার তাহলে প্রতিশোধস্বরূপ আপনিও একটা ইন্টারেস্টিং বই অনুবাদ করে আমার চল্লিশ ডলার খুইয়ে দেন :))
ক্রমাগত উৎসাহ যোগানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে 🙂
এত বিরাট এবং কঠিন একটা কাজ শুরু করে অপূর্ব দক্ষতার সাথে শেষ করার জন্য বিমুগ্ধ অভিনন্দন জানাচ্ছি তানভীরুল ইসলামকে ।
@ইরতিশাদ,
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
সিরিজ শেষ করার জন্য অভিনন্দন । (F) (F) (F)
এখন একটু (C) নেন।
উবুন্টুতে Golly নামে game of life এর একটা software আছে। ওটা দেখে পুরা হতবাক হয়ে গেলাম। ওখানে ‘Golly Gun’ লেখাটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বারবার তৈরী হতে থাকবে, সেরকম একটা initial pattern পর্যন্ত আছে।
@রনবীর সরকার,
ধন্যবাদ আপনাকে। লিন্যাক্সের প্রথমদিককার কোনো একটা ডিস্টো ‘রেড হ্যাট ৫’ হয়তো। তে অনেকগুলো ছোটো ছোটো গেমের সাথে এইগেম অফ লাইফও দেখেছিলাম। অন করে ভাবতাম এই খেলা কেমনে খেলে!!
এটা যে সেলুলার অটোম্যাটা সেটা জেনেছি কপুবিজ্ঞান পড়তে গিয়ে। কিন্তু সেখান থেকে কীভাবে রীতিমত দার্শনিক প্রশ্নের বৈজ্ঞানিক উত্তরে পৌছে যাওয়া যেতে পারে সেটা এই বইতে দেখলাম। স্টিভেন উল্ফর্যাম অবশ্য তার ‘নিউ কাইন্ড অফ সাইন্স’ বইতে সেলুলার অটোম্যাটা নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন। জিনিশটা সত্যিই ইন্টারেস্টিং!
প্রথম-কারণ যুক্তি – First-Cause Argument
এটা আমার মোটেই পছন্দ হচ্ছে না। কেউ বিকল্প কোনো পরিভাষা প্রস্তাব করুন প্লিজ 🙂
@তানভীরুল ইসলাম,
এভাবে লিখতে পারেন – ‘আদি কারণ সংক্রান্ত যুক্তিমালা’
আর যুক্তি কিংবা যুক্তিমালা-ফালা পছন্দ না হলে আর্গুমেন্ট শব্দটাকে এড়িয়ে দিয়ে একটু ঘুরিয়ে লেখা যায়। আমি একটা লেখায় একটু ঘুরিয়ে লিখেছিলাম এভাবে- ঈশ্বরই কি সৃষ্টির আদি কারণ?
আর প্রচণ্ড পরিশ্রমলব্ধ এই কঠিন কাজটি অনায়াসে সম্পন্ন করার জন্য প্রাণঢালা অভিনন্দন!
সত্যিই অবাক করে দিলেন!!!!
আশাকরি খুব শীঘ্রই বই আকারে পাব…..
ধন্যবাদ
@সেজবা,
আপনাকেও ধন্যবাদ 🙂
অভিনন্দন। (F)
এইবার একটা ই-বুক চাই 🙂
@নীল রোদ্দুর,
ধন্যবাদ 🙂
@তানভীরুল ইসলাম,
বাহ্, চমৎকার, অসাধারণ। শুধু এটুকু বলবো, মুক্তমনার অগণিত পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন চিরস্থায়ী ভাবে। আপনার এ লেখা আপনাকে চিরস্ম্বরণীয় করে রাখবে আগামী দিনের নতুন প্রজন্মের কাছে। আর হ্যাঁ, যদি এ অভাগাকে কোনদিন কাজে লাগানোর প্রয়োজন পড়ে, ডাক দিবেন, আমি হাজির হবো। (F) (F) (F) (Y)
@আকাশ মালিক,
না না! এতটা বলবেন না!! :-Y
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সঙ্গে থাকার জন্য। আর
এ কথাটি কিন্তু মনে রইলো। ডাক পেতে পারেন শিঘ্রই 🙂