অলিভিয়াকে নিয়ে অপরিমেয় লোল ঝরাচ্ছি আমি সেই আণ্ডাবাচ্চাবেলা থেকেই। এই আধাবুড়োবেলাতে এসেও তার কমতি হয় নি কোনো। এই লোল ঝরানোর প্রয়োজনেই বিদেশ বিভূঁইয়েও অলিভিয়া আমার নিত্যসঙ্গী, নিশিরাতের স্বপ্নসহচরী। অলিভিয়ার অভিনীত বেশ কয়েকটা সিনেমার সিডি বেশ যত্ন করে রেখে দিয়েছি আমি। সময় সুযোগ পেলেই সেগুলোর কোনো একটাকে চালিয়ে দেই।
টেলিভিশনটা প্রায়শই থাকে আন্নার দখলে। আমার অবশ্য এতে কোনো মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু ল্যাপটপে সিনেমা দেখা আমার পোষায় না বলে, অলিভিয়াকে দেখার শখ মাথায় চাপলে, বেশ একটা ভিলেন ভিলেন ভাব নিয়ে টেলিভিশনটাকে জবরদখলে নিয়ে নেই আমি। এমনিতে বাংলা সিনেমা দেখি, তার উপরে আবার অলিভিয়ার। আমার রুচি যে রিকশাওয়ালাদের চেয়েও খারাপ এই কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে যাবার দশা হয় তখন আমার। রিকশাওয়ালারাও নাকি আমার চেয়ে ভাল একারণে যে তারা অলিভিয়ার ছবি দেখে না, দেখে অঞ্জু ঘোষের ছবি। কেমনে বলি যে এটা বার বার বলার কোনো মানে হয় না। আমার রুচি যে ওই পর্যায়ের সেটা খুব ভাল করেই জানি আমি। কাজেই, আমাকে এই গালমন্দ করলে আমারে গায়ে লাগার কোনো কারণ নেই। এমন কিছু বলে গালি দিতে হবে যেটা আমি নই। তাহলেই সে না সেই গালি গায়ের চামড়া ভেদ করে অন্তরে গিয়ে লাগবে।
একদিন এরকম অলিভিয়াকে দেখে লোল ঝরাতে ঝরাতে হঠাৎ করেই মনের অজান্তে বলে ফেলেছি যে, ‘আহা কী ফিগার। এরকম ফিগার বাংলাদেশে আর কয়টা মেয়ের আছে।‘ আর যায় কোথায়। ঝাঁঝালো গলায় আন্না বলে উঠে, ‘তোমার যে কী রুচি না। এই মুটকির আবার ফিগার কী? ওরতো আগাপাশতলা সবই সমান।‘ ওর ঝাঁঝ দেখে চুপসে যাই আমি। মনে মনে বলি, ‘ওরকম মেয়েলী বাঁকা চোখে দেখলে কারো শরীরের বাঁকই চোখে পড়ার কথা নয়।‘ বাঁকাতে বাঁকা কাটাকুটি হয়ে যায়। দেখতে হবে আমাদের মত পলকহীন পুরুষালী চোখে দিয়ে।
আগেই বলেছি যে অলিভিয়ার প্রতি আকর্ষণ আমার সেই আধাপাতলুন পরা আণ্ডা বয়েস থেকেই। ওইটুকু বয়সে যে মেয়েদের প্রতি তীব্র আকর্ষণ জন্মাতে পারে, তা নিজে ছোট না থাকলে কোনোদিন জানতেও পারতাম না। বিশ্বাসও করতাম না হয়তো। অলিভিয়ার সিনেমা দেখার জন্য সেকি বিপুল আগ্রহ তখন। আর অলিভিয়াও তখন মহা উদার। দি রেইন, মাসুদ রানা, বাহাদুর, বেদ্বীন, যাদুর বাশি, পাগলা রাজা ইত্যাদি নানান সিনেমায় অভিনয় করে চলেছেন। কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখবো। এখনকার দিনে ছেলেপেলেরা যেমন যৌনাবেদনময়ী কোনো মেয়েকে দেখলেই হট বলে। আমরা সে সময় সেরকম বলতাম না। আমাদের শব্দভাণ্ডারে তখন ম দিয়ে শুরু একটা শব্দ ছিল। ওই শব্দটার আভিধানিক অর্থ মালপত্তর জাতীয় একটা নিরামিষ শব্দ। কিন্তু এই নিরামিষ শব্দটাকেই কে যে এরকম কঠিন আমিষে পরিণত করেছিল কে জানে? তবে আমরা শুধু ওই শব্দটাই বলতাম না। ওর আগে একটা হেভি বা জোশ বিশেষণ লাগিয়ে দিতাম। এই বিশেষণ না লাগালে ঠিক জোশ আসতো না মনে। অলিভিয়া আমাদের কাছে তাই ছিল জোশ ম দিয়ে শুরু শব্দটি।
শুধু সিনেমার বিশাল পর্দা আর টেলিভিশনের ছোট্ট পর্দায় অলিভিয়াকে দেখে আশ মিটছিলো না আমার। সেই সময় আমাদের এক ইঁচড়ে পাকা বন্ধু ছিল। নাম তার রিলু। বয়োসন্ধিতেও তখনো পৌঁছুইনি আমরা। এর মধ্যে বেশ ফ্যাশন করা শিখে গিয়েছিল সে। শার্টের নীচে স্যান্ডো গেঞ্জি পরা বাদ দিয়ে দিয়েছে সে। বেলবটম প্যান্টের সাথে টাইট শার্ট পরে। পাড়ার উঠতি মাস্তান বড় ভাইদের মত শার্টের উপরের দিকের কয়েকটা বোতাম খোলা রাখা শুরু করেছে সে। বুকটাকে যতখানি পারে বাতাস ভরে উঁচু করে হাঁটে। আমরা তখনও চুলে একগাদা নারকেল তেল মেখে একপাশে সিঁথি করি। হাজার ঝড়ো বাতাসেও সেই সিঁথি একবিন্দু নড়ে না। চুলগুলো করোটির প্রবল প্রেমে লেপ্টে থাকে মাথার সাথে। রিলু চুলে তেল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে এর মধ্যেই। তার বদলে পকেটে সবসময় একটা চিরুনি নিয়ে রাখে। একটু পরপরই সেই চিরুনি বের করে চুলগুলোকে ব্যাকব্রাশ করে ফেলে। আলতো করে আঙুল দিয়ে মাথার কাছটাকে একটু ফুলিয়ে দেয়। বাতাসে উড়তে থাকে গর্বিত চুলগুলো। আমরা রিলুকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। রিলু ঘোষণা দেয়, যে সে যে করেই হোক না কেন সিনেমাতে নামবে। রিলু যে এটা পারবে সে ব্যাপারে আমাদের মনে কোনো দ্বিধাই তৈরি হয় না। (রিলু সত্যি সত্যিই অল্পদিনের মধ্যেই সিনেমাতে অভিনয় শুরু করে দিয়েছিল শিশু শিল্পী হিসাবে)। এই রিলুই আমাদের বুদ্ধি দেয় যে এফডিসিতে গেলেই সব নায়ক নায়িকাদের দেখতে পাওয়া যায়। এফডিসিতে কীভাবে যেতে হয় সেটা অবশ্য আমরা তখনও কেউ কিছু জানি না। কিন্তু রিলু জানায় যে সে এফডিসির রাস্তা চেনে। খুব সোজা। রেললাইন ধরে হাঁটতে থাকলেই এফডিসিতে চলে যাওয়া যাওয়া যায়।
পরেরদিনই আমরা রিলুর নেতৃত্বে এফডিসির দিকে রওনা করি। আমরা তখন থাকতাম খিলগাঁওয়ে। খিলগাঁও থেকে রেললাইন ধরে পশ্চিমমুখো হাঁটা ধরি আমরা। হাঁটাহাঁটিতে আমাদের এই দলটা বেশ চৌকস ছিল। প্রায়শই আমরা রমনা পার্ক পর্যন্ত হেঁটে চলে যেতাম পাখির বাচ্চা ধরে নিয়ে আসার জন্য। রমনা পার্কে গিয়ে খেয়াল করতাম যে, কোন ঝোঁপের মধ্যে পাখি ঢুকছে। তারপর সবাই মিলে গিয়ে হামলে পড়তাম সেই ঝোঁপের উপর। ডালপালা সরালেই দেখা যেতো যে, ওখানে পাখির বাসা রয়েছে। আর অতি অবশ্যি সেই বাসায় দুই একটা পালক না উঠা বাচ্চা থাকতো। ওগুলোকে পরম আদরে ছিনিয়ে নিয়ে আসাই ছিল আমাদের কাজ। যদিও এই বাচ্চাগুলোর কোনোটাকে আমরা বাঁচাতে পারতাম না। কিন্তু আমাদের পক্ষীপ্রেম তাতে একবিন্দু কমেনি কখনো।
রিলুর নেতৃত্বে আমাদের বিশাল বাহিনীটা অবশেষে তেজগাঁওয়ে এফডিসির গেটে এসে পৌঁছাই। গেটে এসে দেখি শুধু আমরা না, আরো বহু লোক এসে দাঁড়িয়ে আছে গেটের সামনে। বড় গেটটা বন্ধ। একপাশে ছোট্ট একটা মিনি গেটে রয়েছে। ওটা দিয়েই বেশির ভাগ লোকজন ঢুকছে আর বের হচ্ছে। মাঝে মাঝে কোনো গাড়ি ঢুকলে বা বের হলে বড় গেটটা খোলা হচ্ছে। গাড়ি দেখলেই অপেক্ষমান লোকজন ছুটে যাচ্ছে জানার কাঁচের পাশে। ভিতরের যাত্রীকে দেখার জন্য। ইয়া বড় গোঁফওয়ালা শুকনো মতন এক দারোয়ান বিশাল এক লাঠি নিয়ে প্রায়ই সগর্জনে তেড়ে যাচ্ছে ভীড় করা লোকজনের দিকে। বলতে লজ্জা নেই। আমাদের দিকেও কয়েকবার দাঁতমুখ খেঁচে ছুটে এসেছিল সে। দারোয়ানের তাড়া খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকেই গেটের পাশের ফাঁকফোকর দিয়ে উঁকি মেরে এফডিসির ভিতরটা দেখার চেষ্টা করছি আমরা। এফডিসির চারপাশে জেলখানার মত বিশাল উঁচু দেয়াল থাকায় বাইরে থেকে ভিতরটা দেখা দুঃসাধ্যই বটে। তারমধ্যেও চোখে পড়লো যে, কার্ডবোর্ড দিয়ে বিশাল এক রাজপ্রাসাদের সামনেটা বানানো হয়েছে। সামনে থেকে দেখলে মনে হবে যে সত্যিকারের রাজপ্রাসাদ। কিন্তু পিছনে কিছুই নেই। কয়েকটা আড়াআড়ি খুটি দিয়ে রাজরাসাদের সম্মুখটাকে ঠেক দিয়ে রাখা হয়েছে। এর মধ্যেই হঠাৎ করে রিলু চাপাস্বরে বললো, ‘ওই যে এস এম শফি, অলিভিয়ার জামাই।‘ আমরা সবাই হুড়মুড় করে গেটের ফাঁক দিয়ে ঠেলাঠেলি করে চোখ রাখলাম। একটু দূরেই তিনজন লোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে নেড়ে গল্প করছে। ‘ওই যে সিগারেট হাতের লোকটা হচ্ছে এস এম শফি।‘ রিলু আমাদেরকে চেনায়। আজ এতদিন পরে এস এম শফি দেখতে কেমন ছিলেন তার বিন্দুমাত্রও মনে নেই আমার। তবে এইটুকু মনে আছে যে কুদর্শন একজন লোক ছিলেন তিনি। আমার ছোট্ট মনে বেশ বড়সড় একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম সেদিন। এত সুন্দর একজন মহিলার এরকম বিচ্ছিরি স্বামী কেন? শুধু অলিভিয়াই নয়, আরো অনেক ক্ষেত্রেই দেখেছি সুন্দরী সব ললনারা কোনো এক অজ্ঞাত কারণে বিচ্ছিরি চেহারার লোকগুলোকে পছন্দ করে। ছোটবেলার সেই অনুমিত সিদ্ধান্ত আজও পাল্টেনি আমার। এখনও আমার ধারনা যে মেয়েরা কোনো এক বিচিত্র কারণে কদাকার চেহারার ছেলেদেরকে খুব পছন্দ করে। হারেরে করে মেয়েরা আমার দিকে তেড়ে আসার আগেই এর প্রমাণ দিচ্ছি আমি। গত কিছুদিন ধরে অনলাইন ফোরাম এবং পত্রিকাগুলোতে বাংলাদেশের পাঁচ কবির কাহিনি ছাপা হচ্ছে। এই পাঁচ কবি বা পঞ্চ পাণ্ডবের মূল কাজ হচ্ছে ফেসবুকে কবিতা প্রসব করে করে প্রবাসী নারীদেরকে আকৃষ্ট করে তাদেরকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা, ডিজিটাল ক্যামেরা, সেলফোন, ক্যামকর্ডার ইত্যাদি হাতিয়ে নেওয়া। এই কবিরা একই সাথে অসংখ্য মেয়ের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এমনও প্রমাণ পাওয়া গেছে যে একই সময়ে একই সাথে এদের একজন দুইজন প্রেমিকার সাথে চ্যাটালাপ চালিয়ে যাচ্ছিল। এই পঞ্চ কবির মধ্যে তিনজনের ছবি আমি দেখেছি। দেখার পরে যে অনুভুতি হয়েছে সেটা সুখকর কিছু নয়। বিমবিষাই বলা চলে। মানুষের চেহারার উপরে তাদের নিজেদের কোনো হাত নেই, কিন্তু প্রেমে পড়তে গেলে সুদর্শন না হোক অন্তত ভদ্রসদ্র সুসভ্য একটু চেহারাতো হওয়া দরকার। এই সমস্ত কদাকার অশ্লীল প্রাণীদের প্রেমে মেয়েরা কীভাবে পটাপট পড়ে যায় সেটা ভেবে কোনো কূল-কিনারা পাই নি আমি। যার নয়নে যারে লাগে ভাল এই যুক্তি দেওয়া যায় হয়তো। তবে কথা হচ্ছে যে, খালি সুন্দরী মেয়েদের নয়নে কদাকার পুরুষদের ভাল লাগে, এইটার মানে কী? আমরা কী পাপ করেছি। উ উ উ। যা খেলুমই না। মেয়েদের এই কদাকার ছেলে পছন্দের হাইপোথিসিসটা একবার বেশ উৎসাহের সাথে আন্নাকে ব্যাখ্যা করতে গিয়েছিলাম। ও বেশ নির্বিকার ভঙ্গিতে বললো যে, ‘আমিওতো তোমাকে পছন্দ করেই বিয়ে করেছিলাম।’
বাংলা সিনেমা জগতে অলিভিয়ার আগমন ষাটের দশকের শেষ দিকে। জহির রায়হানের অসমাপ্ত চলচ্চিত্র লেট দেয়ার বি লাইট ছবিতে নায়িকা হওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু জহির রায়হান তার মত পরিবর্তন করে অলিভিয়ার বদলে ববিতাকে নেন। ফলে, অলিভিয়ার আগমন কিছুটা পিছিয়ে যায়। এস এম শফি পরিচালিত ‘ছন্দ হারিয়ে গেল’ ছবির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার।
অলিভিয়া যে সময়ে চলচ্চিত্রে এসেছেন তাতে করে আমার বাবা-চাচা বা মামাদের তাকে নিয়ে রোম্যান্টিক স্বপ্ন দেখার কথা। হয়তো দেখেছেনও তাঁরা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে, অলিভিয়াকে নিয়ে রোম্যান্টিক স্বপ্ন ছোট্টবেলা থেকে আমিও দেখে আসছি। আমার মায়ের বয়েসী না হলেও ছোট খালার বয়েসীতো হবেনই ভদ্রমহিলা। কিন্তু তারপরেও আমার এই দুষ্টু কল্পনা কোনো বাঁধা মানে নি। ফ্রয়েড থাকলে ইডিপাস কমপ্লেক্সের আদলে আন্টিপাস কমপ্লেক্স জাতীয় কিছু একটা দাঁতভাঙা মনোবৈজ্ঞানিক টার্ম যে আবিষ্কার করে ফেলতেন এই অসম বয়েসী আকর্ষণ নিয়ে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহই নেই।
অলিভিয়ার কিছু ক্লিপ খুঁজছিলাম ইউটিউবে। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে তেমন কিছুই নেই ইউটিউবে। মাত্র তিনটা গান আর কোনো একটা টিভি চ্যানেলে তাকে নিয়ে করা একটা ছয় মিনিটের ক্লিপ ছাড়া আর কিছুই পাই নি আমি। যে তিনটা গান পেয়েছি তার মধ্যে একটি হচ্ছে মাসুদ রানা ছবির। এই ছবিটা প্রথম মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে। তখনও সিনেমা দেখার বয়স হয় নি আমার। কাজেই দেখা হয় নি সে সময়ে। এর কয়েক বছর পরে ছবিটি আবার রিলিজ হয় মানসী সিনেমা হলে। আমি তখন দস্যু বনহুর ছেড়ে লুকিয়ে চুরিয়ে মাসুদ রানা পড়া শুরু করে দিয়েছি। নারী পুরুষের রহস্যময় সম্পর্ক শুধু পড়ি, কিন্তু কোনো কিছুই বুঝি না। হেয়ালির মত মনে হয় সবকিছু। ওই সময় আমার এক কলেজ পড়ুয়া মামা নিজেকে বেশ বড় প্রমাণ করার তাগিদে মাসুদ রানা ছবিতে অলিভিয়া আর সোহেল রানার শয্যাদৃশ্য নিয়ে বেশ আগডুম-বাগডুম কাহিনি ফেঁদে বসেছিলেন। সেই কাহিনির কৌতুহলেই একদিন চুপি চুপি একাকী পদব্রজে খিলগাঁও থেকে মানসী সিনেমা হলে গিয়ে মাসুদ রানা দেখে এসেছিলাম আমি। আগে একবার আমরা ইয়ার দোস্তরা দলবেধে ওখানে সিনেমা দেখাতে রাস্তা চেনাই ছিল। কাজেই কোনো অসুবিধাই হয় নি আমার।
মাসুদ রানা সিনেমার এই গানটিতে অলিভিয়া মাসুদ রানা রূপী সোহেল রানাকে সিডিউস করার চেষ্টা করছে।
httpv://www.youtube.com/watch?v=OVWY9NklD2k
আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে, আজ এত বছর পরেও বাংলা সিনেমার এই পোশাকি নায়িকাটির প্রতি আমার আগ্রহ এবং আকর্ষণ রয়ে গেছে সম পরিমাণে। সময়ের সাথে সাথে কত কিছু পালটে গেছে, চিন্তা-ভাবনা, রুচি সবকিছুরই আমূল পরিবর্তন ঘটে গেছে, কিন্তু অদ্ভুতভাবে অতুলনীয়া অলিভিয়া ঠিকই রয়ে গেছে মনের এক কোণায়, নিভৃতে, গভীর ভালবাসায় সিক্ত হয়ে, সেই অপরূপা তরুণীরূপে, বর্ণিল সাজে।
অলিভিয়া, প্রিয় অলিভিয়া আমার, আপনি যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন, সুখে থাকুন।
httpv://www.youtube.com/watch?v=RELmjG_CXIk&playnext=1&list=PL7D17CEFA4C91B470&index=32
@ফরিদ আহমেদ,
একসময় খুব অল্প বয়সে মানে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলা সিনেমা খুব দেখতাম প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে মা বাবা কিংবা বাসার বড়দের সাথে।চট্টগ্রামের সিনেমা প্যালেস,খুরশীদমহল (এখন নেই,Market),আলমাস ও নূপুরসহ অনেক হলে গিয়ে ছবি দেখার সুন্দর পরিবেশ ছিল যা এখন ভাবাই যায় না! অলিভিয়া আর ওয়াসিমের বেশ কিছু ছবি দেখেছি। এই লেখাটা পড়ে কেমন জানি স্মৃতি মেদুর হয়ে পড়ছি বলে মন্তব্যের লোভ সামলাতে পারলাম না। মনে পড়ে…’দি রেইন’ ছবির কথা। যতদুর মনে সেটা বাংলাদেশের প্রথম রংগিন ছবি। সিনেমা শেষে নায়ক নায়িকা দু’জনেই মারা যায়। সেটাও সম্ভবতঃ বাংলা সিনেমায় নতুন কন্সেপ্ট ছিল, যা এই ছবির অনেক পরে বানানো হিন্দি ছবি “এক দুজে কে লিয়ে” র মতো। অনুভুতিতে খুব নাড়া দিয়েছিল সেই ছোট্ট বয়সে। রুনা লায়লার গলায় এই সিনেমার একটা গান খুব জনপ্রিয়তা পেয়েও ছিল। ফাংশনে দিদিদের এই ছবির গানটি গাইতে শুনেছি দর্শকের অনুরোধে। ”আয়রে… মেঘ আয়রে…..” । গাছের নীচে অলিভিয়ার কোলে ওয়াসিমের মাথা। এখনো সেই দৃশ্য মনে আছে! এত সহজে কি সব ভোলা যায়!! স্মৃতি সততঃ সুখের।
” অলিভিয়াকে নিয়ে রোম্যান্টিক স্বপ্ন ছোট্টবেলা থেকে আমিও দেখে আসছি। আমার মায়ের বয়েসী না হলেও ছোট খালার বয়েসীতো হবেনই ভদ্রমহিলা। কিন্তু তারপরেও আমার এই দুষ্টু কল্পনা কোনো বাঁধা মানে নি।”
আমাদের কৈশর পেরুনো বয়সে অলিভিয়া ছিলো রীতিমতো মধুর স্বপ্ন! আমার দেখা বাংলাদেশের নায়িকার মধ্যে ফিগার আর অপরূপ সৌন্দর্য দু’টোই মিলিয়ে অলিভিয়াকে সবার চাইতে এগিয়ে রাখবো। ভালো লাগল আপনার লেখা।
মুক্তমনা শুধু অপবিশ্বাস,গোঁড়ামি আর কুসংস্কারের বিরুদ্ধে শানিত যুক্তির নান্দনিক লেখা আর মন্তব্যের উপস্হাপনার জায়গা নয়… রুচি আর সৌন্দর্য প্রকাশের শক্ত ফ্ল্যাটফরম ও।
সবাইকে ধন্যবাদ।
লেখাটি আর মন্তব্যগুলো (F) অসাধারণ
লুল-পুরুষ একটি ভ্রান্ত ধারণা। আমার মনে হয় সমস্যার মূলে হচ্ছে নেশা। কোন না কোন একটি নেশা লাগবে আমাদের। কারোর ব্লগের নেশা, কারোর বইয়ের নেশা, কারোর ছবির, গানের, খেলার নেশা, কারোর মদের নেশা, না হলে শপিং এর নেশা। দু’দিন পর পর আবার নেশার বদল হয়। আমার যেমন এখন পোকারের নেশা চলছে।ব্লগে কম পাইবেন 😀 । পোকার নিয়ে একটি ব্লগও বানাইয়া ফেলছি। আগ্রহীরা চাইলে দেখতে পারেন।
ফরিদ ভাইয়ের মত দু একজন না থাকলে মুক্তমনা পাইনশা হইয়া যাইতো। তয় আমার বউ কয়তো আমি নারী লোভী খাইষ্টা ,এখন ফরিদ ভাইরে সাথি পাইয়া ভরসা পাইতাছি।
ফরিদ ভাই ,আকাশ মালিককে ধইন্না।
এখানে এত ভারী ভারী কথা-বার্তার সাথে এত ভরা ভরা রসের হাড়িও যে মেলে- জানতাম না তো!
ফরিদ ভাই
আপনার লেখায় কি যেন একটা আবেগ পাই বেশীর ভাগ সময়। মনে হয় ব্যক্তি হিসাবে আপনি অতীব রোমান্টিক ও প্রেমী।
অলিভিয়ার একটা সিনেমা আমি দেখেছিলাম উত্তম কুমার ও সু্প্রিয়া দেবীর সাথে। সিনেমার নাম ভুলে গেছি।
আকাশের দেয়া ও আপ্নার দেয়া গান গুলি খুব ভাল লাগলো। আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।
@সেন্টু টিকাদার,
অলিভিয়া কি উত্তম কুমারের সাথে কোনো ছবিতে অভিনয় করেছেন? জানা ছিল না আমার।
এই লাইনটা দেখে অভিজিৎ ভাইয়ের লেখা “পুরুষ মানুষ দুই প্রকারের জীবিত আর বিবাহিত” কথা মনে পড়ল। সেখানে তিনি বলেছিলেন পুরুষ তার প্রতিভা বিস্তার করে নারীকে আকর্ষণ করার জন্য।
আর আপনার লাইনটাতে মনে হচ্ছে মেয়েরাও পুরুষের গুনে আকৃষ্ট হয়। আর পুরুষরা রূপে। রূপ থাকলেই গুন থাকবে কোন কথা নাই। তাই অনেক পুরুষরা ঠগা খায়। হায় হায়। :-Y
তেমনি আপনার লেখা পড়ার জন্য আমি লোল ঝরাই। লেখুন ফরিদ ভাই আসতে আসতে আপনার ঝোলির মাল মসলা সব ব্যর করে দিন।
কিন্তু দু:খ আপনার ভিডিও ক্লিপ গুলি আমি দেখতে পারি না। আমার নেট ভীষণ স্লো।
যাই হোক ভাল থাকবেন। ফরিদ ভাই জিন্দাবাদ। লোল মার্কা পুরুষবাদ জিন্দাবাদ। 😛
@সুমিত দেবনাথ,
বেশি সম্মান দিয়ে ফেললেন আমাকে। এতখানির যোগ্য আমি বোধ হয় না।
দুঃখবোধ করছি আপনার জন্য। ভিডিও ক্লিপগুলোতে ষাট এবং সত্তর দশকের বেশ কিছু চমৎকার বাংলাদেশি গান ছিল।
হে হে… রসালো লেখা। আপনে তো তাও ‘রিক্সাওয়ালার’ রুচি নিয়াই বহাল তবিয়তে আছেন, আমার অবস্থাটা ভাবেন – রুনালায়লায়র পান খাইয়া ঠোট লাল করিলাম গানটার দুই লাইন দিসিলাম ফাহিম রেজার কুমীরের পোস্টে, বন্যা দেখি দেয়ালে মাথা ঠুকে। রিক্সাওয়ালাও হওয়া হইলো না মনে হয়। সাধে কি বলছিলাম, পুরুষ মানুষ দুই প্রকার – জীবিত আর বিবাহিত?
আর আপনার এই কথার সাথে আমি খুবই একমত –
আমিও এই ব্যাপারটা নিয়ে আপনার মতোই ধান্দায় ছিলাম, পরে এর ব্যাখ্যা পাইছি বিবর্তন মনোবিজ্ঞানে। এইখানে দেখেন, লেখার শেষ অংশটা – সব টাকমাথা পয়সাওয়ালা লোকের ঘরে সুন্দরী বউ দেখি কেন? দেখেন এইটা 😀
@অভিজিৎ,
রিকশাওয়ালার রুচি নিয়া বহাল তবিয়তে আছি, এইটা কে কইলো? উঠতে বসতেতো ঝাড়ির উপরেই থাকি। জীবিত জীবনটারে নিজ হাতে বিবাহিত করছি। এখন আর কারে দোষ দিমু। মাথা দেয়ালে ঠুকে আত্মহত্যা করে জীবিত হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। :-Y
দেখলাম। তিশা, বাঁধন আর বন্যা মির্জার স্বামী পছন্দের রহস্য দূর হইলো। 😀
আমার একটা প্রশ্ন আছে। অলিভিয়া কি বিদেশি? বা উনার বাবা মা কেউ বিদেশী? আমি ছোট বেলায় একবার অলিভিয়া কে সামনাসামনি দেখেছি, আমাদের বাড়ির পাশে শুতিং করতে এসেছিল; সেইরাম সুন্দরী মনে হইছিল আহা!!!!
@শিমুল আহমেদ,
আমি যদ্দুর জানি অলিভিয়া গোয়ানিজ বংশোদ্ভূত। সেই হিসাবে তাঁর শরীরে পর্তুগীজ রক্ত থাকা বিচিত্র কিছু নয়। তবে তাঁরা ঠিক কত প্রজন্ম আগে বাংলাদেশে এসেছেন সেটা জানি না।
আশির দশকের শুরুর দিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র যখন মাত্র প্রথম বিভাগে উঠেছে, তখন এই ক্লাবে অলিভিয়ার ছোট ভাই জর্জি স্ট্রাইকার হিসাবে খেলতেন। এই ভদ্রলোকের খেলা আমি দেখেছি ঢাকা স্টেডিয়ামে। বোনের মতই অত্যন্ত রূপবান পুরুষ ছিলেন তিনিও।
@ফরিদ আহমেদ,
ওটা “ধানমন্ডি ক্লাব” হবে। আশির দশকে মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব বোধহয় গড়ে উঠেনি।
@ফরহাদ,
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রই। আমি পজিটিভ। এটা গড়ে উঠেছিল ১৯৮১ সালে। একাশি-বিরাশি সালের দিকে আমি নিজে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের খেলা দেখেছি খিলগাঁও সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে। তখন এটা দ্বিতীয় বিভাগে খেলতো। এরপর প্রথম বিভাগে উত্তরণ ঘটেছিল, কিন্তু তলানির দিকের দল হিসাবেই থাকতো। মুক্তিযোদ্ধা ঢাকার মাঠে আবাহনী, মোহামেডানের পাশে জায়ান্ট হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে নব্বই এর দশকে। এ কারণে অনেকে মনে করে থাকেন যে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের জন্ম নব্বই এর দশকে।
যে পর্যায়েরই হোক আপনার একটা রুচি আছে আমার তাও নাই। মানে আমি কোনো ধরনেরই সিনেমা দেখি না!! আর গান নিয়ে সে কি কাণ্ড! বাউল গান আর দেশের গান ছাড়া আর কোনো গানই আমার ভাল লাগে না। ক্ষ্যাত বলিয়া প্রসিদ্ধি আছে আমার। :-X
অ-লি-ভি-য়া নামটিরই আবেদন যা তাতে :guli:
@সৈকত চৌধুরী,
রুচি না থাকাটাই সবচেয়ে ভালো। অন্ততঃ রুচির মান নিয়ে কথা শুনতে হয় না কারো কাছ থেকে। 🙂
@সৈকত চৌধুরী,
দেখুন এতক্ষণ আমরা শুধু নারীকণ্ঠের গান শুনছি, চোখ জুড়ানো নারীনৃত্য দেখছি, এটা তো ঠিক না। মুক্তমনা পরিবারে নারী সদস্য কম বলে তাদের কি স্বাদ-আহ্লাদ নেই?
বাউল গান আহারে কী যে শুনালেন ভাই। এই শীতের মৌসুমে কৃস্টমাসের সময় যদি বাংলাদেশে থাকতাম, বাউল গান, পালা গান, মালজোড়া গান, যাত্রা গান, ইশ্ কত কিছুই না মিস করছি। আপনার ও মুক্তমনার উৎসাহী নারীসদস্যদের জন্যে নীচের গানটি তোলে দিলাম। পছন্দ হলে আওয়াজ দিবেন আরো দিমুনে, সংগ্রহে প্রচুর গান আছে। এককালে এরকম গানের আসরে হারমুনিয়ামটা প্রায়সঃই আমার হাতে থাকতো। লম্বা চুলে সেই লাল ফিতা আর মাথায় বাঁধা হলোনা আজ বহু দিন। চলুন আমরা আসরে চলে যাই-
httpv://www.youtube.com/watch?v=uV2f8eC7e7M&feature=related
ফরিদ ভাই, আপনার তো দেখি আমার বাপের মত অবস্থা। সুচিত্রা সুচিত্রা করতে করতে মাথাটা এমনি খারাপ করে দিয়েছিল যে আমার মা বিরক্ত হয়ে নিউ ইয়র্ক থেকে ৪৮ টা সুচিত্রার সিনেমার সিডি ( দোকানদা্র নাকি এ কটাই যোগার করতে পেরেছিল) কিনে পাঠিয়ে দিয়েছিল কিছুদিন আগে। এখন সারাদিন বসে বসে ওইগুলা দেখে, আমি ভয়ে ওদের বাসায় যাই না।
এতদিন ভাবতাম বুড়া হয়ে যাচ্ছে বলে হয়তো আমার বাপের মাথাটা খারাপ হয়ে গ্যাসে। আজকে আপ্নের পুষ্ট দেখে বুঝলাম বুড়া ফুড়া কিসসু না, কিসু মাইন্সের মাথা এম্নিতেই আওলানো থাকে। আন্না আপার জন্য অনেক অনেক সমবেদ।।……
@বন্যা আহমেদ,
মাথা-টাথা আওলানো বলে কিছু নাই। পুরুষ মানুষ আজীবনই লুলপুরুষ থাকে। এরশাদ, আজীজ মোহাম্মদ ভাই, ল্যারি কিং এরা হচ্ছে জ্বলন্ত প্রমাণ। আর এই লুল ফেলার জন্য কারো লাগে সুচিত্রা, কারো লাগে বিদিশা, কারো লাগে শবনম, আর আমার লাগে অলিভিয়া। 😀
এইটা কোন বেদ? :-/
@ফরিদ আহমেদ, হা হা হা হা, ‘বেদনা’ থেকে ‘না’ কাইট্টা দিলে যে ‘বেদ’ হয় সেইটা তো বুঝি নাই আগে। এই বেদ ফেদ থেকে যতই দূরে যাইতে চাই ততই আইসা ভর করে, কেমন জানি সিন্দাবাদের ভূতের মত!
আর পুরুষের ‘লুলতা’ নিয়া কথা শুনলে যে মেজাজটা যে কী খারাপ হয় সেইটা আর এখানে কইলাম না। এই স্টেরিওটাইপিংগুলা ছাড়নের সময় হইসে ফরিদ ভাই। ছেলেরা ‘লুল্পুরুষ’ আর মেয়েরা ‘সতী নারী’ কইলে খুব সুবিধা হয়, তা বুঝি। ‘লুলতা’ কারও কম নাই, এইটা এবার কষ্ট কইরা স্বীকার করে ন্যান।
@বন্যা আহমেদ,
লুলললনার দুই একটা উদাহরণ তুমি দাও না দেখি। তাইলেতো স্টেরিওটাইপ ভাঙতে পারি আমরা। এক এলিজাবেথ টেলর আর ডেমি মুর ছাড়া আর কাউরেইতো পাবা না মনে হয়। কুড়িতেই যারা বুড়ি হয়, তাগো মুখে আবার বড় বড় কথা। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
ফরিদ ভাই, আপনি তো শুধু আউলানো পাবলিকই না, এক্কেবারে আদিম গুহাবাসী কি সব আদিম কথাবার্তা কন বুঝতেও পারি না। চল্লিশে বুড়ি ধরণের কথাতো বিধবাদের যখন পুড়িয়ে মারা হত তখন বলা হতঃ)। এলিজাবেথ টেইলrer তো এক পা কব্বরে, এসব গল্প তো আদ্দিকালের গল্প। আপনি যে ২০১০ সালে বসে এত কষ্ট করে এই দুইজনের নাম বলতে পারলেন তা তেই বোঝা যাচ্ছে নতুন কোন নাম বলেও কোন লাভ হবে না, চিনবেন তো না। খুব নামকরা দুই চারজনের কথাই না হয় কই, চিনলেও হয়তো চিনতে পারেন, ম্য্যডোনা, জেনিফার এনিস্টন, জোলি, বৃটনি, প্যারিস হিল্টন… এরা সবাই অহরহ পার্টনার বদলানোর জন্য বিখ্যাত। দেশেও আজকাল কিন্তু মেয়েরা এসবে তেমন ‘পিছিয়ে’ নেই। আর নিজের চারপাশেই দেখেন একটু ‘চক্ষু মেলিয়া’, তসলিমার মত উদাহরণ খুব কম নাই আজকাল আর…
@বন্যা আহমেদ,
আহারে বেচারী। ডুবন্ত মানুষের মত এখন খড়কুটো ধরে বাঁচতে চাইছে। তুমি যাগো নাম কইলা এর কোনোটাই লুলললনা না। এরা বন্ধু পালটায় বাধ্য হইয়া। এগো কায়কারবার এমনই অদ্ভুত যে দুইদিনের বেশি কারোরই বয়ফ্রেন্ড থাকে না। ভাইগা ভীনদেশে যায় গিয়া। 😀
চল্লিশ কই পাইলা? :-/ মাইয়ারা বুড়িতো হয় কুড়িতে। চল্লিশে জনা চারেক নাতি- নাতনির নানি, দাদি হয়ে যায় তারা।
এই তর্ক কথা দিয়া হইবো না। পিকচার স্পিক্স এ থাউজ্যান্ড ওয়ার্ডস। পারলে নীচের এই সুখি লুলপুরুষের একগন্ডা সখিসমেত ছবির মত সখাসমেত কোনো সুখি লুলললনার ছবি পোস্টাইয়ো। 😎
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2010/12/polygamy3.jpg[/img]
@ফরিদ ভাই, অ ফরিদ ভাই, আপনার দোহাই লাগে ছবিটা উঠায়া ন্যান, আপনার সাথে আর কোন্দিন তর্ক করুম না, আপনার সব কথা মাইনা নিলাম তবুও এই ছবিটা ডিলিট করেন মুক্তমনা থেকে। এক মূহুর্তের জন্য মনে হইসিল আমি বর্বর অন্ধকার যুগে চলে গেসি, কেমন জানি বমি লাগতেসে ছবিটা দেখে।
@বন্যা আহমেদ,
এরকম ছবি দেখলে বিবমিষু হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমার অনুভূতিও ওইরকমই। এই বদমায়েশ লুলপুরুষ লোকটার চোখেমুখে সুখ ঠিকরে পড়বে এটাও স্বাভাবিক। তবে আমি সবচেয়ে অবাক হয়েছি তার গিন্নিগুলোর হাতে হাত ধরা হাসিখুশি সুখি চেহারা দেখে। ধর্ম যে মানুষকে কতখানি সম্মোহিত করে ফেলে, এ হচ্ছে তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
এই ছবিটা মালয়েশিয়ার। মালয়েশিয়ার ধর্মীয় নেতারা বহুবিবাহকে উৎসাহিত করেন। মূল ঘটনাটা এখানে পাওয়া যাবে। অনেকেই মালয়েশিয়াকে লিবারেল দেশ হিসাবে ভাবেন। তাদের সেই ভাবনার সাথে এটা মিলবে না। এই তুলনায় বাংলাদেশ যে অনেক ভাল আছে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহই নেই। আমার পরিচিত জনদের মধ্যে একমাত্র এক মামা-শ্বশুরের দুই বউ আছে। তিনি দুই বউকে নিয়ে একসাথে কখনোই বের হন না লজ্জায়। 😛
ছবিটা থাকুক। লোকজন একটু মজা পাক। তবে, তোমার বিবমিষা দূর করে মুখে হাসি ফোটানোর জন্য দ্রৌপদীর একটা ছবি দিচ্ছি। সাথে তার পঞ্চপাণ্ডব স্বামী। 🙂
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2010/12/pandavas2.jpg[/img]
@ফরিদ আহমেদ,
:-Y :-Y এইটা কি দেখালেন?? এটা আপলোড করার পর থেকেই মুক্তমনার সার্ভার কেমন কেমন যেন করছে 🙁 :(।
@বন্যা আহমেদ: এই ছবিটা ডিলিট করে দিলে আমাকে কি দিবেন? :rotfl: ।
@ফরিদ আহমেদ,
এখানেও দেখি ম্য্যডোনা, জেনিফার এনিস্টন, জোলি, বৃটনি, এদের নাম আসলো অথচ আমার ফেভারেইট একট্রেস শ্যারেন স্টোনের নাম নাই। :-Y বেসিক ইন্সটিকটের একটা ক্লিপ দিব নাকি? না থাক বরং ঐ ফেটলা বেটার বউদেরকে আরো কিছু সময় দেখি।
দ্রোপদী! দেবী,দেবী দেবী :guru: :guru: :guru: কল্যাণ, কল্যাণ, কল্যাণ। থাক,থাক দ্রৌপদীকে সরায়ে মুক্তমনার সর্বনাশ ডেকে আনবেন না। জানেন, বউ দ্রৌপদীকে বাজি ধরে যুধিষ্টির জুয়া খেলেছিলেন শকুনির সাথে। বাজিতে দুর্যোধন জিতে নিলেন দ্রোপদীকে। এবার রাজসভায় দ্রৌপদীকে ন্যাংটা করা হবে। দেবীর ইজ্জত রক্ষায় কৃষ্ণ এগিয়ে এলেন। কৃষ্ণলীলা দেখেন, দুর্যোধন কাপড় টানতে থাকেন, টানতে থাকেন কাপড় আসতেই থাকে, আসতেই থাকে, শেষ আর হয় না, দ্রোপদীকে উলঙ্গ দেখার সাধ দুর্যোধনের আর মিটল না। অবশ্য আরেক নারী ইন্দুবালাকে ন্যাংটা করতে আরেকজনের খুব কষ্ট হয়নি। ইন্দুবালা তো আর দ্রোপদী নয়।
এবার মনিপুরি ভাষা থেকে শেরাম নিরঞ্জন কর্তৃক বাংলায় অনূদিত একটা কবিতা শুনুন –
একদিন আমি বলেছিলাম লক্ষী-সরস্বতী
চন্ডী-বেহুলার ধারা তুমি-তুমিও বলেছিলে
রাধা-কৃষ্ণ, খম্বা-থোইবীর অমর কাহিনী
কিন্ত আজ রাধা-কৃষ্ণে, খম্বা-থোইবীতে দুরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে ক্রমশঃ
চেতনার চারিদিকে এক রহস্যময়ী পাপেটের ওড়াওড়ি
সামনে দাঁড়িয়ে আছে দুরন্ত এক মহিষ
হিংস্র কুকুরের গর্জন ভেসে আসে ইথারে ইথারে
পলায়নপর মা কালীর ভুলের মাশুল দিচ্ছে রক্তাক্ত জিহ্বা
অর্থাৎ কোথা থেকে যেনো পালিয়ে এলো সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়ে
সীতা, দ্রোপদী, মাইনু, পেমচা, এই উন্মুক্ত ময়দানে
আর অন্ধ গহ্বরে আত্মধিক্কারে হাতড়াতে থাকে
দেবরাজ ইন্দ্র, জিউস, পাখংবা, মহাদেব
রাবন, দূর্যোধন আর নোংবানের দু’চোখ অশ্রুসিক্ত আজ
ক্লীওপেট্রা, মোনালিসা, শন্দ্রেম্বীর হাসিতে প্রশান্তি খুঁজতে গিয়ে দেখি
ছোপ ছোপ রক্তের রঞ্জিত হয়ে আছে স্তনাগ্র থেকে নাভিমূল
কে তুমি বসে আছো পুষ্পরথে ?
হৃদয়ের স্পন্দনে তুমি কি বিচলিত নও ?
একবার তাকিয়ে দেখো চেতনার শার্সিতে
বলে যাও একবার কে ?
@বন্যা আহমেদ,
‘না’ উঠানোর কাম নাই, খালি ব এর সামনে থেকে এ-কারটা সরায় দিলেই পারফেক্ট হইব!
@অভিজিৎ দা,
সম-বদনা!
:hahahee: :hahahee: :hahahee:
কারন মেয়েরা হয়তো জানে সুন্দর কোন জিনিষ মাকাল ফল হবার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। 😀
ধন্যবাদ ফরিদ আহমদকে লেখাটির জন্য, কিছু গান উপভোগ করা যাচ্ছে। :rose2:
@ব্রাইট স্মাইল্,
যাক, মাকাল ফল যে নই, এটা ভেবে অন্তত মনে শান্তি পেলাম। 😀
গানের ভাণ্ডার উজার করা হবে, চিন্তার কিছু নেই।
এই গানটি দি রেইন ছবিরই, রুনা লায়লার গাওয়া।
@ফরিদ আহমেদ,
ফরিদ,
কারণ স্বামী নিয়ে ঝুঁকি কম। :lotpot: :laugh:
@ ফরিদ,
খু——ব কম বলা হয়েছে, আরো শক্ত কিছু বলা উচিৎ ছিল।
এই লোল মা’নেটা কী? মেয়েরা খালি উগলি লুকিং (ugly looking) পুরুষ চয়েস করে। কি সাংঘাতিক নারী বিদ্বেষ! ইশ, :-Y এ সমস্ত লেখা মুক্তমনার সেন্সরবোর্ডের অনুমতি পায় কী ভাবে? আল্লায় বাঁচাইছে, আপনার কথামত মেয়েরা যদি শুধুই সুদর্শন ছেলেদের পিছে দৌড়াত, তাহলে আমার মত উগলি লুকিং মোল্লা বেটারা নারী বিহীন জীবন নিয়ে এতদিনে শুকিয়ে কাঠ হয়ে যেত। মেয়েদেরকে তাদের মস্তিষ্কে পুরুষ চয়েসের সঠিক জিন ঢুকিয়ে সৃষ্টির জন্যে আল্লাহ পাকের হাজার হাজার শুকরিয়া আদায় করছি।
অতীব দুঃখের বিষয়, আপনি আমার প্রাণাধিক ভালবাসার মানুষটির নাম একবারও উল্লেখ করলেন না। শুনুন সাহেব, বয়স অর্ধশতাব্দি পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই, আজও শবনমের (রবিন ঘোষের স্ত্রী) চেহারা স্ম্বরণ করে আধোরাতে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। আমি নিশীরাতে তার জন্যে বাতায়ন খোলে দেই। নাহ, থাক দুঃখ বাড়ায়ে লাভ নেই।
ছবির কথা যখন উঠেছে তখন বলে দেই, আমার বিচারে- ‘গাঁয়ের বধু’, ‘জোয়ার ভাটা ও ‘পিচ ঢালা পথ’ সেরা ছবি। খান আতা, জহির রায়হান ও সুবাস দত্ত সেরা পরিচালক। শবনম ও কবরী সেরা অভিনেত্রী।
এবার কিছু গান শুনুন- যাবার আগে মুক্তমনার সকল লেখক, পাঠক ও সদস্যবৃন্দকে বড়দিন ও নববর্ষের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। :-* :-* :heart: :heart: :rose2: :rose2: :yes: :yes:
httpv://www.youtube.com/watch?v=8HpXgLA1zTo&feature=related
httpv://www.youtube.com/watch?v=L39lupfZvd8&NR=1
httpv://www.youtube.com/watch?v=REwz3pqZZfQ&feature=related
@আকাশ মালিক,
এর চেয়ে শক্ত কথা আর কী আছে?
সেকি আর বলতে। আমার নারী বিদ্বেষতো কোনো লুকোছাপা বিষয় নয়। মুক্তমনার একমাত্র ঘোষিত পুরুষবাদী আমি। মুক্তমনা নিশ্চয়ই এতখানি পুরুষ বিদ্বেষী না যে আমার লেখাকে আটকে দেবে।
আমি যখন সিনেমা দেখা শুরু করেছি তখন আপনার এই শবনম পাকিস্তানে। তারপর যখন তিনি দেশে ফিরে এসেছেন তখন তিনি বিগত যৌবনা। মান্না তাকে আম্মাজান বানিয়ে কান্নাকাটির এমনই একটা ছবি করেছিল যে, আমিও শবনমকে আম্মাই ভাবা শুরু করে দিয়েছিলাম। মাত্র কিছুদিন আগে জহির রায়হানের ‘কখনো আসেনি’ ছবিটা দেখলাম। এই ছবিটা ১৯৬১ সালে করা। শবনম তখন কিশোরী। স্বীকার করতেই হবে যে, অসাধারণ সুন্দরী লেগেছে ভদ্রমহিলাকে। আর হ্যাঁ, যদি না দেখে থাকেন তবে এই ছবিটা পারলে দেখে নিয়েন। আমার দেখা ষাটের দশকের অন্যতম সেরা ছবি এটি।
আপনার জন্য এই গানটা।
httpv://www.youtube.com/watch?v=_EtAqDEKevc&feature=related
ফরিদ ভাইয়ের আরেকটি লেখা “প্রিয়দর্শিনী পেলিনের জন্য প্রেমগাথা” থেকে একটি অংশ এখানে তুলে ধরতে চাই:
“”ঘরে বউ থাকতেও এরকম দুর্দান্ত জ্ঞানী-গুণী অপরূপার প্রেমে ঝপাস করে পড়ে যেতে বিন্দুমাত্রও সময় লাগেনি আমার। তৃষিত প্রেমিকের মত এখন আমি প্রতিদিন টেলিভিশনে আতিপাতি করে পেলিনকে খুঁজি। তাকে না দেখলে রাতের ঘুম এবং আরাম দুটোই হারাম হয়ে যায় আমার। মায়াবতীও কখনো নিরাশ করেন না আমাকে। প্রতিদিনই কোন না কোন জ্বলন্ত ইস্যুতে তিনি তার ভূবন মোহিনী রূপ আর বিচিত্র আলাস্কিয়ান উচ্চারণ নিয়ে হাজির হন টেলিভিশনের পর্দায়। আম-জাম-কাঠাল জনতাকে একেকটা অমূল্য কথা বলেন আর নিচের ঠোট উপরের দিকে টেনে নিয়ে চেপে ধরে মাথা উপর নিচ করে তার গুরুত্ব বোঝান। দেখে অন্য সকলের মত আমিও বিমল আনন্দে আমোদিত হই।””
এমনিভাবে আর কতজন যে ফরিদ ভাইয়ের জীবনে আছে তা ফরিদ ভাই-ই জানেন।
@মাহফুজ,
মোকছেদ আলীর মত আমার ঝোলার মধ্যেও একটা পাণ্ডুলিপি আছে। সেখানে অনেক নামই লেখা আছে। একটা একটা করে বের করছি।
@ফরিদ আহমেদ, এই পাণ্ডুলিপি বের করার আগে ঘরের জানালা-কপাট কি খোলা থাকবে নাকি বন্ধ? কিছু অযাচিত শব্দ-তব্দ আবার বাইরে বেরিয়ে না আসে… 🙂
তাহলে আপনাদের আমলেও এই “জোশ” বিশেষণটা ছিল! এর উৎস সম্পর্কে কিছু জানেন নাকি?
@পৃথিবী,
এর উৎস মনে হয় বিপ্লব রহমান ভাল বলতে পারবেন। তিনি ব্লগীয় শব্দের একজন গবেষক। 🙂
আমার নিজস্ব ধারণা হচ্ছে, শব্দটা খুব সম্ভবত জুসি শব্দের অপভ্রংশ হিসাবে এসেছে। জুসি থেকে জোস, সেখান থেকে আমাদের বাঙাল উচ্চারণে জোশ।
@ফরিদ ভাই,
আমি বিশেষজ্ঞ? এইটা আপ্নে কী কৈলেন? :-Y
তবে জোশ কথাটি এখন পুরেনা হৈয়া গেছে। এখন চলতাছে, হেব্বি জুসিলা! 😛
@বিপ্লব রহমান, তাও মনে হয় পুরান। নতুনটা মনে হয়- কঠিন…
@শ্রাবণ আকাশ,
হ। আরেকটা আছে: জট্টিল/ জট্টিলস্ । 😀
শুওর নাকি? :hahahee: :hahahee: :hahahee:
—
ফরিদ ভাই, আপ্নের প্রিয় নায়িকা অলিভিয়া নায়ক ওয়াসিমের সঙ্গে কি একটা ছবিতে যেনো অভিনয় করেছিলেন, খুব ছোটবেলায় দেখা, ঠিক মনে নেই। তবে এটুকু মনে আছে, তলোয়ারবাজীর ওই ছবিতে একটা গান ছিল:
আয় রে, মেঘ রে/ বন্ধু ঘুমিয়ে আছে/ দে ছায়া তারে/ পরদেশী মেঘ রে/ আর কোথা যাস নে…
😉
@বিপ্লব রহমান,
শুওরের আগাপাশতলা সব সমান নাকি? :-/
ছবিটার নাম দি রেইন। এই ছবিটা আর গানটা নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম একবার যখন বৃষ্টি এলো নামে।
@ফরিদ ভাই,
আপ্নে পারেনও! :guli:
আগেকার ছবিগুলো কেন যেন টানেনা। কিন্ত আপনার পোষ্ট দেখার পর হঠাৎ করে হৃদয়ে টান মারে। বিশেষ করে অলিভিয়া।
মনে হচ্ছে সে আমার!!! :rose: :rose: :rose: :rose: :rose2: :rose2: :rose2: :rose2: এবং অনেক অনেক :rose2: আপনাকে কিছু বাকি সব আমার অলিভিয়ার।
@হেলাল,
আপনিতো খুব খারাপ লোক। জবরদখল নিতে চান।
ইনি আবার কে?
কোন ছবির ভিলেন বুঝি???
তাকে নিয়ে একটা পোষ্ট দেন। :laugh: :rotfl:
@আসরাফ,
ইনি ‘ঘর আমার ঘর’ এর মহিলা ভিলেন। ইনাকে নিয়ে পোস্ট দেয়ার মত সাহস আমার নাই। কারণ তিনি প্রায়শই গোপনে মুক্তমনা পরিদর্শন করেন আমাকে হালকাপাতলা পিটুনি দেবার মালমসলা জোগাড়ের জন্য। আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ। 🙁
@ফরিদ আহমেদ,
মুক্তমনার মডারেটর ফরিদদা,আর ফরিদদার মডারেটর………:D।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আমরাতো তবু অনেক উদার মডারেটর। আল্লাচালাইনার ঝাঁঝালো মন্তব্যগুলোকে দেখেও না দেখার ভান করি। কিন্ত এই মডারেটর হচ্ছেন মিলিটারি জান্তা। কোনো বেইল নাই, পান থেকে চুন খুসলেই ………।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
পাইছি, এবার আসল জায়গায় ঘুষ পাঠাতে হবে। :cake: :coffee:
@সৈকত চৌধুরী,
হ, এই কড়া মডারেটর ক্যাটস আইয়ের এক্সএল সাইজের শার্ট খুবই পছন্দ করে। 😀
@ফরিদ ভাই,
ঞঁ! এ দেখি বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা!! 😀
তাইতো হয় সবসময়। 🙁
@ফরিদ আহমেদ,
ওনার মেইল আইডিটা দেন, আপনার উত্তটা মেইল করি।
:rotfl:
@আসরাফ,
হে হে হে। বোকা পাইছেন আমারে। 😎 অন্যের পা হলে আপত্তি নাই, কিন্তু নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারি না আমি।