অলিভিয়াকে নিয়ে অপরিমেয় লোল ঝরাচ্ছি আমি সেই আণ্ডাবাচ্চাবেলা থেকেই। এই আধাবুড়োবেলাতে এসেও তার কমতি হয় নি কোনো। এই লোল ঝরানোর প্রয়োজনেই বিদেশ বিভূঁইয়েও অলিভিয়া আমার নিত্যসঙ্গী, নিশিরাতের স্বপ্নসহচরী। অলিভিয়ার অভিনীত বেশ কয়েকটা সিনেমার সিডি বেশ যত্ন করে রেখে দিয়েছি আমি। সময় সুযোগ পেলেই সেগুলোর কোনো একটাকে  চালিয়ে দেই।

 

টেলিভিশনটা প্রায়শই থাকে আন্নার দখলে। আমার অবশ্য এতে কোনো মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু ল্যাপটপে সিনেমা দেখা আমার পোষায় না বলে, অলিভিয়াকে দেখার শখ মাথায় চাপলে, বেশ একটা ভিলেন ভিলেন ভাব নিয়ে টেলিভিশনটাকে জবরদখলে নিয়ে নেই আমি। এমনিতে বাংলা সিনেমা দেখি, তার উপরে আবার অলিভিয়ার। আমার রুচি যে রিকশাওয়ালাদের চেয়েও খারাপ এই কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে যাবার দশা হয় তখন আমার। রিকশাওয়ালারাও নাকি আমার চেয়ে ভাল একারণে যে তারা অলিভিয়ার ছবি দেখে না, দেখে অঞ্জু ঘোষের ছবি। কেমনে বলি যে এটা বার বার বলার কোনো মানে হয় না। আমার রুচি যে ওই পর্যায়ের সেটা খুব ভাল করেই জানি আমি। কাজেই, আমাকে এই গালমন্দ করলে আমারে গায়ে লাগার কোনো কারণ নেই। এমন কিছু বলে গালি দিতে হবে যেটা আমি নই। তাহলেই সে না সেই গালি গায়ের চামড়া ভেদ করে অন্তরে গিয়ে লাগবে।

 

একদিন এরকম অলিভিয়াকে দেখে লোল ঝরাতে ঝরাতে হঠাৎ করেই মনের অজান্তে বলে ফেলেছি যে, আহা কী ফিগার। এরকম ফিগার বাংলাদেশে আর কয়টা মেয়ের আছে। আর যায় কোথায়। ঝাঁঝালো গলায় আন্না বলে উঠে, তোমার যে কী রুচি না। এই মুটকির আবার ফিগার কী? ওরতো আগাপাশতলা সবই সমান। ওর ঝাঁঝ দেখে চুপসে যাই আমি। মনে মনে বলি, ওরকম মেয়েলী বাঁকা চোখে দেখলে কারো শরীরের বাঁকই চোখে পড়ার কথা নয়। বাঁকাতে বাঁকা কাটাকুটি হয়ে যায়। দেখতে হবে আমাদের মত পলকহীন পুরুষালী চোখে দিয়ে।

 

আগেই বলেছি যে অলিভিয়ার প্রতি আকর্ষণ আমার সেই আধাপাতলুন পরা আণ্ডা বয়েস থেকেই। ওইটুকু বয়সে যে মেয়েদের প্রতি তীব্র আকর্ষণ  জন্মাতে পারে, তা নিজে ছোট না থাকলে কোনোদিন জানতেও পারতাম না। বিশ্বাসও করতাম না হয়তো। অলিভিয়ার সিনেমা দেখার জন্য সেকি বিপুল আগ্রহ তখন। আর অলিভিয়াও তখন মহা উদার। দি রেইন, মাসুদ রানা, বাহাদুর, বেদ্বীন, যাদুর বাশি, পাগলা রাজা ইত্যাদি নানান সিনেমায় অভিনয় করে চলেছেন। কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখবো। এখনকার দিনে ছেলেপেলেরা যেমন যৌনাবেদনময়ী কোনো মেয়েকে দেখলেই হট বলে। আমরা সে সময় সেরকম বলতাম না। আমাদের শব্দভাণ্ডারে তখন ম দিয়ে শুরু একটা শব্দ ছিল। ওই শব্দটার আভিধানিক অর্থ মালপত্তর জাতীয় একটা নিরামিষ শব্দ। কিন্তু এই নিরামিষ শব্দটাকেই কে যে এরকম কঠিন আমিষে পরিণত করেছিল কে জানে? তবে আমরা শুধু ওই শব্দটাই বলতাম না। ওর আগে একটা হেভি বা জোশ বিশেষণ লাগিয়ে দিতাম। এই বিশেষণ না লাগালে ঠিক জোশ আসতো না মনে। অলিভিয়া আমাদের কাছে তাই ছিল জোশ ম দিয়ে শুরু শব্দটি।

 

শুধু সিনেমার বিশাল পর্দা আর টেলিভিশনের ছোট্ট পর্দায় অলিভিয়াকে দেখে আশ মিটছিলো না আমার। সেই সময় আমাদের এক ইঁচড়ে পাকা বন্ধু ছিল। নাম তার রিলু। বয়োসন্ধিতেও তখনো পৌঁছুইনি আমরা। এর মধ্যে বেশ ফ্যাশন করা শিখে গিয়েছিল সে। শার্টের নীচে স্যান্ডো গেঞ্জি পরা বাদ দিয়ে দিয়েছে সে। বেলবটম প্যান্টের সাথে টাইট শার্ট পরে। পাড়ার উঠতি মাস্তান বড় ভাইদের মত শার্টের উপরের দিকের কয়েকটা বোতাম খোলা রাখা শুরু করেছে সে। বুকটাকে যতখানি পারে বাতাস ভরে উঁচু করে হাঁটে। আমরা তখনও চুলে একগাদা নারকেল তেল মেখে একপাশে সিঁথি করি। হাজার ঝড়ো বাতাসেও সেই সিঁথি একবিন্দু নড়ে না। চুলগুলো করোটির প্রবল প্রেমে লেপ্টে থাকে মাথার সাথে। রিলু চুলে তেল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে এর মধ্যেই। তার বদলে পকেটে সবসময় একটা চিরুনি নিয়ে রাখে। একটু পরপরই সেই চিরুনি বের করে চুলগুলোকে ব্যাকব্রাশ করে ফেলে। আলতো করে আঙুল দিয়ে মাথার কাছটাকে একটু ফুলিয়ে দেয়। বাতাসে উড়তে থাকে গর্বিত চুলগুলো। আমরা রিলুকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। রিলু ঘোষণা দেয়, যে সে যে করেই হোক না কেন সিনেমাতে নামবে।  রিলু যে এটা পারবে সে ব্যাপারে আমাদের মনে কোনো দ্বিধাই তৈরি হয় না।  (রিলু সত্যি সত্যিই অল্পদিনের মধ্যেই সিনেমাতে অভিনয় শুরু করে দিয়েছিল শিশু শিল্পী হিসাবে)। এই রিলুই আমাদের বুদ্ধি দেয় যে এফডিসিতে গেলেই সব নায়ক নায়িকাদের দেখতে পাওয়া যায়। এফডিসিতে কীভাবে যেতে হয় সেটা অবশ্য আমরা তখনও কেউ কিছু জানি না। কিন্তু রিলু জানায় যে সে এফডিসির রাস্তা চেনে। খুব সোজা। রেললাইন ধরে হাঁটতে থাকলেই এফডিসিতে চলে যাওয়া যাওয়া যায়।

 

 

পরেরদিনই আমরা রিলুর নেতৃত্বে এফডিসির দিকে রওনা করি। আমরা তখন থাকতাম খিলগাঁওয়ে। খিলগাঁও থেকে রেললাইন ধরে পশ্চিমমুখো হাঁটা ধরি আমরা। হাঁটাহাঁটিতে আমাদের এই দলটা বেশ চৌকস ছিল। প্রায়শই আমরা রমনা পার্ক পর্যন্ত হেঁটে চলে যেতাম পাখির বাচ্চা ধরে নিয়ে আসার জন্য। রমনা পার্কে গিয়ে খেয়াল করতাম যে, কোন ঝোঁপের মধ্যে পাখি ঢুকছে। তারপর সবাই মিলে গিয়ে হামলে পড়তাম সেই ঝোঁপের উপর। ডালপালা সরালেই দেখা যেতো যে, ওখানে পাখির বাসা রয়েছে। আর অতি অবশ্যি সেই বাসায় দুই একটা পালক না উঠা বাচ্চা থাকতো। ওগুলোকে পরম আদরে ছিনিয়ে নিয়ে আসাই ছিল আমাদের কাজ। যদিও এই বাচ্চাগুলোর কোনোটাকে আমরা বাঁচাতে পারতাম না। কিন্তু আমাদের পক্ষীপ্রেম তাতে একবিন্দু কমেনি কখনো।

 

রিলুর নেতৃত্বে আমাদের বিশাল বাহিনীটা অবশেষে তেজগাঁওয়ে এফডিসির গেটে এসে পৌঁছাই। গেটে এসে দেখি শুধু আমরা না, আরো বহু লোক এসে দাঁড়িয়ে আছে গেটের সামনে। বড় গেটটা বন্ধ। একপাশে ছোট্ট একটা মিনি গেটে রয়েছে। ওটা দিয়েই বেশির ভাগ লোকজন ঢুকছে আর বের হচ্ছে। মাঝে মাঝে কোনো গাড়ি ঢুকলে বা বের হলে বড় গেটটা খোলা হচ্ছে। গাড়ি দেখলেই অপেক্ষমান লোকজন ছুটে যাচ্ছে জানার কাঁচের পাশে। ভিতরের যাত্রীকে দেখার জন্য। ইয়া বড় গোঁফওয়ালা শুকনো মতন এক দারোয়ান বিশাল এক লাঠি নিয়ে প্রায়ই সগর্জনে তেড়ে যাচ্ছে ভীড় করা লোকজনের দিকে। বলতে লজ্জা নেই। আমাদের দিকেও কয়েকবার দাঁতমুখ খেঁচে ছুটে এসেছিল সে। দারোয়ানের তাড়া খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকেই গেটের পাশের ফাঁকফোকর দিয়ে উঁকি মেরে এফডিসির ভিতরটা দেখার চেষ্টা করছি আমরা। এফডিসির চারপাশে জেলখানার মত বিশাল উঁচু দেয়াল থাকায় বাইরে থেকে ভিতরটা দেখা দুঃসাধ্যই বটে। তারমধ্যেও চোখে পড়লো যে, কার্ডবোর্ড দিয়ে বিশাল এক রাজপ্রাসাদের সামনেটা বানানো হয়েছে। সামনে থেকে দেখলে মনে হবে যে সত্যিকারের রাজপ্রাসাদ। কিন্তু পিছনে কিছুই নেই। কয়েকটা আড়াআড়ি খুটি দিয়ে রাজরাসাদের সম্মুখটাকে ঠেক দিয়ে রাখা হয়েছে। এর মধ্যেই হঠাৎ করে রিলু চাপাস্বরে বললো, ওই যে এস এম শফি, অলিভিয়ার জামাই। আমরা সবাই হুড়মুড় করে গেটের ফাঁক দিয়ে ঠেলাঠেলি করে চোখ রাখলাম। একটু দূরেই তিনজন লোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে নেড়ে গল্প করছে। ওই যে সিগারেট হাতের লোকটা হচ্ছে এস এম শফি। রিলু আমাদেরকে চেনায়। আজ এতদিন পরে এস এম শফি দেখতে কেমন ছিলেন তার বিন্দুমাত্রও মনে নেই আমার। তবে এইটুকু মনে আছে যে কুদর্শন একজন লোক ছিলেন তিনি। আমার ছোট্ট মনে বেশ বড়সড় একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম সেদিন। এত সুন্দর একজন মহিলার এরকম বিচ্ছিরি স্বামী কেন? শুধু অলিভিয়াই নয়, আরো অনেক ক্ষেত্রেই দেখেছি সুন্দরী সব ললনারা কোনো এক অজ্ঞাত কারণে বিচ্ছিরি চেহারার লোকগুলোকে পছন্দ করে। ছোটবেলার সেই অনুমিত সিদ্ধান্ত আজও পাল্টেনি আমার। এখনও আমার ধারনা যে মেয়েরা কোনো এক বিচিত্র কারণে কদাকার চেহারার ছেলেদেরকে খুব পছন্দ করে। হারেরে করে মেয়েরা আমার দিকে তেড়ে আসার আগেই এর প্রমাণ দিচ্ছি আমি। গত কিছুদিন ধরে অনলাইন ফোরাম এবং পত্রিকাগুলোতে বাংলাদেশের পাঁচ কবির কাহিনি ছাপা হচ্ছে। এই পাঁচ কবি বা পঞ্চ পাণ্ডবের মূল কাজ হচ্ছে ফেসবুকে কবিতা প্রসব করে করে প্রবাসী নারীদেরকে আকৃষ্ট করে তাদেরকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা, ডিজিটাল ক্যামেরা, সেলফোন, ক্যামকর্ডার ইত্যাদি হাতিয়ে নেওয়া। এই কবিরা একই সাথে অসংখ্য মেয়ের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এমনও প্রমাণ পাওয়া গেছে যে একই সময়ে একই সাথে এদের একজন দুইজন প্রেমিকার সাথে চ্যাটালাপ চালিয়ে যাচ্ছিল। এই পঞ্চ কবির মধ্যে তিনজনের ছবি আমি দেখেছি। দেখার পরে যে অনুভুতি হয়েছে সেটা সুখকর কিছু নয়। বিমবিষাই বলা চলে। মানুষের চেহারার উপরে তাদের নিজেদের কোনো হাত নেই, কিন্তু প্রেমে পড়তে গেলে সুদর্শন না হোক অন্তত ভদ্রসদ্র সুসভ্য একটু চেহারাতো হওয়া দরকার। এই সমস্ত কদাকার অশ্লীল প্রাণীদের প্রেমে মেয়েরা কীভাবে পটাপট পড়ে যায় সেটা ভেবে কোনো কূল-কিনারা পাই নি আমি। যার নয়নে যারে লাগে ভাল এই যুক্তি দেওয়া যায় হয়তো। তবে কথা হচ্ছে যে, খালি সুন্দরী মেয়েদের নয়নে কদাকার পুরুষদের ভাল লাগে, এইটার মানে কী? আমরা কী পাপ করেছি। উ উ উ। যা খেলুমই না। মেয়েদের এই কদাকার ছেলে পছন্দের হাইপোথিসিসটা একবার বেশ উৎসাহের সাথে আন্নাকে ব্যাখ্যা করতে গিয়েছিলাম। ও বেশ নির্বিকার ভঙ্গিতে বললো যে, ‘আমিওতো তোমাকে পছন্দ করেই বিয়ে করেছিলাম।’

 

বাংলা সিনেমা জগতে অলিভিয়ার আগমন ষাটের দশকের শেষ দিকে। জহির রায়হানের অসমাপ্ত চলচ্চিত্র লেট দেয়ার বি লাইট ছবিতে নায়িকা হওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু জহির রায়হান তার মত পরিবর্তন করে অলিভিয়ার বদলে ববিতাকে নেন। ফলে, অলিভিয়ার আগমন কিছুটা পিছিয়ে যায়। এস এম শফি পরিচালিত ছন্দ হারিয়ে গেল ছবির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার।

 

অলিভিয়া যে সময়ে চলচ্চিত্রে এসেছেন তাতে করে আমার বাবা-চাচা বা মামাদের তাকে নিয়ে রোম্যান্টিক স্বপ্ন দেখার কথা। হয়তো দেখেছেনও তাঁরা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে, অলিভিয়াকে নিয়ে রোম্যান্টিক স্বপ্ন ছোট্টবেলা থেকে আমিও দেখে আসছি। আমার মায়ের বয়েসী না হলেও ছোট খালার বয়েসীতো হবেনই ভদ্রমহিলা। কিন্তু তারপরেও আমার এই দুষ্টু কল্পনা কোনো বাঁধা মানে নি। ফ্রয়েড থাকলে ইডিপাস কমপ্লেক্সের আদলে আন্টিপাস কমপ্লেক্স জাতীয় কিছু একটা দাঁতভাঙা মনোবৈজ্ঞানিক টার্ম যে আবিষ্কার করে ফেলতেন এই অসম বয়েসী আকর্ষণ  নিয়ে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহই নেই।

 

 

অলিভিয়ার কিছু ক্লিপ খুঁজছিলাম ইউটিউবে। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে তেমন কিছুই নেই ইউটিউবে। মাত্র তিনটা গান আর কোনো একটা টিভি চ্যানেলে তাকে নিয়ে করা একটা ছয় মিনিটের ক্লিপ ছাড়া আর কিছুই পাই নি আমি। যে তিনটা গান পেয়েছি তার মধ্যে একটি হচ্ছে  মাসুদ রানা ছবির। এই ছবিটা প্রথম মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে। তখনও সিনেমা দেখার বয়স হয় নি আমার। কাজেই দেখা হয় নি সে সময়ে। এর কয়েক বছর পরে ছবিটি আবার রিলিজ হয় মানসী সিনেমা হলে। আমি তখন দস্যু বনহুর ছেড়ে লুকিয়ে চুরিয়ে মাসুদ রানা পড়া শুরু করে দিয়েছি। নারী পুরুষের রহস্যময় সম্পর্ক শুধু পড়ি, কিন্তু কোনো কিছুই বুঝি না। হেয়ালির মত মনে হয় সবকিছু। ওই সময় আমার এক কলেজ পড়ুয়া মামা নিজেকে বেশ বড় প্রমাণ করার তাগিদে মাসুদ রানা ছবিতে অলিভিয়া আর সোহেল রানার শয্যাদৃশ্য নিয়ে বেশ আগডুম-বাগডুম কাহিনি ফেঁদে বসেছিলেন। সেই কাহিনির কৌতুহলেই একদিন চুপি চুপি একাকী পদব্রজে খিলগাঁও থেকে মানসী সিনেমা হলে গিয়ে মাসুদ রানা দেখে এসেছিলাম আমি।  আগে একবার আমরা ইয়ার দোস্তরা দলবেধে ওখানে সিনেমা দেখাতে রাস্তা চেনাই ছিল। কাজেই কোনো অসুবিধাই হয় নি আমার।

 

মাসুদ রানা সিনেমার এই গানটিতে অলিভিয়া মাসুদ রানা রূপী সোহেল রানাকে সিডিউস করার চেষ্টা করছে।

 

httpv://www.youtube.com/watch?v=OVWY9NklD2k

 

আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে, আজ এত বছর পরেও বাংলা সিনেমার এই পোশাকি নায়িকাটির প্রতি আমার আগ্রহ এবং আকর্ষণ রয়ে গেছে সম পরিমাণে। সময়ের সাথে সাথে কত কিছু পালটে গেছে, চিন্তা-ভাবনা, রুচি সবকিছুরই আমূল পরিবর্তন ঘটে গেছে, কিন্তু অদ্ভুতভাবে অতুলনীয়া অলিভিয়া ঠিকই রয়ে গেছে মনের এক কোণায়, নিভৃতে, গভীর ভালবাসায় সিক্ত হয়ে, সেই অপরূপা তরুণীরূপে, বর্ণিল সাজে।   

 

অলিভিয়া, প্রিয় অলিভিয়া আমার, আপনি যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন,‌ সুখে থাকুন।

 

httpv://www.youtube.com/watch?v=RELmjG_CXIk&playnext=1&list=PL7D17CEFA4C91B470&index=32