বস্তুত সাংখ্যিক বৃদ্ধিই মূল উদ্দেশ্য
টিকে থাকাই মূলত আকাঙ্ক্ষিত
কাঠখোট্টা বিধায়, উপরে চাপানো হয় মলাট
পরানো হয় ““ভালোবাসা”” নামক মোড়ক জমাট।
আমিত্বের প্রজনন
সাথে প্রচণ্ড কামনা
যোগ ভালোলাগা, আর একটু বেঁচে থাকা
জন্ম হয় ভালোবাসার জরাজীর্ণ মলাট
জন্ম হয়, সফিস্টিকেটেড সমস্ত ““আমাদের””।
রুঢ় বাস্তবতাকে দুহাতে সরিয়ে
অবগাহন করা আবেগীয় ঝর্ণায়
দিবা সত্যকে পকেটে পুরে,
মিথ্যে অন্ধকার রাত্রির গরাদে,
আটকে থাকা সীমাহীন মৌনতায়।
ফলাফল বরাবরই শুন্য,
বরাবর শুন্যই হবে
জলাঞ্জলি যায় আবেগস্নান
টিকে থাকে দুচোখ স্বপ্ন,
আর একবুক বিকট শুন্যতা।।
এই লিঙ্কে লিখেছে:
[১.০১] তৎসম অর্থাৎ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অবিকৃত সংস্কৃত শব্দের বানান যথাযথ ও অপরিবর্তিত থাকবে। কারণ এইসব শব্দের বানান ও ব্যাকরণগত প্রকরণ ও পদ্ধতি নির্দিষ্ট রয়েছে।
[১.০২] তবে যে-সব তৎসম শব্দে ই ঈ বা উ ঊ উভয় শুদ্ধ সেইসব শব্দে কেবল ই বা উ এবং তার কারচিহ্ন ি ু ব্যবহৃত হবে। যেমন: কিংবদন্তি, খঞ্জনি, চিৎকার, ধমনি, ধূলি, পঞ্জি, পদবি, ভঙ্গি, মঞ্জরি, মসি, লহরি, সরণি, সূচিপত্র, উর্ণা, উষা।
[১.০৩] রেফ-এর পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন: অর্চনা, অর্জন, অর্থ, অর্ধ, কর্দম, কর্তন, কর্ম, কার্য, গর্জন, মূর্ছা, কার্তিক, বার্ধক্য, বার্তা, সূর্য।
[১.০৪] ক খ গ ঘ পরে থাকলে পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে অনুস্বার (ং) লেখা যাবে। যেমন: অহংকার, ভয়ংকর, সংগীত, শুভংকর, হৃদয়ংগম, সংঘটন। বিকল্পে ঙ লেখা যাবে। ক্ষ-এর পূর্বে ঙ্ হবে। যেমন: আকাঙ্ক্ষা।
লেখা ভালো লেগেছে। কিন্তু শূণ্যতা ভালো লাগে না। নেক্সট টাইম একটু শূণ্যতা-কম টাইপের কোনো কবিতা দেবেন।
আর, বানান ভুল কইরা আমার মনে হয় ভালোই করছেন। ভুল করলেন আপনে কিন্তু সেই চান্স শেখা হয়ে গেল দশজনের। মাঝে মধ্যে এইরকম ভুল করলে ভালোই হয়।
ভালো কথা, “আকাঙ্খিত” –এই বানাটা উইকিপিডিয়া:বাংলা বানানের নিয়ম– অনুসারে হয় “আকাঙ্ক্ষিত”।
আকাংখিত যে ভুল, সেটা জানি। কিন্তু আকাঙ্খিত-ও কি ভুল? “কালি ও কলম”-এ শহিদুল ইসলামের “বাংলা একাডেমীর বানান-অভিধান ও বানানরীতি” এবং ম্যাভেরিকের সমস্যাকর বানানের সঙ্কলনের উপর একটা লেখা পড়েও মনে হলো শব্দটা “আকাঙ্ক্ষিত” হবে।
“আকাঙ্খিত” ভুল কি না কেউ সম্ভব হলে জানাবেন।
ভুল। সঠিক বানান আকাঙ্ক্ষিত।
@এন্টাইভণ্ড, ভাই আপনিও অতি সাধারণ একটি ভুলে করে বসলেন।মনে দাগা পেলাম। 🙁
সঠিক শব্দটা ‘শূন্যতা’ কিন্তু আপনি লিখেছেন ‘শূণ্যতা’।আশা করি আমরা এই ভুলটাও ভবিষ্যতে করবো না।
@দেবাশিস্ মুখার্জি, অনেক ধন্যবাদ, ভাই। আশা করছি, শূন্য বানান আর ভুল হবে না।
[দাগা দেবার জন্য সরি। [শূন্য বানানও ভুল করলাম!!! এ জীবন আমি আর রাখপো না…]]
@ফরিদ আহমেদ, ধন্যবাদ।
ভাই, বানানের ব্যাপারে একটু মনযোগী হন।আমি, আপনি, আমরা এই ব্যাপারে একটু আলসেমি করি বলেই দেখা যায় ১ যুগ পরে আর ঠিক বানানটি খুঁজে পাওয়াই যাচ্ছে না।যেমন আজকাল অনেকেই ‘সাদা’ এর পরিবর্তে ‘শাদা’ লেখা শুরু করেছে।এই অনেকের মধ্যে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল আর নাসরীন জাহানও আছেন।
আপনার কবিতায়ঃ
প্রচন্ড >> প্রচণ্ড
জরাজীর্ন >> জরাজীর্ণ
আর দাদা, বিরামচিহ্ন নাই কেন??
“টিকে থাকে দুচোখ স্বপ্ন
আর একবুক বিকট শুন্যতা।।”
এই লাইন দু’টো অনেক বেশি ভালো লেগেছে।তবে লাইনটাতে একটা পরিবর্তন করলে মনে হয় ভালো হতঃ
“টিকে থাকে দুচোখে স্বপ্ন”
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
কবিতায় ভাল হত বলে কিছু থাকতে নেই।
@রনি, ভাই ভালোই বলেছেন।তবে নানা মুনির নানা মত তো থাকতেই পারে।কবিতাটি ভালোই হয়েছে তারপরও ঐলাইনটাতে এমনটা মনে হওয়াতেই কথাটা লিখেছিলাম।
@রনি,
আমারও তাই মনে হয়।দেবাশিস্ সাহেবের কথা মত ভালো করতে গেলে মনে হয় পাউডার টাউডার দিয়ে সাজিয়ে উপস্থিত করা হবে। সেটা করি কি করে? 😀
@সাইফুল ইসলাম,
এই “পাউডার টাউডার” এর ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারলাম না। 🙁
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
দাদা বিব্রত হবেন না। তেমন কোন কথা নয়। বলতে চেয়েছিলাম যে, আমি আমার মৌলিক লেখাটাই এখানে দিয়েছি কোন কাটা ছেড়া করা ছাড়া। এখন যদি কোন পাঠককে ভালো লাগার জন্য লেখা অদল বদল করি তাহলে লেখাটা মৌলিকত্ব হারাবে। মানে হল কারো কথা রাখার জন্য মূল লেখাটার পরিবর্তন করা। এই আর কি। আপনার কথা আমি পরামর্শ হিসেবেই নিয়েছি দাদা। বিব্রত হবার কারন নেই।
অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনার নিবিড় পাঠের জন্য দাদা।
ভালো থাকবেন।
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
বানানগুলো ঠিক করে দিলাম। যতি চিহ্ণ দিয়ে পাঠককে মাঝে মাঝে থামিয়েও দিলাম। 🙂
তবে কিছু কিছু ব্যাপার আমার কাছে খটকা লাগে, যেমন, “সাদা” বানানটা। এটার উচ্চারন আমরা যেভাবে করি সেভাবে লিখতে গেলে কিন্তু “শাদা”ই লেখা উচিত। বানানের মত লিখতে গেলে উচ্চারন হবে “ছাদা”। আপনি কি বলেন এ ব্যাপারে?
@সাইফুল ইসলাম,
আমি যতদূর জানি, ‘স’ এর দু’টো উচ্চারণ।এর উদাহরণঃ
১। /ʃ/ – সাধনা
২। /s/ – সালাদ
অন্য দিকে ‘ছ’ এর উচ্চারণ ‘স'(/s/) এর অনেক কাছাকাছি হলেও অনেক আলাদা। ‘ছ’ এর জন্য প্রজোয্য হলঃ /tʃʰ/ আর এই উচ্চারণের উদাহরণ হল বাংলায় ‘ছবি’ কিংবা আরবিতে ‘ছালাত’।
আপনি যখন চেয়ার(Chair) উচ্চারণ করবেন তখন আপনার জিহ্বা দন্তমূল স্পর্শ করে।এই সময় যদি জিহ্বা সামান্য একটু এগিয়ে ফেলেন তো ছেয়ার পাওয়া যাবে।
বাংলা ‘সালাদ’ এ ‘স’ উচারণ কোনভাবেই ‘ছ’ হতে পারবে না যদি না আমরা ভুলভাবে উচ্চারণ করি।
আরও জানতে চাইলে শহীদ মুনীর চৌধুরীর লেখা বাংলাদেশ শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত ব্যাকরণ বইটা দেখতে পারেন কিংবা নিচের তথ্যসূত্রটায় চোখ বুলাতে পারেন।
তারপরও প্রশ্ন থাকলে করবেন।আমি উত্তর দিতে চেষ্টা করবো।
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
**তথ্যসুত্রঃ
http://en.wikipedia.org/wiki/Bengali_script
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
না না এবার ঠিক আছে মনে হচ্ছে। 😀 তখন আরেকটু ভেবে লিখলে আর এই ভুল হতনা। বেশি পন্ডিতির ফল আর কি? 😥
@সাইফুল ইসলাম,
উচ্চারন নয় উচ্চারণ।আকাশ মালিকের ণত্ব বিধানের নিয়মাবলীতে কাজ হয়নি।
আমারও হয় না। তবুও সুযোগ পেয়ে একটু মাতব্বরী করা। ভুল বানান কোথাও গ্রহণযোগ্য নয়, তবে কবিতায় তা যতটা চোখে লাগে ও কানে বাজে গদ্যে ততটা নয়। অনেক সময় কবিতার অর্থই পাল্টে দেয়।
যেমন কপোল ভিজে যায় নয়নের জলে না লিখে কপাল ভিজে যায় নয়নের জলে লিখলে যে দুই ঠ্যাং বাঁধতে হবে তমালের ডালে।
যাহোক, কবিতাটি ভাল লেগেছে। বিশেষ করে শুরুর লাইন দুটো পুরো কবিতা পড়তে টেনেছে —-
@গীতা দাস,
সহমত।
আমিও ভুল করি।তবে কবিতায় ভুলগুল একটু বেশিই চোখে লাগে।
@গীতা দি,
😥 😥
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই কবিতা পাঠের জন্য। শুভ কামনা থাকল।(ঈশ্বর জানে আর কি ভুল করলাম। 🙁 )
@সাইফুল ইসলাম, আবারও ভুল করলেন!!! 😀
বাংলায় কি/কী সর্বমোট তিন ধরণের।
১। ‘কী’- সর্বনামঃ সংযোজক সর্বনামে কি হবে না, হবে কী।
তাই আপনার বাক্যটি হওয়া উচিতঃ “ঈশ্বর জানে আর কী ভুল করলাম।”
২। প্রশ্নবোধক কীঃ এর উত্তর হবে নির্দিষ্ট কিছু।যেমনঃ
তুমি কী খেয়েছো?->আমি ভাত খেয়েছি।
৩।প্রশ্নবোধক কিঃ এর উত্তর হবে হ্যাঁ কিংবা না।যেমনঃ
তুমি কি খেয়েছো?->হ্যাঁ, আমি খেয়েছি।
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
ওহহ আরেকটা ব্যাপার বলতে ভুলে গেছি।
““টিকে থাকে দুচোখ স্বপ্ন
আর একবুক বিকট শুন্যতা।।”
আমি এখানে “দুচোখ” সতর্কভাবেই লিখেছি। দুচোখে স্বপ্ন আর দুচোখ স্বপ্নের মধ্যে কিছু একটু পার্থক্য আছে। তাই না? 🙂
@সাইফুল ইসলাম, অবশ্যই পার্থক্য আছে।আপনার আর আমার চিন্তাতেও পার্থক্য আছে।খুবই স্বাভাবিক।আমি আমার মতামত দিয়েছি।আর আপনি আপনার লেখা লিখবেন। 😀
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
অবশ্যই মতামত জানাবেন। :yes:
‘ভীষন’ শব্দটাই যে ভীষণ রকমের ভুল বানানে লেখা হয়েছে কবি। এর কী হবে? 🙂
@ফরিদ ভাই,
ইশ, কতবার যে চেক করছিলাম লেখা দেওয়ার আগে। আসলে জানতামই না ভীষণ এ যে ‘ণ’ ব্যবহার করা হয়। ধইন্যা আফনেরে। 😀
@সাইফুল ইসলাম,
এই নিন ‘ণ’ নিয়ে ক্যাচাল, আর যেন ভুল না হয়– :-/
মূল নিয়ম-
ণত্ব বিধান বা মূর্ধন্য-ণ এর নিয়ম কেবলমাত্র তৎসম শব্দের (যে সকল শব্দ সংস্কৃত থেকে অবিকৃত অবস্থায় এসেছে) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
অ-তৎসম তথা অর্ধ-তৎসম, তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র শব্দের ক্ষেত্রে সর্বদাই দন্ত-ন ব্যবহৃত হবে।
___________________________________________
১. তৎসম শব্দের ক্ষেত্রে ণ-এর নিয়ম
১.১ যুক্তব্যঞ্জনে ট-বর্গের বর্ণগুলির (ট ঠ ড ঢ ণ) পূর্বে মূর্ধন্য-ণ
ণ্ট (ণ+ট) ঘণ্টা, নিষ্কণ্টক, বণ্টন
ণ্ঠ (ণ+ঠ) অবগুণ্ঠন, উৎকণ্ঠা, লুণ্ঠন
ণ্ড (ণ+ড) কলকুণ্ডলি, ঠাণ্ডা, লণ্ডভণ্ড
ণ্ঢ (ণ+ঢ) ঢুণ্ঢি, ঢেণ্ঢন (তেমন প্রচলিত নয় এই শব্দগুলি)
ণ্ণ (ণ্ণ) অক্ষুণ্ণ, ক্ষুণ্ণ, বিষণ্ণ
দ্রষ্টব্য
(১) ক্ষুন্নিবৃত্তি (ক্ষুৎ+নিবৃত্তি) এবং ক্ষুণ্ণি শব্দের উৎস এক নয়। প্রথমটি সাধিত (উপসর্গ, সন্ধি বা সমাসযোগে গঠিত) শব্দ, যেখানে ৎ+ন=ন্ন, ন এর দ্বিত্ব হয়েছে।
(২) ওয়ারেন্ট, কমান্ডার, পান্ডা যেহেতু বিদেশি শব্দ, এদের বানানে মূর্ধন্য-ণ হবে না।
১.২ ঋ, র, ষ এর পর মূর্ধন্য-ণ
ঋ বা ঋ-কারের পর
ঋণ, ঘৃণা, মৃণাল
র, র-ফলা, রেফ এর পর
অরণ্য, আহরণ, উদাহরণ
ভ্রূণ, মিশ্রণ, স্ত্রৈণ
অর্ণব, পূর্ণিমা, বিশীর্ণ
দ্রষ্টব্য
এই নিয়মানুসারে রেফ এর পর মূর্ধন্য-ণ হয় বলে তৎসম শব্দে রেফ-যুক্ত দন্ত-ন সচরাচর দেখা যায় না। কিন্তু সাধিত শব্দে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়:
অহর্নিশ (অহ+নিশ), দুর্নীতি (দুর্+নীতি), দুর্নাম (দুর্+নাম)।
ষ এর পর
অন্বেষণ, নিষ্পেষণ, ভাষণ
দ্রষ্টব্য
ষ এর সাথে ণ যুক্ত হলে, যুক্তবর্ণের চেহারা হবে ষ্ণ: কবোষ্ণ, বৈষ্ণব, উষ্ণীষ।
ক্ষ=ক+ষ, সুতরাং ক্ষ এবং ষ এর নিয়ম একই:
ঈক্ষণ, তীক্ষ্ণ, সমীক্ষণ।
১.৩ একই শব্দে ঋ/র, র-ফলা, রেফ/ষ, ক্ষ/
এদের যে-কোনোটির পরে যদি স্বরবর্ণ, ক-বর্গের বর্ণ (ক খ গ ঘ ঙ), প-বর্গের বর্ণ (প ফ ব ভ ম), য য় হ ং এই সব বর্ণের এক বা একাধিক থাকে, তবে তার পরে মূর্ধন্য-ণ হবে। এই নিয়মটি আসলে ১.২ এর বিস্তৃত নিয়ম।
রোপণ (র+ও+প+ন্), শ্রাবণ (শ+র+আ+ব+ন্)
দ্রষ্টব্য
ঋ/র, র-ফলা, রেফ/ষ, ক্ষ/ এর পরে অন্য বর্গের বর্ণ থাকলে মূর্ধন্য-ণ হবে না:
দর্শন, প্রার্থনা।
সন্ধিজাত বা সাধিত শব্দের ক্ষেত্রেও ১.৩ প্রযোজ্য নয় [১.১ দ্রষ্টব্যের মতো] :
নিষ্পন্ন (নি:+পন্ন)।
শব্দের শেষ বর্ণটিতে হসন্ত-উচ্চারণ থাকলেও এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়:
শ্রীমান্।
১.৪ সাধিত শব্দে মূর্ধন্য-ণ
সাধিত শব্দে ঋ, র ষ ক্ষ এর পর সাধারণত মূর্ধন্য-ণ হয় না। তবে বিশেষ নিয়মে মূর্ধন্য-ণ হতে পারে।
১.৪.১ পরি-, প্র-, নির- এই ৩টি উপসর্গের পর ণ হয়:
পরিণয়, প্রণাম, নির্ণয়। [এটি আসলে ১.২ এবং ১.৩ কে অনুসরণ করছে]।
ব্যতিক্রম: পরিনির্বাণ, নির্নিমেষ।
১.৪.২ র বা র-ফলা’র পরপদে -অয়ন থাকলে এর ন মূর্ধন্য-ণ হবে: উত্তরায়ণ, চান্দ্রায়ণ, রবীন্দ্রায়ণ। [এটি ১.৩ কে অনুসরণ করছে: র+স্বরবর্ণ আ+য়]।
১.৪.৩ সাধিত কিছু শব্দে র এর প্রভাবে ন মূর্ধন্য-ণ’তে পরিণত হয়: অগ্রণী, গ্রামীণ।
ব্যতিক্রম: অগ্রনেতা।
১.৪.৪ সাধিত শব্দ কোনো কিছুর নাম বুঝাতে এক শব্দ বিবেচিত হলে ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য:
শূর্পণখা (শূর্প+নখা), অগ্রহায়ণ।
দ্রষ্টব্য
গণ ধাতু সহযোগে গঠিত শব্দ সমূহে ণ হবে: গণিত, গণনা, গণ্য; গণৎকার; গণশক্তি, জনগণ, গণসংগীত।
১.৫ নিত্য মূর্ধণ্য-ণ
অণু, কণা, কোণ,ফণা, বেণী, শাণ, কঙ্কণ, বাণ, ভণিতা, শোণিত, ঘুণ, বীণাপাণি, লাবণ্য, বিপণি, মাণিক্য, চাণক্য, গণেশ প্রভৃতি।
মূল লেখা এখানে-
@আকাশ মালিক,
আপনার প্রচেষ্টা অনেক প্রশংসা পাবার মত!
আমরা যারা বিদেশে আছি তাদের অবশ্যই এতে ভূল সংশোধনের
উপায় থাকে!
@সাইফুল ইসলাম,
মুক্ত মনার কবিদের নবজাগরণ অটুট থাকুক! 🙂
@লাইজু নাহার,
ভুল বানান ভুল হলে সংশোধনের বোধ হয় আর কোন উপায় থাকে না।তাই না?
@লাইজু নাহার
হেহেহেহ, ধরা খাইছুইন নি??? :laugh: :laugh:
@আকাশ মালিক,
ন, ণ, স, ষ ইত্যাদি নিয়ে প্রায় দ্বিধায় পড়ি। বাংলা বানান পদ্ধতি নামে মুক্তমনায় একটা লিঙ্কে এই মূল্যবান তথ্যটি থাকলে ভাল হয়। (ইতিমধ্যে আছে কিনা তা অবশ্য জানিনা।)
@মালিক ভাই,
খাইছে আমারে, আপনিতো অনেক কষ্ট করছেন আমার জন্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ। :yes:
ফলাফল বরাবরই শুন্য
বরাবর শুন্যই হবে
মানুষ সহ পৃথিবীর সকল প্রাণীই বেঁচে থাকতে চায় আজীবন। আমাদের বেঁচে থাকা কিংবা মরে যাওয়াতে এই মহাবিশ্বের সামান্যতম লাভ ক্ষতি নেই।
তবুও আমরা বাঁচতে চাই ফলাফল যতই শুন্য হোক।
‘টিকে থাকে দুচোখ স্বপ্ন
আর একবুক বিকট শুন্যতা।।’
খুব ভালো লাগল।
@আফরোজা আলম,
ধন্যবাদ জানাই কবিতা পাঠের জন্য।
@রাজেশ তালুকদার,
ঠিক তাই। :yes: