প্রথমে সংক্ষেপে জেনে নিই দালাল আইন সম্পর্কে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব রাজাকার, আলবদর, আলশামস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা করেছে তাদের বিচারের জন্য ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি দ্য বাংলাদেশ কোলাবরেটরস (স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল) অর্ডার ১৯৭২ বা দালাল আইন আদেশ শিরোনামে আইন প্রণয়ন করা হয়। ১৯৭৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এই আইনের আওতায় দুই হাজার ৮৮৪টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় সাজা দেওয়া হয় ৭৫২ জনকে। এদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারা-দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ৩১ অক্টোবর দালাল আইন বাতিল করার পর থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির ঘোষণা দ্বারা আইনটির প্রয়োগ শুরু হয়। ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি আইনটির আদেশ জারি হলেও পরবর্তীতে একই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি, ১ জুন এবং ২৯ আগস্ট তারিখে তিন দফা সংশোধনীর মাধ্যমে আইনটি চূড়ান্ত হয়। পরবর্তীতে দালাল আইনের অধীনে ৩৭ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বিভিন্ন আদালতে তাদের বিচার আরম্ভ হয়। এর পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে কর্মরতদের কেউ দালালি এবং যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না তা যাচাই করার জন্য ১৯৭২ সালের ১৩ জুন একটি আদেশ জারি করে যা তখন গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
স্বাধীনতার পর দালাল আইনে গ্রেফতারের পর গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একটা বড় অংশকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়! যারা হত্যা, ধর্ষণ, লুট, ধর্মান্তরিত-করণ, মানুষের বাড়িতে আগুন এসব ঘটনায় জড়িত ছিল না তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তানী আদর্শের কারণে রাজাকার হয়েছে কিন্তু হত্যায় অংশ নেয় নেই তাদেরকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া কিছু মানুষ অভাব অনটন কিংবা পরিস্থিতির কারণে রাজাকার হয়েছে। কারণ ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সকল মানুষ ভারতে আশ্রয় নিতে যায় নি এবং তা সম্ভবও ছিল না। ফলে প্রায় ৬ কোটি বাঙালি’কে যুদ্ধের দেশেই অবস্থান করতে হয়েছিল। জামাত, মুসলিম লীগ টাইপ দলগুলোর আদর্শের বাহিরে আটকে পড়া বাঙালিদের রাজাকার বাহিনীতে ভর্তি হওয়ার কতকগুলো কারণ ছিল। তা হলো, দেশে তখন দুর্ভিক্ষাবস্থা বিরাজ করছিল। তৎকালীন সরকার দুর্ভিক্ষের সুযোগ নিয়ে ঘোষণা করল, যারা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেবে, তাদের দৈনিক নগদ তিন টাকা ও তিন সের চাউল দেয়া হবে। এর ফলে বেশ কিছুসংখ্যক লোক, যারা এতদিন পাকিস্তান সেনার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত দিন কাটাচ্ছিল তাদের একটা অংশ রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিল। সুতরাং এটি স্পষ্টত যে সবাই আদর্শের কারণে রাজাকার হয় নাই অনেককে জোর করে রাজাকার করা হয়েছে আবার অনেকে অভাবের কারণে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। সেই যোগ দেওয়া সাধারণ মানুষের মধ্যে ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষও ছিল। তবে সে সংখ্যা খুবই নগণ্য। পরবর্তীতে তারা ছাড়া পেয়ে যায়। কারণ এদের বিশের ভাগই ছিল সমাজের দরিদ্র শ্রেণির বাসিন্দা।
ছাড়া পাওয়ার পর কেউ সমাজ ও মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে বলে এমনটা দেখা যায়নি। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জার্মানির সবই যে নাৎসি ছিল তা না, অনেককেই জোর করে দলে নেওয়া হয়েছে। জার্মানির স্টুডগার্ড নামে একটা শহর আছে। সেখানকার একজন মেয়রের বাবা ছিলেন নাৎসি। কিন্তু বাবা হওয়া স্বত্বেও নিজের বাবা’কে ছাড় দেন নি। আমাদের দেশের অনেক এমপি মন্ত্রী’র বাবা-ভাই’দের বিরুদ্ধে একাত্তরে শান্তি বাহিনী গঠন, রাজাকার-গিরি করার অভিযোগ আছে এবং প্রমাণ আছে কিন্তু তারা নিজেদের কখনো শুদ্ধিকরণে নিয়ে যায়নি। তারা কখনো সেই অভিযোগগুলোর সত্যতা স্বীকার করে কখনো বলেনি; আমাদের বাবা-ভাই’দের অপরাধের জন্য আমরা লজ্জিত কিংবা ক্ষমা-প্রার্থী। উল্টো যারা যখন তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে কিংবা পিতা-ভাই’য়ের অভিযোগ সম্পর্কে নীরব থাকে তখন বুঝে নিতে হবে তারা তাদের অতীত অপকর্মের জন্য লজ্জিত নয়। যাই হোক ফিরে আসি নারী রাজাকার প্রসঙ্গে।
নারী রাজাকার কিংবা দালাল আইনে আটক নারীদের বিষয়টি আমাদের সমাজে খুব স্পর্শকাতর বিষয়ও বটে। এদের বেশির ভাগই ছিল সমাজের উঁচু শ্রেণির বাসিন্দা। এরা পাকিস্তানী সেনা বাহিনীর মনোরঞ্জন করতো কিংবা তাদের সাথে ঘোরা ফেরা, শয্যা সঙ্গী, ও তথ্য সংগ্রহের কাজ করতো। মার্চ ২৩ , ১৯৭২ সালে দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় , তৎকালীন অর্থ মন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে যান । সেখানে দালাল আইনে গ্রেফতারকৃত মোট ৯ হাজার ৪৯৩ জন আসামী ছিল , যারা কোন না কোন ভাবে দেশের বিপক্ষে গিয়ে পাকীদের গণহত্যায় মদদ যুগিয়েছে।সব চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল এদের মধ্যে ৬২ জন নারীও ছিল যারা পাকিস্তানীদের সহচরী হিসেবে কাজ করায় দালাল আইনে গ্রেফতার হয়েছিল। তৎকালীন বেশ নাম-ডাক ওয়ালা ঔষধ কোম্পানি করিম ড্রাগস এর মালিকের স্ত্রী এই তালিকায় ছিল । পরবর্তীতে মেজর জিয়া দালাল আইন বাতিল করার সুযোগে মামলা মুক্ত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় । এখানে একটা তথ্য দিয়ে রাখি পরবর্তীতে করিম ড্রাগস-এর বড় একটি শেয়ার বর্তমান বেক্সিমকো কোম্পানি কিনে নেয়।
এছাড়াও আফরোজা নূর আলী নামে এক মহিলার নাম পাওয়া যায় যে তৎকালীন এক উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তার স্ত্রী ছিল। নারীদের রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেওয়ার মূল কারণ ছিল পারিবারিকভাবে পাকিস্তানী মতাদর্শ, পরিবারের সদস্যদের শান্তি বাহিনী’তে অংশ গ্রহণ, ধর্মান্ধতা, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রতি লোভ। বিষয়টি আবারও জোর দিয়ে বলছি এই নারীরা কেউ অর্থের অভাবে কিংবা ভয় ভীতিতে এসব কাজে জড়িয়ে পড়ে নি। যারা অর্থের অভাবে বা ভয়-ভীতিতে রাজাকারদের সহযোগিতা করেছে তাদের বেশির ভাগ ছিল সমাজের গরীব শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
১২ এপ্রিল ১৯৭১ সালে শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের কন্যা রইসী বেগমের বিবৃতি পাকিস্তানী ও জামাতিদের পত্রিকা দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশ করা হয়। সেখানে তিনি বলছেন “২৬ শে মার্চ ছিল পূর্ব পাকিস্তানের বিপদ মুক্তির দিন।” শেরে বাংলা এ, কে, ফজলুল হকের কন্যা ও পাকিস্তান জমিয়তুল সিলম-এর প্রেসিডেন্ট রইসী বেগম সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন যে, ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ছিল একটি শক্র-পক্ষীয় ও যুদ্ধংদেহী শক্তির কবল থেকে আমাদের অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানের সাত কোটি জনগণের বিপদ মুক্তির দিন। তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রিয় পাকিস্তানের সীমান্তের ওপান থেকে শক্র-পক্ষ কর্তৃক সংগঠিত ও প্ররোচিত কতিপয় দেশদ্রোহীদের দ্বারা চরম ভয়ভীতি ও হুমকির মধ্যে কাল কাটাচ্ছিলাম। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ মহান আল্লাহ-তায়ালা লাঞ্ছিত ও অত্যাচারিত মুসলমানদের সারা রাতের আকুল প্রার্থনা কবুল করেছেন এবং পাকিস্তানকে সমূহ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তিনি আরো বলেন, এটা এখন দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার যে, শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের জাতশত্রুদের সহায়তায় পাকিস্তানের ৭ কোটি জনগণের এ অঞ্চলকে বিশ্বনাথ, কালী ও দুর্গার মন্দিরে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। তিনি আরো বলেন, তারা পাকিস্তানের পাক-ভূমি থেকে সার্বজনীন ইসলামী সংস্কৃতি ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে রইসী বেগম বলেন, “আল্লাহু আকবরের” স্থলে শেখ মুজিব পৌত্তলিকদের যুদ্ধের শ্লোগান “জয় বাংলা” আমদানি করেছিলেন। তিনি হুঁশিয়ার দিয়ে বলেন, তারা যদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এ ধরণের নাশকতামূলক কার্যকলাপ থেকে বিরত না থাকে তবে পাকিস্তানের জনগণ জানে কিভাবে তার দাঁতভাঙা জবাব দিতে হয়। রইসী বেগম ২৬শে মার্চকে পবিত্র দিন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ঐ দিনে বাংলাদেশে ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। এই নিহত মানুষগুলোর রক্তের উপর দাঁড়িয়ে তিনি পাকিস্তানীদের গোলামি করে পত্রিকায় বিবৃতি দেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর কর্তৃক নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও পৃথিবীতে হচ্ছে। যেখানে তাদের পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই তাদের বিচার করা হচ্ছে। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে গার্ডিয়ান অনলাইনে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়- জার্মান প্রসিকিউটররা ৯১ বছর বয়স্ক এক নারীর বিরুদ্ধে নাৎসিবাদী হত্যাকাণ্ডের সহযোগিতার জন্য ২ লাখ ৬০ হাজার দফা অভিযোগ এনেছেন। এই নারী তখন নাৎসি এসএসয়ের সদস্য ছিলেন এবং অচউইটজ বধ্য শিবির কমপ্লেক্সে কাজ করতেন। এ মহিলা ১৯৪৪ সালের এপ্রিল থেকে জুলাইয়ে ক্যাম্প কমাড্যান্টের একজন রেডিও অপারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সম্পর্কিত জার্মান আইনের কারণে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
প্রসিকিউটররা যুক্তি প্রদর্শন করে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে হত্যা-অপরাধে সহযোগিতার অভিযোগ আনা যেতে পারে। কারণ, ডেথ ক্যাম্প পরিচালনায় তিনি সহায়তা করেছিলেন। এ বছরের প্রথম দিকে ৯৪ বছর বয়স্ক অচউইজয়ের সাবেক এসএস সার্জেন্টকে একই কারণে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ৪ ডিসেম্বর ১৯৭১, পাকিস্তানপন্থী মহিলারা খুলনায় এক সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে তারা মহিলা সমাবেশকে শত্রুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারের আহ্বান জানায়।
তবে বাংলাদেশে যেসব মহিলা রাজাকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা কেউ জার্মানীর নাৎসী বাহিনীর নারীদের মতন চাকুরীজীবী ছিলেন না। এরা নিজেদের চিন্তা-চেতানা ও পারিবারিক আদর্শের কারণে পাকিস্তানীদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন। এদের অনেকের পরিবার পূর্ব থেকে পাকিস্তানী ছিল। আবার অনেকে ছিল পুরোটাই এই বাংলার! আসুন দেখি কারা ছিল সেই মহিলা রাজাকার।
জানুয়ারি মাসের সংবাদ। রবিবার ১৭ই পৌষ ১৩৭৮। সাইম সরকার নিখোঁজ। সেই সংবাদের পাশেই নিউজ হয়েছে- আরো ৩৯ জন দালার গ্রেফতার। ৩৯ জনের নাম প্রকাশ করা হয় হয় এর মধ্যে দুইজন নারীর নাম রয়েছে। নামগুলো হল- এদেরকে গ্রেফতার করা হয় ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে।
২৫ নম্বর নামটি বেগম রোকেয়া আব্বাস।ঢাকা
২৯ ফরিদা বেগম। শিবচর ফরিদপুর।
জরিনা’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা, ৭ জানুয়ারি ১৯৭২ । সেক্টর ২-এর অধীনস্থ সিদ্দিক বাজার গেরিলা ইউনিটের দুর্ধর্ষ সেনানীরা কুখ্যাত জরিনা’কে গ্রেফতার করা হয়। এই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীর সহায়তা করতো এবং গেরিলা কার্যকলাপ সম্বন্ধে তাদের কাছে খবরাখবর আদান প্রদান করতো। গ্রেফতারের পর জরিনা স্বীকার করে যে, তার সহায়তায় পাক বাহিনী বহু মেয়েকে ধরে নিয়ে যায়। জরিনা অবশ্য দাবী করে যে, এই সমস্ত মেয়েদের ভরণ-পোষণের ভার তা (জরিনা) হাতেই ন্যস্ত ছিল।
পত্রিকার কপির ঋণ স্বীকার: PID, Ministry of Information। এছাড়া লেখাটি লিখতে সহযোগিতা করায় সাব্বির হোসাইনের কাছে ব্যক্তিগতভাবে ঋণী।
(লেখাটি দুই বছরের বেশি সময় আগের লেখা। প্রথমে ভেবেছিলাম আমি আর ক্যামেলিয়া এক সাথে ব্লগটি লিখবো। আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের অপেক্ষায় পরে তা আর লেখা হয়নি। তথ্য লেখাটি আরও বেশি তথ্য সমৃদ্ধ করার জন্যে কিছু বইয়ের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু দেশের বাহিরে থাকলে বই সংগ্রহ করা খুব সহজ কাজ নয়।। ব্লগের ব্যবহৃত ছবিগুলো আমাদের লেখার জন্যে বাঁছাই করা হয়েছিল।। নারী রাজাকার নিয়ে ক্যামেলিয়া ইতোমধ্যে একটা ব্লগ লিখেছে এবং তাতে এই ছবিগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।। একই ছবি দেখে যাতে কারও বিভ্রান্ত তৈরি না হয় তার জন্যে এই কৈফিয়তনামা।)
Leave A Comment