লিখেছেনঃ রঞ্জন নন্দী
.
টগবগে পাঁচ পাঁচটি যুবক, একই পাড়ায় ঘর
ধর্ম জাতি ভিন্ন হলেও বন্ধু হরিহর
একটি ছিল নাস্তিক টাইপ মানতো না সে কিছু
চাপাতিবাজ আস্তিকে তার ছুটতো পিছু পিছু
একদিন এক দুপুরবেলা কুপিয়ে গেল তাকে
চারবন্ধু দৌড়ে পালায় কে বাঁচাবে কাকে
একটি তাদের বৌদ্ধ ছিল মাছ মাংস মানা
এক সন্ধ্যায় তার বাড়িতেও চাপাতি দেয় হানা
তিনবন্ধু খবর পেয়ে লুকিয়ে কাঁদে খুব
যেন কিছুই হয়নি তারা প্রকাশ্যে নিশ্চুপ
আরেক জনাও ধার্মিক খুব প্রিস্ট হবে গির্জায়
প্রাণ হারালো একই ভাবে মৌলবাদীর ঘায়
দুইবন্ধু দুঃখ পেল রা নেই তবু মুখে
বললে কিছু তারও যদি ছুরি চালায় বুকে?
আরেক বন্ধু হিন্দু ছিল, থাকতো সে মন্দিরে
আগুন দিল তার আবাসে রাতেই ম’লো পুড়ে
শেষ বন্ধু বাক্রুদ্ধ এখন সে যে একাই
নিঃসঙ্গ সময় কাটে পিছন ফিরে দেখায়
তবুও মনে সাহস বেজায়, পায়নি কিছু ভয়
নাস্তিক নয়, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান-ও সে নয়
ভয় কী আমার? ভাবতে ভাবতে কিনতে গেল জামা
মরে গেলো, টের পেল না, শপিং মলে বোমা ।।
.
( যোগীন্দ্রনাথ সরকারের কবিতা ‘হারাধনের দশটি ছেলে’ র অনুকরনে লেখা এই ছড়া/কবিতাটি )
জাত -র্ধম ছাড়া মানুষ হিসেবে বাঁচতে চাই…
এমন যদি হতো
মানুষ সমান মানুষ
ধর্ম নাহি রইতো …
অনেক সুন্দর হইছে, উন্মাদদের কোন ধর্ম লাগেনা, তাদের ধর্মই চাপাতি,,,
বাংলারবের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। আদিবাসী হলেও রক্ষা নেই কিন্তু বাংলারবে।
আসলেই চাপাতির সামনে সবাই বড় অসহায়। চাপাতি চালকের সামনে অপেক্ষা করছে অনন্ত কাল বেহেস্তের সুখ। মদ-মাংস -মাগী এসব পাওয়ার লোভেই চাপাতি দিয়ে খুন! আর এইসব তারা শেখে ধর্ম থেকে, ধর্মীয় গুরুদের কাছ থেকে।
চমৎকার। আরো লিখুন।
মুক্তমনায় স্বাগতম।
ধন্যবাদ, কাজী রহমান ভাই । আপনার মন্তব্য ও অনুপ্রেরণার জন্য ।