শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত মহোদয়কে লাঞ্চনাকারী প্রভাবশালী , ক্ষমতার শীর্ষে আরোহী, আইন প্রণেতা একজন মুসলমান ( তিনি নিজ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ব্যবহার করেছেন ধর্মকে ,তাই উনার পরিচয় দেয়া হল , মুসলিম নেতা হিসাবে) , যেভাবে ও ভঙ্গীতে মান্যবর একজন হিন্দু ( যেহেতু উনার ধর্মীয় পরিচয় কাজে লাগানো হয়েছে ) শিক্ষককে অপদস্ত করেছেন , তা নজিরবিহীন । তিনি আইন প্রণেতা হয়ে আইন ভেঙ্গেছেন, তিনি সকল ধর্ম বিশ্বাসীদের প্রতিনিধি হয়েও, তাঁর নিজ ধর্ম বিশ্বাসকে ব্যবহার করেছেন, অন্য ধর্ম বিশ্বাসীকে তাঁর মান-মর্য্যাদা ধুলিস্মাৎ করে দিয়ে, রুটিরুজির অধিকার থেকে উচ্ছেদ করার জন্য ।
প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে, ঘটনার পরপরই । দেশের মানুষ, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে যেভাবে ও ভঙ্গীতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন, তার ধরণ ধারণ নিয়ে অনেকে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছেন । আমি সেই বিতর্কে যাব না ।
ঘটনা এখানে থেমে নেই। বাঁশখালী ও গাইবান্ধায় যখন চলছে নির্যাতন , নিপীড়ন ; তখন সারাদেশে চলছে অন্য ধর্মাবল্মীদের খুন, ভূমি থেকে উচ্ছেদ, ধর্ষণ – বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ।
এই দৃশ্যপট মাথায় রেখে, এবার বিবেচনা করে দেখুন , যারা , যেভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে থাকুক , তারা কারা ? যে ধর্মকে শাসক শ্রেণী অত্যন্ত সাফল্যের সাথে , নিজেদের স্বার্থ বজায় রাখা এবং স্বার্থের পরিধি বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করে যাচ্ছে, তার বিপরীতে, নিজ ধর্মের বলয় থেকে বেরিয়ে এসে, যারা যেভাবেই প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন, তাকে অভিনন্দিত করতে না পারলেও, নিন্দামন্দ করা থেকে বিরত থাকুন। লক্ষ্য রাখবেন, আমরা কিন্তু জনগণের মধ্যে কোন রকম ঐক্য গড়ে তুলতে পারিনি, এক একটি ঘটনায় , ঐক্য গড়ে উঠলে, তাকে ধ্বসিয়ে না দিয়ে কীভাবে, আরও গঠনমূলক , আরও সংহত, আরও জোরদার করা যায়, চিন্তা শক্তিকে সেইদিকে প্রয়োগ করুন ।
জনগণের মধ্যে ঐক্যটা দরকার , খুব দরকার ।
বাংলাদেশ কিন্তু এর প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে।
মানুষ এখনও আছে, এখনও আমরা স্বপ্ন দেখতে পারি। স্বপ্ন মরে গেলে আর কিছু থাকে না করার । ধন্যবাদ দিদি
কোন আশা নেই… 🙁
আশা আকাশ থেকে পতিত হবে না , তার জন্য নিরন্তর লেগে থাকা লাগে । ধন্যবাদ।
নিজের স্বার্থের জন্য এরা ধর্মকে ব্যবহার করছে ।
এবং নিজ নিজ স্বার্থে সমাজের বিভিন্ন স্তরে এর ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
যথার্থই বলেছেন যে জনগনের মধ্যে ঐক্যটা দরকার! অন্তর্জালে যা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে অন্ততঃ এক্ষেত্রে ধর্মীয় বিশ্বাস বেশীরভাগ বাংলাদেশীকে অন্ধ করে দেয় নি।একজন শিক্ষকের এরকম অপমান মানতে মানুষের কষ্ট হয়েছে (কিছু অন্ধ ধার্মিক ছাড়া)। তারপর যখন দেখেছে ঘটনাটি খুব-সম্ভব সাজানো আর স্থানীয় প্রশাসন বিবেক-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে তর্জনী-নির্দেশকারী সাংসদের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে, তখন তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। আমাদের সমাজে এখনও শিক্ষকদের কিছু সম্মান অবশিষ্ট আছে। যখন তথাকথিত ক্ষমতাশালীদের হাতে তাঁরা নিগৃহীত হন, তখন এধরনের প্রতিবাদ হওয়াই কাম্য; তিনি হিন্দু, কি মুসলমান, নাকি নাস্তিক তা বিবেচ্য হওয়া উচিত না। আমার ভাল লেগেছে জেনে যে, দশম শ্রেণীর যে ছাত্রটিকে শিক্ষক মারধর করেছিলেন সেই রিফাত আর তার মা ঘটনা সম্পর্কে সত্য কথা বলেছেন। সত্য আর ন্যায়ের পেছনে সাহসী মানুষেরা এভাবে একজোট হলে অমুসলিমরা আমাদের দেশে যে হয়রানির শিকার হন তার অনেকটাই প্রতিরোধ সম্ভব।
এখনও সব শেষ হয়ে যায়নি। এখনও ঘুরে দাঁড়াবার সময় ফুরিয়ে যায়নি। ধন্যবাদ মান্যবর মনজুর মুরশেদ।
:negative:
স্বপন মাঝির বক্তব্যের সাথে একমত না হলে তা বুঝিয়ে বলুন। কেবল ইমো দিয়ে বিদায় নেয়া আলোচনার জন্য যথেষ্ট নয়।
বাংলাদেশে ক্ষমতাশালীরা কী না করতে পারে? আর ক্ষমতাশালী যদি হয় সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমান, এবং সরকারি দলের চামচা এবং অত্যাচারের টার্গেট যদি হয় সংখ্যালঘু হিন্দু তাহলে তো সোনায় সোহাগা। শ্যামল কান্তি ভক্তের উপর সেলিম ওসমান যে নির্যাতন করেছে তা হচ্ছে তার সামান্য নমুনা মাত্র।
এই অত্যাচারের প্রতিবাদ সর্বসাধারণ যেভাবে করছেন তা ইতিবাচক।
যথার্থ বলেছেন, মানুষ একদিন তার নিজের প্রয়োজনেই জেগে উঠবে, আমরা কেবল , ইন্ধন দিতে পারি ।
হ্যা, সত্য এবং ন্যায়কে একদিন গ্রহণ করবে মানুষ।
মানুষের উপর বিশ্বাস হারাব না । বিশ্বাস করি, একদিন মানুষ জেগে উঠবে, নির্ম্মাণ করবে, নূতন দুনিয়া ।