আজ (৬ এপ্রিল, ২০১৬) তারিখে আনুমানিক রাত নয়টায় পুরান ঢাকার সুত্রাপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদকে হত্যা করা হয়েছে। নাজিমুদ্দিন ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ, মানবতাবাদী বাংলাদেশ গঠনের সোচ্চার কন্ঠ। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাস শেষে বাসায় ফেরার পথে সুত্রাপুরের একরামপুর মোড়ে মটরসাইকেল আরোহী কয়েকজন যুবক তার পথরোধ করে তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে, মাথায় গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে “আল্লাহু আকবার” স্লোগান দিয়ে চলে যায় বলে জানিয়েছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা।
হত্যাকান্ডের ধরণের সাথে ইসলামী জঙ্গিদের হত্যাকান্ডগুলোর মিল থাকলেও এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করে নি।
আরও দেখুন
পুরান ঢাকায় জবি ছাত্রকে কুপিয়ে, গুলি করে হত্যা
রাজধানীতে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সিলেটের ছাত্র খুন
নাজিমুদ্দিন সামাদের ফেসবুক পাতা থেকে
"মাথা নত করে চুপ হয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে এ মরাটাই বোধ হয় ভালো।"-নাজিমুদ্দিন সামাদ
Posted by Somudro Saikat on Wednesday, April 6, 2016
1/ মানুষ নাকি আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব!!!একটা বাঘ কিংবা সিংহের সামনে দাড়িয়ে এ কথা বলুন।স্রষ্টার আরোপিত …
Posted by নাজিমুদ্দিন সামাদ on Tuesday, March 24, 2015
যতোগুলোর কথা বলছেন ততোগুলো জঙ্গি আর উগ্রবাদি বের হয়ে আসবে।দুধ-কলা দিয়ে সাপ পুষছেন!এই সাপগুলা একসময় আপনাকেই দংশন করবে এবং…
Posted by নাজিমুদ্দিন সামাদ on Friday, April 1, 2016
মৌলবাদিরা প্রথমে ধর্মবিদ্বেষীদেরখুঁজে বের করলো,তারপর তাদের হত্যা করলো,আমি প্রতিবাদ না করে হাততালিদিলাম,এবং বাসায় ব…
Posted by নাজিমুদ্দিন সামাদ on Tuesday, March 29, 2016
ক্ষুদ্র মনারা বিশ্বাস আর ভক্তির জোরে যুগ যুগ ধরে বেঁচে আছে। পৃথিবী আজো বসবাস যোগ্য। আর বৃহৎমনা বা মুক্তমনারা এমন এক পৃথিবী উপহার দিতে যাচ্ছে যেখানে বড় বড় হৃৎপিন্ড ওয়ালা মানুষ থাকবে। তাহলে ক্ষুদ্রমনারা বা খুদ্র হৃৎপিন্ডওয়ালারা কোথায় যাবে? তাদেরকে কী এ ধরায় রাখা হবে?
নাজিম উদ্দিন বা এমনি অনেক ব্লগারের করুণ মৃত্যু আর মুক্তমনাদের আহাজারী কোন সমাধান নয় আশা করি। মুক্তমনা ব্লগাররা মুক্তমনেই ব্লগিং করুক কিন্তু মুক্তমনে ব্লগিং করতে গিয়ে আরেকজন অমুক্ত মনের লোককে যখন আঘাত দিয়ে ফেলবেন তখন সে যদি সাইকো ধরণের হয় নির্ঘাৎ সে পাল্টা আঘাত করতে চলে আসবে। সমস্যা হচ্ছে বর্তমান এ সময়ে এরকম ধর্মের নামে কিছু সাইকোর জন্ম হয়েছে। আর তাদের জন্মদাতা হচ্ছে মুক্তমনের কিছু সাইকো। সব ব্লগার নয়। সামগ্রিক বিবেচনায় আপনার আমার কারোরই উচিৎ নয় তার বিশ্বাস আর ভালবাসায় আঘাত হানা। এখানেই বিপত্তি ঘটেছে। সুতরাং এ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অত্যন্ত বেদনাদায়ক নির্মম হত্যাকান্ডগুলি যেন আর না ঘটে তার জন্যে সকলের সচেতন হতে হবে। প্রকৃত খুনি অনুসন্ধান করতে হবে। রাষ্ট্রযন্ত্র এ বিষয়ে নিরপেক্ষে ও আন্তরিক নয় তাই খুনিরা ধরা পড়ছেনা। অথচ এটা দিয়ে তারা বিশ্ববাসীর কাছ থেকে ক্রেডিট নিচ্ছে। আফসোস!
‘ মুক্ত মনা’ আগামী বিপ্লবের পথিকৃত। তোমাদের প্রচেষ্টায় মানব মনে আজ বিপ্লব আসন্ন, তাই ‘ক্ষুদ্র মনা’-রা আজ ভীত ও সন্ত্রস্ত, তাই বারবার আঘাত হানছে তোমাদের উপর রক্ত ঝরাচ্ছে তোমাদের। তারা জানে না বিপ্লবীদের রক্তে ভেজা লাল পথ দিয়ে বিপ্লবের আগমন ঘটে ওরা জানে না বিপ্লবীরা রক্তবীজের বংশ এদের যত আঘাত হানা যায় এদর সংখ্যা তত বৃদ্ধি পায়…
“মাথা নত করে চুপ হয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে এ মরাটাই বোধ হয় ভালো।”
-নাজিমুদ্দিন সামাদ। কী সাহসী উচ্চারণ ! আপনি মাথা উঁচু করেই চলে গেছেন নাজিমুদ্দিন। আপনাকে স্যালুট।
নাজুমুদ্দিন সামাদের মতো মানুষদের চলে যেতে হবে তা চাই না।
নিহত হয়ে নাজিম হয়েছেন বীর, ব্লগবীর; অনলাইনবীর, ফেইসবুকবীর। আর তাকে হত্যাকারী কুলাঙ্গারগুলো হয়েছে মানুষের বিষ্ঠাতুল্য। নাজিমের বিরোচিত অন্তর্ধান আরও বহু মুক্তমনা’র জন্ম দিয়েছে, দিয়ে যাবে। নাজিমরা অনন্তকাল মানুষের ভালবাসা পেয়ে যাবে। আর ঐ বিষ্ঠাতুল্য কুলাঙ্গাররা তাদের আপনজনসহ সবার কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে থাকবে। এ প্রক্রিয়ায় ক্রমান্বয়ে এমন একদিন আসবে যখন তারা নিজেরাই নিজেদের কুলাঙ্গার ভেবে ঘৃণা করতে শুরু করবে। তারপর, আত্মঘাতী হবে। এমন কুলাঙ্গার তারা যে কেউ তাদের হত্যা করতেও ঘৃণা করবে।
নাজিমের ত্যাগের মহিমায় সৃষ্ট হওয়া হাজার নব নাজিমরা তার উঠানো মুক্তমনা পতাকা উদিত রাখবে চিরকাল।
এই হত্যাকান্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। আমি বাকরুদ্ধ। তবে একথা জানি এভাবে মুক্তমনাদের স্তব্ধ করা যায় না। অন্তত ইতিহাস সে কথা বলে না। ধর্মান্ধরা একদিন মুছে যাবেই..
ঠিক বলেছেন।
😥
:bye:
একদিন আমরা সবাই আপনার পথের সাথী হব , তবুও কোনদিন বাংলাকে ৭১ এর পরাজিত শত্রুদের হাতে ছেড়ে দিব না… এমন প্রতিজ্ঞাই আপনার স্বর্নময় জীবন বলিদানের প্রতি থাকল।
আপনার কথা স্বরণ রেখেই আপনার লেখা কোট করছি
“মাথা নত করে চুপ হয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে এ মরাটাই বোধ হয় ভালো।”
-নাজিমুদ্দিন সামাদ
হ্যা,এজন্যই নাজিমুদ্দিন সামাদরা কাপুরুষের মত মরে না,মরে বীরের মত এবং তারাই শেষত সবার শ্রদ্ধার পাত্রে পরিনত হয় । সমাজের কোটি কোটি ভোঁতা মাথায় ধাক্কা মারে এবং জানান দিয়ে যায় মৃত্যু শ্বাশতঃ,এই আছি এই নাই কিন্তু জীবন চলমান,সেটা বদ্ধকর কোন ডোবা নয়,তাই সেটাকে প্রগতির দিকে ধাবমান করাই আমাদের সবার দায়িত্ব। একথা বুঝতে যত আমাদের দেরী হবে তত বেশী আমাদের ঘর আগুনে পুড়ে ছাই ছাই হবে।
কি নিষ্ঠুর অপ-রাজনীতির ছোবলে বাংলা আজ ক্ষত-বিক্ষত,পরাজিত শত্রুদের রক্তের হোলি খেলা তো মাত্র শুরু হয়েছে……এ রক্তের বন্যা দীর্ঘতর।।এখানে কেউ যদি মনে করে আমি তো নিরাপদ তাহলে তারা ,আমরা এখনো অন্ধকারেই পড়ে আছি।তাই সাধু সাবধান।জাগো বায়ে জাগো , সময় হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় ধাপ সম্পন্ন করা, এবং ইস্পাত-কঠিন একতাবদ্ধ হয়ে এই পরাজিত শত্রুদের আর অপ-রাজনীতির করালগ্রাস থেকে ভন্ড-মাফিয়া রাজনীতিবিদদের ময়লা-ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করার যা সময়ের একমাত্র করুন দাবী।
জয় বাংলা।
ধর্মনিরপেক্ষ, মানবতাবাদী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে যারা একে একে তারা সবাই আক্রমণের স্বীকার হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী, আইজিপিরা হুরের থুক্কু বোকার স্বর্গে বাস করেন বলেই ভাবেন, শুধু নাস্তিকরাই মার খাবে বিশ্বাসের ভাইরাসের।
মানুষ খুন হলে যেখানে সরকার ও পুলিশের দায়িত্ব বেড়ে যাওয়ার কথা , সেখানে দেখা যাচ্ছে মানুষ খুন হলে সরকার হাফ ছেড়ে বেচে যাচ্ছে। নতুন নতুন মানুষ খুন নতুন খুনের দিকে সবার নজর, পুরাতন বিস্মৃত। ঘাতকেরা কড়া নাড়ছে নতুন কারো দরজায়। এই চক্র ভেদ হবে যেদিন নিজেদের দিকে খুনী ধেয়ে আসবে। সেইদিনের মনে হয় আর বেশি দেরি নাই। সামসুর রাহমানের বিখ্যাত কবিতা “উদ্ভট ঊটের পিঠে চলছে স্বদেশ” বা রুদ্র মুহম্মদের কবিতা “জাতির পতাকা আজ খামছে ধরেছে সেই পুরনো শকুন”- দেশে এখন সেই অবস্থা বিরাজমান।
দেশের বাতাস এখন ভারী হয়ে গেছে মানুষের লাশের গন্ধে। মানুষ কবে মুক্তি পাবে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ থেকে বা আদৌ পাবে কি না কারো কি জানা আছে?
“জাতির পতাকা আজ খামছে ধরেছে সেই পুরনো শকুন”
এ সহজ সত্য বোঝার ক্ষমতা ভাইরাস আক্রান্ত মনের থাকে না, তাই দেখছি।
মন্তব্য…ধর্মান্ধ,জঙ্গি,তালগাছ বাদীদের কাছে আবারো মানবতার পরাজয়। কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।
🙁
মন্তব্য…আপনি আমার মন্তব্যের রিপ্লাই দিয়েছেন তাতে আমি খুবই আনন্দিত।
নক্ষত্রলোকের লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র থেকে আর একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র আকালে খসে পড়লো। ভয় নেই আর উজ্জ্বল নক্ষত্রের জন্ম হবে।
ইতিহাস তাই বলে।
ধন্যবাদ আপনার এইরকম চিন্তার জন্য আলী আসমান মহাশয়। আসলে কি জানেন আমরা দুর্বল চিত্ত।মুক্ত মনা আন্দোলন চলুক জয় হোক মানবতার।
অনেকদিন পর আপনার খোঁজ পেলাম গাঙ্গুলী মহাশ্য, ভেবেছিলাম আমাকে বোধহয় ভুলে গেছেন। কিন্তু দেখছি আমি ভুল, আপনি ভুলেন নি। এখানেই মনের একাত্মতা। আমাদের চিন্তা ধারা এক ই স্রোতের ধারায় প্রবাহ্মান। হয়তো সামান্য ডাইনে বা বাঁয়ে ঘুরে, লক্ষ্য আমাদের এক। ব্রত্মান সমাজে মানব ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করা আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যকে পূর্ণতা দেওয়া আমাদের মুক্তমনাদের কর্তব্য।
ভুলব কেন আপনাদের আলি আসমান মহাশয় , পরে দেখা হবে, আমি ভাল নেই আসলে।
একটার পর একটা হত্যাকাণ্ড ঘটেই চলেছে। মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা মুক্তমনারাও হয়তো ঈশ্বরের কোন পয়গম্বরের জন্য অপেক্ষা করছি। বুদ্ধির মুক্তি অর্জন করে কি লাভ যদি সেই বুদ্ধি অচলায়তন ভাঙ্গার, অন্ধকারের শক্তির বিরুদ্ধে লড়ার কোন পথই বাহির করতে না পারে।
নাহ, কোনো পয়গম্বরের জন্য অপেক্ষা করছি না। চাপাতি দিয়ে কাউকে জবাই করার কতো অমানুষ হই নি, যে যুদ্ধে আমাদের জোর করে নামানো হয়েছে সেই যুদ্ধে আমাদের হাতিয়ার একটাই, লিখে যাওয়া, মানুষের সামনে জ্ঞান-বিজ্ঞান তুলে ধরা, যেনো সে চিন্তা করতে শেখে, তথ্য বিশ্লেষণ করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে শেখে।
নাজিমুদ্দিন সামাদ সত্য বন্দরের পথ দেখানো আরো একটি উজ্জ্বল বাতিঘর। ছেলেটি নিজের জন্য কিছু চায়নি; বন্ধুদের করুনা বিলাপ চায়নি, চেয়েছে বাকি সবার মঙ্গল; চেয়েছে বাংলাদেশের মৌলবাদী গোষ্ঠির পতন। হে তরুণ নবীন প্রাণ; নাজিমুদ্দিন সামাদের জন্য ভালবাসা রেখো প্রাণে; রেখো তার সঙ্গত ইচ্ছেপুরনের অভিপ্রায়; নতুন প্রজন্মের জন্য হে বন্ধু; নতুনদের সুন্দরের পথে সুস্থ হয়ে বড় হতে দাও।
কয়জন নাজিমুদ্দিনকে হত্যা করলে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে জানি না।
আমরা এর বিচার কি চাইব না!
বিচার চাই, একই সাথে চাই সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক পরিবর্তন। নতুবা বিচার করে কয়দিন? আজ যারা হত্যার পর লেখককেই দায়ি করে তাদের বিচার হবে কোন আদালতে?
অভিজিৎদা কে হত্যার পর থেকে কলম চলতে চায় না।কেমন যেন থমকে গেছি।
অভিদাকে হারানোর ক্ষত কখনই ভোলার নয়।
আজকেই খবর টা পড়লাম এখানে http://m.bdnews24.com/bn/detail/bangladesh/1132535
কি সর্বনাশের কথা রে ভাই। উনি তো সেভাবে লেখালেখিও করতেন না। একজন স্বাধীনচেতা মানুষ, যিনি তার চিন্তা-ভাবনা, তার পছন্দের বিষয়গুলি ফেসবুক এ শেয়ার করতেন। এটা তো আমরা অনেকেই করি, মুক্তমনা আমাদের জন্য একটা প্লাটফর্ম। মুক্তমনার লেখাগুলি যাদের ভাল লাগে, তারা শেয়ার করি, এইতো। এখন তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো ? এই যে, ধর্মের সমালোচনা করে লেখালেখিই শুধু নয়, যারা এই লেখালেখির প্রতি নীরবে অথবা সরবে সমর্থন করেন, তারা কেউই ইসলামের খড়গ থেকে মুক্তি পাবেন না। যারা বাইরে থাকি, তারা হয়ত কিছুটা নিরাপদ; কিন্তু এখন এমন হয়ে গেছে ব্যাপারটা, অন্য সমমনা মানুষদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাদেরকে Friend list থেকে unfriend করে দিতে হবে। জানিনা ব্যাপারটা বুঝাইতে পারলাম কিনা। Unfriend করতে হবে সমমনা মানুষগুলোর নিরাপত্তার কথা ভেবেই যাতে অন্তত chain of friends list ধরে trace করতে না পারে ইসলামী মুমিন গুলো। এই মুমিন দের ভিতর কিন্তু অসম্ভব দক্ষ IT Professional আছে (আমি আইটি প্রফেশন এ আছি বলেই বলছি। আমি চিনি একজনকে যিনি মুক্তমনায় অনেক কমেন্ট করেছেন, বাংলাদেশ এর একজন Top Level Programmer; Microsoft এ কাজ করেন; অসম্ভব দক্ষ এবং … অসম্ভব রকমের ‘মুমিন’, চরম ভাবে ‘বিশ্বাসী’; নাম বললাম না এখানে)। এরা একেকজন হ্যাকিং মাস্টার ও বটে । এরা যে সবাই চাপাতি নিয়ে দৌড়বে, তা নয়। এরা পরোক্ষভাবে সহায়তা করতে পারে ‘সহি ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার জন্য। Online tracing একটা উল্লেখযোগ্য সহায়তা। ‘ইসলাম প্রতিষ্ঠার’ ক্ষেত্রে পূর্ব শর্ত, “To find the target”। সবাইকে অনুরোধ করব (জানি ব্যাপারটা হয়ত আপনারা ইতিমধ্যেই অবগত, তারপরেও বলছি), ফেসবুক এ কখনই লোকেশান (Geo location/map/address/city/state etc), জন্ম তারিখ, ফোন এবং ইমেইল প্রকাশ করেবেন না।
“যারা বাইরে থাকি, তারা হয়ত কিছুটা নিরাপদ”
বিশ্বাসের ভাইরাস থেকে নিরাপদ কেউই না, না বাংলাদেশ, না সিরিয়া, না প্যারিস কিংবা ব্রাসেলস।
“মুমিন দের ভিতর কিন্তু অসম্ভব দক্ষ IT Professional আছে”
কথাটা অসম্ভব সত্য। বাংলাদেশের আইএস রিক্রুটার হিসেবে গ্রেফতার হয়েছিলেন আমিন বেগ, যিনি নিজেও একজন আইটি বিশেষজ্ঞ, দীর্ঘদিন রবির হেড অফ আইটি হিসেবে কাজ করেছেন।
হত্যাকারীদের একটা উদ্দেশ্য থাকে।
আমাদের থমকে দেয়, ব্যাথায় মুষড়ে পড়তে বাধ্য করার প্রবল জিঘাংসা নিয়ে হত্যাগুলি ঘটানো হয়।
এবার কি আমরা হত্যার শিকার হবো?
নাকি হত্যাকারী এবং তাদের প্রতিপালকদের চিনে নেবো, হত্যায় যে কণ্ঠ রোধ হয় না, তা কি এখনো বোঝে নাই তারা?
সেইটা বুঝলে তারা মানুষ খুনের বদলে নিজেরা মানুষ হবার চেষ্টা করতো।
যে রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তি মানুষকে বিশ্বাসের পাল্লায় বিশ্লেষণ করেন, সে রাষ্ট্রে বিচার চাওয়াটাই অমুলক, বিচার চাই না, হত্যার প্রতিশোধ চাই।
প্রতিশোধ নেবো আমরা লিখে, আরো মানুষকে আলোকিত করে, মানুষের কাছে জ্ঞান-বিজ্ঞান তুলে ধরে। কয়জনকে মারবে? পৃথিবীর ইতিহাসে তো অভিজিৎরা কম হারালো না, তবুও আমরা সামনে আগাবো।
I am in dead shock but not surprised a bit.
সেটাই, রুটিন করে আলোকিত সন্তান হারানো এখন বাংলাদেশের নীতি, অবাক হুই না, স্তব্ধতা কাটে না শুধু।
বাংলাদেশে আইন করে মুক্তচিন্তা করা, নাস্তিক হওয়া কিংবা অমুসলিম হওয়া নিষিদ্ধ করাটাই শুধু বাকি।
একে একে সবই আসবে।
যে দেশের প্রধানমন্ত্রীরও ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট থাকে সে দেশে যে দৈনিক এমন খুন হচ্ছে না সেটাই বরং অস্বাভাবিক।
আমারও ধর্মানুভূতি আছে, আমারও আঘাত লাগে, এ ধরণের কথা জংগিদের হত্যাকান্ডগুলোর :negative: বৈধতা দেয়। একজন মানুষ কথা বলার অপরাধে খুন হবার পর যখন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন তখন বিক্ষুদ্ধ লাগে।
ইসলাম শান্তিকামী ধর্ম – এটা মুসলমানদের আর কত প্রমাণ করবে হবে? বিশ্ববাসী এখনো কেন বোঝে না?
বুঝেই বা কি হবে। বুঝে কিছু বলতে গেলে তো চাপাতি চলবে, সেটা ঢাকায় হোক, বা প্যারিসে। কেউ তো নিরাপদ নয় বিশ্বাসের ভাইরাস থেকে।