২০১৫ সালের ত্রিশে মার্চ নাস্তিক ব্লগার ওয়াশিকুর বাবুকে বাসা থেকে পাঁচশ গজ দূরে অফিসে যাবার পথে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ইসলামি বিশ্বাসের ভাইরাস। বাবুকে হারিয়ে ফেলার এক বছরে বাবুকে স্মরণের জন্য তার ক্ষুরধার লেখাগুলো সংকলিত করে ইবুক আকারে প্রকাশ করা হলো ‘ফাল দিয়া ওঠা কথা’। বাবুর আলো ছড়িয়ে দিন সবখানে।
ডাউনলোড লিংক: গুগল ড্রাইভ।
ধর্মকারী ডট কমের সৌজন্যে ওয়াশিকুর বাবুর ইবুক: নাস্তিকদের কটূক্তির দাঁতভাঙা জবাব
মূল পোস্ট: http://www.dhormockery.com/2016/03/blog-post_54.html
ডাউনলোড লিংক (গুগল ড্রাইভ): https://goo.gl/HyfUJo
ডাউনলোড লিংক (ড্রপবক্স): https://goo.gl/O1Kk13
ধর্মকারী ডট কমের সৌজন্যে ওয়াশিকুর বাবুর ইবুক: নাস্তিকদের কটূক্তির দাঁতভাঙা জবাব।…
Posted by Mukto-Mona on Wednesday, March 30, 2016
আমি বাবুকে সেলোউট যানাই
আইডিয়াটা অসাধারণ। ধর্মকে কিভাবে নিজের সুবিধার্থে ব্যাখ্যা করে তার উপর একটা ধারনা পাওয়া যায়। সমাজ সচেতনা বাড়াতে এই জাতীয় বইয়ের প্রয়োজন অনেক বেশি।
শুরুতে ভেবেছিলাম কিছুটা অংশ পড়ে দেখবো কেমন লাগে। কখন যে শেষ হয়ে গেল বুঝতেই পারিনি। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে আটকে ছিলাম। এমন আকর্ষন আমি কেবল পেয়েছি মানিক বাবুর লেখায়।
এই লেখাগুলোকে ইবুক আকারে প্রকাশ করে সংরক্ষনের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমার আন্তরিক ভালোবাসা।
ব্লগার সাংবাদিক সাকিব আহমদ মুছা-ওয়াশিকুর বাবুর লেখা “ফাল দিয়া উঠা কথা” পড়ে তাকে ভালো ভাবে বুঝার চেষ্ঠা করালাম। মিটারের ফিতা দিয়ে মেপে অন্তটা খোঁজতে পারলাম না।
মানবতাবাদী ওয়াশিকুর বাবুকে স্যালিউট না করে পারা যায়না। ওর কলমের খোঁচা কত প্রবল, তাকে মেরে প্রমান করে দিল।
যুগ যুগ মানুষের মনে আঁকা থাকবে তুমি।
খুবই ভালো একটা কাজ হয়েছে এটা। :good:
বাবুর লেখা ফেইসবুকে আগে পড়েছি আজ লেখা গুলো এক সাথে পেয়ে আবারো পড়লাম ভাল লাগলো।
ওয়াশিকুর বাবুর লেখা পড়লাম | কিছু কথা মনে হলো তাই লিখছি |
বাবু এক জায়গায় লিখেছেন যে ধর্মগ্রন্থ ছাড়াই ভালো কাজ করা যায় | এইখানে কিছু সমস্যা আছে | পৃথিবীতে যে শাস্ত্র ভালো-মন্দ , নৈতিকতা-অনৈতিকতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তাকে ধর্ম গ্রন্থ বলে | এই একটিমাত্র বই আছে যা মানুষকে ভালো-মন্দ ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদি শেখায় | এছাড়া অন্য কোনো বই যে শিখায় তা আমার জানা নেই | জানালে বাধিত হব | ধর্মগ্রন্থ ছাড়াই ভালো কাজ করা কি করে যাবে যেখানে ঐটি ছাড়া ভালো কাজ কাকে বলে তাই জানা যায় না ?
ধর্মগ্রন্থ ছাড়া ভালো কাজ করা যায় -এই কথাটা অনেকটা বিজ্ঞান না পড়েই বিজ্ঞানি হওয়া যায় বা গণিত না পড়েই গণিতজ্ঞ হওয়া যায়-এর মত শোনাচ্ছে |
দ্বিতীয়ত বাবুর বাকি যুক্তিগুলি সবই ইসলামের নামে মুসলমানদের অপকীর্তির বিবরণ | কিন্তু ইসলামের নামে মুসলমানদের ভালো কাজও তো আছে | সেগুলি কেন অনুপস্থিত ? ইসলামের বড় বড় পন্ডিতরা , যেমন এমাম গাজ্জালি, ইবন আরাবী, আল হাল্লাজ মনসুর, ইবন তুফাইল ইত্যাদি লোকেরা অনেক জ্ঞান্গর্ভ বই লিখেছেন | আব্বাসীয় খলিফাদের (হারুন অল রশিদ ) সময় বাগদাদে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার বিরাট কেন্দ্রে পরিনত হয়, সেগুলোও তো ইসলামের নামেই করা হয়েছিল |
স্পেনে মুসলিম শাসনের সময় কর্ডোভা এক বিরাট জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্রে পরিনত হয়েছিল | এইগুলোও তো ইসলামের নামেই হয়েছিল আর যারা করেছিলেন তারা নিজেদের মুসলিমই বলতেন | এরাও তো নিজেদের মুসলিমই বলতেন | তাহলে এগুলো কেন বিচার্য হবে না ?
মুসলিম বিজ্ঞানীদের কথা না হয় বাদ দিলাম | জনৈক মুসলিম বিজ্ঞানি আলোকের উপরে অসামান্য গবেষণা করেছিলেন | সুতরাং এরা বাদ যাবে কেন ?
এইভাবে দেখলে বুঝা যায় যে ধর্ম খারাপ নয় বরং ধর্মের নামে যারা অত্যাচার করছে তারাই খারাপ | সুতরাং বৃথা ধর্মকে দোষারোপ করা উচিত নয় |
“ধর্মগ্রন্থ ছাড়াই ভালো কাজ করা কি করে যাবে যেখানে ঐটি ছাড়া ভালো কাজ কাকে বলে তাই জানা যায় না ?”
—তাই নাকি ভাই?!! পৃথিবীর অনেক দেশের অগনিত মানুষ কোন ধর্ম বা ধর্ম গ্রন্থ ছাড়াই জীবন কাটিয়ে দেয়। সময়, সুযোগ হলে একবার দেখে আসবেন, মানুষ হিসাবে তারা আপনার আমার চেয়ে খারাপ নাকি ভালো ।
—ধর্মগ্রন্থ গুলো আবিষ্কারের আগে মানুষ কোন ভালো কাজ করেনি এইকথা কি আপনি মস্তিষ্ক সম্পন্ন ব্যাক্তি হিসাবে বিশ্বাস করেন?
—ভালো, খারাপের সংগা বড় আপেক্ষিক, তা নির্ভর করে সময় ও সমাজ, পারিপার্শিকতার উপর। অর্থাত তা পরিবর্ত্শীল। আপনার ধর্মগ্রন্থও কি তাই? পরিবর্ত্শীল ?
—ধর্ম গ্রন্থের অনেক অমানবিক ও আধুনিক যুগে বর্বর বলে বিবেচিত নির্দেশগুলোকে (সতীদাহ, বাল্যবিবাহ, স্ত্রী প্রহার, দাসী রমণ…) আপনি সমর্থন করেন? এগুলোকে ভালো মনে করেন? যদি না করেন, তবে ভালো মন্দের এই জ্ঞানটুকু আপনি কোথা থেকে পেলেন?
—আপনি আসলে ভুল জায়গায় এসে পড়েছেন। সত্যি বলছি ভাই, আমানা্র নাম “যুক্তিবাদী” হওয়াটা একটা বিরাট কৌতুক …।হাহাহা,
:good:
:rose:
ধর্মগ্রন্থ ছাড়া কাটানো লোকগুলোর সম্বন্ধে একটু বিস্তারিত বলবেন ভাই ? এইরকম উপর উপর ছুঁড়ে মারা যুক্তিগুলি কুতার্কিকদের একটা অতি সাধারণ অস্ত্র | বনে জঙ্গলের আদিবাসিগুলিরও ধর্ম আছে | কাদের নেই দেখান |
আপনিই বলুন না ধর্মগ্রন্থ আবিস্কারের আগে মানুষ কোন ভালো কাজটা করেছে ? প্রমান করার দায়িত্ব আপনার , আমার নয় |
হ্যা পরিবর্তনশীল | উদাহরণস্বরূপ বাইবেল অনেক পরিবর্তিত হয়েছে | প্রাচীন যুগের আর মধ্য যুগের খ্রিষ্ট ধর্ম আর আজকের খ্রিস্ট ধর্মের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য | হিন্দু ধর্মেরও অনেক পরিবর্তন হয়েছে , আগে হিন্দুরা যজ্ঞ করত, এখনকার হিন্দুরা মন্দিরে পূজা করে | এটা কি পরিবর্তন নয় ? বেদের যুগে হিন্দুরা গরু খেত , এখন খায় না , এটাও কি পরিবর্তন নয় ?
না করি না | এই প্রথাগুলি অতীব বর্বর এবং কোনো ধর্ম গ্রন্থই এগুলিকে সমর্থন করে না | আপনি জেনে আশ্চর্য হবেন যে বেদে এই সতীদাহ, বাল্যবিবাহ, স্ত্রী প্রহার, দাসী রমণ…প্রথাগুলি ছিল না | এগুলি মানুষেরই তৈরী | সতীদাহ , বাল্য বিবাহ প্রথা মুঘল যুগে মুসলিমদের হাত থেকে হিন্দু নারীদের বাঁচাবার জন্য তৈরী হয়েছিল | এইগুলি সময়ের চাহিদা ছিল | তাই তৈরী হয়েছিল | আবার সময়ের নিয়মেই ব্রিটিশ যুগে তা বিলুপ্ত হয়েছে | কাজেই এইগুলিকে লোকাচার বলা যেতে পারে ধর্ম নয় | ভালো কথা লোকাচার আর ধর্ম আলাদা জানেন তো ? আর আরেকটা কথা জেনে রাখুন বেদ স্পষ্ট করে বলেছে যে লোকাচার কখনো ধর্ম নয় |
আর ভালো মন্দের জ্ঞানটুকু কোথা থেকে পেলাম ? বেদ পড়লাম , দেখলাম এইসব আচার বেদে নেই , বেদ এগুলির নিন্দা করেছে আর এগুলিকে লোকাচার বলেছে | তাই এগুলিকে নিন্দিত বলে জানলাম | আরো পড়াশুনা করলাম | তখন জানতে পারলাম মুঘল আমলে হিন্দুর ওপর মুসলমানের অত্যাচারের কথা | এই প্রথাগুলির আবির্ভাবের কথা ইত্যাদি |
আমি একদম ঠিক জায়গায় এসেছি | যেখানে নির্দোষ ধর্মকে দোষারোপ করা হয় আর দোষী মানুষদেরকে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য নির্দোষ বলা হয় সেখানে সত্যিটা বলা আমার কর্তব্য বলে আমার মনে হয়েছে যখন আমি জানি ধর্ম নির্দোষ | আর যুক্তিবাদী বলে আমার নামটাও যথার্থ কারণ শুধু যুক্তির পথেই ঈশ্বরকে পাওয়া যায় বলে বেদ আমাদের বলেছে | ইসলামেও ইমাম গাজ্জালি ও মুতাজিলিরা যুক্তির পথ ধরেই আল্লাকে খুঁজেছেন | অন্ধ ভালবাসা আর অন্ধ ঘৃনা কোনটাই ঈশ্বরকে লাভের পথ নয় |
মূল ধর্মগ্রন্থে কী লেখা আছে তা দিয়েই যেকোনো ধর্মকে বিচার করা উচিত। কোন ধর্মের অনুসারী কীভাব ধর্ম পালন করলো বা মানুষ হিসেবে কোন ধার্মিক কেমন তা দিয়ে কোনো ধর্মকে বিচার করা ঠিক হবে না। সেটা নাস্তিকতার ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। মুসলিমদের মধ্যেও অবশ্যই ভালো মানুষ রয়েছে যেমন অন্যান্য ধর্মে বিশ্বাসীদের মধ্য রয়েছে। মানুষ ভালো হলে সেটা তার নিজের গুণ, ধর্মের নয়। কারণ ধর্ম মানুষকে অমানুষ হতে শিক্ষা দেয়। ধর্মগ্রন্থগুলি অমানবিক কথাবার্তায় ভর্তি। ইসলাম ধর্মের গ্রন্থ কোরানের কথাই ধরুন। সামান্য চুরির জন্য মানুষের হাত কেটে ফেলা, দাসীদের সম্ভোগ করা, স্ত্রীকে পিটানো, মেয়েদেরকে ছেলেদের অর্ধেক সম্পদ দেওয়া ইত্যাদি অনামবিক কাজ করতে কোরানে মুসলিমদের প্রতি আদেশ দেওয়া আছে। কোনো ধর্মপ্রাণ মুসলিম যদি এসব ফলো করে তবে কি তাকে দোষ দেওয়া যায়? এসব তো তার ঐশী কিতাবেরই নির্দেশ। সামান্য বিবেক খরচ করলে বুঝতে সমস্যা হয় না, এসব কতোটা বর্বর।
পৃথিবীর ধর্মহীন দেশগুলির দিকে দেখুন আর ধার্মিক দেশগুলির দিকে দেখুন। নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যাণ্ড ইত্যাদি দেশে অধিকাংশ মানুষ ধর্মহীন। অপরদিকে সৌদি আরব, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সিরিয়া ইত্যাদি দেশে অশিকাং মানুষই ধার্মিক। কোন দেশগুলি শান্তিময় ও কোন দেশগুলি বিভীষিকাময়? যুক্তরাষ্ট্রের জেলখানাগুলিতে জরিপ করে দেখা গেছে শতকরা প্রায় ১০০ জন আসামীই আস্তিক।
একদম ঠিক কথা |
আপনি যা কোরানের কথা বলেছেন সেটা আসলে শরিয়া আইনের কথা | এই শরিয়া আইন শিয়া আর সুন্নিদের ক্ষেত্রে এক রকম নয় | শিয়ারা একটু উদার , সুন্নিরা ভীষণ গোঁড়া | এদের মধ্যে ভেদ আছে | আপনি সেইগুলি ভুলে গেছেন | যেহেতু আমি আইনজীবী এবং ইসলামিক ল পরেছি তাই এটা আমি জানি |
আহমেদিয়ারা তো শরিয়া একেবারেই মানে না , বাহাইরাও মানে না তাই শিয়া আর সুন্নিরা এদের কাফের বলে | সুতরাং প্রথমত শরিয়া আইনকে কোরানের ঘাড়ে চাপানো উচিত নয় , বিশেষ করে যখন আপনি ধর্মগ্রন্থের লেখা দিয়ে ধর্মের বিচার করছেন | ধর্ম গ্রন্থের সঠিক জ্ঞানটুকু আশা করা যায় |
আর ওই ইউরোপীয় দেশগুলি আমেরিকার ডাকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়েছিল | ইসলামিক সন্ত্রাসীরা প্রথমে ওদের কিছু বলে নি | ৯/১১ এর পরে আমেরিকার ডাকে আরব দুনিয়ায় বোমাবাজি করতে ইউরোপীয় দেশগুলি গিয়েছিল | এরা লিবিয়ায় বোমাবাজি করেছিল | এখন সিরিয়ায় করছে | এদেরই বোমাবাজিতে সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাক, ইত্যাদি দেশগুলিতে বহু মানুষ গৃহহারা হয়েছে আর তারাই উদ্বাস্তু হিসেবে ইউরোপের দেশগুলিতে আসছে | এইসব কাজগুলিকি যথেষ্ট অমানবিক নয় ? সন্ত্রাসীরা , যেমন আল কায়দা আর ইসলামিক স্টেট তো ইউরোপকে কিছু বলেনি , তাহলে ইউরোপ কেন বম্বিং করলো আমেরিকার সাথে ? এইগুলিকি সমর্থনযোগ্য কাজ ? কোন যুক্তিতে ? কে কাকে আগে মেরেছে তাই দিয়েই তো বিচার হবে | আগে ইউরোপ আরব দুনিয়াকে মেরেছে আমেরিকার ডাকে সাড়া দিয়ে যখন ইসলামিক সন্ত্রাসীরা ইউরোপের কিছু করেনি | ধর্মহীনতাই এদেরকে এত অমানবিক করেছে |
দ্বিতীয়ত ইসলামিক স্টেট আজ এত বাড়ছে কি করে ?? এর পিছনে কি ইউরোপ আর আমেরিকার প্রচ্ছন্ন মদত নেই ? আমেরিকার তো সবটাই লোক দেখানো | তার ওয়ার অন টেরর টাও লোক দেখানো | ইসলামিক স্টেটকে তারাই একদিকে সাহায্য করছে অন্যদিকে মারছে |
এগুলি বুঝতে হয়ত আপনার খুব কষ্ট হচ্ছে নীলাঞ্জনা দেবী | প্রতিটি মুক্তমনার হয় | মুক্তমনারা শুধু খবরের কাগজ আর নিউস চ্যানেল বিশ্বাস করে | একটু তলিয়ে ভাবে না | ভাবলে তারাও আমাকে সমর্থন করত |
তৃতীয়ত আমেরিকার জেলের কয়েদিরা ধার্মিক , কিন্তু তাদের কাজ দিয়ে যে ধর্মের বিচার হবে না সেটা আপনি শুরুতেই মেনে নিয়েছেন তাই এনিয়ে আর কিছু বললাম না |
সুন্নিরা কেমন, শিয়ারা কেমন, না শরিয়া আইন কী ও কার জন্য সেটা ব্যাপার নয়। মূল কোরানে কী লেখা আছে সেটা নিয়ে আলোচনা করুন।
মানুষের হাত কেটে ফেলতে আল্লা বলেছে। বৌ পিটাতে আল্লা বলেছে। পুরুষদের বহুবিবাহ করতে আল্লা বলেছে। মেয়েদেরকে অর্ধেক সম্পদ দিতে আল্লা বলেছে। দাসীদের সম্ভোগ করতে আল্লা বলেছে। প্রেম করলে দোররা মারতে আল্লা বলেছে। বিধর্মীদের ঘৃণা করতে তাদের হত্যা করতে আল্লা বলেছে। এসব নিয়ে কথা বলুন। আপনার মতামত দিন। বলুন, এসব আপনি সমর্থন করেন কিনা।
প্রায় শতভাগ কয়েদী আসামীই আস্তিক – এটা আমি এজন্য বলেছি যে নাস্তিকরা অপরাধ কম করে সেটা জরিপে প্রামাণিত। কারণ পরকালে লোভ লালসা ও ভয় না থাকার পরেও তাদের বিবেক তাদেরকে মন্দ কাজ করতে বাধা দেয়। তবুও নাস্তিকরাও যে কোনো অন্যায় কাজ করে না, তা নয়। করলেও তার জন্য নাস্তিকতা দায়ী নয়। নাস্তিকতা মানে স্রষ্টায় অবিশ্বাস। যেকোনো নাস্তিকের কৃত অপরাধে জন্য সে নিজেই দায়ী। কিন্তু মুসলিম দেশগুলিতে যে চুরি জন্য মানুষের হাত কেটে ফেলা হয়, প্রেমের জন্য পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হয়, দাসীদের বাপ ও ছেলে মিলেমিশে সম্ভোগ করে এসবের জন্য কি এই মানুষগুলি দায়ী? নাকি যে বইটা ফলো করে এরা এসব করছে সেই বইটা ও তার লেখক দায়ী?
আপনি আমাকে বারবার নীলাঞ্জনা দেবী সম্বোধন করছেন কেন?
নীলাঞ্জনা দেবী আরো একটা কথা বলি | ধর্ম তো মানুষকে অমানুষ হতে শেখায় | অমানুষের উল্টোটাই হলো মানবিকতা | সুতরাং অমানবিকতা থেকে আমরা মানবিকতার শিক্ষাও পাই | ধর্ম এইভাবে পরোক্ষভাবে আমাদের মানুষ হতে শেখায় |
এটাও অন্তত আপনার ভেবে দেখা উচিত ছিল |
আমার নাম নীলাঞ্জনা, নীলাঞ্জনা দেবী নয়।
হ্যাঁ, আপনার কথা এক অর্থে ঠিক। ধর্মগ্রন্থ পড়লেই জানা যায় কতটুকু অমানবিক কোনো কোনো মানুষ হতে পারে। কতটুকু অমানিক কাজে কিছু মানুষ অন্য মানুষকে উৎসাহ দিয়ে যেতে পারে। এবং এত অমানবিকতা দেখে বিবেকবান মানুষ অমানবিক না হয়ে তার উলটো মানবিক হয়ে ওঠে। কোরান না পড়লে আমি কোনোদিন জানতাম না কত জঘন্য চিন্তা কিছু মানুষ করতে পারে, তাতে অন্য মানুষদের ভয় ও লোভ দেখিয়ে জঘন্য কাজ করিয়ে নিতে পারে। আমি নিজে না পড়লে অন্য কেউ কোটিবার বললেও আমি কারো কথা বিশ্বাস করতাম না। এবং অন্ধবিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসতাম না। আমার পৈত্রিক অন্ধবিশ্বাস থেকে মুক্তির পুরো অবদানই কোরানের। তাই কোরান রচয়িতাকে অশেষ ধন্যবাদ।
যুক্তিবাদী মহাশ্যকে কয়েকটা কথা জিজ্ঞাসা ক্রিঃ- (১) ধর্মশাস্ত্র কি শুধু ভালোমন্দ, অনৈতিকতা প্রভৃতি শেখায়, এটা কি ঠিক? ধ্রমশাস্ত্রে এটাই কি ব্যাখ্যা? (২) ভালো কাজ করতে ধ্রমশাস্ত্রের খুব কি দরকার বা প্রয়োজন? আমি আপনি কতখানি ধর্মগ্রন্থ পড়ি বা জানি, তাই বলে কি আমরা ভালো কাজ করিনা বা করতে পারিনা। (৩) ওয়াশিকুর বাবু তো ইস্লামের ম্নদ দিকদুলি দেখিয়েছেন, আপনার মতে ধ্রমশাস্ত্র ভালমন্দ শেখায়, তাহলে শস্ত্রে ম্নদের দিক কেন থাকবে? তাই বাবু দেখিয়েছেন। (৪) বিজ্ঞানের প্রশ্নে খলিফাদের আম্লে কত খানি অগ্রগতি হয়েছিল – যদি ভালোভাবে ব্লেন। (৫) আপনি বাবুর কথা গুলি স্টহিকভাবে বুঝার চেষ্ঠা প্রুন। মুস্লমান বিজ্ঞানী আর ইসলাম ধর্ম এক নয়। এর মধ্যে তফাৎ অনেক। (৬) আপনার কথায় ধর্ম ভাল কাজ ক্রা শেখায়, তাহলে যারা ধর্ম মেনে খারাপ কাজ করে, তাদের কি ব্লবেন?
আপনার কাছে উত্ত্র আশাকরি, ধন্যবাদ।
বাবুর লেখা যেমন খুব স্বচ্ছ ও ক্ষুরধার ছিল তেমনি তার নিষ্পাপ চেহারাবন্দি মুখের চোখ দুটি যেন নক্ষত্রের জ্বলজ্বলন্ত মিষ্টি ধ্রুব তারা,,,,,
সবাই বাবু হয় না,বা হওয়ার চেষ্টা করে না,,
তবে এই ওয়াশিকুর বাবুরা বার বার, জনম জনম কেবল আমাদের জীবনে ঘুরে- ফিরে এসে হানা দেয়,বলে এবার তোরা মানুষ হ, নিজেকে বার বার প্রশ্ন কর কেন আমাকে এমন মানুষ নামের হিংস্র প্রানীর দ্বারা নিষ্ঠুর অকাল প্রয়ান করতে হল????
আমি বাবু , আমারো স্বাদ ছিল তোদের মত প্রেম প্রেম খেলা, কুতম্বগিরি করা,গড্ডালিকায় প্রবাহে গা ভাসানো, ফেসবুকে হস্টি নষ্টি করা,আর নিজের বাহাদুরি ঝাড়া,,,,,, কিন্তু না, আমি তা করি নি,তার বিপরীতে মানুষের জীবনের কথা বলেছি মুক্তবুদ্ধির কথা বলেছি।
একারনে আমার এমন তরুণ জীবনবলি।
আশাকরি আমার জীবন বলিদানে তোরা “মানুষ হবি, নিজেকে অহর্নিশি প্রশ্ন করবি আমি কে এবং কি ও কেন দিয়ে, তাহলেই আমার অকালমৃত্যু জনম জনম স্বার্থক হবে।নক্ষত্রের তারা হয়ে আমি দেখে যাব তোরা কি করছিস, যেদিন দেখব তোরা আমার,হুমায়ান আজাদ,রাজিব,অভিজিৎ, অনন্ত সহ সবার অকাল মৃত্যুর প্রতিশোধ স্পৃহা নিয়ে নতুন জীবনের জয়গাঁথা রচিয়েছিস সে-দিনই হব আমরা শান্ত ও শ্রান্ত।
আমি ও আমরা ভাল নেই,,,,,,,,,
ভাল থাকিস তোরা।
:yes: :yes:
বাবুর ‘ফাল’-নামা পড়ে তাঁর চিন্তার স্বচ্ছতা দেখে মুগ্ধ হয়েছি! মুক্তমনাকে ধন্যবাদ।
দাঁত ভাঙ্গা জবাবের সংকলন টাও দিলে ভালো লাগতো।
🙂
খুব ভাল উদ্যোগ। লেখাগুলো একত্রিত করে বই আকারে অনলাইনে প্রকাশের কারণে এখন আরও অনেকের নিকট পৌছাবে। মানুষ অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হবার পথে উৎসাহ পাবে। মুক্তমনা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। আচ্ছা বিবর্তন আর্কাইভ (https://mukto-mona.com/evolution/) কি বন্ধ করা হয়েছে? পেজটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ দেখবেন কি?
অনুগ্রহ করে এই লিংকটি ব্যবহার করুন। https://mukto-mona.com/evolution/index.html
ওয়াশিকুর বাবুর লেখা “ফাল দিয়া উঠা কথা” পড়ে তাকে ভালো ভাবে বুঝার চেষ্ঠা করালাম। মিটারের ফিতা দিয়ে মেপে অন্তটা খোঁজতে পারলাম না।
মানবতাবাদী ওয়াশিকুর বাবুকে স্যালিউট না করে পারা যায়না। ওর কলমের খোঁচা কত প্রবল, তাকে মেরে প্রমান করে দিল।
যুগ যুগ মানুষের মনে আঁকা থাকবে তুমি।
পুরাটা এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম সত্যি কথা গুলো একদম মিছরির ছুরি ।
বাবুর লেখা পড়ে আমি বরাবরই মুগ্ধ হয়েছি। ভেবেছি, এই পিচ্ছি ছেলে এমন লেখা কিভাবে লিখে?
তোমার প্রতি ভালোবাসা প্রতিদিন, বাবু।
এক কথায় াুুুুু্ঁ
অসাধারণ।
নাইস ওয়র্ক। এইটা হয়েছে জব্বর একখান পোষ্ট। ফাটাফাটি। লাভ ইউ বাবু। যিরো এমনকি সাবযিরো টলারেন্সের ক্ষ্যাতা পুড়ি।