বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত হলো বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস। মঙ্গলবার সকালে ইসলামি সন্ত্রাসী সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট’ সাধারণ মানুষের উপর আত্মঘাতি বোমা হামলা চালায় ভাইরাসে আক্রান্ত সন্ত্রাসীদের দিয়ে। ব্রাসেলসের জাভেনতাম বিমানবন্দনে হামলায় ১৪ জন ও মিলবেক মেট্রো স্টেশনের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন। আহত হয়েছেন ২০০ জনের অধিক মানুষ।
ব্রাসেলস বিমানবন্দরের বোমা হামলায় বিধ্বস্ত বহির্গমন লাউঞ্জ, ছবিসূত্র ইন্টারনেট
আত্মঘাতি হামলাকারী সন্দেহভাজনদের ছবি, ছবিসূত্র ইন্টারনেট
বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী চালর্স মিশেল এই হামলাকে অন্ধ, নৃশংস বর্ণনা করে আজকের দিনকে কালো দিন বলে আখ্যা দিয়ে বেলজিয়ামের মানুষদের শান্ত এবং ধৈর্য ধরার জন্য আহবান জানান।
নিউজ
ব্রাসেলস হামলার টুইটার ফিড
জবাই হলো বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা
মঙ্গলবার সকালে ইসলামী ভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশও। কুড়িগ্রামে নিজ বাসার সামনে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে খ্রিস্টান ধর্মে ধমান্তরিত মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীকে। সকালে বাসার বাইরে হাঁটার সময় মোটরসাইকেল আরোহী তিন জঙ্গী চার থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে জবাই করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে হাতবোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায়।
সংবাদ
কুড়িগ্রামে ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান খুন- বিবিসি
খুন একই কায়দায়, এবার ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধাকে- বিডিনিউজ২৪
মগজ ধোলাই করা যতগুলো জিহাদী পাওয়া যাবে তাদের মা বাপকেও ধরা উচিৎ। এরা জীবনভর যে অন্ধ বিশ্বাস তাদের সন্তানদের মাথায় ঢুকিয়েছে তার জন্য মা বাপেরও কঠিন বিচার হওয়া দরকার। শিশুরা বড়ই হয়েছে ধর্মান্ধ হয়ে। এজন্যই ধূর্ত ধর্মব্যবসায়ী যখন টোপ ফেলে তখন ধর্মান্ধ হয়ে বেড়ে ওঠা শিশুরা তা কপ খরে খায়। মা বাপের শেখানো অন্ধকার আর ধর্মাবলম্বী সন্ত্রাসীদের অন্ধকারে একই রকম কালোআলো আছে যে !
বন্ধ হোক , বন্ধ হোক হিংসা,
ঈশ্বর , আল্লা বা গড বলে কেউ যদি থাকেন , তিনি এক সুন্দর পৃথিবী চান , বন্ধ হোক হিংসা।
শুধু ইসলামিক স্টেটকে দোষ দিলে চলবে না , বেলজিয়ামেরও দোষ আছে | তার দোষ হলো মুসলমানদের ব্যাপারে উদার মানসিকতা | এই উদার মানসিকতাই ৯/১১ থেকে শুরু করে ফ্রান্সের হামলা অব্দি সব কিছুতে দেখা গেছে | উগ্র খুনে মুসলিমরা অমুসলিমদের এই উদার মানসিকতার সুযোগ বহুবার নিয়েছে আর ভবিষ্যতেও নেবে |
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করছেন মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা। তিনি এখন সরকার প্রধান হিসেবে জনগণের ভাগ্য বিধাতা, সর্বেসর্বা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, বর্তমানে তাঁর চেয়ে অধিকতর পরিপক্ক মস্তিষ্কের অধিকারী, যোগ্য, দক্ষ, বিচক্ষণ কোন নেতা-নেত্রীর অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই। তাই, তাঁর আর কারো কোন পরামর্শ নেবারও দরকার নেই। তাঁর ইচ্ছায় অথবা ইশারা-ইঙ্গিতে, অঙ্গুলি হেলনে যে কেউ হতে পারে নন্দিত ক্ষমতাধর, কিংবা নিন্দিত ক্ষমতাচ্যুত। এখন যে কোন বিষয়ের সিদ্ধান্তের জন্য সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে। তিনিই একমাত্র শেষ বিচারের মালিক ও ভরসার কেন্দ্রীয় চরিত্রে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনিও সবকিছুতেই তাঁর কর্তৃত্ব ও দক্ষতা প্রমাণ করার জন্য হস্তক্ষেপে কার্পণ্য প্রদর্শন করছেন না। তাঁর আনুকূল্য ও সুদৃষ্টি লাভের আশায় অনেকেই স্তাবক হয়ে অর্চনা করে চলছেন। তাঁর আশেপাশে যারা আছেন, তাঁদেরও এখন অনেক কদর বেড়েছে।
কি সরকারী দল, কি বিরোধী দল সকলেই ন্যায় হোক, কিংবা অন্যায় হোক, যেকোন উপায়ে স্ব স্ব মত ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রবল চেষ্টায় রত। সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বানানোর এক অসহিষ্ণু প্রতিযোগিতা চলছে। খুন, গুম, অপহরণ, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, সন্ত্রাস, হামলা, মামলা, শারীরিক নির্যাতন সব কিছুই ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতা প্রত্যাশী্দের অনেকের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে সংঘটিত হচ্ছে। সরকারী ও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে একের পর এক তহবিল তসরুপ ও শেয়ার বাজার লুণ্ঠনের খবরের পরও ক্ষমতাসীনদের দম্ভোক্তি কমেনি। কারো মধ্যে তেমন কোন উদ্বিগ্নতা লক্ষ্য করা যায়নি। দেশের মূল সমস্যা সমাধানে ঘুষ, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ অনুপস্থিত। প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বে নিয়োজিত সকলের কাজের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও ন্যায় বিচার এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তেমন কোন কার্যকর ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়না। আমি পশু নিধন বন্ধ করার দাবী করছিনা। সাম্প্রদায়িকতা ও মানুষ হত্যা বন্ধের দাবী করছি। লুণ্ঠন, অপহরণ, হত্যা ও ধর্ষণের মত মানবতা বিরোধী কর্মকান্ডে যুক্ত অপরাধীদের শাস্তি দাবী করছি। আমার এ দাবী শোণার জন্য ক্ষমতাসীনদের মধ্যে কেউ আছেন কি? দেশের সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গের নিরীহ নিরাপরাধ নাগরিকদের জীবনমান রক্ষায় রাষ্ট্রের সেবায় নিয়োজিত রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনের যথাযথ কার্যকর ভূমিকা পালন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। ধর্ষক, খুনীদের বিচার চাই।
এটা ভাল বলেছেন। পারভেজ আলম সাহেবের ব্যাপারটা নিয়ে আমি একটু দ্বিধাগ্রস্ত। উনার লেখা কয়েকটা পড়েছি। একবার ভাবলাম যে উনি হয়ত একটু ব্যালান্সড লিখবার চেষ্টা করেন, মানে সরাসরি ইসলাম বিদ্বেষী লেখা না লিখে পজিটিভ-নেগেটিভ দুই দিকটাই হয়ত দেখাবার চেষ্টা করেন যে কারনে মুমিন ভাইদের কাছে উনি আবার জনপ্রিয় না বলেই মনে হল। অথচ উনি মুক্তমনায় লিখেন না, মুক্তমনা সম্পর্কেও উনার কেমন একটা বিতৃষ্ণা আছে বলেই মনে হয় (উনার কোন একটা আর্টিকেল-এই যেন পড়েছিলাম ঠিক খেয়াল নেই)। উনার ব্যাপারটা কি আসলে?
উনি আসলে ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধে অগাধ জ্ঞানের অধিকারী। ইসলাম ধর্মের একটা কোমল রূপ তুলে ধরাই সম্ভবত তার লক্ষ্য। উনাকে কিছুটা সুফিবাদ ঘেঁষা বলে আমার মনে হয়।
তবে এই সুফিরাও যে আসলে নতুন বোতলে পুরনো মদের মত সে ব্যাপারে অভিজিৎদা অনেক আগেই বলে গেছেন। আর মুমিনদের কথা বলাই বাহুল্য; ভিন্ন ভিন্ন তরিকার মুমিনরাই পারলে একজন আরেকজনের গলা কাটে সেখানে অন্যরা কোন ছাড়। মুক্তমনাকে পছন্দ করতেন না কারণ অপ্রিয় সত্য কয়জন হজম করতে পারে। সবাই নিজের পোশাক তার শরীরেই রাখতে চায় মাটিতে নয় তাই না!
তবে এখন উনি মুক্তমনাকে একটু ছাড় দিতেই পারেন। কারন অভিদার পর মুক্তমনা তার তথাকথিত উগ্ররূপ বর্জন করে যথেষ্ট ধোপধুরস্ত ‘নম্র’ ‘ভদ্র’ মডারেটরূপ ধারণ করেছে। এ ব্যাপারে অনেক প্রথিতযশা সাহিত্যগুনসম্পন্ন জাতিয়তাবাদী মুক্তমনাদের বিশাল অবদানকে ভুলে যাওয়াও আমাদের উচিত হবে না।
এটা সহীহ ইসলাম নয়! বোমা হামলাকারীরা কেউ সহীহ মুসলমান নয়। বেশীরভাগ মুসলমানই অত্যন্ত শান্তিকামী :scratch:। মাঝেমধ্যে তাদের অনুভূতি সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হলে তারা একটু উত্তেজিত হয়ে একটু আধটু ধৈর্য হারিয়ে ফেলে কিন্তু খুব দ্রুতই তারা আবার শান্ত সুবোধ হয়ে যায়। :yes: অবশ্য এর পেছনে উগ্র নাস্তেখ ছুপা ভারতীয়দের ষড়যন্ত্রও কম দায়ী নয়। 🙂
আর সহীহ ইসলাম কি জানতে হলে ও সহীহ মুসলমান কে চিনতে হলে ফেসবুকীয় ব্যক্তিত্ব পিনাকী, নিঝুম, পারভেজ আলমসহ অন্যদের পোস্ট ও স্ট্যাটাস খুবই সাহায্যদায়ক।
৩৪ টি তাজাপ্রান ঝরে গেল নিমেষেই।কেউ বলতে পারেন কি ছিল ওদের অপরাধ?পুরো মানব সভ্যতার উপরে এমন হামলা ইতিহাসে একটা কালোদিন হিসেবে লেখা থাকবে।কাল্প্রিট সেই তালগাছবাদী মৌলবাদী দল।আরো কিছু মানুষ এই আক্রমনের পরেই হয়ত শান্তিপ্রতিষ্ঠার এমন নমুনা দেখে,অই শান্তির দলত্যাগ করবে।যত তাড়াতাড়ি মানুষ নিধার্মিক হতে পারবে পৃথিবী তত নিরাপদ হবে,এগিয়ে যাবে সভ্যতার উন্নতির পথে।ধর্ম যদি আদৌ না আসত পৃথিবীতে,আজ আমাদের সভ্যতা,আমাদের পৃথিবী আরো ভালো অবস্থায় থাকত সন্দেহ নাই।
ইসলাম শান্তিকামী ধর্ম।