১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের ওরফে সাকা চৌধুরী ও জামায়াত ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল ও আল-বদর কমান্ডার আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির দন্ড কার্যকর করা হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে। আজ রাত ১২:৫৫ মিনিটে এক সঙ্গে তাদের এই দন্ড কার্যকর করা হয় বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান। এই রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলমান এই দুই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীর মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ের করা মামলার আনুষ্ঠানিকতা। ইতিহাসের দায়মুক্তির গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক পার করলো বাংলাদেশ।
এক নজরে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলার সময়ক্রম
২০১০, ১৬ জানুয়ারি- সাকা চৌধুরী গ্রেফতার
২০১১, ১৮ নভেম্বর- আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
২০১২, ৪ এপ্রিল- ২৩ টি অভিযোগ আমল
২০১৩, ১ অক্টোবর- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল মানবতা বিরোধী অপরাধ আমলে নিয়ে ফাঁসির দন্ড প্রদান
২০১৫, ২৯ জুলাই- আপিল বিভাগে ফাঁসির রায় বহাল
২০১৫, ১৮ নভেম্বর- পূর্নবিবেচনার আবেদন খারিজ
২০১৫, ২০ নভেম্বর- রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন এবং দ্রুততম সময়ে আবেদন খারিজ
২০১৫, ২১ নভেম্বর- রায় কার্যকর
যে যে অপরাধে ফাঁসির দণ্ড
নতুন চন্দ্র সিংহ হত্যা
সুলতানপুর বণিক পাড়ায় গণহত্যা
ঊনসত্তর পাড়ায় গণহত্যা
মোজাফফর ও আলমগীরকে হত্যা
এক নজরে মুজাহিদের বিরুদ্ধে মামলার সময়ক্রম
২০১০, ২৯ জুন- গ্রেফতার
২০১২, ১৯ জানুয়ারি- আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
২০১২, ২১ জুন- ৭ অভিযোগ গঠন
২০১৩, ১৭ জুলাই- ট্রাইবুনালে ফাঁসির রায়
২০১৫, ১৬ জুন- আপিল বিভাগে ফাঁসির রায় বহাল
২০১৫, ১৮ নভেম্বর- পূর্ণবিবেচনার আবেদন খারিজ
২০১৫, ২০ নভেম্বর- রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন
২০১৫, ২১ নভেম্বর- রায় কার্যকর
যে কারণে ফাঁসির দণ্ড
বুদ্ধিজীবি হত্যার ষড়যন্ত্র ও সহযোগীতা।
আজ এই রাতে আমরা মুক্তমনার পক্ষ থেকে স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের, মুক্তিযোদ্ধাদের, আমরা স্মরণ করছি শহীদ বুদ্ধিজীবিদের, তাদের পরিবারকে। আমরা স্মরণ করছি এই মামলা বানচালের জন্য যুদ্ধাপরাধী দলগুলোর আক্রমণের স্বীকার অসংখ্য মানুষকে যাদের অনেককেই প্রাণ দিতে হয়েছে আজকের এই রাত বাংলাদেশকে উপহার দেবার জন্য। আমরা স্মরণ করছি যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে সদা সোচ্চার অভিজিৎ রায়কে, স্মরণ করছি আহমেদ রাজীব হায়দার, ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ, নীলয় নীলকে; তোমরা সবাই আছো আমাদের নিঃশ্বাস দুরত্বে, সাকা-মুজাহিদহীন বাংলাদেশে।
জয় বাংলা।
বাংলাদেশ মনে হচ্ছে এইবার স্বাধীনতার দিকে এগোচ্ছ, সব মৌল্বাদি দের নিশ্চিনহ করে রাস্ট্রিয় ধর্ম তুলে দিয়ে নিরপেক্ষ করলে স্বাধীন হবে।
ওদের কোনই ত্রুটি নাই, ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি যেখানেই থাকবে যতদিন থাকবে ততদিন এসব সেখানে ঘটতেই থাকবে।জোর করে বেশীদিন কোন কিছু চেপে রাখা যায়না।
এই রায়ে কাযকর আরো আগে হওয়া উচিত ছিল, আমাদের দেশ এতো দিন পরে ন্যায় বিচার হয়েছে, কিন্তু আরো অনেক বিচার রয়ে গেছে, তা কি সুষ্ঠু বিচার হবে , নাকি দালালে ভয়ে চুপ থাকবে তাতো জানি না
এই বুঝি বাংলাদেশ স্বাধীন হলো।
সাবাশ বাংলাদেশ। আবার ইতিহাস সৃষ্টি করেছ তুমি। আগে একবার ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলে তুমি। মাতৃ ভাষা যে কত মিষ্টি , কত প্রিয় তা বুঝিয়েছিলে তুমি সারা পৃথিবীকে। সারা পৃথিবী কুর্নিশ করেছে তোমাকে ২১ ফেব্রুয়ারিকে বিশ্ব মাতৃ ভাষা দিবস হিসাবে সন্মান জানিয়ে। এবার ইতিহাস সৃষ্টি করেছ তুমি ৪৫ বছর আগের হায়েনা গুলোকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে। এই বিচার ন্যুরেমবার্গ বিচারের থেকেও কঠিন। কারণ ন্যুরেমবার্গ বিচারে বিরোধী বলতে কেউ ছিল না। তা ছাড়া বিচারকরা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সময় পেয়েছে অপরাধীদের বিচার করতে। সেই দিক দিয়ে বাংলাদেশে প্রতি মুহুর্তে বিরোধীরা বাধার সৃষ্টি করেছে। মাঝে অনেক বছর ওই বিশ্বাসঘাতক গুলো সরকারে ছিল। সেই হিসাবে তোমার কাজটা আরো কঠিন ছিল।
ইদুরের গর্ত থেকে টেনে হায়ানা গুলোকে ফাঁসিতে ঝোলানো কঠিন কাজ ছিল। সাবাস তোমাকে বাংলাদেশ।
চাপাটি পন্থীরা সাবধান। এখন তোমরা পার পেয়ে যাচ্ছ। কিন্তু একদিন তোমাদেরও বিচার হবে। পালাতে পারবেনা কোথাও। গর্ত থেকে টেনে তোমাদের ঝোলাবে বাংলাদেশের জনগণ।
সুধু বাংলাদেশ নয় সারা পৃথিবীতে এই শয়তান গুলো সাবধান হবে। বাংলাদেশ অনুপ্রেরণা দেবে অন্য দেশের মানবতার পক্ষে লড়াই করছে যারা তাদেরও।
আবার সাবাস জানাই তোমাকে বাংলাদেশ। জয় বাংলা।
সাকার ফাঁসীতে আমি চুদনা হয়ে গেছি :yahoo:
খুব মিস করবো সাকার কুরুচিপুর্ণ অহমিকায় ভরপুর বিনুদুনি কথাগুলো। 🙁
জয় বাংলা……… :good: :good: :
ফাঁসির খবরটা জেনে মনটা হালকা লাগছে। জয় বাংলা, দেশের আদালতের উপর পূর্ণ আস্থা আছে।
জয় বাংলা। মুক্তমনার বিনাশ নাই
সাকা চৌধুরী মুজাহিদের মত আরো অনেক অনেক দেশ বিরোধী, চক্রান্তকারী, নির্মম, স্বার্থপর, নীচ, ইতর দু’পেয়ে বদমাশ এখনো রয়ে গেছে দেশে ছদ্মবেশে। এদের বেশিরভাগই আবার ক্ষমতাধরদের আদরে আহ্ললাদে মহা শক্তিশালী। নতুন প্রজন্ম যেন এদের চোখের আড়ালে যেতে না দেয়। রঙ বদলালেও চিনে নিতে পারে যেন খারাপদের। বয়সী মানুষরা, মুক্তিযোদ্ধারা আর স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রত্ক্ষ্যদর্শীরা একে একে বিদায় নিয়েছে, নিচ্ছে এবং নেবে। নতুনদের আজো সুযোগ আছে প্রত্ক্ষ্যদর্শীদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সত্য যাঁচাই করে নেবার। দেশের মাটি থেকে দুটো বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলেছে নাগরিক; সকল সু নাগরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন।
সময়োচিত লেখাটির পোস্ট করবার জন্য সম্পাদককে ধন্যবাদ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতে দেখে খুশি লাগছে একদিকে অন্যদিকে অভিদা, রাজিব, বাবু, অনন্ত, নীল, দীপন এঁদের কথা মনে পড়ে মনটা বেদনায় ভরে যাচ্ছে। এই দিন দেখলে অভিদা কতো খুশিই না হতেন।
বাংলাদেশে জন্ম নেবার জন্য এই প্রথম গর্ববোধ করছি। দূর্ভাগ্য এখন আমি বাংলাদেশে নেই, তাই মুক্তির আনন্দ আজ আকাশে বাতাসে হলেও সেই বাতাসে শ্বাস নিতে পারছি না। জয় বাংলা!
জয় বাংলা