সযতন অচেতনে, সমর্পনে, নেশাখোরের মতই,
ভেবেছিলাম, ভেবেছিলাম আহ, এই তো জীবন,
এই আছে, সেই আছে, আশপাশে সব আছে,
আর কি চাই? চাইবার বল কি’বা আছে আর?
অথচ; আজকাল ছায়ামত কত কিছু ছুঁতে চায়,
বেশ করে ভাবায়, ধারালো নস্টালজিক তীব্রতায়।
হতে পারে,
আজকে না’হয় পেরিয়েছে বেশ কিছুকাল
কিন্তু সমর্পণ? বুকে হাত রেখে বল,
এখনো একা রাত জাগা,
ঐচ্ছিক এক দুঃখবিলাস,
সকালের আলোতে আবার সমর্পণ!
যে সময়টা খামোখাই শুন্যতা চাইতাম,
যে সময়টাতে মনোযোগ চাইতাম শুধুশুধু,
মিথ্যে বলবো না, অদ্ভুত ভালোলাগা ছিল তখন,
শুধু চাইতাম, কেউ জানুক, দেখুক কেউ, আমায়।
অনেক দিন পর।
দেখানো ভাবখানা আর থাকলো না,
বাঁকা ঠোঁটে স্পষ্ট উপলব্ধি, দেখলাম,
সবাই আশেপাশে থাকলেও, আমি,
আমার আমি; সত্যিই একা হলাম।
ছেঁদো হয়ে যাওয়া কুয়াশায়,
চোঁয়ানো আলোয় পথ খুঁজলাম ,
তীব্র বেদনাকে উপেক্ষা করে,
এলোমেলো এগুলাম, পার্থিব ছন্দের আশায়।
তারপর,
আবার,
অনিচ্ছায়,
একা,
সাথী আমার একা রাতের তারা,
এবং; এর’ই মাঝে,প্রিয় বিস্তার।
শেষ লাইনদুটি এককথায় অপূর্ব।
ধন্যবাদ 🙂
:rose:
ধন্যবাদ তানবীর 🙂
দেখানো ভাবখানা আর থাকলো না,
বাঁকা ঠোঁটে স্পষ্ট উপলব্ধি, দেখলাম,
সবাই আশেপাশে থাকলেও, আমি,
আমার আমি; সত্যিই একা হলাম।
কি দারুন অ-বিনাশী ভাব উপরের প্যারায়,যা চিরকালীন ও শাস্বতঃবানী সবার জন্য ,এ বানী চন্দ্র,গ্রহ,নক্ষত্রের জন্য যেমন সত্যি তেমনি এই পৃথিবীর সকল মানবজাতির বেলায়ও একই রকম। আমরা চূড়ান্ত অর্থে সবাই আসলে একা শুধু একা। এবার যে যেভাবেই জীবনকে সাজাই না কেন ????? নির্মম এই সত্যকে আমাদের গ্রহন করার শক্তি কয়জনের আছে ???
আপনি আরো বেশী খুব বেশী লিখুন আমাদের জন্য এ প্রত্যাশা রইল।
কলম চলুক দূর্বার গতিতে ছিন্নভিন্ন হউক চিন্তার জড়তা..…….
🙂 মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
নস্টালজিয়ায় আচ্ছন্ন থাকে মন, এখন আর চাওয়া-পাওয়ার যেন কিছু নেই। আপনার কবিতা জীবনান্দের মতই অভিমানী। কবি হিসেবে লোক আপনাকে আরো চিনুক।
অনেকদিন পর আবার ইচ্ছে হোল পোস্ট দেবার। মেঘ কাটুক দিপেন দা, থাক নষ্টালজিয়া, তবু। এ’ও জানি, তারপরও থাকবে সকালের আলোতে আবার সমর্পণ!
মন ছোঁয়া মন্তব্যখানির জন্য অনেক ধন্যবাদ।