প্রতি মাসে গড়ে একজন করে মুক্তচিন্তক, লেখক, ব্লগার, এক্টিভিস্ট খুন হচ্ছে। সরকারের আন্তরিকতা এখনো অনুভব করতে পারছি না কিন্তু আমরা চিন্তিত এবং ভীত। ইতিহাসের দায় মুক্তির জন্যে পিটিশনটি সাইন করুন, ইতিহাস জানুক আমরা হত্যা ঠেকাতে হয়তো পারিনি কিন্তু আমরা আমাদের নিজের অবস্থান থেকে, আমাদের সাধ্যমত এর প্রতিরোধে প্রতিবাদ করে গেছি, লড়ে গেছি, চেষ্টা করেছি। আমার লেখার পাঠক আর আমার বন্ধুদের সবার প্রতি অনুরোধ রইলো পিটিশনটিতে সাইন করার জন্যে, শেয়ার করার জন্যে।
পিটিশন
About the Author: তানবীরা
আমি জানি, ভালো করেই জানি, কিছু অপেক্ষা করে নেই আমার জন্যে; কোনো বিস্মৃতির বিষন্ন জলধারা, কোনো প্রেতলোক, কোনো পুনরুত্থান, কোনো বিচারক, কোনো স্বর্গ, কোনো নরক; আমি আছি, একদিন থাকবো না, মিশে যাবো, অপরিচিত হয়ে যাবো, জানবো না আমি ছিলাম।
নিরর্থক সব পূণ্যশ্লোক, তাৎপর্যহীন প্রার্থনা, হাস্যকর উদ্ধত সমাধি; মৃত্যুর পর যেকোনো জায়গাই আমি পড়ে থাকতে পারি,- জঙ্গলে, জলাভূমিতে, পথের পাশে, পাহাড়ের চূড়োয়, নদীতে। কিছুই অপবিত্র নয়, যেমন কিছুই পবিত্র নয়; কিন্তু সবকিছুই সুন্দর, সবচেয়ে সুন্দর এই নিরর্থক তাৎপর্যহীন জীবন।
অমরতা চাইনা আমি, বেঁচে থাকতে চাইনা একশো বছর; আমি প্রস্তুত, তবে আজ নয়। চলে যাওয়ার পর কিছু চাই না আমি; দেহ বা দ্রাক্ষা, ওষ্ঠ বা অমৃত; তবে এখনি যেতে চাইনা; তাৎপর্যহীন জীবনকে আমার ইন্দ্রিয়গুলো দিয়ে আমি আরো কিছুকাল তাৎপর্যপূর্ণ করে যেতে চাই। আরো কিছুকাল আমি নক্ষত্র দেখতে চাই, নারী দেখতে চাই, শিশির ছুঁতে চাই, ঘাসের গন্ধ পেতে চাই, পানীয়র স্বাদ পেতে চাই, বর্ণমালা আর ধ্বণিপুঞ্জের সাথে জড়িয়ে থাকতে চাই। আরো কিছুদিন আমি হেসে যেতে চাই।
একদিন নামবে অন্ধকার- মহাজগতের থেকে বিপুল, মহাকালের থেকে অনন্ত; কিন্তু ঘুমিয়ে পড়ার আগে আমি আরো কিছুদূর যেতে চাই। ঃ আমার অবিশ্বাস - হুমায়ুন আজাদ
সাইন করলাম। সবাই বলে ধর্ম ব্যক্তিগত বিশ্বাসের ব্যাপার। তেমনি অবিশ্বাসের উপলব্ধিও একান্ত ব্যক্তিগত। প্রাথমিক উপলব্ধি অবধারিতভাবে আমাদের চিরচেনা এই সমাজ, চির আপন মানুষদের থেকে একটানে দূরে ঠেলে দেয়। নি:সঙ্গ করে তোলে। যখন আবিষ্কার করবেন আপনার আশে পাশেও এমন মানুষ আছেন যারা কার্যকারণ খুজে যুক্তি দিয়ে জীবনকে বুঝতে চায়, তখন আর নিজেকে দলছুট মনে হবেনা। এই মানুষগুলোর কেউ কেউ যখন সত্য প্রকাশের দায়ে মিথ্যার মুখোশপরা কিছু শ্বাপদের দ্বারা আক্রান্ত হন, তখন বুঝবেন আপনি নিজেও আক্রান্ত। তাই এই ঘটনাগুলোর প্রতিবাদ করা, যেকোন প্রকারেই হোকনা কেন, তা আপনার নিজেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। আর অবশ্যই এই হত্যাগুলো পারসোনাল।
তানবিরা
একুশ কোটি বাংলাভাষীরা যখন একটা অনলাইন পিটিশনে মাত্র দেড়শ সিগনেচার দেয়, তখন দেয়ালের লিখনটা ভাল করে পড়ে নেয়াই ভাল।
বাংলাভাষীদের মধ্যে গুটি কয়েক লোক নাস্তিকতা ও নাস্তিকদের পক্ষে, বাকিদের এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না।
বাস্তবতা মেনে নিন, মন খারাপ করে আর কি করবেন?
সব কিছু পারসোনালি নেবেন না, এতে খালি হতাশাই বাড়বে
নামহীন বন্ধু আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগলো। একটা মানুষ একটা নীতি, বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে জীবন কাটায়। যখন রোজ সেই বিশ্বাসের ওপর আঘাত আসে, এই প্রাণহীন দেহগুলোর পাশে যখন নিজের মুখও দেখতে পাই তখন পারসোনালি না নেয়ার আর কোন অপশন কী থাকে?
স্বাক্ষর এতো কম যে শুধু হতাশাই বাড়ে
Comment…এই শোন!আমি অভিজিৎ বলছি-পিটিশনে সই কর।
সাক্ষর করেছি।
স্বাক্ষর করলাম।
Comment…বিভিন্ন প্রকার ছাগু যেমন-ধর্মান্ধ,দুর্নীতিবাজ,স্বার্থপর,চাটুকারী ইত্যাদি।আমাদের গবেষনার মূল বিষয় যেহেতু এর সব কিছুই বিতাড়িত করা,সেহেতু আমাদের সবগুলো এক বারে বিতাড়িত না করে বরং একটি একটি করে করতে হত,যখন ধর্মের/ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে যাচ্ছি যে কোনো মূল্যে সরকারকে সপক্ষে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হত,যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আমরা যে অবদান রেখেছি তাতে সরকারকে পক্ষে নেওয়া অসম্ভব ছিলনা।সরকার বড় স্বার্থবাদি হেফাজত কে সাথে নিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জামাতকে নির্মূল করা প্রচ্ছন্নভাবে আমাদেরকেও তাদের লক্ষ্য, তাই আমাদেরও একটু স্বার্থপর হতে হত।আর অন্যায়ের সাথে আপোস না করে যুদ্ধ করতে হলে লুকিয়ে তা করতে হত,ব্লগার হত্যাকারীরা তা-ই করেছে।অবশ্য অন্যান্য যুদ্ধের চেয়ে এক বড় যুদ্ধ,বিষয়টা গুরুত্বদিয়ে ভেবে চিন্তে করতে হবে,যারা শহীদ হতে এসে লুকিয়ে থাকে শহীদ হওয়ার ভয়ে তারা কিভাবে শহীদী মরণ বিশ্বাস করে তা আমার বোধে আসেনা।আরও আছে পরে বলব-আপনিও ভাবুন, সকলের প্রচেষ্টায় আসুক সফলতা।
ধন্যবাদ অাপনাকে। 🙂
এই ব্লগে লিখবো কিভাবে!!! গত ২-৩ মাস থেকে চেষ্টা করছি! কেউ বলে ইমেইল করতে, অথচ কখনো ইমেইল পৌছাই না। Comment করে লেখা পাঠালেও কিছুক্ষণ পর delete হয়ে যায়! কেউ কি kindly অামার সমস্যার সমাধান করবেন? অামি বিজ্ঞান বিষয়ে লেখা পাঠাতে চাই।
http://blog.mukto-mona.com/sending-articles/
এর বাইরে ফরিদ আহমেদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন
স্বাক্ষর করলাম।
ধন্যবাদ দিদি, যারা করবে বিবেকের তাড়না থেকেই করবে। পায়ে ধরে করানোর জিনিসতো এটা না। বেশীর ভাগই করেনি, হতাশাজনক
ধন্যবাদ ভাই, ঠিক করে দেয়া হয়েছে
পিটিশনে তারিখটি ভুল হয়েছে। ঠিক করা দরকার। ২৬ ফেব্রুয়ারি হবে।
আমার মনে হয় এসব করে কোন লাভ হবেনা..তাছাড়া এ সরকারও আমাদের কোনও নিরাপত্তা দিবে না । এখন থেকে নিজেদের কিছুটা নিরাপত্তা রাখতে হলে আমাদেরও আগ্নেয়াস্র ব্যবহারের দিকে নজরদারি হতে হবে।।
লাভ হয়তো হবে না তারপরও ইউরোপীয়ান কমিশনে জমা দিবো অন্তত একটা একনলেজমেন্ট হোক। কিছু না করার চেয়ে অন্তত চেষ্টাতো করি
আপনার সাথে একমত। আন্তত চেষ্টা করতে দোষ কোথায়। চেষ্টার ফল ভবিষতে ফলবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
Comment…ভেবেছিলাম সকল অন্যায়,অনিয়ম,অনাচার দূর করা একটি শুদ্ধ সুন্দর পৃথিবী পাব আপনাদের কাছ থেকে,কিন্তু তা হবার নয়,গোঁড়ামি আপনাদেরকেও গ্রাস করে ফেলছে,একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন,পৃথিবীর অধিকাংশ শিক্ষিত বিজ্ঞানী ডাঃ ড. প্রকৌশলী ধাচের লোকেরা ধর্মকে খুব বেশি গুরুত্ব না দিয়ে নিজের চরকায় তেল দিচ্ছে এবং তারা তাদের ওই ধর্মবিমুখী দৃষ্টিভঙ্গি তাদের উত্তরসুরিদের কাছে রেখে যাচ্ছে, এতে করে একটু ধীরে হলেও ধর্মের গুরুত্ব লোপ পাচ্ছে,এবং যার যার মুক্তবুদ্ধির দ্বারাই তা সম্ভব হচ্ছে, যে পথ পরিক্রমায় আপনাদের মত মহানদের আবির্ভাব আর কি।এই নিরব বিপ্লব টাই আসলে পৃথিবীর জন্য খুব বেশি প্রয়োজন বলে আমি মনে করি,এতে করে সাপ ও মরে লাঠিও না ভাঙে।আপনারা যত বেশি ছাগুদের ক্ষ্যাপাবেন ওরা তার চেয়ে বেশি পরিমানে ক্ষেপে যাবে,তার ফলাফল কি দাঁড়াবে তাতো দেখতেই পাচ্ছি।
ছাগুদের না ক্ষ্যাপানোর টেকনিকটা তাহলে কী?