অনেক দিন পর টিপিকাল বাঙালি হাতে একটা ইস্যু পেয়েছে তাহলো বর্তমান সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ-প্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য। যাকে কটূক্তি বলে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা। এবারে আসি কটূক্তিটি কী সেই বিষয়ে। মন্ত্রী বলেন-
আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ ও তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী।’ তিনি বলেন, ‘এ হজে যে কত ম্যান-পাওয়ার (জনশক্তি) নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনও কাম নাই। এদের কোনও প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে।’ লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘এভারেজে (গড়ে) যদি বাংলাদেশ থেকে এক লাখ লোক হজে যায়; প্রত্যেকের পাঁচ লাখ টাকা করে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়।’ ‘তাবলিগ জামাত প্রতিবছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদের তো কোনও কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।’
উপরের প্রকাশিত বক্তব্যে দেখা যাচ্ছে লতিফ সিদ্দিকী নিজের ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ করেছেন। এটা তার দল বা সরকারের কোন অভিমত বা মনোভাব নয় তা একান্তই নিজের ব্যক্তিগত অভিমত। অভিমত প্রকাশ হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ হেফজত জামাতের কর্মী, সমর্থক সবাই মিলে মন্ত্রীর চৌদ্দগুষ্ঠী উদ্ধারে মাঠে নেমেছেন। এখন কথা আসে এমন বক্তব্যে টিপিকাল বাঙালির কতোটুকু ক্ষতি হয়েছে। অনেকে বলবে টিপিকাল বাঙালি মনে অনেক বেশি আঘাত পেয়েছে। এই আঘাত মাপার কোন যন্ত্র আজ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারেনি তাই মাপা সম্ভব না কতোটুকু আঘাত পেয়েছে এই টিপিকাল বাঙালিরা। আঘাত কী শুধু হজ্বের সমালোচনা করলে হয়? মূর্তি ভাঙলে হয়, ওয়াজের নামে অন্য ধর্মেকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করলে হয়, ধর্ম পালনের নামে অন্য ধর্মের মানুষকে কাফের বললে হয়। কিন্তু টিপিকাল বাঙালির শুধু আঘাত হয় সমালোচনা করলে। অন্য কোন কিছুতে তাদের কখনো আঘাত আসে না। ধর্মীয় বইয়ের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে কেউ সারা পৃথিবীতে কাফের জবাইয়ের ঘোষণা দিলে তাদের মনে কখনো আঘাত আসে না। কেউ যখন অন্য ধর্মের নারীকে গনিমতের মাল ঘোষণা দেয় তখনও তাদের মনে আঘাত আসে না। অন্য ধর্ম নিয়ে বাজারে জলসা বসিয়ে ধর্ম পালন করলেও এরা আঘাত প্রাপ্ত হয় না। কিন্তু নিজের ধর্ম নিয়ে সমালোচনা তো দূরের কথা কেউ প্রশ্ন তুললে তারা আঘাতে রক্তবর্ণ হয়ে যায়। দুর্গা পূজা উপলক্ষে ১২ জেলায় মূর্তি ভাঙলেও তারা এর সমালোচনা করে না। বরং এরা কিছু দুষ্টু দুর্বৃত্তদের ঘাড়ে দোষ দিয়ে নিজেদের পাক-পবিত্র করে নেন। বিশ্বজুড়ে তালেবান ISIS এর উত্থানে এদের হৃদয় কখনো আঘাত প্রাপ্ত হয় না। আমেরিকার ঘাড়ে দোষ দিয়ে তাহারা খালাস পেয়ে যান। সব কিছুতে আমেরিকার হাত থাকে। মাঝে মাঝে মনে হয় বাংলাদেশে হাজার হাজার জিহাদি আইডিগুলোর মধ্যে কয়টা ইসরাইল আর আমেরিকার নাগরিক চালায় তা খুঁজে বের করা উচিত। যাই হোক যা বলছিলাম। সামান্য একটা বক্তব্যে টিপিকাল বাঙালি যেভাবে ধর্মীয় জোসে গর্জে উঠল সেই জোস কিন্তু তালেবানদের বিরুদ্ধে দেখা যায় না। বরং টিপিকাল বাঙালি লাদেন বোমা নামক একটি পটকার নাম করণ করেছিল ভালোবেসে। লাদেন কে তারা দুষ্টু বলে। তবে সেই দুষ্টু বলাতেও বেশ আদর আদর ভাব থাকে। লাদেনের বিরোধিতা করে রাজপথে কিন্তু কোন মিছিল হয় নাই। কিন্তু ফেসবুকে কে কোন চিপায় কী লিখছে তা নিয়ে টিপিকাল বাঙালিদের ঘুম নেই। ফেসবুকের একটা ছবিকে কেন্দ্র করে তো সমগ্র রামুই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দেশে ব্যক্তিস্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতা গুনায় না ধরলেও এরা যখন ইউরোপে যায় তখন এরা সবচেয়ে সচেতন জনগণ হয়ে উঠে। সকল কিছুর স্বাধীনতা ওনারা ভোগ করে থাকেন। সারা জীবন ইহুদি নাসাদের দেশ থেকে কামাই রোজগার করে ধর্ম পালনের নামে ইহুদি নাসাদের গালাগাল করে নেকি অর্জন করেন। এটাই টিপিকাল বাঙালির চরিত্র। আমার আশেপাশের মানুষগুলোকে দেখেছি যারা প্রতিদিন ইহুদি নাসাদের গুষ্ঠি উদ্ধার করে নেকি অর্জন করেন। আবার পরিবার নিয়ে ইউরোপে ঘাটি গাড়ারও স্বপ্ন দেখেন। কোন সিস্টেমে যাওয়া যায় তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিদিন আলোচনা করেন। এদের মানসিকতা থেকে আমি প্রতিদিন সাকা হয়ে যাই।
হজ্ব সৌদি আরবের অর্থনীতির একটা বড় সেক্টর তা কে না জানে তাহলে হঠাৎ এমন বক্তব্যে সবাই চাঙ্গা হয়ে উঠল কেন? কিছুদিন আগে তো ISIS কাবা শরীফ গুড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হল তখন একটি মানুষের মুখ থেকে এর বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য শুনিনি। অস্ত্র ও বোমা কে না ভয় করে বলুন। টিপিকাল বাঙালি ঘাস বনেই শুধু পুরুষত্ব দেখায়। একজন মন্ত্রী ব্যক্তিগত মন্তব্যে এমন প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর যখন ISIS, তালেবান, সংখ্যালঘু নির্যাতনে নীরব থাকে তখন বাঙালিকে টিপিকাল বাঙালি বলতেই হয়। অবশ্য টিপিকাল মানেই বাঙালি এটা ভেঙে বলতে হয় না। অদ্ভুত বিষয় হল লতিফ সিদ্দিকীর এমন বক্তব্যে কেউ তাকে জবাই, কেউ হত্যা কেউবা রাষ্ট্রের কাছে বিচার দাবী করছে। অথচ রাষ্ট্রের কাছেই এরাই নাগরিক স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতার দাবী করে। তাহলে বিষয়টা কী দাঁড়াল;-বাক-স্বাধীনতা প্রত্যাশী আন্দোলনকারী বাঙালি নিজেই আসলে বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাসী না!!!
কারো না কারো শুরু করতে হবে, লতিফ সিদ্দিকী শুরু করলেন, জয় হোক লতিফ সিদ্দিকীর।
লতিফ সিদ্দিকী যতোই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকুন না কেন, ভাবের জগতের বাইরে তার কথা খুবই যুক্তিযুক্ত। তবে আমার ফোকাস পয়েন্ট অন্যত্র। আমার পর্যবেক্ষণ বলছে:
প্রথমত, তিনি অতি দুর্নীতিবাজ ও ধুরন্ধর। সরকার তার দুর্নীতির তদন্ত করবে, মামলা হবে, এসব তিনি আগেই জানতেন। এ কারণেই ওই বিপ্লবী বোলচালে তিনি এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছেন যে, তাকে যেন দেশে ফিরতে না হয়।
দ্বিতীয়ত, নিউ ইয়র্ক ও টরেন্টো থেকে ব্যক্তিগত বন্ধুজনেরা বলছেন, লতিফ সিদ্দিকী শিগগিরই আমেরিকা বা কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন। কানাডাতেই এই আশ্রয় চাওয়ার সম্ভাবনা বেশী। কারণ সেখানে তার মেয়ে ও বোনের পরিবার রয়েছে।
তৃতীয়ত, সুইস ব্যাঙ্কে বিস্তর অর্থ পাচারের অভিযোগ মাথায় নিয়ে লতিফ সিদ্দিকী তার রাজনৈতিক আশ্রয় প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্যই হজ, তবলীগ জামাত, জয় এবং টক শো নিয়ে লম্বা-চওড়া কথা বলেছেন। অর্থাৎ, পুরো বিষয়টিই তার পরিকল্পনা মাফিকই এগুচ্ছে।
ধন্য ধন্য বলি তারে! 😛
পুনশ্চ: এই সংবাদটিও ওপরের ব্যক্তিগত বিশ্লেষণটিকে সমর্থণ করছে:
– See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2014/10/04/136499#sthash.GnXRvuw3.dpuf
পুনশ্চ: এখন সংবাদ-ভাষ্যও ওপরের তথ্যটিকে সমর্থণ করছে। দেখুন:
– See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2014/10/04/136499#sthash.GnXRvuw3.dpuf
অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। অল্প বিদ্যার চেয়ে মূর্খ মানুষ অনেক ভালো।
এই হলো দ্রারিদ্র বিমোচন এবং (কু)শিক্ষার বিকাশের ফল।
এযুগের ছেলেমেদের চেয়ে আগের জেনারেশনের মানসিকতার দোষ, যাহা শক্তিশালী বিষের ন্যয় তাহাদের মস্তিস্কেও স্থান করে নিয়েছে। খুব অল্প কিছু মানুষই পারে শিক্ষার মাধ্যমে তা দূর করতে।
দেশে এত লোকে টাকার জন্য মৌলিক চাহিদার অভাবে, কত ছোট স্কুলের ছেলেমেয়েদের বন্ধুরা জীবন বাঁচানোর জন্য টাকার আবেদন করে থাকে।।। কি ভাবে মানুষিক সুস্থ মানুষের পক্ষে সম্ভব এসব মানুষকে উপেক্ষা করে যাওয়া ?
এরকম হাজারো লতিফ সিদ্দিকীর জন্ম হােক বাংলার ঘরে ঘরে।
তিনি অন্ততপক্ষে সত্যকে প্রকাশ করার সাহস দেখিয়েছেন। তার এ সাহসকে স্বাগত জানাচ্ছি।
বাঙ্গালির জাতীয় ফল কাঁঠাল, জাতীয় খাদ্য কাঁঠালের পাতা। লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য মন্ত্রীসুলভ ছিলো না মানলাম, কেননা মন্ত্রী শব্দটা শুনলেই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সুবিধাভোগীদের দগদগে চেহারা চোখে ভাসে যাদের বিচি থাকলেও কইলজা নাই। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য ছিলো প্রকৃত জননেতাসুলভ। এমন আরো হাজারটা আঘাত দরকার ছাগলা জাতিটার ধর্মানুনুভূতিকে ভোঁতা বানানোর জন্য। :guru:
সুব্রত শুভ,
হায়রে আমাদের কপাল…………!!!
প্রভাত থেকে বাড়তে থাকা উত্তেজনা,অবশেষে অপরাহ্নে আসিয়া কিছুটা প্রশমিত হইলো।আফিম বেবসার প্রোডাকশন বন্ধ হয়ে যাইবে শুনিয়া,আফিমখোর পাবলিক পাথর ও চাপাতি হাতে কাঁঠাল তলায় জোড় হইতেছিল।তবে মধ্যাহ্ণ না গড়াতেই, নিরবিচ্ছিন্ন আফিম প্রোডাকশানের ব্যাবস্থা সুনিশ্চিত করা হইবে, মর্মে ঘোষণা দেওয়া হইলো,তাতে উত্তেজনায় কিছুটা ভাটা পড়িল।তৎপর কাঁঠাল গাছে আফিম ফলাতে ব্যার্থ হওয়ায় একটি বড় ডালকে ছাটিয়া বাদ দেওয়া হইল,এবং কাঁঠাল গাছ সেইভাবেই ঠায় দাড়াইয়া থাকিলো।
বুস্থুনিস্ত লেখাটির জন্য লেখক শুভকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ | লেখাটি পড়তে আমাকে অনুপ্রানিত করেছেন ছোটভাই অমল রায় | মূল লেখাটির বিষয়বস্তু এবং অমলের মতামতের সাথে আমি একমত | পৃথিবীতে একমাত্র ধর্মিও কারনে যতবেশী মানুষ তার নিজ বাসভূমে পরবাসী হয়েছে, তার প্রিয় মানুষ এবং দেশটিকে হারিয়েছে, তার মান-সম্মান ভূলুন্ঠিত করেছে, তার ঐতিজ্জগত বিষয় এবং অধিকারকে হারিয়েছে, বেঁচে থেকেও মৃত্যুর মুখোমুখি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে – আর অন্য কোনো একক কারনে এত বেশি মানবিক – অর্থনৈতিক – সামাজিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়না | আমি আমার মুখ-পুস্থিকায় ক’দিন আগেই লিখেছিলাম জেনেটিক কারণ কিছু মানুষকে উগ্রবাদী করে তুলে, রাষ্ট্র ব্যবস্থা তাকে উষ্ণতা দেয় এবং জেনেটিক্যালি দুর্বল ও ভীরুরা উগ্রদের নিরব/সরব সমর্থন দেয় | ফলে রামুতে জ্বলে উঠে মন্দির, কিশোরগঞ্জে ভাঙ্গা প্রতিমা কাঁদে নিরবে নিভৃতে, পেলেস্টানের মসজিদের ধ্বংশস্থুপে হাহাকার করে ১২ বছরের শিশু অথবা নাইজেরিয়ার গির্জা থেকে ভেসে আসে হাজার মানুষের আর্তনাদ | ধর্ম নামে যে আফিমের পেছনে মানুষ ছুটছে ও তাকে পরাক্রমশালী করে তুলছে – এর ফলে আজ মানব সভ্যতাই হুমকির মুখোমুখি দাড়িয়েছে | ওই সকল আফিম উত্পাদনকারী বাগানগুলোকে ধ্বংশ না করে মানুষের মুক্তি সুদুর পরাহত | শুভ, অমল সহ সবার জন্য ধন্যবাদ |
হজ্জ্ব সম্পর্কিত মন্ত্রীর কথাবার্তায় সত্যতা থাকলেও একজন মন্ত্রী হিসেবে এভাবে পাবলিকলি কথাগুলি বলা রাজনৈতিক কারনেই উচিত হয়নি। এটা সত্য মিথ্যার কথা না, আউট অফ কমন সেন্স। আওয়ামী লীগ জন্ম থেকেই অসাম্প্রদায়িক ধারা বহন করার কারনে এক শ্রেনীর লোকের কাছে হিন্দুদের দল বলে পরিচিত, স্বাধীনতার পর সেটার সাথে ভারতের দালাল এবং বর্তমানে নাস্তিক মুরতাদের সরকার হিসেবে পরিচিত। অস্বীকার করার কিছু নাই, এ অঞ্চলে ধর্মীয় রিচ্যূয়াল এখনো খুব গুরুত্বপূর্ন; সত্য বলতে লোকে ধর্ম পালন বলতে নানান রিচ্যূয়াল পালনই বোঝায়। একজন মন্ত্রী হিসেবে সরাসরি সেখানে আঘাত হানা নিঃসন্দেহে সরকারের জন্য সুখকর কিছু না। এ ধরনের আল টপকা মন্তব্যে যুক্তিবাদী আন্দোলনের বিরাট কোন উপকার হয় বলে মনে করি না। উলটা ক্ষতিই হবার সম্ভাবনা বেশী।
ধর্ম জনিত নানান সমস্যার কাছে হজ্জ্বের কারনে অর্থ অপচয় নগন্য। বড় বড় সমস্যা বাদে এমন নির্দোষ একটি রিচ্যূয়াল যা পালনে অনেকে শান্তি পায় (অনেকে লোক দেখানো কারনেও করে) সেটাকে এমন ভাষায় আক্রমন করলে আমাদের দেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবেই। সেটার জন্য জামাত হেফাজত খোঁজা লাগবে না।
হজ্জের মত রিচ্যূয়াল আক্রমন করার চাইতে মন্ত্রী সাহেব ধর্মের নামে যেসব আবর্জনা প্রচারিত হয় (এমনকি সরকারী উদ্যোগে) সেসবের সমালোচনা করলে সাধুবাদ জানাতাম।
কোনটা অপচয় কোনটা সদব্যাবহার তার সঠিক সংজ্ঞা দেওয়া যায় না, যার যার ব্যাপার। এখনকার সাধারন ঘরের বিয়ে শাদীতেও যেমন অর্থ খরচ হয় সেটা আমার চোখে অপচয়……এভাবে উদাহরন দিতে গেলে অনেক কিছুই বলা যায়। ধর্মনিরপেক্ষ উন্নত দেশগুলিতেও এখনো ধর্মের নামে বহু টাকা ব্যায় হয়।
আমাদের দেশের মন্ত্রী এমপি কেষ্টুবিষ্টুরা নিজেদের বেডরুমে বিবির সাথে আলাপ আর মন্ত্রী হিসেবে পাবলিক ফোরামে কথা বলার তফাত তেমন বোঝেন না, বোঝা উচিত।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার কথার সাথে একমত যে মন্ত্রী হিসেবে জনসম্মুখে এমন কথা বলা উচিত হয় নি। তবে মন্ত্রী তার ব্যক্তিগত অভিমত দিয়েছিলেন। কিন্তু এই সামান্য বিষয় নিয়ে বাঙালি হঠাৎ জিহাদ ঘোষণা করল তা বোধগম্য নয়। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার বারটা বাজিয়ে উল্টাপাল্টা কথা শিক্ষামন্ত্রী কম বলেননি। কিন্তু তাতে আমরা উত্তেজিত হই নাই। কিন্তু সামান্য একটা কথায় এতো উত্তেজিত কেন তা রহস্য। ISIS এর প্রধান যখন সমগ্র পৃথিবীতে অমুসলিমদের হত্যা করার আদেশ দিয়েছেন তখন কিন্তু কেউ উত্তেজিত হয় নাই। এরশাদের টাকা মেরে দেওয়া চোরের পুত্র আন্দালিব পার্থ যখন বলে- লতিফ সিদ্দিকিকে পাথর মারলে সোয়াব হবে তখন কিন্তু কেউ উত্তেজিত হয় নাই। বরং এমন ফতোয়ায় সবাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
@সুব্রত শুভ,
বাংগালী স্বভাব কি আমি আপনে একদিনে বদলাতে পারবো? আমরা আমাদের সংস্কৃতি সভ্যতা এসব নিয়ে অনেক গর্ব করলেও এসবের এক বড় অংশ হল ভন্ডামি ভড়ং,কারন বাংগালী অনুভূতি আহত হলেও আমার তেমনই মনে হয়।
এ দেশে পুরা পাড়ার গুন্ডার মত প্রকাশ্য মিডীয়ায় অশ্রাব্য ভাষায় হুমকি ধামকি, সন্ত্রাসীদের নিয়ে ওঠাবসা করলে কারো কোন অনুভূতি আহত হয় না, এমপিমন্ত্রীর হয়ে উলটা আরো ওপর মহল সাফাই গাইতে আসেন, এসবে তেমন কিছু কেউ মনে করে না। কিন্তু হজ্জ্ব সম্পর্কে মন্তব্য করে পার পাওয়া যায় না। সোজা কথায় চুরি ডাকাতি গুন্ডামী বদমাইশি করা গ্রহনযোগ্য কিন্তু ধর্মীয় কোন রিচ্যূয়াল সম্পর্কে মতামত প্রদান সম্পূর্ন অগ্রনযোগ্যই শুধু নয়, ফাঁসীতে ঝুলিয়ে মারার মত অপরাধ। এই সমাজে টুপি হিজাবের সাথে সাথে অপরাধ বাড়বে সেটা বুঝতে সমাজবিজ্ঞানী হতে হয় না।
এইসব হেঁজিপেজিরা মন্ত্রী হিসেবে না গেলেও মিডিয়ায় তাদের কথা মন্ত্রী হিসেবেই যায় এটা তার না জানার কথা না। এর প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে তা তার আরো ভাল জানার কথা। চুড়ান্তভাবে এই রকম বিনা নোটিশে দুই এক বাক্যে সমাজ সংস্কার জাতীয় কিছু হয় না, উলটা মৌলবাদ উষ্কানোই হয়। মন্ত্রীর ব্যাক্তিগত মতামত দেবার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই বলতে হয় যে উনি দায়িত্ববোধের পরিচয় দেননি।
@আদিল মাহমুদ,
টাঙাইল সমিতির অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। যা জাকজমকপুর্ণ স্থানও ছিল না। তবে এই ক্ষেত্রে মিডিয়া বেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। রাস্তায় মানুষকে ধরে ধরে যা বিষয়টি জানত না তাকেও জানানো হচ্ছে। হেফাজত মৌলবাদীদের নামানোর পেছনে মিডিয়ার ভূমিকা কম না। যতোটুকু মনে হয় তার বক্তব্যে যে হজ্বের স্তম্ভ যে ভেঙে পড়বে সেই ভাবে তিনি ভাবেননি। কিন্তু মন্ত্রী হিসেবে এবং দেশ বিচারে তার এমন কথা বলা ঠিক হয়নি। তবে তার সাক্ষাৎকার শুনে মনে হয় বেটার কলিজা আছে। লিংক- ‘বক্তব্য প্রত্যাহারের প্রশ্নই ওঠে না’
@সুব্রত শুভ,
হ্যাঁ, ওনার সাহস আছে বটে। দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় দেননি বললেও এ কারনে ওনাকে সালাম। আমি ওরকম বলিনি……মিডিয়া আমার নামে বলিয়ে নিয়েছে এই ধরনের কথাবার্তা বলে এড়াননি।
বিশেষ করে এই কথাটা ভাল বলেছেন,
যেসব ভন্ড আর রক্তলোলুপ সাইকো কথায় কথায় ফাঁসী দাও হুংকার ছাড়ে তাদের মগজে অবশই ঢুকবে না।
মিডিয়া আসলেই চায় এসব নিয়ে উত্তাপ বাড়ুক…আরো খবর বানাতে পারবে……ব্যাবসা বাড়বে। কূটিল মনের লোকেরা বলে ডাক্তাররা নাকি খালি বদদোয়া করে লোকে যেন অসূস্থ হয়……
কথা গুলো সত্যি হলেও একজন রাজনীতিকের মুখ থেকে এসময় আশা করি নি (আরো দশ বিশ বছর পরে হয়ত স্বাভাবিক হবে) । মনের কথা অসংকোচে বলা আবার কি ধরনের রাজনীতি? উনি বিশেষ কিছুর প্রভাবে ছিলেন বলেও ভাবতে পারছি না। যাহোক, নগদ সাধুবাদ জানিয়ে রাখি। কালই যদি উনি বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন, অবাক হব না। রাজনীতি বলে কথা। তবু উনার জন্য আমার সাধুবাদটা প্রত্যাহার করবো না।
সত্য অমোঘ নিয়মে প্রকাশ হতে থাকে, এ বিশ্বাস দৃঢ় হল। মৌলবাদী বলুন আর সন্ত্রাসী বলুন, রক্তচক্ষু দেখিয়ে তারা সত্য ঢেকে রাখতে পারবে না।
বাংলাদেশের বারটি জেলায় হিন্দুদের দুর্গামূর্তি ভেঙ্গেছে – অনেকেই বলেন দুর্বৃত্তরা এই কাজটি করেছে -হ্যা, যারা এই কাজ করতে পারে তারা দুর্বৃত্ত তো বটেই – তবে আমরা সাধারণ ভাবে যাদেরকে দুর্বৃত্ত বলি তারা কিন্তু সেই অর্থে মোটেও দুর্বৃত্ত নয় ! ব্যাপারটা একটু পরিষ্কার করা যাক | আমরা বলি দুর্বৃত্ত তারাই যারা টাকা পয়সা আত্মসাথের উদ্দেশ্যে বা অন্য কোন স্বার্থের কারণে মানুষের বাড়িঘর বা সম্পদ লুঠ-পাঠ করে – কিন্তু যারা হিন্দুদের দূর্গামূর্তি ভাঙ্গলো তাদের কিন্তু সেই মূর্তি ভাঙ্গা থেকে কোন আর্থিক লাভই হয়নি – তা হলে কি করে বলা যায় তারা দুর্বৃত্ত ? ধর্মীয় পরিভাষায় তারা কিন্তু মোটেও কোন দুর্বৃত্ত নয় ! তবে তারা কে বা কারা ??????? যারা বাংলাদেশে প্রতি বছর মূর্তি ভাঙ্গার কাজটি করে তারা হলো একেবারে ১০০ শত ভাগ খাঁটি মুসলমান ! একজন সাচ্চা মুসলমানের ধারে কাছে খড় কুটা আর মাটি দিয়ে মূর্তি বানিয়ে তার সাথে আবার ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তার আরাধনা -বন্দনা করবে আর সাচ্চা মুসলমানেরা তা নীরবে হজম করবে তাহলে ইসলাম মতে তার মুসলমানিত্ব তো তাৎক্ষনিক ভাবেই খারিজ হয়ে যাওয়ার কথা ! ব্যাপারটা আর একটু খোলাসা করা যাক – ইসলামের শুরুটাই তো মক্কার কাবা ঘরের ৩৬০ টি মূর্তি ভাঙ্গার মধ্য দিয়ে – এবং এই কাজটি করা হয়েছে আল্লার সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বান্দা খোদ ইসলাবের মহাশ্রেষ্ঠ নবীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে ! কাজেই সত্যিকার মুসলমান হতে হলে মূর্তি ভাঙ্গাটা শুধুই সুন্নত আর সওয়াবের কাজই না – এটি তাদের জন্য একেবারে একটি ফরজ কর্তব্য – ! আর তাইত দেখি বাংলাদেশে যখন পূজা আসে তখন এই খাঁটি মুসলমানদের হাত থেকে দুর্গামুর্তিকে রক্ষা করতে পূজাস্থলে পুলিশ পাহারা বসাতে হয় – তারপরেই কিছু কিছু সাচ্চা মুসলমানেরা এই পুলিশ পাহারা ভেদ করেই আল্লার অসীম রহমতে কিছু কিছু স্থানে এই মূর্তি ভাঙ্গার কাজটি সম্পন্ন করে খোদার খাস রহমত পাবার ব্যবসা পাকা করে নেয় – আর যারা ১০০ শত ভাগ খাটি মুসলমান না হলেও মোটামুটি খাঁটির কাছাকাছি তারা লাজ লজ্জার আর লৌকিকতার ভয়ে বা অন্য যে কোন কারণেই হোক এই ভাঙ্গার কাজটি না করতে পারলেও যারা এই মূর্তি ভাঙ্গার কাজটি সম্পন্ন করে মনে মনে তাদের বাহবা দেয় – এর বাস্তব প্রমান হল মসজিদ ভাঙ্গা তো দূরের কথা এমনকি ইসলাম আর নবীর বিরুদ্ধে তো টো সবটি উচ্চারণ করার সাথে সাথেই সারা দেশব্যাপী সাচ্চা মুসলমানেরা প্রতিবাদের ঝড় বইয়ে দেয় – মুসলমাদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লেগেছে এই জিকির তুলে সারা দেশ কাঁপিয়ে তোলে ! কিন্তু হিন্দুদের মূর্তি ভাঙ্গলে তারা একেবারে নিশ্চুপ ! তবে কি সব মুসলমানই এই মূর্তি ভাঙ্গা সমর্থন করে ! অবশ্য অবশ্যই না ! তবে সত্যিকার ইসলাম অনুসারে তারা মোটেও খাঁটি মুসলমান না, তারা হল নামে মুসলমান, বা মুসলমানের ঘরে জন্মগ্রহণ করেছে বলেই মুসলমান ! আর বাংলাদেশে এমন মুসলমানের সংখ্যা অনেক কম বিধায় সংখ্যাগুরু খাঁটি মুসলমানের ভয়ে নিশ্চুপ থাকা ছাড়া তাদের জন্য আর কোন পথ খোলা নাই ! আর যারা মুসলমানের ঘরে জন্মগ্রহণ করেও হিন্দুর এই মূর্তি ভাঙ্গার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয় তারা একেবারেই মুসলমান না, তাঁরা সত্যিকার অর্থেই খাঁটি মানুষ, আর বাংলাদেশে এমন মানুষ-মুসলমানের সংখ্যা দুর্ভাগ্যজনক ভাবে খুবই কম !
এই রকম অকপট সত্য বলার দুঃসাহস আর কোনো রাজনৈতিক দেখাতে পারেননি। স্যালুট আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে।
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় ভিত্তিও প্রুস্তত হোল 🙂
ওদিকে হাসান মাহমুদ এবং সাজেদা চৌধুরীর ক্যাচাল আবার একই সাথে হাজী-কমরেড ইনু মেননদের ধর্মীয় পাল্টি; ইত্যাদি ইত্যাদি; কেইস টা কি? মেছো মেছো পচা গন্ধ? একটা প্যাটার্ন দাঁড়াচ্ছে নাকি?
@কাজী রহমান,
লতিফ সিদ্দিকী জনসমাবেশে নিজের ধর্মীয় ভাবনা নিয়ে আগেও বক্তব্য দিয়েছেন। এটা নতুন কিছু না। তবে তিনি নিজে হজ্বে পালনে বিশ্বাসী না হলেও অনেক মানুষকে নিজের পয়সায় হজ্বে পাঠান এটাই মজার বিষয়।
আজ ঘটনাক্রমে বাংলাদেশে ৩০ শে সেপ্টেম্বর। হয়তো দিনটির আলাদা কোন মাহাত্ম্য নাই দেশে, কিন্তু অনেকেই দিনটিকে ‘ব্লাসফেমি রাইটস ডে’ বা ব্লাসফেমি দিবস হিসেবে পালন করেন। মুক্তমত প্রকাশের কারণে, বিশেষতঃ ধর্ম এবং ধর্মীয় কুসংস্কারের সমালোচনার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নাগরিক এবং অধিবাসীদের হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে, মৃত্যুর হুমকি দেয়া হচ্ছে, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হচ্ছে, গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়া হচ্ছে, ঠেলে দেয়া হচ্ছে মৃত্যুমুখে। মৌলবাদীদের পাশাপাশি এর সাথে যোগ হয়েছে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নও। তাদের স্মরণ করেই এই দিবসটি প্রতিবছর পালন করা হয় ২০০৯ সাল থেকে। ধর্ম পালন করা যদি মানুষের অধিকার হয়ে থাকে, ধর্মের সমালোচনা করাও যে অধিকার – সেটা জোরে সোরে জানানোই এই দিবসের উপজীব্য। গতবছর একটা লেখা লিখেছিলাম এ নিয়ে (এখানে)।
সেই ব্লাসফেমি দিবসেই এত বড় ব্লাসফেমি করে ফেললেন লতিফ সিদ্দিকী! কিন্তু করে যখন ফেলেছেনই কি আর করা! মন্ত্রী যা বলেছেন তার একতা কথাও ভুল না। শুধু তাই নয়, ঘরোয়া হোক, আর পাবলিকলি হোক, উনি যে কথাগুলো বলেছেন তা কোন মন্ত্রী সাহস করে কোথাওই বলতে পারেননি। তবে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে এ ধরনের মন্তব্য দিয়ে সহজে পরিত্রান পাবেন না। ‘টিপিকাল বাঙালি’র অন্য অনুভূতিগুলো ভোঁতা হলেও ধর্মানুভূতিটা প্রখর। হয়তো তাঁকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে শেষ পর্যন্ত। মন্ত্রিত্ব থেকে বহিষ্কারও ঘটে যেতে পারে, অসম্ভব কিছু নয়। কিন্তু তিনি যে সাহসিকতার পরিচয়টুকু আজ রাখলেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই এক বক্তব্যেই প্রমাণ করে দিলেন যে, ‘কিং ইজ ন্যাকেড’।
শুভ ব্লাসফেমি দিবস!
ব্যক্তি স্বাধীনতা ও বাক-স্বাধীনতা হলো পশ্চিমা সংস্কৃতি, এগুলো নিয়ে কথা বললে আপনি নিশ্চিন্তে “পশ্চিমা দালাল” ট্যাগ খাবেন। :-O
মন্ত্রী যা বলেছেন তার একটা কথাও ভুল না, এমনকি জয়কে নিয়ে যা বলেছেন সেটাও পুরোপুরি সত্য। ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে যার সামান্যতম জানাশোনা আছে, তাঁর এগুলা অবশ্যই জানার কথা। কিন্তু সমস্যা হইলো বেশী সত্য কথা বাংলাদেশের ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর সহ্য করার ক্ষমতা নাই। রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মকে সমালোচনার উর্ধে তুলে রাখতে রাখতে এমন অবস্থা হয়েছে যে, ধর্মের ব্যাপারে ছোটখাটো সমালোচনা শুনলেও এই ধর্মাবালদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে। :-s
অন্যদিকে পরিষ্কারভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, প্রথম আলো’র মত চিন্হিত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো মন্ত্রীর এই সামান্য সমালোচনাটাকে কেন্দ্র করে ধর্মাবালদের উস্কানোর দায়িত্ব নিয়েছে। দেশের প্রগতিশীল বামপন্থীরা যখন নিজেদের আদর্শকে লাথি দিয়ে হ্বজ পালন করতে যায়, তখন প্রতিক্রিয়াশীল আওয়ামী লীগের নেতার মুখ থেকে ধর্ম নিয়ে এই ধরনের সত্যভাষণ অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে। :guru:
অল্প কথায় দারুণভাবে পুরো বিষয়টি তুলে ধরেছেন। ফেসবুকের ডিজিটার লীগার, তাদের গ্রুপ সিপি থেকে শুরু করে নব্য কে গ্রুপ (খালেদ মোশাররফ গ্রুপ) সবাই মন্ত্রীর চেৌদ্দ দুগুণে আঠাশ গোষ্ঠী উদ্ধার করেই ক্ষান্ত নেই, পারলে আজকের মধ্যেই মন্ত্রীকে চেয়ারচ্যুত করে ফেলে। অথচ নির্মোহভাবে চিন্তা করলে মন্ত্রীর বলা একটা কথাও ফেলনা নয়। আমরা এসব নিয়ে অনেকদিন থেকেই বলে আসছি। হজ্জ্বের পুরো ব্যাপারটা স্রেফ দেশের কোটি কোটি টাকার অপচয় বৈ নয়…
লেখাটার জন্য (F)
@ঔপপত্তিক ঐকপত্য,
নতুন মন্ত্রী হওয়ার দৌড় মনে হয় ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বিষয়টা হেফাজতকে দিয়ে একটু ঘোলা করতে পারলে একটা মন্ত্রীর চেয়ার খালি হলেও হতে পারে। আর জনগণ তো দেখি জামাতকেও হার মানিয়ে দিল। আপনার গোলাপ থেকেও কোমল এই ধর্মীয় অনুভূতিটি।
@সুব্রত শুভ,
সমস্যা হলো এদেশে এটা কেবল মুসলমানের পৈর্তৃক সম্পত্তি :-Y