১) বিজ্ঞাপণের নারী মডেল কিংবা সিনেমার নায়িকা কি পণ্য?

আসেন আগে দেখি পণ্য কি—পণ্য একটা বস্তু মাত্র, যার স্বাধীন ইচ্ছা-অনিচ্ছা থাকার কোন প্রশ্নই ওঠে না, কেউ তা উৎপাদন করে এবং বাজারে বিক্রি করে, অন্যারা তা কিনে ব্যবহার করে। বিজ্ঞাপণের নারী মডেল কিংবা সিনেমার নায়িকা—তা তিনি যত খোলামেলাই হোন না কেন—নিজের ইচ্ছায় তা করেন। বোরকা পরবেন না বিকিনি পরবেন, সেটা যখন কারো নিজের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে, তখন তাকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপনের কোন সুযোগ নেই। গায়ের থেকে অর্ধেক কাপড় খুলে ফেলে দিলে কিংবা কোন পুরুষের সাথে স্বেচ্ছায় রাত্রি যাপন করলে কোন মানুষ পণ্য হয় না? শাহরুখ খান এইট প্যাক প্রদর্শন করলে, বা ম্যাথিয়াস লুরিডসেন এঞ্জেললাইক ফেইস করে ক্যাটওয়াকে হেঁটে গেলে কিংবা ডলচে এনড গ্যাব্বানার আন্ডারওয়্যার মডেলদের দেখে কি আপনি ‘পুরুষজাতি পণ্য হয়ে গেল’ বলে হায়হায় করে ওঠেন? তাহলে কেন দীপিকা পাডুকোন কিংবা আমার দেশের আড়ং মডেলকে পণ্য বলে চালাতে চান? বরং যে নারী নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে টানবাজারে ভাড়া খাটছেন, নাইজেরিয়ার যে স্কুল ছাত্রীকে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তুলে নিয়ে গিয়ে বোকো হারাম লিডারের চার নম্বর বিবি হতে বাধ্য করা হয়েছে, এমনকি আপনার বাসায় যে শিশু মেয়েটি রাত-দিন মাস গেলে কয়েক শ’ টাকার জন্য পরিশ্রম করে—-পণ্যের সংগায় তাদের ফেলা যায়। নারীর পণ্যায়নের বিরুদ্ধে কথা বলতে হলে এসব অনাচারের বিরুদ্ধে বরঞ্চ কথা বলুন, মডেল বা সিনেমার নায়িকাদের নিয়ে নয়।

২) মিডিয়ায় নারীকে পণ্য হিসাবে উপস্থাপন নিয়ে যারা বেশি উচ্চকিত তারা নিজেরাও কি নারীকে পণ্যের চেয়ে বেশি কিছু ভাবছেন?

অনেককেই দেখি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘নারী পণ্য হয়ে গেল’ বলে মরা কান্না জুড়ে দিতে। কেন ভাই আপনার মনে হয় নারী দেহের অংশবিশেষ বা পুরোটা আপনার চোখের সামনে উন্মোচিত হলেই সে একটা ভোগ্য পণ্য বিশেষ? তার প্রদর্শণ আসলে নারীর পণ্য হয়ে ওঠার বিরোধিতার মধ্যেই নারীকে পণ্য ভাবার, পণ্য হিসেবে কল্পনা করার এবং কল্পনায় সেই পণ্য ব্যবহারের একটা মানসিকতা লুকিয়ে থাকে। যারা এই রকম হায়হায় রব করে হরদম কান্নাকাটি করে থাকেন, তারা কিন্তু শ্রমিক নারীর কোমরে শাড়ির আঁচল গুঁজে হাঁটু পর্যন্ত কাপড় তুলে মাথায় ইট বওয়ার মধ্যে বা এখনো গ্রামে অনেক মা-চাচী-দাদীদের খোলা পুকুরে গোসল করার মধ্যে নারীর পণ্যায়ন দেখেন না। ক্লাসের সুন্দরী সহপাঠি, সবথেকে স্মার্ট কলিগ, মিডিয়ার সেলিব্রিটি নায়িকা-গায়িকা-মডেলদের নিয়ে তাদের মাথাব্যথা, অর্থাৎ যে নারী তার আরাধ্য কিন্তু হাতের নাগালের বাইরে। তাকে তার স্বল্প বসনের কারণেই হোক বা সো-কল্ড চারিত্রিক ত্রুটির কারণে এই ‘পণ্যে পরিণত হচ্ছেন’ বলার মধ্য দিয়ে পুরুষটির আসলে একরকম আনন্দ লাভ হয়। সে পণ্য, কিন্তু সেই পণ্য কার ভোগ্য? পরুষ জাতির, মানে সকল পুরুষের। এই সকল পুরুষের মধ্যে আমাদের কান্নাকাটি করা ভাইটিও আছেন। অর্থাৎ হাতের নাগালের বাইরের আরাধ্য নারীটি পুরুষজাতির অংশ হিসেবে তার নিজেরও ভোগ্য—এই রকম কল্পনা করে ঈশপের সেই শিয়ালের মত একরকম সুখ পাওয়া আর কি।

৩) আমরা যা দেখতে চাইনা মিডিয়া কি জোর করে আমাদের কি তা দেখাতে পারে?

আমার ব্যক্তিগত একটা অভিজ্ঞতা দিয়েই শুরু করি। বিবিসির শার্লক সিরিজের সিজন ওয়ান এবং টু যখন অন এয়ার হলো হচ্ছিল তখন শার্লক আমার দেখার আগ্রহ হয়নি—সিজন থ্রি দেখার পরে আমি শার্লকের প্রেমে পড়ে যাই, এবং পরে সিজন ওয়ান এবং টু দেখি। এর আগে বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচকেও আমি কখনো খেয়াল করিনি। আশ্চর্য্য বিষয় হলো শার্লক মিনি সিরিজ শেষ করার পনের দিনের মধ্যে আমি বেনেডিক্টের আরো তিনটা ছবি দেখে ফেলি—স্টারট্রেক ইনটু ডার্কনেস, টিংকার টেইলর সোলজার স্পাই, ওয়ারহর্স, এবং তা টেলিভিশনে। ইউটিউব খুলতেই একদিন দেখি এলান ট্যুরিং-এর ছবিটার ট্রেলার। মোটামুটি যেদিকে তাকাই সেদিকে কাম্বারব্যাচ টাইপ অবস্থা। পাইরেটস বে ইউজ করি মাঝেমাঝে (আনেথিকাল কাজ, কোন সন্দেহ নেই)—পাইরেটসের থেকে কোন কিছু ডাউনলোড করতে হলে আসেপাশে কতগুলো পর্ণ সাইটের বিজ্ঞাপণ দেখতে হয়। আমি কোন দিন খেয়াল করে দেখি না—যেমনটা খেয়াল করি না অন্য যে কোন বিজ্ঞাপণ তা সে গাড়ির হোক বা শাড়ির হোক। এইসব উদাহারণ দিলাম এই কারণে যে আমরা যা দেখি, যা দেখতে চাই—আমাদের নজরে তা-ই বেশি বেশি পড়ে, অন্যগুলো এড়িয়ে যায়।

আর মিডিয়া তার বিজনেস ও কোম্পানীগুলো তাদের মার্কেটিং এর স্বার্থে আমাদের আগ্রহ, প্রবনতা ইত্যাদি ক্লোজলি মনিটর করে। হ্যাঁ, সাপ্লাই দিয়ে মার্কেট ডিমান্ড ক্রিয়েট করার কাজ মিডিয়া করে থাকে, কিন্তু সেটা অনেক শ্রমসাধ্য, ব্যয়বহুল এবং রিস্কি বিনিয়োগ। তার থেকে অনেক সহজ হলো যে জিনিসের বাজারে চাহিদা আছে তাকে ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করা। দুনিয়া জুড়ে মার্কেটিং রিসার্চ ফার্মগুলোর কাজই সেটা। কি ভয়ংকরভাবে ইন্টারনেটে আমাদের প্রতিটা ক্লিক মনিটরড হয় তার একতা উদাহারণ দিই। আমি গুগল খুললেই দেখি এক বিজাতীয় ভাষায় কি একটা বিজ্ঞাপণ গুগল আমাকে সবসময় দেখায়। লক্ষবার বিজ্ঞাপণটা দেখে দেখে একদিন কৌতুহল বশত বিজ্ঞাপণের লাইনটা কপি করে গুগল ট্রানস্লেটে দিলাম—প্রথমে ভাষা ডিটেক্ট হলো জার্মান—এরপর দেখি গুগল আমাকে আসলে জিজ্ঞেস করছে আমি জার্মানীতে কাজ খুঁজছি কিনা। আসলে জার্মান ফুটবল দলের খবর পাবার জন্য আমি যে প্রায়ই জার্মান ওয়েবসাইটে যাই, গুগল মামাকে সেটাই বিভ্রান্ত করেছে। ফেসবুক বা ট্যুইটারেও আমাকে ডান এবং বাম পাশে যে সব পেইজ লাইক করার জন্য সাজেশন দেখানো হয়, সেগুলো কোন না কোন বিখ্যাত ফুটবলারের। একদিন কোন কারণে আনা ইভানোভিচের পেইজটা লাইক দেবার পর থেকে টেনিস খেলোয়াড়দের পেইজও সাজেশনে আসছে।

ইন্টারনেটই শুধু নয়, আমরা টিভি খুলে কোন চ্যানেল দেখি, কোন প্রোগ্রাম দেখি সেটাও টিআরপি দেখে বের করে ফেলে, ফলে বেশি দেখা প্রোগ্রাম প্রাইম টাইমে চলে আসে, সেই প্রোগ্রামের সময় বিজ্ঞাপণের খরচ বেশি। টিভি না দেখে সিনেমা হলে যাবেন, পত্রিকা পড়বেন, বই পড়বেন?—হলের সিট বিক্রি থেকে, বইয়ের কাটতি থেকে তারা সেটাও বের করে ফেলবে আপনি কি পড়েন, কি দেখেন। সেই অনুযায়ী ঠিক হবে বিজ্ঞাপণের প্রকৃতি, তার ভাষা। কাজেই মিডিয়া আমাদের কি দেখাচ্ছে, তার দায় কিন্তু শুধু মিডিয়ার না, আমাদেরও যারা দেখি। সৌদি আরবে বিকিনির বিজ্ঞাপণ কিংবা ন্যুড বীচে বুরকার বিজ্ঞাপণ দেখিয়ে ডিমান্ড ক্রিয়েট করবে—এইরকম গাধা বিজিনেসম্যানদের এবং তাদের মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টকে মনে করার কোন কারণ নেই। আমরা যৌনতা দেখতে চাই বলেই তারা আমাদের তাই দেখায়—যেদিন আমরা বুরকাওয়ালী দেখতে চাইব, সেদিন লাক্স সাবান মেখে বিজ্ঞাপণে বুরকাওয়ালীই হাজির হবেন।

বাংলাদেশে কিন্তু পাকিস্তানী বোরকার বিজ্ঞাপণ দেখায়, মঘা-ইউনানী চিকিৎসালয়ের বিজ্ঞাপণ দেখায়, পীর-দরবেশ, শেফা-দাওয়াখানা-সুলেমানী পাথর ইত্যাদির বিজ্ঞাপণ দেখায়—-আমাদের চোখে সেগুলো পড়ে, ঠিক মনে ধরে না বলে সেগুলো আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়, আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে না। শুধুমাত্র বিজ্ঞাপণে স্বল্পবসনা সুন্দরী নারী দেখলেই আমাদের সবকিছু নড়ে চড়ে উঠে মাথার উপর ভেঙে পড়তে চায়—কারণ ঐ রকম নারীর আবেদন আমাদের কাছে আছে, মনে মনে আমরা সবাই তাকে কুঁজিয়া বেড়াই। আড়ং-এর রিসেন্ট যে ছবিগুলো নিয়ে এত বিতর্ক হলো বা এখনো হচ্ছে (ছবিগুলোর এসথেটিক ভ্যালু জিরো এতে দ্বিমত নেই আমার, কিন্তু তন্যতন্য করে খুঁজেও যৌনতা পাইনি সেখানে), সেগুলোতে কিন্তু নারীর পাশাপাশি পুরুষও ছিল, আমরা পুরুষকে পণ্য বানানোর বিপক্ষে একটা কথাও কেউ কোথাও বললাম না, লিখলাম না। পুরুষ মডেলগুলো কি অদ্ভুতভাবে আমাদের দৃষ্টিতে উধাও হয়ে থাকল ভেবে অবাক হতে হয়……

৪) মিডিয়া কি আমাদের মনে সৌন্দর্য্যবোধের নতুন ধারণা তৈরি করছে?

আধুনিক মার্কেটিং মিডিয়া আসার আগে কি আমাদের মনে নারীর (এবং পুরুষেরও) সৌন্দর্য্যবোধের ধারণা ছিল না? ফেয়ার এন্ড লাভলীর বিজ্ঞাপণের আগে কি আমাদের দেশীয় ছেলেরা সব হুড়মুড় করে কালো মেয়ে বিয়ে করতে ঝাঁপিয়ে পড়তো? নিশ্চয়ই না। কালো মেয়ে সুন্দর না এই মতবাদ আমাদের মনের মধ্যে ছিল, আছে—ফেয়ার এন্ড লাভলী আমাদের এই চয়সের উপর ভর করে বিজনেস করছে শুধু। হ্যাঁ, এটা দায়িত্বশীল আচরণ নয় নিশ্চয়ই। কিন্তু যেখানে সমাজ দায়িত্বশীল নয়, ব্যক্তিজীবনে আমরা নিজেরাই দায়িত্বশীল নই, সেখানে ফেয়ার এন্ড লাভলীর কাছে থেকে দায়িতেশীলতা আশা করা একটু অধিক প্রত্যাশা নয় কি?

একজন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে মন্তব্য করেছেন মিডিয়ায় সুন্দর ক্ষীণকায় নারী এবং পুরুষ দেহের প্রদর্শণ মানুষের মনে তার স্বাভাবিক গড়ন স্মবন্ধে হীনম্মন্যতা তৈরি করে। ঠিকাছে, মেনে নিলাম যে বিজ্ঞাপণে সুন্দর নারী-পুরুষ দেহের ব্যবহার স্বাভাবিক গড়ন সম্বন্ধে নারী-পুরুষের মনে হীনম্মন্যতাবোধের জন্ম দিতে পারে। তা, এই একই অপরাধে কি আমাদের কবি-লেখক-ভাস্কর-চিত্রকর-শিল্পী-সাহিত্যিকদের দায়ী করা যায় না? মধ্যযুগের কবিরা নারীদেহের সৌন্দর্য্যের যেসব “ক্ষীণকোটিপীণোন্নতপয়োধরা” টাইপের রগরগে বর্ণণা দিয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ লাবণ্য-বিনোদিনী-মৃন্ময়ী-বিজয়াদের যে টাইপের আকর্ষণীয় চিত্র এঁকেছেন, জীবনানন্দ ভালোবেসেছেন পাখির নীড়ের মত চোখ আর শ্রাবস্তীর কারুকার্যময় মুখের আকর্ষণে, সুধীন চিকুরের পাকা ধানকে, কিংবা একালের হুমায়ূন আহমেদ রূপবতী-মায়াবতীর যে স্ট্যান্ডার্ড দাঁড় করিয়েছেন—সেগুলোও কি একটা অসুন্দর মেয়েকে হীনম্মন্যতায় ফেলে দেয়ার জন্য যথেষ্ট নয়? সব যুগে সব দেশে কবি-লেখক-ভাস্কর-চিত্রকর-শিল্পী-সাহিত্যিকরা নারীর সৌন্দর্য্যের স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করেছেন—-সেটা সাধারণ নারীকে বাদ দিয়েই। নারী-পুরুষের সৌন্দর্য্য কেমন হবে তার স্ট্যান্ডার্ড সমাজে ছিলই—মডেলিং মিডিয়া সেটাকে ভিজুয়ালাইজ করেছে মাত্র।

আধুনিক মিডিয়া বরং একটা ভালো কাজ করেছে—-নারীর পাশাপাশি উপেক্ষিত পুরুষকেও নিয়ে এসেছে। আধুনিক মিডিয়াকে আমি ধন্যবাদ দিই আরো একটা কারণে—মানুষের দৈহিক সৌন্দর্য্যও যে অত্যান্ত ডাইভারসিফায়েড একটা বিষয় সেটা আমাদের সামনে তুলে আনার জন্য, আমাদের শতাব্দীপ্রাচীন “ক্ষীণকোটিপীণোন্নতপয়োধরা” ধারণায় আঘাত করার জন্য। হ্যাঁ, সেটা তার বাণিজ্যিক প্রয়োজনে। তাতে বামপন্থীদের সমস্যা থাকতে পারে, আমার নেই। পুঁজিবাদী সমাজে পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে ব্যবসা করা বা ব্যবসায়ের বিজ্ঞাপণ করার মধ্যে আমি দোষের কিছু দেখি না। এই ব্যবসা করতে গিয়ে কর্পোরেট মিডিয়া এখন ভালো করেই জানে স্লিম-ব্লন্ড-ইউরোপীয়ান সুন্দরীদের শুধু বিজ্ঞাপণে ব্যবহার করলে এশিয়া-আফ্রিকায় বাজার ধরা যাবে না—-তার বাজার সম্প্রসারণের প্রয়োজনেই তাকে সাকা-কালো-বাদামী-হলুদ সব চামড়ার লম্বা-খাটো স্থুল-ক্ষীণকায়া সকল ধরণের নারীকে (এবং পুরুষকেও) টার্গেট করতে হয়, শুধুমাত্র আরিয়ান বিউটির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে তার চলে না। মিডিয়ার দৌলতে মিশেল ওবামা যখন জরীপে পৃথিবীর সুন্দরী মেয়েদের তালিকায় স্থান পান, তখন অনেক নারীই সৌন্দর্য্যের ভিন্ন মানে খুঁজে পেতে পারেন। কিংবা পাঁচফুট এক/দুই ইঞ্চির শাকিরার দিভা হয়ে ওঠার মধ্য দিয়ে খাটো মেয়েরা তাদের উচ্চতা নিয়ে হীনম্মন্যতাবোধ কাটিয়ে উঠতে পারেন। মাধুরী দীক্ষিত যার কাছে দিভা, তার চোখে দেখি ক্যারোলিন ওজনিয়াকিকেও ভালো লাগতে শুরু করেছে—তার মানে সিনেমার নায়িকার সাথে সাথে শক্ত-পোক্ত এথলেট মেয়েকেও পুরুষ সুন্দর হিসেবে স্বীকৃতি দিতে শুরু করেছে। সৌন্দর্য্যবোধের ধারণায় এই পরিবর্তনকে আমি পজিটিভলি দেখি।