আপনি কি জানেন মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা কে???
আপনি কি জানেন পৃথিবীর একমাত্র সত্য ধর্ম কি???
জানা না থাকলেও সমস্যা নেই;
আজকে এই একমাত্র সত্য ঈশ্বরের সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানতে পারবেন 🙂

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ কারো যদি আস্তিক হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে অথবা পূর্বের ঈশ্বর পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে তবে লেখাটি না পড়াই ভালো; কারন পড়লে আমাদের এই ঈশ্বরে আপনার বিশ্বাস আসতে বাধ্য।

আধুনিকতম ঈশ্বরের উদ্ভব ইতিহাসঃ
ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারের জন্মের পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছিল ইতিহাসের কলঙ্কিত একটি সিদ্ধান্ত। ব্যাপারটা শুরু হয় তখন যখন আমেরিকার স্কুলগুলোতে বিবর্তনবাদের পাশাপাশি ভুঁইফোড় তত্ত্ব ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন নামের জগাখিচুড়ী ছাত্রদের পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হল তখন। বিষয়টা মেনে নিতে পারেনি সেখানকার সাধারন জনগন থেকে শুরু করে নামী জীব-বিজ্ঞানী কেউই। বিষয়টা শেষমেশ কোর্ট অবধি উঠেছিলো। কোর্টের সেই বিষয়টি এবং ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বন্যা আহমেদ এবং অভিজিৎ রায়ের লেখা “আমেরিকায় ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের নামে কি হচ্ছে?” প্রবন্ধটি পড়ে দেখুন।

আরও একজন মেনে নিতে পারেনি সেই সিদ্ধান্ত। তিনি তৎকালীন পদার্থবিজ্ঞানের গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের স্টুডেন্ট ববি হেন্ডারসন। বিবর্তনবাদের পাশাপাশি ভুঁইফোড় তত্ত্ব ইনটেলিজেন্ট ডিজাইন স্কুলে পড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তিনি ক্যানসাস শিক্ষাবোর্ডের উদ্দেশে লেখা একটি খোলা চিঠিতে এই নতুন ঈশ্বর-ধারণার কথা উল্লেখ করেন। তিনি দাবী করেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটার এবং এই তত্ত্বও স্কুলে পড়ানোর দাবি তোলেন তিনি। কারণ প্রচলিত সৃষ্টিকর্তা তত্ত্বের সঙ্গে তাঁর প্রস্তাবিত তত্ত্বের চরিত্রগত কোনও ফারাক নেই। অন্য ঈশ্বরদের এবং ধর্মের যে সকল বৈশিষ্ট রয়েছে তার সবগুলো বৈশিষ্ট তার প্রস্তাবিত ধর্মেও রয়েছে।

প্রচলিত ঈশ্বর-ধারণার উদ্ভটত্ব, অবাস্তবতা, অলীকতা ও ভিত্তিহীনতাকে প্যারোডি করে আরও একটি নতুন ঈশ্বরের জন্ম দেন পদার্থবিদ ববি হেন্ডারসন
তার কথা ছিল অলীক ঈশ্বর এবং তার জগাখিচুড়ী তত্ত যদি স্কুলে পড়াতেই হয় তবে একটি নতুন আধুনিক ঈশ্বরের জন্ম দিলে দোষ টা কি??? যে ঈশ্বর প্রচলিত ঈশ্বরের চাইতে অনেক বেশী বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা প্রদানে সক্ষম সেই ঈশ্বর অবশ্যই বেশী গ্রহণযোগ্য।

  • “I think we can all look forward to the time when these three theories are given equal time in our science classrooms across the country, and eventually the world; One third time for Intelligent Design, one third time for Flying Spaghetti Monsterism, and one third time for logical conjecture based on overwhelming observable evidence.”
    ~ Bobby Henderson (pasta be upon him)

নতুন ঈশ্বরের প্রতিকৃতি এবং সিম্বলঃ
এক কথায় বলতে গেলে ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের মতন অবৈজ্ঞানিক তত্তকে প্রতিহত করতে ববির ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটার তত্ত ছিল একেবারে উচিৎ জবাব। নতুন ঈশ্বরের বর্ণনা দিতে গিয়ে তৈরি হল নতুন ঈশ্বরের মুখচ্ছবি।
নতুন ঈশ্বরের বর্ণনা দিতে গিয়ে ববি তার নতুন ঈশ্বরের নামের সাথে মিল রেখে ঈশ্বরের একটি মুখচ্ছবির বর্ণনা দেন।

শূন্যে ভাসমান কুন্ডুলি পাকানো একগাদা স্প্যাগেটি জড়িয়ে ধরে আছে দুটো মিটবলকে; উপরের দিকে রয়েছে দুটি চোখ। ববির প্রাথমিক সেই ঈশ্বরের মডেল এখনো একই রকম রয়েছে।

ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারের সিম্বল তৈরি করে দেয় বোইং বোইং ম্যাগাজিনের ওয়েবসাইটের পাঠকেরা। মূলত খৃস্ট ধর্মের যীশুর সিম্বলের সাথে মিল রেখে সেটাকে প্যারোডি করে ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারের সিম্বল তৈরি করা হয়।

চার্চ অভ ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটার – অন্ধকারে আলোর মশালঃ
ববির সেই ঈশ্বরকে অনেকেই ভুলে গেলেও সবাই কিন্তু ভুলে যাননি। পৃথিবী জুড়ে যদিও ১০ মিলিয়ন লোক বিষয়টি জানতো কিন্তু তারা স্বেচ্ছায় ব্যাপারটি গোপন রাখতে চেয়েছিলো। ২০০৫ সালে সাধারণ মানুষের উপকার করতে তারা একটি উপাসনালয় স্থাপন করেছিলেন। মোটামুটি সদস্য ছাড়া বাকী সবার অজান্তে গড়ে ওঠে চার্চ অভ ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটার। বহুদিন ধরে ব্রাদারহুড সিক্রেট সোসাইটির মানুষরা গোপনে তাদের ধর্মীয় বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছিল। শুধুমাত্র বৈঠকের সময় তারা ‘পবিত্র দস্যু পোশাক’ পরিধান করতো। পৃথিবীর অনেক নামকরা বিজ্ঞানীরা অনেক সাধ্যসাধনা আর অনেক পরীক্ষার বেড়াজাল পেরিয়ে তবে এই ধর্মের সদস্য হবার যোগ্যতা অর্জন করতো। কিন্তু শর্ত ছিলো একটাই – জীবন দিয়ে হলেও এর গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে। কিছুদিনের মধ্যে তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হলো। নতুন আর পুরাতনের সেই চিরন্তন বিভেদ। নতুনেরা আর নিজেদেরকে গোপন রাখতে চাইলো না। তাদের যুক্তি পৃথিবীর মানুষ এখন হয়তো এই সত্য জানবার যোগ্যতা অর্জন করেছে। জনসাধারনের মাঝে প্রকাশ হয়ে পড়ে নতুন এই ঈশ্বর। হেন্ডারসন প্রস্তাবিত আইডিয়াটি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। জনতা লুফে নেয় এই অভিনব ধারণাটি।

চার্চ থেকে নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে অফিশিয়াল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা যায়।

এর অনুসারী এখন অগুনিত।
এখন তা ‘আন্দোলনে’ পরিণত হয়েছে।

তাদের ধর্মের নাম “পাস্তাফারিয়ানিজম”!!!
এই ধর্মে অনুসারীদের উৎসবের এমন আরও হাজার হাজার ছবি পাবেন এখানে

চার্চ অভ ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারের সাইট টা বেশ মজাদার। ভুলবেন না ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারের জন্মই হয়েছিলো অন্য সকল ধর্ম এবং ঈশ্বরকে পচাতে। সংক্ষেপে সাইট টির কিছু সর্টকাট জানাই আপনাদের।

# পৃথিবীজুড়ে ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটার তার অস্তিত্বের প্রমাণ রেখেছেন। খ্রিষ্টানেরা যেমন যেখানে-সেখানে যিশু আর মাতা মেরীর প্রতিকৃতি, মুসলমানেরা খুঁজে পায় আরবিতে খোদাই করা আল্লাহ-নবীর নাম। ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারের অনুসারীরা তেমন খুঁজে পান এই স্প্যাগেটি-ঈশ্বরের প্রতিকৃতি। সেগুলো দেখতে এখানে চলে জান। খুজে দেখুন আপনার আশেপাশেও হয়তো এই ঈশ্বরের উপস্থিতি ধরে ফেলতে পারবেন 🙂

# আপনার যাবতীয় প্রশ্ন এবং সন্দেহের উত্তর দিতে স্বেচ্ছাসেবকেরা সদা প্রস্তুত। প্রশ্ন এবং উত্তর গুলো বেশ মজাদার। পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

# যুগে যুগে নতুন ধর্মপথের যাত্রীদের কম দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটার এর বিরুদ্ধে কটু কথা কম ছড়ায়নি প্রচলিত ধর্মানুসারীরা। পড়ে দেখুন এখান থেকে। সময়ের অপচয় হবেনা আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি 🙂

দা গসপেল অফ ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারঃ

চার্চ যখন হল তখন একটি ধর্ম গ্রন্থের প্রয়োজন দেখা দিলো। লেখা হল ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারের গসপেল। প্রিন্টেড বই আকারে বের হল ২০০৬ সালের ২৮ মার্চ। বইটি ডাউনলড করে পড়তে এখানে ক্লিক করুন। আধুনিক বিজ্ঞানের মাধ্যমে প্রকৃতির রহস্যের জবাব সেই গসপেলে দিলেন ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারের অবতার বা নবী ববি হেন্ডারসন। ডারউইনের মতবাদের মাধ্যমে মানব উৎপত্তির ইতিহাস লিপিবদ্ধ করলেন সেই বাইবেলে। বিজ্ঞানের অনেক প্রশ্নের জবাব এই আধুনিক এবং সর্বকনিষ্ঠ ধর্মগ্রন্থে দেয়া হল যা পূর্বেকার ধর্মগ্রন্থে আশা করাও বোকামি।
বইটি ডাউনলোড করে পড়া শুরু করুন; আজগুবি বাইবেল-কোরআন বাদ দিয়ে নতুন ধর্মগ্রন্থ থেকে মজা করে বিজ্ঞান শিখুন 🙂
_______________________________________________________________________________

ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারের বানী নিয়ে বাজারে আরও কিছু বই রয়েছে।


যেমন Jon Smith এর লেখা লেখা GOD SPEAKS! The Flying Spaghetti Monster in his Own Words বইটি পাবেন এখানে

বইটি থেকে কিছু সূরা বা পদ বা শ্লোকের নমুনাঃ

_________________________________________________________________________________

অবশেষে নাস্তিকেরা পেল মন মতন ঈশ্বরঃ

প্রথম অবস্থায় শুধু বিজ্ঞানীরা এই ধর্মের ছায়াতলে এলেও যেহেতু প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাস এবং সৃষ্টিকর্তাদের ব্যাঙ্গ করতে পাস্তাফারিয়ানিজমের জন্ম তাই নাস্তিকেরাও ধর্মটিকে লুফে নিলেন।
বিজ্ঞানীদের সাথে সাথে নাস্তিকেরাও দলে দলে যোগ দিতে থাকলেন ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারের অনুসারীদের দলে।

নাস্তিক কিন্তু ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারের অনুসারীদের মধ্যে অস্ট্রীয় নাস্তিক Niko Alm সম্ভবত সবচাইতে আলোচিত হয়েছিলেন সাড়া বিশ্বে।

টুপি নিয়ে ধর্মগুলোর উৎকট যে-বাতিকগ্রস্ততা আছে সেটিকে চরমভাবে ব্যঙ্গ করেছিলেন তিনি। প্রকারান্তরে তিনি ধর্মগুলোর তথাকথিত “ড্রেস কোড”-গুলোকেই হাস্যস্পদ করে তুলেছিলেন।

অস্ট্রিয়ার আইন অনুযায়ী ডকুমেন্টে ব্যবহার্য ছবিতে কোনও টুপি থাকা যাবে না; ব্যতিক্রম হতে পারে শুধু ধর্মীয় কারণে। ধর্মীয় টুপিকে ব্যাঙ্গ করতে আইনের এই ফাঁকটি ব্যবহারের চিন্তা তার মাথায় আসে।
তিনি মাথায় ছাঁকনি পড়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ছবি তুলতে চান।

তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলে মাথায় স্প্যাগেটির ছাঁকুনি দিয়ে ছবি তোলা বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন তিনি পাস্তাফারিয়ানিজমের অনুসারী এবং তাঁর ধর্মে এমন টুপি ব্যবহারের বিধান আছে। Niko Alm-এর মানসিক সুস্থতা বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সন্দিহান হয়ে ওঠে (যদিও অন্য ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে এই সন্দেহ জাগে না কারো)। তাঁকে বলা হয় সংশ্লিষ্ট ডাক্তারি সার্টিফিকেট দেখাতে যেখানে উল্লেখ থাকবে গাড়ি চালানোর মানসিক যোগ্যতা তাঁর আছে।

Niko Alm হাল ছেড়ে দেননি। অবশেষে তিনি স্প্যাগেটির জন্য ব্যবহৃত ছাঁকনি মাথায় বসিয়ে তোলা ছবি ড্রাইভিং লাইসেন্সে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছিলেন প্রায় ৩ বছর অপেক্ষার পর। বিবিসির খবর দেখুন এখানে

নেট খুজলে এমন আরও অনেক ফ্লাইং স্প্যাগেটি ফ্যান খুজে পাবেন।

_______________________________________________________________

অ্যানড্রয়েড মোবাইলের জন্য উড়ন্ত স্প্যাগেটি মনস্টারকে নিয়ে বানানো অ্যানড্রয়েড
গেইমটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন 🙂

_________________________________________________________________________

রিচার্ড ডকিন্স তার “দি গড ডিল্যুশন” বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটার সম্পর্কে বলেছেনঃ

বর্তমানে ইন্টারনেটে সবচেয়ে জনপ্রিয় ঈশ্বর যা প্রচলিত অন্য আর সকল সৃষ্টিকর্তাদের মতই মিথ্যা প্রমান করা সম্ভব নয়; সেটি হল উড়ন্ত স্প্যাগেটি মনস্টার। অনেকেই দাবী করেছেন তাদেরকে স্প্যাগেটি মনস্টার স্পর্শ করেছেন তার নুডলস এর মত শরীরের অংশ দিয়ে। আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি এটা জেনে যে ’গসপেল অব ফ্লাইং স্প্যাগেটি মনস্টার’ ইতিমধ্যেই বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে এবং প্রশংসিতও হয়েছে; আমি যদিও এখনো বইটি পড়িনি। কিন্ত গসপেল পড়ার কি দরকার? যদি আপনি অন্য ঈশ্বরে বিশ্বাসীদের মতন করে জানেন এবং বিশ্বাস করেন যে এটা সত্যি? বিশ্বাসের প্রমান খোঁজার দরকার তো নেই কোন ঈশ্বরে বিশ্বাসীদের কাছে? প্রসঙ্গক্রমে যা হবার কথা ছিল সেটাই হয়েছে। বড় মাপের মতবিভেদ ইতিমধ্যেই ঘটে গেছে অন্য ধর্মগুলোর মতই। ফলে তৈরী হয়েছে ’চার্চ অব দ্য ফ্লাইং স্প্যাগেটি মনস্টার’।

এসব ব্যতিক্রমী উদাহারন নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্য হলো একটাই; ঈশ্বরে বিশ্বাসীরা মনে করে এদের মিথ্যা প্রমান করা সম্ভব নয়। যেমন সম্ভব নয় এদের সত্য প্রমান করাও। তারপরও কেউ চিন্তা করেনা তাদের অস্তিত্ত্বের আর অস্তিত্ত্বহীনতার হাইপোথিসিস একই সমমানের। রাসেলের বক্তব্য হল প্রমান করার দায়ভার বিশ্বাসীদের; অবিশ্বাসীদের নয়। আমার বক্তব্যও কিছুটা সে ধরনেরই। উড়ন্ত চায়ের পটের (ফাইং সসার) বা স্প্যাগেটি মনস্টার/এসমেরেল্ডা আর কীথ/ ইউনিকর্ণ, আল্লা, ঈশ্বর, ভগবান ইত্যাদির অস্তিত্ত্বের সম্ভাবনা কিন্তু তাদের না থাকার সম্ভাবনার থেকে অনেক অনেক কম। যুক্তি এবং বিজ্ঞান দিয়ে সেগুলোকে মিথ্যা প্রমান করা সম্ভব।

______________________________________________________

ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারের জন্ম হয়েছিলো বিজ্ঞানের প্রয়োজনে; বিজ্ঞানের সত্য রক্ষার স্বার্থে।
অন্যায়ের প্রতিবাদে এবং বিজ্ঞান এবং যুক্তির বিকাশে।
ঈশ্বরাল্লাভগবান এবং ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটার সবাই মানুষের সৃষ্টি; কিন্তু অন্য আর ১০টি প্রচলিত ঈশ্বরের সাথে তার পার্থক্য হল ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটার পৃথিবীর একমাত্র বিজ্ঞান্মনস্ক ঈশ্বর।
“গসপেল অফ ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটার” পৃথিবীর একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যেখানে আজগুবি কাহিনীর বিপরীতে বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমানের উপরে ভিত্তি করে প্রকৃতির গতিবিধি জানানো হয়েছে।
আর যেহেতু বিজ্ঞান একমাত্র সত্য পথ তাই গসপেল অফ ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারের পথই প্রচলিত ধর্ম গুলোর মধ্যে সবচাইতে সত্য পথ।

যুগে যুগে এভাবেই মানুষের হাতে জন্ম নিয়েছে বর্তমানের শত-কোটি ঈশ্বরেরা; ধর্মীয় বিশ্বাস যদি থাকা এতটাই জরুরী হয়ে থাকে তবে আমরা বিজ্ঞানমনস্ক মুক্তমনারা বলতে পারি আমরা পাস্তাফারিয়ানিজমে বিশ্বাসী। যে ঈশ্বর বিজ্ঞানকে রক্ষা করতে সৃষ্টি হয়েছিলেন এবং সকল বিজ্ঞানের বই যে ঈশ্বরে বানী সেই ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারে ঈমান বা বিশ্বাস আনতে আমাদের তেমন কোন আপত্তি থাকার কথা নয় 🙂
আপনি যদি বিজ্ঞানে এবং বিজ্ঞানের ঈশ্বরে বিশ্বাসী হয়ে থাকেন তবে এখনি “পাস্তাফারিয়ানিজমে” এবং বিজ্ঞানে আস্থা এনে নিবন্ধিত হয়ে জান এখানে গিয়ে একদম বিনা মূল্যে 🙂
আপনাদের কাছে ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটারের কথা শেয়ার করে আমি নিজেকে পাস্তাফারিয়ান পাইরেট হিসেবে নিবন্ধিত করে নিলাম 🙂


অবশেষে আমি আলোর সন্ধান পেলাম 😉

নিবন্ধিত হলে স্বর্গে যাবেন কিনা জানিনা; তবে পৃথিবীটাই স্বর্গ হয়ে যাবে বিজ্ঞানের ছায়াতলে এসে 🙂
বন্ধুদের ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটার তথা একমাত্র সত্য ঈশ্বর বিজ্ঞান সম্পর্কে জানাতে লেখাটি ফেসবুকে শেয়ার করুন 🙂
এই ধর্মে বিজ্ঞানমনস্ক ঈশ্বর আছেন, নবী আছেন, উপাসনালয় আছে, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আছে, সার্টিফিকেট আছে, ধর্মীয় অনুষ্ঠান আছে আবার অবসরের জন্য মোবাইল গেইমও আছে 😉
অন্য ধর্মের সাথে তুলনা করলে এই ধর্মে কোন কিছু বাদ পড়লো কি ???
আসুন, যাচাই করুন; তারপর নিজেই উপলদ্ধি করুন এবং সত্য পথের যাত্রী হোন; একমাত্র সত্য ঈশ্বরের অনুসারী হোন।

বিজ্ঞানের জয় হোক 🙂
অপবিজ্ঞান ধ্বংস হোক 🙂