যে ৭ টি অতিগুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানে এই ধারাবাহিক পোস্টটি শুরু করেছিলাম সেগুলোঃ
১) সর্বগ্রাসী দুর্নীতি
২) পদ্মা সেতুর নিজস্ব (দেশীয়…)অর্থায়ন
৩) তীব্র যানজট (বিভাগীয় বা কিছু কিছু জেলা সদরগুলোতে…)
৪) বেকারত্ব
৫) দারিদ্রতা
৬) জনসংখ্যা সমস্যা এবং,
৭) সন্ত্রাস এবং বিপথগামী ছাত্র ও যুব রাজনীতি।
আজকের সমাধান হচ্ছে দুটি অতিগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা ২) পদ্মা সেতুর নিজস্ব অর্থায়ন এবং ৩) তীব্র যানজট (বিভাগীয় বা কিছু কিছু জেলা সদরগুলোতে…) নিয়ে; এইখানে উল্লেখ্য প্রথম পর্বে ১) সর্বগ্রাসী দুর্নীতি নিয়ে একান্ত নিজস্ব ভাবনা উপস্থাপন করা হয়েছিল।
২) পদ্মা সেতুর নিজস্ব অর্থায়নঃ
এইসব বিষয়ে এত কথা হয়েছে যে আমি কোন সমালোচনায় গিয়ে বিরক্তির কারণ হতে চাই না, তাই সরাসরি আমার প্রস্তাব উপস্থাপন করব। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করলে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা সরকার কীভাবে সামলাবে যখন ভিশন ২০২০ বা এমডিজিকে সামনে রেখে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (ADP or, Annual Development Programme) ক্রমবর্ধমান হওয়া বাঞ্ছনীয়? এই প্রশ্ন এবং অতিকায় সমস্যা নিয়েই ভাবনার শুরু। বার্ষিক উন্নয়ন যেন ব্যাহত না হয় তাই একটা বিকল্প উপায় বের করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান রাখতেই এই ভাবনা। ভাবনাটি এমন-
৭ টি বিভাগের বিভাগীয় সদরের সন্নিকটে ৭ টি উপশহর গড়ে তোলতে হবে। এইসব উপশহরের (প্রতিটির) আয়তন হবে ২ কিমি গুণন ১ কিমি অর্থাৎ ২ বর্গকিলোমিটার, যার পরিমাণ প্রায় ৪৯৪ একর বা ১,৪৯৪ বিঘা অথবা ২৯,৮৮০ কাঠা।
উপশহরগুলোর নামকরণ হবে যথাক্রমেঃ
বিভাগের নাম——— উপশহরগুলোর নাম
১) ঢাকা বিভাগ———বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ উপশহর
২) চট্টগ্রাম বিভাগ —– বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন উপশহর
৩) রাজশাহী বিভাগ — বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান উপশহর
৪) খুলনা বিভাগ——– বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ উপশহর
৫) সিলেট বিভাগ —— বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ হামিদুর রহমান উপশহর
৬) বরিশাল বিভাগ —– বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর উপশহর
৭) রংপুর বিভাগ ——- বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল উপশহর
আর এইসব উপশহরের মোট ২ বর্গকিমি জমির বিভাজন হবে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী এইভাবে-
তালিকায় দেখা যাচ্ছে প্রতি বিভাগে আবাসিক প্লটের মোট সংখ্যা ২,৫৩৯ টি যেখানে ১৮১৪ টি ৫ কাঠার এবং বাকি ৭২৫ টি ১০ কাঠার (এমন বিভাজন সরকারের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে অন্যভাবেও করা যেতে পারে!); এখন প্রশ্ন হতে পারে এত বিপুল পরিমাণ প্লট কাদের কাছে সরকার বরাদ্দ দিবে আর এইখান থেকে অর্থ উপার্জন বা উন্নয়ন কর্মসূচীতে অবদান কীভাবে হবে? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে দুইটি প্রাসঙ্গিক ঘটনার আলোকপাত করব-
ক) আর্মি হাউজিং স্কিম বা এএইচএস (AHS) হতে যাচ্ছিল যেখানে সরকার সকল সামরিক কর্মকর্তাদেরকে (আর্মি অফিসার) প্লট বরাদ্ধ দিবে; বাইরে থেকে আমরা সবাই (বা অনেকে) জানি অথবা মনেকরি এইসব সরকার সামরিক অফিসারদের ফ্রি দেয়, ধারনাটি ভুল। অফিসারেরা বরাদ্দকৃত প্লটসমূহ কাঠা কিস্তিতে নিজের উপার্জিত আয় থেকে কেনার কথা ছিল।
খ) বাংলাদেশের সরকার ও জনগন সর্বদা আমাদের প্রবাসীদের পাঠানোর রেমিটেন্সের প্রশংসা করি আমরা কি তাদের এত বিশাল ত্যাগ ও তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্যেও কোন প্রকার কোন স্বীকৃতি বা পুরস্কার দিয়েছি? বা রাষ্ট্র দিয়েছে? না দেয় নি। অথচ তাদের পাঠানো রেমিটেন্সই আমাদের বার্ষিক মোট প্রবৃদ্ধির একটা বড় অংশ দখল করে আছে। অথচ আজ পর্যন্ত তাদের জন্যে কোন পরিকল্পিত কোন প্রকার পদক্ষেপ কোন সরকারই নেয়নি। সরকারি হিসেব মতে বাংলাদেশের প্রবাসী মানুষের সংখ্যা ৮০ লক্ষাধিক আর বেসরকারিভাবে এই সংখ্যাকে ১ কোটিরও বেশী বলা হয়। এইসব প্রবাসীর মধ্যে সরকার বা উপশহরগুলোর নির্মাণ কর্তৃপক্ষ লটারির মাধ্যমে বিভাগ অনুযায়ী প্লট বরাদ্দ দিবে।
অর্থাৎ ১ কোটি প্রবাসীর মধ্য থেকে ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ আগ্রহী ক্রেতাকে পাওয়া তেমন কোন কষ্টসাধ্য ব্যাপার বা অসম্ভব কিছু হবে না। আবার সরকারের পক্ষে বিভাগীয় সদরগুলোর ২৫ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে এমন জায়গা অধিগ্রহণ করাও তেমন কোন কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয় ( আমার জানামতে ঢাকার অদূরে সাভারের বিশ্বরোডের পাশেই ৭৫০ বিঘা জমি ব্যক্তিমালিকানায় বিক্রয় হচ্ছে…); প্রতিটি বিভাগের উপশহরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নির্মাণ ব্যায় হবে সর্বোচ্চ ২,০০০ কোটি টাকা এবং আয় হবে ৫০০০ কোটি টাকার মত অর্থাৎ সরকার শিক্ষাখাত, চিকিৎসা খাতের ব্যাপক উন্নয়ন করতে পারবে ৭ বিভাগ কেন্দ্রিক যার পরিমাণ চলতি অর্থ বছর সহ আগামী ৩ অর্থ বছরের পদ্মা সেতুর জন্যে বরাদ্দকৃত ক্ষতিগ্রস্ত বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটের দ্বিগুণের কাছাকাছি। (এইখানে প্রকল্পের ব্যয় ও আয় সম্পর্কে অনেক তথ্য প্রাসঙ্গিক কারণেই গোপন রাখা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে এই রূপরেখা চূড়ান্ত করতে হবে…)
আমাদের গর্বের ৭ বীরশ্রেষ্ঠ
এইবার দেখুন এই উপশহরগুলোকে ঘিরে কি পরিমাণ বহুমাত্রিক উন্নয়ন হবে বা করা সম্ভব। তালিকার দিকে দেখলে বুঝা যাচ্ছে যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ বিদ্যালয়, মহা-বিদ্যালয়, বিশ্ব বিদ্যালয়, তথ্যও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়, পার্ক, লেক, কমার্শিয়াল স্থাপনা, হসপিটাল, মুক্তিযুদ্ধ যাদুগর এমন ব্যাপক উন্নয়ন করা সম্ভব এবং এর জন্য সরকারকে অন্য কোন বাজেট করতে হবে না। সব অর্থের সংকুলানই হবে এইসব প্রজেক্টের বিক্রিত আবাসিক এবং বাণিজ্যিক জমি/প্লট থেকে। এই বিষয় নিয়ে আমি পূর্বে অন্য ব্লগে বিচ্ছিন্নভাবে আরেকটা বিচ্ছিন্ন পোস্ট দিয়েছিলাম ঐখানে আমি প্রকল্পগুলোকে সফল করতে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততার কথা বলেছিলাম। উদ্যোগটির উপর ব্যপক আলোচনা, সমালোচনা&, পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা আরও ফলপ্রসূ এবং কার্যকর একটা পরিকল্পনা উপহার দিবে আশাকরি।
৩) তীব্র যানজটঃ (বিভাগীয় বা কিছু কিছু জেলা সদরগুলোতে…)
কত শ্রমঘণ্টা নষ্ট হয় কত জ্বালানী পুড়ে আরও কতরকম ক্ষতি হয় এমন আওলচনায় না গিয়ে সরাসরি আজকের প্রস্তাবে যাব কেননা কম বেশী ওইসব আমরা সবাই জানি। যানজট নিরসনের সবচে কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে বিরতিহীনভাবে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কোন রাস্তার সংযোগস্থলে চলতে দেয়া। তা কীভাবে করা সম্ভব? অনেকভাবেই করা যায়। একটা চার রাস্তার সংযোগস্থলের সমস্যা কতভাবে সমাধান করা যায় দেখব। প্রথমে বিশ্বে বহুল প্রচলিত কিছু যানজটের সমাধানের চিত্র দেখি।
চিত্রঃ The High Five in Dallas, Texas, United States: an example of interchange design. This is a complicated five-level stack interchange due to the proximity of frontage roads.
এইবার কয়েকপ্রকারের চৌরাস্তার সিগন্যালবিহীন যান চলাচলের কিছু শৈল্পিক এবং কার্যকর সমাধান দেখিঃ
a) Cloverleaf interchange:
চিত্রঃ A typical cloverleaf interchange located near Columbus, Ohio, United States, taken in March 1995.
চিত্রঃ A typical cloverleaf interchange এর রেখাচিত্র
b) Stack interchange:
চিত্রঃ A multi-level stack interchange inShanghai, China.
চিত্রঃ Four-level stack এর রেখাচিত্র
c) Turbine interchange:
চিত্রঃ Turbine interchange এর রেখাচিত্র
d) Roundabout interchange
চিত্রঃ Roundabout interchange এর রেখাচিত্র
e) Hybrid interchanges:
চিত্রঃ Hybrid interchange near Rotterdam, Netherlands.
এবং
চিত্রঃ Two-level cloverstack এর রেখা চিত্র
এমন আরও অনেক অনেক সমাধান আমরা দুনিয়াজুড়ে দেখি, উইকিপিডিয়ায় এমন অনেক সমাধানের সুন্দর সচিত্র বর্ণনা আছে। কিছুদিন আগে জিনিয়াস মাস ট্রানজিট সল্যুশন নামের একটা সমাধান চোখে পরে তা অনেকটা এইরকমঃ
উপরোক্ত সবকটি সমাধানই বর্তমানে ঢাকা শহরের কোন ব্যস্ততম চৌরাস্তায় প্রয়োগ করা অসম্ভব কেননা সে পরিমাণ জায়গা এবং কন্সট্রাকশনের জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি ব্যস্ততম ঢাকা শহরে নেই। বড়জোর কিছু ফ্লাইওভার নিরমানের মত পরিবেশ বিদ্যমান। এখন আজ এমন একটা সমাধান উপস্থাপন করতে যাচ্ছি যা ঢাকা শহরে সদ্য নির্মিত কয়েকটি ফ্লাইওভারের মতই সহজে নির্মাণযোগ্য। আমার সমাধানটি এমন-
যানজট নিরসনে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের (প্রস্তাবিত…) পক্ষ থেকে আমার নিজস্ব সমাধান
একটু লক্ষ্য করলে সবাই বুঝতে পারবেন কীভাবে একটা চৌরাস্তার মোড়ের চার দিক থেকে আসা মোট ১২ গতিপথের গাড়িকে কোন সিগন্যাল ব্যতিরেকে চলতে দিতে পারছি। এর জন্য মাত্র দুটি ইউ-লুপ (U-Loop) এবং এক জোড়া টানেল বা ছোট্ট ফ্লাইওভারের ব্যবহার করেছি। একদিক থেকে আসা গাড়ি সম্ভাব্য অপর বাকি ৩ দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, যেমন চিত্রে দেখানো ABC একপথের গাড়ি যা সম্ভাব্য বাকি তিন দিকেই যেতে পারে কোন বাধা ছাড়াই। এখন লাল রঙ্গে দেখানো এই ABC টাইপ গাড়ি ত্রয় কোন প্রকার বাধা ছাড়াই বাকি তিনটি পথে যেতে পারছে। এইখানে উল্লেখ্য সবচে বেশী ব্যবহৃত যে পথদ্বয় ঐ পথেই ইউ-লুপগুলো বসবে। (দক্ষ ড্রাফ্টসম্যানের অভাবে এবং চাকুরীর ব্যস্ততার কারণে আমি চিত্রটি অপেক্ষাকৃত ভালভাবে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে;তাই সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি…); আশাকরি সকলের গঠনমুলক সমালোচনা এবং সহযোগিতা প্রস্তাবদ্বয়কে চূড়ান্ত একটা উদ্যোগে পরিণত করতে পারব।
এই কাজটি আরও গুছিয়ে সবার সামনে উপস্থাপন করতে পারলে ভাল হত কিন্তু সময়ের অভাবে কখনই এটাকে পরিপূর্ণরুপ ঘরে বসে একা দেয়া সম্ভব নয় আপাতত তাই আমি অনলাইনে সবার সামনে উপস্থাপন করলাম যাতে করে জনকল্যাণে কেউ এই ভাবনাটিকে পরিপূর্ণরুপ দিতে এগিয়ে আসেন।
নোটঃ আগামী পর্বে আমার গবেষণায় প্রাপ্ত ভাবনাসমূহ থাকবে ‘৪) বেকারত্ব’ ও ‘৫) দারিদ্রতা ‘ বিষয়দ্বয় নিয়ে।
প্রাসঙ্গিক পূর্বের পোস্টগুলোঃ
১) “বঙ্গবন্ধুর ইউটোপিয়া ‘বাংলাদেশ’ গঠনে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের অনিবার্যতা”-একটি প্রস্তাব ও সম্ভাবনা ”
২) “‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’ অতঃপর দেশের সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাবলীর সমাধান (১ম পর্ব)”
@তারিক লিংকন
আপনি লিখে যান। আলোচনা সমালোচনা হবেই। আমি মনে করি এর মানে হল আপনার লেখাটি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং মানুষ এর বিষয়বস্তু নিয়ে ভাবছে। এটি প্রচার পাচ্ছে। এটা কিন্তু কম নয়; কি বলেন? অনেক মনীষীর অনেক আইডিয়াই অঙ্কুরে হাস্যকর হয়েছিলো, কিন্তু পরে তা নন্দিত হয়েছে, প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
আলোচনার সমালোচনার জন্য উন্মুক্ত থাকুন।
শুভেচ্ছা
@কাজী রহমান,
(F) (F) (F) (D) (D) :thanks: :thanks:
@তারিক লিংকন,
উন্নাসিকেরা যা বলে বলুক ভাই
আমার বাসোবাসযোগী দেশ চাই
বৃদ্ধ আর জড়ায় মুক্তি নাই
নতুন মত নতুন পথ
আর সজীব মন চাই
পচা গলা জীর্ণ ভাগাড়ে ফেলে
নতুন জীবনের আলো চাই
সব ভেঙ্গে দিন
ফেলে দিন ভাগাড়ে
ধ্বংস স্তূপের ওপরেই
উঠবে গড়ে স্বদেশ
…………………………
নতুন প্রান আর নতুন রক্ত চাই।
@সপ্তক, (Y)
সবাই এখানে এমন আচরণ করছে যেন সবাই নিজের প্রাইমারী স্কুল পড়ুয়া ছোড ভাইকে বোঝাচ্ছে!!!!!! এখানে এত আবেগের আছেটা কি আমি বুঝলামনা !!!! লেখক তো ইউনিভার্সিটি পাশ।
এখানে লেখক একটি মৌলিক নীতিমালা ভঙ্গ করেছেন – একবার না- দুই বার দুইটি ভিন্ন ভিন্ন পোস্টে।
লেখকের আইডিয়া অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য – একই ভাবে, কতগুলো প্রস্তাব হাস্যকর ভাবে সরলীকরণ এবং একপেশে।
আবেগ দিয়ে দেশ-দুনিয়া চলেনা। উপ্রে উপ্রে আবেগ থাকলেও, নির্মোহ চিন্তা যারা করতে পারে তাদের দ্বারাই দুনিয়া শাসিত হয়েছে – তারাই সফল।
এই প্ল্যাটফর্মে সব বিষয়েই নির্মোহ আলোচনা করা হয় – এমনকি বাঙালি জাতির দিকপাল শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বাদ যাননা। সবার ভালো দিক কিংবা মন্দ দিক সমান ভাবে আলোচনা করা হয়। এই ব্লগ প্ল্যাটফর্মের উদ্যোক্তাদেরও চরম ভাবে আলোচনা সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়। যাদের সমালোচনার বিরুদ্ধে যুক্তি আছে – তারাও পালটা যুক্তি দিয়ে এর জবাব দেন। এবং কোন euphemization এর আশ্রয় নেওয়া হয়না – সব কথা সরাসরি বলা হয়। কোন প্রকার prejudice পজিটিভ কিংবা নেগেটিভের ব্যাপার ভেবে কারো মন্তব্য ব্যান করা হয়না। এখানেই মুক্তমনা ব্লগের ভিন্নতা – কতক পোস্টের লেখা পড়ে অনেকের পিত্তি জ্বলে গেলেও এখানে তারা আসেন।
লেখককে সাদর আমন্ত্রণ এখানে নিয়মিত লেখার জন্য। যদি তিনি আসলেই মনে করেন এখানে তিনি লেখবেননা তাহলে সবার তার এই সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো উচিত। আমাদের আহ্বান তিনি লেখা চালিয়ে যাবেন। যারা তার লেখার ভক্ত – আন্তর্জালের যেখানেই লিখুন সবাই পড়তে পারবেন।
@সংবাদিকা,
কিছু নির্মোহ মানুষের নাম দেন ভাই। জানা থাকা দরকার। 🙂
@সংবাদিকা,
এইবার কিছু বলতে ইচ্ছা করছে!! আপনার নিক আর আচরণের সামাঞ্জস্যতা আমাকে খুবই উল্লসিত করেছে। কেন জানেন?
আমাদের দেশের সাংবাদিকেরা উদ্যোগের খবর থেকে সমালোচনা আর কাঁদা ছুড়াছুড়ির চমকপ্রদ খবর ফেরি করতে করতে নিজেরাই কাঁদাচ্ছন্ন হয়ে গেছে।। দেশের আনাচে কানাচে অনেক মৌলিক আবিষ্কর্তার খবর জাতি না পেলেও ঠিকই ১ টাকার জন্য খুনের খবর পৌঁছে যায় সবার কাছে…
বলি ৫৬ হাজার বর্গমাইলে যেখানে ১৬-১৭ কোটি মানুষ থাকে সেখানে ৩ বেলা ২ মুঠো খেয়ে যে এই জাতি বেঁচে আছে তাই আমাকে মাঝে মাঝে অবাক করে… এইবার আপনার মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে কিছু কথা-
দেখেন সবাই আমাকে ভার্সিটিপাশ করা ছোড ভাই মনে করছে নাকি অন্যকিছু তা একটু মাথা খাটাইলেই বুঝতে পারবেন…
— আমি একধিকবার বলেছি মুক্তমনা এখেত্রে আমার সাথে দ্বৈতনীতি অবলম্বন করেছে। একই লিখকের একাধিক পোস্ট প্রথম পাতায় দেখেই আমি ২য় পোস্টটি দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে দুজনকেই মুল্য দিতে হয়। আর অনেক পোস্ট অন্য ব্লগ থেকে এনে অথিতি লিখকের নামে মুক্তমনায় পোস্ট হতে আমি দেখেছি। তার থেকে বরং আমারটাই ভাল!! আমি একটা জনকল্যাণকর উদ্যোগকে সবাইকে জানাতে একই সাথে একাধিক ব্লগে পোস্ট করেছি। আমি বলেছি মুক্তমনা না যেহেতু চাই না আমি আর এই সিরিজ মুক্তমনায় প্রকাশ করব না।।
— আপনার এই কথা হচ্ছে তথাকথিত বাঙালী সাংবাদিকের মত অতিসরলীকরণ, কেননা আপনি একটা স্পেসিফিক উদ্যোগের স্পেসিফিক সমালোচনা না করে হুজুগে গড়পড়তা করাত চালাইছেন। ঠিক কোন যায়গায় সরলীকরণ এবং একপেশে হয়েছে জানার সুযোগ দিয়ে বাদিত করবেন।।
–আবেগ দিয়েই ১৪০০ বছর আগের জঞ্জাল আজ বিশ্ব শাসন করছে, আবেগ দিয়েই ট্রয় নগরী ধ্বংস হয়েছে, আবার আবেগ দিয়েই টুইন টাওয়ার ধূলিসাৎ হয়েছে; একই সাথে আবেগ দিয়েই দুনিয়ার তাবৎ শিল্পকর্ম হয়েছে এবং আবেগ দিয়েই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।। এইবার আপনার কথার যথার্থতা প্রমাণ করবেন আশা করি… মানুষ নির্মোহ হয় এই প্রথম শুনলাম। আচ্ছা বলেনতো আইনস্টাইন বা ডারউইনের মানব কল্যানের মোহ ছিল না? অথবা রবীন্দ্রনাথে শিল্পের প্রতি মোহ ছিল না?
—উপরের ব্যাখ্যার পর আর কোন মোহাচ্ছন্ন ব্যাখার প্রয়োজন বোধ করছি না।
— আমি স্পষ্ট বলেছি এই সিরিজ পোস্ট করব না; কিন্তু সবাই একই ভুল বুঝল ক্যামনে মাথায় আসে না… আশাকরি মানবকল্যানের মোহে মানবতার তরে কাজ করে যাবেন। ধন্যবাদ…
@তারিক লিংকন,
নিকটি “সাংবাদিকা” কিংবা “সাংবাদিক” নয়, “সংবাদিকা”. আর নিকটি ব্যবহারকারী ব্যক্তি পেশাগত ভাবে সাংবাদিক নয়, সাংবাদিক হিসেবে কোন সময় কোন পেশাগত দায়িত্বও পালন করেননি। তিনি পেশা হিসেবে আপাতত প্রকৌশল জগতে সামান্য বিচরণ করে থাকেন 🙂
@সংবাদিকা,
“সাংবাদিকা” কিংবা “সাংবাদিক” নয়, “সংবাদিকা” এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখিত!
তবে একটা প্রশ্ন আমার এই ভুল কি উপরোক্ত সকল যুক্তিকে ভুল প্রমাণিত করে?
আপনার ট্রাফিক সমাধান প্রস্তাবনা দেখে কিঞ্চিত আগ্রহী হলাম যেহেতু আমি অনেকটা এ বিষয়ের ওপর কাজ করি।
আপনার ইউ-লুপ পদ্ধুতিতে নতুনত্ব আছে তবে চুড়ান্তভাবে তেমন ফিজিবল মনে হচ্ছে না। যে কোন রকম বাঁক ঘোরা মানেই গতি কমাতে হবে, ফলাফল পেছনে ট্রাফিক জমা হতে থাকবে (কিউ), সামনের ট্রাফিকের নিরবিচ্ছিন্ন পথও যতক্ষন না এর টার্ন শেষ হচ্ছে পরিষ্কার হবে না, মানে তাদেরও অপেক্ষা করতে হবে। মৌলিক সমস্যা এখানে। এভাবে সব ডিরেকশনে ট্রাফিক জমা হতে থাকলে সিগন্যাল ব্যাবস্থার চেয়েও খারাপ ফলাফল হবার সম্ভাবনা আছে। টানেল ঠিক কোথায় বসাবেন তা অবশ্য বুঝলাম না। এ ছাড়াও ইউ লুপ বসানো অতটা সহজ নয়। এর জন্যও যায়গা দরকার। শুধু প্যাসেঞ্জার গাড়ির কথাই চিন্তা করলে হবে না। বড় ট্রাকের কথাও চিন্তা করতে হবে। তাদের ইউ-টার্নের জন্য প্রচুর যায়গা লাগে। আপনি একই ইন্টারসেকশনে একই সাথে সিগন্যাল এবং এই লুপ নিশ্চয়ই চালাবেন না।
আশা করি কিছু মনে করলেন না। আইডিয়া চিন্তা করতে দোষ নেই, এভাবে সকলে চিন্তা করলে হয়ত ভাল কোন সমাধান বার হলেও হতে পারে। যদিও আমার এখনো তেমন কিছু সম্ভব মনে হয় না। যে পরিমান ট্রাফিক ঢাকায় চলে তাতে খুব বেশী কিছু করার নেই।
@আদিল মাহমুদ,
ঢাকায় যান জট সমস্যার মূল কারণ যান বাহনের ঘনত্ব সাচুরেশন পয়েন্ট অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছে। নতুন অবকাঠামো বানিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না। এখানে পলিসি পর্যায়ে বেশ কিছু ব্যবস্হা নেয়ার সুযোগ বিদ্যমান সড়কে উপস্হিত যান বাহনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রন করে সহনশীল পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। এজন্যে প্রথমেই ‘কনজেসশন চার্জ’ চালু করতে হবে এক বা একাধিক ‘কনজেসশন চার্জ জোন’ সৃষ্টি করে। সাপ্তাহিক ছুটি অথবা সরকারী ছুটির দিন ব্যতীত সাধারণ কর্ম দিবসকে এই কনজেসশন চার্জের আওতায় আনতে হবে যা সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে। এছাড়া যানবাহনের রেজিস্ট্রেশনের শর্তগুলো কঠোর এবং ব্যায়বহুল করতে হবে। অনদিকে বেসরকারী পর্যায়ে গন পরিবহন সেক্টর আধুনিকান উৎসাহিত করতে হবে। ব্যাক্তিগত যানবাহন চলাচল নিরুৎসাহিত করা পরিবেশ বান্ধবও বটে।
@সংশপ্তক,
নুতন ইনফাষ্ট্রাকচার করার মত অবস্থা আমাদের তেমন নেই। কিছু ফ্লাই-ওভার আর সারফেস লাইট ট্রেন জাতীয় করা যায় অত্যন্ত সীমিত কিছু মেজর করিডোরে।
তবে আধুনিক যে কোন জানযট ওয়ালা শহরেই নুতন ইনফাষ্ট্রাকচার থেকে সুষ্ঠূ প্ল্যানিং/ ম্যানেজমেন্ট জাতীয় এপ্রোচের দিকেই জোর দেওয়া হয় বেশী। আজকে ঢাকা শহর যে অবস্থায় পৌছেছে তা হঠাত করে হয়নি বা কোন সারপ্রাইজ নয়,বহু বছর ধরে সকলের চোখের সামনে তিলে তিলে এই অবস্থা হয়েছে। যখন সময় ছিল তখনই সুষ্ঠু কিছু পরিকল্পনা করে এগুলে আজ আর অচলাবস্থা হয়ত হত না। কার সময় আছে এসব নিয়ে চিন্তা করার? না সরকারের, না আমজনতার। রাজধানী ঢাকা শহরের বুকে রাতারাতি আড়াই হাজার লাশ ফেলে গুম করা হয়েছে এই জাতীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে জনতার যতটা না উতসাহ তার কানাকড়ি আগ্রহও গঠনমূলক কিছুতে নেই। ঢাকা শহরে যে এখনো খাওয়ার পানি পাওয়া যায় আমার এটাই অনেকটা বিস্ময়কর মনে হয়।
প্রথমেই বহু বছর আগেই, স্বাধীনতার পর থেকেই উচিত ছিল ঢাকামুখী জনস্রোত ডাইভার্ট করা, সেটা করা হয়নি। এমন এক ব্যাবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে যে লোকে ঢাকায় থাকতে বাধ্য হয়। সর্বনাশের গোড়া সেখানেই। নেই কোন জোনিং কোড…থাকলেও কেউ মানে না
এরপরে উচিত ছিল প্রাইভেট কার যতভাবে সম্ভব নিরুতসাহিত করে পাবলিক ট্রাঞ্জিট উন্নত করা-এটা সিরিয়াসলি শুরু করা উচিত ছিল বছর বিশেক আগে। কে কাকে বোঝায়। ব্যাক্তিগত পর্যায়ে দেখেছি কেউই গাড়ি ছাড়তে রাজী নয়। ইউরোপিয়ান, এমনকি আমেরিকান সাহেবরাও বাসে ট্রেনে চলাচল করতে পারে, কিন্তু আমাদের দাম কমে যায়, আমরা ব্লু ব্লাড বলে কথা। অবশ্য এ বছর দেশে গিয়ে কিছুটা হলেও বিশ্বাস করতে হয়েছে যে প্রাইভেট গাড়ি এখন অনেকটা নেসেসিটি। পাবলিক ট্রাঞ্জিটের অবস্থা আগের চাইতেও আরো খারাপ মনে হয়েছে। এটা এমন কিছু অস্বাভাবিক নয়। যেখানে লোকে অটো ওনারশিপের দিকে ঝুকে সেখানে পাবলিক ট্রাঞ্জিট খারাপ হয়। আমাদের সরকারগুলি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে যাতে লোকে গাড়ি কেনার বিলাসিতার দিকে আগ্রহী হয়। ফলও হয়েছে। আমেরিকানদের অবস্থা এমনই, খালি এসব বিলাসিতা তাদের করার মুরোদ আছে, আমাদের নেই। সেই আমেরিকানরাও এখন দ্রুত পাবলিক ট্রাঞ্জিটের দিকেই ঝুঁকছে।
গাড়ি মালিকানা/ ট্রিপ কমানো ছাড়া উপায় নেই। ট্রিপ নিরুতসাহিত করার বহু বুদ্ধিই আছে; পার্কিং এর চার্জ বাড়ানো, শহরের কেন্দ্রগুলিতে প্রবেশমূখে উচ্চ হারে টোল বসানো……একা গাড়িতে থাকলে সে ট্রিপের হার আরো বাড়িয়ে দেওয়া…গাড়ির মালিকদের আয়কর বাড়িয়ে দেওয়া এজাতীয় বহু ব্যাবস্থা চিন্তা করা যায়। তবে এগুলি সমস্যা সমাধানের (পুরো সমাধান বলতে আসলে কিছু নেই)মূল উপায় নয়। মূল লক্ষ্য হতে হবে উন্নত পাবলিক ট্রাঞ্জিটের ব্যাবস্থা করা।
@আদিল মাহমুদ,
ঢাকা শহরের দৈর্ঘ্য কত?। যাত্রাবাড়ি থেকে গাবতলি এই ত। সাইকেল ছাড়া আর কোন যানবাহন ব্যাক্তিগত পরিবহনের জন্য দরকার আছে নাকি?। মূল ঢাকা শহরে পায়ে হাটা আর সাইকেল এই যথেষ্ট। পরিবেশ , টাকা সবই বাচে। উন্নত দেশেও এখন মানুষ প্রচুর হাটে, শরীর ভালো থাকে। ট্রাক,পাব্লিক বাস, জরুরী পরিবহন ছাড়া আর কোন যান্ত্রিক যানের ই দরকার নাই ঢাকায়।
@সপ্তক, দশ মিনিটের পথও আমরা হাঁটতে চাই না। জ্যামে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকবো কিন্তু পাঁচ মিনিট হাঁটবো না। মোটামুটি এই হচ্ছে আমাদের নাগরিক চরিত্র।
@সপ্তক,
একমত।
আসলে ইমার্জেন্সী, ডেলিভারী, স্কুলিং, বয়ষ্ক এ জাতীয় কিছু অবস্থা ছাড়া বাকিটা অনেকটাই নন-মটোরাইজড ব্যাবস্থায় চালানো সম্ভব ছিল। যারা দূর পাল্লায় পাড়ি দেবে তাদের জন্য পাবলিক বাস। যারা বড় সাহেব বলে নিজেদের মনে করেন তাদের জন্য ট্যাক্সি। তাতে অন্তত একটি গাড়ি একজনের জন্য সারা দিন ব্যাবহার হবে না, অর্থাৎ একই গাড়ি বেশ কয়েক জনের প্রয়োযন মেটাবে। তবে এখন শহরের যে অবস্থা তাতে হাঁটার যায়গাও বার করা মুশকিল।
এসব কথার তেমন বাস্তব গুরুত্ব অবশ্য নেই। যে কোন প্রকল্পই সফল হয় না যদি না যারা সেটা ব্যাবহার করবে তারা মন থেকে সেটাকে গ্রহন না করে। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে বাই প্রোডাক্ট হিসেবে বিলাসিতার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে মারাত্মক ভাবে। আমাদের ছোটবেলাতে দেখতাম সেকালের ধনী দরিদ্র সব শ্রেনীর লোক, বিশেষ করে ছাত্ররা ব্যাপক হারে সাইকেল ব্যাবহার করে। সকালে দেখা যেত দল বাধা অফিস যাত্রীররা পেছনের ক্যারিয়ারে টিফিন বাক্স বেধে চলেছে। সেসব এখন অকল্পনীয়। যানজট সমস্যা সমাধানে একমাত্র কিছুটা কাজ করবে গাড়ি কমিয়ে উন্নত ট্রাঞ্জিট, তার জন্য ব্যাবস্থার সাথে সাথে দরকার মাস মোটিভেশন। এর জন্য দরকার ব্যাপক প্রচারনা…লোককে দুদিনের বিলাসিতার কুফল সম্পর্কে সচেতন করা।
@আদিল মাহমুদ,
ভাই আমি আগামী পর্বগুলোতে ‘স্বাধীনতার পর থেকেই উচিত ছিল ঢাকামুখী জনস্রোত ডাইভার্ট করা, সেটা করা হয়নি।” এই সমস্যার একটা সমাধান দেয়ার চেষ্টা করার কথা ছিল।। ব্লগের একটা সুবিধা হল একটা প্রস্তাব উপস্থাপনের পর আমরা এর ব্যপক সমালোচনা আর আলোচনার মাধ্যমে একটা ভাল এবং মঙ্গলময় কিছু করতে সমর্থ হব। এক্ষেত্রে আপনাদের মত সবাই এগিয়ে আসলেই আমরা কাঁদা ছুড়াছুড়ির রাজনীতি এবং ব্লগিং থেকে বের হয়ে মানব কল্যাণকর কিছু করতে পারব…
@সংশপ্তক,
এইখানে অবকাঠামোগত কিছু স্থাপনার সৃষ্টি এবং একইসাথে ঢাকার জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধের কিছু নীতিমালার যুগপৎ কার্যকর হওয়াটাই একমাত্র সমাধান…
এইজন্য সম্পূরক আরও কিছু প্রস্তাবই পারে এমন সমস্যা থেকে ঢাকাবাসীকে রক্ষা করতে!!
ধন্যবাদ…
@আদিল মাহমুদ,
আপনাকে অফুরন্ত ধন্যবাদ।। গঠনমূলক কিছু বলার জন্য…
যেমন ধরেন মিরপুর-১০!! আমার ডিজাইনের একটা পূর্বশর্তই চৌরাস্তার সংযোগস্থলে বিশেষ করে যেইখানে U-Loop দ্বয় হবে সেখানে রাস্তা প্রশস্ত হতে হবে আর এইটা সম্ভব কেননা আপনি ঢাকা – চট্টগ্রামের কিছু নির্মাণাধীন ফ্লাই-ওভারের কর্মযজ্ঞ দেখলেই বুঝতে পারতেন।
আর আমি টানেলের কথা কেন বলেছি তা ডিজাইনটা আরেকটু মনোযোগ দিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন… দেখুন U-Loop থেকে নেমে যে গাড়ির গতিপথ সোজা হবে তাকে সিগন্যাল ব্যতিরেকে চলতে দিতে চাইলে আরেকটা ফ্লাই-ওভার বা টানেল লাগে; এর সমাধান আমি ভেবে রেখেছি।। কিন্তু ড্রাফটসম্যানের অভাবে আমি ঠিক উপস্থাপন করতে পারি নি…
আর আপনি যে সমস্যার সম্ভাবনা দেখছেন আমার মনে হয় তা একটু স্পেশাস ডিজাইন সমাধান দিতে পারবে… ভাল থাকবেন! আবারও ধন্যবাদ…
তারিক লিঙ্কন ভাই, দয়া করে মুক্ত মনার নীতি মালা অনুসরন করুন।এটা না করলে অনর্থক ভুল বুঝাবুঝি হবে আর আমরাও এতে আপনার এই সুন্দর সিরিজটি থেকে বঞ্চিত হতে পারি, এই আশংকা করছি আমি।মানে যদি আপনি মডারেটরের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে এই সিরিজটি এখানে না লেখার সিদ্দান্ত নেন( আমার যতদূর মনে পড়ে যে,অতীতেও এমনটা একবার একজন করেছিলেন বলেই যতদূর আমার মনে পড়ে;যদিও ব্যাপারটি পরে মিটমাট হয়ে গিয়েছিল) সেক্ষেত্রে আমরা অসাধারন লেখাটি থেকে আমরা বঞ্চিত হতে পারি হয়ত। কাজেই অনাকাঙ্খিত কোন মনোমালিন্য হোক এটা আমরা কেউ চাই না। কাজেই আমি একজন পাঠক হিসাবে আপনার কাছে আবেদন রাখব যে দয়া করে মুক্ত মনার নীতিমালার দিকে আরেকটু মনোযোগ দিন;যেমনটা পুর্বের মন্তব্যে মডারেটর আপনাকে বলেছেন। ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা আপনাকে।
@অর্ফিউস,
বেশ কয়েকটি কারণে আমি লিখাগুলো বা সিরিজটি একাধিক ব্লগে লিখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলামঃ
ক) বেশী পাঠককে পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য,
খ) আইডিয়াসমুহের কপিরাইট নিয়ে যাতে ভবিষ্যতে কোন প্রকার বিভ্রান্তি দেখা না দেয়,
গ) ব্লগের গুরু মুক্তমনায় আমি সবচে ভাল গঠনমূলক সমালোচনা পাব আশা করেছিলাম, তাই আমি ইস্টিশন এবং প্রজন্ম ব্লগের পাশাপাশি মুক্তমনায় লিখাগুলো দিয়েছিলাম…
ঘ) মুক্তমনায় অনেক লিখা অন্যান্য ব্লগের পাশাপাশি প্রকাশিত হয়েছে, তাই ভাবছিলাম এমন জনকল্যাণমূলক পোস্টগুলো প্রকাশে কোন প্রকার বাধা আসবে না…
আমি আপনার কাছে , মোডারেটর এবং মুক্তমনার পাঠকদের কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি এই সিরিজটি মুক্তমনায় না প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একইসাথে যে তিনটি পোস্ট প্রকাশিত হয়েছে মোডারেটর ভাল মনে করলে ওইসবও অপসারণ করতে পারে…
সবাইকে ধন্যবাদ আমি ফিরব সাময়িক বিরতির পর!!
@তারিক লিংকন,
তাহলে বরং ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দিয়েন, আর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েন তাহলেই আশা করি অনেক লোক পড়তে পারবে 🙂
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। ভাল থাকবেন ভাই । (F)
@অর্ফিউস,
আসলে আমি কখনও ব্লগে লিখব চিন্তাও করি নি…
৫ ফেব্রুয়ারির গনজাগরন মঞ্চের পর যখন প্রতি সন্ধ্যায় অফিস শেষে যেতাম তখন আসলেই খুব ইচ্ছা করত দেশটার জন্য কিছু করি!! তেমন ভাবনা থেকেই বেশ কিছু ব্লগ লিখেছিলাম…
হয়তো আমি অনেক ছেলেমানুষীপূর্ণ কিছু স্বপ্নের কথা বলেছি, হয়তো কখনই তেমন কিছু হবে না!! কিন্তু আমার বারবারই মনে হয়েছিল যে যারা আমায় একাধিকবার বলছিল যে এমন কথা বা ভাল মানুষীপূর্ণ লিখা কেউ আমলে নিবে না তখন একটাই উত্তর দিয়েছিলাম যে “আপনাদের মত কঠিন সমালোচনা পূর্ণ বা বিদ্বেষপূর্ণ লিখাই গত ৭/৮ বছরেও কিছু হয় নাই, আমি বরং অন্যভাবে চেষ্টা করে দেখি…” চেষ্টা করেছি, বাধা পেয়েছি, আঘাত পেয়েছি কিন্তু হাল ছাড়ি নি!!
মুক্তমনা আমার পোস্ট যেভাবে সরিয়ে দিল প্রথম পাতা থেকে তাতে আর আমার কি পোস্ট দেয়া সমীচীন হবে? আপনারা দুজন মন্তব্য করেছেন কিন্তু পোস্টের কোন রিভিউ কি আমি পেয়েছি?
আমি দেখেছি আপনারা দুজনই প্রথম থেকে আমার পাশে ছিলেন অনেক সাহসও যুগিয়েছিলেন লিখা চালিয়ে যেতে!! আপনারাই বলেন আমার কি উপায় আছে? বেগুন নিয়ে একটা লিখা ইস্টিশনে পোস্ট হওয়ার পর যদি মুক্তমনায় ১০ দিন প্রথম পাতায় থাকতে পারে তবে আমার এই লিখা কেন থাকতে পারবে না?
জানি না, আসলে খুবই অযাচিত আমার প্রশ্নাবলী কেননা আমি মুক্তমনায় খুবই নতুন…
আর আমি অনেক যৌক্তিক কারণেই মুক্তমনাকে বাংলা ব্লগের গুরু মনে করি… এখনও করি!
আমার হয়তো অতটা যোগ্যতা নেই বলে আমি সারভাইভ করতে পারি নি!! আপনারা সবাই ভাল থাকবেন…
@তারিক লিংকন,
ভাই, আমি আর কি বলতে পারি বলেন? একটা ব্লগে তো নিয়ম নীতি আছে, আর সেটা মানতেই হবে।একজনের দুটা লেখা একই সাথে ব্লগের প্রথম পেজে থাকতে পারবে না, আর এটাই এখানকার নিয়ম।
সেটা দেখুন অতি প্রবীণ আর অভিজ্ঞ ব্লগার বিপ্লব পালের ক্ষেত্রেও হয়েছে।উনার সিরিজটাও কিন্তু খুব গুরত্বপুর্ন আপনি নিশ্চয় পড়েছেন!!উনি মনে হয় না নিজেকে বঞ্চিত ভাবছেন।আপনি কেন ভাবছেন সেটা আমি আসলেই বুঝতে পারছি না।
কাজেই এখানে আমি শুধু আপনাকে আবার ভেবে দেখার অনুরোধ জানিয়ে মন্তব্যের ইতি টানছি।ভাল থাকবেন।
@অর্ফিউস,
ভাই একটা বিষয় ভুল করছেন। এইবার আমি নিজেই প্রথম পর্ব ব্যক্তিগত পাতায় সরানোর পর ২য় পর্ব পোস্ট করি। কিন্তু এইবার মোডারেটর অন্যকারন দেখিয়ে আমার পোস্টটি ব্যক্তিগত পাতায় সরিয়ে দেন আর তা হলঃ একই লিখা একই সাথে একাধিক ব্লগে পোস্ট করা…
আর এই ক্ষেত্রে আমার কথা ভিটি বেগুন সহ নানান লিখা একাধিক ব্লগে পোস্টিত হয়েছিল কিন্তু মোডারেটর সেখেত্রে জনকল্যাণকর কোটায় ছাড় দিয়ে নিজেরাই অথিতি লিখকের নামে পোস্টগুলো মুক্তমনার প্রথম পাতায় বা নীড় পাতায় স্থান দেই। তাহলে এমন উদ্যোগ কি লিখক বা প্রস্তাবকর্তা নিজেই একাধিক ব্লগে ছাপানোর অধিকার রাখে না?
আমি কাউকেই আঘাত করছি না, আমি শুধু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম।।
যাহোক এই সিরিজ আমি আর মুক্তমনায় পোস্ট করব না। ইস্টিশন আর প্রজন্ম ব্লগে আমি লিখতাম আর তাই করব আপনাদের সবাইকে (যারা সিরিজটি সম্ভাবনাময় কিছু মনে করেছেন…) অন্যব্লগে গিয়ে লিখাগুলো পড়ার অনুরোধ করব… ভাল থাকবেন…
@তারিক লিংকন,
এমন সিদ্ধান্ত দয়া করে নিবেন না।এটা আমার একটা অনুরোধ।
আমার মনে হয় না যে মডারেটর ওগুলা অপসারন করবেন!! আপনি ইমোশনাল হয়ে পড়েছেন ভাই। ঠান্ডা হোন প্লিজ। মডারেটর আপনাকে শুধুই নীতিমালা দেখিয়ে দিয়েছেন এর বেশি কিছুই না!!নীতিমালা তো নতুন বা পুরাতন লেখক সবার জন্যেই সমান তাই না?
আমার মনে হয় যে আপনি মারাত্বক ভুল বুঝেছেন। তাই কোন সিদ্ধান্ত নেবার আগে এখানে আপনার পাঠক দের কথা ভাবুন প্লিজ।
@অর্ফিউস,
এমন সিদ্ধান্ত দয়া করে নিবেন না।এটা আমার একটা অনুরোধ।
কিন্তু ভাই আমি কীভাবে বাকি ব্লগের পাঠকদের বঞ্চিত করব?
যেখানে আমি ইস্টিশন আর প্রজন্মে গত ৪/৫ ধরে লিখে আসছি আর মুক্তমনায় আমি একদমই নতুন!!
কেননা হয় আমাকে সিরিজটি অন্য ব্লগে প্রকাশ বন্ধ করতে হবে অথবা মুক্তমনায় দেয়া বন্ধ করতে হবে! আমার কি করনীয় আপনিই বলেন? আমি এই সিরিজ ছাড়া অন্য কোন পোস্ট যা অন্য ব্লগে পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে তা মুক্তমনায় পোস্ট করব না।। আমি এইখানে পোস্টগুলো দিব একই সাথে বাকি ২টি ব্লগে! মোডারেটর কি এইটা মানবে? জনকল্যাণকর একটা উদ্যোগকে যদি মুক্তমনা মুক্ত মনে যদি এমন একটা সুযোগ দেয় তবে আমি একই সাথে তিনটি ব্লগেই প্রকাশ করতে চাই…
আপনাকে ধন্যবাদ এইভাবে আমাকে প্রেরণা দেয়ার জন্য ও পাশে থাকের জন্য…
@তারিক লিংকন,
মুক্তমনা যে ব্লগের গুরু, তা ঠিক কি কি কারণে মনে হয়েছিল আপনার, জানতে ইচ্ছে করছে………
আর গুরু ব্লগে যে সবচে ভাল গঠনমূলক সমালোচনা মেলে, তাই বা কি করে জানতে পেরেছিলেন?
তাছাড়া, ‘সবচে ভাল গঠনমূলক সমালোচনা’ কাকে বলে?
বড্ড জানতে ইচ্ছে করছে, লিংকন ভাই!
@কাজি মামুন,
এইসব এখন আমারও জানতে ইচ্ছা করে… এতটা অসহনশীল পরিবেশ হবে আমি ভাবনার বাইরে ছিল… আসলেই কি আমার উদ্যোগগুলো খুবই হাস্যকর কিছু ছিল? তাহলে যদি দেশের মঙ্গলের জন্য মনে হয়ে থাকে তবে কেন এমন প্রতিক্রিয়া হল? মামুন ভাই ভাল থাকবেন…
আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ…
@তারিক লিংকন,
এখানে আপনি ভুল বুঝেছেন। ব্রটিশ রা ভারত বর্ষ কে কলোনি বানানোর পর তাদের বড় অজুহাত ছিল ” ভারত বর্ষ নামে যে অঞ্চল আছে তাতে কিছু মানব গস্টি বসবাস করে যারা নিজেদের নিজেরা শাসন করার ক্ষমতা রাখে না।” এরপর অনেক অনেক পরে পাকিস্তানের প্রথম সামরিক শাসক আইয়ুব খান বলেছিলেন ” বাঙালি জাতি গনতন্ত্র চর্চার উপযোগী নয়”। এসব অনেক আগের কথা, এখন ইতিহাস কিন্তু এ অঞ্চলে এখনও গণতন্ত্রের যে চরিত্র তাতে ইতিহাস এর কথা মনে পরে বৈ কি । আপনি শেখ মুজিবের কথা বলেছেন, আপনি অপরাধী!। যখন বঙ্গবন্ধুর নাম মুখে নেয়াটা পাপ ছিল সেই ১৯৭৭ সালে নিরমলেন্দু গুন বাঙলা একাডেমীতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা পড়ার জন্য তাৎক্ষনিক ভাবে থানায় যেতে হয়েছিল,কবিতাটি ছিল”আমি কারো রক্ত চাইতে আসিনি”।বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক ছিলেন আশরাফ সিদ্দিকি। আপনিও একই পাপ করেছেন!। প্রায়শ্চিত্ত ত করতেই হবে। মুক্তমানার নীচের লিঙ্কটি দেখতে পারেন । “বঙ্গবন্ধু” এক পাপের নাম!!
http://blog.mukto-mona.com/?p=23370
@সপ্তক,
আমি আসলেই স্পীকার হইয়া গেলাম…
কিছুই বলার নেই!! আমরা এমন এক জাতি যারা উদ্যোগ থেকে সমালোচনাকে বেশী প্রধান্য দিয়ে থাকি!! আপনাকে ধন্যবাদ…
@তারিক লিংকন, আপনি কি অভিমানী হয়ে মুক্তমনা ত্যাগ করতে চাচ্ছেন? এমনটা হলে ভাই অনুগ্রহ করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করুন। এটা ঠিক ব্লগে কখনো কখনো পরিবেশ এমন হয় যে ভাবি, ধুর ছাই! এখানে আর নয়…। কিক
কিন্তু দিন শেষে আমাদের এই সিদ্ধান্ত আবেগী বলেই প্রতিয়মান হয়। আমি এমন অনেক নামীদামী ব্লগারের নাম বলতে পারি যারা এইরকম বিরূপ সমালোচনার মুখে অভিমানে ব্লগ ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষে মত পরিবর্তন করে ফিরে এসেছেন কেননা ওটা একটা আবেগী সিদ্ধান্ত। আর আমাদের মত তরুণ ব্লগারদের মধ্যে এটা অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। আমি নিজের কথা বলতে পারি, এই রকম সিদ্ধান্ত আমিও কয়েকবার নিয়েছিলাম। পরে ভেবে দেখেছি, একজন লেখকের কাজ হলো লিখে যাওয়া। আমার লেখার সঙ্গে সবাই একমত হবে না। কেউ কেউ উগ্রভাবে তার সমালোচনা করবে। তাই বলে ব্লগ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। আমাকে লিখতে হবে আর ব্লগ হচ্ছে আমার সেই লেখার জমিন। এটা আমার অধিকার। ব্লগ কেউ লিজ নেয়নি। প্রতিটা ব্লগারে অধিকার তার ব্লগ সাইটে। এখানে কিছু নিয়ম নীতি থাকে সেগুলো আসলে আমাদের জন্যই দরকারী কেননা তা ব্লগকে সুশৃঙ্খল রাখে।
ভাই তারিক, আপনি আপনার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করুন। মুক্তমনার সঙ্গে থাকুন। আপনার লেখার বিষয়বস্তু মোটেই তুচ্ছ নয়। ভিন্নমত থাকতেই পারে। কেউ কেউ উগ্রভাবে আক্রমন করতেই পারে। সেই সব উগ্র আক্রমনকারীর ব্যাপারে আমার ফয়সালা হলো, হয় এড়িয়ে যাওয়া, নয়ত ইটের বদলে পাটকেল মারা! আশা করি আপনি আপনার সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকবেন। ধন্যবাদ।
@সুষুপ্ত পাঠক,
এর একটি প্রমান আমি নিজে। গাল ফুলিয়ে মুক্তমনায় লেখা বাদ দিয়েছিলেম এবং নিজের লেখা মুছে দিয়েছিলাম। আমি বুড়া মানুষ তারপরও এমন হয়েছিল।লিঙ্কন যুবক তাই অনুরধ গাল ফুলাবেন না ভাই। যুদ্ধ করতে হবে আজীবন।অভিমান শ্ত্রুদের জয়ের একধাপ এগিয়ে দেয়।
@সপ্তক,
বিতর্কের ক্ষেত্রে মুক্তমনার দুইজনকে উদাহরন হিসেবে নেয়া যায়। বিপ্লব পাল এবং অভিজিৎ রায়, এদের কাছে শেখার আছে কিভাবে বিতর্ক করতে হয়, বিতর্কের একজায়গায় অবজ্ঞা করতে হয় ,যেখানে প্রতিপক্ষ এই অবজ্ঞার কাছে অসহায় হয়ে যায়। এই দুজনের বিতর্কের ধারাবাহিকতা তরুণরা লক্ষ করতে পারেন ,কাজে দেবে। আমার কাজে দিয়েছে। ধন্যবাদ।
@সুষুপ্ত পাঠক,
আমিও আপনার সাথে একমত হয়ে লিঙ্কন ভাইকে একই অনুরোধ করেছি, আন্তরিক ভাবেই। আশাকরি উনি আমাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে আমাদের হতাশ করবেন না।
@সুষুপ্ত পাঠক,
আমি কিন্তু বলেছি এই সিরিজটি মুক্তমনায় প্রকাশ করব না, মুক্তমনা ছেড়ে দিব বলিনি তো!!
@তারিক লিংকন,
না আপনি ভুল বুঝেছেন। আমি শুধু আপনাকে এটাই বলব ভাই। এরথেকে বেশি কিছু না। কারন আপনি এখন আবেগপ্রবন হয়ে পড়েছেন;একজন প্রকৃত মুক্ত মনার কাছ( যদিও আমি নিজেকে এই লিস্টের বাইরেই রাখছি, তবে যথা সম্ভব আবেগকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে চেষ্টা করি) থেকে সবাই আবেগের চেয়ে যুক্তি নির্ভর কথা বার্তাই আশা করে থাকে।
আশা করি আমি আমার বক্তব্য বুঝাতে পেরেছি।শুধুই আপনার কাছে উপরে করা একটি মন্তব্যে একটি অনুরোধ রেখেছি, আশা করি আপনি বিবেচনায় রাখবেন। ধন্যবাদ। আপনার প্রতি আমার আন্তরিক শুভকামনা রইল।
অন্য কোথাও প্রকাশিত কিংবা মুক্তমনার লেখা অন্য কোথায় প্রকাশ করাকে আমরা নিরুৎসাহিত করে থাকি।
এই লেখাটি এবং এই সিরিজের অন্যান্য লেখাগুলো আপনি অন্য একটি ব্লগেও প্রকাশ করছেন। বর্তমান পোস্টটি আপনার ব্যাক্তিগত ব্লগে নিয়ে যাওয়া হল। আপনাকে এর আগেও মুক্তমনার নীতিমালা সম্পর্কে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে নীতিমালা মেনে লেখা প্রকাশের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
ধন্যবাদ।