গ্যালিলিও একবার বলেছিলেন, কে এমন শুনেছে, ‌’ঈশ্বর যে মুক্ত মন তৈরি করেছেন; সেই মন অন্যের স্বেচ্ছাচারী অভিলাষের কাছে ক্রীতদাসের বশ্যতা স্বীকার করে? সত্যের ব্যাপারে আত্মসমর্পণ করতে হবে এমন সব মানুষের কাছে যাদের বিচার করার কোনো যোগ্যতাই নাই। ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি ছিল গ্যালিলিও ৩৭০ তম মৃত্যুবার্ষিকী এবং স্টিফেন হকিং এর ৭০ জন্মবার্ষিকী। তরুণ প্রজন্ম গ্যালিলিওর সেই মুক্তমন খুঁজে নিতে সুন্দরবনের খোলাকাশের নিচে গ্রহ-নক্ষত্র জগৎ দেখেছে। আর ছুটে চলা পৃথিবীকে নিয়ে তারা পথ চলছে মহাজাগতিক আলোয়। লেখাটা লিখেছিলাম মাস দুয়েক আগে। কিন্তু অস্থির পরিবেশ পরিস্থিতে যথাসময়ে দিতে পারিনি বলে দুঃখিত আর দূর্ভাগ্য হলো অধ্যক্ষ মাহফুজুল হক মার্চে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণে আকস্মিকভাবে মারা যান

৩৭৯ বছর আগের কথা। জ্যোতির্বিজ্ঞানের অগ্রপথিক এবং মানব ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্রকে তার কর্মে স্বীকৃতি পাওয়ার পরিবর্তে দাঁড়াতে হয়েছিল আসামির কাঠগড়ায়। কারণ তিনি সৌরকেন্দ্রিক বিশ্ব-মডেলকে সমর্থন করেছিলেন। তার আবিষ্কৃত টেলিস্কোপ দিয়ে এ সমর্থনের পক্ষে পরীক্ষা-নিরীক্ষা যুক্তি দাঁড় করিয়েছিলেন। তিনি হলেন মহান জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি। পড়ন্ত বস্তুর সূত্রের জন্য গ্যালিলিওকে আমরা সবাই তাকে চিনি। ৯ বছরের নজরবন্দি থাকা অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার দোষ ছিল তার তৈরিকৃত টেলিস্কোপ দিয়ে দেখিয়েছিলেন সূর্যের চারিদিকে পৃথিবী ঘোরে। কিন্তু ধর্ম আদালতের চাপে তাকে স্বীকার করতে বাধ্য করা হয়েছিল ‘তিনি যা বলেছেন তা ভুল’। তারপর বিরবির করে বলেছিলেন আমাদের বলা না বলাতে কিছু আসে যায় না, তবুও পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে।

স্টিফেন হকিংয়ের মতে, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের এত বিশাল অগ্রগতির পেছনে গ্যালিলিওর চেয়ে বেশি অবদান আর কেউ রাখতে পারেননি। অ্যারিস্টটলীয় নিশ্চল পৃথিবীর ধারণার অবসানে গ্যালিলিওর আবিষ্কারই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। গ্যালিলিও জন্ম ১৫৬৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। তিনি গ্যালিলিওর মৃত্যুদিনে জন্মেছিলেন বলে গর্ববোধ করেন। কৃষ্ণবিবর ও কোয়ান্টাম মহাকর্ষের গবেষক স্টিফেন হকিং ওইদিন ৭০ বছর পার করেন আর অতিবাহিত হয় গ্যালিলিওর মৃত্যুর ৩৭০ বছর।

মূলত এটা ছিল ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ তার শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতি বছরের মতোই একটা শিক্ষ সফর। কিন্তু এ শিক্ষা সফরকে অর্থবহ ও শিক্ষণীয় করে তোলার জন্য ডিসকাশন প্রজেক্ট বিজ্ঞান ভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণ করে, নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প। এর সাথে যুক্ত হয় গ্যালিলিওর মৃত্যুবার্ষিকী এবং স্টিফেন হকিংয়ের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের বিষয়টিও। ফলে ৬ জানুয়ারি ডিসকাশন প্রজেক্টের মাজেদুল হাসানের তত্ত্বাবধানে একদল বিজ্ঞানকর্মী তাদের সঙ্গে সুন্দরবন ভ্রমণে যান। পুরো ভ্রমণটি এক ধরনের বিজ্ঞান অভিযানের মাত্রা পায়। ডিসকাশন প্রজেক্ট ও ইমপেরিয়াল কলেজের যৌথ আয়োজনে অংশ নেয় প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী। এই ইভেন্টটির সমন্বয় করেন শিক্ষক সুমনা বিশ্বাস। ইমপেরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ মাহফুজুল হক ৮ জানুয়ারির সব কার্যক্রমকে গ্যালিলিও ও স্টিফেন হকিংয়ের সম্মানে উৎসর্গ করেন। তিনি বলেন, গ্যালিলিও মহাকাশ বিজ্ঞানের একজন অগ্রপথিক, তার আত্বত্যাগ আমাদের প্রেরণা। আর তাই আমাদের সফরের চলমান অবস্থায় আমরা এ আয়োজন করি। তবে এখানে বিশেষ ধন্যবাদ ডিসকাশন প্রজেক্টকে।
৬ দিনের ভ্রমণে প্রতিরাতেই খোলা আকাশের নিচে চলে গ্রহ-নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ। দিনের বেলায় চলে ফিল্টার কাচ দিয়ে সূর্য পর্যবেক্ষণ। ডিসকাশন প্রজেক্টের বিজ্ঞান কর্মী মাজেদুল হাসান টেলিস্কোপে বৃহস্পতির দিকে তাক করে বলেন, ওই বৃহস্পতির ১৬ চাঁদের ৪টিকে প্রায় ৪০০ বছর আগেই গ্যালিলিও তার নিজের নির্মিত টেলিস্কোপে দেখেছিলেন। সুমনা বিশ্বাস গ্যালিলিয়ান প্রতিসরণ টেলিস্কোপ দিয়ে এক ঘন্টা ধরে বৃহস্পতির দিকে তাকিয়ে ছিলেন। তিনি তার এ সময়ের অনুভূতি এভাবে ব্যাক্ত করে বলেন, “এ সময় আমার মনে হচ্ছিল আমরা শূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছি আর মাঝে মধ্যে ভারি কুয়াশাগুলো আমাদের ছুয়ে যাচ্ছিল, মনে হচ্ছিল মেঘের ওপর দিয়ে যাচ্ছি আর টেলিস্কোপে বৃহস্পতিকে হীরার মতোই লাগছিল।” আর তাও বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর মৃত্যুবার্ষিকীতে একটা গ্যলিলিয়ান প্রতিসরণ টেলিস্কোপ দিয়ে।

আট জানুয়ারি, পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে কটকা-জামতলা বন পরিদর্শন ও সৈকত ভ্রমনের সাথে যোগ হয় গ্যালিলিয়ান প্রতিসরণ টেলিস্কোপে ফিল্টার কাচ ব্যাবহার করে সূর্য দেখা। এ সময় ডিসকাশন প্রজেক্টের বিজ্ঞান কর্মীরা বনে পর্যটকদের ফেলে আসা পানির বোতল, চকোলেট, চিপস, বিস্কুট, চানাচুরের প্যাকেট কুড়িয়ে আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান অর্থাৎ ডাস্টবিনে ফেলে বন ও পরিবেশ রক্ষায় অংশ গ্রহণ করে।
সন্ধ্যায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী রেজোয়ান আলীর কণ্ঠে রাগ হংসধ্বণি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় গ্যালিলিও স্মরণে আর হকিং এর জন্মদিন উদযাপনে অনুষ্ঠান। ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজের সাংস্কৃতিক ক্লাব নন্দনকাননের শিল্পীরা পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথ-এর গান ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’। এরপর জেকব ব্রনওস্কির নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রে গ্যালিলিওর ধর্মীয় আদালতে বিচারের অনুষ্ঠানটি দেখানো হয়। এরপর গ্যালিলিওকে স্মরণ করে বিশেষ প্রবন্ধ পাঠ করেন শিক্ষক সুমনা বিশ্বাস। এর পরে ছিল অলোচনা, প্রবন্ধপাঠ ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন। এদিন সন্ধায় আরো একজনের কথা স্মরণ করা হয় আর তিনি হলেন জিওর্দানো ব্রুনোকে যাকে আগুণে পুড়িয়ে মারে উগ্র ধর্মবাদীরা। এরপর এক মিনিট দাঁড়িয়ে এই তিন মহান সাধকদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

ইমপিরিয়ালের শিক্ষক সুমনা বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘ জাহাজ ছুটে চলেছে নদীর গতিপথ ধরে। জাহাজের ছাদে বসানো টেলিস্কোপ। শিক্ষার্থীরা দেখছেন নক্ষত্রমণ্ডলীর অপার্থিব সৌন্দর্য। নাক্ষত্রিক আলোয় আমরা ছিলাম উদ্ভাসিত।’ ডিসকাশন প্রজেক্ট এর পক্ষ থেকে বিজ্ঞান লেখক খালেদা ইয়াসমিন ইতি জানিয়েছেন, গ্যালিলিও স্মরণে এ উদ্যোগটি আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞান সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি যৌথভাবে কাজ করতে পারে তাহলে বিজ্ঞানচর্চা এগিয়ে যাবে এবং ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার এমনিই কেটে যাবে।

নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পে নেতৃত্ব দেন ডিসকাশন প্রজেক্টের কর্মী মাজেদুল হাসান। ৮ জানুয়ারি রাত বারোটায় কটকাতে নোঙর করা জাহাজের ছাদে নত্র পর্যবেণ ক্যাম্প বসে গ্যালিলিও স্মরণে। তারপরে সুন্দরবনের নির্জনতায় রাত তিনটা পর্যন্ত চলে শিক্ষার্থীদের নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ। ডিসকাশন প্রজেক্টের বিজ্ঞান কর্মী মাজেদুল হাসান টেলিস্কোপে বৃহস্পতির দিকে তাক করে বলেন, ওই বৃহস্পতির ১৬ চাঁদের ৪টিকে প্রায় ৪০০ বছর আগেই গ্যালিলিও তার নিজের নির্মিত টেলিস্কোপে দেখেছিলেন। সত্যিই এটা উত্তেজনাকর, জলরাশিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে আমাদের জাহাজ। গন্তব্য যেন সুন্দরবন নয়। ওই নক্ষত্র আকাশ। তাই শীতকে উপেক্ষা করে শত শত শিক্ষার্থী আকাশের দিকে তাকিয়ে অবলোকন করেছেন গ্রহ-নক্ষত্র। মাজেদ তার সহকর্মী জাহাঙ্গীর আলম সুর, শাহাবুদ্দিন সামির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন এই অনুষ্ঠান সফলতার পিছনে তাদের কর্মকাণ্ড কাজ করেছে।

ঠিক চারশ’ বছর আগে, ১৬১১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ এপ্রিল। জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও তার তৈরিকৃত টেলিস্কোপটি তৎকালীন পণ্ডিত ব্যক্তিদের সামনে প্রথমবারের মতো প্রদর্শন করেন। এটি দিয়ে তিনি রোমের এক পাহাড় থেকে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন। এর মাধ্যমে পৃথিবী যে মহাবিশ্বের কেন্দ্র নয় বরং পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহ সূর্যকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণরত তা সবাইকে বোঝাতে চেয়েছিলেন; কিন্তু তৎকালীন ক্যাথলিক ধর্মযাজকরা এটিকে ধর্মবিশ্বাসের বিরোধী আখ্যা দিয়ে গ্যালিলিওর জোর বিরোধিতা ও তাকে নিগৃহীত করেন। মজার ব্যাপার হলো এ ঘটনার ঠিক চারশ’ বছর পর গত ১৪ এপ্রিল, ২০১১ বৃহস্পতিবার ভ্যাটিকান থেকে এ মহান জ্যোতির্বিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। গ্যালিলিও যে জায়গায় তার টেলিস্কোপটি সবার সম্মুখে এনেছিলেন ঠিক সেখানেই ভ্যাটিকান এক বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। গ্যালিলিওর সম্মানে শিল্পকলাসহ জ্যোতির্বিদ্যায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামের প্রদর্শনী ছিল সেখানে।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ৩১ অক্টোবর ভ্যাটিকান সিটির পোপ দ্বিতীয় জন পল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেন যে, গ্যালিলিওকে ধর্মদ্রোহের অভিযোগে শাস্তি দেওয়াটা তাদের জন্য ভুল ছিল, তিনি এ ঘটনার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা ও তার ওপর থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করেন।

উল্লেখ্য স্টিফেন হকিং এর জন্ম ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি। তিনি ক্যামব্রিজের লুকাশিয়ান পদেও ছিলেন বেশ কয়েক বছর। এ পদে মহাবিজ্ঞান স্যার আইজ্যাক নিউটনও ছিলেন এক সময়, ছিলেন প্রতিপদার্থের ধারণার প্রবর্তক পল ডিরাক। মাত্র ২১ বছর বয়সে মটর নিউরন ডিজিজে আক্রান্ত হন বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী হকিং। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, বছর দুয়েকের বেশি আয়ু নেই তার। রোগে আক্রান্ত হওয়ার কিছুদিনের ভেতর হারিয়ে ফেলেন স্বাভাবিক যোগাযোগের মতা। তারপরও তিনি টিকে আছেন। বিগত ৪০ বছর ধরেই স্বাভাবিক চলাফেরার মতা নেই ৭০ বছর বয়সী হকিংয়ের। কিন্তু অসাধারণসব গবেষণা করেছেন। কোয়ান্টাম জগতের অনিশ্চয়তা নীতিকে তিনি নিয়ে গেছেন কৃষ্ণবিবরের কাছে। আশ্চর্য হয়ে দেখালেন কৃষ্ণবিবর কালো নয়! ওখান থেকে বের হয়ে আসছে কণাস্রোত! তার মানে, কণা বের হয়ে একসময় কৃষ্ণবিবরও নিশ্বেস হয়ে যাবে। ১৯৭৩ সালে তিনি কৃষ্ণবিবরের কণাস্রোতের কথা বলেন। এখন এ কণাস্রোতের নাম হকিং বিকিরণ!
শিক্ষার্থী সাজেদুল বাশার সাদি বলেন ‘এর আগে কখনো সুন্দরবনে আসার সুযোগ ঘটেনি- পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন। টেলিস্কোপে চোখ রেখে বৃহস্পতিকে চাঁদের মত উজ্জ্বল দেখে আমার মনে হয়েছে আমার জগতটা কত বড়! বাসা আর কলেজ এর গণ্ডির বাইরে অনেক কর্তব্য রয়েছে। রয়েছে বিশ্বকে জানার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আমি কৃতজ্ঞ আমার কলেজের প্রতি, কৃতজ্ঞ ডিশকাশন প্রজেক্ট এর প্রতি।”

প্রকৃতিবিদ দ্বিজেন শর্মা বলেছেন, গ্যালিলিওকে স্মরণ করতে ডিসকাশন প্রজেক্টের এ ধরনের উদ্যোগ বিজ্ঞান চেতনা প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ। পদার্থবিজ্ঞানী ড. আলী আসগর বলেছেন, গ্যালিলিওর সংগ্রামকে স্মরণ করার উদ্যোগ বিজ্ঞান চেতনা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ। সনাতনী চিন্তাভাবনার বিরুদ্ধে গ্যালিলিওর কর্মকাণ্ড এই কথাই প্রমাণ করে বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় বরাবরই সত্য ও যুক্তির কাছে অন্ধবিশ্বাসের বাতাবরণ পরাজিত হয়। এ ধরনের সচেতনতার অনুন্নত দেশগুলোর পশ্চাৎপদতা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। শৌখিন জ্যোতির্বিদ এফআর সরকার জানিয়েছেন, ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো আমাদের স্মরণ করা উচিত। হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজের পদার্থবিজ্ঞানের সাবেক অধ্যাপক এবং শৌখিন জ্যোতির্বিদ জিপি মিত্র বলেছেন, আমার ভালো লাগছে, এ মহাজাগতিক অন্বেষণ আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।

রচনাকাল ৩১ জানুয়ারি_২০১৩
সূত্র
হকিং এর জন্মদিন –
তবুও পৃথিবী ঘোরে –
ছুটে চল পৃথিবীর আনন্দে – যায় যায় দিন সুমনা বিশ্বাস
গন্তব্য সুন্দরবন নয়, নক্ষত্র আকাশ – দৈনিক সংবাদ