গতকাল সিনিয়র অনেকর সাথে আড্ডা দিচ্ছি। একজন প্রশ্ন করলো এর পরিণতি কি হবে?এর অর্জনটাই বা কি?তার পর একে একে তাদের বিজ্ঞ মন্তব্য করে এর পরিণতি ব্যাখ্যা দিতে লাগলেন। সবার বলা শেষ হলে আমি জানতে চাইলাম। আচ্ছা একটা কথা বলেন তো আপনারা তো সবাই সংগ্রামের(মুক্তিযুদ্ধ) আগে জন্ম। অনেক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে এসেছেন। আপনারা কি এই কয়দিন আগে (কাদের মোল্লার রায়ের আগে) চিন্তা করতে পারছেন যে দেশে এমন একটা গণ জাগরণ হবে? কোন আলামত কি আপনারা পেয়েছিলেন? কোন রকমের অনুমান কি আগে আপনাদের ছিল? সবাই নিরব। একজন বলল না এটা আমরা চিন্তাই করতে পারি নাই।
এবার আমি বললাম যে আন্দোলন সম্পর্কে আপনি চিন্তাই করতে পারেন নি। যে আন্দোলনের কোন পূর্বাভাসই আগে পাননি। যে আন্দোলনের ধারনা-ই আপনার ছিলনা । সেই আন্দোলনের পরিণতি নিয়ে কেন এত চিন্তা করছেন? আন্দোলনের সম্ভাবনা যেহেতু চিন্তা করতে পারেন নাই তাই এর পরিণতিও আমাদের মাথায় আসার কথা না। (ভাষা গত ভাবে হয়তো আমি আর একটু বেশি নমনীয় ছিলাম) কিন্তু তারা কেউ এর কোন উত্তর করতে পারেনি।
এক সপ্তাহ স্থায়ী হাবার পরে আর কি পরিণতি আশা করে তারা? আসলে ভাল কি মন্দ এসব ব্যপার না। কোন গণজোয়ার ই তারা বেশিক্ষন সহ্য করতে পারেনা। এইটা নিয়ে এক ধরনের অস্বস্তিতে থাকেন এর কারন হয়তো বের করা যাবে। সেটা অন্য প্রসঙ্গ।আমি বলি, এই যে এক সপ্তাহ পার করলো এটাই এই আন্দোলনের বড় সফলতা। এমন একটা আন্দোলন বাংলাদেশে করাটাই এর বড় অর্জন। উল্লেখ করতে হলে হয়তো বলতে হবে। সংসদে নতুন বিল পাস হলো। পরবর্তীতে রাজাকারদের বিচারে হয়তো আরো বেশি মানুষের আকাঙ্খার প্রতিফলন হবে। কিন্তু এই কয়টা হাতে কলমের হিসাবই শেষ নয়।
ফেসবুক থেকে রাজ পথে নেমে এসেছে তরুন সমাজ। যারা রাজনীতিকে অবজ্ঞা করতো তাদের কণ্ঠে বেজে উঠেছে রাজনৈতিক স্লোগান। যারা ভয়ে স্কুল কলেজ থেকে বাড়ির বাইরে কোথাও যেত না তারা এসেছে আন্দোলনের ডাকে। এই সব হলো হিসাব করা অর্জন।
তারও বাইরে আরো কিছু অর্জন আছে। প্রতিটা আন্দোলন মঞ্চেই দেখা যাবে স্লোগান ধরছে একজন নারী। এই বৃহত্তর আন্দোলনে নারী পুরুষের মাঝে ভারসাম্যতা এটা আগে কখনো দেখা যায় নি। কখনো কি চিন্তা করতে পেরেছি যে লাখ খানেক জনতার মাঝে একজন নারী নেতৃত্ব দিবে কেবল তার নেতৃত্বের জোরে?(হাসিনা খালেদা কিভাবে নেতৃত্ব দেয় সেটা সবাই জানি।) । আর আমাদের সমাজ,আমাদের দেশ এত সহজে তাদের এই আসন ছেড়ে দিবে? যে দেশের বেশির ভাগ মানুষ ধর্মিক সেই দেশে কি করে এত নারীরা নেতৃত্বে চলে এলো? কেবল যে তারা মাইক হাতে স্লোগানই দিল তা নয় এই আন্দোলনে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই তারা ছিল পুরুষের সমকক্ষ।
এটা নিঃসন্দেহে একটা বড় অর্জন।
কাউকে কাউকে গল্প বলতে শুনতাম। এই সময়ে যদি এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ হতো তবে নাকি একজনও মুক্তি যুদ্ধা পাওয়া যেত না।এই স্বার্থপর সময়ে নাকি কেউ যুদ্ধে যেতে চাইত না। এই গল্প আপনাদেরও অজানা না। এই এক সপ্তাহে এক জীবনের ভ্রান্ত ধারনা পাল্টে গেল। হাজার মানুষের মুখে প্রতিষ্ঠিত হওয়া মিথের মৃত্যু ঘটল।হাজার আপস কামী মানুষের হাজার খানেক অজুহাত মাটিতে মিশিয়ে গেল। এই অর্জন কি ছোট করে দেখার কোন সুযোগ আছে?
এই স্বার্থপর সমাজে এই তরুনরা সারাদিন এক বোতল পানি ভাগ করে দেখিয়েছে যে তারাও সময়ে ত্যাগ করতে জানে। রাত জেগে পথে কাটিয়েছে আন্দোলনকে উজ্জীবিত করতে। এক প্লেট খিচুরি দুজনে ভাগ করে খেয়েছে। শীতে কম্বল ভাগাভাগি করে থেকেছে। গোসল না করে,চুল দাঁড়ি না কেটে,অভুক্ত পেটে স্লোগানের পর স্লোগান দিয়েছে। মায়েরা রান্না করে খাবার নিয়ে এসেছে তার অচেনা সন্তানদের খাওয়াতে। ভিখারি ভিক্ষার টাকা এনে জমা দিল সবাই মিলে খাবে বলে। ভাই বোনের হাত ধরে এসে যোগ দিল স্লোগানে। হয়তো অনেক তরুন বাবার রক্ত চোখ উপেক্ষা করে এসে চিৎকার করলো “ফাঁসি চাই ” বলে। আমরাও এই ত্যাগকে যদি মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের সাথে তুলনা করি খুব কি উনিশ বিশ হবে? “আমাদের ধমনীতে শহিদের রক্ত। তাদের এই রক্ত কোন দিন পরাজয় মানে না”। এই পরাজয় না মানাটা কি অর্জন নয়!
দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের দখলে থাকা “জয় বাংলা” এবার এসেছে জনগনের কাছে। সব পেশার,সব বয়সের,সব দলের মানুষ কণ্ঠ মিলিয়ে বলেছে জয় বাংলা। একাত্তরের পরে আবার জয় বাংলায় মুখরিত হয়েছে আকাশ বাতাস। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে যারা ইতস্তত করতো,যারা কৌশলে মুক্তিযুদ্ধের বিষয় এড়িয়ে যেত। তারা বুকে পেল বল। তারা মনে পেল উদ্দাম। দীর্ঘদিন রাজাকাররা বুক ফুলিয়ে চলেছে এই দেশে। তাদের বর্বোরচিত আচরন দেখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগত।এখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে আর কোন দ্বিধা দন্দ্বের সৃষ্টি হবে না। মুক্তি যুদ্ধ নিয়ে অহংকার করার মতো শক্তি এই প্রজন্ম চত্তরে ফিরিয়ে এনেছে। সবার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে মুক্তির দিনের সোনালী দিনের গল্প। এই প্রজন্ম চত্ত্বর প্রমাণ করেছে তারা মুক্তি যুদ্ধের মতো এমন ঘটনা সময়ের সাথে হারিয়ে যেতে পারেনা। এরা ছিল আমাদের রক্তে ,প্রয়োজনে বিস্ফোরিত হয়ে ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে এসছে। চোখ মুখ,নাক,কান,বাহু দিয়ে বেড়িয়ে এসছে রাজ পথে।
যে রাজ পথে কেবল যান বাহন চলত। যে রাজ পথ থেকে বাসায় ফিরতে পারলেই আনন্দ হতো। যে রাজ পথে সন্ত্রাসীদের ভয়ে তটস্থ থাকত। যে রাজপথ কিছু কুলাঙ্গারদের অস্ত্র মিছিলে প্রকম্পিত থাকত। সেই রাজপথে মানুষকে নামিয়ে এনেছে। প্রমাণ করেছে এই রাজপথ আমাদের । কোন গুণ্ডা সন্ত্রাসীদের এই পথ দখলের অধিকার নেই। কোন স্বাধীনতা বিরোধিতাকারী এই পথে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে চলার স্পর্ধা করতে পারেনা। সকল রাজাকার এবং তাদের দোষরদের স্পর্ধা কে মাটিতে মিশিয়ে এই রাজপথ মানুষকে ফিরিয়ে দিয়েছে। এই কি প্রজন্ম চত্ত্বরের অর্জন নয়?
মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের কথা বলা লোকের অভাব কখনোই ছিলনা। এমন কি জামাতি শুয়োর গুলাও মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের শক্তি এই পরিচয় দিত। এই আন্দোলন মুখোশ খুলেছে সব। এই হাসিনা,এই খালেদা কে কত ঢঙ্গের মুখোশ লাগিয়ে ঘোরে বেড়ায় তারও প্রমাণ এবার হলো। এতদিন যে বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিয়ে নিজেদের স্বাধীনতার ঘোষক তকমা নেবার চেষ্টা করেছিল। তাদের আসল চরিত্রও এই সুযোগে প্রকাশ পেল। তালে বেতালে তাদের কিছু কথা থেকে বিএনপির মাঝেও কেউ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক আছে কিনা তাও প্রমাণ হলো। এই মুখোশ উন্মক্ত হওয়ায় অন্তত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রাজনীতিতে আর কেউ সুবিধা করতে পারবে না বলেই আমার ধারনা।
ভোটের রাজনীতিতে নিজেদের ক্ষমতা ভাগাভাগি করার যে দন্দ্ব নিয়মিত দেখতে পাই। সেনাবাহিনী সুযোগে যেভাবে এই দেশের মানুষের উপর স্টিম রোলার চালাবার চেষ্টা করে। আমাদের রাজনৈতিক নেতারা যেভাবে ভোটের আগে বিদেশি এমবেসিতে দৌড় ঝাঁপ পারে। এর বাইরেও যে তাদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবার জোর এই বীর জনতার আছে এটা তারা ভুলেই গিয়েছিল। ভেবেছিল এই আপা আর এক ম্যাডামের কথার বাইরে এই দেশে কেউ কিছু করতে পারবে না। এই দম্ভও ধুলিসাৎ হলো। এই জনতা যদি ক্ষেপে যায় তবে এই এমবাসি গদি ধরে রাখতে পারবে না। এই সেনাবাহিনী অস্ত্র দিয়ে তাদের রুখতে পারবে না। এই রাজনৈতিক চাটুকারিতা জনতাকে ভুল বুঝাতে পারবে না। তাই সময় থাকতে সাবধান হও। এই আন্দোলন ই শেষ নয়। এই তরুনরা হয়তো সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবার এমন করে নামতে পারে। প্রতিবার আপনাদের তটস্থ করে তুলতে পারে। এই সতর্কতাই এই আন্দোলনের সফলতা।
জয় বাংলা।
রাজাকারের ফাঁসি চাই।
জামাত শিবির নিষিদ্ধ কর, করতে হবে।
নিচে দেখেন,
– দেশ ব্যাপী রাজাকারদের বিচার নিয়ে যে তুল কালাম কান্ড হচ্ছে, মনে হয় না কেউ এরা সজ্ঞানে সেটা করছে। মনে হয় স্রেফ হুজুগে মাতালের মত সেটা করছে। যদি এরা জানত রাজাকার কারা, কি তারা করেছিল তা হলে এরকম হুজুগে মাততে পারত না এরা যদি এরা সত্যিকার মুসলমান হয়ে থাকে।
এই চিড়িয়াটা ( ধরে নিচ্ছি যে এটা এখান কারই ভবঘুরে কারন লেখার স্টাইল হুবহু এক)মুক্ত মনা থেকে চলে গিয়ে আরেক ব্লগে লিখছে। আমি জানি না যে, যেখানে জনতা জেগেছে সেখানে এইসব লেখার মানে কি? সত্যি কি তিনি ছদ্ধবেশী মৌলবাদী ? যুদ্ধাপরাধীদের রোপন করা বিষবৃক্ষ?
@অর্ফিউস,
পড়ুন ,( ধরে নিচ্ছি যে এটা এখান কারই ভবঘুরে কারন নাম আর লেখার স্টাইল হুবহু এক)
Unviable history
পরবর্তীতে ইংরেজি মন্তব্য গ্রহন করা হবে না।
-মুক্তমনা মডারেটর
Omi Rahman Pial
অনেকের হয়তো মনে আছে টিপাইমুখ বাধ নিয়া একটা অনলাইন পিটিশনে সই করার ডাক দেওয়া হইছিলো। বলা হইছিলো তিন লাখ সিগনেচার পড়লে নাকি জাতিসংঘ এই বাধ নির্মানে হস্তক্ষেপ করবে। সেটা ছিলো একটা মিথ্যাচার, যা নিয়া আমি লড়ছিলাম তখন। এখন এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়া হোয়াইট হাউজে একটা পিটিশন লিংক শেয়ার হইতেছে। অনেকে না জাইনা হয়তো শেয়ার করতেছে। এইটা একটা স্ক্যাম। এইটার বিনিময়ে আপনার ই-মেইলটা চল্লিশ সেন্টে বিক্রি হবে, আপনি যেহেতু স্প্যাম ফোল্ডার চেক করেন না, আপনারে নিয়া যাবতীয় বানিজ্য ওইখানেই হয়ে যাবে। সো লিভ ইট। সব কিছু নিয়া ধান্দাবাজি ঠিক না
@নাদিম আহমেদ,
ঠিক কোন পিটিশনের কথা বলছেন? পিটিশন পড়লেই বাইরে থেকে বিদেশীরা এসে সমস্যা সমাধান করে যাবে এমন দাবী কেউ করে বলে মনে হয় না। ওপরে যে লিঙ্ক দিয়েছি সেটা কি স্ক্যাম? নিশ্চিত করলে ভাল হয়, আমার কাছে সলিড তথ্য নেই।
@আদিল মাহমুদ, আমার মন্তব্য টি আসলে আমার নিজের নয়। ফেইসবুকে ব্লগার অমি রহমান পিয়াল এটি পোষ্ট করেছেন। আমার মনে হল এখানে শেয়ার করা উচিত।
@নাদিম আহমেদ,
সেটা আগেই বলেছেন দেখেছি, শুধু অমি পিয়াল রেফারেন্স নিশ্চিত হবার উপায় নয়।
জানতে চাচ্ছিলাম যে ঠিক এই লিঙ্কটির কথাই পিয়াল ভাই বলেছিলেন কিনা? আজকাল স্ক্যাম অত্যন্ত সহজ ব্যাপার, এই সাইটও ভূয়া হতেই পারে, নিশ্চিত হতে চাচ্ছিলাম। উপযুক্ত সূত্রসহ নিশ্চিত করলেই মেনে নেব।
মনে হচ্ছে যে আপনি নিজেও সেটা জানেন না।
কিছু মনে করবেন না, মানুষ মাত্রেই ভুল করতে পারে, সে পর্বতসম পিয়াল হোক বা চুনোপুটি আদিলই হোক। কারো কথাই বেদবাক্য না ধরে সামান্য যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হলে সবারই মংগল।
আমার বাবা জামাতের সমর্থক এবং ছাত্রাবস্থায় জামাতের রাজনীতির সাথে ও জড়িত ছিল। তবে মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে যুক্ত ছিল না। আমি আমার বাবাকে ঘৃণা করি। আমার মনে হয় সবারই সেটা করা উচিত। আমার মতো অনেকের ই নিজের আশে পাশের রাজাকারদের সম্পর্কে ঘৃণা সৃষ্টি হচ্ছে, এটাও বড় অর্জন বলে মনে করি।
@নাদিম আহমেদ,
ঠিক।এটাও একটা বড় অর্জন।
একটি পিটিশনে সকলে সই করতে পারেন। একটি ন্যূনতম সংখ্যক স্বাক্ষর পাওয়া গেলে হোয়াইট হাউজ এটা পড়ে দেখতে বাধ্য। হোয়াইট হাউজ পড়ে নিশ্চয়ি বাংলাদেশে এসে রাজাকারদের ফাঁসী দেবে না, তবে অন্তত দেশে এ ব্যাপারে জনসমর্থনের ব্যারোমিটার পড়তে পারবে, জামাতিদের প্রোপাগান্ডা/লবিং এর বিরুদ্ধে এর দরকার আছে।
খুব বেশী স্বাক্ষর এখনো যোগাড় হয়নি।
https://petitions.whitehouse.gov/petition/express-solidarity-protesters-bangladesh-who-are-seeking-justice-war-crimes-1971/mXK56Q8v
@আদিল মাহমুদ,
বাঙালির চেতনার দাসত্ব অনেক গভীরে। মূলৎপাটন শিক্ষিত হওয়ার পরেও হইতেছে না। ব্যাপারটা হতাশার।
@সাইফুল ইসলাম,
বাস্তবতা বলে যে আজকের দুনিয়ায় কেউই বিচ্ছিন্ন নয়, নইলে শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে বিদেশী মিডিয়ায় উলটো পালটা কথা ছাপা হলে আমাদের এত গায়ে লাগার কারন কি? তুরষ্কের সরকার, মুসলিম ব্রাদারহুড কি হুমকি দিল তাতেই বা উত্তেজিত হবার কি আছে বলেন? এদের বাবারও ক্ষমতা নেই বাংলাদেশে এসে কিছু করার। সোজা ইগনোর করে গেলেই কি যথেষ্ট?
বিদেশের রাজপথে মিছিল করা সমাবেশ করা আন্দোলনের স্বার্থে খুবই জরুরী কিন্তু বিদেশী অনলাইন পিটিশন সই করায় আত্মসম্মান কমে যাবে? আন্দোলনে বিদেশীদের সহমর্মিতা পাওয়া গেলে সমস্যা ঠিক কোথায়? বিশেষ করে জামাত শিবির লবিং করে বিদেশী সরকার, আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে ম্যানিপুলেট করলে চুপচাপ দেখে যাব রাজকীয় মানসিকতার পরিচয় দিয়ে? তুরুষ্কের সরকার যদি ৩ মাস আগে শাহবাগের সমাবেশের ছবি দেখত তবে যুদ্ধপরাধীদের ব্যাপারে হুমকি দিতে বহুবার চিন্তা করত।
@আদিল মাহমুদ,
এইটা বুঝেন? বাহ! মাঝে মাঝে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের কথা আনলেই আপনাগোর কাছে বাম(যেইটা একটা গালিতে পরিণত হইছে চিন্তাশীল জনগনের কাছে) অথবা একটু কেমন কেমন আওয়াজ শুনতে পাই। যাউক, এইটা বুঝতে যখন বুঝতে শিখছেন, তখন আলোচনা সুবিধার হইব।
বিদেশী মিডিয়ায় উলটা পালটা খবর ছাপাইলে গায়ে লাগার কারন ওরা “উলটা পালটা” বলছে এই জন্যই। সিধা কথা বললে গায়ে লাগার কারন নাই। ইন ফ্যাক্ট কোন খবর না ছাপাইলেও গায়ে লাগা না লাগার কথা আসতেছে না। যদি ছাপাইতেই হয়, তাইলে সিধা খবরই ছাপাক।
তুরষ্কর হুমকিতে চিল্লায়া ওঠার কারন, আমাদের দেশের উপ্রে খবরদারী করতে আসার ধৃষ্টতা দেখানোর জন্য। আমরা তুরষ্কের খাইনা, পড়িও না। লদকালদকি জামাতের সাথেই করুক। কারন ওরা খায়, খাওয়ায়, পড়ে, পড়ায়।
আন্দোলনের স্বার্থে জরুরী এইটা বলতে পারেন যদি বাঙলাদেশের অবস্থা আজকে ফিলিস্তিনির মতন হইত। বাঙলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র। এইখানে সরকার চাইলে(মেরুদন্ড নিয়া কাজ করলে) আর সাথে বর্তমানের মতন জনগন থাকলে ইতিহাস পাল্টাইয়া ফেলতে চাইলেও কারো পায়ে পানি ঢালতে হয় না। এই আন্দোলনে অভিবাসী জনগনের একাত্মতা দরকার একাত্মতার খাতিরেই। দেশাত্ববোধের খাতিরে। দায়িত্বশীলতার খাতিরে। বৈদেশিক মিডিয়ায় বা বৈদেশিক সরকারের কাছে দেখানোর জন্য না।
আর যদি আত্নসম্মানের কথা বলেন, ঐটা যার থাকে তারই কমে। যার নাই তার কমার প্রশ্ন আসতেছে না।
কে বলছে সমস্যা? সমস্যার কিছু নাই তো!। যদি দরকার হয় অবশ্যই সহমর্মিতা চাওয়া হইব। কিন্তু যদি দরকার না হয়?
জামাত লবিং করে মানে ওগোর লবিং দরকার আছে। বর্তমান আলোচিত প্রশ্নে আমগোর কোন লবিং-এর দরকার নাই। আর রাজকীয় মানসিকতা? আপনার পিটিশন চাওয়ার আবেদন দেইখ্যা আমার তো ভৃত্য’র প্রভুর কাছে করজোড়ে আশীর্বাদ চাইতাছে এই দৃশ্যকল্প ছাড়া আর কিছুই মনে হইতেছে না। মেরুদন্ড খাড়া কইরা দাঁড়ানো যদি রাজসিকতা হয় আমি ঐ রাজসিকতার পুঁজা করি।
আপনিতো সবই বুঝতেছেন, আবার কিছুই বুঝতেছে না।
যখন বুঝেন জনগনই মূল চাবীকাঠি তখন সাদাদালানে খোমা দেখানোর লাইনে দাঁড়াইতেছেন কেন?
@সাইফুল ইসলাম,
– ঠিক কোন পরিপ্রেক্ষিতে আমার ব্যাপারে এই অভিযোগ করলেন সেটা পরিষ্কার করলে ভাল হত। অযৌক্তিকভাবে কিছুর মধ্যে আমেরিকার জুযু দেখার প্রবনতার প্রমান পেলে অবশ্যই দুটো কথা বলতে হয়। স্বভাবতই এ প্রবনতা বামদের মাঝে একটু বেশীই দেখা যেতে পারে। যেমন পদ্মা সেতু দুর্নীতি বিষয়ে যেভাবে কিছু সুশীল দূর্নীতির অভিযোগ এড়িয়ে গিয়ে মনের সুখে আমেরিকার প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংকে গালি দিয়েছিলেন তখন অবশ্যই বিরক্তি লাগে, দুটো কথা বলতে হয়। আমি অবশ্য শুধু বামরা এই ধরনের জুজুতে ভোগে এমন বলিনি। এই প্রবনতা ধর্মবিশ্বাস/রাজনৈতিক বিশ্বাস বাদ দিয়েও মোটামুটি সাধারন প্রবনতা হিসেবেই দেখি। আগে একাধিকবার বলেছি যে চরম বামপন্থী নেতা আর তবলীগি হুজুর উভয় দলের সদস্যদের দেখেছি আমেরিকায় নানান কায়দায় স্থায়ী হবার চেষ্টা করতে।
যাই হোক, এর সাথে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কেউই বিচ্ছিন্ন নয়- এই কথার যোগ ঠিক বুঝতে পারলাম না। শুধুমাত্র বৈশ্বিক কোন প্রেক্ষাপট আলোচনার সাথে বাম গালি কিভাবে সম্পর্কিত হল সেটাই বুঝলাম না।
আমি কবে কাকে বাম বলে বেহুদা গাল দিয়েছি তা একটু দেখালে ভাল হয়। তবে অবশ্যই কারনে অকারনে ভারতীয় জুযুর যেমন নিন্দা করি, মার্কিন ষড়যন্ত্র বার করারও নিন্দা করি, কেন করি সেটা নিশ্চয়ই পদ্মা সেতুর বর্তমান অবস্থা দেখে কিছুটা বোঝা যায়।
কিছু কথা আগে বলি। এই বিচার ব্যাবস্থা নিয়ে যে আন্তর্জাতিক মহলে বেশ কিছু নেগেটিভ খবর এসেছে তাতো জানেন নিশ্চয়ই। আজকের হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সংবাদ, “Bangladesh: Post-Trial Amendments Taint War Crimes Process”
আপনার মতে নিশ্চয়ই এ সব সংবাদের কোন গুরুত্ব নেই, আমরা শাহবাগে সমবেত জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি এখানে কোথাকার হিউম্যান রাইটস কি বলে তা দিয়ে আমাদের কি? আমরা এক হলেই সব কটাকে ফাঁসী দিয়ে দিব, তাই না?
মুশকিল হল ফাঁসী দেওয়া সহজ হলেও তার জের সামাল দেওয়াটা খুব সহজ হবে না, তবে অসম্ভব অবশ্যই নয়। তুরষ্কের মত সকলে বেকুব নয় যে সরাসরি ধামকি দেবে, তলে তলে সরকারকে চাপ দেবার বহু উপায় আছে। তবে এখনো বল আপনার কোর্টে, আরো কিছু সময় যাক আরো কিছু নাটক দেখতে পাবেন। সরকারকে তুরষ্কের মত হুমকি নয়া দিয়েও চাপে ফেলার বহু উপায় আছে যেগুলি সামান্য দূরদর্শী হয়ে সময় থাকতে চিন্তা করা উচিত। জামতিরা বিদেশে সফলভাবে বহু কূটনৈতিক ততপরতাই চালিয়েছে, তাদের কথায় কনভিন্সড অনেকে হয়েছে। সরকারের ওপর অযাচিত চাপ যেন না আসে সে জন্যই কূটনৈতিক লড়াই প্রয়োযন।
আন্তর্জাতিক মহলে এই জাতীয় সংবাদের নেগেটিভ ইম্প্যাক্ট যেন তেমন না হয় সেটা ব্যালেন্স করার জন্যই এ জাতীয় পিটিশন ভূমিকা রাখলেও রাখলে পারে। এখানে সই করায় আমার অন্তত তেমন আত্মসম্মান কমেছে বলে মনে করি না।
– আপনিও বুঝে বুঝছেন না। জনসমর্থন দেখানো শুধু নিজ দেশেই জরুরী নয়, বিদেশেও দেখানো জরুরী। বিদেশে চলা অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র শুধু দেশের রাজপথে জড়ো হলে হবে না, বিদেশের উপযুক্ত মহলেও কন্ঠ পৌছাতে হবে। এর মাঝে এক্কেবারে আত্মসম্মান খোয়ানোর কি আছে আপনারাই ভাল জানেন। কূটনৈতিক লড়াই এর গুরুত্ব মনে হয় না আপনাকে আমি বোঝাতে পারব বলে। সেজন্যই আপনাকে দরকার কেন হবে সেটা বোঝাতে পারব না। সাম্প্রতিক অন্যান্য দেশের আন্দোলনগুলিও দেখেন কূটনৈতিক লড়াই সকলেই করেছে। ‘৭১ সালেও পর্দার অন্তরালের কূটনৈতিক লড়াই ভূমিকা রেখেছে ব্যাপক, সে আমলে ইন্টারনেট থাকলে অবশ্যই নেট জগতেও লড়াই হত, এমন পিটিশন দেওয়া দেওয়ি চলত। এর মাঝে আত্মসম্মান খোয়ানোর কি আছে আমি ঠিক বুঝি না, আমার সম্মান বোধই আসলে বেশ দূর্বল এটাই মনে হয় ঠিক।
পদ্মা সেতু বিষয়ে তো মনে হয় সরকার সঠিক কাজই করেছে। মার্কিন বিশ্বব্যাংককে লাথি মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে, আমাদের আর পায় কে। প্রধানমন্ত্রী তো ঘোষনা দিয়েছেন ছয় মাসেই ডিজাইন হয়ে যাবে (আমি নিজে এই লাইনের লোক বলে এই টাইম লাইনে কিঞ্চিত বিস্মিত হতে বাধ্য হয়েছি)। আত্মসম্মানের জয় হোক, জয়তূ সরকার।
– এই পিটিশনের মূল বক্তব্যে কি আপত্তিকর আছে বুঝছি না। আপনার কথায় সন্দিহান হয়ে আরো কয়েকবার পড়লাম, কিছুই পেলাম না এমন কিছু সম্মানহানিকর কিছু যাতে আমার মেরুদন্ড বাঁকা হয়ে যেতে পারে। আসলে তো পিটিশনের কথা নয়, কার কাছে লেখা হচ্ছে সেটাই মূখ্য, তাই না?
সেই পিটিশনে ওবামার কাছে আমাদের সাহায্য কর নইলে পারছি না এমন কিছু লেখা আছে? শুধু বলা হয়েছেঃ
we petition the obama administration to:
Express solidarity with the protesters in Bangladesh who are seeking justice for the war crimes of 1971.
এতেই মান গেল? এই পিটিশনে আদৌ কি কাজ হবে আমি জানি না, তবে এতে সই করলে দাস মনোবৃত্তি দেখানো হবে এমন আজব তত্ত্বের জন্যই এত কথা বলতে হচ্ছে। আমাদের আত্মসম্মান আসলেই অতি উচ্চ, গর্ব করার মত। কিছুদিন আগে কোন এক গায়িকা নিজের মত সুরে আমার সোনার বাংলা গেয়ে বিশাল এক বিপদে পড়েছিল শুনেছি, তাকে দেশদ্রোহী, এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কে কে আছে এমন বহু কথা প্রথিতযশা ব্যাক্তিবর্গই নাকি বয়ান করেছিলেন শুনেছি।
জনতা সাথে থাকার পরেও বংগবন্ধুকে বাস্তবতার সাথে আপোষ করেই বৈরী মার্কিন বন্ধুত্ব মেনে নিতে হয়েছে, পাক ১৯৫ যুদ্ধপরাধীদের বিচারের ব্যাপারেও আপোষে আসতে হয়েছিল, এমনকি পাকি ভূট্টোর সাথে মোলাকাত করতে হয়েছে, এরশাদ সাহেব তো বিদেশীদের খুশী করতে দেশের মুসলমানি করে ফেলেছিলেন। ‘৯৬ সালে হাসিনা আপাও ব্যাপক জনসমর্থন নিয়েও স্যার নিনিয়ানদের কাছে বিচার দিয়েছিলেন, ১-১১ এর সময়েও ওনার পেছনে জনসমর্থন ব্যাপক থাকার পরেও কলকাঠি নেড়েছিল সেই বিদেশীরাই, কয়দিন আগে খালেদা বিবিও যথারীতি আমেরিকার কাছে বিচার দিয়েছেন গনতন্ত্র মুক্ত করে দেবার জন্য। এই ধারা কি বলে? হাসিনার ক্ষমতা গেলে ভবিষ্যতে উনিও সেই বিদেশীদের কাছেই আবারো ধ্বর্না দিবেন, শুধু জনগনের শক্তিতে ঈমান আনবেন না। দুই ম্যাডাম আপা, লুইচ্চা এরশাদ এরা বদলিয়ে গেলেও একই চিত্রই দেখবেন। এই তিক্ত বাস্তব উদাহরনগুলি মনে করিয়ে দেবার জন্য দূঃখিত, এসব নেতাদের গালিগালাজ করে মনের ঝাল ঝাড়তে পারেন তবে বাংলাদেশের মত দেশের গদিতে বসে বিদেশীদের ইয়েও পুছি না এই মনোভাব দেখানোয় হয়ত প্রবল দেশপ্রেম প্রকাশ করা যায় তবে কাজ কতটা হয় সেটা খুবই বিতর্কিত।
@আদিল মাহমুদ,
যেকথাগুলা বললেন ঐ সমস্ত কথা কলেজপড়ুয়া কোন ছাত্র/ছাত্রী বললে মানতাম। আপনার বুদ্ধিবৃত্তিক লেভেল এত হাস্যকর পর্যায়ের না এইটা বিশ্বাস করি। হইতে পারে শুধুমাত্র নিজের দাবীটারে ডিফেন্ড করার জন্য এত আবজাব কথাবার্তা আপনার হাত থিকে বাইর হইতেছে।
না বুঝলে আর না মনে পড়লে এই ব্যাপারে আলোচনা বাদ। সমস্যার কিছু নাই। আর পোস্টের সাথে ঐরকমভাবে সম্পর্কিতও যেহেতু না এই আলোচনা আরেকদিনের জন্য তোলা থাকুক।
আর আম্রিকান কোন নীতি দেখার পরে আপনার মনে হইল বাঙলাদেশ নামক একটা দেশের লাখ খানেক ভৃত্যের আকুল আবেদন শুইনা আপনাগোর বর্তমান কর্তা আম্রিকার বারেক বাঙলাদেশ সরকারের উপরে চাপ দিবো না? আর চাপ তলে তলে দিবো এইটা যখন বোঝেন, তাইলে উপ্রে উপ্রে পিটিশন দিয়া কী ফায়দা আসব মনে করেন? আপনারা পিটিশনকারীরা না জানলেও আবালবৃদ্ধবণিতা জানে আম্রিকা চাপ দিতে চাইলে দিবো, লাখ খানেক কেন, কোটি খানেক পাবলিক কূর্ণিশ করতে থাকলেও দিবো।
আসলেই অধমরে “কূটনৈতিক লড়াই এর গুরুত্ব ” বুঝাইতে পারবেন না। কারন আপনি ভুল লাইনে চিন্তা করতেছেন। ১৯৭১ আর ২০১৩ এক সময় না। ১৯৭১এ বাঙলাদেশ গর্ভে। কে চেনে, কে জানে বাঙলাদেশ নামে একটা দেশ ছিল? আমরা ঐ সময় পরিষ্কারভাবেই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মতন অন্য সবার কাছে। ঐ সময় নিজেদের অস্তিত্বের খাতিরেই সবার কাছে টিংটিং করার দরকার ছিল।
আজকের বাঙলাদেশ গর্ভে না। এর নিজস্ব জনমত আছে। আজকে ১৯৭১ হইলে আমি রাস্তায় দাঁড়াইয়া জনগনের কাছ থিকা পিটিশনে সাইন নিতাম।
আজকে দেশের ৯০ শতাংশ জনগন একটা রায় চাইতেছে। যেই দেশের ৯০ শতাংশ জনগন একটা জিনিস চায়, দুনিয়ার কোন শক্তি নাই ঐ জিনিস ঠেকায়। কতটুকু চায়, চাওয়ার জন্য কতদূর যাইতে পারব ঐটা ভিন্ন আলোচনা। যদি চাওয়ার মতন চায়, আম্রিকার কাছে ঐ সমস্ত পিটিশন ফিটিশন দেওয়ার দরকার নাই। খালি নিজেদের প্রজা বইলা পরিচয় দেওয়া ছাড়া।
আর যারা নিজের দেশে পাদ মারার আগে ঐ পাদে সৃষ্ট গন্ধে মাইন্ড না করার জন্য আরেক দেশের কাছে যায় আবেদন নিয়া তাগোর আত্মসম্মানবোধ নিয়া আমার যথেষ্টই সন্দেহ আছে।
অপ্রয়োজনীয়ভাবে পিটিশনে সাইন করানোর জন্য যেইভাবে উইঠা পইড়া লাগছেন তাইতে পদ্মা সেতুর মতন একটা ব্যাপারে এত সহজে সিদ্ধান্ত নিবেন এইটা মোটেই অস্বাভাবিক কিছু না। যদি কোন দিন এই নিয়া আমি লিখি বা আপনি লিখেন তখন ঐখানে এই ব্যাপারে আলোচনা হইতে পারে। এই পোস্টে এইপর্যন্তই থাকুক।
কূটনীতির মাজেজা যখন বুঝাইতেছে তখন আপনারে বললে বুঝবেন। এই সময়ে বারাক কর্তাকে বাঙলাদেশে আইসা বাইগুন+আলুভর্তা আর পাতলা ডাল দিয়া পাইজাম চালের ভাত খাইতে বলার মানেও এই রায় সম্পর্কে কিছু “হস্তক্ষেপ” করতে বলা। আর “solidarity ” তো বহুত ভারী শব্দ। কূটনীতির নীতি শিখান ভাই, আর এই সমস্ত সহজ জিনিস আপনি বুঝেন না এইটা আমি কোনভাবেই বিশ্বাস করি না।
আর শিল্পীর যে কাহিনী বললেন ঐ ব্যাপারে বলি। আচ্ছা বলেন তো ঐ শিল্পী যদি এখন একটা পিটিশন নিয়া আপনার কাছে আইসা বলে ভাই একটা সাইন দেন। বারেক কর্তার কাছে আমার সাথে “solidarity” জানানোর জন্য পিটিশন করতেছি। ব্যাপারটা হাস্যকর মনে হইব না? কাহিনী আমার দেশের আর “solidarity” চাই বারেক মিয়ার আম্রিকার?!
এতক্ষন পরে দুঃখের সাথে বুঝলাম আপনি আমার কথার মূল স্পিরিটটাই ধরতে পারেন নাই। মুজিব, খালেদা,
এরশাদ কিংবা হাসিনার মতন মেরুদন্ডহীন রাষ্ট্রপ্রধানরা কী করছে ঐ ব্যাপারে তো আমি কোন আলোচনা করতেই রাজি না। আজকের আন্দোলন কি কোন সরকার চালাইতেছে(যদিও সরকারের একটা বিরাট লাভের সম্ভাবনা আছে)? আমি আগাগোড়া জনগনের শক্তির কথা বলছি। আগের কিংবা বর্তমানের কোন দালাল সরকারের দালালীর কথা না। আপনার এই উদাহরন এইজন্যই এইখানে খাটে না। যেহেতু আমি কোন রাজনৈতিক দলের দালালী করতেছি না। আমি দালালী করতেছি জনগনের শক্তির।
উত্তর দিতে দেরি হইয়া গ্যালো এই জন্য দুঃখিত।
@সাইফুল ইসলাম,
আর কথা বলার মত সময় নেই, মানসিক অবস্থাও এখন নেই, দেশে শুধুমাত্র মুক্তকন্ঠের অপরাধে আরেকটি প্রান অকালে ঝরে গেল পিশাচদের হাতে আর এখানে এসব সুপারফিশিয়াল ইস্যু নিয়ে তর্ক করার মত মনমানসিকতা আপাতত নেই। একই কথাই বার বার বলতে হয়, আপনিও একই কথাই সুকথ্য ভাষায় বলে যাবেন।
আশা করি আপনারাই ইতিহাস গড়বেন। মুজিব, হাসিনা, খালেদার মত মেরুদন্ডহীন নেতা নেত্রীদের আদল থেকে আপনারাই পারবেন মেরুদন্ড ওয়ালা নেতানেত্রী বে্র করে আনতে।
ইলিনিয় থেকে আন্দোলনের জন্য টাকা তুলে দেশে পাঠানো একজন শুনলাম কান মলেছেন আর কখনো দেশে এমন প্রকল্পে টাকা পাঠানোর হ্যাপার যাবেন না বলে, কেন বলেছেন বুঝতে তেমন কষ্ট হয় না।
ভাল থাকেন।
@আদিল মাহমুদ,
আমিও কি খালেদা জিয়ার মত বলবো- একাত্তরে আমেরিকা আমাদেরকে সাহায্য করেছিল? রাজাকারদের ফাঁসীর ব্যাপারে জনসমর্থনের ব্যারোমিটার উঁচুতে তুলতে আমেরিকার সাহায্যের কোনই দরকার নাই। না এখানে আমি সাইন করছিনা।
@আকাশ মালিক,
এ সম্পর্কে কিছু কথা নীচে বলেছি।
আচ্ছা, ‘৭১ সালে আপনার বর্তমান দেশ ব্রিটেনের ভূমিকা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি? ব্রিটেন ছিল সে সময় ভারতের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রচারনা কেন্দ্র। তবে এর অন্য দিকও আছে।
ইউএস সপ্তম নৌবহর নিয়ে বহু লেখালেখি হয়েছে। এই সপ্তম নৌবহরের অভিযান যে আদতে ইংগ-মার্কিন যৌথ অভিযান ছিল সেটা কেন জানি উহ্য থেকে যায়। এই অভিযানের অংশ হিসেবে বিটিশ এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার ঈগল এ অঞ্চলে এসেছিল পাক সমর্থনে ভারতকে শায়েস্তা করতে যাকে সোভিয়েত নৌবহর তাড়িয়ে মাদাগাস্কার পাঠিয়ে দেয়। যুদ্ধ ১৬ই ডিসেম্বর শেষ না হয়ে একদিন দেরী হলেও ব্রিটিশ-ফরাসী একটি যুক্ত যুদ্ধ বিরতী প্রস্তাব যে জাতিসংগে উত্থাপিত হত সেটা কি জানেন, যার মর্মকথা ছিল ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার মানে মুক্তিযুদ্ধের তীরে এসে তরী ডোবা? রুশ ভেটো দেবার ক্ষমতা তখন আর ছিল না।
আপনার কেমন লাগে জানি না, আমি আবেগশূন্য মানুষ বলেই আমেরিকায় সুখে থাকতে তেমন মর্মবেদনা বোধ করতাম না। যে সব দেশের প্রতি পূর্ন আনুগত্যের শপথ নিয়ে পাসপোর্ট বহন করে দিব্ব্যী আরামে থাকতে পারি, রাস্তায় মিছিল সমাবেশ করতে পারি সেসব দেশে কেন পিটিশনের মত নির্দোষ আবেদন দিতে যত আপত্তি হতে পারে তাও বুঝতে আমি অক্ষম।
@আদিল মাহমুদ,
রাস্তায় মিছিল সমাবেশ করা আর পিটিশনের মাধ্যমে আবেদন করে কোন আভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাতব্বরী করার সুযোগ দেয়াটার মধ্যে পার্থক্য আছে নিশ্চয়ই। এমনিতেই তো আমেরিকা কর্তৃক জামাতকে মডারেইট ইসলামী দল সার্টিফিকেট দেয়ায় জামাতের কত লম্পজম্প দেখলাম। আমেরিকা কি তখন জানতোনা এরা কারা? জামাতকে টাইট দিতে আমরা এদের কাছে আবেদন নিয়ে যাবো কেন? ইয়াহিয়া খানের মত বাস্টার্ড যে আরো দু একটা দুনিয়ায় আছে কিসিঞ্জার আর নিক্সনকে না দেখলে বুঝা যায় না। আপনার জানা আছে বিশ্বাস করি, তবু আমি কেন আমেরিকার ফরেইন পলিসিকে মনে প্রাণে ঘৃণা করি তার কারণ দেখাতে এখানে একটু নমুনা দিলাম।
আকাশ মালিক,
– পিটিশনটা আদৌ পড়েছেন? সেটায় আভ্যন্তরীন বিষয়ে মাতব্বরীর জন্য কে কাকে ডাক দিয়েছে? সেখানে কোন সাহায্য সহযোগিতা চাওয়া হয়নি, তার দরকারও আসলে নেই, কারন বিচার করার অনুকূল সরকারই দেশের ক্ষমতায় আছে। পিটিশনের উদ্দেশ্য হল শুধু মার্কিন প্রশাসন যেন জামাতি শক্তির প্রচারনায় আদৌ বিভ্রান্ত হতে না পারে তার চেষ্টা করা। এরকম এন্টি-জামাত সমর্থনের মাত্রা টের পেলে মার্কিন প্রশাসন মডারেট পার্টির সার্টিফিকেট দেবে না, আর যদি তাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাবেন তবে অবশ্যই দেবে।
বিদেশের রাস্তায় মিছিল সমাবেশ করার একটা বড় উদ্দেশ্য থাকে সে দেশেও নিজেদের দাবীর সমর্থনে সে দেশেও নৈতিক সমর্থন গড়ে তোলা এটাও যদি না স্বীকার করেন তবে কে কাকে বোঝাবে।
আপনার প্রথম মন্তব্যে ইংগিত ছিল ‘৭১ এর মার্কিন ভূমিকার কারনে আপনার আপত্তি। এখন দেখা যাচ্ছে সেখান থেকে নেমে এসেছেন ‘বিদেশী মাতব্বরী’ পয়েন্টে। এরপর কই আসবেন কে জানে।
বিদেশী মাতব্বরী কে সহ্য করে। বর্তমান সরকারের আমলে ভারতের নানান কার্যকলাপ কিভাবে মূল্যায়ন করেছেন? ভারতের কাছে ট্রাঞ্জিটের জন্য টাকা চাওয়া অভদ্রতা এই জাতীয় উক্তি যখন প্রধানমন্ত্রীর একান্ত লোকজনে করে তখন আপনাদের মান সম্মান কোথায় থাকে? তিতাস নদীর ওপর রাস্তা করার ব্যাপারে কি বলেছিলেন? পদ্মা সেতু নিয়ে যা হয়েছে তাতে দেশের মান সম্মান এক্কেবারে সপ্তম আকাশে চড়ে গেছে, আমেরিকাকে এক চাঁটি মারা গেছে না? এক নির্দোষ পিটিশন সই করায় বিরাট আত্মসম্মানে ঘা লেগে অথচ এসব নিয়ে সরব হতে তো দেখলাম না।
কোন রকম হতাশার কথা বলতে চাই না, তবে এই আন্দোলনে আমি সেভাবে উদ্বেলিত হতে চেষ্টা করেও পারি না, অতীতের নানান উদাহরন মনে এসে যায়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি যেভাবে নিজেদের ভেতর স্রেফ মাতব্বরীর কৃতিত্ব নেবার জন্য কাদা ছোঁড়াছুড়ি করেছে সেসব মনে এসেই যায়, এবাভ অল উই আর বাংগালী। ‘৯১ সালের গণজোয়ার, ‘৯৫ এর ঘাদানিকের ভাংগন……গালিগালাজ সবই মনে আসে। মনে আসার সংগত কারনও আছে। সব কথা সব সময় বলা যায় না, বিশেষ করে যেখানে নিজে দর্শক মাত্র। একটিই আশা নুতন প্রজন্ম হয়ত নুতন কিছুই করে দেখাবে।
@আদিল মাহমুদ,আপনি আমার চেয়ে ভালো জানবেন, আমার জানা মতে ৭১ এর যুদ্ধ চলাকালীন সময়েও মুজিবনগর সরকার আমেরিকা ও ইউরোপের সরকারগুলোর কাছে বাংলাদেশের জন্যে সমর্থন আদায় এর জন্যে অফিশিয়ালি প্রতিনিধি নিয়োগ করেছিলো। অথচ তখন আমেরিকা পাকিস্তানের সবচেয়ে বড়ো সহযোগী সরকার।
৭১ এ আমরিকায় বাংলাদেশ সরকার এর প্রতিনিধি কে ছিলো জানেন কি?
@সফিক,
কিছু লোকে কূটনৈতিক লড়াই বলে যে কিছুর গুরুত্ব আছে সেটা বুঝতে পারে না। বলেও কোন লাভ নেই।
‘৭১ সালে মুজিব নগর সরকার ও ভারত সরকার উভয়েরই মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বৈরী দেশগুলিতে প্রতিনিধি পাঠিয়ে চেষ্টা চালিয়েছিল প্রকৃত অবস্থা বুঝিয়ে পাক সমর্থন প্রত্যাহারের। কেউ বৈরী বলে তার আমি ইয়ে করি এই রকম আবালামির জগতে সরকারে থাকা লোকেরা থাকে না। এতে অনেক ক্ষেত্রে কাজ হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে হয়নি।
যেমন চরমভাবে বৈরী আরব দেশগুলিকে বোঝাতে ভারতের দুই মুসলমান মন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছিল, তারা কোন সুবিধে করতে পারেননি, আরবদের কাছে যথারীতি সেটা ছিল ‘জেহাদ’।
ইন্দিরা নিজেই পশ্চীম ইউরোপ আমেরিকা ট্যুর করেছিলেন, তাতে অন্তত কিছু দেশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের সিদ্ধান্ত নেয় যেটা পরে ভারত সরাসরি যুদ্ধের জড়িয়ে পড়লে কাজে দেয়। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধূরী ছিলেন লন্ডন বেজড ইউরোপে বাংলাদেশ সরকারের মূল প্রতিনিধি।
আমেরিকায় সেভাবে কেঊ ছিলেন বলে জানি না। তবে সেখানে বর্তমান অর্থমন্ত্রী মুহিত, প্রকৌশলী এফ আর খান এমন আরো অনেকে কাজ করেছেন, ঘৃনিত ইউনুস মিয়াও এই দলে ছিলেন। তারাও সিনেট কংগ্রেসের নরমপন্থী সদস্যদের মাধ্যমে কূটনৈতিক লড়াই করেছেন। আমেরিকার আমি ইয়ে করি এমন মনোভাব কেউ নিয়ে বসেছিলেন বলে মনে পড়ে না।
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকে মুজিব নগর সরকারের ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি হিশেবে নুরুল কাদের নামের এক ভদ্রলোককে নিযুক্ত করা হয়েছিল নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘে বিশেষ আবেদন পেশ করতে, তাকে বোম্বে থেকে আবার ফিরিয়ে এনে বৈরী আফগানিস্তান ইরানে পাঠানো হয় লবিং করতে। এই ভদ্রলোকের এক বিশাল বই আছে “২৬৬ দিনে স্বাধীনতা”। ওনার দাবীমত ইরানের শাহ গনহত্যার ছবি দেখে আবেগাক্রান্ত হয়ে পাক সমর্থন প্রত্যাহার করে নিরপেক্ষ থাকার সিদ্ধান্ত নেন, যদিও এরপরেও ইরান পাক সাহায্য করেছে এমন তথ্য প্রমান আছে।
@আদিল মাহমুদ,
“Where there is a great deal of free speech there is always a certain amount of foolish speech.” – Sir Winston Churchill
বাংলাদেশ সহ কিছু উন্নয়নশীল দেশে বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে দুই ধরনের প্রজাতি পাওয়া যায় । নিউ ইয়র্কে শৈত্য প্রবাহ হলে এক প্রজাতির ঢাকায় সর্দি হয় । আরেক প্রজাতি আবার ‘সাম্রাজ্যবাদ বিজ্ঞানী’ যাদের কাছে ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ হচ্ছে সকল সমস্যার মূল যদিও এদের কারো কারো তরকারীর হাড়িতে আমেরিকার নুন থাকতেই হবে। এখন বাংলাদেশে বাস্তবে আমেরিকার যত না ভুমিকা কিংবা স্বার্থ আছে , মিডিয়ায় এবং চায়ের টেবিলে সেটাকে তার চেয়েও বড় করে দেখানোর প্রবনতা লক্ষ্য করার মত। আমেরিকার মত একটা দেশের রাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্হানগত গুরুত্ব নিয়ে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ট গবেষণা এখন পর্যন্ত পাবলিক ডোমেইনে চোখে পড়ে নি। মার্কিন এন এস এ এবং সি আই এ- র সব বার্ষিক প্রতিবেদন জন সম্মুখে প্রকাশ করা হয় না। আমাদের প্রথমেই দেখতে হবে যে বাংলাদেশ মরলো কি বাঁচলো এতে করে আমেরিকার আদতেই কিছু এসে যায় কি না ! ‘We have no eternal allies, and we have no perpetual enemies. Our interests are eternal and perpetual, and those interests it is our duty to follow.’ – Lord Palmerston. :-s
@আদিল মাহমুদ,
বলেন কি? এটা ইঙ্গ-মার্কিন অভিযান!আগে জানতাম না তো!
আদিল ভাই, আমি যতদূর জানি রাশিয়া ৩বার ভেটো দিয়েছিল তাই না?আসলে কয়বার ভেটো দেয়া যায় জানি না, একটু বুঝিয়ে বলবেন কি যে কেন রাশিয়া তখন আর ভেটো দিতে পারত না?
@অর্ফিউস,
ইংগ-মার্কিন অভিযানের ব্যাপারে আগে সূত্র দিয়েছি। সেখানে খুব ষ্পষ্টভাবে বৃটিশ যুদ্ধজাহাজের ততপরতার বর্ননা আছে। ইংগরা আমেরিকানদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই অন্ধভাবে ফলো করে।
রুশ ভেটো না দেবার সিদ্ধান্ত সম্ভবত তাদের নিজেদের। এ সিদ্ধান্ত তারা ভারত সরকারকেও জানিয়ে দিয়েছিল, কেন কে জানে। ভারত এ কারনেই যুদ্ধ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করার নীতি নিয়েছিল। বাংলাদেশ সরকার স্বাধীনতার পর তাদের প্রথম পররাষ্ট্র নীতিতে কেন যেন রাশিয়ার ওপর একটু ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল, ব্যাপারটা বেশ বিস্ময়কর। হয়ত এ কারনেই।
@আদিল মাহমুদ,
হ্যাঁ এটা আমিও জানি,আর তাই মাঝে মাঝে বিস্মিত হতাম যে আমেরিকা যেখানে বিরুদ্ধে সেখানে ব্রিটেন পক্ষে থাকে কি করে!আজ অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে গেল ।
প্রাথমিক ভাবে হয়ত রাশিয়া শুধুমাত্র আমেরিকার বিরোধিতা করতে যেয়েই মুক্তি যুদ্ধে আমাদের সমর্থ দিয়েছিল,হয়ত আমেরিকা পাকিস্তানের না হয়ে ভারতের সমর্থক হলে এর উল্টোটাও হতে পারত।আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ব্যাপার স্যাপার গুলো হয়ত এমনই, যেখানে যার স্বার্থ!
প্রজন্ম চত্ত্বরের অর্জন এই বা কম কিসে?
@ ডাইনোসর,
একদম সহমত। (C)
অসাধারণ লিখেছেন ভাইয়া। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি যে আমরা পারি । আমরা একা নই, আমরা অসংখ্য। আমরা লোভী নই, আমরা ত্যাগী। আমরা ভিতু নই, আমরা দুর্দান্ত।
@মুনিয়া মুশতারী,
আমাদের জয় সুনিশ্চিত।
লেখাটা ভাল হয়েছে।”এইসব আন্দোলন-টান্দোলন করে কি হবে?সব আওয়ামীলীগ এর রাজনৈতিক চাল।”এধরনের অনেক মন্তব্য আমাকে-ও শুনতে হয়েছে,আমি শুধু বলেছি ‘আন্দোলনের ফলাফল কি হবে তা সময়ই বলে দিবে,আর একটা ভাল কাজের নেতৃত্ব যদি শয়তানও দেয় আমি তাকে সাপোর্ট করবো।
@Niloy,
আপনার সাথে একমত। কে নেতৃত্ব দিল এটা আমার কাছে বড় না। বড় হলো যে দাবী গুলো তুলা হলো , সেই দাবী গুলো।