১.
ভাইলোগ, আজকে আমাদের জাতির জন্য এক অন্ধকারময় কলঙ্কের দিন। বর্তমান আম্লিগ সরকার ৭১-এর কসাই কাদের দাদুর বীরোচিত কর্মকান্ডের মূল্যায়নতো করেই নি, উপরন্তু তাকে জেলের অভ্যন্তরে ঢুকিয়েছে। আমরা এই রায়ের বিরোধিতা করছি। তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কী করেছেন উনি? বেশি হলে দু চারশ মানুষই মেরেছিলেন মিরপুরের আলোকদি গ্রামে। (মিথ্যাবাদীরা বলে থাকে ৩৪৪ জন।) তাতে একেবারে যাবজ্জীবন কারারুদ্ধ করে রাখার অধিকার আম্লিগকে কে দিল?
কী করেছেন উনি? বেশি হলে কয়েকজন নারীকে ধর্ষনই করেছেন। তাতে একেবারে যাবজ্জীবন কারারুদ্ধ করে রাখার অধিকার আম্লিগকে কে দিল?
কী করেছিলেন উনি? হয়ত কবি মেহেরুন্নিসাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যাই করেছিলা। তাতে একেবারে যাবজ্জীবন কারারুদ্ধ করে রাখার অধিকার আম্লিগকে কে দিল?
কী করেছিলেন উনি? হয়ত উনার পবিত্র হস্তমুবারকের উছিলায় সাংবাদিক আবু তালেবকে হত্যাই করেছিলেন। তাতে একেবারে যাবজ্জীবন কারারুদ্ধ করে রাখার অধিকার আম্লিগকে কে দিল? আপনাদের কী মনে হয় না যেখানে যেখানে কাদের দাদুর হাতের ছোঁয়া পড়েছে আবু তালেব-এর সে জায়গাগুলো বেহেস্ত নসিব হবে? এটা কি আবু তালেবের জন্য সৌভাগ্য ছিল না?
কী করেছিলেন উনি? হয়ত ওসমান গণি ও গোলাম মোস্তফাকে হত্যাই করেছিলেন? তাতে আপনার আমার কী এমন ক্ষতি হয়েছে? তাতে একেবারে যাবজ্জীবন কারারুদ্ধ করে রাখার অধিকার আম্লিগকে কে দিল?
কী আর এমন করেছিলেন আমাদের কসাই কাদের দাদু? মিরপুরের কালাপানি লেনের হজরত আলী এবং তার স্ত্রী আমিনা এবং দুই মেয়ে খাদিজা ও তাহমিনা, দুই বছরের ছেলে বাবুকে হত্যাই না হয় করেছিলেন। তার মাত্র এগারো বছরের মেয়েকে উনি আর উনার সাহাবীরা মিলে না হয় একটু ধর্ষনই করেছিলেন। এটা গন্ডগোলের(!?) বছর কে না করেছিল? তাতে একেবারে যাবজ্জীবন কারারুদ্ধ করে রাখার অধিকার আম্লিগকে কে দিল?
আমরা বাঙলাদেশের আমজামকাঁঠালজনতা কসাই কাদের দাদুর বিরুদ্ধে এই সমস্ত সত্য কিন্তু মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে নিন্দা জ্ঞ্যাপন করছি। তিনি শুয়োর হতে পারেন। কিন্তু শত হলেও মানুষ! আমাদের অন্তরের অন্ত্যস্থল থেকে তার বেকসুর খালাসের দাবী জানাচ্ছি।
২.
কয়েকদিন আগে আমি আমার খোমা খাতায় একটা স্ট্যাটাস দিয়ে জাতে উঠেছিলাম। বলেছিলাম বাচ্চু রাজাকার(আসলে মিথ্যা প্রপাগান্ডা!) পলাতক বিধায় ফাঁসির রায় হয়েছে। থাকলে হত না। কেউ কেউ তার সাথে দ্বিমত করেছিলেন। সবুর করতে বলে বলেছিলেন, সবুর করেন, এত বিপ্লবের কথা বলে হবে। আমিও বেয়াদপ পাবলিক, বলেছিলাম আপনিও ভাই সবুর করেন, আগেই দেশপ্রেমে ভাসলে চলবে।
যাই হোক কথা হচ্ছে, আজকের রায়ের ঘটনাটা আসলে কী?
একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়, বিচারের রায় এর থেকে বেশি কিছু আশা করাটা হত ইতিহাস বিস্মরনের পরিচয়। আগে বুঝতে হবে আম্লিগের পক্ষে জামায়াতের বিচার করা সম্ভব কী না সেটা।
এক কথার উত্তরে বলা যায় সম্ভব।
সম্ভব, কিন্তু কোন পরিস্থিতিতে সম্ভব?
আজকে দেশ থেকে বিএনপি উঠিয়ে দিন। জামাতের বিচার করতে আম্লিগের কোন সমস্যা নেই। কারন?
কারন, তখন প্রধান বিরোধি দল জাতীয় পার্টি, আর জামাত একটা অপ্রয়োজনীয় আগাছা। জাতীয় পার্টিকে আম্লিগের সাথে নির্বাচনে জিততে হলে কয়েক হাজার বছর চেষ্টা করতে হবে। এক কথায় বলা যায় এরশাদের উত্তরাধীকার উৎপাদনের সম্ভবনার মতই সে সম্ভবনা সন্দেহজনক। সুতরাং সেকুলারিজমের ঝান্ডা উড়িয়ে এদেরকে চুপচাপ করাতে আম্লিগের মতন সন্ত্রাসী দলের বেশি সময় লাগবে না।
ব্যাপার হচ্ছে যেহেতু বিএনপি মাঠে আছে, সুতরাং বিএনপিকে সাইড লাইনে নিতে হবে। এরশাদ চাচ্চু তার উন্মত্ত যৌবনে ফুসে উঠতে পারছে না সুতরাং বিদিশা+রওশন*(এমন আরো অনেক বিদিশা+রওশন)=এরশাদ কাহিনী খতম। বাকি থাকে জামাত। আদর্শিক বুলি আম্লিগ যতই কপচাক, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, পার্টনার না পেলে সেক্সটয় হিসাবে জামাতকে আম্লিগের ব্যাবহার করতে কোন সমস্যা হয় না। সুতরাং জামাতের সাথে একটা দড়াদড়িতে যেতে পারলে ক্ষমতা হাতের তালুতে থেকে যাচ্ছে। এবং বর্তমানে বিএনপি নামে একটা রাজনৈতিক দল আছে এটা জনগন ভুলতে বসেছে!
তবে ঝামেলা একটা রয়ে যাচ্ছে। সেটা হল, নির্বাচনী ইশতেহারে আম্লিগ ৭১-এর কিছু চরিত্রের কর্মকান্ডের চমৎকার সফলতার জন্য তাদের পুরষ্কৃত করার কথা বলেছে। এখন কী করা যায় সাধারন জনগন আর জামাতকে একই সাথে হাতে রাখতে হলে? মানে সহজ বাঙলায় সাপও মারতে চাই লাঠিও ভাঙতে চাই না। একমাত্র উপায়, ধরে সবগুলোকে জেলে পুরে তারপরে মজা দেখতে থাকো। সময় এসে যাবে নির্বাচনের, আবার ইশতেহার দাও, “আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি, যতটুকু বাকি আছে সেটাও এসে করব”।
ইন ফ্যাক্ট কিছু দিন আগে, আইন প্রতিমন্ত্রি বলেওছেন এই কথা। আমরা এই টার্মে যতগুলো পারি ততগুলোর বিচার করব এবং পরবর্তীতে জনগনের ম্যান্ডেট চাইব আবার বিচার করার জন্য। আমি পত্রিকার রেফারেন্স দিতে পারছি না, টেলিভিশনের খবরে দেখেছি।
এখানেই আসে, বাচ্চুর ফাঁসির রায়ের ব্যাপারটা। বাচ্চু রাজাকারকে ইচ্ছে করেই পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। কারন?
কারন তাতে করে তার ফাঁসির রায় দিয়ে সাধারন জনগনকে দেখানো যাবে এবং একই সাথে জামাতকেও ক্ষেপানো হবে না। বাচ্চু বর্তমানে জামাতের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। বাচ্চুর ফাঁসির রায়ের পরে জামাত-শিবিরের নিশ্চুপ থাকা সে প্রক্রিয়ারই প্রতিফলন।
আরেকটা ব্যাপার এখানে উল্লেখ করা যায়, প্রধান আসামীদের যে তালিকা সে তালিকায় গোলাম আজম মতান্ত্বরে গুয়াজম মতান্ত্বের আরো অনেক আজম এর বহু পরে আছে বাচ্চুর নাম। বিচার কার্যে বাচ্চুর রায় হলে গেল কিন্তু গোলাম আজম মতান্ত্বরে গুয়াজম মতান্ত্বের আরো অনেক আজমের বিচারের কোন খবর নাই। যদিও সে’ই হল রাজাকারকুলশিরোমনী।
একই প্রক্রিয়ায় কাদের মোল্লার রায় হয়েছে। মৃত্যুদন্ডের তো কোন প্রশ্নই আসে না কারন আম্লিগের সাথে জামাতের সেরকম কথা হয় নি। এবং এর রায়ও কার্যকর হবে কী না সেটা নিয়ে সন্দেহ করার যথেষ্ট সুযোগ আছে। বাচ্চুর ফাঁসি হয়েছে কাদের মোল্লার থেকে অনেক লঘু পাপে। সেখানে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন হয়েছে বাচ্চুর চাইতে অনেক অনেক বেশি অপরাধ করেও। সুতরাং ডালে লবন তো হয়ই নাই তার উপরে ডাল মে কুচ কালা, ধলা, লাল, নীল, বেগুনী ইত্যাদি হ্যায়।
আর কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে যদি এই হয় তাহলে অন্যান্য রায় সম্পর্কে কথা বলা হবে শক্তির মারাত্বক অপচয়। এমনিতেই আমরা বাঙালিরা পুষ্টিহীনতায় ভুগি।
৩.
এখন কথা হচ্ছে তাহলে কী হবে সামনে।
উত্তরঃ কেউ জানে না। শুধু সম্ভবনার কথা বলা যায়। দুটো ব্যাপারের কথা খুবই সহজে বলা যায়।
এক. কনফেডারেশন আর দুই, জামাতকে নির্বাচনে নিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করা। কারন বিএনপি যাবে না।
তাহলে নির্বাচনে শুধু বিএনপি ছাড়া আর সবাই যাবে। এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পাবে কারন স্বীকৃতি দেওয়ার যে বড়ভাই আম্রিকা, আম্রিকার এতে কোন ক্ষতি নাই।
–আমি একটা ভার্শন বললাম, আরো অনেক ভার্শনের কাহিনী ঘটতে পারে।–
আরেকটা যেটা ঘটতে পারে, সামরিক শাসন আসতে পারে। সম্ভাবিলিটি হ্যাজ। সুতরাং বাদ দেয়া যাচ্ছে না।
আম্লিগের জামাতের সাথে যে মোচড়ামুচড়ি দেয়ানেয়া চলছে সেটার আরেকটা প্রমান হল, সাংবিধানিকভাবে জামাত নিষিদ্ধ(যদিও প্রচুর পরিমানে স্ববিরোধিতা সংবিধানে রয়েছে)। ৭২-এর সংবিধানে ধর্মভিত্তিক সমস্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষনা করে হয়েছিল যেটা “স্বাধীনতার ঘোষক” জিয়া মিয়া রদ করেছিল। বর্তমান আম্লিগ সেই রদ আবার সংশোধন করেছে। সুতরাং সাংবিধানিকভাবে জামাতকে নিষিদ্ধ করতে কোন সমস্যা থাকার কথা নয়।
কিন্তু আম্লিগ সেটা কেন করছে না? জিজ্ঞাসিত হলে আম্লিগের পক্ষ থেকে আমরা শুনতে পাচ্ছি জামাত একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। বাঙলাদেশে অনেক অনিবন্ধিত দল রাজনীতি করছে। তাদেরকে কি নিষিদ্ধ করা হয়েছে? হিজবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ করেছে আম্লিগ। জামাত-শিবিরে কী সমস্যা? আরে ভাই, ডাল মে কিছু তো হ্যায়!
৪.
আমি রায়ের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকলেও গত রাতে ঘুমাতে পারি নি। সকালে চিন্তা করেছিলাম একবারে রায়টা দেখেই ঘুমাবো। চোখ কথা না শোনায় ঘুমিয়ে যেতে হয়। আর আমি ঘুমালে সাধারন কেয়ামতের আলামত না দেখা দিলে ঘুম ভাঙে না। সেই আমি প্রত্যেক আধা ঘন্টা অন্তর অন্তর ঘুম থেকে উঠে পত্রিকা চেক করে দেখেছি বুকের এক কোনায় নিভুনিভু করে জ্বলতে থাকা আশার সলতেটা জাগিয়ে রেখে। কিন্তু ফলাফল ইয়া বড় একটা শুণ্য।
৫.
সব কথার শেষ কথা জনগন চাইলে সব কিছু সম্ভব। আম্লিগের কৌশল আম্লিগের পাছা দিয়ে ঢুকিয়ে যদি কেউ দিতে পারে সেটা জনগন। জনগন একসাথে হলে জামাতি হরতাল, আম্লিগের কৌশল সব পোতানো মুড়ি হয়ে যাবে।
কিছু কিছু হিসাবে দেখা যায় জামাত ৫ থেকে ৮ ভাগের মতন ভোট পায়। জনগন একসাথে হয়ে খালি জিপার খুলে এক ফোঁটা করে যদি মুতে দেয়, জামাত-শিবির ঢাকার রাস্তায় আটলান্টিকের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে শহীদ হবে।
গতকাল বিকাল থেকে শাহবাগে অগুনতি জনগন ঠিক এই কাজটিই করে যাচ্ছে। একত্রিত হচ্ছে। দাবী জানাচ্ছে। যদি মনে করেন জনতার আদালতে এই সমস্ত শুয়োরের বাচ্চাদের পাছায় শিমুল গাছের ডাল ঢুকাবেন, তাহলে এসে পড়ুন আজ শাহবাগে। শামিল হোন সবার সাথে।
এখানে কেউ এই মুহূর্তে টরন্টোতে থাকলে, দয়া করে চেষ্টা করবেন আগামিকালের মানববন্ধনে যোগ দিতে। আগামিকাল Danforth-এ ঘরোয়া রেস্তোঁরার সামনে বিকাল ৩টার পর সবাই জড়ো হচ্ছে। আমি নিজেও ৫টায় কাজের পরপরই সেখানে দৌড় দেবো, আশা করি সেখানে আপনাদের দেখা পাব। 🙂
আরো জানতে দেখুনঃ https://www.facebook.com/events/611003482249861/611860575497485/?notif_t=plan_mall_activity
আমি খুব কষ্ট পেরাম পোষ্ট টা পড়ে.
একটা মজাদার কৌতুক শুনলাম আজ।
কাদের মোল্লার কেন ফাঁসি হলো না ?
কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় হয়েছিল ট্রাইবুনালে প্রাথমিক ভাবে। ফাঁসির সবকিছু চুড়ান্ত হলো। একটি ফাঁসির দড়ি নির্বাচন করা হলো। কিন্তু যেদিন রায় দেয়া হবে, সেদিন সকালে হঠাৎ করে ঘটে দুর্ঘটনাটি। ফাঁসির দড়িটি যখন শুনতে পায় যে দড়িতে ঝুলানো হবে কসাই কাদেরকে, তখনই সে আত্মহত্যা করে এবং একটি চিরকুট লিখে যায়-
কসাই কাদেরের শরীর আমার গায়ে স্পর্শ হবে এই ঘৃণা আমি সহ্য করতে পারলাম না। কসাই কাদেরের ঐ নোংরা, ঘৃণিত, ঘিণঘিণিত শরীর এর স্পর্শের চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয়। তাই আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলাম।
@মাহফুজ,
একটা পোস্টার করা হইছিল। লেখাটা ছিল এই রকমঃ
কাদের মোল্লা
সম্পূর্ণ নির্দোষ,
তাকে নিঃশর্ত
মুক্তি দিয়ে
শাহবাগের মোড়ে
চা খাবার
সুযোগ করে
দেয়া হোক।।
নীচে লাল কালির বক্সে ছোট কইরা লেখাঃ
বাকিটা আমরা বুঝব
@সাইফুল ইসলাম,
এই সেই পোস্টার:
[img]http://sphotos-h.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-prn1/c0.277.403.403/p403x403/604073_484671591580274_1802761166_n.jpg[/img]
কাদের দাদুকে দুনিয়া থেকে মুক্তি দেয়া হোক। এইবার বেহেস্ত গিয়া হুর পরীদের ধর্ষণের চেষ্টা চালাক গিয়ে (চেষ্টা বলছি, কেননা অবশ্যই তাকে ডাবল মসুল্মানি করিয়েই মুক্তি দেয়া হবে)। এবং মুক্তির ৯ দিন আগে থেকে দাদুর হ*গ* বন্ধ করে দেয়া হোক যাতে করে পৃথিবীতেই তিনি স্বর্গের না হ*গ*র সুখ পান(আমীন, সুম্মাআমিন)।
আসলে এই রায়ে ক্যামন ষড়যন্ত্রের দুর্গন্ধ আছে। এই দেশে কেউ আগুন জ্বালে, কেউ সেই আগুনে তেল ঢালে, কেউ আবার ঘরপোড়ার মধ্যে আলু পোড়া দিয়ে খায়।
@অরণ্য,
আসলে এই রায়ে ক্যামন ষড়যন্ত্রের দুর্গন্ধ আছে। এই দেশে কেউ আগুন জ্বালে, কেউ সেই আগুনে তেল ঢালে, কেউ আবার ঘরপোড়ার মধ্যে আলু পোড়া দিয়ে খায়।
কৌতুহলী পাঠক যারা জানতে চান ,
প্রধান প্রসিকিউটর বনাম আব্দুল কাদের মোল্লা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারকগন আসামীকে দুটি অভিযোগে section 3(2)(a) এর অধীনে সন্দেহাতীতভবে দোষী সাব্যস্ত করছেঁন এবং section 20(2) অনুসারে সাজা দিয়েছেন । আমরা এখন দেখবো এর অর্থ কি ?
এখন দেখতে হবে , THE INTERNATIONAL CRIMES (TRIBUNALS) ACT, 1973 অনুসারে এক্ষেত্রে অপরাধ এবং শাস্তির কি বিধান রয়েছে :
কাদের ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হবে ? ঘটনাস্হলে উপস্হিতি দোষী হওয়ার জন্য জরুরী নয় কারণ :
অভিযোগ প্রমানিত হলে সাজা ? কাদরে মোল্লাকে section 20(2) এর আওতায় সাজা দেয়া হয়েছে। এখন section 20(2) কি ধরনে সাজা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ?
অর্থ্যাৎ আসামী দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে ‘অপরাধের গুরুত্বের সমানুপাতিক বিবেচনায়’ মৃত্যদন্ড কিংবা আদালত চাইলে যেকেন সমুচিৎ সাজা দিতে পারেন। কাদের মোল্লাকে আদালত কি সাজা দিয়েছে ?
বিচারকেরা চাইলে কোন সমস্যা ছাড়াই মৃত্যদন্ড দিতে পারতেন । কিন্তু তারা দেন নি। THE INTERNATIONAL CRIMES (TRIBUNALS) ACT, 1973 এক্ষেত্রে বিচারকদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে যা তারা ব্যবহার করতে কোন রকম ইতস্ততই করেন নি দেখা যায় । (N)
@সংশপ্তক,
আইনী এসব ধারা, ব্যাখ্যা নিয়ে একটি সুখপাঠ্য লেখা লিখে ফেলেন না কেন? এটা খুবই দরকার। এসব সকলেরই জানা দরকার, নইলে আদালতের রায় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থেকেই যাবে।
আন্দোলনকারী/বিক্ষোভকারিদের বুঝতে হবে যে রায়ের ব্যাপারে আপত্তির কারন আমরা ইতিহাস বা ব্যাক্তিগত সূত্র থেকে কি জানি সেটা নয়। বরং আইনী দৃষ্টিকোন থেকেই রায়টি প্রশ্নবিদ্ধ। ব্যাক্তিগত ধারনা কেন্দ্র করে আদালতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো যায় না, উচিতও নয়, আইনী চোখ দিয়েই ব্যাখ্যা করতে হবে। রায় আমার মন মত হল না বলেই মাঠে নেমে গেলাম এমন সংস্কৃতিও আমরা চাই না।
@আদিল মাহমুদ,
একশ বার একমত।
@আদিল মাহমুদ,
ব্যপার কি জানেন ? সারাদিন অফিসে বসে মহাভারত সম একেকটা ফাইল ঘাঁটাঘাঁটি , পরিবর্তন , সংযোজন এবং বিয়োজন করার পরে যখন বাসায় ফিরি , ফের নতুন করে কিছু লেখার শক্তি , মন , সময় কিছুই আর অবশিষ্ট থাকে না। একটা ভৌতিক লেখক পেয়ে গেলে মন্দ হত না । আমি বলে যেতাম আর সে লিখতো – শেখ সাদীর মত :))
@সংশপ্তক,
চমৎকার। খুবই যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা।
আমার ফেবুতে আপনার মন্তব্যটা লিঙ্ক সহকারে কালকেই শেয়ার করছিলাম।
@সাইফুল ইসলাম,
সমস্যা হচ্ছে যে , বর্তমান কালের গুগুল আর আমাজন জেনারেশন য়ুক্তি টুক্তির চাইতে রেডীমেইড পপুলার মতামত পড়তেই বেশী আগ্রহী। নিজের যে একটা মস্তিষ্ক আছে এরা সেটা ভুলে গেছে। 🙁
@সংশপ্তক, এইখানে তো বলেই দেওয়া আছে যে বিচারক মৃত্যুদণ্ড বা অন্য কিছু দিতে পারবেন। বিচারক কি কি মাপকাঠি দিয়ে কোনটা মৃত্যুদন্ড দিচ্ছেন তা উনি লেখেননি।
আমি যা প্রমাণ ও সাক্ষী-সাবুদ দেখেছি তাতে এই একই স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহার করলে সাকা চৌধুরী ছাড়া আর কারও ফাঁসির সম্ভাবনা কম।
@দিগন্ত,
যে কোন মামলা আদালতে পৌছানোর পর যে বৈচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয় , সেখানে কয়েকটি মুখ্য ধাপ আছে । একটার পরে আরেকটি আসে এবং শেষ আদালত পর্যন্ত মামলার উপসংহারে উপনীত হন। আপনার কাছে প্রশ্ন হচ্ছে যে , প্রমাণ ও সাক্ষী-সাবুদ বৈচারিক প্রক্রিয়ার কোন ধাপটির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ?
@সংশপ্তক, অবশ্যই প্রথম ধাপ। কিন্তু এর মানে এই না যে পরের পর্বে গিয়ে আগের পর্বের ভূমিকা গৌণ হয়ে যায়। আমেরিকায় যেমন সাধারণ কেসে “বিয়ন্ড রিসনেবল ডাউট” প্রমাণ লাগে মৃত্যুদন্ডের জন্য। শুধু তাই না, আমেরিকার সংবিধানের অষ্টম এমেন্ডমেন্ট অনুসারে রেসিপ্রোকাল শাস্তি দেওয়া হয় (যেই কারণে ধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যায় না)।
তবে এ সবই ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে অর্থহীন। তাই বিচারকের উচিত ছিল ঠিক কি কারণে কতটা শাস্তি দেওয়া হচ্ছে তা সুস্পষ্ট করে জানানো। বিচারক তার ধার দিয়েই যাননি।
@দিগন্ত,
এবং সেই প্রমাণ ও সাক্ষী-সাবুদের ধাপের উপসংহারে আদালত কি সিদ্ধান্তে উপনীত হন ?
@সংশপ্তক, সেই অধ্যায়টাই এই জাজমেন্টে অনুপস্থিত।
@দিগন্ত,
তাহলে কি দাড়াল ? এই রকম অসম্পূর্ণ রায় আপীল বিভাগে টিকতে পারবে যখন কাদের মোল্লা সেখানে কদিন পরই অবিচারের আর্জি নিয়ে হাজির হবে ? আপীল বিভাগ তো কাদেরকে বেকসুর খালাস অর্থ্যাৎ মুক্তি দিয়ে দেবে ! বুঝতে পারছেন বিষয়টা ?
@সংশপ্তক, সেইটাই এখন বড় সমস্যা। কিন্তু এটা কাটাতে আপীল বিভাগে রায়ের ব্যাখ্যা সুস্পষ্ট-ভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
@সংশপ্তক, বিচারক যদি স্পষ্ট করে রায় না লেখেন তাহলে অনুমান করা যেতে পারে যে এই স্ট্যান্ডার্ডে হিটলারেরও ফাঁসি হত না। হিটলারের বিরুদ্ধেও মনে হয়না সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে মানুষ খুন করার অভিযোগ আছে।
@দিগন্ত,
নুর্ণবার্গ বিচারালয়ে হিটলারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়াখিম ফন রিবেনট্রপের কিন্তু ঠিকই ফাঁসী হয়েছে এবং সেই ফাঁসী কার্যকর করা হয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশেও সরাসরি মানুষ খুন করা section 4:2 , THE INTERNATIONAL CRIMES (TRIBUNALS) ACT, 1973 অনুযায়ী জরুরী নয় যেটা আমি প্রথমেই উপরে উল্লেখ করেছি। সেখানে পরিস্কার বলা আছে :
@সংশপ্তক, তার আগের সেকশনেও আছে –
মৃত্যুদন্ডের মৃত্যু হোক।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান, আমাদের মৃত্যু হোক, খুনি দের আদালতে, তারপর তারা কিছুদিন জেলে জামাই আদর পেয়ে আসুক। আমাদের আত্মা শান্তি পাবে এই ভেবে যে ন্যায় বিচার হয়েছে, মৃত্যু দন্ডের মৃত্যুর মাধ্যমে।ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান, ভাল বলছেন
@আদনান আদনান,
হত্যাকারীরে জামাই আদরে, বউয়ের সোহাগে রাখা হউক। আমরা মানবতাবাদী!
@সাইফুল ইসলাম, :hahahee: :hahahee: (Y)
যে দেশে আমরা প্রায় ৯৯% অসৎ, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, যে দেশের তদন-কারী কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে কেনা যায়, যে দেশে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা, সততা… এসব যাচাই করা হয় না, সেই দেশে যতো প্রকার আইন থাকুক না কেন তাতে লাভটা কি? কাদের মোল্লা ভি চিহ্ন দেখিয়ে কি বোঝাতে চেয়েছে? নিশ্চয়ই মাত্র কটা দিন পরেই তো সে বেরিয়ে আসবে, যখন তাদের দোসর বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, অতএব মৃত্যুদণ্ড এড়ানোই তো বিজয়লাভ! অনেক আগের কথা, তখন বাংলাদেশে বিটিভি ছাড়া কোন চ্যানেল ছিলো না। সম্ভবত রাত সাড়ে ১০টায় একটি সিরিয়াল হতো, ডার্ক জাস্টিস। যতোদূর মনে পড়ে, বিচারক জানে যে লোকটি হত্যাকারী কিন’ তদন-কারীর প্রতিবেদন, উকিলদের যুক্তিতর্ক আর আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে আসামী ঠিকই মুক্তি পেয়ে যায়…। ঠিক তদ্রূপ আমাদের দেশের আইনও। এদেশের সবচাইতে বড় সমস্যা তদন-কারী কর্মকর্তারা তাদের ঘুষ খাওয়া বন্ধ না হলে কোন বিচারই সঠিক হবে না।
@কফিল কাঙ্গাল,
বিশ্বাস করবেন যে অনেক বিচারক ঘুষ খায়?প্রমান করতে পারব না।কারন বিচারকদের বিরুদ্ধে এতো বড় কথা কোন পত্রিকা মনে হয় না লিখবে।আমার এলাকার একজনের ভাই ফেন্সিডিলের চোরাচালানীদের সাথে জড়িয়ে পড়েছিল কিভাবে যেন।তার ভাই বিচারক কে মাত্র ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে তাকে নির্দোষ হিসাবে ছাড়িয়ে আনে।
হয়ত আপনি নিজেও এইরকম কোন ঘটনা জানেন,হয়ত আরো অনেকেই জানে।কিন্তু কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না হয়ত। কারন আদালত নিজেকে অনেকটা স্রষ্টার( যদি থেকে থাকে) সমকক্ষ হিসাবে মনে করতে পছন্দ করে।
@অর্ফিউস,
মুখ সামলাইয়া……
হুমায়ুন চাচার মত লেখকে পর্যন্ত একবার তার এক হিমুর বইতে “সব জজই ঘুষ খায়” কথা লিখে বিরাট বিপদে পড়ছিল। ওনাকে উকিল মোক্তার নিয়ে আদালতে বহুদিন দৌড়াদোড়ি করতে হইছিল।
খুব সাবধান।
@আদিল মাহমুদ, হা ভাই খুব সাবধানেই থাকা লাগবে 🙁 । যদিও আমি ডাইনামিক আইপি ব্যবহার করছি তবু বিজ্ঞানের যে কেরামতি দেখতেসি তাতে আমাকেও যে ট্রেস করে ফেলবে না এমন ভরসা পাই না।আর ট্রেস করতে পারলেই গেছি।এই বয়সে জেলে ঢোকার ইচ্ছা নাই। কাল আবেগটা বেশি ছিল। কিন্তু আজ মনে হইতেসে যে কি দরকার খামোখা এইসব বলে।যদি ধরা খাই তবে কপালে ডলা আছে।
আন্তরিক ভাবেই ধন্যবাদ আপনাকে। আসলেই কাল মাথা ঠিক ছিল না। দুঃখে। কাদেরের মত এত বড় পাপী কিনা তেমন সাজা পাইলো না, আর এর থেকে কত কম অন্যায় করেও মানুষের ফাঁসী হয়। (U) । আমার হৃদয় আসলেই ভেঙ্গে গেছে আদালতের এই রায়ে।
@অর্ফিউস, বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির খবরটা আমি এই মুক্ত মনাতে পাই। নিউজ দেখা বা পড়া ছেরে দিসিলাম।ওই ব্যাটার ফাঁসির খবর পেয়ে আগাইন নিউজ পড়া শুরু করলাম। ওই দিন সারা রাত জাগলাম, শেষে কিনা শুনি যে কাদের মোল্লার ফাঁসি না যাবজ্জীবন হয়েছে।এইবার বাকিগুলার কি হয় কে জানে।ছাড়া পেয়ে যাবে কি? জানি না, এই দেশে সব সম্ভব।
@অর্ফিউস,
জেলে এত অনীহা কেন? কোন মতে ডিভিশন নেন তারপর জেলেই রাজকীয় হালে থাকবেন। লক্ষীপুরের তাহের পূত্র কি রাজার হালে জেলে আছে পড়লে নিজেরই ইচ্ছা হয় জেলে ঢুকে যাই। গত কেয়ার টেকার আমলে ত্রানের টিন কাপড় যাদের কব্জা থেকে উদ্ধার হয়েছিল তারা জেলে জামাই আদরে ছিল, ব্যাডমিন্টন খেলে শরীর বানিয়েছিল, ব্যাক্তিগত সেবা করার জন্যও এক একজনার কয়েদী কাম ভৃত্য ছিল।
অতএব, কারা জীবন সম্পর্কে অহেতুক অনীহায় ভুগবেন না।
@আদিল মাহমুদ, আমি তো নেহায়েত ছা পোষা মানুষ রে ভাই,তাহের পুত্রের মত কেউ না। মনে হয় না যে জেলার সাহেব আমার সাথে মেয়ে বিয়ে দিতে চাইবেন। তাই দুর্গতি আছে। আর দিলে, মানে জামাই আদর দিলেও সেটা তো পরে। আগে রিমান্ড আছে না? সংশপ্তকের একটা লেখায় ডিম থেরাপীর কথা শুনে বেশ দমে গেছি। এর আগে মাঝে মাঝে কৌতূহল হত যে রিমান্ডে আসলেই কি করা হয়। ওইটার জানার পর থেকেই ডিম দেখলেই ওই থেরাপীর কথা মাথায় আসে 😀
@কফিল কাঙ্গাল,
পায়ে ঘা হইলে ট্যাবলেট দিয়া পোষানো যায়, কিন্তু গ্যাংগ্রিন হইলে পা কাটতে হয়।
সিস্টেম ধ্বংস না করলে কোন দিনই আপনার উল্লেখ করা সমস্যা মিটব না।
রায়টা পড়ে দেখতে পারেন। অনেক কিছুই ট্রান্সপারেন্ট নয়। কেন যাবজ্জীবন দেওয়া হচ্ছে (বা মৃত্যুদন্ড দেওয়া হচ্ছে না) সেটা ছাড়াও কেন অভিযোগ-৪ অপ্রমাণিত বলা হচ্ছে বা কেন শুধু ক্রাইম এগেন্সট হিউম্যানিটি-তেই গিলটি পাওয়া যাচ্ছে (ওয়ার-ক্রাইম বা জেনোসাইড না কেন?) – সেগুলো বিচারকেরা পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা করার কোনো প্রচেষ্টাই করেন নি।
মেহেরুন্নিসার হত্যার ঘটনাটা নিয়ে পড়লাম। দুইজন সাক্ষীর মধ্যে এমন কেউ নেই যে কাদের মোল্লাকে অন্তত মেহেরুন্নিসার বাড়িতে ঢুকতে দেখেছে। উভয় সাক্ষীই জানিয়েছে কোর্টকে যে তারা আম-জনতা বা বিহারীদের থেকে জেনেছেন ঘটনাটা কিন্তু প্রত্যক্ষ কেউ দেখেছেন বলে জানাতে পারেননি। কাদের মোল্লাকে গিলটি দেখানো হয়েছে শেষমেষ কিন্তু তা মূলত সারকামস্টানশিয়াল এভিডেন্সের মাধ্যমে। সরকারের সাক্ষীদের এই হাল হলে মৃত্যুদন্ডের পরোয়ানা বের করা শক্ত। বাকিগুলো ডিটেইলসে পড়ে জানাবো।
@দিগন্ত,
এই কথাগুলি রুঢ় সত্য। ফৌজদারী মামলা কোনদিন তামাদি তা হলেও ৪০ বছর পর আদালতে প্রমান করা ছেলেখেলা নয়। আমরা কি মনে করি বা জানি আর খোলা আদালতে প্রমান করা ভিন্ন কথা। নিঃসন্দেহে এসব মামলাগুলি ডিএনএ বা ফরেন্সিক এভিডেন্সের বেসিসে হবে না, মূল বিবেচ্য হবে স্বাক্ষ্যর। ৪০ বছর আগের ঘটনার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষ্য হাজির করা যেতে পারে, তবে সেসব স্বাক্ষ্যকে বাতিল করাও অনেক সহজ। আবেগের প্রশ্ন বাদ দিলে, নিরপেক্ষ বিচারের প্রশ্ন ওঠালে শোনা কথার স্বাক্ষ্যর মূল্য তেমন নেই।
আদালত সেক্ষেত্রে বেকসুর খালাসও দিয়ে দিতে পারত।
কিন্তু আদালতের কাছে অপরাধী প্রমানিত হবার পরেও অস্বাভাবিক রকমের শাস্তি প্রশ্নের উদ্রেক করে।
@দিগন্ত ভাই,
দারুণ একটা বিষয়ের দিকে দৃকপাত করেছেন। অনেকে বিচারপতিদের দোষ দিচ্ছেন, কিন্তু এত দুর্বল সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে এর চেয়ে বেশি কিছু দেয়া বিচারপতিদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। প্রসিকিউশনে যথেষ্ট গলদ ছিল। ঐখানেই লুকিয়ে আছে আসল ভুত, নষ্ট রাজনীতির প্রেতাত্মারা!
তাকিয়ে আছি সামনের রায়টির দিকে। সব প্রশ্নের মীমাংসা হয়ে যাবে তখন!
@দিগন্ত,
উভয় সাক্ষীই জানিয়েছে কোর্টকে যে তারা আম-জনতা বা বিহারীদের থেকে জেনেছেন ঘটনাটা কিন্তু প্রত্যক্ষ কেউ দেখেছেন বলে জানাতে পারেননি। প্রত্যক্ষ সাক্ষী স্থান ত্যাগ বা দেশের বাইরে চলে যেতে পারে। কেউ না দেখলে ঘটনাটা রটেছে কি ভাবে? ৪০ বছর পর যুক্তি দিয়ে আদালত-কে বুজতে হবে, তবে কি বিচার হালকা করার জন্যই ৪০ বছর পর শুরু হল?
@দিগন্ত,
আপনার কথার মধ্যে একটা ধারনা আগের থেকেই ধরে রাখছেন। সেটা হল বাঙলাদেশে এই ধরনের বড়সড় রায় সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়াই হয়। দুঃখের সাথে বলি আপনি ভুল জানেন।
বিপ্লবের ফাসির রায় হয়েছিল দিগন্ত ভাই। রাষ্ট্রপতি ক্ষমা ঘোষনা করেছিল। কারন? কেন্দ্রিয় এক নেতার আত্নীয়।
বাঙলাদেশের এই ধরনের রায় নির্ধারন করে সরকার। পাঠ করে বিচারকরা।
কাদের মোল্লার রায়ে যদি সরকারের কোন হস্তক্ষেপ না থাকত তাহলেই ওর নিশ্চিত ফাঁসির রায় হত। এর মধ্যে কোন ঝামেলার কিছু নাই। রাজাকারদের রায় একটা ঘটনা না। এর সাথে বর্তমানে আম্লিগের রাজনীতি সাংঘাতিকভাবে সম্পর্কিত। আপনি শুধু একটা রায়ের বিশ্লেষন করলে এর সঠিক উত্তর পাবেন না।
আর নিচে সংশপ্তক আইনগত বিষয় নিয়েই বলেছেন। দেখছেন আশা করি।
@সাইফুল ইসলাম, আপনি তো উলটে স্বাধীন বিচারের উদাহরণ দিলেন। বিপ্লবের ফা৬সির আদেশ দিয়েছিল বিচারকেরাই, তাও নেতার আত্মীয় জেনেই।
@দিগন্ত,
ভুল বুঝলেন। পুরোটাই। আমি বলতে চাইলাম, বিপ্লবের ক্ষেত্রে প্রকাশ্যেই রায় উল্টায়ে দিল। প্রকাশ্যেই যেখানে রায়ের দিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করল(মানে, তারা যে যখন ইচ্ছা করে সেটা বোঝানোর জন্য) সেইখানে পিছনে কিছু করাটা আর যাই হউক অসম্ভব তো না, নাকি?
মামলা যেহেতু রাষ্ট্রপক্ষের দিক থেকে চালানো হচ্ছে সুতরাং, যদি দূর্বলভাবে উপস্থাপনের জন্য রায়ের পাওয়ার কম হয় তাহলে দোষী কে? কেন চামচা শ্রেনির উকিল বাটপারদের দিয়ে এমন একটা গুরুত্বপূর্ন মামলা চালানো হল?
আবার বিপ্লবের রায়ের গুরুত্ব আর জামাতের নেতাগুলার রায়ের গুরুত্ব যে এক পাল্লায় মাপা যাবে না এটা তো মানেন? বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জামাত আম্লিগের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জামাত আর আম্লিগের মধ্যে আতাঁতের ব্যাপারে কানাঘুষা দৈনিক পত্রিকাগুলোতেই আসছে।
এই সমস্ত ফ্যাক্টগুলোকে না দেখে বালিতে মুখ গুজে শুধু প্রসিকিউশন সম্পর্কে গবেষনা করে কোন সিদ্ধান্তে আসলে সেটা ভুল হতে বাধ্য দিগন্ত ভাই।
@সাইফুল ইসলাম,
ভাই ,আমি বুঝিনা যে এই বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি নামের চিড়িয়ার কাজটা আসলে কি,শুধুই কি মন্ত্রী পরিষদের হুকুম তামিল করা!
এই প্রহসন বাদ দিয়ে হয় রাষ্ট্রপতি নামক ঢাল তলোয়ার বিহীন নিধিরাম সর্দার পদটিকে বাতিল করা হোক( বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে ভোট দিলাম এই বিষয়ে, কাজ হোক বা না হোক),
অথবা সংসদীয় গণতন্ত্রের ভড়ং বাদ দিয়ে সোজা রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু করা হোক। এতে অন্তত রাষ্ট্রপতি নামক পদটি নিয়ে হাসি তামাশা করতে হবে না।
দাবা খেলাতে অন্তত রাজার গায়ে জোর বেশি না থাকলেও রাজা আটকে গেলেই খেলা শেষ, কিন্তু বাংলাদেশের গণতন্ত্রে রাষ্ট্রপতিকে আটকানোর ( নির্বাচিত করার মাধ্যমে) মাধ্যমে শুরু হয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতি নিয়ে খেলা।
আমি এদের সাথে একমত।কিন্তু আমি ঢাকার বাইরে থাকি। এইবার বলেন যে আমিও তো জনতার অংশ।গাড়ী বন্ধু ২ দিন থেকে। ঢাকা কি আমি হেঁটে যাব? আমার এলাকায় পুলিশ আর র্যাব টহল দিচ্ছে।দুরপাল্লার গাড়ী বন্ধ। তাই দেখেন উপরের মন্তব্যের শেষ অংশে জনতার কিছু সমস্যার কথা বলেছি, এটাও তার অংশ।
@অর্ফিউস,
বন্ধুরা একসাথে হন। প্লাকার্ডে স্লোগান লিখে মানব বন্ধন করেন। মানুষের সাড়া বাড়বে। যেখানে আছেন সেখানে নিশ্চই এমন জায়গা আছে যেখানে করলে মানুষের মনযোগটা আকর্ষন করা যাবে। যদি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করেন, বন্ধুদের নিয়া করেন। কোথাও চাকরি করলে তাদের জানান। যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়ির মানুষদের জানান। যে এলাকায় থাকেন, চায়ের দোকানে আলোচনা করেন।
আগে মনোবল বাড়ান, মাঠে নামেন। কাজ হবেই। আজকে মানুষের জাগরণ সারা দেশেই।
@সাইফুল ইসলাম, এই টাইপ কিছুই করা লাগবে মনে হচ্ছে।কাজটা সহজ হবে না, যদি উদ্যোগটা নিজেকে নিতে হয়।
এটা অবশ্যই ভাল বুদ্ধি, তবে দেখি কাজের কাজ কতটা হয়, থাকি নিজের বাড়িতে। বি এন পি প্রধান এলাকা এটা , যারা জামাতকে প্রক্সি দেয় বরাবরই।জামাতো এখানে প্রচুর ভোট পায়,তাই হয়ত শাহবাগের মত কেন, তার ধারে কাছেও রি অ্যাকশন দেখি নাই জনতার। তবে কর্ম ক্ষেত্রে ব্যপারটা কিছুটা কাজে লাগবে আশা করি, যাই হোক চেষ্টার ত্রুটি করব না।ধন্যবাদ আপনাকে আইডিয়া দেবার জন্য।
@সাইফুল ইসলাম,
এটাই আসল। প্রকাশ্য উদ্যোগ নিতে গেলে সেইদিনই রগে খুরের পোঁচ পড়ে যেতে পারে,না হলেও হকি স্টিক।তবে পরোক্ষ ভাবে কিছু চেষ্টা করব।
আসলে আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে কিছু কিছু জায়গাতে জামাত খুব শক্তিশালী, আর এটাই হতাশা জনক।দেখসেন পাবনার একটি আসনে কিভাবে নিজামী নামক বরাহটা একচেটিয়া ভোট পায়?নিজামীর কি বিচার হবে জানি না, তবে ফাঁসি না হলে মনে হয় তার এলাকাবাসী তাকে ফুলের মালা গলায় পরানোর ব্যবস্থা করবে।কাদের মোল্লা তবু শুধু V সাইন দেখাইসে।উত্তর বঙ্গের কিছু জায়গা এত খারাপ কেন কে জানে।
আর বেশিদিন নাই।দেখেন না। যদি হজরত গোলাম আযম, হজরত নিজামী এদের ফাঁসি হয়, অথবা নাও হয় তবু এইসব সাজার নামে তাদের কে পবিত্র করে আওয়ামী লীগ জামাত জোট করবে। কারন বিচার তো একবারই হবে।
কাজেই একটা লোক দেখানো বিচার করো, তারপর পাপ স্খালনের ঘোষণা দিয়ে রাজনীতিতে জোটবদ্ধ ভাবে নির্বাচন কর।ব্যাস সামনে দেখবেন ইনশাল্লাহ রাজাকারদের গাড়ীতে বাংলাদেশের পতাকা উড়বে আবার আর সেটা আওয়ামী লীগের হাত ধরে।প্রথম বার যেমন বিএনপির হাত ধরে উড়েছিল।এইটা বাংলাদেশের নতুন ধারা। এইবার থেকে পালাক্রমে রাজাকার রা মন্ত্রী হবে।
একটু মুশকিল আছে এখানে।জনগণ কি করবে? আচ্ছা বলেন দেখি যেসব দোকানপাঠ গুলো বন্ধ আছে কেন বন্ধ আছে? একদিন দোকান খুললে কত বিক্রি হবে? এলাকাভেদে গড়ে ৫ থেকে ২০ হাজার মত?অথবা কম বেশি।কিন্তু যদি সেইগুলা ভাংচুর করে পবিত্র আত্মা, আল্লাহর সৈনিক ( জামাত) , অথবা কাফের শক্তি ( লীগ) তবে যে বেচারা জমিজমা বিক্রি করে একটা ছোটখাটো ব্যবসা করতে বসেছে, সে যে রাস্তায় বসে যাবে, তার আংশিক থেকে পুরো সম্পদ যদি নষ্ট করে দেয়া হয় তবে সে খাবে কি?
লীগের পাছা দিয়ে কৌশল ঢুকাতে হলে, কথা বা লেখালেখির চেয়ে কাজ করে দেখাতে হবে বেশি।চায়ের টেবিলে বা কি বোর্ডে ঝড় তোলা আর বাস্তবে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া আলাদা ব্যাপার। কাজেই জন সমর্থন তখনই পাওয়া যাবে, হরতালের দিন দূর পাল্লার গাড়ি তখনই চলবে যখন এইসব শুধু মাত্র লেখা লেখির বাইরে এসে মাঠে নেমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
যাহোক আপনার লেখাটা মোটের উপর আমার খুব ভাল লেগেছে।তবে একটা কথা আছে আমার। একটু মাঠে নামার ব্যবস্থা যদি কেউ করতে পারে তবেই জঙ্গন আম্লিগের পাছা দিয়ে কিছু একটা ঢুকাতে পারবে।সাথে জামাতের হরতালকেও পন্ড করা যাবে।
@অর্ফিউস,
শাহবাগে কী হইতেছে?
@সাইফুল ইসলাম, কিছু যায়গায় হইতেসে ভাইজান, আবার কিছু জায়গায় জামাতের হাতেই পাবলিক মাইর খাইতেসে।সেই জনতাগুলা যদি শাহবাগে যাইতে চায় কেমনে যাবে? আমিও যাইতে চাইসিলাম। পারি নাই, গাড়ি বন্ধ।
আমার নিজের এলাকাতে জামাতের মারাত্তক হরতাল, আর তার আগের দিন বি এন পির জনতা নিয়ে জামাতের বিরাট মিছিল।জামাতের মিছিলে এতো লোক জীবনেও হয় না, এর ১০ ভাগের একভাগ লোকও গত ১০ বছরে হয় নাই । তবে এইবার হইলো কেমনে?শিবিরের মিছিলটা আসছে আলাদা করে, এরা যথারীতি ছোট। আর যেটা বড়দের, সেইটায় আমাদের জানামতে ,ওইগুলা বেশিরভাগই জামাতের ব্যানারে বি এন পির পাবলিক।
@অর্ফিউস,
আমি ঢাকা থেকে মেলা দূরে থাকি, আর আমার মনে হয় না যে ইহজনমে এইখানে আম্লিগ প্রার্থী নির্বাচিত হবে ভোট চুরি ছাড়া, যদিও ছাত্রলীগের দৌরাত্ম মাশাল্লাহ যথেষ্ট।
ন্যায় বিচারের গর্ভপাত নাকি ন্যায় বিচারের নামে প্রহসন !!!!
১। তবে সত্যি কথা, এতে আমজনতা এতে মোটেও আশ্চর্য হয়নি…. যে সব গণহত্যাকারীদের / খুনিদের সাথে আওয়ামীলীগ এর শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে সম্পর্ক (ব্যাক্তিগত/রাজনৈতিক/অর্থনৈতিক) আছে ( যেমন, মূসা বিন শমসের) তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে অন্যান্যদের সাথেও সমানুপাতিক ব্যবস্থা গৃহীত হবে।
২।প্রথম বিচারের রায় ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট এমন একজন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে যে কিনা স্থানীয় নেতা। জাতীয় নেতৃত্ব এখনও বাকি!!!! যাদের বিরুদ্ধে প্রমান আয়নার মতই পরিষ্কার।
৩।বড় বড় আরও অনেক জাতীয় খুনি বাদ আছে।
৪।আওয়ামীলীগের মূল উদ্দেশ্য যে রাজনৈতিক তা লজেন্স খাওয়া বাচ্চাও বুঝবে।
৫। একাত্তরের এসব জাতীয় ভিলেন- গণহত্যাকারী দের বিচার নিয়ে আওয়ামীলীগ যদি রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায় তাহলে ১৯৭২-১৯৭৪ এর পর আবার একবার নিজেরাই জাতীয় ভিলেনে পরিণত হবে।
৬। যে যাই করুক না কেন…… একাত্তরের ঐসব গণহত্যা কারী (গোলাম আযম এবং তার সাঙ্গপাংগ তাদের বিচার হতেই হবে…… কোন না কোন কালে হবেই। ইহকালে কিংবা পরকালে। ন্যায় বিচার থেকে তারা রেহাই পাবেনা।
@সংবাদিকা,
পরকালে জান্নাতবাসও জুটতে পারে। ডিপেন্ড করে কোন পক্ষের ইসলামের খোদা পরকাল চালাইতেছে তার উপর। 😀
@রূপম (ধ্রুব),
মেটাফরিক শব্দে রিয়েকশন তথা ওভাররিয়েকশন 🙂
@সংবাদিকা,
ইহকালে বিচার না হইলে পকালের বিচার দিয়া কি করুম? ধুইয়া পানি খামু নাকি?ওইসব কল্পনা বাদ দেন দয়া করে। ওই গানটা মনে করেন…. থাকতে যদি না পাই তোমায় চাইনা মরিলে 🙂 ।
পরকালের বিচার দিয়া আমাদের কি কাজ? ইহকালের বিচার দেখতে চাই। তবে দেখলাম বিচারের নামে প্রহসন।
এই কাদের শুওরের বাচ্চা যে কিনা একাধারে গনহত্যা আর গনধর্ষন কারী , তার যদি ফাঁসি না হয়, তবে বাংলাদেশে যেন আর কোনদিন কোন অপরাধের সাজা মৃত্যু দন্ড না হয়।খুন , ধর্ষন কোনটারই না
@অর্ফিউস,
মেটাফরিক শব্দে রিয়েকশন তথা ওভাররিয়েকশন 🙂
@সংবাদিকা, কেন আপনার কি মনে হয় না যে এই মহাপুরুষের যদি ফাঁসি না হয় তবে আসলেই ফাঁসির সাজা তুলে দেয়া দরকার? আচ্ছা রুড শব্দ চয়ন টা করা ঠিক হয়নি আমার, মেনে নিলাম। সরি।কিন্তু রিয়াকশনটা কি আসলেই বেশি করে ফেললাম বলে আপনার ধারনা? এইটার যদি ফাঁসী না হয়, তবে দেশে মৃত্যু দন্ড থাকার দরকার কি বলেন? 🙂
@সংবাদিকা,
পড়ুন
সংবাদিকা, কেন আপনার কি মনে হয় না যে এই মহাপুরুষের যদি ফাঁসি না হয় তবে আসলেই ফাঁসির সাজা তুলে দেয়া দরকার নয় ?
@অর্ফিউস,
সহমত, ন্যায় বিচার হল সবার জন্যই সমান। একই মাত্রার অপরাধে কেউ সর্বোচ্চ, কেউ বেশি, কেউ কম, কেউ নাম মাত্র আবার কেউ পাবেইনা এটা হতে পারেনা।
এবসেন্টি বাচ্চু রাজাকাররে ফাসির আদেশ মারায়া দেখলো পানি কত ঘোলা হয়, নিরাপদ টেস্ট। এহন মোল্ল্লারে কয়ডা বছর দিয়া দেখতাসে পাব্লিক কিমুন করে। এইডাও নিরাপদ টেস্ট। অগ ধারণা, নিরীহ পাব্লিক আর যাই করুক, গদ্দিনশিনগো সহজে সরাইতে পারব না। তাই এই টেস্টটাও নিরাপদ। কত্তাগো দেহাইতে পারা যায়, হ্যারা ইন কন্ট্রোল। আরেক দফা ৫ বচ্ছরের লেগ্গা ফিট। পাব্লিক বেশি উন্মাতাল হইলে আপিল টাপিল কইরাও হয়ত দন্ড বদলাইতে পারব। কত্তারা খুশ, দুইন্না খুশ। রায় পিছানি, দণ্ডি বদলানি, এগুলি তো ওয়ান টু কা থ্রি। পাব্লিকরে এত ডরাইলে কি চলে। ডরাইতে হয় ক্ত্তাগো। তা না হইলে গদ্দী নাই। পাব্লিক ক্যাডা? গদ্দিনশিন ত্যানারা গি-আনি মানহুস। ত্যানারা অতীতে জামাতিগো চুম্মা দিসে সামনে; এহন দিলো পিছে। দুগ্গন্ধ দুগ্গন্ধ, তাতে কি, গিরিঙ্গি কইরা গদ্দী তো বাচলো কয়দিন।
@কাজী রহমান,
সামনে বুড়া হইসে কয়দিনই বা বাচবে, এইজন্যে মানবতার( ?) খাতিরে গোলাম আযমকে ছাইড়া দিলেই কাম সারছে।বলা যায় না দিতেও পারে। আমারো আজকে সাইফুল ভাইয়ের মত আঞ্চলিক ভাষায় কথা কইতে খায়েশ হইতেসে।কি করুম কতে পারি না বাহে।আসেন আমরা দোয়া করি যেন মহান মুক্তি যোদ্ধা নিজামি , গোলাম আযম রা বেকসুর খালাস পেয়ে দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রাখতে পারেন, আর ভারতে চক্রান্ত থেকে মুক্ত রাখতে পারেন। আমীন সুম্মা আমীন। :-Y (U)
আর আমি আদালতের রায়ের প্রতিবাদের মহা পাপে নিজের ফাসি দাবী করতেসি। রাজাকার রা মুক্তি পাক আর আমরা সাধারন জনতা ফাঁসিতে ঝুলি
@কাজী রহমান,
“”ডরাইতে হয় ক্ত্তাগো। তা না হইলে গদ্দী নাই। “”
@সাইফুল ইসলাম,
খুলি
চাই না কোন রাজাকারি রাজাকারের বিচারে
চাই না কিছু কল্লা ছাড়া কুত্তাগুলার মাথা দে।
চাইনা কোন দলের নেতা চাইনা কোন বাচাল রে
ধর্ষিতা মা কান্দে আমার ভাত চায় না শাস্তি দে।
কুত্তা ছিড়া বোনের কথা ভুলিস নারে ভুলিস না
রাজাকারের শাস্তি ছাড়া ঘরে তোরা ফিরিস না।
আমার দেশের আইন কেন আমার কথা বলে না
ভন্ড যারা আইন বানাস দৌড় মাইরা পলায় যা।
রাজাকার আল বদরগো বিচার করুক জনতা
শাস্তি দিয়া বাচাল তগো ভিক্ষা দিমু ক্ষমতা।
খুলির ভিতর গভীর শিকড় স্বাধীনতার চেতনার
শোধ তুলব এবার সবাই অপমানের বেদ্নার।
এটা আমি আগেই বুঝেছিলাম, আম্লিগের উদ্দেশ্য জনগণদের মই দিয়ে গাছে উঠিয়ে মই কেড়ে নেয়া । আর জামাতের তো জাত কি তা জনগণ জানেই :guli:
@ফাহিমা কানিজ লাভা,
একদম।
এই অবস্থা আপনার মত আরো অনেকরই হয়েছে।
সমাজের নানা পেশার মানুষ ফেসবুকে, ব্লগে কাদের মোল্লার বিচারের রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে।
প্রতিক্রিয়া আর্কাইভ (কাদের মোল্লার রায়)
দেশ বিদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকা, বিভিন্ন ব্লগ, ফেস বুক থেকে রায়ের প্রতিক্রিয়া আরো একটি সংকলন। সেই সংকলেন সাইফুল ভাইয়ের এই পোস্টটি স্থান পেয়েছে।
কাদের মোল্লার রায় (সংকলন)
সাইফুলের একটা বড়গুণ হল, সঠিক সময় সঠিক লেখাটা লিখে ফেলে। কাদের মোল্লার রায়ের পর থেকেই স্বতস্ফুর্তভাবে লোকজনের মধ্যে যে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ দেখেছি, তা অভুতপূর্ব। মাত্র কয়েকঘন্টার নোটিশে পুরো শাহাবাগ এলাকা যেভাবে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠল, তা রীতিমত বিস্ময়কর।
(Y)
বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা, আজ যেগেছে সেই জনতা
কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে, লাভের গুড় যেন আবার জামাত খেয়ে না ফেলে। আক্রোশটা যেন বিচারের ট্রাইবুনালের প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে না যায়। এবার রাজাকারদের বিচারের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সেটা আর কখনো হবে বলে আমার মনে হয় না। এটা বন্ধ হলে আখেরে জামাতেরই লাভ কিন্তু।
@অভিজিৎ,
ট্রাইবিউন্যাল নিয়া অনেকেই চান্স নেওয়ার চান্সে আছে। ট্রাইবিউন্যাল নিয়া কিন্তু আসলে পাবলিকের সমস্যা না। পাবলিকের সমস্যা রায়ের মাত্রা নিয়া এবং পাবলিক বুঝতে পারতেছে আস্তে আস্তে যে সরকারের অঙ্গুলী হেলনেই
এই সমস্ত কাহিনী ঘটতেছে।
এই লিঙ্কটা একটু দেখেনঃ
শাহবাগে লাঞ্ছিত হানিফ!
@সাইফুল ইসলাম, তার আগের নিউজ টা দেখেন। এই মহামানব হানিফ সাহেবের পবিত্র উক্তি, “যতই ষড়যন্ত্র হোক, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এদেশের মাটিতে হবেই হবে। জাতিকে অভিশাপ মুক্ত করার দায়িত্ব আওয়ামী লীগ নিয়েছে এবং তা করবে”
এইবার আসেন আমরা আম জনতা ষড়যন্ত্র বন্ধ করে,আমাদের অভিশাপ মুক্ত করার মহান দায়িত্ব গ্রহন কারী আওয়ামী লীগ কে আবার ভোট দিয়ে নিজেদের পাপের ( ষড়যন্ত্রের!!!) প্রায়শ্চিত্ত করি। :rotfl:
:-s
এটাই যৌক্তিক হয় যে, বিচারের প্রক্রিয়ায় রায় নির্ভর করবে মামলার উপস্থাপন, তথ্য প্রমাণের উপস্থাপন, তার খণ্ডন, আর বিচারকের যাজমেন্টের উপরে। জনমতের উপরেও না, সরকারের উপরেও না। যাবজ্জীবন কি কেবল এক উপায়েই হতে পারে? কী কী উপায়ে হতে পারে? এক হতে পারে আওয়ামী লীগ সরকার জামাতে ইসলামী(ভিত্তিক) রাজনীতি চিরকাল বহাল রাখার জন্যে এই কাজ করলো, বা আরও যতো যতো ক্রিয়েটিভ কারণে সরকার এটা করে থাকতে পারে।
আরেকটা উপায় কিন্তু আছে, যেটা আমরা ততোটা ভেবে দেখছি না। এমন হতে পারে না যে বিচারের রায়ে সরকারের হস্তক্ষেপ হয় নি, কিন্তু মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটরের উপস্থাপন দুর্বল থাকায় অভিযোগ যথেষ্ট শক্তিশালীভাবে প্রমাণিত হয় নি। মামলা উপস্থাপনের দুর্বলতা রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটরের দোষ। তাতে রায় দুর্বল হলে সেটার দায় প্রসিকিউটরের উপর বর্তায়, বিচারকের উপরেও না, ট্রাইবুনালের উপরেও না, সরকারের উপরেও না। দুর্বল উপস্থাপনে দুর্বল রায় তো ফেয়ারই।
ফলে জনরোষটা রায়ের বিরুদ্ধে হলে সেটা ভুল খাতে ব্যয় হবে। আমাদের খায়েশ অনুযায়ী বিচার হচ্ছে এটা অতি উত্তম ব্যাপার। কিন্তু রায়টাও আমাদের খায়েশ অনুযায়ী হোক, সেটা কি চাওয়া যেতে পারে? আমাদের খায়েশ অনুযায়ী রায় আনানোর জন্য এখন সরকার যদি হস্তক্ষেপ করে, তাও কি ভালো হবে? আমাদের প্রাথমিক প্রিমাইসই তো এটা ছিলো যে – “বিচারের প্রক্রিয়ায় রায় নির্ভর করবে জনমতের উপরেও না, সরকারের উপরেও না।”
এই রায় আসার পেছনে ফলে কেবল সরকার একমাত্র সম্ভাব্য কারণ নয়। এটা রাষ্ট্র পক্ষের দুর্বল উপস্থাপনার কারণে হতে পারে, বিচারকের ভুল যাজমেন্টের কারণে হতে পারে, পরিশেষে সরকারের কারণেও হলে হতে পারে। দশটা সম্ভাব্য কারণের একটা হিসেবে।
আদালতের রায়ে সরকারের উপর চেতলে সেটার মানে কেবল এটা দাঁড়ায় না যে রায়ে সরকারের হাত ছিলো। সাথে এটাও অনুমান করে নেয়া হয় যে রায়ে সরকারের হাত থাকা উচিত, এবং জনমতকে আমলে এনে সরকারের ঠিক করে দেয়া উচিত রায় কী হবে। কিন্তু বিচার তো গণতন্ত্র না। আপনার আমার চাওয়ামতে বিচার হতে পারে, কিন্তু রায়টাও কি আপনার আমার চাওয়ামতো হওয়া উচিত?
@রূপম (ধ্রুব),যারা যারা মনে করেন এই গুরুত্বপূর্ন রায়ের পিছনে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই তাদের জন্যে ফ্লোরিডায় একেবারে পানির দামে বেশ কিছু আকর্ষনীয় জমির প্লট পাওয়া যাচ্ছে।
ব্লগজগতে রায়ের প্রতিক্রিয়া বেশ দেখার মতো! প্রথমে অনেকে রেগে আগ্নেয়গিরির মতো ফেটে পড়লেন। কয়েকঘন্টার মধ্যেই রাশ টেনে ধরা শুরু হলো। এই সময়ে সরকার, ট্রাইবুনাল নিয়ে বেশী চিল্লাচিল্লী করা ঠিক হবে না। আওয়ামী লীগ খতরে মে হ্যায়। আগামী কয়েকদিন পেপারে, ব্লগে কি কি কথা হবে তা ঠিক এখনই স্ক্রীপ্ট করে ফেলা যায়।
@সফিক,
রায় ফাঁসি হলেও কিন্তু ফ্লোরিডায় জমির প্লট পানির দামেই পাওয়া যেতো। সরকার এখন হাত ঢুকিয়ে জনমতসিদ্ধ রায় দিলে ব্লগ শান্ত হবে, সবাই শাহবাগ থেকে বাসায় ফিরবে। সেটা কি আর বিচার হবে? সরকারের বিরুদ্ধে দাবিটা কী?
সরকার যদি হস্তক্ষেপ করেই থাকে, সেই হস্তক্ষেপ তো আজকে নতুন না। কিন্তু জনরোষটা নতুন। তাহলে জনরোষটা দেখা যাচ্ছে সরকারের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে না। আদালতের বিচারের পক্ষেও না। জনরোষটা বরং সরকারের হস্তক্ষেপটা মনমতো না হবার বিরুদ্ধে। গণ-নির্ধারিত, জনমতসিদ্ধ বিচারের পক্ষে।
@রূপম (ধ্রুব), যে অভিযোগগুলি কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে, যে অভিযোগে কাদের মোল্লা গিল্টি বলে সাব্যস্ত হয়েছে, এতে তার যাব্ৎজীবন দন্ড অস্বাভাবিক মনে হতেই পারে। বিশেষ করে কদিন আগেই যখন পলাতক বাচ্চু রাজাকারকে এর চেয়ে অনেক কম মাত্রার অপরাধের জন্যে ফাসির রায় দেয়া হয়েছে।
” জনরোষটা বরং সরকারের হস্তক্ষেপটা মনমতো না হবার বিরুদ্ধে”।
সরকারের মনমতো হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো লোকজন উন্নত গনতন্ত্রগুলোতেই পাওয়া দুষ্কর সেখানে বাংলাদেশ তো কোন ছাড়।
@সফিক,
এই প্রশ্নটা আমারো। মেহেরুন্নিসাকে মেরে তার মাথা ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দিয়েছিল কাদের মোল্লা। তার দশ বছরের মেয়েকেও ধর্ষণের পরে হত্যা করেছিল। অগুনতি হত্যা ধর্ষন লুন্ঠন কোন কিছুই বাদ রাখেনি মোল্লা। আসলে নৃশংসতায় পৃথিবীর সবচেয়ে দাগী আসামীকেও হয়তো ছাড়িয়ে যেতে পারে কাদের মোল্লা। আমি বুঝি না, ঠিক কতগুলো মানুষ মারলে পরে এর মৃত্যুদণ্ড সঠিক বলে মনে করতো আদালত?
যদিও আমরা ‘আদালত’ ‘আদালত’ করি, কিন্তু রায় দেয় শেষ পর্যন্ত একজন মানুষই। মানুষের ভয়, আবেগ, রাগ, জাত্যাভিমান, প্রিজুডিস থেকে সব সময় একজন বিচারক মুক্ত থাকবেন, সেটা ভাবা অনভিপ্রেত।
@অভিজিৎ, যখন আমি মৃত্যুদন্ডের বিরোধী হয়েছি তখন থেকেই ঠিক করেছি যে সবচেয়ে ঘৃনিত, মৃত্যুদন্ডযোগ্য অমানুষের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার বিরুদ্ধেও দাতে দাত চিপে অটল থাকবো। এজন্যে আমি চাই না কাদের মোল্লার মতো লোকও ফাসিতে ঝুলুক। কিন্তু এখনো যখন বাংলাদেশ দন্ডবিধিতে মৃত্যুদন্ড আছে এবং এর চেয়ে কম মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করে যখন বাচ্চু রাজাকারকে ফাসির আদেশ দেয়া হয়েছে, তখন এই রায় সত্যিই বিস্ময়কর। আমার মনে হয় বন্দী যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে কাদের মোল্লা আর সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধেই সরাসরি যুদ্ধাপরাধে অংশ নেয়ার পরিমান ও প্রমান সবচেয়ে বেশী। কাদের মোল্লার এই রায় অন্যদের মামলার ভবিষৎকে কিছুটা হলেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
@সফিক,
মৃত্যুদণ্ড কনসেপ্টটা নিয়ে আমি অনিশ্চিত। তবে রাজাকারদের মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে অনিশ্চিত হতে পারি নি। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের ব্যাপারটা তো আছেই। ফলে যাবজ্জীবন দেয়ায় আমার প্রাথমিক স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াটা ছিলো ক্ষুদ্ধ। এটা ছিলো আশা ভরসা পূর্বাভাস যুক্তি সবকিছুর বাইরে। নিশ্চিত প্রমাণ থাকলে দেশের সর্বোচ্চ শাস্তি না দেয়ার কারণ থাকে না। কিন্তু সুস্পষ্টভাবে প্রমাণের জন্যে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ দেয়া গেছে কিনা, বিচারক সেই প্রমাণে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কিনা, নাকি কিঞ্চিৎ সন্দেহযুক্ত আছেন, এই ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে পারবেন কেউ?
@অভিজিৎ,
ঠিক কতগুলো মানুষ মারলে পরে এর মৃত্যুদণ্ড সঠিক বলে মনে করতো আদালত? মনে করতো না। গোলাম আজমের বেলাতেও তাই হবে। মর্নিং শওস দ্যা ডে। এত সময় নিয়ে বিচার——-বুযাই যায় কি হবে।
@রূপম (ধ্রুব),
একমত নই। জনরোষটা (বেশিরভাগ, অন্তত আমারটা) ছিল রায়টা ন্যয্য হয়নি বলে। মৃত্যুদন্ডই এই অপরাধের একমাত্র ন্যায়সম্মত শাস্তি বলে সবার মত। সরকারী হস্তক্ষেপ মৃত্যুদন্ডের পক্ষে হলেও সেটা (মৃত্যু দন্ড, হস্তক্ষেপ নয়) ন্যয্য হত। সরকারী হস্তক্ষেপ মৃত্যুদন্ডের বিপক্ষে হলে সেটা দুই কাউন্টেই অন্যায় (হস্তক্ষেপ, মৃত্যুদন্ড না দেয়া) হয়।
@অনায়ক,
আমার কাছে ব্যাপারটা এমন মনে হয় যে – ন্যায় অন্যায়ের বিচার আদালত করবে। মানুষ তথ্য প্রমাণ যাচাই করছে না, বিচারও করছে না। বিচারের খুঁটিনাটি ছাড়া স্রেফ রায় জেনে বলা যায় না যে রায়টা ন্যায়সঙ্গত হয়েছে কিনা। সাক্ষ্য দুর্বলভাবে উপস্থাপিত হলে সেখানে রায় দুর্বল হওয়াটাই আমার কাছে ফেয়ার মনে হয়। দোষটা সেখানে সাক্ষ্য উপস্থাপনের। রায়ের না।
সরকারী হস্তক্ষেপ মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে হলে সেটা সরকারী হস্তক্ষেপের দোষে প্রথমে দুষ্ট হতো বলেই আমার মনে হয়। অথবা আপনার কথাটা পুরোপুরি স্পষ্ট হয় নি।
@রূপম (ধ্রুব),
বিচার কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত বলতে আপনি কী বোঝেন?
@সাইফুল ইসলাম,
আমি তো বিচারক না যে এর ডিটেইল আমি জানবো। এটা জানি যে বিচার চলাকালীন সময়ে অভিযোগ প্রমাণের নানা মাত্রা আছে, যার উপর শাস্তির মাত্রা নির্ভর করতে পারে। আমি এই বিষয়টার দিকে ইঙ্গিত করছি। এই দিকটাতে নিচে দিগন্তও আলোকপাত করছেন। আমার বোঝার উপর আবেগ উচ্ছ্বাস আর আন্দোলন নির্ভর করতে পারে, আদালতের বিচার তো নির্ভর করে না, করা উচিতও না।
@সাইফুল ইসলাম,
সংশপ্তকও আলোচনা করছেন। কাজের আলোচনা।
@রূপম (ধ্রুব),
আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এটা নিতান্তই খাটেনা। বিশেষ করে এটাতে তো নয়ই। সরকারের প্রভাব আছে এবং এই বিষয়ে কনক্লুশনে কোন ভুল হবেনা।
আর সরকারি চাপে সবার কতৃক উদাহরণ দেওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ট্রায়ালেও জার্মান এবং জাপানের অনেক দোষী ব্যাক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
রাষ্ট্র পক্ষের ভুল উপস্থাপনা কিংবা বিচারকের ভুল জাজমেন্ট এসব কেবল সরকারের পরোক্ষ প্রভাবের জন্য তাদের দ্বারা রোল প্লে। খেলা ধুলায় ম্যাচ ফিক্সিং হলেও খেলোয়াড়দের তো খেলতেই হয়, তবে স্বতস্ফুর্ত ভাবে না সেচ্ছায় এই পার্থক্য।
@সংবাদিকা,
হতে পারে। অন্য সম্ভাবনাগুলো চিন্তা করাটা বর্তমানের চিন্তার আবেগী একমুখিতা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করছে বলে মনে করছি। চিন্তাটাকে আরো এগুনোও যায়। এখন বলুন, তাহলে রায় ফাঁসি হলেও তা সরকারের হস্তক্ষেপেই হয়েছে বলে আজকের রুষ্ট জনতা মানতো? নাকি রায় ফাঁসি হলে সরকার নিরপেক্ষ থেকেছে বলে স্বীকার করতো তখন? সম্ভবত মানুষই দলীয় সরকারকে বিচারকের ভূমিকায় দেখতে চায়। বিচার সংক্রান্ত মনোভাব এখানে প্রস্ফূটিত। “আমাদের দেশ” বলেই নাকি? 🙂
@রূপম (ধ্রুব),
এখানে কোন ডিলেমা কিংবা প্যারাডক্সের কোনই অবকাশ নেই। বিচার প্রক্রিয়ায় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছের প্রভাব প্রতিফলিত হচ্ছে তাতে কোনই সন্দেহ নেই।
@সংবাদিকা,
তাই কি? আপনার মনে হয়তো নাই। সেটা ভিন্ন ব্যাখ্যার অনস্তিত্ব প্রমাণ করে না। সরকারের মোটিভ সংক্রান্ত জনমতের ধারাবাহিকতাও সেটা বলে না। এই বিচারের আগে বরং এটা শোনা যেতো যে একটা দুটোকে ফাঁসি দিয়ে রাস্তা খালি করে সরকার শো ডাউন করবে। এখন রায় বদলেছে, ব্যাখ্যাও বদলেছে। এইসব একাধিক ব্যাখ্যা ডিলেমার বিস্তর সুযোগই সৃষ্টি করছে।
@রূপম (ধ্রুব),
১। সমান মাত্রার অপরাধ করেও সবাই গ্রেপ্তার হয়নি
২।সমান মাত্রার অপরাধে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, কারও কারও যাবজ্জীবন হবে কিন্তু কারও কারও ফাঁসি হবে
৩।যেসবের প্রমাণ সবচাইতে বেশি ঐসব নিয়ে কালক্ষেপণ এবং যেসবের প্রমাণ সময় সাপেক্ষ ঐসব নিয়ে তোড় জোড়
উপরোক্ত তিনটি ব্যাপারই বলে দিচ্ছে সরকারের স্বার্থে তথা আওয়ামীলীগের স্বার্থের সমানুপাতে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে যাচ্ছে।
আর সরকারের যে চাপ আছে এটা শুধু ভাবনা নয় প্রছন্ন প্রমাণ ঐ স্কাইপ সংলাপ পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যায়
@সংবাদিকা,
– এই বিচার আদালতের নামে সরকারই করছে বলে যারা চেঁচাচ্ছেন তাদের কাছে এতদিন শুনেছি যে সরকার ইতোমধ্যে ফাঁসীর রায় দিয়ে রেখেছে, কোন মন্ত্রী নাকি এই বছরই ১১ জন নয়া কতজনের ফাঁসী হবে বলে ফেলেছেন।
তাদের কথা তাহলে মিথ্যা ধরে নেওয়া যেতে পারে? ফাঁসী তো হল না। তাহলে সরকারের নীল নকশার তত্ত্ব কিভাবে প্রমান হয়?
ফাঁসী হলেও সরকারের রায়ই প্রতিফলিত হয়েছে – এটাই নিশ্চয়ই এক পক্ষ থেকে শোনা যেত?
নয়া হওয়াতেও একই কথাই শোনা যাচ্ছে, শুধু মনে হয় অভিযোগকারীদের পক্ষ কিছুটা বদল হয়েছে।
@রূপম (ধ্রুব),
রাষ্ট্রপক্ষ বা বাদী পক্ষের দূর্বল/ভূল উপস্থাপনার ফলে অনেক সময়ই সাজা হয় না, যেমনটা দেশের রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রে সর্বদা ঘটে থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে কিন্তু সেটা বলা যাচ্ছে না। দূর্বল উপস্থাপনার ব্যাপার থাকলে আদালতের উচিত ছিল বেকসুর খালাস দেওয়া। আদালত হাফ হার্টেড হয়ে ‘অপরাধী’ রায় দেয় না।
তবে বিবেকবান বিচারপতি অনেক সময় সরকারী উকিল, পুলিশের কারসাজি বুঝতে পারলে রায় না দিয়ে অধিকতর তদন্তেরও আদেশ দিতে পারেন। তেমনও বহু ক্ষেত্রে ঘটে।
আধুনিক সভ্য জগতের খোলা বিচারিক ব্যাবস্থায় অপরাধী সাব্যস্ত করা ও সাজা দেওয়ার জন্য আদালতলে “বিয়ন্ড এনি রিজোনেবল ডাউট” অবস্থানে আসতে হয়, নইলে কে কি বলেছে, কোন ইতিহাসবিদ, পুরনো পত্রিকা কি বলেছে, আমরা কি মনে করি সেসবের তেমন গুরুত্ব নেই।
বিচারে আদালত যদি কাদেরের অপরাধের ব্যাপারে সংশয়ে ভুগত তবে তাকে অপরাধী সাব্যস্ত করত না, তাকে নিরপরাধ প্রমান করেই সসম্মানে মুক্তি দিতে হত। যেমনটি তার বিরুদ্ধে একটি মামলায় কিন্তু আদালতকে সেটা করতে হয়েছে। বাকি ৫ মামলায় আদালত তার অপরাধের ব্যাপারে কোন সংশয়ে ভোগেনি, অপরাধী রায় দিয়েছে।
কথা হল, অপরাধের বিষয়ে নিঃসংশয় হলে, অর্থাৎ প্রমানিত অপরাধের ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম ভাবে নিম্ন সাজা দেওয়ার কারন কি? যেখানে ঠান্ডা মাথায় ১ খুনের মামলায় লোকে ফাঁসীতে ঝোলে সেখানে শত শত লোকের হত্যাকান্ডে যার ভূমিকা আদালতের কাছেই প্রমানিত হয়েছে সেক্ষেত্রে কেন এর ফাঁসীর রায় হল না? এটাও ঠিক যে ফাঁসী দেবার ব্যাপারেও ধরাবাধা নিয়ম নেই, কম বয়স, প্রথম অপরাধ কিংবা এ রকম কিছু মানবিক কারন আদালত উল্লেখ করে ফাঁসীর পরিবর্তে যাবত জীবন কিংবা দীর্ঘ মেয়াদের শাস্তি দিতেই পারে। এ ক্ষেত্রে এ রকম বিশেষ বিবেচনার কোন অবকাশ আমি অন্তত দেখি না। শাস্তি প্রক্রিয়ায় নিঃসন্দেহে অন্তর্নিহিত কিছু ব্যাপার আছে যা এখনো জানা যাচ্ছে না।
আদালতের রায়কে সম্মান জানানোই দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন নাগরিকের কাজ। কিন্তু আদালতের রায়ে মোটা দাগে প্রশ্নের জন্ম দিলে প্রতিক্রিয়া হবেই।
আদালত কি ৮০ ভাগ নিশ্চিত, বাকি ২০ ভাগ নিশ্চিত নই তাই ফাঁসী দেওয়া যায় না এমন মনোভাবে কাজ করেন আমি জানি না। সেক্ষেত্রে বলতে হয় যে তাহলে তো তাকে মুক্তিইই দিয়ে দিতে হয়, সংশয় রেখে অপরাধী সাব্যস্ত করা যায় না। এখানে হাফ হার্টেড হবার উপায় নেই। পুরনো দিনে কিছু মামলায় শুনেছি যে হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত অস্ত্র পাওয়া না গেলে মৃত্যুদন্ড নাও হতে পারত, আজকাল আর এভাবে আদালত কাজ করে না।
সরকারের সাথে জামাতের গোপন আঁতাতের তত্ত্ব শোনা যাচ্ছে। কে জানে, এ দেশে সবই সম্ভব। যদিও আমার নিজের এখনো তেমন মনে হয় না। এর চাইতে জামাতের হুমকি ধামকিতে আদালতে ভয় খেয়েছে এমন ভাবনাই মনে আসে। সরকারও মুখে যাই বলুক ভেতরে ভেতরে বড় ধরনের গোলযোগ থেকে রেহাই পাচ্ছে এভাবে খুশী থাকতে পারে।
সরকার এই রায় বানিয়ে দিয়েছে কিনা জানি না, কাগজে কলমে আদালত স্বাধীন হলেও আমরা ভাল করেই জানি যে সরকারের ছত্রছায়া ছাড়া এই আদালতের অস্তিত্ব থাকবে না। সরকারের পরোক্ষ হলেও ভূমিকা অবশ্যই আছে, আদালতও সেটাকে বিবেচনায় আনতে পারে এটা মনে করায় বড় ধরনের ভুল নেই।
@আদিল মাহমুদ,
খুব ভালো বলেছেন। সুচিন্তিত মন্তব্য।
@রূপম (ধ্রুব),
আমার আইনী ব্যাখ্যায় নিজেই পুরো নিশ্চিত ছিলাম না। আইনজ্ঞ আসিফ নজরুলও একই রকমের কথা বলায় মনে হল যে খুব ভুল বলিনি।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-02-07/news/327275
আমি নিজে বেকসুর খালাস দিলে তেমন অবাক হতাম না দূর্বল স্বাক্ষ্য প্রমান, প্রসিকিউশনের ব্যার্থতার কারনে……সভ্য জগতে বাস করলে নিজে কি জানি বা মনে করি তাতেই কিংবা মিছিল হরতাল করে আদালতে অপরাধ প্রমান হয় না বা রায় পালটানো যায় না, স্বাক্ষ্য প্রমান দিয়ে সংশয়হীন ভাবে প্রমান করতে হয়। আবেগ অনুভূতির তোড়ে এই মূলনীতি ভুলে গেলে হয় না।
অবাক হয়েছি অপরাধ প্রমানের পরেও শাস্তির মাত্রা দেখে। যদিও আমি মৃত্যুদন্ড বিরোধী, কিন্তু এসব অপরাধ সংঘটনের সময় মৃত্যুদন্ড বহাল ছিল।
হু, কি করছেন উনি? তাই বলে আপনারা??? মানির মান আল্লাহ্য় রাখবেন, আপনি আমি কে?
@রুচী,
কেউ না, আপনে আমি বাইগুন।
@রুচী, :lotpot: :lotpot:
@রুচী,
আপনি মনে হয় কথাটা ব্যাঙ্গাত্বক ভাবে বলেছেন তাই না? নাকি সত্যি ওই রাজাকারটাকে মানি লোক বলে মনে করেন?
আসুন আমরা ঐকিক নিয়মের অঙ্ক করি-
২০ টি খুন, ৩ টি ধর্ষণ, ৫ টি ঘর জ্বালিয়ে দিলে বিচারে ফাসির রায় হয়। ৩৪৪ টি খুন ৫ টি ধর্ষণ ২ টি ঘর পুড়ালে যদি শাস্তি হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তাহলে আরো বেশি অপরাধীদের কী ধরনের সাজা হবে?
@মাহফুজ,
ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা যেতে পারে।সেই সাথে বাংলাদেশের পতাকা শোভিত ট্যাক্স ফ্রি বি এম ডব্লু।
@অর্ফিউস, আগে তো সেইটাই হইসে, পরেও হবে। দেইখেন।
@মাহফুজ,
৬৮৮টি খুন, ১০টি ধর্ষন আর ৪ ঘর পুড়ালে শাস্তিঃ আসামী বেকসুর খালাস!
@সাইফুল ইসলাম,
গোলাম আযম, নিজামী, মুজাহিদ এদের কি হবে? আমার ত মনে হয় যে এরা এর থেকেও বেশি খুন করছে।এইবার শাস্তি স্বরূপ মাননীয় আদালত অশেষ নেকী হাসিলের আশায় এই পীর সাহেব দের পা ধোয়া পানি না খাইলেই বাচি। বলা যায়না সেই কামডাও মাননীয় আদালত করতে পারেন।
@অর্ফিউস,
গোলাম আযম, নিজামী, মুজাহিদ এদের কি হবে? আমার ত মনে হয় যে এরা এর থেকেও বেশি খুন করছে। নিসন্দেহে এরা বেকসুর খলাস পাবে। বরং আটকের জন্য জাতি-কে মাপ চাওয়ার অফার আসতে পারে।
@িশল্পভবন,
কিছুই কওয়া যায় না রে ভাই। এই বিচিত্র দেশে সবই সম্ভব।
@অর্ফিউস,
ট্রাইবিউন্যাল নিয়া আসলে সমস্যা না যেইটা খুবই কৌশলে অনেকেই প্রচার করতে ব্যাস্ত হইয়া পড়ছে। বাঙলাদেশের মতন দেশে কোন বিচারক রায় দেয় না(মানে এই ধরনের বড় সড় বিচার)। রায় আগের থিকেই সরকার ঠিক কইরা রাখে। বিচারক খালি পাঠ করে। সুতরাং ট্রাইবিউন্যালের কাউরে কিছু বলাটা যৌক্তিক না।
এরা পুতুল। সুতা উপ্রে থিকে চালনা হয়।
@সাইফুল ইসলাম,
সেইটাতো একটা কারন অবশ্যই।ছাত্রজীবনে লেখাপড়া না করে রাজনীতি যারা করে তারাই দেখেন বড় বড় পজিশনে চলে যায় পরে।এই দেশে এমন কোন পেশা নাই যেখানে দলীয় ভাবে লোক ঢুকানো হয় না।ট্রাইব্যুনালের লোকজন,বিশেষ করে মাননীয় আদালত নিজে ছাত্রাবস্থায় কোন দলের সাথে একাত্ব ছিলেন সেইগুলা হয়ত অনেকেই জানে না।
আর রাজাকারদের একটা বড় অংশ আজ দেশ সেবক( আওয়ামী লীগের রাজাকার গুলা, বি এন পির কথা বাদ দিলাম এরা তো প্রকাশ্যেই আজ জামাতের অঙ্গ সংগঠনে পরিনত হইসে, তাই এইরকম দল নিয়া কথা বলার মানেই হয় না !) দলে ঢুকে গেছে। কাজেই ন্যায় বিচার করতে হলে এদের লুঙ্গি ধরে টান দিতে হবে।এতে ভোট হারানোর সমুহ সম্ভাবনার পাশাপাশি,ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হবার সম্ভাবনাও থেকে যায়।কাজেই সুতা না নেড়ে উপায় কি?মাঝ থেকে প্রতারিত হয় পাবলিক, কারন সম্ভবত মানুষ;বিশেষ করে বাঙ্গালী সত্যই প্রতারিত হতে পছন্দ করে।
রাজাকার না থাকলে ‘স্বাধীনতার স্বপক্ষের’ শক্তির প্রয়োজন থাকে না। ধর্মীয় মৌলবাদী না থাকলে দেশে ‘ধর্মণিরপেক্ষতার’ প্রয়োজন নেই। জামাত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে জামাতী জুজুর ট্যাবলেট তো আর বিকোবে না মশায় ! ঘাতক দালাল যদি সব পটল তোলে, তাহলে নির্মূল করার জন্য ঘাতক দালাল ফের কোথায় পাবেন ? এতগুলো লোক বেকার হয়ে কি মাছি তাড়াবে যেখানে কিনা দেশ বেকারত্বের ভারে বঙ্গোপসাগরের তলানিতে গিয়ে ডুবতে বসেছে ? আপনাদেরও আবার আবদারের শেষ নেই ! এতবড় কাজ কি এআর রাতারাতি করা যায় ? এর চেয়ে আসুন আমরা সবাই ধর্ম নিরপেক্ষতার পতাকাতলে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলি:
১০ হাজার বছর পরে হলেও একদিন আমরা রাজাকারদের আমরা ফাঁসিকাষ্টে ঝুলিয়েই দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা কায়েম করে ছাড়বো। নিশ্চয়ই ভোটপাগল দেশবাসী দেশপ্রেমিক ধৈর্যশীলদের পছন্দ করেন !
@সংশপ্তক,
😀 (Y) জটিল বলসেন ভাই।
@সংশপ্তক,
“”নিশ্চয়ই ভোটপাগল দেশবাসী দেশপ্রেমিক ধৈর্যশীলদের পছন্দ করেন !””