বাতাসে পোড়া ভ্যাপসা গন্ধ
স্তব্ধ আকাশ, মুক হয়ে আছে পাখিদের দল
লাশে লাশে অচেনা পায়ে শুন্যতা চারদিকে
অভাবিত ভাবনায় ঘুমহীন নিশ্চিন্তপুর;
সূর্য জাগেনি রক্তিম আকাশে আলোর মিছিলে আর
নিশ্বাসে প্রশ্বাসে বেদনার বৃদ্ধবুদে বোবা কান্নায়
ধুমায়িত কষ্টের ধিকি ধিধি অঙ্গারে কঙ্কাল সব বেওয়ারিশ লাশ
লোহা লক্করের ঝাঁপি যেন ব্যাগে ভরে প্রস্তুত দাফনে;
জন্ম-পরিচয়হীন অতীব সস্তায় কেনা পণ্য বাজার দরে
পরিবার পরিজন পিছে ফেলে সব দায়মুক্ত হবার ভার সইতে না পারে।
শত স্বপ্নের মৃত্যুর খবর এনেছে নিশ্চিন্তপুরের অগ্নিদগ্ধ ভোর
শত শ্রমিকের ঘামে রক্তে আর কফিনে মোড়া শরীরের দামে
দুবেলা দুমুঠো খাবার যোগাড়ে আর কত অপশক্তির এই কালো হাত
জনতার দৃষ্টি নগ্ন মৃত্যুর বীভৎস ছবির নীরব সাক্ষী
দুচোখের কোণে কান্নার স্রোতে শ্যাওলাভরা জঞ্জাল;
কোথায় হারাল আমার প্রিয়তম জননী, মা-বোন-ভগিনী?
স্বরণসভায় মিছিলে দাবিদাওয়ায় উচ্চারিত হয়
রাজনৈতিক অসদিচ্ছার নানা বাণী প্রিয় কবিতার চরণ
শ্লোগানে শ্লোগানে মৃত্যুর মিছিলে ভেসে যায় জিডিপি
চাপা পড়ে সব ভুলে যায় সবাই এই মৃত্যুপুরীর ট্র্যাজেডির শতকাহন
জেনো, ইতিহাস ক্ষমা করবে না;
লেখা হবে আগামীর জন্যে;
মুছবেনা কলঙ্কের এই কালি।
-সঙ্গীতা ইয়াসমিন
তাজরীন ফ্যাশনের ভাইবোনদেরকে উৎসর্গকৃত
শিখারা দাহ্য পদার্থ
আগুনের আস্ফালন
গনগনে লেলিহান শিখা
বেপাড়ায় একটি মেয়ের নাম ছিল শিখা
শিখার ভিতরে তরমুজের লাল রঙ
কাছে ভিড়ে কোন শালা
এমনকি গোপন গন্ধজানা প্রেমিক
জাহান্নামের তাপমাত্রা
শিখারা দাহ্য পদার্থ
ওদের ত্বক পুড়ে গেল
করোটির সকল নীল স্বপ্ন
অর্বাচীন পদযুগলের মনোহর মাদল
সব পুড়ে গেল রসালো কেবাবের মত
পাথুরে কয়লার স্তুপে মানবিক অঙ্গার
ওদের মোহিনী আঙ্গুলে স্বপ্নের সীবন
আরো স্বপ্ন দেখবে বলে
বেপাড়ায় শিখাদের কাছে যায়নি
ধিকি ধিকি আগুনের চাদর ফেলে
আগুনের উৎসবে চলে গেল
বসন্ত আসার আনেক আগেই…
২৬/১১/২০১২
@আলী রেজা,
এক কথায় অদ্ভুত!
যাক এই যাত্রায় কোনো মানুষ মারা যায় নি
শ্রমিকের মৃত্যুতে শুধুই শ্রমিক মারা যায়
চিতার আগুনে রক্ত-মাংসের লাকড়ি
দরকার নেই আর শস্য কণা পুড়িয়ে
পরিবেশ বান্ধব জৈব জ্বালানী
কয়েকটা অভুক্ত শ্রমিক ঢুকিয়ে দিলেই
খাদ্য শস্যের সাথে বেঁচে যায় কিছু
ফসিলের নির্যাস-বেঁচে যায় কিছু ক্ষুধা।
সময়ের আবর্তে একটি শ্রমিকের খামার
খুবই লাভজনক ব্যবসা বৈকি
একটি মালিক একটি খামার
নতুন অর্থনৈতিক তত্ত্ব,
@জটিল বাক্য,
অসাধারণ! এটা আপনার অনুভূতি না কি মন্তব্য নাকি ঘরের মধ্যে আরেকখানা ঘর? সত্যিই বড় জটিল ………!
নিতি
@সালমা, অনুভূতি আর মন্তব্যে তেমন কি কোনো পার্থক্য থাকে অনেক অনুভূতির ভেতর আরেকটু যোগ করে দিলাম
যাক এই যাত্রায় কোনো মানুষ মারা যায় নি
শ্রমিকের মৃত্যুতে শুধুই শ্রমিক মারা যায়
চিতার আগুনে রক্ত-মাংসের লাকড়ি
দরকার নেই আর শস্য কণা পুড়িয়ে
পরিবেশ বান্ধব জৈব জ্বালানী
কয়েকটা অভুক্ত শ্রমিক ঢুকিয়ে দিলেই
খাদ্য শস্যের সাথে বেঁচে যায় কিছু
ফসিলের নির্যাস-বেঁচে যায় কিছু ক্ষুধা।
সময়ের আবর্তে একটি শ্রমিকের খামার
খুবই লাভজনক ব্যবসা বৈকি
একটি মালিক একটি খামার
নতুন অর্থনৈতিক তত্ত্ব,
না যৌনতা আর অর্থনীতিতে নতুন কিছু নেই
যুগে যুগে এটাইতো চলছিলো
এটাইতো চলবে-
জীবনের মূল্য শুধু পরীক্ষাগারে
কবিতার খাতায়, নেতার বক্তৃতায়
ব্লগের আহাজারিতে একটি শৈল্পিক উপাদান।
তোমরা যাই বলো ১২৪টা লাশের গন্ধ
বার-বি –কিউ’র থেকে কোনো অংশে মন্দ নয়।
কয়লা গুলো দেখো কালো গোলাপের মতো
ক্ষণে ক্ষণে হাওয়ায় দুলছে, আহ!
এমন গোলাপের স্রষ্টাইতো
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিল্পী
আসো বন্ধুরা সবাই আসো
তাকে আমরা নোবেল দেই
তাকে কিছু লাকড়ি দেই,
খামারের পশু দেই
আরও কিছু ঋণ দেই।
@সালমা, অনুভূতি মন্তব্য এতে আর ভিন্নতা কি! তবু বাকি অনুভূতিতুকুও প্রকাশ করে গেলাম
যাক এই যাত্রায় কোনো মানুষ মারা যায় নি
শ্রমিকের মৃত্যুতে শুধুই শ্রমিক মারা যায়
চিতার আগুনে রক্ত-মাংসের লাকড়ি
দরকার নেই আর শস্য কণা পুড়িয়ে
পরিবেশ বান্ধব জৈব জ্বালানী
কয়েকটা অভুক্ত শ্রমিক ঢুকিয়ে দিলেই
খাদ্য শস্যের সাথে বেঁচে যায় কিছু
ফসিলের নির্যাস-বেঁচে যায় কিছু ক্ষুধা।
সময়ের আবর্তে একটি শ্রমিকের খামার
খুবই লাভজনক ব্যবসা বৈকি
একটি মালিক একটি খামার
নতুন অর্থনৈতিক তত্ত্ব,
না যৌনতা আর অর্থনীতিতে নতুন কিছু নেই
যুগে যুগে এটাইতো চলছিলো
এটাইতো চলবে-
জীবনের মূল্য শুধু পরীক্ষাগারে
কবিতার খাতায়, নেতার বক্তৃতায়
ব্লগের আহাজারিতে একটি শৈল্পিক উপাদান।
তোমরা যাই বলো ১২৪টা লাশের গন্ধ
বার-বি –কিউ’র থেকে কোনো অংশে মন্দ নয়।
কয়লা গুলো দেখো কালো গোলাপের মতো
ক্ষণে ক্ষণে হাওয়ায় দুলছে, আহ!
এমন গোলাপের স্রষ্টাইতো
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিল্পী
আসো বন্ধুরা সবাই আসো
তাকে আমরা নোবেল দেই
তাকে কিছু লাকড়ি দেই,
খামারের পশু দেই
আরও কিছু ঋণ দেই।
আপনার কবিতা পড়ে একটা বিষন্নতা অনুভব করছি। ১২ বছরের বেশি সময় ধরে শ্রমিকদের সাথে কাজ করছি সামাজিক চাহিদা আর নীতিমালা বিষয়ে। খারাপ লাগে,স্বাস্হ্য আর নিরাপত্তা বিষয়ে মালিকপক্ষের উদাসীনতা দেখে। আমরা অডিটের দিন কিছু লোক দেখানো কার্যক্রমে মেতে থাকি বায়ারের অর্ডার পাবার আশায়। কোনমতে অডিট পাস করে গেলে ভুলে যাই কারখানার নিয়ম কানুন (বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬)। আপনার কবিতার একটা লাইনের সাথে আমি আরেকটা লাইন যোগ করে দিলাম। আপনার অনুমতি না নিয়ে করলাম বলে দু:খিত।
@অসীম,
অসীম দা, অনুমতির প্রয়োজন নেই, এটা তো শিল্প নয়, বোধের জায়গায় সরল অনুপ্রেবেশের অধিকার সকল সামাজিক জীব মাত্রেরই থাকা দরকার! ভাল লাগল আপনার অনুভূতির দেখা পেয়ে। আবারো কথা হবে। ভাল থাকবেন।
নিতি
আপনি লগ ইন করে মন্তব্য করলে মডারেশনের জন্য আটকে না থেকে মন্তব্য সাথে সাথেই প্রকাশিত হবে। ।
-মুক্তমনা মডারেটর
পুরো কবিতার ভিতরে একধরনের বোবা কান্না গুম্রে মরছে। লেখিকাকে ধন্যবাদ
@ছন্নছাড়া,
ধন্যবাদ আপনাকেও।
আপনার কবিতা পড়তে পড়তে কান্না পাচ্ছিল।
@স্বপন মাঝি,
দাদা,
একই ঘটনা আমারও হয়েছিল যখন টিভির পর্দায় আর পত্রিকাতে খবরগুলো পড়ছিলাম. . . তত্ক্ষনাতই লেখাটা লিখলাম। ভাল থাকবেন।
নিতি
লেখিকাকে অনুরোধ করা হচ্ছে ভবিষ্যতে ইমেজ হিসেবে না দিয়ে পোস্ট আকারে দিতে। ইমেজে থাকার কারনে এডিট করে পোস্ট আকারে দেওয়া হল।
ধন্যবাদ।
-মুক্তমনা মডারেটর
@মুক্তমনা মডারেটর,
আপনার পরামশেৃর জন্য ধন্যবাদ। নিশ্চয়ই।
নিতি
@সালমা ইয়াসমিন নিতি,
আপনার কবিতাটি পড়তে গিয়ে আমার মনে হচ্ছিল আমার ঘরের বাতাস ভরে উঠেছে আর্তনাদ আর লাশের গন্ধে । ধন্যবাদ আপনাকে /
@রতন কুমার সাহা রায়,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকবেন।