মোহাম্মদের ইসলাম ধর্মের মূল কথা – আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় তার কোন শরিক নেই।
এখন দেখা যাক, মোহাম্মদ আপাত: এ কথা বলে সূক্ষ্মভাবে কি প্রচার করে গেছেন। কোরানে আছে-
বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু। সূরা আল – ইমরান, ০৩: ৩১
বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না। সূরা আল – ইমরান, ০৩: ৩২
আর তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রসূলের, যাতে তোমাদের উপর রহমত করা হয়। সূরা আল – ইমরান, ০৩: ১৩২
এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের আদেশমত চলে, তিনি তাকে জান্নাত সমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ হল বিরাট সাফল্য।সূরা নিসা, ০৪: ১৩
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম। সূরা নিসা, ০৪: ৫৯
আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম। সূরা নিসা, ০৪: ৬৯
এরকম বহু আয়াতে একই কথা বলা হয়েছে। তা হলো – আল্লাহ ও তার রসুলের আনুগত্য কর।
কিন্তু বাস্তবে রসুলের হুকুমই পালনই যে আল্লাহর হুকুম পালন তার চুড়ান্ত বাস্তবায়ন দেখা যায় নিচের আয়াতে –
যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। সূরা নিসা, ০৪: ৮০
বিষয়টাকে একটা সমীকরণের সাহায্যেও প্রমান করা যেতে পারে, উপরোক্ত ০৪: ৮০ আয়াত মতে,
মোহাম্মদের হুকুম = আল্লাহর হুকুম বা, মোহাম্মদ + হুকুম = আল্লাহ + হুকুম
উভয় পক্ষ থেকে হুকুম শব্দটা বাদ দিলে সমীকরণ টি দাড়ায় এরকম- মোহাম্মদ= আল্লাহ ( প্রমানিত)
এভাবে কোরানের বানীর নামে মোহাম্মদ নিজেকে আল্লাহর আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ।আল্লাহর বানীর নামে নিজের বানী প্রচার করে গেছেন ২৩ টি বছর। পৌত্তলিক ধর্মের পরিবর্তে একেশ্বরবাদী ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে পৌত্তলিকদের বহু আচার অনুষ্ঠান ইসলামে আমদানী করেছেন। যেমন- কাবার ভিতরে অবস্থিত কাল পাথরের সামনে মাথা নত করে চুমু খাওয়া, হজ্জ করা, সাফা মারওয়ার পাহাড়ের মধ্যে সাতবার দৌড়া দৌড়ি করা, কাবা শরীফের চারপাশে সাতবার ঘোরা এসব। এর সবগুলিই ছিল পৌত্তলিকদের প্রথা ও আচার। প্রথমেই কাল পাথর বা হযরে আসওয়াদ নিয়ে কথা বলা যাক-
ইবনে আব্বাস বর্ণিত নবী বলেছেন-“ কাল পাথর বেহেস্ত থেকে পতিত হয়েছে।যখন প্রথম দুনিয়াতে এটা পতিত হয় তখন এর রং ছিল দুধের মত সাদা কিন্তু আদম সন্তানদের পাপ গ্রহণ করার ফলে এর রং কাল হয়ে গেছে”। তিরমিজি, হাদিস- ৮৭৭
ইবনে ওমর নবী কে বলতে শুনেছেন, “ কাল পাথর ও আর রুখ আল ইয়ামানি কে স্পর্শ করলে পাপ মোচণ হয়।তিরমিজি, হাদিস-৯৫৯
অথচ পাপ মোচনের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর হাতে, কোন পাথরের হাতে নয়।যা কোরানে পরিস্কার বলা আছে যেমন-
বলে দিনঃ তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত এমন বস্তুর এবাদত কর যে, তোমাদের অপকার বা উপকার করার ক্ষমতা রাখে না? অথচ আল্লাহ সব শুনেন ও জানেন। সূরা মায়েদা-৫:৭৬
জিজ্ঞেস করুন নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের পালনকর্তা কে? বলে দিনঃ আল্লাহ! বলুনঃ তবে কি তোমরা আল্লাহ ব্যতীত এমন অভিভাবক স্থির করেছ, যারা নিজেদের ভাল-মন্দের ও মালিক নয়? বলুনঃ অন্ধ চক্ষুষ্মান কি সমান হয়? অথবা কোথাও কি অন্ধকার ও আলো সমান হয়। তবে কি তারা আল্লাহর জন্য এমন অংশীদার স্থির করেছে যে, তারা কিছু সৃষ্টি করেছে, যেমন সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ? অতঃপর তাদের সৃষ্টি এরূপ বিভ্রান্তি ঘটিয়েছে? বলুনঃ আল্লাহই প্রত্যেক বস্তুর স্রষ্টা এবং তিনি একক, পরাক্রমশালী। সুরা রাদ ১৩:১৬
তিনি বললেনঃ তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর এবাদত কর, যা তোমাদের কোন উপকার ও করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না ? সুরা আম্বিয়া, ২১: ৬৬ (মক্কায় অবতীর্ণ)
তারা এবাদত করে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর, যা তাদের উপকার করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না। কাফের তো তার পালনকর্তার প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শনকারী। সুরা ফুরকান, ২৫:৫৫
কোরানে বলছে আল্লাহ ছাড়া ভাল মন্দ করার ক্ষমতা আর কারে নেই। অথচ একই সাথে মোহাম্মদ বলছে কাল পাথরের পাপ মোচন করার ক্ষমতা বিদ্যমান। যা শিরক ছাড়া আর কিছু নয়।অর্থাৎ মোহাম্মদ সুকৌশলে তার অনুসারীদেরকে এক আল্লাহর উপাসনার কথা বলে একই সাথে শিরক শিক্ষা দিচ্ছেন যা তার অন্ধবিশ্বাসী অনুসারীরা বুঝতে পারছে না।তবে এটা কিন্তু মোহাম্মদের এক কঠিন ও বুদ্ধিমান অনুসারী বুঝতে পেরেছিল যার নাম ওমর , ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা আর তাই সে বলেছিল –
আবিস বিন রাবিয়া বর্নিত- ওমর কাল পাথরের নিকট আসলেন এবং একে চুমু দিলেন, তারপর বললেন-আমি জানি তুমি একটা পাথর বৈ আর কিছু নও, তুমি কারও উপকারও করতে পার না , অপকারও করতে পার না। আমি যদি রাসুলুল্লাহকে না দেখতাম তোমাকে চুমু খেতে আমি তোমাকে চুমু খেতাম না। বুখারী, বই-২৬, হাদিস-৬৬৭
যায়েদ বিন আসলাম বর্নিত- ওমর বিন খাত্তাব কাল পাথরকে উদ্দেশ্য করে বললেন- আল্লাহর কসম, আমি জানি তুমি একটা পাথর ছাড়া আর কিছু নও, তুমি না পার কারো উপকার করতে, না অপকার। নবীকে যদি আমি না দেখতাম তোমাকে চুমু খেতে আমি তোমাকে কখনও স্পর্শ করতাম না। বুখারী, বই-২৬, হাদিস-৬৭৫
সোয়াইদ বিন ঘাফালা বর্ণিত: আমি ওমরকে কাল পাথরকে চুমু দিতে ও হাত বুলাতে দেখেছি এবং বলতে শুনেছি এরকম- আমি দেখেছি আল্লাহর নবীর তোমার জন্য অনেক ভালবাসা ছিল।সহি মুসলিম, বই-৭,হাদিস-২৯১৬
তার অর্থ এ কাল পাথর যেন তেন পাথর নয়, খোদ বেহেস্ত থেকে পথ ভুলে পৃথিবীতে টুপ করে এসে পড়েছে।আর এ পাথরের আছে পাপ মোচনে ক্ষমতা যা খোদ স্বয়ং নবীও মনে করতেন। তাহলে বিষয়টি দাড়াল, মোহাম্মদের আল্লাহ ছাড়াও একটা কাল পাথরেরও পাপ মোচনের ক্ষমতা বিদ্যমান। ঠিক একারনেই নিজেদের সীমাহীন পাপ মোচনের জন্য হজ্জের সময় হাজীরা এ কাল পাথরকে চুমু বা নিদেন পক্ষে একটু স্পর্শ পাওয়ার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়, এটাকে স্পর্শ করতে যেয়ে এ পর্যন্ত কত মানুষ মানুষের পায়ের নীচে চাপা পড়ে মারা গেছে তার কোন সঠিক হদিস নেই।আর বলা বাহুল্য, মোহাম্মদের কাল পাথরকে এভাবে পাপ মোচনকারী হিসাবে প্রচার করাটা মারাত্মক শিরক।বলতে গেলে তা অন্যান্য ধর্মের চেয়ে বেশী শিরক। অন্য ধর্ম যেমন- হিন্দুরা দেব দেবীর মূর্তি তৈরী করে পূজো করে, আপাত দেখতে মনে হয় মূর্তি বা জড় পদার্থের পূজা , কিন্তু আসলে ওরা মূর্তি পূজা করে না, ওরা ওদের জীবন্ত দেব দেবীকে মূর্তির মধ্যে কল্পনা করে তার পূজা করে।বিভিন্ন দেব দেবীকে তারা আলাদা আলাদা ঈশ্বরও ভাবে না, প্রতিটি দেব দেবীকে তারা মনে করে তাদের এক ঈশ্বরের এক একটি গুণের প্রতিরূপ।যেমন যে ধণের কামনা করে সে ঈশ্বরের ধণ সম্পর্কিত গুণরূপ লক্ষ্মীর পুজা করে, যে বিদ্যা বা জ্ঞানের কামনা করে সে ঈশ্বরের জ্ঞানরূপ স্বরস্বতীর পুজা করে, ইত্যাদি। খৃষ্টানরা গীর্জার মধ্যে মেরী ও যীশুর মুর্তি তৈরী করে তার সামনে মাথা নত করে ও প্রার্থনা করে। আপাত দেখতে মনে হয়, মূর্তির সামনে মাথা নত করছে ও প্রার্থনা করছে, আসলে তারাও হিন্দুদের মত তারা জীবন্ত যীশুকে মুর্তির মধ্যে কল্পনা করে সেটা করছে।এর ফলে তাদের মধ্যে তাদের ঈশ্বরের সাথে একটা নৈকট্যের বন্ধন অনুভুত হয়।হাওয়ার সামনে বসে পূজা বা প্রার্থনা করার চেয়ে এটা অনেক বেশী উপভোগ্য ও আন্তরিক হয়ে ওঠে।সুতরাং যুক্তির খাতিরে দেখা যায়, হিন্দু বা খৃষ্টান এরা গূঢ়ার্থে মোটেই মূর্তি পূজা করে না অর্থাৎ শিরক করে না।
ইসলাম পূর্ব যুগে আরব রা ঠিক এভাবেই কাল পাথরকে পুজা করত আর তাদের দেখা দেখি মোহাম্মদও সেটা করতেন সেই বাল্য কাল থেকে।পরে ইসলাম চালু করার পরও তিনি সেটা বাদ দেন নি, কারন তিনি রাজনীতিবিদ বা সমরনেতা হিসাবে ভাল মতো চালু হলেও আধ্যাত্মিক বা তাত্ত্বিক বিষয়ে জ্ঞান ছিল সীমিত। কাল পাথরের সামনে মাথা নত করে তাকে চুমু খাওয়া তার একেশ্বরবাদী ধর্মেরই যে মহা লংঘন তথা চুড়ান্ত শিরক তা তার মাথাতে ঢোকেনি একেবারেই।আর এ একবিংশ শতাব্দিতে প্রায় দেড় বিলিয়ন মুসলমানদের মাথাতেও ঢুকছে না কোনমতে।অথচ স্বাড়ম্বরে চিৎকার করে ঘোষণা করে চলেছে ইসলাম হলো একমাত্র সত্য ধর্ম যা একেশ্বরবাদীতা প্রচার করে, কোন শিরক করে না, জড় পদার্থের পূজা করে না।
এবার আসা যাক, কাবা ঘরকে কিবলা করে তার দিকে মুখ করে নামাজ পড়া শিরক কি না।মোহাম্মদ তার নবুয়ত্বত পান চল্লিশ বছর বয়েসে। তার আগে তিনি ৩৬০ পুতুল ভর্তি কাবার মধ্যে বসে তাদের উপাসনা করতেন। এমন কি নবুয়ত্ব পাওয়ার পরও তিনি উক্ত পুতুল ভর্তি ও দেয়ালে আঁকা নানা দেব দেবীর মূর্তি ভর্তি কাবার মধ্যে বসে তাঁর আল্লাহর আরাধণা করতেন।তাতে কোন অসুবিধা হতো না। অথচ তিনিই হাদিসে বলছেন-
আয়শা বর্ণিত- আল্লাহর নবী বলেছেন- যারা প্রানীর ছবি আকে তাদের শেষ বিচারের দিন আল্লাহ বলবেন- যে সব প্রানীর ছবি আকতে তাদেরকে জীবন দান কর। যে ঘরে কোন প্রানীর ছবি থাকে সে ঘরে ফেরেস্তারা প্রবেশ করে না। সহি বুখারি, বই-৩৪, হাদিস-৩১৮
সাইদ বিন আবু হাসান বর্ণিত- যখন আমি ইবনে আব্বাস এর সাথে ছিলাম , এক লোক এসে বলল- হে আব্বাসের পিতা , আমি ছবি একেঁ জীবিকা নির্বাহ করি। ইবনে আব্বাস বললেন- আমি শুধুমাত্র নবীর কথা থেকে বলতে পারি তিনি বলেছেন- যে ব্যক্তি ছবি আকেঁ তাকে সেই পর্যন্ত শাস্তি দেয়া হবে যে পর্যন্ত না সে তাতে জীবন দান করতে পারে ও সেটা কখনই সম্ভব হবে না। এটা শুনে লোকটার মুখ শুকিয়ে গেল। ইবনে আব্বাস বলল- তবে যদি তুমি ছবি আকতেই চাও তাহলে গাছ পালা ও নির্জীব বস্তু এসবের ছবি আকঁতে পার। সহি বুখারি, বই-৩৪, হাদিস-৪২৮
আবু তালহা বর্ণিত- আমি নবীকে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন যে ঘরে কোন প্রানীর ছবি থাকে সে ঘরে ফেরেস্তারা প্রবেশ করে না। সহি হাদিস, বই- ৫৪, হাদিস- ৪৪৮
তাই নিচের আয়াত নাজিল হয় –
নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে। সুরা বাক্কারা, ২: ১৪৪
আর যে স্থান থেকে তুমি বের হও, নিজের মুখ মসজিদে হারামের দিকে ফেরাও-নিঃসন্দেহে এটাই হলো তোমার পালনকর্তার পক্ষ থেকে নির্ধারিত বাস্তব সত্য। বস্তুতঃ তোমার পালনকর্তা তোমাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অনবহিত নন। সূরা আল বাকারা, ২: ১৪৯
এখন নির্বোধেরা বলবে, কিসে মুসলমানদের ফিরিয়ে দিল তাদের ঐ কেবলা থেকে, যার উপর তারা ছিল? আপনি বলুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে চালান।সুরা আল বাকারা, ২: ১৪২
কাবা ঘরের দিকে কেন নামাজ পড়তে হবে? কাবার মধ্যে কি আল্লাহ বাস করে ? না সেখানে আল্লাহ বাস করে না।আবার কোরান এ কথাও বলে না যে আল্লাহর সর্বত্র বিরাজমান। কারন কোরান বলছে-
তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃস্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন। তিনি পরম দয়াময়। তাঁর সম্পর্কে যিনি অবগত, তাকে জিজ্ঞেস কর। সূরা- ফুরকান-২৫:৫৯(মক্কায় অবতীর্ণ)
আল্লাহ যিনি নভোমন্ডল, ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি আরশে বিরাজমান হয়েছেন। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন অভিভাবক ও সুপারিশকারী নেই। এরপরও কি তোমরা বুঝবে না?সূরা-সাজদা, ৩২: ০৪ (মক্কায় অবতীর্ণ)
সূরা-হাদীদ, ৫৭:০৪ ও সুরা-হুদ, ১১:০৭ আয়াতেও বলছে আল্লাহ আরশে অবস্থান করে।
এবার দেখা যাক , আল্লাহর আরশ কোথায় সে সম্পর্কে হাদিস কি বলে –
আল্লাহর আরশ হলো আসমান সমূহের ওপর অবস্থিত…….. সূনান আবু দাউদ, বই-৪০, হাদিস- ৪৭০৮
জান্নাতুল ফেরদাউসের ওপর আ ল্লাহর আরশ অবস্থিত…… সহি বুখারী, বই-৫২, হাদিস-৪৮
শুরুতে কিছুই ছিল না, তারপর আল্লাহ তার সিংহাসন তৈরী করলেন যা ছিল পানির ওপর, তার তিনি তার বইতে সবকিছু লিখলেন… সহি বুখারী, বই -৫৪,হাদিস-৪১৪
যখন সা’দ বিন মূয়াদের লাশ আল্লাহর কাছে রাখা হলো তখন তার আরশ কেঁপে উঠল। সহি মুসলিম. বই-৩১, হাদিস-৬০৩৩
(আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠতে মোহাম্মদ নিজে দেখেছিলেন, মনে হয় তখন মোহাম্মদ আল্লাহর আশ পাশেই ছিলেন না হয় আল্লাহর সাথে খোশ গল্প করছিলেন।)
তার মানে জানা গেল আল্লাহ সব কিছু সৃষ্টির পরম সব কিছু থেকে পৃথক হয়ে তার আরশে আসীন হয়েছে আর সেখান থেকেই তার সীমাহীন শক্তিশালি পর্যবেক্ষন ক্ষমতার দ্বারা দ্বীন দুনিয়ার সব কিছু পর্যবেক্ষন করছে অর্থাৎ সব কিছু তার জানা।অর্থাৎ আল্লাহ যে দুনিয়ার কোথাও থাকেন না তা সুনিশ্চিত। তাহলে যারা মক্কার কাবা ঘরের দিকে মুখ করে নামায পড়ে , তারা কার কাছে প্রার্থনা করে ও মাথা নত করে ? অন্তত: আল্লাহর কাছে যে প্রার্থনা ও মাথা নত করে না তা সুনিশ্চিত।যদিও তারা মনে করতে পারে যে তারা আল্লাহর কাছেই তা করে , কিন্তু তাদের এ ধারনা ভ্রান্তিপূর্ণ।আসলে তারা মাথা নত করে মক্কার ইট পাথরের তৈরী একটা দালান ও তার মধ্যে থাকা কাল পাথরের প্রতি তথা তারা মাথা নত করে সম্পূর্নই জড় পদার্থের প্রতি।আল্লাহ যদি বলত সে কাবা ঘরের মধ্যে অবস্থান করে তাহলে একটা যুক্তি ছিল কিন্তু আল্লাহ কাবা ঘর তো দুরের কথা দ্বীন দুনিয়ার কোথাও বাস করে না। সে বাস করে সাত আসমানের ওপর তার আরশে। তার অর্থ মোহাম্মদ কৌশলে তাঁর অনুসারীদেরকে আল্লাহর কাছে মাথা নত করার নাম করে মুলত একটা জড় পদার্থের তৈরী ঘর ও তার মধ্যে অবস্থিত কাল পাথরের কাছে মাথা নত করার জন্য বিধান করে গেছেন।যেটা সেই সময়ের মুসলমান তো বটেই বর্তমানের মুসলমানরা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারছে না।
মোহাম্মদ কেন কাবা কে তার কিবলা বানালেন তা বোঝা খুবই সহজ। কোন মতেই যখন ইহুদি ও খৃস্টানরা মোহাম্মদের নবুয়ত্ব বিশ্বাস করে তার বশ্যতা স্বীকার করল না , তখন মোহাম্মদ মনে করলেন সলোমনের মন্দিরকে কিবলা করার কোন অর্থ হয় না, সেটা করলে তার ইসলাম মক্কা থেকে অনেক দুরবর্তী প্যলেষ্টাইনের ওপর নির্ভরশীল থাকবে, অতদুর গিয়ে মোহাম্মদ বা তার অনুসারীদের পক্ষে সুবিধা হবে না কারন প্যলেষ্টাইন ইহুদি ও খৃষ্টানদের দখলে আর তারা মোহাম্মদকে নবী মানে না। পক্ষান্তরে কাবা ঘরকে কিবলা করলে তাতে আরবদের মধ্যে নিজস্ব জাতীয়তা বোধ ও ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি হবে এবং সব কিছু তারাই নিয়ন্ত্রন করতে পারবে।অর্থাৎ এ ধরনের সিদ্ধান্ত ছিল যতটা না ধর্ম কেন্দ্রিক তার চাইতে বেশী রাজনৈতিক। এত কথা মোহাম্মদের মত নিরক্ষর ব্যক্তি জানলেন কেমনে ? এর উত্তরও সোজা। মোহাম্মদ তার নবুয়ত্ব দাবী করলে সাথে সাথে ইহুদি ও খৃষ্টানরা তার প্রতিবাদ করে। তারা যুক্তি দেখায় সকল নবী আসার কথা ইসরাইলি বংশ থেকে তথা ইসহাকের বংশ থেকে।অথচ মোহাম্মদের জন্ম মক্কার কুরাইশ বংশে যারা না ইহুদি না খৃষ্টান, তারা পৌত্তলিক।আর তখনই মোহাম্মদ তার গল্প তৈরী করে ফেলে ও বলতে থাকে কুরাইশ বংশ হলো ইব্রাহিমের অন্য পূত্র ইসমাইলের বংশ থেকে যে ইসমাইলকে ইব্রাহিম তার মা হাজেরা সহ মোহাম্মদের কল্পিত দাবি মোতাবেক মক্কাতে নির্বাসন দিয়েছিল আর সে অর্থে মোহাম্মদ হলো ইসরাইলি বংশোদ্ভূত।আর তাই তৌরাত কিতাবে যে নবীর আগমনের ভবিষ্যদ্বানী করা আছে সেই ব্যক্তি হলো মোহাম্মদ।মোহাম্মদ এ দাবী করার সময় একবারও পারিপার্শিক ও ভৌগলিক অবস্থা সম্পর্কে কোন চিন্তা করেন নি। একটা দুধের শিশু ইসমাইলকে নিয়ে তার মাতা হাজেরাকে কিভাবে প্যালেষ্টাইন থেকে প্রায় ১৩০০ কিলোমিটার দুরে কঠিন মরুভুমি পাড়ি দিয়ে নির্বাসন দেয়া সম্ভব তা তার মাথাতে খেলেনি।এর পরেও কথা হলো ইসমাইলের বংশ ধারাকে ইসরাইলি বংশ বলা হয় না। ইসরাইলি বংশ বলা হয় ইসহাকের এক পূত্র জ্যকব যার অন্য নাম ছিল ইসরাইল তার ছিল বারটা পূত্র যাদের থেকে বারটা গোত্র সৃষ্টি হয় তাদেরকে বলা হয় ইসরাইলি। সুতরাং মোহাম্মদ রচিত কিচ্ছা কে সত্য ধরে নিলেও মোহাম্মদের নবুয়ত্ব টেকে না। আর তখনই মোহাম্মদ প্রচার করতে থাকেন যে ইহুদি ও খৃষ্টানরা তাদের তোরাত ও গসপেল বিকৃত করে ফেলেছে।আর তাই মোহাম্মদ যখন মদিনাতে তার ক্ষমতা মোটামুটি ভাবে কুক্ষিগত করে ফেলেছিলেন ও মদিনার অধিকাংশ মানুষ তার বশ্যতা স্বীকার করে ফেলেছিল তখনই তিনি সব কিছু বিচার বিবেচনা করে তার কিবলা সলোমনের মন্দিরকে বাদ দিয়ে কাবাকে স্থির করেন ও এর জন্য প্রয়োজনীয় আয়াত নাজিল করে ফেলেন।অবশ্য এর কিছুকাল আগে থেকেই তার নিজেরও ইচ্ছা ছিল ও কিছু সাহাবি তাকে কাবা ঘরকে কিবলা করার জন্য চাপ দিচ্ছিল।যা দেখা যায় নিচের হাদিসে-
বারা বিন আযিব বর্ণিত- আল্লাহর রসূল বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে ষোল বা সতের মাস নামায পড়লেন কিন্তু তিনি কাবা ঘরের দিকে মুখ করে নামায পড়তে ইচ্ছা পোষণ করতেন, তাই আল্লাহ নাজিল করলেন এ আয়াত – নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে। (২:১৪৪) । সহি বুখারি, বই-৮, হাদিস-৩৯২
আল্লাহ বার বার মোহাম্মদকে আকাশের দিকে তাকাতে দেখে বুঝে ফেলে মোহাম্মদ চান কাবা কে কিবলা বানাতে। আল্লাহ বিন্দু মাত্র দেরী না করে সাথে সাথে তার জন্য আয়াত নাজিল করে দেয়।কিন্তু এ ধরনের নির্দেশ যে প্রকারান্তরে তার ইসলামকে পৌত্তলিকতার জালে আবদ্ধ করে ফেলে সে বোধ টুকু মোহাম্মদের ছিল না।উক্ত ২:১৪৪ আয়াত টি নিচের আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক-
এখন নির্বোধেরা বলবে, কিসে মুসলমানদের ফিরিয়ে দিল তাদের ঐ কেবলা থেকে, যার উপর তারা ছিল? আপনি বলুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে চালান।সুরা আল বাকারা, ২: ১৪২
কারন পূর্ব পশ্চিম যদি আল্লাহরই হয় তাহলে পূর্ব পশ্চিম যে কোন দিকে মুখ করে নামায পড়লেই তা আল্লাহর কাছে পৌছানোর কথা। আর এ হিসাবে আল্লাহ যদি বলত- তোমরা পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিন সব কিছুই আমার , যে দিকে মুখ করেই নামাজ পড়ো না কেন তা আমার কাছেই আসে- তাহলে তা হতো বাস্তব ভিত্তিক ও যুক্তি যুক্ত। অথচ আল্লাহ পূর্ব পশ্চিম আমার বলে আবার বলছে শুধুমাত্র কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে , এটা কোন ধরনের কথা ? তার অর্থ কি কাবার দিকে মুখ করে নামাজ না পড়লে তা আল্লাহর কাছে পৌছবে না ? এটা কি কোরানের আল্লাহর পূর্ববর্তী ব্ক্তব্যের সাথে স্ববিরোধী নয়? এ ছাড়া এ ধরনের বক্তব্য কি আল্লাহর সংকীর্ণ মনের পরিচয় নয় ? আল্লাহ কেন শুধুমাত্র একটি ঘরের মুখাপেক্ষি থাকবে? যখন কোন মুসলমান চাঁদ মঙ্গলে বেড়াতে যাবে তখন সে কার দিকে তাকিয়ে নামাজ পড়বে ? কিন্তু এটা যে আসলে আল্লাহর মনের কথা নয় বরং মোহাম্মদের মনের গোপন কথা ও ইচ্ছা তা কিন্তু বোঝা যায় উপরোক্ত বুখারি বই -৮ ও হাদিস -৩৯২ এবং নিচের আয়াত থেকে-
যদি আপনি আহলে কিতাবদের কাছে সমুদয় নিদর্শন উপস্থাপন করেন, তবুও তারা আপনার কেবলা মেনে নেবে না এবং আপনিও তাদের কেবলা মানেন না। তারাও একে অন্যের কেবলা মানে না। যদি আপনি তাদের বাসনার অনুসরণ করেন, সে জ্ঞানলাভের পর, যা আপনার কাছে পৌঁছেছে, তবে নিশ্চয় আপনি অবিচারকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।সূরা বাক্কারা, ২:১৪৫
অদ্ভুত কথা ! আহলে কিতাবিরা কেন মোহাম্মদের কিবলা মানতে যাবে ? আর তা ছাড়া তাদের তো কোন কিবলাই নেই বা তার দরকারও নেই, কারন তাদের ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান, তাই যে কোন দিকে তাকিয়ে তার প্রার্থণা করলেই সে তা শুনতে পায়।সলোমনের মন্দিরকে তারা পবিত্র উপাসনালয় জ্ঞান করে ঠিকই কিন্তু তার দিকে তাকিয়ে তো তারা প্রার্থনা করে না। অর্থাৎ সলোমনের মন্দিরের দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করাটা তাদের জন্য আবশ্যকিয় কোন বিধান নয়। যুক্তির দিক দিয়ে সেটাই সঙ্গত আর কোরানের আল্লাহও কিন্তু সেটাও স্বীকার করছে যৌক্তিক কারনেই ২:১৪২ আয়াতে। অর্থাৎ বিষয়টা দাড়াচ্ছে যেহেতু আহলে কিতাবিরা মোহাম্মদকে নবী স্বীকার করছে না , তাই মোহাম্মদের সোজা বক্তব্য যে তিনি নিজে আর তাদের উপাসনালয় বায়তুল মোকাদ্দাসকে আর কিবলা করবেন না। তার চেয়ে বড় কথা হলো মদিনাতে হিজরত করার দেড় বছর পর মোহাম্মদ কাবাকে কিবলা বানাবার ওহী পান, এর পরও মোহাম্মদ ও তার অনুসারীরা মদিনাতে সাড়ে আট বছর কাল কাটান ও এ গোটা সময় তারা সবাই পুতুল ও ছবি ভর্তি কাবার দিকে মুখ করে নামায পড়তেন তাতে তাদের কোন অসুবিধা হয় নি।অথচ মোহাম্মদের বর্ণনা মতেই সে ঘরে কোন ফিরিস্তা আসার কথা নয়। তাহলে সে সময় তারা কার কাছে নামায পড়তেন ? আপাত: দৃষ্টিতে আল্লাহর কাছে বলেই মনে হয় , কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কি তাই ?
তবে নিচের হাদিস থেকে আল্লাহর আরশের অবস্থান সম্পর্কে একটা ধারনা করা যেতে পারে-
আবু দার বর্ণিত- মসজিদের মধ্যে একদা আমি নবীর কাছে ছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন- “ আবু দার, তুমি কি জান সূর্য অস্ত যাওয়ার পর সে কোথায় যায় ? আমি উত্তর করলাম-“ আল্লাহ ও তার রসুল ভাল জানেন”। তিনি বললেন-“ এটা আল্লাহর আরশের নিচে যায়, বিশ্রাম করতে থাকে ও প্রার্থনা করতে থাকে পূনরায় উদিত হওয়ার জন্য। পরে তাকে আল্লাহ অনুমতি দিলে সে পূনরায় পূর্ব দিকে উদিত হয় যা আল্লাহ বর্ণনা করেছেন তার বানী ৩৬:৩৮ আয়াতে(সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।) ”। সহি বুখারি, বই-৬০, হাদিস-৩২৬
পৃথিবীকে সমতল ভূমি (কোরান বস্তুত সেটাই ধরেছে) ধরলে আল্লাহর আরশের অবস্থান সম্পর্কে একটা আন্দাজ করা যেতে পারে।সমতল ভূমির ওপরের পৃষ্ঠে আমাদের অবস্থান , ঠিক এর উল্টো পাশেই হলো আল্লার আরশ কারন আমরা তো দেখি সূর্য অস্ত যাওয়ার পর সমতল পৃথিবীর উল্টো পাশেই চলে যায়।যদি সূর্য পৃথিবীর উল্টো পিঠে গমন ক’রে সেখানে আল্লাহর আরশের সাক্ষাত পায় তাহলে অবশ্যই সেখানেই আল্লাহর আরশ থাকবে এটা সুনিশ্চিত। তবে সেখানে পৌছানোটা আমাদের জন্য কঠিন হবে কারন পৃথিবীর উল্টো পিঠে গেলেই তো আমরা টুপ করে পড়ে যাব। যেমন-
আমি পৃথিবীতে পর্বমালামসূহ রেখে দিয়েছি যাতে তাদেরকে নিয়ে পৃথিবী ঝুঁকে না পড়ে এবং তাতে তৈরী করেছি প্রশস্ত পথ, যাতে তারা পথ প্রাপ্ত হয়। সূরা আম্বিয়া, ২১:৩১ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
আমি কি করিনি ভূমিকে বিছানা এবং পর্বতমালাকে পেরেক? সূরা আন নাবা-৭৮:৬-৭ (মক্কায় অবতীর্ণ)
তিনি খুঁটি ব্যতীত আকাশমন্ডলী সৃষ্টি করেছেন; তোমরা তা দেখছ। তিনি পৃথিবীতে স্থাপন করেছেন পর্বতমালা, যাতে পৃথিবী তোমাদেরকে নিয়ে ঢলে না পড়ে এবং এতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সর্বপ্রকার জন্তু। আমি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছি, অতঃপর তাতে উদগত করেছি সর্বপ্রকার কল্যাণকর উদ্ভিদরাজি। সূরা লোকমান-৩১:১০(মক্কায় অবতীর্ণ)
অর্থাৎ পৃথিবীতে পর্বতমালা আল্লাহ তৈরী করেছেন পেরেকের মত করে। পেরেক দিয়ে যেমন কোন কিছু গেথে দেয়া হয় শক্ত করে পর্বত সেভাবেই সমতল পৃথিবীকে গেথে রেখেছে যাতে পৃথিবী কাত হয়ে যেতে না পারে সেকারনেই আল্লাহ পরিস্কার ভাষায় বলছে তাদেরকে নিয়ে পৃথিবী ঝুকে না পড়ে, কারন তা হলে আমরা সবাই গড়িয়ে পড়ে যাব।আল্লাহ বড়ই দয়ালু আমরা পৃথিবী থেকে পড়ে যাই তা সে চায় না। কিন্তু কার সাথে পৃথিবীকে গেথে রেখেছে তা পরিস্কার নয়।এছাড়াও সে দুনিয়াতে অনেক রাস্তা ঘাট তৈরী করে রেখেছে যাতে মানুষ জন চলা ফিরা করতে পারে।বর্তমানে দরিদ্র মুসলিম দেশ গুলো ( বিশেষ করে বাংলাদেশ) কেন যে খামোখা রাস্তা ঘাট ব্রিজ কালভার্ট এসব তৈরী করার জন্য ইহুদি নাসারা কাফেরদের কাছে হাত পাতে বোঝা দুস্কর, তার চেয়ে বরং আল্লাহর কাছে আর্জি জানালেই তো পারে। অতীতে যেমন সে রাস্তা ঘাট তৈরী করে দিয়েছিল না চাইতেই , আর এখন সবাই মিলে তার কাছে প্রার্থনা জানালে সে কি রাস্তা ঘাট ব্রিজ কালভার্ট তৈরী করে দেবে না ?
যাহোক , সব চেয়ে মজা লাগল উক্ত সহি বুখারি, বই-৬০, হাদিস-৩২৬ এ উল্লেখিত সুরা ইয়াসিনের ৩৬:৩৮ আয়াতের সম্পর্কে তথাকথিত ইসলামি পন্ডিত জাকির মিয়ার এক দুর্দান্ত বাল খিল্যসুলভ ব্যখ্যা শুনে। আয়াত টা এরকম –
সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। সূরা ইয়াসিন, ৩৬:৩৮
বর্তমানে বিজ্ঞানের বদৌলতে আমরা জানি সূর্য আকাশ গঙ্গা নামক স্পাইরাল প্রকৃতির ছায়াপথের একটা বাহুর একেবারে শেষ দিকে অবস্থান করছে ও তা প্রতি ২০ কোটি বছরে ছায়াপথটির কেন্দ্রকে একবার করে প্রদক্ষিন করছে অনেকটা ৩৬৫ দিনে আমাদের পৃথিবী যেমন একবার সূর্যকে প্রদক্ষিন করে সেরকম। তো জাকির মিয়ার বক্তব্য হলো সূর্য যে ২০ কোটি বছরে তার ছায়াপথের কেন্দ্রকে একবার প্রদক্ষিন করে আসে উক্ত আয়াত নাকি সেটাই বলছে।যে লোক কোরান হাদিস তেমন পড়ে নি , জানেও না তাতে কি লেখা সে লোক কিন্তু ঠিকই ঘাবড়ে যাবে জাকির মিয়ার এ বক্তব্যে ও একই সাথে মনে করে বসতে পারে জাকির মিয়া সত্য কথা বলছে। কারন আয়াতটিতে তো পরিস্কার বলছে – সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। অথচ জাকির মিয়ারও ১৪০০ বছর আগে তার নবী মোহাম্মদ কিন্তু এ আয়াতের যথার্থ ব্যখ্যা দিয়ে গেছেন উক্ত হাদিসে। ঠিক একই ব্যখ্যা কিন্তু মোহাম্মদ সহি বুখারি, বই -৯৩, হাদিস- ৫২৮ ও সহি মুসলিম , হাদিস -২৯৭ এ প্রদান করেছেন। তাহলে প্রশ্ন হলো – কার ব্যখ্যা সত্য? মোহাম্মদের নাকি জাকির মিয়ার ?
মোহাম্মদ কিন্তু খুব সহজ সরল ভাবেই সেই ১৪০০ বছর আগেকার মানুষের জ্ঞান বুদ্ধির ওপর ভিত্তি করে উক্ত আয়াতের ব্যখ্যা দিয়েছেন। এজন্য মোহাম্মদকে ধণ্যবাদ। কারন তখন মানুষের ধারনা ছিল পৃথিবী হলো সমতল একটা ভূমি আর তাই সূর্যই পূর্ব দিকে উদিত হয়ে সারা দিন কিরণ দিয়ে অস্ত যায় ও রাতের বেলা বিশ্রাম নেয় যা ছিল তখনকার সব ধর্মেরই ব্ক্তব্য।বিশেষ করে খৃষ্টান ধর্মেরও।হিন্দু ধর্মের বক্তব্যও প্রায় একই রকম। এর কারন হলো সে সময় বা তারও হাজার হাজার বছর আগ থেকে যে কেউ সকাল বেলায় উঠে দেখত সূর্য পূব দিকে উদয় হয় ও সারাদিন আকাশে পরিভ্রমন শেষে পশ্চিমে অস্ত যায়।মোহাম্মদ নিজেও সেটা শৈশব থেকে দেখে এসেছেন ও সুবিধা মত একসময় তার কোরানে বর্ণনা করেছেন ও পরে তার মত করে সহজ সরল ব্যখ্যা প্রদান করেছেন।এখন জাকির মিয়া এসে বলছে ভিন্ন কথা। জাকির মিয়া কি মোহাম্মদের চাইতে বেশী ইসলাম জানে ও বোঝে ?
ইসলাম অভিযোগ করে হিন্দু খৃষ্টান এসব ধর্ম পৌত্তলিকতা দোষে দুষ্ট। বিষয়টা কি আসলে তাই ?
হিন্দু ধর্মের মূল কথা হলো তাদের ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় প্রয়োজন অনুসারে বহু রূপে আত্মপ্রকাশ করে।যে মানুষ তাকে যে ভাবে ডাকে ঈশ্বর ঠিক সেভাবেই তার কাছে ধরা দেয়।যদি কোন সত্যিকার ঈশ্বর থেকে থাকে আসলে হওয়ার কথাও তো তাই। কেউ ঈশ্বরকে বন্ধু ভাবে চাইতে পারে , কেউ সন্তান হিসাবে, কেউ বা স্বামী হিসাবে। ঈশ্বরের যদি এভাবে তার ভক্তের ইচ্ছা পূরণের ক্ষমতা না থাকে তাহলে সে কিসের ঈশ্বর? ধরা যাক, এক লোক তাকে বন্ধু হিসাবে চাইল কিন্তু অন্য তার ভাই ঈশ্বরকে পিতা হিসাবে কামনা করল।সে ক্ষেত্রে ঈশ্বর একই সাথে দুই সহোদর ভাইয়ের সাধ কিভাবে মিটাবে ? এটা একমাত্র সম্ভব ঈশ্বর যদি বহু রূপ ধারন করেন। মুনকার নকির নামক দুই ফিরিস্তা যদি একই সাথে দুনিয়ার সাতশ কোটি মানুষের দুই কাধে বসে তাদের কাজ কাম লিখে রাখতে পারে, ঈশ্বর কেন পারবে না দুনিয়ার মানুষ যে যেমন করে তাকে চাইবে সেভাবে তার কাছে ধরা দিতে? যদি তা না পারে বা না করে সেটা তাহলে ঈশ্বরের অক্ষমতা। হিন্দুদের যে শত কোটি দেব দেবী আছে এগুলো সেই এক ঈশ্বরের বহুরূপ ছাড়া আর কিছু নয়। হিন্দুরা যার যার সুবিধা মত তার আরাধ্য দেব দেবী নির্ধারন করে তার পূজা করে। আবার যদি কেউ চায় সে শুধুমাত্র পরম ঈশ্বরেরও উপাসনা করতে পারে। ওপর থেকে দেখলে মনে হয় মূর্তি পূজা করছে। কিন্তু বিষয়টা মোটেও তা নয়। ওরা আরাধ্য দেবতাকে সামনে রেখে তার মধ্যে জীবন্ত দেবতার কল্পনা করে, মাথা নত করে। মাথা নত করার সময় মনে মনে ভাবে তার আরাধ্য দেবতা তাকে দেখছে। সে তার সামনের দেব-দেবীর মূর্তিকে জড় পদার্থ মনে করে না। যে কারনে তার অন্তরের সাথে তার আরাধ্য দেবতার একটা মিলন ঘটে, আরাধ্য দেবতাকে সে হৃদয়ে অনুভব করতে পারে। এটাই একজন ভক্ত হিন্দুকে চরম আনন্দ প্রদান করে যা সে শুধু নিজেই অনুভব করে, অন্যকে প্রকাশ করতে পারে না। বিষয়টাকে মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে যেভাবেই ব্যখ্যা করা হোক না কেন, হিন্দুদের ধর্ম ঠিক এরকমই। ইসলাম শুধু উপর দিয়ে দেখে উপহাস করে বলে হিন্দুরা মূর্তি পূজা করে।সেখানে ইসলামের আল্লাহ এরকম বহু রূপ ধারন করতে পারে না, অন্তত: কোরান হাদিসে তার কোন উল্লেখ নেই। আর তাই সে তার ভক্তের কামনা বাসনা মিটাতে অক্ষম। একই সাথে এক ব্যক্তি একই সময়ে বিচারক ও দয়ালু হতে পারে না। কোন বিচারক একজন ক্রিমিনালকে বিচার করে সঠিক ভাবে ফাসির রায় দিলে সেটা তার চুড়ান্ত ন্যয় বিচার হতে পারে কিন্তু তখন তিনি আ র অভিযুক্তের প্রতি দয়ালু থাকেন না। সুতরাং একই সাথে আল্লাহ কিভাবে তার সৃষ্ট কোটি কোটি মানুষের বিচার করে কাউকে ফাসি কাউকে করুনা করে একই সময়ে সবার প্রতি পরম ন্যয় বিচারক ও দয়ালু থাকেন ? এটা সম্ভব শুধুমাত্র আল্লাহ বহু রূপ ধারন করে তখনই। ইসলামের আল্লাহর এ ধরনের বহু রূপ ধারনের ক্ষমতা নেই। আর সে কারনেই দেখা যায় কোরানে আল্লাহর প্রকৃত রূপ হলো – একজন ভীষণ রাগী, ক্রুদ্ধ, হিংস্র, প্রতিশোধ পরায়ন কোন অস্তিত্বের , তার মধ্যে ভালবাসা, করুনা, ক্ষমার কোন লক্ষন দেখা যায় না। যদিও মাঝে মাঝে উল্লেখ আছে সে নাকি ক্ষমাশীল কিন্তু তার রাগ ও হিংস্রতার কথা যদি ৫০ বার উল্লেখ করা হয়েছে তো ক্ষমাশীলতার কথা বলা আছে মাত্র ১ বার। অর্থাৎ সার্বিক ভাবে কোরানের আল্লাহ একজন হিংস্র কোন জন্তু বা জীব। পরম করুনাময় সৃষ্টি কর্তা নয় কোনমতেই। একারনেই সম্ভবত কোন মুসলমান ইসলামের সব ধরনের বিধান অনুসরণ করেও কখনো আল্লাহর সাথে নৈকট্য অনুভব করে না। যেহেতু ইসলামের আল্লাহর তার ভক্তের সাধ পূরনের কোন ক্ষমতা নেই, তাই এ ধরনের রূঢ় ও ক্রুদ্ধ সৃষ্টিকর্তার কোন অস্তিত্ব থাকতে পারে না, থাকলেও সেটা ঈশ্বর না হয়ে হবে নিশ্চিত ভাবে শয়তান। কারন শয়তানই একমাত্র এভাবে ক্রুদ্ধ ও হিংস্র হতে পারে কোন পরম করুণাময় ঈশ্বর নয়। আর হিন্দুদের ঈশ্বর জগতের সব জায়গাতেই বিরাজমান, তাই তাদের কোন নির্দিষ্ট কিবলার দরকার পড়ে না। যে কোন দিকে বসেই তারা তাদের ঈশ্বর বা দেব দেবীকে ডাকতে পারে। ইসলামের আল্লাহর এ বিষয়ে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আল্লাহ শুধুমাত্র কাবা নামক একটা দালান ও তার ভিতরের কাল পাথরের দিকে না তাকিয়ে ডাকলে সে কোন ডাক শোনে না, যদিও সে তার মধ্যে বাস করে না। এভাবে জড় বস্তুর প্রতি মাথা নত করতে বা জড় বস্তুকে পুজা দেয়ার জন্য মানুষকে প্ররোচিত করে তাদেরকে বিভ্রান্ত ও বিপথে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত করতে পারে একমাত্র শয়তান , কোন সৃষ্টিকর্তা নয়। হিন্দুদের ঈশ্বর তাই এ ধরনের শয়তানের প্রভাব মুক্ত।
ঠিক তেমনি ভাবে খৃষ্টানরা বিশ্বাস করে ত্রিত্ব বাদ(Trinity) তে । পিতা, পূত্র ও পবিত্র আত্মা যারা মূলত একই ঈশ্বরের তিনটি রূপ।এখানে ঈশ্বর পিতা হিসাবে বিচারকের ভূমিকায় আর পূত্র হিসাবে দয়াবানের ভুমিকায়, মানুষকে জ্ঞান দান করে সৎ পথে থাকার কাজটি করে পবিত্র আত্মা। ঈশ্বরের দয়ার রূপ হলো তার রূপক পূত্র যীশু। বাস্তবে তো যীশু ঈশ্বরের পূত্র নয় বরং স্বয়ং নিজেই। ঈশ্বর যেহেতু তার সৃষ্ট মানব কুলকে ভালবাসে, কিন্তু মানব কুল মাঝে মাঝে বিপথগামী হয়ে পড়ে তাই তাদেরকে উদ্ধারের জন্য স্বয়ং ঈশ্বর তার পূত্রের রূপ ধারন করে পৃথিবীতে আগমন করেছিল। ক্রুশ বিদ্ধ অবস্থায় সে অশেষ যন্ত্রনা ভোগ করে মারা যাওয়ার অভিনয় করেছিল। কেন এ অভিনয়? এ যন্ত্রনা ভোগ করে মারা যাওয়ার মধ্যে সে প্রমান করতে চায় যে সে তার সৃষ্ট মানবকুলকে সীমাহীন ভালবাসে। এটা যখন মানুষ বুঝতে পারবে তখন মানুষ অনুতপ্ত হয়ে যীশুর বানী অনুসরণ করবে। আর ঈশ্বর পবিত্র আত্মার ভূমিকা পালন করে সকল মানুষের মনে শুভাশুভ জ্ঞান দান করে যাতে তারা সঠিক পথে চলতে পারে কারন ঈশ্বর প্রতিটি মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি দিয়ে তৈরী করেছে। অথচ মোহাম্মদ ত্রিত্ববাদের এ গভীর মাহাত্ম ধরতে পারেন নি। তার কতিপয় প্রশ্ন- ঈশ্বর কিভাবে তিনটি হয় ? ঈশ্বরের পূত্র কিভাবে একই সাথে ঈশ্বর হয়? যদিবা ঈশ্বরের পূত্র ঈশ্বর হয়ে থাকে তাহলে সে কিভাবে ক্রুশে মারা যেতে পারে? অর্থাৎ ঈশ্বর কি মরণশীল ? এসবের উত্তর – ঈশ্বর তিনটি নয় একটি , ত্রিত্ব (Trinity) হলো ঈশ্বরের তিনটি রূপ যার তার ভিন্ন ভিন্ন গুণাবলীর বহি:প্রকাশ। স্বয়ং ঈশ্বর মানুষ হিসাবে পৃথিবীতে আগমন করেছে আর তার জন্মদানের জন্য কোন পিতার ঔরসের দরকার পড়ে নি বা পড়েও না এবং ঈশ্বর তার নিজ আত্মা কে কুমারী মরিয়মের গর্ভে প্রবেশ করিয়ে তাকে গর্ভবতী করে ও পরে যীশু রূপে পৃথিবীতে জন্মগ্রহন করে। বাহ্যিকভাবে দেখলে কুমারী মরিয়মের গর্ভে তাঁর জন্ম কিন্তু তার গর্ভধারন ঈশ্বরের মাধ্যমে, তাই যীশু নিজেকে ঈশ্বরের পূত্র বলেছেন। আবার যেহেতু যীশুর আত্মা স্বয়ং ঈশ্বরের আত্মা তাই তিনি স্বয়ং ঈশ্বরও। যীশুর ঈশ্বরের পূত্র বলে নিজের পরিচয় দেওয়াটা ছিল সম্পূর্ণ রূপক, বাস্তব নয় অর্থাৎ যীশু ঈশ্বরের ঔরসজাত কোন পূত্র নয়।যীশুর মানব রূপে আগমনের কারনেই নিজেকে ঈশ্বরের পূত্র বলেছিলেন, তিনি নিজেকে ঈশ্বর বলতে পারতেন না , কারন তিনি মানুষকে শাসন বা শাস্তি দিতে আসেন নি, এসেছিলেন ভাল কিছু শিক্ষা দিতে, মানুষকে ভালবাসা দিতে ও শেখাতে, ক্ষমা করা শেখাতে অর্থাৎ যীশু ছিল ঈশ্বরের দয়ার বাস্তব প্রতিরূপ।তিনি নিজেকে তাহলে ঈশ্বর পরিচয় কেন দেন নি? কারন নিজেকে ঈশ্বর পরিচয় দিলে মানুষরা তার শিক্ষাকে অস্বীকার করলে সাথে সাথেই তাদেরকে শাস্তি দিতে হত তাদেরকে ধ্বংস করে দিতে হতো, না হলে তাকে অসীম শক্তিশালী বলা যেত না এ বিষয়টি এড়ানোর জন্যই যীশু নিজেকে ঈশ্বর হিসেবে পরিচয় দেয় নি।এটাই হলো ঈশ্বরের ত্রিত্ববাদের ব্যখ্যা আর যার অর্থ মোটেই খৃষ্টানদের ঈশ্বর তিন টি নয় , একটিই যা মোহাম্মদ মোটেই বুঝতে পারে নি, অত গভীরে বোঝার মত যে বিদ্যা ও জ্ঞান থাকা দরকার মোহাম্মদের তা ছিল না। না থাকার কারনেই কোরানে বলছে-
আল্লাহ এমন নন যে, সন্তান গ্রহণ করবেন, তিনি পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, তিনি যখন কোন কাজ করা সিদ্ধান্ত করেন, তখন একথাই বলেনঃ হও এবং তা হয়ে যায়। সুরা মারিয়াম, ১৯:৩৫
তারা বলেঃ দয়াময় আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। এ কারণে যে, তারা দয়াময় আল্লাহর জন্যে সন্তান আহবান করে। অথচ সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের জন্য শোভনীয় নয়।সূরা মারিয়াম, ১৯: ৮৮-৯১
আয়াতগুলি পরিস্কার বোঝাচ্ছে যে খৃষ্টানরা যীশুকে যে ঈশ্বরের পূত্র বলে তার অর্থ ঈশ্বরের ঔরসেই যেন যীশুর জন্ম কিন্তু ঈশ্বরের এ ধরনের কোন পূত্রের দরকার পড়ে না। অর্থাৎ মোহাম্মদ বুঝতেই পারে নি যে ঈশ্বরের পূত্র বলতে খৃষ্টানরা এটা মোটেই বোঝায় না যে তার জন্ম হয়েছিল ঈশ্বরের ঔরসেই।এ থেকে বোঝা যায় মোহাম্মদ যীশু যে ঈশ্বরের পূত্র- এ বিষয়টা স্থূল অর্থে গ্রহণ করেছে।
মোহাম্মদ মোটেই ত্রিত্ববাদ বুঝতে না পের যীশু সম্পর্কে উল্টা পাল্টা কথা বলছে তার প্রমান নীচের আয়াত-
فَاتَّخَذَتْ مِن دُونِهِمْ حِجَابًا فَأَرْسَلْنَا إِلَيْهَا رُوحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا (17
অতঃপর তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যে সে পর্দা করলো। অতঃপর আমি তার কাছে আমার রূহ প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে আত্নপ্রকাশ করল। সূরা মরিয়াম, ১৯:১৭
উক্ত আয়াতে আল্লাহ বলছে আমার রুহ ( আল্লাহর রূহ) প্রেরণ করলাম, তো এখানে আমার অর্থ তো আল্লাহর । অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ নিজেই মরিয়মের কাছে আগমন করেছে।
قَالَتْ إِنِّي أَعُوذُ بِالرَّحْمَن مِنكَ إِن كُنتَ تَقِيًّا (18
মারইয়াম বললঃ আমি তোমা থেকে দয়াময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করি যদি তুমি আল্লাহভীরু হও। সুরা মারিয়াম, ১৯:১৮
قَالَ إِنَّمَا أَنَا رَسُولُ رَبِّكِ لِأَهَبَ لَكِ غُلَامًا زَكِيًّا (19
সে বললঃ আমি তো শুধু তোমার পালনকর্তা প্রেরিত, যাতে তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করে যাব। ১৯:১৯
কি ধরনের আজগুবি ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ কথা বার্তা কোরানে বলা হয়েছে যা দেখা যায় ১৯:১৯ আয়াতে।১৯:১৭ বলছে আল্লাহ নিজের রুহ বা আত্মা তথা স্বয়ং নিজেই মরিয়মের কাছে আগমন করেছে অথচ এর এক আয়াত পরেই ১৯:১৯ তে বলছে আমি তো তোমার পালন কর্তা প্রেরিত। এ থেকে বোঝা যায় যীশু সম্পর্কে মোহাম্মদ সম্পুর্ণ একটা অস্পষ্ট ও ধোয়াসার মধ্যে ছিলেন। যীশুকে তিনি অবজ্ঞা করতেও পারছিলেন না আবার তাকে ঈশ্বরের পূত্র বা ঈশ্বর হিসাবে গ্রহন করতেও রাজী ছিলেন না। আর এসবের ব্যখ্যা করতে গিয়ে তথাকথিত ইসলামি পন্ডিতদের লেজে গোবরে অবস্থা তারা এখানে ১৯:১৭ আয়াতের আমার রুহ বলতে নাকি আল্লাহ জিব্রাইলকে বুঝিয়েছে তার কারন ১৯:১৯ আয়াতে বলছে আমি তো শুধু তোমার পালন কর্তা প্রেরিত। তাদেরকে যদি প্রশ্ন করা হয়- আল্লাহর রুহ কিভাবে জিব্রাইল হয়, তখন তারা শুরু করে আগডুম বাগডুম যত সব অর্থ হীন পাগলের প্রলাপ।তার উক্ত আয়াত গুলো পড়ে বুঝতেই পারে না যে বস্তুত মোহাম্মদ যীশু সম্পর্কে কোন সঠিক ধারনা করতে ব্যর্থ হয়েই এ ধরনের অসাঞ্জস্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন।
আদম কে জীবন দেয়ার ব্যপারেও মোহাম্মদ অবাস্তব ও আজগুবি বক্তব্য প্রদান করেছেন যা দেখা যায় নিচের আয়াতে –
فَإِذَا سَوَّيْتُهُ وَنَفَخْتُ فِيهِ مِن رُّوحِي فَقَعُواْ لَهُ سَاجِدِينَ (29
Yusuf Ali: When I have fashioned him (in due proportion) and breathed into him of My spirit, fall ye down in obeisance unto him.”Surah Hijr, 15:29
যখন আমি তাকে (আদম ) সাজাব ও তার ভিতর আমার রুহ ফুকে দেব, তোমরা সবাই তার সামনে সেজদায় পড়ে যেও। সুরা হিজর, ১৫:২৯ (মক্কায় অবতীর্ণ)
وَالَّتِي أَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيهَا مِن رُّوحِنَا وَجَعَلْنَاهَا وَابْنَهَا آيَةً لِّلْعَالَمِينَ (91
এবং সেই নারীর কথা আলোচনা করুন, যে তার কামপ্রবৃত্তিকে বশে রেখেছিল, অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং তাকে তার পুত্রকে বিশ্ববাসীর জন্য নিদর্শন করেছিলাম। সূরা আম্বিয়া, ২১:৯১ (মক্কায় অবতীর্ণ)
খেয়াল করতে হবে , ১৫:২৯ অনুযায়ী, আল্লাহ যদি তার নিজের রুহ ( আত্মা) আদমের দেহে ফুকে দেয় ও তার ফলে আদম জীবিত হয়ে ওঠে, তাহলে আদমের আত্মাটা কার হবে ? নিশ্চয়ই আল্লাহর হবে অর্থাৎ আদম আল্লাহর সমান হয়ে যাবে। একই প্রক্রিয়া আল্লাহ করেছে যীশুর ক্ষেত্রেও।আর এ পয়েন্ট টা ধরেই ইসলামি পন্ডিতরা বলতে চায়, আদমের দেহে আল্লাহর রূহু(আত্মা) প্রবেশ করিয়ে তাকে জীবন দিলে যেমন আদম আল্লাহ হয়ে যায় নি , ঠিক সেভাবেই যীশুকেও আল্লাহ তার আত্মা দ্বারা জীবন দান করাতে যীশু আল্লাহ বা ঈশ্বর হয়ে যায় নি। অর্থাৎ তারা একটা ভুল যুক্তি দিয়ে একটা সত্য বিষয়কে ভুল প্রমান করতে চায়।তাদের সেই ভুল যুক্তি টা কি ? সেটা হলো – আল্লাহ প্রতিটি জীবন্ত প্রানীর শরীরে নিজের আত্মা প্রবিষ্ট করিয়ে দিয়ে তাদেরকে জীবন দান করে।অথচ এই আল্লাহর কিন্তু কাউকে জীবন দিতে শুধুমাত্র হও বললেই হয়ে যায় নিজের আত্মা প্রবেশ করানোর দরকার পড়ে না। আর আল্লাহ যদি নিজের আত্মাকে কোন প্রানীর শরীরে ঢুকিয়ে দেয়, তাহলে সেই প্রানী হুবহু আল্লাহর মত কেউ হয়ে যাবে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে সৃষ্টি সম্পর্কিত মোহাম্মদের ধারনা ছিল খুবই সীমিত। তবে শুধুমাত্র এ পয়েন্টে ইসলামি পন্ডিতরা যীশুর ঈশ্বরত্বকে উড়িয়ে দিতে চাইলেও তা সম্ভব নয় কারন কোরান হাদিসে আরও বহু বক্তব্য আছে যা যীশুর ঈশ্বরত্বের সমার্থক। এবার সৃষ্টি সম্পর্কিত ধারনা তৌরাত কিতাবে কেমন তা দেখা যাক,
প্রভু পরমেশ্বর মাটি থেকে ধুলো নিয়ে মানুষকে গড়লেন ও তার নাকে ফু দিয়ে তার প্রান সঞ্চার করলেন, আর মানুষ সজীব প্রাণী হয়ে উঠল।জেনেসিস, অধ্যায়-২, বাক্য-৭
খুবই যৌক্তিক বক্তব্য।মানুষকে জীবিত করতে আল্লাহর তো তার নিজের রুহ বা আত্মা মানুষের দেহে ঢুকানোর দরকার নেই, কারন সেটা করলে মানুষ তো আল্লাহর মত কেউ একজন হয়ে যাবে। বরং সোজা পথ হলো- হয় আল্লাহ বলতে পারে – জীবিত হও, অথবা তার দেহের যে কোন অংশে শুধুমাত্র একটা ফু দিয়েই সেটা করতে পারে। বিষয়গুলো আরও ভালভাবে বোঝা যাবে নিচের আয়াতে-
إِذْ قَالَتِ الْمَلآئِكَةُ يَا مَرْيَمُ إِنَّ اللّهَ يُبَشِّرُكِ بِكَلِمَةٍ مِّنْهُ اسْمُهُ الْمَسِيحُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ وَجِيهًا فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَمِنَ الْمُقَرَّبِينَ (45
যখন ফেরেশতাগণ বললো, হে মারইয়াম আল্লাহ তোমাকে তাঁর এক বানীর সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম হলো মসীহ-মারইয়াম-তনয় ঈসা, দুনিয়া ও আখেরাতে তিনি মহাসম্মানের অধিকারী এবং আল্লাহর ঘনিষ্ঠদের অন্তর্ভূক্ত। সূরা- আল ইমরান, ৩:৪৫
يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لاَ تَغْلُواْ فِي دِينِكُمْ وَلاَ تَقُولُواْ عَلَى اللّهِ إِلاَّ الْحَقِّ إِنَّمَا الْمَسِيحُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ رَسُولُ اللّهِ وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِّنْهُ فَآمِنُواْ بِاللّهِ وَرُسُلِهِ وَلاَ تَقُولُواْ ثَلاَثَةٌ انتَهُواْ خَيْرًا لَّكُمْ إِنَّمَا اللّهُ إِلَـهٌ وَاحِدٌ سُبْحَانَهُ أَن يَكُونَ لَهُ وَلَدٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَات وَمَا فِي الأَرْضِ وَكَفَى بِاللّهِ وَكِيلاً (171
হে হে আহলে-কিতাবগণ! তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহর শানে নিতান্ত সঙ্গত বিষয় ছাড়া কোন কথা বলো না। নিঃসন্দেহে মরিয়ম পুত্র মসীহ ঈসা আল্লাহর রসূল এবং তাঁর বাণী যা তিনি প্রেরণ করেছেন মরিয়মের নিকট এবং রূহ-তাঁরই কাছ থেকে আগত। অতএব, তোমরা আল্লাহকে এবং তার রসূলগণকে মান্য কর। আর একথা বলো না যে, আল্লাহ তিনের এক, একথা পরিহার কর; তোমাদের মঙ্গল হবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ একক উপাস্য। সন্তান-সন্ততি হওয়াটা তাঁর যোগ্য বিষয় নয়। যা কিছু আসমান সমূহ ও যমীনে রয়েছে সবই তার। আর কর্মবিধানে আল্লাহই যথেষ্ট।সূরা নিসা,৪:১৭১
উপরে যীশু সম্পর্কে আবারও কতিপয় অসামঞ্জস্যপূর্ণ বক্তব্য দেয়া হচ্ছে যার পারস্পরিক কোন মিল নেই। যেমন-
১. যীশু মরিয়মের পূত্র, ২. যীশু আল্লাহর রসুল, ৩. যীশু আল্লাহর বানী, ৪. যীশু আল্লাহর রূহ । যীশু যদি নিজেই আল্লাহর বানী ও আল্লাহর রূহ হয় তাহলে সে আল্লাহর রসূল কেমনে হয় ? আল্লাহর রসূল হলো একজন মানুষ যার কাছে আল্লাহ কোন ফিরিস্তা মারফত বানী পাঠায় বা অনেক সময় সরাসরি নিজে কথা বলেম যেমন-ইব্রাহিম, মূসা।পক্ষান্তরে যীশু নিজে যেটা বলত সেটাই আল্লাহর বানী যা ইঞ্জিল কিতাবে লিখিত আছে যাকে সকল মুসলমান আসমানি কিতাব বলেও জানে, যীশুর কাছে কোনদিন কোন ফিরিস্তা এসে বানী দিয়ে যায় নি।এ যদি হয় কোরান বর্ণিত যীশু তাহলে যীশু আসলে কে ? মরিয়মের গর্ভে দৃশ্যত জন্মগ্রহন করেছিল বলে তাকে মরিয়মের পুত্র ধরা যেতে পারে। কিন্তু আল্লাহর রসুল কোনমতেই নয়। তার অর্থ মোহাম্মদ জানতেনই না আসলে যীশু কে, লোক মুখে শোনা কথার ওপর ভরসা করে তিনি যীশু সম্পর্কে নানা রকম পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে গেছেন মাত্র। মোহাম্মদ নিজেই আবার কোরানে যীশুকে পাপহীন বলে ঘোষণা করেছেন যেমন-
সে বললঃ আমি তো শুধু তোমার পালনকর্তা প্রেরিত, যাতে তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করে যাব। সূরা মারিয়াম,১৯:১৯
এখানে পবিত্র বলতে বুঝায় পাপ হীন।কোরানে আর কাউকেই পবিত্র বলা হয় নি। এমন কি মোহাম্মদকেও নয়।ঠিক তেমনি ভাবে বহু হাদিসেও একই কথা বলেছেন মোহাম্মদ-
সাইদ বিন মুসাইব বর্ণিত- আমি নবীকে বলতে শুনেছি যে আদম সন্তানদের মধ্যে এমন কেউ নেই যাকে জন্মের সময় শয়তান ছুয়ে দেয় না আর এ কারনে সে চিৎকার করে কেঁদে উঠে। ব্যতিক্রম শুধু মরিয়ম আর তনয় ঈশা। সহি বুখারী, বই-৫৫, হাদিস-৬৪১
আবু হুরায়রা বর্ণিত- আমি আল্লাহর নবীকে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন যে আদম সন্তানদের এমন কেউ নেই যার জন্ম গ্রহনের সময় শয়তান তাকে ছুয়ে না দেয় ব্যতিক্রম শুধু মরিয়ম ও তার পূত্র। সহি মুসলিম, বই -৩০, হাদিস-৫৮৩৮
ঠিক উক্ত হাদিস আছে , বুখারির বই নং-৫৪, হাদিস -৫০৬ , সহি মুসলিম , বই -৩০ , হাদিস-৫৮৩৭ এবং বই-৩৩, হাদিস-৬৪২৯ তে।
পক্ষান্তরে, অন্য সকল নবী সম্পর্কে মোহাম্মদের কোরান কি বলেছে দেখা যাক-
আদ ম: সবাই জানি পাপের কারনে আদম ও হাওয়া বেহেস্ত থেকে দুনিয়াতে বিতাড়িত হয়েছিল।(সূরা, আরাফ-২২-২৩)
ইব্রাহিম: যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর পুনর্জীবন দান করবেন।আমি আশা করি তিনিই বিচারের দিনে আমার ক্রটি-বিচ্যুতি মাফ করবেন।সুরা আশ শোরা, ২৬: ৮১-৮২ (মক্কায় অবতীর্ণ)
মূসা: তিনি বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমি তো নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। সূরা আল কাসাস, ২৮:১৬
মোহাম্মদ: জেনে রাখুন, হে মোহাম্মদ, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। ক্ষমাপ্রার্থনা করুন, আপনার ক্রটির জন্যে এবং মুমিন পুরুষ ও নারীদের জন্যে। আল্লাহ, তোমাদের গতিবিধি ও অবস্থান সম্পর্কে জ্ঞাত। সূরা মোহাম্মদ, ৪৭: ১৯ (মদিনায় অবতীর্ণ)
তার মানে বোঝা গেল একমাত্র যীশু ছাড়া সবাই কম বেশী পাপী ও ভূল কাজ করেছে। আর তাই তারা তাদের ঈশ্বর বা আল্লাহর কাছে মাফ চায়। যীশু জীবনে কোন পাপ কাজ করে নি। এরকম সম্পূর্ণ পাপ হীন হতে পারে কে ?
কোরান হাদিস থেকে যীশু সম্পর্কে যা জানা গেল তা হলো-
১. যীশুর জন্ম অলৌকিক, একজন কুমারী মাতা থেকে, ২. যীশু হলো আল্লাহর রুহ, ৩. যীশু হলো আল্লাহর বানী, ৪. যীশু হলো চির পবিত্র তথা নিষ্পাপ, ৫. যীশুকে শয়তান স্পর্শ করতে পারে নি, ৬. যীশু কখনো ভুল করে নি, ৭. যীশু মৃতকে জীবন দান করতে পারত , যে ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর হাতে।
এত সব গুনের অধিকারী হওয়া একমাত্র কার পক্ষে সম্ভব ? একমাত্র আল্লাহ বা ঈশ্বরের পক্ষেই সম্ভব। এতগুলো বিষয় স্বীকার করেও মোহাম্মদ তার কোরানে বলছেন যীশু নাকি একজন নবী মাত্র। এর চাইতে আজগুবি ও হাস্যকর আর কিছু হতে পারে ? অথচ অন্য কোন নবির এর একটা গুণও ছিল না। মূসা নবি কিছু অলৌকিক ঘটনা দেখাতে পারলেও মৃতকে জীবন দিতে পারত না। প্রশ্ন হতে পারে , উক্ত বিষয় স্বীকার তাহলে করলেন কেন মোহাম্মদ? উত্তর বুঝতে কষ্ট হয় না। আগেই বলেছি খৃষ্টানদের কাছ থেকে শুনে শুনে মোহাম্মদ তার কোরানে যীশু সম্পর্কে বানী প্রচার করেছেন, সেটা করতে গিয়ে কোন কথার কি গুঢ় অর্থ হবে তা উপলব্ধি করতে পারেন নি তাৎক্ষনিকভাবে।ঠিক একারনেই খৃষ্টানদের কাছে তো বটেই ইহুদীদের কাছেও মোহাম্মদের কোরানের বানীকে খুবই অদ্ভুত ও উদ্ভট মনে হতে থাকে ও তারা আরও বেশী নিশ্চিত হতে থাকে যে মোহাম্মদ কোন মতেই নবী তো দুরের কথা একজন শুভ গুণ সম্পন্ন মানুষও নয়। তাই তারা যতই মোহাম্মদকে প্রশ্ন করতে থাকে ততই মোহাম্মদ রাগান্বিত হতে থাকেন আর তাদেরকে উদ্দেশ্য করে নানা রকম ভয় ভীতিকর আয়াত নাজিল করতে থাকেন। উদ্দেশ্য একটাই – তাদের মুখ বন্দ করা। মোহাম্মদ যে দোষে আর দশজন মানুষের মতই তা কিন্তু তিনি নিজেই স্বীকার করে গেছেন যেমন-
Salim, the freed slave of Nasriyyin, said: I heard Abu Huraira as saying that he heard Allah’s Messenger (may peace be upon him) as saying: O Allah, Muhammad is a human being. I lose my temper just as human beings lose temper, and I have held a covenant with Thee which Thou wouldst not break: For a believer whom I give any trouble or invoke curse or beat, make that an expiation (of his sins and a source of) his nearness to Thee on the Day of Resurrection. (Sahih Muslim, Book 032, Number 6293)
Abu Huraira reported Allah’s Apostle (may peace be upon him) as saying: O Allah, I make a covenant with Thee against which Thou wouldst never go. I am a human being and thus for a Muslim whom I give any harm or whom I scold or upon whom I invoke curse or whom I beat, make this a source of blessing, purification and nearness to Thee on the Day of Resurrection. (Sahih Muslim, Book 032, Number 6290)
Anas b. Malik reported that there was an orphan girl with Umm Sulaim (who was the mother of Anas). Allah’s Messenger (may peace be upon him) saw that orphan girl and said: O, it is you; you have grown young. May you not advance in years! That slave-girl returned to Umm Sulaim weeping. Umm Sulaim said: O daughter, what is the matter with you? She said: Allah’s Apostle (may peace be upon him) has invoked curse upon me that I should not grow in age and thus I would never grow in age, or she said, in my (length) of life. Umm Sulaim went out wrapping her head-dress hurriedly until she met Allah’s Messenger (may peace be upon him). He said to her: Umm Sulaim, what is the matter with you? She said: Allah’s Apostle, you invoked curse upon my orphan girl. He said: Umm Sulaim, what is that? She said: She (the orphan girl) states you have cursed her saying that she might not grow in age or grow in life. Allah’s Messenger (may peace be upon him) smiled and then said: Umm Sulaim, don’t you know that I have made this term with my Lord. And the term with my Lord is that I said to Him: I am a human being and I am pleased just as a human being is pleased and I lose temper just as a human being loses temper, so for any person from amongst my Ummah whom I curse and he in no way deserves it, let that, O Lord, be made a source of purification and purity and nearness to (Allah) on the Day of Resurrection. (Sahih Muslim, Book 032, Number 6297)
উক্ত গুণাগুনের অধিকারী হওয়ায় এটা বুঝতে কষ্ট হয় না যে যীশুই স্বয়ং ঈশ্বর- কোরান হাদিস অনুযায়ী। অর্থাৎ কোরান হাদিসের বিবরন অনুযায়ীই যীশুর সাথে মোহাম্মদের কোন তুলনাই হয় না। তাদের দুজনের একটা তুলনা দেয়া যায়-
১.যীশু কোন বিয়ে করেন নি, মোহাম্মদ ১৩ বিয়ে করা ছাড়াও বহু দাসীর সাথে সেক্স করেছেন, ৬ বছরের আয়শা ও নিজ পালিত পূত্রবধু জয়নাবকে পর্যন্ত বিয়ে করেছেন
২.যীশু মৃতকে জীবনদান সহ বহু অলৌকিক ঘটনা ঘটিয়েছেন, মোহাম্মদ তার কিছুই করেন নি
৩.যীশু ক্ষমতার জন্য যুদ্ধ করেন নি, মোহাম্মদ শুধু ক্ষমতাই নয় লুটের মাল পাওয়ার জন্য নিরাপরাধ জনপদ আক্রমন করে নির্বিচারে নরহত্যা করেছেন
৪. যীশুকে না মানলে বলেননি তাকে হত্যা করতে, মোহাম্মদকে না মানলে তাদেরকে আক্রমন করে হয় হত্যা না হয় জিজিয়া কর দিয়ে হীন করতে বলেছেন
৫.যীশু বলেছেন ক্ষমা করতে, মোহাম্মদ বলেছেন প্রতিশোধ নিতে
৬. যীশুর নিজের কথাই ছিল ঐশী বানী, মোহাম্মদের কাছে এক ফিরিস্তা বানী নিয়ে আসত
৭. যীশুর কাছে শয়তান ভিড়তে পারে নি, মোহাম্মদের কাছে শয়তান বানী দিয়ে গেছিল যা মোহাম্মদ বুঝতে পারেন নি
৮.যীশু ছিলেন নিষ্পাপ, মোহাম্মদ নিষ্পাপ ছিলেন না
৯. যীশুর বেঁচে থাকার জন্য গণিমতের মাল ও বন্দীনি নারী দরকার পড়েনি, মোহাম্মদের তা ব্যপকভাবে দরকার পড়েছে।
আর কত ???
সেখানে মোহাম্মদ কিভাবে সর্বশ্রেষ্ট মানব ও নবী হয় আর তার শিক্ষা কিভাবে সর্বশ্রেষ্ট শিক্ষা হয় ? এ যদি হয় বাস্তব অবস্থা তাহলে কার মর্যাদা বেশী , যীশুর নাকি মোহাম্মদের? শয়তান সবাইকেই স্পর্শ করেছে , একমাত্র করতে পারেনি মরিয়ম ও তার পূত্র যীশুকে। কেন? কারন শয়তানের ক্ষমতা নেই ঈশ্বরের গায়ে হাত দেয়ার। মরিয়ম ও কি তাহলে ঈশ্বর? না , তবে যেহেতু ঈশ্বর তার দেহ আশ্রয় করেই দুনিয়াতে আগমন করবে তাই তাকেও ঈশ্বর শয়তানের আওতা বহির্ভুত রেখেছে।।ঈশ্বর তো আর একজন শয়তান কর্তৃক দুষিত মানুষের দেহ কে আশ্রয় করে দুনিয়াতে আগমন করতে পারে না।আর ইঞ্জিল কিতাবে তো বলা হয়েছে-
আমি তোমাদের সত্যি সত্যি বলছি- ইব্রাহীম জন্মাবার আগে থেকেই আমি আছি।যোহন,৮:৫৮
আমি তাদেরকে অনন্ত জীবন দান করি, তাদের কখনো বিনাশ হবে , কেউ তাদেরকে আমার হাত থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।আমার পিতা যিনি তাদেরকে আমার হাতে দিয়েছেন, তিনি সকলের চেয়ে মহান, আর কেউ তাদেরকে আমার পিতার হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে পারে না, আমি ও আমার পিতা, এক । যোহন, ১০:২৮-৩০
উপরোক্ত বর্ণনায় কি বোঝা যায়? নিজেকে যীশু ঈশ্বরের পূত্র বলে পরিচয় দিলেও আসলে সে কে ? বর্তমানেও কিন্তু সাধারণ মানুষ যারা বিষয়ের গভীরতা বুঝতে ব্যর্থ তারা ঠিক একই ভাবে মোহাম্মদের মত ধারণা পোষণ করে থাকে। তাই মোহাম্মদের মত তারা খৃষ্টানদের ত্রিত্ববাদকে এ বলে অপব্যখ্যা করে যে এটা হলো তিন টা ঈশ্বর।অথচ ঈশ্বর তার গুণাগুণ দুনিয়ার মানুষের কাছে প্রকাশ করতে গেলে তার এ ধরণের বহু রূপ পরিগ্রহ করাটাই হতে পারে সবচাইতে যৌক্তিক ব্যখ্যা। এটা খৃষ্টানিটির সমস্যা নয়, যারা বিষয়টি অনুধাবন করার চেষ্টা করে নি তাদের সমস্যা। হিন্দু ধর্মের বিষয়টিও তাই , বাইরে থেকে স্থূল দৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে তারা বোধ হয় মূর্তি পুজো করছে কিন্তু গভীরে গিয়ে বোঝার চেষ্টা করলে দেখা যায় মোটেই সেটা তা নয়। খৃষ্টানরা তাদের গীর্জায় যীশুর ক্রুশবিদ্ধ মূর্তি গড়ে তার মধ্যে জীবন্ত ঈশ্বরের কল্পনা করে তার কাছে মাথা নত করে। হিন্দুরা তাদের ঈশ্বর বা দেব দেবীর মূর্তি গড়ে তার মধ্যে জীবন্ত ঈশ্বর বা দেব দেবীর কল্পনা করে তার সামনে মাথা নত করে।অর্থাৎ তারা কখনো মনে করে না যে কোন নিরেট জড় বস্তুর কাছে তারা মাথা নত করছে।
পক্ষান্তরে মুসলমানরা কাছ অথবা দুর থেকে স্রেফ কাবা ঘর ও তার মধ্যে অবস্থিত কাল পাথরের কাছেই শুধুমাত্র মাথা নত করে , কোনমতেই আল্লাহ বা ঈশ্বরের কাছে নয়, কারন তাদের আল্লাহ উক্ত কাবা ঘর বা কাল পাথরের মধ্যে নেই।
তফাত হলো – খৃষ্টান বা হিন্দুরা তাদের গীর্জা বা মন্দিরের মধ্যে তাদের যীশু বা দেব দেবীর মূর্তি গড়ে তার সামনে মাথা নত করে আর তা করতে দেখলে আপাত : দৃষ্টিতে মনে হয় যেন তারা জড় মূর্তির নিকট মাথা নত করছে, পক্ষান্তরে মুসলমানরা তাদের মসজিদে সবাই এক কাতারে দাড়িয়ে দুরে মক্কায় অবস্থিত কাবা নামক জড় ঘর ও তার মধ্যে অবস্থিত জড় কাল পাথরের প্রতি মাথা নত করে, তারা কল্পনা করে তাদের সামনে কাবা ও জড় পাথর অবস্থিত এবং আপাত : দৃষ্টিতে মনে হয় যে তারা তাদের আল্লাহর কাছে মাথা নত করছে, কোন জড় পদার্থের কাছে মাথা নত করছে না। ঠিক সেকারনেই মানুষ মুসলমানদের নামায পড়তে দেখলে বুঝতে পারে না আসলে তারা কার কাছে মাথা নত করছে। মুসলমানরা নিজেরাও বিশ্বাস করে তারা আল্লাহর কাছে মাথা নত করছে , কিন্তু আসলেই কি তারা তাদের আল্লাহর কাছে মাথা নত করছে ? বিষয়টা কি মুসলমানরা কখনো গভীর ভাবে ভেবে দেখেছে?
তাহলে প্রশ্ন হলো – কারা মূর্তি পূজো বা জড় বস্তুর পুজো করে ? মুসলমানরা নাকি অমুসলিমরা ? সত্য ধর্ম হওয়ার সম্ভাবনা কোন ধর্মের বেশী , যারা জীবন্ত ঈশ্বরের কল্পনা ( যেহেতু ঈশ্বর সর্বত্রই বিরাজমান) ক’রে তার সামনে মাথা নত করে তাদেরটা, নাকি যারা স্রেফ জড় পদার্থের কাছে মাথা নত করে তাদেরটা ? মানুষের আর কতদিন লাগবে সেটা বুঝতে ?
বি:দ্র: অনেকে মনে করতে পারে শুধুমাত্র ইসলামকে ভূয়া প্রমানের জন্যেই এ লেখা। আসলে তা নয়, ইসলাম অন্য ধর্মগুলোকে যে দোষে আক্রমন করে ,আর নিজেকে দোষমুক্ত দাবী করে , সেটা যে যথার্থ নয় বরং ইসলাম নিজেই যে ১০০% উক্ত দোষে দোষী সেটা বুঝানোর জন্যই অন্য ধর্মের কিছুটা বিস্তারিত ব্যখ্যা দেয়া হয়েছে। তফাত হলো অন্য ধর্মের পৌত্তলিকতার একটা ব্যখ্যা আছে, ইসলামের কোন ব্যখ্যাই নেই।
বাংলা কোরান
বাংলা কোরান
বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও মালিক মুয়াত্তার হাদিস
শুধুমাত্র বুখারী শরিফ
ইবনে কাথিরের বাংলা তাফসীর
বাংলা বাইবেল
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৭
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৬
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৫
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৪
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৩
মোহাম্মদ ও ইসলাম , পর্ব-১২
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১১
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-10
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-9
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-8
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-7
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-6
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-5
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-4
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-3
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-2
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-1
লিখাটি তে অসম্ভব ভুল ভাবে কোরআন এর বাংলা অর্থ লিখক ভুল ভাবে নিজের মন করা মতামত দিয়েছেন যেটা লিখকের লিখার মাধ্যমে প্রকাশমান। কোরআন এর আয়াত বুজতে হলে এর অর্থ ও সনে নুজুল, তফসীর এবং হাদিস সমূহ পড়তে হবে. তাই তো মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন তোমরা কোরআন এ বলেছেন অথচ আমরা কোরআন ভালো মতো অর্থ ও সনে নুজুল, তফসীর এবং হাদিস সমূহ ভালো মতো না পড়ার করো না নাস্তিকরা আমাদের কে আমাদের ধর্ম সম্পর্কে উল্টা পাল্ট কথা বলে আমাদেরকে ধর্ম হীন করার চেষ্টা করছে আর যারা তাদের কথায় ধর্ম হীন হচ্ছেন আমি তাদের উদ্দেশে বলবো কোরআন ও হাদিস বুছে পড়ুন ইন্শাল্লা আপনারা আপনাদের ভুল বুজতে পারবেন এবং আমি নাস্তিক দেড় উদ্দেশে বলতে চাই আপনি যদি মনে করেন ধর্মের অবমাননা করা যদি মুক্ত চিন্তা হয় তবে আমার ও আমার মুসলিম ভাইদের অধিকার আছে মুক্ত ভাবে ধর্ম পালন করা. আর আপনারা ধর্মের অবমাননা কখনো মুক্ত চিন্তা হতে পারে না এটা শুধু মাত্র মানুষের বিশ্বাস কে অপমান করা আর সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ কখনো এই ধরণের মুক্ত চিন্তা চাইবেনা।
ভবঘুরে ভাই, পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি অনেকদিন ধরে। আশাকরি তাড়াতাড়িই পেয়ে যাব।
আরেকটা টাইম বোম যথারীতি। অসাধারণ ।:guru: :guru:
আচ্ছা ইসলামে গান-বাজনা নিষিদ্ধ মূলক হাদিস বা আয়াত আদৌ আছে কি?? থাকলে কিছু শক্ত প্রমাণ দিয়েন ।
@অগ্নি,
ইসলামে গান বাজনা সম্পর্কে দেখতে পারেন এখানে
প্রবন্ধের নাম “ইসলাম ও সঙ্গীত” মুক্তমনা ই বুক “ইসলাম ও শারীয়া” পৃষ্ঠা-৫৭।
লেখক:
হাসান মাহমুদ।
সম্প্রতি শারীয়ার নামে এক প্রতিবন্দী পাকিস্তানী কিশোরীর উপর নির্যাতন সম্পর্কে লেখক হাসান মাহমুদের সংগে “ভয়েস অফ আমেরিকা” এর বাংলা বিভাগের সংগে একটি AUDIO সাক্ষাৎকার ও শুনতে পারেন এখানে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ধন্যবাদ। 🙂
@অগ্নি,
হাসান সাহেব তো জাকির নায়েকের চেয়ে কম মনে হল না (আমার ভুল ও হতে পারে)।
উনি নারী প্রহারে ব্যাপারে সুরা নিসার অনুবাদ সরাসরি ভুল অনুবাদ বলে ছুড়ে ফেলেছেন। :-s ৬৩
যেসব হাদীস ইসলামের বিপরীতে গিয়েছে তিনি এগুলোকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। পৃঃ ৬০
অথচ সঙ্গীতের ব্যাপারে নেট ঘেটে এরকম তথ্য পেলাম… ঠিক কি না জানি না।
@অগ্নি,
ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা অনুষ্ঠানে জানুয়ারী ১৮ ২০০৬ এ জামাতের সিনিয়র আমীর কামরুজ্জামান (বর্তমানে আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারাধীনে আটক আছেন) এর সংগে হাসান মাহমুদের একটি আকর্ষনীয় বিতর্ক হয়।
ওটা শুনতে পারেন এখানে।
প্রীয় পাঠক বর্গ,
আজ সকাল ৭:৩০ এর বিবিসি বাংলার খবরটা এখানে শুনে দেখতে পারেন।
লিবিয়ার মত একটি ইসলামিক দেশের রজধানী ত্রীপলীতে আল্লাহর ঘর “মসজিদ” বূল ড্রেজার
দিয়ে গুড়িয়ে দিচ্ছে কোন ঈহুদী নাছারাদের বাহিনী নয় বরং স্বয়ং নবীর খাটি উম্মত বলে দাবীদার “ছালাফী’ গ্রুপ।
আর যাদের মসজিদ তারাও নবীর খাটি উম্মতের দাবীদার ‘ছুফী” গ্রুপ।
তাহলে একই আল্লাহর দেওয়া ধর্মে কত প্রকারের সংঘাতময়ী গ্রুপ থাকতে পারে?
তাহলে নীচের হাদিছটা একটু লক্ষ করুন। নবী নিজেই ঘোষনা দিয়েছেন তারই অনুসারীরা অচীরেই ৭৩ দলে বিভক্ত হয়ে যাবে।
এই নিন তরজমা ও ব্যখ্যাসহ-
উপযুক্ত জবাব হইছে… ইসলাম ধর্মের অনেক ভুল ও অনেক কুসংস্কার আছে যে গুলা বন্ধ করা উচিত। মোহাম্মাদ নিজেকে যে কি মনে করতেন!! :lotpot:
@ভবঘুরে,
হা,হা,হা, একেবারে খাটি কথা বলেছেন,ভাইজান। আপনার প্রবন্ধ গুলী দ্বারা একটু আলোকিত না হতে পারলে মরুভূমির পাথর চেটে চেটে পাপ মোচন করানো ছাড়া আর কোনই উপায় ছিলনা। রক্ষা!!
আর হ্যা,
নিম্নোক্ত হাদিছ দুইটির লিংক দিতে পারেন? আমি তিরমিজীর এই (http://www.inter-islam.org/hadeeth/stmenu.htm)লিংকটা খুজে ঐ নাম্বারের(৮৭৭ ও ৯৫৯) কোন হাদিছ পাইলামনা।
নাকি এটা বোখারীর কোথাও আছে?
এখানে নবীর হাদিছ দুইটি কোরানের একত্ববাদের সাক্ষাৎ পারিপন্থি হয়েছে। আমার সঠিক রেফারেন্স এজন্য দরকার হয় কারন কখনো কখনো কারো কারো সংগে হাদিছ আলোচনায় অংশ গ্রহণ করতে হয় এবং নিশ্চিত রেফারেন্স কাছে না থাকলে মনে জোর থাকেনা।
এবং তাহলে তাদের আটকাতেও পারবনা।
আর এসব আমাদের দ্বারা তো কোনদিন খুজে খুজে বের করা ও সম্ভব নয়।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
হাদিস খুজে বার করা অত সোজা না বলেই তো ইসলামি পন্ডিতরা নিজেদের মত হাদিস বানিয়ে বানিয়ে বলে মানুষকে ধোকা দেয়। আর আপনি যদি এমন কোন হাদিস বার করেন যা পড়লে মনে হয় স্ববিরোধী তারা সাথে সাথে বলবে সেটা জইফ হাদিস অথবা আপনি তার অর্থ বুঝতে পারেন নি। এরা এতটাই ধান্ধাবাজ ও ধুরন্ধর। যাহোক উপরের হাদিস দুটি পাওয়া গেছে। ইসলামি বইএর একটা সাইট আছে এখানে -http://islamiboi.wordpress.com/al-hadith/ এখানে গেলে সব রকম হাদিসের বাংলা সংকলন পাওয়া যাবে, তিরমিজি হাদিসের মোট ৪টি খন্ড আছে, আপনি ২য় খন্ডেই পেয়ে যাবেন। আর যদি কখনো কাল পাথর চুমাচাটি করে পাপ মোচন করতে মক্কাতে যান, দয়া করে এ পাপী বান্দার জন্যে একটু খাস দিলে দোয়া করবেন।
@ভবঘুরে,
হ্যা ভইজান,
হাদিছ টা ঠিকই ওখানে পেয়েছি। অনেক ধন্যবাদ। ওখানে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে এটা আরো কয়েক যায়গায় বর্ণিত আছে এবং এটা একটা ছহীহ বা সঠিক হাদিছ। এটা আমি SAVE করে রাখছি কখনো কখনো আমার বিশেষ বিশেষ কাজে লাগতে পারে।
আর আমাকে মক্কায় গিয়ে পাথর পূজা করে আপনার জন্য দোয়া করার দরকার হইবেনা ইনসা আল্লাহ।
আপনি আমাদেরকে যে ভাবে নবীর কোরান হাদিছ শিক্ষা দিয়ে পূন্য অর্জন করতেছেন তার বদৌলতে মাশা আল্লাহ কেয়ামতের দিন বিদ্যুতের গতিতে পুলসিরাত পার হয়ে একেবারে জান্নাতুল ফেরদৌছে পৌছে যাবেন। তাতে সন্দেহ নাই। এতে মনে কোনই দুর্বলতা রাখার প্রয়োজন নাই।
কারন আপনি তো আল্লাহর বান্দাদেরকে গভীর অন্ধকার হতে আলোকের দিকে লয়ে আসতেছেন। আর আল্লাহ পাকের ও সেইটাই কাম্য। কেহ মানুষের অজ্ঞানতা ও বর্বরতার দুর্বলতার সুযোগ গ্রহন করে কিছু আজগুবী, অবৈজ্ঞানিক, অযৌক্তিক,পরশ্পর সাংঘর্ষিক কল্পকাহিনী শুনিয়ে ধর্ম প্রবর্তকের দাবীদার হলেই অমনি হয়ে গেল নাকী?
আল্লাহ পাক তাহলে মানব মশ্তিস্ক টা কী জ্ন্য দিয়েছেন?
আল্লাহ পাক কী তাহলে মানব মস্তিস্কের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন নাকী?
বরং আল্লাহ পাক কেয়ামতের দিনে এই সব ধোকাবাজ দেরই দোজখের ভিতর ঢুকিয়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে আটকিয়ে দিবেন।
এরা তো আমাদের চোখের সামনেই এখনো অশংখ্য ধোকা দিচ্ছে। তার অজস্র প্রমান রয়েছে।
আল্লাহ কখনো অবিচার করেন না,মনে রাখবেন। মনে কোনই দুর্বলতা আনার প্রয়োজন নাই।
আল্লাহ পাক বরং আমাদেরই সহায় এবং পক্ষে। তাদের নয়। এটা এক রকম নিশ্চিত।
আর হ্যাঁ, প্রায় ভূলেই গিয়েছিলাম। ঐযে,
পাথরটি বেহেশত হতে নীচে নামাবার সময় দুধের মত সাদা ছিল- এটাকী নবী নীজ চোখে দেখেছিলেন নাকী? নাকি জিব্রাঈলের দ্বারা কোরানের কোন আয়াৎ অবতীর্ন করে জানিয়ে দিয়েছিলেন? কোরানের এমন কোন আয়াৎ কী দেখাতে পারবেন? তাহলে দেখান?
নবী তো নিজেই কোরানে বলেছেন”তিনি আমাদের মতই একজন সাধারন মানুষ শুধু পর্থক্য এই যে তার উপর অহি অবতীর্ণ হয়।
যদি তার উপর এ ব্যাপারটির কোন অহী অবতীর্ণ না হয়ে থাকে তা হলে তিনি আমাদের মত একজন সাধারণ মানুষ হয়ে কী করে এটা দেখতে পেলেন যে পাথর বেহেশত হতে ঠিক নামিয়ে দেওয়ার সময়ে এটা দুধের মত সাদা ধবধবে ছিল?
নবী যখন এটা জানেন তাহলে নবীর এটাও অবশ্যই জানা থাকার কথা এটা কত বৎসর আগে বেহশত হতে মক্কায় নামানো হয়েছিল।
এ সময়টা তাহলে নবী কোথাও কেন উল্লেখ করলেননা? তিনি তো আর যেমন তেমন নবী নন,তিনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ.সরবশেষ এবং বিশ্বনবী।
তার প্রতিটা বাক্যই তো যূক্তিপূর্ণ ও পরিপূর্ণ হতে হবে।
এটাও তাহলে একটু ব্যখ্যা করুন।
,
প্রীয় পাঠকেরা,
গত কাল এখানে নোয়খালীর কিছু পাকা ইমানদার হাজী সাহেবদের সংগে তাদের কালো পাথর ও কাবা ঘর সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা জানতে চাচ্ছিলাম। এদের একজন ইউনিভার্ছিটি হতে বিজ্ঞানে ডিগ্রী ধারী এবং ছউদী তে দীর্ঘ কাল বসবাস করার পর এখানে এসেছেন।
তারা আমাকে অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে পাথর ও কবা ঘর সম্পর্কে নিম্নোক্ত বক্তব্য প্রদান করিলেন।
“পাথর টার আকৃতি টা হাত দ্বারা দেখাইলেন। এটা গেলাব দিয়ে ঢেকে রাখা। শুধু মাত্র উপরের একটি অংস ফাকা রাখা হয়েছে যেখানে শুধু মাত্র হজের সময়েই নয়.বরং সারাটি বৎসর ই বিভিন্ন দেশের ইমান্দার বান্দা গন এসে এসে সারা জীবনের পাপ মোচনের জন্যে জিহ্বা লাগিয়ে লাগিয়ে চেটে চেটে ঐ জায়গাটিতে গর্তের সৃষ্টি করে ফেলেছে।
আর এক কালের এই আল্লাহর কুদরতী দুধের মত সাদা পাথরটি একই সংগে পাথরে চোষন কারীদের পাপ ও নীজে গ্রহন করতে করতে কাল বর্ণের রুপ ধারন করেছে।
এখানে বেশীর ভাগ ইমান্দার বান্দাগন আসেন সমান ভাবে আফ্রিকান পুরুষ ও মহিলারা।
তাদের সংগে ভীড়ের মধ্যে সামনে এগুতে গায়ের জোরে অন্য সবাইরা হেরে যায়।
আর কাবা ঘর তাওয়াফ বা প্রদক্ষিন ও শুধু হজের সময়ের জন্যই সীমাবদ্ধ নয়। পাপ মোচনের জন্যও এটা বৎসরের ৩৬৫ দিন ২৪ ঘন্টা ব্যাপী চলতেছে।
আর সেখানে গেলে মনের যে কী একটা অভূতপূর্ব অবস্থা হয়,তা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না।”(বক্তব্য শেষ)
এখানে আমার ব্যক্তিগত মতামত ধর্মের দিক দিয়ে এটা এক ধরনের আল্লাহর সংগে পাথরের শেরেকী বা অংশীদারত্ব করা হল, যা স্বয়ং আল্লাহই বহু যায়গায় কোরানে নিষেধ করেছেন।
যেমনটা এখানেই খুব সুন্দর ভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে। যা আমী নীচে পুনরায় কপি করিলাম।
এ ধরনের কাজ কাম বা প্রথা ধর্মীয় মূল নীতি কেও ভেঙ্গে চুরমার করে দেয় ও মূলনীতির একটির সংগে অপরটি মারাত্মক রকমের সাংঘর্ষিক হয়।
আর তাছাড়া আর যেটা তাৎক্ষনিক মারাত্মক ব্যাপার হয়ে দাড়ায় তা হল একজনের জিহ্বিা দ্বারা চোষা বস্তু আর একজনে চুষিলে,এইডছ সহ বহু রকমের মারাত্মক মারাত্মক ভইরাল ব্যাধি সংক্রমন হইতে পারে। এটা যে কেহই জানে।
তা হলে এর সংঘের সাক্ষাৎ সাংঘর্ষিক আয়াৎ গুলী দেখুন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এত কোরান হাদিস চর্চা করার পরেও ভাইজানের জ্ঞান বিকাশ বিশেষ হয়েছে বলে দেখা যায় না যা দু:খজনক। কাল পাথর তো আর যেন তেন পাথর না, এটা একেবারে বেহেশতী পাথর, কুদরতের আধার। এ পাথর চাটাচাটি করলে এইডস রোগ কমনে হবে? বরং কারও এ্ইডস রোগ থাকলে তা সেরে যাওয়ার কথা। এ পাথরের সাথে এইডস রোগের ভাইরাস স্পর্শ করা মাত্রই তো তা মরে ভুত হয়ে যাবে পাথরের কুদরতী গুণের কারনে, তাই না ? তাই বলি কি ভাইজান, সময় থাকতে আপনিও একবার ঘুরে আসুন মক্কা মদিনায় , কাল পাথরটাকে মনের সাধ মিটিয়ে চাটা চাটি করে আসুন আর সমস্ত রকম পাপ তো বটেই রোগ ব্যধিও দুর করে আসুন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
মূর্খ গুলোকে আর কিই বা বলার আছে।
@আফসোস,
ভাই/বোন কাকে কাকে আপনার মূর্খ্য মনে হল? এবং সঠিক কি কারনে?আমি মুক্তমনায় যতদিন থেকে ঘোরা ঘুরি করি তখন থেকেই ভবঘুরে ও হাকীম চাকলাদেরকে হাসি ঠাট্টার সাথে যৌক্তিক আলোচনা চালাতে দেখেছি।তাদের কাউকেই আমি প্রমান দস্তাবেজ ছাড়া কোন দাবী করতে দেখিনি। ওনাদের বালখিল্যসূলভ আলোচনার ভেতরের একটি লাইন যা কিনা মূল আলোচনার বিষয় বস্তুই নয় , তা নিয়ে তাদের মূর্খ্য বলার কোন অধিকার কি আপনি সংরক্ষন করেন?আপনি যদি মনে করেন মূল প্রবন্ধে কোন মারাত্তক অসংগতি বিদ্যমান, যৌক্তিক বিরোধিতা করুন । আমি নিশ্চিৎ এদের দুজনেরই ক্ষমতা আছে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার।
@ছন্নছাড়া,
আ. হাকিম চাকলাদারের এই কথার জবাবে আমি উপরের কথা বলেছি। আ. হাকিম চাকলাদার বলেন আর ভবঘুরে বলেন, কে কতটুকু জ্ঞানী আমি ঠিক জানিনা তবে উনারা নিজের ইচ্ছামত কোরআন হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা দিতেছেন।
জনাব, ভবঘুরে একটা সমীকরণ দিয়েছেন যা শিক্ষিত সমাজ গ্রহন করার মতো নয়। উনার সমীকরণের অনুরুপ আমিও একটা সমীকরণ দিয়েছি। দেখুন উপরের মন্তব্যে আমার সমীকরণে কোন ভুল আছে কিনা।
@আফসোস,
মুক্ত মনায় স্বাগতম স্বাগতম ………… (W) , আপনাকে পেয়ে আমরা সবাই ধন্য।
হে “মহা ঞ্জানি”, আপনে কষ্ট করে হাদিস গুলার সঠিক ব্যাখ্যা দিয়া যাবেন। এই পর্যন্ত মুক্ত মনায় যে সকল ব্যাক্তিরা(কোরানে হাফেজ) এসে ছিল তারা লজ্জায় মাথা নত করে চলে গেছে। তারা আপনার মত একই কথা বলছে কিন্তু কোন ভাল সমাধান দিতে পারে নাই, কুকুরের মত লেজ গুটাইয়া পালিয়ে গেছে।
আর আপনে এইচআইভি ভাইরাস নিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে কিন্তু মুক্ত মনার কারোরই বুজতে বাকি নাই আপনার ঞ্জানের লেভেল সম্পর্কে(খালি কলসি বাজে বেশি)…….. উনি বুজাইতে চাইল কি আর আপনে বুজলেন কি? :lotpot:
কথা নাই বার্তা নাই হঠ্যাৎ এক যুগ পড়ে দৌড় দিয়া আইসা এমন এক টা মন্তব্য দিলেন, মুক্ত মনার সকলে টেনশানে পড়ে গেছেন। :rotfl:
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?(৫৪ নাম্বার সুরা (১৭,২২,৩২,৪০) নাম্বার আয়াত)। তাই আর কি উনিও সহজ সরল ভাষায় সমীকরণ দেন, ঠিক উপরের সূরা অনুযায়ী। তা উনি কোরান হাদিস মেনেই সমীকরণ টি দিয়েছেন।তাই শিক্ষিত সমাজের মানতে আপত্তি থাকলেও কিছু করার নাই।
এই সমীকরণ দিয়ে আপনি আপনার ঞ্জানের লেভেল কে প্রশ্ন বিদ্ধ করেছেন। 😛
ভাল থাকবেন। (F)
@NETWORK,
জনাব আপনার লেখা দেখে মনে হচ্ছে না বুঝে আন্দাজি কথা বলাই আপনার স্বভাব। আপনি আমার মন্তব্য পড়ে যৌক্তিক মতামত দিন। অযৌক্তিক কথা বলা জায়গা মুক্তমনা না (এটা আপনারাই বলেন)।
আমি ঠিকই বুঝছি । বুঝেননাই আপনি :lotpot: । আপনি না বুঝলেও আ.হাকিম চাকলাদার ঠিকই বুঝেছে। তার কমেন্ট আপনি দেখুন। :guli: আপনারা মুসলমানদের ধর্মান্ধ বলেন । আমি দেখছি আপনারা সবাই ভবঘুরান্ধ। ভবঘুরে যা বলে বিচার বিশ্লেষণ ছাড়াই টপাটপি গিলে ফেলেন। আমরা সত্যের জন্য অন্ধ। আর আপনারা মিথ্যার জন্য অন্ধ।
@আফসোস,
কি পরিমাণ আপনারা সত্যের জন্য অন্ধ তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। নেগেটিভ এর মধ্যে পজেটিভ খুজে বের করে আনেন, আর হাউ মাউ করেন। শান্তির ধর্ম ইসলাম, অথচ যা শান্তি দেখাইছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।কোরান হাদিস এর মধ্যে কত অশান্তির আয়াত বিদ্যমান, যারা বোমা বাজি করে, তারা না কি কোরান হাদিস মতেই করেন। অথচ এই অশান্তির আয়াত গুলা কোন আয়াত দ্বারা বাতিল ও করে নাই।আবার বলে “আমরা সত্যের জন্য অন্ধ” ।
অন্য কোন ধর্ম গ্রন্থ পরতে প্রেক্ষাপট দরকার পরে না, এক মাত্র আমাদের এই কোরান পরতে প্রেক্ষাপট দরকার পড়ে ।আল্লাহ তো সব জানতেন তাহলে উনার এত প্রেক্ষাপটের দরকার কি?
আপনার আল্লা তো মানুষের চাইতেও কম নিখুদ।
@আফসোস,
হ্যাঁ. আপনিই সঠিক। আমি দুখিত। মুখের লালা দ্বারা HIV ভাইরাছ সংক্রমন হয়না।
তবে আপনি ব্যক্তিগত আমার ভূলের জন্য ” মূর্খ গুলোকে ”
বলতে আর কার কার কী কী ত্রুটি পেলেন একটু বলবেন?
আপনি ভব ঘুরের সমীকরনে মন্তব্য করেছেন। ভব ঘুরে আল্লাহ ও নবী কে সমীকরন দ্বারা সমান সমান দেখিয়েছেন। তার আর কীই বা দোষ ?
কোরানের বাক্য গুলীর মধ্যেও তো আল্লাহর বাক্য এবং নবীর বাক্য একত্রে মিশ্রিত হয়ে গেছে।
সেখানেই তো প্রমাণ হয়ে যায় যে আল্লাহ এবং নবী একই স্বত্বা। দুইটা ভিন্ন কোন ব্যক্তি বা স্বত্তা নয়।
তাহলে আপনি কি নিজ চোখে এটা দেখতে চান? তাহলে নীচের আয়াৎ ২ টা একটু লক্ষ করুন?
৩ নং ছুরা আল ইমরান ১৯৩-১৯৪ আয়াৎ।
এখানে “হে আমাদের পালনকর্তা” কে কাকে বলতেছে?
আপনি কি তাহলে এটা বিশ্বাষ করেন যে স্বয়ং আল্লাহ নবীকে আল্লাহর পালন কর্তা বলে সম্বোধন করতেছেন ? নাউজু বিল্লাহ
এটা বিশ্বাষ করলে তো তাহলে আপনি কাফের হয়ে গেলেন।
আর যদি বলেন এটা নবীর নিজস্ব উক্তি, তাহলেও আপনি কোরানকে আল্লাহর বানী বলে অবিশ্বাষ করলেন,তাতে ও আপনি কাফের হয়ে গেলেন।নাউজু বিল্লাহ
এখন তাহলে আপনি কোনটা বেছে নিতে চান? অনতঃ দুইটার একটা তো আপনাকে মেনে নিতে হবে? বলুন? নাকী দুইটাই মেনে নিবেন?
৩ নং ছুরা আল ইমরান ১৯৩-১৯৪ আয়াৎ।
رَّبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلإِيمَانِ أَنْ آمِنُواْ بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الأبْرَارِ
193
হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিশ্চিতরূপে শুনেছি একজন আহবানকারীকে ঈমানের প্রতি আহবান করতে যে, তোমাদের পালনকর্তার প্রতি ঈমান আন; তাই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! অতঃপর আমাদের সকল গোনাহ মাফ কর এবং আমাদের সকল দোষত্রুটি দুর করে দাও, আর আমাদের মৃত্যু দাও নেক লোকদের সাথে।
رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدتَّنَا عَلَى رُسُلِكَ وَلاَ تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّكَ لاَ تُخْلِفُ الْمِيعَادَ
194
হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে দাও, যা তুমি ওয়াদা করেছ তোমার রসূলগণের মাধ্যমে এবং কিয়ামতের দিন আমাদিগকে তুমি অপমানিত করো না। নিশ্চয় তুমি ওয়াদা খেলাফ করো না।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
জনাব এটা আপনার ভুল ধারনা। কোরআনের প্রতি বিদ্বেশ বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ মন নিয়ে দেখুন। আপনি যে আয়াত গুলো দেখিয়েছেন এগুলোর শুরু সূরা আল-ইমরানের ১৯০ আয়াত থেকে শুরু হয়েছে।
নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধ সম্পন্ন লোকদের জন্যে। এ আয়াতে আল্লাহ বোধ সম্পন্ন লোকদের কথা বলেছেন।
এর পরের আয়াতে আল্লাহ বোধ সম্পন্নলোকদের পরিচয় দিয়েছেন।
যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষযে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।
এবার নিচের আয়াত গুলোতে আল্লাহ উপরোক্তলোকদের মনের চহিদার কথা অর্থাৎ দোয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয় তুমি যাকে দোযখে নিক্ষেপ করলে তাকে সবসময়ে অপমানিত করলে; আর জালেমদের জন্যে তো সাহায্যকারী নেই।
হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিশ্চিতরূপে শুনেছি একজন আহবানকারীকে ঈমানের প্রতি আহবান করতে যে, তোমাদের পালনকর্তার প্রতি ঈমান আন; তাই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! অতঃপর আমাদের সকল গোনাহ মাফ কর এবং আমাদের সকল দোষত্রুটি দুর করে দাও, আর আমাদের মৃত্যু দাও নেক লোকদের সাথে।
হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে দাও, যা তুমি ওয়াদা করেছ তোমার রসূলগণের মাধ্যমে এবং কিয়ামতের দিন আমাদিগকে তুমি অপমানিত করো না। নিশ্চয় তুমি ওয়াদা খেলাফ করো না।
এরপরের আয়াতে অর্থাৎ ১৯৫ নং আয়াতে বান্দাদের দোয়া কবুলের কথা বলেছেনঃ
অতঃপর তাদের পালনকর্তা তাদের দোয়া (এই বলে) কবুল করে নিলেন যে, আমি তোমাদের কোন পরিশ্রমকারীর পরিশ্রমই বিনষ্ট করি না, তা সে পুরুষ হোক কিংবা স্ত্রীলোক। তোমরা পরস্পর এক। তারপর সে সমস্ত লোক যারা হিজরত করেছে, তাদেরকে নিজেদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের প্রতি উৎপীড়ন করা হয়েছে আমার পথে এবং যারা লড়াই করেছে ও মৃত্যুবরণ করেছে, অবশ্যই আমি তাদের উপর থেকে অকল্যাণকে অপসারিত করব। এবং তাদেরকে প্রবিষ্ট করব জান্নাতে যার তলদেশে নহর সমূহ প্রবাহিত। এই হলো বিনিময় আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর আল্লাহর নিকট রয়েছে উত্তম বিনিময়।
এখানে আল্লাহ আর রাসূলের কথা মিশ্রিত হয়েছে কোথায় দেখলেন। আবারও বলছি জনাব বিদ্বেশ ত্যাগ করে নিরপেক্ষভাবে , ভুল ধরার উদ্দেশ্যে নয় জানার উদ্দ্যেশ্যে কোরআন পড়ুন । দেখবেন কোরআনের মধ্যে আপনি কোন ভুলই খুজে পাবেন না। শুভকামনা রইলো 🙂
@ মডারেটর,
আমিও একই অসুবিধায় ভুগছি।
মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি,
আগে মন্তব্যের কেউ কোনো জবাব দিলে তা ইমেইল এ চলে আসতো। সেখানেই মন্তব্য পড়া যেতো এবং সেখান থেকে ক্লিক করে সোজা মন্তব্যে চলে এসে উত্তর দেয়া যেতো। এতে অনেক সুবিধার পাশাপশি যে সুবিধা হতো তা হলো, যার মন্তব্যের উত্তর দেয়া হতো সে অবশ্যই উত্তরটা পেতো।
কিন্তু কিছু দিন হলো মন্তব্যের কোনো জবাব ইমেইলে আসছে না। এতে জানতে পারছি না কে কে জবাব দিচ্ছে। ফলে মন্তব্যের উত্তরও ঠিক মতো দিতে পারছি না। আরও অনিশ্চয়তায় ভুগছি এটা ভেবে যে, এরকম যদি সবারই হয় তাহলে আমিও যার মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছি সে ও তো ঠিক মতো তা পাচ্ছে না।
শরীয়তের নির্দেশ অনুসারে বাংলাদেশের মত দরিদ্র দেশ বাসীর উপর হজ্জ ফরজ হয়না।
শরীয়তে বলা হয়েছে তারই উপর হজ ফরজ যে হজে আসতে সক্ষম।
এই “সক্ষম” কথাটির অর্থ কী?
কেহ যদি দেনা থাকে, অথবা হজে যাতায়াত খরচা বাবদ নিজে অথবা তার জন্য অন্যকে দেনাদার হতে হয়,অথবা তার যাতায়াত খরচার বোঝাটা সরাসরি অথবা পরোক্ষ ভাবে অন্যের উপরে বর্তায়, আবার পরে আবার যদি সেইটা বর্তায় নিতান্ত দরিদ্রদের উপর-
তাহলে সেক্ষেত্রে হজ করাটা শরিয়তের নির্দেশ অনুসারে”ফরজ” হয়না বরং হয় চরম অপরাধ।
নবী কখনই বলে যান যান নাই “তোমরা অন্যের কাধে ভর করে হলেও এখানে হজ করতে চলে এস”
কেহ কী এমন একটি হাদিছ ও দেখাইতে পারিবেন? তাহলে দেখান ?
যখন ধনাড্য ব্যক্তিরা হজে যাইতে চান তখন তারা প্লেনের টিকেট বাবদ সামান্য কিছু টিকেটের খরচা বাবদ টাকা প্রদান করেন। তারা যে টাকা প্রদান করেন তার চাইতে বহুগুন বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে সরকারকে হজ যাত্রীদের জন্য বিশেষ ভাব বিমান ভাড়া করতে হয়।
এবার তাহলে বলুন, এই বিপুল পরিমান অতিরিক্ত টাকাটা হাজী সহেবের পকেট থেকে ব্যয় হল নাকী নিতান্ত হতভাগ্য দরিদ্র জন সাধারনের পকেট থেকে ব্যয় হল?
সরকার রাজকোষ থেকে টাকাটা ব্যয় করে।
এই রাজ কোষের টাকাটা কখনোই হজ যাত্রীদের পকেট হইতে ব্যয় করতেছেন না, বরং সরকার রাজ কোষ বাংলা দেশের মত দরিতম দেশের জনসাধারনের সম্পদ ব্যয় করতেছেন।
আর এই সব জন সাধারন তদের জীবন ধারনের ন্যূন তম বস্তু গুলীও হতে বঞ্চিত হচ্ছেন।
নবী কোন দিন ও এভাবে দরিদ্রদের কাঁধে চড়ে ধনীদের হজ করতে যাইতে বলেন নাই।
এটা মারাত্মক অপরাধ ও।
বরং নবী ধনীদের কে আরো বেশী করে দরিদ্রদেরকে দান করতে বলেছেন।
একমাত্র সেই সব হজ যাত্রীরা হজে যাইতে শরীয়ত অনুসারে “সক্ষম” যারা তাদের সম্পূর্ণ হজ যাতায়াতের খরচাটি নিজ পকেট হইতে বহন করিতে সক্ষম। সরকারী কোষাগারের টাকা ব্যয় করে নয়।
অন্যথায় অন্যের উপর, তারপর আবার দরিদ্রদের উপর নির্ভর করিয়া কখনই হজ যাতায়াতে “সক্ষম” হওয়া যায়না।
কেহ পারলে একটি হদিছ বা কোরানের আয়াৎ দেখাননা নবী এভাবে জনগনের সম্পদ ব্যয় করে হজ করতে বলেছেন কিনা?
এই সব হাজী সাহেবদের কী কেয়ামতের দিন আল্লাহ পাক জিজ্ঞাসা করবেননা,”তোমাদেকে কে গরীবের হক নষ্ট করতে বলেছে”?
কাজেই ইমান্দর বান্দাগন সাবধান!!!
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ইসলামতো বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেয়নি যে, দেশের জনগনকে কম খরচে হজ্জ করাতে। এটা সরকারের পন্ডিতি। এজন্য বাংলাদেশ সরকার দায়ী। ইসলামের কি দোষ। ইসলাম সবাইকে ব্যক্তিগত ভাবে বলেছে। সম্পদথাকলে যাকাত দিবা জীবনে একবার হজ্জ করবা।
@আফসোস,
আমাদের মত দরিদ্র দেশের সরকার তো মোটা অংকের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে হজ যাত্রীদের জন্য জনগণের সরকারী কোষাগার হতে ধনাড্য হাজীদের জন্য বিশেস প্লেন ভাড়া করে হজ্জের ফরজ আদায় করান একমাত্র জনগনের সমর্থন পাওয়ার আসায়।
এভাবে দরিদ্রদের কাধে চড়ে হজ ফরজ হয়না। বরং হয় চরম অপরাধ, কারন কোরান হাদিছেও এভাবে দরিদ্রদের উপর ভর করে মুসলমানদের কখনই হজে যাইতে বলে নাই।
হজের জন্য “সক্ষম” হওয়া যায় তখনি যখন যাতায়াতের সম্পূর্ণ খরচা টা নিজ পকেট হতে ব ব্যয় করার সক্ষমতা আসে, অন্যের টাকা ব্যয় করে নয়।
ঐ টাকাটা দিয়ে বাংলা দেশে একটা রাস্তার মেরামত করে দিলেও তো অন্তত কিছু সংখক দরিদ্র জনগনের বেচে থাকার একটা উপায় হতে পারে।
আমাদের দেশে ইছলামিক স্কলার রা কি নাই? তারা কি এই সত্যটা প্রকাশ করতে ভয় পান?
অথচ কোরানে ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি করতে ও নিষেধ করা হয়েছে।
আপনি এব্যাপারে এখানে কিছুটা পড়ে দেখতে পারেন–
মুক্ত মনা ই বুক
বইয়ের নাম-ইসলাম ও শারিয়া
লেখক-হাসান মাহমুদ
অধ্যায়ের নাম-লাব্বায়েক
পৃষ্ঠা-১৮৩
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
সত্যিই চমৱকার! এর যুক্তি খন্ডনে নায়েক ভাইও ব্যার্থ্য হবে বলে আমার ধারণা। লেখককে সেলাম!
আসলে দু:খের ব্যাপার মুসলমানেরা যুক্তি মানেনা বোঝেনা। অন্ধত্বকেই বিশ্বাস করে আর পরধর্ম নিন্দাতে সোয়াব আছে বলে ভাল কাজ না করে সোয়াব প্রাপ্তির সহজ উপায় (পরধর্ম নিন্দা) কেই বেছে নিয়েছে।
জানিনা আপনি কোন বাঙলার লেখক। তবে বাঙলাদেশে এমন লেখা কোথাও প্রকাশ হলে আপনার মস্তকের মূল্য হতো কোটি টাকা। তাই এদেশে দর্শন চর্চা করা ও প্রকাশ করা চরমমূল্যের ব্যপার!
প্রতিটি ধর্মেই গোরামি আছে। কেউ বলতে পারবে না এ ধর্মই সেরা আর এ ধর্ম গ্রন্থউ পৃথিবীর সেরা গ্রন্থ। আর এই মানুষই প্রথিবীর সেরা মানুষ! তারপরও এক শ্রেণী জোড় করে, চরম নির্বোধের পরিচয় দেয়। ওরা যেন এটি পড়ে ও অনুভব করে।
ধন্যবাদ
@প্রনব প্রয়াস,
আপনার ধারনা? আমি জোকার নায়েকের বহু লেকচার শুনেছি আর তাই জানি জোকার নায়েক যুক্তির চেয়ে মিথ্যাচারকেই বেশী প্রাধান্য দেয়।মিথ্যা কথাকে কি কৌশলে মানুষকে গেলানো যায় সে আর্ট তার ভালই জানা। লোকটা জানে সাধারন মানুষ কোরান হাদিস বা কোন শাস্ত্রই চর্চা করে না। তাই আগডুম বাগডুম বিভিন্ন কিতাব থেকে হুড় হুড় করে কিছু রেফারেন্স দিয়ে প্রথমেই মানুষকে সম্মোহিত করার তালে থাকে। এ নিবন্ধেই দেখুন জোকারের একটা বক্তব্য খন্ডন করা আছে। কোরানের ৩৬: ৩৮ আয়াতের ব্যখ্যা দিতে গিয়ে জোকার মিয়া সূর্য যে তার ছায়াপথের চার পাশে একবার ঘুরতে ২০ কোটি বছর লাগায় সেটা বলেছে। অথচ বাস্তবে সেটা যে মোটেই তা নয় যা নাকি খোদ তার ওস্তাদ মোহাম্মদ অনেক আগেই বলে গেছে এ খবর তো পাবলিক রাখে না, ফলে যাদের সামনে জাকির মিয়া চাপাবাজি করেছে তারা তো বিস্ময়ে থ খেয়ে গেছে। তাই না ? জোকার মিয়া মানুষের অজ্ঞতাকে খুব ধুর্ততার সাথে ব্যবহার করার কৌশল ভালই রপ্ত করেছে। এ ছাড়া আর একটা বিষয় রপ্ত করেছে তা হলো কোরানের শব্দের ইচ্ছামত অর্থ আবিস্কার । কিন্তু মনে হয় না এসব করে আর বেশীদিন সুবিধা করা যাবে। http://www.abnsat.com এ সাইটে যান , দেখুন কিভাবে তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতদেরকে কুপোকাত করে দিচ্ছে একের পর এক। একটা প্রশ্নের উত্তর ইসলামী পন্ডিতরা দিতে পারে না। এরা তো অনেক আগেই জোকার মিয়াকে চ্যলেঞ্জ দিয়ে বসে আছে। কিন্তু জোকারের পাত্তা নেই। জোকার মিয়া কিছুকাল আগে থেকে মাঠে থাকাতে সে সুবিধাজনক স্থানে আছে, কিন্তু আস্তে আস্তে তার অবস্থান নড় বড়ে হয়ে যাচ্ছে আর দিন যতই যাবে ততই তার অবস্থান শূন্য হয়ে যাবে। আর আমি জোকারকে চ্যলেঞ্জ দিচ্ছি আমি যতগুলো যুক্তি আমার নিবন্ধে তুলে ধরি তার একটাও খন্ডন করতে পারলে আমি লেখাই ছেড়ে দেব।
মিথ্যা কথা দিয়ে সত্যকে চিরকাল দাবিয়ে রাখা যায় না। মোহাম্মদ যেমন অবলীলায় মিথ্যা কথা বলে আরবদেরকে ধোকা দিত , জোকার মিয়া ঠিক একই কৌশলে সে কাজটাই করে যাচ্ছে। জোকারের সুবিধা হলো – সে একটা বিশাল রেডিমেড শ্রোতা পেয়েছে যারা তার মিথ্যাগুলো আগে থাকতেই গ্রহন করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত।
ভাইজান কোরান হাদিছে কোনই সমস্যা নাই। শুধু আমাদের বুঝার ভূল।
১৪০০ বছর আগে তো নবী বা আল্লাহ এটা জানতে পরেন নাই যে গাছের ভিতর আবার জীবন রয়ে গেছে।
যদি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু নবীর আগে জন্মাইতেন তা হলে তখন আল্লাহ ও নবী অবশ্যই জেনে ফেলতেন, আর সাথে সাথে গাছ পালার ছবিও হারাম করে দিতেন। এটা আমি নিশ্চিত।
এতে আল্লাহ ও নবীর কীই বা ত্রুটি হতে পারে বলুন? বিজ্ঞানীদের আবিস্কারের পূর্বে আল্লাহ ও নবী কী ভাবে জানতে পারবে,বলুন?
এভাবে আল্লাহর ঘাড়ে অজস্র অজ্ঞতাপূর্ণ, অযৌক্তিক ও অবৈজ্ঞানিক কথা চাপিয়ে দিয়ে মহান স্রষ্টাকে আরো বেশী করে ছোট করে ফেলা হয়েছে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
হ্যা ভাই ঠিকই বলেছেন। কী করে আমরা মানব তিনি পৃথিবীর সেরা মানুষ? তিনি নিজে ১৩ বিয়ে করেছেন আর অন্যদের জন্য ৪টি ফরজ করেছেন। তার স্বভাবের কারণে আমরা মুসলমানেরা নারী প্রিয় আর খাবার প্রিয়। মুসলমানেরা মেয়েদেরতো খাদ্যবস্তু হিকসবে দেখে। কী লজ্জ্বার!
@প্রনব প্রয়াস,
চারটা বিয়া ফরজ করছে? কোন হাদিসে পাইলেন গো দাদা? এই যদি অয় ইসলাম চর্চার ফল তাইলে তো অবস্থা গুরুতর!!
@প্রনব প্রয়াস,
হিন্দুরা যুক্তি বুঝে? খৃষ্টানরা, বৌদ্ধ, শিখ ইহুদি? তো শুধু মুসলমান বললেন কেন?
আমরা মা’নে? আপনি কি মুসলমান?
সেই হিসেবে এখানে সঠিক বাক্যটা হবে- আমরা মুসলমানেরা মেয়েদেরতো খাদ্যবস্তু হিসেবে দেখি। কী লজ্জ্বার!
কোন ধর্মে বিশ্বাসী হয়ে অন্যের ধর্মের সমালোচনা করা অন্যায়।
আল্লাহর রাসূল প্রাণীর ছবি আঁকতে নিষেধ করেছেন, উদ্ভিদের ছবি নয়।
ওস্তাদ অবশেষে আরেকখানা অস্ত্র সমেত ফিরে এলেন। চমৎকার লেখা দয়া করে হুট করে বন্ধ করে দেবেননা। একেক্টা লেখার পর যখন দীর্ঘ বিরতিতে থাকেন ভয় হয় পর্বটি সমাপ্ত হয়ে গেলোনাতো???!!!!আগে সহজ ভাবে পি ডি এফ এ সেভ করতে পারতাম এখন কেন পারিনা কে জানে? কেউ কি আছেন জনাব একটু লেখাগুলো সেভ করার ব্যাপারে সহায়তা করবেন?
ভালো কথা মেরাজ নিয়ে কবে লিখছেন?ওখানে কমেডি করার মত কিছু ভালো উপকরন পাওয়া যেতে পারে…… 😛
@ছন্নছাড়া,
না ভাই এটা একটা মেগা সিরিয়াল হিন্দি সিরিয়ালের মত। মোহাম্মদ ও ইসলাম সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ও ব্যখ্যা বিশ্লেষণ এ সিরিজে তুলে ধরতে চাই।
এর দ্বারা এটাও প্রমাণিত হয় “যে রসুলের হুকুম অমান্য করবে সে আল্লাহর হুকুম ও অমান্য করবে।”
নীচের হাদিছ গুলী প্রমান করে ফটো তোলা নবীর কঠোর নিষেধ তথা আল্লাহর কঠোর নিষেধ।
কোন হাদিছই কোন করণেই ফটো তোলা বা সংগে রাখার অনুমোদন দেয় নাই।
বরং ফটো সংগে রাখলে রহমতের ফেরেশ্তা ও কাছে আসবেনা।
এই পরিপ্রক্ষিতে যারা আরব দেশের বাহির হতে ফটো পাসপোর্টে ফটো তুলে লাগাচ্ছেন এবং ফটো পাসপোর্ট সংগেও রাখিয়া সমগ্র হজ্জ আদায় করতেছেন তারা এই হাদিছকে তথা আল্লাহর নির্দেশ কে চরম ভাবে অবমাননা করতেছেন।
কেহ কী একটি হাদিছ ও দেখাতে পারবেন যেখানে হজ্জের জন্য ফটো বৈধ রাখা হয়েছে।
তাহলে হাদিছ গুলী নীচে দেখুন-
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
তবে ভাইজান একটা সমস্যা আছে নিচের হাদিসে-
এখানে বলা আছে গাছপালা এসবের ছবি আঁকা যাবে। বস্তুত জীবন্ত প্রানীর ছবি আঁকা যাবে না কারন তাদের জীবন আছে আর যেহেতু মানুষের কোন জীবন দেয়ার ক্ষমতা নেই তাই তাদের ছবি আঁকা যাবে না। এটাই ছিল ভিত্তি। কিন্তু সমস্যা হলো গাছ পালারও তো জীবন আছে। তাহলে তাদের ছবি আঁকবে কিভাবে ? ১৪০০ বছর আগে মানুষ বা মোহাম্মদ জানতো না যে গাছেরও জীবন আছে। কিন্তু এখন তো মানুষ জানে। তাহলে উপায় ?
@ভবঘুরে,
উপায় ১ টা আছে, তা হল গাছের জীবন আছে কিন্তু চলাফেরা করতে পারে না, তাছাড়া মুখ নাই তাই ভাত খাইতে পারে না এমনকি মাংস ও খাইতে পারে না।
কে বলেছে জানতেন না , আপনি ১ টুঁ কষ্ট করে ১১৫ নাম্বার সুরার ১১৫ নাম্বার আয়াতে যান সেখানেই পাবেন(যদি না পান ভাববেন, কেটে দিয়েছে)।
আশা করি উত্তর পেয়ে গেছেন।
@NETWORK,
তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু আছে নভোমন্ডলে, যা কিছু আছে ভুমন্ডলে, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি পর্বতরাজি বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং অনেক মানুষ। আবার অনেকের উপর অবধারিত হয়েছে শাস্তি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন, তাকে কেউ সম্মান দিতে পারে না। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন।সূরা আল-মুমিনুন: আয়াত-১৮।
এখানে বৃক্ষলতা আল্লাহকে সিজদা করে। তার মানে মোহাম্মদ (স.) জানতেন গাছপালার প্রাণ আছে। গাছপালার প্রাণআছে বলে কেউ গাছপালাকে প্রাণী বলে না। সকল বই পুস্তকে গাছপালাকে উদ্ভিদ বলা হয়েছে। এখানে প্রাণীর ছবি আঁকার কথা বলা হয়েছে গাছপলাতো প্রাণীনয়।
@আফেসোস,
নভোমন্ডলে, যা কিছু আছে ভুমন্ডলে, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি পর্বতরাজি এই গুলা আল্লাহকে সেজদা দেয়।মজাদার কথা। বৃক্ষলতা, জীবজন্তু কবে থেকে সেজদা দেয়া শুরু করল। মজা পেতে চান তাহলে ধর্ম গ্রন্থ পড়ুন, অনেক কমেডি আছে, এই ধর্ম গ্রন্থ গুলোর মধ্য।
কি ভাবে বুঝলেন, বৃক্ষলতা আল্লাহকে সেজদা দেয়? তাইলে তো বলতে হবে , ভুমন্ডলে, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি পর্বতরাজি এই গুলার জীবন আছে। কারন এগুলা ও ইবলিস আল্লাকে সেজদা দেয়।(আপনার কথা মতে)।
এই কারনেই তো, মূর্খ নবি যদি বুঝতে পারতেন গাছের জীবন আছে তাহলে উনি গাছপালার ছবিও আঁকতে নিষেধ করতেন।
১৮) সূরা কাহফ ( মক্কায় অবতীর্ণ )
১৮:৮৬
حَتَّى إِذَا بَلَغَ مَغْرِبَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَغْرُبُ فِي عَيْنٍ حَمِئَةٍ وَوَجَدَ عِندَهَا قَوْمًا قُلْنَا يَا ذَا الْقَرْنَيْنِ إِمَّا أَن تُعَذِّبَ وَإِمَّا أَن تَتَّخِذَ فِيهِمْ حُسْنًا
86
অবশেষে তিনি যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। আমি বললাম, হে যুলকারনাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন।
আল্লার মূর্খ নবি কি উল্টা পাল্টা বলছেন? সূর্য না কি পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যায়। যেই খানে সূর্য অস্ত যায়, সেই খানে না কি এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন(হা হা হা………)।সম্প্রদায়কে শাস্তি দিতে পারেন আবার …… 😀 :lotpot: :hahahee: :rotfl:
১৮:৯০
حَتَّى إِذَا بَلَغَ مَطْلِعَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَطْلُعُ عَلَى قَوْمٍ لَّمْ نَجْعَل لَّهُم مِّن دُونِهَا سِتْرًا
90
অবশেষে তিনি যখন সূর্যের উদয়াচলে পৌছলেন, তখন তিনি তাকে এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদয় হতে দেখলেন, যাদের জন্যে সূর্যতাপ থেকে আত্নরক্ষার কোন আড়াল আমি সৃষ্টি করিনি।
সম্প্রদায়ের উপর সূর্য উদয় হয়, কি হাস্যকর কথা। মূর্খ নবি কি বলছে এসব? সেই সম্প্রদায়ের জন্য , সূর্যতাপ থেকে আত্নরক্ষার কোন আড়াল আল্লাহ(ছাগল) সৃষ্টি করেন নি। 😀 😀 😀 :lotpot: :lotpot: :lotpot: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :rotfl:
সত্য ধর্ম(কোরান হাদিস ) মতে পৃথিবী সমতলঃ
আরও ১ টা হাদিস আছে সেটা পড়ে দেখাব।
@NETWORK,
জনাব আপনি কোনদিন কক্সবাজার/ কুয়াকাটা গিয়েছেন? আপনি যদি কক্সবাজার যান তবে সানসেট দেখে আমাকে জানাবেন। যখন আপনি সাগর পাড়ে বসে সানসেট দেখবেন, তখন আপনার মনে হবে যে, সূর্যটা বঙ্গোপসাগরের নিচে ডুব দিচ্ছে। প্রত্যেক মানুষের দৃষ্টির একটা সীমারেখা আছে। তাই আমরা দেখি সূর্যটা বঙ্গোপসাগরের নিচে ডুবে যাচ্ছে। কিন্তু আসল ব্যাপারটতো হচ্ছে সূর্য কোনদিন সাগরের নিচে ডুব দেয় না। এটা আমাদের মনের একটা ধারনা। এখন আল্লাহ যদি বলেন, নেটওয়ার্ট কক্সবাজারে গিয়ে দেখলো সূর্যটা সাগরের নিচে ডুবে যাচ্ছে। এটা কি আল্লাহর ভুল না আপনার ভুল।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে আমাদের শিক্ষার জন্য পূর্বের অনেক নবী-রাসূল, বিভিন্ন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন। জুলকারনাইন যখন সূর্যের অস্তাচলে পৌঁছলেন তখন উনার মনে হয়েছিল, সূর্যটা পঙ্কিল জলাশয়ে ডুবছে। এটা জুলকারনাইনের মনে হয়েছে। জুলকারনাইনের ভুল। ঠিক নিচের আয়াতেও একই ধারনা।
আপনারা যদি বুঝতে না পারেন এটাতো আল্লাহর দোষ না। আপনি সামান্য জ্ঞান নিয়ে আল্লাহর কালামের মূল্যায়ন করতে চান। ভুলতো আপনার হবেই।
জুলকারনাইন তেমনি একজন।
@NETWORK,
আর তৃণলতা ও বৃক্ষাদি আল্লাহর আনুগত্য করে চলেছে। -আর রহমান : ৬
কোনো মৃত বস্তু আল্লাহর আনুগত্য করবে কিভাবে? আপনারা যা জানতে পেরেছেন ক’দিন আগে। আর আল্লাহর রাসূল (স) জানতো তা 1450 বছর পূর্বে। তিনি কিভাবে জনলেন। তিনি কোনো বই পুস্তক পড়ে যানার কথা নয় । কারণ তিনি ছিলেন নিরক্ষর।
ভবঘুরের লিখার প্রশংসা করার ভায়া খুঁজে পাচ্ছিনা। এক কথায় অসাধারণ।
১ থেকে ১৮, সব গুলো পর্বই।
///৫.যীশু বলেছেন ক্ষমা করতে, মোহাম্মদ বলেছেন প্রতিশোধ নিতে///
মোহাম্মদের এ ধরণের কথা কোরাণ হাদিসে প্রচুর পাওয়া যায়। যীশু বলেছেন ক্ষমা করতে,- একথাও শুনেছি অনেক বার। আস্তিকদের সাথে তর্ক করার জন্য যীশুর এ কথাটার রেফারেন্স আমার দরকার। আপনার সময় থাকলে এ উপকারটা করলে খুশী হবো। আপনার পরবর্তী লিখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
-ওমর ফারুক লুক্স
@ভবঘুরে, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা আমার অজানা। আপনি যদি পিএইচডি না করে থাকেন, আপনার এই নিবন্ধগুলো একটু নিয়ম মত সাজিয়ে গুছিয়ে গবেষণা পত্র হিসেবে পেশ করা যায়। বুঝতেই পারছেন কোথায় অসুবিধে আছে, তবু আমার অভিজ্ঞতা বলে বিশেষ কয়েকটি বিশ্ব বিদ্যালয় এটি নেবে। তবে ভাল একজন গাইড দরকার যার মারফৎ ‘গবেষণা পত্র’ পেশ করা যাবে। আমি এই জন্যই লেখায় বানান শুদ্ধি, ব্যাকরণ মেনে চলার কথা লিখেছি। ভেবে দেখবেন।
@বস্তাপচা,
ভাইজান আপনার সুন্দর উপদেশের জন্য ধন্যবাদ। আমার আসলে অত উচ্চাকাংখা নেই। আমার কাজ আমি করে যাচ্ছি ও করে যাব যতদিন পারি। আমার এ নিবন্ধগুলো সব উন্মুক্ত, যে কেউ যে কোন ভাবে ব্যবহার করতে পারে, পারে প্রচার করতে। এর বিনিময়ে আমার কোন চাওয়া নেই। আমার একটাই চাওয়া মানুষকে অন্ধত্ব থেকে আলোর পথে নিয়ে আসা।
@ভবঘুরে, আপনার প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গী মোটেই পাল্টাতে পারলেন না!!
কখনও যদি আপনার সংস্কৃত, গ্রীক, রুশ ইতাদি ভাষার তর্জমা প্রয়োজন হয়, তবে এই অধমকে স্মরণ করবেন।
যদি কোন কারণে আপনার শুদ্ধ গণিত (Pure Mathematics) ঘটিত কোন সমস্যা হয় (Applied Mathematics নয় কিন্তু) তা হলেও আমি আছি।
সময় পেলে আপনার এই নিবন্ধগুলোর ব্যাকরণ ঘটিত সমস্যা ঠিক করে দিয়ে আপনাকে মেইল করে দেব।
মডারেটারকে বিশেষ অনুরোধঃ- ভবঘুরে এই পোস্ট পড়ার পর পোস্টটি দয়া করে মুছে দেবেন। আমি কোন ভাবেই আমার ID এখানে hide করতে পারিনি। কোন regular licensed IP hide software এই ব্লগে কাজ করে নি।
@বস্তাপচা,
ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমি আসলে বেশ কিছুদিন ধরে চিন্তা ভাবনা করছিলাম আমার নিবন্ধগুলি ইংরেজীতে অনুবাদ করব কিন্তু সময়ের অভাব ও একই সাথে দক্ষতার অভাবে সেটা হয়ে উঠছে না। আমি বহু ইংরেজি সাইটে দেখেছি সেখানকার আর্টিকেলগুলো ভাল তবে অত বিস্তারিত নয়। অনেক সময় পড়ে সব কিছু বোঝা যায় না। আমি চেষ্টা করি যা লিখি তা যেন যে কোন লেভেলের পাঠকই পুরাটাই আত্মস্থ করতে পারে। আপনি উপকার করতে চান শুনে ভাল লাগল। দেখুন যদি ইংরেজী অনুবাদ করতে পারেন তাহলে তা কিছু ইংরেজী ব্লগ সাইটে দেয়া যেত ও আরও বেশী পাঠকের কাছে পৌছানো যেত।
আপনার সমীকরনটি যথাযথ ও আকর্ষনীয় তাতে সন্দেহ নাই।
লক্ষ করুন বোল্ড করা অংশে রেফরেনসে ৪:৮০ এর স্থলে ভূল বসতঃ ৪:৮৯ বসিয়ে ফেলেছেন।
একারনে আমাকে রেফারেন্স বের করতে একটু বেগ পেতে হয়েছে।যদিও পূর্বেরটা ৪:৮০ ঠিক বসিয়েছেন। সে কারনে বের করতে পেরেছি।
যে বানীটা সারা বিশ্বের পাঠকেরা পড়ার আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে,যেটা পাঠকদের একটা স্থায়ী পথ প্রদর্শকের বানীতে রুপ নিতে চলেছে, সেখানে কি আর সামান্যতম ভূল ভ্রান্তি শোভা পায়?
সম্ভব থাকলে ভূলটি শুধরিয়ে দিন।
বস্তুত আজ মানুষেরা কোরানের মধ্যেও অসংখ্য ভূল ভ্রান্তি পাওয়ার কারনেই একে আল্লাহর বানী বলে স্বীকার করতে সন্দেহ পোষন করতেছে।
আর হাদিছের মধ্যে তো অসংখ্য অবেজ্ঞানিক,অসামাজিকও অযৌক্তিক কথাবার্তা ধরা পড়ার কারণে “হাজী সাহেবরা” অনেক আগেই প্রত্যাক্ষান করেছেন।তা সবাই দেখতে পচ্ছে।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে, সংশোধন করে দিলাম।
@ভবঘুরে,
এখানে অনেকে আপনাকে অনেক জ্ঞানী মনে করে (যদিও আমি মনে করি না)। যাক আপনি একটা সমীকরণ দিয়েছেন। তো আমার সমীকরণটা একটু দেখুন।
ধরুন,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিএ কে দিয়ে ৠাবের (RAB) এর মহাপরিচালককে সংবাদ পাঠাল, সাগর রুনির হত্যাকান্ডের খুনিদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ধরতে হবে। কিন্তু ৠাবের (RAB) এর মহাপরিচালক পিএ এর কথার কোনো কর্ণপাত করল না। বরং ওকে বকাঝকা করে বের করে দিল। এখন ৠাবের (RAB) এর মহাপরিচালক কার কথা অমান্য করল। পিএ এর কথা না প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা।
এক্ষেত্রে পিএ এর হুকুম = প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার হুকুম
তাহলে আপনার সমীকরণ অনুযায়ী, পিএ + হুকুম = প্রধানমন্ত্রী + হুকুম
উভয় পক্ষ থেকে হুকুম উঠিয়ে দিলে, পিএ = প্রধানমন্ত্রী
পৃথিবীর কোনো বুদ্ধি, জ্ঞান সম্পন্ন লোক একথা বলবে না যে, পিএ = প্রধান মন্ত্রী। :lotpot: কখনো এটা সম্ভব নয়।
“যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি।”
একথার অর্থ এই নয় যে,মুহাম্মদ (স.) = আল্লাহ। তিনি আল্লাহ কথা বন্দাদের নিকট বলতেন। এই জন্য রাসূল (স.) এর কথা অমান্য করা মানে আল্লাহর কথা অমান্য করা, আর রাসূল (স.) এর কথা মান্য করা মানে আল্লাহর কথা মান্য করা।
রাসূল (স) কোনো কথাই বলেন না আল্লাহর কথা ছাড়া।
@আফসোস,
১৮:৮৬
86
অবশেষে তিনি যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। আমি বললাম, হে যুলকারনাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন।
এই আয়াত টা কি আল্লাহর ব্যাক্তি গত বানী মনে হল(যাচাই করুন তো)। আল্লাহ কি confused ছিলেন”শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ(শাস্তি না দিতে ) করতে পারেন” (এই টা কার বানী আল্লাহর না নবীজির, নাকি জাল আয়াত )।
এই রকম আরও অনেক আয়াত আছে। জেগুলা পড়লে মনে হবে না যে এগুলা আল্লাহর বানী।
ভাল থাকবেন। (F)
@NETWORK,
এ কথাটা আল্লাহ জুলকারনাইনকে বলেছেন। আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন। এখানে আপনি সমস্যার কি পাইলেন।
আপনাদের নবী ভবঘুরেকে জিজ্ঞেস করুন ভালো জবাব পাবেন। আমার কথাতো আপনার বিশ্বাস হবে না।
প্রথম শ্রেণির ছাত্র হয়ে দশম শ্রেণির বই নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে আপনি কি বুঝবেন। শুধু বইয়ের ছবি দেখতে পারবেন। আন্দাজি বগবগ করতে পারবেন।
@আফসোস,
তাও তো ১ টা কিছু পারি, কিন্তু আপনে যখন আমার বয়সে ছিলন, তখন আপনি ছিলেন নিতাতই আ-কার ই-কার ছাড়া ঞ্জানি। কথা সুনে মনে হয় ধরা খেয়ে খেয়ে এই পর্যন্ত এসেছেন। আর আপনি আমার সাথে বক বক পাইরা নিজের ঞ্জানের লেভেল আমার চাইতেও নিচে নামিয়ে এনেছেন।বুঝতে পারছেন আপনে কত বড় ঞ্জানি।অবশ্য বুঝবেন কি করে সব ঞ্জান তো আপনি কোরান আর হাদিস এঁর মধ্য দিয়ে এসেছেন।
ও ভাল কথা নতুন ১ টা লেখা এসেছে, ও খানে গিয়ে নিজের ঞ্জান জাহির করুন। আমি লিংক দিয়ে দিচ্ছি——–
http://blog.mukto-mona.com/?p=29615
এই লিংকে যেয়ে বক বকান কামে দিব। এই খানে আর বক বকাইয়েন না। আর যদি বক বকান তাহলে মনে করবেন(কুকুরের লেজ কখনো সোজা হয় হয় না)।
@আফসোস,
আপনি বলছেন বলেই কোন বই দশম শ্রেনীর হয়ে যাবে না ভাই। আপনি মনযোগ দিয়ে যদি কোরান পড়ে থাকেন তাহলে আপনাকে স্বীকার করতেই হবে যে সেটা দশম শ্রেনীর নয় বরং প্রথম শ্রেনীরই একটা বই। মাঝে মাঝে দশম শ্রেনীর ছাত্ররা সেটা পড়তে গিয়ে উল্টা পাল্টা অর্থ খুজে পায়। যেমন- রবীন্দ্র নাথের হিং টিং ছট, আপনি বলতে পারেন এর অর্থ কি ?
ত্রুটি সংশোধন।
আমি দুখিত উপরের মন্তব্যে মারাত্মক ভূল শব্দ বসানোর জন্য।
“কিন্তু সেই আল্লাহই আবার অন্য আয়াতে বলতেছেন তিনি বিশ্ব ভ্রমান্ড সর্বমোট ৮ দিনে সৃস্টি করিয়াছেন।
আমার কথা বিশ্বাষ না হলে নিচের আয়াত তিনটির সৃষ্টির বছর সংখ্যা গুলী একত্রে যোগ করে দেখুন। ২বছর+৪বছর+২ বছর=মোট ৮বছর হয় কিনা।
এখানে ২+৪+২ বছর=৮ বছর হচ্ছে।
২বছর+৪বছর+২ বছর=মোট ৮বছর হয় কিনা।”
এখানে ২+৪+২ বছর=৮ বছর হচ্ছে।
উপরোল্লিখিত “বছর” শব্দটির স্থলে “দিন” শব্দটি হইবে।
আমি দুখিত।
ভবঘুরে এর প্রবন্ধগুলো পড়লে কয়েক ধরণের রাগ মনে জন্মে।
ভাবি, এই লম্পট, বর্বর, জংলী লোকটা কী করে এমন একটা জংলী আদর্শ মুসলমানদের দিয়ে যেতে পারলো, যা কিয়ামতের আগ পর্যন্ত তাদের মানতেই হবে। না মানলে পতিতাপল্লীর মতো বেহেশত তারা পাবে না। আর এজন্য পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার আগ পর্যন্ত কিছু নির্বোধ লোক তা মেনে চলবেই আর পৃথিবীতে অশান্তি বাড়াবেই। এটা নিয়ে তেমন কিছূ করাও যাবে না।
যার নিজের ভোগ করার সামর্থ্য নেই(হিজড়া টাইপের একটা জন্তু); যাবতীয় ভোগ সে করছে মুহম্মদের মাধ্যমে। প্রকৃতপক্ষে আল্লা হচ্ছে মুহম্মদের পক্ষের বেশ্যার দালাল। যে মুহম্মদের সকল লাম্পট্যের সহায়ক ও রক্ষাকর্তা।
। ওরা দেখে শুনে কিভাবে এমন একজন নীতিহীন, পাগল, মাগিবাজ লোককে নবী হিসেবে স্বীকার করে তার শক্তিকে বৃদ্ধি করতে পারলো? যার ফলে ইসলাম নামক একটি দানব আজ পৃথিবী বাসীর উপর চেপে বসতে পেরেছে। এবং এই দানব ধ্বংস হওয়ারও কোনো লক্ষণ নেই। কারণ, মূর্খ ও নির্বোধ টাইপের লোকগুলোকে এই দানব সাপোর্ট দেয় বলে দিন দিন এর দল ভারী হয়েই চলেছে।
এরা কিভাবে এখনও সেই বর্বর সিস্টেমকে মুখ বুজে মেনে নিচ্ছে? আরও যণ্ত্রণার বিষয় হচ্ছে, এই সব কথা আবার খোলামেলা আলোচনা করা যায় না। আলোচনায় কথা উঠলেও প্রায় সময় তা মিথ্যা জেনে বুঝেও মেনে নিতে হচ্ছে।
@হৃদয়াকাশ,
ভাইজানের ভাষাটা আর একটু ভদ্র হলে ভাল হতো না ?
@ভাই ভবঘুরে,
মুক্তমনার সন্ধান পাওয়ার পর এখানে প্রকাশিত আপনারসহ অন্যদের ইসলাম সম্পর্কিত প্রবন্ধগুলো পড়ে, মুহম্মদের কীর্তিকলাপ জেনে এবং সেই কীর্তিকলাপে তাকে আল্লা যেভাবে সহায়তা করেছে তা জেনে এবং তারপরও সেইসময়ের মূর্খ আরব, যারা তাকে নবী বলে মেনে নিয়েছে তা জেনে এবং তারপরও বর্তমান মুসলমান যারা বিনা বাক্যে তাকে মেনে নিচ্ছে এবং মাথায় তুলে নাচছে তা দেখে মনে আরও খারাপ ভাষা আসে, আমি তো সেই সব এখনও লিখি নি।
আপনি ভাবতে পারেন, আমার শিক্ষা দীক্ষায় সমস্যা আছে। তাতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ আমি জানি আমি কী ?
@হৃদয়াকাশ,
হিজড়ারা জন্তু নয়, তারাও যে আমাদেরই মত মানুষ। ভাষাটা সংযত না করলে লেখকেরই বদনাম হবে।
@আকাশ মালিক,
আমার টার্গেট কিন্তু হিজড়ারা নয়। হিজড়ারাও মানুষ এবং তারা লিঙ্গ প্রতিবন্ধী বলে ওদের প্রতি আমার যথেষ্ট দরদ আছে। আমার টার্গেট হচ্ছে আল্লা। ‘জন্তু’ শব্দ বাদ দিয়ে শুধু ‘হিজড়া’ শব্দটি ব্যবহার করলে আল্লাকে অনেকটা মানুষের পর্যায়ে ফেলা হয়। যেহেতু হিজড়া বলতে একমাত্র মানুষকেই বোঝায়। আমি আল্লাকে সেই সম্মানটুকুও দিতে চাই না। তাই লিখেছি “হিজড়া টাইপের একটা জন্তু”। এর মাধ্যমে আমি এ্যাকচুয়ালি বুঝাতে চেয়েছি আল্লা খুবই নিচু শ্রেণির একটি জীব, যার প্রজনন ক্ষমতাও নাই।
নতুন কোরআন থুক্কু. নুতুন গ্রন্থ নাজিল হচ্ছে ভবঘুরে ভাইয়ের কাছ থেকে. ধন্যবাদ ভবঘুরে ভাই. অনেকদিন ধরে আপনার নতুন পর্বের অপেক্ষায় ছিলাম.
ভাইজান,
আপনারই উদৃতি উপরোক্ত আয়াত গুলিতে আল্লাহ নিজে বলতেছেন বিশ্ব ভ্রমান্ডকে তিনি ৬ দিনে সৃষ্টি করেছেন। খুব ভাল কথা। কোনই আপত্তি ছিলনা।
কিন্তু সেই আল্লাহই আবার অন্য আয়াতে বলতেছেন তিনি বিশ্ব ভ্রমান্ড সর্বমোট ৮ দিনে সৃস্টি করিয়াছেন।
আমার কথা বিশ্বাষ না হলে নিচের আয়াত তিনটির সৃষ্টির বছর সংখ্যা গুলী একত্রে যোগ করে দেখুন। ২বছর+৪বছর+২ বছর=মোট ৮বছর হয় কিনা।
আল্লাহ কি তাহলে কোরানে এক এক জায়গায় এক এক ধরনের কথা বলেছেন নাকি?
এটা কি করে সম্ভব হল?
মহান স্রষ্টার ভাস্য টা তো হতে হবে চিরন্তন চিরসত্য।তাই নয়কী?
এটাও একটু ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিন?
এখানে ২+৪+২ বছর=৮ বছর হচ্ছে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজান আপনার কোরান ও হাদিস পাঠ ও তা থেকে নিত্য নতুন তথ্য ও জ্ঞান আহরনের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। তারপরেও আপনার কষ্ট লাঘবের জন্য নিচের নিবন্ধগুলি পড়তে পারেন যা আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেবে বলে আশা করি-
বিজ্ঞানময় আসমানী কিতাব কোরান, পর্ব-১
বিজ্ঞানময় আসমানী কিতাব কোরান, পর্ব-২
বিজ্ঞানময় আসমানী কিতাব কোরান, পর্ব -৩
কোরানের ‘মিরাকল ১৯’-এর উনিশ-বিশ!
কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? – ১
কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? -২
বরাবরের মতো, এক বসাতে পড়ে ফেললাম। আপনার অন্যান্য লেখাগুলোও আমি পড়েছি। আমার মধ্যে যে কি পরিবর্তন এনেছে আপনার লেখাগুলো, তা ভাষায় বোঝাতে পারবো না। শুধু বলবো ইসলামের ভূত আমার ঘাড় থেকে নেমে যাওয়ায় মাথা এখন অনেক নির্ভার লাগে। আজ ঈদের দিনেও দেখছেন না কেমন মুক্তমনায় পড়ে আছি।
@অনন্যা,
ভাইজান লেখাটা কষ্ট করে আর ১ বার পরেন, আরও ভাল বুঝতে পারবেন।
কথায় আছে নানা মনির নানা মত ,যত মত তত পথ
তাই ভাল মত মন্তব্য গুলা পড়ুন।
@অনন্যা,
আমি গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করে দেখেছি আমাদের সহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো যে অর্থনৈতিক ও অন্য সব দিক দিয়ে অমুসলিম দেশ গুলোর থেকে শত শত বছর পিছনে পড়ে আছে তার প্রধান কারন এই ইসলাম। উদাহরনস্বরূপ বলা যেতে পারে যে দেশের জন বিস্ফোরন সমস্যা। এর থামানোর একমাত্র উপায় হলো এক সন্তান আইন করা। কিন্তু একমাত্র ইসলামের কারনেই সেটা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র গণসচেনতা সৃষ্টির মাধ্যমেও এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বিস্ময়করভাবে দেশের বহু শিক্ষিত মানুষও শুধুমাত্র ধর্মীয় কারনে এটাকে সমস্যা হিসাবে না দেখে উপায় বাতলায় এত বিপুল জনসংখ্যা নাকি আমাদের দেশের সম্পদ। এ বিপুল জনসংখ্যাকে নাকি শিক্ষার মাধ্যমে সম্পদে পরিণত করলে দেশ নাকি সব দেশকে ছাড়িয়ে যাবে উন্নতিতে। তাই মনের ক্ষেদে বেছে নিয়েছি এ পথ। যদি এর মাধ্যমে দুই একজনের মধ্যেও ধর্ম নামক এ অপসংস্কার ও অন্ধত্ব দুর করতে পারি। আপনার উপকার হয়েছে জেনে নিজেকে ধন্য মনে হলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
@ভবঘুরে,
একেবারে ঠিক কথাটি বলেছেন,ভাইজান। আপনার সংগে আমি সম্পূর্ণএকমত।
আমি বাংলা দেশে থাকাকালীন কোন একটি মারাত্মক বন্যা পীড়ীত অত্যন্ত দরিদ্র এলাকায় দরিদ্র বন্যার্তদের ত্রাণ কাজের সুযোগে স্থানীয় মারাত্মক দরিদ্র ও দুর্গত দের সংস্পর্ষে আসবার সুযোগ হয়েছিল।
একটি পরিবারে গিয়ে তাদের ৯টি সন্তান পাইলাম। তাদের মুলতঃ ১টি সন্তানের ও ভরন পোষনের ক্ষমতা নাই। সেখানে তাদের ছোট ছোট ৯টি সন্তান।
আমি তাদের জিজ্ঞাসা করিলাম, এত সন্তান আপনারা লইয়াছেন এটাই তো অসুবিধার কারণ।
লোকটি আমাকে বিতর্কে হারিয়ে দিল।
কী বল্ল জানেন?
“এগুলী আল্লাহর দান। আল্লাহই এদের পাঠিয়েছেন,এবং আল্লাহই এদের রুজী ধার্য করিয়া পাঠাইয়াছেন।
যদি এটা আল্লাহর কাজ না হইতো তাহলে আমার পড়সী সদরুদ্দীন (নামটা আমার এখন কল্পিত) এর তো একটি বাচ্চাও হয়না। কোন ডাক্তাররাও এযাবত তার জন্য একটি বাচচার ও ব্যবস্থা করতে পারে নাই। কই মানুষে পারলে বাচ্চার ব্যবস্থা করুকনা? কাজেই এসবই তো আল্লাহর হাতে। এব্যাপারে আমাদের মনে কোনই দুশ্চিন্তা বা দুর্লবলতা আনা আল্লাহর ইচ্ছার বিরোধী কাজ কাম। এটা হতে আমাদের অবশই বিরত থাকতে হবে।”
ভাইজান, আমি তার কাছে হেরে গেলাম।
এই অবস্থাটা বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই।
আর সেখানে উন্নত দেশের জনসংখ্যা কোন কোন দেশে কমতেছে।
আমাদের দেশের কী আর কোন উপায় আছে?
ভাইজান,
হাদিছটির আকৃতি দেখতে খুব ছোট ও সরল মনে হলেও এর বাস্তব ফলাফল জাতির উপর ভয়াবহ।
কেন?
ফটো বা ছবি ছাড়া জীবন অচল। পাছপোর্টে, ফটো আইডিতে,জীব বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞানও ইত্যাদির জন্য ফটো তোলা অপরিহার্য।ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে,কোন সরকারী অফিসে বিশেষ কোন কাজে গেলে,রাস্তায় চলাচল করতে পুলিসের কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হলে ফটো আইডি সংগে সংগেই দেখাতে হয় ।নিজের ফটো আইডি সংগে না রাখলে অথবা না দেখাতে পারাটা অপরাধ। তখন পুলিস ইচ্ছা করলে তাকে আটকিয়ে রেখে তদন্ত করতে পারে।
চোর ডাকাত দের কেও পুলিসের আটকিয়ে তাদের শাশ্তির বিধান করে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গেলেও ফটো আইডি অপরিহার্য।
এক কথায় ফটো নিষিদ্ধ করার অর্থ দাড়ায় জ্ঞ্যান বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাকে নস্যাৎ করে দিয়ে ও সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা ও প্রশাসন ব্যবস্থাকে বিকল করে দিয়ে এক আদিম বর্বর বন্য জগতে প্রবেশ করা।
তাহলে আমাদের মহানবী কি তার উম্মত কে এক আদিম বর্বর বন্য জগতে প্রবেশ করাইতে চান? এটাতো আমাদের জন্য একটা মারাত্মক বিপজ্জনক ব্যাপার।
আপনার উদৃতিটা সঠিক আছে কিনা আমি নিশ্চিত হওয়ার জন্য “বোখরীর” লিংকএ গিয়ে একটু তদন্ত করে দেখলাম। দেখতে পেলাম সেখানে ঠিকই নবিজীর হাদিছটি বিদ্যমান রহিয়াছে।
তাহলে এখন আমাদের পরিত্রাণের উপায় কী?
মুসলমানেরা কি আজ জ্ঞ্যান বিজ্ঞানে সবার পিছনে এই কারনে?
তাহলে এবার আপনি কিছু এর ব্যাখ্যা দিন?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আমার কি এত দু:সাহস আছে যে নিজে বানিয়ে বানিয়ে হাদিস লিখব ? কি যে বলেন। যথাযথ হাদিস উল্লেখ করার পরেও তো দেখি অনেকসময় মানুষ সেগুলো বিশ্বাস করে না, বলে এসব নাকি ভূয়া হাদিস।তা না হলেও বলে আমরা নাকি হাদিসের ভুল ব্যখ্যা করছি যদিও সঠিক ব্যখ্যা কি তাও তারা বলে না। আর এখন তো অনেক লোক আছে যারা হাদিসই বিশ্বাস করে না।
আপনি যদি মোহাম্মদকে আল্লাহর নবী ও ইসলামকে আল্লাহর সত্য ধর্ম হিসাবে বিশ্বাস করেন, তাহলে পরিত্রাণের কোন উপায় আছে বলে তো দেখি না, ভাইজান।
এখনো বুঝতে পারেন কি মুসলমানেরা জ্ঞানে বিজ্ঞানে কেন পিছিয়ে আছে? মুসলমানদের মধ্যে যারা মেধাবী তাদের একটা বিরাট অংশই যদি বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানাগারে বিজ্ঞান চর্চা না করে কোরানের মধ্যে বিজ্ঞান খুজে মরে, আর বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান গবেষণা বাদ দিয়ে কোরানিক বিজ্ঞান প্রচারে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে, তাহলে তাদের কি ভিন্ন কোন অবস্থা হওয়ার কথা ?
একদম পয়সা হুসুল, অ…………………………নেক ধন্যবাদ । (Y)
@ ভবঘুরে,
ত্রিত্ব (Trinity) নিয়ে দারুণ লিখেছেন! সহজ এবং প্রাঞ্জল। Hat’s off. খ্রীষ্টান ধর্ম নিয়ে আপনার লেখা পড়ার ইচ্ছে থাকল।
@বস্তাপচা,
ত্রিত্ববাদ নিয়ে আমারও আগে তিনটা ঈশ্বরের ধারনা ছিল ও প্রশ্ন ছিল একই সাথে ঈশ্বর ও ঈশ্বরের পূত্র এক হয় কিভাবে? পরে একটু পড়া শুনা শুরু করলাম আর দেখলাম বিষয়টা মোটেও সেরকম নয় যেটা ইসলামি পন্ডিতরা প্রচার করে। এ দিক দিয়ে দেখা যায় খৃষ্টান ধর্মের সাথে হিন্দু ধর্মের অনেক মিল আছে।
@ ভবঘুরে,
এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। ময় (তিনি অসুর ছিলেন) তাঁর সূর্যসিন্ধান্ত গ্রন্থে প্রশ্ন তুলেছিলেন, “শূণ্যে ঘূর্ণ্যমান পৃথিবী গোলকের কোনটাই বা ঊর্দ্ধ কোনটাই বা অধঃ? “সর্বত্রৈব মহী-গোল স্বস্থানমুপ পরিস্থিতম্ মন্যন্তে খে যতো গোল স্তস্য ক্কোর্দ্ধং ক্কবাপ্যধঃ” –মহাশূণ্যে ভাসমান যে পৃথিবী গোলক তার কোন পৃষ্ঠই বা ঊপরে আর কোন পৃষ্ঠই বা নীচে আর কোথায় দাঁড়িয়ে কি ভাবেই বা তা নির্ধারণ করা সম্ভব হ’ল। (অনুবাদ : বস্তাপচা) কয়েক হাজার বছর আগেই ভারতীয়রা ভাল ভাবেই জানতেন পৃথিবী পৃষ্ঠ সমতল নয় তার বহু লিখিত প্রমাণ আছে। বাহুল্য বোধে সেই প্রমাণ উল্লেখ করলাম না।
কিছু ইসলামী ধারণার বশবর্তী হয়ে ষোড়শ এবং সপ্তদশ শতাব্দীতে লেখা কিছু বেয়াক্কেলে পুরাণ দেখে হিন্দু ধর্মকে আদৌ বোঝা সম্ভব নয়। কিছু বছর আগে পঞ্চাশ পেরোনোর পর কৌতুহল হওয়ায় আমি জানার জন্য তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব আর ভারতীয় ষড়দর্শন নিয়ে কিছুকাল পড়াশোনা করেছিলাম। কিছু বুঝেছিলাম, কিছু বুঝি নি তবে শুধু এটুকু বুঝেছি ভারতীয় ষড়দর্শনে ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই, স্বর্গ নরক বলে কিছুই নেই। এমন কি মূর্তীপূজাও নেই। আমি মূল বইগুলোর কথাই বলেছি, কোন ভাষ্যকারের কথা বলছি না। হিন্দু ধর্ম দর্শন মূলক।
একদম সঠিক লিখেছেন। অসাধারণ।
@হৃদয়াকাশ,
আপনি ভাল যুক্তি দিয়েছেন (আগস্ট ১৯,২০১২ at৪:২০ অপরাহ্ণ)। আমার উদ্দেশ্য ছিল ভবঘুরের লেখায় যেন কোন বানান বা ব্যাকরণগত ভুল না থাকে কারণ এই নিবন্ধগুলো মানুষ কয়েক প্রজন্ম ধরে পড়বে। তবে এটা ঘটনা যে ভবঘুরে যে কাজ করছেন বানান বা ব্যাকরণগত ভুল ঠিক করা ওনার পক্ষে অসম্ভব। ওই কাজটি যদি আমরা ক’য়েক জন স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে করে দি তা হলে কেমন হয়? আমি সপ্তদশ পর্ব পর্যন্ত বেশ কিছু কাজ করে ফেলেছি, মায় মন্তব্যগুলোরও।
জানাই ধর্ম নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথা নেই। ঈশ্বরের কোন অস্তিত্বেই কোন বিশ্বাস আমার ছোটবেলা থেকেই নেই।
বেশ কিছু দিন ধরেই মুক্তমনায় আসি কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে। মাঝেমাঝে ওই তথ্যগুলো কিছু লোকের বেজায় কাজে লাগে। তারা ওই তর্কগুলো বেশ জাঁকিয়ে করেন। ওনাদের প্রবন্ধগুলো বানান ইত্যাদি সংশোধন করে ছাপিয়ে দিতে হয়। বুঝতেই পারছেন ভবঘুরের নিশ্ছিদ্র যুক্তির সামনে গোঁড়া মুসলমানরা কত খানি অসহায়। লেজ গুটিয়ে পালানোর আগে তারা কিছু চিমটি মারা কথা ছাড়া আর কিছু বলতেই পারে না।
সপ্তদশ পর্বে এই ধরণের একটি ‘যন্ত্র’ দেখেছি, কিন্তু কোন উত্তর দেওয়া প্রয়োজন মনে করিনি কারণ সময়ের অপচয়।
সুস্থ থাকুন।
১।
ভাইজান,
আল্লাহ কী নবীজীকে বার বার উপরের দিকে তাকাতে দেখে খুব বেশী রকম ব্যথিত হয়ে পড়েছিলেন নাকি? হায় হয় এত মারাত্ম সর্বনেষে ব্যাপার।!!
২.
33:50
وَامْرَأَةً مُّؤْمِنَةً إِن وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ إِنْ أَرَادَ النَّبِيُّ أَن يَسْتَنكِحَهَا خَالِصَةً لَّكَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ قَدْ عَلِمْنَا مَا فَرَضْنَا عَلَيْهِمْ فِي أَزْوَاجِهِمْ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ لِكَيْلَا يَكُونَ عَلَيْكَ حَرَجٌ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে।
ভাইজান,
এখানেও তো দেখা যাচ্ছে , আল্লাহ নবিজীর বিশেষ অসুবিধার জন্য সংগে সংগে আয়াৎ নাজিল করতে এতটুকু ও দেরী করেন নাই।
বিশ্ব ধর্ম প্রচরণার লক্ষে নবিজীর এমন কী সমস্যা এসে গিয়েছিল, যার জন্য আললাহ কে সংগে সংগে আয়াৎটা নাজিল করে সেই অসুবিধা দূর করতে হল?
অসুবিধার কথা টা একটু ব্যাখ্যা করবেন কি?
৩।আর যেদিন নবিজী তার পালিত পুত্র যায়েদের তালাকের পর তারস্ত্রী যয়নবকে কে নববধু করে ঘরে তুলেছিলেন। সে রাত্রে বিবাহ অনুস্ঠান শেষে ছাহাবাগন নবীর ঘরে একটু খাওয়া দাওয়ার পর একটু বেশী সময় কাটাচ্ছিলেন।
তখনো তো আল্লাহ নবীর ব্যক্তি গত অসুবিধা দুর করার লক্ষে, “আল্লাহ ছাহাবা দের সেখান থেকে অতি শীঘ্রই চলে যাওয়ার নির্দেশ দিতে এতটুকুও দেরী করেন নাই।”
(আমি দুখিত সেই আয়াৎটির উদ্ধৃতি এই মুহূর্তে দিতে পারতেছিনা)
আর আজ সেই নবীর উম্মতরা যে সারা বিশ্বে মার খাচ্ছে, নিজেরা হানাহানি করে মরছে এমনকি পবিত্রতম স্থান মছজিদ ও তীর্থ স্থান ও রক্ষা পাচ্ছেনা। আল্লাহ কে তো এর জন্য এতটুকু ও উদ্বিগ্ন মনে হয়না।
এগুলীর কী কারণ একটু ব্যাখ্যা করবেন কী? আল্লাহ কি তাহলে শুধু নবিজীর ব্যক্তিগত পারিবারিক সমস্যা জন্যই আয়াৎ অবতীর্ণ করতেন। আল্লাহ কি শুধু নবিজীর ব্যক্তি গত সমস্যায় ব্যথিত ছিলেন? মুসলমানদের জন্য বা মানব জাতির জন্য কি আল্লাহ মোটেই ব্যথিত নন?
একটু ব্যাখ্যা করুন তাহলে?
অবশেষে,
পাঠকদের জন্য,
ঈদ মোবারক, আজ আমরা এখানে ঈদ পালন করছি। এক্ষনি নিকটে একটা মছজিদে ঈদের জন্য বের হয়ে যাচ্ছি।
সবাইকে ঈদ মোবারক।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি যথার্থই ধরেছেন, কোরানের একটা উল্লেখযোগ্য অংশই শুধুমাত্র মোহাম্মদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে নাজিল হয়েছে। আর এটাই কোরান যে আল্লাহর কাছ থেকে নাজিল হয় নি তার একটা বড় কারন।
এ আয়াতটা তো ইসলামের জন্য রীতিমতো আত্মঘাতী। এটা কিভাবে হতে পারে যে , আল্লাহ তার নবীকে যত ইচ্ছা খুশী বিয়ে করার লাইসেন্স দেবে ? মোহাম্মদ কি শুধুমাত্র বিয়ে করার জন্য নবী হিসাবে আগমন করেছিল? এ ধরনের আয়াত তো মোহাম্মদকে একটা নারী লোভী যৌনকাতর মানুষ হিসাবেই প্রতিষ্ঠিত করে। তাই নয় কি ?
@ভবঘুরে
১৮) সূরা কাহফ ( মক্কায় অবতীর্ণ )
১৮:৮৬
حَتَّى إِذَا بَلَغَ مَغْرِبَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَغْرُبُ فِي عَيْنٍ حَمِئَةٍ وَوَجَدَ عِندَهَا قَوْمًا قُلْنَا يَا ذَا الْقَرْنَيْنِ إِمَّا أَن تُعَذِّبَ وَإِمَّا أَن تَتَّخِذَ فِيهِمْ حُسْنًا
86
অবশেষে তিনি যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। আমি বললাম, হে যুলকারনাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন।
১৮:৯০
حَتَّى إِذَا بَلَغَ مَطْلِعَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَطْلُعُ عَلَى قَوْمٍ لَّمْ نَجْعَل لَّهُم مِّن دُونِهَا سِتْرًا
90
অবশেষে তিনি যখন সূর্যের উদয়াচলে পৌছলেন, তখন তিনি তাকে এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদয় হতে দেখলেন, যাদের জন্যে সূর্যতাপ থেকে আত্নরক্ষার কোন আড়াল আমি সৃষ্টি করিনি।
হিন্দু আর খ্রিস্টান ধর্মে লেখা আছে,আল্লাহ সর্বদা বিরাজ মান।তারা যে মূর্তি পুজা করে, তাদের যুক্তি অনুযায়ী তাদের টা ঠিক।
যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। সূরা নিসা, ০৪: ৮০
বিষয়টাকে একটা সমীকরণের সাহায্যেও প্রমান করা যেতে পারে, উপরোক্ত ০৪: ৮৯ আয়াত মতে,
মোহাম্মদের হুকুম = আল্লাহর হুকুম বা, মোহাম্মদ + হুকুম = আল্লাহ + হুকুম
উভয় পক্ষ থেকে হুকুম শব্দটা বাদ দিলে সমীকরণ টি দাড়ায় এরকম- মোহাম্মদ= আল্লাহ ( প্রমানিত)
(N) (N) (N)
@NETWORK,
ইসলামি পন্ডিতরা কোরানের মধ্যে এত বিজ্ঞান আবিষ্কার করছে আমি না হয় সামান্য একটু গনিত আবিষ্কার করলাম, কি বলেন ?
মোহাম্মদ ও ইসলাম পর্বগুলি আমাদের সম্পদ। নিবন্ধে প্রচুর বানান ভুল, বাক্য বিন্যাসে অসঙ্গতি, ব্যাকরণ দুষ্ট শব্দ চোখে পড়ে। তার কিছু তুলে ধরলাম।
এ, তা, যা, না ইত্যাদি পৃথক শব্দ। সুতরাং ‘ছাড়া’ বা ‘হলে’র সঙ্গে তাদের জুড়ে দেওয়া অনুচিত। দেখুন ‘তাছাড়া’ লেখা লিখলে আপনি ‘মাছাড়া শিশুর চলে না’ লিখতে চাইবেন নাকি?
‘না’ একটি পৃথক শব্দ। আলাদা করে লেখা সঙ্গত। যেমন ‘করেনা’ না লিখে ‘করে না’ লিখুন। কিন্তু ‘নি’ কোন পৃথক শব্দ নয়, একান্তভাবেই পরাশ্রিত। এই কারণেই ‘নি’কে তার পূর্ববর্তী শব্দের সঙ্গে জুড়ে দেবেন। যেমন ‘‘করেনি’
‘সাথে’ শব্দটি কাব্যিক, ব্যবহার কাব্যে। গদ্যে ব্যবহার করুন ‘সঙ্গে’।
‘বলাই বাহুল্য’ লেখা অনুচিত কারণ বাহুল্য হলে সেটা লিখছেন কেন?
‘আজো’ ‘আরো’ না লিখে লিখুন ‘আজও’ ‘আরও।’
সাংঘর্ষিক না লিখে লিখুন ‘বিরোধী’ বা ‘পরস্পর বিরোধী’।
পরে আরও লিখব।
@বস্তাপচা,
আমি বাংলা সাহিত্যের একজন ছাত্র। সেই হিসেবে আমিও নিয়মগুলো জানি। কিন্তু গদ্য লেখার ক্ষেত্রে আল্টিমেট কথা হচ্ছে, আপনি যা লিখছেন, তা অন্যে বুঝতে পারছে কি না ? যদি আপনি অন্যকে বোঝতে সক্ষম হন, তাহলে আপনি যেভাবেই লিখুন না কেনো, আপনার লেখায় ব্যকরণগত ভুল থাকলেও তা গ্রহনযোগ্য। কারণ, ভাষামাত্রই খামখেয়ালিতে ভরপুর। বাংলা ভাষায় এখনও এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো ব্যাকরণগত দিক থেকে ভুল। কিন্তু এত বেশি প্রচলিত যে সেগুলো ব্যবহার করতেই হয়। কারণ, আপনি যদি সঠিকটা ব্যবহার করনে তাহলে অন্যে আপনাকে ভুল মনে করতে পারে। এ ছাড়াও আপনাকে বলা হবে এই নিয়ম, ওই নিয়ম; অতঃপর যতগুলো নিয়ম আপনি শিখলেন, শেষে গিয়ে দেখবেন ঠিক প্রায় ততগুলো ব্যতিক্রম আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। তাই এগুলো নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাবার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। তবে এটা ঠিক ভবঘুরে এর লেখা বিষয় অন্যদের বোঝানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু দুর্বল দিক এখনও রয়ে গেছে; আবার তার সম্পর্কে এটাও ঠিক যে, তার জ্ঞানের গভীরতা দিয়ে তিনি তার সেই দুর্বলতাকে প্রায় সম্পূর্ণই কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন।
@হৃদয়াকাশ,
ভাইজান , আপনি যথার্থ বলেছেন। কিন্তু আমি সাহিত্যিক নই। আমি মূলত: গবেষণা করি , সত্য জানার চেষ্টা করি। যা আবিষ্কার করি তাই লিখে যাই যতদুর সম্ভব শুদ্ধ করে। বানানের দিকে তাই অত নজর দিতে পারি না। ভাই জান, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি দিয়ে দেখবেন বিষয়টাকে আশা করি। ধন্যবাদ আপনার পরামর্শের জন্য।
ভবঘুরে ভাই, ভুল বুঝলাম কি আমি? আসলেতো খ্রিষ্টানরা বলে যে যীশুর ২তা সত্বা আছে। একটা মানব সত্ত্বা, আরেকটা ঈশ্বর সত্ত্বা।দুটিই একে অপরের থেকে অবিচ্ছেদ্য। কিন্তু ২টি এ ১০০%। মানে যিশু ১০০& ঈশ্বর আর ১০০% মানুষ। আর যীশুর ঈশ্বর সত্ত্বা না বরং মানব সত্ত্বা ক্রুশে কষ্ট পেয়েছেন, আর সেটা ছিল মানুষের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য সত্যিকার কষ্ট, অভিনয় না!
@অচেনা,
ধর্মগ্রন্থ সমুহের গল্পগুলির বিষয়ে প্রশ্ন করলেই সে সবের দুনিয়ার এজেণ্টদের ব্যাখ্যার অন্তত অভাব নেই। যাহোক একটা গাঁজাখুরি Explanation জুড়ে দিলেই হল। শেষ পর্যন্ত সে গ্রন্থে বিশ্বাসিকে তা মানতেই হবে আর না মানলে তুমি কাফের (অবিশ্বাসি)। অতএব অবিশ্বাসি (কাফের) তকমা নিজের নাম থেকে ঊঠাতেই আমাকে বাধ্য হয়েই এই গাঁজার বয়ান মেনে নিয়ে ধার্মিক সেজে থাকতে হয়। এই জ্বালা কেমনে জুড়াই ভাই………….
@সত্য অনুসন্ধানি, সেটা ঠিক আছে ভাই, কিন্তু আমার প্রশ্নটা ছিল যীশু ক্রুশ বিদ্ধ হয়ে যন্ত্রণা পেয়েছেন কি পান নি।রোমান ক্যাথলিক সহ মূলধারার খ্রিষ্টান রা বিশ্বাস করে যে যীশুর মানব সত্বা ক্রুশবিদ্ধ হয়ে যন্ত্রণা ভোগ করেছেন। এখানে কথাটা বলেছি আমি খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে, সেটা গাঁজার বয়ান ,অথবা সত্য কি মিথ্যা সেটা নিয়ে নয়। 🙂
একবার এক লোক আমাকে বলেছিলো, হিন্দু ধর্ম হলো বাস্তবতার ধর্ম। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে থাকলে সে বলতে থাকলো, ‘হিন্দুরা যে বহু দেবদেবীর পূজা করে এটা বাস্তবতার দিক থেকে এটা একদম ঠিক।’
জিজ্ঞেস কললাম, কিভাবে ?
-‘মানুষ হিসেবে আমাদেরকেও প্রতিনিয়ত বহু দেব-দেবীর পূজা করে তাদের সন্তুষ্ট করতে হয়।’ বললো সে।
সে আরও ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বলতে থাকলো, “এই ধরেন, অফিসের প্রত্যেকটি বড় কর্মকর্তা এক একজন একটি করে দেবতা। তাদের প্রত্যেককে আলাদা করে সন্তুষ্ট রাখতে হয়। তারপর ধরেন বাসার কথা, সেখানে বউ হচ্ছে একটা বড় দেবী। তাকে সন্তুষ্ট করতে না পারলে অশান্তির শেষ নেই। তারপর যদি ছোট ভাই থাকে, সেও একজন ছোট দেবতা। তারও চাহিদা মিটিয়ে তাকে সন্তুষ্ট রাখতে হয়। না হলে ঝামেলা। ছোট বোন থাকলে সেও একজন ছোট দেবী। তার সন্তুষ্টিও আপনাকে রক্ষা করতে হয়। আর বাড়িতে যদি বাপ-মা থাকে তাহলে তো কথা ই নেই। উনারা সবচেয়ে বড় দেব দেবী। তাহলে এখন আপনিই চিন্তা করেন, একজন মানুষ হিসেবে আপনাকে কতগুলো মানুষ তথা দেব-দেবীকে সন্তুষ্ট করতে হয় ? এই জন্যই বলেছি, হিন্দুধর্ম হলো বাস্তবতার ধর্ম। এর বিপরীতে ইসলাম ধর্মের যে-এক আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার বিধান সেটা সম্পূর্ণ অবাস্তব।কারণ শুধুমাত্র একজনকে সন্তুষ্ট করার মাধ্যমে আপনি পৃথিবীতে কিছু করতে পারবেন না।” এই বলে ভদ্রলোক তার বক্তব্য শেষ করেছিলেন।
ভবঘুরের এই লেখা পড়ে অনেক আগে শোনা সেই কখাগুলো আবার মনে পড়লো।এবং অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম দুজনের চিন্তার মিল এবং গভীরতা সম্পর্কে।
@হৃদয়াকাশ,
বিষয়টা কি আসলে তাই নয় ?
মুসলিম পন্ডিতরা অহরহ হিন্দুদের দেব দেবীর পূজাকে মূর্তি পূজা বলে উপহাস করে। অথচ এর একজনও ভিতরে প্রবেশ করে না। পক্ষান্তরে তারা নিজেরা যে স্রেফ একটা ঘর ও কাল পাথরের কাছে রাত দিন মাথা খুড়ে মরছে সেটা তারা বোঝে না। অথবা বুঝেও চেপে যায়। হিন্দুদের তো কমপক্ষে একটা যুক্তি আছে যে তারা উক্ত মূর্তির মধ্যে তাদের ঈশ্বর বা দেব দেবীর কল্পনা করে তার সামনে মাথা নত করে, কিন্তু মুসলমানদের কি যুক্তি আছে ? তারা তো স্রেফ একটা ঘর ও কাল পাথরের কাছে তথা শুধুমাত্র জড় পদার্থের কাছেই মাথা নত করে। এটা কি হিন্দুদের চাইতে ঢের বেশী জড়পূজা নয় ?
@ভবঘুরে,
হিন্দুদের মূর্তি পূজা সম্পর্কে আমার কাছে আর একটি বলিষ্ঠ যুক্তি আছে। কাউকে যদি বলা হয় আগুন আনতে, সে কিন্তু কাঠ বা কয়লা এই জাতীয় কোনো বস্তু ছাড়া শুধু আগুন আনতে পারবে না। আগুন এক প্রকার শক্তি। তাই এ শক্তিকে পেতে হলে কোনো না কোনো বস্তুকে অবলম্বন করতেই হবে। সেই রূপ অলৌকিক কোনো শক্তি ( যদিও নাই, শুধু তর্কের খাতিরে বলা) কে পেতে হলে কোনো না কোনো বস্তুকে অবলম্বন করতেই হবে। হিন্দুরা তাই করে। মাটি বা পাথরের মূর্তি অর্থাত কোনো না কোনো বস্তুর মাধ্যমে তারা কোনো শক্তিকে পেতে চেষ্টা করে। সেই তুলনায় মুসলমানদের প্রার্থনা তো হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।
এগুলো বললাম, জাস্ট তর্কের খাতিরে। এবার মূর্তি পূজার কিছু বাস্তব উপকারিতার কথা বলি। হিন্দুরা মূর্তির মাধ্যমে যে অলৌকিক শক্তি ও কল্যান কামনা করে সেটা তো বাস্তবে সম্ভব না, কোনো ধর্মের লোকই তা পায় না, তাই হিন্দুরাও পায় না। কিন্তু কেউ যখন জ্ঞান বা বিদ্যা বুদ্ধির জন্য প্রার্থনা করে তখন কোয়ান্টাম মেথড বা সাইকোলোজির সূত্র অনুযায়ী অটোমেটিক্যালি তার মস্তিষ্ক্য তাকে সেই পথে চালিত করে যা তাকে জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করে। প্রার্থনা বা বিশ্বাসের মাধ্যমে যে মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয় তার মূল সূত্র কিন্তু এখানেই। এই সূত্র অনুযায়ীই কেউ যখন ধনের জন্য লক্ষ্মী দেবীর কাছে প্রার্থনা করে, তখন লক্ষ্মী দেবী তাকে ধন দিতে না পারলেও তার ব্রেইন তাকে সেই দিকে চালিত করে যাতে তার ধন প্রাপ্তি ঘটতে পারে। হিন্দুদের সমস্ত দেব-দেবীর পূজার পেছনে এই রকম কোনো না কোনো একটা উদ্দেশ্য থাকে। এই প্রাপ্তির অবশ্য সবকিছুই পরোক্ষ। সবার ক্ষেত্রে যে এমন ঘটবে তা নয়, তবে কারো কারো ক্ষেত্রে তা ঘটতে পারে। কিন্তু মূর্তি পূজার একটি প্রত্যক্ষ উপকারিতার কথা এবার আপনাকে বলি, হিন্দুরা যে প্রত্যেক বছর নতুন নতুন ধারণা ও থিম নিয়ে মূর্তিগুলো তৈরী করে এবং পূজার মন্ডপ সাজায় এতে করে তাদের সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটে দারুনভাবে। যা তারা তাদের জীবনে অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারে। আপনার কি মনে হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এমনি এমনি রাতারাতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়ে উঠেছেন। এর পেছনে আছে অনেক শত বছরের হিন্দু ঐতিহ্য-কৃষ্টি-কালচারের সারাংশ। আমার তো মনে হয় আর ৫০ বা ১০০ বছর পর পৃথিবীতে বিনোদন কালচার বলতে একমাত্র ভারতীয় বিনোদন কালচারই বুঝাবে। আর ভারতীয় বিনোদন কালচারের মূলে কিন্তু হিন্দু ঐতিহ্য। সিনেমা বলেন, সাহিত্য বলেন, মিউজিক বলেন, নাচ বলেন- সব খানেই কিন্তু সৃজনশীলতা। আর এই সৃজনশীলতার মূলে নীরবে কাজ করছে প্রতিমা গড়া, ভাঙ্গা; আর তাদের ঘিরে চলা নাচ-গান- উৎসব। ধর্মীয় কারণে বৌদ্ধরা মার্শাল আর্ট শিখতে বাধ্য হয়েছিলো, এখন ও শিখে। সেই মার্শাল আর্ট বা কুংফুকে সিনেমার মাধ্যমে কাজে লাগিয়ে আজ চীন, জাপান, থাইল্যান্ড বিশ্ব জয় করে ফেলেছে। অথচ আমাদের আফশোস, ইসলামে এমন কিছু নেই যা বর্তমান পৃথিবীতে মার্কেটিং করা যায়। এজন্যই বোধহয় ইসলামি জঙ্গী এবং সোমালিয়ান জলদস্যুদের মতো একটি প্রব্লেম মুসলিম বিশ্বে তৈরী হয়েছে।
ইসলমি বিধি বিধান কিভাবে বর্তমান পৃথিবীর জন্য হুমকি স্বরূপ- এই বিষয় নিয়ে আপনি অবশ্য একটি প্রবন্ধ লিখে মুক্তমনায় পোস্ট করতে পারেন।
@হৃদয়াকাশ,
কোয়ান্টাম মেথড কী জিনিস? খায় না গায় মাখে?
আর সৃজনশীলতার পিছোনে কিসের কথা বললেন এইটা কি ভাবনা চিন্তার ফসল নাকি খালি ইসলামরে দমাইতে হইব তার জন্য যা ইচ্ছা তাই বমি করলেন? সাহিত্যের ইতিহাস সম্পর্কে কোন ধারনা আছে? আধুনিক সাহিত্য সম্পর্কে তেমন কোন পড়াশোনা করছেন? জানেন ইতিহাসে সাহিত্যের সাবজেক্টের ক্রমবিকাশ? প্রথম দিকে কী নিয়া নাড়াচাড়া হইত আর আধুনিক কেউ কেউ কয় উত্তরাধুনিক যুগে কী নিয়া নাড়াচাড়া হয়?
hurt locker মুভিডা দেখছেন? Munich? The Kingdom? Traitor? The Siege? এমন আরো বহু ভালো ভালো ফিল্মের নাম বলা যাইব যেইগুলার কাহিনী ইসলামিক টেরোরিজম নিয়া। এইটা তো জানেন, বিশ্বের যত ভালো যুদ্ধভিত্তিক মুভি আছে ঐগুলা সবই হইছে প্রথম আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়া। তো এখন আমারে বলেন আপনার যুক্তি কী কয় এই ব্যাপারে। ইসলামিক টেররিজম না থাকলে এত ভালো ফিল্ম আমরা পাইতাম না, দুইটা বিরাট যুদ্ধ না হইলে এমন চমৎকার ভালো মুভি পাইতাম না, তো তাইলে কি ইসলামের টেররিজমের একটা বাস্তব ভিত্তি আছে? মানে এইটারও তো দরকার আছে কী কন? তারপরে ধরেন আরো ভালো কিছু যুদ্ধের মুভির জন্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধটা বাজাইয়া দিতে পারেন। শতহইলেও সৃজনশীলতা তো দরকার কী কন?
ইরানী ফিল্ম দেখছন কখনও? নাকি ইসলামিক দেশের জিনিস বর্জন করছেন? ইরানের কিছু মুভি দেইখ্যা একবার আওয়াজ দিয়েন তো। কইয়েন তো এত রেস্ট্রিকশন থাকার পরেও এত চমৎকার জিনিস এরা বানাইতাছে কেমনে যেইখানে আপনার হিন্দু দেশ ইন্ডিয়ায় বুক দেখাইন্যা ছাড়া আর কিছু বানাইয়া পাবলিকরে খাওয়াইতে পারতাছে না? আমার কাছে এইডা একটা বিরাট রহস্য। পারলে একটু খোলাসা কইরেন তো ভাই।
আর ইসলামিক দ্যাশগুলাতেই কেন আমেরিকা মানবতার ঝান্ডাধারী ডান্ডা মাতায় গনতন্ত্রের পতাকা পতপত কইরা উড়াইতে চায় এইটা নিয়াও একটু লেখতে কইয়া দেন। আফনের পিলিজ লাগে ভাই! 🙁
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার মত মহাঞ্জেনীরা এই ধরনের কথা বলে, এটা খায় ও না ,মাথায় ও দেয় না এটা কষ্ট করে রপ্ত করতে হয়। অবশ্য আপনার মত ঞ্জানী আবার বলে উঠতে পারে রপ্ত কি জিনিস।
ভাই আমি দেখছি, আমি ১ টা ছবি দেখেছি children of haven
লজ্জা করে না ইস্লামিক দেশ বলতে, ইসলামিক দেশ আবার মুভি বানায়, আবার অমুসলিম দের পুরুষ্কার নিতে লজ্জা করে না, আবার বলে ইসলামিক দেশ। যেই দেশে কি না ১০ বছরের কম মেয়ে দের বিয়ে দেয়ার বিধান রাখছে।
,
ভাই এই কথাটার উত্তর দিয়েন।
আমরা পাইত্তা দিব আর অন্যেরা তো মারবই। নিজেদের মাথায় কিছু নাই তাই আমেরিকানরা মাজা লইতাছে। ভাই ঘর খোলা রাখবেন আর চোর বা ডাকাইত আসব এটাই স্বাভাবিক।অবশ্য আপনে তো আবার ধর্ম প্রান মুসলিম, তাই আবেগের কারনে বলবেন চোর বা ডাকাইতের কি কোন নীতি নাই?
যদি ধর্ম প্রান মুসলিম হয়ে থাকলে তাহলে ভবঘুরের লেখাটা র উত্তর দিয়েন।
ভাল থাকবেন।
@NETWORK,
না দাদা, রপ্ত কী জিনিস ঐটা আর জিগামু না। খালি কন কোয়ান্টাম মেথড কী জিনিস। যা জিগাইছি তা কইলেই কাহিনী খালাস অইয়া যায়। এত প্যাচাইয়া ফায়দা কী তাতো বুঝলাম না। না আফনে নিজেই জানেন না?
তাইলে আর কী। দ্যাশ উদ্ধার করছেন। কিন্তু আমি আসলে কী জিগাইছিলাম মন্তব্য পড়ছেন ঠিকঠাকভাবে? নাকি না পইড়াই ফাল পারতাছেন? children of heaven এর মতন একটা অসাধারন মুভি ইরানের মতন একটা দ্যাশে কেমনে হইল? জবাবটা দিয়া যাইয়েন জনাব।
না ভাই, ইসলামিক দ্যাশরে ইসলামিক কইতে আমার লজ্জা টজ্জা করে না। আফনের লজ্জাবোধের টাওয়ার বহু উচায় হওয়ায় আফনের নেটওয়ার্কে লজ্জা প্রখরভাবে ধরা পরে। আমার ভাই তেমন লজ্জা টজ্জা নাই। আর ইরানে ১০ বছরে বিয়া দেওয়ার সিস্টেম রাখছে নাকি সবাইরে সন্যাসী বানানোর সিস্টেম রাখছে এইডা নিয়া এডভোকেসি করার জন্য আমি কাউর লগে চুক্তি করছি বইলা তো মনে পরে না। সুতরাং ইরানে কী করছে না করছে এইটা নিয়া আমার যৌনকেশ পোড়াইতে আমি রাজি না। আমার বক্তব্য হইল “হৃদয়াকাশ” নামের ইসলামী গবেষক গো-এষনা কইরা বাইর করছে হিন্দু ধর্ম নাকি সৃজনশীলতায় বিরাট অবদান রাখছে, কিন্তু ইসলামে নাকি ঐরকম কিছুই নাই, এই প্রেক্ষিতে আমি কইলাম তাইলে ইরানের মতন দ্যাশে এত চমৎকার মুভি কেমনে হইতাছে(যেহতু গবেষক মুভির প্রসঙ্গও নিয়া আসছে) বুকের কাপর ঠিক রাইখ্যা যেইহানে সৃজনশীল হিন্দুস্তানের হিন্দুরা প্রবল সৃজনশীল ধর্মগ্রন্থ থাকতেও বুক দেখাইন্যা ছাড়া আর তেমন কিছুই করতাছে না। জনাব, মাথা কুল কইরা জবাবটা দেন। না বুইঝ্যা ফাল পারলে অইব? তাইলে তাবত নাস্তিককূলের মান সম্মান থাকব?
নাস্তিককূলের অবস্থা যদি এই অয় তাইলে দুনিয়ার সবচাইয়া আবাল জাতিগোষ্ঠি হিসাবে নাস্তিকরা নাম কুড়াইতে যাইতাছে শিউর থাকেন। ইসলাম আর মুসলমান বিদ্বেষ কোন পর্যায়ে গ্যালে মানুষ এই কথা কইতে পারে এইডা আফনের লাহান ইনফেরিয়র কমপ্লেক্সে ভোগা ভুয়া নামের ঐপাশে মানবতার ঝান্ডাধারীরা না বুঝলেও আমার লাহান কিছু “মুসলমান(আমি হতাশ)”রা বুঝে।
আইচ্ছা আপনার কথা মানলাম, পাইত্তা দেয়(যদিও দুঃস্বপ্নেও এইডা মাইন্যা নেওয়ার কোন কারন নাই) দেইখ্যা আমেরিকা নিয়মিতভাবে মুসলমান দ্যাশগুলার পশ্চাৎদেশ মাইরা চলতাছে। তাইলে আমারে কন, মুসলমানরা(আফনের কতানুযায়ী আমার লাহান মুসলমানরা) বর্তমান সমাজে নারীগোরে দেইখ্যা কুতুবমিনার খাড়া করাইয়া রেইপ করলে আপনি কী কইবেন? হেরা হেগোর শরীর দেহাইয়া হাটব আর পোলাপাইনে খালি হাত মারব এইডাতো হইব না। কী কন? তাইলে রেইপ করা কেন দোষের আমারে একটু বুঝাইয়া দেন। না বুঝাইলে কিন্তু রাগ করমু ভাই। আবোল তাবোল সূরা দোয়া শুরু করমু পরে। সুতরাং ভুগুচুগি বাদ দিয়া টু দ্যা পয়েন্টে কতা কইবেন।
আপনি বহুত দুঃখ পাইবেন ভাই হুনলে, তারপরেও হাচা কতাডা না কইয়া পারতাছি না, আমি ধর্মপ্রান মুসলমান না। ছোরি ভাই, মনের ঝালডা মিটাইতে হয়ত পারবেন না। তারপরেও মুসলমান মনে কইরা ঠেলতে থাকেন। আমি আছি।
@সাইফুল ইসলাম,
ভাই,গোবরে পদ্ম ফুল ফুটছে।
কি ভাই, খুব গায়ে লাগছে মনে হয়। ইসলামিক রাষ্ট্র তো তাই কথা টা বলা। খুব গায়ে লাগছে, আমি দুঃখিত।
ভাই দুনিয়ার সব আস্তিক কি এক রকম ঞ্জানি হয়, ঠিক একীভাবে সকল নাস্তিক কী এক রকম ঞ্জানি………।।
আপণে কী কাফের।
মুসলিম শব্দটা বইলা হাসি লাগাইয়া দিলেন। ভাই একটা সমাজ ব্যবস্থায়, চোর কি সবাই হয়, ডাক্তার কি সবাই হয়। সব মুসলিমরা কি এই ধরনের আকাম করে নাকি।আপনে আমার কথা টাই বুঝতে পারেন নাই।(ভাই ঘর খোলা রাখবেন আর চোর বা ডাকাইত আসব এটাই স্বাভাবিক)।
এই সীমাহীন উজবুকের লগে আমার প্যাচাল শুরু করাই ভুল অইছে দেহা যায়। মিস্টেক অফ দি সেঞ্চুরি!! আফসোস। 🙁
@সাইফুল ইসলাম,
আমার হয়ে নেটওয়ার্ক ই অনেক কথা বলে দিয়েছে। তাই আমি আর বেশি কিছু বললাম না। শুধ বলছি ‘কোয়ান্টাম মেথড’ নিয়ে।
প্রার্থনা বা বিশ্বাসে কিভাবে মানুষ উপকৃত হয়- এই ব্যাপারটি বলতে গিয়ে আমি কোয়ান্টাম মেথড এর কথা বলেছি। আপনি যদি কোয়ান্টাম মেথড বা মন নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে না জানেন তাহলে আমার মন্তব্যের জবাব দেওয়ার আগে আপনার প্রথম কাজ ছিলো নেট ঘেঁটে হোক আর বই পড়ে হোক কোয়ান্টাম মেথড সম্পর্কে ধারণা নেওয়া তার পর আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়া।
আপনার মধ্যে একজন প্রকৃত মুসলিমের রূপ দেখতে পাচ্ছি। যাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, পড়াশোনা না করা এবং মুসলমান ও ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো কথা গেলেই সত্য মিথ্যা বিচার না করেই তাকে যা খুশি তা বলা, আর হাতের কাছে পেলে কতল করে ফেলা। মাথা ঠান্ডা করে মন্তব্যের জবাব দিয়েন।মুর্খের মতো অযথা চিল্লা পাল্লা কইরেন না।
@হৃদয়াকাশ,
আফনের হইয়া উত্তর দেওয়ার “নেটওয়ার্ক ” যা কইছে আমি হেরে মেসেজ দিয়া রিপ্লাই দিছি। আমারে প্রতিউত্তরডা দিয়েন। আবার কইয়েন না নেটওয়ার্ক-এ ঝামেলা হইছে।
আমিও এই ব্যাপারটা বুঝতে আপনার দারস্থ হইছি। বাঙলাদেশে ভুগি চুগি বিজনেস করা মহাজাতক নামের এক ব্যাবসায়ী এই নামের একটা পণ্য বিরাট সংখ্যার আবাল জনগোষ্ঠির কাছে এই মেথডে বিক্রি করে। আপনি কি ঐ জিনিসের আলাপ পারতাছেন?
আর আমার কী করা উচিত অনুচিত এইডা কইলে তো হইব না। আপনি যদি একটা আওয়াজ দেন ঐ আওয়াজ কেন দিছেন এইডা পাবলিক আপনারে জিগাইবই। খালি গুগল গুগল করলে হইব? সাইকোলজি আর কোয়ান্টাম মেথড একখানে করছেন আর মনে করছেন মুক্তমনায় আইয়া এমনেই পার পাইয়া যাইবেন। ঝাইড়া কাশেন জনাব, ঝাইরা কাশেন। দরকার হইলে কোয়ান্টাম মেথড পালন কইরা কাশেন, তার পরেও কন এইডা কী জিনিস।
আমি মুসলমান না হিন্দু এইডা কেমনে বুঝলেন?? কোয়ান্টাম মেথড নিশ্চই?? ভাই, এইডা কিন্তু আমারে শিখানই লাগব। পিলিজ লাগে আফনের!!
আর মূর্খ কিছু প্রশ্ন করছে উপ্রে, যেইগুলার জবাব নিজে দিতে সাহস করেন নাই। দিছেন আফনের নেটওয়ার্ক দিয়া। পারলে জবাবগুলা দিয়া যাইয়েন।
@সাইফুল ইসলাম,
আপনি কি মহাজাতক এর কোয়ান্টাম মেথড বইটা পড়েছেন ? মনে তো হয় না। আর পড়লেও সেটা বোঝার ক্ষমতা যে আপনার হয় নি, সেটা আপনার অযথা চিল্লা পাল্লা দেখলে খুব সহজেই বোঝা যায়। সময়ের অভাবে আমি মহাজাতক এর কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করি নি; কিন্তু তার কোয়ান্টাম মেথড নামক বইটা পড়ে এবং তার পদ্ধতিগুলো কাজে লাগিয়ে কিভাবে উপকৃত হয়েছি এবং এখনও হচ্ছি, সেসব আপনাকে বলে তো লাভ নেই, কারণ আপনি সেগুলো এক ফুৎকারে উড়িয়ে দেবেন। আপনি তো আবার বাল জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু যাদের আপনি আবাল বলে অভিহিত করেছেন, ঢাকার শান্তিনগরে মহাজাতকের অফিসে গিয়ে তাদের ছবিগুলো দেখে তাদের পরিচয়টা জেনে আসেন। মহাজাতক কোনো জ্যোতিষী নন। মানুষের মস্তিষ্ক্যের বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিয়ে তাকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে একজন মানুষকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে দেওয়া যায় মানুষকে তিনি তাই শেখান। এর মধ্যে বিন্দুমাত্র প্রতারণা নেই। আর আপনি তাকে বলছেন ভুগি চুগি! আপনি সেটা বলতেই পারেন। কারন এমনি এমনি তো আর প্রবাদ হয় নাই যে, পাগলে কিনা বলে আর ছাগলে………….। আমি এ যাবত কখনো শুনি নাই, কেউ মহাজাতকের কর্মকান্ড নিয়া সমালোচনা করেছে। তাকে প্রতারক বলেছে। কিন্তু আপনি তাই বললেন। এরপর আপানি কিভাবে আশা করেন আপনার সব প্রশ্নের উত্তর আমি দেবো। ছাগলে যা খায় খাক, সেটা নিয়া যেমন বেশি চিন্তা করার কোনো দরকার নাই, তেমনি আপনার মতো পাগলরাও যতই চিল্লা পাল্লা করুক সেটা নিয়াও বেশি কিছু ভাববার নাই। এই মন্তব্যে ভবঘুরে ও মন্তব্য করেছিলো। আমি তার মন্তব্যের জবাব দিয়েছি, আবার সেও আমাকে জবাব দিয়েছে , সেগুলো পড়লেই বুঝবেন আমি, ভবঘুরে আর আপনার মধ্যে কি পার্থক্য ?
@হৃদয়াকাশ,
মানুষের মস্তিষ্কের এই ‘বিজ্ঞানসম্মত’ ব্যাখ্যাটা কি ?
@সংশপ্তক,
আপনি মিয়া গবেষনার লগে থাকলে কী হইব, মহাজাতক বাবার গুনগান বোঝা ক্ষমতা আপনার হয় নাই। হেয় বিরাট মগজবিজ্ঞানী। কুটিকুটি মানুষ হের পায়ে লুটোপুটি খায়, যেমন আমগোর হৃদয়াকাশ। এইহানে ইসলামের গোষ্ঠি উদ্ধার করতাছে আর যারে লইয়া গুনগান গাইতাছে ঐডা যে ইসলামের বিরাট কাঠমোল্লা এইডা হেয় জানে না। হতাশ লাগে বুঝলেন। এই হৃদয়াকাশরা সবাইরে বাইগুন মনে করে। আপচুছ লাগে এইগুলারে দেখলে। 🙁
@সাইফুল ইসলাম,
মহাছাতকের ছাতরামির বিস্তারিত জানার জন্য আমিও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। মডারেটররা এখন এইসব ‘নিরামিষ’ বিনোদনমূলক মন্তব্যগুলো সময়মত রিলিজ করলেই হয়। তবে, এতদিন ‘নিরামিষ্’ বিনোদন তেমন একটা দেখা যায়নি মুক্তমনায়। সব বিনোদনই এতদিন ছিল ভূনা ‘গোমাংসে’ ঠাসা ! দেখেন এখন এই সুযোগে ঝিশু মিশুর পাশাপাশি কার কার ‘নিরামিষ’ লেজ বেড়িয়ে পড়ে! লেজ তো আবার সব সময় লুকিয়ে রাখা একটু কঠিন বিষয় !
@সংশপ্তক,
এই বিষয়ে অমর বাণী আছে একটাঃ
ল্যাঞ্জা ইজ আ টাফ থিং টু হাইড!
@হৃদয়াকাশ,
তাই নাকি, তাইলেতো ভাই হেয় শ্যাষ নবী মোহাম্মদের পর আলাদা কোরান নাজিল করছে। আফনের মতন বাঙলায় পড়া হৃদয়াকাশরা বিরাট মস্তিষ্কবিজ্ঞান বুইঝ্যা ফেলাইব আর আমি বিজ্ঞানে পড়াশোনা কইরা এই জিনিস বুঝমু না, কাহিনীতে কেমন জানি মাছের গন্ধ পাইতাছি। সামথিং ফিশি!
কোয়ান্টাম মেথডের গুনগান শুধু আপনার মুখে না, আরো বহু কুতুবের মুখেই শুনছি। মহাজাতকের বই পড়ার সৌভাগ্য না দূর্ভাগ্য জানিনা আরো অন্তত ৫ ৭ বছর আগেই হইছে। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে তিনচার বার রক্ত দিছি। মহাজাতক সম্পর্কে আপনার মতন হাফেজ না হইলেও এক্কেরে মূর্খ না।
মসজিদের হুজুরের পানি পড়া খাইয়া বহু মানুষ উপকৃত হইছে হেই জন্য পানি পড়া বিজ্ঞান সম্মত হয় নাই। মহাজাতক হুজুরের সূরাগুলা এই আলোচনায় না পারেন, আলাদা একটা লেখা দিয়েন, তাইলেই বোঝা যাইব হুজুরের দম কতদূর।
আফনে যহন কইছেন তাইলে তো আর ভুল অইতে পারে না। কিন্তু নিচের এই ছবিডা কিন্তু অন্য কতা কয়।
[img]http://www.sonarbangladesh.com/blog/uploads/Aminuddin201108081312805158_qwant%205.JPG[/img]
এইহানে ইসলামের বিরুদ্ধে কামান দাগাইতে দাগাইতে মানুষের জীবন অতিষ্ট কইরা ফেলাইতাছেন আর আফনের না-জ্যোতিষী মহাজাতক যে আরেক ইসলামিক বিরিঞ্জিবাবা এইডা আফনে জানেন না? মানতে কষ্ট অয় কিন্তু। নাকি বাবায় আফনেরে ট্যাহা পয়সা দিয়া কোয়ান্টাম মেথডের হইয়া পতিতাবৃত্তি করতে কইছে? হাচা কতাডা জনগনরে জানাইয়া দেন গো ভাই। আফনের লগে মহাজাতক পীর সাবের সম্পর্ক কী? ঝাতি ঝানতে ছায়।
দেহি আফনের কোয়ান্টাম মেথডের বাবা মহাজাতকরে লইয়া একটা কুৎসা রটাইন্যা পোষ্ট দেওয়া যায় কী না। থাইক্যেন গো ভাই।
@হৃদয়াকাশ,
তথাকথিত ‘কোয়ান্টাম মেথড’ নিয়ে ভুজুং ভাজুং মহাজাতকের আবিস্কার না, দিপক চোপড়া থেকে অনেকেই কোয়ান্টাম মেকানিক্স না বুঝেই কোয়ান্টাম বলবিদ্যাকে জুড়ে দিয়েছেন মানুষের আত্মিক শক্তি বাড়নোর কাজে। কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা জানা পদার্থবিজ্ঞানীরা এগুলোর খণ্ডনও করেছেন বহুবার। মুক্তমনাতেই আছে পদার্থবিদ ভিক্টর স্টেঙ্গরের Quantum Quackery
সম্প্রতি বেরুনো তার বইটাও পরে নিতে পারেন –
Quantum Gods: Creation, Chaos, and the Search for Cosmic Consciousness
রিচার্ড ডকিন্সের এই ভিডিওটাও দেখে নিতে পারেন –
httpv://www.youtube.com/watch?v=jfVIl1UUQns
কোন মূলধারার বিজ্ঞানীই মহাজাতকের কোয়ান্টাম মেথডকে বৈজ্ঞানিক মনে করবেন না। এটা নিশ্চিত।
স্যাম হ্যারিস ও মাইকেল শার্মার-এর সাথে দীপক চোপড়া (এবং আরেকজন মহিলা)-র একটি বিতর্কের ভিডিও দেখার দুর্ভাগ্য হয়েছিলো। দীপক চোপড়ার মূর্খতা, ঔদ্ধত্য ও পদার্থবিদ্যার বেসিক ফ্যাকটস সম্পর্কে ক্লু-হীনতা দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। বৃটেনের মত দেশে একজন এন্ডোকৃণোলজিস্ট (যদিও প্র্যাকটিস করেন কিনা সন্দেহ) এত বুলহেডেড, মাথামোটা হতে পারে ধারণাই ছিলো না।
বহু বছর আগে দিল্লী থেকে একবার চোপড়ার এইজলেস বডি বইটা কিনেছিলাম – ভাগ্যিস কোনোদিনও ওটা খুলে দেখা হয় নি!
পিওর ননসেনসিকাল বুলক্র্যাপ দিয়ে এত জনপ্রিয় মুভমেন্ট প্রতিষ্ঠা করা যায় সেদিন তা শিখলাম। 😀
হ্যারিস ও শার্মার তো শার্লাটানটাকে লিটেরালী (ইন্টেলেকচুয়ালী) ধর্ষণ করে ছেড়ে দিলেন! :guru:
ভিডিওটির ১ম পর্ব (বাকী ৭ পর্বের লিংক পাবেন মূল সাইটে) –
httpv://www.youtube.com/watch?v=_kl5jCVU4vQ
ভিডিওগুলো ব্যাপক বিনুদুনের উৎস! মিস করলে লস করবেন! 😛
@হৃদয়াকাশ, না ভাই ঝামেলা আছে।মহাজাতকের এই বই আমিও পড়েছি। খুব হাসি পেয়েছে। আচ্ছা একটা কথায় আসেন তো।
আপনি এখন একটা কমলা লেবু নিয়ে চিন্তা করুন।
ভাই আমার তো মনে হয় যে যদি মহাজাতক বলে যে
আপনি কমলা লেবু নিয়ে চিন্তা করবেন না
তবু চিন্তাটা আপনার মাথায় থেকে যাবে আর আপনি ঐটা নিয়েই নিজের অজান্তে একবার হলেও কমলা লেবু দেখবেন বা ওটা নিয়ে চিন্তা করবেন। কমলা লেবুর কথা বলতেই ওটার ছবি ভেসে ওঠে মনে। টেনিস বলের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এক। একটু টেস্ট করে দেখেন ভাই কি হয়!
@সাইফুল ইসলাম,
আমি ভাই বাজি রেখে বলতে পারি, সব কিছু বর্জন করলেও বর্তমানে ইসলামিক দেশের একটা জিনিস বর্জনের ক্ষমতা আমাদের কারুরই নেই আর সেটা হল তেল। তেল ছাড়া আপনি, আমি, সোজা কথায় সবাই অচল 🙂
@হৃদয়াকাশ,
ভাই্জান কি ভারত থেকে নাকি?
আমার নিবন্ধে হিন্দু ধর্মের কিছু কথা তুলে ধরার উদ্দেশ্য কিন্তু হিন্দু ধর্মের গুণগান করা নয়। ঠিক তেমনি ভাবে খৃষ্টান ধর্মের কথা তুলে ধরি খৃষ্টান ধর্মের গুণগান করতে নয়। ইসলাম ধর্ম এ দুটো ধর্মকেই পৌত্তলিক ও শিরক বলে গালি দেয়। আমার উদ্দেশ্য হলো – ইসলাম এদের চাইতে বেশী পৌত্তলিক ও শিরক। প্রকৃত অর্থে হিন্দু ধর্ম একটা প্রচন্ড বৈষম্যমূলক ধর্ম যা নিজেদের মধ্যেই নিজেদেরকে দারুনভাবে শোষন ও নির্যাতন করে। এ কারনেই প্রাচীন কাল থেকেই ভারতে হিন্দু ধর্মের মধ্য থেকে বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ইত্যাদি ধর্মের আবির্ভাব ঘটেছে। এরকম ভাবে নিজেদের মধ্যেই বৈষম্য সৃষ্টির কারনে ভারতে হিন্দুরা কখনই ঐক্যবদ্ধ ছিল না , ছিল বিপুলভাবে বিভক্ত। এর ফলে বিদেশী বর্বর শক্তি বার বার ভারত দখল করেছে, হাজার হাজার বছর ধরে তারা ভারতবাসীদেরকে শাসন ও শোষণ করেছে। ভারতীয়রা কখনই বীরত্বের তেমন পরিচয় দিতে পারে নি।পরন্তু হাজার হাজার বছর ধরে বিদেশী শাসক গোষ্ঠির দালালি ও গোলামি করেছে। বর্তমানকার স্বাধীন ভারত বাসীর মন মানসিকতায় যে বিপুল কোন পরিবর্তন ঘটেছে তা মনে হয় না। ভারতবাসীরা এখনও খুব বেশী উন্নত মন মানসিকতার অধিকারী হয়েছে বলে মনে হয় না। তাদের মনের মধ্যে সংকীর্ণতা ও স্বার্থপরতার মাত্রা বেশী পরিলক্ষিত হয়। আর এসব কারনেই জোকার নায়েকের মত একটা ভাঁড় যখন খোদ ভারতের মধ্যে তার নানা রকম মিডিয়া স্থাপন করে ভারতের সব মানুষকে মুসলমান বানানোর ছক এটেছে, ভারতীয়দেরকে দেখা যায় এ ব্যপারে ভীষণ উদাসীন, তারা ব্যস্ত কারিনা কাপুর বা ক্যটারিনা কাইফের নগ্ন বক্ষ দেখাতে ও ক্রিকেটের মত একটা সময়ক্ষেপনকারী খেলা নিয়ে মত্ত। ভারতে এখন ধনী মানুষের অভাব নেই , অভাব নেই টেলিভিশন চ্যনেলের কিন্তু জোকারের ভন্ডামী প্রকাশ করার মত কোন উদ্যোক্তা নেই ওখানে কারন এ ব্যপারে কেউ অর্থ ব্যয় করতে অনিচ্ছুক। ভারতের সব মানুষ একদিন ইসলামের পতাকাতলে আসলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এমনই জাতি এই ভারতীয়রা।
@ভবঘুরে,
আমি এমন পড়েছি যে, ভারতে বিভিন্ন সময়ে মুসলিম রা আক্রমণ করেছে কিন্তু বর্তমান ভারতে এত হিন্দু আসল কোথা হতে। এই রকম ১ টা হাস্যকর ধর্মই বা কিভাবে টিকে আছে বর্তমান পৃথিবিতে। তার উপর সুনা যায় বর্তমান পৃথিবিতে ১ বিলিয়ন হিন্দু ধর্মালম্বী আছে।(অবাক করার মত বিষয়)
(Y)
@ভবঘুরে,
আপনি আমার মন্তব্যটি ভালো করে পড়লে দেখবেন, আমি হিন্দু ধর্মের গুনগান করার জন্য কথাগুলো বলি নি। আমি বলেছি হিন্দু ধর্মের মূর্তি পূজার মধ্যে এমন কিছু আছে যা তাদের সুজনশীলতা প্রকাশে সহায়ক। ঠিক একই ভাবে বলেছি বৌদ্ধ ধর্ম প্রসঙ্গে মার্শাল আর্ট বা কুংফুর কথা। সব ধর্মের মধ্যেই কিছু না কিছু ভালো বিষয় আছে। না হলে ধর্মগুলো টিকে থাকতো না। ধর্মের সমালোচনা করি বলে সব সময় যে ধর্মকে “ধর্মকারী” সাইটের মতো নেগেটিভলি দেখতে হবে তার তো কোনো মানে নেই।
আপনার লেখায় আপনি যীশু আর মুহম্মদের যে তুলনা করেছেন, তাতে কি এটা প্রমাণ হয় না যে আপনি যীশুর গুনগান করেছেন। না করলে আপনি তাকে মুহম্মদের চেয়ে ভালো করে দেখালেন কেনো ? আপনার এটা যদি গুনগান না হয় তাহলে আমি হিন্দু ধর্মের একটা পজিটিভ দিক নিয়ে বললে সেটা গুনগান হবে কেনো ? আর গুনগান হলেই বা দোষ কী ? ভালো কে ভালো আর খারাপকে খারাপ বলা ই মুক্তমনা লোকজনের বৈশিষ্ট্য। মুক্তমনা মানে এই নয় যে, সকল ধর্ম ফাউল বলে তাদের সমালোচনা করতে গিয়ে তাদের ভালো কোনো বৈশিষ্ট্যের কথা বলা যাবে না।
আপনি অস্বীকার করতে পারবেন যে ভারতীয় কালচারের যে বিশ্বব্যাপী আগ্রাসন তার পেছনে হিন্দু ধর্ম এবং তার সৃজনশীলতার কোনো ভূমিকা নেই ?
আপনার পক্ষে কি অস্বীকার করা সম্ভব- হংকং এর ব্রুসলি, চীনের জ্যাকি চানসহ অন্যান্য চীনা অভিনেতা, থাইল্যান্ডের টনি জা সহ অন্যান্য অভিনেতা অভিনেত্রীদের মার্শাল আর্ট বা কুংফুতে যে পারদর্শিতা তার পেছনে বৌদ্ধ ধর্মের কোনো ভূমিকা নেই ?
আপনি কি অস্বীকার করতে পারবেন যে, মুসলিমদের তুলনায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের প্রার্থনায় যে সময় বাঁচে সেটা তাদের মুসলিমদের তুলনায় এগিয়ে দিচ্ছে অনেক খানি?
এসব বিষয় নিয়ে কথা বললে কেনো ধরে নেওয়া হবে যে আমি সেই বিশেষ ধর্মের গুনগান করছি।আমরা বিশ্বাস করি কোনো সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবী এবং তার উপরিস্থিত কোনো কিছু সৃষ্টি করে নি। সুতরাং ধর্মের সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কিত যে বিষয়গুলো আপনার কথায় কিচ্ছা কাহিনি সেগুলো নিয়ে যুক্তিসংগতভাবে যা তা বলা যেতে পারে। কিন্তু ধর্মের যে বিষয়গুলো সামাজিক আইন হয়ে আপনার আমার জীবনে প্রভাব ফেলেছে এবং ফেলবে সেগুলোকে আপনি অস্বীকার করবেন কিভাবে ?
মুহম্মদের বিধি বিধান নিয়ে আমরা যা তা বলি, কারণ সেগুলোর অনেক কিছুই বাস্তবে অচল। কিন্তু তাই বলে ইসলামের মধ্যে কি কিছুই ভালো নেই? যাকাত ফিতরার সামাজিক উপকারিতার কথা আপনি কিভাবে অস্বীকার করবেন ? এটা তো অন্য কোনো ধর্মে নেই। এই বিষয় নিয়ে আমি যদি পজিটিভ কিছু বলি তাহলে কি আপনি ধরে নেবেন যে আমি মুসলিম, সুযোগ পেয়ে ইসলামের গুনগান করছি!
আমি ভারতীয় কি কানাডিয়ান এই প্রযুক্তির যুগে সেটা কোনো বিষয় নয়। হতে পারে আপনি যে ফ্ল্যাটে থাকেন আমি তার নিচের বা উপরের বা পাশের ফ্ল্যাটে থাকি; তাতে কি আসে যায় ? আমার কম্পিউটারে যখন ইন্টারনেট সংযোগ আছে তখন আমি বিশ্ব নাগরিক। এটা প্রযুক্তির সূত্রে। কিন্তু মানবতার সূত্রেও আমি নিজেকে বিশ্ব নাগরিক মনে করি। কিন্তু আপনি যখন, আমি ভারতীয় কি না, এই প্রশ্ন তুলেছেন; পরে হয়তো এই প্রশ্নও তুলবেন আমি হিন্দু, বৌদ্ধ না খ্রিস্টান ? এর মাধ্যমে আমি কিন্তু আপনার মনের সংকীর্নতার পরিচয় পাচ্ছি।
@হৃদয়াকাশ,
কোরান হাদিস ও গসপেল পড়ে মোহাম্মদ ও যীশুর চরিত্রের যে বর্ণনা পেয়েছি সেটাই তুলে ধরেছি মাত্র। এতে করে যীশুকে মোহাম্মদের চাইতে বেশী গুণ সম্পন্ন মনে হলে আমার তো করার কিছু নেই ভাইজান। আর এটা তুলে ধরার কারন হলো- মোহাম্মদের উম্মতরা মনে করে মোহাম্মদ হলো দুনিয়ার সকল সময়ের সব চাইতে সেরা ও আদর্শবান মানুষ, যীশু তার ধারে কাছে ভিড়তে পারে না- এ বিষয়টা যে ডাহা মিথ্যা কথা সেটা তুলে ধরা। অন্য কিছু নয় ভাইজান।
@ভবঘুরে, নাযারেথ শহরে ইয়েশুয়া নামে রক্ত মাংসের কাঠমেস্তরী আদৌ ছিলো কিনা সে ব্যাপারেই বা নিশ্চিৎ হচ্ছেন কিভাবে?
যিসাস মিস্ট্রী-র প্রবক্তাদের মতে, পারস্যের মিথ্রাস, মিশরের হোরাস সহ বিভিন্ন উপাস্যকে ব্লেন্ডারে ফেলে ককটেল বানিয়ে ঈশ্বরের পুত্রকে ম্যানুফেকচার করেছে রোমান ক্যাথলীক চার্চ। যীশু নামে আদৌ কোনো ব্যক্তিই ছিলো না, তিনি ক্রশবিদ্ধ হবার ঘটনাও ঘটে নি।
পিটার যোসেফের যাইৎগাইস্ট (১ম পর্ব) দেখতে পারেনঃ
httpv://www.youtube.com/watch?v=a36_CwzA0bk
(ডকুমেন্টারীটিতে তথ্যগুলো অবশ্য একটু ওভার-দি-টপ, সেন্সেশনালিস্ট-ভাবে দেখিয়েছে – তবে চিন্তার প্রচুর খোরাক পাবেন)
এ প্রসঙ্গে আমার একটা ছোট্টলেখা আছে, অনেক দিন আগে লিখেছিলাম, সেটাই পোস্ট করে দিলাম।
ভবিষ্যৎদ্রষ্টা হিসেবে কে বেশি সফল, যীশু না মুহম্মদ ?
খ্রিষ্টানরা বলে থাকেন যীশুর পুনরুত্থান ঘটবে; আর কোনো কোনো মুসলমান বলে থাকে যীশু অর্থাৎ ঈশা নবী হযরত মুহম্মদের উম্মত হিসেবে আবির্ভূত হবেন। বিষয়টিকে যেভাবেই নিই না কেনো এর মূল কথা হচ্ছে পৃথিবীতে আবার যীশুর আগমন ঘটবে। যীশুর- হযরত মুহম্মদের উম্মত হিসেবে আগমনের কারণ হিসেবে মুসলমানগণ ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে যে, যীশু নাকি নবুয়ত প্রাপ্তির পর জানতে পারেন যে, তার পরে আর একজন নবীর আবির্ভাব ঘটবে; যিনি হবেন সর্বশ্রেষ্ট এবং সর্বশেষ। এই কথা জানতে পেরেই নাকি যীশু, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত হিসেবে আবার জন্ম গ্রহণের জন্য আল¬ার কাছে ফরিয়াদ করেন এবং আল¬া তার প্রার্থনা কবুলও করেন। এই যদি ঘটনা হয়, তাহলে মঞ্জুরিপ্রাপ্ত নবী হিসেবে যীশুর খাঁটিত্বের প্রমাণ মেলে; কারণ, তার ভবিষ্যৎ বাণী অনুযায়ী একজন নবীর আবির্ভাব ঘটেছে যিনি সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার।
কিন্তু, যীশুর তুলনায় শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার হযরত মুহম্মদের-ভবিষ্যৎ বক্তা হিসেবে- অবস্থানটা কোথায় ? তার ভবিষ্যৎ বাণী অনুযায়ী ইমাম মাহদী নামে একজনের আবির্ভাব ঘটবে। ভালো কথা। কিন্তু ইমাম মাহদীর আবির্ভাব যে প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে ঘটবে বলে ইসলামে বলা হয়েছে তা পৃথিবীতে আদৌও ঘটবে বলে মনে হয় না। যেমন অনেক কণ্ডিশনের মধ্যে বলা হয়েছে- (১)পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উঠবে। (২) চাঁদটি দু টুকরা হয়ে পরস্পর নিকটবর্তী থাকবে। (৩) পূর্ব দিকে একটি নক্ষত্র উঠবে যা চাঁদের মতো জ্বলজ্বলে। (৪) একটি আগুন দেখা যাবে পূর্ব দিকে যা সাতদিন অথবা তিনদিন থাকবে। (দ্রষ্টব্য: কে ইমাম মাহদী ( আঃ) – সাইয়্যেদ সাদরুদ্দীন আল সাদর)
এগুলোর একটু ব্যাখ্যা দেওয়া যাক; সৌরজগত সম্পর্কে যাদের অল্প কিছু জ্ঞান আছে তারাও জানে যে, কখনোই পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উঠা সম্ভব নয়। এটা যদি কখনো ঘটে তাহলে আমাদের এই সৌরজগত ধ্বংস হয়ে যাবে এবং তারপর ইমাম মাহদীর কাণ্ডকারখানা দেখার জন্য পৃথিবীতে কেউ জীবিত থাকবে না।
চাঁদটি দু টুকরা হয়ে পরস্পর নিকটবর্তী থাকবে- সৌরজগতের নিয়মানুযায়ী এটাও কখনো সম্ভব নয়। কারণ মহাজাগতিক কোনো কিছুর ধাক্কায় চাঁদ টুকরো টুকরো হতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে চাঁদের টুকরোগুলো পুরো সৌরজগত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর রিয়্যাকশন পড়তে পারে পৃথিবীতেও। সুতরাং দুটুকরো হয়ে চাঁদের কাছাকাছি থাকার এবং তা পৃথিবী থেকে মনোরম দৃশ্য হিসেবে অবলোকন করার কোনো সুযোগ নেই।
পূর্ব দিকে একটি নক্ষত্র উঠবে যা চাঁদের মতো জ্বলজ্বলে – সৌরজগত সম্পর্কে যাদের জ্ঞান কম, একমাত্র তাদের পক্ষেই এরকম হাস্যকর কথা বলা সম্ভব। সূর্যই আমাদের সৌরজগতের একমাত্র নক্ষত্র এবং আমরা জানি একেকটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করেই একেকটি সৌরজগত গঠিত হয়। পৃথিবীর আাকাশে মিটমিট করে জ্বলা তারাসদৃশ যে নক্ষত্রগুলো আমরা দেখতে পাই সেগুলো পৃথিবী থেকে হাজার হাজার কোটি মাইল দূরে। সেগুলোকে যদি পৃথিবীর আকাশে চাঁদের মতো দেখতে হয় তাহলে সেগুলোকে আমাদের সৌরজগতের অনেক কাছাকাছি আসতে হবে। এটা ঘটলে মহাবিশ্ব ওলটপালট হয়ে যাবে। এতে আমাদের সৌরজগত এবং পৃথিবীও ধ্বংস হয়ে যাবে।
একটি আগুন দেখা যাবে পূর্ব দিকে যা সাতদিন অথবা তিনদিন থাকবে- সাতদিন না তিন দিন থাকবে সেটাই যখন ইসলামী পণ্ডিতরা ঠিক মতো বলতে পারছে না, তখন তাদের কথা বিশ্বাসযোগ্য হয় কিভাবে ? তাছাড়া আগুন দেখা যাবে পূর্ব দিকে, এটা আকাশে না পৃথিবীতে ? যদি পৃথিবীতে হয় তাহলে সেই আগুন কোন দেশে লাগবে ? আর যদি আকাশে হয় তাহলে সেই আগুন লাগবে কিভাবে ? কারণ আকাশ তো কোনো বস্তু নয়, আর বস্তু ছাড়া আগুন লাগাও তো সম্ভব নয়।
ইমাম মাহদীর আগমনের নিদর্শন স্বরূপ এরকম অনেক আজগুবি কথা – ‘সাইয়্যেদ সাদরুদ্দীন আল সাদর’ এর লেখা “কে ইমাম মাহদী ( আঃ)” নামক বইটিতে দেওয়া আছে। আমি কয়েকটি সম্পর্কে আলোচনা করলাম মাত্র। কৌতূহলী পাঠকগণ চাইলে বইটি দেখে নিতে পারেন। তাহলেই বুঝবেন ভবিষ্যৎদ্রষ্টা হিসেবে হযরত মুহম্মদের সফলতা বা গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু ?
অবশ্য আল্লাহ সব পারে- একথা বিশ্বাস করলে অন্য কথা। আসলে আল্লা কিন্তু কিছুই করতে পারে না। যেমন পারে না তার পেয়ারের দেশ সৌদি আরবকে ভারতের মতো সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা বানাতে। তেমনি পারে না পৌত্তলিকতার দেশ ভারতকে মরুভূমিময় আরবের মতো বানাতে।
কালো পাথরের সম্পর্কে কিছু আলোচনার অনেকদিন থেকে আশা করতেছিলাম। অত্যন্ত সুন্দর বর্নণা হয়েছে। আর এর থেকে পাপ মুক্তির আশায় আমরা সারা বিশ্ব থেকে প্রতি বৎসর জীবন-অর্থ বাজী রেখে লক্ষ লক্ষ মুসলমান এর দিকে ধাবিত হই। আর ওখানে পায়ের তলায় পিষ্ঠ হয়ে কত লোক যে মারা যায় তার বোধহয় ইয়ত্তা নাই।
কি অদ্ভুৎ প্রথা!!!
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজানেও আর দেরী না করে চলে যান মক্কাতে , কাল পাথরকে চুমা চাটি করে , মুক্তমনাতে ঘোরাঘুরি করে যে গুনাহ অর্জন করেছেন তা পরিষ্কার করে আসুন। আর পদ পিষ্ট হয়ে মারা গেলে ক্ষতি তো নেই ই বরং অনেক লাভ , হজ্জের সময় কেউ মক্কা মদিনাতে মারা গেলে সরাসরি বেহেস্ত লাভ ও সেই সাথে ৭২ টা হুর তো আছেই। সুতরাং আর দেরী কেন ?
হ্যাঁ, ঠিকই ওটার কোরানের সংগের সম্পর্ক ও মিঃ জাকির নায়েকের মতামতটাও দেখিয়ে দিয়ে অত্যন্ত ভাল করেছেন।
হাদিছ টির সন্ধান আমি সর্ব প্রথম কাশেম ভাইয়ের নিকট থেকে পেয়ে ছিলাম।
হাদিছটির একটি বিশেষত্ব রয়েছে। হয় নবীকে অথবা বর্তমান বিজ্ঞানকে বিশ্বাষ করতে হবে। উভয়কে একত্রে বিশ্বাষ করার সুযোগ এই হাদিছটি রাখে নাই।
এই হাদিছের ঘাপানে তাবলীগ জামাতের পন্ডিত গন এখন আমাকে এড়িয়ে চলতেছেন।
তিন চার সপ্তাহ আগে আমাদের মসজিদে ১০-১২ জন দলের একটি তাবলিগী জামাতের নিকট এই হাদিছটির কয়েকটা প্রিনট কপি দিয়ে এর সদুত্তর চাইলে, তারা এর সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হয়।
আবার তিন দিন পূর্বে আর একটি ১৫-১৬ জন দলের তাবলিগী দল আমাদের মসজিদে অবস্থান নিয়েছেন। তারা এখনো আছেন। এর মধ্যে পূর্বের দলের সদশ্য ও কিছু কিছু আছেন।
আমার বড় আশা ছিল এদের সংগে হাদিছটা লয়ে একটু আলোচনায় বসব। হাদিছটার কয়েকটা কপি প্রিনট দিয়ে ও প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তাদের সংগে আলোচনায় বসার সুযোগের অপেক্ষা করতেছিলাম।
কিন্তু, এদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশী জ্ঞ্যানী ও স্মার্ট তিনি আমাকে পেয়েই তাদের হাদিছ আলোচনায় অংস গ্রহন করার আমন্ত্রন জানালেন।
আর আমি তো এই সুযোগেরই অপেক্ষায় ছিলাম।
আমি সাথে সাথে বল্লাম আমি অবশ্যই হাদিছ আলোচনায় অংস গ্রহন করব, তবে হাদিছ সংক্রান্ত আমারো কিছু কিছু জিজ্ঞাস্য থাকলে সেগুলির ও ব্যাখ্যা বা উত্তর ও আপনারা দিবেন।
লোকটা অতন্ত চতুর অথবা আমার প্রশ্ন পূর্বের সদশ্যদের নিকট থেকে হয়তোবা আগেই জেনে নিয়েছিলেন।
লোকটা সাথে সাথে বল্লেন, আমাদের হাদিছ সম্পর্কে গভীর জ্ঞ্যান নাই, তাই হাদিছ সংক্রান্ত কোন প্রশ্নের উত্তর আমরা দেইনা। আমরা শুধু মানুষদেরকে আল্লাহর পথে আহবান করি।
এর পর থেকে তারা আমাকে এড়িয়ে চলতেছে। আর আমাকে হাদিছ আলোচনায় বসতে বলতেছেনা।
তাহলে অবস্থাটা দেখলেনতো ভাইজান?
যারা নিজেরা স্বীকার করতেছে যে তারা নিজেরাই হাদিছ ভাল জানেন না, আর সেই তারাই হাদিছ আলোচনা করে করে নাকি মানুষদেরকে সৎপথে আনতেছেন।
এটা কেমন ধরনের কথা হল?
এই তো আমাদের সৎপথের অবস্থা,ভাইজান। কোরান হাদিছে কী বলতেছে সেটা আমাদের বুঝার কোন প্রয়োজন নাই।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজানে কি ছাই দিয়ে পাকাল মাছ ধরার অভিযানে নেমেছেন নাকি ? কিন্তু মাছ তো সব ফসকে যায়, ধরতে পারলেন একটাও ? তবে অদ্ভুত কথা হলো- আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে ডিগ্রী ধারী কিছু লোকের সাথে এ ব্যপারে কথা বলেছিলাম একবার , তারা বলল – আমরা বিজ্ঞানেরটা বিশ্বাস করি আবার মোহাম্মদের কথাও বিশ্বাস করি। তারা আরও বলল- হাদিস বোঝা সবার কাজ নয়, এবং উক্ত হাদিসটির নাকি অন্য কোন গূঢ় অর্থ থাকতে পারে যদিও সেটা কি তা তারা নিজেরাও জানে না। আর এদেরকে বাংলা কোরান ও হাদিস গ্রন্থ কিনে টিক মার্ক দিয়ে উপহার দিয়ে পরবর্তীতে অনেক দিন পর খবর নিয়ে দেখেছি এরা এসব পড়ার সময় পায় নি। এখন বুঝুন অবস্থা।
যে কারও সাথে ধর্মের বিপক্ষে যুক্তির যুদ্ধে আপনার লিখাগুলো আমার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে।খুব ই তথ্যবহুল ও বিশ্লেষণধর্মী লিখা।আপনি শুনে খুশি হবেন শুধু মাত্র আপনার লিখা পড়িয়ে আমি আমার পরিবারকে ধর্ম নামক কুসংস্কার থেকে মুক্ত করতে পেরেছি।আপনার সব গুলো লিখাকে কপি করে ফোল্ডার বানিয়েছি।অনেককে পড়তে দিয়েছি,আপনার যুক্তির বিপক্ষে যুক্তি দাড় করাতে বলেছি যুক্তি দিয়ে বিশ্বাস দিয়ে নয়।প্রথম যখন ধর্ম থেকে সরে আসি।মাঝে মাঝে মনে হত,আমি কি ভুল চিন্তা করি? কিন্তু আপনি আমাকে আমার অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছেন।আপনার মঙ্গল কামনা করি এবং আপনার কাছ থেকে ভবিষ্যতে এরকম লিখা প্রত্যাশা করি।ভাল থাকবেন।
@সাব্বির শওকত শাওন,
আপনি যে আমার লেখা পড়ে উপকৃত হয়েছেন তা শুনে ভাল লাগল , অন্তত: একজন মানুষকে তো সত্য জানাতে সক্ষম হলাম। আমার উদ্দেশ্য কাউকে ধর্ম ছাড়া করা নয়, সত্য জানানো। সত্য জানার পর যদি কেউ ধর্ম ত্যাগ করে সেটা তার নিজস্ব ব্যপার। আপনাকে ধন্যবাদ।
মুসলিম থেকে কনভার্ট খ্রিস্টানদের, ঈসা বা যীশুর ধর্মমত প্রচারের কিছু কাহিনী জানি যা নিয়ে আমার কিছু লেখাও আছে কিন্তু সময় অভাবে তা ঠিকঠাকভাবে প্রকাশ করতে পারছি না। এরই কিছূ অংশসহ বাইবেলের (নিউ স্টেটামেন্ট যে গ্রন’টিই মূলত খ্রীস্টানদের) কিছু উদাহরণ। যেমন নারীদের পাথর ছুঁড়ে হত্যা এবং বিবাহ সম্পর্কে ঈসা কি বলেছে তা পরিষ্কার। অথচ কুরানে এরূপ কাজে নারী হত্যা জায়েজ বা দোররা অনিবার্য। (এগুলো এক কনভার্ট মুসলিমের লেখা থেকে কপি করা বা চুরি করা বলতে পারেন, জানিনা সঠিকভাবে তারা লিখেছে কিনা)।
[[[[হে ঈসা আমি তোমাকে আমার কাছে তুলিয়া নিতেছি আর তোমার অনুসারীগণকে কিয়ামত পর্যন- প্রাধান্য দিতেছি। (সুরা ৩ঃ৫৫ ও সুরা ৪ঃ১৭১ আঃ)। হযরত মুহাম্মাদ বলেন, সেই সত্ত্বার হাতে আমার জীবন, তারই শক্তি হযরত ঈসা আল মসীহ (আঃ) সত্যই বিচারক ও বাদশাহ্ হয়ে দুনিয়াতে অবতরণ করবেন। তখন সমস- জাতি তাঁর হুকুম মেনে চলবে। আর তিনি দাজ্জালদেরকে ধ্বংস করে অশানি- নির্মূল করে সারা বিশ্বে শানি- কায়েম করবেন। (সহিমুসলিম ৭০ অনুচ্ছেদ, হাদিস নং ২৯৭)। অতএব, কুরআন ও হাদিসের আলোকে আমরা জানতে পারলাম হযরত ঈসা আল মসীহ (আঃ) আমাদের জন্য অনুগ্রহ ও নাজাতদাতা। তিনিই আল্লাহর জীবন- কালাম। তাঁর কোন কথার পরিবর্তন নাই। তিনি জগতে আসছেন, আর সকল জাতিকেই তাঁর কাছে ফিরে আসিতে ও তাঁকে বিশ্বাস করিতেই হইবে। (সুরা ৪ঃ১৫৯ আঃ)।]
[হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর ব্যাপারে কুরআন বলে: Òবল আমি কোন নূতন রাসুল না, আমি জানি না আমার ও তোমাদের ব্যাপারে কি করা হবে।Ó (৪৬নং সুরা, আহকাফ ৯ আঃ)। তিনি কোন অদৃশ্যের খবর জানেন না, তাঁর কি হবে তা তিনি নিজে জানেন না। (৭নং সুরা, আরাফ ১৮৮ আঃ)। তাঁকে শুধু পূর্ববর্তী নবীদের ধর্ম প্রচারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। (৪২নং সুরা শুরা ৭ ও ১৩ আঃ)। কেউ কারো পাপের ভার বহন করিতে পারে না। কারো সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না। (২নং সুরা, বাকারা ৪৮ ও ১২৩ আঃ)। এমতাবস’ায় আমাদের করণীয়: আমরা একজন পবিত্র মুর্শিদ ও নাজাতকারীর পরিচয় কুরআন থেকে তুলে ধরতে চাই। আর তিনি হলেন, হযরত ঈসা আল্ মসীহ (আঃ)। তিনি আল্লাহর জীবন- কালাম ৪:১৭১ নং আঃ। তিনি মহা পবিত্র আত্মায় জন্ম নিয়েছিলেন। তিনিই ইহকালে ও পরকালের সম্মানীয় বাদশাহ্। (৩নং সুরা, এমরান ৪৫, মারিয়াম ১৯ ও আম্বিয়া ৯১ আঃ)। তিনি আল্লাহর নিকট থেকে এসেছিলেন, অবিশ্বাসীরা তাঁকে মেরেছিল। আল্লাহ তাঁকে নিজের কাছে তুলে নিয়েছেন। আবার জগতে আসছেন। (সুরা ৩ঃ৪৫ ও ৫৫, সুরা ১৯ঃ৩৩ ও সুরা যখরুফ ৪৩ঃ৬১ আঃ)। তাঁর মা, জগতের শ্রেষ্ঠ ও পবিত্র নারী। (সুরা ৩ঃ৪২ আঃ)। আল্লাহর কাছে মারিয়ামের প্রশ্ন, কোন পুরুষ আমাকে স্পর্শ করে নাই, আমি অসতী না তাহলে কেন আমার গর্ভে সন-ান হবে? (সুরা ৩ঃ৪৭ ও সুরা ১৯ঃ২০ আঃ)। আল্লাহ পাকের উত্তর: আমি উহাকে এই জন্য সৃষ্টি করিব, যেন সে হয় মানুষের জন্য এক নিদর্শন ও আমার নিকট থেকে এক অনুগ্রহ বা দয়া রাহমত। ইহাতো এক সি’রীকৃত ব্যাপার বা পূর্ব পরিকল্পিত সিদ্ধান-। (১৯নং সুরা মারিয়াম ২১ আঃ)। তিনি দোলনায় থাকতেই নবুয়ত প্রকাশ করেছেন। (সুরা ৩ঃ৪৬ ও সুরা ১৯ঃ২৯-৩৩ আঃ)। তাঁর কাজ, শিক্ষা, মোজেজা, ও তিনি ইব্রাহীম বংশের জন্য নবী ও রাসুল। (সুরা ৩ঃ৪৮-৫০ আঃ) তাঁর ইঞ্জিল কিতাব মুমিনদের পথ নির্দেশ ও আলো। (৫নং সুরা মায়িদা ৪৬ আঃ)।]
উপরের প্যারা দুটো তাদের মুসলিম থেকে কনভার্ট খ্রিস্টানদের একটি লেখা (দাওয়াত) থেকে নেয়া এখানে আমার কোন মন-ব্য নেই। একথা যদি সত্যি হয় তাহালে তো বলতেই হয় মোহাম্মদের চেয়ে ঈসার শক্তি, সামর্থ্যই শুধু নয়, ঈসা সত্যই ঈশ্বরের পুত্র বা তার সমকক্ষ।
ত্রিত্ব ঈশ্বর সম্পর্কে খ্রিস্টানদের সাথে কথা বলে যা জেনেছি, তারা বলেন যে, ঈশ্বরের পুত্র হলো আধ্যাত্মিক অর্থে, যা ভবঘুরে ভাই তার লেখায় তুলে ধরেছেন, কোরানও স্বীকার করে আল্লার রুহু থেকে যীশুর জন্ম। যেমন একটি গাছের কলম থেকে আরেকটি গাছ হলে তা তো একই রকম ফল দেবে এবং প্রায় একই বছরে ফল দেয় এবং একইরকম গাছ হয়, তাই না। সেই অর্থে তারা তাকে ঈশ্বরের পুত্র বলে। আর পবিত্র আত্মা বিষয়ে তাদের বক্তব্য যে, পূর্বের ভবিষ্যৎবাণী অনুসারে যীশু যখন যিহুদের হাতে ক্রুশে মৃত্যুবরণ করে এবং তিনদিন পর কবর থেকে উঠে স্বশরীরে স্বর্গারোহন করে, তখন তার শিষ্যদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলো, আমি চলে যাচ্ছি কিন্তু তোমাদের জন্য রেখে যাচ্ছি এক সহায় আর সেই সহায় হচ্ছে পবিত্র আত্মা, তোমরা যখনই আমাকে ডাকবে পবিত্র আত্মা তোমাদের হৃদয়ে এসে বাস করবে এবং তোমাদের উত্তর দিবে ইত্যাদি। পবিত্র আত্মা সম্পর্কে বাইবেলে বলা হয়েছে, মথি ১২:৩১-৩২:
31 …মানুষের সব পাপ এবং ঈশ্বর নিন্দার ক্ষমা হবে, কিন্তু পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে কোন অসম্মানজনক কথা-বার্তার ক্ষমা হবে না৷ 32 মানবপুত্রের বিরুদ্ধে কেউ যদি কোন কথা বলে, তাকে ক্ষমা করা হবে, কিন্তু পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে কথা বললে তার ক্ষমা নেই, এযুগে বা আগামী যুগে কখনইনা৷
বাইবেল (নিউস্টেটামেন্ট) যীশু যা বলেছে: নিউস্টেটামেন্ট থেকে দyএকটি আয়ত (ওরা বলে পদ)। (যদিও আমি কোন ধর্মেই বিশ্বাস করছি না, তাই বাইবেল বা কোরানকে ছোট বা বড় করার জন্য নয়, কেবলমাত্র ছন্দ, পরিষ্কার অর্থ ও উদাহরণের জন্য তুলে দিচ্ছি) দেখুন (পাপ সম্পর্কে কিছু উক্তি)।
যোহন (জন) ৮:৩-১১ আয়াত:
[…ব্যভিচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে এমন একজন স্ত্রীলোককে তাঁর কাছে নিয়ে এল৷ তারা সেই স্ত্রীলোককে তাদের মাঝখানে দাঁড় করিয়ে যীশুকে বলল, 4 Òগুরু, এই স্ত্রীলোকটি ব্যভিচার করার সময় হাতে নাতেই ধরা পড়েছে৷ 5 বিধি-ব্যবস্থার মধ্যে মোশি আমাদের বলছেন, এই ধরণের স্ত্রীলোককে য়েন আমরা পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলি৷ এখন আপনি এবিষয়ে কি বলবেন? 6 …কিন্তু যীশু হেঁট হয়ে মাটিতে আঙ্গুল দিয়ে লিখতে লাগলেন৷ 7 ইহুদী নেতারা যখন বার বার তাঁকে জিজ্ঞেস করতে লাগল, তখন তিনি সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেন, Òতোমাদের মধ্যে য়ে নিস্পাপ সেই প্রথম একে পাথর মারুক৷Ó 8 এরপর তিনি আবার হেঁট হয়ে আঙ্গুল দিয়ে মাটিতে লিখতে লাগলেন৷ 9 তারা ঐ কথা শোনার পর বুড়ো লোক থেকে শুরু করে সকলে এক এক করে সেখান থেকে চলে গেল৷ কেবল যীশু সেখানে একা থাকলেন আর সেই স্ত্রীলোকটি মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিল৷ 10 তখন যীশু মাথা তুলে সেই স্ত্রীলোকটিকে বললেন, Òহে নারী, তারা সব কোথায়? কেউ কি তোমায় দোষী সাব্যস্ত করল না?Ó 11 স্ত্রীলোকটি উত্তর দিল, Òকেউ করে নি, মহাশয়৷Ó তখন যীশু বললেন, Òআমিও তোমায় দোষী করছি না, যাও এখন থেকে আর পাপ কোরো না৷Ó]
অর্থাৎ খ্রীস্টানগণ বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বরের ন্যায় যীশুরও পাপ ক্ষমা করার অধিকার ছিলো, যীশু অন্ধকে চোখ দান, করেছে, পক্ষাঘাতগ্রস’কে ভালো করেছে, পাপীকে পাপমুক্তি দিয়েছে, মৃত লাসারকে জীবন দিয়েছে (গল্পটি আমি জানি কিন’ লেখা বড় হয়ে যাবে তাই লিখলাম না) ইত্যাদি খ্রিস্টানগণ বিশ্বাস করেন। এতো গুণ যার সে তো ঈশ্বরের পুত্র নয়, যেন ঈশ্বরই, যে গুণগুলো অন্য কোন নবীর ছিলো না, অতএব খ্রিস্টানদের দাবি অমূলক নয়।
১করিনি’য় ৬:১৮-২০ এর কিছু অংশ :
[18 য়ৌন পাপ থেকে দূরে থাক৷ য়ে ব্যক্তি পাপকার্য় করে তা তার দেহের বাইরে করে, কিন্তু য়ে য়ৌন পাপ করে সে তার দেহের বিরুদ্ধেই পাপ করে৷ 19 তোমরা কি জান না, তোমাদের দেহ পবিত্র আত্মার মন্দির, তিনি তোমাদের মধ্যে বাস করেন, য়াঁকে তোমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে পেয়েছ? তোমরা তো আর নিজেদের নও৷ 20 কারণ তোমাদের মূল্য দিয়ে কেনা হয়েছে; তাই তোমাদের দেহের দ্বারা ঈশ্বরের গৌরব কর]
১করিনি’য় ৭:১-১৪ এর কিছু অংশ […একজন পুরুষের বিয়ে না করাই ভাল৷ 2 কোন পুরুষের কোন স্ত্রীলোকের সঙ্গে য়ৌন সম্পর্ক না থাকাই ভাল৷ কিন্তু য়ৌন পাপের বিপদ আছে, তাই প্রত্যেক পুরুষের নিজ স্ত্রী থাকাই উচিত, আবার প্রত্যেক স্ত্রীলোকের নিজ স্বামী থাকা উচিত৷ 3 স্ত্রী হিসাবে তার যা যা বাসনা স্বামী য়েন অবশ্যই তাকে তা দেয়; ঠিক তেমনি স্বামীর সব বাসনাও য়েন স্ত্রী পূর্ণ করে৷ 4 স্ত্রী নিজ দেহের ওপর দাবী করতে পারে না, কিন্তু তার স্বামী পারে৷ ঠিক সেই রকম স্বামীরও নিজ দেহের ওপর দাবী নেই, কিন্তু তার স্ত্রীর আছে৷ 5 স্বামী, স্ত্রী তোমরা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হতে আপত্তি করো না, কেবল প্রার্থনা করার জন্য উভয়ে পরামর্শ করে অল্প সময়ের জন্য আলাদা থাকতে পার, পরে আবার একসঙ্গে মিলিত হযো য়েন তোমাদের অসংযমতার জন্য শয়তান তোমাদের প্রলোভনে ফেলতে না পারে৷ …অবিবাহিত আর বিধবাদের সম্পর্কে আমার বক্তব্য, ‘তারা যদি আমার মতো অবিবাহিত থাকতে পারে তবে তাদের পক্ষে তা মঙ্গল৷ 9 কিন্তু যদি তারা নিজেদের সংযত রাখতে না পারে তবে বিয়ে করুক, কারণ কামের জ্বালায় জ্বলে পুড়ে মরার চেয়ে বরং বিয়ে করা অনেক ভাল৷’ 10 এখন যারা বিবাহিত তাদের আমি এই আদেশ দিচ্ছি৷ অবশ্য আমি দিচ্ছি না, এ আদেশ প্রভুরই – কোন স্ত্রী য়েন তার স্বামীকে পরিত্যাগ না করে৷ 11 যদি সে স্বামীকে ছেড়ে যায় তবে তার একা থাকা উচিত অথবা সে য়েন তার স্বামীর কাছে ফিরে যায়৷ স্বামীর উচিত নয় স্ত্রীকে পরিত্যাগ করা৷ 12 এখন আমি অন্য সমস্ত লোকদের বলি, আমি বলছি, প্রভু নয়৷ যদি কোন খ্রীষ্টানুসারী ভাইয়ের অবিশ্বাসী স্ত্রী থাকে আর সেই স্ত্রী তার সঙ্গে থাকতে রাজী থাকে, তবে সেই স্বামী য়েন তাকে পরিত্যাগ না করে৷ 13 আবার যদি কোন খ্রীষ্টানুসারী স্ত্রীলোকের অবিশ্বাসী স্বামী থাকে আর সেই স্বামী তার সঙ্গে থাকতে রাজী থাকে তবে সেই স্ত্রী য়েন তার স্বামীকে ত্যাগ না করে৷ 14 কারণ বিশ্বাসী স্ত্রীর মধ্য দিয়ে সেই অবিশ্বাসী স্বামী আর বিশ্বাসী স্বামীর মধ্য দিয়ে সেই অবিশ্বাসী স্ত্রী পবিত্রতা লাভ করে…]
যাহোক ভবঘুরে ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ, তার বিশ্লেষণ খুব সুন্দর হচ্ছে। শুভ কামানা রইলো।
@কামালউদ্দিন আহমেদ,
যীশু খৃষ্ট যে অন্য দশটা নবীর মত নবী নয়, বরং তার বৈশিষ্ট্য ঈশ্বরের মত সেটা খোদ কোরান হাদিসই স্বীকার করে। যা আমি নিবন্ধে দেখিয়েছি। তবে সমস্যা যেটা হয়েছিল তা হলো- মোহাম্মদ খৃষ্টান ও ইহুদিদের কাছ থেকে বাইবেলের কাহিনী গুলো দীর্ঘদিন ধরে শুনেছিল আর তার পরই তার কোরানে যীশুকে নিয়ে বলা শুরু করেছিল। মোহাম্মদ অশিক্ষিত হওয়ার কারনে কোন কথার কি গুরুত্ব হতে পারে তা আপাত: মোহাম্মদ উপলব্ধি করতে পারেনি। তাই একবার তার বৈশিষ্ট্য খোদ ঈশ্বরের মত বলার পরেই আবার বলেছে সে তো অন্য নবীর মতই একজন নবী মাত্র। অর্থাৎ মোহাম্মদ যীশুকে একেবারেই বুঝতে পারে নি। না বুঝে উল্টা পাল্টা বলে গেছে। ঠিক একারনেই খৃষ্টানরা বুঝতে পারে যে মোহাম্মদ কোনমতেই নবী নয় আর তাই তারা তাতে উন্মাদ . পাগল এসব বলে উপহাস করতে থাকে। মোহাম্মদ ঠিক তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে বায়তুল মোকাদ্দসকে বাদ দিয়ে কাবা কে কিবলা করার। আর সেকারনেই দেখা যায় পরবর্তীতে খৃষ্টান ও ইহুদিদের ব্যপারে হিংসাত্মক সব আয়াত যাকে সোর্ড ভার্স বলে যা মূলত আছে সূরা আত তাওবা তে।
ভালো লাগল, খুবই তথ্যপূর্ণ লেখা।
মানুষকে সেক্স করতে বলার জন্য কোন রাসুল পাঠানোর দরকার পরেনা , খেতে বলার জন্য কোনো রাসুল পাঠানোর দরকার পরে না , কারণ এই সমস্ত জিনিসগুলি আমরা প্রাকিতিক ভাবেই প্রাপ্ত হই , এগুলো আমাদের জেনেটিক কোডেই লিখে দেওয়া আছে । আল্লাহ যদি সত্যি সত্যি আমাদের জেনেটিক কোডেই সমস্ত কিছু লিখে দিত তাহলে তো আর আলাদা করে রাসুল পাঠাতে হত না। প্রত্যেক মানুষ
একটা সময় এলে নিজে থেকেই নামাজ পড়তে সুরু করে দিত ।
@শেষাদ্রী শেখর বাগচী,
কিন্তু কার সাথে সেক্স করা যাবে আর কার সাথে সেক্স করা যাবেনা, এটা কে বলবে। সেক্স করা সেখানোর জন্য আল্লাহ রাসূলকে দুনিয়াতে পাঠান নাই। কার সাথে সেক্স করা যাবে আর কার সাথে সেক্স করা যাবে না এটা সেখানোর জন্যই আল্লাহ রাসূলকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।
যদি আল্লাহর নবী না আসত তাহলে মা-ছেলের কোন তফাৎ থাকতো না। মাকে মায়ের সম্মান না দিয়ে মাকে যৌন খায়েস পুরা করার জন্য ব্যবহার করত। আপন ভাই বোনের কোন ভাই বোনের সম্পর্ক থাকতো না।
নাস্তিকরাতো এমন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায় যে সমাজে মা, বোন, খালা, ফুফু, অন্য নারী যখন যেখানে ইচ্ছা সেখানে যৌন লালসা পূরন করা যায়।
@আফসোস,
নবিজি(চরিত্র হীন ইবলিস) কত সুন্দর বুঝিয়ে দিয়েছে, কার সাথে সেক্স করা যাবে আর কার সাথে সেক্স করা যাবে না?
পুরাটা কষ্ট করে পইড়েন, তবে ভাল মত ৩য় ও ৭ম বিবাহ টা পইড়েন।
১ম: বিবি খাদিজা- মোহাম্মদ ৪০ বছর বয়স্কা খাদিজাকে ২৫ বছর বয়েসে বিয়ে করেন।ধনাড্য খাদিজাকে বিয়ে করার পর মোহাম্মদের দারিদ্র ঘোচে।স্ত্রীর আয়ের ওপর নির্ভর করে মোহাম্মদ তাঁর চিন্তা ভাবনাকে গুছিয়ে নিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার সুযোগ পায়।
২য়: বিবি সওদা- খাদিজা মারা যাওয়ার পর ৫৫ বছর বয়স্কা সওদাকে বিয়ে করেন। মোহাম্মদের বাচ্চা কাচ্চাদের দেখাশুনো করার জন্য তিনি সওদাকে বিয়ে করেন।
৩য়: বিবি আয়শা – ৫৩ বছর বয়েসে মোহাম্মদ ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করেন। আয়শা ছিলেন মোহাম্মদের বাল্যবন্ধু আবু বকরের কন্যা। স্বপ্নে দেখে মোহাম্মদ একে বিয়ে করেন।
৪র্থ: বিবি হাফসা- হযরত ওমরের কন্যা হাফসা বিধবা হওয়ার পর মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।ওমর তার বিধবা কন্যাকে ওসমান ও আবু বকরের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তারা প্রত্যাখ্যান করার পর মোহাম্মদ বিয়ে করেন।
৫ম: বিবি জয়নাব বিনতে খুজাইমা- বদর যুদ্ধে তার স্বামী মারা যাওয়ার পর পরই মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।
৬ষ্ট: বিবি উম্মে সালামাহ- তারা ইথিওপিয়াতে প্রবাসকালে তার স্বামী মারা যাওয়ার পর মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।
৭ম: বিবি জয়নাব বিনতে জাহস- মোহাম্মদের পালক পূত্র জায়েদের স্ত্রী।একবার স্বল্প বসনা জয়নাবকে তার ঘরের মধ্যে আতর্কিতে দেখে ফেলার পর আকৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ তার প্রেমে পড়েন। মোহাম্মদ নানা কায়দায় তাকে তালাক দিয়ে পরে পূত্র বধূকে নিজেই বিয়ে করেন। এ বিয়ে করার জন্য আল্লাহকে বহু কাঠ খড় পোহাতে হয় কারন তাকে একের পর এক আয়াত নাজিল করতে হয় সাধারণ মানুষের কানা ঘুষা বন্দ করার জন্য।
৮ম: বিনি জুরাইয়া- পরাজিত বানু মুস্তালিক গোত্রের প্রধানের বিধবা স্ত্রী। এ বিয়ের পর উক্ত গোত্রের সকল বন্দীদেরকে মুক্তি দিয়ে সবাইকে মোহাম্মদ তার দলে ভিড়াতে সক্ষম হন। এটা ছিল খুবই কার্যকরী একটা বিয়ে।
৯ম: বিবি হাবিবা- স্বামীর সাথে ইথিওপিয়ার গমন করার পর তার স্বামী খৃষ্টান ধর্ম গ্রহন করে, ফলে তাদের তালাক হয়ে যায়, এর পর মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।
১০ম: বিবি সাফিয়া-খায়বার যুদ্ধে বিজয়ের পর মোহাম্মদ তাকে গণিমতের মাল হিসাবে ভাগে পান। যেদিন মোহাম্মদ সাফিয়ার স্বামী, পিতা, ভাই সহ সকল আত্মীয়কে নির্মমভাবে হত্যা করেন সেদিনই সাফিয়াকে নিয়ে রাত কাটান। পরে তাকে বিয়ে করেন।
১১শ: বিবি মায়মুনা- প্রথম স্বামী তালাক দিলে আবার বিয়ে করে, সে স্বামী মারা গেলে মোহাম্মদ বিয়ে করেন।
১২শ: মারিয়া- মিশরের একজন শাসকের কাছ থেকে পাওয়া এ কপটিক খৃষ্টান দাসী ভীষণ সুন্দরী ছিল।মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করা ছাড়াই তার সাথে যৌন সঙ্গম করতেন ও তার গর্ভে ইব্রাহিম নামের ছেলের জন্ম দেন। ইব্রাহীম শৈশবেই মারা যায়।একে মোহাম্মদ বিয়ে করেছেন কি না এ বিষয়ে দ্বিমত আছে। কারন অন্য সকল স্ত্রীর ঘর থাকলেও মারিয়ার জন্য কোন ঘর ছিল না। বলাবাহুল্য, স্ত্রীর জন্য একটা ঘর থাকার অর্থ উক্ত নারীকে স্ত্রী হিসাবে স্বীকার করে নেয়া। এ সূত্রে দেখা যায় মারিয়া মোহাম্মদের যৌন দাসী ছাড়া আর কিছু ছিল না। এমন কি ইবনে কাথিরের তাফসিরেও তাকে স্ত্রী হিসাবে নিশ্চিতভাবে স্বীকার করা হয় নি।
(সূত্র: http://www.islamawareness.net/Muhammed/ibn_kathir_wives)
@NETWORK,
এতোগুলো তথ্য দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । একটু কষ্ট আমাকে আরও একটি তথ্য দিন। উপরোক্ত নারীদের ছাড়া মোহাম্মদ (স) আর কোন নারীদের সাথে সেক্স করেছেন কিনা। আপনাদের মনেতো আছে বক্রতা। (মন বলাতে আবার বইলেননা মন কি জিনিস যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিতে । আপনারাতো আবার সবাই যুক্তিবাদী, যুক্তি ছাড়া কিছুই বুঝেন না। আমি কিন্তু মন কোন দিন দেখিনি। শুধু বিশ্বাস করি মন বলতে কিছু আছে)। আপনারা কিভাবে বুঝবেন। মোহাম্মদ (স)১১ /১২ টা / ১৩টা বিয়ে করেছেন এ দাসিকে ব্যবহার করেছেন। একারনে উনি চরিত্র হীন ইবলিস হয়ে গেলেন :-O । যাদের মনে বক্রতা আছে । ভালো খারাপ সব কিছুর মধ্যেই দোষ ধরার স্বভাব আছে। তাদেরকে আমি কেন কেউই বুঝাতে পারবে না। বুঝতে হলে মনের বক্রতা দূর করতে হবে। সোজা সরল পথে চিন্তা করতে হবে।
মোহাম্মদ (স.) কয়টা বিয়ে করেছেন এটা কোন সমস্যা না। সমস্যা হলো দৃষ্টিভঙ্গিতে।
ধরুন,
আমি একদিন আমার স্ত্রিকে নিয়ে রিক্সায় করে কোথাও যাচ্ছিলাম।
এখন একদল লোক মন্তব্য করতে পারে, দেখ হুজুর মানুষ শরম নাই একটা মেয়ে মানুষ নিয়ে রিক্সা করে যাচ্ছে। আরেকদল লোক মন্তব্য করতে পারে, লোকটা হয়তো তার মা/ বোন/ স্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছে। আরেকদল কোন মন্তব্য করবে না। যারা আমাকে চিনে তারা আমার সম্পর্কে কোন খারাপ কথা বলবে না। এখন আমি কি আমার স্ত্রীকে নিয়ে রাস্তায় বের হবো না। স্ত্রী আমার ঠিক আছে সুতরাং আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বের হতেই পারি। কারও পছন্দ হোক বা নাহোক।
মোহাম্মদ (স) আল্লাহর বান্দা এবং রাসূল । তিনি কোন কাজ করেননি আল্লাহর কথা ছাড়া। সমগ্র সৃষ্টি জগত আল্লাহ তাআলার (নাস্তিকরা বিশ্বাস করুক, আর না করুক তাতে আল্লাহর কিছুই যায় আসে না)। আল্লাহ রাসূল (স) এর জন্য এসব নারীদেরকে হালাল করেছেন। তাই তিনি এদেরকে গ্রহন করেছেন। তিনি যদি নারীলোভীই হতেন তাহলে প্রতিদিন একজন একজন নারীকে নিয়ে রাত কাটাতে পারতেন। হযরত খাদিজা (রা) এর জীবদ্দশায় তিনি কোন দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। তিনি কিভাবে নারীলোভী হন যিনি যৌবনকাল কাটিয়েছেন একজন বয়স্ক নারীকে নিয়ে। তিনি শুধু আল্লাহর হুকুমই পালন করেছেন। আর আল্লাহ তিনি সকল চাহিদা উর্ধে।
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, ।আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, ।তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি ।এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।- সূরা ইখলাস।
আল্লাহর যদি যৌন চাহিদা থাকতো তাহলে তো আল্লাহ মুখাপেক্ষী হয়ে গেলেন।
আসলে এতো কিছুর দরকার হয় না।
আল্লাহ ১৪৫০ বছর পূর্বে একটা চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন:
আল্লাহর এই চ্যালেঞ্জ অনুযায়ী একটা সূরা বানিয়ে নিয়ে আসুক অবিশ্বাসীরা । তাহলে আমাদের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কোন যুক্তি বুঝি না । কোন তর্ক বুঝি না।
@আফসোস,
এতদসম্পর্কে যদি তোমাদের কোন সন্দেহ থাকে যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, তাহলে এর মত একটি সূরা রচনা করে নিয়ে এস। তোমাদের সেসব সাহায্যকারীদেরকে সঙ্গে নাও-এক আল্লাহকে ছাড়া, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো।
সূরা আল-বাকারা: ২৩।
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদেরই মত! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না।
আর তারা যখন ঈমানদারদের সাথে মিশে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করে, তখন বলে, আমরা তোমাদের সাথে রয়েছি। আমরা তো (মুসলমানদের সাথে) উপহাস করি মাত্রা।
বরং আল্লাহই তাদের সাথে উপহাস করেন। আর তাদেরকে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন যেন তারা নিজেদের অহংকার ও কুমতলবে হয়রান ও পেরেশান থাকে।
তারা সে সমস্ত লোক, যারা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী খরিদ করে। বস্তুতঃ তারা তাদের এ ব্যবসায় লাভবান হতে পারেনি এবং তারা হেদায়েতও লাভ করতে পারেনি।
সূরা আল-বাকারা:(১৩,১৪,১৫,১৬)
@আফসোস,
লিংটা দিতে ভুল হয়ে গেছে, নিচের লিং টা ঠিক আছে।
http://blog.mukto-mona.com/?p=26797
@আফসোস,
না রে ভাই মোহাম্মদ আসলেই ১ টা চরিত্র হীন……
http://blog.mukto-mona.com/?p=267
এই লিংকে যান।কষ্ট করে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভাল মত পরবেন।(আশা করি সব উত্তর পেয়ে যাবেন)।
৩য়: বিবি আয়শা – ৫৩ বছর বয়েসে মোহাম্মদ ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করেন। আয়শা ছিলেন মোহাম্মদের বাল্যবন্ধু আবু বকরের কন্যা। স্বপ্নে দেখে মোহাম্মদ একে বিয়ে করেন।
৭ম: বিবি জয়নাব বিনতে জাহস- মোহাম্মদের পালক পূত্র জায়েদের স্ত্রী।একবার স্বল্প বসনা জয়নাবকে তার ঘরের মধ্যে আতর্কিতে দেখে ফেলার পর আকৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ তার প্রেমে পড়েন। মোহাম্মদ নানা কায়দায় তাকে তালাক দিয়ে পরে পূত্র বধূকে নিজেই বিয়ে করেন। এ বিয়ে করার জন্য আল্লাহকে বহু কাঠ খড় পোহাতে হয় কারন তাকে একের পর এক আয়াত নাজিল করতে হয় সাধারণ মানুষের কানা ঘুষা বন্দ করার জন্য।
ভাল থাকবেন। (F)
ভাই আপনে আমার মনের কথা গুলা খুব সুন্দর ও সাবলিল ভাবে বলছেন, খুব ভাল লাগল।
নিচের কথা গুলা আমি আপনার ১৬ নম্বর পর্বে মন্তব্যে দিয়ে ছিলাম, সেগুলার উত্তর আমি খুব ভাল ভাবে পেয়েছি, আপনার এই পর্ব পড়ে।
ধন্যবাদ (Y)
ভাল থাকবেন। আপনার জন্য রইল শুভ কামনা……।।
@NETWORK,
মোহাম্মদ আসলে আল্লাহর প্রকৃতি সম্পর্কে না বুঝে কথা বলেছে। সর্ব শক্তিমান আল্লাহর সব যায়গাতে বিচরন করে থাকার ক্ষমতা থাকার কথা যা অন্যান্য ধর্মগুলো বিশ্বাস করে। সে ক্ষেত্রে কাবা ঘরকে কিবলা বানালে একটা ব্যখ্যা থাকতো। তা হলো কাবা ঘর আল্লাহর প্রথম ঘর ও সবচাইতে পবিত্র ঘর, আর তার ভিতরে আল্লাহ অবস্থান ও করে। তাই এ ঘরকে সম্মান প্রদর্শনের খাতিরে এটাকে কিবলা করলেও একটা ব্যখ্যা দেয়া যেত। কিন্তু মোহাম্মদ আল্লাহ কে সাত আসমানে আরশের ওপর তুলে দিয়ে কি সর্বনাশ করে গেছে সেটা তখন কেউ না বুঝলেও এখন মানুষ বুঝতে পারছে। এ থেকে বোঝা যায় মোহাম্মদ আধ্যাত্মিক ধ্যান ধারনা খুবই কম ছিল। পরবর্তীতে এসে সূফীবাদীরা এটাকে আধ্যাত্মিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে ও বলার চেষ্টা করেছে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান। কিন্তু মূল ধারার ইসলাম পন্থিরা এটা মানে না , মানার কথাও নয়।
@ভবঘুরে,
ভাই,কোণ মানুষ যে বুজতে পারছে? সেটাই বুঝতে পারছি না। আমার কিছু বন্ধুরা আমার সাথে রাগ করে, ঠিক মত কথা বলে না।
ফেসবুক এর স্ট্যাটাস দেখলে , অনেক বন্ধু রাগ করে আবার হুমকিও দেয়।কিন্তু চোর না শুনে ধর্মের কাহিনি(আমি আমার কাজ চালিয়ে যাই)।
তবে ভাই আপনার লেখাটা চরম হইছে। :guru:
@NETWORK,
তিনি নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন ছয়দিনে, অতঃপর আরশের উপর সমাসীন হয়েছেন। তিনি জানেন যা ভূমিতে প্রবেশ করে ও যা ভূমি থেকে নির্গত হয় এবং যা আকাশ থেকে বর্ষিত হয় ও যা আকাশে উত্থিত হয়। তিনি তোমাদের সাথে আছেন তোমরা যেখানেই থাক। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন। সূরা আল-আদীদ, আয়াত-৪। আল্লাহ কোরআনে বলছেন আমরা যেখানেই থাকি আল্লাহ সেখানেই আছেন।
“তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে।” সূরা আল-বাকারা, আয়াত-255।
@আফসোস,
সূরা আল-আদীদ না হাদিদ (কোনটা)।
এতেও কিন্তু বুঝা যায় না ,আল্লাহ সর্বদা বিরাজ মান।মানুষ যেখানে নাই সেখানে গভেট টাও নাই(মজা মজা)।আল্লা আমাদের কোথা হতে দেখেন, নিচের সুরা টা ভাল মত দেখেন।
আল্লাহ যিনি নভোমন্ডল, ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি আরশে বিরাজমান হয়েছেন। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন অভিভাবক ও সুপারিশকারী নেই। এরপরও কি তোমরা বুঝবে না?সূরা-সাজদা, ৩২: ০৪ (মক্কায় অবতীর্ণ)
নবিজি মক্কায় ১ টা বলছেন, আবার মদিনাতে আর ১ টা বলছেন। (বাটপার)
http://blog.mukto-mona.com/?p=6037
লিংটা ভাল মত পরেন।
@NETWORK,
টাইপ মিস্টেক, সূরা আল-হাদীদ হবে।
কোরআনের অর্থ বুঝার শক্তি আপনার নাই এটা বলেন। নিজের অক্ষমতাকে আল্লাহর উপর চাপাতে ভালোই পারেন। আপনারা বলেছেন কোরআনের কোথাও নাই আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান। আমি দেখিয়েছি আপনারা গ্রহন করবেন না। এটাকি আমার দোষ । আপনাদের অবস্থা হলো বিচার মানি তাল গাছ আমার।ন্যায় হোক আর অন্যায় হোক। শয়তানতো আপনাদের চোখে কালো চশমা পেরিয়ে দিয়েছে। এখন সাদা জিনিসকেও কালো দেখেন। ভালো চোখ নিয়ে দেখুন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আপনার নিজেদের সুবিধামতো কোরআনের উদ্বিৃতি দেন। সামান্য জ্ঞান নিয়ে আসছেন কোরআনের ভুল ধরতে। শুধু আপনি কেন পৃথিবীতে কত হাজার হাজার নেটওয়ার্ক বিদায় নিয়েছে কোরআনে একটা নোকতার পরিবর্তন ঘটাতে পারে নাই।
আর আপনাকে একটা প্রশ্ন আপনিকে কোন লোকাল বাসে কন্ট্রাক্টর ? আপনার মুখের ভাষা অনেক নিম্ন মানের। শিক্ষিত সমাজে বাস করতে চাইলে ভদ্র ভাষায় কথা বলুন। আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলকে গালি দিয়ে আপনি বিশ্বজয় করতে পারবেন না।
তাহলেতো ভালই হতো পদ্মা সেতু নিয়ে ইহুদী-নাসারারদের বানানো ব্যাংকে হাত পাততে হতো না!
আপনার লেখার বরাবরই ভক্ত আমি। কারন আপনার লেখায় প্রচুর রেফারেন্স ও যুক্তিতে ভরপুর থাকে। তবে, যে শুধু এই পর্বটাই পড়বে সে ভাবতে পারে ইহুদী, খ্রীষ্টান ও হিন্দু ধর্ম সত্যধর্ম আর মুসলমান ধর্মকেই শুধু মিথ্যা বলতে চাইছেন। অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কেও একটু খোলাসা করলে আরো ভাল লাগতো। কারন ছাগুরা বসে থাকে এসব খুতগুলো কিভাবে ধরবে, আর বলবে এগুলো সব বিধর্মীদের চাল। এরা শুধুই মুসলিম বিদ্বেষী লেখা লেখে।
@জিল্লুর রহমান,
ধন্যবাদ আপনাকে। বিষয়টা হলো ইসলাম নিজেকে চুড়ান্ত একেশ্বরবাদী ধর্ম দাবি করে ও অন্য সব ধর্মগুলোকেই পৌত্তলিক বলে। এ নিবন্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল – আসলে ইসলাম পৌত্তলিকতা মুক্ত কি না সেটা দেখানো। অন্য ধর্মগুলোকে উপর থেকে দেখলে পৌত্তলিক ভাবাপন্ন মনে হলেও তাদের সুন্দর কতকগুলো ব্যখ্যা আছে যা দিয়ে কিছুটা হলেও তারা পৌত্তলিকতামুক্ত করতে পারে নিজেদেরকে। কিন্তু ইসলামের এমন কিছু উপাদান আছে যার কোনই ব্যখ্যা নেই, আর তাই ইসলামই বলতে গেলে একমাত্র ধর্ম যা ১০০% পৌত্তলিক । অথচ উপর থেকে দেখলে মনে হয় ইসলামই একমাত্র পৌত্তলিকতা মুক্ত ধর্ম। এটা মানুষের দৃষ্টি বিভ্রম ছাড়া আর কিছু নয় সেটাই ছিল আলোচ্য নিবন্ধের মূল উদ্দেশ্য।
ছাগুরা কি খুত ধরবে ? ধরুক না , ওরা কি যুক্তি দিয়ে কথা বলে নাকি ? আমি অনেককেই জিজ্ঞেস করেছি- কাল পাথরকে কেন হজ্জ করার সময় চুমু খেতে হবে ? তারা বলেছে এটা মোহাম্মদ বলেছে তাই অর্থাৎ কোন যুক্তি নেই। তারপর জিজ্ঞেস করেছি কাল পাথরকে চুমু খাওয়া ও তার পাপ মোচনের ক্ষমতা স্বীকার করা কি একই সাথে পাথর পুজা ও শিরক নয় ? তারা চিৎকার করে উঠেছে – বলেছে- না না তা কেন কিন্তু কোন সদুত্তর দিতে পারে নি।
তাদেরকে জিজ্ঞেস করেছি- আল্লাহ কোথায় থাকে? উত্তর- আরশে
নামাজ পড়ার সময় কার কাছে মাথা নত করেন ?- আল্লাহর কাছে
কোন দিকে মুখ করে মাথা নত করেন ?- কাবার দিকে
কাবার মধ্যে কি আল্লাহ বাস করে ?- না
তাহলে কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়লে ও মাথা নত করলে তা আল্লাহর কাছে মাথা নত হয় কি করে ?
এটা কি কাবা ঘর ও তার ভিতরে থাকা পাথরের কাছে মাথা নত করা নয় ?
এর পর যা হবার তাই হয় আর কোন উত্তর দিতে না পেরে অর্থহীন প্রলাপ বকতে থাকে। বস্তুত এ ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হবে তা তারা ভাবতেই পারে না। আবার বাস্তব জীবনে এদের সাথে তর্কও করা যায় না। কারন এরা প্রথমে ভদ্র, পরে উগ্র ও আরও পরে ভয়ংকর হয়ে ওঠে। কথাই বলা যায় না। তাই অন্তর্জাল ভরসা। আমি তো অপেক্ষা করছি কোন্ মোল্লা এসে আমার যুক্তি খন্ডন করতে পারে ।
@ভবঘুরে,
তাও আবার বলে কাবা বরাবর আল্লাহর আরশ,
অথচ জাকির মিয়া বলে, পাথরে kiss করলে উপকারও হয় না আবার ক্ষতিও হয় না,তাহলে কি লাভ হয়?
কিন্তু তারপরও কেন যে কিসস করে? :guli:
@ভবঘুরে,
বরাবরের মতই দারুণ! (F) (F)
@জিল্লুর রহমান,
সবই নাকি ভাই আরবী তেলের টাকা।আমরা নাকি ওদের ব্যাংকে আমাদের টাকা রেখেই ওদের ধনী বানাই। কাজেই আসেন সবাই ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে সুদের বিনিময়ে লভ্যাংশ (!)নিয়ে আখেরাতের পথ পরিষ্কার করি। 🙂
ভাইজান,
অনেকদিন পরে এলেন।
তবে মারাত্মক ধারাল অস্ত্র লয়ে এসেছেন।
অল্প কিছু পড়েছি, তবে তার মধ্য হতে নীচের হাদিছটায় আপনার একটি চমৎকার এবং মজাদার ব্যাখ্যার দিকে যে কোন ব্যক্তির দৃষ্টি নিবদ্ধ না হয়ে পারেনা।
আপনার ব্যাখ্যাটার দিকে আবার একটু লক্ষ করুন।
উল্টো পিঠে গেলে আমরা কোথায় টুপ করে পড়ে যাব? হা,হা,হা,
সেখানে তো আমরা এখন বসবাস করছি। সেখানে তো আমরা এখন আরশের নীচে সূর্যকে অবস্থান নিতে দেখতে পাইনা।
মহানবী যদি এই যুগে জন্মাইতেন, তাহলে ভাইজান, তখন হাদিছটি তে সূর্যকে অস্ত যাওয়ার পর আর আরশের নীচে গিয়ে বিশ্রাম ও লওয়ার দরকার হইতোনা, এবং পরবর্তি দিনের উদয় হওয়ার জন্যও প্রার্থনা করার দরকার হইতোনা।
তখন নবীজী বলতেন, “আবু দার, আল্লাহর এই পৃথবীতে সূর্য কখনই অস্ত যায়না। এই গোলাকার ঘূর্নায়মান পৃথিবীতে সর্বদাই কোননাকোন যায়গায় উদিত।
আমাদের বড় দুর্ভাগ্য যে আল্লাহ আমাদের নবীকে ১৪০০ বছর আগে পাঠিয়ে অনেক বাস্তব জ্ঞান হতে বঞ্চিত করেছেন।
অথচ কোরানের কোন একখানে নাকি দৃঢ়তার সংগে আল্লাহ ঘোষনা করেছেন ” নবীর নিজ ইচ্ছানুসারে কোন কথা বলেন না, আল্লাহর অহি ব্যতিরেকে।”
এই তো গত জুমায় একজন মওলানা সাহেব আয়াতটি পড়িয়া কত সুন্দর ভাবে ইমান্দার বান্দা গনকে বুঝাইলেন।
আয়াৎটি কোরানের কোন্ ছুরায় বা কত নং আয়াৎ তা মওলানা সাহেব উল্লেখ করেন নাই।
তবে আয়াৎটি ছিল আরবীতে এইরুপ,
وماينتق عن الهوي الا وحييحي
বাংলা উচ্চারন এইরুপ হইবে, “অমা ইয়ান্তেকু আনেল হাওয়া ইল্লা অহয়ুয়ুহা”।
যারা আরবী বুঝেন তারা বুঝবেন এই আয়াৎটির কী অনুবাদ।
এর বাংলায় অনুবাদ করিলে স্পষট ভাষায় দাড়ায় “ নবীর নিজ ইচ্ছানুসারে কোন কথা বলেন না, আল্লাহর অহি ব্যতিরেকে।”
তাহলে কী আল্লাহ এভাবে নবীর মাধ্যমে তার নিজ বান্দাগনের জন্য বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান
করেন?
ভাইজান,
তাহলে আমাদের এ ধরনের জটিলতর সমস্যার সমাধান টা এখন আপনিই একটু করুন?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজান এ হাদিস টা কিন্তু এ নিবন্ধে দেয়ার ইচ্ছা ছিল না কারন এ নিয়ে আগের কোন কোন প্রবন্ধে ব্যপক আলোচনা হয়েছে , দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র আপনার জন্যে কারন লক্ষ্য করেছি এ হাদিস এর প্রতি আপনার একটা দুর্বার টান আছে। কথায় কথায় আপনি এ হাদিস উল্লেখ করে ইদানিং হুজুরদের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দেন। তাই ভাবলাম বিষয়টার একটা কিনারা হওয়া দরকার। উক্ত হাদিস যে কোন আয়াতের ব্যখ্যা সেটা যেমন জানলেন সেই সাথে জানলেন জাকির মিয়ার ব্যখ্যা। এটাও জানলেন যে জাকির মিয়া ইদানিং মোহাম্মদের ব্যখ্যাকেও পরোয়া করছে না।
ভবঘুরে ভাই, অনেক দিন অপেক্ষা করালেন ১৮তম পর্বটির জন্য। যাক তবু শান্তি লাগছে। এখন খানিকটা পড়লাম, পরে আবার পুরটা ভাল মত পড়ব, এখন ঘুম ধরেছে।
আমার তো মনে হয় আল্লাহর কাছেই কারন আল্লাহই তো আসলে প্রধান প্যাগান দেবতা কি বলেন?
মুহাম্মদের ইসলামের আগে থেকেই আল্লাহর পুজা হত কাবাতে মক্কার পৌত্তলিক দের মধ্যে।পরে মুহাম্মদ যদিও সবাইকে তাড়িয়ে শুধু আল্লাহকেই রাখল, যেমন জরথ্রুস্ত্র রেখেছিল আহুরা মাযদা কে। সমস্যা এক্টাই যে মুহাম্মদ রীতিমত আল্লাহকে দিল আহরিমানের ( আহুরা মাজদার শত্রু; অন্ধকারের প্রভু )রূপ ।
যেটুকু পড়লাম এতে বুঝলাম যে মুসলমানরাই সবথেকে বড় পৌত্তলিক কারন কাবা ঘরের পাথর চুমু খাবার সিস্টেম।
আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই দেরিতে হলেও ১৮তম পর্বটি নামানোর জন্য। (F)
এখন দেখি আমাদের হুজুরেরা ( যেমন হাজি সাহেব সহ আরও অনেক দ্বিনি ভাই বোনেরা)কি বক্তব্য দেন।
@অচেনা,
ভাই অচেনা,
আমার মনে হয়না এতবড় ধারাল প্রবন্ধ কেহ কেহ খন্ডন করতে আসবে।
তবে দেখা যাক কেহ আসে নাকি।
@আঃ হাকিম চাকলাদার, ভাইজান আপনার কথাই ঠিক প্রমাণিত হয়েছে। হুযুরেরা কেউ আসেন নি। তবু অপেক্ষায় আছি। উনারা না এলে তামাশা দেখা যায় না।
@অচেনা,
সে তো বটেই কিন্তু কথা হলো যুক্তির খাতিরে যদি ধরে নেই যে মোহাম্মদ কোন এক মহা শক্তিশালী আল্লাহকেই এক ঈশ্বর জ্ঞান করে তার ইসলাম প্রচার করেছে তা হলেও দেখা যায় সে ঈশ্বরের কম পক্ষে ৩টা শরিক: ১. মোহাম্মদ নিজে, ২. কাবা ঘর , ও ৩. কাল পাথর। তো এর পর কিভাবে ইসলাম দাবী করে আল্লাহর কোন শরিক নেই। উপরে উপরে দেখলে তো মনে হয় শরিক নেই , কিন্তু মোহাম্মদ যে ভেল্কিবাজি করে গেছে ভেতরে সু কৌশলে তাতে তো দেখা যাচ্ছে অন্য ধর্মকে যে শিরক বলা হয় তার নিদেন পক্ষে একটা ব্যখ্যা আছে, কিন্তু ইসলামে ব্যখ্যাটা কি ?
@ভবঘুরে ভাই,
আরেকটা মনে হয় আছে, একেবারে খাঁটি শরীক আর সেটি হল কাবা ঘর নিজে, কি বলেন ভাই? দেখেন কাবার দিকে সিজদা না দিলে নামায হয় না। আমার কথা হল আল্লাহর উপাসনাতো যেকোনো দিকেই করা বৈধ হবার কথা। তা না হয়ে শুধু কাবা ঘরের দিকেই কেন? সম্ভবত কিবলাকে সিজদার ভাগ দেয়া। :-s
চক্রাকার যুক্তি ছাড়া ইসলামের আর কি বা ব্যাখ্যা থাকতে পারে 🙂 ? কিন্তু সব পড়ে মনে হচ্ছে যে ইসলামই সবথেকে মারাত্মক প্যাগান ধর্ম, কারন এ ধর্মে শুধু আল্লাহকে মানলেই হবে না, মুহাম্মদকে নবী না মানলে সে কাফির,যেমন ইহুদীরা একেশ্বর বাদী হয়েও কাফির! আর আপনি যে ব্যাখ্যা গুলো দিয়েছেন এগুলোও অসাধারণ, কারন সত্যই হিন্দুরাও এক ঈশ্বরকেই দেখে নানা দেব দেবীর ভেতরে। খ্রিষ্টান দের ট্রিনিটি বোঝা কঠিন হলেও এর পক্ষে শক্ত যুক্তি আছে। যেমন ট্রিনিটির ব্যাখ্যা তারা দিয়েছে এভাবে
সুর্য্য, সুর্য্যের আলো আর সুর্যের তাপ এক না, প্রত্যেকটি একে অপরের থেকে সম্পুর্ন ভিন্ন জিনিস।
কিন্তু তাপ অথবা আলো ছাড়া সুর্যকে কল্পনা করা যায়না, কিন্তু প্রত্যেকটি আলাদা হলেও একই উৎস থেকে এসেছে আর তা হল সুর্য নিজে। তাই পিতা হলেন উৎস তেমনি পুত্রকে তুলনা করা হয়েছে সুর্যের আলোর সাথে যা কিনা co eternal , আর পবিত্র আত্মা কে তুলনা করা হয়েছে সুর্যের তাপের সাথে,এটাও সুর্য না, কিন্তু এটাও co eternal সূর্যের ( পিতা) সাথে। কাজেই সব কিছু সম্পুর্ন আলাদা হয়েও ৩ মিলে ১ ঈশ্বর।যেহেতু এই ৩টি সত্ত্বা ছাড়া সুর্য আসলে সুর্যই থাকে না, সুর্যের আলো আর তাপ কোনটিই সুর্য নয়!
এর বিরুদ্ধেও অনেক কথা বলা যায় কিন্তু দেখেন এদের কঠিন যুক্তি আছে, মহাম্মদের মত ভোঁতা যুক্তি না;যেগুলোকে যাকির নায়েক বর্তমানে বদলানর আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে।
তাহলে সব মিলিয়ে আমরা দেখছি যে ইসলামে আল্লাহর থেকে মুহাম্মদই বেশি বড়।খুব চিন্তার বিষয়।
ওমর সত্যই খুব ঘোড়েল লোক ভাই। আমারতো মনে হয়না যে মুয়াবিয়া ছাড়া ওমরের মত ধুরন্ধর শাষক আর কেউ ছিল ইসলামের ইতিহাসে।আর সেই সাথে মানুষ হত্যার উন্মাদ আকাঙ্খা তো আছেই।
ভাই, আমার একটা প্রশ্ন আছে একটু মন দিয়ে পড়ুন দয়া করে।
ইতিমধ্যেই আমরা বলতে পারি যে হয় মুহাম্মদ আল্লাহর থেকে শক্তিশালী বা গুরত্বপুর্ন বেশি না হয় সে নিজেই আল্লাহ। কিন্তু একটা জিনিস লক্ষ করেছেন কি? মুহাম্মদ কিন্তু নিজেও হজ্জ্ব করত।তার মানে সেও কালও পাথরকে চুমু খেয়েছে আর যেহেতু কালো পাথরটি পাপ মোচন কারী তার মানে এই দাঁড়ালো যে মুহাম্মদ নিজেই নিজের পাপ স্বীকার করে নিল।কারণ তা না হলে তার পাপ মোচনের দরকার হত না।
তার অর্থ এই দাঁড়ালো, মুহাম্মদের পাপ মোচন করে কালো পাথর, মানে স্বাভাবিক ভাবেই সেই পাথর মুহাম্মদের থেকেও বেশি শক্তিশালী। তার মানে কি দাঁড়ালো? আল্লাহ হল আসলে ৩য় শক্তি, ২য় মুহাম্মদ আর প্রথম হল কালো পাথরটি।
আর যদি মুহাম্মদ আর আল্লাহ এক হয়, তবু রক্ষা নেই, কারণ কালো পাথর মুহাম্মদের থেকে বড়ো!কাজেই আমি যদি এখন দাবী করি যে ইসলামের( মুহাম্মদের খাটি ইসলাম) প্রধান উপাস্য হল কালো পাথরটি তাহলে কি খুব অন্যায় হবে?
একটু ভুল হয়ে গেছে ভাই। এটা তো আপনিই বলে দিলেন। আরও শরিক বের করা যায় যেমন মুহাম্মদের ব্যবহার করা জিনিসপত্র। জা নিয়ে মাতামাতি আজকাল ফেসবুকের বড্ড বেশি হচ্ছে।মুহাম্মদের জুতাও বাদ যাচ্ছে না। কোন এক হাদিসে মুহাম্মদের থুতুকে মোবারক বলা হয়েছে,ঠিক মনে নেই।জুতা তো অবশ্যই মোবারক। তাহলে আমার কথা হল যে এসবেও মানুষ ভক্তি ভরে চুমু খায় মানে ওগুলোরও ইবাদত করে।
আমার কথা হল তাহলে তো মুহাম্মদের সব বর্জ্যই মুবারক হবে, যদি থুতু হয় মুবারক। কি বিশ্রি অবস্থা।
ভাই একটা কথা, কোরানে লেখা আছে যে ইহুদীরা নাকি উজাইরকে আল্লাহর পুত্র মনে করে। কিন্তু কোন ইহুদি ওয়েবসাইট ঘেঁটেও এই হাস্যকর দাবির প্রমাণ পাই নি,কারন ইহুদী যদি ঈশ্বরের পুত্র আমদানী করে, তবে সে আর ইহুদী থাকে না! এর ব্যাখ্যা যাকির নায়েক গং রা কিভাবে দেয় বলবেন প্লিজ।