হালকা মেঘলা দিনে সপরিজন ছুটে চলেছি ‘বিরতিহীন’ নামের চরিত্রহীন বাসে। দুপাশের সবুজ চিরে, ঘাসলতা, পাহাড়, গাছপালার ল্যান্ডস্কেপড স্থবিরতা একপলকের একটু দেখা সেরে নামবো চন্দ্রঘোনার শেষ স্টপেজ লিচুবাগানে। সেখান থেকে কিছুটা দূরে খিয়াংপাড়ায় অপেক্ষায় আছেন আনিস ভাই, সাঙ্গোপাঙ্গো নিয়ে।
আর পরিচিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে হয়তো একটা স্বপ্নসুরভিত পরিবার।

আনিস ভাইয়ের কথাটা একটু বলি আগে।

মানুষটার বয়েস হবে হয়তো ষাটোন, কিন্তু চলনে বা বলনে তিনি এক শ্মশ্রূমণ্ডিত তরুণতর জেন বা সুফি। পাশাপাশি ঝর্ণার মতো উচ্ছল তিনি, ঝর্ণাজলের মতোই স্বচ্ছ, নদীর মতো গভীর, সরলগাছের মতোই ঋজু আর সরল। কণ্ঠে তাঁর সহস্রবর্ষের ঐতিহ্য আর বহমান বাউলিয়ানা, হাসিতে তাঁর নজরুল, ছাদফাটানো আর উন্মুক্ত, উদার। বুক তাঁর বাংলাদেশের হৃদয়, শত আঘাতের পরও উঠে দাঁড়ায় কী অলৌকিকভাবে যেন বারবার।

এসে পৌঁছেছি সেই টিনের দোচালাময় আধপাকা ঘরটায়। তিন কামরার মেটেমেঝের ঘরটার ক্ষেত্রফল হয়তো মেরেকেটে হাজার বর্গফুট, কিন্তু মানবতা এখানে খেলা করে সহাস্য, প্রাণল শিশুর মতো অবিরল বর্ষাধারায়, বারো মাসই। গৃহলক্ষ্মী এখানে পূর্ণিমাদি, পূর্ণিমা খিয়াং। আর তাঁর সাথেই আছে ন’টা শিশু।

বলছিলেন আনিস ভাই তাঁর ভাষায় WLF (Waashow Lomm Foundation)-এর জেনেসিস। খিয়াং ভাষায় Waashow Lomm শব্দের মানে আলোর দিশারী। আনিস ভাই পেশায় নগরসভ্যতার বাধ্যগত চাকরিচক্রে চংক্রমণশীল হলেও মাথার ভেতরে তাঁর সবুজ কিছু ঘুণপোকা অবিরত কুরে কুরে খেতো। বায়বীয়, আকাশলীন ঈশ্বরের পদতলে থাকার চাইতে এই জনপদে জলের মতো বিস্তৃত মানুষদের ভেতরেই অবগাহন করতে চেয়েছেন তিনি অবিরল। বিশেষত এই মানুষপাগল তরুণপ্রৌঢ় বা প্রৌঢ়তরুণটি মোটের ওপর সাংঘাতিক শিশুপ্রেমী। শিশুদের জন্যে কিছু করার বাসনা তাঁর ভেতরে কাজলাদিঘির বোয়ালের মতোই ঘাই মেরে যেতো ক্ষণে ক্ষণ। নড়াইলে চিত্রী চিরন্তন এস. এম. সুলতানের শিশুস্বর্গেও তিনি যুক্ত থাকতে চেয়েছিলেন, গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন শিশুদের জন্যে একটা প্রাণখোলা পরিমণ্ডল। তবে তার আগেই তিনি পেয়ে গেছেন আরেক মাতৃমূর্তিকে, পূর্ণিমাদি।

পূর্ণিমাদির সাথে তাঁর পরিচয় ঘটানোর কারিগর আধুনিক সময়ের এক সর্বব্যাপ্ত শয়তান, ফেসবুক। ফেসবুকে তাঁর সাথে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে আনিস ভাই মনের গোপন কথাটি মনে না রেখে খুলে বলেন সখীকে। পূর্ণিমাদির মাথায়ও সম্ভবত সমাপতিত হয় সেই অমোঘ অস্ত্রটি, শিশুবিকাশের সীমাহীন সৌরভ। দুই পাগলের হলো মেলা। এবার পরিকল্পনার পালা।

প্রথমত চিন্তা করা হয় পাঁচজন শিশুকে পালন করবেন তাঁরা এবং যেহেতু খিয়াং সম্প্রদায়ের ভেতরেই বসবাস পূর্ণিমাদির, তাই সেখান থেকেই আপাতত পাঁচজন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে মূলধারায় টেনে-আনার উদ্যোগ নেন তাঁরা। কোথায় থাকবে তারা? পূর্ণিমাদির বাসাই হয় সেই ঠিকানা। তিন সন্তানের এই জননী আয়তনে যতোটাই ছোটখাটো, হৃদয়ের পরিধি তাঁর সে-আয়তনের সহস্রগুণিতক বিশাল। নিজের সন্তানদের সাথেই তিনি রাখবেন তাদের। খিয়াং শিশুরা একটি দুটি তিনটি করে এলো, প্রায় দশজন। বাজেট নামের একটা বাজে ব্যাপার মাথা চুলকোয়। কিন্তু, মনটার সীমানা তো অসীম। তাই সিদ্ধান্ত, থাকবে সবাই। নিজের সন্তানদের সাথে তাদেরও একই সাথে রাখার ও বড় করে তোলার অতুল ব্রত নিলেন সদাস্মিতা পূর্ণিমাদি। প্রথমে একটু ঝামেলা হয়েছিলো, কারণ বিবর্তন আমাদের স্বার্থপর হতেই শিখিয়েছে হয়তো, তারপর অবশ্য সব ঠিকঠাক। মানুষের মানানোশীলতা অপরিমেয়, কিংবা হয়তো মানবিকতার কাছে নত হওয়াটাও।

জলের সাথে মেশে জল, আর শিশুরাও মিশে যায় অন্য শিশুদের সাথে। এক সাথে তারা ঘুমোতে যায়, ওঠে ঘুম থেকে, যায় পড়তে, ভাগ করে নেয় রোজকার খাবার, দুষ্টুমি বা উচ্ছলতায়ও তারা জুটিবদ্ধ, হাত লাগায় ঘরের কাজে, দিনযাপনের পালাতেও নিজের ভূমিকা পালন করে রুটিনমাফিক।

পূর্ণিমার মায়ায় শিশুদল

আনিস ভাই বলে চলেন, “এখানে বাচ্চারা বাচ্চাদের মতো থাকবে। কোনো কিছু তাদের ওপর চাপিয়ে-দেওয়া হবে না। অনেকে আমায় বলেছে, বেসিক এজুকেশনের পর তাদের টেকনিক্যাল লাইনের কিছু পড়াশুনো ধরিয়ে দিতে যেন তারা চাকরি করে খেতে পারে, কিন্তু তাহলে তো তাদের শৈশব-কৈশোরকে হত্যা করা হবে। ওরা যেমনি চায়, তেমনিভাবে বড় হবে। কেউ যদি ছবি আঁকতে চায় তো আঁকবে, কেউ খেলতে চাইলে খেলবে, হাতের কাজ শিখতে চাইলে শিখবে, দুষ্টুমি করতে চাইলে দুষ্টুমি করবে। যা মন চায় তাদের। আর পড়াশোনাটাতো আছেই সবার।” পূর্ণিমাদি হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়েন, জানান দুষ্টুমির জন্যে বিখ্যাত এই দস্যি ছেলের দলটা নাকি ওখানটায় পরিচিত ‘ভূঁইয়া বাহিনী’ নামে। জেনে স্তব্ধ হয়ে যাই, এসব সন্তানের জীবনে জ্যোৎস্না ছড়াবেন বলে পূর্ণিমাদি নিজের অর্থাগমের মাধ্যম চাকরিটাই দিয়েছেন ছেড়ে! মা কি শুধু মুখের কথায় হয়?

আমাদের শিশুরা আর শৈশব চুরি যায়, আর আমরা খুশি হয়ে উঠি। শিশুটার পিঠে বইখাতার বোঝা চাপিয়ে, অল্পবয়েসে ইঁচড়েপাকা বানিয়ে, প্রকৃতিস্পর্শরহিত করে তাদের ‘সফল’ হিসেবে গড়ে তোলার গর্বিত ইঁদুরদৌড়ে লাগিয়ে ভাবি দায়িত্বপালন করেছি দুর্দান্ত। কোথায় সেই একসাথে জেগে-ওঠার অনিন্দ্যসুন্দর সকাল, স্কুলে-ছোটার মজারু মুহূর্ত, আকাশ-রাঙানো মন খারাপ-করা বিকেল, জোনাকজ্বলা সন্ধ্যের দিনরাতের কাব্য! ঝরে-পড়া ঠেকাতেই যেখানে প্রাণান্ত আমরা, সেখানটায় ওসব বিলাসিতা তো অপরাধই। আর সেই অকালবেলায় এক অদম্য অভিযাত্রী কিনা শিশুদের প্রাণখোলা আনন্দ আর দস্যিপনার অবারিত সুযোগ করে দিতে চায়। উন্মাদ, বদ্ধোন্মাদ!

গত ডিসেম্বর/জানুয়ারি থেকে শুরু করে এই অবধি কিছুটা এগিয়েছে বটে WLF। খিয়াংদের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, অথচ দৃষ্টি আরও ওপরে নিবদ্ধ এই প্রতিষ্ঠানটা বহুদূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন জ্বলজ্বল করে আনিস ভাইয়ের চশমার ভেতরের বড় বড় চোখগুলোয়। খিয়াং নামের এই জনগোষ্ঠীটা নিতান্তই ক্ষুদ্রকায় এবং অন্তেবাসী। সভ্যতাসিঁড়ির গোড়ায়ও পৌঁছুতে পারে না তারা সবাই, ওঠা তো দূরস্থান। সারা পৃথিবীতেই তাদের সংখ্যা মাত্র দুই কি আড়াইহাজার। পাহাড়ে আমরা যতোই আমাদের নাগরিক নোংরামো ঢুকিয়েছি, ততই তারা কোণঠাসা হয়ে হয় সরে গেছে আরো দূরের পার্বত্য এলাকায়, বা চলে গেছে মাতৃভূমি ছেড়ে বা বাধ্য হয়ে পড়ে আছে সর্বংসহা হয়ে। নিজস্ব বর্ণমালা ছিলো তাদের, গেছে আরো অনেক কিছুর মতোই হারিয়ে। মুখের ভাষাটাও তাদের কাছে অনেকটাই ব্রাত্য হয়ে পড়ে সমাজের মূলধারায় মিশে যাওয়ার পর। রাষ্ট্র তাদের উন্নয়নে নির্বিকার, ক্ষুদ্রতম জাতিসত্তার রক্ষাকবচও তাদের মেলে না, সমাজের প্রতিযোগিতা আর ভূমিগ্রাস তাদের নীরবে হার মেনে নিতে বাধ্য করে, শেষমেষ তারা নীরবেই চুপিচুপি একাএকা মারা যায় আর মুছে যায়। আর এর ভেতর বাঙালি হিসেবে আনিস ভাই যেন আরেক ঈশ্বরপুত্র হয়ে তাদের কাছে পাপমোচনের আর বিশ্বাসরক্ষার দায়িত্ব নেন তাঁর স্বল্প সামর্থ্যে।

নিজের বর্ধিত পরিবারের শিশুদের টানে ঢাকার শত শত মাইলের দূরত্ব ফেলে তিনি প্রায়ই ছুটে আসেন তাঁর স্বপ্নসম্ভব আঁতুড়ঘরে। শিশুদের কাছে তিনি ‘বাবা’। অদম্য টানটা যে পারস্পরিক সেটা অনুভব করা যায়, স্পর্শও করা যায় সেটা। এই প্রতিষ্ঠানটা দাঁড় করানোর আগে টিকিয়ে-রাখার ব্যবস্থা করাটাও তাঁর জন্যে একটা চ্যালেঞ্জ বটে। প্রতি মাসে সংস্থান করতে হয় প্রায় ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকার। সমমনারাই তাঁর সহায় এতাবৎ। কিন্তু, প্রতি মাসের এই টানা আর পোড়েনের সংগ্রাম যেন শেষই হয় না। আনিস ভাই আপাতত সুহৃদদের সাহায্যের ওপরই নির্ভরশীল, কিন্তু করুণাভিক্ষায় কোনভাবেই সম্মত তিনি নন। তাঁর এক প্রিয়জন নিজের পরিবারের সদস্যদের যাকাতের অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছিলো, নিষেধ করেছেন তিনি। যাকাত তাঁর কাছে মূলত ভিক্ষা, হাত পেতে সন্তানদের জন্যে সে নিতে তিনি রাজি নন।

এরই মধ্যে জেনেছি দুজন খিয়াং বালক প্রথম শ্রেণীতে যথাক্রমে প্রথম আর দ্বিতীয় হয়েছে। ফেসবুকের WLF গ্রুপে গর্বিত পিতা হিসেবে আনিস ভাই পোস্ট দিয়েছেন:
“স্কুলের ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষায় সোহেল প্রথম আর মাইকেল দ্বিতীয় হয়েছে। যারা লেখাপড়ায় ফার্স্ট-সেকেন্ড হয়নি, তারাও একেকজন একেক বিষয়ে স্বতন্ত্র। মেরী হলো ওস্তাদ গৃহিণী, দিপালী গানে ক্লান্তিহীন (ওর হাতের লেখাও খুব সুন্দর), থুই হ্লা হলো দুষ্টের শিরোমণি, আশিক যন্ত্রপাতি নিয়ে খুটখাট করে। আমার সবগুলো বাচ্চা একেকটা চ্যাম্পিয়ন।”

মায়াঘেরা আনিস ভাই

‘আমার বাচ্চা’ কথাটা স্রেফ কথার কথা নয়। মহাভারতের বনপর্বে যুধিষ্ঠিরকে ধর্মরূপী বকের-করা শত প্রশ্নের একটি ছিলো, “আকাশের চেয়ে উঁচু কে?” উত্তর ছিলো এবং যথার্থই ছিলো, পিতা। আনিস ভাই তেমনি আকাশের চাইতেও উঁচু এক মহীরুহ হয়ে দাড়িয়ে আছেন তাদের পাশে। আলো আসবেই, দৃঢ় বটগাছের মতো অবিচল এই বিশ্বাসে তিনি হার মানতে শিখছেন না। প্রতিবার বিদায়ের সময় তিনি চোখ মুছতে মুছতে ফিরতি রাস্তা ধরেন। ওদিকেও একই বর্ষাযাপন।

কী অনন্তপারবিস্তারী ক্ষুদ্রত্ব গ্রাস করে আমায়, দিনযাপনের পাপক্ষালনকারী এই আমায়, মমতাহীন সময়ে আর মগজে বেঁচে-থাকা এই আমায়, নির্লজ্জ আর স্বার্থপর এই আমায়। চতুর্দিকে কী অপচয়, কী বিলাসলালসা, কী ভোগবুভুক্ষা। অথচ, কটা শিশুর সামান্যতম দায়িত্ব নেওয়ার তুচ্ছতম কাজে মানুষের কী অনীহা! তারপরও মরে না আশা। তারপরও স্বাপ্নিকেরা দেখে যায় অসীম স্বপ্ন। চারপাশে যখন এতো নীচতা, এতো কুৎসিত অমানবিকতা, এতো অর্থখ্যাতিলোলুপতা, ক্ষুদ্র স্বার্থের ঈর্ষিত দহন, সেখানটায় নিঃস্বার্থ হয়ে কেউ উজাড় করে দিতে চাইছে তার সব, এযে বিশ্বাসই হতে চায় না। মানুষের অমানুষতায় অভ্যস্ত হয়ে এই পতিত দুচোখ আর নোংরায় পরিচিত মন যেন মানতেই চায় না, বিশ্বাসই করতে চায় না মানুষ যে মানুষও হতে পারে, দেবতাও।

সেগুনবনের পুষ্পিত রাস্তার পাশ ঘেঁষে আমি ফিরে আসি সেই আশায়, সেই স্বপ্নে বেঁচে উঠবো বলে, মনে পড়ে জলরঙে বাচ্চারা ছবি আঁকছিলো চারপাশের, সাথে আমার শিশুসন্তানটিরও হাতখড়ি হয়েছিলো জলরঙতুলিতে, মনে পড়ে পূর্ণিমাদির হাতের অনবদ্য রান্না, মনে পড়ে আমিও ছিলাম সেই পুণ্য ও আনন্দময় যজ্ঞে এক নিমেষ।

আমি দেখি বর্ষায় ভেজা এক অদম্য এ্যাটলাস কাঁধের ওপর এক স্বপ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আকাশের নিচে, চোখে তার প্রগাঢ় মায়া, হৃৎপিণ্ডটা তার দানকোর মতো, অহরহ জ্বলছে সেটা শিশুদের জন্যে কিছু করার তীব্রতায়, পারলে সেটা বুক থেকে বের করে সে ছড়িয়ে দিতো অন্ধকার মানুষগুলোর চোখ ফোটাবে বলে, তার কাঁচাপাকা চুলদাড়ি বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে বৃষ্টিভেজা জল, তারমধ্যে কয়েক ফোঁটা উষ্ণ, চোখ থেকে নেমেছে সেসব, “কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো”, বুড়ো ছায়াময় বৃক্ষটা কাঁদছে ভালোবাসায়, আশায়, আনন্দে, আশংকায়।

সে জানে, মানুষ হাত বাড়াবেই, মানুষ শিশুদের ভালোবেসে বুকে তুলে নেবেই, মানুষ প্রাণের সাথে প্রাণ মেলাবেই।

মানুষেরা, আপনারা কি শুনতে পাচ্ছেন সেই আকুল আহ্বান, সেই প্রেমের প্রবল শঙ্খধ্বনি, সেই কল্পনারঙের ছবি দেখতে পাচ্ছেন চোখে?

মানুষেরা কোথায়? কোথায় মানুষেরা সবাই?

“আমি দুচোখের গহ্বরে শূন্যতা দেখি শুধু
রাতঘুমে আমি কোন স্বপ্ন দেখি না তাই,
স্বপ্ন দেখবো বলে আমি দুচোখ পেতেছি
তাই, তোমাদের কাছে এসে আমি দুহাত পেতেছি…”

পুনশ্চ:

১) ফেসবুকে WLF।

২) সচলায়তনে WLF।

৩) আমরাবন্ধু-তে WLF।