ঈমানদার ভাই বোনদেরকে কোরানের কোন আয়াত পড়ে তার অর্থ জিজ্ঞেস করলে তারা সাথে সাথেই বলবে আগে জানতে হবে উক্ত আয়াত কোন কনটেক্সটে নাজিল হয়েছিল। সাধারণ মানুষরা বলাবাহুল্য কনটেক্সট জানা তো দুরের কথা কোরান হাদিসই পড়ে না। কনটেক্সট বলার পরও যদি দেখা যায় আয়াতের অর্থ পরিবর্তন করা যাচ্ছে না তখন বলবে এর ভিন্ন কোন গূঢ় অর্থ আছে যা একমাত্র ইলমধারী মানুষ ছাড়া বুঝতে পারবে না। তখন যদি প্রশ্ন করা হয়- আল্লাহ তো বলেছে- আমি কোরান কে সহজ ভাবে নাজিল করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার। তখন উত্তর হবে – কোরানকে বুঝতে হলে আরবী জানতে হবে। এর পরে যদি বলা হয়-তাহলে তো একমাত্র আরবরাই ভাল কোরান বুঝে মুসলমান হতে পারবে, অনারবরা নয়। তখন বলবে- এটা নিয়ে আর তর্ক করতে চাই না। ইসলামে তর্ক করতে নিষেধ করা হয়েছে। ব্যস, এর পর মুখে কুলুপ। বলা বাহুল্য, ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্মের কিতাব পড়ে বুঝতে ভাষা বা কনটেক্সট কোন সমস্যা হয় না। দরকার পড়ে না কোন ইতিহাস জানার। হিন্দুদের গীতা, খৃষ্টানদের গসপেল, ইহুদিদের তৌরাত বা বৌদ্ধদের ত্রিপিটক যে ভাষায়ই অনুবাদ আকারে পাওয়া যাক না কেন তা বুঝতে ও জানতে কনটেক্সট বা ভাষা কোন সমস্যা হয় না কখনো। অন্তত: অনুবাদ ভাল হলে এ ধরনের সমস্যা একেবারেই হয় না। যেমন – গীতার কয়েকটি শ্লোক এরকম:
তস্মাৎসর্বেষু কালেষু মামনস্মর যুধ্য চ।
ময্যর্পিতমনোবুদ্ধির্মামেবৈষ্যস্যশংশয়ম্ ।। অধ্যায়-৮, শ্লোক-৭
অর্থ: সেইজন্য অর্জুন ! তুমি সর্বদা আমাকে স্মরণ কর এবং যুদ্ধ কর। আমাতে মন ও বুদ্ধি সমর্পণ করলে তুমি নি:সন্দেহে আমাকেই লাভ করবে।
অনন্যচেতা: সতং যো মাং স্মরতি নিত্যশ:।
তস্যাহং সুলভ: পার্থ নিত্যযুক্তস্য যোগিন: ।। অধ্যায়-৮, শ্লোক-১৪
অর্থ: যিনি অনন্ত চিত্তে আমাকে স্মরণ করেন , সেই নিত্য আমাতে যুক্ত যোগীর কাছে, হে পার্থ, আমি সহজলভ্য।
মামুপেত্য পূনর্জন্ম দু:খালয়মশাশ্বতম।
নাপ্নুবন্তি মহাত্মান: সংসিদ্ধিং পরমাং গতা:।। অধ্যায়-৮, শ্লোক-১৫
অর্থ: আমাকে লাভ করলে তাদের দু:খের স্থানস্বরূপ ক্ষনভঙ্গুর পূনর্জন্ম আর হয় না, বরং পরম সিদ্ধি লাভ হয় অর্থাৎ আমাকে লাভ করা যায়।
কি বলিষ্ঠ ভাবে শ্রীকৃষ্ণ তার বক্তব্য সোজাসুজি প্রদান করছে তার শিষ্য অর্জুনের কাছে। কোন প্রেক্ষাপট বা কনটেক্সটের দরকার নেই, দরকার নেই কোন ইতিহাস জানার। গীতার কোন অধ্যায়ের কোন শ্লোক পড়তে গিয়ে এধরনের কনটেক্সট জনিত সমস্যায় পড়তে হয় না, দরকার নেই ইতিহাস জানার বা সংস্কৃত ভাষা জানার। প্রতিটি শ্লোকের বক্তব্য অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও স্বাধীন, যদিও এ থেকে মনে করার কোন কারন নেই যে এটা স্বয়ং ঈশ্বরই এটা রচনা করেছে। এর কারন হলো গীতার রচয়িতারা ছিল উচ্চ শিক্ষিত, ব্যকরণে পারদর্শী ও গভীর দার্শনিক দৃষ্টি ভঙ্গি সম্পন্ন। আগ্রহী পাঠকরা এখান থেকে বাংলা গীতা(http://download.yatharthgeeta.com/pdf/bengali_geeta/index.htm) পড়ে দেখতে পারেন।
এবারে গসপেলের কিছু বাক্য উদ্ধৃত করা যেতে পারে,
তোমরা পৃথিবীতে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় করিও না; এখানে ত কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে, এবং এখানে চোরে সিধ কাটিয়া চুরি করে। কিন্তু স্বর্গে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় কর; সেখানে কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে না, সেখানে চোরেরাও সিধ কাটিয়া চুরি করে না। কারন যেখানে তোমার ধন সেখানেই তোমার মন থাকিবে। চক্ষুই শরীরের প্রদীপ; অতএব তোমার চক্ষু যদি সরল হয়, তবে তোমার সমস্ত শরীর দিপ্তীময় হইবে। কিন্তু তোমার চক্ষু যদি মন্দ হয় তবে তোমার সমস্ত শরীর অন্ধকার ময় হইবে। মথি, অধ্যায়-৬, বাক্য-১৯-২৩
যীশু আবার লোকদের কাছে কথা কহিলেন, তিনি বলিলেন, আমি জগতের জ্যোতি; যে আমার পশ্চাৎ আইসে, সে কোনমতে অন্ধকারে চলিবে না, কিন্তু জীবনের দিপ্তী পাইবে। যোহন, অধ্যায়- ৮, বাক্য: ১২
তুমি যদি খ্রীষ্ট হও তবে আমাদেরকে স্পষ্ট করে বল। যীশু উত্তর করিলেন, আমি তোমাদিগকে বলিয়াছি আর তোমরা বিশ্বাস কর না, আমি যে সমস্ত কার্য্য পিতার নামে করিয়াছি সে সকল আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিতেছে। কিন্তু তোমরা বিশ্বাস কর না কারন তোমরা আমার মেষদের অন্তর্গত নও। আমার মেষরা আমার রব শুনে আর আমি তাহাদিগকে জানি এবং তাহারা আমার পশ্চাদগমন করে; আর আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দান করি। তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না এবং কেহই তাহাদিগকে আমার হস্ত হইতে কাড়িয়া লইতে পারিবে না। যোহন, অধ্যায়-১০, বাক্য:২৫-২৮
কি সুন্দর ভাবে যীশু উপদেশ দিচ্ছেন কোন প্রেক্ষাপট দরকার পড়ছে না , বোঝার জন্য দরকার নেই কোন ইতিহাস জানার। অথবা দরকার নেই যীশুর আরামাইক ভাষা জানার। এমন কি তার রূপক কথাগুলো বুঝতেও কোন সমস্যা নেই। যে কেউ গসপেল পড়লেই সেটা বুঝতে পারার কথা, এখানে আছে বাংলা গসপেল(http://www.asram.org/texts/bengalibible.html)। এভাবেই গীতা বা বাইবেল/গসপেলের কোন উপদেশ বা আদেশ নির্দেশ জানতে প্রেক্ষাপট জানার দরকার নেই যে কেউ উক্ত লিংক থেকে সেগুলো ডাউনলোড করে পড়ে দেখতে পারেন। এর কারন হলো- তাদের রচয়িতা হলো তৎকালের উচ্চ শিক্ষিত লোক, তারা বুঝত সৃষ্টিকর্তার বিধান বা আইন হবে শাশ্বত , সার্বজনীন, তাই সেসব কোন ইতিহাস বা প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে না, বুঝতেও সেসবের দরকার পড়ে না, আর সেটা বুঝেই তারা তাদের কিতাবগুলোর বাণীকে এভাবে রচনা করেছে। ব্যতিক্রম হলো কোরান। এর কারন হলো- মোহাম্মদ ছিলেন অশিক্ষিত, তার ফলে তিনি আল্লাহর নামে এখন যেটা বলতেন , কিছুকাল পরে অন্য কথা বলতেন, যে কারনে কোরানের আয়াত বুঝতে লাগে প্রেক্ষাপট জানার। তিনি আল্লাহর স্বরূপ সম্পর্কে সম্যক অবগত ছিলেন না , তার ধারনা ছিল না যে আল্লাহ যদি সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞানী কেউ হন তার বানী সমূহ সময়ের প্রেক্ষিতে পাল্টে যায় না, বরং তার বানী হবে শাশ্বত, সকল সময়ের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু দেখা যায়, মোহাম্মদের আল্লাহ খুব অস্থিরমতি, চঞ্চলমতি স্বভাবের একজন মানুষের মত- এখন একটা কথা বলে তো পরক্ষনে অন্য কথা বলে। আল্লাহর চরিত্র এরকম হওয়া তখনই সম্ভব যদি কেউ আল্লাহর নামে প্রক্সি দিতে থাকে, যেটা দিয়েছেন মোহাম্মদ নিজে।
যাহোক, মহা সমস্যা হলো তথাকথিত শ্রেষ্ট নবী মোহাম্মদের কথা বার্তা বা তাঁর কোরান বুঝতে আমাদের দরকার প্রেক্ষাপট জানার , ইতিহাস জানার, অধিকন্তু আরবী ভাষা জানার, না হলে তার অর্থ পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে না, যদিও কোরানের আল্লাহ দাবী করছে-
আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্যে সুসংবাদ। সূরা নাহল, ১৬:৮৯
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? সূরা কামার, ৫৪: ১৭
আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? সূরা কামার, ৫৪: ২২
আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? সূরা কামার, ৫৪: ৩২
আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? সূরা কামার, ৫৪: ৪০
বলা বাহুল্য, উক্ত আয়াত সঠিকভাবে অনুবাদ করা হয় নি বলে যে কোন বান্দাই দাবী করে বসতে পারে কারন বিষয়টা কোরান বোঝার বিষয়ে সাংঘর্ষিক। সেকারনে প্রখ্যাত অনুবাদক ইউসুফ আলীর অনুবাদও দেয়া হলো-
Yusuf Ali: And We have indeed made the Qur’an easy to understand and remember: then is there any that will receive admonition? সূরা কামার, ৫৪:১৭,২২,৩২,৪০
অথচ মোহাম্মদ বা তার সাগরেদরা কিন্তু কেউ সেই কালের ইতিহাস, প্রেক্ষাপট লিখে রেখে যায় নি। বরং তারা তাদের আগের কালের সব ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে সমূলে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। যে ইতিহাস ও হাদিস আমরা আজকে পাই তা মোহাম্মদ মারা যাওয়ার ১৫০ থেকে ২০০ পর লিখিত ও সংকলিত। তাহলে কোরান পড়ে বোঝার উপায় টা কি ? কোরান পড়ে বুঝতে গিয়ে হাদিস বা তাফসিরের সাহায্য নিলে যদি কোন স্ববিরোধী বা উদ্ভট তথ্য বেরিয়ে আসে সাথে সাথে বর্তমানে কিছু আল্লাহর বান্দা আছে চিৎকার করে জানান দেয় সেগুলো নাকি সহি হাদিস না। তাদের যুক্তি মোহাম্মদ মারা যাওয়ার দু’শ বছর পর যে হাদিস রচিত হয়েছে তার সত্যতার কোন গ্যারান্টি নেই। যদি সে বক্তব্য সত্য হয় তাহলে কোরানের আয়াতের প্রেক্ষাপট বোঝার রাস্তাটা কি ? সে ব্যপারে তারা একেবারে চুপ। অথচ ইসলামের পন্ডিতবর্গ একমত হয়ে রায় দিয়েছে সহি সিত্তা হলো – বুখারী, মুসলিম, ইবনে মাজা, আবু দাউদ, তিরমিজি ও নাসাই। এদের মধ্যে বুখারী ও মুসলিমের স্থান সর্বোচ্চ। এসব থেকেও যদি কোন উদাহরণ দেয়া হয় তাহলেও বলবে- সেটা সহি নয় বা সঠিকভাবে অনুবাদ করা হয় নি। যেন কোনটা সহি আর কোনটা সহি না তা বিচারের দায়িত্ব তার ও প্রখ্যাত অনুবাদকারীদের চেয়ে বেশী আরবী সে বোঝে। অত:পর যখন তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হয়- কোরান কিভাবে কিতাব আকারে পাওয়া গেল, মোহাম্মদ তো আর তার আয়াতগুলোকে সংকলন করে কিতাব বানিয়ে যান নি? তখন তারা একেবারে নিশ্চুপ। মিন মিন করে বলতে থাকে তখন বহু সংখ্যক কোরানে হাফিজ ছিল যাদের পুরো কোরান মুখস্থ ছিল, যদিও বাস্তব কারনে সেটা একেবারেই অসম্ভব কারন তখন পূর্ণ কোন কিতাব ছিল না যা দৈনিক পাঠ করে মুখস্ত করা যেত। এসব প্রশ্নের কোন সদুত্তর তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায় না।
যাহোক এবার কোরানের কিছু আয়াতের শানে নুযুল বা প্রেক্ষাপট বা কনটেক্সট সহ আলোচনা করা হবে। দেখা যাক তাতে আয়াতের প্রকৃত কি অর্থ বেরিয়ে আসে। প্রথমেই নিচের আয়াতগুলো নির্বাচন করা যাক-
হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে। আর যদি তোমরা দারিদ্রেøর আশংকা কর, তবে আল্লাহ চাইলে নিজ করুনায় ভবিষ্যতে তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।৯:২৮
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।৯:২৯
উক্ত দুটি আয়াতের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ইবনে কাথিরের বর্ণনাটা একটু দেখা যাক। –
হাসান বলেন যে , যে ব্যক্তি মুশরিকদের সাথে মুসাফাহা করবে সে যেন তার হাতটি ধুয়ে নেয়, কারন ২৮ নং আয়াত বলছে মুশরিকরা হলো অপবিত্র। এ হুকুম হলে মুসলমানদের কেউ কেউ বলল- তাহলে আমাদের বাজার মন্দা হয়ে যাবে, ব্যবসায়ে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে, আমাদের জাকজমক নষ্ট হয়ে যাবে।( ইবনে কাথিরের তাফসির, খন্ড-৮ম,৯ম,১০ম,১১শ পৃষ্ঠা নং-৬৭৪)
উক্ত ২৮ নং আয়াত থেকে সেটা পরিস্কার বোঝাও যায়। সেখানে বলা হচ্ছে যে- সে বছরের পর থেকে কোন মুশরিক আর কাবা ঘরের আশ পাশে আসতে পারবে না। বলা বাহুল্য, ইসলাম পূর্ব যুগেও কিন্তু কাবা ঘরের উদ্দেশ্যে মানুষ হজ্জ করতে আসত, সেখানে মক্কার আশ পাশের বহু মুশরিক জমায়েত হতো, ফলে সেখানে বেশ ভাল ব্যবসা বানিজ্য হতো। এটা কোন ইসলামিক হজ্জ ছিল না, কাবা ঘরটা তো ছিল আসলে একটা মন্দির যার মধ্যে ৩৬০ টা দেব-দেবতা ছিল যাদেরকে ইসলামি পরিভাষায় বলা হয় পুতুল। বছরের নির্দিষ্ট কয়টা দিনে কাবা ঘরের সামনে বিভিন্ন যায়গা থেকে মানুষ এসে জমায়েত হতো, মেলা বসত, সেসব মেলায় পানি সরবরাহ, খাদ্য সরবরাহ, নানাবিধ দ্রব্য কেনার ব্যবসা বানিজ্য থেকে মক্কাবাসীদের ভাল লাভ হতো ও তারা স্বচ্ছলে দিন কাটাত। এখন আল্লাহ বলছে অত:পর সেখানে যেন কোন আর মুশরিক আসতে না পারে। এর ফলে সঙ্গত কারনেই ব্যবসা বানিজ্যে ভাটা পড়বে। একারনেই ২৮ নং আয়াতে বলা হচ্ছে- আর যদি তোমরা দারিদ্রেøর আশংকা কর, তবে আল্লাহ চাইলে নিজ করুনায় ভবিষ্যতে তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন– তো এবার দেখা যাক কিভাবে আল্লাহ দারিদ্র মুক্ত করবেন। সেটাও পরিস্কার ২৯ নং আয়াতে। বলা হচ্ছে- আহলে কিতাবের লোক তথা ইহুদি ও খৃষ্টানদের কাছ থেকে জিজিয়া কর আদায় করে দারিদ্র দুর করা হবে। পরম করুনাময় আল্লাহর কি সুন্দর সমাধান। আহা আল্লাহ বড়ই মেহেরবান! অন্যের কাছ থেকে সম্পদ জোর করে আদায় করে সে মুসলমানদেরকে ধনবান করতে চায়। এ সম্পর্কে ইবনে কাথিরের তাফসির দেখা যাক-
তাদের কথার জবাবে আল্লাহ বলেন- “তোমরা এ ব্যপারে কোনই ভয় করো না , আল্লাহ তোমাদের আরও বহু পন্থায় দান করবেন। আহলে কিতাবের থেকে তোমাদের জন্য জিজিয়া কর আদায় করে দেবেন ও তোমাদেরকে সম্পদশালী করবেন। তোমাদের জন্য কোনটা বেশী কল্যাণকর তা আল্লাহই ভাল জানেন। তার নির্দেশ ও নিষেধাজ্ঞা সবটাই নিপুণতাপূণ। এ ব্যবসা তোমাদের জন্য যতটা না লাভজনক, তার চেয়ে অনেকবেশী লাভজনক ঐ আহলে কিতাবীদের কাছ থেকে জিজিয়া আদায় করা যারা আল্লাহ ও তার রাসুলকে অস্বীকারকারী”। প্রকৃতপক্ষে তারা যখন মোহাম্মদের ওপর ঈমান আনল না তখন তারা তাদের নবীদের ওপরও ঈমান আনল না। তারা নিজেদের প্রবৃত্তি ও বড়দের অন্ধ বিশ্বাসের ওপর পড়ে রয়েছে। যদি তারা নিজেদের নবী ও তাদের শরিয়তের ওপর বিশ্বাস রাখত তাহলে তারা আমাদের নবীর ওপরই বিশ্বাস আনত। তার শুভাগমনের খবর তো সব নবী দিয়ে গেছেন আর তার ওপর ঈমান আনার কথাও বলে গেছেন। এতদ্সত্ত্বেও তারা শ্রেষ্ট রসূলকে অস্বীকার করছে। সুতরাং পূর্ববর্তী নবীদের শরিয়তের সাথেও তাদের কোন সম্পর্ক নেই। এ কারনেই তাদের মুখে ঐসব নবীদের কথা স্বীকার করার কোন মানে নাই। কেননা মোহাম্মদই হলেন সব নবীর নেতা, সর্বশ্রেষ্ট নবী ও রাসুলদের পূর্ণকারী। অথচ তারা তাকেই অস্বীকার করছে , সুতরাং তাদের বিরুদ্ধেও জিহাদ করতে হবে। (ইবনে কাথিরের তাফসির, খন্ড-৮ম,৯ম,১০ম,১১শ পৃষ্ঠা- ৬৭৪)
তাহলে দেখা যাচ্ছে, কোরানের আল্লাহ শুধুমাত্র মোহাম্মদকে বিশ্বাস না করার কারনে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে জেহাদের বিধি জারী করছে। এখানে নেই অন্য কোন কারন, যেমন চুক্তি ভঙ্গ বা অন্য কিছু, বা কোন ইহুদি ও খৃষ্টান মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধও ঘোষণা করে নি। তাদের একমাত্র অপরাধ- ইহুদি ও খৃষ্টানরা মোহাম্মদ কে শেষ নবী স্বীকার করছে না , শুধুমাত্র একারনেই তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ বা যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে, তাদেরকে আতর্কিতে আক্রমন করে, খুন জখম হত্যা করে ত্রাস সৃষ্টি করতে হবে ও তাদেরকে বাধ্য করতে হবে ইসলাম গ্রহণে, যদি তারা অস্বীকার করে তাহলে তাদের কাছ থেকে জিজিয়া কর আদায় করতে হবে আর সেটা তারা প্রদান করবে করজোড়ে আর এ জিজিয়া করের সম্পদ মুসলমানদেরকে স্বচ্ছল করে তুলবে। বিষয়টিকে আরও বর্ধিত করা যেতে পারে। যেহেতু মোহাম্মদের কালে আরবে ছিল পৌত্তলিক, ইহুদি ও খৃষ্টান তাই কোরানে বার বার তাদেরই কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই তখনও দুনিয়াতে ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম বিদ্যমান ছিল-যেমন- ভারতে হিন্দু ও বৌদ্ধ। আশ্চর্যজনকভাবে কোরানের আল্লাহর এসব ধর্মের বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায় না যদিও মোহাম্মদ এক পর্যায়ে দাবী করছেন যে তিনি সারা দুনিয়ার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন। তাহলে তার কোরানে হিন্দু ও বৌদ্ধদের ব্যপারে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু উল্লেখ নেই কেন ? তবে সে যাহোক, তর্কের খাতিরে ধরে নেয়া যেতে পারে যে পৌত্তলিক বলতে হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয়কেও বুঝায়। তার অর্থ – অত:পর উক্ত ২৯ নং আয়াত অনুযায়ী হিন্দু ও বৌদ্ধ অধ্যুষিত অঞ্চলে কোন রকম ঘোষণা ছাড়াই জিহাদের ডাক দিয়ে আক্রমন করতে পারে মুসলমানরা আর তাদেরকে মেরে কেটে সাফ করে অত:পর তাদের নারীগুলোকে গণিমতের মাল হিসাবে ভাগ করে পুরুষগুলোকে দাস হিসাবে বিক্রি করতে পারে কারন , গণিমতের মাল ভাগাভাগি করা বা দাস প্রথা রদ করার কোন বিধান কিন্তু কোরানে নেই। অন্য কথায় বলা যায়, আল্লাহ এ সম্পর্কিত বিধান জারি করতে বোধ হয় ভুলে গেছিল বা সময় পায় নি। আর যদি তারা অশেষ দয়া বশত: তা না করে তাহলে তাদেরকে বাধ্য করতে পারে করজোড়ে জিজিয়া কর প্রদান করতে।
আর বলা বাহুল্য এসব জিহাদী আক্রমন কিন্তু আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ। কারন ইসলামে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধের সংজ্ঞা ভিন্ন। এখানে এর সংজ্ঞা হলো- লুট-পাট , গণিমতের মাল বা জিজিয়া কর আদায়ের উদ্দেশ্যে বিনা নোটিশে যে কোন জনপদ বা রাজ্যকে আক্রমন করাকেই আত্মরক্ষা মূলক যুদ্ধ বলে।
ইসলামী পন্ডিতরা দাবী করে, প্রতিটি মুসলমানদেরকে যাকাত দিতে হয়, যা বায়তুল মালে জমা হয়, ইসলামী খলিফা তা থেকে তার খিলাফত তথা রাজ্য বা রাষ্ট্র চালাবে। সে ক্ষেত্রে অমুসলিমদের কাছ থেকেও তো এ ধরনের একটা কর আদায় দরকার যেহেতু তারা রাজ্যে সুবিধা সুযোগ ভোগ করে। যারা কোরান হাদিস পড়ে নি , জানে না কি লেখা, জানে না মোহাম্মদের সমকালীন ইতিহাস সম্পর্কে তারা কিন্তু এ ব্যখ্যাতে দারুন খুশী হয়ে যায়। কিন্তু জিজিয়া কর মোটেও যাকাতের মত একটা সাধারণ কর নয়। তা কিন্তু উক্ত ২৯ নং আয়াতের ভাষা থেকেই বোঝা যায় যা হলো – যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। এ ব্যপারে ইবনে কাথিরের তাফসির কি বলে দেখা যাক-
যে পর্যন্ত না তার অধীনতা স্বীকার করে প্রজা রূপে জিজিয়া কর দিতে স্বীকৃত না হয়, তাদেরকে ছেড়ে দিও না। সুতরাং মুসলিমদের ওপর জিম্মীদের মর্যাদা দেয়া বৈধ নয়। সহী মুসলিমে আবু হোরায়রা হতে বর্ণিত আছে যে – নবী বলেছেন, তোমরা ইহুদি ও নাসারা(খৃষ্টান)দেরকে আগে সালাম দিবে না এবং যদি পথে দেখা হয়ে যায় , তাদেরকে সংকীর্ণ পথে যেতে বাধ্য কর। ( ইবনে কাথিরের তাফসির , খন্ড-৮ম,৯ম,১০ম,১১শ পৃষ্ঠা নং- ৬৭৫)
তার অর্থ জিজিয়া কর প্রদান করার পর তাদেরকে জিম্মী হিসাবে গণ্য করা হবে। এ জিম্মিরা হলো অতি নীচু শ্রেনীর মানুষ যাদের কোন রকম স্বাধীনতা বা মর্যাদা নেই, আর তারা বেঁচে থাকবে সম্পূর্নতই মুসলমানদের করুণার ওপর ভিত্তি করে। এই জিম্মী জিনিসটা কি জিনিস তার বর্ণনা আছে ইবনে কাথিরের ২৯ ও ৩০ নং আয়াতের তাফসিরে:
আব্দুর রহমান ইবনে গানাম আসআরী বলেন , আমি নিজের হাতে চুক্তি লিখে খলিফা ওমর ( রা:) এর নিকটে পাঠিয়েছিলাম যে সিরিয়াবাসী অমুক অমুক শহরে বসবাসকারী খৃষ্টানদের পক্ষ হতে আল্লাহর বান্দা আমিরুল মুমেনিন হযরত ওমরের নিকট। চুক্তি পত্রের বিষয় হলো এরকম- যখন আপনারা আমাদের ওপরে এসে পড়লেন, আমরা আপনাদের নিকট হতে আমাদের জান মাল সন্তান সন্ততির জন্য নিরাপত্তার প্রার্থনা জানাচ্ছি। আমরা এ নিরাপত্তা চাচ্ছি এ শর্তাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে যে, আমরা এ শহর গুলোতে ও আশে পাশের শহরগুলোতে কোন নতুন মন্দির গির্জা বা খানকা নির্মান করব না। এসব ঘরে যদি কোন মুসলিম মুসাফির অবস্থানের ইচ্ছা করেন তবে আমরা তাদেরকে বাধা দেব না। তারা রাত্রে অবস্থান করুক বা দিনে অবস্থান করুক। আমরা পথিক ও মুসাফিরদের জন্য ওগুলোর দরজা সব সময় খোলা রাখব। যে সব মুসলিম আগমন করবেন তাদেরকে আমরা তিন দিন পর্যন্ত মেহমানদারি করব। আমরা ঐ সব ঘরে বা বাসভূমি প্রভৃতিতে কোন গুপ্তচর লুকিয়ে রাখব না। মুসলিমদের সাথে কোন প্রতারণা করব না। নিজেদের সন্তানদের কুরান শিক্ষা দেব না। নিজেরা শিরক করব না বা অন্য কাউকে শিরক করতে দেব না। আমাদের মধ্যে কেউ যদি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে চায় আমরা তাকে বাধা দেব না। মুসলিমদেরকে আমরা সম্মান করব। যদি তারা আমাদের কাছে বসার ইচ্ছা করেন তবে আমরা তাদেরকে জায়গা ছেড়ে দেব। কোন কিছুতেই আমরা নিজেদেরকে মুসলমানদের সমান মনে করব না। পোশাক পরিচ্ছদেও না, তাদের ওপর কোন কথা বলব না। আমরা তাদের পিতৃপদবী যুক্ত নামে ডাকব না। জিন বিশিষ্ট ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হবো না। আমরা তরবারি লটকাবো না ও আমাদের সাথে তরবারি রাখব না। অঙ্গুরির ওপর আরবী নকশা অংকন করব না ও মাথার অগ্রভাগের চুল কাটব না। আমরা যেখানেই থাকি না কেন পৈতা অবশ্যই ফেলে রাখব।আমাদের গির্জার ওপর হতে ক্রুশ রাখব না, আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থগুলো মুসলিমদের যাতায়াত স্থানে ও বাজারে প্রকাশিত হতে দেব না, গির্জায় উচ্চৈস্বরে শাখ বাজাবো না , মুসলিমদের উপস্থিতিতে আমরা আমাদের ধর্মীয় পুস্তকগুলো উচ্চৈস্বরে পাঠ করব না, নিজেদের রীতি নীতি ও চাল চলন প্রকাশ করব না। নিজেদের মৃতদের জন্য হায় হায় করব না , মুসলিমদের চলার পথে মৃতের সাথে আগুন নিয়ে যাব না। যেসব গোলাম মুসলিমদের ভাগে পড়বে তা আমরা গ্রহন করব না। আমরা অবশ্যই মুসলিমদের শুভাকাংখী হয়ে থাকব ও মুসলমানদের ঘরে উকি মারব না। যখন এ চুক্তি ওমরের হাতে দেয়া হলো তখন তিনি তাতে আরও একটি শর্ত বাড়িয়ে দিলেন তা হলো- আমরা কখনো কোন মুসলিমকে প্রহার করব না। অত:পর তারা বলল- আমরা এসব শর্ত মেনে নিলাম ( না মেনে তো উপায় নেই)। আমাদের ধর্মাবলম্বী সকল লোক এসব শর্তের মাধ্যমে নিরাপত্তা লাভ করল। এগুলোর কোন একটি যদি আমরা ভঙ্গ করি তাহলে আমাদেরকে নিরাপত্তা দানের ব্যপারে আপনাদের কোন দায়িত্ব থাকবে না এবং আপনি আপনাদের শত্রুদের ব্যপারে যে আচরণ করেন আমাদের সাথেও সেই আচরণের উপযুক্ত হয়ে যাব। ( ইবনে কাথিরের তাফসির , খন্ড-৮ম,৯ম,১০ম,১১শ পৃষ্ঠা নং-৬৭৫-৬৭৬)
উপরের তাফসিরে জিম্মীদের উপর কি শর্তসমূহ চাপান হচ্ছে তা পড়ার পর নিশ্চয়ই আর বিশ্লেষণের কিছু নেই। বলাবাহুল্য, জিজিয়া কর প্রদানের পরেই এ সমস্ত শর্ত। জিজিয়া কর প্রদানের পরও তাদেরকে যত রকম ভাবে পারা যায় অপমান ও অমর্যাদা করার সকল শর্ত উক্ত বর্ণনাতে। এ থেকে যে কেউ বুঝতে পারে মুসলিমদের অধীনে জিম্মী কি জিনিস আর এটা বাস্তবায়ন করছে কে ? মোহাম্মদের সবচাইতে বিশ্বস্থ ও নির্ভরযোগ্য সাগরেদ আমিরুল মুমিনীন হযরত ওমর যে নাকি জীবিত অবস্থায় বেহেস্তে যাওয়ার খবর পেয়েছে এবং যার অনুরোধে বেশ কিছু আয়াত আল্লাহ নাজিল করেছে। সুতরাং বিষয়টাকে হালকা করে দেখার কোন সুযোগ এখানে নেই। এটা বলে পার পাওয়ার কোন উপায় নেই যে এসব ছিল ওমরের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যপার। ওমর যা যা করেছে , তা করেছে কোরান ও সূন্নাহ এর ভিত্তিতে, নিজ থেকে বানিয়ে কিছু করে নি। এই একই ওমর একটা হাদিসে বলছে-
জুরাইয়া বিন কাদামা আত তামিমি বর্ণিত, হে বিশ্বাসীদের নেতা! আমাদেরকে উপদেশ দান করুন। তখন ওমর বললেন-“ জিম্মীদের সাথে আমাদের ব্যবস্থা পূর্ণ কর কারন এ ব্যবস্থা তোমাদের রসুলের পক্ষ থেকে আর এ ব্যবস্থা হলো তোমাদের ওপর নির্ভরশীলদের জন্য জীবিকার উপায় (জিম্মীদের কাছ থেকে জিজিয়া আদায়) । সহি বুখারী, ভলুম-৪, বই-৫৩, হাদিস-৩৮৮
তার মানে জিজিয়া কর হলো মুসলমানদের আয় উপার্জনের ব্যবস্থা যা তাদের জীবিকা, এটা মুসলমানদের প্রদত্ত যাকাতের মত কোন ট্যাক্স নয়। এ জিজিয়া করের অর্থ বা সম্পদ পাওয়ার জন্য মুসলমানরা কি পরিমান লালায়িত থাকত তার পরিচয় মিলবে নিচের হাদিসে-
আমর বিন আওফ আনসারি বর্ণিত-আল্লাহর রসুল আবু উবাইদা বিন আল জাহেরাকে বাহরাইনে পাঠালেন জিজিয়া সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে, আর রসুল বাহরাইনের লোকদের সাথে একটা চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন ও আল আলা বিন আল হাদরামি কে তাদের শাসক নিয়োগ করেছিলেন। যখন ফজরের নামাজের সময় আনসার লোকজন নবীর সাথে ছিল ঠিক সে সময়ে আবু উবাইদা বাহরাইন থেকে জিজিয়া কর নিয়ে সেখানে ফিরে আসল। নবীর সাথে নামাজ আদায় করার পরেই তারা সবাই নবীর নিকট জড় হলো , নবী তাদের দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে বললেন – আমি অনুভব করছি উবাইদা কিছু এনেছে আর তার গন্ধ তোমরা পেয়েছ। সবাই সমস্বরে বলে উঠল- হ্যা, রাসুলুল্লাহ। তিনি বললেন- আনন্দ কর আর আশা কর যা তোমাদেরকে সন্তুষ্ট করবে। আল্লাহর শপথ, আমি তোমাদের দারিদ্র নিয়ে ভীত নই,কিন্তু আমি ভীত এই ভেবে এক সময় জাক জমক তোমাদেরকে আকৃষ্ট করবে যেমন করেছিল পূর্ববর্তী জাতিগুলোকে, এ নিয়ে তোমরা একে অপরের সাথে প্রতিযোগীতা করবে যেমন তারা করত ও নিজেদেরকে ধ্বংস করবে যেমন তারা নিজেদেরকে করেছিল। বুখারী, ভলুম-৪, বই-৫৩, হাদিস-৩৮৫
মহানবী নিজেই তার অনুসারীদেরকে গণিমতের মাল ও জিজিয়া করের মাধ্যমে জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থা করে আবার নিজেই সে বিষয়ে সতর্ক করছেন। কি আচানক কারবার! কোন ওস্তাদ যদি তার অনুসারীদেরকে অন্যের কাছ থেকে জোর করে বা লুঠ করে আনা মালামালের ওপর নির্ভর করে বাঁচার রাস্তা বাতলায়, তখন তারা কি আর কাজ কর্ম করে জীবন কাটাতে চাইবে ? তারা তো তখন অন্যের ধন সম্পদ লুট পাট করাকেই মূল পেশা হিসাবে বেছে নেবে ও এভাবে ধন উপার্জন সহজ বিধায় যে যেভাবে পারে সেভাবেই আরও বেশী ধন উপার্জনের ধান্ধাতেই ব্যস্ত থাকবে সারক্ষন। এটাই তো মানব চরিত্র। কোন ওস্তাদ যদি তার সাগরেদদেরকে চুরি ,ডাকাতি , লুট পাটের নেশা ধরিয়ে দিয়ে পরে এসব নেশার খারাপ দিকগুলো চিহ্নিত করে ও এ বিষয়ে সতর্ক করে , এ ধরনের ওস্তাদকে কি বলা যায় ? কিন্তু কেন এ ধরনের বাজে নেশা ধরানোর চেষ্টা করল ওস্তাদ? বলাবাহুল্য, অতি সহজেই নিজের দলকে ভারী করার জন্য, কারন দুনিয়াতে এটাই সবচাইতে স্বল্প আয়াসে উপার্জনের উপায়, আর কোন দলকে যদি একাজে লিপ্ত করা যায়, তা দেখে বাকি লোকগুলোও এদের দলে ভিড়বে স্বল্প আয়াসে আরাম আয়েশের জীবন যাপনের জন্য। ঠিক একারনেই দেখা যায়- মোহাম্মদ মদিনায় গিয়ে যখন তার ঠেঙ্গাড়ে ও ডাকাত দল গঠন করে মদিনার পাশ দিয়ে যাওয়া মক্কার বানিজ্য কাফেলা আক্রমন ও লুট করে সেসব মালামালকে গণিমতের মাল হিসাবে ভাগাভাগি করে নিচ্ছিলেন, কিছুটা দ্বিধা দ্বন্দ্বের পর মদিনার লোকজনও পরে লোভে পড়ে তার দলে যোগ দেয়। এভাবে তাঁর দল যখন সংখ্যায় ভারী হলো , তখন শুরু হলো মদিনার আশ পাশের গোষ্ঠি গুলোর প্রতি আক্রমন ও তাদের সম্পদ লুট পাট। বলাবাহুল্য, মক্কার লোকজন এসব কাজে ছিল আগে থেকেই পটু। ঠিক সেকারনেই দেখা যায় একটা পর্যায়ে যখন মোহাম্মদের দলের এ ধরনের লুট পাটের সাফল্য হয়ে উঠেছিল আকাশ চুম্বি তখন মক্কা থেকে কিছু কিছু লোকজন গণিমতের মালের লোভে ও স্বল্প আয়াশে জীবন যাপনের আশায় পালিয়ে গিয়ে মদিনায় চলে যেত আর মোহাম্মদের দলে যোগ দিত। মদিনার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া পথে বানিজ্য করতে না পেরে মক্কার লোকজন ধীরে ধীরে শক্তিহীন হয়ে পড়ছিল, তাতে কিছু কিছু লোকজনের জীবন ধারন বেশ কঠিন হয়ে পড়ছিল, তাই তাদের মধ্যে কেউ কেউ মক্কা থেকে পালিয়ে চলে যাচ্ছিল মদিনায় ও মোহাম্মদের দলে যোগ দিচ্ছিল, ও বলা বাহুল্য তারা একাজ করছিল শুধুমাত্র লুট পাট করে জীবন ধারনের আশায়, ইসলামের মোহে আকৃষ্ট হয়ে নয়। এ ধরনের একটা উজ্জ্বল উদাহরন আছে নিচের হাদিসে-
……………………….ইসলাম গ্রহনের পূর্বে মুগিরা একটা দলের লোক ছিল। সে তাদেরকে হত্যা করে তাদের মালামাল লুটে নিয়ে মদিনায় এসে ইসলাম গ্রহন করল।মোহাম্মদ তাকে বলল- তোমার ইসলাম গ্রহন করা হলো কিন্তু তোমার মালামাল গ্রহন করা হবে না।…………………………..
………………..…..যখন নবী মদিনাতে ফিরলেন তখন কুরাইশদের একজন আবু বশির যে ইসলাম গ্রহন করে পালিয়ে মদিনায় চলে আসল। কুরাইশরা তাকে ফেরত নেয়ার জন্য দুজন লোককে মদিনায় পাঠাল ও তারা মোহাম্মদকে বলল- যে প্রতিজ্ঞা তুমি করেছ তা তুমি রক্ষা কর। নবী তখব আবু বশিরকে তাদের হাতে তুলে দিলেন। তারা তাকে নগরীর বাইরে নিয়ে গেল ও দুল-হুলাইফা নামক একটা যায়গায় বিশ্রাম করতে লাগল ও খেজুর খেতে লাগল। আবু বশির একজনকে বলল, আল্লাহর কসম, তোমার তরবারি টা ভীষণ সুন্দর। এতে লোকটি তার তরবারি খুলে ফেলল ও বলল, আল্লাহর কসম, এটা আসলেই ভীষণ সুন্দর ও আমি এটা বহুবার ব্যবহার করেছি। আবু বশির বলল- আমাকে একটু ওটা দেখতে দেবে ? যখন সে ওটা তার হাতে দিল বশির সাথে সাথে তাকে তরবারি দ্বারা আঘাত করল ও সে মারা গেল, অন্য সাথী দৌড়াতে দৌড়াতে মদিনায় গিয়ে মসজিদে আশ্রয় নিল।মোহাম্মদ তাকে দেখলেন ও বললেন- এ লোকটি ভয় পেয়েছে।যখন সে নবীর কাছে গেল তখন বলল- আমার সাথীকে খুন করা হয়েছে ও আমিও খুন হয়ে যেতে পারতাম। এসময়ে বশির এসে বলল- হে নবী আপনি আমাকে তাদের কাছে ফেরত দিয়ে আপনার প্রতিজ্ঞা পূরন করেছেন কিন্তু আল্লাহ আমাকে মুক্তি দিয়েছে। এটা শুনে নবী বলে উঠলেন- এখন তো যুদ্ধের আগুন জ্বলে উঠবে। এটা শুনে বশির বুঝতে পারল মোহাম্মদ তাকে আবার মক্কাতে ফেরত পাঠাতে চান, তাই সে সাগরপারের দিকে চলে গেল।আবু জান্দাল কুরাইশদের হাত থেকে পালিয়ে গিয়ে বশিরের সাথে যোগ দেয়।এভাবে বেশ কিছু লোক মক্কা থেকে পালিয়ে এসে বশিরের দলে যোগ দেয়।এর পর তারা কুরাইশদের সিরিয়ার দিকে বা দিক থেকে আসা বানিজ্য কাফেলার ওপর আক্রমন করে তাদেরকে হত্যা করে তাদের মালামাল লুটপাট করে নিতে থাকে। এটা দেখে মক্কাবাসীরা প্রমাদ গুনে তারা একজন দুত মোহাম্মদের কাছে পাঠায় ও প্রস্তাব দেয় যে এর পর যদি কেউ মক্কা থেকে মদিনায় মোহাম্মদের কাছে আসে তাকে আর ফেরত দিতে হবে না এবং তিনি যেন বশির ও তার দলবলকে লুট তরাজ থেকে বিরত রাখেন। বুখারী, ভলুম-৩, বই-৫০, হাদিস-৮৯১
উক্ত হাদিসে মুগীরা ও বশীর নামের লোক দুটি কেমন চরিত্রের লোক ছিল তা আশা করি ব্যখ্যা করার দরকার নেই আর কেনই বা তারা মদিনায় আগমন করেছিল তাও ব্যখ্যা করার দরকার নেই। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, মুগীরা ও বশীর ছিল নিম্ন শ্রেনীর লোক যার পেশাই ছিল ডাকাতি, লুটপাট। আর এ লোক দুটি ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যে মদিনায় মোহাম্মদের কাছে এসেছিল তা কিন্তু প্রমান করে না এ হাদিস। বরং এসেছিল এ আশায় যে মোহাম্মদের দলে যোগ দিলে ডাকাতি ও লুটতরাজে তাদের সুবিধা হবে। ইসলাম গ্রহণ ছিল তাদের কাছে একটা লেবাস। ইসলাম গ্রহণ করার পরেও তাই চুরি ডাকাতি লুট তরাজ তাদের পেশা রয়ে যায়, আর মোহাম্মদ তাদেরকে তা থেকে নিবৃত্তও করছেন না, বরং তাদেরকে দলে নিয়ে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন। কারন তিনি নিজেই তো তাদের নেতা আর তারও পেশা ঐ একই- চুরি ডাকাতি, লুট তরাজ আর এসব কাজের বৈধতা দেয়ার জন্য আল্লাহ তো জিব্রাইলকে সর্বদা প্রস্তুত করে রেখেছে। উক্ত হাদিসে একটা ব্যপার খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হলো – মোহাম্মদ মুগিরাকে বলছেন- তোমার ইসলাম গ্রহন করা হলো কিন্তু তোমার মালামাল গ্রহন করা হবে না। কেন মালামাল গ্রহণ করা হবে না ? কারন সেগুলো সে ইসলাম গ্রহনের পূর্বে লুট করেছে। অত:পর ইসলাম গ্রহনের পর থেকে সে যত ডাকাতি, লুট পাট করেছে তার সবই গ্রহণ করা হয়েছে, বৈধ বলা হয়েছে। কারন মোহাম্মদের আল্লাহ খোদ মোহাম্মদকেই তো সেটা করতে বলেছে আর তার নাম দিয়েছে গণিমতের মাল ও জিজিয়া। অর্থাৎ ইসলাম গ্রহণ করলে চুরি ডাকাতি লুট পাট খুন খারাবি সব কিছুই মাফ ও বৈধ, শুধু সেগুলো করার সময় মনে মনে বলতে হবে এগুলো করা হচ্ছে ইসলামের স্বার্থে, আল্লাহর রাস্তায়। আর ইসলামের স্বার্থ টা কিভাবে দেখাতে হবে ? উক্ত মাল থেকে কিছু যাকাত দিতে হবে , ছদকা দিতে হবে, কিছু মসজিদে দান করতে হবে, কোরবানি করতে হবে ব্যস আর কিছুর দরকার নেই। কেন মুসলিম দেশের লোকগুলো এত দুর্নীতিবাজ ও নৈতিকভাবে স্খলিত চরিত্রের অধিকারী তার মূল কিন্তু এটাই। তারা সব রকম দুর্নীতি ও খারাপ কাজ করে আল্লাহর নামে, অত:পর অর্জিত অর্থ থেকে তারা যাকাত দেয়, ছদকা দেয়, মসজিদ মাদ্রাসায় দান করে, কোরবানি দেয়, হজ্জ করে, ফকির মিশকিনদেরকে কিছু দান খয়রাতও করে- আর বলা বাহুল্য এভাবেই তাদের সব রকম অপকর্ম বৈধ হয়ে যায়। যে কারনে তারা যখন দুর্নীতি বা অপকর্ম করে অর্থ উপার্জন করে, তা তাদের কাছে দুর্নীতি বা অপকর্ম মনে হয় না।
ইসলামের পতাকাতলে আসলে মোহাম্মদ আরবদেরকে কি উপহার দিয়েছে কেন তারা এক পর্যায়ে মোহাম্মদের কথায় জিহাদী জোশে নিরীহ জনসাধারনের উপর ঝাপিয়ে পড়ত, তার কিছু নমুনা পাওয়া যেতে পারে নিচের হাদিসে-
যুবাইর বিন হাইয়া বর্ণিত-ওমর পৌত্তলিকদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য বড় দেশগুলোতে মুসলিম বাহিনী পাঠান।…………..যখন আমরা শত্রুর দেশে পৌছলাম, পারস্য সাম্র্রাজ্যের একজন সেনাধ্যক্ষের নেতৃত্বে চল্লিশ হাজার সৈন্য তাদের মোকাবেলায় অগ্রসর হলো, তার একজন ভাষার অনুবাদক উঠে দাড়াল ও বলল- কেউ একজন আমার সাথে কথা বলুক। আল মুগিরা উত্তর দিল- তোমার যা ইচ্ছা জিজ্ঞেস কর। সে জিজ্ঞেস করল- তোমরা কারা? মুগিরা উত্তর দিল- আমরা আরব দেশের লোকজন, আমরা একটা খুব কঠিন, দুর্বিষহ ও দুর্যোগময় জীবন যাপন করতাম, শুকনা খেজুর খেয়ে আমরা ক্ষুধা নিবারন করতাম, উট ও ছাগলের লোমের তৈরী কাপড় দিয়ে বস্ত্র বানাতাম, ও গাছ ও পাথরের পুজা করতাম। এরকম অবস্থার মধ্যে যখন আমরা ছিলাম, আসমান ও জমীনের প্রভু আমাদের মধ্যে একজন নবী পাঠালেন যার পিতা মাতাকে আমরা চিনতাম। আমাদের নবী আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন তোমাদের সাথে ততক্ষন পর্যন্ত যুদ্ধ করতে যতক্ষন পর্যন্ত না তোমরা এক আল্লাহর উপাসনা করবে অথবা জিজিয়া কর প্রদান করবে। আমাদের নবী অবগত করেছেন যে, আমাদের প্রভু বলেছেন- যেই যুদ্ধে আমাদের মধ্যে মারা যাবে সে বেহেস্তে প্রবেশ করবে ও জাকজমক পূর্ণ জীবন যাপন করবে যা সে কখনো দেখেনি, আর যে বেঁচে থাকবে সে তোমাদের প্রভু হবে। বুখারি, ভলুম-৪, বই-৫৩, হাদিস-৩৮৬
উপরের আয়াতে দেখা যাচ্ছে- কেন মোহাম্মদের অনুসারীরা জীবন পন করে অন্যদেরকে আক্রমন করত। যারা অনেকটা আদিম জীবন যাপন করত, খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাত, তাদেরকে যদি লুট তরাজের মালামালের স্বাদ দেয়া হয়, ভাল খাবার ও পোশাকের জোগান দেয়া যায়, তারা কি আর চুপ করে বসে থাকতে পারে? একই সাথে উক্ত হাদিস এটাও বলছে যে- মুসলমানরা সর্বদাই অমুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে যতক্ষন না তারা ইসলাম কবুল করে বা জিজিয়া কর প্রদান করে, যা বলাবাহুল্য মোহাম্মদ ও তাঁর আল্লাহর নির্দেশ। উক্ত হাদিস হলো সূরা আত তাওবা এর ২৮ ও ৩০ নং আয়াতের বাস্তবায়ন।
এখানে আত্মরক্ষার কোন ব্যপার স্যপার নেই। অর্থাৎ অমুসলিমদের ওপর মুসলমানরা সর্বদাই আক্রমনাত্মক অবস্থায় থাকবে, এর জন্য একটা কারনই যথেষ্ট আর তা হলো তারা ইসলামকে গ্রহণ করে নি। সুতরাং মুসলিম পন্ডিতরা যে মোহাম্মদের আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধের কথা বার্তা বলে, তার কোন ভিত্তি এখানে দেখা যায় না। বরং দেখা যাচ্ছে – মুসলমানরা যে কোন সময় যে কোন অমুসলিম গো্ত্র বা জাতি বা দেশকে আক্রমন করতে পারে, কোন রকম আগাম নোটিশ ছাড়াই আর এটা তাদের আল্লাহর নির্দেশ। যে বরং এটা মানবে না সে খাটি মুসলমান নয়। অথচ মোহাম্মদ নিজে স্বয়ং এ ধরনের আতর্কিতে যত আক্রমন করেছেন সব নাকি আত্মরক্ষামূলক। এভাবে তারা যে মিথ্যাচার করে চলেছে শত শত বছর ধরে তার তুলনা মেলা ভার।
এ ধরনের বাস্তবায়নের আরও উদাহরন –
আবু হুরাইরা বর্ণিত- একদা আমরা মসজিদের মধ্যে ছিলাম, তখন নবী আসলেন আর বললেন- চল আমরা ইহুদিদের বস্তিতে যাই। আমরা তখন বাইতুল মিডরাস পৌছলাম। নবী সেখানকার ইহুদিদেরকে বললেন- যদি তোমরা ইসলাম গ্রহণ কর তাহলে তোমরা নিরাপদ। তোমাদের জানা উচিত দুনিয়াটা আল্লাহ ও তার রসুলের। আমি তোমাদেরকে এ ভূমি থেকে উৎখাত করতে চাই। এখন যদি তোমাদের কোন সম্পদ থাকে তাহলে তা বিক্রি করে দাও, অন্যথায় জেনে রাখ এ দুনিয়া আল্লাহ ও তার রসুলের। বুখারি, ভলুম-৪, হাদিস-৩৯২
শুধু মাত্র ইসলাম গ্রহন করে নি বলেই মোহাম্মদ ইহুদিদেরকে তাদের বংশ পরম্পরায় বাস করে আসা মাতৃভূমি থেকে বহিস্কার করে দিচ্ছেন। আদিখ্যেতা করে মোহাম্মদ বলছেন- তোমাদের কোন সম্পদ থাকলে তা বিক্রি করে দাও। কিন্তু তখন ক্রেতা কারা ? অবশ্যই মুসলমানরা। অত:পর মোহাম্মদ তাদের সম্পদের যা দাম ধরে দিয়েছিলেন তাই নিয়েই ইহুদিদেরকে পাততাড়ি গুটাতে হয়েছে বলাবাহুল্য। খেয়াল করতে হবে এখানে ইহুদিরা মুসলমানদেরকে আক্রমন করার কোন তালে ছিল না। তাদের একটাই অপরাধ তারা ইহুদি, অন্য কিছু নয়, আর তারা ইসলাম গ্রহণ করতে রাজি হয় নি। নিচের আয়াতটি দেখা যাক-
আর এ কথাও জেনে রাখ যে, কোন বস্তু-সামগ্রীর মধ্য থেকে যা কিছু তোমরা গনীমত হিসাবে পাবে, তার এক পঞ্চমাংশ হল আল্লাহর জন্য, রসূলের জন্য, তাঁর নিকটাত্নীয়-স্বজনের জন্য এবং এতীম-অসহায় ও মুসাফিরদের জন্য; যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে আল্লাহর উপর এবং সে বিষয়ের উপর যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি ফয়সালার দিনে, যেদিন সম্মুখীন হয়ে যায় উভয় সেনাদল। আর আল্লাহ সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল।সূরা আনফাল, ০৮:৪১ মদিনায় অবতীর্ণ
উক্ত আয়াত বলছে গণিমতের এক পঞ্চমাংশ হলো আল্লাহর জন্য, রসুলের জন্য, তাঁর নিকটাত্মীয়-স্বজনদের জন্য এবং এতীম- অসহায় ও মুসাফিরদের জন্য। বাকী চার পঞ্চমাংশ হলো যারা লুটপাট করেছে তাদের। এ পরিমান মালামাল তো কম নয়। ঠিক মতো একটা ধনী গোত্র বা বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করতে পারলে অনেক মালামাল পাওয়া যায়, তার চার পঞ্চমাংশ অংশ বেশ বেশী হবে, অতএব পরে আর কোন কাজ কর্ম যেমন- কৃষিকাজ, পশুপালন বা ব্যবসা বানিজ্য করার দরকার নাই। আর বলা বাহুল্য এটাই ছিল মোহাম্মদ ও তার দলের আয় উপার্জন ও জীবিকার প্রধান উপায়। মালামালের পরিমান যদি বেশী হয় এক পঞ্চমাংশ মালও যথেষ্ট হওয়াই স্বাভাবিক। আর মোহাম্মদ সেই সম্পদ থেকে নিজের বিরাট পরিবার ( দুই হালির বেশী স্ত্রী সমন্বিত) প্রতিপালন তো করতেনই তারপর বাকি অংশ ফকির মিশকিনদেরকে দান খয়রাত করতেন। যে ধন উপার্জন করতে নিজের পরিশ্রম করা লাগে না , তা থেকে দান খয়রাত করা খুব সোজা। এ ধরনের দান খয়রাত করে মোহাম্মদ নিজেকে সেসময়ের সবচেয়ে বড় দানবীর হিসাবে আখ্যায়িত হন। মারহাবা , আল্লাহর কি মহিমা! তার নবীকে দানবীর বানাতে অন্যের ধন সম্পদ লুট পাট করতে হয়। অনেকটা রবিন হুডের মত। এখন কিভাবে মোহাম্মদ সম্পদ অর্জন করতেন তার নমূনা কোরানেও বিদ্যমান, যেমন-
কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফেরদের পৃষ্টপোষকতা করেছিল, তাদেরকে তিনি তাদের দূর্গ থেকে নামিয়ে দিলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতি নিক্ষেপ করলেন। ফলে তোমরা একদলকে হত্যা করছ এবং একদলকে বন্দী করছ।সুরা আহযাব, ৩৩:২৬
তিনি তোমাদেরকে তাদের ভূমির, ঘর-বাড়ীর, ধন-সম্পদের এবং এমন এক ভূ-খন্ডের মালিক করে দিয়েছেন, যেখানে তোমরা অভিযান করনি। আল্লাহ সর্ববিষয়োপরি সর্বশক্তিমান। সূরা আহযাব, ৩৩:২৭
উক্ত আয়াতে বলছে যারা কাফেরদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল, অর্থাৎ মোহাম্মদ যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত তাদেরকে সাহায্য করেছিল। সুতরাং বলাবাহুল্য এটা ছিল মারাত্মক অপরাধ। এ অপরাধের কারনে মোহাম্মদ তাদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করতে পারেন সঙ্গত কারনে। কিন্তু দেখা যাক উক্ত আয়াতের কনটেক্সট তথা প্রেক্ষাপট কি। ইবনে কাথিরের তাফসিরে উক্ত আয়াতের বিষয়ে যা বলা আছে তা হলো-
যখন মুশরিক ও ইযাহুদিদের দল মদিনায় এসে অবরোধ সৃষ্টি করল, তখন মদিনার বনু কুরাইযা গোষ্ঠির ইহুদিরা যারা মদিনায় বসবাস করত ও যারা নবীর সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিল তারা বিশ্বাসঘাতকতা করল ও চুক্তি ভেঙ্গে দিল। তারা চোখ রাঙাতে লাগল। তাদের সরদার কা’ব ইবনে আসাদ আলাপ আলোচনার জন্য আসল। ম্লেচ্ছ হুয়াই ইবনে আখতাব ঐ সরদারকে সন্ধি ভঙ্গ করতে উদ্বুদ্ধ করল। প্রথমে সে সন্ধি ভঙ্গ করতে সম্মত হলো না। সে এ সন্ধির উপর দৃঢ় থাকতে চাইল। হুয়াই বললো- এটা কেমন কথা হলো? আমি তোমাকে সম্মানের উচ্চাসনে বসিয়ে তোমার মস্তকে রাজ মুকুট পরাতে চাচ্ছি ,অথচ তুমি মানছ না? কুরাশেরা ও তাদের অন্যান্য সঙ্গীসহ আমরা সবাই এক সাথে আছি । আমরা শপথ করেছি যে, যে পর্যন্ত না আমরা এক একজ মুসলমানের মাংস ছেদন করব সে পর্যন্ত এখান থেকে সরব না। কাবের দুনিয়ার অভিজ্ঞতা ভাল ছিল বলে সে উত্তর দিল-“এটা ভুল কথা, এটা তোমাদের ক্ষমতার বাইরে। তোমরা আমাকে লাঞ্ছনার বেড়ী পরাতে এসেছো। তুমি একটা কুলক্ষনে লোক। সুতরাং তুমি আমার নিকট থেকে সরে যাও। আমাকে তোমার ধোকাবাজির শিকারে পরিনত করো না”। হুয়াই কিন্তু তখনো তার পিছু ছাড়ল না। সে তাকে বার বার বুঝাতে থাকল। অবশেষে সে বলল-“ মনে কর যে কুরায়েশ ও গাতফান গোত্র পালিয়ে গেল, তাহলে আমরা দলবল সহ তোমার গর্তে গিয়ে পড়ব। তোমার ও তোমার গোত্রের যে দশা হবে, আমার ও আমার গোত্রেরও সেই একই দশা হবে”।
অবশেষে কা’বের উপর হুয়াই এর যাদু ক্রিয়াশীল হলো। বানু কুরাইযা সন্ধি ভঙ্গ করল। এতে রাসুলূল্লাহ ও সাহাবীগণ অত্যন্ত দু:খিত হলেন এবং এটা তাদের কাছে খুবই কঠিন ঠেকল। আল্লাহ তা’য়ালা স্বীয় বান্দাদের সাহায্য করলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাহাবীগন সমভিব্যহারে বিজয়ীর বেশে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করলেন। সাহাবীগন অস্ত্র শস্ত্র খুলে ফেললেন এবং রাসুলুল্লাহও অস্ত্র শস্ত্র খুলে ফেলে হযরত উম্মে সালমা এর গৃহে ধুলো ধুসরিত অবস্থায় হাজির হলেন এবং পাক সাফ হওয়ার জন্য গোসল করতে যাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় হযরত জিব্রাইল আবির্ভূত হন। তার মস্তকোপরি রেশমি পাগড়ি ছিল। তিনি খচ্চরের উপর উপবিষ্ট ছিলেন। ওর পিঠে রেশমি গদি ছিল। তিনি বলতে লাগলেন: “ হে আল্লাহর রাসুল ! আপনি কি অস্ত্র শস্ত্র খুলে ফেলেছেন? তিনি উত্তরে বললেন: হ্যা । হযরত জিব্রাইল বললেন: ফেরেস্তারা কিন্তু এখনো অস্ত্র শস্ত্র হতে পৃথক হয়নি। আমি কাফিরদের পশ্চদ্ধাবন হতে এই মাত্র ফিরে এলাম। জেনে রাখুন। আল্লাহর নির্দেশ, বানু কুরাইযার দিকে চলুন। তাদেরকে উপযুক্ত শিক্ষা দান করুন। আমার প্রতিও মহান আল্লাহর এ নির্দেশ রয়েছে যে আমি যেন তাদেরকে প্রকম্পিত করি। রাসুলুল্লাহ তৎক্ষনাৎ উঠে দাড়িয়ে যান। নিজে প্রস্তুতি গ্রহণ করে সাহাবীদেরকেও প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি তাদেরকে বললেন: তোমরা সবাই বানু কুরাইযার ওখানেই আসরের নামাজ আদায় করবে। যুহরের নামাজের পর এ হুকুম দেয়া হলো। বানু কুরাইযার দুর্গ মদীনা হতে কয়েক মাইল দুরে অবস্থিত ছিল। পথেই নামাজের সময় হয়ে গেল। তাদের কেউ কেউ নামায আদয় করে নিলেন। তারা বললেন: রাসুলুল্লাহ এ কথা বলার উদ্দেশ্য ছিল যে, তারা যেন খুব তাড়াতাড়ি চলে আসেন। আবার কেউ কেউ বললেন: আমরা সেখানে না পৌছে নামায পড়ব না। রাসুলুল্লাহ এর এ খবর জানতে পেরে দুদলের কাউকেই তিনি কিছু বললেন না। তিনি ইবনে উম্মে মাখতুম কে মদিনার খলিফা নিযুক্ত করলেন। সেনাবাহিনীর পতাকা হযরত আলী এর হাতে প্রদান করলেন। তিনি নিজেও সৈন্যদের পিছনে পিছনে চলতে লাগলেন। সেখানে গিয়েই তিনি তাদের দুর্গ অবরোধ করে ফেললেন। পঁচিশ দিন পর্যন্ত অবরোধ স্থায়ী হলো। যখন ইহুদীদের দম নাকে এসে গেল তখন তাদের অবস্থা সঙ্গীন হয়ে উঠল তখন তারা হযরত সা’দ ইবনে মুয়াজ কে নিজেদের সালিশ বা মীমাংসাকারী নির্ধারন করল। কারন তিনি আউস গোত্রের সরদার ছিলেন। বানু কুরাইযা ও আউস গোত্রের মধ্যে যুগ যুগ ধরে বন্ধুত্ব ও মিত্রতা চলে আসছিল। তারা একে অপরের সাহায্য করত। …………………………………….
হযরত সা’দ কে গাধার উপর সওয়ার করিয়ে নিয়ে আসা হলো। আউস গোত্রের সমস্ত লোক তাকে জড়িয়ে ধরে বলল: দেখুন, বানু কুরাইযা গোত্র আপনারই লোক। তারা আপনার উপর ভরসা করেছে। তারা আপনার কওমের সুখ-দু:খের সঙ্গী। সুতরাং আপনি তাদের উপর দয়া করুন এবং তাদের সাথে নম্র ব্যবহার করুন। হযরত সা’দ নীরব ছিলেন। তাদের কথার কোন জবাব তিনি দিচ্ছিলেন না। তারা তাকে উত্তর দেয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগল এবং তার পিছন ছাড়লো না। অবশেষে তিনি বললেন: ঐ সময় এসে গেছে হযরত সা’দ এটা প্রমান করতে চান যে, আল্লার পথে কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারের তিনি কোন পরওয়া করবেন না। – তার এ কথা শোনা মাত্রই ঐ লোকগুলো হতাশ হয়ে পড়ল যে, বানু কুরাইযা গোত্রের কোন রেহাই নেই। যখন হযরত সা’দ এর সওয়ারী রাসুলুল্লাহ এর তাবুর নিকট আসল তখন রাসুলুল্লাহ বললেন: তোমরা তোমাদের সরদারের অভ্যর্থনার জন্যে দাড়িয়ে যাও। তখন মুসলমানরা সবাই দাড়িয়ে গেলেন। অত্যন্ত সম্মানের সাথে তাঁকে সওয়ারী হতে নামানো হল। এরূপ করার কারন ছিল এই যে, ঐ সময় তিনি ফয়সালাকারীর মর্যাদা লাভ করেছিলেন। ঐ সময় তার ফয়সালাই চুড়ান্ত বলে গৃহীত হবে। তিনি উপবেশন করা মাত্রই রাসুলুল্লাহ তাকে বললেন: বানু কুরাইযা গোত্র তোমার ফয়সালা মেনে নিতে সম্মত হয়েছে এবং দুর্গ আমাদের হাতে সমর্পন করেছে। সুতরাং তুমি এখন তাদের ব্যপারে ফয়সালা দিয়ে দাও। হযরত সা’দ বললেন: তাদের ব্যপারে আমি যা ফয়সালা করব তাই কি পূর্ণ করা হবে ? উত্তরে রাসুলুল্লাহ বললেন: অবশ্যই। তিনি পূনরায় প্রশ্ন করলেন: এই তাবু বাসীদের জন্যেও কি আমার ফয়সালা মেনে নেয়া জরুরী হবে ? জবাবে রাসুলুল্লাহ বললেন: হ্যা, অবশ্যই। আবার তিনি প্রশ্ন করলেন: এই দিকের লোকদের জন্যেও কি ? ঐ সময় তিনি ঐদিকে ইঙ্গিত করেছিলেন যেই দিকে স্বয়ং রাসুলুল্লাহ ছিলেন। কিন্তু রাসুলুল্লাহ এর ইজ্জত ও বুযর্গীয় খাতিরে তিনি তাঁর দিকে তাকালেন না। রাসুলুল্লাহ জবাবে বললেন: হ্যাঁ, এই দিকের লোকদের জন্যেও এটা মেনে নেয়া জরুরী হবে। তখন সা’দ বললেন: “তাহলে এখন আমার ফয়সালা শুনুন! বানু কুরাইযার মধ্যে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার মত যত লোক আছে তাদের সবাইকেই হত্যা করে দেয়া হবে। তাদের শিশু সন্তানদেরকে বন্দী করা হবে এবং তাদের ধন- সম্পদ মুসলমানদের অধিকারভূক্ত হবে”। তার এই ফয়সালা শুনে রাসুলুল্লাহ বললেন: হে সা’দ! তুমি এ ব্যপারে ঐ ফয়সালাই করেছো যা আল্লাহ তা’য়ালা সপ্তম আকশের উপর ফয়সালা করেছেন। অন্য একটি রিওয়াতে আছে যে, রাসুলুল্লাহ বললেন: হে সা’দ ! প্রকৃত মালিক মহান আল্লাহর যে ফয়সালা সেই ফয়সালাই তুমি শুনিয়েছো। অত:পর রাসুলুল্লাহ এর নির্দেশ ক্রমে গর্ত খনন করা হয় এবং বানু কুরাইযা গোত্রের লোকদেরকে শৃংখলিত অবস্থায় হত্যা করে তাতে নিক্ষেপ করা হয়। তাদের সংখ্যা ছিল সাতশ বা আটশ। তাদের নারীদেরকে ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদেরকে এবং তাদের সমস্ত মালধন হস্তগত করা হয়। ( ইবনে কাথিরের তাফসির, ১৫শ খন্ড, পৃষ্ঠা নং- ৭৬৯-৬৭১)
উক্ত তাফসিরে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে, বানু কুরাইযার সাথে মোহাম্মদের যে চুক্তি ছিল তা তাদের নেতা কা’ব ইবনে আসাদ সে চুক্তি মোটেও ভঙ্গ করে নি। তাকে অন্য এক গোত্র সরদার হুয়াই ইবনে আখতাব নানাভাবে সে চুক্তি ভঙ্গ করার জন্য প্ররোচিত করছিল কিন্তু তারপরেও সে চুক্তি ভঙ্গ করেনি। অত:পর বলা হলো-কা’বের ওপর হুয়াইয়ের যাদু ক্রিয়াশীল হলো। অর্থাৎ একটা খোড়া যুক্তি দেখিয়ে প্রমান করতে চেষ্টা করা হচ্ছে যে বানু কুরাইযা গোষ্ঠি চুক্তি ভঙ্গ করেছে। না হলে মোহাম্মদের দল বলের আক্রমনকে যৌক্তিক করা যায় না। বানু কুরাইযার লোক জন চুক্তি ভঙ্গ করে যে মোহাম্মদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে বা মোহাম্মদের বিরুদ্ধ শক্তিকে সাহায্য করেছে তার কোন প্রমান কিন্তু উক্ত কনটেক্সটে নেই। সে রকম কিছু থাকলে উক্ত তাফসির বা হাদিসে সে সম্পর্কে বহু জায়গাতে উল্লেখ থাকত। দু:খজনকভাবে না হাদিস না তাফসির কোথাও বনু কুরাইযারা মোহাম্মদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল বা বিরুদ্ধাচরন করেছিল, আর কিভাবেই বা সেটা তারা করেছিল তার কোন উল্লেখ কোথাও নেই। সেকারনেই উক্ত খোড়া যুক্তির অবতারণা করে বলা হচ্ছে- কা’বের ওপর হুয়াইয়ের যাদু ক্রিয়াশীল হলো। অথচ কোন ইসলামি পন্ডিতকে জিজ্ঞেস করলেই সে কিন্তু চোখ বুজে বলে দেবে- বানু কুরাইযা গোষ্ঠী মোহাম্মদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল বা মোহাম্মদের বিরুদ্ধ শক্তিতে সাহায্য করেছিল আর তাই মোহাম্মদ তাদেরকে অবরোধ করে নির্মমভাবে শৃংখলাবদ্ধ অবস্থায় হত্যা করেছে তথা গণ হত্যা চালিয়েছে ও অত:পর তাদের সন্তানদেরকে বন্দী করে করে পরে বিক্রি করেছে, নারীগুলোকে গণিমতের মাল হিসাবে ভাগ করে নিয়ে ধর্ষণ করেছে, তাদের সম্পদ লুট করেছে। অথচ এর স্বপক্ষে তারা কোন প্রমান বা দলিল দাখিল করতে পারবে না। যে প্রমান বা দলিল আছে সেগুলোকে বিচার বিশ্লেষণ করেই ইবনে কাথির কোরানের তাফসির করেছেন। বিষয়টা ছিল এরকম, গণহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে খন্দকের যুদ্ধের ঠিক পর পরই। কুরাইশ ও তাদের সহযোগীরা মদিনা আক্রমন করতে এসে পরাজিত হয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়। মোহাম্মদ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন আরবের অপরাজেয় শক্তি হিসাবে। এসময়ে মদিনার ভিতর বা আশ পাশের কোন গোত্র মোহাম্মদের সাথে সন্ধি চুক্তি ভঙ্গ করতে সাহস পাবে যদি তার জীবনের মায়া থাকে ?
এমতাবস্থায় খোদ মদিনাতে বসবাসকারী বনু কুরাইযা গোত্র কিভাবে শক্তিশালী ও অপরাজেয় মোহম্মদের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করতে পারে ? প্রানের মায়া থাকলে কেউ সেটা করবে ? সুতরাং কনটেক্সট বিবেচনা করলে এটা যে একটা মিথ্যা কথা সহজেই সেটা বোঝা যায়।
তাছাড়া খেয়াল করতে হবে , খন্দকের যুদ্ধ থেকে বাসায় ফেরা মাত্রই জিব্রাইল এসে মোহাম্মদকে বনু কুরাইজা গোত্রকে আক্রমন করতে বলছে। অথচ বনু কুরাইযা গোত্র খন্দকের যুদ্ধের সময় কোন মোহাম্মদ বা কুরাইশ কোন পক্ষকেই সমর্থন করেনি। কোন পক্ষকেই যে সমর্থন করে নি তা কিন্তু ঘটনা প্রবাহ থেকে বোঝা যাচ্ছে। কুরাইশদেরকে সমর্থন করলে তো আর জিব্রাইলকে এসে চুপে চুপে বলা লাগত না – হে মোহাম্মদ, বনু কুরাইজা কে আক্রমন কর ও তাদেরকে ধ্বংস করে দাও। তখন জিব্রাইলের উপদেশ ছাড়াই মোহাম্মদ তাদেরকে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য আক্রমন করতে পারতেন আর তা অনৈতিকও হতো না। দেখা যাচ্ছে , বনু কুরাইজাকে আক্রমন করার জন্য তার জিব্রাইলের উপদেশ দরকার পড়ছে। কেন ? সোজা উত্তর। বনু কুরাইযার সাথে মোহাম্মদ চুক্তিবদ্ধ, এমতাবস্থায় তাদেরকে আক্রমন করা বাহ্যত অন্যায়, সে অন্যয়কে ঢাকা দিতেই তার জিব্রাইলের আগমন দরকার। বনু কুরাইজা বিশ্বাসঘাতকতা করলে বা মোহাম্মদের শত্রুদের সাথে যোগ দিয়ে মোহাম্মদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে তা কিন্তু কোরান , হাদিস এসবে বেশ কয়েক বার এ কথা উল্লেখ থাকত , সবিস্তারে উল্লেখ করত কোরান তাফসিরকাররা। কিন্তু কোথাও তা লেখা নেই। কারন কি ? কারন হচ্ছে বনু কুরাইযা আসলেই সেধরনের কিছু করে নি। আর তাই তাদের বিরুদ্ধে এটুকুই শুধু বলতে হয়েছে- অবশেষে কা’বের উপর হুয়াই এর যাদু ক্রিয়াশীল হলো। যা বলা বাহুল্য একটা ভুয়া অভিযোগ যা পরিস্কার বোঝা যায় ঘটনার কনটেক্সট বিবেচনা করলে। মোহাম্মদ কুরাইশদের বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে ঘরে ফিরে না আসার আগেই মদিনার প্রায় ভিতরে বসবাসকারী একটা ক্ষুদ্র ইহুদী গোষ্ঠী বনু কুরা্ইযা মোহাম্মদের সাথে সন্ধি চুক্তি ভঙ্গ করবে? এটা কোন পাগলে বিশ্বাস করবে ? অথচ মোহাম্মদ তখন এতটাই বেপরোয়া যে সে ধরনের অভিযোগ করতেও তার বাধছে না , কারন ক্ষমতার ভারসাম্য তখন সম্পূর্ণ তার দিকে হেলে পড়েছে আর তাই তিনি যা বলবেন সেটাই সত্য। এই হলো মোহাম্মদের আসল চরিত্র। এটা দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় জার্মানীর অকস্মাৎ রাশিয়া আক্রমনের ঘটনার মত। অথচ তখন রাশিয়া ও জার্মানীর মধ্যে শান্তি চুক্তি বহাল ছিল।
প্রকৃত ব্যপার হলো- মোহাম্মদের নবুয়ত্ব অস্বীকারকারী ইহুদিরা ( বনু কুরাইযা) মদিনার পাশেই চুক্তিবদ্ধ অবস্থায় ছিল যাদেরকে মোহাম্মদ মনে প্রানে ঘৃণা করতেন কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করা ছাড়া কোন উপায়ও ছিল না । এভাবে শান্তি চুক্তি করে মোহাম্মদ শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ পান একই সাথে বহি: শত্রু যেমন কুরাইশদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধের সময় যাতে ইহুদিরা কুরাইশদেরকে সাহায্য না করে তার নিশ্চয়তা বিধান করেন। এটা ছিল মোহাম্মদের অত্যন্ত বুদ্ধি দীপ্ত রণ কৌশল যার তারিফ করতেই হবে। যাহোক, কুরাইশদের আক্রমনকে সফলভাবে মোকাবেলা করার পর মোহাম্মদ চিন্তা করলেন এখন ইহুদিদের সাথে আর কোন সন্ধিচুক্তির দরকার নেই, দরকার নেই তাদেরকে মদিনার পাশে রাখার। তাই তার দরকার ছিল একটা অজুহাতের যার মাধ্যমে তিনি মদিনার পাশের ইহুদিদেরকে আক্রমন করে হয় হত্যা, না হয় উৎখাত করতে পারেন। এর ফলশ্রুতিতেই মূলত: মোহাম্মদ জিব্রাইলের বানীর আমদানি ঘটান।একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই তা সহজেই বোঝা যায়। তার দলবলকে বোঝাতে হয় যে জিব্রাইল এসে বলছে কুরাইযা গোষ্ঠি কে আক্রমন করতে যদিও তাদের সাথে একটা সন্ধি চুক্তি আছে। অন্যথায় তার দলবল সমালোচনা করতে পারত যে যেহেতু তাদের সাথে একটা সন্ধি চুক্তি আছে তাই তাদেরকে বিনা কারনে আক্রমন করে হত্যা করা নৈতিক নয়। তাদের সামনে বিষয়টিকে নৈতিক করার জন্যই মোহাম্মদ জিব্রাইলের আমদানি করেন সাথে সাথেই। উক্ত তফসিরে কৌশলে মোহাম্মদকে এ গণহত্যার দায় থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ভাল করে বিচার করলে দেখা যায় মোহাম্মদই আসলে গণহত্যার রায় দিয়েছেন ও তার নির্দেশেই এ গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। সা’দ ইবনে মুয়াজ ফয়সালার দায়িত্ব পায়।এ সা’দ এর গোষ্ঠীর সাথে কুরাইযা গোষ্ঠীর মিত্রতা ছিল। উক্ত তাফসির থেকে বোঝা যাচ্ছে এক পর্যায়ে সা’দ মোহাম্মদের দলে যোগ দেয়। মোহাম্মদের দল কর্তৃক অবরুদ্ধ হওয়ার পর কুরাইযারা তাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু আউস গোত্রের সর্দার সা’দ কে ফয়সালাকারী হিসাবে মেনে নেয়। কিন্তু তারা বুঝতে পারে নি যে , ইসলাম গ্রহণের পর সা’দ আর স্বাভাবিক মানুষ নেই, পরিণত হয়েছে পেশাদার খুনী ও উন্মাদে। ইহজগতে অন্যের সম্পদ লুট করে উপভোগ ও মরার পরে বেহেস্তে হুর পরীদের নিয়ে ফুর্তির যে লোভ মোহাম্মদ দেখিয়েছেন তাতে সা’দ পরিণত হয়েছে নির্মম নিষ্ঠুর এক ভয়ংকর উন্মত্ত রক্তপিপাসু খুনীতে। এর পরেও সা’দ যাতে ভুলবশত: কোন রকম দয়া না দেখায় সে জন্য মোহাম্মদ তাকে এক জমকালো অভ্যর্থনা দেন। বলাবাহুল্য, সা’দ মোহাম্মদের মনের খবর জানত আর জানত ইহুদিদেরকে কি পরিমান তিনি ঘৃণা করেন, কারন এই ইহুদিরা কোনমতেই মোহাম্মদকে নবী হিসাবে স্বীকার করতে রাজী ছিল না যা ছিল মোহাম্মদের জন্য এক বিরাট কৌশলগত ও নৈতিক পরাজয়। ঠিক সেকারনেই তার পরিকল্পনা ছিল যে কোন ভাবেই হোক ইহুদিদেরকে নিধন করা অথবা আরব ভূমি থেকে উৎখাত করে দেয়া যা তিনি অত:পর করে গেছেন অত্যন্ত কঠিন ও প্রবল ভাবেই। স্বয়ং আল্লাহর রসুল মোহাম্মদের কাছ থেকে এ ধরনের জমকালো অভ্যর্থনা পাওয়ার সা’দের প্রধান দায়িত্ব হয়ে যায় মোহাম্মদকে খুশী করা। আর তারই ফলশ্রুতিতে সে গণহত্যার রায় প্রদান করে আর সাথে সাথেই মোহাম্মদ তার প্রশংসা করে বলেন এটাই নাকি আল্লাহর ইচ্ছা ও রায়। ইসলাম মানুষকে কি পরিমান উন্মত্ত, উদ্ভ্রান্ত ,উন্মাদ ও ভয়ংকর নৃশংস খুনীতে পরিনত করতে পারে এটা ছিল তার এক উজ্জ্বল নমূনা। কারন এই সা’দ ছিল কুরাইযাদের দীর্ঘ দিনের বন্ধু , অথচ সেই সা’দই এখন তার বন্ধুদেরকে গণহত্যায় জল্লাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ, অথচ তাদের সাথে সা’দের কোন দ্বন্দ্ব সংঘাত কিছুই হয় নি, ঘটেনি বিশ্বাসঘাতকতার কোন ঘটনা, শুধুমাত্র আদর্শিক কারনে সা’দ পরিনত হয়ে গেছে তার বন্ধুদেরকে হত্যায় জল্লাদে। ঠিক হুবহু একই ঘটনা আমরা দেখি বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময়। যে সব মানুষ তখন খুন বা গণহত্যার শিকার হয়েছিল, সেসব ঘটনার পিছনে বহুক্ষেত্রেই বন্ধুবান্ধব বা পরিচিত জনই ছিল আসল উদ্যোক্তা। উক্ত ঘটনা প্রমান করে মোহাম্মদ কি ধরনের ঠান্ডা মাথার খুনী ছিলেন। মদিনাতে মোহাম্মদ নিজেকে এভাবেই একজন ভয়ংকর, নির্মম ও উন্মাদ ঠান্ডা মাথার খুনীতে পরিনত হন যার একমাত্র লক্ষ্য ছিল তাকে অবিশ্বাসকারী মানুষ, দল বা গোষ্ঠিকে নির্মমভাবে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া ও অত:পর তাদের ধন সম্পদ ও নারী গুলোকে গণিমতের মাল হিসাবে ভাগাভাগি করে উপভোগ করা। আর এ ধরনের ভয়ংকর, নির্মম, নিষ্ঠুর কাজ করার আদেশ দিচ্ছে কে ? তার আল্লাহ । চিন্তা করা যায় পরম করুনাময় সৃষ্টিকর্তা কখনও এমন নিষ্ঠুর ও ভয়ংকর হতে পারে ?
অথচ এই মোহাম্মদ যখন মক্কাতে ছিলেন তখন তার মুখ থেকে যে কোরানের বানী নির্গত হয় তা ছিল এরকম-
আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য।সূরা আরাফ, ৭:১৮৮ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
উনি শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ছাড়া আর কিছুই নন।
আর সম্ভবতঃ ঐসব আহকাম যা ওহীর মাধ্যমে তোমার নিকট পাঠানো হয়, তার কিছু অংশ বর্জন করবে? এবং এতে মন ছোট করে বসবে? তাদের এ কথায় যে, তাঁর উপর কোন ধন-ভান্ডার কেন অবতীর্ণ হয়নি? অথবা তাঁর সাথে কোন ফেরেশতা আসেনি কেন? তুমিতো শুধু সতর্ককারী মাত্র; আর সব কিছুরই দায়িত্বভার তো আল্লাহই নিয়েছেন। সূরা হুদ, ১১:১২ (মক্কায় অবতীর্ণ)
তিনি শুধুমাত্র একজন সতর্ককারী , বাকি দায়িত্ব সব আল্লাহর ।
তারা বলে, তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে তার প্রতি কিছু নিদর্শন অবতীর্ণ হল না কেন? বলুন, নিদর্শন তো আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আমি তো একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র। সূরা আল আনকাবুত, ২০:৫০ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
তাকে চ্যলেঞ্জ করা হয়েছে কোন মোজেজা দেখাবার জন্য, কিন্তু মোহাম্মদ বললেন ওটা আল্লাহর ইচ্ছাধীন আর তিনি শুধুমাত্র একজন সতর্ককারী, আর কিছু নন।
বলুনঃ হে লোক সকল! আমি তো তোমাদের জন্যে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ককারী।সূরা হাজ্জ, ২২: ৪৯
সতর্ক করা ছাড়া আর কোন কাজ নাই তার।
বলুন, আমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র এবং এক পরাক্রমশালী আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই।সুরা-ছোয়াদ ৩৮:৬৫
মোহাম্মদ শুধুই মাত্র একজন সতর্ককারী।
বলুন, এর জ্ঞান আল্লাহ তা’আলার কাছেই আছে। আমি তো কেবল প্রকাশ্য সতর্ককারী।সুরা আল মুলক, ৬৭:২৬
মোহাম্মদ শুধুই মাত্র সতর্ককারী।
মক্কাতে থাকার সময় মোহাম্মদ ছিলেন শুধুমাত্র একজন সতর্ককারী, মদিনাতে এসে হয়ে পড়লেন নিরীহ জনগোষ্ঠীর ওপর আতর্কিতে আক্রমন করে তাদের ধন সম্পদ ও নারীদেরকে জোর করে দখল করে গণিমতের মাল হিসেবে ভাগাভাগি করে নেয়া ও পুরুষদেরকে ঠান্ডা মাথায় নির্মমভাবে গণহত্যাকারী এক ভয়ংকর উন্মাদ স্বৈরাচারি একনায়ক নেতা যার কোন তুলনা সারা দুনিয়াতে তার আগে ছিল না আর ভবিষ্যতেও হবে বলে মনে হয় না। আর এটাই হলো তার কোরানের সকল আয়াতের কনটেক্সট। এখন এই কনটেক্সটে বিচার করলে ইসলাম কি আর শান্তির ধর্ম থাকে ? তা যদি না থাকে তাহলে মুমিন বান্দারা ও ইসলামি পন্ডিতরা কিভাবে সারাক্ষন চিৎকার চেচামেচি করে প্রচার করে যে ইসলাম শান্তির ধর্ম ?
আমাদের বক্তব্য পরিস্কার। ইসলাম এর স্বরূপ প্রকৃতপক্ষে যেরকম, সেরকমভাবেই তার প্রচারকরা প্রচার করুক, কেন তারা সারাক্ষন মিথ্যা প্রচারনা করে সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বলে প্রচার ও প্রতিষ্ঠিত করতে চায় ? সত্য কথা বলতে এত ভয় কিসের ?
উপরে ইবনে কাথিরের যে উদ্ধৃতি দেয়া আছে তার অনুবাদক:
ড: মুজিবুর রহমান
প্রাক্তন অধ্যাপক ও সভাপতি
আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
নিচে তার সম্পূর্ন অনুবাদের লিংক দেয়া আছে
বাংলা কোরান
বাংলা কোরান
বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও মালিক মুয়াত্তার হাদিস
শুধুমাত্র বুখারী শরিফ
ইবনে কাথিরের বাংলা তাফসীর
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৬
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৫
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৪
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৩
মোহাম্মদ ও ইসলাম , পর্ব-১২
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১১
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-10
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-9
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-8
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-7
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-6
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-5
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-4
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-3
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-2
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-1
আপনার পুরা সিরিজটা আসলেই চমৎকার, মন্তব্য না করে থাকতে পারলাম না। অনেক পড়াশোনা ও গবেষণা করেছেন। আসলে অশিক্ষিত কাঠমোল্লারা একদিকে ঝুকে গিয়ে বিবেক বুদ্ধিকে বিক্রি করে দিয়েছে তাই এরা কোরান হাদিস পড়ে কিন্তু বুঝেনা। প্রশ্ন করলে উদ্ভট জবাব দেয়। অনেক প্রশ্ন করেছি কিন্তু কোন সন্তোষজনক জবাব পাই নাই, আর মনে হয় পাবও না। এই নর পিশাচ ধর্ম ব্যবসায়িরা সবকিছু বিষিয়ে তুলেছে।
ভাইজান,
নীচের হাদিছটা একটু দেখেন তো। আমাদের “মা”এর জাতিকে তো একটা কুকুরের সমান মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এরা নামাজীর সামনে দিয়ে হেটে গেলে নামাজ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়।এতবড় অপবিত্র এরা।
এতবড় অমানবিক হাদিস এখনো পর্যন্ত কী করে হাদিছ হিসাবে টিকে থাকতে পারে?
এগুলী খুব শীঘ্রই সুনান আবুদাউদের ন্যায় আন্তর্জাল হতে মুছে ফেলে দিতে পারে।
এ সত্বেও তো দাবী করা হচ্ছে , একমাত্র ইসলামই মানবজাতির জন্য কেয়ামত পর্যন্ত সর্বোত্তম শান্তিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
BOKHARI BOOK 9# 490
Narrated ‘Aisha: The things which annul the prayers were mentioned before me. They said, “Prayer is annulled by a dog, a donkey and a woman (if they pass in front of the praying people).” I said, “You have made us (i.e. women) dogs. I saw the Prophet praying while I used to lie in my bed between him and the Qibla. Whenever I was in need of something, I would slip away. for I disliked to face him.”
কিন্তু ভাইজান,
এই নারীদেরই একজন একদিন আমাকে বড় অপ্রস্তুত করে ছেড়েছিল।
তখন এখানে ৯/১১ এর পরবর্তী উত্তেজনা পূর্ণ মূহুর্ত অতিবাহিত হচ্ছিল। আফগানিস্তান তখন পূর্ণমাত্রায় আমরিকানদের নিয়ন্ত্রনে। আর আমেরিকা তখন মিঃ লাদেনকে সারা বিশ্বে হন্যে হয়ে খুজছে। কিন্তু কোথাও তার টিকিটি পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছেনা, এমনকি তার ধরা পড়ার ও কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছেনা।
এমন একটি সময়ে আমার কর্মস্থলে একদিন আমি একজন মহিলার সামনে বলতেছিলাম “লাদেন কত বড় জঘন্য কাজটি করল,দেশের অবস্থা এখন কত খারাপ!”
কিন্তু মহিলাটা আমার কথা শুনে কী করল জানেন?
তিনি হুঙ্কার দিয়ে বল্লেন “লাদেন কোনই অপরাধ করতেছে না।তিনি (লাদেন)যা কিছুই করতেছেন ইছলাম রক্ষার জন্য করতেছেন, মুসলমানের জন্য করতেছেন,আল্লাহর জন্য করতেছেন।
আল্লাহ যে তার সহায় এটাই তার বড় প্রমান যে সেই একটি মাত্র ব্যক্তিকে এরা সর্বশক্তি নিয়োগ করার পর ও সে সম্পূর্ণ ধরাছোয়ার অনেক দূরে থাকতেছে। এভাবেই আল্লাহ তাকে সাহায্য করতেছে।”
তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, আপনি কোথায় পড়াশুনা করেছেন?
উনি বল্লেন, আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটি হতে “ইসলামিক স্টাজীজ” এ মাস্টারছ করেছি।
তাহলে দেখলেনতো যাদেরকে যে ইসলামই চরমভাবে পদদলিত করে রেখেছে, সেই তারাই আবার সেই ইসলামেরই জন্য কতটা উৎসর্গী কৃত।
যাদের মঙ্গল তারাই যদি না চায়, তাহলে শুধু পুরুষেরা জোর করে আর কতটুকুই বা এগুতে পারে?
প্রীয় পাঠকবর্গ,
আপনি কী ইসলাম ধর্মের এই জঘন্যতম বর্বর প্রথাটিকে একটি সুন্দর প্রথা হিসাবে কখনো বিবেচনা করবেন?
ইসলাম ধর্মে নারীর মুসলমানী(খতনা) দেওয়ার নির্দেশ আছে। এতে নারীরা যাতে যৌনানন্দ উপভোগ না করতে পারে এটা চিরতরে বিনাস করার লক্ষে,১২-১৩ বছর বয়সে, মেয়েদের স্ত্রীঅঙ্গের (VAGINA) এর উপরি অংশে একটি যৌন উদ্দীপক মাংস খন্ড (CLITORIS) কে কেটে বাদ দেওয়া হয়। এর পর সে আজীবন যৌণান্দ ভোগ হতে বঞ্চিত থাকে।
খোদ ব্রিটেনেই এ পর্যন্ত ২ লক্ষাধিক মুসলিম নারীদের খতনা করা হয়েছে।
আমার কথা বিশ্বাষ না হলে আজ সকাল ৭-৩০ এর বিবিসি বাংলা সংবাদ টা এখানে এখুনি একটু শুনে নিন।
আর মসলিম নারীদের খতনা করানো ইসলামী নির্দেশ। এটা বিস্তারিত দেখে নিন এখানে–
মুক্তমনা ই বুক
ইসলাম ও শরিয়া
পৃষ্ঠা-৬৮
লেখক
হাসান মাহমুদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাই আজকে আমি B.B.C প্রতিবেদন এ এই কথাই শুনছি। খুব খারাপ লাগল।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
বি বি সি র এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, ইয়েমেন এ প্রতিদিন ১ কোটির ও বেশি মানুষ না খেয়ে গুমায়। বি বি সি র ১ সাংবাদিক এক মহিলাকে প্রশ্ন করে, আপনি কেন কাদছেন। মহিলাটি বলল আমার ২ টো বাচ্চা না খেতে পেরে মারা গেসে। আর ১ মহিলা বলল আমার ১ মেয়ে মারা গেছে না খেতে পেরে এবং আর ১ মেয়ে ওজন ২ কেজি(বি.বি.সি র সাংবাদিক বলল মেয়েটির গায়ে শুধু চামড়া আর হাড্ডি ছাড়া কিছুই নাই)। এই রকম অনেক শিশু না খেতে পেরে মারা গেসে।
আর ডাক্তাররা কোন ভাবে সামাল দিতে পারছে না।
অথচ যারা জঙ্গিদের পেছনে লাখ লাখ টাকা নষ্ট করছে , তাদের কি চোখ নাই।
আবার ইসলাম বলে “মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দিবেন তিনি” এই কথার ভিত্তি রইল কোথায়?
“মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দিবেন তিনি” এই কথার উপর ভিত্তি করে , আমাদের দেশের অনেক মানুষ ……………………………………………।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজানে কি এখনো বুঝতে পারেন নি যে ইসলাম নারীদেরকে শুধুমাত্র ভোগ্য পণ্য ও জনন যন্ত্র ছাড়া আর কিছু মনে করে না ? ইসলামে নারীর ইচ্ছা অনিচ্ছা বলে কিছু নেই, নেই কোন স্বাধীনতা। সুতরাং তার আবার যৌন আনন্দ কিসের ? এটা কেন থাকতে হবে ? এ দুনিয়াতেও তাদের কোন আনন্দের সুযোগ নেই , বেহেস্তেও নেই কোন ব্যবস্থা , এটা কয়জন নারী জানে ? অথচ দেখা যায় , এরাই সবচেয়ে বেশী বিশ্বাসী। কারন ইসলাম নারীকে মানুষ হিসাবে নিজেকে ভাবার ক্ষমতাই রুদ্ধ করে দিয়েছে। তাই তারা এসব নিয়ে ভাবতে চায় না, ভাবার দরকার মনে করে না। মনে করে স্বামীর অধীনে থেকে শৃংখলের জীবনেই তাদের পরম শান্তি। তসলিমা নাসরিনের মত যারা নারীর অধিকার নিয়ে কথা বলে , এসব মুমিনা নারীরা কিন্তু তসলিমা নাসরিনের বড় শত্রু।একটা প্রবাদ আছে না – নারীরাই নারীদের বড় শত্রু।
ভাইজান আপনি তো ইসলামের সব কিছু নতুন জানছেন তাই যতই জানছেন ততই আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছেন। এখন বলুন, ইসলাম কি সত্যি মানব জাতির অগ্রগতির অন্তরায় নাকি সহায়ক ? যদি অন্তরায় হয় তাহলে চিন্তা করুন ইসলাম মানবজাতির জন্য কি ধরনের মারাত্মক সমস্যা।
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে শেরতনুজ ঈশান সাহেব আগের ১৬ টা পর্ব না পড়েই ১৭ নং টা পড়ে জ্ঞান প্রদানের জন্য লাফা-লাফি করতেসে। :-s
@কৌতুহলী ছাত্র,
দুঃখিত? আপনার যে এতটা আঁতে ঘাঁ লাগবে ভাবিনি, হার্টের রোগি হলে ভাই মাফ করবেন চিকিৎসার দায় কিন্তু নিতে পারব না 😛 এধরনের ১৬ টা কেন ১০০ টা পোষ্ট=.০০০০০০০০০০০১ পোষ্ট = নতুন সুত্র প্রলাপ-৭৬ গ্রন্থ:উন্মাদদের প্রলাপ পেজ নং:৮৫। খুজে নেবেন যায়গা মত পাওয়া যায় । জ্ঞান প্রদানের কথা বলছেন তো তাহলে তাই , আপনার মত মহাজ্ঞানিকে যে জ্ঞান দেবার সৌভাগ্য হয়েছে তাতে আমি খুব খুশী , আমার গুরু সক্রেটিসের চাইতে আমি একধাপ এগিয়ে আছি । 😉
@কৌতুহলী ছাত্র,
নিজের ফান্দে নিজেই পরছে।
ভাই মনে হয় কি ,উনি ১৭ নাম্বার ব্যতিত ১ টা পর্ব ও পড়েন নাই।
@নেটওয়ার্ক,
এতে আমার কোনো লাভ লস নেই তো। নাকি দু’টাকার ক্ষতি হলো । মাঝখান থাইক্কা একটা কমেন্ট পাইলাম ,পাবলিসিটি বাইরলো। :rotfl:
@শেরতনুজ ঈশান,
ভুল বললেন, আপনার লাভ নাই তবে লস আছে। ভাই আপনি তো মহা জ্ঞানী দশ জন দশ টা মন্তব্য দেয়, আর আপনে একাই ১০ টা মন্তব্যের উত্তর দেন। বুজতে পারছেন আপনে কত বড় জ্ঞানী। :lotpot:
পাবলিসিটি ২ ধরনের –
১। ভাল পাবলিসিটি
২। ময়লা দুঃগন্ধ যুক্ত পাবলিসিটি।
মক্তমনা তে আপনার ময়লা দুঃগন্ধ যুক্ত পাবলিসিটি হচ্ছে , সেটা বুজতে পারছেন তো। 😕 অবশ্য বুজবেন কি করে বুজার ক্ষমতা ও নাই, সব বুঝ দিয়া আইছেন (গাভী)আল্লারে।
বুজতে পারছেন না কয় টাকার ক্ষতি হল। সাড়া জীবণ তো টাকা টাই চিনলেন। টাকার জন্য কিছু দিন পর (গাভী) মহান আল্লাহ কে ভুলে যাবেন। :-Y
ভাই আপনার গলা আওয়াজ অনেক বেশী, হুদা ই ঊল্টা পাল্টা চিল্লা চীল্লী পাড়েন(চোরের মায়ের বড় গলা)।
লজ্জা থাকলে আর উত্তর দিয়েন না।
ভাই জান রোজা রাইখেন কিন্তু ইফতারি খাইয়েন না।
@নেটওয়ার্ক,
রোজা হল সংযম। কিন্তু দেখেন ভাই, মুসলিমরা রোজার দিনেই খায় বেশি।রোজা রাখলে নাকি স্বাস্থ্য ভাল থাকে কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে যে রাতে বেশি খেলে শরীরের বড় ক্ষতির আশঙ্কা বেড়ে যায় বহু গুনে। আর দেখেন রোজার দিনেও মানুষ ৩বার খায়।ইফতারে হরিলুট, রাতে স্বাভাবিকের থেকে বেশি খাবার, আর না খেয়ে থাকবে তাই শেষ রাতে প্রায় ১ গামলা :)) পার্থক্য একটাই যে রাতে ৩ বার খায়। মানে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়া আর শারীরিক স্থূলতা।।
অতএব মহান বিজ্ঞানী আল্লাহ ও হুজুরে পাক রোজার মাসকে করেছেন বরকতময় মাস। 😀
@নেটওয়ার্ক,
আমার মনে হয় উনি এই ১৭ শ পর্বও ভালমতো পড়েন নি। কারন তা যদি পড়তেন দেখতেন যে এ নিবন্ধে আমার বক্তব্যের চেয়ে কোরান, হাদিস ও ইবনে কাথিরের লেখাই বেশী পোষ্ট করা হয়েছে। সুতরাং এ নিবন্ধের বিপক্ষে উল্টা পাল্টা কথা বলা মানে কোরান , হাদিস ও ইবনে কাথিরের তাফসিরের বিরুদ্ধে উল্টা পাল্টা কথা বলা। অথচ শেরতানুজ ঈশান সাহেব শুধুমাত্র আমাকে উদ্দেশ্য করে এলো মেলো কথা বলছেন। তার অর্থ উনি চাইছেন পাঠকদেরকে বিভ্রান্ত করতে। অথবা আবোল তাবোল কথা বলে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে।
@ভবঘুরে,
একদম ঠিক। উনার মানসিক PROBLEM আছে, উনি ১ টা মন্তব্য দেন আর উনার মন্তব্যে মানে উনি নিজেই বুজেন না ।
এইটা উনার জন্ম গত সমস্যা। মাঝে মাঝে নিজের কথাই নিজেই বিভ্রান্ত হন।
@নেটওয়ার্ক,
আমার কাছেও অনুরুপ মনে হচ্ছে।
@ভবঘুরে,
যার নিজের ই কোরান হাদিছ সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞ্যানই নাই, আর তার কাছ থেকে আপনি এবনে কাথির এর মূল্যায়ন আশা করছেন?!!! কোরান হাদিছের জ্ঞ্যান পাওয়া টা কি আর এত সহজ? এতে দীর্ঘ বছরের সাধনার প্রয়োজন হয়।
ভাই ভবঘুরে
১; ঈমানদার ভাই বোন বলতে হয়ত আপনি তাদের কথা বলছেন যারা ইসলাম সম্পর্কে সামান্য কিছু জানেন যে কারনে তারা কোন প্রশ্নের যৌক্তিক জবাব দিতে পারেন না বা দিতে গিয়ে না পেরে মুখে কুলুপ এটে কেটে পরেন , কুলুপ আঁটার কাজতা কি কেবল ঈমানদার মুসলমান ভাই বোনেরাই করেন নাকি ঈমানদার হিন্দু , ক্রিশ্চিয়া্ন ,…ভাই বোনেরা এদিক থেকে মুক্ত ???!! যদি তা না হয় তবে নির্দিষ্ট করে মুসলমানদের উল্লেখ করছেন কেন ???!! আমার মনে হয় আপনি জায়গা মত ইসলামের সন্ধান করেন নি ।।
২; “কোরানকে বুঝতে হলে আরবী জানতে হবে” এটা সর্বাংশে সত্য যে ,যে কোন ভাষার সর্বচ্চ সাহিত্য কর্ম বুঝতে গেলে সেই ভাষা আধাআধি জানলেও চলবে না জানতে হবে সর্বাংশে । আর তা আরবি ,লাতিন,সংস্কৃত…যে ভাষাই হোক সবার জন্যই সত্য,এতেই শেষ নয়; শব্দ ও পদবিন্যাসের অভাবে অনুবাদের মুখথুবড়ে পরা স্বাভাবিক, যেমন C++ ভাষায় লেখা একটি প্রোগ্রাম java ভাষায় পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করা কখনও নাও যেতে পারে কারন প্যারাডিম আলাদা ।তো আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে আরবি পৃথিবীর সর্বাধুনিক সাহিত্যিক ভাষা একারনে কোরানের মর্ম বুঝতে ভাষাটি শেখা আবশ্যক।
৩;” আল্লাহ তো বলেছে- আমি কোরান কে সহজ ভাবে নাজিল করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার ” এই অতীব সত্য কথাটা বুঝতে হলে আপনাকে আরও কিছু বিষয় বুঝতে হবে , কেন ?!? কারন কোরান শুধু সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত বানী নয় বরং অলৌকিকত্যের সাক্ষর স্বরুপ তার বাহকের উপর , আর অলৌকিকত্যের সাক্ষর স্বরুপ একটি কিতাব হিসাবে কোরান যথেষ্ট সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় ও অলংকারে উপস্থাপিত । আর সৃষ্টিকর্তার কাছে থেকে আসা অলৌকিকত্যের সাক্ষর স্বরুপ একটি কিতাব এর চাইতে আর কতটা সহজ হবে ?!? কতটা সহজভাবে আপনার মস্তিস্ক চায় ?!? যদি আরও সহজ করে চ।ন তবে বলব “আপনার মস্তিস্ক অনুর্বর বা আপনি নামে মাত্র চিন্তাশীল বা নাকি চিন্তা করতে ভয় পান এই ভেবে ,”পাছে না জানি গুলিয়ে যায় সব ?!” অথচ কোরান সহজ ভাবে নাযিল হয়েছে । কোরান কে হিন্দুদের গীতা, খৃষ্টানদের গসপেল, ইহুদিদের তৌরাত বা বৌদ্ধদের ত্রিপিটক এর মত ভাবলেন কি করে ?!? কোরান স্বতন্ত্র যার একটি বাক্যের মত বাক্য তৈরি করা অসম্ভব , পারলে করে দেখান ! আজিই আপনার সংগে একমত হব ।
৪; আপনি বলেছে “বলা বাহুল্য, ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্মের কিতাব পড়ে বুঝতে ভাষা বা কনটেক্সট কোন সমস্যা হয় না । দরকার পড়ে না কোন ইতিহাস জানার” আসলেই বলা বাহুল্য যে আপনার তুলনামুলক জ্ঞানে যথেষ্ট ঘাটতি আছে । তার কারন কোরান কেবল কোন ইতিহাসের পুস্তক নয় যে রামায়ন, মহাভারত বা গীতার মত শুধু নৈতিক ইতিহাস থাকবে বরং কোরানে ইতিহাসও আছে । কোরানের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট হল তার অধিকাংশ বাক্য পরস্পর গভির ভাবে সম্পর্কযুক্ত তাই দয়া করে কোরানের কোন ভাঙা উদৃতি দিবেন না , মাঝখান থেকে ভুল প্রমানিত হবেন । আপনার মতে কোরান জানতে গেলে ইতিহাস জানা প্রয়োজন , একটা বইকে আনেক বেশি সহজ করে জানতে গেলে অবশ্যই বইটির বিষয় সংক্রান্ত ইতিহাস জানা উচিত কিন্তু কোরান ইতিহাসের উপর নির্ভরশীল নয়
৫; একতরফা ভাবে কোরানকে নিচে নামানো যা মনস্তাতাত্তিক সমস্যার কাছাকাছি মুক্তচিন্তার পরিপন্থি ।
৬; এবং নিচে যে আরও অপ্রাসঙ্গিক উক্তি গুলো করেছেন দয়া করে খুজে দেখবেন তার পূর্ণ উত্তরগুলো কয়েকশত বছর আগেই দেয়া হয়ে গেছে । তাই পুরাতন প্রশ্ন নাই বা করলেন , আসুন নতুন কিছু প্রশ্ন করি নতুন উত্তরের খোজে ।
ভাল থাকুন
@শেরতনুজ ঈশান,
আপনার এ প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আমরা ক্লান্ত। যাহোক আপনি নতুন বিধায় আপনাকে বলছি- বর্তমান দুনিয়াতে একমাত্র ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে না, ইসলামের নামে কেউ গায়ে বোমা বেধে নিরীহ মানুষ মারছে না, ইসলাম ও শরিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য জান বাজী লড়াই করছে না। তাই ইসলামই বর্তমানে ফোকাসে আছে। অন্য ধর্মগুলোর মেরুদন্ড আসলে অনেক আগেই ভেঙ্গে গেছে, কারন সেগুলো নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে শত শত বছর, শুধুমাত্র ইসলামকে নিয়ে আগে তেমন কেউ মাথা ঘামায় নি। এর কারন বহুবিধ। একটা কারন হলো- শত শত বছর ধরে ইসলামী দেশগুলো ছিল উপনিবেশের আওতায়, দখলদার দেশগুলো মুসলমানদেরকে বরং ধর্ম পালন করতে উৎসাহিত করত যাতে তারা ধর্ম নিয়ে ব্যস্ত থেকে উপনিবেশ থেকে উদ্ধার পাওয়ার চেষ্টা না করে। ঠিক একারনেই ইসলাম নিয়ে চর্চা তেমন হয় নি। বর্তমানে হচ্ছে আর সেকারনে ইসলাম আসলে কি জিনিস জানা যাচ্ছে। আর সেগুলোই এখন অন্তর্জালে প্রকাশ করা হচ্ছে। কারন আমরা জেনেছি, অধিকাংশ মুসলিম দেশগুলো যে গরিব, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অনুন্নত তার প্রধান কারন ইসলাম, আরও কিছু কারন বিদ্যমান। তবে প্রধান কারন হলো ইসলাম।
দয়া করে যদি বলতেন, কোথা গেলে ইসলাম জানা যাবে ?
আমি বিষয়টি অস্বীকার করছি না। কিন্তু কথা হলো যারা আরবি ভাষা ভালমতো বুঝে তারপর ইসলামের সব কিছু যেমন কোরান হাদিস অন্য ভাষায় অনুবাদ করেছেন তা পড়লে কেন ইসলাম জানা যাবে না ? কোরানের আল্লাহ তো বলছে – সব আদেশ নির্দেশ বিধান সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট। এধরনের সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট আদেশ নিষেধ জানতে তো অনুবাদই যথেষ্ট হওয়া আবশ্যক, তাই নয় কি ? কোরান যদি কোন উচ্চ মার্গের কাব্য গ্রন্থ হতো তাহলে কিন্তু আপনার বক্তব্য ঠিক ছিল। কিন্তু এটা তা নয়। যদিও ছন্দে লেখা। যদি বলেন কোরান একটা কাব্য গ্রন্থ তাহলে সমস্যা বাড়ে বৈ কমে না। কারন কোন কাব্যে কোন বক্তব্য সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট থাকে না। ঠিক সেকারনেই রবীন্দ্র নাথের যে কোন কাব্য গ্রন্থ পড়ে নানা জনে নানা রকম ব্যখ্যা প্রদান করে। আর তাতে কিন্তু উক্ত কাব্য গ্রন্থের মান কমে না গিয়ে বরং বাড়ে। কারন কাব্য গ্রন্থের ওটাই একটা প্রধান গুণ। আপনি কি কোরান পড়ে যে যেমন ইচ্ছা ব্যাখ্যা প্রদান করুক এটাকে যথার্থ বলছেন ? তাহলে তো কোরনের বক্তব্য সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট হলো না। এছাড়াও একদল কোরান পড়ে গায়ে বোমা বেধে নিরীহ মানুষ মারছে তাদেরকে কেন ইসলামের শত্রু বা ইসলামের অপব্যখ্যা করছে বলে আখ্যায়িত করেন ?
একেবারে সত্য কথা বলেছেন। আসলেই উক্ত উত্তরগুলো কয়েক শত বছর আগেই দেয়া হয়ে গেছে, কিন্তু সাধারণ মানুষ এখন তা জানে না। জানে না বলেই তারা আসল ইসলাম কে না জেনে ভুল ভাল ইসলাম জানে, আর ধান্ধাবাজ কিছু মানুষের মনগড়া ব্যখ্যা জেনে সেটাকেই ইসলাম বলে ভুল করে। আপনি যদি খেয়াল করেন দেখবেন আলোচ্য নিবন্ধে শত বছর আগের দেয়া উত্তরগুলোকেই সুন্দর করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি বিরাট বিরাট উদ্ধৃতি গুলোকে কষ্ট করে টাইপ ও পোষ্ট করে। যেমন, ইবনে কাথিরের ব্যখ্যা বা হাদিস থেকে উদ্ধৃতি। আপনি নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন ইবনে কাথির কোরান হাদিসের আসল ব্যখ্যা দিয়ে গেছেন। কিন্তু কয়জন তা এখন জানে ? আমরা সেটাকেই সর্ব সাধারণের নিকট প্রকাশ করছি, এটা করে কি কোন ভুল করছি ? আপনি কি চান না মানুষ আসল ইসলাম জানুক ? যদি মনে করেন তাদের উদ্ধৃতি বা ব্যখ্যা সব ভুল ও বিকৃত, তাহলে সে বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। খামোখা আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন ভাইজান ? আমি তো নিজের থেকে কোন ব্যখ্যা বিবৃতি দেই নি , তাই না ?
@ভবঘুরে,
ভাই ভবঘুরে
আপনার উত্তর প্রসংগে; আপনারা নাকি একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ক্লান্ত , তার মানে একই প্রশ্ন বারবার করা হচ্ছে তার কারন ১; প্রশ্নটির কোন যৌক্তিক উত্তর দিতে পারছেন না । ২; আপনাদের মনে ইসলাম সম্পর্কে একটি ভ্রান্ত নেতিবাচক বিশ্বাস বদ্ধমূল যেখান থেকে বের হতে পারছেন না । ৩; যে কারনে অতিরঞ্জিত প্রচারে গা ভাসাচ্ছেন । এটি একটি চেইন রিয়্যকশন এর মত মনস্তাত্তিক সমস্যা । যেমন ধরুন সমাজে কেউ যদি একবার চোর সাব্যস্থ হয় , চুরি না করেও ,বারবার তাকেই দোষী করা হয় , কেন??! কারন সেই মনস্তাত্তিক সমস্যা ! , ইসলামকেও ঠিক এভাবেই ফাসানো হয়েছে এবং হচ্ছে । তাই কুয়াশায় ঢাকা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কোন বিষয়ের নেতিবাচক সমালোচনা করা এক রকমের জ্ঞানপাপ । নিশ্ছিদ্র স্থানে ছিদ্র অন্বেষণ মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি যার সমস্যা স্বরুপ তথ্য গুলিয়ে ফেলার প্রবনতা দেখা যায় যা ইসলাম সম্পর্কে বলতে গিয়ে আপনারা প্রায়সই করে থাকেন , আর খামোখাই এমন কিছু দাবি করে বসেন যা শিশুদের মত শোনায় । আপনাদের দাবি, “ইসলাম শরিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য জান বাজী লড়াই করছে এবং ধর্ম অন্যের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে , বোমা ফাটাচ্ছে ” কোথায়?! ইরাকে?, আফগানিস্তানে?, কিছু নামধারি ,সার্থান্নেশি, লঘু জ্ঞানে পথভ্রষ্টদের কথা বলছেন ? ভারতে কি নেই ? মাওবাদী ? আপনারা শুধু একদিকে ঢিল মারছেন ,কারা বেশি খারাপ যারা গায়ে বেঁধে বোমা ফাটাচ্ছে নাকি যারা বিমান থেকে মারছে? অতীতে যারা ভিয়েতনামের নিরিহ মানুষের উপর রাসায়নিক অস্ত্র পরিক্ষা চালিয়ে ছিল তারা এখন মানবতাবাদী ! কথায় আছে ” টাকা আলার কুকীর্তি ঘুষে পরে চাপা ” । তার চেয়ে তাকিয়ে দেখুন ইসলাম ভাল কি করেছে দেখবেন অনেক কিছু আশা করি সেই চোখ আপনাদের আছে । ইসলাম শুধু মাত্র মুহাম্মাদের ধর্ম নয় ইসলাম আদমের ধর্ম ইব্রাহিম ,মুসার ,ঈসার ধর্ম । বলতে বাধ্য হচ্ছি আরেকটু ভালকরে জানুন যে ইসলামে সামান্যতম কুসংস্কার নেই ।যদি কুসংস্কা্রের কথা বলেন তবে বলল তা ইসলাম পুর্ব ধর্ম সম্প্রদায়দের কাছ থেকে পাওয়া যা তাদের আচারের অংশ রুপে রয়ে গেছে , বাঙ্গালি মুসলিমদের মধ্যেও এরুপ কিছু কুসংস্কার রয়ে গেছে যেগুলো তাদের পুর্বপুরুষের এবং অরিজিন হল বাংলাদেশ । ইসলামের প্রত্যেকতা বিষয় অত্যান্ত উচ্চমানের যুক্তি বলে প্রতিষ্ঠিত তাই অনুরোধ করি ইসলাম সম্পর্কে ধোঁয়া ধোঁয়া জ্ঞান নিয়ে অহেতু মন্তব্যে আসবেন না হাসির পাত্র হবেন ।
Q: দয়া করে যদি বলতেন, কোথা গেলে ইসলাম জানা যাবে ?
A: কোন বিষয় সম্পর্কে সচ্ছভাবে জানতে গেলে আগে তার মৌলিক ধারনা গুলো নিতে হবে, তাই আগে জানুন ইসলাম কাকে বলে ? ঈমান কাকে বলে ? ইসলামে আল্লাহর ধারনা, মুহাম্মাদ (দঃ) কে? মুহাম্মাদের(দঃ) জীবনি , বই পড়ুন ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে ,যোগাযোগ করুন সউদিআরবের ইসলামিক গ্রন্থাগারে , তারপর নিজেই বুঝে যাবেন কোথায় গেলে ইসলাম জানা যায় ।
Q: কিন্তু কথা হলো যারা আরবি ভাষা ভালমতো বুঝে তারপর ইসলামের সব কিছু যেমন কোরান হাদিস অন্য ভাষায় অনুবাদ করেছেন তা পড়লে কেন ইসলাম জানা যাবে না ?
A: ভাল একটি প্রশ্ন ,তো ভাই অনুবাদ একটি তুলনামুলক বিষয় , কে আরবি ভাল জানে বুঝে তা আপনি বা আমি কেউই তার কোন মাপকাঠি স্থির করতে পারি না কেননা আমরা আরবিতে পন্ডিত নই । অনুবাদ অনুবাদক, শাব্দিক পরিভাষা , ভিন্ন ব্যাকরণ রীতি প্রত্যেকটার উপর নির্ভরশীল এমনকি অনুবাদকের সামান্যতম দৃষ্টিভঙ্গি জনিত ত্রুটি অনুবাদের অনৈতিক পরিবর্তন ঘটাতে পারে যা আপাত দৃষ্টিতে সঠিক বলে মনে হয় , তাই বলি অনুবাদ পড়ার আগে প্রয়োজনে একজন ইসলামিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন , তিনি যদি আপনাদের কাছে বিতর্কিত জোকার নায়েকও হয়ে থাকেন তবুও কেননা বর্তমানে তার ইসলামিক জ্ঞান সবচাইতে যুক্তিনির্ভর । আরেকটি বিষয় , ইসলামের প্রতি আপনাদের অশ্রদ্ধা থাকতে পারে কিন্তু আরবি ভাষা কি করল , কেন আরবি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন না । জেনে রাখুন যে আমি পৃথিবীর প্রত্যেকটা ভাষাকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করি , ভালবাসি । কারন কোন ভাষা আমাকে আক্রমন করে না ।
মুক্তমনা হবার গ্রহনযোগ্যতা যতখানি আছে ততটুকুও হারাবেন না । যদি আপনাদের অনুবাদক ধ্রুপদি আর আধুনিক আরবির মধ্যে পার্থক্য করতে না জানেন তাহলে বলব তিনি সুক্ষজ্ঞানী নন তিনি লঘু জ্ঞানে পথভ্রষ্ট , আমার বিশ্বাস এই কারনেই আপনারা ইসলামের বিপক্ষে ক্ষ্যপা ষাঁড়ের মত চেচিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু কাজে আসছে না । তাই আসুন আগে মৌলিক এবং সার্বজনিন জ্ঞানে নিজেদের পারদর্শী করে তুলি কোন বদ্ধমুল চেতনাকে প্রশ্রয় না দিয়ে তবেই না সঠিক দর্শনের দেখা পাব ।
আরবি ভাষা সম্পর্কে জানুন http://en.wikipedia.org/wiki/Arabic_language এখানে অথবা http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF_%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE এইখানে এবং এখানেও যান > http://en.wikipedia.org/wiki/Quran ।
Q: কোরানের আল্লাহ তো বলছে – সব আদেশ নির্দেশ বিধান সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট। এধরনের সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট আদেশ নিষেধ জানতে তো অনুবাদই যথেষ্ট হওয়া আবশ্যক, তাই নয় কি ?
A: আবারো বলছি আরবি ভাষাটাকে জানুন , আগেই বলেছি ,”C++ ভাষায় লেখা একটি প্রোগ্রাম java ভাষায় পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করা কখনও নাও যেতে পারে কারন প্যারাডিম আলাদা” । আরবির প্যারাডিম আর বাংলার প্যরাডিম একদমই আলাদা । আপনার কোরান এবং দর্শন ও সাহিত্য সম্পর্কিত জ্ঞান যে কোন ভিতের উপর তা সবাই বুঝে যাবেন , প্রকৃতপক্ষে কোরান শুধু একটি উচ্চ মার্গের সাহিত্য গ্রন্থই নয় কোরান একটি ভাষার এবং একটি সুবিস্তৃত মতবাদের প্লাটফর্ম । যদি বলেন কোন কাব্যে কোন বক্তব্য সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট থাকে না , বলব কোরান কাব্য নাকি গদ্য তা নিয়ে হেয়ালি আছে যা তার অলৌকিক বৈশিষ্ট্য । তাই কোরান সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট নাকি অসস্পষ্ট ও অনির্দিষ্ট তা নিয়ে মন্তব্য করা অজ্ঞানে বাহুল্য কথন ছাড়া কিছুই নয় । আপনি আমার প্রিয় কবি রবিন্দ্রনাথের কবিতার সংগে কুরানের তুলনা করেছেন এটা অপতুলনা।
Q: আপনি কি কোরান পড়ে যে যেমন ইচ্ছা ব্যাখ্যা প্রদান করুক এটাকে যথার্থ বলছেন ? তাহলে তো কোরনের বক্তব্য সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট হলো না। এছাড়াও একদল কোরান পড়ে গায়ে বোমা বেধে নিরীহ মানুষ মারছে তাদেরকে কেন ইসলামের শত্রু বা ইসলামের অপব্যখ্যা করছে বলে আখ্যায়িত করেন ?
A: এটা বাহুল্য কথন, কারন যারা তা করেন তাদের বিষয় “অল্প বিদ্যে ভয়ঙ্করী”।
নিজ সার্থে অপব্যাখ্যা করা মানুষের প্রাচীন সভাব , অপব্যাখ্যা সব সময় দুর্বল ,সীমাবদ্ধ ও স্ববিরোধী যুক্তি বলে প্রকাশিত হয় যা মূলবিষয় থেকে দূরে অবস্থান করে দয়া করে যাচাই করবেন । একটি চিন্তার DNA তৈরি করতে গেলে সুক্ষ পর্যবেক্ষনের সাথে মৌলিক জ্ঞানার্জন একক শর্ত , যাদের তা হয়ে উঠে না তারাই সার্থের তাগিদে অপব্যাখ্যার আশ্রয় নেয় । এরাই কুলাঙ্গার , বোমা ফাটায় , নিজেদের দৃষ্টিকোন থেকে তারা বিপ্লবি বা স্বাধীনতাকামী , আবার এদেরকে পুঁজি করে একদল লোক নিরিহকে বানাচ্ছে অপরাধী আর আপনারা চতুর্থপক্ষ নানারকম জল্পনায় কল্পনায় বিভ্রান্তিতে আছেন ।
Q:”””আপনি যদি খেয়াল করেন দেখবেন আলোচ্য নিবন্ধে শত বছর আগের দেয়া উত্তরগুলোকেই সুন্দর করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি বিরাট বিরাট উদ্ধৃতি গুলোকে কষ্ট করে টাইপ ও পোষ্ট করে। যেমন, ইবনে কাথিরের ব্যখ্যা বা হাদিস থেকে উদ্ধৃতি। আপনি নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন ইবনে কাথির কোরান হাদিসের আসল ব্যখ্যা দিয়ে গেছেন। কিন্তু কয়জন তা এখন জানে ? আমরা সেটাকেই সর্ব সাধারণের নিকট প্রকাশ করছি, এটা করে কি কোন ভুল করছি ? আপনি কি চান না মানুষ আসল ইসলাম জানুক ? যদি মনে করেন তাদের উদ্ধৃতি বা ব্যখ্যা সব ভুল ও বিকৃত, তাহলে সে বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। খামোখা আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন ভাইজান ? আমি তো নিজের থেকে কোন ব্যখ্যা বিবৃতি দেই নি , তাই না ?”””
A: আপনার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য দুঃখিত ! কিন্তু আবারও বাধ্য হচ্ছি কারন আপনিই যাচাই না করে অনেক কিছু লিখেছেন , ভাই বলি আপনি বিতর্কিত লেখক ইবনে কাথিরের কাছে গিয়েছেন কিন্তু আসল বস!দের কাছে জাননি , আপনার ব্যাক্তি গত বিষয় এখানে আসবেই কারন সমস্যাটা আপনার ইসলামের নয় কুরান-হাদিসেরও নয় , কোথায় আপনি বড়পির আব্দুল কাদের জিলাজি (রঃ) , ইমাম শাফি (রঃ) , ইমাম আবু হানিফা (রঃ) , ইমাম গাযযালি (রঃ) এর কাছে জাননি আপনি গিয়েছেন ইবনে কাথিরের কাছে ,সত্যি আপনি ভুল করেছেন , এটা সত্যিই বড় হাস্যকর । ক,খ শেখার আগে কাউকে কি বানান শিখতে দেখেছেন ? , আশা করি এতেই যথেষ্ট ।
কৌতুহল কে প্রশ্রয় দিন এবং তার পিছনে একটু খাটুন । মনে কিছু নিবেন না ভাই কারন বিতর্কের প্রার্থিরা বিতর্ক করার যোগ্যতা নিয়ে মন্তব্যের সম্মুখিন হবেন এতাই স্বাভাবিক , ধন্যবাদ নতুন লেখকের লেখাকে গুরুত্ত দেবার জন্য
@শেরতনুজ ঈশান,
আপনার দীর্ঘ মন্তব্যটি ধৈর্য ও মনোযোগের সাথে পড়লাম। নতুন কিছু পেলাম না। আপনার পুরো মন্তব্যের সারাংশ:
সেই পুরানো কাসুন্দি। মনে হচ্ছে আপনি মুক্তমনায় নবাগত। মন্তব্য করার আগে ভবঘুরের এই প্রবন্ধের “সবগুলো পর্ব ও পাঠকের মন্তব্যগুলো” সময় নিয়ে পড়াশুনা করুন। আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তরই সবিস্তারে পেয়ে যাবেন। তারপর যদি “বিতর্কের ইচ্ছা থাকে” তবে “দলিল দস্তাবেজের (Reference)” মাধ্যমে হাজির হবেন। আলোচনা করা যাবে। আপাতত: বিগ্যানময় কুরানের “এই পর্ব গুলোতে” একটু চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। আর ও অনেক পর্ব সামনে আছে। মাঝে মাঝে “ঢুঁ” মারবেন আপডেট দেখার জন্য। এর পরের পর্ব “গোবর(feces)-তত্ব” (আশা করি) সামনের সপ্তাহে প্রকাশ হবে।
ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।
@গোলাপ,
গোলাপ সাহেব ঘরে বসে আপনার মনে হল আমি নবাগত , এত মনে হওয়ার কিছু নাই , কে নবাগত কে প্রাচীনগত! কেউ যদি ১০টা আই ডি দিয়ে ১০টা পিসি থেকে ১০ টা চরিত্রে ১০ রকমের মন্তব্য করে আপনার আমার ক্ষেত্রে এইতা বলা কঠিন কে নবাগত। আপনার কাছে যেটা সেই পুরানো কাসুন্দি প্রজন্মের পর প্রজন্ম তা টাটকা কাসুন্দি । খালি ভবঘুরে ক্যানে তার লাহান হাজার ডা পোষ্ট আঁই মুনোযোগ দিই পইড়ছি , আর ভবঘুরে কোন তত্ত্বের জন্ম দিয়েছেন নাকি ?!?পুরাতন কাসুন্দিতে নতুন আম চুবাচ্ছেন!? মূল বিষয় থেকে সরে গেলে পার পাবেন না । “দলিল দস্তাবেজের” কথা কন ? জাল সইঁয়ে যারা দখলদার তাদেরকে দলিল দস্তাবেজ দেখানো আর তালে তালে পাগল সাজা একই কথা , আপনাদের এক দখলদার ভাই আমার সাথেই থাকেন । তার চাইতে আসেন আপনাগো আমাগো ধর্মের,দর্শনের,বিজ্ঞানের মনস্তাত্তিক সমেস্যা গুলান ওপেনে যাচাই কইরে দেহি , আগে ক,খ তারপর বানান । না হলে এর কোন সমাধান সামনের “গোবর(feces)-তত্ব” আর লাদি তত্ত্বই কন কারো কোন কাজে আসবেনা :-Y :clap
@শেরতনুজ ঈশান,
ভাইজান,
তা “আসল দলিল” কবে হাজির করবেন? আমরা আপনার আসল দলিল দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
@শেরতনুজ ঈশান,
তত্বটি আমার নয়। মুহাম্মদের! “ঐশী-প্রাপ্ত”! অবহেলা করলে হবেন গুনাহগার! গত ১৪০০ বছর ধরে তা সাফল্যের সাথে প্রচারিত হয়ে আসছে! এই ”লাদি তত্ব’ টি কী ? জানতে আগ্রহী হলে লিংকের পর্দায় চোখ রাখুন।
@শেরতনুজ ঈশান,
ভাইজান কি নিবন্ধটা ভাল মতো পড়েছেন? মনে হয় পড়েন নি, না পড়েই মন্তব্য করে চলেছেন। দয়া করে ১৭ পর্ব আছে , সময় করে একটু পড়ুন, কোরান হাদিসের বিস্তর রেফারেন্স দেয়া আছে, আপনার যদি সাধ্য থাকে , যে কোন একটা বিষয় উল্লেখ করে সেটা আলোচনা করে প্রমান করুন যা লেখা হয়েছে তা ভুল। আমি তওবা করে ভুল স্বীকার করে লেখা বন্ধ করে দেব। রাজী আছেন ? আপনাদের মত যারা কোন কিছু না পড়েই মন্তব্য করে তাদেরকে উত্তর দিতে মাঝে মাঝে ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলি তাদের মূর্খতা ও অজ্ঞতা ও একই সাথে তাদের অন্ধত্ব ও জ্ঞানবিমূখতা দেখে।
@ভবঘুরে,
হ্যা ভাই , আপনার প্রত্যেকটা পোস্ট ভাল মতই পরেছি , আপনাদের মত ত্যনা প্যচানো কথা শুনলে মাঝে মাঝে কেন, একদমিই ধৈর্য্য হারাই না আর আমি আমার সাধ্যের মধ্যেই কিছু বিষয় উল্লেখ করে প্রশ্ন করে ছিলাম এবং দেখিওছি যে আপনারা সত্তিকারের কোন মুক্তমনা নন । বরং প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে অন্য কথা বলছেন , তবে যদি প্রশ্নগুলো একঘেঁয়েই লাগে তবে ধরে নিন না কিছুই জানিনা তাই জানতে চাইছি । যে বিবর্তনবাদকে কেন্দ্র করে নাস্তিকতার প্রমান মেলে আবার তা থেকেই আস্তিকতারও প্রমান করা যায় ,সবি দৃষ্টিভঙ্গির ব্যপার । এটি একেক মানুষের ক্ষেত্রে একেক রকম , যেমন ধরুন আল্লাহ বলেছে
“তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।৯:২৯”
কেউ একজন এটা বুঝে যে ” ঠিকই তো আছে আমরা জানি যে ঐ সময়কার আহলে-কিতাবের লোকেরা অন্যায় ভাবে মানুষকে হত্যা করত , মদ খেত, নারীদের প্রতি অবিচার করত, কন্যা সন্তানদের জীবিত কবর দিত , ইত্যাদি তাহলে তো আল্লাহ মুসলমানদের বিশেষবাহিনী নিযুক্ত করেছেন যেন ওদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে একটা শর্ত আরোপ করে দুই পক্ষই শান্তিতে থাকুক”
আর আপনি বুঝেন ,”একারনেই ২৮ নং আয়াতে বলা হচ্ছে- আর যদি তোমরা দারিদ্রেøর আশংকা কর, তবে আল্লাহ চাইলে নিজ করুনায় ভবিষ্যতে তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন- তো এবার দেখা যাক কিভাবে আল্লাহ দারিদ্র মুক্ত করবেন। সেটাও পরিস্কার ২৯ নং আয়াতে। বলা হচ্ছে- আহলে কিতাবের লোক তথা ইহুদি ও খৃষ্টানদের কাছ থেকে জিজিয়া কর আদায় করে দারিদ্র দুর করা হবে।”
আমি কিন্তু আগের আয়াতও পরেছি সে সম্পর্কিত আপনার ব্যাখ্যাটাও , কোনটা বেশি ইতিবাচক ।
তো ভাই ইসলাম নিয়ে বিতর্ক করার কোন ইচ্ছাই আমার নেই আমি আপনাদেরকে শুধু এইটুকু বুঝাতে চেয়েছি যে আপনারা নামে মাত্র মুক্তমনা , আপনি সেটা না বুঝেই উল্টো ছালায় গিট মেরেছেন। আপনাকে তওবা করে লেখা বন্ধ করতে বলছি না তাতে একজন লেখক হারাবো , তাই বলি থুক্কুরি অনুরোধ করি যে আমাদের মুল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির সার্বজনিন সীমাবদ্ধতা এবং কোন দৃষ্টিভঙ্গিগুলো ধর্ম ,বিজ্ঞান, দর্শন এর জন্য আলাদা আলাদা ভাবে সার্বজনিন নিরপেক্ষভাবে এই নিয়ে লিখুন বা যদি লিখেও থাকেন ,বলুন, তারপর না হয় আপনার সাথে দলিল দস্তাবেজ নিয়ে জমিয়ে বিতর্ক করবো । আর যদি মুল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির সার্বজনিন বিষয় গুলো স্পষ্ট করে সবার সামনে তুলে ধরতে না পারেন হয়ত আপনার দলে লোক ভিড়বে ঠিক একেক জন একেক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যাদের দিয়ে কোনোই কাজে আসবেনা , কথাগুলো ইতিবাচকভাবে নিবেন আপনাকে ছোট করার কোনো উদ্দেশ্য আমার নেই 🙂
@শেরতনুজ ঈশান,
তাই নাকি ? তো এটা কার ইতিহাসে লেখা ? আপনার নিজের বুঝি ?
অন্যায় ভাবে হত্যা করত? হা হা হা ., মোহাম্মদ নিজে যেভাবে নিরীহ মানুষ খুন করেছে আশা করি বানু কুরাইজা ও খায়বারের হত্যাকান্ড তার জন্যে যথেষ্ট প্রমান। মদ খাওয়া দুনিয়াতে হারাম আর মোহাম্মদের বেহেস্তে মদের নহর প্রবাহিত হচ্ছে, হা হা হা । নারীদের প্রতি অবিচার? দারুন বলেছেন। নারীকে দেন মোহর দিয়ে বিয়ে করে তার পর তাকে যৌনদাসী বানানো একটা স্থায়ী বেশ্যাবৃত্তি ছাড়া আর কি। আর যখন তাকে ভাল লাগবে না স্রেফ তার দেন মোহর দিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে আর একটা বিয়ে কর। আহ কি মধুর ইসলাম। কোরানের ৪:২৪ আয়াত বলছে দাসী ও বন্দি নারীদেরকে ধর্ষন করতে, অর্থ দিয়ে সাময়িক বিয়ে করে যৌন উপভোগ করতে, নারীরা হলো পুরুষের অর্ধেক মর্যাদার কারন তাদের বুদ্ধি সুদ্ধি কম, নারীরা হলো কুত্তা ও গাধা সমান, ৪:৩৪ মোতাবেক সামান্য মনোমালিন্য হলেই পাষন্ড স্বামী তার স্ত্রীকে পিটিয়ে পিঠের ছাল চামড়া বা হাড্ডি গুড্ডি ভেঙ্গে ফেলে রাখতে পারবে তা আল্লাহর হুকুম, নারীকে যেমন ইচ্ছা খুশী ভোগ করা যাবে সেখানে নারীটার কোন ইচ্ছা অনিচ্ছা নাই, স্বামী যতই পাষন্ড ও বদমাশ হোক না কেন তার অনুমতি ছাড়া স্ত্রী তাকে কোনমতেই তালাক দিতে পারবে না্ আরও বলব ? এই হলো ইসলামী মতে নারীর মর্যাদা দিয়েছে আল্লাহ । এই সব হলো আমাদের বক্তব্য তাই না ?
তারপর,
এটাও আমাদের বক্তব্য তাই না ? আমি তো কোন বক্তব্য না দিয়ে স্রেফ হাদিস ও ইবনে কাথিরের তাফসির থেকে তুলে দিয়েছি নিজে কখন বক্তব্য দিলাম ?
মিয়া, ফাতরামি করার যায়গা পান না ? যান ভাল করে কোরান হাদিস পড়ে এখানে মন্তব্য করবেন।
এডমিনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ:
যুক্তি হীন পাগলের প্রলাপকে মন্তব্যের নামে প্রকাশের ব্যপারে সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ করছি।
@ভবঘুরে,
আরে রাখেন মিয়া , আপনার কি টাইম মেশিন আছে নাকি ? নতুন নতুন ইতিহাস তৈরি করছেন ? হতেও পারে কওয়া যায় না মানুষে প্রান তৈরি করল ! ঘরে বসে কিছু লোক তা বিশ্বাসও করলো। যদি কন ” কোরানের ৪:২৪ আয়াত বলছে দাসী ও বন্দি নারীদেরকে ধর্ষন করতে, অর্থ দিয়ে সাময়িক বিয়ে করে যৌন উপভোগ করতে, নারীরা হলো পুরুষের অর্ধেক মর্যাদার কারন তাদের বুদ্ধি সুদ্ধি কম, নারীরা হলো কুত্তা ও গাধা সমান, ৪:৩৪ ” তবে বলল বাড়িতে বসে নিজে নিজে বানাচ্ছেন আর আন্যের (ইবন কাথির/কাছির) নামে চালাচ্ছেন ।
এই সব আজাইরা বানীর কোনোই অস্তিত্ব নাই থাকলে ১৪০০ শো কেন ১৪ দিনও ইসলামের অস্তিত্ব থাকত না কারন আপনার মত লেখক খালি আপনিই নন এরকম অনেক লেখক ছিল ,আছে , তাদের যুক্তি যথেষ্ট শক্তিশালী । খালি বলেন যে যুক্তি দেন-যুক্তি দেন । আপনি যে লেবেল লাগান ভুল বই পরেন নাই তার পিছনে যুক্তি কি ? আপনি যদি সৎসাহস রাখেন তো টিভিতে আসেন সবাই আপনাকে দেখুক , শুনুক, জানুক । ঐ জোকার নায়েকের সাথেই কথা বলেন ইসলামের মত উনিও ফোকাসে আছেন । খালি যন্ত্র দিয়ে ঘরের কোনায় বসে লেখালেখি করে কয়দিন চালাবেন ?
এডমিনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ:
যাদের দৃষ্টিভঙ্গির সিমাবদ্ধতা রয়েছে তারা মুক্তমনা নন ,দয়া করে তদেরকে সদস্য পদ থেকে বাতিল করে সহজ মানুষদের বিভ্রান্তি পথ থেকে বাচান ।
@শেরতনুজ ঈশান,
“যদি কন ” কোরানের ৪:২৪ আয়াত বলছে দাসী ও বন্দি নারীদেরকে ধর্ষন করতে, অর্থ দিয়ে সাময়িক বিয়ে করে যৌন উপভোগ করতে, নারীরা হলো পুরুষের অর্ধেক মর্যাদার কারন তাদের বুদ্ধি সুদ্ধি কম, নারীরা হলো কুত্তা ও গাধা সমান, ৪:৩৪ ” তবে বলল বাড়িতে বসে নিজে নিজে বানাচ্ছেন আর আন্যের (ইবন কাথির/কাছির) নামে চালাচ্ছেন ।”
তা ভাই কোরানের আয়াত ৪:৩৪ , ৪:২৪ আসলে কি বলেছে আমাদের সেটা না হয় আপনি ই বলুন, ভবঘুরে ভাই এর লেখা না পরে আপনার কাছ থেকেই শুনি ঐসব আয়াত সম্পর্কে. ভাই রে এখানে যারা লেখা পড়ে তারা ভাববেন না এইসব লেখা পড়ে ই খান্ত হয়, সাথে সাথে ক্রস চেক করে নিতে তারা ভোলে না, আর আপনার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে সেটা হলো আপনি হয়ত চোট বেলা থেকে যা শুনে বা বুঝে এসেছেন এখন তার বিরুদ্ধ মতের কথা শুনবার পর কিছুতেই সেটা মানতে পারছেন না, তাই যত সব অপ্রাসঙ্গিক উল্টা পাল্টা প্রশ্ন/প্রসঙ্গ উত্থাপন করছেন
@শেরতনুজ ঈশান,
তার মানে বলছেন কোরানে ঐসব বানী নাই ? এসব ভূয়া বানী ? এবার নতুন কথা শোনালেন ভাই। একই সাথে ধরে নেয়া যায় আপনার কাছে আসল বানী সমৃদ্ধ কোরান আছে। তাহলে সেটা এখানে প্রকাশ করছেন না কেন ? আমরা সবাই সেটা দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।
http://www.abnsat.com এখানে যান , দেখুন কি ভাবে ও কত প্রকারে টিভিতে বলছে। অপেক্ষা করুন আরও টিভি বের হবে। মানুষ সব এখন জানতে পারবে। এটা মিডিয়ার যুগ, মিথ্যা ও চাপাবাজির দিন শেষ।
@শেরতনুজ ঈশান,
আপনার যা স্ট্যান্ডার্ড, তাতে আপনি ভবঘুরে ভাইয়ের লেখা মাথায় ধুকাতে পারবেন কেন?উনি কোন কথাটা দলিল দস্তাবেজ ছাড়া বললেন একটু দেখান তো আমাকে। দেখাবেন ? নাকি পিছলে যাবেন?
@অচেনা,
যেহেতু আপনার লেখকের ভাষা মাথায় ঢুকাতে পারছি না , বুঝতে হবে যে আপনার লেখক অসাধারন লেখক! , মানে তার লেখা সাধারনের বোধজ্ঞানের বাইরে , সেই জন্যে আগের মন্তব্য গুলোতে উনাকে সর্বসাধারনের উপযোগি হয়ে আসতে বলেছিলাম কিন্তু তা উনার ইগোতে লেগেছে ।নিরপেক্ষ হয়ে নিজের খেয়াল নিন , একজনের ইগোকে নাই বা উস্কে দিলেন ।
@শেরতনুজ ঈশান,
রোজা রাখলে তো মাথায় ঢুকতে পারবে না। আর এক টা কারনে হয়তো বা, মাথায় ঢুকতে পারছে না, সেটা হল মাথায় কম থকলে। আর যদি মাথায় কম থাকে তাহলে ২ মাস ভাল মত মুক্ত মনা ব্লগ টা পড়েন।তারপর মাথার টিউমার টা যদি ১টু বাড়ে। :rotfl: :-O
পাবলিসিটি ২ ধরনের –
১। ভাল পাবলিসিটি
২। ময়লা দুঃগন্ধ যুক্ত পাবলিসিটি।
মক্তমনা তে আপনার ময়লা দুঃগন্ধ যুক্ত পাবলিসিটি হচ্ছে , সেটা বুজতে পারছেন তো। 😕 অবশ্য বুজবেন কি করে বুজার ক্ষমতা ও নাই, সব বুঝ দিয়া আইছেন (গাভী)আল্লারে।
এই গুলা লেখি যাতে মুক্তমনার পাবলিক রা মুক্ত মনে হাঁসতে পারে।ভাইজান আপনে তো বেরসিক মানুষ ,এত রস কষ কম হইলে কমনে হইব।
@শেরতনুজ ঈশান, আসলে কি জানেন? সোজা জিনিস আপনাদের মাথায় ঢোকে না।কাজেই আর কিবা করার আছে?কারো ইগো উস্কে দেয়া কাজ নয় আমার। আমি আপনাকে বলতে চাচ্ছি যে একটু চিন্তা করে দেখুন, যুক্তি গুলোর যদি কোন অসংলগ্নতা দেখাতে পারেন, সেটা দেখান। অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করে কি প্রমাণ করতে চান বুঝি না!
@শেরতনুজ ঈশান,
ভাই শেরতনুজ ঈশান,
কোরানের নিম্নোক্ত আয়াত অনুসারে, আপনি কী সত্যিই বিশ্বাষ করেন, যে এই পৃথিবী ৭টি তবক বা তাকে তাকে বিভক্ত?
একটু ব্যাখ্যা করে আমাদেরকে বুঝাবেন কি?
নীচ বিখ্যাত তাফছীর কারক জালালাইন ও এবনে কাথীরের ও অনুবাদ দেওয়া হল।
এ সমস্ত অনুবাদগুলী সঠিক আছে কিনা এটাও একটু জানাবেন, কারন আমরা তো আর আরবী ভাষা জানিনা। আমাদেরকে তো কোরান বুঝার জন্য উনাদের উপর নির্ভর করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা।
স্বাগতম,
ধন্যবাদ আপনাকে কোরান হাদিছ আলোচনায় অংশ গ্রহনের জন। আসুন আমরা খোলা মন লয়ে আমাদের মৌলিক পবিত্র গ্রন্থ কোরান হাদিছ আলোচনা করি।
65:12
اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَمِنَ الْأَرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ الْأَمْرُ بَيْنَهُنَّ لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا 12
আল্লাহ সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীও সেই পরিমাণে, এসবের মধ্যে তাঁর আদেশ অবতীর্ণ হয়, যাতে তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু তাঁর গোচরীভূত।
65:12
TAFSIR JALALAIN
{ ٱللَّهُ ٱلَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَٰوَٰتٍ وَمِنَ ٱلأَرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ ٱلأَمْرُ بَيْنَهُنَّ لِّتَعْلَمُوۤاْ أَنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ ٱللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْماً }
it is Who created seven heavens, and of earth the like thereof, that is to say, seven earths. The command, the revelation, descends between them, between the heavens and the earth: Gabriel descends with it from the seventh heaven to the seventh earth, that you may know (li-ta‘lamū is semantically connected to an omitted clause, that is to say, ‘He apprises you of this creation and this sending God down [that you may know]’), that God has power over all things and that God encompasses all things in knowledge.
65:12
IBN KATHIR
12. It is Allah Who has created seven heavens and of the earth the like thereof. His command descends between them, that you may know that Allah has power over all things, and that Allah surrounds all things with (His) knowledge.)
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজানে কি দেলোয়ার সাইদির মতো ওয়াজকারী হতে চান নাকি ? যেভাবে ইবনে কাথির ও জালালাইন নিয়ে টানা টানি শুরু করেছেন তাতে সেটা হতে আর দেরী নেই। তবে আমি বহু ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে দেখেছি ওয়াজকারী হতে বেশী জানার দরকার পড়ে না। কিছু আয়াত , হাদিস আর চাপাবাজি করতে জানলেই ভাল ওয়াজকারী হওয়া যায়।
@ভবঘুরে,
এই হাদিস টার লিঙ্ক দেন না।
@নেটওয়ার্ক,
পাবেন এখানে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
http://www.banglakitab.com/BukhariSharif/BukhariShareef-ImamBukhariRA-Vol-6-IntroAndPage-106-161.pdf
এই লিংক গেলাম কিন্তু page তো খালি দেখায়।
@নেটওয়ার্ক,
http://www.banglakitab.com/BukhariSharif/BukhariShareef-ImamBukhariRA-Vol-6-IntroAndPage-106-161.pdf
আপনার এ লিংক ঠিকই আছে। আমিতো CNTRL ও ডবল ক্লিক করে সংগে সংগে প্রথম পৃষ্ঠায় পৃ-১০৬ এ ঢুকতে পারতেছি। ওখান থেকে ১১৮ পৃষ্ঠায় গেলে উক্ত ১৯১৭ নং হাদিছ পাইবেন।
এর ইংরেজীটাও দেখতে পারেন এখানে
BOKHARI BOOK 54, NO 421
Narrated Abu Dhar: The Prophet asked me at sunset, “Do you know where the sun goes (at the time of sunset)?” I replied, “Allah and His Apostle know better.” He said, “It goes (i.e. travels) till it prostrates Itself underneath the Throne and takes the permission to rise again, and it is permitted and then (a time will come when) it will be about to prostrate itself but its prostration will not be accepted, and it will ask permission to go on its course but it will not be permitted, but it will be ordered to return whence it has come and so it will rise in the west. And that is the interpretation of the Statement of Allah: “And the sun Runs its fixed course For a term (decreed). that is The Decree of (Allah) The Exalted in Might, The All-Knowing.” (36.38)
@ভবঘুরে,
কিন্তু চাপাবাজী দিয়ে আর কতদিন চালানো যায়। এসব চাপাবাজী তো এখন জনগনের কাছে প্রকাশিত হয়ে যাচ্ছে।
ভাইজান, আমার বড় আশা ছিল এটা দেখতে যে ঊনি (জনাব শেরতনুজ ঈশান সাহেব) কিভাবে কোরানের উক্ত আয়াত অনুসারে এটা স্বীকার করে নেন যে আমাদের এই পৃথিবী ৭টি স্তরে সাজানো।
শুধুই তাই নয় ,ডঃমুজিবুর রহমান সাহেবের বংগানুবাদ এবনে কাথিরেও দেখুন, উনি এই আয়াতের ব্যাখ্যায়, বিশ্বস্ত হাদিছ এনে দেখিয়েছেন, সেই সমস্ত স্তরে স্তরে অনেক নবীরাও রয়েছেন। এটা কোন ইমানদার ব্যক্তির অস্বীকার করার ক্ষমতা নাই।
অতএব এটা অস্বীকার করার অর্থ দাড়াবে, আল্লাহর বানীকে অস্বীকার করা, তথা কাফের হয়ে যাওয়া।
কিন্তু ভাইজান বড় দুখের বিষয় উনি (জনাব শেরতনুজ ঈশান সাহেব) এ বিষয়ে আর আলোচনায় এলেন না।
কী আর করতে পারি বলুন?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাই জানিনা আপনি চাপাবাজী বলতে কি বুঝেন বা বুঝাতে চাইছেন সেটা আপনিই ভাল জানেন , অবশ্যই আপনার প্রশ্নের উত্তর দেব সেই ফাকে আপনার মনের হাবল টেলিস্কোপের যন্ত্রাংশ গুলো ভালকরে পরিস্কার করে নিন কারন আমি আপনাকে আকাশ দেখাব , হয়ত যন্ত্রাংশ মহাজাগতিক ধুলোয় ভরে আছে তাই মোছার নেকরা হিসাবে সম্প্রতি করা আমার মন্তব্যটি কয়েকবার বুঝে পড়ুন, কেন বলছি ? কারন সেখানে মনের টেলিস্কোপ মোছার কিছু দরকারি নিয়ম পাবেন । মনে রাখবেন অবশ্যই আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দেব কিন্তু তার আগে আমি আপনাকে যেনে নিই কারন একটা কথা আছে “যেমন রোগী/রোগ তেমন ঔষধ ”
আমি কিছু প্রশ্ন করব দয়া করে উত্তর দেবেনঃ কোন কিছু গোপন করবেন না
১। আপনি ঈশ্বরবাদি নাকি নাস্তিকবাদি ?
২। আপনি ঈশ্বরবাদি কিংবা নাস্তিকবাদি সে যে বাদেই বিশ্বাসী হন তার পেছনে আপনার চুড়ান্ত যুক্তিগুলো কি কি ? (Note:আবারও বলছি কোন কিছু গোপন করবেন না)
৩। আপনি আগে কোন বাদে বিশ্বাস করতেন ?
৪। আপনি যদি ঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী হন তবে তা কয়জন ? আর যদি নাস্তিকবাদে বিশ্বাসী হন তাহলে তো কথাই নেই ।
তাহলে মহাজাগতিক ধুলো ছাফ করুন আর প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিন , আপনার প্রশ্নের উত্তর ঠিক সময়ে পেয়ে যাবেন ।
কথা দিচ্ছি সংগেই থাকব। 🙂
@শেরতনুজ ঈশান,
চাপাবাজীর কথা আমি আর কীই বা বলতে পারি। দুই একটা চাপাবাজীর নমুনা পেয়ে যাবেন এখানেই। দেখুন তো নীচে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বোখারীর হাদিছটা।
আপনি কী তাহলে মনেপ্রানে বিশ্বাষ করেন সূর্যটা প্রতিদিন শয়তান ইবলিসের মাথার দুই পার্শের ভিতর দিয়ে উদয় ও হয় এবং অস্ত ও যায়?
আপনি ইমানের সংগে একটু বলুন তো? সূর্য প্রতিদিন শয়তান ইবলিসের মাথার দুই পার্শের ভিতর দিয়ে উদয় ও হয় এবং অস্ত ও যায় কিনা?
আপনার সব প্রশ্নের উত্তর আমি দেব। আগে এই মৌলিক বিষয় গুলীর সমাধান দিন।
BOKHARI BOOK 54#494
494 Narrated Ibn Umar: Allah’s Apostle said, “When the (upper) edge of the sun appears (in the morning), don’t perform a prayer till the sun appears in full, and when the lower edge of the sun sets, don’t perform a prayer till it sets completely. And you should not seek to pray at sunrise or sunset for the sun rises between two sides of the head of the devil (or Satan).”
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনাকে আমি যে প্রশ্ন গুলো করেছি তার উত্তর যদি আপনি না দেন তাহলে বুঝব কি করে যে কোন উত্তরতা আপনার জন্যে উপযুক্ত তার কারন আমি বিশ্বাস করিনা যে আপনি একজন মুক্তমনা ।
@শেরতনুজ ঈশান,
ভাই বুঝলাম যে আপনি একজন বিজ্ঞ ব্যক্তি। তো কিছু জ্ঞ্যান দান করে আমাদের একটু বিজ্ঞ ভাবার সুযোগ দিয়ে কৃতার্থ করুন। উপরে আঃ হাকিম চাকলাদার ভাইয়ের প্রশ্ন গুলো হল সার্বজনীন এবং আস্তিক বা নাস্তিক বা যে কোন কারো জন্য এর উত্তর হবে কিন্তু একটাই (যে প্রযুক্তিই ব্যবহার করেন না কেন), তাই উনার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উনি আস্তিক কি নাস্তিক বা উনার জন্য কোন উত্তর উপযুক্ত, সেটা খোঁজা কি বেশী গুরুত্বপূর্ণ? তাছাড়া, আপনাকে ও তো এখানে সবাই বলতে পারে, আপনি মুক্তমনা নন- যেভাবে নিজেকে জাহির করছেন, এতে কিন্তু মনে হয় না আপনি মুক্তমনা। ভবঘুরে ভাই তো আপনার সাথে তর্ক করছে না বরং আপনি বা কেন রেফারেন্স দিয়ে এটাকে বিতর্কে রুপ দিচ্ছেন না- তাতে তো আমাদের সবাই সত্য টা জানতে পারব। আশা করি ভুল বুঝবেন না এবং দয়া করে কাউকে অজ্ঞ ভেবে নিজের অজ্ঞতা প্রকাশ করবেন না। এতে সবার সম্মান থাকবে। বিতর্কে আসুন, উপভোগ্য করে তুলুন এবং সুযোগ দিন অন্যদের-নতুন কিছু শেখার। ভালো থাকবেন।
@সুকান্ত,
কারন রাতকানার রুগিকে চর্মরোগের ঔষধ দিতে নাই ।
তো একটু জ্ঞান লেন কৃতার্থ হোন “যে প্রকৃত অজ্ঞ তাহাকে অজ্ঞ বলিলে সে ক্ষেপিয়া :-X জলোবলো হইয়া পরে এবং কিছু আবোল তাবোল বাক্য চয়ন করত এমন আচরন করে যেন সে নিজের মাথা নিজেই খুটিয়া :-Y মরে তাহা দেখিয়া আমি মৃদু হাস্যে তালি বাজাই :clap । এবং মনে মনে কই ইহাই তো চাহিয়া ছিলাম , আজিকে পরিচয় পাওয়া গেল” ।
যেমন ধরুনঃ
তাহলে বুঝেন কার কথা শুনা উচিত ? একজন মূর্খও আপনাকে অজ্ঞান বলতেই পারে তার দৃষ্টিকোন থেকে কিন্তু আপনি রেগে গিয়ে তাকে আক্রমন করতে পারেন না ।
ধন্যবাদ আঃ হাকিম চাকলাদারের হয়ে কথা বলার জন্যে ।
@শেরতনুজ ঈশান,
আমার কমেন্টে যদি আপনি কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। একটা ব্যাপার এখনো বুঝছি না, আপনি কেন বিতর্ক করতে চাচ্ছেন না যখন আপনি জানেন যে সর্ব রোগের ওষুধ আপনার কাছে আছে সেটা রাতকানা বা চর্ম রোগ যাই-ই হোক। আপনার কোন কমেন্টেই কিন্তু কোন যুক্তি বা কোন প্রশ্নের উত্তর দেখছি না বরং আপনি যাদেরকে অজ্ঞ ভাবছেন, তাঁদের মতই আপনি কমেন্ট করছেন- তাহলে ওদের সাথে আপনার পার্থক্য টা রইল কোথায়? এধরনের আচরন কোন বিজ্ঞ ব্যক্তির কাছ থেকে কেউ আশা করে না বলেই জানি। আসুন, বিতর্কে যোগ দিয়ে আপনার যুক্তি উপস্থাপন করে দেখুন একবার- যদি মনে করেন, মুক্তমনা তে কারো আপনার জ্ঞ্যান বা যুক্তি বোঝার মত ক্ষমতা নেই-তখন না হয় বেরিয়ে যাবেন!!!
মূর্খ যে কোন কাউকেই তো অজ্ঞ বলতে পারে- সেজন্য বিজ্ঞজন ঐ মূর্খের সাথে কিন্তু তর্কে জড়ায় না বা রেগে যায়না বরং বোঝানের চেষ্টা করে- এটা আমার অভিমত। আর
ধন্যবাদ জানবেন আমাকে জ্ঞ্যান দানের জন্য। কৃতার্থ হলাম। অপেক্ষায় রইলাম আপনার রেফারেন্স সহ যুক্তির ধার দেখার জন্য। আশা করি বিমুখ করবেন না আমাদের কে। যদি ধর্ম নিয়ে না চান, তবে বিজ্ঞান নিয়ে হলে ও আসুন চাকলাদারের ভাইয়ের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য। তখন আমি ও চেষ্টা করব আমার সীমিত জ্ঞ্যান দিয়ে আপনার সাথে বিতর্কে জড়ানোর।
@শেরতনুজ ঈশান, ভাইজানের কনফিডেন্স দেখি খুবই বেশি। 🙂
আশা করি বিশ্বের সব মুসলিম উম্মাহ, আপনাদের প্রচারণায় ইসলাম পরিত্যাগ করে, খৃষ্টান হয়ে যাবে।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
আমার পরামর্শ বিশ্বের সমস্ত ধর্মের ও সমস্ত দর্শনবাদী গুরুদের একত্র হয়ে একটা পরস্পর হিংসা বিদ্বেষ হানাহানী ও সংঘর্ষ হীন ও আত্মঘাতি বোমা আক্রমন হীন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় ও দর্শন সংস্থা স্থাপন করা উচিৎ। এটাই এখন বিশ্বে একমাত্র শান্তির উপায়।কী বলেন?
@সিরাজুল ইসলাম,
ভাই, দিন দিন এই ইসলাম ধমের রোগে আপনারে পাইতাছে। :rotfl: ।এইটা হচ্ছে সিজোফ্রেনিয়া রোগের মত, (দিন দিন পাগল হবেন তাও মনে করবেন সুস্থ্, , এইটা হচ্ছে সিজোফ্রেনিয়া রোগের লক্ষণ) ।
আ-কার , ই-কার ছাড়া জ্ঞানি (সিরাজুল ইসলাম)।আমাদের খৃষ্টান বানানো উদ্দেশ্য না। আমাদের উদ্দেশ্য প্রকৃ্ত সত্য তুলে ধরা। তাতে কারো মন খারাপ বা ভাল হোক, আমাদের কিছু যায় আসে না।
ভাই আপনে ডাক্তার দেখান (ইসলামের ডাক্তার না MBBS ডাক্তার দেখান ) জোকার নায়েকে যদিও mbbs ডাক্তার,তার থেকে সাবধান (গেলে ফুল পাগল বানাইয়া দিব) :guli:
@ভবঘুরে
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে , না ভাই আমি ইংল্যান্ড এ থাকিনা, তবে ইউটুবে বেশ কিছু প্রপাগান্ডা ভিডিও দেখেছিলাম, তাই বললাম, আর বলব নাই বা কেন বলুন , ইংল্যান্ড এর কোন মন্ত্রীর শালী ইসলাম গ্রহণ করলো কি করলো না সেটা নিয়েও প্রথম আলোর মত পত্রিকা তে হেড লাইনে সংবাদ হয়, কিন্তু ওই আপনার কথাই হয়ত ঠিক, তারা তো আর অন্য কে ইসলাম তাগ করলো তা নিয়ে সংবাদ লিখে না, আর মহিলা দের কথা যা বললেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু আমার আরো একটা জিনিস মনে হয়, শুধু ইসলাম এর বাণী শুনে মুগ্ধ হয়ে তারা এ পথে পা বাড়ায় তা হয়ত নয় , ভারত এ “লাভ জিহাদ ” এর কথা শুনেছেন হয়ত , সেরকম ব্রিটেন এও হয়ত কিছু মুসলিম যুবক শুধু মাত্র কনভার্ট করিয়ে বেহেস্তে যাবার টিকেট কনফার্ম করতেই হয়ত এই মেয়েদের এই কনভার্ট এর পথে নিয়ে আসে , কিন্তু ইউটুবে এর ভিডিও গুলোতে হয়ত এমন ভাবে প্রকাশ করে যে মনে হয় ইসলাম এর মধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ই তারা এ পথে এসেছে, কিন্তু পেছনের কারনটা চেপে যাওয়া হয়
@প্রত্যয়,
ইসলামের আসল চেহারা কিভাবে প্রচার করা হচ্ছে জানতে এখানে যান http://www.abnsat.com এটা একটা টিভি সাইট। গিয়ে দেখুন ইসলামী পন্ডিতরা কিভাবে তুলো ধুনো হচ্ছে ক্রিশ্চিয়ান পন্ডিতদের কাছে। যদিও এটা একটা খৃষ্টিয়ানীটি প্রচারের টিভি কিন্তু তারা ইসলামটাকে ভালই তুলে ধরছে সবার সামনে। ইসলাম সম্পর্কে ভাল জানতে যেতে পারেন http://www.faithfreedom.org or http://www.answering-islam.com
এ কি শুরু করেছেন ভাই 😕 আপনার এই সিরিজটির জন্য আমার রুমমেট নিজের ইমান রক্ষার্থে সিট ছেড়ে দিল :-Y
তর্ক করার জন্য পরিমিত তথ্য তো আপনিই জোগান দিয়েছেন তাই আমার বন্ধুটিকে উচ্ছেদ করার জন্য আপনিই দায়ী 😀
হায়রে ইমান :-X ঘর ছাড়বে তাও ইমান ছাড়বে না :-O
@মহন,
আপনার বন্ধু তো ঠিক কাজই করেছে। আপনার কারনে সে ৭২ টা হুর থেকে বঞ্চিত হবে , তা তো হয় না ।
ভবঘুরে ভাই, যদিও আপনি বললেন ইসলামিক প্রপাগান্ডা যত বেশি পশ্চিমা দেশ গুলো তে হবে, তত বেশি ফানুস ফেটে যাবে, আমি কিন্তু তার সাথে এক মত হতে পারলাম না, যেভাবে ইউরোপে এ বিশেষ করে ইংল্যান্ড এ ইসলাম এ কনভার্ট এর সংখা বাড়ছে তাতে কিন্তু একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে
@প্রত্যয়,
খালি কনভার্টের সংখ্যা দেখলেন ? যারা ইসলাম ত্যাগ করছে তাদের সংখ্যার তো কোন পরিসংখ্যান নেই। পশ্চিমা দেশ সমূহে যারা না বুঝে ইসলাম গ্রহণ করে , কয়েক বছর যাওয়ার পরই তাদের মধ্যে অধিকাংশই ইসলাম ত্যাগ করে, তবে তার কোন পরিসংখ্যান নেই। ইসলামে আসার আগে তারা ইসলামের ভাল ভাল কথা শোনে, অত:পর ইসলাম গ্রহনের পর কোরান ও হাদিসে আসল ইসলামের খোজ পায়, মসজিদে গেলে ইমামদের কাছ থেকে আসল ইসলামের কথা জানে আর তখন তাদের সম্বিত ফেরে। আপনি ইংল্যন্ডের কথা বললেন ? আমি বলে রাখলাম, ওই ইংল্যান্ড থেকেই ইসলামের পতন শুরু হবে , ইতোমধ্যে শুরু হয়েও গেছে। কিভাবে জানেন ? ওখানে ইসলামের নামে কিছু উগ্রবাদী যা করছে যা বলছে, তাতে বৃটিশরা সহ সারা বিশ্ব জেনে যাচ্ছে ইসলাম আসলে কি জিনিস। আপনি কি বৃটেনে থাকেন ? যদি থাকেন তাহলে মসজিদে গিয়ে দেখবেন ওখানে মুসল্লিরা সবাই উপমহাদেশ বা আফ্রিকা থেকে আগত লোকজন। খোদ বৃটিশ বংশোদ্ভুত কাউকে তেমন খুজে পাবেন না। এটা আমেরিকার ক্ষেত্রেও প্রজোয্য। তাহলে কনভার্টের সংখ্যা বাড়ল কেমনে ? এটাও কিন্তু এক মহা মিথ্যা প্রচারনা। তবে হ্য, কিছু সিঙ্গেল নারী মুসলমানদের ফাদে পড়ে বিয়ে করে আর অনেক সময় না জেনে ইসলাম গ্রহণ করে। কিন্তু কিছু কাল পরেই তাদেরও সম্বিত ফেরে, ও ইসলাম ত্যাগ করে। একটু খোজ খবর নিন, প্রমান পাবেন। আমি অনেক প্রমান পেয়েছি। আপনি যেটা বলেছেন সেটা হলো মোল্লাদের মিথ্যা প্রপাগান্ডা। আর একটা কথা ,. কোন লোক ইসলাম গ্রহণ করলে বিশেষ করে সে লোক একটু নামকরা কেউ হলে, ইসলামি বিশ্বে যে ভাবে ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার শুরু করে, কেউ খৃষ্টান বা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করলে তা কি খৃষ্টান বা হিন্দুরা করে? করে না । তেমনি যারা ইসলাম গ্রহণ করার পর তা ত্যাগ করে চলে যায় , তারা কি পরে এসে প্রচার করে যে সে তা ত্যাগ করেছে ? করে না , ইসলামিক মিডিয়া বেমালুম তা চেপে যায়।
উৎসাহ তো পাবেই। মসজিদের ইমাম সাহেবরা তো জুমার দিন অনবরত বলতেছেন বিজ্ঞানী আইনষ্টাইন,গ্যালিলিও,নিউটন যা কিছু আবিস্কার করেছেন সব কিছু কোরানের অমুক অমুক আয়াত হতে করেছেন,চাই সেখানে সেই সম্পর্কিত বিষয় থাকুক আর নাই থাকুক।
আর প্রায় ৯৯% ইমান্দার বান্দা গন সেই মিথ্যা কথা শুনতে ও বিশ্বাষ করতে অতিশয় আগ্রহী।
এই কারনেই কোন একজন নামাজী (যে কোরানের অর্থ বুঝতে পারে)অসহ্য হয়ে মন্তব্য করেছে এ সমস্ত মিথ্যাবাদীদের কথা শুনলে বা এদের পিছনে নামাজ পড়লে জাহান্নামে যেতে হবে।
তবে এই হল অবস্থা ইসলাম ধর্মের।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
বানরের হাতে বর্শা পড়লে ঘুমন্ত মালিকের কি অবস্থা হয় জানেন তো ? মুসলমানদের অবস্থাটা অনেকটা সেরকম। কিছু মূর্খদের হাতে পড়েছে ইসলাম আর তারাই এর প্রচারকারী ও সংরক্ষনকারী। ফলাফল তো দেখতেই পারছেন।
@ভবঘুরে,
ভাইজান, একেবারে মনের কথাটা বলেছেন।
একজন নিয়মিত নামাজী, যিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি হতে বিজ্ঞানে মাস্টারস, এদেশে কম্পিউটার বিজ্ঞানে মাষ্টারস, বড় কোম্পানীতে উচুপদে চাকুরীরত, তাকে একদিন কিছু ধর্মীয় অসংলগ্ন কথাবার্তার কথা বতেছিলাম।
উনি তখন বল্লেন একমাত্র “হাদিছ বোখারী” নির্ভর যোগ্য। কিন্ত উনাকে আমি “হাদিছ বোখারী”র করুন দশা আর দেখাবার সুযোগ পেলামনা। উনি তাড়াতাড়ি কার্যস্থলে গমন করিলেন।
আমার মনে হল উনি বোধ হয় জীবনে “হাদিছ বোখারী”পড়েন নাই,বা কোনদিনও ষ্পর্ষ ও করবেননা।
তা এইতো আমাদের অবস্থা।
Please do not add your personal opinions (regarding Muhammad PBUH) while criticizing Islam.Any comments regarding Islam or Muhammad reveals your hatred against this System.Therefore those who are believers will reject the facts that u are revealing at the very beginning.Keep it simple and comment/opinion free and let the readers decide what is best like the scientific journals.
Now please justify these basics of Islam….
1. Sex with slaves (girls).
2. Killing of Prisoners of War (lets can it that those were really war against the jews).
3. Forceful sex with the women of conquered race.
4. Women are half of Men.
5. “Miraaj” (Please with facts and theory and/even! with the hypotheses of modern astrophysics)
A tips if u travel at light speed ur time freezes but not earths time so when the prophet came back he shouldnt have returned to 1800/1900 AD. Not at his time)
Thanx and again no comments please as that questions your vary neutrality
প্রথমবার বলে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করা হল। পরবর্তীতে ইংরেজিতে করা মন্তব্য প্রকাশ করা হবে না।
মুক্তমনা মডারেটর।
@থম4thetruth,
বাংলা লেখার জন্য অভ্র কি বোর্ড solaiman lipi font ব্যবহার করুন
@থম4thetruth,
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন।
এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল।
আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। কোরান, আল আহ যাব-৩৩:৫০
ভাইজান ১ টু ভাল মত পড়বেন।
তারপরও আপনারা চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে কেন বিয়ে করেন?
@থম4thetruth,
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। কোরান, আল আহ যাব-৩৩:৫০
@থম4thetruth,
এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে, তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।সূরা আল মুমিনুন, ২৩: ৫-৬
সম্পূর্ণ একমত। যারা হাদিছকে অস্বীকার করতেছে, তারা মূলতঃ নবীকে ও কোরান কে ও অস্বীকার করতেছে।
আমি যে সমস্ত ধর্মপ্রান লোকদের দেখি এরা অশিক্ষিত হোক বা বড় বড় ডিগ্রীধারীই হোক, মূলতঃ কোরান হাদিছের অভ্যন্তরে কী আছে সে সম্পর্কে বোধ হয় ১%ও জ্ঞান নাই। আর তা ছাড়া সব কিছু আরবী ভাষার মধ্যে আবদ্ধ রাখাটা কোরান হাদিছের জন্য একটা মস্তবড় রক্ষাকবচ হিসাবে কাজ করছে, এবং অধিকাংশ মানুষের ধরা ছোয়ার নাগালের বাইরে থাকতেছে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
জ্ঞান নেই কিন্তু কোন বিষয়ে প্রশ্ন করলে নিজেরা না জানা থাকা সত্ত্বেও দাবী করবে সব সমস্যার সমাধান কোরান ও হাদিসে আছে, এটা তারা বলে কেন , কোথা থেকে এটা বলার উৎসাহ পায় ?
একেবারে ঠিক কথা বলেছেন ভাইজান। কোরান-হাদিছ পরস্পর মারাত্মক সাংঘর্ষিক। এখন বুঝতে পারছি কেন এমকেফারুক,হাজী সাহেব,সিরাজূল হক সাহেবের মত জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ প্রথম থেকেই হাদিছ সম্পর্কে আলোচনায় আসতে অস্বিকৃতি জানান।
বুঝা যাচ্ছে তারা হাদিছ সম্পর্কে আগেই যথেষ্ট জেনে ফেলেছেন।
এ কারনেই আপনি যদি “সুনান আবুদাউদ” আন্তর্জালে পড়তে যান তাহলে বহু জায়গায় দেখতে পাবেন বহু অসামাজিক হাদিছ নং মাঝখান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ কিছু কিছু নাম্বারের হাদিছ আন্তর্জাল থেকে একেবারেই মুছে ফেলা হয়েছে। দেখা যায় সেসব জায়গায় হঠাৎ করে হাদিছের ক্রম ভেঙ্গে গিয়েছে।
আমি এরকম কয়েক জায়গায় পেয়েছি।
এটা আমি জানতামনা। আমার এক বন্ধু যিনি দীর্ঘ বছর ধরে কোরান হাদিছের পড়া শুনা ও গবেষনা করছেন, তিনি একদিন আমাকে বল্লেন,” জানেন? সুনান আবুদাউদের অনেক হাদিছ ছিল,আগে দেখতে পেতাম, যেখানে বিধর্মিদের স্বামীর উপস্থিতিতেই তাদের স্ত্রীদের কে ধর্শনের উৎসাহ ছিল, সেই হাদিছ গুলী বর্তমানে আন্তর্জাল থেকে কেটে দিয়েছে, কী মারাত্বক ব্যাপার !!তবে পুস্তকে দেখতে পারলে এখনো এগুলী পাওয়া যাবে। আমার কাছে সুনান আবুদাউদ পুস্তক আকারে আছে কিনা জানতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু আমি বল্লাম,আমি পাব কোথায়?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
তাহলে বোঝেন অবস্থা কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু এটা খুবই কাঁচা হাতের কাজ। হুট করে হাদিস গ্রন্থ থেকে কিছু হাদিস সরিয়ে ফেললে তো সমস্যা বরং আরও বাড়ে। তাই নয় কি ? তখন মানুষ প্রশ্ন করার সুযোগ বেশী পায়। যারা হাদিস গায়েব করে দিয়েছে তারা ভাবে হাদিস কেউ পড়ে না। যাই হোক, বর্তমানে দেখা যাচ্ছে হাদিস মানে না , সেদিন আর বেশী দুর নাই যখন কোরানও মুসলমানরা অবিশ্বাস করা শুরু করবে। আপনি নিজেই দেখতে পাবেন। কারন হাদিস অবিশ্বাস করলে মোহাম্মদকে অবিশ্বাস করা হয়, মোহাম্মদকে অবিশ্বাস মানে হলো কোরানে অবিশ্বাস। কি বলেন ?
আমার কাছে ১৪ তম পিডিএফ আকারে আছে কিন্তু বাকি গুলো নেই আমি বাকি গুলো পিডিএফ আকারে পেতে পারি বা ডাউনলোডের অপশন চাই
@আচেনা পথিক,
নিজেই পি ডি এফ তৈরী করে নিন ভাইজান। ডাউনলোডের আবার কি অপশন। কপি পেষ্ট করেন।
না ভাইজান, আমাদের নবিজী আরো বেশী পরিস্কার করে,এমনকি হাদিছের দ্বারাও, কোরান কী বস্তু তা পরিস্কার করে দিয়ে গিয়েছেন।
নীচের আয়াৎ টা দেখুন না, হাদিছটির বক্তব্য অনুসারে প্রথমে আয়াৎটি غَيْرُ أُوْلِي الضَّرَرِ অর্থ “যাদের কোন সঙ্গত ওযর নেই “আল্লাহ পাক ভূল বসতঃ প্রথম বার কথাটি বাদ দিয়ে নবিজীর উপর অবতীর্ণ করে ফেলেছিলেন। এবং ঐটাই ঠিক থেকে যেত, যদি কিনা নবিজীর পিছনে একজন অন্ধ ব্যক্তি যার নাম “আমীর বিন উম মুকতাম” ঐ সময় বসে না থাকতেন এবং তার অন্ধত্বের জন্য আপত্তি না তুলতেন।
তার অন্ধত্বের আপত্তি তুলার কারনেই উক্ত আয়াতে غَيْرُ أُوْلِي الضَّرَرِ অর্থ “যাদের কোন সঙ্গত ওযর নেই ” সংগে সংগে যুক্ত হয়ে বর্তমান আয়াতের আকার ধারন করিয়াছে।
এটা আমার মনগড়া কথা নয়। এখনেই হাদিছটি তুলে দিয়েছি। যে কেহ একটু দেখে নিতে পারেন।
এখানে আল্লাহ কে ত্রুটি পূর্ণ করে ফেলা হয়েছ। আল্লাহ কে অক্ষম ও দুর্বল প্রমান করে ফেলা হয়েছে।
কী মারাত্বক ব্যাপার স্যাপার!!!
আল্লাহর বানী কখনো ত্রুটি পূর্ণ বা অসম্পূর্ণ হতে পারেনা। ভূল ত্রুটি হয় মানুষের।
ভাইজান, এই হাদিছটির উপর আপনিও কী তাহলে আরো একটু বয়ান (তাবলীগীদের ভাষা অর্থ বর্নণা) করিবেন? আমরা সবাই মিলে একটু শুনি।
BOKHARI
Volume 6, Book 61, Number 512:
Narrated Al-Bara:
There was revealed: ‘Not equal are those believers who sit (at home) and those who strive and fight in the Cause of Allah.’ (4.95)
The Prophet said, “Call Zaid for me and let him bring the board, the inkpot and the scapula bone (or the scapula bone and the ink pot).”‘ Then he said, “Write: ‘Not equal are those Believers who sit..”, and at that time ‘Amr bin Um Maktum, the blind man was sitting behind the Prophet . He said, “O Allah’s Apostle! What is your order For me (as regards the above Verse) as I am a blind man?” So, instead of the above Verse, the following Verse was revealed:
‘Not equal are those believers who sit (at home) except those who are disabled (by injury or are blind or lame etc.) and those who strive and fight in the cause of Allah.’ (4.95)
4;95
لاَّ يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُوْلِي الضَّرَرِ وَالْمُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللّهِ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ فَضَّلَ اللّهُ الْمُجَاهِدِينَ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ عَلَى الْقَاعِدِينَ دَرَجَةً وَكُـلاًّ وَعَدَ اللّهُ الْحُسْنَى وَفَضَّلَ اللّهُ الْمُجَاهِدِينَ عَلَى الْقَاعِدِينَ أَجْرًا عَظِيمًا 95
গৃহে উপবিষ্ট মুসলমান-যাদের কোন সঙ্গত ওযর নেই এবং ঐ মুসলমান যারা জান ও মাল দ্বারা আল্লাহর পথে জেহাদ করে,-সমান নয়। যারা জান ও মাল দ্বারা জেহাদ করে, আল্লাহ তাদের পদমর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন গৃহে উপবিষ্টদের তুলনায় এবং প্রত্যেকের সাথেই আল্লাহ কল্যাণের ওয়াদা করেছেন। আল্লাহ মুজাহেদীনকে উপবিষ্টদের উপর মহান প্রতিদানে শ্রেষ্ঠ করেছেন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি ভাইজান কোরানের ভুল ধরছেন। আপনার কি দোজখের ভয় নাই ? হাদিস পড়লে বুঝা যায় কোরান আসলেই আল্লাহর কাছ থেকে আসছিল কিনা। এরকম বহু অসঙ্গতি আছে যা থেকে পরিস্কার বোঝা যায় কোরান মোহাম্মদের নিজের বানী। আমরা তো আর এমনি এমনি এসব বিষয়ে লেখা লেখি করি না। ভাল করে পড়ে বুঝে শুনেই এসব নিয়ে কথা বলি। আপনি আগে পড়তেন না , ইদানিং পড়ছেন আর বুঝতে পারছেন। হাদিসে এধরনের বহু কথা আছে যা ইসলামকে ধুলিস্যাৎ করে দেয়। সেটা বুঝতে পেরে ইদানিং কিছু মানুষ বের হয়েছে যারা হাদিস মানে না ।
@ভবঘুরে,
কোরান-না-মানা মুসলমানের দেখা কবে পাবো? :-s
আরো একটা অনুরোধ: এই টপিকটা নিয়ে আপনার কী মত, যে কোরান আসলে এক প্রাচীন আরবিক-সিরিয়াক ভাষায় লেখা, এবং ৭২ হুরী বলতে আসলে বাহাত্তরটি সাদা কিসমিস বোঝানো হয়েছে?
http://www.atheistfoundation.org.au/forums/showthread.php?t=10681
http://en.wikipedia.org/wiki/The_Syro-Aramaic_Reading_of_the_Koran
Luxenberg tries to show that many obscurities of the Koran disappear if we read certain words as being Syriac and not Arabic. We cannot go into the technical details of his methodology but it allows Luxenberg, to the probable horror of all Muslim males dreaming of sexual bliss in the Muslim hereafter, to conjure away the wide-eyed houris promised to the faithful in suras XLIV.54; LII.20, LV.72, and LVI.22. Luxenberg ‘s new analysis, leaning on the Hymns of Ephrem the Syrian, yields “white raisins” of “crystal clarity” rather than doe-eyed, and ever willing virgins – the houris. Luxenberg claims that the context makes it clear that it is food and drink that is being offerred, and not unsullied maidens or houris.
@কৌস্তুভ,
কিছু ভাবনা।
কার দ্বারা? ধরে নিচ্ছি কোরানের লেখকের দ্বারা। এখানে ডেটা এতো অপ্রতুল যে সম্ভাব্য ব্যাখ্যা বহু। এর মধ্যে সাদা কিসমিস একটা সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হতে পারে। কিন্তু তা নিশ্চিত করার কোনো উপায় সম্ভবত নেই। সেখানে প্রতিটা ব্যাখ্যাতেই এর পাঠক গবেষকদের কৃতিত্ব অনেক। তেমনি শত শত বছরের মুসলমান পাঠকের কৃতিত্ব হলো এর থেকে বাহাত্তরটা হুরিকে বোঝা।
কোরানের উদ্দিষ্ট অর্থ উদ্ধারের যা কিছু উপযোগ, তা তো আছেই। আমার কাছে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় টেক্সটের অথোরিটিকে প্রমাণসহ প্রশ্নসম্মুখীন করা। টেক্সটের অর্থ হুরি নাকি সাদা কিসমিস, টেক্সটের উদ্দিষ্ট নৈতিকতাগুলো বর্তমান সভ্যতার মানদণ্ডে নৈতিক নাকি গর্হিত অপরাধ, সেই বিশ্লেষণে কিন্তু সরাসরি টেক্সটের অথোরিটি প্রশ্নের সম্মুখীন হয় না। কারণ পাঠকের চয়েজ থাকে কোরানের নৈতিকতাটাকেই মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করার, আধুনিক সভ্যতারটাকে বর্জন করার। এমন প্রমাণ দরকার, যেটাকে না মানার চয়েজ থাকে না। এমন সব প্রমাণের একটা লিস্টি খাঁড়া করা দরকার।
এই লাইনে এক নম্বর দাবি হলো – কোরান অপরিবর্তিত ও অটুট। এই মিথ আরও চৌদ্দশ বছর বেঁচে থাকতে পারে না। এ ব্যাপারে খুব গোছানো গবেষণা প্রয়োজন। মুসলমানদেরও তা করা প্রয়োজন। আকাশ মালিক একটা লিংক দিয়েছিলেন, কিন্তু সেটা অপ্রতুল ও রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার্য নয়। সানায় আবিষ্কৃত কোরান নিয়ে একটা ঢাকঢাক গুড়গুড় চলছে। ওটা প্রকাশিত হলে কোরান যে বহু পরিবর্তিত টেক্সট এই দাবিটা শক্তভাবে প্রমাণ হবার খুব সম্ভাবনা আছে।
আর সেটা প্রমাণ হলে কোরানের টেক্সট পড়ে থাকার জোশ অনেকটাই কমে আসবে। কমে আসবে মুসলমানের এক বই নির্ভরশীলতা। এতে নিজস্ব বিচারবিবেচনাবোধ ও তথ্যনির্ভর যাচাইবাছাইয়ের দুয়ার মুসলমানদের জন্যে আরো অনেক উন্মুক্ত হবে।
@রূপম (ধ্রুব),
সানা কি কোন অঞ্চলের নাম? না দেশের? বিস্তারিত জানাবেন কি?
সেটা যদি কোন মুসলিম দেশে হয়ে থাকে তবে সেই কোরান আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা আশংখা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
@রাজেশ তালুকদার,
এই লিঙ্কটা দেখুন |
http://en.wikipedia.org/wiki/Sana%27a_manuscript
@রাজেশ তালুকদার,
সানা ইয়েমেনের রাজধানী। ওখানে পাওয়া কোরানের লিংক প্রীতিভাজন দিলেন উপরে। ওই কোরানের পাতাগুলোর তোলা ছবি সম্ভবত জার্মান এক গবেষকের কাছে আছে। উপরের লিংকটায় দেখুন।
@রূপম (ধ্রুব),
হ্যাঁ, সেটা দরকার তো অবশ্যই, তবে এক্ষেত্রে আমরা যারা কথা বলছি সবাই যে কোরান মহম্মদের মৃত্যুর বহু পরে গ্রন্থিত এগুলো তো জানিই, অতএব আমাদের মধ্যে এমন ইন্টারেস্টিং একটা থিয়োরি নিয়ে কথা বলতে সমস্যা নেই তো।
তবে ওই আশাটা এত দ্রুত বাস্তবায়িত হবে বলে মনে হচ্ছে না। ওই একই জিনিস তো বাইবেলের ক্ষেত্রে বহু বছর আগেই স্কলাররা প্রমাণ করে দিয়েছেন, তাও আমেরিকার এই একবিংশ শতাব্দীতেও এহেন অবস্থা।
@কৌস্তুভ,
অতএব আমাদের মধ্যে এমন ইন্টারেস্টিং একটা থিয়োরি নিয়ে কথা বলতে সমস্যা নেই তো।
সেটাকে আমি অ্যাপ্রিশিয়েট করি।
ওই একই জিনিস তো বাইবেলের ক্ষেত্রে বহু বছর আগেই স্কলাররা প্রমাণ করে দিয়েছেন, তাও আমেরিকার এই একবিংশ শতাব্দীতেও এহেন অবস্থা।
এই প্রমাণটার ফলাফলটাকেও আরেকটু বেশি অ্যাপ্রিশিয়েট করার আহ্বান জানাই। এনলাইটেনমেন্ট এসেছে অথোরিটিকে শুধু প্রশ্ন করেই না, প্রমাণসহ ধ্বসিয়ে দিয়ে। কোরানের টেক্সটকে প্রশ্ন করাটা একই স্পিরিট থেকে বলছি। প্রগতির কথাই যদি বলেন, স্কলারদের ওইসব প্রমাণে সভ্যতা অনেক এগিয়েছে তো বটেই। সবচেয়ে একনিষ্ঠ খ্রিস্টান যাজকটাও শনিবার কাজ করা মানুষকে খুন করার বাইবেলিয় আদেশগুলাকে সিরিয়াসলি নেওয়ার জেহাদি জোশ পায় না।
@কৌস্তুভ,
ভাইজান ৭২ টি হূরী বলতে কি আপনি বেহেস্তের ৭২ টি গনিকার কথা বলিতে চাইছেন যারা হঠাৎ করে কিসমিসে রুপান্তরিত হল?কোরানে কিন্তু আছে তাদের চোখ হবে আয়তকার। কিসমিসের চোখ কিভাবে আয়তকার হবে? হতেও পারে বেহেস্তের মইধ্যে সবই সম্ভব।অবশ্য সুরা আর-রহমানে আরো বলা হয়েছে যে কোন মানুষ বা জ্বীন তাহাদের স্পর্শ করে নাই। এই ইঙ্গিত ময় অশ্লীল আয়াত দ্বারা কি কিসমিস বোঝানো হলো? হইতেও পারে। আমি জানি না আপনি এটাই বোঝাতে চেয়েছেন কি না? ভূল বুঝলে অনর্থক নাক গলানোর জন্য দুঃখিত।
@ছন্নছাড়া,
“বেহেস্তের ৭২ টি গনিকার কথা বলিতে চাইছেন যারা হঠাৎ করে কিসমিসে রুপান্তরিত হল?”
“কিসমিসে রুপান্তরিত হল” বলতে ঠিক কী বোঝাতে চাইছেন নিশ্চিত নই। ওই বইটায় ওই লেখক একটা প্রস্তাবনা এবং তার পেছনে কিছু যুক্তি দিয়েছেন, সেগুলো ভুলও হতে পারে, সেটাই ভবঘুরেকে জিজ্ঞাসা করছিলাম। ধরেন, অন্য কেউ সেটায় হাত দেয়নি এটা তো কিসমিসের ক্ষেত্রেও বলা যেতে পারে। ডিটেলস খতিয়ে দেখে অভিজ্ঞ লোকেরা যা বলবেন সেটাই গ্রহণ করব, আপনি বললে আপনারটাই।
আজ একজনকে এই লিখাটি পড়ালাম । পড়ার পড় উনি যে মন্তব্য করলেন সেটা এই রকম>>
“ আসলে এগুলো ভুল । কোরআন বা হাদিস এভাবে পড়লে হবেনা । হটাৎ করে মাঝখান থেকে পড়লে হয় না , এর জন্যে কাহানী জানতে হয় । আগে পিছে অনেক কিছু আছে যা এখানে বাদ দিয়ে বলা হয়েছে। সবগুলো একসাথে পড়তে হবে। এগুলো অনেকটা তেমন যেমন > মাঝখানে গিয়ে গল্প শোনা, আর ভেবে নেওয়া । ” (I) (I) (I)
উনি আর কয়েকদিন পর নাকি আরও কিছু জেনে (বন্ধুদের সাথে আলাপ করে) এখানে কমেন্ট করবেন। যাই হোক আপাতত উনার এই কথার কি উত্তর দেওয়া যেতে পারে ভাবতেছি। আপনি কি কিছু বলবেন ? উনার উদ্দেশ্যে ? 🙂 🙂
বিঃদ্র – অল্প জ্ঞান আমার, তাই বড় মুখে উত্তর দিতে চাই নাই । কারন এখনো এত কিছু পড়া শেষ করতে পারি নাই । আর পড়া শেষে উত্তর দিব এই অপেক্ষায় থাকা যাবেনা কারন পরে এসব ভুলে যায় মানুষ। (O) (O)
@অর্নিবান,
সেজন্যেই তো বিস্তৃত তাফসির উল্লেখ করা হয়েছে, কাথিরের তাফসিরের লিংক দেয়া হয়েছে। এর পরেও যদি উনি বলেন আরও জেনে শুনে তার পর কমেন্ট করতে হবে। তাহলে ওনাকে প্রশ্ন করুন, উনি কি এত কিছু জেনে শুনে ধর্ম পালন করেন ? তা যদি না করেন তাহলে এক ফুতকারে সব উড়িয়ে দেন কি করে ?
‘সহি সিত্তা’ হবে সিহা সিত্তা বা সেহা সেত্তা অথর্াত ছয়টি সত্য (কেতাব) নবি মোহাম্মদ এবং তঁার চ্যালাদের মৃত্যুর কয়েক শ’ বছর পরে যে গুলোর রচনা এবং ইসলামকে টিকিয়ে রাখার স্বাথের্ যে গুলোকে অ্যাডপ্ট করা হয়েছে।
আমি যখন অনার্স ফার্স্ট ইয়ার তখন থেকেই নাস্তিক। কিন্তু সেই সময়েই ফরিদ নামে আমার এক ধর্মগোঁড়া বন্ধু ছিলো। সে পারলে ইসলামের জন্য জান দিয়ে দেয়। আমি যেহেতু জন্মগতভাবেই কাফের। তাই সে মাঝে মাঝে আমাকে ইসলামি জ্ঞান দেয়ার চেষ্টা করতো । একদিন ও আমাকে বললো,
এই কথা এর আগে আমি কখনো শুনিনি। তাই কোনো জবাব দিতে পারলাম না। পরে ওর কাছ থেকে আসতে আসতে ভাবতে লাগলাম, ইসলাম সম্পর্কে ওকে এই কথা বলতে হলো কেনো ? নিশ্চয় এর মধ্যে কোনো ফ্যাক্ট আছে। সেই সময় ইসলাম নিয়ে আমার তেমন ব্যাপক পড়াশুনা ছিলো না। তাই ঐ ফ্যাক্টটা বুঝতে পারি নি। পরে যখন মুক্তমনার সান্নিধ্যে এলাম এবং দেখতে শুরু করলাম
তখন বুঝতে পারলাম আমার ঐ বন্ধূর কথার মোজেজা। আরও বুঝতে পারলাম এভাবেই ইসলামিষ্টরা সাধারণ লোকদের ধোকা দেয় ইসলামের ভালো দিকগুলোকে সামনে এনে। তারা আসল রূপকে চাপা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু যা হবার তাই হয়, সত্যকে চাপা দেয়া যায় না। কারণ, সত্যের উচ্চতা অনেক বেশি। সত্যকে সবাই একদিন জানতে পারে। এখন জানছি,
হা,হা,হা।, ইছলামকে একটু কোরান-হাদিছ সহকারে বুঝতে যেয়ে এখন তাহলে মানব জাতির শ্রেষ্ঠ দল ( কোন একটি হাদিছ অনুসারে) হতে নেমে একেবারে শয়তানের বানীর অনুসারী দলে পরিণত হতে হবে নাকি? বাহবা!!
তবে একটু এই পবিত্র মাহে রমজানে বাইরের অবস্থার দিকেও তাকিয়ে দেখুন। অসংখ্য ইমানদার লোকদের ঈমানের জোশে ইফতারের কী রমরমা আয়োজন।
এখানে কোন একটি মসজিদে প্রতিদিন ইফতারীতে অন্ততঃ ৬-৭ শত লোক অংশ গ্রহন করে।
এরা বাংগালী,ভারতীয়,মিসরীয়,গায়নীজ,ইয়েমেনী,পাকিস্তানী, ইত্যাদি দেশ হতে আগত ইমানদার মুছলিম।
এই খাবার পাক করার জন্য রমজান মাসে মসজিদ কমিটি উচ্চ মুল্যের বেতনে একজন বাবুর্চি ও একজন বিতরন কারী রাখে।
আর নামাজে ঘরের ভিতর জায়গার সংকুলান না হওয়ায় মসজিদের বাইরের স্ট্রীটেও নামাজীদের দাড়াতে হয়।
ভাইজান, এগুলী দেখলে মনে হয়, এরা কোন কিছু জানার প্রয়োজনীয়তা মনে করেনা। এদের ধারনা যেটা আছে তাই নিসন্দেহে সঠিক।
আর তা ছাড়া কোরান হাদিছ নিজে একটু দেখে বুঝে লওয়ার সুযোগ কয়জনের ও বা হয় ? আর এটাতো সত্যিকারে একটা সহজ কাজও নয়।
কাজেই এই ধোকাবাজীর চক্র থেকে বের হওয়াটাও সহজ নয়।
ফলে এভাবেই দিনে দিনে ইমানদারের সংখ্যা কেবল “ভাইরাছের” মতই ছড়াচ্ছে আর ছড়াচ্ছে।
কয়জনের পক্ষে এই সুযোগ টা ঘটা সম্ভব যে ঘরে কম্পিটারের সামনে বসে বসে আপনার প্রবন্ধ গুলী বুঝে বুঝে পড়বে ও কোরান হাদিছের স্বরুপ টা একটু স্বরুপটা ধরে ফেলবে?
তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাষ সধারণ জনগণ যদি কোরান-হাদিছ একটু নিরপেক্ষ দৃষ্টি লয়ে মাতৃভাষায় চর্চার সুযোগ পেত বা যদি কোনদিন পায়, তাহলে এই ধড়ীবাজ ধর্মীয় পন্ডিৎদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে যাবে, তাতে সন্দেহ নাই।
কোন এক সময় মুসলিম যোদ্ধারা বন্দিনী নারীদের সংগে যৌন সংসর্গ করিতে আগ্রহী ছিলনা, তখন সংগে সংগে নবিজী কোরানের নির্দেশ এনে একাজে তাদেরকে উৎসহিত করে দেন।
অন্যের স্ত্রীদেরকে এভাবে নিজের যোদ্ধাদের জন্য আল্লাহর আয়াত দেখিয়ে হালাল করার মত গর্হিত ও অনৈতিক কাজ কেন নবিজী করিলেন, বুঝা বড় কঠিন।
আমি নিজে বানিয়ে বলতেছিনা।
নীচের হাদিছটা তাহলে একটু দেখে নিতে পারেন।
Muslim Sharif
Book 008, Number 3432:
Abu Sa’id al-Khudri (Allah her pleased with him) reported that at the Battle of Hanain Allah’s Messenger (may peace be upon him) sent an army to Autas and encountered the enemy and fought with them. Having overcome them and taken them captives, the Companions of Allah’s Messenger (may peace te upon him) seemed to refrain from having intercourse with captive women because of their husbands being polytheists. Then Allah, Most High, sent down regarding that:” And women already married, except those whom your right hands possess (iv. 24)” (i. e. they were lawful for them when their ‘Idda period came to an end).
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজান তো দেখি অতি দ্রুত মুহাদ্দিস হয়ে গেলেন। এখন কি আমরা আপনাকে শায়খুল হাদিস আ: হাকিম চাকলাদার উপাধি দেব ?
উক্ত যে হাদিস আপনি উল্লেখ করলেন এটা পড়ার পর আপনার কি মনে হয় এই মোহাম্মদ সত্যি সত্যি কোন আল্লাহ প্রেরিত নবী ছিলেন? উক্ত হাদিসকে কিন্তু জাল হাদিসও বলা যাবে না কারন উক্ত হাদিস হলো ৪:২৪ আয়াতকে ব্যখ্যা করে। কোরান যদি সত্যি সত্যি আল্লাহর বানী হয়ে থাকে, এ কোন ধরনের আল্লাহ যে তার বান্দাদেরকে আদেশ দিচ্ছে যুদ্ধ বন্দী নারীদেরকে ধর্ষণ করতে ? এ ধরনের বানী আসতে পারে একমাত্র শয়তানের কাছ থেকে। আপনি কি বলেন ?
@আঃ হাকিম চাকলাদার, সত্যি ভাইজান, দারুন রেফারেন্সে দিয়েছেন!!
@ভবঘুরে, অসাধারণ বললেও সঠিক ভাবে প্রকাশ করা যায় না । (F) (F) (F) আপনার গভীর পাণ্ডিত্য এবং তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণ যত দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। গীতা এবং গসপেলের তুলনা দিয়ে দারুণ কাজ করেছেন। এবার আপনার কাছে চাই কোরানের দর্শন নিয়ে একটি প্রবন্ধ। বিভিন্ন সময়ে নানান ধরণের ভাঁড় এসে কোরানের দর্শন নিয়ে বহু আষাঢ়ে আজগুবি গাঁজাখুরী গুলগল্প ফাঁদে। তার একটি বিহিত করা যাবে। এই ভাঁড়দের জন্য অনেক সময় মূল বিষয়ের খেই হারিয়ে যায়। অবশ্য সেটাই তাদের আসল লক্ষ্য।
আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
সহমত।
গত ১৪০০ বছর ধরে ইসলামী পণ্ডিতরা সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে এসেছে। আর এখন তা এমন পর্যায়ে এসেছে যে যারা সত্যই “সহি ইসলামের” পক্ষে তাদেরকে ‘উগ্রবাদী/মৌলবাদী” অপবাদ দেয়া হয়। আর যারা ইসলামের দৃষ্টিতে “মোনাফেক” তাদেরকে বলা হয় ‘সাচ্চা মুসলমান’। এ বিভ্রান্তির অবসান জরুরী।
@গোলাপ,
যথার্থ মন্তব্য। ভাগ্যের কি অদ্ভুত পরিহাস। আজকে আমাদের মত কাফির নাস্তিকদেরকেই প্রকৃত ইসলাম প্রচারের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। ইসলামকে রক্ষা করতে হচ্ছে অপপ্রচারকারীদের হাত থেকে।
এ যেন পর্ব-১৭ নয়,১৭টা পর্বত ।যাহার তলা থেকে মোহাম্মদ ও ইসলামের উদ্ধার পাওয়ার কোনোই আশা নাই ।
@মাসুদ,
ঠিক বলেছেন। (Y) পুরোপুরি একমত আপনার সাথে আমি।
না,না, জিব্রাইল কে দিয়ে গোপন নির্দেশ দেওয়ানোর ও তো প্রয়োজন হয়না, কারন ইসলাম ধর্ম স্বার্থের খাতিরে যে কোন সময়ই চুক্তি ভেঙে দিতে সক্ষম। আমার কথা বিশ্বাষ হচ্ছেনা?
তা হলে স্বয়ং দয়াল নবিজীর মুখের পরিস্কার বানীটা একটু শুনে নিন?
MUSLIM SHARIF
Book 015, Number 4053:
Abu Huraira reported Allah’s Messenger (may peace be upon him) as saying: He who took an oath and then found another thing better than (this) should expiate for the oath (broken) by him
MUSLIM SHARIF
Book 015, Number 4057:
‘Adi b. Hatim reported Allah’s Messenger (may peace be upon him) as saying: He who took an oath, but he found something else better than that, should do that which is better and break his oath.
দেখুন তাহলে আমি সঠিক বলেছি কিনা?অবশ্য সিরাজুল হক সাহেবরা বলে বসতে পারেন “হাদিছ বিশ্বাষ যোগ্য নয়।” তখন তো তাকে আমার আর কিছুই বলার থাকবেনা।আমি তখন অসহায়।
________________________________________
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজান ঠিকই বলেছেন । তবে প্রেক্ষাপট বা কনটেক্সট বিবেচনা করলে দেখা যায় এসব হাদিস মোহাম্মদ বলেছেন উক্ত বনু কুরাইযা গণহত্যার পরে। সত্যি সত্যি মোহাম্মদ কোন রকম চুক্তির ধার ধারতেন না। এটা তিনি সব সময় সিদ্ধ করতেন আল্লাহর ওহী বা জিব্রাইলের মাধ্যমে। তার অনুসারীরা ততদিনে নিজেদের বিবেক বুদ্ধি হারিয়ে পুরাপুরি অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই এসব নিয়ে তারা কোন প্রশ্ন করত না। আর করবেই বা কেন ? তাদেরও তো অনেক লাভ। অন্যের ধন সম্পদ জায়গা জমি দখল করে যদি মজার জীবন যাপন করা যায়, কেন খামোখা তারা এসব নিয়ে প্রশ্ন করবে ?
বাহ, এইরকম ‘কনটেক্সট’ সহ কাফেরদের হত্যা করা, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করা, এইসব আয়াতগুচ্ছও ব্যখ্যা হোক।
অসাধারন । (F) (F) (F)
আচ্ছা জাকির নায়েক কে কেউ কি এধরনের প্রশ্ন করেন না ? নাকি করলেও তা নিজের চ্যানেল বলে কেটে বাদ দিয়ে প্রচার করেন ? :-s :-s :-s
মাঝে আপনার প্রবন্ধগুলো পড়তে পড়তে অনেক সময় কেটে যায় । এত রেফারেন্স । (Y) (Y)
নতুন নতুন এসেছি, কমেন্ট করতেছি ভুল হলে ক্ষমা করবেন । অপেক্ষায় রইলাম কিছু ইমানদার ব্যাক্তির উপযুক্ত উত্তর এর । আসলে কমেন্টে যুক্তি ও তর্কটা মাঝে মাঝে বেশী ভাল লাগে । 🙂 🙂 🙂
@অর্নিবান,
জাকির নায়েককে প্রথম দিকে এসব প্রশ্ন তেমন কেউ করত না। আর করলেও ঘুরিয়ে পেচিয়ে একটা নিজের মনগড়া উত্তর দিয়ে দিত। কারন তখনও মানুষ কোরান হাদিস তেমন একটা পড়েনি। বা তখনও ইসলামের সমালোচনাকারী সাইট তেমন ছিল না। কিন্তু বর্তমানে করে। এই যেমন সেদিন দেখলাম এক লোক প্রশ্ন করেছে- একজন সর্বশ্রেষ্ট নবী কিভাবে ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করে তার বয়স যখন ৯ তখন তার সাথে সেক্স করতে পারে ? তো উত্তর দিতে গিয়ে দেখলাম অনেকটা রেগে গিয়ে বলছে- এটা নিয়ে তো আয়শার কোন অভিযোগ ছিল না , তাহলে আমাদের কেন থাকবে? কি আশ্চর্য ! বিষয়টা হচ্ছে এ ধরনের কাজ নৈতিকতার মানদন্ডে কতটা ঠিক সেটা , কিন্তু জাকির মিয়া বলছে আয়শার কোন অভিযোগ ছিল না। আপনি যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন জাকির মিয়ার ফর্ম বেশ কিছুদিন পড়তির মুখে। আগের মত নেই। খোদ মুসলমানদের মধ্যেই এক বড় দল গড়ে উঠেছে যারা জাকির মিয়ার বিরোধিতা করে কারন তারা বুঝতে পারছে জাকির মিয়া কোরান হাদিসের বিকৃত ব্যখ্যা করে। বাস্তবেও তাই, জাকির মিয়ার মত এত বড় মাপের মিথ্যাবাদি আমি আর দেখিনি। মিথ্যা কথাকে এত সুন্দরভাবে পরিবেশন করে মনে হয় সত্য বলছে, তার মধ্যে মোহাম্মদের কিছুটা গুণ বিদ্যমান এই মিথ্যা বলার ব্যপারে।
পরিশেষে জাকির মিয়ার কোন বিতর্ক তো সরাসরি প্রচার করা হয় না , তাই কোন যায়গাতে সে বিপদে পড়লে সেটা নিশ্চয়ই কেটে সেটে বাদ দিয়েই প্রচার করে।
@ভবঘুরে,
তারা বুঝতে পারলেও, তারা কোরআন জন্য পারলে জান দিয়া দেয়। আমি এরকম অনেকেই চিনি ,যারা জাকির কে পছন্দ করে না,কিন্তু তারা কোরআন জন্য পারলে জান দিয়া দেয়। তাদের ভুল ধরাইয়া দিলেও , তারা মানতে চায় না। তারা বলে নাউঝুবিল্লা, এগুলা ভুল ,এগুলা বুঝতে হলে হাদিস বুঝতে আরও অনেক ব্যাপার আছে। অথচ তারা কোন উত্তর দিতে পারেনা।
একবার আমরা সবাই ১ টা মেলায় গেলাম, মেলা থেকে বের হবার পর, ১ জন বলে উঠল মেলায় যাওয়া না কি ইসলামে নিশেধ। অথচ যাওয়া আগে এ কথা মনে ছিল না।
তারা রাস্থায় হাটে আর মেয়ে দেখে, আর বাসায় এসে বলে তারে না কি সয়তানে পাইছে। :lotpot: :hahahee: 😀 :))
এ লাইন টা হবে এ রকম = এগুলা ভুল ,এগুলা বুঝতে হলে হাদিস বুঝতে হবে এবং আরও অনেক ব্যাপার। :sorry:
@নেটওয়ার্ক,
ভাইজান এত অস্থির হওয়ার কিছু নাই। কেবল তো শুরু। আর কিছু কাল অপেক্ষা করুন। ১৪০০ বছরের বিশ্বাস , এত সহজে যায় ? এ ছাড়া এর সাথে আত্ম পরিচয়ের ব্যপারও আছে। এখন এ নিয়ে যখন শুরু হয়েছে, এর শেষ হয়েই ছাড়বে। দুশ্চিন্তার কারন নেই।
লেখায় চরমভাবে দ্বি-মত প্রকাশ করছি।
এটা ডাহা মিথ্যা কথা।
আপনার কপালে তো এবার মহা খারাবি দেখতে পাচ্ছি। গীতার সাথে কোরানের তূলনায় নেমে গেছেন??
@আদিল মাহমুদ,
অনেক দিন পর ভাইজানরে দেখলাম, ভা্ল আছেন? মনে হয় আমাদেরকে একেবারে ভুলেই গেছেন।
কোনটা ডাহা মিথ্যা ঠিক বুঝলাম না।
শুধু দ্বিমত প্রকাশ করতে হবে বলেই করছেন নাকি কোন কারন আছে?
খালি গীতা দেখলেন ? গসপেল দেখেন নি ? আর কোন প্রসঙ্গে তুলনা সেটা বোধ হয় নজরে পড়ে নি?
@ভবঘুরে, 🙂
আপনি মনে হয় অতি সিরিয়াস তর্কাতর্কি করতে করতে রসবোধ ব্যাংকের লকারে জিম্মা রেখে দিয়েছেন।
ডাহা মিথ্যা হল এইটাঃ
দ্বি-মত পোষন এখানেই করেছি বাস্তব অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে।
আসলে দৌঁড়ের ওপর আছি, লেখাটা পুরো পড়িনি, গসপেলের অংশে যাইনি। তবে গসপেলের তূলনায় গীতাই হিট হবে বেশী চোখ বন্ধ করে বলতে পারি। অন্য এক সাইটে দারুন মজা হবে, অপেক্ষায় রইলাম :)) ।
কোরানের কন্টেক্সট বুঝতে হবে এটা আসলে সব নয়, বিশেষ কিছু আয়াতের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ। এতিমের সম্পদ মেরে খেয়ো না, কিংবা দান খয়রাত কর এ জাতীয় আয়াতের ক্ষেত্রে কন্টেক্সটের কোনই প্রয়োযন পড়ে না। তখন কোরান সহজ সরল ভাষায়ই নাজিল হয়েছে বোঝা যায় যা বুঝতে অন্য কোন সূত্র কিংবা ষষ্ঠ শতকের আরবী ব্যাকরন জানার কোনই দরকার পড়ে না।
কন্টেক্সট, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এসবের নানা সূত্রে ক্ষেত্র বিশেষে বড় ধরনের তফাত আছে। কন্টেক্সট এতই গুরুত্বপূর্ন হলে আল্লাহ পাক হয়ত চরম পরীক্ষার অংশ হিসেবেই এই ধরনের তফাত করে রেখেছেন যাতে তার নিজ খাস উন্মতরা তারই পাঠানো গ্রন্থ বুঝতে গিয়ে বিভ্রান্ত হয়। হয়ত আল্লাহ পাকের বিজনেশ পলিসি হল যে কোরান ঠিক ভাবে মানা না মানা প্র্যাক্টিস করা কোন ব্যাপার না, শুধু মানি বলে দাবী করে যা ইচ্ছে পালন করাটাই মূখ্য।
তবে নবীজি কেন নিজে এসব কন্টেক্সট চমতকারভাবে ব্যাখ্যা করে এই বিভ্রান্তির পথ রুদ্ধ করে গেলেন না এ প্রশ্ন আমার মনে বহুবারই এসেছে। খোদ নবীজির তাফসীর নিয়ে নিশ্চয়ই কোন রকম বিভ্রান্তি হত না।
@আদিল মাহমুদ,
ভাই দু:খিত। অনেকদিন আপনার সাথে মোলাকাত নেই তো ভুলে গেছিলাম আপনার স্টাইল। না হলে এরকম ভুল করতাম না। যাহোক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি, আশা করি এখন থেকে নিয়মিত আপনাকে পাব।
ভাইজান অপেক্ষাতে আছি, বোম্বের হাজীরা এসে কি বলেন তা জানার জন্য। এপর্বটি চমৎকার রেফারেন্সযুক্ত হয়েছে।ইবনে কাথির মনে হয় সরল টাইপের মানুষ ছিলেন। মহাম্মাদ ও ইবনে কাথির দুজনেই বেচে থাকলে মোহাম্মাদ তাঁর প্রান্দন্ড দিতেন কারন ঐ লোকটার জন্যই থলের বিড়াল বেরিয়ে যাচ্ছে।
সাদ তাঁর পুর্বপরিচিত গোষ্ঠির সাথে যে ভয়াবহ বেইমানী করলো তাঁর জন্য কেন তাকে বানু কুরাইযা গোত্রের লোকেরা মীরজাফর বলবেনা তা জানতে চেয়ে আদলতে একটা রীট দাখিল করা দরকার।
যখন মুসল্মাঙ্গন আদর করে বাচ্চার নাম সাদ/তালহা যুবায়ের রাখেন আমার আত্মা কেপে যায়, আগামী প্রজন্ম যদি এরকম যুদ্ধবাজ ডাকাত হয় তাহলে আমাদের নৈতিক শিক্ষা যে ধুলায় লুন্ঠিত হবে।
“সত্য কথা বলতে এত ভয় কিসের”
ভয় তো আপনাদের মত ভবঘুরেদের নিয়ে যারা সারাদুনিয়ার বইপত্রের ভিতর ঘুরে বড়াবে আর বেহুদা জিহাদি মুসলমানগো লেঙ্গুঠিয়া ধরে টান মাইরা খুইলা ফালাইবো।
(কোনক্রমেই ইমো ব্যবহার করতে পারছিনা কেন যদিও আগে পারতাম?কোটেশন করবো কিভাবে?)
@ছন্নছাড়া,
সত্যই ভাই। ভবঘুরে ভাইয়ের লেখাগুলো অনেক কিছু আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। এমন অনেক বিষয় চিন্তাতেও আসেনি কারন ইসলামের ইতিহাসের সব বইগুলো একপেশে লেখা। আর এতে মুহাম্মদের গুনগান এতই বেশি থাকে যে বিরক্ত হয়ে পরে এসব পড়া ছেড়ে দিয়েছিলাম।
এখন এই লেখাগুলো পড়ে চোখ আরও বেশি করে খুলে যাচ্ছে। সাদ যে বিশ্বাসঘাতক এটা মাথাতেই আসেনি এই লেখাটা পড়ার আগে।অথবা এটা চিন্তা করারও অবকাশ আসেনি, কারন মোহাম্মদের অনুচররা তার মতই ইহুদী বিদ্বেষী হবে এটা নিজের মনেই ছিল আমার। কিন্তু এখন তো জানতে পারলাম যে ইহুদীরা আসলেই কোন চুক্তি ভাঙ্গে নি। আর চুক্তি ভাঙলেই তাদের গনহত্যা করার কোন অধিকার মুহাম্মদের ছিল না। আর সেখানে যেহেতু ইহুদীরা চুক্তিই ভাঙ্গেনি কাজেই তাদের খুন করা হল শুধুমাত্র মুহাম্মদ কে নবি বলে না মানার কারনে। চেঙ্ঘিস খান খুনি ছিলেন, তবে তার মধ্যে ধর্মীয় সহনশীলতা খুব বেশি ছিল বলেই জানি।আর হুজুরে পাক মুহাম্মদের তুলনায় আসলেই এখন চেঙ্গিস খান কে নিস্পাপ শিশু বলে মনে হচ্ছে আমার ।
@ছন্নছাড়া,
ভাই আগে যেমন করে করতেন সেভাবেই করবেন।কপি করা জন্য যেমন পুরা লেখাকে highlight করা হয় সেভাবে মাউস দিয়ে করে নিন আর কপি না করে এই রিপ্লাই উইন্ডো এর উপরে দেখবেন উদ্ধৃতি বলে একটা অপশন আছে( ডান থেকে ৩ নম্বরে), ওখানে ক্লিক করুন।তারপর আপনার সিলেক্ট করা অংশটুকু “blockquote” হয়ে যাবে।
@অচেনা,
মানে প্রথমেতো কপি করেছেন এবা ওটা পেস্ট করে সিলেক্ট করেন। আর তারপরেই উদ্ধৃতি তে ক্লিক করেন ।
@অচেনা,
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। এইবার মনে পড়েছে।সিরাজুল ভাইয়ের মতে আমরা কম জ্ঞানী মানুষ তাই দ্রুত সব কিছু ভুলে যাই।
……………………….
ব্যাখাটা একেবারে জায়গা মতন বসিয়েছেন,ভাইজান। অন্যথায় এটাই প্রমানিত হয়ে যাচ্ছিল যে নবিজী কতবড় নীতিবান ও আদর্শবান যে, মুগীরার মালামাল ডাকাতির দ্বারা আয় হওয়ার কারনে,মুগীরা স্বেচ্ছায় দিতে চাওয়ার পরেও তার প্রতি কোন লোভ দেখান নাই।
কত বড় নীতিবান ও উদার আমাদের নবী।
আমি ইতিহাস জানিনা। এর পরে কী ঘটেছিল তাও জানিনা।
আচ্ছা, যে নবিজী সমগ্র মানব ও জীন জাতির আন্তর্জাতিক নবী ( কোরানের কোথাও আছে )
তিনি এই মানব হন্তা ও দশ্যু মুগীরার জন্য কী শাশ্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন?
তাকে কী মৃত্যুদন্ড দিয়েছিলেন?
এটা না করলে তো একজন নবীর পক্ষে এটা মারাত্মক অবিচার করা হল, আমি মনে করি।
আর শুধু তাই নয়, তার নীতি ও তার অনুসারীদের উপর পালন করার নির্দেষ এসে যায়।
মানব সভ্যতার অগ্রগতির জন্য জাতি ধর্মনির্বিশেষে বন্ধুত্ব সুলভ আচরনের মাধ্যমে বসবাসের জন্য এ ধরনের আচরনের শীক্ষা, মারাত্মক প্রতিবন্ধক নয়কী?
তাহলে আমরা মুসলমনেরা বিধর্মীদের দেশেও বা কী করে বসবাসের আশা করতে পারি?
এখনো ভাল ভাবে পড়ে পারি নাই। পরে দেখতে হবে।
ভবঘুরে ভাই , আপনার লেখাটা পড়ছি খুব মন দিয়ে।তাফসিরের কথা গুলো পড়ে আমার মনে কিছু প্রশ্ন জেগে উঠছে।
ঠিক কোন সুস্থ মানুষের জন্য বিশ্লেষণের দরকার নেই।আর সেই মহাম্মদি তরিকা কিন্তু এখনো চলছে পুরোদমে। মুসলিমরা সারা দুনিয়াতে পারলে ঢাক ঢোল পিটিয়ে ইসলাম প্রচার করে অথচ কোন মুসলিম দেশেই খ্রিষ্টান রা ধর্ম প্রচারের সুযোগ পায় না। তা আমার কথা হল, যেহেতু মুসলিম দেশের খ্রিষ্টানরা ধর্ম প্রচার করতে পারে না কাজেই, ওদেরও উচিত ওদের দেশে ইসলাম প্রচারে বাধা দেয়া। কিন্তু ব্যক্তি স্বাধীনতা আর মানবতার দোহাই দিয়ে পশ্চিমারা সেটা করছে না। আপনি কি মনে করেন না যে পশ্চিমা দেশগুলোর এই নীতিটাও আজ ক্যানসারে মত দ্রুত ইসলামের বেড়ে ওঠা কে সমর্থন করছে?
@অচেনা,
প্রাথমিক পর্যবেক্ষনে আপনার আশংকা ঠিক, কিন্তু সার্বিক বিচারে এটা ইসলামের জন্যই ক্ষতিকর। কারন হলো- যখন পশ্চিমা দেশ সমূহে কিছু লোক ইসলাম গ্রহণ করে বা মাইগ্রেটেড মুসলমানরা তা কঠোর ভাবে পালন করবে, প্রকৃত ইসলাম প্রচার শুরু করবে , যা ইতোমধ্যে করছেও, তখন ধর্ম সম্পর্কে উদাসীন পশ্চিমারা ইসলাম কি জিনিস বুঝতে পারবে , যা বুঝতে পারছেও। পশ্চিমারা তাদের ব্যক্তিগত জীবন ও জীবিকা নিয়ে এত ব্যস্ত যে ধর্ম বিষয় মাথা ঘামানোর তাদের সময় নেই, আগ্রহও নেই। যখনই তারা সেটা বুঝতে পারবে তখনই শুরু হবে সংঘর্ষ। তখনই শুরু হবে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দুই ফ্রন্টেই সংঘর্ষ। যা ইতোমধ্যে শুরু হয়েও গেছে। আপনি বর্তমানে ইসলামের স্বরূপ প্রকাশের জন্য শত শত সাইট ইন্টারনেটে পাবেন আর তাদের পাঠক সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ইউরোপ আমেরিকাতে এখন কিছু স্যটেলাইট টিভিও এখন এসব প্রচার করছে। একাজে তারা খৃষ্টান পন্ডিত যারা ভাল আরবী জানে তাদেরকে কাজে লাগিয়েছে। এসব মিডিয়াতে মুসলমানদের সাথে সরাসরি খৃষ্টানদের বিতর্ক হচ্ছে, সেসব বিতর্ক যদি আপনি দেখতেন আর মুসলিম পন্ডিতদের লেজে গোবরে অবস্থা যদি দেখতেন খুব মজা পেতেন। http://www.abnsat.com এটা একটা টিভি সাইট, সেখানে ঢুকলে আপনি সেরকম অনেক বিতর্ক শুনতে পাবেন , আর দেখবেন ইসলামি তথাকথিত পন্ডিতদের কি নাজেহাল অবস্থা। যদিও এ সাইটটি আবার খৃষ্টান ধর্মকে সাপোর্ট করে। তবে তাদের ইসলামী জ্ঞান সত্যিই প্রশংসনীয় আর তারা সেটা প্রকাশও করছে । এতে পশ্চিমারাও আস্তে আস্তে প্রকৃত ইসলাম জানতে পারছে। একই সাথে সেদেশে বসবাসরত মুসলমানদেরও চোখ খুলছে। তারা সব কিছু জানতে পারছে। এভাবে যতই কট্টর মুসলমানরা মিডিয়াতে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়াবে ততই ইসলামের ফানুস ফেটে যাবে। যতই কিছু উগ্রবাদী মুসলিম আত্মঘাতি হামলা চালাবে ততই ইসলামের প্রকৃত স্বরূপ মানুষ জানতে পারবে। বর্তমান যুগ মিডিয়ার যুগ, তথ্য প্রবাহের যুগ; চাপাবাজি ও মিথ্যাচার করে পার পাওয়ার কোন উপায় নেই। বর্তমানে আপনি খেয়াল করবেন ইসলাম সম্পর্কে জানার আগ্রহ মানুষের দিন দিন বাড়ছে। যতই জানতে পারবে প্রকৃত ইসলাম কি, ততই তাদের চোখ খুলে যাবে। আমি নিজেই দেখেছি যারা এক সময় কট্টর মুসলিম ছিল তারাও এখন মোহাম্মদ, কোরান হাদিস নিয়ে সন্দেহ পোষণ করা শুরু করেছে।
সুতরাং আপাত: খোদ পশ্চিমা বিশ্বে উদার গণতান্ত্রিক পরিবেশের সুযোগ নিয়ে কট্টরপন্থি ইসলামিষ্টদের লম্ফ ঝম্প দেখে হতাশ হলেও প্রকারান্তরে এরাই ইসলামের বারোটা বাজাচ্ছে যা ইসলামের পতনকে ত্বরান্বিত করছে। পশ্চিমারা ভীষণ চালাক , ওরা এসব কট্টর পন্থিদেরকে কিছু বলছে না। কারন বিনা পয়সাতে ওরাই প্রকৃত ইসলাম প্রচার করছে যা উদার পন্থি পশ্চিমাদেরকেও ইসলাম সম্পর্কে জানতে সাহায্য করছে। এটা পশ্চিমাদের কাটা দিয়ে কাটা তোলার কৌশল।
@ভবঘুরে, ধন্যবাদ ভাই আপনার ব্যখ্যার জন্য। হ্যাঁ আপনার কথাগুলিও খুব যুক্তি সঙ্গত মনে হচ্ছে।কিন্তু এটাতো ভাই কট্টর পন্থি আর উগ্রবাদী মুসলিমদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আর সেটা মনে হয় কিছু চালাক মুসলিম বুঝে ফেলেছে আর তার পরেই মডারেট মুসলিম নামক যে নতুন চিজের আবির্ভাব ঘটেছে এদের ক্ষেত্রেও কি কথাটা খাটবে?এখানেই এক ব্লগার ” আল্লাহ চাইনা” তাঁর একটা লেখাতে মোডারেট ইসলাম কে বলেছিলেন ইসলামের জারজ সন্তান। আর আমারও মনে হয় যে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এই সম্প্রদায়ের কোন জুড়ি নেই।আপনার কি মনে হয় যে এই সম্প্রদায়ের (মোডারেট ইসলাম বা তথাকথিত উদার পন্থি মুসলিম রা)হাত থেকেও কি একদিন নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব? আমার তো মনে হয় যে মোডারেট ইসলামই হল বর্তমানের ইসলামের সবথেকে বড় অস্ত্র। অনেকটা জীবাণু অস্ত্রের মত silent killer. সোজা কথায় ভেড়ার ছদ্মবেশে নেকড়ে ।
ভাই এই লিঙ্কটির কি কোন টেক্সট লিঙ্ক দিতে পারেন? আমি একটা ছোট জেলা শহরে থাকি আর আমার এখানে ব্রডব্যান্ড নেই। কাজেই আমি অনলাইন ভিডিও দেখতে পারি না। টিভিতে live Telecast দেখার প্রশ্নই আসেনা কারন ইন্টারনেট খুব স্লো।
@অচেনা,
ভুল বললেন,বাংলাদেশে খৃষ্টানরা ৮০ এর দশকে খুব ঢাক ঢোল পিটিয়ে, খৃষ্ট ধর্ম প্রচার শুরু করেছিলো, এবং কোটি কোটি খৃষ্ট ধর্মের বই বিনা পয়সায় বিতরণ করেছিলো।কাজের কাজ কিছুই হয় নাই। মুসলমানরা অন্ধ বিশ্বাসে এত পারদর্শি যে,পূর্ব থেকে চলে আসা বাপ দাদার ধর্ম বাদ দিয়ে, অন্য ধর্ম সম্বন্ধে জানতেই চাই নি।তাই তাদের সে মিশন ভেস্তে গেছে।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
হাজি সাহেব এটা আপনি নিজে তো নাকি আপনার ID কেউ হ্যাক করেছে? আপনি স্বীকার করেন তাহলে যে মুসলিমরা অন্ধ বিশ্বাসে পারদর্শি? নাকি শুধু খোঁচা মারার জন্য কথাটা বললেন? বুঝতে পারছি না ঠিকমতো!
@অচেনা,
!
না ! আমিই হাজি সাহেব।শুনে খুব খুশি হয়েছেন বোধ হয়?আসল সত্য হলো।আমরা যখন অ-সুস্থতার জন্য ডাক্তারের কাছে যায় ,ডাক্তার যা বলেন ,আমরা অন্ধ বিশ্বাসে তাহা পালন করি।কেন না ডাক্তার চিকিৎসা বিষয়ে ভালো জানে, তাই রোগী সেখানে অন্ধের মতই তাহা পালন করে ।আর মুসলমানেরা তাদের ধর্মিয় নেতাদের কথা অন্ধের মত বিশ্বাস করে ।কেন না মুসলিমরা জানে ,তাদের ধর্মিয় নেতারা যাহা জানে আমরা তাহা জানি না।অতএব তার কথা পালনই সব থেকে উত্তম ।তাই তারা অন্ধ বিশ্বাসেই পালন করে।
তাই,যে , যে বিষয়ে ভালো জ্ঞান না রাখে ,তার উচিৎ, যে, ঐ বিষয়ে জ্ঞান রাখে তার কথাকে বিশ্বাস করা।আর যে, নিজে না জেনেও জাননেওয়ালার কথাকে মিথ্যা প্রমানের চেষ্টা করে।সেই সব থেকে আহাম্মুক।লোভী।আর এদের দ্বারাই সমাজের সকল ফ্যাসাদের সৃষ্টি হয়।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
ইসলাম ধমের পণ্ডিতরা কি রোগ সারায় না বাড়ায়? উঃ ডাক্তার তো মানুষের রোগ সারায় আর ইসলাম ধমের পণ্ডিতরা রোগ বাড়ায় + মারায়।(যদিও ২-টাই অন্ধের মত বিশ্বাস করতে হয়)
ভাই, দিন দিন এই ইসলাম ধমের রোগে আপনারে পাইতাছে। :rotfl: ।এইটা হচ্ছে সিজোফ্রেনিয়া রোগের মত, (দিন দিন পাগল হইবেন তাও মনে করবেন সুস্থ্, , এইটা হচ্ছে সিজোফ্রেনিয়া রোগের লক্ষণ) ।
এই গাভী কে কেন মানেন। (W)
@নেটওয়ার্ক,
রোগ সারায়।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
শান্তির রোগ সারায় কিন্তু অশান্তির রোগ বাড়ায়। 🙁
এই গাভী কে কেন মানেন ?
ভাইজান কি রোজা রাখছেন?
আপনার উত্তরেই বুঝা জায়তাছে ইসলাম ধমের সিজোফ্রেনিয়া রোগে আপনি আক্রান্ত।
ভাই, দিন দিন এই ইসলাম ধমের রোগে আপনারে পাইতাছে। :rotfl: ।এইটা হচ্ছে সিজোফ্রেনিয়া রোগের মত, (দিন দিন পাগল হইবেন তাও মনে করবেন সুস্থ্, , এইটা হচ্ছে সিজোফ্রেনিয়া রোগের লক্ষণ) ।
এই গাভী কে কেন মানেন ?
ভাইজান কি রোজা রাখছেন?
@নেটওয়ার্ক,
আপনার আলোচনাতে ও বুঝা জায়তাছে আপনি ইসলাম বিদ্বেষী সিজোফ্রেনিয়া রোগে আপনি আক্রান্ত।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
সিজোফ্রেনিয়া রোগীরা আর একজন কে দেখলেও এক ই রকম মনে করে।
ভাই আপনে ডাক্তার দেখান (ইসলামের ডাক্তার না MBBS ডাক্তার দেখান ) জোকার নায়েকে যদিও mbbs ডাক্তার,তার থেকে সাবধান (গেলে ফুল পাগল বানাইয়া দিব) :guli:
এই গাভী কে কেন মানেন ?
ভাইজান কি রোজা রাখছেন?
@সিরাজুল ইসলাম,
ধর্মকারীতে একটা খবর প্রকাশিত হয়েছে, ইন্দোনেশিয়াতে প্রতি বছর ২০ লাখ মানুষ ইসলাম ছাড়ছে। সবে শুরু হয়েছে। এখন দেখা যাক কত বছর আপনারা আর ইসলামকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন। মুহম্মদকে তো বিষ খাইয়ে জয়নাব মেরেছেই, এখন কাল্পনিক আল্লা কত দিন বেঁচে থাকে, সেটাই দেখবো।
@হৃদয়াকাশ, ইউটিউবে একটা ভিডিও তে বলছে আগামী ৫০ বছরে পুরা দুনিয়া ইসলামিক হয়ে যাবে..http://www.youtube.com/watch?v=0HTSwUig2-0&feature=fvsr..এবং যে এইটা বানাইছে সে মুসলিম না..
এখন ভয় পান… :rotfl:
@শাহরিয়ার,
এখন মুসলমমানরা নবীর একটা সুন্নত- জন্ম নিয়ন্ত্রণে অনীহা- পালন করছে। তাতেই এই অবস্থা। যদি নবীর ৪টি বিয়ের সুন্নত পালন করতো, তাহলে আরও তাড়াতাড়ি পুরো দুনিয়া ইসলামিক হয়ে যাবার সম্ভাবনা ছিলো। আর যদি ১৩টি বিয়ের সুন্নত পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের পক্ষে সম্ভব হতো তাহলে তো কথাই নেই। পুরো দুনিয়া রাতারাতি মুসলিম।
এই দিক থেকে ভাবলে সম্প্রতি বার্মায় বৌদ্ধরা যা করেছে তাকে সঠিক বলেই মনে হয়। রোহিঙ্গাদের উপর তাদের প্রধান একটি আক্রোশ ছিলো, সেখানকার মুসলমানরা বেশি সন্তানের জন্ম দিয়ে সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। চিন্তার কোনো কারণ নেই অচিরেই অন্যান্য দেশও এই নীতি পালন করবে। আর নবীর চিন্তাধারা সংখ্যায় তিনি অন্যদের পরাস্ত করবেন- এর ফলে মুসলিমরা কেনো দিনই বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। দারিদ্র, অশিক্ষা আর কোরানিক জ্ঞান তাদের সব সময় একটা মধ্যযুগীয় অন্ধাকরে রেখে দেবে, সেখান থেকে তারা কোনো দিনই বের হতে পারবে না। মুসলিম বিশ্বের এখন প্রধান শক্তি তেল। কিন্তু এই তেলও ৫০/৬০ বছর পর ফুরাবে। তখন দেখা যাবে মুসলিম বিশ্বের প্রকৃত অবস্থা।
@সিরাজুল ইসলাম,
হাশিম চাকলাদার এর লেখা।
(Y) (Y) (Y) (Y)
@নেটওয়ার্ক,
পাগল হইয়া- ই আছেন। আল্লা ও নবীর প্রেমে।
@ওমর ফারুক,
ভাই ,নবিজির সাথে প্রেম করছে । সিরাজুল ইসলাম তো সমকামী । ছি ছি…………।
ভাই উনারে ডাক্তার দেখান (ইসলামের ডাক্তার না MBBS ডাক্তার দেখান ) জোকার নায়েকে যদিও mbbs ডাক্তার,তার থাকে সাবধান (গেলে ফুল পাগল বানাইয়া দিব) :guli:
ভাই, দিন দিন এই ইসলাম ধমের রোগে উনারে পাইতাছে। :rotfl: ।এইটা হচ্ছে সিজোফ্রেনিয়া রোগের মত, (দিন দিন পাগল হবেন তাও মনে করবেন সুস্থ্, , এইটা হচ্ছে সিজোফ্রেনিয়া রোগের লক্ষণ) ।
@নেটওয়ার্ক,
ভাই জান আপনারা ওনারে নিয়া যে ভাবে মস্করা করতাছেন, আল্লায় আপনাগ উপর গজব দিব। আর আপনারা দেখতাছি ডাক্তার হিসাবে বহুত পারদর্শী, কি সকল কঠিন কঠিন রোগের নাম কন। কামাসক্তি ও অন্যের সম্পদ লুণ্ঠনের (চুরি প্রতি আসক্তি)আসক্তি এই গুলা নাকি রোগ। আর এই গুলা যদি রোগ হয় তা হলে প্রবীরঘোষ ও ডাক্তার ফিল, সেই সময় জন্মাইলে ওনারে হেল্প করতে পাইরতেন। আর এখন আপনারে ওনারে (নবী) নিয়া অত মস্করা করার সুযোগ ই পাইতেন না। আল্লায় আপনাগরে হেদায়ত করুক। আমিন
@ওমর ফারুক,
আপনার কথা শুনলে মনে হয় মুখে হাসি মানে বিষ :-s
ভাই আপনে তো উপরের টা ও খান আবার নিচের টাও খান।
আর নিরপেক্ষ আচরণ করতাছেন।(সুবিধা বাদী)।
@নেটওয়ার্ক,
আমার মনে হইছিল ভাই জান অনেক রসিক মানুষ। আমার রসে ভাই জানকে না বিজাইয়া বিরক্তির কারন হইছে।এর জন্য দুঃখ পরকাশ করতাছি। জাত ভাইয়ের সাথে গোরসা করলে বেজাত ভাইয়েরা হাইসব। আবার দেখা হইব। ভালা থাইকেন। (D)
@ওমর ফারুক,
মনে কিছু নিয়েন না, ১ টু বাড়ি দিয়া দেখলাম………।
@নেটওয়ার্ক,
রোগ নিয়া যে কিছু কইলেন না?
@নেটওয়ার্ক,
না ভাই সমকামী না। মনে নেই লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ হল পুরুষ আর মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ হল নারী? এটাই সিরাজুল ওরফে হাজি সাহেবের বানী।
:rotfl: 😀 :lotpot: :hahahee:
@সিরাজুল ইসলাম,
ডাক্তারের দেয়া উপোদেশ আমরা ততক্ষণই মানি যতক্ষন পর্যন্ত রোগের অগ্রগতি দেখা যায়। আর যদি দেখি যে রোগ সারছে না, বরং বাড়ছে তখন আমরা ডাক্তার পাল্টাই। অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে মৃত্যুর জন্য বসে থাকি না। কিন্তু আপনি বা আপ্নারা বিশ্বাসীরা হয়তো ব্যাতিক্রম। আপ্নারা চোখ বন্ধ করে বাঁচতে চান এবং অন্যের চোখও টিপে ধরতে চান। মিথ্যা আঁকড়ে ধরে রেখে কি আনন্দ বলুন তো?
@রাগাদ,
সম্ভবত এতে এসএমএস এর মাধ্যমে বউ তালাক দিয়ে আবার বিয়ে করা যায় তাই 🙂
@অচেনা,
যে, যা বিশ্বাস করে, সে তার বিশ্বাস ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার করবে এটাই ত সাবাভিক, আর তাদের বিশ্বাস প্রচারিত না হলে, তাদের বিশ্বাসের অসারতা জানবেন কি ভাবে। আপনি ও আপনার বিশ্বাস ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার করছেন, আর আমি আপনার ঢাক ঢোল পিটানের সাথে এক মত।
কোন মুসলিম দেশেই খ্রিষ্টান রা ধর্ম প্রচারের সুযোগ পায় না বা দেয়া হয়না সেটা অন্যায়, আর একই কাজ খ্রিষ্টানরা করলে অন্যায় হবেনা? আপনার মতানুশারে মুসলিম দেশে গুলো আপনার পক্ষেই কাজ করছে। আপনি কি সকল ধর্মের বিরুদ্ধে , না শুধু ইসলাম ধর্মের? উদাহরণ সরূপ এই মুক্তমনা ব্লগ টি যদি কোন দেশ প্রচার বাধা বা বন্ধ করে দেয় আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন হবে? আমি নিতচিৎ আপনি দুঃখ পাবেন।
ক্যানসার যত বাড়বে আমাদের ডাক্তারদের দক্ষতা তত বাড়বে, দেখুন না ভবঘুরে সাহেব কত দক্ষতার সহিত ক্যানসারের ব্যবচ্ছেদ করছেন, বাপরে বাপ!!! ক্যানসার না থাকলে তিনি কি তা করতে পারতেন?
ভাল থাকুন
@ওমর ফারুক,
আমি আসলে কোন ধর্মের পক্ষে না। তবে যেহেতু অন্য ধর্মগুলো কোনদিনই আমার মাথাব্যথার কারন হয়ে দাঁড়ায় নি কাজেই এদের নিয়ে কোন মাথা ব্যথা আমার নেই।বর্তমানে দুনিয়ার বুকে একমাত্র মাথাব্যথার নাম ( ধর্মীয় ব্যাপারে) ইসলাম ।কাজেই সঙ্গত কারনেই আমার প্রধান ঘৃণা হল ইসলামের দিকে।এটা যদি Inquisition এর যুগ হত, তবে কোনই সন্দেহ নেই যে আমার প্রধান বিরোধী অবস্থান হত রোমান ক্যাথলিক চার্চের বিরুদ্ধে। ধন্যবাদ আপনিও ভাল থাকুন।
@অচেনা, (Y) (F)