আবার যদি তুমি আমারে জিগাও
কেমনে আইছে ফিরা সওদাগরের নাও
কেমনে ভাইস্যা গেছে বেহুলা সুন্দরী
কেমনে মজছে রূপে ঐ ইন্দ্রপুরী
আমি জবাব দিমু না আগের মতন
পরাণ খুইল্যা দেখ নিজের ভিতর।
তোমারে কইছি অনেক; কমুনা আর
কমুনা কেমনে গায়েন ছড়ায় বাহার
কমুনা কেমনে মাঝি কাইট্যা যায় নদী
কমুনা তুমি আমারে আবার জিগাও যদি।
আমারে জিগাইছিল রাইতের চাঁন
আমারে জিগাইছিল ঐ ভরা গাঙ্গ
আমারে জিগাইছিল ঐ ছনের ঘর
আমি কইয়্যা দিছি;আমি দিমু না উত্তর
আমি কইয়্যা দিছি;আমি দিমু না উত্তর
আমিও জিগাইছি অনেক;জিগানের আর কিছু নাই
বাতাসের উলটা দিকে দাঁড়াইয়া করছি চিৎকার
বিশাল সূর্য্যটারে রাক্ষসের মত গিলতে চাইছি কত্তবার
শ্যাওড়া গাছটারে সাক্ষী মানছি; কইছে সে -যাইবো না আর
তারপর তো গেল চইল্যা;আমারে জিগায়ও নাই
কই, মাটির বুক তো একবারের লাইগ্যাও ফাঁটে নাই
কই,শ্যাওড়া গাছটাতো তারে চিনছিলো
ঐ চড়ুই গুলাও তো তারে চিনছিলো
এই গাঁয়ের বাতাসও তো তারে চইল্যা যাইতে দেখছে
কই কেউ তো জিগাইলো না; তাগো বুঁকের ভিটে কাঁপন ধরে নাই।
আমিও কাঁপমু না;আমিও জিগামু না;আমিও আর উত্তর দিমু না
তারপর কোনদিন যদি সে আসে আমি তারে চিনমু না
আমারে যদি জিগায় কিছু আমি উত্তর দিমু না
জবাব দিমু না আমি আগের মতন
কমু খালি-পরাণ খুইল্যা দেখ নিজের ভিতর।
সুন্দর।
মুখের ভাষায় এই ধরণের আঞ্চলিক লেখা আরও আসুক। 🙂
ইমরান ভাই, ফাটাইয়া দিলেন তো একেবারে। পরান মইজা গেছে পুরাটাই। ভাই, কই যানগা মাঝে মাঝে?
` জবাব দিমু না আমি আগের মতন
কমু খালি-পরাণ খুইল্যা দেখ নিজের ভিতর।’
আমার প্রশ্নের জবাব পাইয়া জামু যদি মুক্তমনায় আপনারে পাই নিয়মিত। অনেক ভালা লাগছে। আরও চাই।
@শাহাদাৎ হোসেন শ্যামল, ধন্যবাদ। আমি আসলে কিছুই লিখতে পারছি না এক বছর হয়ে গেল প্রায়।লিখতে গেলেই মনে হয়, অনেক কিছুই জানার বাকি আছে।এখন লোকেদের লেখা পড়ি।মাঝে মাঝে প্রশংসা করতেও ভুলে যাই।স্থবির হয়ে গেছি।যাউকগ্যা আপনাকে ধন্যবাদ আবারো.
বাহ, চমৎকার। আরো ছাড়েন, পরাণটা খুইলা একটা একটা করে ছাড়েন। (Y) (F) (D)
আচ্ছা ভাষাটা কোন এলাকার জানতে পারি?
@আকাশ মালিক, ধন্যবাদ।এই কবিতাটিতে সৈয়দ শামসুল হকের ‘পরাণের গহিন ভেতর’ কাব্যগ্রন্থের কিছুটা প্রভাব আছে।আর ভাষাটা নারায়ণগঞ্জ কিংবা গাজীপুর বা মুন্সীগঞ্জ এবং ঢাকা মহানগরের ভাষার মিশ্রণ।এসব অঞ্চলের ভাষা প্রায় একই।