ওরা আমায় নিজেদের প্রয়োজনে
কখনো বানিয়েছে দেবী,
কখনো বানিয়েছে মূল্যে-কেনা ক্রীতদাসী।
ওরা কখনো তাদের বিকৃত পৌরুষ
চরিতার্থ করার জন্য আমায় বানিয়েছে শস্যক্ষেত্র,
বানিয়েছে উদ্ভট চিরকুমারী-হুরী, অপসরী।
তাদের মানসিকতা কী বিচিত্র!
ওরা নানান প্রসাধনীতে আমার দেহ সাজায়।
আবার যৌতুকের জন্য আমারই দেহে
কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
ওদের বংশবৃদ্ধি ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্য
ব্যবহার করে আমার জঠর।
আবার নিজের হিংস্রবৃত্তি
চরিতার্থ করতে আমাকেই করে প্রহার।
ওরা আমায় একহাতে বাজারে বেচাকেনা করেছে
অন্যহাতে বন্দি করেছে গৃহকোণে।
আমায় কখনো বানিয়েছে বারাঙ্গনা
কখনো বা অর্ধাঙ্গিনী।
ওরা আমায় বন্দি করে খাঁচায়,
আবার ওরাই আমায় ওদের
বিকৃত বিনোদনের তরে বাজারে নাচায়।
ওরা শোষক, শাসক, নিপীড়ক
ওরা পুরুষ।
আমি শোষিত, শাসিত, নিপীড়িত নারী।
ওরা অধিকর্তা, ওরা জবরদখলকৃত-
অন্যায় ক্ষমতার মিথ্যা মোহে ক্রুদ্ধ।
আমি ওদের শোষণের কবলে
অসহায়, কম্পিত। আমি রুদ্ধ।
ওরা শিকারি ওরা পুরুষ
ওরা উদ্ধত-সিংহ।
আমি ওদের শিকার
প্রাণভয়ে ভীত, নিরীহ মৃগ।
ওরা কখনো কখনো আমার সাথে
ভালবাসার ভান করে।
পরক্ষণে নিজেরাই খুলে দেয়
নিজেদের কপট-মুখোশ।
ওরা আমায় নিজেদের স্বার্থেই
নারী ক’রে রেখেছে;
মানুষ হতে দেয়নি।
ওরাও কি হয়েছে মানুষ?
মানুষ তো ওরাও হতে পারেনি!
হয়েছে কেবল পুরুষ।
একটাই কথা আজ নারীরা জতোই নারীবাদি হক না কেনো তাতে পুরুষ দের নখ ,দাঁত ভোতা হবেনা । কারোন আজও পুরুষ নারীবাদকে সমালচোনার আসোনে উঠাতে পারেনি । এই কোবিতাটাকে অমি একটা চোখ হিসাবে নিলাম যে চোখ পুরুষের সব আভ্রু ভেদ কোরে দেখেছে তার নগ্নতা ।
@তামান্না ঝুমু : আমি সহমত।তবে যে সময় পুরুষরা নিজেদের প্রভুত্ব নারীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছিল তখন নারীরা তা চোখ বুঝে মেনেই বা নিয়েছিল কেন?কেন এত হীনমন্বতা।আমি অবাক হই।আর কেনই বা নারীরা এখনও সেই মনোভাব ত্যাগ করতে পারেনি।তারা এত আত্মবিশ্বাসহীন কেন?মানলাম পুরুষেরা তাদের আত্মবিশ্বাস কেড়ে নিয়েছে।কিন্তু একজন পুরুষের মত তারো তো মস্তিক আছে,সে ও তো ভাবতে পারে।শিক্ষিত (সার্টিফিকেটগত) নারীরা তো পাঠ্যবইয়ে বেগম রোকেয়ার প্রবন্ধ পড়েছে,নারীবাদ সম্পর্কিত অনেক লেখা পড়েছে কিন্তু তারা কেন নিজেকে পুরুষের পুতুল ভাবতে পছন্দ করে?ধর্ম আর সমাজের কারণে?সেগুলোতো মানুষেরই সৃষ্টি।কিন্তু তারা তা কেন বুঝবে?পুরুষেরা তাদের চোখ বেধে দিয়েছে তাই তারা ভাবে তারা অন্ধ।নারীদের জন্য আলাদা কোন সুবিধা দিলে আমার কেন জানি রাগ লাগে।আমি নারী হিসেবে পুরুষের দেওয়া সুবিধা চাই না,আমি মানুষ হিসেবে আমার অধিকার চাই।আর আপু দয়াকরে ফেসবুকে আমার ফ্রেন্ড রিকুএস্ট একসেপ্ট কর 🙂
ঝুমুপু আসলে দোষটা আমাদের নারীদেরও।আমরাই পুরুষদের প্রভু হিসেবে মেনে নিয়ে তাদেরকে সুযোগ করে দিয়েছি আমাদের শোষণ করার।আমরাই নিজেদের অসহায় ভেবে ঘরের কোণে বন্দি করে রেখেছি।আমরাই নিজেদের পুরুষের গোলাম করে রেখেছি।যদি আমরা আমাদের দাসত্বের মনোভাব ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে পারি,তাহলেই অবস্থার উন্নতি হবে।শুধু পুরুষদের দায়ী করা বৃথা,আমরা নিজেরাই নিজেদের এ অবস্থা করেছি।
@সাদিয়া,হাজার বছর আগে সেই পুরুশই ত নারীকে কোণে বন্দি করেছে। নিজেরা প্রভু সেজেছে নারীকে করেছে দাসী।সুদীর্ঘদিন দাসত্ব করতে করতে দাস্য মনোভাব যে নারীমনে এঁটে গিয়েছে এ জন্য পুরুশই ত দায়ী। অনেক ক্ষেত্রে নারীকেই নারীর স্বাধীনতার অন্তরায় হতে দেখা যায়, কারণ সে নারী পুরুশতন্ত্রের ধারক ও বাহক। পদপিষ্ট হতে হতে, দাসত্ব করতে করতে তার মননশীলতা ও স্বাধীনতাবোধ বিনষ্ট হয়ে গেছে। সে মনে করে পুতুল-জীবনই স্বাভাবিক।
অসাধারন একটি পোস্ট । খুব ভাল লাগলো । আমি সাধারনত কবিতা পরিনা । কিন্তু আজকে কি যে হল , সব ভুলে এক নিঃশ্বাসে পরে ফেললাম ।
৫০০ বৎসর আগের প্রেক্ষাপটে রচিত কবিতা?
@mkfaruk,৫০০ বছর আগের প্রেক্ষাপট আজো পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। এখনো অধিকাংশ সমাজে ও পরিবারে দাপটের সাথে বিদ্যমান।
এত কঠিন কঠিন মন্তব্য
আমার আর কিছু বলার নাই
শুধু
কবিতার ভাবের জন্যে (F) (F) (F)
@শান্ত,ধন্যবাদ।
প্রথম বলি কবিতা নিয়ে। অতান্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, শেষপর্যন্ত এটা কবিতা হয়ে উঠতে পারেনি।শ্লোগান হয়ে উঠেছে। আপনি গদ্য লিখতে পারতেন নারীবাদী সেন্টিমেন্ট নিয়ে।নারী মুক্তি বা নারীর পরাধীনতা নিয়ে কবিতা হয়, তা যে হবে না তা নয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটাকে কবিতা হয়ে উঠতে হবে।কবিতার একটা নিজস্ব মেজাজ আছে, সেটাকে ধরে রাখতে হবে।সারিবদ্ধ কয়েকটা লাইন মানে কবিতা নয়।ধরুণ নজরুলের `বিদ্রহী’ কবিতাটি ভাবালুতার দোষে দুষ্ট কিন্তু এর শব্দ চয়ণ এমন এক জায়গায় নিয়ে গেছে যা কবিতায়ই সম্ভব।কবিতাটির মধ্যে সবিরোধীতা থাকা সত্বেও পড়লে কবিতার একটা `বিদ্রহী’ ঝাঁঝ নিজের মধ্যে অস্বীকার করা যায় না। আপনার লেখা কবিতাটির সঙ্গে আমি এক মত না হলেও যদি কবিতাটি সেই অর্থে কবিতার দাবী মেটাতো তবে বলতাম চমৎতার একটা কবিতা পড়লাম ( দ্বিমত থাকা সেত্ত্বও)।
এবার বলি আপনার বক্তব্য সম্বন্ধে দু-একটা কথা।একটা কথা মনে রাখবেন নারীকে তার `নারী’ পরিচয়েই গর্ব করতে হবে। `আমি নারী নই, আমি মানুষ’ এটা একটা হাস্যকর কথা। পুরুষ যেমন গর্ব ভরে বলে সে `পুরুষ’।নারীকে ঠিক তেমনি নিজেকে বলতে হবে। আর `ভালোবাসার ভান’ করা পরুষের একচেটিয়া সম্পদ নয়। এটাতে নারীরাও খুবই পারঙ্গম। কাজেই একপেশেভাবে দোষারোপ করাটা অনুচিত।ঠিক তেমনি `শাকারি’ কথাটার ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। আর বাজারে নাচানাচির কথা বললে এখন যদি তাকিয়ে দেখেন ভদ্রঘরের সব মেয়েরা টিভি সিনেমায় ঢোকার জন্য লাইন দিচ্ছে। লাক্স ফটোজেনিক, বিশ্ব সুন্দরী, আর সব কি আবল-তাবল প্রতিযোগীতায় প্রায় উলঙ্গ হয়ে হাজার হাজার মানুষের সামনে যা ঘটে তা তো পুরুষতন্ত্র বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোচায় না। রাতের আধারে পাচার হওয়া হতভাগ্য মেয়েদের মত তো তাদের কেউ জোর করেনি। তারা সেচ্ছায় লাইন দিয়েছে নাচনকুদন করার জন্য। আমি খুব পষ্ট করে একটা কথা বলতে চাই, যদি একটা মেয়ে বড় গলার একটা জামা পড়ে বাইরে বের হয় আমি ধরে নিবে এটা সে জেনেবুঝেই করেছে। সে দেখাতে চেয়েছে, সে ক্ষেত্রে আমি চেয়ে দেখতেই পারি। সেই সঙ্গে আমি এটাও বিশ্বাস করি, এরজন্য তাকে কেউ ডিস্টার্ব করুক বা কেউ তাকে জোর করে পোশাক নির্বাচন করে দিক তা আমি চাই না। নারী-পুরুষের সম অধিকার চাই বলে এটা আমি বিশ্বাস করি। তবু নারী-পুরুষে কিছু পার্থক্য আছে শাররিক আর মানসিক। এগুলো অস্বীকার করা হবে প্রকৃতিকে অস্বীকার করা। প্রকৃতিই ঠিক করে দিয়েছে পুরুষ নারীকে দেখে আকৃষ্ট হবে, কামবোধ তার জাগবে, যেমন একটি নারীরও ঘটবে, আর তাতেই প্রকৃতির লাভ, বংশ বিস্তারের মধ্য দিয়ে সে টিকে থাকবে। প্রকৃতি সমাজ সংসার দেশকাল বুঝে না, সে বুঝে তার হিসাব, আমরা সমাজ বানিয়েছি, সভ্যতা ভব্যতা বানিয়েছি, তার প্রয়োজনও অস্বীকার করে লাভ নেই। কিন্তু কিছু বেসিক ব্যাপারে প্রকৃতিবিরুদ্ধ কথা বলাও মূর্খতা। নারীর শরীরের সঙ্গে পুরুষের শরীর লাগলেই বিদুৎ খেলে যাবে, আর এমনটা ঘটলে কী আর করার আছে? শুধু আমাদের চেষ্টা করতে হবে, ভদ্রতা বজায় রাখতে। যে ভদ্রতা আমরা কৃত্রিমভাবে বানিয়েছি।আপনার নারীবাদী কবিতাটির বিপরীতে একটি পুরুষবাদী কিবতাও লেখা যাবে এবং সেখানে যা লেখা হবে তা নিয়েও পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলা যাবে। যা হবে শুধুই অর্থহীন। ধন্যবাদ আপনাকে।
টিপিক্যাল উগ্র নারীবাদী আখ্যান। লেখিকা থুক্কু লেখক যদি নিপাট কবিতা লেখে থাকেন তাহলে সামনে আরও অনেক পথ পারি দিতে হবে………….
আর যদি স্যাটায়ার লিখে থাকেন তাহলে বলব হাস্যকর অতি সরলীকরণ। সমাজে মন্দ নারী এবং মন্দ পুরুষ দুটিই আছে, আক্ষরিক ভাবেই পুরুষের মন্দ গুন যা আছে অনেক মন্দ নারী তাই ধারন করেন। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হউক, অর্থ লোভের কারণে অপরাধ হউক কিংবা যৌন দুরাচার হউক। আমাদের দেশে অনেক মা তার নিজ গর্ভজাত সন্তানকে হত্যা করেছে অবৈধ প্রেমিককে নির্বিঘ্নে পাবার জন্য; তাই বলে আমরা এত অথর্ব হয়ে যায়নি কিংবা আমাদের বিচার বিবেচনা এত নিচে নেমে যায়নি যে আমরা এর জন্য গোটা নারী জাতিকে দোষ দেব!
@সংবাদিকা,
খুব সুন্দর বলেছেন, সে জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
তবে আমার মনে হয় যে ঝুমু আপু হয়ত গোটা পুরুষ সম্প্রদায় কে দোষ দেননি, বরং সমাজে যে পুরুষ নামের পশুগুলো আছে তাদের উদ্দেশ্যেই কবিতাটা লেখা।
এইতো সাবাস!! ভীত, নিরীহ মৃগ!! (নাকি মৃগী?? স্ত্রী লিঙ্গে মৃগী না? সিউর নয় যদিও) দোষ কার?
উরিব্বাপস!! ডাবল সাবাস :guru: :guru:
@টেকি সাফি,
মৃগ এর স্ত্রঈলিঙ্গ মৃগী। আপনি ঠিক বলেছেন। তবে শিকারি সিংহের কাছে শিকারের লিঙ্গভেদ নেই।ধন্যবাদ।
@তামান্না ঝুমু,
আচ্ছা তামান্না, একটা কথা ফ্রেন্ডলি জিগাই, মাইন্ড খাইয়েন না। কোথাও যাওয়ার আগে স্ত্রী যখন স্বামীকে বলে- চলো, আমি রেডি। এর মানে সে অর্ধেক রেডি। ঠিক না?
@আকাশ মালিক, অর্ধেক রেডি,কোন অর্থে ঠিক বুঝলাম না!
কবিতা ভালো লাগে নাই। আমি কবিতার প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছু বলি।
আজকের নারীরা ঠিক কোন অবস্থানে থাকলে আপনার মনে হত নারীরা স্বাধীন? মানে আমি সামগ্রিকভাবেই জিজ্ঞেস করছি শুধু বাঙলাদেশে নয়। আপনার আক্রমনটার শুরুই হয়েছে ধর্মকে কেন্দ্র করে। মেনে না নেয়ার কোন কারন নেই যে ধর্মে নারীকে বেশ কয়েক হাত দেখে নেয়া হয়েছে। কিন্তু আমি আপনাকে কয়েকটা প্রেক্ষাপট বা বলা যায় উদাহরন দেই, আমাকে বলুন এদের আপনার কী মনে হয়ঃ
১. রঙিন টিভিতে দেখা নারীপর্ন তারকা।
২. টাকার কুমির হোদলা পেটের পুরুষের ঘরে শাড়িচুড়িলিপস্টিকময় স্ত্রী।
৩. লেখাপড়া শেষ করে (সাধারনত অনার্স, আমার নিজের জীবন থেকে উদাহরন দিতে পারব চাইলে, যদিও এটা খুবই কমন ঘটনা) বিয়ের লাইনে দাঁড়িয়ে যাওয়া তথাকথিত শিক্ষিত নারী।
এদের আপনার কী মনে হয়? স্বাধীন? পুরুষের দ্বারা দলিত মথিত সম্প্রদায়?
ক্ষুধার্থ মানুষের আসলে কোন লিঙ্গ হয় না। আগে যদি ক্ষুধা মেটানো যায় তারপরে আসবে লিঙ্গের বৈষম্য। আবার বলে রাখি নারীদের উপরে যে নিপিড়ন চলে আমি মোটেই সেটা অস্বীকার করছি না। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আগে থাকা দরকার। আজকে সমস্ত নারীসমাজ অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন থাকলে নিপিড়নের যে সমস্যা অহরহ ঘটে সেটা এতটা বিরাট রূপ নিতে পারত না। পুরুষ সদস্য নারীকে আঘাত করার আগে দশবার ভাবত তাহলে। এখন যেটা করে না।
@সাইফুল ইসলাম,
আমি তো আগেই কইছিলাম ভাই – ক্ষমতাবান পুরুষেরা সুন্দরী নারী পছন্দ করে, আর নারীরা করে ক্ষমতাবান স্বামী – উইন উইন সিচুয়েশন (এই লেখার নীচের দিকে টাকমাথা পয়সাওয়ালা লোকের ঘরে সুন্দরী বউ দেখি কেন? অংশটা দেখেন)।
গরীবের কথা বাসি হইলে ফলে। 🙂
@সাইফুল ইসলাম, নারীদের পরাধীনতার চিত্র সামগ্রিক নয়। খুব কম সংখ্যক নারী স্বাধীন। এবং সব পুরুষ নিপীড়ক নয়। মনে হয় বেশিরভাগই নিপীড়ক বা শোষণ করতে ইচ্ছুক। অনার্স পড়ুয়া একটা মেয়েকে বাবা-মাই বিয়ে দিয়ে দেয়। অনেক সময় প্রতিবাদ কোনো কাজে আসেনা। গ্রাম্য পরিবারের একটি মেয়ের পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হবার স্বপ্নে সব সময় গুড়ে বালি। সে ইন্টারমিডিয়েট পাস করার পর শহরে ভাল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে পারেনা। বাবা-মা সেটা তার জন্য অনিরাপদ ভাবে। অথবা ভাবে মেয়েদের এত কেন? কিন্তু একটি ছেলেকে তারা সর্বস্ব বিক্রি করে হলেও শহরে পরতে পাঠায়। ছেলে, মেসে বা হোস্টেলে থাকতে পারে। ছেলের জন্য কোনো অনিরাপদ জায়গা নেই।
@সাইফুল ইসলাম,
ভাইয়া একটা কথা। পরের ২ ধরনের নারীর সাথে কি প্রথমজন তথা পর্ন তারকার তুলনা কোনভাবেই চলতে পারে?
তবে হাঁ আপনার মত আমারও এই কবিতাটি নিয়ে আপত্তি আর অভিযোগ আছে অনেক।
অসাধারণ কথা বলেছেন। পুরপুরি একমত।
প্রথমেই বলে নেই – আমি কিন্তু কবিতা লিখি না, এবং আমার এই মন্তব্যের অর্থ মেয়েদের জীবনের রূঢ় বাস্তবতাকে অস্বীকার করাও নয়! তবে, মেয়েদের নিয়ে কাজ টাজ করা হয় তো, তাই পুরুষদের নিয়েও কাজ করা হয়ে যায়। তাছাড়া ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ, মতামত ইত্যাদি টিত্যাদি সব মিলিয়ে আপনার কবিতাটা পড়ে মনে হলো, কেউ কেউ হয়তো এভাবেও ভাবতে পারে –
ওরা আমায় নিজেদের প্রয়োজনে
কখনো বানিয়েছে স্বামী,
কখনো মূল্য-পরিশোধক যন্ত্রের মতন
অনুভূতিহীন অস্তিত্ব এক।
ওরা কখনো তাদের বিকৃত নারীত্ব
চরিতার্থ করতে বানিয়েছে আমায় বীর্যের আধার,
বানিয়েছে উদ্ভট চিরপ্রেমিক, কৃষ্ণের মত বহুগামী, অথবা নিরন্তর যৌনকাতরতায় ভোগা ক্লান্ত, শিকারী কোন –
আমার যেন কোন আমি থাকতে নেই!
কি বিচিত্র তাদের মনন!
‘সাহস’ আর ‘শক্তি’র যত দায়ভার নিয়ে,
তথাকথিত ‘পুরুষ’ হয়ে ওঠার সব শর্ত পূরণে,
প্রসাধনের মত মেখে নেই গায়ে – নিরাবেগ কর্তব্য আর দৃঢ়তার খোলস,
আমাকে দুমড়ে, মুচড়ে, কোমলতার শেষ রেশটুকুও মুছে দিয়ে
বারবার আগুনে ঝালিয়ে,
তবুও কি অভীষ্ট মেলে?
ওদের বংশবৃদ্ধি ও অস্তিত্বরক্ষার জন্য
ব্যবহার করে আমার শিশ্ন,
আবার ঈর্ষা নাকি বিষাদ নাকি গহীন কোন হিংস্রতায়
চামড়ায় কেটে কেটে বসায় অদেখা মারের দাগ।
ওরা আমার বাজারদর যাচাই করে নেয়,
পিছিয়ে পড়া রেসের ঘোড়ার মত বাতিল করে দ্যায়,
তারপর গৃহপালিত ‘কর্তা’র ভূমিকায় যুতে দিয়ে
মাঝে মাঝে দু’একটা শরীরী রাত ছুড়ে দিয়ে
অথবা মুখখিস্তির জোরে আর চাবুক চালিয়ে
আমার বাজারমূল্যটুকু বজায় রাখে –
প্রেম থাক, কাম থাক, গদ্য কি পদ্য থাক,
‘নিরাপত্তা’ চাই না বুঝি!
এরপর বেশ কিছুক্ষণ আর দম ছিলো না 🙁
ওরা কখনো কখনো আমার সাথে
ভালবাসার ভান করে।
পরক্ষণে নিজেরাই খুলে দেয়
নিজেদের কপট-মুখোশ।
মানুষ নই তো আর, কেউই, যতদূর চোখ যায় –
‘হতে দেয়া’ আর কত, চরাচরজুড়ে শুধু শব্দের খেলা –
স্বার্থের বাঁকাহাসি কি যে কঠিন, করুণ আর অসহায়, হায়
এতোদূর এসে তবে, আবারও কি ফিরে যাবে –
সেই কবে শিখেছিলে, পুরুষমানুষ কিছু ‘হতে দেয়’ –
অথবা নয়?
আমি কিন্তু কবিতা লিখিনি, এটা আপনার কবিতার ফ্রেমওয়ার্কেই বসানো আমার পাঠপ্রতিক্রিয়া মাত্র 🙂
স্নিগ্ধা তো নেই আর, যতদূর চোখ যায় –
দেখি তার লাশ, মৃত্যু হয়েছে তার
‘পুরুষের দালালী’ আর কত, চরাচরজুড়ে শুধু ঘৃণ্য খেলা –
স্বার্থের বাঁকাহাসি কি যে কঠিন,পুরুষের ল্যাজামি আর কত, হায়
এতোদূর এসে তবে, আবারও কি ফিরে যাবে –
সেই কবে শিখেছিলে, পুরুষের পাচাটা –
অথবা নয়?
@বন্যা আহমেদ,
আহহারে, কবিতা লিখতে সবাই পারে না তো! কেন এই বৃথা চেষ্টা!! এটা পড়ে মনে হচ্ছে তুই আমাকে “পুরুষের দালাল”, “পুরুষের ল্যাজামি(এটা কী??)কারী” এবং “পুরুষের পাচাটা” বলতেসিস। তাই? :-O
@স্নিগ্ধা, আরে তাই তো বললাম :-Y, চোখ বন্ধ করে পুরুষকে গাইলানো ‘নারীবাদের’ পক্ষে না থাকলে তুই আর ‘নারীবাদী’ হইলি ক্যমনে?
@স্নিগ্ধা, আপনার কবিতাটি খুবই চমৎকার হয়েছে। কবিতা লিখার ইচ্ছা থাকলে আপনি খুব ভাল লিখতে পারবেন ব’লে মনে হয়। (Y)
@বন্যা আহমেদ,
স্নিগ্ধাপাকে পুরুষ নামক অসাধারণ একটা ‘প্রজাতির’ পক্ষে দাঁড়ানোয় আপনি তাকে এইভাবে ব্যক্তিআক্রমণ করলেন। জাহান্নামেও তো আপনার জায়গা হবেনা। ধিক্কার।
@স্নিগ্ধা, আমার কবিতার কথাগুলো সার্বজনিন নয়। এক সময় এই কথাগুলো সব পুরুষের ও নারীর জন্যই প্রযোয্য ছিল। আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটেও অধিকাংশের জন্যে প্রযোয্য। আপনার কথাগুলোও অনেকক্ষেত্রে সত্যি।
@স্নিগ্ধা,
কবিতা না লিখেই এমন ভাবের ঘোর,ভাষার কৌশল এবং শব্দের কারুকাজ, শব্দ চয়ন আর যথা প্রয়োগ!!!
এমন পাঠ প্রতিক্রিয়া পেলে অন্য পাঠকরা উপকৃতই হবে।
ইশ, কথাটা যদি আমার বউ বুঝতো, বেশ কিছু পাউন্ড পরিবারের প্রয়োজনীয় খরচের জন্যে বেঁচে যেতো।
@আকাশ মালিক,
প্রসাধনী সরবরাহের পরিমাণ ও মূল্য দিন দিন বাড়তে থাকলে একদিন বুঝতেও পারে।:razz:
চমৎকার!!!!!!!! ভাল লাগল, পুরুষের প্রতি প্রতিবাদ, নাকি আনুরাগ। (F) (G) আঘাত আরও তীব্র হোক, আরও কঠিন।
@ওমর ফারুক, সব পুরুষের প্রতি নয়। যেসব পু্রুষ নারীকে হাতের মুঠোয় রেখে কচলে মারতে চায়, কেবল তাদের প্রতি। এটা অনেক পরিবারেরই বাস্তবচিত্র। ধন্যবাদ।
@তামান্না ঝুমু, ধন্যবাদ,আপনার মাতামতের জন্য, আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থায় তাঁদের সংখ্যা আতি নগণ্য, তাই তাঁদেরকে পৃথক করে সমাজ চালিত হয়না। আমার বিশ্বাস, নারীবাদ, পুরুষ বিদ্বেষ, কোনটাতেই নারীর মুক্তি হবেনা। যত দিন নারীর আথ৴নৈ্তিক মুক্তি না আসবে। নারী রাষ্ট্র নামক কারাগারে বন্ধী থকবে, যত দিন রাষ্ট্র নারীকে আথ৴নৈ্তিক সমান আধিকার না দিবে। আর এই কারাগারে আঘাত করার জন্য, রাষ্ট্র এর মূল চালিকা শক্তি জনগণ কেই এগিয়ে আসতে হবে। আমার ভাষাগত দুব৴লতার জন্য দুঃখিত। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।
@তামান্না ঝুমু, তাহলে ঠিক আছে আপু। তবে আপনার এই কবিতাটা পড়ে মনে হয় অনেকেই ভুল বুঝবে, কারন তেমন অবকাশ আছে।
@অচেনা, আমাদের সমাজে অধিকাংশ নারীরই ত আজো সেই আদিম দশা।
@তামান্না ঝুমু, মনে হয়না আপু সেই আদিম দশা আছে।আদিম দশা শুধু আরবে আছে। আর ইসলামিক দেশগুলোতে। আমি অস্বীকার করছিনা যে বাংলাদেশে নারী ধর্ষনের হার খুবই বেশি তবু দেখুন অন্যদিক বিবেচনা করে , সউদি রমনীদের থেকে অথবা অনেক ইসলামী দেশের রমনীদের থেকে বাংলাদেশের নারীদের অবস্থা অনেক ভাল।এখানে তারা চাকরি করছে। পর্দা না করলে কেউ তাদের চাবুক মারছে না।স্বীকার করি অবস্থা আরও অনেক উন্নতি হওয়া দরকার তবে আদিম দশাতেই আছে অধিকাংশ নারী এটা মনে হয় একটু বেশি হয়ে গেল। তাহলে সউদি নারীরা কি দশাতে আছে বলেন?
@অচেনা,সৌদি আদর্শে অনুপ্রাণিত অনেকগুলো পরিবারকে আমি চিনি। যেখানে মেয়েদের পুরুষ আত্মীয়ের সামনে যাওয়াই নিষেধ।
@তামান্না ঝুমু,
হ্যাঁ আপু আমিও চিনি এমন একটা পরিবার আর একটা মেয়েকে।পরিবার টা হল আমার স্কুল লাইফের এক বন্ধুর ভাই আর ভাবি। আমার সেই বন্ধু তার ভাবী কে দেখেনি। ভাবী তার সামনে আসবে না কারণ এটা নাকি ইসলামে হারাম। কি বিরক্তিকর যে দেবর তার ভাবিকে দেখেনি কোনদিন! স্বামী স্ত্রী ২জনেই তাবলীগ জামাতের সদস্য। আরেকজন আমার আত্মীয়া।তিনি এমনকি ১ম কাজিনদের সামনেও নেকাব ছাড়া যান না। কারণটা একই। সত্যই এদেরকে করুণা করা ছাড়া আমার র কিছুই করার নেই।
কবিতা ভাল লাগলো। (Y)
তবে কিছু বেপারে আমি একমত হতে পারছিনা। কবিতাটা নারীবাদী। এবং সম্পূর্ণই পুরুষ বিদ্বেষী। কোনরকম নিরপেক্ষতার ধার ধারা হয়নাই।
আপনি যদি বাস্তবতা দেখেন, এসব ক্ষেত্রে শাশুড়ি এবং ননদই মুখ্য ভূমিকা পালন করে। আমি বলব শতকরা ৮০ ভাগ ভূমিকাই তাদের।
যতদিন বাস ট্রেন এ নারিদের জন্য সংরক্ষিত আসন থাকবে, যতদিন সংসদে সংরক্ষিত আসনে তারা নির্বাচন করবেন, যতদিন খবরে বলা হবে …’৫ জন নারী ও ৩ জন শিশু সহ ১০ জন মারা গেছে’… ততদিন নারী মুক্তি নাই।
আলাদা করে নারী পরিচয়ই নারী মুক্তির প্রধান অন্তরায়।
@অরণ্য,
মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের একজন মা, কন্যার চেয়ে পুত্রকেই বেশি আদর করে। আবার তার ঘরে যখন পুত্রবধূ আসে সেই বধূ হয়ে যায় শাশুড়ির চোখেরবালি।এবং জামাই হয় চোখেরমণি। কারণ পুরুষতান্ত্রিকতায় চাপা থাকতে থাকতে সে নিজের অজান্তেই পুরুষতন্ত্রের ধারক-বাহক ও সমর্থক হয়ে উঠে।
এই বিধিগুলোর প্রবর্তক কিন্তু পুরুষ। নারীকে ছিঁটেফোঁটা করুণা করে বা আলাদাভাবে তার নাম উল্লেখ করে তারা বাহবা পেতে চায়। নারীও পদদলিত হতে হতে সামান্য করুণা পেলে নিজেকে ধন্য মনে করে। ধন্যবাদ।
@তামান্না ঝুমু,
তাহলে আর নারী মুক্তির কথা বলে লাভ কি?
যত দোষ নন্দ ঘোষ।
পুরুষ পুরুষ করে আর কত কাল কাজে ফাঁকি দিতে চান? (ক্ষমা করবেন, কিন্তু কথা সত্য)
এভারেস্ট জয় করেই নিশাত মজুমদার বলতে পারে, হাঁ আমরাও পারি। এঁর দোষ ওঁর দোষ বলে লাভ নাই।
মানুষ দুই প্রকার। ভাল মানুষ আর খারাপ মানুষ। আবার কাজের বেলায়ও তাই।
মানুষ হওয়াতেই গৌরব। নারী পুরুষ এ না।
@অরণ্য,
আসলে নারীবাদী হলেই সেটাকে অবধারিত ভাবে পুরুষ বিদ্বেষী হতেই হবে এর কোন মানে নেই। আমরা জানি যে ফেমিনিজম আর ফেমডম এক জিনিস না। তবে হাঁ আমিও একমত আপনার সাথে।এখানে আসলেই কোন নিরপেক্ষতার পরিচয় ঝুমু আপু রাখতে পারেন নি। উনার অনেক কবিতা আমার ভাল লেগেছে। তবে এটা কেমন জানি ভাল লাগল না। তবে আমি এখনো আশা করি যে উনি হয়ত সব পুরুষকে না বরং কিছু পুরুষরূপী পশুকে ইঙ্গিত করেছেন।
আর এটা সত্য হলেও মঙ্গল। নারীবাদ মানেই পুরুষ আর নারীকে শত্রু বানিয়ে দেয়া নয়। আর কেউ যদি সেটাই মনে করে এমন লেখা লেখেন তবে সেটা খুবি দুঃখজনক।
@অচেনা,
আমার কিন্তু ধারণা অতি আবেগের বশে অথবা অতি নারীবাদী হয়ে তিনি লেখাটা লিখে ফেলেছেন। যেটা ঠিক না। নিশ্চয়ই ঝুমু আপা সব পুরুষের বিপক্ষে নন। কিন্তু লেখায় তো তা থাকতে হবে।
আমি নিজে মনে করি কোন ‘বাদী’ না হয়ে বরং ‘প্রতিবাদী’ হওয়া উচিৎ। অন্যায় অবিচার মিথ্যার বিরুদ্ধে।
@অরণ্য, হ্যাঁ সেটাই।