নাসেক মানসুকের আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ উদাহরন হলো নীচে-
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। কোরান, আল আহ যাব-৩৩:৫০
উক্ত আয়াত টি নিচের আয়াত দ্বারার বাতিল হয়ে যায়-
এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। কোরান, আল আহযাব-৩৩: ৫২
উক্ত ৩৩: ৫০ আয়াতের একটি লাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো – কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। – তার অর্থ নবী যত খুশী তত বিয়ে করতে পারবেন। আর এটা নবীর জন্য বিশেষ আল্লাহ বিশেষ আনুকূল্য। তার কি অসুবিধা? অনেকগুলো স্ত্রী না থাকলে তার কি অসুবিধা হয় ? পাঠকের সুবিধার্থে উক্ত আয়াত সম্পর্কে ইবনে কাথিরের তফসির নিচে দেয়া হলো-
(and a believing woman if she offers herself to the Prophet, and the Prophet wishes to marry her — a privilege for you only,) means, `also lawful for you, O Prophet, is a believing woman if she offers herself to you, to marry her without a dowery, if you wish to do so.’ This Ayah includes two conditions. Imam Ahmad recorded from Sahl bin Sa`d As-Sa`idi that a woman came to the Messenger of Allah and said, “O Messenger of Allah, verily, I offer myself to you (for marriage).” She stood there for a long time, then a man stood up and said, “O Messenger of Allah, marry her to me if you do not want to marry her.” The Messenger of Allah said:
(Do you have anything that you could give to her as a dowery) He said, “I have only this garment of mine.”
The Messenger of Allah said: (If you give her your garment, you will be left with no garment. Look for something.) He said, “I do not have anything.” He said: (Look for something, even if it is only an iron ring.) So he looked, but he could not find anything. Then the Messenger of Allah said to him-“ Do you have ﴿know﴾ anything of the Qur’an) He said, “Yes, Surah such and such and Surah and such,” he named the Surahs. So, the Messenger of Allah said: (Do you have ﴿know﴾ anything of the Qur’an) He said, “Yes, Surah such and such and Surah and such,” he named the Surahs. So, the Messenger of Allah said: (I marry her to you with what you know of the Qur’an.) It was also recorded by (Al-Bukhari and Muslim) from the Hadith of Malik. Ibn Abi Hatim recorded a narration from his father that `A’ishah said: “The woman who offered herself to the Prophet was Khawlah bint Hakim.” Al-Bukhari recorded that `A’ishah said, “I used to feel jealous of those women who offered themselves to the Prophet and I said, `Would a woman offer herself’ When Allah revealed the Ayah: (You can postpone whom you will of them, and you may receive whom you will. And whomsoever you desire of those whom you have set aside, it is no sin on you-) I said, `I see that your Lord hastens to confirm your desires. ( Ibne Kathir-www.qtafsir.com)
তাফসির থেকে দেখা যাচ্ছে-যদি কোন বিশ্বাসী নারী মোহাম্মদকে বিয়ে করতে চায় তাহলে তিনি তাকে কোনরকম মোহর প্রদান ছাড়াই বিয়ে করতে পারবেন(O Prophet, is a believing woman if she offers herself to you, to marry her without a dowery, if you wish to do so) ।শুধু এটাই নয়, উক্ত তাফসির থেকে দেখা যাচ্ছে- নবীর বালিকাবধূ আয়েশা বলছে- আমি খুবই ঈর্ষা বোধ করতাম যখন কোন নারী স্বেচ্ছায় নবীর কাছে আত্মসমর্পন করত। বলা বাহুল্য নবীও তাদেরকে উদার ভাবে গ্রহণ করতেন তাঁর বাহুডোরে, সেকারনেই আয়শার এরকম ঈর্ষাবোধ। কোন আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন নারীই তার স্বামীর এ ধরনের বহু নারী প্রীতি মেনে নিতে পারে না।হাদিস থেকে দেখা যায়, মোহাম্মদের বাল্যবন্ধু আবু বকরের কন্যা অত্যন্ত আত্ম সম্মানবোধ সম্পন্ন ছিল। যাহোক আয়েশার উক্ত বক্তব্যের কারনে আল্লাহ অতিশয় দয়া পরবশ হয়ে অতি দ্রুত এ আয়াত নাজিল করে-
আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন। আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে কামনা করলে তাতে আপনার কোন দোষ নেই। এতে অধিক সম্ভাবনা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে; তারা দুঃখ পাবে না এবং আপনি যা দেন, তাতে তারা সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে, আল্লাহ জানেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। কোরান, 33: 51
মোহাম্মদের বহু নারী প্রীতি জনিত কষ্ট আল্লাহ যে একেবারেই সহ্য করতে পারত না এটা তার উজ্ব্বল নমুনা।শুধু তাই নয় যত ইচ্ছা বিয়ে করার জন্য মোহাম্মদকে কোন টাকা পয়সা যাতে খরচ করতে না হয় সে ব্যবস্থাও আল্লাহ করে দিল । বিষয়টি আয়শার মনে সন্দেহের উদ্রেক করে। এটা কিভাবে সম্ভব যে আল্লাহ তার নবীর বহু নারী প্রীতি নিয়ে এতটা উদ্বিঘ্ন থাকতে পারে? আল্লাহর কি আর অন্য কাম কাজ নেই ? যে কারনে আয়শা আশ্চার্যন্বিত হয়ে বলছে- – I see that your Lord hastens to confirm your desires- আমি দেখছি আপনার প্রভু আপনার ইচ্ছা পূরনে মোটেই দেরী করেন না।আসলেই বড় তাজ্জব কায় কারবার এই মোহাম্মদের। বোঝা বড়ই দায়। বুঝতে অসুবিধা হয় না যে , আয়শা মূলত: ধরে ফেলেছে যে মোহাম্মদের জিব্রাইল দর্শন বা তার আল্লাহর ওহী এসব মোহাম্মদের মনগড়া বানানো কিচ্ছা ছাড়া আর কিছুই নয়।আর তাই তার এ বক্তব্য।
তবে সব সময় যে মোহাম্মদ যাকে তাকে বিয়ে করতেন তা কিন্তু নয়, আসলে নারীর রূপ সৌন্দর্য মোহাম্মদকে আকৃষ্ট করলেই মাত্র তিনি বিয়ে করতেন , নতুবা করতেন না।তাও কিন্তু উক্ত তাফসিরে দেখা যাচ্ছে।সেখানে এক মহিলা মোহাম্মদের কাছে এসে আব্দার জানায় তাকে বিয়ে করার।অনেক ক্ষন দাড়িয়ে থাকার পরেও মোহাম্মদ তার দিকে ফিরেও তাকান না।কারন নবী উক্ত নারীর প্রতি আকৃষ্ট হন নি।অত:পর এক লোক সেখানে দাড়িয়ে ছিল বিষয়টি তার নজর কাড়াতে সে নবীর কাছে উক্ত নারীকে বিয়ে করার আর্জি জানায়, সে বলে- হে নবী আপনি বিয়ে করতে না চাইলে তাকে আমার সাথে বিয়ে দিয়ে দিন।নবী তাকে জিজ্ঞেস করেন-মোহরানা দেয়ার মত তার কাছে কিছু আছে কিনা।লোকটি না সূচক উত্তর দিলে নবী বলেন সে কোরান থেকে কিছু মুখস্থ বলতে পারবে কি না। অত:পর লোকটি কয়েকটি সূরা থেকে কিছু আয়াত মুখস্থ বললে সেটাই তার মোহারানা হিসাবে ধার্য্য করে মোহাম্মদ নারীটিকে তার সাথে বিয়ে দিয়ে দিলেন। মোহাম্মদের ১২/১৩টা বিয়ে নিয়ে যখন প্রশ্ন করা হয় তখন ইসলামি পন্ডিতরা বলে- বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাকে বিয়ে করতে হয়।এখন কারনটা নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে । সেটা হলো নারীর রূপ যৌবন তাঁকে আকৃষ্ট করলেই একমাত্র তিনি তাকে বিয়ে করতেন। যা কিন্তু পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে নিচের আয়াতে-
এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। কোরান, ৩৩: ৫২
উক্ত আয়াতে আল্লাহই বলছে যদিও তাদের (নারী) রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে নবী যে অনেকগুলো বিয়ে করেছিলেন কোন কোন ক্ষেত্রে বিশেষ সামাজিক কারন বিদ্যমান থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেটা ছিল নারীর রূপ লাবন্য। তার অর্থ ইসলামি পন্ডিতরা যেসব বক্তব্য দেয় তা সত্য নয়। কোন বিশেষ উদ্দেশ্য এখানে প্রধান নয় বরং মোহাম্মদকে যে সব নারী আকৃষ্ট করত, মোহাম্মদ তাকেই বিয়ে করতে চাইতেন। এছাড়াও এটাও ভাবার বিষয় যে- আল্লাহর নবীকে কেন সামাজিক কারনেও একের পর এক বিয়ে করে যেতে হবে ?এভাবে একের পর এক বিয়ে করে যাওয়াতে সেই মদিনাতে সাধারণ লোক জন মোহাম্মদের নারী লিপ্সা নিয়ে কানা ঘুষা করতে থাকে, বিশেষ করে খৃষ্টানরা। খৃষ্টানরা বলা বলি করছিল এ কোন ধরনের নবী যে একের পর এক বিয়ে করে যাচ্ছে অথচ তাদের যীশু খৃষ্ট কোন রকম বিয়ে বা নারীর সংস্পর্শ ছাড়াই তাঁর ধর্ম প্রচার করে গেছেন। বিষয়টি তাদের কাছে খুব অদ্ভুত ও উদ্ভট মনে হচ্ছিল। মোহাম্মদ তখন চিন্তা করলেন বিষয়টিকে বেশী বাড়তে দেয়া ঠিক নয়। আর সেকারনেই আগের বিয়ে গুলো জায়েজ করার জন্য ৩৩:৫০ আয়াত নাজিলের পর পরই অথবা কিছুদিন পর উক্ত ৩৩:৫২ আয়াতের আমদানী করেন মোহাম্মদ এবং বলাবাহুল্য, ৩৩: ৫২ আয়াত দ্বারা ৩৩:৫০ আয়াত মানসুক বা রদ হয়ে যায়। তবে দাসীদের ক্ষেত্রে নবীর নারী লিপ্সার বিষয়টি বরাবর বলবত থাকে।অর্থাৎ তিনি যত ইচ্ছা খুশী দাসী রেখে তাদের সাথে যৌন সঙ্গম করতে পারবেন। শুধুমাত্র স্বাধীন নারীর ক্ষেত্রে বিষয়টি কার্যকর হয়।
এখানে একটা ব্যপার খুব কৌতুহলোদ্দীপক। তা হলো ৩৩ নং সূরার ৫০ নং আয়াতে মোহাম্মদকে আল্লাহ যত খুশী বিয়ে করার লাইসেন্স দিচ্ছে অথচ মাত্র এর এক আয়াত পরেই ৫২ নম্বর দ্বারা তা বাতিল করে দিচ্ছে। এর পর মনে হতে পারে যে বিয়ের ফ্রি লাইসেন্স দেয়ার পর পরই আল্লাহ তা বাতিল করে দিয়েছে তার অর্থ উক্ত লাইসেন্স অনুযায়ী মোহাম্মদ আর কোন বিয়ে করেন নি। কিন্তু বিষয়টি মোটেও তা নয়।
বিস্ময়কর ব্যপার হলো উক্ত বাতিলকরন আয়াত নাজিল হওয়ার পরেও মোহাম্মদ তা মেনে চলার ধার ধারেন নি।অর্থাৎ আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করেছেন। বিষয়টি শুনতে খুব আশ্চর্য মনে হচ্ছে? না মোহাম্মদ এভাবেই তার আল্লাহর নির্দেশ বার বার অমান্য করেছেন, অমান্য করার পর পরই তা আবার পাল্টা আয়াত নাজিল করে শুধরে নিয়েছেন। তবে আল্লাহর নিষেধ অমান্য করে বিয়ে করার পর মোহাম্মদ তার সংশোধনী কোন আয়াত আমদানী করেন নি। এর কারনটাও বোধগম্য, সে সময় মদিনাতে তিনি সর্ব শক্তিমান ও তাঁর বিরুদ্ধে টু শব্দ করার মত কেউ তখন আর অবশিষ্ট ছিল না। তাই তাঁর স্বেচ্ছাচারী কাজের জন্য আর কোন আয়াত নাজিলের দরকার বোধ করেন নি। উক্ত সূরা আহযাব নাজিল হয় খন্দকের যুদ্ধ বা আহযাবের যুদ্ধের পর পর। উক্ত যুদ্ধ শুরু হয় ৩১শে মার্চ, ৬২৭ সালে বা হিজরী ৫ম সালে ।
(তথ্য সূত্র: http://en.wikipedia.org/wiki/Battle_of_the_Trench)
( http://www.alim.org/library/quran/surah/introduction/33/MAL)
তার অর্থ ৬২৭ সালের এপ্রিল-মে মাসে উক্ত সূরা আহযাব নাজিল হয়। এর পর খায়বারের ইহুদিদেরকে মোহাম্মদের বাহিনী আতর্কিকে সকাল বেলা আক্রমন করেন ৬২৯ সালে এবং প্রায় নিরস্ত্র ইহুদিদেরকে কচুকাটা করেন। যদিও মুসলিম পন্ডিতরা বলে থাকেন এটাও নাকি মোহাম্মদের আত্মরক্ষার যুদ্ধ। ভোর বেলা আতর্কিতে একটা জনপদে দলবল সহ আক্রমন করা কোন ধরনের আত্মরক্ষা মূলক যুদ্ধ তা একামাত্র মোহাম্মদ আর তাঁর আল্লাই জানেন। যাহোক, খায়বারের ইহুদী সর্দার কিনানের স্ত্রীর রূপ সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ তাকে গণিমতের মাল হিসাবে গ্রহন করেন, বিয়ে করা ছাড়াই তার সাথে প্রথম রাত কাটান ও পরে তাকে বিয়ে করেন।৬২৭ সালে আল আহযাব সূরা নাজিল হয় আর তার ৫২ নং আয়াতে মোহাম্মদকে পরিষ্কার আল্লাহ বলে দেয় তিনি আর কোন বিয়ে করতে পারবেন না , অথচ ৬২৯ সালে খায়বারের যুদ্ধের পর মোহাম্মদ সে নিষেধ অমান্য করে সাফিয়াকে বিয়ে করেন।সত্যি সত্যি যদি কোন সর্ব শক্তিমান আল্লাহ মোহাম্মদের কাছে বানী পাঠাত, মোহাম্মদ কি এ ধরনের নিদের্শ অমান্য করার দু:সাহস করতেন ? এখানে মোহাম্মদের বিয়ের একটা সময়ভিত্তিক ক্রমিক নম্বর দেয়া হলো-
১ম: বিবি খাদিজা- মোহাম্মদ ৪০ বছর বয়স্কা খাদিজাকে ২৫ বছর বয়েসে বিয়ে করেন।ধনাড্য খাদিজাকে বিয়ে করার পর মোহাম্মদের দারিদ্র ঘোচে।স্ত্রীর আয়ের ওপর নির্ভর করে মোহাম্মদ তাঁর চিন্তা ভাবনাকে গুছিয়ে নিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার সুযোগ পায়।
২য়: বিবি সওদা- খাদিজা মারা যাওয়ার পর ৫৫ বছর বয়স্কা সওদাকে বিয়ে করেন। মোহাম্মদের বাচ্চা কাচ্চাদের দেখাশুনো করার জন্য তিনি সওদাকে বিয়ে করেন।
৩য়: বিবি আয়শা – ৫৩ বছর বয়েসে মোহাম্মদ ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করেন। আয়শা ছিলেন মোহাম্মদের বাল্যবন্ধু আবু বকরের কন্যা। স্বপ্নে দেখে মোহাম্মদ একে বিয়ে করেন।
৪র্থ: বিবি হাফসা- হযরত ওমরের কন্যা হাফসা বিধবা হওয়ার পর মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।ওমর তার বিধবা কন্যাকে ওসমান ও আবু বকরের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তারা প্রত্যাখ্যান করার পর মোহাম্মদ বিয়ে করেন।
৫ম: বিবি জয়নাব বিনতে খুজাইমা- বদর যুদ্ধে তার স্বামী মারা যাওয়ার পর পরই মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।
৬ষ্ট: বিবি উম্মে সালামাহ- তারা ইথিওপিয়াতে প্রবাসকালে তার স্বামী মারা যাওয়ার পর মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।
৭ম: বিবি জয়নাব বিনতে জাহস- মোহাম্মদের পালক পূত্র জায়েদের স্ত্রী।একবার স্বল্প বসনা জয়নাবকে তার ঘরের মধ্যে আতর্কিতে দেখে ফেলার পর আকৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ তার প্রেমে পড়েন। মোহাম্মদ নানা কায়দায় তাকে তালাক দিয়ে পরে পূত্র বধূকে নিজেই বিয়ে করেন। এ বিয়ে করার জন্য আল্লাহকে বহু কাঠ খড় পোহাতে হয় কারন তাকে একের পর এক আয়াত নাজিল করতে হয় সাধারণ মানুষের কানা ঘুষা বন্দ করার জন্য।
৮ম: বিনি জুরাইয়া- পরাজিত বানু মুস্তালিক গোত্রের প্রধানের বিধবা স্ত্রী। এ বিয়ের পর উক্ত গোত্রের সকল বন্দীদেরকে মুক্তি দিয়ে সবাইকে মোহাম্মদ তার দলে ভিড়াতে সক্ষম হন। এটা ছিল খুবই কার্যকরী একটা বিয়ে।
৯ম: বিবি হাবিবা- স্বামীর সাথে ইথিওপিয়ার গমন করার পর তার স্বামী খৃষ্টান ধর্ম গ্রহন করে, ফলে তাদের তালাক হয়ে যায়, এর পর মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।
১০ম: বিবি সাফিয়া-খায়বার যুদ্ধে বিজয়ের পর মোহাম্মদ তাকে গণিমতের মাল হিসাবে ভাগে পান। যেদিন মোহাম্মদ সাফিয়ার স্বামী, পিতা, ভাই সহ সকল আত্মীয়কে নির্মমভাবে হত্যা করেন সেদিনই সাফিয়াকে নিয়ে রাত কাটান। পরে তাকে বিয়ে করেন।
১১শ: বিবি মায়মুনা- প্রথম স্বামী তালাক দিলে আবার বিয়ে করে, সে স্বামী মারা গেলে মোহাম্মদ বিয়ে করেন।
১২শ: মারিয়া- মিশরের একজন শাসকের কাছ থেকে পাওয়া এ কপটিক খৃষ্টান দাসী ভীষণ সুন্দরী ছিল।মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করা ছাড়াই তার সাথে যৌন সঙ্গম করতেন ও তার গর্ভে ইব্রাহিম নামের ছেলের জন্ম দেন। ইব্রাহীম শৈশবেই মারা যায়।একে মোহাম্মদ বিয়ে করেছেন কি না এ বিষয়ে দ্বিমত আছে। কারন অন্য সকল স্ত্রীর ঘর থাকলেও মারিয়ার জন্য কোন ঘর ছিল না। বলাবাহুল্য, স্ত্রীর জন্য একটা ঘর থাকার অর্থ উক্ত নারীকে স্ত্রী হিসাবে স্বীকার করে নেয়া। এ সূত্রে দেখা যায় মারিয়া মোহাম্মদের যৌন দাসী ছাড়া আর কিছু ছিল না। এমন কি ইবনে কাথিরের তাফসিরেও তাকে স্ত্রী হিসাবে নিশ্চিতভাবে স্বীকার করা হয় নি।
(সূত্র: http://www.islamawareness.net/Muhammed/ibn_kathir_wives.html)
উক্ত ক্রমিক থেকে দেখা যায় বিয়ে না করার নির্দেশ জারি হওয়ার পরেও মোহাম্মদ আরও কমপক্ষে দুইটা নিশ্চিত বিয়ে করেন।
মারিয়াকে ধরলে সংখ্যা হবে তিন।
উপরের তালিকা থেকে এটাও বোঝা যাচ্ছে মোহাম্মদের বিয়ের মধ্যে বিবি খাদিজা ও সওদাকে বিয়ে করার যুক্তি সঙ্গত কারন বিদ্যমান। হয়ত বা একটা গোষ্ঠিকে দলে টানার জন্য জুরাইয়াকেও যুক্তির মধ্যে ফেলা যায়। কিন্তু ৬ বছরের আয়শা , ওমরের মেয়ে হাফসা, পূত্রবধূ জয়নাবকে বিয়ে করার কি কারন তা বোঝা দু:সাধ্য।যুদ্ধে শহিদ হওয়া বিধবা অসহায় নারীদের বিয়ে করে তিনি আশ্রয় দিয়েছেন বলে ইসলামী পন্ডিতরা বহুল প্রচারনা চালায়।বিরাট মহান কাজ নি:সন্দেহে।তার অর্থ তখন মোহাম্মদ ছাড়া আর কেউ ছিল না তাদেরকে বিয়ে করার।বরং তাদের ভাব হলো- মোহাম্মদ যে তখন মক্কা মদিনার তাবৎ বিধবাদের বিয়ে করেন নি এটা দিয়ে প্রমানিত হয় মোহাম্মদ নারী লিপ্সু ছিলেন না। তারা এ প্রচারনা চালাতে গিয়ে একটা বিষয় ভুলে যায় যে এই মোহাম্মদকে তারা আল্লাহর নবী, দুনিয়ার শ্রেষ্ট ও সর্ব যুগের আদর্শ মানুষ হিসাবে প্রচার চালায়।এভাবে তার একের পর এক বিয়ে যে মোহাম্মদকে শুধুমাত্র সেই ১৪০০ বছর আগেকার একটা গোষ্ঠি নেতার কাতারে ফেলে দেয় এটা বোঝার মত বুদ্ধি এদের ঘটে নেই।তা ছাড়া এতগুলো বিয়ে করে তিনি যে স্ববিরোধীতা করেছেন তা হলো- নিজে বিয়ে করেছেন অগণন, অথচ তার অনুসারীদেকে করতে বলেছেন মাত্র ৪ টা বিয়ে করতে। এটা কেমন কথা ? একজন মদখোর অন্যকে মদ খেতে নিষেধ করতে গেলে আগে তার নিজের মদ খাওয়া ছাড়া উচিত। কিন্তু মোহাম্মদ সেসবের ধার ধারেন না। ইসলামি পন্ডিতরা বলে মোহাম্মদের সব কাজ বোঝা যায় না, আল্লাহর নবী হিসাবে তার কিছু কিছু এক্সট্রা অর্ডিনারী কাজ ছিল যা সাধারণ মানুষ করতে পারে না বা পারত না। আর এটা হলো প্রত্যেক নবীর বৈশিষ্ট্য। কিন্তু একজন অসাধারণ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মানুষকে সাধারণ মানুষ থেকে পৃথক করা যায় কিভাবে ? মোহাম্মদের একটার পর একটা বিয়ে , দাসীর সাথে যৌন মিলন করে বাচ্চা উৎপাদন তাঁর বিশাল মহানুভবতা ও নবী হিসাবে অসাধারণ বৈশিষ্ট্যের পরিচয় বৈ কি? আহা, দ্বীনের নবী- গরীব ও অসহায় বিধবাদের কষ্ট সহ্য করতে পারেন না, তাদেরকে একটার পর একটা বিয়ে করে তার হারেমে তোলেন, এর চাইতে মহৎ কাজ দুনিয়াতে আছে ? কিন্তু প্রশ্ন হলো তার উম্মতদেরকে কেন মাত্র একসাথে ৪ টা বিয়ে করার অনুমতি দিলেন, কেন তাদেরকে নবীর আদর্শ অনুসরণ করে তাদেরকেও মহৎ হওয়ার সুযোগ দিলেন না?
এ কেমন ধরনের নবী যিনি তার আল্লাহর আদেশ লংঘন করেন? কেমন ধরনের আদর্শ শিক্ষক যিনি নিজেই নিজের দেয়া শিক্ষাকে অনুসরণ করেন না, নিজে করেন একটা অথচ অনুসারীদেরকে বলেন অন্যটা করতে ?
মদ খাওয়া, নবীর বিয়ে, জুয়া খেলা এসব বিষয়ে মানসুক তথা বাতিলকরন পদ্ধতি টি ইসলামি পন্ডিতরা খুব জোরে সোরে মেনে নেয় কিন্তু অমুসলিমদের সাথে সহাবস্থান বিষয়ে মদিনাতে নাজিল হওয়া হিংসাত্মক বা জিহাদী আয়াত সমূহ দ্বারা মক্কায় নাজিল হওয়া শান্তির আয়াতসমূহ মানসুক বা বাতিল হয়ে যাওয়াটা তারা কেন মেনে নেয় না ? এখানেই এক বিরাট গলদ বিদ্যমান। আসল ব্যপার হচ্ছে বর্তমানে মুসলমানরা দুনিয়াতে সব দিক দিয়ে হীন বল হওয়াতে তারা এটা প্রকাশ্যে মেনে নেয় না, কিন্তু মনে মনে ঠিকই মেনে নেয়। এটা মেনে নিলে দুনিয়ার সকল অমুসলিম তাদেরকে উচ্ছেদ করার পণ করে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে।অমুসলিমদের সে রুদ্ররোষ থেকে বাঁচতেই আপাত এ অপকৌশল যাকে আমরা তাকিয়া (Taqya) বলতে পারি।
তাকিয়া সম্পর্কে উইকিপিডিয়াতে কি বলছে দেখা যাক-
Taqiyya (alternate spellings taqiya, taqiyah, tuqyah), meaning religious dissimulation,[1] This means a legal dispensation whereby a believing individual can deny his faith or commit otherwise illegal or blasphemous acts while they are under those risks.[2]( http://en.wikipedia.org/wiki/Taqiyya)
এখানে বলছে তাকিয়া হলো ধর্মীয় কপটাচার, অর্থাৎ ধর্মীয় গুঢ় উদ্দেশ্য সাধনে প্রয়োজনে মিথ্যা বলা যাবে। নাসেক মানসুকের বিষয়টা কোথাও কোথাও অস্বীকার করাটা এ তাকিয়ার পর্যায়ে পড়ে।যেমন শান্তিপূর্ণ মাক্কি আয়াতগুলো মদিনার জিহাদি আয়াত দ্বারা বাতিল হলেও (পর্ব-১৩ ও ১৪ ) বার বার অমুসলিমদের কাছে – ইসলাম শান্তির ধর্ম, দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি নাই, তোমার ধর্ম তোমার কাছে আমার ধর্ম আমার কাছে- এসব বলাটা ইসলামের সবচাইতে বেশী প্রচলিত তাকিয়া।বর্তমানে সারা দুনিয়াতে ইসলাম প্রচারকারী মিডিয়া ও তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতরা তাকিয়া ব্যবহার করে রাত দিন ২৪ ঘন্টা মিথ্যাচার করে চলেছে।তাদের একটাই লক্ষ্য হিটলারের প্রচার মন্ত্রী গোয়েবলসের তত্ত্ব মোতাবেক একটা মিথ্যাকে হাজার বার সত্য বলে প্রচার করে মিথ্যাটাকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করা। এখন মিথ্যা প্রচারই হয়ে দাড়িয়েছে ইসলামের মূল লক্ষ্য।উক্ত বিষয়টি ছাড়াও আর যে সব বিষয় তাকিয়ার অন্তর্গত তা হলো- মোহাম্মদের শত অপকর্ম( ১৩ বিয়ে, ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে ও তাকে ৯ বছর বয়েসে ধর্ষণ, দাসীর সাথে যৌনকাজ, পালিত পূত্রবধূ বিয়ে, নিরীহ বানিজ্য কাফেলা ডাকাতি, নিরীহ জনপদ আক্রমন করে তাদেরকে নৃসংশভাবে হত্যা ও তাদের সম্পদ লুটপাট) সত্ত্বেও তাকে ফুলের মত পবিত্র চরিত্র ও দুনিয়ার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা।বিগত ১৪০০ বছর ধরে এভাবে প্রকান্ড মিথ্যাচারের মাধ্যমেই মূলত: ইসলাম টিকে আছে। সেই সাথে ইসলামী সাম্রাজ্যও একটা বড় ইন্ধন হিসাবে কাজ করেছে।এবার তাকিয়ার বিষয়ে কোরানে কি বলে দেখা যাক-
যার উপর জবরদস্তি করা হয় এবং তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে সে ব্যতীত যে কেউ বিশ্বাসী হওয়ার পর আল্লাহতে অবিশ্বাসী হয় এবং কুফরীর জন্য মন উম্মুক্ত করে দেয় তাদের উপর আপতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তাদের জন্যে রয়েছে শাস্তি।সূরা নাহল, ১৬:১০৬ (মক্কায় অবতীর্ণ)
উক্ত আয়াতে বলছে- যদি কোন ব্যক্তির অন্তরে বিশ্বাস অটুট থাকে অথচ কোন ভিন্ন পরিবেশে তার ওপর জবরদস্তি করা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে সে অবিশ্বাসীর মত কাজ করতে পারবে, তবে স্বেচ্ছায় তা করা গুনাহ ও কঠিন শাস্তি তার জন্য রয়েছে।
মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে। সূরা আল ইমরান, ৩: ২৮ (মদিনায় অবতীর্ণ)
এ আয়াতে বলছে কোন অমুসলিমকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করা যাবে না। তবে অমুসলিমদের কাছ থেকে কোন ক্ষতির আশংকা থাকলে সাবধানে চলতে হবে ও তাদের সাথে বন্ধুত্বের ভাণ করতে হবে।
তোমাদের নিরর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে ধরবেন না, কিন্তু সেসব কসমের ব্যাপারে ধরবেন, তোমাদের মন যার প্রতিজ্ঞা করেছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী ধৈর্য্যশীল।সূরা বাক্কারা, ২:২২৫
এখানেও পরিস্কার বলছে যে মানুষ ইচ্ছে করলেই তার শপথ ভঙ্গ করতে পারবে যদি সে মনে করে তার সে শপথ নিরর্থক বা স্বার্থের পরিপন্থী। তার মানে মুসলমানরা প্রয়োজনে অমুসলিমদের সাথে নানা রকম চুক্তির শপথ করতে পারবে অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে , কিন্তু পরিস্থিতি অনুকুলে এলেই উক্ত শপথ ভঙ্গ করা যাবে, তাতে কোন দোষ নেই।
এবং কাফেরেরা চক্রান্ত করেছে আর আল্লাহও চক্রান্ত করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম চক্রান্তকারী।সূরা আল ইমরান, ৩:৫৪
কাফেররা চক্রান্ত করছে বলে আল্লাহ ও চক্রান্ত করছে।আর একারনে আল্লাহ হলো সর্বোত্তম চক্রান্তকারী। আজব কথা তো ! আল্লাহ মানুষের মত চক্রান্ত করেন ? কেন আল্লাহ নাকি সর্বশক্তি মান, এ ধরনের একজন সর্বশক্তিমানের বিরুদ্ধে সামান্য কয়জন কাফের কি এমন চক্রান্ত করতে পারে ? আল্লাহ তো একটা ফু দিলেই সব কাফির উড়ে যাবে , এখন কাফেররা চক্রান্ত করলে , আল্লাহকেও চক্রান্তকারী হতে হবে ? চক্রান্ত হলো প্রকারান্তরে প্রতারনা করা। উক্ত ৩:৫৪ আয়াতে যে আরবী শব্দটা আছে সেটা হলো – makara তার শাব্দিক অর্থ হলো প্রতারনা করা বা deceit । তাহলে বস্তুত উক্ত আয়াতটি হবে এরকম-
এবং কাফেররা প্রতারনা করেছে আর আল্লাহও প্রতারনা করেছেন। বস্তুত: আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম প্রতারক। ৩: ৫৪
যারা বাংলা বা ইংলিশ অনুবাদ করেছেন তারা বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরে একটু ঘুরিয়ে অনুবাদ করেছে যাতে আসল অর্থ ঢাকা পড়ে যায়। সেটা করতে গিয়ে বিভিন্ন অনুবাদক কিভাবে অনুবাদ করেছেন সেটা দেখা যাক:
Sahih International: And the disbelievers planned, but Allah planned. And Allah is the best of planners.
Muhsin Khan: And they (disbelievers) plotted [to kill ‘Iesa (Jesus) ], and Allah planned too. And Allah is the Best of the planners.
Pickthall: And they (the disbelievers) schemed, and Allah schemed (against them): and Allah is the best of schemers.
Yusuf Ali: And (the unbelievers) plotted and planned, and Allah too planned, and the best of planners is Allah.
Shakir: And they planned and Allah (also) planned, and Allah is the best of planners.
Dr. Ghali: And they schemed, and Allah schemed, and Allah is The Most Charitable of schemers.
(সূত্র: www.quran.com)
উক্ত অনুবাদ গুলো লক্ষ্য করলে দেখা যাবে কি সুকৌশলে আয়াতটির আসল অর্থটির পরিবর্তন করা হয়েছে।কোথায় deceit কোথায় plan. দুটো শব্দ কি এক ?
যারা আরবী ভাষা বুঝেন তাদের সুবিধার জন্য আসল আয়াত টি দেয়া হলো –
وَمَكَرُواْ وَمَكَرَ اللّهُ وَاللّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ ( কোরান, ৩:৫৪)
যেখানে মোহাম্মদের আল্লাহ নিজেই প্রতারক সেখানে তার বানী অনুসরণ করে মোহাম্মদের অনুসারীরা প্রত্যেকেই প্রতারক হবে এটাই তো স্বাভাবিক।তবে সবচেয়ে তাজ্জব ব্যপার হলো উক্ত আয়াতে আল্লাহ কে নিতান্তই মানুষের কাতারে নামিয়ে আনা হচ্ছে। হায় রে মোহাম্মদের আল্লাহ , তুমি কতই না রঙ্গ জান । প্রশ্ন হলো – মানুষ খারাপ হলে , আল্লাহ ও কি খারাপ হবে ?
আর কাফেরেরা যখন প্রতারণা করত আপনাকে বন্দী অথবা হত্যা করার উদ্দেশ্যে কিংবা আপনাকে বের করে দেয়ার জন্য তখন তারা যেমন ছলনা করত তেমনি, আল্লাহও ছলনা করতেন। বস্তুতঃ আল্লাহর ছলনা সবচেয়ে উত্তম। সূরা আনফাল- ৮: ৩০
আর যখন আমি আস্বাদন করাই স্বীয় রহমত সে কষ্টের পর, যা তাদের ভোগ করতে হয়েছিল, তখনই তারা আমার শক্তিমত্তার মাঝে নানা রকম ছলনা তৈরী করতে আরম্ভ করবে। আপনি বলে দিন, আল্লাহ সবচেয়ে দ্রুত কলা-কৌশল তৈরী করতে পারেন। নিশ্চয়ই আমাদের ফেরেশতারা লিখে রাখে তোমাদের ছল-চাতুরী। সূরা ইউনুস- ১০:২১
উক্ত আয়াত সমূহে দেখা যাচ্ছে আল্লাহ ছল চাতুরী করেন মানুষের মতই। অর্থাৎ আল্লাহ আমাদের মতই একজন দোষ গুণে মানুষ। বোঝাই যাচ্ছে- মোহাম্মদ এখানে একজন সর্ব শক্তিমান, সর্ব জ্ঞানী, পরম ন্যয় বিচারক আল্লাহর সম্পর্কে ধারণা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি কল্পনা করেছেন আল্লাহ মানুষের মতই সমস্ত রকম দোষ ও গুনের একজন কেউ। উক্ত আয়াতগুলো থেকে কতকগুলো জিনিস ধারণা করা যায় তা হলো-
মানুষ চুরি করলে আল্লাহও চুরি করবে, মানুষ মিথ্যা বললে আল্লাহও মিথ্যা বলবে, মানুষ প্রতারনা করলে আল্লাহও প্রতারনা করবে, মানুষ খুন করলে আল্লাহও খুন করবে, মানুষ ছল চাতুরি করলে আল্লাহও ছল চাতুরী করবে।
মানুষের নেতি বাচক সব গুণ আল্লাহর ওপর আরোপ করার অর্থই হলো মোহাম্মদের আল্লাহ মানুষের মতই কেউ একজন , মোটেও সর্বজ্ঞানী, সর্ব শক্তিমান, পরম ন্যয় পরায়ন কোন সৃষ্টি কর্তা নয়।আল্লাহকে মানুষের কাতারে নামিয়ে ফেলার মাধ্যমে মোহাম্মদ পরিস্কার ভাবে প্রকাশ করছেন যে আল্লাহ আসলে মূলত: তিনি নিজে। নিজের মনের কথাকেই আল্লাহর কথা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। এসব থেকেই মোহাম্মদ তার অনুসারীদেরকে প্রয়োজনে মিথ্যা কথা বলতে, প্রতারনা করতে, ছলনা করতে উৎসাহিত করছেন।সুতরাং ইসলাম ও মোহাম্মদ নিয়ে আজকে সারা দুনিয়া ব্যপী যে মিথ্যার বানিজ্য মহা সমারোহে চলছে তার কারন সহজেই বোধগম্য। ইসলামের মূল ভিত্তিটাই হলো এক মহামিথ্যা। কথা নেই বার্তা নেই হঠাৎ একদিন মোহাম্মদ প্রচার শুরু করলেন হেরা গুহায় একজন ফেরেস্তা তাঁর সাথে দেখা করে আল্লাহর বানী দিয়ে গেছে। অর্থাৎ ইসলাম শুরুই হয়েছে মহা মিথ্যা দিয়ে গেছে। মোহাম্মদ নিজেও জানতেন এটা মহা মিথ্যা। যে কারনে তিনি প্রথমে এ মিথ্যা কথাটা প্রকাশ্যে বলতে সময় নিয়েছেন প্রায় তিন বছর। প্রথম সূরা আলাক নাজিলের প্রায় তিন বছর পর দ্বিতীয় সূরা কালাম নাজিল হয়।কেন তিন বছর সময় নিয়েছেন তিনি? কারন এ তিন বছর প্রাপ্ত বয়স্ক ( তখন তার বয়স ৪০+) মোহাম্মদ ভাল মতো চিন্তা ভাবনা করেছেন যে এ মহা মিথ্যা প্রচারের সম্ভাব্য ফলাফল কি হবে। তিনি জানতেন রিস্ক না নিলে কিছুই হবে না। অবশেষে তিনি মাঠে নেমে তার মহা মিথ্যা প্রচারের সিদ্ধান্ত নিলেন। যেহেতু তার শুরুটাই মহা মিথ্যা দিয়ে তাই দেখা যাচ্ছে তার আল্লাহও একটা মহামিথ্যুক, প্রতারক ও ছলকলাকারী।কথায় বলে একজন পেশাদার ক্রিমিনাল যতই কৌশলে তার অপরাধ করুক না কেন, সেটা করতে গিয়ে কিছু না কিছু আলামত সে রেখে যাবেই। তো আমরা মোহাম্মদের কোরানের পাতায় পাতায় তারই নমূনা পাই যদি মুক্ত মনে সেটা পাঠ করি।
কিভাবে মোহাম্মদের অনুসারীরা প্রতারনা করে ? তারা সব সময় মিথ্যা কথা বলে? তারা বিশ্বাস করে তাদের ধর্ম ও বিশ্বাস হলো একমাত্র সত্য ধর্ম আর এর মাধ্যমে সবচেয়ে উন্নত ও শ্রেষ্ট সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়- এটা তারা সব সময় প্রচারও করে। বর্তমানে পেট্রোডলারের কল্যানে শত শত স্যটেলাইট চ্যনেল ও ওয়েব সাইটে তা প্রচারও করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে একটা মুসলমান দেশও উন্নত ও শ্রেষ্ট সমাজ প্রতিষ্ঠা গত ১৪০০ বছর ধরে করতে পারে নি। তাদের ভাষায় কাফির মুশরিকরই সবচাইতে উন্নত ও ন্যয় নিষ্ঠ সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছে।অন্য দিকে মোহাম্মদের অনুসারীরা সেসব কাফির মুশরিকদের দেশে গিয়ে বাস করার জন্য কি রকম উন্মাদের মত আচরন করছে। নিজেদের ধর্ম বিশ্বাস দিয়ে নিজেদের দেশ ও সমাজকে উন্নত করতে না পেরে, যে যেভাবে পারে কাফিরদের দেশে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে। সেসব দেশে গিয়ে বৈধ বা অবৈধ যে কোন ভাবে থাকার জন্য কি নিদারুন কষ্টই তারা সেখানে করে। অথচ এর পরেও তারা মনে প্রানে সেটাই বিশ্বাস করে যা তাদের মোহাম্মদ তাদেরকে শিখিয়েছে সেই ১৪০০ বছর আগে। এর চাইতে বড় আত্ম প্রতারনা ও মিথ্যা আর কি হতে পারে ? এখানেই কি শেষ? না, ওসব দেশে এরা গিয়ে ওদেশের সমস্ত রকম নাগরিক সুবিধা ভোগ করবে, আনন্দময় স্বচ্ছল জীবন যাপন করবে যা তাদের নিজের দেশে কল্পনাতীত ছিল, অথচ সেসব দেশকে মনে প্রানে ঘৃণা করবে। মনে প্রানে চাইবে সেসব দেশের ধ্বংস বা নিপাত।সুযোগ পেলে তাদের কেউ কেউ আত্মঘাতী আক্রমন চালিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে, ওসব দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে চায়।এর চেয়ে নিমকহারামি আর কি আছে? ব্যক্তিগত ভাবে এরকম কিছু মানুষের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছে।তাদেরকে জিজ্ঞেস করেছি- তোমাদের বিশ্বাস ও আদর্শ দিয়ে নিজের দেশ ও সমাজকে উন্নত করতে পারনি , কাফিরদের দেশে গেছ অথচ তাদেরকেই ঘৃণা কর কেন। তাদের সোজা সাপ্টা জবাব- এরা কাফির , শুকর খায়, বিয়ে ছাড়া যৌনাচার করে ও বাচ্চা কাচ্চা পয়দা করে, ব্যভিচারে সারা দেশ আচ্ছন্ন। তখন প্রশ্ন করি- তাহলে ওসব দেশে গেছ কি জন্য? চলে আসলেই তো পার। তখন তাদের উত্তর হয়ে দেখার মত। তারা বলে দুনিয়াটাই আল্লাহর , তাই এখানে থাকি। এ পর্যন্ত হলেও চলত। দেখা গেছে- দরিদ্র মুসলিম দেশগুলোতে যখন কোন দুর্ভিক্ষ হয়, মহামারি হয়, দুর্যোগ আঘাত হেনে দেশকে লন্ড ভন্ড করে দেয় যাতে লক্ষ লক্ষ লোক মারা যায় , তখন ঐ সব কাফির দেশগুলোই সাহায্য করতে সর্বাগ্রে এগিয়ে যায়। আরবের ধনী মুসলিম দেশ গুলো নয়।দুর্যোগে আক্রান্ত হওয়ার পর এসব দরিদ্র মুসলিম দেশগুলো ওসব কাফিরদের দেশে গিয়ে ভিক্ষার ঝুলি পাতে। তখন এদের মনে একটুও রেখাপাত করে না যে এরা এসব কাফিরদেরকে মনে প্রানে ঘৃণা করে, এদের নিপাত চায়।দেখা যাবে কাফিরদের কাছ থেকে আনা রিলিফ খেয়েই দৌড়ে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে সেখানেই নামাজের মধ্যে ( বিভিন্ন আয়াতের মাধ্যমে- যেমন-৯:৫ ৯:২৯, ৪:৮৯) ও নামাজের পর সবাই মিলে একসাথে আল্লাহর দরবারে আর্জি জানায়- ওসব কাফিরদের দেশকে ধ্বংস করে দিতে। নিমকহারামি ও অকৃতজ্ঞতার চুড়ান্ত নিদর্শন এর চাইতে আর কি হতে পারে ?
তবে মুসলিম দেশগুলো বিশেষ করে সৌদি আরব দরিদ্র দেশে বর্তমানে বিপুল সাহায্য দেয় আর সেটা দেয়- মসজিদ নির্মান, কওমী মাদ্রাসা নির্মান এসব খাতে। যে কারনে বাংলাদেশে দেখা যাবে- কোন একটা গ্রামের সব ঘরই কুড়ে ঘর, কিন্তু তার মধ্যে একটা সুন্দর আধুনিক স্থাপত্যে মসজিদ ঘর ঝক মক করছে। কিছু ইসলামী এন জি ও কেও সাহায্য দেয় মূলত ইসলামী মৌলবাদ প্রচারের স্বার্থে।
তাকিয়ার আরও কিছু উদাহরণ হাদিস থেকে-
Bukhari (84:64-65) – Speaking from a position of power at the time, Ali confirms that lying is permissible in order to deceive an “enemy.”
Bukhari (52:269) – “The Prophet said, ‘War is deceit.'”
Muslim (32:6303) – “…he did not hear that exemption was granted in anything what the people speak as lie but in three cases: in battle, for bringing reconciliation amongst persons and the narration of the words of the husband to his wife, and the narration of the words of a wife to her husband (in a twisted form in order to bring reconciliation between them).”
Bukhari (50:369) – Recounts the murder of a poet, Ka’b bin al-Ashraf, at Muhammad’s insistence. The men who volunteered for the assassination used dishonesty to gain Ka’b’s trust, pretending that they had turned against Muhammad. This drew the victim out of his fortress, whereupon he was brutally slaughtered despite putting up a ferocious struggle for his life.
যে বিষয়গুলো নিয়ে তাকিয়া/মিথ্যাচার তা হলো মূলত: (১) ইসলাম অর্থ শান্তি, অথচ ইসলাম অর্থ- আত্মসমর্পন, (২) ইসলাম সব ধর্মকেই সম্মান করে, অথচ প্রাথমিক যুগের (মক্কায়) শান্তিপূর্ণ আয়াত সমূহ পরবর্তীকালে(মদিনায়) জিহাদী আয়াত দ্বারা বাতিল হয়ে যায়।(৩) মোহাম্মদ সব সময় আত্ম রক্ষার জন্য যুদ্ধ করেছেন, অথচ তাঁর জীবনে তিনি ২৯/৩০ টি আক্রমনে অংশগ্রহন করেছিলেন যার মধ্যে মাত্র ৩ ছিল আত্মরক্ষা মূলক।(৪) মোহাম্মদের সকল বিয়ে ছিল মহান উদ্দেশ্যে।
যে বিষয় গুলো গোপন করতে চাওয়া হয় সুকৌশলে তা হলো: (১) মুহাম্মদ ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করে তার ৫৪ বছর বয়েসে ৯ বছরের আয়শার সাথে যৌন কাজ করেন, (২) মোহাম্মদ তার পালিত পুত্র জায়েদের বধূ জয়নাবকে নানা ছলা কলায় বিয়ে করেন, (৩) মোহাম্মদ ক্রীতদাসী ও যুদ্ধ বন্দিনী নারীর সাথে সেক্স করতেন, (৪) মারিয়া নামের এক ক্রীতদাসীর গর্ভে বিয়ে ছাড়াই ইব্রাহীম নামের এক পূত্র সন্তানের জন্ম দেন।
যাহোক, মোহাম্মদ নিজেও অহরহ প্রতারনা করতেন নিজের সাথে , নিজের স্ত্রীদের সাথে , মক্কা ও মদিনার লোকদের সাথে।তবে তিনি এতটাই কৌশলি ছিলেন যে তার প্রতারনার সমস্ত দায়ভার তিনি তাঁর নিজের গড়া আল্লাহর ওপর চাপিয়ে দিতেন, নিজে থাকতেন সমস্ত রকম দোষ ত্রুটির উর্ধ্বে।অর্থাৎ মোহাম্মদ ছিলেন তাঁর আল্লাহর চাইতেও মহান, ত্রুটি মুক্ত ও নিস্পাপ। যেমন-
হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা নিজের জন্যে হারাম করেছেন কেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়। আল্লাহ তোমাদের জন্যে কসম থেকে অব্যহতি লাভের উপায় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তোমাদের মালিক। তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।সূরা আত- তাহরিম, ৬৬: ১-২ ( মদিনায় অবতীর্ণ)
উক্ত আয়াত সম্পর্কে তাফসীরে ইবনে জারীরে রয়েছে যে , রাসূলুল্লাহ ( স: ) তাঁর কোন এক স্ত্রীর ঘরে উম্মে ইব্রাহিম(রা: ) এর সাথে কথাবার্তা বলছিলেন। তখন তাঁর ঐ স্ত্রী তাঁকে বলেন: “তোমার ঘরে ও আমার বিছানায এ কাজ কারবার ?” তখন রাসুলুল্লাহ ( স: ) বলেন: “ আমি তাকে আমার উপর হারাম করে নিলাম”। তখন তিনি বলেন: “হে আল্লাহর রাসূল(স:)! হালাল কিভাবে আপনার উপর হারাম হয়ে যাবে ?” জবাবে তিনি বলেন : “ আমি শপথ করছি যে, এখন হতে তার সাথে কোন প্রকারের কথাবার্তা বলবো না”। ঐ সময় এ আয়াত গুলো অবতীর্ণ হয়।………..তাফসীরে ইবনে জারীরে রয়েছে যে, হযরত ইবনে আব্বাস (রা) হযরত উমর(রা) কে জিজ্ঞেস করেন: “ এ দু’জন স্ত্রী কে ছিলেন? উত্তরে হযরত উমর বলেন: “ তারা হলেন হযরত আয়েশা ও হযরত হাফসা। উম্মে ইব্রাহীম কিবতিয়াহ কে কেন্দ্র করেই ঘটনাটির সূত্রপাত হয়। হযরত হাফসা এর ঘরে তাঁর পালার দিনে রাসূলুল্লাহ হযরত মারিয়াহ কিবতিয়াহর সাথে মিলিত হন। এতে হযরত হাফসা দু:খিতা হন যে , তাঁর পালার দিনে তাঁরই ঘরে ও তাঁরই বিছানায় তিনি মারিয়াহ এর সাথে মিলিত হলেন। রাসুলুল্লাহ হযরত হাফসাকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে বলে ফেলেন: “ আমি তাকে আমার উপর হারাম করে নিলাম। তুমি এই ঘটনা কারো কাছে বর্ণনা করো না” এতদ্সত্ত্বেও হযরত হাফসা ঘটনাটি হযরত আয়েশা এর নিকট প্রকাশ করে দেন।আল্লাহ তালা এই খবর নবীকে জানিয়ে দেন এবং এই আয়াত গুলো নাজিল করেন। নবী কাফফারা আদায় করে স্বীয় কসম ভেঙ্গে দেন এবং ঐ দাসীর সাথে মিলিত হন। ( তাফসীর ইবনে কাছির-১৭শ খন্ড, পৃষ্ঠা সংখ্যা-৫৫৮, অনুবাদ, ড: মূহাম্মদ মুজিবুর রহমান, প্রকাশক: তাফসীর পাবলিকেশন কমিটি)
ইবনে কাথিরের তাফসীর বাংলায় পড়তে চাইলে এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারেন-
অর্থাৎ মোহাম্মদ একটা অন্যায় কাজ করে ধরা খাওয়ার পর নিজের স্ত্রীর কাছে পূনরায় সে অন্যায় না করার শপথ নিলেন কিন্তু প্রতারনা পূর্ণ আয়াত নাজিলের মাধ্যমে মোহাম্মদ সে শপথ থেকে সরে গেলেন।তিনি দাবী করতেন আর তার অনুসারীরাও বিশ্বাস করে যে – নবি কোন কাজ নিজ থেকে করতেন না , সব তিনি করতেন আল্লাহর নির্দেশে। তাহলে হাফসার ঘরে হাফসার পালার দিন আল্লাহই মোহাম্মদকে বলে -ক্রীতদাসি মারিয়ার সাথে যৌনমিলন করতে, আল্লাহর ইচ্ছাতেই তিনি আবার ধরা খান হাফসার হাতে, পরে আল্লাহই তা থেকে তাকে নিস্কৃতি দেন।তবে এ জন্য তাকে অনেক ছলা কলা ও অভিনয় করতে হয়।হাফসা যখন বিষয়টি অন্য সব স্ত্রীদেরকে জানিয়ে দেয়- তখন নিজ ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার আশংকায় মোহাম্মদ প্রমাদ গোনেন।তখন শুরু হয় তার অভিনয়। তিনি তার সকল স্ত্রীদেরকে তালাক দেয়ার হুমকি দেন ও নিজে নির্জন বাস করতে থাকেন। তখন ওমর এসে বিষয়টি ফয়সালা করেন।অত:পর মোহাম্মদ উক্ত ৬৬:১-২ আয়াত নাজিল করেন এবং তার স্ত্রীদের সাথে একই সাথে মারিয়া সহ অন্য দাসীদের সাথে মুক্তভাবে মিলিত হতে থাকেন।সম্পূর্ন বিষয়টির বর্ণনা পাওয়া যাবে ইবনে কাথিরের তাফসীরের ১৭শ খন্ডের ৫৫৭ থেকে ৫৬৮ নং পৃষ্ঠায়।বলা বাহুল্য এ সম্পর্কিত অনেক হাদিস আছে বুখারী ও মুসলিম শরিফে , ইবনে কাথির মূলত সেসব হাদিসের ভিত্তিতেই এ তাফসীর করেছেন, তাই হাদিসের উদ্ধৃতি দেয়ার আর দরকার বোধ করলাম না।
এখানে একটা অদ্ভুত ব্যপার দেখা যাচ্ছে কাথিরের তাফসিরের ইংরেজী তর্জমায় উক্ত ঘটনার বর্ণনা নেই। অর্থাৎ ইংরেজী অনুবাদক সেটা বেমালুম গায়েব করে দিয়েছেন। সেখানে বলা আছে মোহাম্মদ কোন এক রাতে হাফসা বা জয়নাব বিনতে জাহশ এর ঘরে মধু পান করেছিলেন।একারনে আয়শা সওদার সাথে যুক্তি করে মোহাম্মদকে একটু অপ্রস্তুত করে তোলে আর তাতেই নাকি উক্ত আয়াত নাজিল হয়। আজব কান্ড, মোহাম্মদ প্রতি রাতে তার নির্দিষ্ট স্ত্রীর সাথে রাত কাটানোর আগে প্রতি স্ত্রীর সাথে দেখা করতেন আর সে সময় যে কোন স্ত্রীর ঘরে মধু বা অন্য কিছু পান করতেই পারেন এটা অন্যায় হয় কেমনে? স্ত্রীর ঘরে গেলে সে তার স্বামীকে কিছু একটা দিয়ে আপ্যায়ন করতেই পারে। আর এজন্যে উক্ত আয়াত নাজিল হয় কেমনে ? অথচ উক্ত আয়াত থেকে দেখা যায় , মোহাম্মদ এমন কিছু করেছিলেন যা ছিল বেইমানি বা শপথ বা মোহাম্মদ কর্তৃক প্রণীত বিধি ভঙ্গের শামিল। তা করে ধরা পড়ে অত:পর তার কোন এক স্ত্রীর কাছে এ ধরনের কাজ ভবিষ্যতে আর করবেন না বলে আবারও শপথ করেন। আর তখন আল্লাহ দয়া পরবশ হয়ে মোহাম্মদকে বলে দেয় যে – কোন স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য কোন হালাল জিনিসকে হারাম করার দরকার নেই, আর তাই তার দরকার নেই স্ত্রীর কাছে প্রদত্ত শপথ রক্ষা করার। আর এ প্রেক্ষিতে তাফসীর ইবনে জারীরের বক্তব্যই যুক্তি যুক্ত। তাহলে বাংলা তর্জমায় জারীরের বর্ণনা আসল কেমনে ? অতি সহজেই বোঝা যায়, বাংলা অনুবাদক কাথিরের তাফসীরের সঠিক অনুবাদ করেছেন।কোন কিছু বাদ দেন নি যেটা করেছেন ইংরেজী অনুবাদক। কেন সেটা করেছেন? এটাও বোঝা খুব সোজা- ইংরেজী ভাষী পশ্চিমাদের চোখে ধুলো দেয়া ও মোহাম্মদের চরিত্রের কদর্য দিককে আড়াল করা। এখানে ইবনে কাথিরের আসল আরবী টেক্সট দেয়া হলো, যারা আরবী জানেন তারা পড়ে দেখতে পারেন –
وقال ابن جرير: حدثنا سعيد بن يحيى، حدثنا أبي، حدثنا محمد بن إسحاق عن الزهري عن عبيد الله بن عبد الله عن ابن عباس قال: قلت لعمر ابن الخطاب: من المرأتان؟ قال: عائشة وحفصة. وكان بدء الحديث في شأن أم إبراهيم مارية القبطية، أصابها النبي صلى الله عليه وسلم في بيت حفصة في نوبتها، فوجدت حفصة، فقالت: يا نبي الله لقد جئت إليّ شيئاً ما جئت إلى أحد من أزواجك في يَوْمِي وفي دوري وعلى فراشي، قال: ” ألا ترضين أن أحرمها فلا أقربها ” ، قالت: بلى فحرمها، وقال لها: ” لا تذكري ذلك لأحد ” ، فذكرته لعائشة، فأظهره الله عليه، فأنزل الله تعالى: { يٰأَيُّهَا ٱلنَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَآ أَحَلَّ ٱللَّهُ لَكَ تَبْتَغِي مَرْضَاتَ أَزْوَٰجِكَ } الآيات كلها. [Ibn Kathir on Quran chapter 66 1-5
আর এর বঙ্গানুবাদ নিম্ন রূপ:
“আয়েসা হাফছা থেকে বর্নিত, একদা নবী ইব্রাহীমের মাতা মারিয়া কিবতিয়াকে সংগে লয়ে হাফছার গৃহে ঢুকেছিলেন। পরে হাফছা সেখানে ঢুকেছিলেন। তখন হাফসা বেশ কিছুটা অসন্তুষ্ট চিত্তে বেশ কিছু কথা বলেন।
তখন নবী বল্লেন তুমি কী সন্তুষ্ট হবে যদি আমি তাহাকে(মারিয়া কিবতীকে) আমার জন্য হারাম করিয়া দেই এবং আমি আর তাহার নিকটবর্তী না হই?আয়েসা উত্তরে বলিলেন “হ্যাঁ”
তখন নবী তাহাকে (মারিয়া কিবতীকে) তার (নবীর) জন্য হারাম করিয়া দিলেন এবং বলিলেন “এ কথা অন্য কাহাকেও বলিবেনা।কিন্তু এরপর হাফসা এ কথা আয়েসার নিকট বলিয়া দিলেন।এরপর আল্লাহ নবীর নিকট তা (হাফসার আয়েসার নিকট গোপন কথা বলে দেওয়া) প্রকাশ করিয়া দিলেন এবং পরিস্কার অহী অবতীর্ণ করিলেন: “হে নবী তুমি তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্ট করার জন্য কেন হারাম করিতেছ যা আল্লাহ তোমার জন্য হালাল করিয়া দিয়াছেন?( অণুবাদক: আ: হাকিম চাকলাদার)
তাহলে বাংলা অনুবাদক কেন যথার্থ অনুবাদ করলেন? কারনটা সোজা , তিনি জানেন বাংলাভাষী মানুষ তাফসীর তো দুরের কথা কোরান হাদিসই পড়ে না। কিন্তু এর পরেও বাংলা অনুবাদকের কারসাজিও চোখে পড়ার মত। বার বার তিনি বলছেন উম্মে ইব্রাহীম অর্থাৎ ইব্রাহীমের মাতা। আর এই ইব্রাহীমের মাতা যে কোন ব্যক্তি তা যেন সাধারন পাঠকের চোখে সহজে ধরা না পড়ে। যাহোক , পরিশেষে তিনিও উল্লেখ করতে বাধ্য হন যে ইব্রাহীমের মাতা হলো মারিয়া কিবতীয়া।মিশরের কোন এক শাসক থেকে পাওয়া দাসী এই মারিয়া কিবতিয়া অত্যন্ত আকর্ষণীয়া দেহ বল্লরীর অধিকারী যার আকর্ষণে মোহাম্মদ বার বার তার কাছে ছুটে যেতেন।ঠিক এভাবেই তিনি একদিন মারিয়াকে নিয়ে হাফসার অনুপস্থিতিতে হাফসার ঘরে ঢুকে তার সাথে সহবাস করছিলেন, কিন্তু বিধি বাম, সহবাস কালিন অবস্থায় হাফসা ঘরে ফিরে এসে বিষয়টি একেবারে হাতে নাতে ধরে ফেলে ও রাগান্বিত হয়ে বলে ফেলে- আমার বিছানায় এ কাজ কারবার ? দাসীকে নিয়ে বিছানায় কি কাজ কারবারে মোহাম্মদ লিপ্ত ছিলেন তা নিশ্চয়ই পাঠকদের আর খোলাসা করে বর্ণনা করার দরকার নেই। মারিয়ার সাথে সহবাসের ফলে সে এক পূত্র সন্তানের জন্ম দেয় যার নাম ইব্রাহীম আর এ কারনেই তাকে উম্মে ইব্রাহীম বলা হয়। দাসী বাদির সাথে বিয়ে বহির্ভুত যৌনকাজের এ হেন অপবাদ থেকে মোহাম্মদকে রক্ষা কল্পে পরবর্তীতে নানা ইসলামী পন্ডিত মত প্রকাশ করে থাকেন যে মোহাম্মদ এক পর্যায়ে তাকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিষয়টি মোটেও সত্য নয় কতকগুলি কারনে।
প্রথমত: হাফসার ঘরে মারিয়ার সাথে দেহ মিলনের অর্থ হলো মারিয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট ঘর ছিল না, থাকলে মোহাম্মদ সেখানে গিয়েই মনের আনন্দে যৌন মিলন করতে পারতেন।যে কারনেই তাকে হাফসার অনুপস্থিতিতে হাফসার ঘর বেছে নিতে হয়। মোহাম্মদের প্রতিটি স্ত্রীর জন্য একটি করে ঘর ছিল।
দ্বিতীয়ত: মারিয়াকে উপহার হিসাবে পাওয়ার আগেই দাসী বা বন্দিনী নারীর সাথে বিয়ে বহির্ভুত যৌন কাজ করা যাবে বলে আয়াত নাজিল হয়েছিল, যেমন –
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন।আল আহ যাব, ৩৩:৫০ মদিনায় অবতীর্ণ।
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ। সূরা নিসা,০৪:২৪, মদিনায় অবতীর্ণ
তৃতীয়ত: মারিয়াকে উপহার পাওয়ার আগেই আবার মোহাম্মদকে আর কোন বিয়ে না করার জন্য আল্লাহ নির্দেশ দেন, তবে দাসীদের সাথে যৌন কাজ করার অনুমতি বহাল থাকে (কোরান,৪:২৪ ৩৩:৫২)। তার অর্থ বিয়ে না করেই মোহাম্মদ যে কোন দাসীর সাথে মিলিত হতে পারেন।সে হিসাবে মারিয়াকে বিয়ের কোন দরকার নেই।উক্ত ঘটনার পর একটু দুরে মারিয়ার জন্যও একটি ঘর বরাদ্দ করেন মোহাম্মদ আর এ থেকে অনেকে ধারনা করেন যে মোহাম্মদ পরবর্তীতে তাকে বিয়ে করেছিলেন কিন্তু গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়- মারিয়াকে বিয়ের কোন আবশ্যকতাই ছিল না তার, কারন ক্রীতদাসীর সাথে মেলা মেশা করার লাইসেন্স তার আল্লাহ তাকে আগেই প্রদান করেছিল। তার সব বিয়ের ঘটনা বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত আছে, কিন্তু মারিয়ার সাথে বিয়ের কোন ঘটনা কোন হাদিসে নাই। মোহাম্মদ মারিয়াকে বিয়ে করলে নিশ্চয়ই তা কোন না কোন হাদিসে বর্ণিত থাকত।
তাহলে প্রশ্ন হলো- বিয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী হওয়ার পরেও মোহাম্মদ যে আরও দুটি বিয়ে করেন, সেটা কিভাবে করলেন? আর সেগুলোকে বিয়ে করতে পারলে মারিয়াকে বিয়ে করতে দোষ ছিল কোথায় ? বিষয় খুবই সোজা। মায়মুনাকে বিয়ে করেন মুলত: তাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য কারন তার স্বামী একজন নিবেদিত প্রান মুসলমান ছিলেন ও এক যুদ্ধে শহিদ হয়। আর খায়বার আক্রমন ও গণহত্যা যজ্ঞ করার পর সেখানকার ইহুদি সর্দার কিনানার স্ত্রীর সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে তাকে প্রথমে গণিমতের মাল হিসাবে গ্রহণ করেন ও পরে বিয়ে করেন।অর্থাৎ সাফিয়া কোন ক্রীত দাসী ছিল না। তাহলে মারিয়াকে বিয়ে করলেন না কেন? খুব ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন। খেয়াল করলে দেখা যাবে , মোহাম্মদ তার জীবনে বহু বিয়ে করলেও কোন স্ত্রীই কখনো ক্রীতদাসী ছিল না। তিনি তাঁর অনুসারীদেরকে ক্রীতদাসীকে মুক্ত করে বিয়ে করার পরামর্শ দিলেও নিজে কখনো কোন ক্রীতদাসীকে মুক্ত করে দিয়ে বিয়ে করেন নি।ঠিক সেকারনেই তিনি মারিয়াকে বিয়ে করেন নি।এমনিতেই আল্লাহর নিষেধাজ্ঞার পরে দুটি বিয়ে করে ফেলেছেন, সেটা নিয়েই লোকজন আড়ালে আবডালে কানাঘুষা করে, সেখানে ক্রীতদাসীদের সাথে বিয়ে ছাড়াই যৌনকাজ জায়েজ থাকলে মারিয়াকে বিয়ে করে খামোখা মানুষকে আরও বেশী কানাঘুষা করার সুযোগ দেয়ার দরকার কি ? আর ক্রীতদাসীদের গর্ভে সন্তান উৎপাদন করা সেকালে দোষনীয় কিছু ছিল না, বরং যার ঔরসে সন্তান উৎপাদন হতো সন্তানের মালিক হতো সেই। তাই মারিয়ার গর্ভে মোহাম্মদের পূত্র ইব্রাহীম জন্ম নিলেও তা কোন সমালোচনার জন্ম দেয় নি। সমালোচনা যা হচ্ছে তা বর্তমান কালে। ইসলামী পন্ডিতরা তাই মরন পণ চেষ্টা করে যাচ্ছে বিষয়টাকে চাপা দিতে আর সেকারনেই তারা নানা কায়দায় প্রচার করছে মোহাম্মদ মারিয়াকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু মারিয়াকে যে মোহাম্মদ বিয়ে করেছিলেন উক্ত তাফসীরেও কিন্তু তার কোন প্রমান নেই। সেখানে স্পষ্ট বলা হচ্ছে- নবী কাফফারা আদায় করে স্বীয় কসম ভেঙ্গে দেন এবং ঐ দাসীর সাথে মিলিত হন।এখানে বলা হলো নবী ঐ দাসীর সাথে মিলিত হন , এ মিলন কিন্তু হাফসার ঘরে ঘটা ঘটনার পরের মিলন। অর্থাৎ হাফসার ঘরে মিলিত হয়ে ধরা খেয়ে হাফসার কাছে শপথ করেন যে আর তিনি দাসীর সাথে কখনও মিলিত হবেন না। পরবর্তীতে ৬৬:১-২ আয়াত নাজিল হলে মোহাম্মদ পূনরায় উক্ত দাসী মারিয়ার সাথে মিলিত হন এটাই এখানে বলা হচ্ছে।
কিভাবে মোহাম্মদ সাফিয়াকে বিয়ে করেন তার বর্ণনা আছে নিচের হাদিসে-
আব্দুল আজিজ বর্ণিত- আনাস বলেছেন যেদিন খায়বার দখল করেছিলাম, আমরা অন্ধকার থাকতেই ফজরের নামাজ পড়লাম। নবী ও আবু তালহা ঘোড়ায় চড়লেন এবং আমি আবু তালহার পিছনে পিছনে চললাম।খায়বারের গলিপথে নবী চলতে লাগলেন ও আমার হাটু তার উরু স্পর্শ করছিল। যখন তিনি শহরে প্রবেশ করলেন, তিনি বললেন- আল্লাহু আকবর , খায়বার ধ্বংস হোক। আমরা যখন কোন জাতির দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হই তখন সতর্ককৃতদের দিনের সূচনা অশুভজনকই হয়ে থাকে।তিনি তিন বার এ কথা বললেন। খায়বারের লোকজন তখন কাজের জন্য বের হচ্ছিল, তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে উঠল- মোহাম্মদ তার দল বল সহ হাজির হয়েছে। আমরা খায়বার জয় করলাম, তাদেরকে বন্দী করলাম এবং লুটপাটের মালামাল সংগ্রহ করা হলো। দাহিয়া এসে নবিকে বলল- হে নবী, বন্দিনী নারীদের থেকে আমাকে একটা নারী দিন। নবী বললেন- যাও যেটা পছন্দ হয় সেটা নিয়ে নাও। সে সাফিয়া বিনতে হুইয়াকে নিল। তখন এক লোক নবীর নিকট আসল – হে নবী, আপনি সাফিয়া বিনতে হুইয়াকে দাহিয়াকে দিলেন কিন্তু সে বানু কুরাইজা ও নাদির গোত্রের সর্দারের স্ত্রী, আর সে একমাত্র আপনারই যোগ্য। তখন নবী নির্দেশ দিলেন- দাহিয়াকে ঐ নারী সহ আমার কাছে আন।। তখন দাহিয়া সাফিয়াকে সাথে নিয়ে নবীর কাছে আসল , নবী সাফিয়াকে ভাল করে দেখলেন, অত:পর দাহিয়াকে বললেন- একে ছাড়া বাকি যে কাউকে নিয়ে নাও। আনাস আরও বলল- তখন নবী সাফিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাকে বিয়ে করলেন। বুখারী, ভলিউম-১, বই-৮, হাদিস-৩৬৭
উক্ত হাদিস থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার, যখন সাফিয়াকে দেখেন তখন মোহাম্মদ সম্ভবত: ভুলে গেছিলেন যে তার ওপর বিয়ে করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী আছে। সে কারনে কোন রকম চিন্তা ভাবনা ছাড়াই সাফিয়ার দিকে তাকিয়ে যখন তিনি তার রূপে আকৃষ্ট হয়ে পড়লেন তখন তাকে নিজের স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। এটা যে শুধু মোহাম্মদ তার আল্লাহর নির্দেশ লঙ্ঘন করলেন সেটাই নয় পরন্তু তিনি যে আসলে অন্য কোন বিশেষ কারন নয় স্রেফ নারীর রূপ যৌবন দ্বারা আকৃষ্ট হয়েই তাদেরকে বাগে পেলে বিয়ে করতেন সেটাও খুবই প্রকাশ্য।অথচ ইসলামী পন্ডিতরা যে তাকিয়া বা মিথ্যাচারের আশ্রয় নেয় তা হলো- সাফিয়াকে মুক্ত করে নবী তার স্ত্রী হিসাবে মর্যাদা দিয়েছিলেন এটা হলো মোহাম্মদের অন্যতম মহানুভবতার নিদর্শন। অথচ তারা ভুলেও নিচের কথা গুলো জানায় না যে –
এক. মোহাম্মদ একটা জিনিস একজনকে দিয়ে আবার তা ফেরত নিয়েছেন
দুই. সাফিয়ার রূপ যৌবন দ্বারা আকৃষ্ট হয়েছেন অথচ তার হেরেমে তখন দু হালির(৮) মত স্ত্রী বর্তমান।এতগুলো স্ত্রী হেরেমে থাকার পরেও অন্য নারীর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া একজন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ মানব মোহাম্মদের পক্ষে মানায় না। এটা মানায় নারী লোভী একজন যৌনকাতর মানুষের পক্ষে।
তিন. আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে মায়মুনা ও সাফিয়াকে বিয়ে করেছেন।অথচ তার প্রতি আল্লাহর স্পষ্ট নির্দেশ – এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। কোরান, ৩৩: ৫২ অর্থাৎ তিনি আল্লাহর নির্দেশ মানেন না।
চার. সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ মানব মোহাম্মদ তার ক্রীতদাসী মারিয়াকে বিয়ে না করেই তার গর্ভে ইব্রাহীম নামক সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন।
মহানবী যে বিয়ে ছাড়াই একটা ক্রীতদাসীর গর্ভে সন্তান জন্ম দান করেছেন এটা বর্তমান মুসলমানদের ৯৯% এরও বেশী লোক জানেন না। যারা ইসলামী পন্ডিত তারা বিষয়টি জেনে এর সম্ভাব্য পরিণতির কথা চিন্তা করে আদা জল খেয়ে লেগে পড়েছে বিষয়টি গোপন করতে আ র সেকারনেই তাদের নিদারুন প্রচেষ্টা প্রমান করা যে মোহাম্মদ একটা পর্যায়ে মারিয়াকে বিয়ে করেছিলেন।বিষয়টি এতটাই স্পর্শ কাতর যে- সাধারণ মানুষ তা জানলে মোহাম্মদ সম্পর্কে এতদিনকার প্রচলিত ধারনা ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাবে। তাই এত আয়োজন।
বাংলা কোরান
বাংলা কোরান
বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও মালিক মুয়াত্তার হাদিস
শুধুমাত্র বুখারী শরিফ
ইবনে কাথিরের বাংলা তাফসীর
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৪
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৩
মোহাম্মদ ও ইসলাম , পর্ব-১২
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১১
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-10
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-9
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-8
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-7
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-6
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-5
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-4
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-3
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-2
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-1
কি আর বলার আছে রে ভাই. তবে কৃষ্ণ করলে লীলা, নবীও করলে লীলা আর আমরা বললেই নাস্তিক।
চরম হয়ছে। লেখকের জন্য
@ভবঘুরে ইসলামের দৃষ্টিতে নারী কি পুরুষের উপভোগের যৌন মেশিন?
ইসলামে কি পুরুষকে স্ত্রীর ওপর যথেচ্ছ যৌনাচারের ফ্রি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে?
স্ত্রীরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র – কেন এই আয়াত?
ইসলামে কি নারীদের যৌন চাহিদার কোন স্বীকৃতি নেই?
ইসলামে কি যৌন অধিকার একতরফাভাবে পুরুষকে দেওয়া হয়েছে?]
ভূমিকা
ইসলামের সমালোচকরা অনেকে বুঝাতে চান যে ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন মূল্য নাই, বরং এই ব্যাপারে পুরুষকে একতরফা অধিকার দেওয়া হয়েছে, পুরুষ যখন ইচ্ছা তখন যৌন চাহিদা পূরণ করবে আর স্ত্রী সেই চাহিদা পূরণের জন্য সদা প্রস্তুত থাকবে। এই ধারণার পেছনে কুরআন আয়াত এবং হাদিসের অসম্পূর্ণ পাঠের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। বস্তুত কুরআনের কিছু আয়াত বা কিছু হাদিস দেখে কোন বিষয় সম্পর্কে ইসলামের শিক্ষাকে পুরোপুরি উপলব্ধি করা সম্ভব নয়, বরং তা অনেক ক্ষেত্রেই পাঠককে বিভ্রান্ত করতে পারে। কোন বিষয় সম্পর্কে ইসলামের শিক্ষাকে সঠিকভাবে উপলদ্ধি করতে হলে সেই সংক্রান্ত কুরআনের সবগুলো আয়াত এবং সবগুলো হাদিসকে সামনে রাখতে হবে। যা হোক, আমার এই লেখার উদ্দেশ্য শুধু এতটুকু দেখানো ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন স্বীকৃতি আছে কি-না। আসুন চলে যাই মূল আলোচনায়।
পরিচ্ছেদ ১
কেন এই দাবি?
সূরা বাকারার ২২৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
أَنَّىشِئْتُمْنِسَآؤُكُمْحَرْثٌلَّكُمْفَأْتُواْحَرْثَكُمْ
Your wives are a tilth for you, so go to your tilth, when or how you will
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। [অনুবাদ সূত্র]
হঠাৎ করে এই আয়াতাংশ কারো সামনে পেশ করা হলে মনে হতে পারে যে এখানে পুরুষকে যখন ইচ্ছা তখন তার স্ত্রীর সাথে যৌনাচার অবাধ অনুমতি দেওয়া হচ্ছে- এমনকি স্ত্রীর সুবিধা-অসুবিধার দিকেও তাকানোর কোন প্রয়োজন যেন নেই। যারা এই ধরণের ধারণার প্রচারণা চালান তারা সাধারণত এই আয়াতটি উল্লেখ করার পর তাদের ধারণার সাপোর্টে কিছু হাদিসও পেশ করেন, যেমন-
কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর বিছানা পরিহার করে রাত কাটায় তবে ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত তাকে অভিশাপ দিতে থাকে। (মুসলিম, হাদিসের ইংরেজি অনুবাদ-৩৩৬৬)
উপরিউক্ত আয়াতাংশ এবং এই ধরণের কিছু হাদিস পেশ করে অনেকই এটা প্রমাণ করতে চান ইসলাম কেবল পুরুষের যৌন অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেছে এবং নারীকে যৌন মেশিন হিসেবে যখন তখন ব্যবহারের ফ্রি লাইসেন্স দিয়ে রেখেছে। সোজা কথায় ইসলামে যৌন অধিকার যেন একতরফাভাবে পুরুষের! আসলেই কি তাই?
পরিচ্ছেদ ২
২.১ কুসংস্কারের মূলোচ্ছেদকারি কুরআনের ২:২২৩ আয়াত সংক্রান্ত বিভ্রান্তির নিরসন
মদিনার ইহুদিদের মধ্যে একটা কুসংস্কার এই ছিল যে, কেউ যদি তার স্ত্রীর সাথে পেছন দিক থেকে যোনিপথে সঙ্গম করত তবে বিশ্বাস করা হতো যে এর ফলে ট্যারা চোখবিশিষ্ট সন্তানের জন্ম হবে। মদিনার আনসাররা ইসলামপূর্ব যুগে ইহুদিদের দ্বারা যথেষ্ট প্রভাবিত ছিল। ফলে আনসারগণও এই কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ছিলেন। মক্কাবাসিদের ভেতর এই কুসংস্কার ছিল না। মক্কার মুহাজিররা হিজরত করে মদিনায় আসার পর, জনৈক মুহাজির যখন তার আনসার স্ত্রীর সাথে পেছন দিক থেকে সঙ্গম করতে গেলেন, তখন এক বিপত্তি দেখা দিল। আনসার স্ত্রী এই পদ্ধতিকে ভুল মনে করে জানিয়ে দিলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অনুমতি ব্যতিত এই কাজ তিনি কিছুতেই করবেন না। ফলে ঘটনাটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত পৌঁছে গেল। এ প্রসঙ্গেই কুরআনের আয়াত (২:২২৩) নাযিল হয়, যেখানে বুঝানো হচ্ছে- সামনে বা পেছনে যেদিক দিয়েই যোনিপথে গমন করা হোক না কেন, তাতে কোন সমস্যা নেই। শস্যক্ষেত্রে যেদিক দিয়ে বা যেভাবেই গমন করা হোক না কেন তাতে শস্য উত্পাদনে যেমন কোন সমস্যা হয় না, তেমনি স্বামী তার স্ত্রীর যোনিপথে যেদিক দিয়েই গমন করুক না কেন তাতে সন্তান উত্পাদনে কোন সমস্যা হয় না এবং এর সাথে ট্যারা চোখবিশিষ্ট সন্তান হবার কোন সম্পর্ক নেই। বিস্তারিত তাফসির পড়ে দেখতে পারেন।
কাজেই এই আয়াতের উদ্দেশ্য ইহুদিদের প্রচারিত একটি কুসংস্কারের মূলোত্পাটন, স্ত্রীর সুবিধা অসুবিধার প্রতি লক্ষ না রেখে যখন তখন অবাধ যৌনাচারের অনুমোদন নয়। যারা মনে করেন কুরআনে ইহুদি খৃষ্টানদের কিতাব থেকে ধার করা হয়েছে বা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহুদি খৃষ্টানদের থেকে শুনে শুনে কুরআন রচনা করেছেন, এই আয়াত তাদের জন্য বেশ অস্বস্তিকর বটে! প্রকৃত মুক্তচিন্তার অধিকারীদের বরং এই আয়াতের প্রশংসা করার কথা ছিল, কিন্তু প্রশাংসার যোগ্য আয়াতটিকে সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।
২.২ ফেরেশতাদের অভিশাপ সংক্রান্ত হাদিসটির বিশ্লেষণ
এবার ফেরেশতাদের অভিশাপ করা সংক্রান্ত ওপরের হাদিসটার কথায় আসি। এই হাদিসটা বুখারিতেও এসেছে আরেকটু পূর্ণরূপে এভাবে:
যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে (যেমন- সঙ্গম করার জন্য), আর সে প্রত্যাখান করে ও তাকে রাগান্বিত অবস্থায় ঘুমাতে বাধ্য করে, ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত তাকে অভিশাপ করতে থাকে। [বুখারি, ইংরেজি অনুবাদ ভলি- ৪/বুক-৫৪/৪৬০]
একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন,
স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাড়া না দেওয়ায় স্বামী রাগান্বিত হয়ে কী করছে?
স্ত্রীর ওপর জোর-জবরদস্তি করে নিজের যৌন অধিকার আদায় করে নিচ্ছে?
নাকি ঘুমিয়ে পড়েছে?
এই হাদিসে নারী কর্তৃক স্বামীর ডাকে সাড়া না দেওয়ার কারণে স্ত্রীর সমালোচনা করা হলেও পুরুষকে কিন্তু জোর-জবরদস্তি করে নিজ অধিকার আদায়ে উত্সাহিত করা হচ্ছে না। আবার স্ত্রী যদি অসুস্থতা বা অন্য কোন সঙ্গত ওজরের কারণে যৌনাচার হতে বিরত থাকতে চান, তবে তিনি কিছুতেই এই সমালোচনার যোগ্য হবেন না, কেননা ইসলামের একটি সর্বস্বীকৃত নীতি হচ্ছে:
আল্লাহপাক কারো ওপর তার সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপান না।
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না [২:২৮৬]
আমি কাউকে তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব অর্পন করি না। [২৩:৬২]
২.৩ ইসলাম কি শুধু নারীকেই সতর্ক করেছে?
এটা ঠিক যে ইসলাম স্ত্রীদেরকে স্বামীর যৌন চাহিদার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছে, কিন্তু স্বামীকে নিজ চাহিদা আদায়ের ব্যাপারে উগ্র হবার কোন অনুমতি যেমন দেয়নি তেমনি স্বামীকেও স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি যত্মবান হবার নির্দেশ দিয়েছে। ইসলাম স্ত্রীকে বলেছে যদি রান্নরত অবস্থায়ও স্বামী যৌন প্রয়োজনে ডাকে তবে সে যেন সাড়া দেয়, অন্য দিকে পুরুষকে বলেছে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে ভালো আচরণ করে, স্ত্রীর কাছে ভালো সাব্যস্ত না হলে সে কিছুতেই পূর্ণ ঈমানদার বা ভালো লোক হতে পারবে না। এই কথা জানার পরও কোন পুরুষ কি স্ত্রীর সুবিধার প্রতি কোনরূপ লক্ষ না রেখেই যখন তখন তাকে যৌন প্রয়োজনে ডাকবে? ইসলাম পুরুষকে এব্যাপারেও সাবধান করে দিয়েছে যে নিজের যৌন চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে স্ত্রীর যৌন চাহিদার কথাকে সে যেন ভুলে না যায়। অনেকে হয়ত ভাবছেন, কী সব কথা বলছি, কোথায় আছে এসব?
চলুন সামনে এগিয়ে দেখি।
পরিচ্ছেদ ৩
৩.১ ইসলামে স্ত্রীর সাথে সদাচরণের গুরুত্ব
নিচের হাদিসগুলো একটু ভালো করে লক্ষ করুন:
হাদিস-১
আবুহুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ঈমানওয়ালাদের মধ্যে পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি, যার আচার-আচরণ উত্তম। আর তোমাদের মাঝে তারাই উত্তম যারা আচার-আচরণে তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম। [তিরমিযি, হাদিস নং ১০৭৯]
হাদিস-২
আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মুমিন মু’মিনা(স্ত্রী)র প্রতি বিদ্বেষ রাখবে না। যদি তার একটি অভ্যাস অপছন্দনীয় হয় তবে আরেকটি অভ্যাস তো পছন্দনীয় হবে। [মুসলিম হাদিস নং- ১৪৬৯, ২৬৭২]
হাদিস-৩
আয়িশা (রা.) হতে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ঈমানওয়ালাদের মধ্যে পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি যার আচার-আচরণ উত্তম এবং নিজ পরিবারের জন্য অনুগ্রহশীল। [তিরমিযি, হাদিস নং- ২৫৫৫]
৩.১.১ তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে:
৩.১.১.১ মু’মিন পুরুষ তার মু’মিনা স্ত্রীর প্রতি বিদ্বেষ রাখতে পারবে না।
৩.১.১.২ সদাচারী এবং স্ত্রী-পরিবারের প্রতি কোমল, নম্র, অনুগ্রহশীল হওয়া ঈমানের পূর্ণতার শর্ত।
৩.১.১.৩ কোন পুরুষ যদি উত্তম হতে চায় তাকে অবশ্যই তার স্ত্রীর কাছে উত্তম হতে হবে।
একজন মুসলিমের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় সেটা হচ্ছে তার ঈমান- যে ঈমানের জন্য সে নিজের প্রাণ বিসর্জন করতেও কুন্ঠিত হয় না- সেই ঈমানের পরিপূর্ণতার জন্য স্ত্রীর সাথে সদাচারী, নমনীয় এবং অনুগ্রহশীল হওয়া ছাড়া উপায় নেই। কোন মুসলিম উত্তম বলে বিবেচিত হতেই পারবে না যদি না স্ত্রীর সাথে তার আচার-আচরণ উত্তম হয়।
৩.১.২ এখন প্রশ্ন হলো-
৩.১.২.১ যে স্বামী তার স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি কোন লক্ষ্য রাখে না, সে কি তার স্ত্রীর কাছে উত্তম হতে পারে?
৩.১.২.২ অথবা যে স্বামী তার স্ত্রীর সুবিধা অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য না রেখে যখন তখন তার স্ত্রীর সাথে যৌনকার্যে লিপ্ত হয় সে কি তার স্ত্রীর কাছে উত্তম হতে পারে?
৩.১.৩ উত্তর হচ্ছে, পারে না। একজন ভালো মুসলিম যেমন স্ত্রীর জৈবিক চাহিদার প্রতি যত্নবান হবে, তেমনি নিজের জৈবিক চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টিও করবে না যা তার স্ত্রীর জন্য কষ্টকর হয়। স্ত্রীর প্রতি অসদাচরণ করে কেউ তার স্ত্রীর কাছে ভালো হতে পারে না আর পরিপূর্ণ মু’মিনও হতে পারে না।
৩.২ ইসলামে স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি গুরত্ব
ইসলাম নারীর যৌন অধিকারকে শুধু স্বীকৃতিই দেয় না বরং এ ব্যাপারে কতটুকু সচেতন নিচের হাদিসটি তার একটি প্রকৃষ্ট প্রমাণ।
আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত:
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন পুরুষ তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তখন সে যেন পরিপূর্ণভাবে (সহবাস) করে। আর তার যখন চাহিদা পূরণ হয়ে যায় (শুক্রস্খলন হয়) অথচ স্ত্রীর চাহিদা অপূর্ণ থাকে, তখন সে যেন তাড়াহুড়া না করে। [মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং-১০৪৬৮]
কী বলা হচ্ছে এখানে? সহবাসকালে পুরুষ তার নিজের যৌন চাহিদা পুরো হওয়া মাত্রই যেন উঠে না যায়, স্ত্রীর যৌন চাহিদা পূরণ হওয়া পর্যন্ত যেন বিলম্ব করে। এরকম একটা হাদিস চোখ দিয়ে দেখার পরও কারো জন্য এমন দাবি করা কি ঠিক হবে যে ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন স্বীকৃতি নেই!
এসব তো গেল উপদেশ। কিন্তু বাস্তবে কেউ যদি এসব উপদেশ অনুসরণ না করে তাহলে এই ধরণের পুরুষদের সতর্ক করা তার অভিভাবক এবং বন্ধুদের যেমন দায়িত্ব তেমনিস্ত্রীরাও তাদের স্বামিদের বিরূদ্ধে ইসলামি রাষ্ট্রের কাছে নালিশ করার অধিকার রাখে। এধরণের কিছু ঘটনা পরিচ্ছেদ চারে আসছে।
এছাড়া সঙ্গমকালে স্ত্রীকে যৌনভাবে উত্তেজিত না করে সঙ্গম করাকে ইসলামে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা তাতে স্বামীর চাহিদা পূরণ হলেও স্ত্রীর চাহিদা পূরণ হয় না এবং স্ত্রীর জন্য তা কষ্টকর হয়। পরিচ্ছেদ পাঁচে এই ব্যাপারে আলোকপাত করা হবে।
পরিচ্ছেদ ৪
এই পরিচ্ছেদে আমরা কিছু দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করবো যেখানে স্ত্রীর যৌন অধিকারের প্রতি অবহেলা করার কারণে স্বামীকে সতর্ক করা হয়েছে, এমনকি স্বামীর বিরূদ্ধে ইসলামি শাসকের কাছে নালিশ পর্যন্ত করা হয়েছে।
দৃষ্টান্ত-১
আবু মুসা আশয়ারী (রা.) থেকে বর্ণিত:
হযরত ওসমান ইবনে মাযউন (রা.) এর স্ত্রী মলিন বদন এবং পুরাতন কাপড়ে নবী করিম (সা.) এর বিবিদের কাছে এলেন। তাঁরা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার এই অবস্থা কেন? কুরাইশদের মাঝে তোমার স্বামী থেকে ধনী কেউ নেই। তিনি বললেন, এতে আমাদের কি হবে? কেননা আমার স্বামীর রাত নামাযে কাটে ও দিন রোযায় কাটে। তারপর নবী করিম (সা.)প্রবেশ করলেন। তখন নবীজীর স্ত্রীগণ বিষয়টি তাকে বললেন। অত:পর হযরত ওসমান ইবনে মাযউন (রা.) এর সাথে সাক্ষাত হলে তিনি তাকে বললেন,-“আমার মধ্যে কি তোমার জন্য কোন আদর্শ নাই?” হযরত ওসমান (রা.) বললেন, কী বলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ? আমার পিতামাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত! তখন তিনি বললেন-“তবে কি তোমার রাত নামাযে আর দিন রোযায় কাটে না? অথচ তোমার উপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে, আর তোমার উপর তোমার শরীরেও হক রয়েছে, তুমি নামাযও পড়বে, আবার ঘুমাবেও, আর রোযাও রাখবে আবার ভাঙ্গবেও”। তিনি বললেন তারপর আরেকদিন তার স্ত্রী পরিচ্ছন্ন ও সুগন্ধিত অবস্থায় এলেন যেন নববধু। [মাজমায়ে জাওয়ায়েদ, হাদিস নং ৭৬১২; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-৩১৬]
দৃষ্টান্ত-২:
আবু জুহাইফা (রা.) বলেন:
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালমান (রা.) এবং আবু দারদা (রা.) এর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন স্থাপন করেছিলেন। সালমান (রা.) আবু দারদা (রা.) এর সাথে সাক্ষাত করতে গেলেন আর উম্মে দারদা (রা.) [আবু দারদা (রা.)এর স্ত্রী]-কে ময়লা কাপড় পরিহিত অবস্থায় দেখতে পেলেন এবং তাকে তার ঐ অবস্থার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, “আপনার ভাই আবু দারদার দুনিয়ার চাহিদা নাই”। এর মধ্যে আবু দারদা এলেন এবং তার (সালমানের) জন্য খাবার তৈরি করলেন আর বললেন, “খাবার গ্রহণ করো কারণ আমি রোযা আছি”। সালমান(রা.) বললেন, “তুমি না খেলে আমি খাচ্ছি না”। কাজেই আবু দারদা(রা.) খেলেন। যখন রাত হলো, আবু দারদা (রা.) উঠে পড়লেন (রাতের নামায পড়ার জন্য)। সালমান (রা.) বললেন, “ঘুমাও”; তিনি ঘুমালেন। পুনরায় আবু দারদা উঠলেন (নামাযের জন্য), আর সালমান (রা.) বললেন, “ঘুমাও”। রাতের শেষ দিকে সালমান (রা.) তাকে বললেন, “এখন ওঠো (নামাযের জন্য)”। কাজেই তারা উভয়ে নামায পড়লেন এবং সালমান (রা.) আবু দারদা (রা.)কে বললেন, “তোমার ওপর তোমার রবের হক রয়েছে; তোমার ওপরে তোমার আত্মার হক রয়েছে, তোমার ওপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে; কাজেই প্রত্যেককে তার প্রাপ্য হক প্রদান করা উচিত”। পরে আবু দারদা (রা.) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সাক্ষাত করলেন এবং একথা তার কাছে উল্লেখ করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “সালমান সত্য বলেছে।” [বুখারি, হাদিস নং -১৮৬৭]
দৃষ্টান্ত-৩:
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, আমার পিতা একজন কুরাইশি মেয়ের সাথে আমাকে বিয়ে করিয়ে দিলেন। উক্ত মেয়ে আমার ঘরে আসল। আমি নামায রোযা ইত্যাদি এবাদতের প্রতি আমার বিশেষ আসক্তির দরুণ তার প্রতি কোন প্রকার মনোযোগ দিলাম না। একদিন আমার পিতা- আমর ইবনে আস (রা.) তার পুত্রবধুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার স্বামীকে কেমন পেয়েছ? সে জবাব দিল, খুবই ভালো লোক অথবা বললো খুবই ভালো স্বামী। সে আমার মনের কোন খোঁজ নেয় না এবং আমার বিছানার কাছেও আসে না। এটা শুনে তিনি আমাকে খুবই গালাগাল দিলেন ও কঠোর কথা বললেন এবং বললেন, আমি তোমাকে একজন কুরাইশি উচ্চ বংশীয়া মেয়ে বিয়ে করিয়েছি আর তুমি তাকে এরূপ ঝুলিয়ে রাখলে? তিনি নবী করিম (সা.) এর কাছে গিয়ে আমার বিরূদ্ধে নালিশ করলেন। তিনি আমাকে ডাকালেন। আমি উপস্থিত হলে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি দিনভর রোযা রাখ? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি রাতভর নামায পড়? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন, কিন্তু আমি রোযা রাখি ও রোযা ছাড়ি, নামায পড়ি ও ঘুমাই, স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করি। যে ব্যক্তি আমার সুন্নতের প্রতি আগ্রহ রাখে না সে আমার দলভুক্ত না। [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং- ৬৪৪১]
দৃষ্টান্ত-৪:
কাতাদাহ (রহ.) বলেন, একজন মহিলা উমর (রা.)-এর কাছে এসে বললেন, আমার স্বামী রাতভর নামায পড়েন এবং দিনভর রোযা রাখেন। তিনি বললেন, তবে কি তুমি বলতে চাও যে, আমি তাকে রাতে নামায পড়তে ও দিনে রোযা রাখতে নিষেধ করি? মহিলাটি চলে গেলেন। তারপর আবার এসে পূর্বের ন্যায় বললেন। তিনিও পূর্বের মতো উত্তর দিলেন। কা’ব বিন সূর (রহ.) বললেন, আমিরুল মু’মিনিন, তার হক রয়েছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কীরূপ হক? কা’ব (রহ.) বললেন, কা’ব (রহ.) বললেন, আল্লাহ তাআলা তার জন্য চার বিবাহ হালাল করেছেন। সুতরাং তাকে চারজনের একজন হিসেব করে প্রত্যেক চার রাতের এক রাত তার জন্য নির্ধারিত করে দিন। আর প্রত্যেক চার দিনের একদিন তাকে দান করুন। উমর(রা.) তার স্বামীকে ডেকে বলে দিলেন যে, প্রতি চার রাতের একরাত তার কাছে যাপন করবে এবং প্রতি চারদিনের একদিন রোযা পরিত্যাগ করবে। [মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং: ১২৫৮৮]
পরিচ্ছেদ ৫
ইসলামে শৃঙ্গারের গুরুত্ব
ইসলাম সঙ্গমের পূর্বে স্ত্রীর সাথে অন্তরঙ্গতা সৃষ্টি বা শৃঙ্গার করার প্রতি যথেষ্ঠ গুরুত্ব আরোপ করে। স্ত্রীর যৌনাঙ্গকে সঙ্গমের জন্য প্রস্তুত না করেই তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়াকে- যা স্ত্রীর জন্য অত্যন্ত কষ্টকর- ইসলামে ‘পশুর ন্যায় সঙ্গম করা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে এবং সঙ্গমের আগে শৃঙ্গার এবং আবেগপূর্ণ চুম্বন করাকে সুন্নাতে মু্ওয়াক্কাদাহ বলা হয়েছে। এই পরিচ্ছদে জনৈক মহিলা প্রশ্নের প্রেক্ষিতে দারুল-ইফতা, Leicester, UK থেকে প্রদানকৃত একটি ফতোয়ার অংশ বিশেষ উদ্ধৃত করবো যাতে ইসলামে শৃঙ্গারের গুরুত্ব সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হবে:
ইমাম দাইলামি(রহ.) আনাস বিন মালিক(রা.) এর বরাতে একটি হাদিস লিপিবদ্ধ করেছেন যে রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করা হয়েছে যে, “কেউ যেন পশুর মতো তার স্ত্রী হতে নিজের যৌন চাহিদাকে পূরণ না করে, বরং তাদের মধ্যে চুম্বন এবং কথাবার্তার দ্বারা শৃঙ্গার হওয়া উচিত।” (দাইলামি’র মুসনাদ আল-ফিরদাউস, ২/৫৫)
ইমাম ইবনুল কাউয়্যিম(রহ.) তাঁর বিখ্যাত ‘তিব্বে নববী’তে উল্লেখ করেছেন যে রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শৃঙ্গার করার আগে সঙ্গম করতে নিষেধ করেছেন।(দেখুন: ‘তিব্বে নববী’, ১৮৩, জাবির বিন আবদুল্লাহ হতে)
আল্লামা আল-মুনাবি(রহ.) বলেন:
“সঙ্গমের আগে শৃঙ্গার এবং আবেগপূর্ণ চুম্বন করা সুন্নাতে মু্ওয়াক্কাদাহ এবং এর অন্যথা করা মাকরূহ।” (ফাইজ আল-ক্বাদির, ৫/১১৫, দ্রষ্টব্য: হাদিস নং ৬৫৩৬) [সূত্র]
কিছু নাস্তিকদের লেখা ,মন্তব্য পড়ে চামচিকার সাথে সূর্যের শত্রুতার গল্পটিই মনে পড়ছে । চামচিকা একদিন বলছে সূর্য ভারী বিরক্তিকর তাই আমি দিনে বের হই না । হাতি ঘোড়া গেলো তল মশা বলে কত জল । নাস্তিকদের বলছি আপনারা মৃত্যুর পর আপনাদের নাস্তিক ভাইদের কবরস্ত/শশানে/ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী শেষকৃত্য কেন করেন যে ধর্মীয় বিধানের ওপর আপনাদের এত ক্ষোভ । তাদের গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন অথবা একটা নিয়ম তৈরি করেন আপনারা এত লেখালিখি করছেন । আপনারা যাদের শিষ্য তাদের তো হরহামেশাই প্রতারনা, ভন্ডামি করতে দেখি যেমন ধর্ম বিশ্বাস না করলেও জানাজার নামাযে হাজির হন। ধর্ম বিশ্বাস সম্পর্কে সাধারনের সাথে প্রতারনা করেন । সর্বসাকুল্লে এ রকমই চরিত্র আপনাদের । ইসলাম তো ইসলাম এ ব্যপারে তো আপনাদের মত দেখলাম । এর চাইতেও ভালো আপনাদের কাছে (মানে নাস্তিকদের) কী আছে একটু জানান । এ মতবাদ কোথায় কী করেছে বিস্তারিত জানান এটা আপনাদের দায়িত্ব । ইসলাম যা যা উপস্থাপন করেছে তার সমাধানও দিয়েছে । শুধু সমালোচনা করেনি । তাই সমাধান দিন দেখি ঘটে কতদূর কী আছে ।
ভালো বলেছেন।
আপনার এই সিরিজের প্রতিটি পর্বেই মুমিনদের বিশাল লাফঝাঁপ দেওয়া একেবারে রুটিন হয়ে যাচ্ছে দেখছি 😛
লিখাটি পরে আমার অনেক ভাল লেগেছে । এতটাই ভাল লেগেছে যে মন্তব্য করতে বাধ্য হলাম। প্রথমত আপনার যুক্তি, তথ্য এবং রেফারেন্স এর মধ্যমে বুঝানোর জন্য । আরো ভাল লাগছে যে এখানে যারা মন্তব্য করেছেন সবাই অনেক জ্ঞানী এবং অনেক কিছু জানেন ।
ক্ষমা করবেন আমি আপনাদের লিকা ও মন্তব্য গুলি পড়ে ছোটবেলার একটা প্রশ্ন মনে পড়ে গেল.. মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। “মা ? পৃথিবী যদি সৃষ্টিকর্ত সৃষ্টি করেন তাহলে উনারে সৃষ্টি করলেন কে ? আর উনি যদি নিজে সৃষ্টি হতে পারেন তাহলে পৃথিবী কেন পারে না ?
ক্ষমা প্রার্থনা করছি যদি মন্তব্যে কোন ভুল হয়ে যায় ।
@অর্নিবান, ভাবতে শিখুন……… এভাবে ভাবতে গেলে কোথাও এক জাগাই আপনাকে থেমে যেতে হবে, ভাবতে শিখুন বীজ বুনলাম গাছ হোল, কিন্তু বীজ বুনা থেকে গাছ হওয়া পর্যন্ত প্রকৃতির কোন শক্তি কাজ করল? যে কম্পিউটার দিয়ে এখানে কমেন্ট করছেন সেটার ও উদ্ভাবক আছে।
@বেয়াদপ পোলা,
আমি বুঝতে পারলাম না যে আপনি আমকে কি বুঝাতে চাইলেন। আর যেটাই হোক না কেন এটা বুঝতে পারছি যে “কোন বিষয়ে জানতে হলে তার ব্যাপারে যতটা সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করে নেওয়া উচিত।
আর কম্পিউটার এর উদ্ভাবক আছে এবং সেটা প্রমানিত, আর যদি কেউ সেটা অস্বিকার করে থাকে তাহলে ১ কোটি ক্যামেরার সামনে/ মিডিয়ার সামনে আবার তাকে আবার তৈরী করে দেখানো সম্ভব। কিন্তু. . .
আর ভাবনা না জ্ঞান এবং সত্য উদঘাটনের মাধ্যমে জানতে এবং শিখতে চাই। আশা করি আপনারা সবাই সাহায্য করবেন।
মুক্তমনা সত্যই এক অনন্য সাইট যেখানে কোন পক্ষপাতিত্বের নামগন্ধ নেই। কিন্তু মুক্তমনার এই পক্ষপাতিত্বহীনতার সুযোগ নিচ্ছে (দুঃখিত, নিচ্ছেন লিখছিনা) ভদ্রলোক সজ্ঞার বহু বহু দূরে থাকা কিছু তথা কথিত মানুষ। মুক্তমনাকে “প্রহসন” এবং “অভিজিতের মত প্রকাশের ব্লগ” মন্তব্য করার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এবার থেকে ছাগল পাগলদের উসকে সাঁকো নাড়িয়ে বাঁদর নাচ বা ছাগলদের হনুকরণ দেখে যুক্তিবাদীদের বিশুদ্ধ বিনোদনে কারও আন্তরিক সমর্থন থাকলে তাকে বোধ হয় আর দোষ দেওয়া যাবে না।
মাননীয় অ্যাডমিন মহোদয়, অনুরোধ করি যদি কোন সমস্যা না হয় তবে আমার ‘বস্তাপচা’ নিকটি পরিবর্তন করে ‘সহমর্মী’ নিক করে দিলে বাধিত হব। ধন্যবাদ।
ভাই অচেনা, আপনারা কয়েকজন দেখছি পাগল ছাগলদের আল্লার (?) জান্নাতবাসী করেই ছাড়বেন। বৃহৎ ছাগলাদ্য ঘৃত সেবন করে যারা আসছে তাদের সুচিন্তিত কড়া মন্তব্য করে বৃহৎ শুকরাদ্য ঘৃত হুল সহযোগে ফের সেবন করানোর জন্য আপনাদের দোজখ (?) গমন নিশ্চিত। সুকান্ত আর আপনি তো যাবেনই যাবেন আমিও লাইনে আছি। খেয়াল রাখবেন আমাদের লক্ষ্য এক, সুতরাং কোন ভুল বোঝাবুঝি আমাদের মধ্যে যেন কখনই না হয়। আন্তরিক শুভেচ্ছা।
@ রাজেশ তালুকদার: নিকের ব্যাপারে আপনার মন্তব্য আমায় ভাবিয়ে তুলেছে। আমি কোনদিন ভাবি নি মুক্তমনায় মন্তব্য করার কোন যোগ্যতা আমার আছে। বস্তাপচা নিকটা আমি একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে মন্তব্য করতে গিয়ে হঠাৎ ভেবেছিলাম তার কারণ হল যে কোন প্রচলিত ধর্মই আমার কাছে বস্তাপচা এবং অর্থহীন। নিক কোন ভাবে আকর্ষণীয় করার কথা মাথায় ছিল না। আমি আগে যা লিখেছি সেটা ইংরেজী ভাষায়। তার কোন প্রতিলিপি আমার কাছে নেই। আপনার মুগ্ধতার পরশ আমার অযোগ্য মাথা পেতে নিলাম। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, মুক্তমনাকেও সুস্থ সবল রাখুন। আন্তরিক শুভেচ্ছা।
@বস্তাপচা,
ছিল না তাতে কি। এখন তো আপনি নিয়মিত সুচিন্তিত মন্তব্য করে যাচ্ছেন। অদূর ভবিষ্যতে আপনি হয়তো একদিন মুক্তমনার সদস্য পদ লাভ করবেন। আপনার কাছে থেকে নিয়মিত লেখা আসতে থাকবে। এখানে যারা সদস্য হয়েছেন অনেকেই কম বেশি পাঠক, মন্তব্যকারি পরিশেষে লেখক হিসাবে নিজেকে উন্নিত করেছেন। আমার ব্যক্তিগত মত- ছদ্ম নিকটা আকর্ষনীয় না হলে কেমন যেন উদ্ভট দেখায়।
@বস্তাপচা, আপনাকেও শুভেচ্ছা ভাই। যাক তারা জান্নাতে গিয়ে হুর নিক সমস্যা কি/ আমরা না হয় দোজখেই গেলাম, কপালে লেখা আছে রে ভাই, তাই রেডি থাকেন, আমি আপনি সবাই দুনিয়াতেই দোজখবাসের মহড়া দিয়ে রাখি ( ধার্মিকদের কথা অনুসারে) 😀
🙂 সকালে গরম চা খান ভাই (C) সাথে এটাও (D)
ভাই , আপানারা ত দেখি সিরিয়াস হয়ে গেলেন । আরে আমি ত জাহান্নাম নিয়ে একটু মজা করছিলাম। জাহান্নাম , জান্নাত যে মিথ্যা এটা অবশ্য মুক্তমনা না থাকলে বুঝতেই পারতাম না। যাহোক জাহান্নাম নিয়ে আরেকটা মজার কথা বলি । আমার এক ফ্রেন্ড একদিন বলতেছে, আচ্ছা হলিউড, বলিউডের নায়িকাদের কি অবস্থা হবে? তখন একজন বলল কেন দোজখে । সাথে সাথে আরেকজন বলে উঠল । নারে দোস্ত এরা ট দেখি জানাতে চলে যাচ্ছে । মমিন বান্দারা যদি আল্লাহ্র কাছে আবদার করে আল্লা আমার এশকে চাই , কারিনাকে চাই, জোলি কে চাই তখন আল্লাহ কি মমিন বান্দাদের হতাশ করতে পারবে?
@স্টয়িক রাসেল,
আমি এটা প্রথম থেকেই বুঝতে পেরেছি ভাই। আর আমার মনে হয় যে এটা অনেকেই পরে বুঝতে পেরেছে। 🙂 । তাই সিরিয়াস হবার কিছু নাই।
ঠিক আমিও এক ধার্মিক স্ত্রীর নাস্তিক স্বামী কে খুব ভাল করে চিনি। স্ত্রীর কাজ হল স্বামীকে নামাজ পড়ানর চেষ্টা করা। কারন স্ত্রী চায় জান্নাতে তার সাথে একসাথে থাকতে। স্বামী বলে যে সমস্যা কি জান্নাতে যা চাইবে তুমি তাই পাবে কাজেই আমি জাহান্নামে গেলেও সমস্যা নাই, তুমি আল্লাহ কে বলবে যে আমি জান্নাতে আমার স্বামীকে চাই অম্নি আল্লাহ আমাকে ( স্বামী) জাহান্নাম থেকে জান্নাতে নিয়ে যাবেন কারণ এটা আল্লাহর ওয়াদা। :rotfl: :lotpot: 😀
এডমিন এর দৃষ্টি আকর্ষণ:
এধরনের একটা নিবন্ধ লিখতে প্রচুর পড়াশুনা ছাড়াও কঠিন ধৈর্য্য লাগে। কিন্তু তা থেকে যদি বেশী সংখ্যক পাঠক উপকৃত হতে না পারে , তাহলে এ ধরনের পরিশ্রম তো অর্থ হীন হয়ে যায়। আমার অধিকাংশ নিবন্ধই এখন স্বাভাবিক ভাবেই ২৫০০ বারের বেশী হিট হয় আর তা নিশ্চয়ই নিবন্ধের বক্তব্য বিষয়ের কারনে। এত দ্রুত প্রথম পৃষ্ঠা থেকে নিবন্ধ সরে গেলে এ ধরনের লেখার প্রতি আগ্রহ কতটা থাকবে বলা মুস্কিল। কেউ কেউ দেখলাম বিষয়টি নিয়ে অনুরোধও জানিয়েছেন। ভেবেছিলাম সে অনুরোধে কাজ হবে। কিন্তু তা না হওয়াতে, বিষয়টি এডমিনের দৃষ্টিতে আনছি। মুক্তমনার উদ্দেশ্য যদি মুক্ত মনের মানুষ তৈরী হয়, কিন্তু কিভাবে সেটা হতে পারে সে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার জন্য জোর অনুরোধ রাখছি।
@ভবঘুরে, আমিও ভাই আপনার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আবার অ্যাডমিনদের কাছে জোর অনুরোধ রাখছি।
দেখলাম ২৬৪ কমেন্ট , ভাবলাম কি না জানি কি, ওরে … ঢুইকা দেখি সেই পুরান ক্যাচাল, এক লেবু চিপতেই আছে আছে, ফলাফল ঘোড়ার আণ্ডা, ।
@বেয়াদপ পোলা,
ভাইজান আপনিও ঢুইকা লেবু চিপতে আসছেন নাকি??
@বেয়াদপ পোলা,
ক্যাচালটা ততদিন চলবে যতদিন আপনাদের মত মানুষরা ইসলামের নামে মানবতাকে ধর্ষণ করে যাবেন।এটি কোন কচলানো লেবুর গল্প না। এটি পৃথিবীর বুকে এমন একটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই যে ক্যান্সারের জন্ম আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে এক ভণ্ড , বদমাশ , শিশু ধর্ষনকারি পিশাচের হাতে যার নামে মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ।
আর ফলাফল যে ঘোরার আণ্ডা না সেটা আপনার মত লোকও ভাল করেই বুঝেন।
@অচেনা, একজন আস্তিক তার বিশ্বাস থেকে কেন সরে আসবে? যদি নাস্তিকতা তাকে ধর্মাচরণ এর থেকে ভাল কিছু দেয় তবেই তো। চলুন দেখি ধর্ম আমাকে কি দেবে আর তার বদলে নাস্তিকতা কি দিতে পারবে বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে। এখানে ধর্ম বলতে আমি কেবল ইসলাম কেই বোঝাবো যেহেতু আমি মুসলিম। আমি নিশ্চিত অন্যান্য ধর্মের ও দেয়ার মত অনেক কিছু আছে।
ইসলাম বলে তোমরা নিয়মিত জামাতে নামাজ পর, তোমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্তের বন্ধন দৃঢ় হবে। নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?
ইসলাম বলে তোমাদের চারপাশে চল্লিশ ঘর তোমাদের প্রতিবেশি। তাদের সুখ দুখের খোঁজ রাখ, বিপদে সাহায্য কর। নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?
ইসলাম বলে তোমরা জাকাত দাও, অনেক গরিবের অভাব লাঘব হবে। নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?
ইসলাম বলে তোমরা শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানর আগেই তার পারিশ্রমিক দাও, এটা তার হক। নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?
ইসলাম বলে সকলের প্রতি ভাল ব্যবহার কর, এতিমের প্রতি জুলুম করনা, দুর্বলের প্রতি সদয় আচরণ কর, মানুষ তোমার ক্ষতি করলেও তাকে ক্ষমা করে দাও। নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?
ইসলাম বলে অপচয় করনা, কারন তাতে আরেকজন তার প্রাপ্য থেকে কম পাবে। নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?
ইসলাম বলে সৎ উপার্জন কর, নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?
ইসলাম বলে অতিরিক্ত বিলাসী জীবন যাপন করনা। নাস্তিকতা কি বলে, বা এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের কি বলার আছে?
এরকম অনেক কিছুই ইসলামে বলা আছে যা মেনে চললে আমাদের জীবনে পরিপূর্ণ শান্তি আসবে। একজন ইসলাম ধর্মবিদ্বেষী যা কখনই পাবে না।
তাহলে মানুষ নাস্তিক কেন হয়? সেটা তার ইচ্ছা, আমার কিছু বলার নাই। কিন্তু যাদের আমি এখানে ইসলামের নামে কুৎসা রটনা করতে দেখি তারা কেন করে? কেউ না চাইলে সে ধর্ম পালন করবে না, চাইলে অপরকেও জানাবে সে কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না। কিন্তু অশ্লীল ভাষায় কেন? এত উৎসাহের পিছনে কারন কি?
শুধু বিখ্যাত হওয়ার কৌশল মাত্র? ইসলামের পিছনে লাগা? মসজিদ ভাংগে ধার্মিকেরা, মন্দির ভাংগে ধার্মিকেরা আর যারা এই ভাঙ্গাভাঙ্গি উসকে দেয় তারাই হচ্ছে নাস্তিক আপনার মতো । :-Y
@বেয়াদপ পোলা,
ইছলামি গুনগান!!!আর এইখানে দেখেনতো ইছলাম কি বলে???
Allah is an enemy to unbelievers. – Sura 2:98
On unbelievers is the curse of Allah. – Sura 2:161
Slay them wherever ye find them and drive them out of the places whence they drove you out, for persecution is worse than slaughter. – 2:191
Fight against them until idolatry is no more and Allah’s religion reigns supreme. (different translation: ) Fight them until there is no persecution and the religion is God’s entirely. – Sura 2:193 and 8:39
Fighting is obligatory for you, much as you dislike it. – 2:216
(different translation: ) Prescribed for you is fighting, though it is hateful to you.
….. martyrs…. Enter heaven – Surah 3:140-43
If you should die or be killed in the cause of Allah, His mercy and forgiveness would surely be better than all they riches they amass. If you should die or be killed, before Him you shall all be gathered. – 3:157-8
You must not think that those who were slain in the cause of Allah are dead. They are alive, and well-provided for by their Lord. – Surah 3:169-71
Let those fight in the cause of God who sell the life of this world for the hereafter. To him who fights in the cause of God, whether he is slain or victorious, soon we shall give him a great reward. – Surah 4:74
Those who believe fight in the cause of God, and those who reject faith fight in the cause of evil. – 4:76
But if they turn renegades, seize them and slay them wherever you find them. – 4:89
Therefore, we stirred among them enmity and hatred, which shall endure till the Day of Resurrection, when Allah will declare to them all that they have done. – 5:14
O believers, take not Jews and Christians as friends; they are friends of each other. Those of you who make them his friends is one of them. God does not guide an unjust people. – 5:54
Make war on them until idolatry is no more and Allah’s religion reigns supreme – 8:39
O Prophet! Exhort the believers to fight. If there are 20 steadfast men among you, they shall vanquish 200; and if there are a hundred, they shall rout a thousand unbelievers, for they are devoid of understanding. – 8:65
It is not for any Prophet to have captives until he has made slaughter in the land. – 8:67
Allah will humble the unbelievers. Allah and His apostle are free from obligations to idol-worshipers. Proclaim a woeful punishment to the unbelievers. – 9:2-3
When the sacred months are over, slay the idolaters wherever you find them. Arrest them, besiege them, and lie in ambush everywhere for them. – 9:5
Believers! Know that idolators are unclean. – 9:28
Fight those who believe neither in God nor the Last Day, nor what has been forbidden by God and his messenger, nor acknowledge the religion of Truth, even if they are People of the Book, until they pay the tribute and have been humbled. – 9:29 (another source: ) The unbelievers are impure and their abode is hell. (another source: ) Humiliate the non-Muslims to such an extent that they surrender and pay tribute.
Whether unarmed or well-equipped, march on and fight for the cause of Allah, with your wealth and your persons. – 9:41
O Prophet! Make war on the unbelievers and the hypocrites. Be harsh with them. Their ultimate abode is hell, a hapless journey’s end. – 9:73
Allah has purchased of their faithful lives and worldly goods, and in return has promised them the Garden. They will fight for His cause, kill and be killed. – 9:111
Fight unbelievers who are near to you. 9:123 (different translation:
Believers! Make war on the infidels who dwell around you. Let them find harshness in you. (another source: ) Ye who believe! Murder those of the disbelievers….
As for those who are slain in the cause of Allah, He will not allow their works to perish. He will vouchsafe them guidance and ennoble their state; He will admit them to the Paradise He has made known to them. – 10:4-15
Allah has cursed the unbelievers and proposed for them a blazing hell. – 33:60
Unbelievers are enemies of Allah and they will roast in hell. – 41:14
When you meet the unbelievers, smite their necks, then when you have made wide slaughter among them, tie fast the bonds, then set them free, either by grace or ransom, until the war lays down its burdens. – 47:4
(different translation: ) When you meet the unbelievers in the battlefield, strike off their heads, and when you have laid them low, bind your captives firmly.
Those who are slain in the way of Allah – he will never let their deeds be lost. Soon will he guide them and improve their condition, and admit them to the Garden, which he has announced for them. – 47:5
Muslims are harsh against the unbelievers, merciful to one another. – 48:25
Muhammad is Allah’s apostle. Those who follow him are ruthless to the unbelievers but merciful to one another. Through them, Allah seeks to enrage the unbelievers. – 48:29
Prophet! Make war on the unbelievers and the hypocrites and deal sternly with them. Hell shall be their home, evil their fate. – 66:9
The unbelievers among the People of the Book and the pagans shall burn forever in the fire of hell. They are the vilest of all creatures. – 98:51
Fight them so that Allah may punish them at your hands, and put them to shame. (verse cited in Newsweek 2/11/02)
——-
এর বিরুদ্ধে আপনার কি বলার আছে শুনি??
@উথেন জুম্ম, আপনি জন্য আফসোস, মাজখান মাজখান থেকে আয়াত তুলে এনে বিবৃতি দিচ্ছেন, কোথায় কোন প্রসঙ্গে সে আয়াত গুলি তৈরি হয়েছিল তা হয়ত জানার চেষ্টা করেননি, মনে রাখবেন কালো চশমা পড়ে দুধ এর গ্লাস এর দিকে চোখ রাখলে দুধ এর রঙ কাল এ দেখতে পারবেন এবং মনে করবেন দুধ এর রঙ কালো, আপনার অবস্থা কালো চশমা পড়ে দুধ দেখে দুধ এর রঙ কালো মনে করার মতো। 🙁
@বেয়াদপ পোলা,
একদম ঠিক কথা।
@বেয়াদপ পোলা,
হেঃ হেঃ একটু হেঁসে নিলাম।।ভাইজান কালো চশমা আপনি আমাকে জোড় করে পড়িয়েছেন না আমি আপনাকে পড়িয়েছে??
@বেয়াদপ পোলা,
নিয়মিত জামাতে নামার পড়লে মুসলিম ভ্রাতৃত্তের বন্ধন দৃঢ় হবে। জুমার নামাজে খুতবাতে অন্য ধর্মের ইষ্টদেবতাদের গালি দেয়া হবে। তবে প্রতিবাদে কেউ মুসলিমদের ইষ্টদেবটা আল্লাহ আর ডেমি গড মুহাম্মাদকে কেউ কিছু বললে কল্লা ফেলে দেয়া হবে। প্রতিটি মুসলিম দেশে অন্য ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ কেন বলতে পারেন? মুসলিমরাতো সারা দুনিয়াতেই রীতিমত মাইক নিয়ে ধর্ম প্রচার করে বেড়ায়। যাহোক নামাজ পড়ার সময়ে আপ্নারা তো অভিশাপ দিতে থাকেন তাই না? সুরা ফাতিহা ছাড়া তো নামায হয় না। নাস্তিকরা কাউকে অভিশাপ দেয় না।এইটা শিখে রাখতে পারেন।
৪১ নাম্বার ঘরটা কি দোষ করল ভাই?
যাকাত? ২.৫% যাকাতে গরীব দুঃখীর অভাব দূর করা? ভালই বলেছেন। আপনি নিজে আয়কর দেন এর থেকে অনেক বেশি হারে তাই না? তাহলে এই যাকাত শুধু গরিবের হক? ভিক্ষা দিয়ে কোনদিন মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা যায় না। দেশকে দুর্নিতি মুক্ত রেখে সবাই মিলে যদি আয়কর নিয়মিত দেই আর সেটা নেতা নেত্রীর পকেটে না গিয়ে তবে অনেক সমস্যার সমাধান হয়।আসলে ২.৫% যাকাতের বিধান করে আসলে ইসলাম ধনিক শ্রেনীর স্বার্থ রক্ষা করেছে।এর থেকে সঠিক সময়ে সবাই আয়কর দিলে আর সেটার সদ্ব্যবহার করতে পারলে মানুষের দারিদ্র্য আরও ভাল করে ঘুচবে।
বাস্তবে হয় বিপরীত জিনিস। মুসলিম দেশগুলোতেই শ্রমিক ন্যায্য মুল্য পায় না। গার্মেন্টস শ্রমিকদের হাল কি আমাদের দেশে সেটা কাউকে বলে দিতে হবে না।আরব রাষ্ট্র গুলোতে তেল সম্পদ শেখদের হাতে কব্জা করে রাখা। শুধু কথা বললেই হবে না বাস্তবে প্রমান দিতে হবে। এই সিরিজটা পড়লে আপনি মুহাম্মদের লুটপাটের কথা আর গনিমত ভগের কথা জানতে পারবেন।
মানুষ ক্ষতি করলে ক্ষমা করে দাও এটি মুলত খ্রিষ্টান ধর্মের শিক্ষা। যাহোক ইসলাম শান্তির ধর্ম না এই কথা যারা বলে তাদের কল্লা ফেলে দে, এভাবেই সকলের প্রতি ভাল ব্যবহার করতে থাকুন। বুখারির কিছু হাদিসও আছে ( এই মুহূর্তে দিতে পারছিনা) এই ভাল ব্যবহার করা নিয়ে। পুরা সুরা তওবা তেই আছে ভাল ব্যবহারের নমুনা। আর হ্যাঁ দুর্বলের প্রতি ভাল ব্যবহার করা? তাইতো আপনার নবী বদর প্রান্তে আবু সুফিয়ানের ৫০ জনের কাফেলা লুট করতে গেছিলেন ৩১৩ জন মানুষ নিয়ে তার ফলেই ত বদর যুদ্ধ বাধল।পরবর্তীতে ইহুদি নিধন প্রমান করে যে দুর্বলের প্রতি সদয় ব্যবহার ইসলামের শিক্ষা। আর যুদ্ধ বন্দিনীদের স্বামী আর বাবা ভাইদের মেরে তারপর বিছানায় গনীমত ভক্ষন সত্যি দুর্বলের প্রতি এরথেকে ভাল ব্যবহার আর নেই। নাস্তিকদের এইসব শেখা দরকার,কি বলেন?
মুহাম্মদ থেকে শুরু করে খলিফারা আর তারপরের সাম্রাজ্যবাদি মুসলিম শাসকরা লুটতরাজ আর জিজিয়া কর থেকে ইনকাম করে ভোগ বিলাস করত। এর থেকে সৎ উপার্জন আর কি হবে পারে?
উত্তরটা আগেই দিয়েছি।গনিমত জিজিয়া, আর তারপর থেকে উমাইয়া আমলের শুরু থেকেই মুসলিম শাসকরা যে কি বিলাসী জীবনযাপন করত তাতো মুসলিমদের লেখা ইসলামের ইতিহাস পড়লেই পাবেন।
জি ঠিক বলেছেন,নারীদের নিকাব পরে চলা,৪টা বিয়ে করা, এসএমএস এর মাধ্যমে তালাক দিয়ে আবার বিয়ে করা, তারপর আবার বিয়ে,অনেকটা কচি মাল ধরে আন টাইপের কাজ আর কি ( অসংস্কৃত ভাষা ব্যবহার করার জন্য দুঃখিত)।কি মজা আর কি সুখ, বুড়ো কালে নাতনীর বয়সী মেয়ে বিয়ে করা। ৫৩ বছরের স্বামী, ৬ বছরের বউ। আলহামদুলিল্লাহ।
না নাস্তিক রা না বরং ধার্মিকরা এই কাজ করে থাকে। আপনার মত ধার্মিক তারা।জুমার নামাজের সময় তাই হিন্দুরা পুজার ঢোল বাজাতে পারবে না। বাজালে আল্লাহু আকবর মার শালাদের।
আরে ভাই কিছু ভালো কথা থাকতেই পারে।কিন্তু তা বলে খারাপ কিছুকে তো অস্বীকার করা যায় না।
মাননীয় ভবঘুরে সাহেব, আপনার উত্তরে (জুন ২২, ২০১২ at ৯:৫৯ অপরাহ্ণ) সহি বুখারী হাদিস থেকে কিছু সংশোধনী ছিল। আমার এক বন্ধু হাদিসের সূত্র সংখ্যা সংশোধনের ব্যাপারটি ঠিক বুঝতে পারেন নি। উনি অন্তর্জালে দেখেছেন সব ঠিক আছে আর আপনার আগের নিবন্ধেও নাকি একই সূত্রের উল্লেখ আছে। ঘটনাটি একটু খোলসা করে মানে কোথায় কোন খানে সংশোধনটি হবে জানিয়ে দিলে খুব উপকার হয়। ধন্যবাদান্তে বস্তাপচা।
@বস্তাপচা,
ভাইজান ওটা হলো একটা বাক্যের অর্থ পরিবর্তন। সেটা হলো- আপনি এখানে ধুলা উড়ান ওটা আমাদের পছন্দ এর পরিবর্তে হবে – আপনি এখানে উপদেশ দিন সেটা আমাদের পছন্দ হবে । এছাড়া আর সব ঠিক আছে ।
মাননীয় ভবঘুরে সাহেব, আপনার উক্ত পঙতিটি কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একেবারে সঠিক নির্দেশ থাকলে খুব ভাল হয়। বুঝতেই পারছেন গোলা জনতা।
শ্রদ্ধেয় ভবঘুরে সাহেবের বিভিন্ন সত্যনিষ্ঠ তথ্য এবং নিশ্ছিদ্র যুক্তি দিয়ে প্রমাণ কোন শিক্ষিত বিবেক বুদ্ধি যুক্তি সম্পন্ন ভদ্রলোক/ভদ্রমহিলার পক্ষে ‘বানোয়াট’ বলে উড়িয়ে দেওয়া অসম্ভব। যারা এটি বোঝেন না বা বুঝেও বুঝতে চাইছেন না তাদের সঙ্গে কোন যুক্তিতর্কে যাওয়া সময়ের অপচয়।
@বস্তাপচা,
অসাধারণ বলেছেন ভাই। তবু খানিকটা বিনোদনের আশাতেই হাজি সাহেবের পোষ্টে মন্তব্য করছি 🙂 । দেখি উনার দৌড় কতদূর। দেখেছেন তো উনি ইতিমধ্যেই একাধিক আল্লাহর আমদানী করেছেন তাও নাকি কোরানের আলোকে 🙂 ।
@ভবঘুরে , আপ্নের লিখা যত পড়ছি ,আমি আস্তে আস্তে নিশ্চিত জাহান্নামের দিকে তত এগিয়ে যাচ্ছি ।
@স্টয়িক রাসেল,
আমি দু:খিত। আমি আসলে চাই শুধুমাত্র সত্য প্রকাশ করতে, কাউকে দোজখের আগুনে পোড়াতে নয়।
@ভবঘুরে, প্রকৃত সত্য জানতে পারলে জাহান্নামে যেতেও রাজি আছি । আশা করি সামনে এধরনের আর ও অনেক লিখা পাব। :guru:
@স্টয়িক রাসেল,
আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিশ্বাষ করি। মিথ্যা বস্তুটা আল্লাহর কাছেও নিশ্চয়ই মিথ্যা। আর আল্লাহ যদি শাশ্তি দেন তবে মিথ্যাবাদীদেরই তো শাশ্তি দিবেন।
জনাব mkfaruk সাহেব তার এক জায়গায় লিখেছেন ‘খৃষ্টান চার্চের যাযক গন আগে জনগনের নিকট বহু ডলারের বিনিময়ে স্বর্গ বিক্রি করতেন। পরে এটা বাধা দিয়ে বন্ধ করা হয়।”
কিন্তু সেই কাজটিই অর্থাৎ ডলারের বিনিময়ে বেহেশত বিক্রী আরো বেশী জোরে শোরে চলতেছে আমাদের মুসলমানদের মধ্যে। কিন্তু এতে বাধা দেয়ার সামান্য টুকু ও ক্ষমতা কারুরই নাই।
সরাসরি ডলারের বিনাময়ে বেহেশতের ঘর বিক্রী চলতেছে কিনা বা এতে কী বিপুল পরিমান সাড়া তা দেখতে চান?
তাহলে কিছু কিছু মসজিদ, মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলে গেলে শুনতে পাবেন “এমন কোন্ ইমানদার বান্দা আছেন যিনি বেহেশতে একখানি ঘর কিনতে চান? তাহলে তিনি এই মসজিদ ,মাদ্রাছায় এখনই ৫০০,২০০ ডলার দান করুন,আর যার নিকট এই মুহুর্তে পকেটে নাই তিনি নাম লিখয়ে দিয়ে যান।”
আর সাথে বেহেশত ক্রয় বিক্রয়ের বিপুল মহড়া পড়ে যায়। আমার নিজ চোখে এ অভিজ্ঞতা অর্জন।
এর চাইতে সহজ এবং লাভ জনক ব্যবসা কি আর কিছু এই পৃথিবীতে আছে?
সেই খৃষ্টানদের স্বর্গ বিক্রী ও মুসলমানদের বেহেশত বিক্রীর মধ্যে আমার দৃষ্টিতে তো কোনই পার্থক্য ধরা পড়েনা
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনার মন্তব্য আমার দৃষ্টি আকর্ষন করল। সেই প্ররিপ্রেক্ষিতে একটা দিক আলোচনা না করে থাকতে পারলাম না। ইদানীং লক্ষ্য করেছি( বেশ অনেকদিন যাবত) মাদ্রাসা আসলে এক ব্যবসাতে পরিণতঃ হয়েছে।
আগে ভাবতাম এতিম খানায় দান করা মন্দ কী? এখন বেশ অনেকদিন যাবত দেখছি মাদ্রাসা ব্যবসা জমজমাট হয়ে গেছে। অনেকদিন আগে দৈনিক প্রথম আলো তে এক প্রতিবেদন উঠেছিল, এক মাদ্রাসার অভ্যন্তরে কেমন সন্ত্রাসী ট্রেনিং দেয়া হয়। ছবি সব দেয়া ছিল। আজ অনেকদিন হয়ে যাওয়ায় আমি সেই পত্রিকার লিঙ্ক
বা অন্য সূত্র দিতে পারছিনা। কিন্তু আমার স্বরনে আছে ভালো মত। সেখানে টিচারগন অবস্থান করতেন না।
এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল। পুলিশ যখন অনেক অস্ত্রের সন্ধান পায়, দেখা যায় সেই স্থান
এতো সু-রক্ষিত। সাধারণ মানুষের পক্ষে সেখানে প্রবেশ করা অসম্ভব ছিল। সম্মুখে এক পুকুর কাটা ছিল, যেনো সহযে কেউ প্রবেশ করতে না পারে।
এইবার আসি ২ পয়েণ্ট এ।
যারা দেশে আছে তাদের অনেক দোষ মেনে নিচ্ছি। কিন্তু, অনেকে বিদেশে অবস্থান করেন এবং দেশে মাদ্রাসা খুলে বসেন। এবং বিদেশ থেকে মাদ্রাসার নামে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। আপনাদের জানা আছে কিনা জানিনা (বোধ করি জানেন)। এখন এই ব্যবসা রম-রম। আর অন্ধরা বেহেশ্ত যাবার জন্যে মাদ্রাসায়
প্রচুর দান খয়রাত করছেন। পরোক্ষ ভাবে কার উপকার হচ্ছে জানিনা।
আমি এ কথা লেখার পেছনের ইতিহাস হচ্ছে, বর্তমানে আমার শ্বশুর বাড়িতে আমার শ্বশুরের জায়গা নিয়ে এমন করছে তার লন্ডন প্রবাসী ভাই বোনেরা চাচাতো
এখন এই নিয়ে আমাদের এক পারিবারিক সমস্যা দাড়িয়েছে। আমি দুঃখিত উদাহরণ টানার জন্য আমাদের পারিবারিক কথা বলতে হল। না হলে অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন আমি জানি কী করে।
এই ভাবেই কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বের হয়ে আসে।
আমি কল্পনা করতে পারিনা, বিদেশে গিয়েও মানুষ এতো হীন ব্যবসায় লিপ্ত হয় কী করতে?
আর যতো দোষ দেয়া হয় দেশী মানুষদের?
@আফরোজা আলম,
বোন, এত বড় একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি আপনার দৃষ্টি নিবদ্ধ হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ব্যাপারটা একেবারেই বাস্তব। এটা এখন অনবরতঃ চোখের ছামনে ঘটতেছে।
বেহেশতের মধ্যের এক একখানা ঘর বিক্রী করে যদি কয়েকশত করে ডলার আয় করা যায়, তবে বিনা পূঁজীতে এর চেয়ে লাভ জনক ও ঝুকিহীন ব্যবসা এই পৃথিবীতে কি আর কিছু থাকতে পারে?
আর ক্রেতা গন ও তো ধরে নিচ্ছেন তারা এই পৃথিবীর যে কোনো একটি বাড়ীর চেয়ে সবচেয়ে বেশী মুল্যের বাড়ী পাচ্ছেন,বরং তা চিরকালের এবং চরম আনন্দ ও শুখ ভোগের জন্য।
যে ব্যবসায় উভয়েই চরম ভাবে লাভবান সে ব্যবসা তো রমরমা ভাবে চলবেই। তা কি কারো বন্দ করার ক্ষমতা আছে,বোন বলুন?
ধন্যবাদ।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
জী, ভাই আমি সর্বদায় পোষ্টগুলো পড়ার চেষ্টা করি। যেটা আমাকে আকর্ষন করে। আমার মতামতের গুরুত্ব
থাক বা নাই থাক। মনে অনেক প্রশ্ন অনেক জবাবই থাকে কখনো প্রকাশ করি, কখনও বা নীরব থাকি এই যা। ধর্মে নারী দাসীদের( দুঃখি এই শব্দ ব্যবহার করার জন্য) কেমন করে ভোগ করার তালিম দিয়ে গেছে তাই নিয়ে আমি এক সামান্য চেষ্টা করেছি( ছোবল) লেখাটার মাধ্যমে। আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
আর মূল্যবান মন্তব্য আশা করছি। ধন্যবাদ।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
দারুন বলেছেন ভাইজান। এটা হলো মধ্যযুগের ইউরোপের খৃষ্টান ধর্মের আধুনিক সংস্করণ। ইউরোপের সেই অন্ধকার যুগে পাদ্রীরা অর্থের বিনিময়ে স্বর্গের টিকিট বিক্রি করত। মার্টিন লুথার এসে এর বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিবাদ করে টিকিট বিক্রি বন্দ করেন।বর্তমানে যেহেতু ইসলামী মোল্লারা বেহেস্তের টিকিট বিক্রি হচ্ছে বোঝাই যাচ্ছে ইসলামের পরিনতিও খৃষ্টান ধর্মের মত হতে চলেছে। খুব তাড়াতাড়ি দেখবেন মানুষ এ ধরনের বেহেস্তের টিকিট বিক্রির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে। আসলে কোন মতবাদ তার চুড়ান্ত পর্যায়ে না গেলে তার পতন ঘটে না। ইসলাম বর্তমানে তার চুড়ান্তে পৌচেছে বলে ধরে নেয়া যায় আর তাই এখান থেকেই তার পতনের শুরু হবে এটা নিশ্চিত।
@ভবঘুরে,
কিন্তু ভাইজান, এটা কে বন্দ করতে যাবে? কেন বন্দ করতে যাবে?
বিক্রেতা যেখানে বিনা পুঁজী খাটিয়ে,বিনা ঝুকিতে মুহুর্তের মধ্যে অজ্ঞ জন সাধারনের পকেট হতে হাজার হাজার ডলার লুটে নিতে পারছেন, আবার ক্রেতা সেখানে নিউইয়র্কের ম্যানহ্যাটানের মত জায়গার সর্বোচ্চ মূল্যের বাড়ীর চেয়েও অনেক বেশী মূল্যের একখানা বেহেশতের মতি হীরার তৈরী স্থায়ী আনন্দ ভোগ পূর্ণ বাড়ী পেয়ে যাচ্ছেন, তাও মাত্র কয়েকশত ডলারের বিনিময়ে, যেখানে বিক্রেতা ক্রেতা(তার বিশ্বাষ মতে) চরম লাভবান সে ব্যবসা বন্দ হওটা কি আর একটু খানি কথা?
যদিও আরব দেশে কোন অন্য ধর্মের উপাশনালয় বানাতে দেওয়া হয়না, সেখানে এই ইহুদী নাছাদের মত উন্নত বিশ্বে মসজিদ ও তৎসংলগ্ন ইসলামিক ইনস্টিটিউট ও কমুনিটি সেন্টার (যেখানে শনি রবি বার স্কুলের ছুটির দিনে বালক বালিকাদের কোরান ও ইসলাম শিক্ষা দেওয়া হয়) নামে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান এর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আর এর জন অজ্ঞ জনগনের নিকট হতে ডলার যোগাড় করাটা কোন ঘটনাই নয়।
এদের মাধ্যমে আল্লাহ কে কয়েক শত ডলার দিয়ে বেহেশতের একখানা ঘর না ক্রয় করা টাইতো এদের কাছে নির্বুদ্ধিতার কাজ।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
দারুন বলেছেন ভাইজান। এটা হলো মধ্যযুগের ইউরোপের খৃষ্টান ধর্মের আধুনিক সংস্করণ। ইউরোপের সেই অন্ধকার যুগে পাদ্রীরা অর্থের বিনিময়ে স্বর্গের টিকিট বিক্রি করত। মার্টিন লুথার এসে এর বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিবাদ করে টিকিট বিক্রি বন্দ করেন।বর্তমানে যেহেতু ইসলামী মোল্লারা বেহেস্তের টিকিট বিক্রি শুরু করেছে, বোঝাই যাচ্ছে ইসলামের পরিনতিও খৃষ্টান ধর্মের মত হতে চলেছে। খুব তাড়াতাড়ি দেখবেন মানুষ এ ধরনের বেহেস্তের টিকিট বিক্রির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে। আসলে কোন মতবাদ তার চুড়ান্ত পর্যায়ে না গেলে তার পতন ঘটে না। ইসলাম বর্তমানে তার চুড়ান্তে পৌচেছে বলে ধরে নেয়া যায় আর তাই এখান থেকেই তার পতনের শুরু হবে এটা নিশ্চিত।
আমিও ভেবেছি বিষয়টি নিয়ে কেন মুসলমানরা পশ্চিমা দেশে গিয়ে আরও বেশী মুসলমান হয়, বেহেস্তের জন্য আরও বেশী লালায়িত হয়ে ওঠে। কারন যেটা মনে হয়েছে তা হলো- মুসলমানরা কাফেরদের দেশে গিয়ে নিজেদের খুব হীনমন্য ও ঈর্ষা বোধ করে। তাদের বিশ্বাস একমাত্র ইসলাম পারে শ্রেষ্ট ও উন্নত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কিন্তু বাস্তবে হলো এর বিপরীত। তাই তারা মন থেকে এটা মেনে নিতে পারে না, শুরু হয় হিংসা, এ হিংসা থেকেই তারা কল্পনা করতে থাকে পশ্চিমা সমাজের চাইতে আরও উন্নত মোহাম্মদ কল্পিত বেহেস্তের। এ ধরনের ভাবনা বা কল্পন তাদেরকে কিছুটা মানসিক শান্তি দেয়। তা থেকেই তাদের মসজিদ ও মাদ্রাসায় এহেন দান খয়রাত ও বেহেস্তের টিকিট কেনার আকুলতা।
এই পোষ্টে মহাম্মদ ও ইসলাম নিয়ে যাহা লেখা হয়েছে ও পক্ষে বিপক্ষে যে সকল মন্তব্য করেছে, আমি সকল যায়গাই মন্তব্যের উত্তর বা মন্তব্য না করে এক যায়গাই সব কথাটুকু তুলে ধরার লক্ষেই লিখছি।
তবে আমি বলবো ,লেখক এখানে নিজে বানোয়াট তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।তার কথা যে প্রতিটাই মিথ্যা এবং পরিকল্পিত বানোয়াট তা আমি প্রমানের চেষ্টা করবো ।মূল কথা তিনি কোরান জানেন ও না চিনেন ও না আবার বুঝেন ও না।কিন্তু মুসলিমদের পূতপবিত্র চলণে হিংসায় মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করে চলেছেন।তার কথায় আপনারা কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।
সমগ্র সৃষ্টিকেই শান্তিতে থাকতে হলে অবশ্যয়ই কোরান মানতে হবে মানতে হবে আল্লাহকে এবং তাঁর উপাষনা করতে হবে।ইহা ব্যাতীত অন্য কোন পন্থা নাই।
প্রতিটি সম্প্রদায়েরই নিজস্ব ধর্মীয় কিছু সংস্কৃতি আছে।যাহা পূর্ব থেকে চলে আসা কু-সংস্কার ও বলতে পারেন।আমি সেই ধর্মীয় সংস্কৃতির বাইরে, শুধু মাত্র আল্লাহ হতে নির্দেশিত ধর্মীয় ক্রীয়া কানুন নিয়েই আলোচনা করছি।
পাঠক,
আমরা জানি কোরান হলো সমস্ত সৃষ্টির পূর্ণঙ্গ জীবণ ব্যাবস্থা ।তাই আমি প্রথমেই জীবও জীবণ থেকেই শুরু করলাম।
রাসুলের কাছে সর্ব প্রথম স্রষ্টা হতে অবতরণ কৃত কোরানের আয়াত হলো,সূরা আলাকের ১ হইতে ৫ নম্বর আয়াত।(যদিও কোরানের কোথাও তাহা বলা হয় নি) তার মধ্যে প্রথম আয়াতে স্রষ্টা মহাম্মদকে বললেন,একরা বিসমি রাব্বুকাল্লাযি খালাক।যার অর্থ হয় পড়ো তোমার প্রতিপালকের নাম যিনি সৃষ্টি কর্তা।
এই আয়াতের সার্মর্ম হলো, রাসুলের কাছে স্রষ্টা লিখিত কিছু পাঠিয়েছিলেন।স্রষ্টা যদি রাসুলের কাছে লিখিত আয়াত না পাঠাতেন,তাহলে একরা বা পাঠ করো না বলে, বলতেন কুল বা বলো।কিন্তু আমরা কোরান পড়ে কি দেখছি।সেখানে স্রষ্টা কুল বা বলো না বলে, একরা বা আবৃত্তি করো বলেছেন।তাতে সার কথা এই হয় যে স্রষ্টার অবতনকৃত বাণী বা কোরান স্রষ্টা লিখেই পাঠিয়েছিলেন।
কিন্তু আমরা বর্তমানে যে কোরান নিয়ে আলোচনা করছি এ কোরান কিন্তু আল্লাহর লিখে পাঠানো সেই কোরান নয়।এটা মানুষ লিখেছে।তাই ইসলাম বা ধর্মকে জানতে হলে প্রথমে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে,স্রষ্টা যে কোরান লিখে পাঠিয়েছিলেন, সেই কোরানকে।
এবার আসুন,
এই কোরানে লেখা আছে।আল্লাহর বাণী সমুহের কোন পরিবর্তনকারী নাই।সূরা ইউনুস আয়াত=৬৪,সূরা কাহাফ আয়াত=২৭ ছাড়া আরও কয়েক যায়গাই এ কথা লেখা রয়েছে।এই আয়াতের সার্মর্ম, স্রষ্টার বাণী কেউ পরিবর্তন করিতে সক্ষম হবে না।
কিন্তু বর্তমানে আমরা যাকে স্রষ্টা হতে প্রাপ্ত কোরান বলছি এই কোরানের মধ্যে লেখা আছে কোরানের আয়াত সংখ্যা ৬৬৬৬ টি কিন্তু প্রত্যেক সূরার শুরুতে লেখা আয়াত যোগ করলে দেখা যায়,বর্তমান কোরানের আয়াত সংখ্যা রহিয়াছে ৬২৩৬ টি।৪৩০ টি আয়াত নাই।তার মানে কোরানের বাণীর পরিবর্তণ হয়েছে। তাহলে কি দাঁড়ালো।এই কোরান আল্লাহর বাণী হলে ইহাকে পরিবর্তণ করা সম্ভব হতো না।তাই বর্তমানে যাহাকে আমরা স্রষ্টা হতে অবতরণকৃত কোরান বলে জানি তাহা স্রষ্টার অবতরণকৃত কোরান নয়।এখন প্রশ্ন আসে এই কোরান তাহলে কার লেখা।
এবার দেখুন,
সূরা হাক্কাহ এর ৪০ নম্বর আয়াত ও সূরা তাকভীরের ১৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে।ইন্নাহু লা কাইলু রাসুলিন কারিম।যার অর্থ হয়,নিশ্চয় এই বাণী সমুহ সম্মানীত রাসূলের।তার মানে এই কোরান মহাম্মদের লেখা । এই কোরান স্রষ্টা হতে অবতরণকৃত কোরান নয়।
সারকথা-
রাসুলের কাছে স্রষ্টা লিখিত কোরান পঠিয়েছেন ।আর রাসুল সেই কোরানের ব্যাখ্যা বা সৃষ্টির কল্যাণে সেই কোরান কি কাজে লাগবে, বা কিভাবে কাজে লাগবে এবং সেই কোরান কি ভাবে চিনবো ইত্যাদি বিষয় জানাতে, তিনি যে কথা বা হাদিস বলেছেন, তাহাই হলো আমাদের কাছে থাকা বর্তমান কোরান বা রাসুলের হাদিস।তাই এই কোরানে রহিয়াছে আয়াত বা নির্দশণ।
আয়াত-
আয়াত শব্দের বাংলা অর্থ নিদর্শণ। ব্যাখ্যা করলে এরুপ হয় যে,কেউ তার কোন দর্শিত বিষয় অন্য কাউকে ধারণা দিতে যাহা বলে বা করে তাকেই নিদর্শণ বলে।তাই রাসুল আল্লাহ হতে লিখিত কোরান ও তার গুণাগুণ জানার পরে বিশ্ববাসীকে তার ধারণা দিতে তিনি যে নিদর্শণ দিয়েছেন,তাহাই রাসুলের হাদিস বা আয়াতী কোরান বা নিদর্শণী কোরান।
আর আল্লাহর অবতরণ কৃত মূল কোরান এর সংরক্ষক আল্লাহরা নিজেই।তাই রাসুল বলেছেন,আল্লাহর কাছ থেকে জেনেছি যে,
নিশ্চয় আমরা যাহা অবতরণ করেছি তাহা আমাকে স্মরণ করার জন্যই ।আর তাহার সংরক্ষক আমরাই।সূরা হিজর আয়াত ৯।
এবং সেই অবতরণ কৃত বস্তু টি কোথায় আছে তার নিদর্শণ দিতে,মহাম্মদ বলেছেন।
সূরা বুরুজ ২১-২২ আয়াত।বরং উহা এক সম্মানিত কোরান সংরক্ষিত রহিয়াছে দুগ্ধবতীর মধ্যে।
এখানে কিন্তু মহাম্মদ বলেন নাই ইহা এক সম্মানিত কোরান ,বলেছেন উহা এক সম্মানিত কোরান ।তার মানে এই কোরানের কথা তিনি বলেন নি।
আবার সূরা বাকারার ২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে।
যালিকাল কিতাবু লা রাইবা।যার অর্থ হয় ,ঐ কিতাবে কোনই সন্দেহ নাই।যদি এই হতো ,তাহলে যালিকা না হয়ে হতো হাযা, যার অর্থ এই ।কিন্তু বলেছে যালিকাল কিতাবু বা ঐ কিতাকে ।তার মানে এখানেও রাসুল এই কোরানের কথা বলেন নাই। বলেছেন আল্লাহ যে কোরান লিখে পাঠিয়েছেন সেই কোরানের কথা।এবং সেই কোরানের সংরক্ষক আল্লাহরা নিজেই।এবং তাহার সংরক্ষণ করা আছে দুগ্ধবতীর মধ্যে।যাহা সূরা বুরুযের ২১-২২ আয়াতে দেখেছেন।
তাই আর ও পরিস্কার করতে মহাম্মদ বলেছেন।সূরা যুখরুফ আয়াত ৪ এ ,আর উহা রহিয়াছে মাতৃ কিতাব মধ্যে।অর্থাৎ মায়ের কাছে।এক কথায় কোরান মায়ের কাছে রহিয়াছে ,এবং তা স্তন্যপায়ী মায়ের দুধের মধ্যে আর স্তন্যপায়ী না হলেও তা মায়ের মধ্যে রহিয়াছে।আর তাই যারা মায়ের গর্ভে গিয়েছেন এবং মায়ের দুধ খেয়েছেন তারাই স্রষ্টার করোন পড়েছেন।বা মান্য করছেন।স্রষ্টা বা কোরানের বাইরে কিছুই নাই।এমন কোন সৃষ্টি নাই যে ,কোরান ,মহাম্মদ ও স্রষ্টাকে মানে না।
বিস্তারিত পরে জানানোর চেষ্টা করবো।
আমরা মায়ের কাছ থেকে যে কোরান পড়ে এসেছি বা যে স্বত্বা নিয়ে এসেছি।তাহাই কিন্তু খরচ করছি।দেহ হতে কিন্তু কোরানের আয়াত মুছে যাচ্ছে ।বা স্রষ্টা নিয়ে নিচ্ছেন।কিন্তু আপনি তাহা আবার পূরণ করতে পারেন।এবং নিজে শান্তিতে থাকতে পারেন।তবে তা অবশ্যয়ই আল্লাহর লিখিত কোরান হতে।আর আল্লাহর লিখিত কোরান কে জানতেই ।রাসুলের হাদিস বা প্রচলিত কোরান জানা আবশ্যক।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
জনাব হাজী সাহেব,
আপনি নিম্নোক্ত রুপে নিজের আজগুবী মনগড়া কাল্পনিক পদ্ধতিতে কোরানের অর্থ বিকৃত করে ফেলতেছেন। এটা কি ঠিক? আর কোন সমাজে অন্ততঃ মুসলমান সমাজে এটা কেহ বিশ্বাষ করিবে আপনার নিজ বানানো অর্থ? আপনি “লাওহে মাহফুজ” শব্দের অর্থ “দুগ্ধবতী” আরবী কোন Dictionary হতে এনেছেন। একটু দেখাবেন কী?
আপনার নিজ বানানো অর্থ
আার তাহলে নীচে ইসলামিক পন্ডিতদের দেওয়া অর্থ দেখুন। অপনি এইসব কোরানের মুফাছ্ছির(ব্যাখা কারী) দের চেয়ে অনেক বেশী জ্ঞানী হয়ে গিয়েছেন।
আপনার নিজের অনুবাদ কৃত কোন কোরান আছে নাকী। থাকলে একটু আমাদের দিয়েন।
بَلْ هُوَ قُرْآنٌ مَّجِيدٌ
21
বরং এটা মহান কোরআন,
فِي لَوْحٍ مَّحْفُوظٍ
22
লওহে মাহফুযে লিপিবদ্ধ।
85:21
Transliteration
Bal huwa qur-anun majeed
Sahih International
But this is an honored Qur’an
Muhsin Khan
Nay! This is a Glorious Quran,
Pickthall
Nay, but it is a glorious Qur’an.
Yusuf Ali
Day, this is a Glorious Qur’an,
Shakir
Nay! it is a glorious Quran,
Dr. Ghali
No indeed, (but) it is an Ever-Glorious Qur’an,
85:22
to top
85:22
Transliteration
Fee lawhin mahfooth
Sahih International
[Inscribed] in a Preserved Slate.
Muhsin Khan
(Inscribed) in Al-Lauh Al-Mahfuz (The Preserved Tablet)!
Pickthall
On a guarded tablet.
Yusuf Ali
(Inscribed) in a Tablet Preserved!
Shakir
In a guarded tablet.
Dr. Ghali
In a preserved Tablet.
Qur’an Home | About | News | Contact Us
Copyright © Quran.com.
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আমি মনগড়া অনুবাদ করছি না।অনুবাদকরা ই মনগড়া অনুবাদ করেছে।
লাওহে মাহফুজ আরবি শব্দ।অনুবাদক ওখানে এ শব্দ দ্বয়ের বাংলা অর্থ না করে আরবিই রেখে দিয়েছেন।
লাওহা অর্থ দুগ্ধবতী, আর মাহফুজ অর্থ সংরক্ষক।
তাতে আয়াতের মূল অর্থ দাঁড়াই,
বরং উহা এক সম্মানিত কোরান সংরক্ষিত রহিয়াছে দুগ্ধবতীর মধ্যে।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
জনাব হাজী সাহেব।
لَوْحٍ (লাওহ) শব্দের অর্থ কোন অভিধানে “দুগ্ধবতী” আছে তাহলে দেখান।
@হাজি সাহেব,
ভাই আমি ইতালিতে থাকি আমার সাথে অনেক আরবী ভাষাভাষি লোক এক সাথে কাজ করি , তাদের সাথে এই লওহ শব্দের অর্থ দুগ্ধবতি নিয়ে আলোচনা করি তা সবার মুখে একই উত্তর কথায় পেয়েছি এই আজগুবি অর্থ , যাক আমি আর কথা বাড়াইনি ।
যাক আবারও প্রমানিত হল ইসলাম মিথ্যাবাদি ।
@আস্তরিন, @হাজি সাহেব, @আঃ হাকিম চাকলাদার,
(৮৫:২১-২২) বরং ইহা কোরান মাজিদ, লৌহের মধ্যে হেফাজত প্রাপ্ত।
ব্যাখ্যাঃ- “লৌহ” শব্দের অর্থ “স্মৃতিফলক।” মানব মস্তিস্কের যে স্নায়ু-তন্ত্রীসমূহ মানব মনের সকল স্মৃতি রক্ষা করিয়া থাকে তাহাকে লৌহ বলে। স্মৃতি ফলকের স্মরণশক্তি সীমাবদ্ধ। অনেক বিষয় মানুষের স্মৃতি হইতে স্বাভাবিকভাবে মুছিয়া যায়। কিন্তু আল্লাহর উচ্চতম প্রতিনিধিগণ যে ব্যক্তির স্মৃতি ফলককে হেফাজত করেন তাহার স্মৃতিফলকে সবকিছু রক্ষিত হইয়া থাকে, কিছুই আর ভুলিয়া যায় না। এইরূপ একটি স্মৃতিফলককে লৌহ মাহফুজ বলে।
রাসুল বংশের বিপক্ষীয় লোকেরা লৌহ-মাহফুজ বলিতে একটি মূল্যবান পাথরের ঘর বুঝাইয়া থাকে। এই ঘর সপ্ত আকাশের উপরে অবস্থিত। ইহাতে সমগ্র কোরান সোনালি অক্ষরে খোদিত করিয়া লিখিয়া রাখা হইয়াছে। অতএব কোরানের কোনরূপ ব্যতিক্রম হইবার উপায় নাই। যদি কেহ উহার ব্যতিক্রম কিছু লিখিয়াও রাখে আল্লাহ্ উহা মুছাইয়া ফেলিবেন। আমাদের নিকট যে কোরান আছে অর্থাৎ হজরত ওসমান কর্তৃক প্রকাশিত যে কোরান তাহা সপ্ত আকাশের উপরে লৌহ-মাহফুজে খোদিত খাস কোরানের অনুরূপ। একটুও ব্যতিক্রম হইতে পারে নাই। লৌহ-মাহফুজ সম্বন্ধে তাহাদের উক্তরূপ মন্তব্য বা আবিষ্কার সত্যই হাস্যাস্পদ নহে কি? আমরা ইহাকে রাসুল বংশের প্রতি এবং ধর্মের প্রতি শত্রুতামূলক আচরণ ব্যতীত অন্য কিছু মনে করি না।
রাসুল বংশীয় ইমামগণ এবং তাঁহাদের অনুসারী অন্যান্য আরও কিছু সংখ্যক লোক লৌহ-মাহফুজের অধিকারী ছিলেন। তাহাদিগের এই শ্রেষ্ঠত্ব জাতিকে ভুলাইয়া দেওয়ার জন্য রাজশক্তি কোরানের শব্দার্থের যেসকল ব্যতিক্রম ঘটাইয়াছে এই দুইটি বাক্যের ব্যতিক্রম তাহাদের মধ্যে অন্যতম। নবি এবং ইমামগণ অতি-মানবরূপে প্রকাশ করিতে রাজশক্তি মোটেই রাজি নহে। ইহাই ছিল অনর্থের মূল কারণ। তাঁহাদের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করিলে ধর্মরাজ্য পরিচালনা করিবার তাঁহাদের ন্যায়সঙ্গর দাবিও স্বীকার করিয়া লইতে হয়। ইহাই ছিল তাহাদের প্রধান আপত্তি।
কোরানের মৌলিক কথাকে বিকৃত করা বিষয়ে যে কয়টি নজির কোরানের টীকাকারগণ আজও বলিয়া আসিতেছেন তাহার সকল কথা আমাদের জানা নাই। তথাপি যে কয়টি আমাদের জানা আছে তাহা হইতে মাত্র কয়েকটি কথা নুমনাস্বরূপ উল্লেখ করা হইল।
ইমাম বাকের (আঃ) বলিয়াছেন, তিন শতের উপর কোরানের বাক্য “তাহরিফ” অর্থাৎ “বদল” করা হইয়াছে যাহা আহলে বাইতের শানে ছিল। ইহাদের মধ্য হইতে ইমাম(?) সুরা নেসাতেই ১৫০টা দেখাইয়া দিয়াছেন। “সিরাতুন নবি” (অর্থাৎ নবির চারিত্রিক গুনারাজি) যে সকল বাক্যে উল্লেখিত ছিল তাহাদের মধ্য হইতে ১১৪টি বাক্য বদল করা হইয়াছে। এই শ্রেণীর বাক্যের অনেকগুলি ইবনে কাসির তাঁহার তফসিরে টীকাতে প্রকাশ করিয়াছেন। কি ছিল এবং উহার স্থলে কি আছে তাহা তিনি দেখাইয়া দিয়াছেন।
(১৫:৯) “ইন্না-নাহানু নাজজালনাজ জিকরা অইন্না-লাহু লাহা-ফিজুন।” অর্থাৎ “ নিশ্চয় আমরা ‘স্মরণ ও সংযোগ’ নাজেল করি এবং নিশ্চয় উহার জন্য আমরাই সংরক্ষণকারী”।
ব্যাখ্যা:- “জিকির”শব্দের অর্থ স্মরন ও সংযোগ।”স্মরন”হইতে আরম্ভ করিয়া উহার পরিণতি সংযোগ পর্যন্ত সকল অবস্থাকেই জিকির বলে।নিজ ক্ষমতায় আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ লাভ করা মানুষের পক্ষে মোটেই সম্ভবপর নহে।আল্লাহর উচ্চতম পরিষদের ব্যক্তিগনই কেবল মানুষের সঙ্গে আল্লাহর সংযোগ ক্রিয়া সম্পন্ন করিয়া থাকেন এবং এই সংযোগের হেফাজত করা তাঁহাদেরই কাজ। অর্থাৎ তাহাঁরই আল্লাহর সংযোগ দান করিয়া থাকেন এবং দান করার পর উক্ত সংযোগের হেফাজতও তাহাঁরই করিয়া থাকেন। তাঁহাদের মাধ্যম ব্যতীত আল্লাহর সঙ্গে কোনরূপ সংযোগ মানুষের হইতে পারেনা। সংযোগ অবিচ্ছিন্ন রাখা তাহাঁদেরই ক্ষমাতাধিন।
অপরপক্ষীয় লোকেরা “জিকির” শব্দটিকে “কোরান” অর্থে এবং “নাহানু” শব্দটিকে “আমি” অর্থে গ্রহন করিয়া নিন্মরূপ অর্থ প্রকাশ করিয়া থাকে:-” নিশ্চয় আমি (আল্লাহ) কোরান নাজেল করিয়াছি এবং উহার হেফাজতকারিও আমি।” এইরূপে অর্থ গ্রহন করিয়া তাহারা বলিতে চাহেন যে, কোন রাজশক্তির সাধ্য নাই কোরানকে ব্যাতিক্রমে করিয়া প্রকাশ করিবার তাহাদের নিকট ইহাই যদি বাক্যটির অর্থ হইয়া থাকে তবে তাহারাই আবার কেমন করিয়া বলিয়া থাকেন যে, পূর্ববর্তি আহলে কেতাবগন তাহাদের ধর্মগ্রন্থ বদলাইয়া জিকির শব্দটিকে কোরান বলিবার অধিকার তাহারা কোথায় পাইলেন?[দ্রঃ “কোরান দর্শন” ও “মাওলার অভিষেক ও ইসলামের মতভেদের কারন” by সদর উদ্দিন আহমেদ চিশতি।]
@হাজি সাহেব,
জি প্রমাণ করেন আগে। প্রমাণ ছাড়া কথা বলাটা স্বাস্থ্যকর না, আর কেউ সেটাকে কোন গুরত্বও দেবেনা।
অসাধারন।।
বরাবরের মতই অসাধারণ ।ভবঘুরে ভাইকে অনেক ধন্যবাদ ।
বরাবরের মতই অসাধারণ ।ভবঘুরে ভাইকে অনেক ধন্যবাদ ।
দুঃখ্যের সাথে বলতে হচ্ছে যে সব কিছু বুঝার পরেও হাজি সাহেব যে কি সেটা বুঝলাম না
সুখের বিষয় হইল না বুঝলেও চলবে ।
@আস্তরিন,
হাজি সাহেব হাজি সাহেবই …। এর বেশি কিছু না। উনি নিজে কি তা নিয়ে ওনার নিজেরও বোধকরি সংশয় আছে।
মাননীয় পাঠকগণ, আমি কিছুটা বোকা ধরণের মানুষ কোন বুদ্ধিশুদ্ধি নেই। কিছু প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজছি। কোন মাননীয় পাঠক (আস্তিক বা নাস্তিক; হিন্দু, মুসলমান, খ্রীশ্চান, ইহুদি…) মনের সংশয় দূর করে দিলে চিরবাধিত হব।
একঃ মোহাম্মদ নিশ্চয় ইয়ে মানে বিরাট কিছু ভক্ত গোছের ছিল। তাই আল্লাহ তাকে বেছে নিয়ে ছিল আয়াত নির্দেশ জাতীয় ব্যাপারগুলো নাজিল করার জন্য। তারপর এই চোদ্দশ বছরে কি আল্লাহ আর কোন ভক্তই খুঁজে পেল না? এর মানে আল্লাহর সব ভক্তই মেকি, ভুয়ো। তাদের আল্লাহ নিয়ে লাফালাফি মোটেই সাজে না। তাদের বিশ্বাস আল্লাহের কাছে কেন খারিজ নয়? আদালতগ্রাহ্য প্রমাণ চাই।
দুইঃ মোহাম্মদ শেষ নবি কেন? আল্লাহ কোন যুক্তিতে এটা নির্দেশ দিল? এর মানে কি আধুনিক মানুষ উপযুক্ত নয়?
তিনঃ মৃত্যুর পর কি হয় তার কোন প্রত্যক্ষদর্শী আছে বলে আমার জানা নেই। কোন প্রত্যক্ষদর্শী থাকলে আদালতগ্রাহ্য প্রমাণ সহ উপস্থিত করা হচ্ছে না কেন? তা হলেই তো সব ল্যাঠা চুকে যায়।
চারঃ বিশ্বাসীদের এত প্রচুর অপমান লাঞ্ছনা আর গঞ্জনা সত্বেও তাদের বাঁচানোর জন্য আল্লাহ স্বশরীরে হাজির হয়ে সাক্ষ্য কেন দিচ্ছে না। নিদেন পক্ষে তিনি তো মরে গিয়ে প্রমাণ করতে পারেন যে তিনি মরেন নি।
পাঁচঃ ধরেই না হয় নিলাম আল্লাহ জাতীয় কোন বস্তু আছে। সে কেন শুধু মোহাম্মদ নিয়ে চিন্তিত হবে? বাকিরা কি তার অবৈধ সৃষ্টি?
ছয়ঃ সর্বশক্তিমান আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছিল? সে নিশ্চয় আরও শক্তিমান। তাকেও বা কে সৃষ্টি করেছিল?
সাতঃ আল্লাহ কি আর একটা আল্লাহ সৃষ্টি করতে পারে?
আটঃ ইচ্ছে করলে আল্লাহ কি নিজেকে ধ্বংস করতে পারে?
আরও প্রশ্ন আছে, তবে আপাতত এই কয়টি প্রশ্নের আদালতগ্রাহ্য আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ দিয়ে উত্তর দিয়ে দিন।
আদালতগ্রাহ্য আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ দিতে না পারলে ধরে নেওয়া হবে ভবঘুরে জাতীয় লেখকদের ব্যাখ্যা বা মন্তব্য একেবারেই সঠিক। তাঁদের ব্যাখ্যা বা মন্তব্য নত মস্তকে মেনে নিতে হবে। যুক্তি তো সেটাই বলে আর সেটা আমার মত বোকারাও বুঝতে পারে। তাই নয় কি?
@বস্তাপচা,
ভাই এই প্রশ্ন আমি অনেককেই করে করে কোন সদুত্তর পাই নি। প্রথমটার উত্তর পেয়েছি যে আল্লাহ কে কেউ সৃষ্টি করে নি। পরে জিজ্ঞেস করেছি যে তাহলে আল্লাহ আসলেন কেমনে? এরপর কি উত্তর আসতে পারে তা আপনি জানেন 🙂 ।
৭ এর উত্তর দেয় তারা যে আল্লাহ পারেন কিন্তু সৃষ্টি করবেন না। যদি আবার বলি যে কেন করবেন না? উত্তর আসে যে আল্লাহই এটা ভাল জানেন। একই সাথে আবার উত্তর দিলাম যে আল্লাহ যদি আল্লাহর সমান আরেকটা আল্লাহ বানাতে পারেন তবে তিনি তো আর অদ্বিতীয় থাকলেন না, বা তিনি ইচ্ছে করলেই নিজের ২য় ভার্সন বানাতে পারেন মানে আল্লাহ অদ্বিতীয় এটা সর্ব কালের জন্য প্রযোজ্য না। উত্তর আসে যে এটা নাকি আল্লাহ ভাল জানেন আর ধর্ম নিয়ে তর্ক করা বারণ তাই তাঁরা তর্কে যাবেন না।
৮ এর উত্তরে একই ধারার কথা খালি একটু ভিন্ন প্রশ্ন আর উত্তর । কোথায় যাবেন ভাই?
আপনার যদি আলাদা অভিজ্ঞতা থাকে বর্ননা করুন প্লিজ। আমি আমার অভিজ্ঞতার কথা বললাম। আমার বাবা, মামা, খালাতো ভাই, আর কিছু বন্ধুকে চ্যালেঞ্জ করে একই রকম উত্তর পেয়েছিলাম।
সংশোধন
“অবচেতন মনে হয় উনি বেশ যুক্তিবাদী” এর জায়গায় পড়ুন “অবচেতন মনে উনি বেশ যুক্তিবাদী মনে হয়।”
এটির মানে হল যীশুর ভাব বা শক্তি ভক্তের অস্থিমজ্জায় প্রবেশ করুক, শিষ্যরাও সেই রকম হোক। যেমন খাওয়াদাওয়া করলে শরীর পুষ্ট হয় তেমন যীশুর এই ভোগ গ্রহণ করে শিষ্যের মন যীশুর ভাবে পরিপুষ্ট হোক।
@বস্তাপচা, জি ভাই সেটা জানি, কিন্তু কথা হল যে ওয়াইন পানের সাজা ইসলামে ৮০ দোররা। সাংবাদিকা বলেছিলেন যে আজকাল নাকি অনেক কিছু বদলে গেছে তাই আজকের আলোকে শরিয়ত সম্মত নতুন সাজার বিঁধান জানতে চাইছিলাম উনার কাছ থেকে 🙂 ।
@ ভাই অচেনা,
আমি ভাল ভাবেই জানি আপনি কি জানতে চাইছিলেন :)) তবুও আরও একটু যাকে বলে “অধিকতে দোষ হয় না” ব্যাখ্যা জুড়ে দিলাম 🙂 ।
আমার ওই প্রশ্নগুলো ঠিক আমার নয়, অনেকদিন ধরেই চলে আসছে।
আমার ফের প্রশ্ন “আল্লাহ পারেন কিন্তু সৃষ্টি করবেন না” এটা তারা জানল কি ভাবে? আল্লাহ এসে কি তাদের কানে কানে বলে গিয়েছিল?
আপনার হুল বেঁধানো কথা বা মজা আমি কিন্তু খুব উপভোগ করি। ধন্যবাদ।
@বস্তাপচা,
আমিও তো একই জিনিস বলেছে, কিন্তু উত্তর আসে না। কি করব বলেন। হয় রেগে গিয়ে সরে যায় ( এটা বাবা আর মামার ক্ষেত্রে ) , না হয় কাফের ইত্যাদি বিশেষণ যোগ করে চ্যাঁচামেচি শুরু করে 🙂 ।এটাই হল মুসলিম সমাজের করুণ অবস্থা। আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই । ভাল থাকবেন । 🙂
সংশোধন
“দোখজ” এর জায়গায় “দোজখ” পড়বেন।
“ইসলামীদের যুক্তি এক ফুঁয়ে হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে” এর জায়গায় “ইসলামী যুক্তি এক ফুঁয়ে হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে” পড়বেন।
অনিচ্ছাকৃত বোতাম টেপায় ভুলের জন্য দুঃখিত।
সত্য যে কঠিন সে কঠিনেরে ভালোবাসিলাম…
ভবঘুরেকে অসংখ্য ধন্যবাদ । সিরিজটা পড়ার চেয়ে মন্তব্যগুলো পড়েই বেশি আনন্দ পাচ্ছি ।
@ম্যাক্স ইথার,
ঠিকই বলেছেন ভাই। “ভবঘুরে” ছেলেটার এই মঞ্চে যদি নিয়মিত আসতে পারেন তবে বিচিত্র সব জ্ঞানী গুনীদের বিচিত্র তাদের মনোভাব,তাদের বিচিত্র মন্তব্য,এদের সংগে মতের আদান প্রদান, আপনাকে অবশ্যই মুগ্ধ করিবে। তাই পুনরায় সময় পেলে এই মঞ্চে আবার যোগদানের জন্য আহবান জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ
ছিলাম না তাই মন্তব্য করতে দেরী হল।
আবার ভবঘুরে রুদ্রমূর্তি ধরে তথা কথিত ইসলামী (ভুয়ো) পন্ডিতদের অনৃত তথ্য, অনৃত ভাষণ ও সম্পাদিত তথ্য হেলায় উড়িয়ে দিয়েছেন। ওনার নিখুঁত যুক্তির সামনে (ভুয়ো) পন্ডিতদের খেলো যুক্তি একেবারেই হাস্যকর। ফের ভবঘুরে আর ফারুক সাহেবের জমজমাট তরজা বেশ উপভোগ করলাম। ফারুক সাহেব কিন্তু বেশ উপকার করছেন। তিনি প্রচুর অপমান লাঞ্ছনা আর গঞ্জনা সত্বেও (ভুয়ো) পন্ডিতদের যুক্তি এবং তথ্যগুলি একে একে ছবির মত তুলে ধরছেন। এই সুবিধে কিন্তু সহজে এক জায়গায় পাওয়ার নয়। প্রথমে ভেবেছিলাম উনি খাস মৌলবাদী। পরে ওনার কিছু কার্যকলাপ কিছু সন্দেহ জাগিয়ে তোলে। যেমন এই পঞ্চদশ পর্বেই কৌতুহলী ছাত্রকে তিনি যুদ্ধবন্দী নারীদের ধর্ষণকে বৈধতাদানকারী আয়াত ও হাদীস এবং তার কড়া সমালোচনাকারী একটি লেখার সন্ধান দিলেন। তিনি আগেই এই কাজ করেছেন। সুতরাং যুক্তি বলছিল ওনার মধ্যে দ্বৈতসত্ত্বা বাস করে। চেতন মনে উনি দোখজ থাকলেও থাকতে পারে বলে ভয় পান তাই ইসলাম নিয়ে লড়াই করেন। অবচেতন মনে হয় উনি বেশ যুক্তিবাদী নইলে কড়া সমালোচনাকারী লেখার সন্ধান বা যার কোন ধর্মে আস্থা নেই তাকে লেখার উৎসাহ দিতেন না। ইসলামীদের যুক্তি এক ফুঁয়ে হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে দেখেও উনি অপমান সয়েও সেই ভুয়ো যুক্তিগুলিই কেন দিচ্ছেন? ওনার লেখা দেখে ওনাকে মোটেই বোকা বলে মনে হয় না। ছদ্মবেশে উনি কি এক যুক্তিবাদী? এর উত্তর আমার কাছে নেই।
চাকলাদার সাহেবের মূলানুগ অনুবাদ অন্য অনুবাদকদের মুখোশ একেবারেই খুলে দিয়েছে। ওনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
ভবঘুরে সাহেবের প্রবন্ধগুলি যথোচিত সম্পাদনা করে বই আকারে বেরোলে অজস্র মানুষের উপকার হত। মানুষ মোল্লাতন্ত্রের বিরুদ্ধে উপযুক্ত হাতিয়ার পেয়ে গিয়ে ওদের মুখোশ খুলে দিত।
@বস্তাপচা,
ভাই, এটা হলে তো ভালই। কারণ এতে করে উনার মনটা পরিষ্কার হতে পারে। যদিও উনার ( mkfaruk) ছেলেমানুষি আবেগ খুব বিস্মিত করে আমাকে।
@বস্তাপচা,
আপনার সব মন্তব্য মন দিয়ে পড়েছি। আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে আপনার সুচিন্তা ধারার পরিচয় স্পষ্ট। কম বেশি আপনি লেখালেখির সাথে জড়িত তাও আপনি জানিয়েছেন। অন্য কোন কারনে নয় শুধু আপনার প্রতি মুগ্ধতার পরশ থেকে বলছি যদি আপনি নিকটা আরো একটু আকর্ষনীয় করতেন তাহলে দেখতে আরো ভালো লাগত এই আর কি।
আপনার পরিশ্রমের তারিফ করতে হয়। :guru:
গবেষণাধর্মী তা বলার অপেক্ষা রাখে না।……. আমার কথা হল; অনেক মুসলিম দাবি করে যে; কোন দাসী ভোগ করা হয়নি। ইহুদি খ্রিস্টান মহিলাদের ভোগ করা হয়নি। এর মানে কী এই বাবা, ভাই, স্বামী মারা যাবার পর সবাই নাচতে নাচতে শুতে চলে গেল? :lotpot: :hahahee:
চমৎকার লিখেছেন।…. :))
সন্তানরা সাধারণত বাবা-মায়ের সমালোচনা করেনা। কিন্তু কারও বাব-মা ধোয়া তুলসী পাতা নয়। আপনি আপনারটা খোজ নিয়ে দেখেন। ঠিক তেমনি প্রত্যেক ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় মহা মহাপুরুষ দের অযথা অসম্মান করেনা। রসূল মানুষ; তাঁরও সামান্য ত্রুটি থাকতে পারে নাও পারে, সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। তেমন ভাবে যেমন করে আমরা আমাদের মাতৃভূমির অসম্মান করিনা। আপনি যা লিখেছেন তা লেখার সুযোগ আছে বলেই লিখেছেন……. এসব প্রায় সমস্ত শিক্ষিত মুসলমানের জানা আছে।
আর দাসীদের প্রসঙ্গে বলতে হয়, দাসীদের সাথে বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক অনেক দূরের আলোচনা। “দাস-দাসী” টার্মটিই খুবই অমানবিক এবং………।
তাহলে বলতে হয় উনবিংশ শতাব্দীর আগে যত মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চবিত্ত শ্রেণী আছে তারা সবাই “মানবতার শত্রু” কারণ প্রায় সবারই দাস দাসী ছিল। হ্যাঁ……. পৃথিবীর বিখ্যাত মানবতা বাদী মুক্ত চিন্তার অধিকারী গ্রীক লেখকদেরও দাস দাসী ছিল!!!!!!! ওই সময় ওটা একটা নর্ম…….. যদিও এখন ওটা ট্যাবু…….
এখন অনেকে “মৃত্যুদণ্ড” কে আইনি শাস্তি হিসেবে মেনে নিতে পারেননা। কেননা তাদের দৃষ্টিতে এটা অমানবিকতা, এমনকি ঠাণ্ডা মাথায় খুনের শাস্তি হিসেবেও না!!!!!! ভবিষ্যতে মনে হয় আস্তে আস্তে এই শাস্তি উঠেও যেতে পারে……… তখন হয়ত খুনের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডকে অমানবিকতা মনে করা হবে!!!!!!!
কোন প্রবন্ধ রচনার আগে……. স্থান, কাল, পাত্র সম্পর্কে অবগত থাকা ভালো এবং ওই সময়ের চলমান সামাজিক অবস্থা এবং গ্রহণযোগ্যতা কিংবা ট্যাবু বর্ণনা দেওয়া উচিত, সামান্য হলেও। নাহলে ওটা আর প্রবন্ধ রচনা হয়না হয়ে যায় একপেশে বাগাড়ম্বর। ফটকা বাজি এবং ধোঁকা দেওয়ার উদ্দেশ্য আধুনিক কালের বিভিন্ন ছবি এডিটিং করার মত আরকি; যেখানে সমান্য ক্রপ করলেই পুরা ঘটনা উল্টো প্রতিফলিত হয়। রাষ্ট্রীয় প্রোপাগান্ডা যন্ত্রে বা ট্যাবলয়েড পত্রিকায় এই জাতীয় এডিটরের ভালো কদর………
@সংবাদিকা,
আপনারাই মোহাম্মদকে এ ভাবে বিশ্বাস করেন যে তাকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ দুনিয়া সৃষ্টি করত না। আল্লাহ যাকে এত মর্যাদা দিল তার আবার ত্রুটি ? আপনারাই বিশ্বাস করেন মোহাম্মদ নিজে থেকে কোন কাজ করত না, সব করত আল্লাহর নির্দেশে। তাহলে তার যদি ত্রুটি থাকে তা হলো আল্লাহর ত্রুটি। তার অর্থ আপনার আল্লাহ ত্রুটি পূর্ণ। একটা মন্তব্য করার আগে তার পরিণতি কি হতে পারে তা ভাবা বুদ্ধিমানের কাজ।
স্থান কাল পাত্র সব কিছু শানে নুযুল সহ বর্ণনা করা হয়েছে। আর যদি আপনি মনে করেন মোহাম্মদের কাজ, কর্ম, কোরানের বানী সব কিছুকে সেই সময়ের স্থান কাল পাত্র হিসাবে বিবেচনা করতে হবে, তাহলে মোহাম্মদের ইসলামও সেই ১৪০০ বছর আগের জন্য উপযোগী ছিল। বর্তমানে তার কোন উপযোগীতা নেই। আপনার বক্তব্য তো সেটাই প্রমান করে।
@ভবঘুরে,
এই কথা আপনি কি গবেষণা করে পেয়েছেন???? নাকি বিভিন্ন গবেষকদের গবেষণালব্ধ লেখা ইন্টারনেট ঘাঁটা ঘাঁটি করে পেয়েছেন ???? শুধু বলব আরও বেশি গবেষণা করেন…… সবচাইতে ভালো হয় আরবি ভাষা শিখে গবেষণা করেন…… তারপর প্রবন্ধ রচিয়েন……. তাহলে মৌলিকত্ব থাকবে……… অনেকেই ভুলে যায় তিনি একজন মানুষ ছিলেন……. দেবতা না।
স্থান কাল পাত্র বলতে আমি শুধু তৎকালীন মক্কা-মদিনা বলিনি…… চতুর্থ-পঞ্চম-ষষ্ট খৃস্টাব্দে বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অঞ্চলভিত্তিক পারষ্পরিক যোগাযোগ অনেক ভালো ছিল। তৎকালীন আরবদের সাথে সাথে বিশ্বের অন্যান্য এলাকা বিশেষ ভাবে তাদের সাথে যাদের ব্যবসা বাণিজ্য ছিল তাদের প্রেক্ষিতে বলেছি। ঐতিহাসিক সামাজিক ব্যপারে কোন কিছু বলতে গেলে তৎকালীন বিশ্বে স্বীকৃত ব্যাপারগুলি সাবধানতার সাথে মাথায় রেখে তা উল্লেখ করা উচিত।
যেগুলো উপযুক্ত নয় সেগুলো অনেক আগেই কালের সাথে উপযুক্ত করা হয়েছে এবং কালের সাথে সাথে নতুন অনেক কিছুই সংযুক্ত হয়েছে (সেই ৮ম খ্রিষ্টাব্দ থেকেই) কিন্তু তার কোন কিছুই ইসলামের মৌলিক ব্যাপারের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। আপনার যদি এক স্রষ্টায় বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় আপনাকে করতে কেউই বলেনি।
উগ্রবাদী সবজায়গায়ই আছে, এমনকি পরিবেশ আন্দোলনকারীদের মাঝেও উগ্রবাদী আছে। প্রাণী অধিকারের ব্যাপারেও উগ্রবাদী আছে যারা প্রাণী মাংস খায়না প্রাণ বধ হচ্ছে বলে; কিন্তু ঠিকই উদ্ভিদের প্রাণ তারা নিয়মিত বধ করছে। আমেরিকায় কালোদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণ হত আর এখন দেখা যাচ্ছে অনেক কালোরা উগ্র ধর্মীয় কিংবা জাতীয়তাবাদী চেতনা দেখাচ্ছে। আবার এই শতাব্দীর শুরুর দিকে রাশিয়া, চীন এবং অন্যান্য অনেক দেশে নাস্তিক উগ্রবাদী দেখা গিয়েছিল; অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছিল সাধারণ মানুষদের কাছে সাম্যবাদ এবং নাস্তিক্যবাদ সমার্থক হয়ে গিয়েছিল। আসলে সবকিছুই আপেক্ষিক। যেকোনো উগ্রপন্থাই খারাপ।
তবে উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে কলম (এখন কালের সাথে সাথে কি বোর্ড বলা যেতে পারে ) ধরতে যেয়ে ওটা যদি সাধারণ বিশ্বাসী মানুষদের আক্রমণ করা হয় তাহলে তা শুধুই চেঙ্গিসিয় মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ মাত্র সাহিত্য যা নিপাট বাগাড়ম্বর হিসেবে পরিচিত।
ধন্যবাদ।
@সংবাদিকা,
ভাল তিনি যদি মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে তার ভুল ত্রুটিও থাকবে , তাই না ? তাহলে তার সব আদেশ উপদেশ যে ত্রুটিহীন ছিল সেটা বিশ্বাস করেন কিভাবে ? আর এ ত্রুটিপূর্ণ উপদেশ আদেশের ওপর ভিত্তি করে রচিত বিধান সর্বকালের জন্য আদর্শ হয় কেমনে ? কোরান, হাদিস , মোহাম্মদ ও ইসলাম নিয়ে রচনা লিখতে যদি আরবী ভাষা শিখতে হয় তাহলে তো বলতে হয় একমাত্র আরবের আরবরাই ইসলামকে সবচাইতে বেশী ভাল বোঝার কথা , তাই নয় ? আমরা বুঝতে পারব না , আর বুঝতে না পারলে তো আমাদের পক্ষে প্রতি নিয়ত ভুল করাই স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে সঠিক ইসলাম জানা ও পালন করার উপায় কি ?
এগুলো বিবেচনা করেই তো পরিস্কার করে বোঝা গেছে যে মোহাম্মদ মদিনায় গিয়ে তার লুটেরা দল নিয়ে মদিনার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া বানিজ্য কাফেলার ওপর আক্রমন করে তাদেরকে হত্যা করে তাদের মালামাল লুটপাট করে গণিমতের মাল হিসাবে ভাগাভাগি করে নিতেন যা ছিল মক্কা থেকে মদিনায় যাওয়া মুসলমানদের জীবিকা। আপনি কি জানেন যে তখন মক্কার লোকদের জীবন সিরিয়ার সাথে বানিজ্যের ওপর নির্ভর করত ? আর মক্কা থেকে সিরিয়া যেতে পথেই মদিনা পড়ে ? না জানলে একটু মানচিত্রটা দেখে নিয়েন। কষ্ট হলে এখানে একটু ক্লিক করুন- সৌদি আরব।
তাই নাকি ? কে বা কারা ইসলামে নতুন করে অনেক কিছুই সংযুক্ত করল? তাদের ক্ষমতা দিল কে ? আপনি কি জানেন না মোহাম্মদ যা বলে গেছে , কোরানে যা লেখা হয়েছে – তার কোন পরিবর্তন বা সংযোজন হবে না ? কিয়ামত পর্যন্ত বলবত থাকবে ? যারা অনেককিছু সংযুক্ত করল- তারা কি মোহাম্মদের চাইতে বেশী ইসলাম জানে ? নাকি তাদের কাছে আল্লাহ নতুন করে ওহী পাঠিয়েছিল ? এহেন অপরাধের শাস্তি জানা আছে ? মনে হয় জানা নাই।
@ভবঘুরে, অসাধারণ বলেছেন ভাই (Y) (F)
@সংবাদিকা,
এই কথা বলে আর কতকাল আপনারা পিছলে যাবেন? কোরআন নিয়ে আলোচনা যেই করুক, সে মুসলিম না হলে তার জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং আরবী ছাড়া কোরআন না জানা – এই দুটো ফালতু যুক্তি দেখানো আপনাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। এই লেখায় লেখক যতটুকু গবেষণা করেছে তার ১% ও যদি আপনি করতেন, আপনি এমন শিশুসুলভ মন্তব্য করতে পারতেন না।
মনটাকে একটু জাগ্রত করুন। এখানে কেউ আল্লাহ বা তার নবীর ধুতি ধরে টানাটানি করছে না। তারা যে মিথ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছিল সেটাই শুধু খুলে দিচ্ছে।
@সত্যান্বেষী, দারুন বলেছেন দাদা (Y)
@সংবাদিকা, এক কথায় যা বলতে চাচ্ছেন তা হল আপ্নার মহানবী যা করেছেন তা ছিল সে যুগের কিছু নর্মস তাই তো…বলেন তো কুরানে আর যে ২৪/টি নবি বা যে কোন মহাপুরুষ এত বিতর্কিত কিনা যে পরিমাণ বিতর্কিত আপনার এই সর্বস্রেশঠ মহাপুরুষ…আর কোন নবী তার ধর্ম প্রচারের জন্য ২৭/৩০ টি যুদ্ধ করেছেন?…মানুষ হত্যা করেছেন?…৬ বছরের একটা কচি মেয়েকে বিয়ে করেছেন?…ভালই বলেছেন সে যুগের কিছু নর্মস…একজন যিনি কিনা সর্বকালের সর্বস্রেষ্ঠ মানব তিনি তার কাল কে অতিক্রম করতে পারলেন না…কই অন্য কোন নবিকে নিয়ে তো এত সমালোচনা হয়না যত হয় এই সবশেষের মহাপুরুষ টিকে নিয়ে…তিনি যখন দাসীদের সাথে সেক্স করতে চান কই তার আল্লাহ তো তাকে বল্লনা ‘হে মুহাম্মাদ আপনার এসব করা ঠিক হবে না, ১৪০০ বছর পরে ঝামেলা হবে”…৬ বছরের আয়েশাকে বিয়ে কি না করলেই নয়…নিজের কালের কাছে কি নির্মম ভাবে পরাজিত হলেন…আর এখন তাকে কালের দোহাই দিয়ে বাচানোর চেষ্টা কেন করছেন…শুধু প্রশ্ন করুন এ রকম একটা মানুষ ই কী সর্বকালের সর্বস্রেষ্ঠ মানুস হবার যোগ্য যার মত করে আর কেউ অস্ত্র হাতে নিজের ধর্ম প্রচার করেন নি …”’ওই সময় ওটা একটা নর্ম…….. যদিও এখন ওটা ট্যাবু”…হাস্যকর…মহান আল্লাহ তার নবীকে সর্বকালের করতে পারলেন না…
@সংবাদিকা,
মুহাম্মদের শিক্ষা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের জন্য “সর্বকালের, একান্ত পালনীয় ও অপরিবর্তনশীল”। এটাই ইসলামের “মুল শিক্ষা”। বিশ্বের সকল মুসলমান তা দৃঢভাবে বিশ্বাস করেন। মুহাম্মদের শিক্ষা যদি শুধু “সেই আমলের জন্যই প্রযোজ্য” হলে আপনার মন্তব্যটি হতো গ্রহণযোগ্য। নতুবা এহেন মন্তব্য “অর্থহীন”।
@সংবাদিকা,
কেউ পারে, কেউ পারে না। কিন্তু ব্যভিচারের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এটা কি কোন কালে , কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়?মদ খাবার সাজা ৮০ দোররা, কিন্তু কেন? ক্যাথলিকদের ধর্মীয় অঙ্গ হল রেড ওয়াইন পান করা।Holy Eucharist এ রেড ওয়াইন হল জেসাসের নতুন নিয়মের রক্ত আর রুটি হল মাংস, যে আচারের বর্ননা নিউ টেস্টামেন্টে দেয়া আছে।তা খ্রিস্টানদের ধর্ম পালনের জন্য কত ঘা চাবুক মারা দরকার বর্তমান নিয়ম অনুসারে জানিয়ে বাধিত করবেন।
@সংবাদিকা,
দাস দাসী রাখাটা অন্যায় নয়। কিন্তু তাদের সংগে সেক্স করাটা নিশ্চয় কোনো ভালো মানুষের পরিচায়ক নয়, তাও আবার আল্লার আয়াত দ্বারা সিদ্ধ করে। ভাবুন আপনার বাসায় একজন যুবতী দাসী আছে। আপনার বৃদ্ধ বা পৌঢ় পিতার নজর তার উপর পড়লো এবং ধর্মের অজুহাত দিয়ে আপনার মা এবং আপনাকে জানিয়েই তার সংগে নিয়মিত সেক্স করতে থাকলো। আপনারা তাকে বাধা দিতে পারছেন না, কারণ, ধর্মে তার এই অধিকার রয়েছে। তখন আপনার কেমন লাগবে ? আপনি আপনার পিতার এই কর্মকান্ডকে মেনে নিতে পারবেন ? না তাকে আপনি লম্পট বলবেন। মুহম্মদের চরিত্রও ছিলো তাই। শুধু শুধু একজন অমানুষকে গ্রেট বানানোর মানসিকতা কেনো ?
@হৃদয়াকাশ,
আপনি কি ব্যাভিচারী কাকে বলে জানেন?কোরানের দৃষ্টিতে আপনি আপনার বিবাহিত স্ত্রীর সাথে সহবাসও ব্যাভিচারের আওতায় পড়তে পারে,আবার বিবাহ না করেও কারও সাথে যৌন সম্পর্ক করলে তাহা শুভাচার হতে পারে।তাই আগে জানা দরকার কোরানের দৃষ্টিতে ব্যাভিচার ও শুভাচার কি।তার পরে বিচার কইরেন রাসুল দাসির সাথে বিবাহ ব্যাতীত সহবাস করে দোষ করেছে না গুণ করেছে। জানার শেষ নাই । তাই জানার চেষ্টা করুন।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
মানে? আমার স্ত্রীর সাথে আমি সহবাস করলে সেটাও ব্যভিচার হতে পারে? হায় আল্লাহ যাব কোথায়।
@অচেনা,
ভাইজানের মাথা ঠিক আছে তো????? কোরানের দৃষ্টিতে বিবাহ না করে যৌন সঙ্গম করলে এটা ব্যভিচার না? এটা কি নারী দের ক্ষেত্রেও নাকি খালি পুরুষদের ক্ষেত্রে?পুরুষদের ক্ষেত্রে হলে ঠিক আছে, কারন কোরান পুরুষের বহুগামীতা কে সমর্থন করে। কিন্তু নারী দের বেলাতেও কি আপনার এই কথাটা খাটে?
@হাজি সাহেব,
বাংলা বুঝে কি আপনি কোরান পড়েছেন ? মনে তো হচ্ছে না। কারণ ইসলাম ভীষণভাবে বিবাহ বহির্ভূত সেক্সকে হারাম করেছে। শুধু তাই নয় হস্তমৈথুন ও ইসলামে নিষিদ্ধ। যতক্ষণ না মোহরানা দেয়া হচ্ছে ততক্ষণ কোনো নারীর যৌনাঙ্গ কোনো মুসলমানের জন্য হালাল নয়। এটার দ্বারা কী বোঝচ্ছে ? আর আপনি বলছেন বিবাহ বহির্ভূত সেক্স শুভাচার হতে পারে! হ্যাঁ, সেটা হতে পারে আমাদের ক্ষেত্রে। আমরা যারা নাস্তিক। আমরা কোনো ধর্মীয় বিধান মানি না। কিন্তু বুঝি মানবতা কী ? আপনার ইসলাম কী মানবতা বোঝে?
হাজি সাহেবকে একটা কথা বলা হয় নি। আজ বলছি। হুমায়ূন আজাদ মুসলমানদের সম্পর্কে একটা কথা বলে গেছে। তা হলো মুসলমানরা এক বইয়ের পাঠক। মানে কোরান ছাড়া তারা কিছুই বুঝেনা। মুমলমানদের বিশ্বাস- কোরান ইজ দ্যা অল সাইন্স। অথচ আশ্চর্য, এত বড় একটা বিজ্ঞানের বই নিয়ে মুসলমানরা আজ পৃথিবীতে সবচেয়ে মূর্খ জাতি। প্রায় প্রতিটা পোস্টেই আপনার মতো দু একজন লোককে আমরা পাই। এতে অবশ্য আমাদের সুবিধাই হয়। তর্ক বিতর্কের মাধ্যমে আমরা বহু কিছু জানতে পারি। কিন্তু একটা অনুরোধ ঐ এক বইয়ের জ্ঞান নিয়ে দয়া করে আমাদের সাথে তর্ক করতে আসবেন না। মুক্তমনার যারা লেখক এবং পাঠক তারা এদেশের যে কোনো বিশ্বাসী মুসলমানদের চেয়ে ইসলাম সম্পর্কে অনেকগুন বেশি জানে। এ পর্যন্ত বহু বিশ্বাসী মুসলমান মুক্তমনায় এসেছে এবং নাকানি চুবানি খেয়ে আবার চলেও গেছে। আমরা চাই আপনি থাকুন এবং হাদিস কোরানের আলোকে যুক্তি দিয়ে তর্ক করুন। এতে আপনিও জানতে পারবেন আর আমরাও উপকৃত হবো।
@হৃদয়াকাশ,
এটাই আমি বুঝিনারে ভাই, আমার হাত দ্বারা আমার জননাঙ্গ ঘষাঘষি করলে এতে আল্লাহ পাকের সমস্যা কি? মনে হয় হাজী সাহেব কিছু ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। খুবই আজব নিয়ম কানুন এই ইসলাম ধর্মের।
হাজী সাহেব, আপনার ব্যাখ্যার অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি কোরানের আলোকে( আপনি তো হাদিস মানেন না তাই কোরানই ভরসা :)) ) হস্ত মৈথুন কেন পাপ, এর ভিত্তি কি? আর এটা করলে কি সমস্যা আল্লাহ পাকের, উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন 🙂 ।
@অচেনা,
আল্লা পাকের সমস্যা আছে; কারণ তিনি তার পেয়ারের দোস্ত মুহম্মদের মুখ দিয়ে বলিয়েছেন –
এজন্যই ইসলামে হস্তমৈথুন নিষিদ্ধ। কারন আল্লা মুসলমানদের বীর্য নষ্ট হতে দিতে চান না। প্রত্যেকটি ফোটা কাজে লাগিয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে চান। এজন্যই ইসলামিক দেশগুলো এত জনসংখ্যাবহুল। তারা কোনো শস্য ক্ষেত্রকেই পতিত থাকতে দিতে চান না। ছুড়ি থেকে বুড়ি প্রত্যেকের প্রোডাকটিভিটিকে কাজে লাগিয়ে জনসংখ্যা বাড়াতে চান। তাই হস্তমৈথুন নিষিদ্ধ। প্রয়োজন হলে আপনি বিয়ে করেন। তারপর সেক্স করেন। এতেই আল্লা আর তার রাসূলের লাভ। সেই যুগে তো আর জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিলো না, তাই প্রত্যেক বছরে একটা করে হতোই। এ যুগেও একটা না একটা তো হবেই। বুঝেছেন ?
@হাজি সাহেব,
আপনি মন্তব্যের বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন। এত বেশি মন্তব্য না করে একটি মন্তব্যে সব কথা বলার চেষ্টা করলে ভাল হয়। কেউ মাত্রাতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য শুরু করলে মুক্তমনায় তার মন্তব্যগুলো প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
@হৃদয়াকাশ,
আসলে এই দাসদাসী না, ধর্মে ক্রীতদাসীর সাথে সেক্স করা বৈধ করা হয়েছে।আর এখানে আপনি বোধহয় দাসদাসী বলতে কাজের লোকের কথা বুঝিয়েছেন। কিন্তু ভাই কাজের লোকদের দাস দাসী বলাটা ভাল দেখায় না, যদিও এই টার্ম এখনও অনেক যায়গাতে ব্যবহার করা হয়, এটা দুঃখজনক।
@অচেনা,
তর্কের খাতিরে এটা আমি বলেছি। মুহম্মদ যদি এতই মানবদরদী তাহলে তিনি দাস প্রথা উচ্ছেদ করে গেলেন না কেনো ? উচ্ছেদ করেন নি, কারণ, তাতে তার ক্ষতির সম্ভাবনা ছিলো। একদিকে সেক্স করা থেকে বঞ্চিত হতেন আর অন্যদিকে গণিমতে মালের ব্যবসা থেকে। কারণ গণিমতে মালের মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান ছিলো মেয়েদের শরীর।
আর আক্ষরিক অর্থে না হলেও এখনও কাজের লোকেরা দাসীর পর্যায়েই পড়ে। আগে হয়তো তাদের শারীরিকভাবে কিনে নেয়া হতো, তারপর তাদের ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন তো কেনা হয় মানসিকভাবে। আপনি যদি কারো চাকরি করেন, তাহলে আপনি কি তার সিদ্ধান্ত এবং মতের বাইরে কিছু করতে পারবেন ? আমাদের গার্মেন্টের মেয়েরা কি সেই মধ্যযুগীয় দাসীদের মতো ব্যবহার হচ্ছে না। সময়ের পরিবর্তনে সিস্টেমটা হয়তো একটু মডারেট হয়েছে, কিন্তু মূল বিষয়টা কিন্তু একই রয়েছে।
@হৃদয়াকাশ, ওহ আচ্ছা ভাই আমি এবার বুঝতে পেরেছি আপনার কথা। সরি তখন বুঝতে ভুল করেছিলাম। ধন্যবাদ নতুন এবং আরও সহজ করে ব্যাখ্যা দিবার জন্য। 🙂 ।
আপনার এই সিরিজটা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি। সবচেয়ে ভালো লাগে যে দিকটা তা হলো, আপনি কোরআন এবং সহি হাদিসের রেফারেন্স দিয়েই ইসলামের ভণ্ডামীগুলো ধরিয়ে দেন। চলতে থাকুক আপনার এই সিরিজ। নিয়মিত পাঠক হিসেবে সাথে আছি।
“হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। ” (সূরা আল আহযাব ,আয়াত 32 )
“হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য আহার্য রন্ধনের অপেক্ষা না করে নবীর গৃহে প্রবেশ করো না। তবে তোমরা আহুত হলে প্রবেশ করো, তবে অতঃপর খাওয়া শেষে আপনা আপনি চলে যেয়ো, কথাবার্তায় মশগুল হয়ে যেয়ো না। নিশ্চয় এটা নবীর জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের কাছে সংকোচ বোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ সত্যকথা বলতে সংকোচ করেন না। তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ। আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তাঁর ওফাতের পর তাঁর পত্নীগণকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়। আল্লাহর কাছে এটা গুরুতর অপরাধ। ” (সূরা আল আহযাব , আয়াত 53)
Someone may fallen love with his wife….Shame Shame.
@Lincoln, (Y) ঠিক বলেছেন ভাই আমারও কেমন জানি লাগে…
আমি আপনার প্রতিটি কথার জবাব দিবো ও কোরানের দৃষ্টিতে প্রমান করে দিবো আপনার দেয়া সমস্ত তথ্য ভুল অথবা মিথ্য।এবং মহাম্মদ ও কোরানকে সত্য প্রমান করে দিবো।
তার আগে আপনি বলবেন।আপনার কি শুধু মহাম্মদকে নবি ও কোরান আল্লাহ হতে নাযিলকৃত কিতাব মানতে সন্দেহ হয়?নাকি ইসা ও ইঞ্জিল মুসা ও তাওরাত, যব্বুর দাউদ কে ও আল্লাহ হতে নাযিল ও নবি মানতে সন্দেহ হয়?এবং কেন?
হাজি সাহেব।।
@হাজি সাহেব,
কখন প্রমান দিবেন ভাইজান। আমার তো আর তর সইছে না। কতক্ষন অপেক্ষা করতে হবে ?
আমরা কাউকেই নবী বলে বিশ্বাস করি না। সুতরাং তাদের তথাকথিত আসমানী কিতাবকে তাদের অন্ধ অনুসারী কর্তৃক রচিত কিছু গাজাখুরী গল্পের বই মনে করি। এসব গাজাখুরী গল্পের চেয়ে আরব্য বা পারস্য উপন্যাসও অনেক আমোদজনক বই মনে হয়।
@ভবঘুরে,
না ! আর অপেক্ষা করতে হবে না ।এখন থেকে বিদ্যুৎ থাকা পর্যন্ত আমি প্রমানের চেষ্টা করে যাবো।
প্রচলিত যে কোরান আমাদের কাছে বর্তমান এটা রাসুলের গবেষনার ফসল।এমন কি যতগুলো কিতাব কে আমরা আসমানি কিতাব বলে জানি এর সব গুলিই রাসুলদের গবেষনার ফসল।আর এই কিতাবগুলি সবই সাংকেতিক ভাষায় লেখা হয়েছে।কেনা না।প্রাচীন কাল থেকে এ পর্যন্ত কেউই একথা কে বলতে দেই নি।বলতে গেলেই তাকে মেরে ফেলা হবে তাই তারা এই কথাগুলি সংকেতের মাধ্যমে লিখে গেছেন।পূর্ণাঙ্গ কোরান হলো সাংকেতিক ভাষায় লেখা।তাই কোরান বুঝতে বা জানতে আগে কোরানের সাংকেতিক ভাষা জানতে হবে।তা না হলে কোরান বুঝা যাবে না।
আর এই প্রচলিত কোরান আল্লাহর নাযিলকৃত কোরান চিনতে ও মানতে সাহায্য করে।
এখন আমি কোরানের সাংকেতিক ভাষার প্রচলিত ভাষায় আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করবো ।তাতে আপনার আপত্তি থাকবে কি না?
এবার আসুন ।পৃথিবীতে যতগুলি ধর্ম এসেছে তম্মধ্যে এসলাম ধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম।এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হলে আসমানি কিতাব মান্য করা ব্যাতীত সম্ভব নয়।আগে আমি তা প্রমান করার চেষ্টা করি।
ইসলাম আরবি শব্দ।যার বাংলা অর্থ শান্তি।আর আরবী দ্বীন শব্দকে আমরা ধর্ম বলি।এই দ্বীন বা ধর্ম শব্দের অর্থ স্বভাব গঠনকারী স্বত্বা।আর আখলাক শব্দের অর্থ চরিত্র বা স্বভাব। তাই শান্তির চরিত্র গঠন করতে দ্বীন বা ধর্ম করতে হবে।
এখন ইসলাম অর্থ শান্তি আর দ্বীন অর্থ স্বভাব গঠনকারী স্বত্বা। আর ইসলাম ধর্ম শব্দের অর্থ শন্তি প্রতিষ্ঠাকারী স্বত্বা।আর এই শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী স্বত্ব ব্যাতীত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়,তাই ইসলাম ধর্ম সকল ধর্ম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ধর্ম।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
আপনি তো দেখি আরেক কাঠি সরস। অবশ্য নাম দেখে তা বোঝা ও যাচ্ছে।
অসাধারণ যুক্তি। আচ্ছা, আপ্নার থিওরি দিয়ে আমার প্রমাণটা দেখুন তো!!! Peace মানে শান্তি, Human মানে মানব আর ধর্ম শব্দের অর্থ শন্তি প্রতিষ্ঠাকারী স্বত্বা । আর এই শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী স্বত্বা ব্যাতীত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়,তাই মানব ধর্ম সকল ধর্ম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ধর্ম। আমারটা ভূল, প্রমান করুন তো? যতসব আজাইরা প্যাঁচাল।
@সুকান্ত, দারুন বলেছেন দাদা (Y)
@সুকান্ত,
কোরানের দৃষ্টিতে আপনার কথাটি চরম বোকার মত হয়েছে।কারণ-
ধর্ম শব্দের অর্থ স্বভাব বা চরিত্র।আর প্রতিটি বস্তুর ই নিজস্ব স্বভাব বা ধর্ম রয়েছে।সৃষ্টির সমস্ত কিছুতেই দু-প্রকারের ধর্ম বর্তমান।এক উপকারী ধর্ম ,দুই অপকারী ধর্ম,এই উপকারী ধর্মই সৃষ্টিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে।তাই এই ধর্মের নাম ইসলাম ধর্ম।এবং ইহাই বিশ্বের একমাত্র শ্রেষ্ঠ ধর্ম।
আপনি বলেছেন মানব ধর্ম। ঠিক আছে,তবে মানব মধ্যেও কিন্তু দুটি ধর্ম বর্তমান।এক উপকারী বা শান্তির ধর্ম দুই অপকারী বা অ-শান্তির ধর্ম।অতএব মানব ধর্মই কিন্তু শ্রেষ্ঠ ধর্ম নয়।
এরপরে আসুন।আপনি মানব বা মানুষ বলতে কি বুঝেন?কোন প্রজাতীকে আপনি মানুষ বলছেন?না কি অন্য কিছুকে? দয়া করে জানাবেন।
বিশ্বের প্রতিটি সৃষ্টির প্রতিটি প্রাণেই আল্লাহ,মানুষ.শয়তান,নবি ও রাসুল বর্তমান।আপনি এ বিষয়ে বুঝেন কি না?
এ ক্ষেত্রে,একজন কুকুর প্রজাতি বা ঘোড়া প্রজাতিও মানুষ হতে পারে এবং একজন মানুষ প্রজাতিও শুকর বা কুকুর হতে পারে। তার দেহমধ্যের ধর্ম গুন বিবেচনায়।না জানলে জানার চেষ্টা করুন।
হাজি সাহেব
@হাজি সাহেব,
খুব হাঁসতে ইচ্ছে করছে আপনার কথা শুনে। সৃষ্টির সমস্ত কিছুতেই যদি দু-প্রকারের ধর্ম বিদ্যমান থাকে তাহলে শুধু ইসলামে কেন এই দুই ধর্মই বিদ্যমান নয়? তাছাড়া কিসের উপর ভিত্তি করে বলছেন ইসলাম উপকারি ধর্ম- সূত্র টা জানাবেন কি দয়া করে?
আপনি যদি মানব বলতে কাদের বোঝায়, এটাই না জানেন, তাহলে ভাই আমাকে মাফ করে দেন। এই সাইট আপনার জন্য নয়- শুধু এটাই বলতে পারি।
তাই নাকি? বুঝি না বলেই তো ভাই আপনার কাছে শুনতে চাই। তাই বলে আবার আমাকে প্যারাডক্স এর ঘূর্ণনে ফেলে দিয়েন না। আর পারলে এদের সাথে একবারের জন্য হলে ও মোলাকাত করে দেন না ভাই!!! শয়তানের মাঝে ও যে আল্লাহ আছে, সেটা স্বীকার করেন তাহলে!! তাই-ই যদি হয়, তবে শয়তানের কার্যকলাপ কি আল্লাহ কন্ট্রোল করে নাকি অন্য কেউ? যদি আল্লাহ করে থাকে তাহলে শয়তান কে শয়তান না সম্বোধন না করে আল্লাহ কেই শয়তান আখ্যা দেওয়া উচিৎ নয় কি? আপনার কি মনে হয়?
আমি তো দেখতে মানুষের মত- এই হিসেবে আমি কোন প্রজাতি তে পড়ি বলে আপনার ধারনা? আপনি মনের ধর্ম গুন বা মানবীয় গুণাবলীর কথা বলছেন না তো আবার? তাহলে তো অনেক কথাই লিখতে হবে। ভবঘুরের এই লেখাটা পড়ে আপনার কি মনে হয় না যে মুহম্মদের মানবীয় গুনাবলী বলে কিছুই নেই? আপনি যদি বলেন যে, আমি বিচার মানি কিন্তু সব কলাগাছ আমার- তাহলে তো আর কোন যুক্তি ও দরকার হবেনা। আমি তো জানার জন্যই চেষ্টা করছি আর আপনার শরনাপন্ন হয়েছি শুধু জানার স্পৃহা নিয়েই।
@সুকান্ত,
এ জন্য নাই যে,বস্তুর যে দুটি ধর্ম আছে তার উপকারী ধর্মের নাম ইসলাম ধর্ম, আর অপকারী ধর্মের নাম কুফরি ধর্ম।অর্থৎ ইসলাম বা কুফর কোন বস্তু নয়,বস্তুর গুণ।
মানুষ কোন প্রজাতীর নাম নয়,জোর করে নামটি আমরা ব্যাবহার করছি।মানুষ কি না জানলে জানার চেষ্টা করুন।
না! শয়তানের মধ্যে আল্লাহ থাকবে কেনো?প্রতিটি প্রণীর মধ্যেই,আল্লাহ,মানুষ.শয়তান,নবি ও রাসুল বর্তমান।প্রত্যেকেই স্ব-স্ব অবস্থান থেকে নিজ দায়িত্ব পালন করে চলেছে।না জানলে জানার চেষ্টা করুন।
মানুষ কোন প্রজাতীর নাম নয়।মানুষ একটি রুহু বা আত্মার নাম।
প্রতিটি প্রাণীর মধ্যেই পাঁচটি রুহু বা প্রাণ আছে।১।রুহু কুদচি,২।রুহু ইনসানি,৩।রুহু হাইয়ানি।৪।রুহু নাবাদাৎ,৫। রুহু যামাদাৎ।
যে প্রাণীর দেহ রাজ্যের রাজা রুহে ইনসানি সেই মানুষ।
যে প্রাণীর দেহ রাজ্যের রাজা রুহে হাইয়ানী সেই পশু।
তাত মানুষ প্রজাতী ও জানোয়ার হতে পারে আবার জানোয়ার প্রজাতী ও মানুষ হতে পারে।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
আচ্ছা!!! কি অসাধারণ যুক্তি আপনার। কুপোকাত হয়ে গেছি আপনার যুক্তির প্রখরতা দেখে। তবে একটা ব্যাপারে আপনি আর ফারুক সাহেব একই চরিত্রের- কোন রেফারেন্স দিতে চান না বা দেন না। কোরানকে আল্লাহর কিতাব প্রমাণ করার জন্য আপনি নিঃসন্দেহে জান্নাতবাসী হবেন। তবুও আপনার সূত্র দিয়ে আমি কি বলতে পারি- ” বস্তুর যে দুটি ধর্ম আছে তার উপকারী ধর্মের নাম মানব ধর্ম, আর অপকারী ধর্মের নাম অ-মানব ধর্ম । অর্থাৎ মানব (মানবতা) বা অ-মানব কোন বস্তু নয়,বস্তুর গুণ। ” – কি বলেন? খেয়াল করেন, আমি ও কিন্তু কোন রেফারেন্স উল্লেখ করিনি।
সত্যি বলতে, আর ইচ্ছে করছেনা আপনার সাথে বেহুদা তর্ক করতে। আপনার দৌড় কতটুকু সেটা বোঝা হয়ে গেছে। আপনার এই জ্ঞ্যান দয়া করে কোন মসজিদে যদি বিতরন করেন তবে পরকালেই আপনার জন্য ভালো হবে। এইখানে উদ্গিরন করে কোন কিছুই পাবেন না।
@সুকান্ত,
আপনি বললেই তো হবে না।আপনি বলেন মানব কোন ভাষার শব্দ এবং তার আভিধানিক অর্থ কি?কাহলেই মিমাংসা হয়ে যাবে।
আর আমি যাহা বলেছি সেটা আমার কথা নয়।অভিধান খুঁজলেই পাবেন।যে-ইসলাম আরবি শব্দ যার বাংলা অর্থ শান্তি।এবং শান্তি পেতে হলে অবশ্যয় আপনাকে বস্তুর উপকারী ধর্ম গ্রহন করতে হবে।এই উপকারী ধর্মই আপনাকে শান্তি দিতে পারে।তাই উপকারী ধর্মের গুণ হলো শান্তি বা ইসলাম।এটা কি আমার কথা হলো?
শুধু জিতার জন্য তর্ক কইরেন না বুঝার জন্য এবং বুঝানোর জন্য তর্ক কইরেন।আপনার তো কোন সাধারন জ্ঞানই নাই।তো কোরান গবেষনা করবেন কেমনে?
হাজি সাহেব।
@সুকান্ত,
সহমত । নিজের বুদ্ধিমত্তাকে এই পর্যায়ে নামিয়ে আনার কোনও মানে হয়না । ধন্যবাদ ব্যাপারটা ধরিয়ে দেবার জন্য ।
@ম্যাক্স ইথার,
কথা চালিয়ে যান ভাই। দেখছেন না কতদিন এমন বিনোদনের সন্ধান পাই না :hahahee: :rotfl: 😀
@হাজি সাহেব,
চরিত্র গঠন করতে গেলে কি প্রথমে –র চামড়া কাটার দরকার হয় ?
@শেসাদ্রী শেখর বাগচী,
না! ধর্ম করার জন্য চামড়া কাটার কোন প্রয়োজন নাই এটা আপনার ইচ্ছাধীন।সমাজ দেখবেন অনেকেই জন্ম সুত্রেই চামড়া কাটা অবস্থায় এসেছে।ঠিক সে মতই ইব্রাহিম নবিও চামড়া কাটা অবস্থায় এসেছিলো।তাই যারা তার শিষ্যত্ব গ্রহন করেছেন শিষ্যত্ব গ্রহন প্রমান হেতু চামড়া কাটানো হয়েছে এবং কেটেছে।ধর্মের জন্য নয়।আলাদা সম্প্রদায় গঠন হেতু।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
আসলে আপনি অনেক কিছুর খোজ খবর রাখেননা বলেই করান নিয়ে এত মাতামাতি করছেন. বিজ্ঞানীরা বর্তমানে কি চিন্তা করছে আপনি তার খোজ কহবর রাখেন না . দেখুন কিভাবে something can come out of nothing. নিচের ভিডিও পারলে download করে দেখুন . চামড়া কাটা নিয়ে সাধারণত কেউ জন্মায় না . যদি কেউ জন্মে থাকে তাহলে সেটা birth defect.
httpv://www.youtube.com/watch?v=LnjcrPY9lbQ&feature=player_detailpage
@হাজি সাহেব,
এটা কি কমেডী সার্কাস? আপনি তর্ক করতে এসে কী বলছেন এসব? খোদ বিশ্বাসীরাও তো আপনার লেখা উপরের প্যারাটা পড়ে বিস্মিত হবে। দয়া করে রেফারেন্স দিয়ে লিখুন। কোরআন কোন সাংকেতিক ভাষায় লেখা নয়। খোদ কোরআন বলছে কোরআন সহজ ভাষায় লেখা। পুড়ন,
@সত্যান্বেষী,
নিশ্চয় ইহা সম্মনীত রাসুলের কথা।সূরা হাক্কাহ ৪০ আয়াত ও সূরা তাকভীর এর ১৯ আয়াত টি পড়ে দেখেন।তার মানে এই প্রচলিত কোরান রাসুলের কথা।
আমি কিন্তু প্রচলিত কোরান নিয়ে আলোচনা করছি।যেটা রাসূলের গবেষণার ফসল।আর আল্লাহ রাসুলকে যে কোরান নাযিলের মাধ্যমে দিয়েছেন ।তাহা আল্লাহ লিখেই পাঠিয়েছেন।এবং তাহা রক্ষণা বেক্ষণের দায়িত্বও আল্লাহর।সেই কোরান চেনা ও পালন করতে জানার জন্য এই কোরান জানা আবশ্যক।কেন না এই কোরান সেই কোরানের গাইড বুক হিসাবে ব্যাবহৃত।
কে বিবিস্মত হলো আর কে কি হলো তা মুখ্য নয়।মুখ্য কোরানের সত্য উপস্থাপন করা।আর এই কোরান কোন সম্প্রদায়ের জন্য নয়।এই কোরান সমস্ত সৃষ্টির জন্য পথ প্রদর্শক।
হাজি সাহেব।
@সত্যান্বেষী,
প্রচলিত কোরান সাংকেতিক ভাষায় লেখা হয়েছে এবং আল্লাহর লেখা নাযিলকৃত কোরান সহজ করে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার শেষ নাই আরও জানার চেষ্টা করুন।কোরান জানতে ও বুঝতে হলে আগে কেরানের ভাষা বুঝতে হবে। সাধারণ জ্ঞান দিয়ে কোরান বোঝা সম্ভব নয়।কোরান বিশেষ জ্ঞানীর জন্য।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
ইতিহাস ঘেঁটে একবার দেখান তো আপনার ইসলাম পৃথিবীর কোথায় শান্তি স্থাপন করতে পেরেছে ? এখন তো নিজ জ্ঞানেই দেখতে পাচ্ছি পৃথিবীর যত অশান্তির মূলে ইসলাম। মুখে শুধু শান্তির ধর্ম ইসলাম বলে পার পাওয়া যাবে না, প্রমান করে দেখাতে হবে। নবীর জীবদ্দশাতেও পুরো আরব জুড়ে তো শুধু যুদ্ধ আর যুদ্ধ। তিনি শান্তিটা আনলেন কোথায় ?
@হৃদয়াকাশ,
আমি যে ইসলাম নিযে আলোচনা করছি তা এখন ও কোরানের বাইরে কোন ইতিহাসে লেখা হয়নি। তাই লিখিত ইতিহাস দিয়ে প্রমান করানো সম্ভব না।
আর যদি আপনি মনে করেন আমি ইসলাম মানে টুপি দাড়ি নামাজ নিয়ে আলোচনা করছি।তাহরে ভুল করবেন।
আমি প্রমান দিবো এভাবে।
ইসলাম অর্থ শান্তি। এখন আপনি বলেন আপনি এ পর্যন্ত যাহা কিছু করছেন, তাহা কি শান্তিতে থাকার জন্য করছেন, নাকি অশান্তিতে থাকার জন্য করছেন?যদি আপনি শান্তিতে থাকার জন্য করেন, তাহলে আপনি ইসলাম ধর্মের লোক।এবার আপনি জনে জনে জিজ্ঞাসা করুন তারা শান্তিতে থাকতে চাই কিনা ।যে যে শান্তিতে থাকতে চাই সেই সেই ইসলাম ধর্মের লোক।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
আপনার এত থিয়োরিটিক্যাল কথার তো দরকার নেই। প্র্যাকটিক্যালে আসেন।বর্তমান পৃথিবীতে ধর্মের দোহাই দিয়ে মুসলমানরা কী করছে এটাই আমার বিবেচ্য বিষয়। আর বর্তমান পৃথিবীতে মুমলমানদের যে রূপ, তাতে আমি নিজেকে মুসলমান ভাবতে ঘৃনাবোধ করি (যদিও আমি আল্টিমেট শান্তিবাদি লোক) বরং নাস্তিক বলে পরিচয় দিতেই আমি গর্ববোধ করি। আর মুক্তমনার মাধ্যমে লম্পট ও যুদ্ধবাজ মুহম্মদ এবং তোষামোদ প্রিয় আল্লার যে পরিচয় আমি পেয়েছি, তাতে তাদের শুধু অশ্রদ্ধাই নয়, গালি দেয়ার ভাষা খুঁজে পাই না।
@হাজি সাহেব,
আপনার এতো প্যাঁচাল মারার কোন কারনতো দেখি না ভাইজান।।দয়াকরে আপনার তথ্যবহুল রেফারেন্স নিয়ে হাজির হোন।।
এইটা আর নতুন কি??
ভবগুরে ভাইয়ের ইসলাম সম্বন্ধে জ্ঞানকে আপনি প্রাথমিক বলে মনে করেন না কি??
এইটাও নতুন কি??সর্বত্রই শুনি তবে ভাইজান ইহার সত্যতা কোনজায়গায় প্রতিফলিত হয় না।।তাই বলি আপনার গাঁজাখুরী কথাবার্তা বাদ দেন।।আর এইটা কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় না যেখানে আপনি যা বলবেন আর সবাই হাঁ করে তাকিয়ে থেকে হজম করবে।।
@উথেন জুম্ম,
ভাই, অল্প কথায় হাজিকে ভালোই বাঁশ দিয়েছেন। ধন্যবাদ।
@হাজি সাহেব,
আপনি সবার উদ্দেশ্যে কথাটা বলেছেন বলেই আমি আমার কথাটা বলছি। আমার ভাই হিসাব সোজা। সবাইকে আমার মানতে আপত্তি আছে। এরা যে কেউ আল্লাহর নবী, আর আল্লাহটাই কে বা উনি যে বাস্তবে আছেন তা প্রমান করে দিন।যতক্ষণ পর্যন্ত সেটা না পারছেন , ততক্ষনে আমি কিছুই মানতে রাজি না।
@অচেনা,
শুধু একজন নয়।মোট সাতজন নবী ও নবী জ্ঞান প্রাপ্ত সকলকেই রাসুল মানতে হবে।আপনি না মানলে সেটা না জানার জন্য হবে। তাছাড়া ইচ্ছাই হোক আর অনিচ্ছাই হোক প্রতিটি সৃষ্টিই সাতটি নবী ও পঁচিশ জন রাসুল মান্য করে।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
কি সাঙ্ঘাতিক কথা বললেন হাজি সাহেব।আমি না মানলে সেটা না জানার জন্য? আচ্ছা ভাল। কিন্তু তারপরেই যে বললেন যে ইচ্ছেতে হোক আর অনিচ্ছাতেই হোক প্রতিটি সৃষ্টিই সাত জন নবি ও পঁচিশ জন রসুল কে মান্য করে? তার মানে আমি কি জড় পদার্থ নাকি ভাই? আমি তো ইচ্ছা বা অনিচ্ছা কোন ভাবেই মানি না!!
@অচেনা,
মূলতঃ কোরানের দৃষ্টিতে কাকে নবী বলে তা আপনি জানেন না।যখন আপনি জানবেন নবি কি ,তখন আপনিই বলবেন হ্যাঁ,আমি নবীর শক্তিতেই শক্তিমান ছিলাম। এবং আছি।নবী না হলে তো আপনি জন্মাতেনই না।
নবী অর্থ নব ধন।স্রষ্টারা দলে দলে যখন নতুন রুপে আগমন করে।তার নাম নবি।যাহা আপনাতেই বর্ত।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
:-s স্রষ্টারা দলে দলে যখন নতুন রুপে আগমন করে?
খুব চিন্তার বিষয় স্রষ্টারা?? ভাই আপনি মুসলিম তো?
আর নবী মানে নব ধন? এটা আপনি পেলেন কোথায়?:-?
@অচেনা,
কোন চিন্তার বিষয় না।।আমি আমার কথা বলি নাই আমি কোরানের কথা বলেছি।কোরানের মধ্যে ৩১ টি আয়াতে ৩১ বার রাসুল আল্লাহ কে আমরা বলেছেন।যেমন-
আমরাই ইহাদিগকে ও তোমাদিগকে জীবিকা দিয়ে থাকি।সূরা আনআম ১৫১ আয়াত।
তাহলে আপনি বলেন নবি শব্দের অর্থ কি?
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
এটা নিয়েই তো সব গণ্ডগোল। ইসলামী স্কলাররা বলেন যে এটি রয়াল প্লুরাল যা আল্লাহ নিজের জন্য একক ভাবে ব্যবহার করেন। যাক শেষে আপনি স্বীকার করে নিলেন যে আল্লাহ একাধিক।
কালেমা তৈয়ব কি সেটাই সেখায়?
আমি তো জানি যে নবী রসুল হল আল্লাহর প্রেরিত মানুষ এটাই মুসলিমরা বলে থাকে।
@অচেনা,
আল্লাহ শব্দের অর্থ স্রষ্টা । অর্থাৎ,যাহা দ্দরা আমি সৃষ্টি হয়েছি তাহাই স্রষ্টা বা আল্লাহ।তাই সৃষ্টির সমস্ত কিছুতেই আল্লাহ বিরাজিত।এবং আপনাকে আল্লাহরই উপাষনা করতে হবে বা করতে বাধ্য।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
এই ধরনের ফালতু উক্তি করার পর আপনি মুসলমান কিনা সেটাই তো বিশাল সন্দেহ আমার। আল্লাহ সব কিছুতেই বিরাজিত না। সে বসে আছে সাত আসমানের ওপর আল্লাহর আরশে , তার সিংহাসনে। আর সেখানে বসে বসে আপনাদের মত পাবলিকের মূর্খতা ও পাগলামী দেখে হাসা হাসি করছে।
@ভবঘুরে,
যদি কোরানের দৃষ্টিতে আমার কথা সঠিক এবং আপনার কথা বে-ঠিক হয়, তাহলে?
এখানে আমি কোন সম্প্রদায়ের কর্ম কান্ড দিয়ে কোরানকে সত্য বা মিথ্যা প্রমান করবো না।আমি প্রমান করবো কোরানের প্রতিটি কথাই সত্য এবং ইসলাম বা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে এক মাত্র কোরানের আইনই প্রয়োজনীয় ভুমিকা রাখতে পারে।ইহা ব্যাতীত অন্য কিছুতেই ইসলাম বা শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
কোরান কোন সম্প্রদায়ের জন্য সীমাবদ্ধ নয়।এই কোরান সমগ্র সৃষ্টির জন্য।এবং বিশ্বের সকল সৃষ্টিই কোরানের আইন আংশিক হলেও মেনে চলে।এবং যারাই মেনে চলে তারাই শান্তিতে আছে।আর যে কোরান মেনে চলে না,তারাই অ-শান্তিতে আছে।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
আপনি তো দেখি নিজেকে হাসির পাত্র করেই ছাড়বেন। সকল সৃষ্টির মধ্যে কিন্তু শুকুর ও পড়ে। আর পৃথিবীর সব মুস্লিম দেশের কথা কি বলবো, সবাই এত ভীষনভাবে সুখে আছে যে পশ্চিমা (কাফিরদের) দেশে এদের ঢোকার চেষ্টা ঠেকানো যাচ্ছে না। বলুন আমিন………
@সুকান্ত, (Y)
@সুকান্ত,
আমি তো বলেছি, সৃষ্টির প্রতিটা প্রাণী কোরান বহন করে চলেছে এবং কোরানের আইন ও ইসলাম ধর্ম মেনে চলেছে।আর যে ইহা মানে নাই সেই অশান্তিতে নিমজ্জিত হয়েছে।বিতর্ক না করে। না,জানলে জানার চেষ্টা করুন।
কেন না কোরান ও ইসলাম ধর্ম ব্যাতীত, জীবের কোনই উপায় নাই।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
– এই তথ্য কোথায় পেলেন- বলবেন কি? আমি তো ইসলাম কেন, কোন ধর্মই পালন করিনা। কই, আমি তো অশান্তিতে নেই? কি আজগুবি যুক্তি আপনার!!! শুকুর ইসলাম ধর্ম পালন করে নি বলে কি অশান্তিতে আছেন বলে মনে করেন? আপনি যদি মনস্থির করেই থাকেন যে কোন যুক্তি মানবেন না, তাহলে বলবো ভুল জায়গায় এসেছেন। কেন অযথা নিজের বা আমাদের সময় নষ্ট করছেন?
@সুকান্ত,
সৃষ্টির সকলেই যখন কোরান পড়ে বলেছি ,তাতে শুকর বাদ পড়ে বলে কি আপনার মনে হয়?এক কথায় সমস্ত সৃষ্টিই কোরান পড়ে ও ইসলাম ধর্ম পালনে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু ইসলামী আইন না জানার জন্য তারা ব্যার্থ হচ্ছে।এবং অশান্তিতে নিমজ্জিত হচ্ছে।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
না আপনার কথা সত্য হলে শুকুর বাদ পড়েনা। তবে শুকুরের মাংস হারাম কেন? কেন এটাকে অপবিত্র বলা হয়েছে?
@সুকান্ত,
ভুল করছেন।কোরান মান্য করার উদ্দেশ্য শান্তিতে থাকার জন্য।সুখের জন্য নয়।আর আমি তো বলেছি,আমি প্রমান করে দেবো সৃষ্টির প্রতিটা প্রাণীই কোরান মান্য করে ও কোরানে উল্লিখিত এবাদৎ করে।এতেও কি আপনি বুঝেন নাই যে ,যাদেরকে আপনি পশ্চিমা কাফের বলছেন তারাও এই কোরান ও আল্লাহকে মান্য করে চলেছে।
না জানলে জানার চেষ্টা করুন।অহেতুক কাল ক্ষেপণের কোনই কারণ দেখিনা।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
এই মন্তব্যে আপনি ঠিক কথা বলেছেন। যারা কোরান মান্য করে তাঁরা নিজেরা শান্তিতে থাকে তবে অন্যদের অশান্তি দিয়ে- কি বলেন? আর প্রতিটা মন্তব্যে বারবার বলছেন, প্রমাণ করবেন সবকিছু- কই, কোন প্রমাণ পাচ্ছি না কেন? প্রতিটা প্রানী যে কোরান মান্য করে- এটা কখন আবিষ্কার করলেন আবার? আপনাদের নিয়ে আর পারিনা। আমাদের হজমের সময় না দিয়ে শুধু আবিষ্কার ই করে যাচ্ছেন, একটু ধীরে করা যাই না আবিষ্কার গুলো? ভালো কথা, আমি কিন্তু পশ্চিমাদের কাফের বলছি কারণ আমি কোরান মান্য করি। আর-রে আমি তো প্রমান ই করে ফেললাম যে সব সৃষ্টি কোরান মান্য করে……হুররররররেরেরেরেরে… 😀
@সুকান্ত,
যে নিজে শান্তি প্রত্যাশী সে অন্যকে অশান্তি দিতে পারে না।আর যে অন্যকে অশান্তি দেয় সে নিজেও শান্তির ধর্ম বা ইসলাম ধর্মের না।তবে ফসল ভালো পেতে হলে অবশ্যই আগাছা দমন করতে হবে।এটাই সুত্র।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
আগে সঠিক প্রমান করুন।
ভাইজান, আপনার এসব প্রমান করতে আর কত দিন লাগবে ?
@ভবঘুরে,
যতদিন আপনি না বুঝেন।
হাজি সাহেব।
@ভবঘুরে,
কেবলতো শুরু ভাই কতদিন কেন বলেন যে কত যুগ লাগবে 🙂 ।
@হাজি সাহেব, কোরান কোন সম্প্রদায়ের জন্য সীমাবদ্ধ নয়।এই কোরান সমগ্র সৃষ্টির জন্য।এবং বিশ্বের সকল সৃষ্টিই কোরানের আইন আংশিক হলেও মেনে চলে।এবং যারাই মেনে চলে তারাই শান্তিতে আছে।আর যে কোরান মেনে চলে না,তারাই অ-শান্তিতে আছে।… …ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান যে তলানিতে তা বোঝা গেল…দাদা আমরা আপনার এই লক্কর ঝক্কর স্তর অনেক আগেই পাড় করে এসেছি…আপ্নার মত আমরাও আগে ইসলাম নিয়ে এভাবেই বলে এসেছি…এখন যখন দেখি কেউ এরকম বলছে শুধু হাসি পায়…ভাল থাকবেন
@সাগর,
আমি প্রমান করে দেবো, আপনি নিজেও কোরান মান্য করেন, কোরানে উল্লিখিত এবাদৎ পালন করেন ও আল্লাহর উপাষনা করেন।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
খুব ভাল কথা ভাইজান , উনি যদি কুরান মানেন তাহলে তো কোন কথাই নেই। জান্নাত নিশ্চিত। তাহলে আপনি আবার কষ্ট করে উনাকে ধর্মের মহিমা বুঝাচ্ছেন কেন? উনি তো জেনে হোক বা না জেনে হোক, কোরান মান্য করছেন নাকি? তাহলে তো আর কোন কথাই থাকে না 🙂
@সাগর, ওই কথাটাই যদি উনাদের কেউ বুঝাতে পারত রে ভাই 🙂
@ভবঘুরে, (Y)
@ভবঘুরে,
ভাই, আমার মনে হয় হাজী সাহেব পরব্রহ্ম বিশ্বাসী মুসলিম , যারা বৈদিক ষড় দর্শনে বিশ্বাস করে, বিশেষ করে বেদান্ত দর্শন!এটা হয়ত ইসলামের নতুন ধারা। 😀 ।
@অচেনা,
আমি যাহা বলছি তা সব প্রচলিত কোরান থেকে।কোরানের বাইরে আমি একটা কথাও বলছি না।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
ভাইজান, আগে প্রমাণ করেন যে স্রষ্টার অস্তিত্ব আছে, তবেই না আমাকে বলতে পারবেন যে আমি তাঁর উপাসনা করতে বাধ্য। (N) :-Y
@অচেনা,
আপনি যে বর্তমানে জীবিত এ কথাটি তো অ-স্বীকার করেন না?আপনার পূণাঙ্গ অবয়বে কিছু না কিছু তো উপাদান আছে, না নাই?এটা তো বিশ্বাস করেন।
এখন আল্লাহ শব্দের অর্থ স্রষ্টা।আর স্রষ্টা অর্থ যাহা দ্বারা আপনি তৈরী হয়েছেন তাহাই স্রষ্টা বা আল্লাহ। অর্থাৎ আপনাতে আল্লাহ বর্তমান।এবং আপনি সেই আল্লাহর উপাষনা করছেন।কেন না,আপনি আপনার দেহের অণু প্রাণ বা স্রষ্টার ক্ষুধা নিবৃত্তিতে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।এখন যে অণু প্রাণের যে আহার তার বিপরীত আহার দেয়া মানেই আপনি আল্লাহর এবাদৎ না করে শয়তানের এবাদৎ করছেন।আর শয়তানের এবাদৎ করা মানেই আপনি অশান্তিতে নিমজ্জিত হবেন।আর আল্লাহর উপাষণা করা মানেই আপনি শান্তিতে থাকবেন।এর নামই ইসলাম কায়েম করা।ইসলাম অর্থ শান্তি।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
জি আমি জীবিত , এটা স্বীকার না করার কি আছে? জীবিত আছি বলেই তো আপনার কথার জবাব দিতে পারছি!!
কথাটা অনেকটা শঙ্করের অদ্বৈতবাদের মত হয়ে গেল না?মানুষের মধ্যেই ব্রহ্ম থাকেন?
পুনশ্চঃ ভাই আমি জন্ম নিয়েছি আমার বাবা আর মায়ের শারীরিক মিলনের ফলে মা গর্ভবতী হয়েছেন তার পর আমার জন্ম হয়েছে। তো আমার সৃষ্টি কর্তা তাহলে আমার বাবা আর মা। এর মধ্য আল্লাহর কৃতিত্ব টা কি একটু বুঝিয়ে বলে বাধিত করবেন। আমি তো দেখি যে আল্লাহ হাজার চেষ্টা করলেও , নর নারীর যৌন সঙ্গম ছাড়া বাচ্চা সৃষ্টি করতে পারেন না। সম্প্রতি টেস্ট টিউব বেবী হচ্ছে সেটাও বিজ্ঞানের কল্যানে। এখানে আল্লাহর মাজেজা কি?সবই তো মানুষের কারসাজী।
@অচেনা,
পিতা মাতা সৃষ্টি করে নাই জন্ম দিয়েছে।তাই পিতা জন্মদাতা ও মাতা জন্মদাত্রী।
আপনাকে যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি খালিক বা সৃষ্টি কর্তা।আল্লাহ বা স্রষ্টা দ্বারা।আমি সবে আল্লাহ বা স্রষ্টা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি।খালিক বা সৃষ্টি কর্তা নিয়ে এখনও আলোচনা শুরু করি নাই।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
আলহামদুলিল্লাহ্। আমি অপেক্ষা করছি সেইদিনের জন্য যেদিন আপনি খালিক নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন। :rotfl:
@অচেনা,
এর মধ্যে হাঁসির কি পাইলেন?যদি কোরান বুঝেন,তখন পস্তাবেন।
হাজি সাহেব।
@অচেনা,
তা কি কোন উপাদান ব্যাতীত?অবশ্যই না।যে উপাদান দ্বারা বাচ্চা করা হচ্ছে ,তাহাই স্রষ্টা বা আল্লাহ।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
ভাইজান, আমার জানামতে শুক্রানু আর ডিম্বাণুর মিলনের ফলেই ভ্রুন তৈরি হয়, আর সেখান থেকে বাচ্চা। তবে কি শুক্রানু আর ডিম্বাণু এই ২টাই আল্লাহ? 🙂 ।
@অচেনা,
:guru: :guru:
@হাজি সাহেব,
আমার জানা মতে ইসলাম মানে আত্মসমর্পন ,শান্তি না!সালাম অর্থ শান্তি।
@অচেনা, আমি আপনাদের মন্তব্যের কোন উত্তর করবো না।কারণ আপনাদের দেওয়া তথ্য মিথ্যা প্রমানের দলিল উপস্থাপন করলে ,যেই দেখছে আপনাদের তত্ব আর টিকবে না।তখন আমার লেখা সেই মন্তর্যটি আর প্রকাশ করছে না।কেন না আমি মুক্ত মনার তালিকা ভুক্ত নই।
আমি কোরান ও মহাম্মদ সম্বন্ধে আপনাদের লেখা সমস্ত তথ্য যে মিথ্যা প্রমান করে দিব।এবং তা শুধু মাত্র কোরান দিয়ে।কিন্তু আমাকে সেই সুযোগ দেওয়া হলো না।তাই আমি বলবো এ ব্লগের নাম মুক্ত মনা দিয়ে প্রহসন করে চলেছে।এই ব্লগের নাম হওয়া উচিৎ অভিজিতের মত প্রকাশের ব্লগ।
জবাব দিয়ে ছিলাম প্রকাশ করে নাই।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
এতক্ষণ ভানুমতির খেল বেশ ভালই দেখাচ্ছিলেন।আপনার কি মনে হয় যে কেউ আপনার ওই রাবিশ গুলোকে গ্রহন করছিল? না কেউ গ্রহন করেনি বরং আপনি নিজেই নিজেকে তামাশার পাত্রে পরিণত করছিলেন।
আমি তো মনে করি যে আপনি তালিকা ভুক্ত না হবার কারনে আপনার মন্তব্য প্রকাশ হয় নি কথাটা ভুল, বরং আপনার অনেক ভিত্তিহীন মন্তব্য মুক্ত মনা কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করে অনেক বড় উদারতার পরিচয় দিয়েছে ব্যাপারটা বুঝেন নাই? অন্য কোথাও যেয়ে এইসব প্রমাণ ছাড়া আজাইরা প্যাচাল পারেন, দেখেন কি রিঅ্যাকশন হয়। আপনার বেশিরভাগ মন্তব্যই শুধু যে হাস্যকর তাই না, ইসলামী স্কলার রা আপনাকে এক বাক্যে অমুসলিম ঘোষণা করবে আপনার কাণ্ড কারখানা দেখলে। নবী মানে নবধন, একাধিক স্রষ্টার অস্তিত্ব তাও আবার কোরানের আলোকে, এই সবই প্রমান করে যে আপনার মানসিক বিকাশ হয়নি। কাজেই উলটা পালটা মন্তব্য করতেই থাকবেন আর মুক্ত মনা কর্তৃপক্ষকে সেগুলো প্রকাশ করতেই হবে এমন অদ্ভুত আবদার কেন আপনার সেটাই তো আমার মাথায় আসে না। সঠিক তথ্য প্রমাণ সহ লিখুন, ঠিকই প্রকাশ হবে আপনার লেখা। আপনি নিশ্চয় মুক্ত মনা অ্যাডমিন সৈকত ভাইয়ের একটা সতর্কীকরন মন্তব্য দেখেছিলেন যে আপনাকে সতর্ক করা হয়েছে যে এমন উলটা পালটা মন্ত্যব্য ভবিষ্যতে নাও প্রকাশ হতে পারে। যাক আমি মুক্ত মনার একজন অতি সাধারন পাঠক হিসাবে শুধু এটুকুই বলতে চাই যে, আপনার সব মন্তব্য ছিল রূপকথার গল্পের মত।আর এটা রূপকথা লেখার স্থান না বলেই আমি জানি।
আপনি কোন কিছুই প্রমাণ করতে পারবেন না। কারন আপনি কোন কিছুই প্রমাণ করতে পারেননি। শুধু মাত্র নিজেকে হাসিতামাশার পাত্রে পরিনত করা ছাড়া।আসলে মুসলিমদের কোরান সম্পর্কে আপনার কোন ধারনাই নেই।
আবারো ভুল করলেন। অভিজিৎ দা অনেক সহনশীল মানুষ সবার প্রতি, তাই আপনার উদ্ভট মন্তব্য গুলো প্রকাশ করেছেন। উনার জায়গাতে আমি হলে আমি প্রথম ২/৩ টার পরেই আপনার রূপকথাকে প্রকাশ করা বন্ধ করে দিতাম।
@অচেনা,
তাতে আপনার কাকে সত্য নবি বলে মনে হয়,এবং কেন মনে হয় জানাবেন।
@হাজি সাহেব,
সরি একটু ভুল হয়ে গেছে। আমি বলতে চেয়েছি যে আপনি যাদের কথা বলেছেন আমি কাউকেই নবী বলে মানি না!
@হাজি সাহেব, ভাই, আমিও পপকর্ন নিয়ে বসলাম। আপনার জবাব পড়ার অপেক্ষায় আছি। ‘দিব’ বলে পিছলে গেলে কিন্তু চলবে না।
@সত্যান্বেষী,
বসে থাকেন।আমি এসে গেছি।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
শ্রদ্ধেয় হাজী সাহেব দেখছি বর্তমান কালের বিদ্যুৎ এর মত ঘন ঘন মুক্তমনাতে আসা যাওয়া করছেন আর কোরান হাদিস পড়ে , কোথাও সুবিধা জনক কিছু না পেয়ে বিরাট হম্বিতম্বি করছেন(পরের বা দেখে নেব, কোরান পড়ে জবাব দেব…ইত্যাদি)। আমি lays হাতে নিয়ে বসছি উত্তরের অপেক্ষায়। দয়া করে ফারখ ভাইএর মত রেফারেন্স ছাড়া টাইপ প্রাক্টিস করবেন না।ভালো উত্তর পেলে আমিও হাজী হব…………।। :lotpot: 😀
@হাজি সাহেব,
জনাব হাজী সাহেব,
উপরে আপনার মন্তবে আপনি হাদিছকে একেবারেই বাদ দিয়ে দিলেন, কারন এর মধ্যে যথেষ্ট অবৈজ্ঞানিক ও অসংগতি পূর্ণ কথাবার্তা ধরা পড়তেছে।
এই কারনে আপনি বলতেছেন ;
আপনার এই প্রস্তাবকে আমি সম্মানের সহিত দেখতেছি।
কিন্তু হাজী সাহেব, এখানে বেশ কিছু প্রশ্নের উদয় হয়ে যাছ্ছে সেগুলী কি সামলাতে পারবেন?
১। ইছলামের ভিত্তি পাচটা-১। কলেমা ২। নামজ ৩।রোজা ৪। জাকাথ ৫। হজ্জ।
আপনি নিশ্চয়ই এই সুনিষ্দিষ্ট ৫ স্তভ কে বিশ্বাষ করেন।
কোরানের কোন আয়াতটি বলে যে ইসলামের স্তম্ভ মাত্র ৫টি,এবং সেগুলী এই ৫টিই।
এর উদ্ধৃতি টা একটু দিবেনকি?
২। আপনি নিশ্চয়ই কলেমা তৈয়ব “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মোহাম্মাদুর রছুলুল্লাহ” পড়ে ইসলামে ঢুকেছেন। এটা যে না পড়েছে সে মুসলমান ই হতে পারলনা।
ইসলামের ১ নং ভিত্তি এটা।
কোরানের কোন আয়াতের নির্দেশ অনুসারে এই কলেমা পাঠ করে মুসলমান হওয়াকে ইছলামের ১নং ভিত্তি বলে নির্ধারিত করা হয়েছে, সেই সূত্রটা একটু দিবেন কি?
৩। এবার ২নং ভিত্তি “নামাজ’ এ আসুন।
আপনি নিশ্চয়ই পাঁচ অক্ত নামাজ নিয়মিত আদায় করেন।
কোরানের কোন আয়াতটায় দিনে পাঁচ অক্ত নামাজ আদায় করার নির্দেশ দিয়েছে আর সেই পাঁচ অক্তের নির্দিষ্ট সময় সীমাই বা কোথায় দিয়েছে, তার উদ্ধৃতি টা দিবেন কি?
শুধু তাই নয়।
৪। তারপর নামাজ কি ভাবে আদায় করতে হবে? যে পদ্ধতিতে পড়া হয়, কোরানের কোন্ আয়াতে এর বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া আছে তার একটু উদ্ধৃতি দিবেন কি? অর্থাৎ যেমন ধরুন-
একবার অজু করার পর কি কি কারনে সেই অজু নষ্ট হয় তার তালিকা?
কোন অক্তে কত রাকাত নামাজ পড়বেন?
নামাযে কিভাবে দাড়াবেন?
নামাজ কিভাবে আরম্ভ করবেন?
তারপর দাড়িয়ে কি পড়বেন,কতটুকু পড়বেন?
রুকুতে কখন যাবেন,সেখানে কি পড়বেন?
কতবার রুকু করবেন-১বার না বেশী?
ছেজদায় কয়বার যাইবেন, সেখানে কি পড়বেন?
নামাজ থেকে কখন কি নিয়মে বের হতে হবে?
জুমা,ঈদে কয় রাকাত নামাজ পড়বেন,কি ভাবে পড়বেন?
একাকী ও জামাতে নামাজ কি ভাবে দাড়াবেন ও পড়বেন?
নামাজ আদায়ের এই সমস্ত নিয়ম কানুন গুলী কোরানের যে আয়াতে আল্লাহ বর্ণণা করে দিয়েছেন,তার সূত্রটা দিন?
এ নিয়ম কানুন না জানলে তো আপনার পক্ষে নামাজ পালন তথা ইছলামের ২ নং স্তম্ভ পালন
করা কোনদিনও সম্ভব হবেনা।
নাকি আপনি নামাজ পালন তথা ইছলামের ২ নং স্তম্ভ তে ও অবিশ্বাষী ?
মনে রাখতে হবে যেহেতু হাদিছ মানেন না,অতএব কোরান হতে ইছলামের স্তম্ভ গুলীর পরিস্কার প্রমান ও ব্যাখ্যা যদি না দেখাতে পারেন,তাহলে তো আর ইছলাম বা মুসলমানিত্বের অস্তিত্বটা আপনিই নিজ হাতে নিশ্চিহ্ন করে দিলেন।
কারন কোরান দ্বারা যদি ইছলামের ভিত্তিরই প্রমান না দেখাতে পারেন তাহলে খোদ ইছলামই নিশ্চিহ্ন।
ইছলামকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য কোন কাফের মুশরেকদের আর প্রয়োজন হইলনা।
তাদের লক্ষকে আপনিই নিজ হাতে পূরন করে দিলেন।
আর এর পরে এ সম্পর্কে আর কারো কোন তর্ক বিতর্কও থাকতে পারেনা বা থাকা উচিৎ ও নয়। কারন আপনি তো ইসলাম ধর্মকেই নিজ হাতেই নিশ্চিহ্ন করে দিলেন। তাহলে তাকে লয়ে আর তর্ক বিতর্ক কিসের?
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
নামাজ রোজা হজ্জ যাকাত এবং কলেমার প্রয়োজনিয়তা উপকারীতা অপকারীতা সবই কোরানেই সমাধান আছে ।এজন্য হাদিসের প্রয়োজন হবে না।
আমি বুঝেছি আপনি যুক্তিবাদী,আস্তিক বা নাস্তিক নন।তবে ,জেনে নিন।যুক্তি দিয়ে কথাকে হারানো যায় যায় কিন্তু ধর্ম বা কোরান কে নয়।কেন না,কোরান ও ধর্ম বস্তু,তাই তাহা বাস্তব।যুক্তি দিয়ে বাস্তবকে হারানো যায় না।আর যে বাস্তবকে বিশ্বাস বা স্বীকার করে না।সেই যুক্তির মোয়া পেট ভরে খেয়ে ক্ষুধায় কষ্ট করে।
তাই যুক্তি পরিহার করে বাস্তবতায় আসুন ।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
আপনার বর্তমান বক্তব্য
আপনার পূর্বের বক্তব্য।
আপনারই বক্তব্য গুলী একটু আপনি নিজেই লক্ষ করুন-
উভয় বক্তব্য একই অর্থ বহন করিতেছে। আর তা হল কোরানেই সব কিছুই আছে,হাদিছের আর কি প্রয়োজন আছে।
আর আমার প্রশ্নগুলীর দিক একটু লক্ষ করুন-
আমারো তো প্রশ্ন কোরানে যদি আপনি ইসলামের মূল পাচটি ভিত্তির বিষদ বর্ণনা খুজতে খুজতে কোথাও না পান, তাহলে আর আপনি ইসলামে বিশ্বাষী নন,কারন এটা কোরানে নাই, তাই আপনি ও এই ইছলামে বিশ্বাষী নন। এইটাইতো আপনার মতবাদ। তাই নয় কি ?
আর যদি আপনি ইছলামে বিশ্বাষী হন,তা হলে, কোরানের কোথায় ঐগুলী ( ইসলামের মূল পাচটি ভিত্তির বিষদ বর্ণনা ) আছে কেন সেটা দেখাতে পারতেছেন না ?
আশা খুব শীঘ্রই এগুলী এনে আমাদের কে দেখাবেন।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
তা হবে কেন?কোরানের মধ্যে যাহা আছে তাহা পালনেই ইসলাম কায়েম হবে।এখানে নামাজ পাঁচ ওয়াক্তের কাছে দুই ওয়াক্ত বা দশ ওয়াক্ত হলেও।কেন না কোরানে যাহা আছে তাহাই সঠিক।তাহাই পালনীয়।
আর যদি আপনি আমাকে পরীক্ষার জন্য বলেন যে, কোরানে কত ওয়াক্ত নামাজের কথা আছে ,এবং কোন কোন সুরার কত কত নম্বর আয়াতে।তাহলে সেটা ভিন্ন কথা এবং তখন দেখা যাবে।
হাজি সাহেব।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
না! সেজন্য হাদিস বাদ দিই নি।কোরান ই কোরান এর বাইরে আর কোন ধর্ম গ্রন্থকে( আসমানী কিতাব ব্যাতীত) মানতে নিষেধ করেছে তাই।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব, দেখবেন শেষে জাকির নায়েকের মত যেন joker নায়ক না হন…তবে একটা কথা ,আপনি তো হাদিস কুরান পরে উত্তর দিবেন,এক্টা অনুরধ, পড়ার সময় ‘আমি মুস্লিম’ এটা মনে না করে ‘আমি মানুষ যার কোন ধর্ম নেই’ এটা মনে করে পরুন…আমার মনে হয় আমাদের সঠীক উত্তর দেয়ার আগে আপনি ই সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন…ধন্যবাদ
@সাগর,
আমি মানুষ এটাও যেমন সত্য আমি মুসলিম এটাও তেমন সত্য।আমি মুসলিম না হলে কোরান মানতেছি কেনো?আর আমি মুসলিম বলেই কোরানের ভালো দিক নিয়ে আলোচনায় এসেছি।
মদখোর আঙ্গুর আপেল অপেক্ষা মদের উপকারী দিক নিয়ে আলোচনা করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ করে।তার অর্থ এই নয় যে ফল অপক্ষা মদের উপকারী দিক বেশি।
আমি বলবো না তার টা মদ আমার টা ফল বা আমার টা মদ তার টা ফল।তবে যে যে বিষয় আশক্ত সে তার গুনই আলোচনা করবে আবার যে যাহা হতে উপকার পেয়েছে সে তার গুনই গাইবে।তাই আমি মুসলিম জ্ঞানেই পড়বো এবং মুসলিম জ্ঞানেই মন্তব্য করবো। কেন না আমি স্বকিয়তা বিসর্জন দিতে পারবো না।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব, এক কথায় আপনি যা বললেন তা হল অন্ধ বিশ্বাসের সরল সমীকরণ…তবে কে যেন বলেছিল মানুষের সেখানেই যাওয়া উচিত যেখানে তার যুক্তি তাকে নিয়ে যায়…এটা যে করতে পারবেনা সরল ভাষায় সেটা হল তার অক্ষমতা…তবে এটা বুঝলাম আপনার সত্যে পৌছানোর ইচ্ছা নেই..যতই বুঝাও আমি বুঝবনা টাইপের একটা মনোভাব আছে…মদখোর হয়ত মদের উপকারী দিক নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করে ঠিক ই কিন্তু সে এটাও জানে যে এর অপকারীতাই বেশি শুধু স্বীকার করতে চায়না বা মানতে চায়না বা এসব নিয়ে ভাবতে চায়না…যারা ধর্মে অবিশ্বাস করে তারা ধর্ম বিশ্বাসের যুক্তি চায় আর যারা ধর্মে বিশ্বাস করে তাদের যুক্তি না হলেও চলে…কেউ যদি মদ খাওয়ার যুক্তি খোজে তার মদ খাওয়া হবে না সে তখন অহেতুক মদ খাওয়ার হাত থেকে মুক্তি পাবে…যুক্তি খোজা বাদ দিন ঢকঢক গিলতে পারবেন এবং আসক্ত হবেন…তাই ভাই আমি জানি কারা মুক্তি পেয়েছে আর কারা এখনো আসক্ত…আশা করি বুঝেছেন
@সাগর,
আপনি কি ধর্ম বলতে আমি কি বলছি এবং ইসলাম ধর্ম বলতে কি বলছি তাকি অনুধাবণ করতে পেরেছেন?
পারলে আর এই মন্তব্য করতে পারতেন না।
কোরান মহা জ্ঞানীর জন্য,সাধারণ জ্ঞান দিয়ে তাকে বোঝা সম্ভব নয়।আপনি কোরানের ভাষায় কোরান বুঝার চেষ্টা করুন।আর ধর্ম সকলের জন্য পালনীয় ।এবং তা ইচ্ছায় হউক আর অনিচ্ছায় হউক ,সৃষ্টির প্রতিটি প্রাণীই ধর্ম পালন করে চলেছে।না জানলে জানার চেষ্টা করুন।অহেতুক ঝগড়া করার কোনই দরকার নাই।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
আপনি মহা জ্ঞানী, আপনি কোরানের ভাষায় কোরান বুঝে এসেছেন। :guru:
অনেক ধৈর্য নিয়ে আপনার লেখাগুলো পড়লাম। বিষয়বস্তু থেকে সরে গিয়ে শুধুই অন্যান্য বিষয়ের অবতারনা । আর লেখার স্টাইলে নিজেকে এমনভাবে তুলে ধরার চেষ্টা যেন আপনি সর্বজ্ঞ। চাইলে সবই রিফিউট করতে পারেন, কিন্তু সময় নিচ্ছেন।
আপনার কথা থেকেই জানতে পারলাম সৃষ্টির প্রতিটি প্রাণী নাকি ধর্ম পালন করে চলেছে …। একটু বিস্তারিত বলবেন কি ? ভালো হয় যদি এই বিষয়ে আমাদেরকে একটি লেখা উপহার দেন। সেইখানে নাহয় আপনার সাথে বাতচিত করা যাবে।
@ম্যাক্স ইথার,
একজন মানুষ বিশ্বের সব কিছু জানতে পারেনা। আর না জানতে পারাটা দোষের কিছু নয়।তবে না জেনে জানার ভান করাটা অনেক বড় দোষের।তাই আমি বলবো আমি সব বিষয় বুঝি না,তবে কোরান ও অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ যে সৃষ্টির কল্যাণে এসেছে আমি তার বাস্তব উদহরণ।
সকল বিষয়ই আমি তুলে ধরার চেষ্টা করবো।কিন্তু দুর্ভগ্য হলো,আমি মুক্ত মনার তালিকা ভুক্ত নই।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব, সত্যই আপনার ধৈর্যের প্রশংসা না করে পারছি না! mkfaruk এর মত অসহনশীল আপনি না। তবে এইভাবে শুধু প্রমান ছাড়া কথা বলে কতটা সফল হতে পারবেন ভাইজান? 🙂 ।
@হাজি সাহেব, ভাই কান ধরলাম আপনি যা খুশি লিখেন আমি আর নাই…mkfaruk এর পরে ভাই আরেকটা জিনিশ দেখলাম…আপ্নার লেখা মনে হয় বুঝি নাই তবে আপ্নেরে বুইজা লইচি…মাফ দেন :-Y
@সাগর, (Y)
@হাজি সাহেব,
আমরা আপনার “উপযুক্ত রেফারেন্স (কুরান-সিরাত-হাদিস) সমৃদ্ধ” জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম। শুধু “একটাই” অনুরোধ: তা যেন ফারুক সাহেবের মত মনের মাধুরী মিশ্রিত রেফারেন্স বিহীন ‘উপাখ্যান’ না হয়।
@গোলাপ,
কোরানের মাধ্যমে জবাব দেওয়ার আগে আমার জানার প্রয়োজন,আপনি কোরান বুঝেন কিনা।তাই আমি কোরান থেকে আপনাকে একটি প্রশ্ন করবো ।দেখি আপনি কি জবাব দেন।তার পরে আমি কোরান থেকে সমস্ত রেফারেন্স তুলে ধরবো।
সূরা বাকারার ২ নম্বর আয়াতের বাংলা অনুবাদ কি,ও তার সার্মর্ম কি?দয়া করে জানাবেন।
এবার আসুন মূল কথায়।
আল্লাহ কি?
আল্লাহ শব্দের আবিস্কারক আদম আঃ।আল্লাহ শব্দের বাংলা অর্থ স্রষ্টা।আর স্রষ্টা অর্থ যাহা দ্বারা সমস্ত কিছু সৃষ্টি হয়েছে।অর্থাৎ আপনি যাহা দ্বারা সৃষ্টি হয়েছেন তাহায় স্রষ্টা।আর আপনি সৃষ্টি হয়েছেন কতক গুলি উপাদান বা বস্তু দ্বারা,এই প্রতিটি বস্তু বা উপাদানের অণু প্রাণই এক একটা স্রষ্টা।তার মানে ,আপনি সৃষ্টি হয়েছেন অনেক স্রষ্টার একত্রিততার মাধ্যমে।
যেমন আপনি সৃষ্টি হয়েছেন মূলত পাঁচটি উপাদান বা স্রষ্টা হতে।১।আগুন ২।পানি ৩।বাতাস ৪।মাটি ও ৫। আলো ।ইহাই আপনার স্রষ্টা।
ধর্ম কি?
প্রতিটি স্রষ্টা বা উপাদানের নিজস্ব নিজস্ব ধর্ম বা স্বভাব আছে। অর্থাৎ এই ১।আগুন ২।পানি ৩।বাতাস ৪।মাটি ও ৫। আলো । উপাদানের স্ব স্ব স্বভাবের নামই ধর্ম । ইহাই স্রষ্টার ধর্ম।
এবাদৎ কি?
আবাদ অর্থ উৎপাদন,উপাষণা বা দাসত্ব।
উৎপাদন-আপনার দেহ হতে প্রতি নিয়ত স্রষ্টার সৃষ্টি স্বত্বা শেষ হয়ে যাচ্ছে।তাই নিজ দেহে স্রষ্টা সৃষ্টি স্বত্বা উৎপাদনকে বুঝায়।
উপাষণা বা দাসত্ব-আপনার দেহের স্রষ্টাদিগের ক্ষুধা আছে।যেমন চোখর ক্ষুধা,নাকের ক্ষুধা,মুখের ক্ষুধা পেটের ক্ষুধা,যৌণ ক্ষুধা ,কানের ক্ষুধা ও চিন্তা ক্ষুধা।এসকল ক্ষূধা মিটাতে আপনি যে শ্রম দিচ্ছেন তাহাই স্রষ্টা বা আল্লাহর উপষণা বা দাসত্ব।
ইসলাম কি?
ইসলাম অর্থ শান্তি।অর্থাৎ আপনি যাহায় করেন না কেন যত দিন সৃষ্টিতে আছেন ততদিন শান্তিতে থাকার চেষ্টা আপনার অব্যাহত থাকবে ।তাই আপনি ইসলাম বা শান্তি প্রিয় বা ইসলাম ধর্মের প্রাণী।আর শান্তিতে থাকতে হলে স্রষ্টার যাহা আহার তাই দিতে হবে।স্রষ্টার চাহিদা বিপরিত আহার দিলে সেটা হয় শয়তানের আহার।আর শয়তানকে আহার দিলে বা শয়তানের উপাষণা করলে আপনি অশান্তিতে নিমজ্জিত হবেন।
এখন আসুন শান্তি পেতে হলে আপনার কি কি প্রয়োজন।
১।ক্ষুধা নিবৃত্তির আহার।
২।থাকিবার স্থান।
৩।ব্যাধিমুক্ত শরির।
৪।ইজ্জত নিবারণের পোশাক।
৫।অন্যের দ্বারা অন্যায় আচরণ না পাওয়ার নিশ্চয়তা।
আর এই পাঁচটি বিষয় পেলেই আপনি নিজ শান্তি প্রতিষ্ঠা করলেন।
এখন কি করলে শান্তি পাওয়া যাবে,তার সুত্র লেখা আছে প্রচলিত কোরানে।আর যাহা পেলে আপনি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।তাহা আছে মূল কোরানে।
বিস্তারিত পরে লিখবো। আপাতত এটুকুই ভালো ভাবে বুঝার চেষ্টা করুন।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
বড়ই পুলকিত হইলাম। জনাব এই মতবাদের প্রবক্তা কি আপনি ?
এই মুল পাঁচটি উপাদানই তাহলে স্রষ্টা … আচ্ছা … ভালো ।
পাঁচ নম্বর যে কারণটা দিলেন ‘ অন্যের দ্বারা অন্যায় আচরণ না পাওয়ার নিশ্চয়তা। ‘ এইটা ঠিক বুঝলাম না । এই নিশ্চয়তা কি ধর্মে আছে নাকি ? তাজ্জব …। ঝানতাম না ।
আচ্ছা … কোরান তাইলে দুইটা !!! এইটাও জানা ছিলনা ।
আপনি আসলেই অনেক জ্ঞানী । :lotpot:
@হাজি সাহেব,
বিছমিল্লাহ বলে “এই খানে” একটা গুতা মারেন। তারপর যেখানে “চক্রাকর যুক্তি (মুহাম্মদ-আল্লাহ=আল্লাহ-মুহাম্মদ)” দেখবেন সেখানে আর একটা গুতা মারলেই সূরা বাকারার ২ নম্বর আয়াতের বাংলা সারমর্ম পেয়ে যাবেন। শুধু “God” এর জায়গায় “সন্দেহ নাই” আর বাইবেলের জায়গায় “কুরান” পড়তে হবে। যতক্ষন এর সারমর্ম বুঝতে না পরবেন ততক্ষন পড়তেই থাকুন! তারপর আর একটু নিচে “অসার যুক্তি”এর উপর আর একটা গুতো মেরে জেনে নিন বিতর্কে কি কি যুক্তি “অসার”।
ভাবের অশিরীরী জগত থেকে বাস্তবে এসে “তথ্য-প্রমান (Reference)-যুক্তি” দিয়ে আপনার বক্তব্য পেশ করুন। তা না করতে পারলে অযথা ‘আজাইরা প্যাচাল’ পেরে নিজের ও পাঠকদের সময় নষ্ট করবেন না।
@গোলাপ,
আমি বলতে চেয়েছি আপনি সূরা বাকারার ২ নম্বর আয়াত টি বুঝেছেন কি না?কারণ এই আয়াতে বলা হয়েছে।যালিকাল কিতাবু লা রাইবা ।অর্থ, ঐ কিতাবে কোনই সন্দেহ নাই। এখানে কিন্তু এই কিতাব বলে নাই বলেছে ঐ কিতাব।এই কিতাব বললে আরবিতে থাকতো হাযাল কিতাবু,হাযা অর্থ এই আর যালিকা অর্থ ঐ।তাই এই আয়াটির মূল বিষয়।ঐ কিতাবে কোনই সন্দেহ নাই।
এখন আপনি বলুন ঐ কিতাব বলতে আপনি কি বুঝেন?
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
“‘এই’ কিতাব, ‘ঐ কিতাব”– আপনি যা খুশী বলুন। চক্রাকার যুক্তি (circular logic) সব সময়ই “অসার”। যে ব্যক্তি মুহাম্মদকে “মিথ্যাবাদী, উন্মাদ, যাদুগ্রস্ত ও জালিয়াত (এখানে)” বলে বিশ্বাস করেন তার কাছে মুহাম্মদ বর্ণিত “আল্লাহর” কোনই অস্তিত্ব নাই। কারণ, সে মুহাম্মদের কথাকে বিশ্বাসই করেন না। কিন্তু, বক্তা এখানে জলজ্যান্ত চাক্ষুষ “মুহাম্মদ” এবং কুরান তারই বানী। এটা বাস্তবতা, কোন বিশ্বাস নয়। সুতরাং, “এই কিতাবের (বর্তমান কুরান)” অস্তিত্ব আছে। অন্যদিকে, মুহাম্মদের প্রতি অবিশ্বাসে তার কল্পিত আল্লাহরই যেখানে কোন অস্তিত্বই নাই সেখনে আবার “ঐ কিতাব”! আপনার কল্পনাশক্তি দারুন, উদ্ভট!
মুহাম্মদের নিজের ভাষ্যকে (কুরান) সাক্ষী হিসাবে ব্যবহার “না করে” আপনি প্রমাণ করুন মুহাম্মদ “সত্যবাদী”। আপনি যখনই “তারই বানী” দিয়ে তাকে “সত্যবাদী” প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন, সেটা হবে “চক্রাকার যুক্তি”। কোন বিতর্কে যাওয়ার আগে সচরাচর ব্যবহৃত “অসার যুক্তিগুলো (Logical fallacies)” সম্বন্ধে জানার চেষ্টা করুন।
যা মন্তব্যে লিখবেন, তার স্বপক্ষে যুক্তি-প্রমান (রেফারেন্স) দিবেন। তা না হলে মুক্তমনা পাঠকদের কাছে সেটা গ্রহনযোগ্য হবে না। সে রকম জবাব পেলে আবারও উত্তর দেবো।
ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।
@হাজি সাহেব,
আমি আপনার লেখাগুলো পড়ছি, কিন্তু কোথাও কোরানের আলোকে কিছু বলছেন বলে মনে হচ্ছে না। আপনি আপনার নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজের মতবাদ বলছেন। যার অধিকাংশই যুক্তিহীন, এবং অধিকাংশ মুসলিমই আপনার মতবাদ মেনে নেবেনা ।
@ম্যাক্স ইথার,
মুহাম্মদের ভাবশিষ্য আমাদের হাজী সাহেব। মুহাম্মদও বাইবেল কপি ছাড়াও মনে যা আসত সেটাই ঐশী বানী বলে চালাতেন না? 😉 ।
@অচেনা,
হ্যাঁ। ঠিক ধরেছেন।আমি মহাম্মদের আদর্শিক শিষ্য।তবে মহাম্মদ কখনই বলে নি আমি নিজেই ধর্ম প্রবর্তক।তিনি বলেছেন আমি এসেছি পূর্বের ধর্মীয় আইনকে সত্য প্রমান করতে।আমিও তাই বলছি।আমি এসেছি রাসুলের ধর্মীয় আইনকে সত্য প্রমান করতে।
আমি এখন পর্যন্ত কোরানের বাইরে একটি কথাও বলি নাই।এবং আগামিতেও বলবো না।যদি আপনার মনে হয় আমি এমন কিছু বলছি যাহা কোরানে নাই ।আপনি তুলে ধরলে আমি কোরান দিয়ে তা প্রমান করে দিবো ।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
কিন্তু এটা তো জেসাস বলেছেন নিউ টেস্টামেন্টের কোথায় যেন , সঠিক মনে করতে পারছিনা।মুহাম্মদ এটা কবে বললেন????
@অচেনা,
সরামরি সরুপ লেখা আয়াতটি দিতে আমার এক মাস সময় লাগবে,কেন না এখন আমার কালেকশনে আয়াত টি নাই।
তবে সম মানের দুটি আয়াত দিচ্ছি-
১।সূরা বাকারা =আয়াতঃ ৪-৫
যাহারা ইমান আনে আমার উপর নাযিলকৃত বিষয়ে ও পূর্বের নাযিলকৃত বিষয়ে।আর তাদের বিশ্বাসের স্তর থাকে আখিরাতের প্রতি।উহারাই তাহাদের রব হতে সঠিক নির্দেশনায় আছে।আর তাহারাই সফল
অর্থাৎ এখানে শুধু মহাম্মদের উপরে নাযিল কিতাবে ইমান আনতে বলে নাই ।বলেছে,পূর্ববর্তি কিতাব সমুহে ও ইমান আনতে।
২।সূরা আন আম=১৬১ আয়াত
বলু ,নিশ্চয় আমার রব আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠিত সরল পথের।পতিষ্ঠিত ধর্ম ইব্রাহিমে তরিকা।
এখানেও মহাম্মদ অকপটে স্বীকার করেছেন ।রব আমাকে ইব্রাহিমের ধর্ম নির্দেশ দিয়েছেন।আমার নিজের কোন ধর্ম নিয়ে আমি আসি নাই।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
আচ্ছা একমাস পরেই দিয়েন। দিবেনতো সত্যই , নাকি পিছলে যাবেন?
এক কথায় লেখা খুবই আঘাত করলো আমাকে। প্রিয় নবীকে নিয়ে এই ধরণের লেখা হতে পারে তা এই ব্লগে না আসলে জানা হতো না। এত পণ্ডিতের মাঝে নিজেকে অনেক ক্ষুদ্র মনে হোল তাই মুক্তমনা বয়কট করলাম।
@হুতম পেঁচা,
দয়া করে কি বলবেন কোন বিষয়টি খারাপ লাগল? কোন কিছু কি বানিয়ে বানিয়ে লিখেছি? যদি তাই করে থাকি , প্লিজ যদি বলতেন, তাহলে সেটুকু ডিলিট করে দিতাম।
@হুতম পেঁচা,
সত্যি করে বলুন তো যখন আপনার জ্ঞান হওয়া শুরু হয় , ইসলাম ধর্ম আপনার মাথায় ঢুকানো হতে থাকে, তখন কি কখনো শুনেছেন-
-মোহাম্মদ ১৩ টা বিয়ে করেছেন?
-মোহাম্মদ ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের শিশু আয়শাকে বিয়ে করেছেন ও তার বয়স যখন ৯ তখন তার সাথে সহবাস করেছেন ?
-মোহাম্মদ তার পালিত পূত্রবধূ জয়নাব কে বিয়ে করেছেন?
-মোহাম্মদ দাসীদের সাথে সহবাস করতেন ও মারিয়া নামক দাসীর গর্ভে ইব্রাহীম নামব পূত্রের জন্ম দেন বিয়ে ছাড়াই ?
-মোহাম্মদ যখন মদিনাতে যান তখন তার দলবল সহ মক্কার বানিজ্য কাফেলার ওপর আক্রমন করে তাদেরকে খুন করে তাদের মালামাল লুট করে নিতেন ?
আপনার উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম।
@ভবঘুরে,
–মোহাম্মদ যখন মদিনাতে যান তখন তার দলবল সহ মক্কার বানিজ্য কাফেলার ওপর আক্রমন করে তাদেরকে খুন করে তাদের মালামাল লুট করে নিতেন ?
এ কথাগুলি বিশ্বাস করি না।কারণ যে মহাম্মদের কথা মান্য করে চলে একশো কোটির উপরে লোক।তাহলে কমপক্ষে অর্ধেক লোক মানে পঞ্চাশ কোটি মুসলমান এখন ও লুটেরা থাকতো।কিন্তু তা নাই।বিশ্বে বর্তমানে সব থেকে বড় লুটেরা হলো ইহুদি ও খৃষ্টানেরা।লুটেরা থাকলে সে সময় তারাই লুটেরা ছিলো।মহাম্মদ লুটেরাদের প্রতিরোধ করেছেন।কিন্তু মহাম্মদ লুটেরা ছিলেন না।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
নিরপেক্ষ সোর্সের দরকার নাই, মুসলিমদের লেখা ইসলামের ইতিহাস গুলি পড়লেই দেখা যাবে যে খালিদ বিন ওয়ালিদ থেকে শুরু করে মুসলিম সেনাপতিরা কিভাবে রক্ত গঙ্গা বইয়ে দিতো যুদ্ধের সময়।কাজেই মুসলিম না হয়ে উপায় কি?
রিদ্দার যুদ্ধের কথা কোন মুসলিমের ভোলা উচিত না। মুহাম্মদের মৃত্যুর পরেই কিন্তু কিছু লোক ছাড়া সমগ্র আরববাসী আবার আগের ধর্মে ফিরে গেছিল। তারপরেই কিন্তু তলোয়ার দিয়ে তাদের ইসলামের সুশীতল( ?) ছায়ায় ফিরিয়ে আনা হয়।
পরের যুদ্ধগুলোর কথা সবার জানা শুধু বিচার করার দৃষ্টিভঙ্গিটা আলাদা। কেউ নিরপেক্ষ আর কেউ ইসলাম আর মুসলিম শাসক ও সেনানায়কদের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট 🙂 ।
কাজেই মুসলিম আজ যতই হোক সব কিন্তু তলোয়ারের জোরেই হয়েছে, আর তাই সরাসরি ডাকাতি করবে কিভাবে? মগজটা যে ওভাবেই ধোলাই করা হয়েছে যে ইসলাম শান্তির ধর্ম। তাছাড়াও ৫০ কোটি মানুষ আমার মনে হয়না একসাথে দস্যুবৃত্তি বেছে নিবে। আসলে ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা আর মুহাম্মদের কু কির্তি বুঝতে পারলে ১৫০ কোটি কেন আমার তো মনে হয় এর ১০ ভাগের ১ ভাগ লোকও মুসলিম থাকত না 🙂
@অচেনা,
আপনি যেটা লিখেছেন ওটা কোরানের কৃষি বিষয়ক।আগাছা দমন না করলে ভালো ফসল পাওয়া যাইনা তাই যুদ্ধ।
কোরান লেখা হয়েছে সাতটি বিষয়ের উপর।
১।সামাজিকতা।
২।রাজনৈতিকতা।
৩।ব্যাবসা।
৪।কৃষি।
৫।চিকিৎসা।
৬।দেহতত্ব।
৭।আত্মতত্ম।
হাজি সাহেব
@হাজি সাহেব,
ভালই তো। তা ভাইজান কোরানের চিকিৎসা জানালে বড়ই উপকৃত হতাম।বাকি ৫টি
বিষয়ও ( যেহেতু ইতিমধ্যে জেনে গেছি যে, যুদ্ধ হল কৃষি বিষয়ক। পরে ওটা নিয়ে কথা বলব। আগে বাকিগুলো জেনে রাখি )।
@অচেনা,
কোরানের এক নাম শেফা । যার অর্থ আরোগ্যকারী।ডাক্তারের চিকিৎসা শুরু হয় রোগ হওয়ার পরে। আর কোরানের চিকিৎসা হলো রোগ হওয়ার পূর্বে।অর্থাৎ কি করলে রোগ হবে না,তাহাই কোরানের চিকিৎসা।
এক কথায় কোরান মহা জ্ঞানীর জন্য,সাধারণ জ্ঞান দিয়ে কোরান বোঝাও সম্ভব না, এবং তা থেকে সুফল পাওয়াও সম্ভব না।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
অসাধারণ। নতুন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি কোনই সন্দেহ নাই ।আমার মনে হয় কোরানের উচিত চিকিৎসা বিজ্ঞানে কয়েকটা নোবেল পুরষ্কার পাওয়া, আপনি কি মনে করেন? 🙂
ভাই এটা কেমন কথা হল? আচ্ছা বলেনতো কি করলে ক্যান্সার হবে না , এটা কোরানের কোথায় লেখা আছে? 😉 ।
@অচেনা,
কলেমা তৈয়ব পাঠের মাধ্যমে পূনঃ ইমান আনলে।
এমন কি শবে কদর ও কোরবানীর মাধ্যমে ক্যান্সার ও এইডস রোগ হওয়ার পরেও সেরে যাবে।
হাজি সাহেব
@হাজি সাহেব,
আপনার এই কথার মতো আমিও তাহলে দাবী করতে পারি আল্লাহকে পুরোপুরি অস্বীকার করতে পারলে সকল রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়। এমনকি তার কোনদিন কোনও রোগ ই হবেনা।
বরাবরের মতো আপনার কথায় কোনও সুত্র উল্লেখ করেন নি। তা ভাইজান এই তথ্য কি আপনি সপ্নে পেয়েছেন ?
তাইলে এক কাজ করেন একটা গবেষণাপত্র লিখে ফেলেন। সেই জ্ঞান আছে নিশ্চয় ? আপনি তো মহা জ্ঞানী। তাও আবার স্বঘোষিত ।
@হাজি সাহেব,
সুবহানাল্লাহ , আলহামদুলিল্লাহ। আসেন এইবার আমরা তাহলে সব ক্যান্সারের আর এইডসের রুগীদের হাসপাতাল থেকে সরিয়ে মসজিদে নিয়ে আসি, কালেমা তৈয়ব পড়াই, ৫রাত জাগিয়ে শবে কদর পাবার ব্যাবস্থা করে দেই , অতঃপর কোরবানির দিন আরব থেকে উট এনে কোরবানির ব্যবস্থা করি। তবে ভাই এতে করে রুগি মারা গেলে দায়ভার টা কি আপনি নিবেন? 🙂 ।
@অচেনা,
কোরানের না ।পুরস্কার পাওয়ার কথা হযরত মহাম্মদের।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
আয় হায়… করছেন কি হাজি সাহেব !!! হযরত মুহাম্মদের পরে ( সা:) দেন নাই। লা হাওলা …। আপনের তো ফাসি হইয়া যাইব ।
@হাজি সাহেব,
সেকি আমি তো মনে করি যে আল্লাহর পাওয়া উচিত কারণ যেহেতু আল্লাহই সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী কাজেই অবশ্যই আল্লাহ সবথেকে বড় চিকিৎসা বিজ্ঞানীও তাই না? তো আসেন আমরা নোবেল কমিটি কে আল্লাহ পাকের ঠিকানা দিয়ে নোবেলের অনুরোধ জানাই।
ঠিকানাটা দেখেনতো ঠিক আছে না –
আল্লাহ পাক ,
অবস্থান সপ্ত আসমান পেরিয়ে আরশের উপর,
যাবার সহজ উপায়ঃ আত্মঘাতী বোমাতে শহীদের দরজা
অবশ্য মুহাম্মদ = আল্লাহ হলে পুরস্কারটা মুহাম্মদের পাওয়া দরকার।
সেক্ষেত্রে আরশ বাদ দিয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস কি বলেন? :hahahee:
@হাজি সাহেব,
কিন্তু হাজি সাহেব, আল্লাহতো বলেছেন যে কোরান সকলের বুঝার জন্যই। কাজেই আপনার সাথে আল্লাহর কথা মিলল না যে।
@অচেনা,
কোথায় বলেছে দয়া করে তথ্য সুত্র দেন।
কোরান পাঠের জন্য সহজ করেছেন বুঝার জন্য নয়।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
নিজে তো বেশ চাচ্ছেন !! আমরা এতজন যে চাইতেছি তখন তো দেন না । আজব !!
@হাজি সাহেব,
এখানে একজনের মন্তব্য থেকেই কপি করে দিলাম 🙂 ।
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। কে আছে (তোমাদের মধ্য থেকে) শিক্ষা গ্রহন করার? (সুরা আল ক্বামার:১৭).
ভাইজান আল্লাহ বলেছেন যে আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে।।
আর আপনি বলছেন যে কোরান পাঠের জন্য সহজ বুঝার জন্য না। তবে ভাই আল্লাহ কি মিথ্যা বলেছেন? :-Y
@অচেনা,
হ্যাঁ তিনি যুদ্ধ করেছেন,তবে তিনি লুটেরা ছিলেন না।
রাসুল লুটেরা ছিলেন তার বিপরিতে আমি লিখেছিলাম।এখন বলছেন রাসুল যুদ্ধ করে দলে লোক বাড়িয়েছেন।এটা আলোচনার বিষয় নয়।আলোচনার বিষয়,রাসুল লুটেরা ছিলেন না।
রাসুল লুটেরা থাকলে বর্তমান মুসলমানেরাও লুটেরা হতো।কিন্তু আমরা কি দেখছি।বিশ্বের সব থেকে বড় লুটেরা হলো ইহুদি আর খৃষ্টান রা।এবং তারাই বিশ্বের সব চেয়ে বড় সন্ত্রাসী।তাহলে ইহুদি ও খৃষ্টান রা কি মুসলমানের কিতাব মান্য করার জন্য এগুলি করে,না কি কারণে করে জানাবেন।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
একটু প্রমাণ দিলে খুশি হতাম ভাই।
বিশেষ করে ইহুদী জাতির প্রতি মুসলিমদের এই মাত্রাছাড়া বিদ্বেষের কারণ কি?
যারা সারা দুনিয়াতে টিকে আছে মাত্র ১.৫ কোটির কম। আর মুসলিম রা ১.৫ বিলিয়ন, খ্রিষ্টান রা ২ বিলিয়ন!
@অচেনা,
নবাব সিরাজুদ্দৌলাকে হত্যার মাধ্যমে দুশো বৎসর কারা লুট করেছে তাতো আপনি জানেন না।এখনও এ ছুতো ও ছুতোই যুদ্ধ চালিয়ে সে দেশের সম্পদ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে কারা?এ গুলো আপনি জানেন না?না জানলে আর জানার চেষ্ট কইরেন না।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
হায় হায় দোজখেই রাখতে চান নাকি? জান্নাতে হুর নিব ৭০টা, এই আশাতে ছিলাম।
এখানে ধর্ম আনলে বলতে হয় সবাই ছিল খ্রিষ্টান , কেউ ইহুদী না। আর তাদের সহযোগীরা কিন্তু মুসলিম। মীর জাফর আমার জানা মতে মুসলিম ছিলেন , ইহুদী না।
@হাজি সাহেব,
রাসুল লুটেরা থাকলে বর্তমান মুসলমানেরাও লুটেরা হতো।কিন্তু আমরা কি দেখছি।বিশ্বের সব থেকে বড় লুটেরা হলো ইহুদি আর খৃষ্টান রা।এবং তারাই বিশ্বের সব চেয়ে বড় সন্ত্রাসী।তাহলে ইহুদি ও খৃষ্টান রা কি মুসলমানের কিতাব মান্য করার জন্য এগুলি করে,না কি কারণে করে জানাবেন।
@ম্যাক্স ইথার,
বিবাহ ফরজ,সুন্নাত,নফল ও ওয়াজিবের কোনটাই না।বিশেষ একটি কর্ম সম্পাদনের জন্য বিয়ে করতে হয়।কেহ যদি বিবাহ ব্যাতীতই সে কাজ সমাধা করতে পারে, তার বিবাহের কোনই প্রেয়োজন নাই।
তাই এথন যারা রাসুলের মূল আদর্শ পালন করে তারা হয় বহু বিবাহের মাধ্যমে নয় বিবাহ ছাড়াই কর্ম সম্পাদন করে চলেছে।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
আপনার কথার সুত্র ধরেই তাহলে আপনাকে বলতে পারি, লুট করাওতো ফরজ না, তাইনা ?
@হাজি সাহেব,
একটা বিষয় একটু ভাবেন তো, মদীনায় মুহম্মদের ১০ জন স্ত্রী, জনাকয়েক দাসী নিয়ে যে বিশাল পরিবার তার খরচ চলতো কিভাবে ? নবীর কি কোনো ব্যবসা ছিলো ? না তখন ব্যবসা ছিলো তার সংগে মদীনায় হিজরতকারী অন্য মুসলমানদের ? তাহলে তাদের চলতো কিভাবে ? তখন লুট পাট আর ডাকাতিই ছিলো তাদের পেশা। মদীনার যে সরকারী কোষাগার বায়তুল মাল, সেই বায়তুলমালে প্রাথমিক টাকা পয়সা কোথা থেকে আসতো তা কি কখনো একবার ভেবে দেখেছেন ? সেটা আসতো লুটপাট মানে গণিমতে মাল আর জিজিয়া কর থেকে। দুটোই তো জুলুম। এররপরো কি বলবেন মুহম্মদ লুটপাট আর ডাকাতি করে নি ?
@হৃদয়াকাশ, হাজী সাহেব চুপ হয়ে গেছেন। এই প্রশ্নের জবাব খুঁজে পাওয়া ওনার সাধ্যের বাহিরে। যারা ধর্মের চশমা পরে চিন্তা এবং তর্ক করে, সাধারণত ভাসা ভাসা যুক্তি দিয়ে তর্ক করে। যেমনটা হাজী সাহেব করছেন। কিন্তু যখনই এ ধরনের সুস্পষ্ট এবং কঠিন মন্তব্যের মুখে পড়েন, তখন চুপ হয়ে যান। বিশ্বাসীরা কবে চশমাটা খুলে তর্ক করতে আসবে? কবে?
@হৃদয়াকাশ,
এটা অবশ্যয়ই খাদিজা মারা যাবার পরে?তখন তো রাসুলের অর্থের অভাব ছিলোনা।তাহলে সে লুট করতে যাবে কেনো?আর ও ভালো করে জানুন।অনুমানে কথা বইলেন না।অনুমানে কথা বলে নির্বোধে।আপনি যদিও বুদ্ধিমান নন,তবে আপনি চালাক।
জেনে নিন ,চালাকির দ্বারা কোন মহৎ কাজ হয় না।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
খাদিজার বাড়ি তো ছিলো মক্কাতে। ইসলামী চিন্তাবিদরাই তো বলে খাদিজা যখন মুহম্মদকে তার সব সম্পদ দিয়ে দেয় তখন মুহম্মদ দান খয়রাত করে নাকি সব সম্পদ শেষ করে দেয়। হয়তো এটা পুরোপুরি সত্য নয়। কিছু সম্পদ হয়তো শেষ পর্যন্ত ছিলো। কিন্তু মুহম্মদ যখন মদীনায় পালালেন, তখন কি তিনি খাদিজার দেয়া কোনো সম্পত্তি মদীনায় নিয়ে যেতে পেরেছিলেন ? নিলুফার ইয়াসমিনের লেখা জান্নাতী দশ রমনী বইয়ে পড়লাম মদীনায় প্রথম দিকে মুহম্মদ নাকি প্রায়ই না খেয়ে দিন কাটাতেন। তাহলে এটা কেনো ?
@হৃদয়াকাশ,
হযরত মহাম্মদ সাম্যবাদ ছিলেন।সেখানে সমস্ত সম্পদ সকল সদস্যের সমান অধিকার ছিলো।তাই রাসুল মারা যাওয়ার সময় নিজ নামে কোন সম্পদ রেখে যান নি।তার মানে এই নয় যে রাসুলের অর্থাভাব ছিলো।
না খেয়ে থাকতেন কথাটি সত্য নয়।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
রাসূলের নিজের নামে কোনো সম্পদ রেখে যাবার দরকার পড়েনি। কারণ, ঐ ইসলামী রাষ্ট্রের মালিকই ছিলেন তিনি। তার যাবতীয় খরচ বাইতুল মাল থেকেই দেয়া হতো। এমন কি নবী মারা যাবার পর তার স্ত্রীদেরকেও রাষ্ট্রীয় কোষগার থেকে নিয়মিত ভাতা দেয়া হতো।
এখানে আমার প্রশ্ন হলো, বাইতুল মালের অর্থের উৎস কী ? যুদ্ধে লুট করা মাল, যুদ্ধবন্দীদের দাস-দাসী হিসেবে বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ, জিজিয়া কর- এই সব, না অন্য কিছু ?ইসলামের নামে যুদ্ধ আর লুটপাট শুরু করার পর মুহম্মদসহ কোন খলিফা আর সাহাবী ব্যবসা বাণিজ্য করে টাকা উপার্জন করেছে, তার রেফারেন্সে দিয়ে জবাব দেবেন, নইলে আজাইরা প্যাচালের দরকার নাই।
আমার বয়স ১৯ বছর মাত্র । কিন্তু একটা কথা অন্তর থেকে বলছি ভাই ,
ঠিক এই মুহূর্তে যতটুকু মনে পরে , আমার এই ১৯ বছরের জীবনে এই প্রথম একটি অসাধারণ ধর্ম বিষয়ক পোস্ট পরলাম । সত্যি অসাধারণ লিখেছেন আপনি । আমি আগের পোস্ট গুলো পরিনি কিন্তু এই পোস্ট টি পরার পর আগের পোস্ট গুলো পরার জন্য মনটা অস্থির হয়ে যাচ্ছে । আমি অবশ্যই সেগুলো মিস করব না ।
আপনার প্রতি আমার অনুরধ আপনি থেমে থাকবেন না । চালিয়ে যান ।। … … ।।
ভাল থাকবেন । সুস্থ থাকবেন ।
@সমীর চন্দ্র বর্মা ।,
আপনি ধর্ম catagory তে গেলে বহু নিবন্ধ পড়তে পারবেন যা আপনার জ্ঞান স্পৃহাকে নিবৃত্ত করবে আশা করি।
মডারেটরদের প্রতি একটা অনুরোধ, এই ধরণের সমাজ সংস্কারমূলক প্রব্নধগুলোকে একটু বেশি সময় প্রথম পেজে রাখার জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থা নিন। সম্ভব হলে অন্য কম গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধগুলো একটু দেরীতে পোস্ট করুন। যাতে এই পোস্টগুলো যতদূর সম্ভব বেশি লোকে পড়ার সুযোগ পায়। কারণ, আমি লক্ষ্য করেছি প্রথম পেজ থেকে লেখা সরে যাবার পর সেটার আর তেমন গুরুত্ব থাকে না। নতুন পাঠক তো আর পাওয়ায় যায় না, পুরোনোদের তর্ক বিতর্কও এক সময় থেমে যায়। আমি নিজেও আগে ২টি প্রবন্ধ মুক্তমনায় লিখেছি। সেগুলো যতদিন প্রথম পেজে ছিলো ততদিন ছিলো শীর্ষ আলোচনায়। অথচ যেই প্রথম পাতা থেকে সরে গেলো, সেগুলো লোকে পড়া দূরে থাক, আলোচনাও থেমে গেলো। এই ধরণের প্রব্নধগুলো থেকেই লোকজন বেশি উপকৃত হয়। এর বিপরীতে গল্প, কবিতার সমালোচনার মতো হালকা বিষয় পড়ে লোকজনের কতটুকু উপকার হয় ? আর পড়েই বা কজন ? যার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধগুলোকে ২য় পেজে ঠেলে দিতে হবে! বিষয়টি একটু ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
@হৃদয়াকাশ,
একেবারেই সঠিক প্রস্তাব। আমি ও এ প্রস্তাব কে জোরাল সমর্থন জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আমিও।
@হৃদয়াকাশ, আমিও আপনার প্রস্তাবকে সমর্থন করছি।
কু-সংস্কার বাদীদের অনুবাদকৃত বিষয় ও তাদের মত চিন্তায় ও ধারণা মতে আপনার লেখা সঠিক।তবে কোরানের মূল আদর্শ মতে প্রায় সবটুকুই ত্রুটিযুক্ত।আমি প্রতিটি বিষয়েরই সঠিক তথ্য তুলে ধরবো।শুধু সঠিক নিয়মে মন্তব্য হচ্ছে কি না,জানার জন্যই প্রথম লেখাতে কোন মন্তব্য করলাম না।
হাজি সাহেব।।
@হাজি সাহেব,
আমি সহ বহু পাঠকই কিন্তু আপনার সঠিক তথ্য জানার জন্যে আকুল হয়ে বসে আছি।
@ভবঘুরে,
এজন্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
হাজি সাহেব।
@ভবঘুরে, আমি আপনাদের মন্তব্যের কোন উত্তর করবো না।কারণ আপনাদের দেওয়া তথ্য মিথ্যা প্রমানের দলিল উপস্থাপন করলে ,যেই দেখছে আপনাদের তত্ব আর টিকবে না।তখন আমার লেখা সেই মন্তর্যটি আর প্রকাশ করছে না।কেন না আমি মুক্ত মনার তালিকা ভুক্ত নই।
আমি কোরান ও মহাম্মদ সম্বন্ধে আপনাদের লেখা সমস্ত তথ্য যে মিথ্যা প্রমান করে দিব।এবং তা শুধু মাত্র কোরান দিয়ে।কিন্তু আমাকে সেই সুযোগ দেওয়া হলো না।তাই আমি বলবো এ ব্লগের নাম মুক্ত মনা দিয়ে প্রহসন করে চলেছে।এই ব্লগের নাম হওয়া উচিৎ অভিজিতের মত প্রকাশের ব্লগ।
হাজি সাহেব।
মুক্তমনাকে বলছি দয়া করে ধর্ম নিয়ে বিতর্ক হবে এমন কোন লেখা প্রকাশ করবেন না। কে কোন ধর্ম বিশ্বাস করে আর করে না এটা যার যার একান্তই ব্যাক্তিগত ব্যাপার। এটা নিয়ে বিতর্ক করার কিছু নাই। ভবঘুরের লেখা একদম ভালো লাগেনি। এমন লেখা আর দেখতেও চাই না।
@মাহদিন,
কেন ভাই? মুক্তমনাতে তো সবধরনের লেখা-ই প্রকাশ করা হয়, ধর্ম নিয়ে লেখা প্রকাশ করলে সমস্যা টা কোথায়-জানাবেন কি? ভবঘুরের লেখা আপনার ভালো না লাগার-ই কথা কারন আপনি নিজের মনের চোখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন পাছে আপনার ধর্ম যদি আপনাকে শাস্তি দেয়। ভেবে দেখুন, নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, জানুন-এতে আপনিই উপকৃত হবেন।
@মাহদিন,
এমন করে বলার কারণটা কি? মুক্ত মনার একজন পাঠক হিসাবে এই অন্যায় আবদারের কারন জানতে চাচ্ছি।
আর তাছাড়াও আপনার দাবীটাও হাস্যকর।মুক্ত মনা একটি নাস্তিক ওয়েব সাইট। এখানে ধর্মের সমালোচনা করা ,এর ভুল ত্রুটি গুলো মানুষের সামনে তুলে ধরা আর অবশ্যই এর অমানবিক দিকগুলো সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করাই এই সাইটের কাজ। কাজেই এখানে এসে এমন মন্তব্য করাটা বোকামি।
জি আমিও সেটাই বলি। এই কথাটি দয়া করে মুমিন বান্দাদের বলেন, যারা ইসলাম না মানলে বা একে শান্তির ধর্ম বলে স্বীকার না করলে কল্লা ফেলে দিতে চান।
অবশ্যই বিতর্ক করার আছে। এমনি এমনি এসে নিজেকে আল্লাহর নবী দাবি করা আর তার পর ১৪০০ বছর ধরে বিষফোঁড়া হয়ে মানব সমাজে ঝুলে থাকা এই জিনিস কে সমুলে উপড়ে ফেলার চেষ্টা করা মুক্ত মনের মানুষদের কর্তব্য।সাফল্য কতদিনে আসবে, অথবা কতটা আসবে তা নিয়ে ভাবার কিছু নেই।ক্যান্সার ভাল হতে অনেক সময় লাগে কিছু কিছু ক্যান্সার ভাল হয় না পুরোপুরি, তার মানে কি এই যে ক্যান্সারের চিকিৎসা না করিয়ে রুগীকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে হবে?
আমার এবং আরও অনেকের খুব ভাল লেগেছে লেখাটা, আর আমি এরকম আরও অনেক লেখা দেখতে চাই। যাই হোক এমন আরও অনেক লেখা এখানেই পাবেন। খুজতে থাকুন।
@অচেনা, (Y)
@অচেনা,
আমার মনে হয় না এটা একটা নাস্তিক ওয়েব সাইট। এটা হলো যাদের মন মানসিকতা উদার ও কুসংস্কার মুক্ত তাদের সাইট এটি। অনেক বিশ্বাসী মানুষেরাও বেশ উদার ও কুসংস্কারমুক্ত। অনেকে উপরে উপরে যদিও ভান করে উদার কিন্তু ভিতরে ভিন্নরকম। তবে এখানে যারা আসে তারা অধিকাংশই মুক্ত চিন্তা করার ক্ষমতা রাখে, আর তা এখানে প্রকাশ করতে পারে। ধর্ম ভিত্তিক কিছু সাইট আছে যেখানে ঢু মারলে দেখা যায় সেখানকার মানুষগুলোর এখনো মানসিক বিকাশ ঘটে নি। তাদের লেখা ও মন্তব্য পড়লে মনে হয় তারা এখনও ১৪০০ বছর আগের যুগের মানুষ, অথবা আগের মানুষ হতে বদ্ধ পরিকর। ইন্টারনেটের মজা কিন্তু এখানে, আপনি যেখানে ইচ্ছা খুশী যেতে পারেন, কেউ আপনাকে বাধা দেবে না। অত:পর আপনি নিজেই টের পাবেন আসল সত্য কোনটা। আমাদেরকে বলে দেয়া লাগবে না।
@ভবঘুরে,
হ্যাঁ ভাই, আমি মুক্ত মনার লিঙ্ক ফলো করে সদালাপ নামের সাইট টিতে গিয়েছিলাম। কিছুটা পড়ার পর বুঝে গেছি যে এরা কি জিনিস। আর পাঠকরাও সেরকম।কাজেই ওখানে আর সময় নষ্ট করাটা যৌক্তিক মনে হয় নি।
এর থেকেও ভাল উদাহরণ হতে পারে ফেসবুক। এখানে কিছু মানুষ( পেজ গুলি বা নিজেদের ওয়ালে ) মুহাম্মদের ব্যবহার করা জুতা থেকে শুরু করে অনেক কিছুর ছবিই পোষ্ট করে আর ভক্ত রা ভক্তি ভরে ভালবাসার চিহ্ন আর চুম্বন চিহ্ন দিয়ে থাকে।
খুব আজব লাগে এইসব দেখে। আসলেই কি এগুলো মুহাম্মদের ব্যবহার করা জিনিস? আমার তা মনে হয় না। র যদি সেটা সত্যিও হয় তবু এইভাবে ভক্তি ভরে চুম্বন করা আর সুবহানাল্লাহ , আলহামদুলিল্লাহ পড়া এইগুলা তো ইসলামের ভাষায় পৌত্তলিকতা। কারন খ্রিষ্টানদের রিলিক গুলো ভক্তি করা কে মুসলিম রা পৌত্তলিকতা বলে দাবি করে।
কাজেই এখানে যে মুহাম্মদের জুতাকে ভক্তি ভরে চুমু খেয়ে সুবহানাল্লাহ , আলহামদুলিল্লাহ পড়ে, এইগুলোও তো একই ব্যাপার, কিন্তু এগুলো বোঝাতে গেলে এদের ধর্মীয় অনুভুতি আহত হয়। কি আজব ব্যাপার না?
আমার অভিজ্ঞতাও একই। আজকে সকালেই একটা ই-মেইল পেলাম (আগেও পেয়েছি)। ভদ্রলোক ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। প্রবাসে থাকেন। প্রবাসেও নিয়মিত ‘Sunday masjid’ আলোচনায় অংশ নেন। কিন্তু একই সাথে মুক্ত-মনা/যুক্তিবাদীদের অপ্রকাশ্যে উৎসাহিত করেন। আমার বিশ্বাস “এরকম” হাজারও মানুষ আমাদের সমাজে আছে যারা বোধগম্য কারণেই (Fear of alienation from the society he lives) পরিচয় গোপন রাখতে চান।
@মাহদিন, আপনি খুব ছেলেমানুষী আবদার করলেন। আপনার মনের উপর যে পর্দাটা দেয়া আছে সেটা খুলে লেখাটা পড়তে অনুরোধ করবো। আপনার ধর্মগ্রন্থটাও পড়ুন। হাদিস গ্রন্থগুলোও পড়ুন। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, নবীর জীবনীটা ইসলাম থেকে বেরিয়ে এসে একবার দেখুন। কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা, বুঝতে অসুবিধা হবে না আশা করি।
গোঁড়ামি নিয়েও মুক্তচিন্তার চেষ্টায় আমি নতুন।পক্ষে বিপক্ষে উপযুক্ত যুক্তি তর্ক হলেই আমার মত অন্যদের সত্য জানা সহজ হবে।
@mkfaruk
আপনি সুন্দর যুক্তি দিয়েছেন কিন্তু দয়া করে রেফারেন্স দিন। আপনি বা ভবঘুরে নবি-রাসূল না যে, যা বলবেন তাই বিশ্বাস করব।
@ ভবঘুরে
আমি আগে খুব ভাল ধার্মিক ছিলাম কিন্তু গত বছর s.s.c পরীক্ষা শেষে প্রচলিত ধর্ম নিয়ে সংশয় জাগে। এই এক বছর মুক্তচিন্তার উপর কোনো লেখক,বই-পত্র এর নাম না জানায় ( কি জানি হয়তো খোঁজ নেয়ার প্রবল ইচ্ছা ছিলনা ) শুধু নিজের যুক্তি বোধ ও ঈমান এর বোঝাপড়ায় কাটায় দিলাম। হটাৎ ৫-৬ দিন আগে আমার এক ফ্রেন্ড আপনার মহাম্মদ ও ইসলাম পর্বের একটা লেখার লিঙ্ক দিল, সত্যি বলছি আক্ষরিক অর্থেই ভাল রকম ধাক্কা খেয়েছি। টানা ১৪ টা পর্ব (practical exam miss করে) পড়ে শেষ করেছি আর এই তিন দিন আপনার পেজ বার বার refresh করেছি ১৫ নাম্বার টার জন্য। শেষ পর্যন্ত আজ ভোর বেলা আকাশ মালিক এর ” যে সত্য বলা হয়নি ” পড়া শেষ করে ১৫ নম্বর টা পড়া শেষ করলাম। আপনার লেখার ক্ষমতা অনেক ভাল।
আপনি প্লিজ আমাকে কত গুলো বই এবং মুক্তমনা এর ভাল ভাল লেখক দের নাম recommend করুন।আমি 2nd year এর পড়ার চাপ নিয়েও পড়ার চেষ্টা করব। উল্লেখ্য, ধার্মিক অবস্থায় ধর্ম নিয়ে ভাল রকম পড়াশুনা করায় বর্তমানে আপনাদের লেখা বুঝতে অসুবিধা হয় না।
@হৃদয়াকাশ
ভায়া, নির্বোধ বলে সরাসরি আক্রমন করাটা উচিৎ না ( আমার ব্যক্তিগত মন্তব্য, আঘাত পেলে ক্ষমা করবেন, আমার মন্তব্য ভুল হয়া স্বাভাবিক)। আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যুক্তি ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে আক্রমন করলে ধার্মিকরা নাস্তিক দের উপর ক্ষেপে আবার নাস্তিকরাও ধার্মিক দের উপর ক্ষেপে, ফলে সত্য থেকে সহজেই দূরে সরে যাওয়া হয়।
পরিশেষে, আমি ভবঘুরে, mkfaruk, আকাশ মালিক, abul kashem, আঃ হাকিম চাকলাদার, অভিজৎ দা সহ সব বিজ্ঞ দের কাছে একটু হেল্প চাচ্ছি ও পরে অনেক বার পাওয়ার আসা করছি।
@কৌতুহলী ছাত্র,
অনেক ধন্যবাদ। আপনি আপাতত মুক্তমনার ই-বই গুলো পড়ার চেষ্টা করেন – লিংক
@কৌতুহলী ছাত্র,
এই লোকটাকে আমি হঠাৎ আক্রমন করি নি। গত পর্বেও আমি তাকে বোঝানোর চেষষ্টা করেছি। সে কিছুই বোঝে না। উল্টো এমন সব কুযুক্তি হাজির করে যে মেজাজ ঠিক রাখা দায় হয়ে পড়ে। শেষে ওর মন্তব্যের আর জবাবই দিই নি। কোনো রেফারেন্স নেই। অযথা সব প্যাচাল পেরে যায়। ভবঘুরে প্রবন্ধের লেখক, তাই সে মাথা ঠাণ্ডা রেখে উত্তর দিয়ে যায়। আমি ভাই এত মূর্খামি আর যুক্তিহীনতা সহ্য করতে পারি না।
@কৌতুহলী ছাত্র,
খুবই অল্প সময়ে বেশী কিছু জানতে চাইলে —
http://www.nagorikblog.net/drupal619/node/6041
এই আর্টিকেলটা নেটে সার্চ করুন এবং লেখকের সব মন্তব্যগুলোর দিকে মনোযোগ দিন। এই আপাতত: যথেষ্ট হবে।
ধন্যবাদ।
@mkfaruk,
খুবই অল্প সময়ে বেশী কিছু জানতে গিয়ে কুবিদ্যা অর্জন করতে চাইনা।
মূলত আমার ধর্ম নিয়ে পড়াশুনা শুরু বিগত দেড় দুই বছর হল। ধার্মিক অবস্থায় ধর্মের অনেক কিছুতে অসঙ্গতি মনে হয়ায় আলেম ও অন্যান্যদের প্রশ্ন করা ও যুক্তি দেখান শুরু করি। ফলাফল কী তা সহযেই অনুমেয়। আর আমার মুক্তচিন্তার শুরুটা বিগত এক বছর হল ( যা অতটা ভাল মত হয়নি )।
আপনার লিঙ্ক টার জন্য ধন্যবাদ।
@কৌতুহলী ছাত্র,
তাহলে আপনাকে প্রথমে বেশ কয়েকটি বই পড়তে হবে, আরজ আলী মাতুব্বর সমগ্র। স্যাটানিক ভার্সেস- সা, রুশদী। দর্শণ দিকদর্শণ- রাহুল সংস্কৃত্যায়ন। হোয়াই আই অ্যাম নট এ মুসলিম- ইবনে ওয়ারাক। আর সাইট দেখতে পারেন- এন্সারসমুসলিমডটকম। ফেইথফ্রিডমডটওআরজি। ইসলামকমিকবুকডটকম।উইকিইসলামডটনেই ইত্যাদি।
@mkfaruk,
হাদিস দিয়ে ইসলাম ধর্ম বা রাসুলের আদর্শ প্রমান করা বোকামি।কেন না রাসুল মারা যাওয়ার তিন শো বছর পরে যারা হাদিস আবিস্কার করেছে তারা রাসুলের জীবদ্দশায় রাসুলের বিরুদ্ধে ছিলো।এবং ইমাম বংশকে নিধনের পরে পরে তারা রাসুলের মূল হাদিস বা প্রচলিত কোরান মানবো বিধায় এসকল হাদিস আবিস্কার করে।
তাই হাদিস দিয়ে নয় প্রচলিত কোরান দিয়ে প্রমান করুন।
আর রাসুল যদি অ-বৈধ যৌণ সম্পর্ক করতো। তাহলে মুসলমানের মধ্যে এখন অ-বৈধ যৌণ সম্পর্ক অধিক থাকতো এবং অ-বৈধ যৌণ সম্পর্কের কারণে এইডস রোগ বেশি দেখা দিতো মুসলমানদের মধ্যে।বাস্তবে কিন্তু তা নয়।অ-বৈধ যৌণ সংক্রান্ত যত ব্যাধী আছে তার সবই খৃষ্টান ও ইহুদিদের মধ্যে আছে।তাই মহাম্মদ নয়,অ-বৈধ যৌণ সম্পর্ক বা যুদ্ধবন্দি যৌণ সম্পর্ক ইহুদি খৃষ্টানদের গড়া।তাই তাদের মধ্যে এখন ও তাহা বিরাজমান।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
তাই নাকি ভাইজান ? তো হাদিস ছাড়া মোহাম্মদকে জানার কি উপায় ? মোহাম্মদ আগে নাকি কোরান আগে ? মোহাম্মদ আগে দুনিয়াতে আসেন আর তার পরই তার ওপর কোরান নাজিল হয় , তাই না ?এখন কোরান যে আল্লাহর কিতাব তা কিভাবে বিশ্বাস করব ? যদি মোহাম্মদ প্রমান করতে পারেন যে তিনি আল্লাহর নবী । অর্থাৎ মোহাম্মদকে প্রথমে প্রমান করতে হবে যে তিনি আল্লাহর নবী আর তখনই প্রমান করা যাবে যে কোরান হলো আল্লাহর কিতাব। এখন মোহাম্মদ যে আল্লাহর নবী তা জানা যাবে মোহাম্মদের জীবন কাহিনী, কাজকর্ম, আচার আচরন এসব থেকে। তো এসব আমরা জানব কিভাবে ? হাদিস ছাড়া কি আর কোথাও তা লেখা আছে নাকি ? থাকলে ভাইজান তা এখানে পেশ করুন আমরা জেনে বুঝে বিশ্বাস করে তওবা করে ফেলব।
ভাইজান, আপনি কি বুঝতে পারেন , হাদিস দুইশ নাকি তিন শ বছরে যখনই লেখা হোক না কেন মোহাম্মদকে জানার সবচাইতে বড় উৎস হলো এই হাদিস। এখন এই হাদিস এক ফুৎকারে উড়িয়ে দেয়ার মানেই হলো মোহাম্মদকেই উড়িয়ে দেয়া। এটা কি আপনি বুঝতে পারেন ? মোহাম্মদকে উড়িয়ে দেয়া মানে কোরান উড়িয়ে দেয়া , যার ফল বলাবাহুল্য ইসলামকেই বাতিল করা।
তাই যে কোন মন্তব্য করার আগে দয়া করে চিন্তা ভাবনা করেই করবেন। সেই প্রবাদটাতো জানেন- ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।
@ভবঘুরে,
তা হবে কেনো? জেমস ওয়াট ইঞ্জিন আবিস্কার করেছেন।এবং একজন জেমস ওয়াটের জীবণ বৃত্তান্ত লিখেছেন।এখন ইঞ্জিন আবিস্কারের সুফল পেতে আগে কি জেমস ওয়াটের জীবণী জানা প্রয়োজন, নাকি ইঞ্জিনের সুত্র জানা প্রয়োজন বেশি মনে করেন?
এটাও ভুল ধারণা।
জেমস ওয়াটকে না মেনেও যদি আমরা তার ইঞ্জিন আবিস্কারের সুত্র মান্য করি ,তাহলেও কিন্তু আমরা ইঞ্জিন আবিস্কারের সুফল থেকে বঞ্চিত হবোনা।
ঠিক তেমনি রাসুল বিশ্বশান্তির জন্য অনেক গুলি সুত্র দিয়ে গেছেন।যা মান্য করলে আপনি শান্তিতে থাকবেন ।তার অর্থই ইসলাম কায়েম হলো।আর যদি হযরত মহাম্মদকে জানলাম কিন্তু তার কোন সুত্রকে কাজে লাগিয়ে দেখলাম না,তা হলে কি ইসলাম বা শান্তি কায়েম সম্ভব?তাই মহাম্মদ সত্য জানতে মহাম্মদের জীবণী জানার কোন প্রয়োজন নাই।প্রয়োজন তার দেওয়া সুত্র মত কাজ করা।আর তার সুত্র মত কাজ করে সুফল পেলেই মহাম্মদ সঠিক সুত্র দিয়েছেন ও প্রমান হবে ,সেই সাথে বিশ্ব তার সুফলও ভোগ করবে।
আর যদি মহাম্মদের জীবণ চরিত্র অনেক সুন্দর পাওয়া গেলো অথচ তার দেওয়া সুত্রে কোন কাজ করলো না, তা হলে কি কোন লাভ হবে?
তাই আসুন ব্যাক্তি মহাম্মদকে জানার আগে তার সুত্র মত কাজ করে দেখি।তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
মুহম্মদ অবৈধ যৌন সম্পর্ক করে নি। কারণ সেটা তার প্রয়োজন ছিলো না। উনি দরকার হলেই বিয়ে করে নিতেন। ৮/১০ টা বিয়ে করার পর যখন কানাঘুষা শুরু হলো তখন তিনি নতুন নতুন দেহ ভোগ করার জন্য নতুন উপায় বাতলালেন, দাসীদেরকে ভোগ করার আয়াত নাজিল করে দাসীদের ভোগ করতে লাগলেন। উনার অবৈধ যৌন সম্পর্কের দরকার কী ? ঘরে একটা শক্তিশালী বউ থাকলেই তো অন্য মেয়েদের দিকে চোখ যায় না। আর উনার স্ট্যান্ডবাই তাগড়া বউ ছিলো ১০ জন, সাথে জনাকয়েক সুন্দরী দাসী। আর কী চাই ?
@হৃদয়াকাশ,
ইসলাম ধর্ম পালন করতে, এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে কমপক্ষে দুই দুই,তিন তিন,চার চার,নারীর জন্য পুরুষ এবং পুরুষের জন্য নারী বাধ্যতা মূলক লাগবে।তাকি আপনার জানা আছে?না জানা থাকলে জানার চেষ্টা করুন।
আপনাকে অনুরোধ, এর পর থেকে আলোচনা করতে হলে যে কোন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।সেটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য বিষয়ে প্রবেশ করবেন না।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
এই বিষয়টি আরেকটু ক্লিয়ার করেন তো। কী বলতে চাইছেন বুঝতে পারছি না।
@হাজি সাহেব,
ধার্মিক অবস্থায় যঈফ হাদিস ত দূরে থাক অনেক সহিহ হাদিসের যুক্তিগতা নিয়েও আমার প্রশ্ন ছিল।প্রচলিত গ্রহণীয় হাদিস সঠিক না ভুল তা নিয়ে ন্যূনতম পড়াশুনা না থাকায় এ নিয়ে আর মন্তব্য করতে চাইনা। কিন্তু আপনার মতবাদ ও অন্যান্য কারণে আমার এ অবুঝ মনে প্রশ্ন জাগে যে স্রষ্টা কী আদৌ উঁনার ধর্মকে সহজ সরল করে দিয়েছেন।
বলা হয়ে থাকে যে স্রষ্টা ভবিষ্যতে কি হবে তা জানেন, উনি পরম প্রজ্ঞাময়। হাদিসই যদি আজ এত বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যে জন্য ইসলামের সত্যতা আজ প্রশ্নের সম্মুখিন, উঁনি কি পারতেন না কোরানেই তা আগে ভাগে স্পষ্ট ভাবে ( রূপক ছাড়া ) বলে দিতে। তাহলে আজ আমাকে-আপনাকে বা মুক্তমনাদের এত বড় একটা জটিলটায় পরতে হত না।
এখানে আপনি একধরনের ইতিহাস বলছেন , এই ইতিহাস যে গ্রহণযোগ্য, তাই বা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য।
কুরআনের সুরা গুল কি কি কারণে অবতীর্ণ হয়েছে এবং কুরআনের অনেক কিছু জানা ও বুঝার জন্য ইতিহাস জানা প্রয়োজন, আমার জানা মতে এই ইতিহাস গুলও হাদিস হিসেবে বিবেচিত। এখন যদি এই ইতিহাস ছাড়া কুরআন বুঝতে যাই তাহলে তো কুরআন টা একটা puzzle এর মত হয়ে যায়। আবার যদি আপনি বলেন, ইতিহাস বা হাদিস জানা প্রয়োজন আছে তবে প্রচলিত হাদিস ভুল, তাহলে আপনি যে ইতিহাস বা হাদিস এর কথা বলবেন তাইবা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য বা যুক্তিযুক্ত। (ব্যাপার টা সুবিধাবাদী মূলক মনে হচ্ছে )
আপনার মতে আজ অধিকাংশ মানুষ ধর্মকে ভুল বুঝছে (আপনার মন্তব্য অনুযাই আমি যা বুঝলাম )। কিন্তু কুরআনে বলা হয়েছে যে, ধর্মকে বোঝার জন্য সহজ সরল করা হয়েছে। আমার মনে হয় যদি এই ধর্ম আদতেই এত সহজ সরল হত, তাহলে আজ ১৪০০ বছর পর পৃথিবীর জনসংখ্যার ১০০% না হলেও আন্তত ৮০% পাক্কা মুসলমান হত। হয়ত বলবেন পৃথিবী পরীক্ষাগার , কিন্তু এই পরীক্ষায় বিফল হলে যে শাস্তির কথা বলা হয়েছে তা কি আপনি যুক্তিযুক্ত বা স্রস্টার বৈশিষ্ট্য বলে মনে করেন। কুরআনে পড়েছি স্রষ্টা পরম করুণাময়, আসীম দয়ালু। যদিও স্রষ্টা মানুষের সাথে তুলনীয় নয় তবুও যুক্তির খাতিরে একটু আলোচনার চেষ্টা করি-
আমরা আমাদের সমাজে অনেক মানুষের দয়া করুণা দেখে আভিভুত হই, সম্ভবত দয়ার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে মাতা-পিতাদের ধরা যায়। সন্তান যখন ভুল করে তখন তা শুধরে দেয়া এবং ক্ষমা করে দেয়া সব পিতা মাতার মধ্যেই দেখা যায়। আপনি হয়তো কোন সন্তানের পিতা হতে পারেন, কিন্তু আপনি কি কখনও আপনার সন্তান দের শুধু শাস্তি দেয়ার জন্য সামান্য হাল্কা আগুনের ছেকা দেওয়ার কথা চিন্তা করবেন, যেখানে আসীম দয়ালু চিরস্থায়ী আগুনে পোড়ার কথা বলছেন। কল্পনা করুন, যেখানে সেকেন্ডের জন্য একটা জ্বলন্ত মোমবাতিতে হাত দিলেই আসহনিয় কষ্ট পাওয়া যায় আর সেখানে কিনা চিরস্থায়ীর কথা বলা হচ্ছে ( দোজখের আগুনের গুণাঙ্কের কথা বাদই দিলাম ), এটা কি আসীম দয়ার পরিচায়ক। আর স্রষ্টা পরম করুণাময় হলে উঁনি মানুষ কে যে ধর্ম দান করতেন তা নিয়ে কি আজ মানুষে মানুষে এত দ্বন্দ্ব থাকত?
পৃথিবীর সিংহ ভাগ মানুষ খুব সাধারণ, তারা সহজেই প্রভাবিত হয়, সবসময় ভালবাসা ও অবলম্বন চায়। ( কুরআনে হয়ত পড়েছিলাম- স্রষ্টা নিজেই বলছেন যে তিনি মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করেছেন। “ভুল হলে ক্ষমা করবেন” )। তাও কি অসীম দয়ালু ,পরম করুণাময় আজকের পৃথিবীর এই অরাজগতা বন্ধের জন্য প্যাঁচমুক্ত কোন সমাধান দিতে পারতেন না কিংবা মুসলিম দের মতে অন্তর এ মোহর মারাদের অন্তর খুলে দিতে পারেন না? তা না বরং দেখি পথভ্রষ্টের জন্য শয়তানও রাখা হয়েছে যেখানে কিনা মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই ভুল প্রবণ।
আমার মন্তব্য বড় হওয়ায় সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থী। আমার মন্তব্যতে ভুল হওয়া স্বাভাবিক। দয়া করে সরাসরি আক্রমন না করে আমাকে ভুল গুল বুঝায়ে দেয়ার চেষ্টা করুন। আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব ভুল গুলো বোঝার জন্য এবং পরে তা শুধরাবার জন্য।
@কৌতুহলী ছাত্র,
আপনার মন্তব্যগুলো ভাল লাগছে। আগে পরীক্ষা/ক্লাসের পড়াগুলো শেষ করুন। মুক্তমনায় অনেক গুণী লেখকের অনেক রচনা/প্রবন্ধ আছে। সেগুলো আস্তে আস্তে পড়ে নেবেন।
ভাল থাকুন।
@গোলাপ,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি মনে হয় আমার প্রথম মন্তব্যে ভবঘুরের লেখার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে গিয়ে নিজের সম্পর্কে ভুল ধারনা দিয়ে ফেলেছি। মূলত আমার year final শেষ হওয়ায় কিছু আবসর সময় পেয়েছি, আর এজন্যই রাত দিন যখন পারছি তখনই বিভিন্ন রচনা/প্রবন্ধ পড়ে ফেলছি। মূল পরীক্ষা ঠিকমত হলে মূলত আমাদের practical exam নিয়ে স্যাররা কিছু বলেন না।
আমি আমার পড়াশুনা balance রাখতে চেষ্টা করি আর result ঠিক মত করায় parents ও কিছু বলে না।
আপনার ও ভবঘুরের উপযুক্ত উপদেশের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
@কৌতুহলী ছাত্র,
@কৌতুহলী ছাত্র, মুক্ত মনাতে নিয়মিত হবার দাবি জানিয়ে রাখলাম…খুব সুন্দর হয়েছে…শুধু এক দোজখের উধারনেই বোঝা যায়…দয়াময় ঈশ্বর আমাদের কত ভালবাসেন!!!…troy movie টা যদি দেখেন তো দেখবেন মুভির নায়ক একিলিস বলছেন,…of our enemies ,god is the bitterest. মানুষের ১ নম্বার শত্ত্রু বলে যদি কেউ থাকে তবে সে হল ধর্মের ইশ্বর…
@কৌতুহলী ছাত্র,
দয়া করে পরীক্ষা মিস করে কৌতুহল মেটানোর দরকার নাই। আগে আসল লেখাপড়া তারপর কৌতুহল নিবৃত্তকরণ।
@ভবঘুরে,
উপযুক্ত মন্তব্য। ধন্যবাদ। উক্ত লাইন টা মনে করুন আপনার কোন মূর্খ ভক্তের আতি অনাকাঙ্খিত মন্তব্য।
@কৌতুহলী ছাত্র,
আপনি বয়সে নবীণ হলেও চিন্তায় পরিণত। আপনার উপরের বক্তব্যে সহমত।
ইসলামী পন্ডিতরা সবসময় ইন্টেলিজেন্ট design এর কথা বলে অথচ নিজেরাই নুনুর চামড়া কাটে , গুফ কাটে . আল্লাহর design কে না মেনে নেওয়ার এই মানসিকতা কেন ?
@শেসাদ্রী শেখর বাগচী,
এটা তো সেই মূসার আমল থেকে। ইহুদি ও খৃষ্টানদের বেলায়ও তো প্রযোজ্য।
@mkfaruk,
খ্রিষ্টানদের খৎনা করতে উৎসাহিত করা হয় না। তারা এই ব্যাপারে নিরপেক্ষ।এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
18 Was any man called being circumcised? Let him not become uncircumcised. Hath any been called in uncircumcision? Let him not be circumcised.19 Circumcision is nothing, and uncircumcision is nothing; but the keeping of the commandments of God ( 1Corinthians 7: 18-19
Are ye so foolish? having begun in the Spirit, are ye now perfected in the flesh?
(Galatians 3:3)
শেষের ভার্সে সন্দেহ থাকলে আগের অধ্যায়ের (১১-২০) ভার্স গুলো ভাল করে পড়ে নিতে পারেন।
18 :Was any man called being circumcised? Let him not become uncircumcised. Hath any been called in uncircumcision? Let him not be circumcised.19 :Circumcision is nothing, and uncircumcision is nothing; but the keeping of the commandments of God ( 1Corinthians 7: 18-19)
3:Are ye so foolish? having begun in the Spirit, are ye now perfected in the flesh?
(Galatians 3:3)
আবার দিয়ে দিলাম বাইবেলের ভার্সগুলো।
@শেসাদ্রী শেখর বাগচী,
বাকী অংশ-
এখানে ডিজাইন এর ব্যাপার না, মূসাকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এটা দেখতে যে, কে তাঁর নির্দেশ পালন করে আর কে পালন করে না।
@mkfaruk, মুসার কথা বাদ দিন , আপনি কি জানেন নুনুর চামড়া কাটা আর গফ বিহীন দাড়ি রাখা আসলেই একটা tribal culture যার মাধ্যমে একটি আদিম গোষ্টি নিজের পরিচয় বহন করত , যেমন এখনও অনেক আদিবাসী গোষ্টি আছে যারা বিভিন্নভাবে নিজেদের কে অন্যদেরকে আলাদা দেখানোর চেষ্টা করে ,
[img]http://www.bbc.co.uk/sn/tvradio/programmes/amazon/images/tribes.jpg[/img]
intelligent design মানে এটাই মনে করা হয় আমাদের দেহের(এবং অন্য সবকিছুর ) design পারফেক্ট ভাবেই করা হয়েছে তাই নুনুর যে চামড়াটা কেটে বাদ দিচ্ছেন তাতে এটাই প্রমানিত হয় যে মুসলমানদের ধর্মের নামে আসলে টুপি পরানো হয়েছে .
mkfaruq, ভাষা নিয়ে আপনার সঙ্গে আমিও একমত।কিন্তু আপনার কাহিনীর সূত্র কই? তাড়াতাড়ি দেথান।
ভবঘুরে আপনি কি মুসলমান? না কি অন্য কোন ধর্মের? যদি মুসলমান না হয়ে থাকেন তবে আপনাকে অনুরধ করব কখনও ধর্ম নিয়ে কোন বাজে বিতর্ক করবেন না। আর যদি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হন তবে আপনি কি ভুলে গেছেন এই ধর্মের মূল কথা হল বিশ্বাস। বিশ্বাস রাখুন আল্লাহর উপর, মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)এর উপর এবং ইসলাম ধর্মের উপর। আল্লাহ আপনাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন এই দোয়া করছি।
@কানিজ ফাতেমা,
আমি দেখাতে চেয়েছি, আমাদের বিশ্বাসটা কতটা ঠুনকো ও ভুয়া জিনিসের ওপর ভিত্তি করে দাড়িয়ে আছে। আমি কি কোন বাজে বা ফালতু কথা বলেছি? আমি তো কোরান, হাদিস, ইবনে কাথিরের তাফসির থেকে সব কিছু দেখিয়েছি। আপনার বিশ্বাস যখন এতই কঠিন আপনি কি ওসব বিশ্বাস করেন না ? অথচ দেখুন আপনার মত বিশ্বাসী জনাব ফারুক সম্পূর্ন নিজের মনগড়া কাহিনী দিয়ে পাতার পর পাতা ভরে ফেলেছেন। দেখুন তার লেখায় হাদিস বা তাফসির থেকে কোন রেফারেন্স নাই। এখন আমার বক্তব্য বেশী গ্রহণযোগ্য নাকি তার মনগড়া কাহিনী?
আর আপনাকে একটা প্রশ্ন করি – আপনি কি জানেন বেহেস্তে নারীদের আমোদ প্রমোদের জন্য কিছুই নেই যখন একটা পুরুষ বহু সংখ্যক আয়তলোচনা ও যৌবনবতী হুর পাবে ? এখন চিন্তা করে দেখুন, আপনি সারা জীবন কত নামাজ রোজা করবেন , কষ্ট করবেন কিন্তু আপনার জন্য কোনই পুরস্কার নেই বেহেস্তে। সব পুরস্কার পুরুষদের জন্য। এটা কি আল্লাহর চরমতম বৈষম্য নয় ?
@ভবঘুরে, আপনিত বেহেস্তে আমোদ প্রমোদ এর কথা বলছেন কিন্তু এটা কি বলতে পারেন যে,কে বেহেস্তে যাবে আর কে যাবেনা? এটা আমরা কেউ বলতে পারিনা।
আল্লাহকে বলছি- তোমার এক বান্দা তোমার কথার বৈষম্যতা খুঁজে বের করছে তুমি তাঁর সঠিক উত্তর দিয়ে দাও।
@কানিজ ফাতেমা,
আপু আমি কিন্তু নাস্তিক। হা মাথায় পিস্তল ধরলে আমি কালেমা শাহাদাত পড়ব বলাই বাহুল্য, কারন জান বাঁচানো ফরজ। তাছাড়া আমাকে দিয়ে কেউ ইসলাম এক্সেপ্ট করাতে পারবে না। ইসলামের ফাঁকা বুলি জীবনে কম শুনলাম না।
তো ভাল কথা এই যখন আমার মনোভাব, সেখানেও কি আপনি বলতে চান যে আল্লাহ চাইলে আমাকেও জান্নাতবাসী করবেন আর আপনাকে দিবেন জাহান্নামে? যদি সেটাই হয় সেদিনই বুঝব যে আল্লাহ মহান 🙂 ।
আমীন :rotfl:
@কানিজ ফাতেমা,
তা ঠিক কে বেহেস্তে যাবে আর কে যাবে না তা কেউ বলতে পারে না। কিন্তু ধরুন আপনি ও আপনার স্বামী উভয়েই দুনিয়াতে খুব ভাল কাজ করার পুরস্কার স্বরূপ বেহেস্তে গেলেন। সে ক্ষেত্রে আপনার স্বামী পাবেন ৭০ টা সুন্দরী কুমারী নারী যাদেরকে আল্লাহ বিশেষভাবে সৃষ্টি করেছেন যাদেরকে জ্বীন বা মানুষ পূর্বে স্পর্শ করে নি। বিষয়টি সম্পর্কে কোরানে কি বলছে তা দেখুন-
নিশ্চয়ই খোদাভীরুরা থাকবে জান্নাতে ও নেয়ামতে।তারা উপভোগ করবে যা পালনকর্তা তাদের দেবেন এবং তিনি জাহান্নামের আগুন থেকে তাদের রা করবেন।তাদেরকে বলা হবে, তোমরা যা করতে তার প্রতিফল স্বরূপ তোমরা তৃপ্ত হয়ে পানাহার কর। তারা শ্রেনীবদ্ধ সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। আমি তাদেরকে আয়ত লোচনা হুরদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেব। ৫২ঃ ১৭-২০
যারা আল্লাহর বাছাই করা বান্দা। তাদের জন্য রয়েছে নির্ধারিত রুজি। ফল-মূল ও তারা সম্মানিত। নেয়মতের উদ্যানসমূহ। মুখোমুখি হয়ে আসনে আসীন। তাদেরকে ঘুরে ফিরে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ পানপাত্র। সুশুভ্র যা পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। তাতে মাথা ব্যথার উপাদান নেই ও তা পান করে মাতালও হবে না। তাদের কাছে থাকবে নত আয়তলোচনা তরুনীগন। যেন তারা সুরতি ডিম। ৩৭ঃ ৪০-৪৯
নিশ্চয়ই খোদাভীরুরা নিরাপদ স্থানে থাকবে। উদ্যানরাজি ও নির্ঝরিনী সমূহে। তারা পরিধান করবে চিকন ও পুরু রেশমীবস্ত্র, মুখোমুখি হয়ে বসবে। এবং আমি তাদের আয়তলোচনা স্ত্রী দেব। ৪৪ঃ ৫১-৫৪
তারা তথায় রেশমের আস্তর বিশিষ্ট আসনে হেলান দিয়ে বসবে। উভয় উদ্যনের ফল তাদের নিকট ঝুলবে।— তথায় থাকবে আয়তলোচনা স্ত্রীগন কোন মানব ও জীন তাদেরকে পূর্বে স্পর্শ করেনি। ৫৫ঃ ৫৪-৫৬
তাবুতে অবস্থানকারিনী হুরগন।—- কোন জীন বা মানুষ তাদেরকে পূর্বে স্পর্শ করেনি। ৫৫ঃ ৭২-৭৪
পরহেজগারদের জন্য রয়েছে সাফল্য। উদ্যান ও আঙ্গুর। সমবয়স্কা , পূর্ন যৌবনা তরুনী। এবং পূর্ণ পানপাত্র। ৭৮ঃ ৩১-৩৪
তারা তাতে বসবে হেলান দিয়ে মুখোমুখি হয়ে। তাদের কাছে ঘোরাঘুরি করবে চির কিশোরেরা। পানপাত্র কুজা ও সূরাপূর্ণ পেয়ালা হাতে নিয়ে। যা পান করলে তাদের শিরঃপীড়া হবে না বা বিকারগ্রস্থও হবে না।—- তথায় থাকবে আয়তলোচনা হুরগন। ৫৬ঃ ১৬-২২
আমার প্রশ্ন – আপনি কি পাবেন বেহেস্তে? দয়া করে একটু বলবেন কি ?
@কানিজ ফাতেমা,
কাজ করলে তার ফল পাওয়া যায়। এটাই নিয়ম। আপনার কথাতেই বোঝা যাচ্ছে, কেউ বেহেশত পাবার উদ্দেশ্যে কাজ করলেও তার বেহেশত পাবার গ্যারান্টি নাই। তাহলে আপনি কাকে এবং কীজন্য তোষামোদ করছেন , দিনে ৫ বার নামাজ পড়ে অথবা ১ মাস না খেয়ে শরীরকে কষ্ট দিয়ে ?
@কানিজ ফাতেমা,
ভবঘুরে ঈমান আনলে লাভ আছে, বেহেশতে গিয়ে ৭০টা হুর পাবে এনজয় করার জন্য। কিন্তু আপনি কী পাবেন ? সেটা একবার ভেবে দেখেছেন ? আপনি ভবঘুরেকে হেদায়েত করছেন কেনো ? বেহেশতে গেলেও তো দেখবেন, আপনার স্বামী অন্য হুরদের সংগে সেক্সে ব্যস্ত। তখন আপনার দিকে তো ফিরেও তাকাবে না। তখন কী আপনি বেহেশতে থাকতে পারবেন ? ভালো করে ভাবুন।
কাউকে জ্ঞান দেয়ার আগে, নিজের জ্ঞানটা আগে যাচাই করে নিন।
@কানিজ ফাতেমা,
আপনার মতামত কে আমি সম্মান করি। তবে আপনি কোরান, হাদিছের অনুবাদ গুলী শুধু অন্যের উপর নির্ভর না করে নিজে একটু পড়ে গভীর ভাবে উপলদ্ধি করতে পারেন। তাতে ধর্মের উপর আরো পাকা পোক্ত ধারনা হইবে।
এই প্রবন্ধের ই নীচে কোরান হাদিছের লিংক দেওয়া আছে। সেখান থেকেও দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ
@কানিজ ফাতেমা,
আপনি মনে হয় মুক্তমনা সম্মন্ধে না জেনেই এই মন্তব্য করেছেন। দয়া করে জেনে রাখুন, এখানে “বিশ্বাস” নামের বায়বীয় পদার্থটিকে যুক্তি দিয়ে ব্যবচ্ছেদ করা হয়-তাই অনুরোধ, বিশ্বাসকে বাইরে রেখে মুক্তমনা হওয়ার চেষ্টা করুন-এতে আপনার, আমার সবার জন্য ভাল হবে। ভাল থাকবেন।
মি.সুকান্ত,
মানুষের বাচ্চা জন্মের পর পরই হাঁটতে পারে না এবং সাঁতার কাটতে পারে না,কিন্তু হাঁসের বাচ্চা তা পারে কেন?
প্লিজ একটু যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিবেন।
@কানিজ ফাতেমা,
লিঙ্কটা দিতে ব্যর্থ হলাম। বইটার নাম ইসলামী শস্যক্ষেত্র। ধর্মকারীর প্রথম পেজের বাম দিকে রাখা আছে। আগ্রহ থাকলে ডাউনলোড করে পড়ে নিয়েন। ধমর্কারীর ঠিকানা- http://dhormockerymirror.blogspot.com/
অবিশ্বাসীদের জন্য দোয়া করে লাভ কি আপু……? যুক্তি তর্কের খট খট বা ঠন ঠন আওয়াজ দিয়ে তো আর পৃথিবী চলেনা…? পৃথিবীর ভারসাম্য অনেক কিছুর উপর নির্ভরশীল……মানুষ ছোটবেলায় হাটতে শেখার পিছনে যুক্তি তর্কই কি বড় ছিল নাকি সেখানে আরো বড় কিছুর নিরব ভূমিকা ছিল…..?
আপনার লেখা বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়ি। আপনার প্রবন্ধগুলোকে আমি মুক্তমনার সেরা প্রবন্ধ বলে মনে করি।
@অমিত হাসান,
অনেকেই আবার নিকৃষ্ট বলে মনে করে।
@অমিত হাসান,
হা আমিও ভবঘুরে ভাইয়ের লেখার দারুণ ভক্ত। সেই সাথে আরেকজনের কথা বিশেষ ভাবে না বললেই নয়। তিনি আবুল কাশেম ভাই।
অন্য সবার লেখাই খুব ভাল তবে এই দুজন সাম্প্রতিক সময়ে খুবি ধারালো লেখক।
আবুল কাশেম ভাইকে অনেক দিন দেখি না মুক্ত মনা তে। আশা করি উনি ভাল আছেন।
বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী আমি। তাই কারো বক্তব্যকেই আমি অগ্রাহ্য করিনা। কিন্তু কেউ তথ্য না জেনে অকারণে বিদ্বেষবশত: যদি মন্তব্য করেন, সেটাকে খারাপ ভাবি আমি। তাছাড়া, ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কেউ যদি এমন সব শব্দ ব্যবহার করেন যেগুলো কোন ধর্ম বা ধর্মীয় আটিকেলের ক্ষেত্রে কেন, সাধারণ ভাবেও শিক্ষিত লোকের কাছে গ্রহণীয় নয়, সেটাও আমার কাছে ঘৃণ্য। আর এ কারণেই লেখকের বিগত আর্টিকেলে পরবর্তীতে আমি কোন মন্তব্যে অংশগ্রহণ করিনি। আমি আশা করছি সবাই যথেষ্ট সংযমের পরিচয় দেবেন মন্তব্য করার ক্ষেত্রে।যাতে সুন্দর যুক্তিতর্কের অবতারণা হতে পারে।এসব কেন বলছি- আকাশ মালিক ও ফরিদ সাহেবের দ্বন্দ্বটা আমাকে ব্যাথিত করেছে। ঐ ধরণের পুনরাবৃত্তির অবতারণা হোক, একজন পাঠক হিসেবে তা আমি চাইনা।
@mkfaruk,
বিবি সফিয়া: খায়বর যুদ্ধের সময় মারাত্মক কিছু অপরাধ সংঘটিত করার কারণে কামুস দূর্গের অধিপতি কেনানা, কেনানা ইবনে আল রবির প্রাণদন্ড দেয়া হয়েছিল। তার স্ত্রী সফিয়া, পূর্ণ নাম সফিয়া বিনতে হুয়াইয়া। তার অপূর্ব দৈহিক সৌন্দর্য্যের খ্যাতি ছড়িয়ে ছিল তার গোত্র মাঝে। খায়বর যুদ্ধের গনিমতের বন্টনে সে দেহয়ার ভাগে পড়েছিল, কেননা সেই তাকে বন্দী করেছিল। এতে সাহাবীরা মুহম্মদকে স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনি-সফিয়া একজন গোত্রপতির কন্যা। এ কথা জানতে পেরে মুহম্মদ দেহয়াকে বন্দীদের মধ্যে থেকে যে কোন একজনকে বেঁছে নিতে বলেন এবং সফিয়ার কাছে দু’টি বিকল্প প্রস্তাব পেশ করেন-
-তিনি স্বসন্মানে স্বাধীন ভাবে নিজ গোত্র মাঝে ফিরে যেতে পারেন, অথবা,
-মুসলমান হিসেবে মদিনাতে বসবাস করতে পারেন।
সফিয়া আল্লাহ ও তার রসূলকে বেঁছে নেন। এইসময় তার বয়স ছিল সতের বৎসর। পূর্ব থেকেই তিনি ইসলামের প্রতি অনুরাগিনী ছিলেন। মুহম্মদের অসাধারণ ব্যক্তিত্বের খ্যাতি তাকে মুগ্ধ করেছিল। তাই তিনি ইসলাম গ্রহণ করে তার সহধর্মিনী হবার আকাঙ্খা প্রকাশ করেন। মুহম্মদ তার এই আকাঙ্খা অপূর্ণ রাখেননি, তিনি তাকে বিবাহ করেছিলেন। বিবাহের পর প্রায় সমবয়সী আয়েশা ও হাবসার সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে।
এবং সফিয়ার কাছে দু’টি বিকল্প প্রস্তাব পেশ করেন-
তিনি স্বসন্মানে স্বাধীন ভাবে নিজ গোত্র মাঝে ফিরে যেতে পারেন, অথবা,
-মুসলমান হিসেবে মদিনাতে বসবাস করতে পারেন।
সফিয়া আল্লাহ ও তার রসূলকে বেঁছে নেন।
জনাব mkfaruk সাহেব খুব বড় একটা কিছুর দাবী করতেছিনা। আপনারই বক্তব্যের অংস হতে ঠিক উপরের বোল্ড করা অংস টুকুর রেফারেন্সটা আমাদের পাঠকদের একটু দেখিয়ে দিবেন কি?
আর যদি রেফারেন্স না দেখান তাহলে পাঠকেরা কিন্তু মনে মনে ধরে নিবে এগুলী সব আপনারই নিজের সৃষ্টি আজব কল্প কাহিনী বৈ আর কিছুই নয়।
সঠিক রেফারেন্স ছাড়া শুধু আজব কল্প কাহিনী দিয়ে আমরা সঠিক গন্তব্যে পৌছাতে পারবনা।
ধন্যবাদ।
@mkfaruk,
উপরে আপনারই বক্তব্যের অংস।
প্রশ্ন- আপনিই কোন এক জায়গায় বলেছেন”হাদিছ লোকেরা তেমন একটা বিশ্বাষ করেনা”
তাহলে ঊপরোক্ত বক্তব্য টি আপনি কোন হাদিছ থেকে এনেছেন?
সূত্রটি আমাদের কে দিলে আমরা অত্যন্ত খুশী হইব।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
যে হাদিসগুলো উনার বা উনাদের মনঃপুত হয়,আর উনাদের কাজে লাগে ওইগুলো সহিহ আর বাকিগুলো জাল হাদিস। বুঝলেন না ভাইজান এটাই হল আধুনিক মুসলিম। এরা অনেক স্মার্ট বেশি। 🙂
@mkfaruk,
জনাব mkfaruk সাহেব, উক্ত বক্তব্যটি আপনি কোন হাদিছ হতে এনেছেন,জানাবেন কি?
আর আপনি নিজেই হাদিছের উপর তেমন একটা আস্থা রাখেননা।
ধন্যবাদ
@mkfaruk,
আপনি তো বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার করছেন। যা ইচ্ছা খুশী নিজের বানান গল্পকে সত্য বলে চালানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু ভুলে যাচ্ছেন যে এটা মিডিয়া টেকনোলজীর যুগ, ১৪০০ বছর আগের আদিম যুগ না। আজে বাজে কথা বা তথ্য যে কেউ এক মুহুর্তে বের করে ফেলতে পারে।
@mkfaruk, আপনার কাছে রেফারেন্স চাওয়া হলে আপনি একদম চুপ হয়ে যান কেন? অথচ মনগড়া গল্প লেখার সময়তো আপনি বেশ বড় বড় স্পিচ দিয়ে থাকেন।
পুনশ্চঃ আশা করি ভাষার ব্যবহারে আমি মার্জিত থাকতে পেরেছি।
@ mkfaruq
জনাবের নিকট আকুল আবেদন এইযে তিনি যেন তার গল্পগাথার রেফারেন্স দিয়ে সেগুলিকে সত্যের মর্যাদায় উন্নীত করে তামাম মুসলিম জাহানের অশেষ কল্যান সাধন করেন। যদিও আমি এই আবেদনের ব্যাপারে খুবই সন্দিহান।দয়া করে রেফারেন্স দিন আমরা পড়ে নিব। আপনাকে আর কষ্ট করে মুক্তমনার পেজ সাবাড় করে টাইপ করতে হবে না।
মরিয়ম(দাসী)কে মহানবী কবে কখন কিভাবে বিবাহ করেছিলেন এবিষয়ে একটা গল্প শুনতে মন চায়। বলবেন নাকি??????
@ছন্নছাড়া
মনে হচ্ছে এটা গল্প বলার আসর “এসো গল্প বলি”। যে কেউ বলতে পারেন মনের মাধুরী মেশানো গল্প। কোন রেফারেন্সের প্রয়জন নাই
mkfaruk নামের এই নির্বোধটা দেখি আবারও তার আজাইরা প্যাচাল এখানেও শুরু করেছে।
@হৃদয়াকাশ,
…ভাই আজ্যাইড়া প্যাচাল না পেরে উপায় আছে ,উনি আবার উন্মাদ বুড়ো ঈশ্বরকে খুব ভয় পান,আর বেহেশ্তের হুর পরির লোভ কি আর এমনি এমনি ছাড়া যায়…উনার খুব ভয় ধর্ম না মেনে যদি পরকালে আঙ্গুল চুষতে হয় ,তার থেকে আজ্যাইড়া একটা ধর্ম পালন করা ভাল…দিন ভাই উনাকে উনার মত ছেড়ে দিন… :-Y
@সাগর,
না রে ভাই, এত মূর্খামি সহ্য করা যায় না। যুক্তি বোঝে না , অযথা প্যাচাল পারে। আর এত বড় যুক্তিহীন মন্তব্য লিখে যে সেগুলো পড়ে শেষ করা যায় না। তখন আরো মেজাজ খারাপ হয়। নেটে বসার আমার খুব বেশি সময় হয় না। না হলে ভবঘুরের দরকার হতো না। ওকে এমন ধোলাই করতাম যে পালাবার পথ পেতো না। আমার ভাষা আবার ভবঘুরের মতো অতো ভদ্র না।
@হৃদয়াকাশ,
mkfaruk সাহেব ভাল entertainer 🙂 ।
@সম্মনিত পাঠক,
মেরী, আয়েশা ও হাবশাকে জড়িয়ে যে মিথ্যাচার উপরে করা হয়েছে তা আমি আমার ইতিপূর্বকার মন্তব্যটি বড় হয়ে যাওযাতে সেখানে দিতে পারিনি। এখানে লেখক খুবই চালাকির সাথে ইবনে কাছির, ও অন্যান্য কিছু ব্যক্তির তফসির যেগুলি তার তথ্য প্রমানের জন্যে দরকার সেগুলি ব্যবহার করেছেন আর অন্যদের তফসিরটা এড়িয়ে গিয়েছেন ইচ্ছাকৃতভাবে।
এখন আমরা দেখব প্রকৃত কাহিনীটা কি। আর লেখকের কাহিনী ও আমার কাহিনীর মধ্যে কোনটা সঠিক হওয়া উচিৎ এবং যুক্তিযুক্ত।
মুহম্মদ আছরের পর নিয়মিত সকল বিবিদের কাছে কুশল জিজ্ঞাসার জন্যে গমন করতেন। নিয়মিত এই সাক্ষাতে তিনি নববিবাহিত বিবি জয়নবের গৃহে একটু বেশীসময় অতিবাহিত করতে লাগলেন। বাল্যকাল থেকেই জয়নব মুহম্মদকে বিশেষভাবে পছন্দ করতেন এবং জানতেন তিনি মধু খেতে বিশেষ পছন্দ করেন। তাই তিনি বিবাহের পূর্বপর্যন্ত সবসময়ই তার জন্যে মধু সরবরাহ করে এসেছেন। এখন বিবাহের পর যখনই মুহম্মদ তার হুজরাতে (মুহম্মদের প্রত্যেক বিবির জন্যে একটি করে হুজরা নির্মিত হয়েছিল। কক্ষ ছাড়াও এতে কিছু বারান্দা ও ছাদ থাকত। মসজিদে নব্বীর সংলগ্ন এসব হুজরা খর্জুর শাখা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং এর দ্বারে একটা মোটা কাল পশমী পর্দা ঝুলান থাকত। হুজরার দরজা থেকে ছাদ বিশিষ্ট কক্ষ পর্যন্ত ছয়-সাত হাতের ব্যবধান ছিল। কক্ষ দশ হাত এবং ছাদের উচ্চতা সাত- আট হাত ছিল। মুহম্মদের তিরোধানের পর ওলীদ ইবনে আব্দুল মালেকের রাজত্বকালে তারই নির্দেশে এসব হুজরা মসজিদে নব্বীর অন্তর্ভূক্ত করে দেয়া হয়েছিল।) আগমন করতেন, তখন তিনি নিজ হাতে তাকে মধু পান করাতেন। এ কারণেই একটু বেশী সময় মুহম্মদ তার হুজরাতে অবস্থান করতেন। এ দেখে বিবি আয়েশার- যিনি ছিলেন তার বিবিদের মধ্যে একমাত্র কুমারী, মনে ঈর্ষা মাথাচাঁড়া দিয়ে উঠল। তিনি অপর এক বিবি হাফসার সাথে এ বিষয়ে পরামর্শ করে স্থির করলেন যে, তিনি জয়নবের হুজরা হতে ফিরে তাদের দু‘জনের মধ্যে যার কাছে আগে আসবেন, তিনিই তাকে বলবেন, ‘মাগফীরের গন্ধ পাচ্ছি! আপনি কি মাগফীর পান করেছেন?’ -মাগফীর এক বিশেষ দুর্গন্ধযুক্ত আঠা।
জয়নবের হুজরা হতে বেরিয়ে মুহম্মদ আয়েশার হুজরাতে এলেন, তখন তাকে তিনি সেভাবেই কথা বললেন। মুহম্মদ বললেন, ‘না, আমি তো মধু পান করেছি!’
আয়েশা বললেন, ‘সম্ভবতঃ মৌমাছি কোন মাগফীর বৃক্ষে বসে তার রস চুষেছিল। এ কারণেই মধু দুর্গন্ধযুক্ত হয়েছে।’
মুহম্মদ সবসময় দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু সযত্নে এড়িয়ে চলতেন। কেননা জিব্রাইল প্রায়ই তার কাছে ওহী নিয়ে আগমন করতেন, আর তিনি দুর্গন্ধের কাছে আসতে পারতেন না। তাই তিনি এখন তার এই বিবিকে খুশী করতে তার কাছে অতঃপর মধু খাবেন না বলে কসম খেলেন। কিন্তু একথা জয়নব শুনলে মনঃক্ষুন্ন হবেন ভেবে সাথে সাথে তিনি আয়েশাকে বিষয়টি গোপন রাখতে বললেন। কিন্তু মেয়েরা পেটে কথা লুকিয়ে রাখতে পারে না। বিবি আয়েশা বিষয়টি বিবি হাফসার গোচরীভূত করে দিলেন।
অতঃপর গোপন এই বিষয়টি যে ফাঁস হয়েছে জিব্রাইল মারফত মুহম্মদ তা জানতে পারলেন। তখন তিনি আয়েশার বিরুদ্ধে তার কাছে অভিযোগ আনলেও কি ভেবে পূর্ণ কথা বললেন না। সবশুনে আয়েশা বললেন, ‘কে আপনাকে একথা বলল?’
তিনি বললেন, ‘যিনি সর্বজ্ঞ, ওয়াকিফহাল, তিনি আমাকে অবহিত করেছেন।’
মুহম্মদ চুপ হয়ে গেলেন। আর এদিকে সেসময় আয়েশাও মনে মনে ভাবছিলেন এই অপরাধে মুহম্মদ যদি তাকে তালাক দেন তবে অতঃপর তিনি তার মত স্ত্রী সম্ভবতঃ আর পাবেন না।
মুহম্মদ আয়েশাকে তালাক দেবার কথাই ভেবেছিলেন। কিন্তু জিব্রাইল এসে তাকে এ কাজে বিরত রাখেন এই বলে-‘তার পূণ্য অনেক, আর তার নাম জান্নাতে তোমার বিবিগণের তালিকায় লিখিত আছে।’
আর এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াতসমূহ নাযিল হল, যাতে পূর্ণ ঘটনা এবং বিবি আয়েশার মনোভাবের জবাব দেয়া হয়েছে।- হে নবী, আল্লাহ তোমার জন্যে যা হালাল করেছেন, তুমি তোমার স্ত্রীদের খুশী করতে তা নিজের জন্যে হারাম করছ কেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়। আল্লাহ তোমাদের জন্যে কসম থেকে অব্যহতি লাভের উপায় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তোমাদের মালিক। তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। যখন নবী তার স্ত্রীর কাছে একটি কথা গোপনে বলল, অতঃপর স্ত্রী যখন তা বলে দিল এবং আল্লাহ নবীকে তা জানিয়ে দিলেন, তখন নবী সে বিষয়ে স্ত্রীকে কিছু বলল এবং কিছু বলল না। নবী যখন তা স্ত্রীকে বলল, তখন স্ত্রী বলল, ‘কে আপনাকে এ সম্পর্কে অবহিত করল?’
নবী বলল, ‘যিনি সর্বজ্ঞ, ওয়াকিফহাল, তিনি আমাকে অবহিত করেছেন।’
তোমাদের অন্তর অন্যায়ের দিকে ঝুকে পড়েছে বলে যদি তোমরা উভয়ে তওবা কর, তবে ভাল কথা। আর যদি নবীর বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য কর, তবে জেনে রেখ আল্লাহ, জিব্রাইল এবং সৎকর্মপরায়ণ মুমিনরা তার সহায়। উপরন্তু ফেরেস্তারাও তার সাহায্যকারী। যদি নবী তোমাদের সকলকে পরিত্যাগ করে, তবে সম্ভবতঃ তার পালনকর্তা তাকে পরিবর্তে দেবেন তোমাদের চাইতে উত্তম স্ত্রী, যারা হবে আজ্ঞাবহ, ঈমানদার, নামাযী, তওবাকারিণী, এবাদত কারিণী, রোজাদার, অকুমারী ও কুমারী।(৬:১-৫)
এখনকি কোরআনের এই আয়াতসমূহ আর উপরের নাযিল হবার কাহিনীর মধ্যে কি কোন ফাঁক দেখা যাচ্ছে?
আয়াতসমূহ অবতীর্ণ হওয়ার পর মুহম্মদ কসম ভঙ্গ করেন এবং কাফফারা আদায় করেন। কাফফারা হিসেবে তিনি একটি ক্রীতদাস মুক্ত করে দেন।
সবশেষে আমি যা বলতে চাচ্ছি তা হচ্ছে মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গি ব্যাপার নিয়ে। আপনার অন্তর যদি কুটিল হয় তবে আপনি সবকিছুর মধ্যে কুটিলতা দেখতে পাবেন। আর যদি আপনার অন্তর পরিস্কার হয় তবে আপনি সবকিছু স্বাভাবিক দেখবেন। তবে একথা ভুলে গেলে চলবে না, সবকিছুই নির্ভর করবে আপনার জানার পরিধির উপর।উকিলরা কি যুক্তি তর্ক, মিথ্যা সাক্ষীর সাক্ষ্যে সত্যকে মিথ্যা, আর মিথ্যাকে সত্য প্রমান করে না? আর সব থেকে ভাল উকিল সেই যার এ ক্ষমতা আছে। কিন্তু উকিল যতই সত্যকে মিথ্যে প্রমাণ করুক না কেন, সত্য কিন্তু সত্যই থাকে।
ধন্যবাদ সকলকে।
@mkfaruk,
এ কাহিনীর সূত্র কি ? আপনি নিজে নাকি ?
@mkfaruk,
—- বেশ বুনিয়াদি কথা বলেছেন। 🙂
@এমরান এইচ, mkfaruk সাহেব একটা জিনিশ ভাই, নিজের ধর্ম বাচাতে যে কসরত করছেন আল্লাহ হয়ত তাকে প্রিথিবিতেই বেহেশ্তের সুসংবাদ দিবেন…উনার লেখা পরতে থাকেন,তার ফ্যান না পারবেন না… :-Y
@mkfaruk,
আপনি মুক্তমনার লেখকদের কী ভাবেন বলেন তো ? আপনি কী ভাবেন ওরা আপনার মতো দু চারটে বই পড়ে এখানে আর্টিকেল লিখে ? যুক্তি থাকলে বেশি কথা বলার দরকার হয় না। আপনার কথার উত্তর যে অনেকে দেওয়ারই প্রয়োজন বোধ করেন না, সেটাও কী আপনি বোঝেন না ? এই কারণে গত পোস্টে আর জবাবই দিইনি। আমার ধারণা অনেকেই তাই করে। প্রথম উত্তরেই আপনি যে মুহম্মদের হেরেমের ১৩ জন বিবির বর্ণনা দিলেন, এটার কি খুব প্রয়োজন ছিলো ? আপনার কি ধারণা, মুক্তমনা যারা পড়ে তারা কি এগুলো জানে না ? আপনি মুক্তমনায় নতুন এসেছেন, তাই সব কিছু বুঝে উঠতে পারেন নি। আর তা না বুঝেই ঝগড়া শুরু করে দিয়েছেন। ভবঘুরের সংগে পাল্লা দেযার আগে মুক্তমনায় প্রকাশিত ভবঘুরের সমস্ত প্রবন্ধ পড়েন, ইসলাম সম্পর্কে তার জ্ঞান বিচার করেন, তার পর তার সংগে তর্ক করেন। প্রত্যেক বুদ্ধিমান ব্যক্তি তাই করে। কারো সম্পর্কে বলতে গেলে তার সম্পর্কে আগে জানতে হয়। আপনি দেখি এর ব্যতিক্রম। আমরা মুহম্মদ সম্পর্কে বলি, মুহম্মদকে ভালো করে জেনে বুঝে। আপনার মতো অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে নয়।
মন্তব্যের শুরুতেই যা বলেছেন, হ্যা লেখকের উদ্দেশ্য অত্যন্ত পরিষ্কার, সত্যটাকে জানানো।আপনি অনেক কিছু স্বীকার না করলেও একটা বিষয় স্বীকার করেছেন যে মুহম্মদ ১৩টা বিয়ে করেছিলো। এখন আপনিই বলেন, একজন সুস্থ লোক এটা কিভাবে করতে পারে ? তাও ৬ থেকে ৫৫ কাউকেই সে বাদ দিচ্ছে না। পুনর্বাসন তো খাদ্য ও আশ্রয় দিয়েও করা যায়। তার জন্য বিয়ে করতে হবে কেনো ? নাকি বিয়ে না করলে দেহ ভোগ করা যায় না, সেজন্য ? এমন লম্পট মানুষ আপনাদের নবী, লিডার। তো তার সম্পর্কে আপনাদের চিন্তা ভাবনা আর কত স্বচ্ছ বা পরিষ্কার হবে! নবী নিজেও ছিলো মূর্খ , আর তার উম্মতদের অবস্থাও তাই।পড়াশুনা করবেন না, অযথা সব প্যাচাল পেরে অন্যদের সময় নষ্ট করেন আর বিরক্তি উৎপাদন করেন।
@হৃদয়াকাশ,
অসাধারণ!! (Y) (Y) (F) (F) (F) (D)
@অচেনা, prophet mohammed ka ja murkho bola tar qualification ta ki bolban? kon bahadur tini aktu cintam
মুক্তমনায় ইংরেজি বা বাঙরেজিতে মন্তব্য করতে অনুৎসাহিত করা হয়। পরবর্তীতে বাঙরেজিতে মন্তব্য করলে প্রকাশিত হবার নিশ্চয়তা দেয়া যাচ্ছে না।
-মুক্তমনা মডারেটর
@হৃদয়াকাশ,
করুনার সাগর আমাদের নবী তাই না উনি অসহায়া নারীদেরকে পূনর্বাসন না দিয়ে একের পর এক তার হেরেমে তুলে মর্যাদায় আসীন করেছেন।
@হৃদয়াকাশ,
ভবঘুরে ১২টা দিয়েছে, আমি দিয়েছি ১৩টা এটা কেন’ র উতরের জন্যে অন্য কিছু নয় ইচ্ছে করলে ২৬ টাও দেয়া যেত। কোন লিস্ট লাগবে?
The following is rough list of Muhammad’s wives, according to various Islamic sources[1]. It is possible that this number may still fall short of the actual number of wives he had.
Khadija/Khadijah[2]
Sauda/Sawda bint Zam’a/Zam’ah [3]
‘A’isha [4]
A’isha’s Slaves [5]
‘Umm Salama [6]
Hafsa/Hafsah [7]
Zainab/Zaynab bint Jahsh [8]
Juwairiya/yya/yah [9]
Omm/Umm Habiba [10]
Safiya/Safiyya/Saffiya [11]
Maimuna/Maymuna bint Harith [12]
Fatima/Fatema/Fatimah [13]
Hend/Hind [14]
Sana bint Asma’ / al-Nashat [15]
Zainab/Zaynab bint Khozayma/Khuzaima [16]
Habla [17]
Divorced Asma’ bint Noman [18]
Divorced Mulaykah bint Dawud [19]
Divorced al-Shanba’ bint ‘Amr [20]
Divorced al-‘Aliyyah [21]
Divorced ‘Amrah bint Yazid [22]
Divorced an Unnamed Woman [23]
Qutaylah bint Qays [24]
Sana bint Sufyan [25]
Sharaf bint Khalifah [26]
ধন্যবাদ।
@mkfaruk,
সংখ্যা ১২ কি ১৩ তাতে কি খুব যায় আসে ? উনি যে একজন বিয়ে পাগলা বুড়ো, লম্পট এবং কামুক এটাই হলো আসল কথা। আর ঐটাকেই আপনারা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানুষের তকমা লাগিয়ে দিয়ে রাত দিন চিৎকার করছেন, এটাই হলো প্রব্লেম। সেজন্যই এত কথা।
@mkfaruk,
উকিল কেন, কোন অতিমানব বা এমনকি ইশ্বরেরও ক্ষমতাও নেই সৎভাবে, সুযুক্তির দ্বারা সত্যি কে মিথ্যা বা মিথ্যাকে সত্য প্রমাণ করা । যারা করার দাবী করে তারা কোন এক ফাঁকে কুযুক্তি বা ভুল তথ্যের আশ্রয় নেয়। অসাধু উকিলেরাও তাই করে। আপনি সূত্র উল্লেখ না করে নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে যুক্তি দিচ্ছেন। সেটা কি সুযুক্তি না কুযুক্তি? আপনার মত মনের মাধুরী মিশানো যুক্তির দ্বারাই কেবল সত্যকে মিথ্যা, আর মিথ্যাকে সত্য প্রমান করার ইল্যুসান তৈরী সম্ভব। যুক্তিবাদীরা সুত্র, যুক্তির নিয়মের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে সত্য প্রতিষ্ঠার বা মিথ্যা কে উন্মোচনের চেষ্টা করেন। এই প্রক্রিয়ায় সত্যকে মিথ্যা, আর মিথ্যাকে সত্য প্রমান করার ইল্যুসান তৈরী করা অসম্ভব। আর আপনাকে আবার এক অনুরোধ করব। এই ফোরামে দুরককম পাঠক আছে। যারা আপনার মত অন্ধ বিশ্বাস করেন আর বাকীরা (সু)যুক্তির মাধ্যমে সত্যকে জানতে চান। প্রথম পাঠকের জন্য আপনার এখানে লেখা বাড়তি, অপ্রয়োজনীয়। আর দ্বিতীয় শ্রেণীর জন্য আপনার লেখা বৃথা, কারণ তারা সুত্র, সুযুক্তি ব্যতীরেকে কোন কথাই মানতে রাজী না।
@mkfaruk, ভাই, এই তাফসির কি আপনার লেখা? পুরাই হিন্দী সিরিয়াল হয়ে যাচ্ছে। ধর্মকে ডিফেন্ড করার দায় তো আপনার কাঁধে ঈশ্বর চাপায় নি। আল্লাহ বলেছেন তিনিই কোরআনকে রক্ষা করবেন। যদি তার সাধ্য থাকে তাহলে এখানে এসে একটা রিপ্লাই দিলেই হয়। তার হয়ে আপনি লড়তে এসে কেন খামাখা নিজেকে হাসির পাত্র বানাচ্ছেন?
@সত্যান্বেষী,
বিষয়টা ওভাবে কেন নিচ্ছেন? সবাই একতরফা বললে সেটা কি গ্রহণযোগ্য হবে? বিপক্ষে কাউকে না কাউকে তো থাকতে হবে। আর তাই বিপক্ষে অংশ নেয়া- এরকমই ধরে নেন না।
@সম্মনিত পাঠক,
আর্টিকেলের লেখক এর উদ্দেশ্য কি তা পরিস্কার। তিনি ইচ্ছেকৃতভাবে কোরআনের আয়াতসমূহ নাযিল হওয়ার কারণ গোপন করছেন পাঠকদের চোখে ধূলো দেবার জন্যে। প্রথমে আমরা দেখব মুহম্মদের বিবাহ সম্বন্ধে। উপরের আর্টিকেলটি তো আপনারা পড়েছেন এখন আমার লেখাটা পড়ুন।–
বিবি খাদিজা: পূর্ণ নাম- খাদিজা বিনতে খোওয়াইলিদ। তিনি আত্মীয়তার দিক থেকে মুহম্মদের দূর সম্পর্কের চাচাত বোন। সেই আমলে যখন নারী জাতির দুর্গতির ও লাঞ্ছনার যেখানে সীমা ছিল না তখন এই সতী-সাধ্বী নারী শূচিতায় ও শুভ্রতায় ছিলেন অনন্যা। এ কারণে অনেকে তাকে তাহেরা নামেও সম্বোধন করত। তার দু‘বার বিবাহ হয়েছিল, কয়েকটি সন্তানও (জয়নব, রোকাইয়া ও উম্মে কূলসুম) ছিল। তার স্বামী আতিক বা আবি হালার মধ্যে কেউ একজন মৃত্যুকালে অগাধ ধন-সম্পত্তি রেখে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি তার ঐ স্বামীর বিস্তৃত বাণিজ্যের হাল ধরেন। কর্মচারীর মাধ্যমে তিনি নানা দেশে বাণিজ্য পরিচালনা করতেন এবং নিজেই সমস্ত বিষয়ের তত্ত্বাবধান করতেন। (বিদ্র: অনেকে অবশ্য একথা বলেন যে খাদিজা অবিবাহিতা ছিলেন এবং তিনি তার পিতৃ ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। আর কন্যা তিনটি (জয়নব, রোকাইয়া ও উম্মে কূলসুম) তার অকালে মৃত্যুবরণ করা বোন হালার।আর সুন্নী মুসলমাদের অধিকাংশ বিশ্বাস করেন এ সন্তানগুলি মুহম্মদের।)
মুহম্মদ যখন ২০ বৎসর বয়সে পদার্পণ করেন, তখন খাদিজার নিকট থেকে তিনি তার সিরিয়াগামী এক বাণিজ্য বহর পরিচালনার দায়িত্বভার পান। আর মুহম্মদ বিজ্ঞতার সঙ্গে ঐ বাণিজ্যকর্ম সম্পাদন করেছিলেন এবং খাদিজাও তার কর্তব্য কর্মে খুবই সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। এই প্রতিক্রিয়া ক্রমশঃ অনুরাগে রূপান্তরিত হয়। তার আগ্রহে এবং মুহম্মদের সম্মতিতে উভয়পক্ষের অভিভাবকদের মধ্যে বিবাহের প্রস্তাব ও আলোচনা হল। মুহম্মদের পক্ষে তার চাচা আবু তালিব এবং খাদিজার পক্ষে তার চাচা আমর বিন আসাদ এই বিবাহে অভিভাবকত্ব করেন।
বিবি খাদিজার পিতা খোওয়াইলিদ ফিজার যুদ্ধের পূর্বেই মারা গিয়েছিলেন। এ কারণে এই বিবাহে তার চাচা আমর বিন আসাদ যথানিয়মে কন্যা সম্প্রদান করেন।
বিবাহের সময় মুহম্মদের বয়স ছিল পঁচিশ ও তার স্ত্রীর চল্লিশ। দু‘জনের মধ্যে বয়সের তারতম্য থাকা সত্ত্বেও একে অন্যের প্রতি তাদের ভালবাসা ছিল প্রগাঢ়। এই বিবাহ মুহম্মদের জন্যে বয়ে এনেছিল শান্তি ও প্রত্যাহিক পরিশ্রম থেকে মুক্তি, যা তার মনকে প্রস্তুত করার জন্যে অপরিহার্য ছিল। এ ছাড়াও তিনি লাভ করেছিলেন এক অনুরক্তা স্ত্রীর হৃদয়, যিনি সর্বপ্রথম তার নব্যুয়তে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন। বিবি খাদিজার জীবিত অবস্থায় মুহম্মদ অন্যকোন পত্নী গ্রহণ করেননি।
বিবি সওদা: কুরাইশদের পৌত্তলিকতা থেকে ফেরানোর কাজে হতাশ হয়ে মুহম্মদ অন্যত্র তার প্রচার কাজ চালানোর সংকল্প গ্রহণ করেন। মক্কা তার বাণীকে প্রত্যাখান করেছে, তায়েফ হয়তঃ তার বাণী শুনতে পারে এই আশা নিয়ে তিনি জায়েদকে সঙ্গে নিয়ে তায়েফবাসীদের কাছে যান। সেখান থেকে মক্কায় ফিরে আসার অল্পদিন পর মুহম্মদ সওদা বিনতে জামায়া নাম্নী এক বর্ষীয়ান বিধবাকে বিবাহ করলেন। বিবি সওদার প্রথম স্বামীর নাম ছিল সাকরান, আস সাকরান বিন আমর। তারা উভয়ে এক সাথে মুসলমান হন এবং একসাথে আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন। অতঃপর স্বামীর মৃত্যুতে তিনি মক্কায় ফিরে আসেন। এসময় এই নিরাশ্রয়, নিঃসহায় মহিলাটির অবস্থা চরম শোচনীয় হয়েছিল।
বিবি সওদার যৌবণ অতিক্রান্ত হয়েছিল। তিনি মুহম্মদের খেদমতে উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘হযরত বিবাহ করার সাধ আমার নেই। তবে আমি কেয়ামতে আপনার সহধর্মিনীরূপে উত্থিত হবার বাসনা করি।’
মুহম্মদ তাকে স্ত্রীরূপে বরণ করে নিলেন। নবু্য়্যতের দশম বৎসরের শাওল মাসে এই বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এসময় বিবি সওদার বয়স ছিল ৫৫ বৎসর।
বিবি আয়েশা: বিবি সওদাকে বিবাহ করার কিছুদিন পর মুহম্মদ আবু বকরের কন্যা আয়েশাকে বিবাহ করেছিলেন। আবু বকরের সাধ ছিল তিনি আল্লাহর রসূলের সাথে রক্তের সম্পর্ক স্থাপন করেন। তাই তিনি বিবাহের বয়স না হলেও তার কন্যা আয়েশাকে পত্নীরূপে গ্রহণ করতে মুহম্মদকে অনুরোধ করেন। মুহম্মদ আবু বকরের এ বাসনা পূর্ণ করেন। এসময় আয়েশার বয়স ছিল ৯ বৎসর। (এখানে আয়েশার এই যে ৯ বৎসর বয়স উল্লেখ করলাম এই বয়সটা কিন্তু লেখক উল্লেখ করেননি তিনি বলেছেন ৬ আর প্রমান হিসেবে দিয়েছেন বুখারীর হাদিস। কিন্তু যারা অধিক পড়াশোনা করেছেন তারা জানেন আয়েশার বয়স ৬ না ৯ এটা বিতর্কিত। আর আমরা জানি বুখারীর হাদিস হলেই তা সত্য নয়- আকরাম খাঁর মুস্তফা চরিতটা পড়া থাকলে এটা সবার কাছে পরিস্কার হবে।)
যাহোক, বিবাহের তিন বৎসর পর আয়েশা স্বামীর ঘর করতে আসেন। (কেননা ইতিমধ্যে আবু বকর তার পরিবারকে মক্কা থেকে মদিনায় নিয়ে এসেছিলেন।) আর বয়োবৃদ্ধ বিবি সওদা ঐ সময় নিজের দাম্পত্যাধিকার আয়েশাকে দান করেছিলেন।
বিবি হাবসা: প্রকৃত নাম হাফসা বিনতে ওমর। তার স্বামী খুনাইস ইবনে হুদাইফা বদর যুদ্ধে নিহত হন। তার বয়স আয়েশার কাছাকাছি। হযরত ওমর তার এই বিধবা কন্যাকে বিবাহের জন্যে ওসমানকে প্রস্তাব দেন। কিন্তু ওসমান প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিলে তিনি আবু বকরকে প্রস্তাব দেন। কিন্তু আবু বকরও প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন কেননা হাবসা ছিলেন মুখরা। এতে ওমর অপমানিত বোধ করেন এবং খোলা তরবারী হাতে বেরিয়ে আসেন। এই বিবাদের সুষ্ঠ ফয়সালা করতে মুহম্মদ হাবসাকে বিবাহের প্রস্তাব দেন। হিজরী ৩য় সনে এই বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। বিবাহের পর সমবয়সী হওয়ায় আয়েশা ও হাবসার মধ্যে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
বিবি জয়নব: তার পূর্ণ নাম জয়নব বিনতে খোজাইমা। বদর যুদ্ধে তার স্বামী ওবায়দা বিন আল হারিস আহত হন এবং পরে মারা যান। এসময় তার বয়স ছিল আয়েশা ও হাবসার কাছাকাছি। তিনি অসম্ভব দয়ালূ ছিলেন দরিদ্রদের প্রতি। এ কারণে তাকে ‘উম্মূল মাসাকিন’ বা ‘দরিদ্রের মাতা’ বলা হত। ইদ্দত শেষে মুহম্মদ তাকে বিবাহ করেন। ৪র্থ হিজরীতে এই বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বিবাহের আট মাস পরে সামান্য অসুখে তিনি মারা যান।
উম্মে সালমা: তার পূর্ণ নাম হিন্দ বিনতে আবি উমাইয়া। তার স্বামী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল আসাদ ওহোদ যুদ্ধে আহত ও পরে মারা যান। এসময় গর্ভবতী অবস্থায় ৩টি ছোট ছোট সন্তান নিয়ে তিনি বেশ বিপদে পড়েন। ইদ্দত শেষে সালমাকে বিবাহের জন্যে আবু বকর ও ওমর প্রস্তাব দেন। কিন্তু সালমা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। পরবর্তীতে মুহম্মদ প্রস্তাব দিলে তিনি তা গ্রহণ করেন। মুহম্মদের সঙ্গে বিবাহের সময় তার বয়স ছিল ২৯। মুহম্মদের সকল স্ত্রীদের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বাপেক্ষা রুপবতী এবং সকলের অপেক্ষা অধিক আয়ূ প্রাপ্ত। ৮৪ বৎসর বয়সে তিনি মারা যান।
বিবি জয়নব: হিজরী ৫ম সনের শেষভাগে মুহম্মদ জয়নব বিনতে জহসকে বিবাহ করেন। মুহম্মদ তার এই ফুফাত বোন জয়নবের সাথে মুক্তদাস জায়েদের বিবাহ দিয়েছিলেন। তিনি যখন জায়েদের সঙ্গে জয়নবের এই বিবাহের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন তখন জয়নব ও তার ভ্রাতা আব্দুল্লাহ ইবনে জহস এই সম্বন্ধ স্থাপনে ‘আমরা বংশ-মর্যাদায় তার চাইতে শ্রেষ্ঠ ও উন্নত।’ -এই বলে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছিলেন। তখন মুহম্মদ তাদেরকে বিবাহে রাজী হতে নির্দেশ দিলেন। কিন্তু তারা এই নির্দেশও উপেক্ষা করলেন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াত নাযিল হল-আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে-সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়।(৩৩:৩৬) জয়নব ও তার ভ্রাতা এ আয়াত শুনে তাদের অসম্মতি প্রত্যাহার করে নিয়ে বিবাহে রাজী হয়েছিলেন।
বিবাহ হলেও অত্যন্ত সুন্দরী, সম্ভ্রান্ত ও সম্পদশালী পরিবারে জন্মগ্রহণ করা জয়নব মুক্ত ক্রীতদাস স্বামী জায়েদকে মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেননি। তাছাড়া মুহম্মদের সহধর্মিনী হবার সাধ তার পূর্ব হতেই ছিল। তিনি প্রায়শঃ জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে জয়েদকে তুচ্ছ প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে বলতেন যে, এমনকি হযরতও তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছেন। (মুহম্মদ জায়েদের বাড়ীতে কোন একবার জয়নবের অনাবৃত মুখ দর্শণ করে স্বাভাবিক প্রশংসায় বলেছিলেন, ‘হৃদয়ের অধিপতি আল্লাহর জন্যে সর্ববিধ প্রশংসা।’) তিনি এটা করতেন এমনভাবে, যা শুধুমাত্র নারীরাই জানে কিভাবে তা করতে হয় এবং স্বাভাবিকভাবে তা জায়েদের মনঃস্তাপ বৃদ্ধি করেছিল এবং এই বিতৃষ্ণা একসময় তাকে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্ররোচিত করল।
জায়েদ তাকে পরিত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন এবং মুহম্মদের কাছে তা প্রকাশ করলেন। এতে মুহম্মদ তাকে বললেন, ‘তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছে থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর।’
জায়েদ জয়নবের বিরুদ্ধে ভাষাগত শ্রেষ্ঠত্ব, গোত্রগত কৌলিন্যাভিমান এবং আনুগত্য ও শৈথিল্য প্রদর্শণের অভিযোগ উত্থাপন করলেন এবং মুহম্মদের নিষেধ সত্ত্বেও তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন না। মুহম্মদ এতে দুঃখিত হয়েছিলেন কারণ তিনিই এই বিবাহ-বন্ধনের আয়োজন করেছিলেন।
এদিকে তালাক সংগ্রহের পর জয়নব মুহম্মদকে তাকে বিবাহ করার জন্যে সানুনয় অনুরোধ চালিয়ে যেতে থাকলেন। তখন তাকে বিবাহ করার বাসনা মনে জাগলেও মুহম্মদ দ্বিধা-দ্বন্ধে ছিলেন লোকনিন্দার ভয়ে, এই ভেবে- এ বিয়ে বৈধ না অবৈধ হবে। অতঃপর নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হবার পর তিনি জয়নবকে বিবাহ করেন।
এই বিবাহের পরও জায়েদ এবং মুহম্মদের মধ্যে শুরু-শিষ্য সম্পর্কের সামান্যতম অবনতি ঘটেনি।
এ সংক্রান্ত কোরআনের আয়াতসমূহ- আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন; তুমিও যাকে অনুগ্রহ করেছ; তাকে যখন তুমি বলেছিলে, ‘তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছে থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর।’
তুমি অন্তরে এমন বিষয় গোপন করছিলে, যা আল্লাহ প্রকাশ করে দেবেন। তুমি লোকনিন্দার ভয় করছিলে, অথচ আল্লাহকে ভয় করা উচিৎ।(৩৩:৩৭)
‘তুমি যে স্ত্রীকে মায়ের মত বলে বর্জন কর আল্লাহ তাকে সত্যিই তোমার মা করেননি, অথবা যাকে তুমি আপন পুত্র বলে ঘোষণা কর, তাকে তোমার প্রকৃত পুত্র করেননি, এ সমস্ত তোমার মুখের কথা মাত্র। আল্লাহ ন্যায় কথা বলেন এবং পথ প্রদর্শণ করেন। পালিত পুত্ররা তাদের আপন পিতার নামে পরিচিত হোক এ-ই আল্লাহর কাছে অধিকতর ন্যায়সঙ্গত। যদি তোমরা তাদের পিতৃ পরিচয় না জান তবে তারা তোমাদের ধর্মীয় ভাই ও বন্ধুরূপে গণ্য হবে। এ ব্যাপারে তোদের কোন বিচ্যূতি হলে গোনাহ নেই তবে ইচ্ছেকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’(৩৩:৪-৫)
তোমার পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়, তুমি তার অনুসরণ কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন।(৩৩:২) আল্লাহ নবীর জন্যে যা নির্ধারণ করেন তাতে তার কোন বাঁধা নেই। পূর্ববর্তী নবীদের ক্ষেত্রে এটাই ছিল আল্লাহর চিরাচরিত বিধান। আল্লাহর আদেশ নির্ধারিত, অবধারিত।(৩৩:৩৮)
এই বিবাহ পৌত্তলিকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। তারা বিমাতা ও শাশুড়ীকে বিবাহ করত। কিন্তু দত্তক পিতা কর্তৃক দত্তক পুত্রের বিবর্জিত স্ত্রীকে বিবাহ করাকে নিন্দনীয় কাজ হিসেবে দেখত। কোরআনের এই আয়াত নাযিল হবার পর এই ভ্রম নিরসন করে। ‘কিন্তু জায়েদ যখন জয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে তোমার স্ত্রীরূপে দান করলাম, যাতে পালিত পুত্রের স্ত্রীদের বিবাহ করা সম্বন্ধে বিশ্বাসীদের মনে কোনরূপ খটকা না লাগে?’(৩৩:৩৭)
বিবি জুওয়াইরিয়া: বনি মুস্তালিকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত মুসলমানদের অভিযান সম্পূর্ণরূপে সফল হল। এই যুদ্ধে বেশ কয়েকজনকে বন্দী করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ছিলেন মুস্তালিক গোত্র প্রধান হারিস বিন আবু দিদার এর কন্যা জুওয়াইরিয়া।
গণিমতের বন্টনে জুওয়াইরিয়া, সাবেত ইবনে কায়েসের ভাগে পড়লেন। তখন তিনি কায়েসের সঙ্গে একটি কিতাবতের (নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়া) চুক্তি করলেন। এতে কায়েস তার জন্যে একটি মোটা অঙ্কের অর্থ (৯ উকিয়া স্বর্ণ) নির্ধারণ করলেন, যা পরিশোধ করা সহজ সাধ্য ছিল না। তখন তিনি মুহম্মদের কাছে এই অর্থের জন্যে আবেদন করলেন তার স্বাধীনতা ফিরে পাবার জন্যে।
তৎক্ষণাৎ তার আবেদন মঞ্জুর হয়ে গেল।
আবেদন মঞ্জুর হওয়াতে জুওয়াইরিয়া অভিভূত হয়ে পড়লেন। অতঃপর এই করুণার স্বীকৃতি ও কৃতজ্ঞতার প্রকাশ হিসেবে তিনি তৎক্ষণাৎ নিজেকে মুসলমান হিসেবে ঘোষণা দিলেন। সাথে সাথে তিনি মুহম্মদকে বিবাহ করারও প্রস্তাব পেশ করলেন। এসময় মুস্তালিক গোত্রপ্রধান কন্যাকে ফিরিয়ে নেবার আবেদন নিয়ে মুহম্মদের দরবারে হাযির হলেন। মুহম্মদ তাকে বললেন, ‘আপনি আপনার কন্যাকে জিজ্ঞেস করুন, তার মতামতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
অতঃপর হারিস কন্যার অভিমত জানতে চাইলে তিনি (কন্যা) বললেন, ‘আমি মুসলমান হয়েছি সুতরাং রসূলুল্লাহর আশ্রয় ছেড়ে অন্য কোথাও যাব না।’
মুহম্মদ তার অভিমত জানতে পেরে তাকে বিবাহ করে স্ত্রীর মর্যাদা দিলেন।
বিবি রায়হানা: প্রকৃত নাম রায়হানা বিনতে যায়েদ ইবনে আমর। ইহুদি গোত্র বনি কুরাইজা অঙ্গীকৃত চুক্তি ভঙ্গ করায় মুসলিম বাহিনী তাদের অবরোধ করে। অত:পর তারা আত্মসমর্পণ করে একটি মাত্র শর্তের বিনিময়ে যে তাদের বিচারের ভার আওস গোত্রের প্রধান সাদ বিন মু’আজের উপর নির্ভর করতে হবে। সাদ তাওরাতের বিধান অনুসারে তাদের বিচার করেন। এই বিচারে পুরুষদেরকে হত্যা করা হয় এবং নারীদেরকে দাসদাসী হিসেবে মুসলিমদের মাঝে বন্টন করা হয়। এই বন্টনে তরুনী রায়হানা মুহম্মদের ভাগে পড়ে। তিনি ছিলেন বনি নাজির গোত্রের কন্যা, কিন্তু বিবাহ সূত্রে বনি কুরাইজা গোত্রভুক্ত হয়েছিলেন।
যাইহোক, রায়হানাকে প্রস্তাব দেয়া হয় ইসলাম গ্রহণ করলে তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে মুহম্মদের কোন আপত্তি থাকবে না। কিন্তু তিনি ইসলাম গ্রহণে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। পরবর্তীতে অবশ্য তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মুহম্মদকে বিবাহ করেন। বিবাহের পর হিজাব পরিধানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করায় মুহম্মদের সঙ্গে তার বিরোধের সুত্রপাত হয়। কেউ কেউ বলেন মুহম্মদ তাকে ডিভোর্স দেন আর তিনি তার আত্মীয়দের মাঝে ফিরে যান। আবার কেউ কেউ বলেন, পরবর্তীতে তিনি দাসী হিসেবেই মুহম্মদের মারা যাবার বৎসর খানেক আগে মারা যান এবং তাকে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়।
বিবি সফিয়া: খায়বর যুদ্ধের সময় মারাত্মক কিছু অপরাধ সংঘটিত করার কারণে কামুস দূর্গের অধিপতি কেনানা, কেনানা ইবনে আল রবির প্রাণদন্ড দেয়া হয়েছিল। তার স্ত্রী সফিয়া, পূর্ণ নাম সফিয়া বিনতে হুয়াইয়া। তার অপূর্ব দৈহিক সৌন্দর্য্যের খ্যাতি ছড়িয়ে ছিল তার গোত্র মাঝে। খায়বর যুদ্ধের গনিমতের বন্টনে সে দেহয়ার ভাগে পড়েছিল, কেননা সেই তাকে বন্দী করেছিল। এতে সাহাবীরা মুহম্মদকে স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনি-সফিয়া একজন গোত্রপতির কন্যা। এ কথা জানতে পেরে মুহম্মদ দেহয়াকে বন্দীদের মধ্যে থেকে যে কোন একজনকে বেঁছে নিতে বলেন এবং সফিয়ার কাছে দু’টি বিকল্প প্রস্তাব পেশ করেন-
-তিনি স্বসন্মানে স্বাধীন ভাবে নিজ গোত্র মাঝে ফিরে যেতে পারেন, অথবা,
-মুসলমান হিসেবে মদিনাতে বসবাস করতে পারেন।
সফিয়া আল্লাহ ও তার রসূলকে বেঁছে নেন। এইসময় তার বয়স ছিল সতের বৎসর। পূর্ব থেকেই তিনি ইসলামের প্রতি অনুরাগিনী ছিলেন। মুহম্মদের অসাধারণ ব্যক্তিত্বের খ্যাতি তাকে মুগ্ধ করেছিল। তাই তিনি ইসলাম গ্রহণ করে তার সহধর্মিনী হবার আকাঙ্খা প্রকাশ করেন। মুহম্মদ তার এই আকাঙ্খা অপূর্ণ রাখেননি, তিনি তাকে বিবাহ করেছিলেন। বিবাহের পর প্রায় সমবয়সী আয়েশা ও হাবসার সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে।
বিবি মেরী: মুহম্মদ তার প্রচারিত ধর্ম সর্বমানবের কাছে পৌঁছিবে-যে উদার বাসনা দ্বারা তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তার অনুসরণে তিনি প্রতিবেশী রাজন্যবর্গ ও তাদের প্রজাকূলকে সত্যধর্ম ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিয়ে কতিপয় দূত প্রেরণ করেছিলেন। এইসব রাজন্যবর্গের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন গ্রীকসম্রাট হেরাক্লিয়াস, পারস্য সম্রাট খসরু পারভেজ ও মিসরের রোমান শাসনকর্তা মুকাউকিস। মুকাউকিস বিনয় নম্র ভাষায় মুহম্মদের পত্রের উত্তর দিয়েছিলেন এবং ইসলাম গ্রহণ ও বশ্যতার নিদর্শণস্বরূপ তার কাছে মেরী ও শিরী নাম্নী-দু‘জন খ্রীষ্টান কন্যা ও একটি দুষ্প্রাপ্য শ্বেতবর্ণের অশ্ব উপঢৌকন হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। মুহম্মদ এই উপহার প্রত্যাখ্যান করেননি। তিনি নিজে মেরীকে বিবাহ করেন এবং শিরীকে কবি হাসসানের সাথে বিবাহ দেন। এই মেরীর গর্ভেই মুহম্মদের ৪র্থ পুত্র ইব্রাহিম জন্মগ্রহণ করে। ইব্রাহিম ১৭/১৮ মাস বয়সের সময় মারা যায়। অশ্বটির নাম ছিল দুলদুল। তিনি প্রায়ই এতে সওয়ার হয়ে ঘুরে বেড়াতেন। তার মৃত্যুর পর ইমাম হোসেন এটিকে ব্যাবহার করতেন।
উম্মে হাবিবা: মক্কার কুরাইশদের অত্যাচারের কারণে মুসলমানদের দু’টি দল আবিসিনিয়ায় হিজরত করে এবং সেখানকার মহানুভব খৃষ্টান শাসক নাজ্জাসী তাদেরকে আশ্রয় দেন। মদিনাতে হিজরতের পর মুহম্মদ নাজ্জাসীর কাছে একটি পত্র দিয়েছিলেন। এতে সেখানে প্রবাসী মুসলমানদের পাঠিয়ে দেবার অনুরোধ ছিল। নাজ্জাসী মুহম্মদের এই অনুরোধ রক্ষা করেছিলেন।
প্রত্যাবর্তনকারী মুসলিম নরনারীদের মধ্যে আবু সুফিয়ানের কন্যা উম্মে হাবিবাও ছিলেন। আবিসিনিয়ায় তার স্বামী ওবায়দুল্লাহর মৃত্যুতে তিনি নিরাশ্রয় হয়ে পড়েন। এই ওবায়দুল্লা, ওবায়দুল্লা ইবনে জহস ছিলেন মুহম্মদের ম্ত্রী জয়নব বিনতে জহসের ভ্রাতা।
হাবিবা,পূর্বনাম রমলা, তিনি পিতা আবু সুফিয়ানের অনুরোধ, উপরোধ ও হুমকি উপেক্ষা করে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। মদিনায় আসার পর নিরাশ্রয়ী হাবিবাকে মুহম্মদ বিবাহ করে আপন পরিবারভূক্ত করে নেন। এই ঘটনা পরবর্তীতে আবু সুফিয়ানকে ইসলাম গ্রহণে অনেকাংশে প্রভাবিত করেছিল।
বিবি মায়মুনা: হিজরী সপ্তমবর্ষের শেষের দিকে (৬৩০ খৃষ্টাব্দ) ওমরা হজ্জ্ব পালনের জন্যে প্রায় দুই হাজার শিষ্যবৃন্দ সঙ্গে নিয়ে মুহম্মদ মক্কায় উপস্থিত হলেন। এই তীর্থযাত্রীদেরকে কুরাইশদের কিছু বলার ছিল না। যে তিনদিন ধরে উৎসব চলেছিল তারা নগর খালি করে দিয়েছিল এবং প্রতিবেশীর অট্টালিকার ছাদ থেকে তারা ভীষণ কৌতুহল নিয়ে মুসলমানদের হজ্জ্ববিধি পালন দেখেছিল।
যে তিন দিন মুহম্মদ মক্কায় ছিলেন ঐ সময়ে তার দূর সম্পর্কীয় আত্মীয় মায়মুনা, মায়মূনা বিনতে আল হারিস তার সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হওয়ার বাসনা নিয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। তিনি মুহম্মদের স্ত্রী জয়নব বিনতে খোজাইমার চাচাত বোন ছিলেন। তার প্রকৃত নাম বার্রা, মুহম্মদ এই নাম পাল্টিয়ে মায়মূনা রেখেছিলেন। মুহম্মদ মায়মূনার প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেননি, তিনি তাকে বিবাহ করেন। এসময় মায়মূনার বয়স ছিল ৩৬।
এই বিবাহের ফলে এবং যে আত্মসংযম ও অঙ্গীকৃত নীতির প্রতি বিবেকসম্পন্ন শ্রদ্ধাবোধ মুসলমানেরা দেখিয়েছিল তা ইসলামের শত্রুদের মধ্যে দৃশ্যতঃ বিশ্বাস সৃষ্টি এবং তাদের অনেককে ইসলাম গ্রহণে উৎসাহিত করেছিল। এসময় ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা ছিলেন আমর ইবনে আ‘স (আম্রত), খালিদ বিন ওয়ালিদ (মায়মুনার ভগ্নির পুত্র) যিনি ওহোদ যুদ্ধে কুরাইশদের অশ্বারোহী সৈন্য পরিচালনা করেছিলেন এবং ওসমান বিন তালহা। এরা অপ্রত্যাশিতভাবে মদিনায় এসে ইসলাম গ্রহণ করেন।
আমার এই লেখা পড়ে আপনাদের কি মনে হচ্ছে মুহম্মদের বিবাহের মধ্যে কোথাও বিশাল ঘাপলা আছে?
আমি আগেই বলেছি আর্টিকেলের লেখক আয়াতগুলি অবতরণের কারণ ব্যাখ্যা করছেন না তথ্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপনের জন্যে। শুধু তাই নয় একই সাথে অবতীর্ণ হওয়া কয়েকটি আয়াতকে তিনি ভেঙ্গে ভেঙ্গে তার সুবিধামত জায়গাতে ব্যবহার করছেন। যেমন ধরুণ (৩৩;৫০-৫২) যা একসাথে নাযিল হওয়া আয়াত। এর ব্যাখ্যা আমি দিয়েছি তার বিগত আর্টিকেলে তারপরও তিনি এটা ব্যবহার করছেন সেই একই উদ্দেশ্যে। যা হোক এর ব্যাখ্যা আমি আপনাদের স্বরণার্থে আবারও দিচ্ছি। আপনারা খুঁজে দেখুন তো কোন ভ্রান্তি ধরা পড়ে কিনা?-
পরপর কয়েকটি যুদ্ধে জয়লাভের পর যুদ্ধলব্ধ গনিমতের মালবন্টনের ফলে মুসলমানদের মধ্যে খানিকটা স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে এসেছিল। সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে প্রাচুর্য ও সম্পদ বৃদ্ধি দেখে এসময় মুহম্মদের স্ত্রীদের মাঝেও খানিকটা প্রাচুর্যের মাঝে জীবন-যাপনের অভিলাষ উদয় হল। তারা ভাবলেন রসুলুল্লাহর ভাগের গনিমতের মাল নিশ্চয় আছে। তাই তারা সমবেতভাবে মুহম্মদের কাছে নিবেদন করলেন, ‘হে রসূলুল্লাহ! পারস্য ও রোমের সম্রাজ্ঞীরা নানারকম অলংকার ও বহুমূল্যবান পোষাক-পরিচ্ছদ ব্যাবহার করে থাকে। আর তাদের সেবা-যত্নের জন্যে অনেক দাস-দাসীও রয়েছে। এদিকে আমাদের দারিদ্র-পীড়িত, জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থা তো আপনি নিজেই জানেন। তাই মেহেরবানী পূর্বক আমাদের জীবিকা ও অন্যান্য খরচাদির পরিমান খানিকটা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করুন।’
মুহম্মদ তার পুণ্যবতী স্ত্রীদের কাছ থেকে দুনিয়ার ভোগবিলাসী সুযোগ-সুবিধা প্রদান সংক্রান্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষভাবে মর্মাহত হলেন এই কারণে যে, তারা তার এতদিনের সংসর্গ ও কোরআনের জ্ঞান প্রশিক্ষণ লাভের পরও নবীগৃহের প্রকৃত মর্যাদা অনুধাবণ করতে সক্ষম হননি। অবশ্য স্ত্রীরা কিন্তু ধারণা করতে পারেননি যে, এতে তিনি দুঃখিত হবেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াত নাযিল হল- হে নবী! তোমার পত্নীদেরকে বল, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার বিলাসিতা কামনা কর, তবে এস আমি তোমাদের ভোগের ব্যবস্থা করে দেই এবং উত্তম পন্থায় তোমাদেরকে বিদায় দেই। পক্ষান্তরে যদি তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূল ও পরকাল কামনা কর, তবে তোমাদের সৎকর্মপরায়ণদের জন্যে আল্লাহ মহাপুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন।(৩৩:২৮-২৯)
এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর মুহম্মদ সর্বপ্রথম বিবি আয়েশাকে ডেকে বললেন, ‘আমি তোমাকে একটা কথা বলব- উত্তরটা কিন্তু তাড়াহুড়ো করে দেবে না বরং তোমার পিতা-মাতার সাথে পরামর্শের পর দেবে।’
তিনি বিবি আয়েশাকে আয়াতগুলো পাঠ করে শোনালেন।
বিবি আয়েশা-তাকে তার পিতা-মাতার সাথে পরামর্শ না করে মতামত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে বলা থেকে- তার প্রতি মুহম্মদের এক অপার অনুগ্রহ দেখতে পেলেন, তিনি আরও ভাবলেন- মুহম্মদ নিশ্চিত জানতেন তার পিতামাতা কখনও তাকে তার থেকে বিচ্ছিন্নতা অবলম্বণের পরামর্শ দেবেন না। সুতরাং আয়াতগুলো শোনার পর তিনি আরজ করলেন, ‘এখন এই ব্যাপারে আমার পিতামাতার পরামর্শ গ্রহণের জন্যে আমি যেতে পারি কি? আমি তো আল্লাহ ও তাঁর রসূল ও পরকালকে বরণ করে নিচ্ছি।’
বিবি আয়েশার পর অন্যান্য পত্নীদেরকেও কোরআনের এই নির্দেশ শোনান হল। তারা সকলেই আয়েশার মত একই মত ব্যক্ত করলেন অর্থাৎ কেউই তার সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক মোকাবেলায় ইহলৌকিক প্রাচুর্য ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গ্রহণ করতে সম্মত হলেন না।
নবীপত্নীদের এহেন সিদ্ধান্তে তাদেরকে পুরস্কার স্বরূপ আল্লাহ মুহম্মদকে কিছু উপদেশ দিয়ে তার স্ত্রী গ্রহণের সীমা নির্ধারণ করে দেন।
এ সংক্রান্ত আয়াতসমূহ-হে নবী! তোমার জন্যে তোমার স্ত্রীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে তুমি মোহরানা প্রদান কর। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ তোমার করায়াত্ত করে দেন এবং বিবাহের জন্যে বৈধ করেছি তোমার চাচাত ভগ্নি, ফুফাত ভগ্নি, মামাত ভগ্নি, ও খালাত ভগ্নিকে যারা তোমার সাথে হিজরত করেছে।
কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পণ করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে তোমারই জন্যে- অন্য মুমিনদের জন্যে নয়। তোমার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে। মুমিনদের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
তুমি ইচ্ছে করলে তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছে দূরে রাখতে পার এবং যাকে ইচ্ছে কাছে রাখতে পার। তুমি যাকে দূরে রেখেছ, তাকে কামনা করলে তাতে তোমার কোন দোষ নেই। এতে অধিক সম্ভবণা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে; তারা দুঃখ পাবে না এবং তুমি যা দাও, তাতে তারা সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে, আল্লাহ জানেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।
এরপর তোমার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য তোমাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ দৃষ্টি রাখেন।(৩৩:৫০-৫২)
এখন কি উপরের ৩৩:৫০, ৩৩;৫১, ৩৩;৫২ আয়াতগুলির মধ্যে কোন ফাঁক দেখা যাচ্ছে? মনে কি হচ্ছে আয়াতগুলির মধ্যে কোন অভিসন্ধি লুকিয়ে আছে? আয়াতগুলি একটি থেকে আরেকটিকে আলাদা করার উপায় আছে? কারা আলাদা করবে, আর কেনই আলাদা করবে তা বূঝতে কি আপনাদের এখন অসুবিধা হচ্ছে?
অতঃপর নবী পত্নীদের নিজেদের সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে সচেতন করে দিয়ে তাদেরকে তাদের চলাফেরা ও আচার আচরণের উপদেশ সম্বলিত এই আয়াতসমূহ নাযিল হল- হে নবী পত্নীরা! তোমাদের মধ্যে কেউ প্রকাশ্য অশ্লীল কার্য করলে তাকে দ্বিগুণ শাস্তি দেয়া হবে। এটা আল্লাহর জন্যে সহজ। তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ ও তার রসূলের অনুগত হবে এবং সৎকর্ম করবে আমি তাকে দু‘বার পুরস্কার দেব এবং তার জন্যে আমি সম্মানজনক রিজিক প্রস্তুত রেখেছি।
–হে নবী পত্নীরা! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গীতে কথা বোলও না, ফলে সেই ব্যক্তি কু-বাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে। তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শণ করবে না। নামাজ কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে।
–হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ! আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে। আল্লাহর আয়াত ও জ্ঞানগর্ভ কথা, যা তোমাদের গৃহে পঠিত হয় তোমরা সেগুলো স্মরণ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ সূক্ষ্মদর্শী, সর্ববিষয়ে খবর রাখেন।(৩৩:৩০-৩৪)
এখন আমরা দেখি লেখকের এই কথার সত্যতা। ইতিপূর্বে বিগত আটিকেলে লেখক বিদ্বেষবশত: মদিনার আশেপাশের ইহুদিগোত্রগুলো সম্পর্কে একই ধরণের কথা বলাতে আমি সেখানে প্রমান করেছি যে, মদিনার আশে পাশের ইহুদি গোত্র বনি নাজির, বনি কুরাইজা ও বনি কাইনূকার প্রতি বিন্দুমাত্র অবিচার করা হয়নি বরং তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতিই অবিচার করেছিল। মুহম্মদ এবং মুসলিমরা তাদের ধৈর্য্য ও সহনশীলতার পরিচয় তাদের ক্ষেত্রে দেখিয়েছে। এখন আমরা দেখি খায়বরের ইহুদিদের ঘটনাটা কি?
মদিনা থেকে বিতাড়িত ইহুদিরা তাদের স্বগোত্রীয় লোকদের কাছে খায়বরে আশ্রয় নিয়েছিল। খায়বর শব্দের অর্থ সুরক্ষিত স্থান। এখানে অনেকগুলি সুরক্ষিত দূর্গ ছিল যাদের মধ্যে আল কামুস ছিল প্রধান।
খায়বরের ইহুদিরা পূর্ব থেকেই মুসলমানদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ও দুর্দমনীয় বিদ্বেষ পোষণ করত এবং তাদের স্বগোত্রীয় লোকদের আগমনে এই অনুভূতি একটি প্রবল শক্তিতে রূপান্তরিত হল। তারা একটি প্রাচীন চুক্তির মাধ্যমে বনি গাতাফানদের বেদুইন দল ও অন্যান্য গোত্রের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হল এবং মুসলমানদের ধ্বংস সাধনের নিমিত্তে একটি সম্মিলিত দল গঠনের চেষ্টা চালাতে লাগল।
মুহম্মদ তাদের ক্ষতিসাধনকারী শক্তি স¤পর্কে অবহিত ছিলেন। ফলে তাদের সম্মিলিত শক্তি প্রয়োগের কু-ফল এড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী হয়ে পড়ল। সুতরাং হুদাইবিয়া থেকে ফিরে আসার কয়েক সপ্তাহ পরে, ৭ম হিজরীর মুহররম মাসের প্রথমদিকে চৌদ্দশত সৈন্যের এক বাহিনী খায়বরের বিরুদ্ধে প্রেরিত হল।
এটাই হচ্ছে খায়বর অভিযানের কারণ, মুহম্মদের বা মুসলিমদের কোন দোষ দেখা যাচ্ছে কি? আর গোত্র প্রধান কিনানের স্ত্রী সফিয়ার ব্যাপারটা তো উপরেই উল্লেখ করেছি।
মরুবাসী কিছু মুসলমানও কোন কারণ ছাড়াই হুদাইবিয়া গমনে বিরত ছিল। তারা এবং কিছু মুনাফেক যুদ্ধলব্ধ সম্পদের লোভে এসময় এই যুদ্ধে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু এসব আগ্রহ উপেক্ষা করে এই যুদ্ধে যোদ্ধা হিসেবে কেবল হুদাইবিয়াতে গমনকারীদেরই রাখা হয়েছিল। কেননা ইতিমধ্যেই হুদাইবিয়া গমনে বিরত থাকা মুনাফেকদের সম্পর্কে এই আয়াত নাযিল হয়েছিল- ‘তোমরা যখন যুদ্ধলব্ধ ধন-সম্পদ সংগ্রহের জন্যে যাবে, তখন যারা পশ্চাতে থেকে গিয়েছিল, তারা বলবে, ‘আমাদেরকেও তোমাদের সঙ্গে যেতে দাও।’ তারা আল্লাহর কালাম পরিবর্তণ করতে চায়। বল, ‘তোমরা কখনও আমাদের সঙ্গে যেতে পারবে না। আল্লাহ পূর্ব থেকেই এরূপ বলে দিয়েছেন।’ তারা বলবে, ‘বরং তোমরা আমাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করছ।’ পরন্তু তারা সামান্যই বোঝে।’(৪৮:১৫)
এখন আমরা একথার সত্যতা বিচার করব। দেখতে চেষ্টা করব আয়াতটি অবতরণের পটভূমি কি?
ইসলাম গ্রহণকারীদেরকে একে একে গ্রেফতার করা হতে লাগল। তাদেরকে মরুভূমির উত্তপ্ত বালুতে প্রচন্ড রোদে রাখা হল এবং প্রচন্ড পিপাসায় যখন তারা মূমুর্ষ, তখন তাদের দু’টি প্রস্তাবের যে কোনটি বেঁছে নিতে বলা হল-‘স্বগোত্রীয ধর্মে ফের নতুবা মৃত্যুবরণ কর।’ কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ দল মুহম্মদের শরীয়তে অবিচলভাবে লেগে থাকলেন। এভাবে রামফার পাহাড় ও বাসা নির্মম অত্যাচারের লীলাভূমিতে পরিণত হল।
বেলাল, যিনি ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জ্বিন হয়েছিলেন, তাকে তার মনিব উমাইয়া বিন খলফ গ্রীস্মের দুপুরে সূর্য যখন মাথার উপরে থাকত, তখন তাকে খোলা মাঠে সূর্যের দিকে মুখ করে খালি পিঠে বুকে একখানা বড় পাথর চাপা দিয়ে শুইয়ে বলতেন, ‘যতদিন না তুমি মরবে বা ইসলাম পরিত্যাগ করবে ততদিন পর্যন্ত তোমাকে এই শাস্তি ভোগ করতে হবে।’
দিনের পর দিন এই অত্যাচার চলতে থাকায় তিনি মূমুর্ষ হয়ে পড়লেন। এসময় আবু বকর অতিরিক্ত বন্দীপণ দিয়ে তাকে মুক্ত করলেন।
খোবাই বিন আদিকে বিশ্বাসঘাতকতার মধ্যে দিয়ে কুর
@mkfaruk,
@ মডারেটর
আমার মন্তব্যের অর্ধেক এসেছে বাকী অর্ধেক আসেনি। সংশোধনের অনুরোধ রইল।
@mkfaruk,
আর্টিকেলের বাকী অংশ পুন: পোষ্ট করলাম। কেননা উপরে আমার মন্তাব্যে সেটা আসেনি।
আর্টিকেলের বাকী অংশ পুন: পোষ্ট করলাম। কেননা উপরে আমার মন্তাব্যে সেটা আসেনি।
কুরাইশদের কাছে বিক্রয় করা হয়েছিল। ইসলাম গ্রহণ করার কারণে কুরাইশরা তার শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে মাংস কেটে নিয়ে তাকে প্রতিবার জিজ্ঞেস করত, মুহম্মদের অবস্থা তার মত হোক সে কি তা চায়? তিনি প্রত্যেকবার উত্তরে বলতেন, ‘মুহম্মদের গায়ে একটি কাঁটা বিদ্ধ না হোক এই শর্তে আমি আমার পরিবার, ধন-স¤পদ ও সন্তান-সন্তুতির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাইনে।’
নির্মম অত্যাচারে তিনি মারা গেলেন।
ওসমান (যার সাথে মুহম্মদ পরর্তীতে তার কন্যা রোকাইয়াকে বিবাহ দিয়েছিলেন) যখন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তখন কুরাইশরা তার পিতৃব্যের সাথে যোগ দিয়ে প্রত্যহ তাকে হাত পা বেঁধে নির্মমভাবে প্রহার করত। ওসমান আল্লাহর নামে সমস্তই সহ্য করতেন।
খাব্বারকে কুরাইশরা জলন্ত অগ্নির উপর শায়িত করে বুকে পা চাপা দিয়ে রাখত। আর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শোয়েব দেশত্যাগ করলেন।
মুহম্মদ প্রায়শঃ এসব অত্যাচার, জুলুম, দুঃখ-দুর্দশার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন এবং অতি আশ্চর্য ছিল এই যে, নব-দীক্ষিতরা ইসলাম গ্রহণের পর, স¤পদ এবং পার্থিব জীবনের মোহের প্রতি সম্পূর্ণ উদাসীন হয়ে পড়েছিলেন।
যারা গ্রেফতার হয়েছিলেন তাদের মধ্যে আরও ছিলেন আম্বার, তার পিতা ইয়াসির, মাতা সামিয়া, সুহায়েব প্রমুখ। এসব গ্রেফতারকৃত নবদীক্ষিতদেরকে কুফরী অবলম্বণ করতে বলা হল। কিন্তু তাদের অস্বীকৃতির কারণে তাদের উপর কুরাইশরা অত্যাচারের চুড়ান্ত করে ছাড়ল। তারা ইয়াসিরের দু’পা দু’টি উটের সাথে বেঁধে উট দু’টিকে বিপরীত দিকে চালনা করে তার দেহ দু’টুকরো করে ফেলল। পুত্র আম্বারকে প্রহার করে মূুমুর্ষ করল।
চোখের সামনে স্বামীর মৃত্যু ও পুত্রের মুমুর্ষ অবস্থা দেখে সামিয়া একমনে পাঠ করছিলেন- ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লা’, এসময় আবু জেহেল তাকে বর্শা বিদ্ধ করে হত্যা করলেন। আম্বার এসময় প্রাণের ভয়ে কুফরীর স্বীকারোক্তি করে ফেললেন।
শত্র“র কবল থেকে মুক্তি পেয়ে আম্বার মুহম্মদের কাছে উপস্থিত হয়ে অত্যন্ত দুঃখের সাথে ঘটনাটি বর্ণনা করলেন। মুহম্মদ তাকে আশ্বস্ত করে বললেন, ‘সেইসময় তোমার অন্তর ঈমানে দৃঢ় থাকলে এই স্বীকারোক্তির জন্যে তোমাকে কোন শাস্তি পেতে হবে না।’
মুহম্মদের এই সিদ্ধান্তের সত্যায়নে এই আয়াত নাযিল হয়েছিল-যার উপর জবরদস্তি করা হয় এবং তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে সে ব্যতিত যে কেউ বিশ্বাসী হওয়ার পর আল্লাহতে অবিশ্বাসী হয় এবং কুফরীর জন্যে মন উন্মুক্ত করে দেয় তাদের উপর আপতিত হবে আল্লাহর গজব এবং তাদের জন্যে রয়েছে শাস্তি।(১৬:১০৬)এখন কি আযাতটি বুঝতে কারও অসুবিধা হচ্ছে?
উক্ত আয়াতে বলছে- যদি কোন ব্যক্তির অন্তরে বিশ্বাস অটুট থাকে অথচ কোন ভিন্ন পরিবেশে তার ওপর জবরদস্তি করা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে সে অবিশ্বাসীর মত কাজ করতে পারবে, তবে স্বেচ্ছায় তা করা গুনাহ ও কঠিন শাস্তি তার জন্য রয়েছে।
এবার আমরা লেখকের এই বক্তব্যের সত্যতা নির্ণয় করব। সুতরাং প্রথমে আমাদের দেখতে হবে কি কারণে আয়াতটি নাযিল হয়েছে-
মুহম্মদ যখন পৌত্তলিক কুরাইশ ও তাদের মিত্র বনি বকরদের বিরুদ্ধে খুবই গোপনে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, সেইসময় সারা নাম্নী এক গায়িকা মদিনায় আগমন করল। তাকে মুহম্মদের কাছে হাযির করা হলে তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি হিযরত করে মদিনায় এসেছ?’
সে বলল, ‘না।’
তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তবে কি তুমি মুসলমান হয়ে এসেছ?’
সে এবারও বলল, ‘না।’
তিনি বললেন, ‘তাহলে কি উদ্দেশ্যে আগমন করেছ?’
সে বলল, ‘আপনারা মক্কায় সম্ভ্রান্ত পরিবারের লোক ছিলেন। আপনাদের মধ্যে থেকে আমি জীবিকা নির্বাহ করতাম। কিন্তু আপনারা এখানে চলে এলেন, তারপর মক্কার বড় বড় সর্দাররা বদর যুদ্ধে নিহত হল, ফলে আমার জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে পড়েছে। আমি ঘোর বিপদে পড়ে ও অভাবগ্রস্থ হয়ে এখানে আপনাদের কাছে এসেছি।’
মুহম্মদ বললেন, ‘তুমি মক্কার পেশাদার গায়িকা। সেই যুবকেরা কোথায় গেল, যারা তোমার গানে মুগ্ধ হয়ে টাকা-পয়সা বৃষ্টির মত বর্ষণ করত?’
সে বলল, ‘বদর যুদ্ধের পর মক্কার উৎসবপর্ব ও গান-বাজনার জৌলুস খতম হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত আমি কোন আমন্ত্রণ পাইনি।’
মুহম্মদ আব্দুল মুত্তালিব বংশের লোকদেরকে তাকে সাহায্য করার জন্যে অনুরোধ করলেন। তারা তাকে নগত অর্থ ও পোষাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদি দিয়ে বিদায় দিল।
মদিনাতে সর্বপ্রথম হিজরতকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন হাতেব ইবনে আবী বালতায়া। তিনি ছিলেন ইয়েমেনী বংশোদ্ভূত, পরবর্তীতে মক্কায় এসে বসবাস শুরু করেছিলেন। মক্কায় তার স্বগোত্রের কেউ ছিল না। তার পরিবার যখন মুসলমান হয়, তখন পরিবারের মধ্যে কেবল তিনিই মদিনায় হিযরত করেন এবং তার স্ত্রী ও সন্তানেরা মক্কায় রয়ে গিয়েছিল।
মুহম্মদের হিযরতের পর পৌত্তলিক কুরাইশরা মক্কায় বসবাসকারী অবশিষ্ট মুসলমানদের নানাভাবে উত্যক্ত ও নির্যাতন করত। হিযরতকারীদের যাদের সন্তানেরা মক্কায় ছিল তারা তাদের আত্মীয়-স্বজনের কারণে কিছুটা নিরাপদ ছিল। কিন্তু হাতেব যখন দেখতে পেলেন তার সন্তান-সন্তুতিদের শত্র“র নির্যাতন থেকে রক্ষা করার মত কেউ নেই, তখন তিনি ভাবলেন মক্কাবাসীদের প্রতি কিছুটা অনুগ্রহ প্রদর্শণ করলে হয়তঃ তার সন্তানদের প্রতি জুলুম বন্ধ হবে। আর এসময় গায়িকা সারার মক্কায় ফেরৎ যাত্রাকে তিনি একটি সুবর্ণ সুযোগ মনে করলেন।
হাতেব মুনাফেক ছিলেন না। তিনি নিশ্চিত বিশ্বাসী ছিলেন যে, মুহম্মদকে আল্লাহ বিজয় দান করবেন। এই তথ্য ফাঁস হলে তার কিম্বা ইসলামের কোন ক্ষতি হবে না। তাই তিনি যুদ্ধের তথ্য ফাঁস করে দিয়ে মক্কাবাসীদের নামে একটি পত্র লিখে সারার হাতে সোপর্দ করলেন।
এদিকে আল্লাহ ওহীর মাধ্যমে তাঁর রসূলকে ব্যাপারটি জানিয়ে দিলেন। মুহম্মদ এটাও জানতে পারলেন যে, মহিলাটি এসময় ‘রওযায়ে খাক’ নামক স্থানে পৌঁছে গেছে। তখন তিনি আলী, আবু মুরসাদ ও যুবায়ের ইবনে আওয়ামকে তার পশ্চাৎধাবনের নির্দেশ দিলেন। এই দল তাকে নির্দিষ্ট স্থানে উটে সওয়ার অবস্থায় গমনরত দেখতে পেয়ে আটক করলেন। অতঃপর তাকে বলা হল- ‘তোমার কাছে যে পত্র রয়েছে তা বের কর।’
সে বলল, ‘আমার কাছে কারও কোন পত্র নেই।’
তারা তার উটকে বসিয়ে দিলেন। এরপর তার মালামাল তল্লাসী করলেন। কিন্তু কোন পত্র মিলল না। এই দলের প্রত্যেকে নিশ্চিত ছিলেন মুহম্মদের সংবাদ কখনও ভ্রান্ত হতে পারে না। তাই তারা তাকে ভীতি প্রদর্শণ করলেন, বললেন, ‘হয় পত্র বের কর, নতুবা পত্রের খোঁজে আমরা হয়তঃ তোমাকে বিবস্ত্র করে ফেলব।’
তখন সে পায়জামার ভিতর থেকে পত্রটি বের করে দিল।
আলী বাহিনী পত্রসহ মহিলাকে নিয়ে মদিনায় ফিরে এলেন।
পুরো ঘটনা জানতে পেরে ওমর ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে মুহম্মদকে বললেন, ‘এই ব্যক্তি আল্লাহ, তাঁর রসূল ও সকল মুসলমানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সুতরাং অনুমতি দিন আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেই।’
মুহম্মদ বললেন, ‘সে কি বদর যোদ্ধাদের একজন নয়? আল্লাহ বদর যোদ্ধাদেরকে ক্ষমা করার ও জান্নাতের ঘোষণা দিয়েছেন।’
হাতেবকে ডেকে আনা হল। মুহম্মদ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ওহে হাতেব, কিসে তোমাকে উদ্বুদ্ধ করল এ কাজ করতে?’
তিনি বললেন, ‘ইয়া রসূলুল্লাহ! আমি আমার সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই একাজ করেছি। আমি ব্যতিত অন্য কোন মোজাহির এমন নেই যার স্বগোত্রের লোক মক্কায় বিদ্যমান নেই। আমি ভেবেছিলাম মক্কাবাসীদের প্রতি একটু অনুগ্রহ করলে তারা হয়তঃ আমার সন্তান-সন্তুতিদের কোন ক্ষতি করবে না। তবে আমি এই কাজ ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্যে করিনি। আমার তখনও দৃঢ়বিশ্বাস ছিল এবং এখনও আছে যে, বিজয় আপনার নিশ্চিত, মক্কাবাসীরা জেনে গেলেও তাতে কোন ক্ষতি হবে না।’
সব শুনে মুহম্মদ উপস্থিত সকলকে বললেন, ‘হাতেব সত্য বলেছে। অতএব তার ব্যাপারে তোমরা ভাল ছাড়া মন্দ বোলও না।’
ওমর বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রসূলই সত্য জানেন।’
অতঃপর হাতেব ও মুসলমানদের প্রতি উপদেশ সমম্বলিত কোরআনের এই আয়াতসমূহ নাযিল হল-‘
মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে। (৩:২৮) এখন কি আয়াতটি বুঝতে কোন অসুবিধা হচ্ছে?
অবশ্য এসংক্রান্ত আরো আয়াত রয়েছে-
মুমিনেরা, তোমরা আমার ও তোমাদের শত্র“কে বন্ধুরূপে গ্রহণ কোরও না। তোমরা তো তাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও, অথচ তারা, যে সত্য তোমাদের কাছে আগমন করেছে, তা অস্বীকার করেছে। তারা রসূলকে ও তোমাদেরকে বহিস্কার করে এই অপরাধে যে, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখ। যদি তোমরা আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্যে এবং আমার পথে জেহাদ করার জন্যে বের হয়ে থাক, তবে কেন তাদের প্রতি গোপনে বন্ধুত্বের পয়গাম প্রেরণ করছ? তোমরা যা গোপন কর এবং যা প্রকাশ কর, তা আমি খুব জানি। তোমাদের মধ্যে যে এটা করে, সে সরলপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়। তোমাদেরকে করতলগত করতে পারলে তারা তোমাদের শত্র“ হয়ে যাবে এবং মন্দ উদ্দেশ্যে তোমাদের প্রতি বাহু ও রসনা প্রসারিত করবে এবং চাইবে যে, কোনরূপে তোমরাও কাফের হয়ে যাও। তোমাদের স্বজন- পরিজন ও সন্তান-সন্তুতি কেয়ামতের দিন কোন উপকারে আসবে না। তিনি তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন।’(৬০:১-৩)
লেখক অন্যান্য যেসব আয়াত উল্লেখ করেছেন তার সবগুলিরই যথাযত উত্তর আমি দিতে পারব। কিন্তু লেখাটা এমনিতেই বড় হওয়াতে আপনারা বিরক্ত বোধ করবেন বিধায় সেগুলির আর বিশ্লেষণে গেলাম না। ভাতের হাঁড়ির দু’একটা চাল টিপে দেখলেই তো ভাতের অবস্থাটা বোঝা যায়, পুরো হাড়ির ভাত তো টিপে দেখা লাগে না।
সব শেষে এটা বলা যায় যে, দুনিয়াতে আস্তিক (একশ্বেরবাদী) এবং নাস্তিক উভয়ে থাকবে। সকলে কি সত্য চিনতে পারে? কিন্তু আমি এখন যা বলতে চাচ্ছি তা হল- এদের মধ্যে কার অবস্থান কোথায় অর্থাৎ কারা প্লাস পয়েন্টে আছে, সেটা জানা। আর এটা জানা জরুরী সাধারণ পাঠকদের, যাদের অধিক পড়াশোনা করার আগ্রহ বা বয়স কোনটাই নেই। এটা জানতে আমরা দার্শণিক প্লেটোর বক্তব্যের সারমর্ম দেখি- (পুরো মন্তব্যটি আছে- দর্শনের আলোকে নাস্তিক আস্তিক সমাচার- আর্টিকেলটির মন্তব্যে।)
আস্তিক বনাম নাস্তিক।
১. বৃদ্ধকালে মৃত্যুর সময় আস্তিক নিশ্চিন্ত থাকে। নানা দু:চিন্তায় তার মন অস্থির হয় না। কিন্তু নাস্তিক তার অতীত অন্যায় ও পাপ কৃতকর্মের জন্যে নানা দু:চিন্তায় অস্থির থাকে। নানা দু:স্বপ্নে ঘুম হারাম হবে।
২. পরকালে আস্তিক যদি দেখে স্বর্গ-নরকের অস্তিত্ব নেই, তবু তার হারানোর কিছু নেই। কিন্তু নাস্তিক? তার তো তখন আফসোসে বৃদ্ধা আঙ্গুল চুষতে হবে।
সবাইকে ধন্যবাদ।
@mkfaruk,
আস্তিক বনাম নাস্তিক।
১. বৃদ্ধকালে মৃত্যুর সময় আস্তিক নিশ্চিন্ত থাকে। নানা দু:চিন্তায় তার মন অস্থির হয় না। কিন্তু নাস্তিক তার অতীত অন্যায় ও পাপ কৃতকর্মের জন্যে নানা দু:চিন্তায় অস্থির থাকে। নানা দু:স্বপ্নে ঘুম হারাম হবে।
২. পরকালে আস্তিক যদি দেখে স্বর্গ-নরকের অস্তিত্ব নেই, তবু তার হারানোর কিছু নেই। কিন্তু নাস্তিক? তার তো তখন আফসোসে বৃদ্ধা আঙ্গুল চুষতে হবে।>…আচ্ছা তাহলে এই আপনার দৌড়…শুনুন ধর্ম ছাড়ার আগে আমিও এটাই ভেবেছিলাম…কিন্তু পরে দেখেছি নাস্তিক দেরও ভয় পাবার কিছু নেই…কে যেন বলেছিল ইশ্বর যদি থাকে তবে সে এত উন্মাদ নয় যে ধর্ম দিয়ে মানুষ্কে বিচার করবে…মানুষ্কে বিচার যদি করা হয় তবে সেটা হবে কর্ম দিয়ে…আপ্নার যদি ভাল হিন্দু বন্ধু থাকে যার চরিত্র ভাল আপনি তাকে ভাল বলতে বাধ্য…আর যদি খারাপ চরিত্রের মোসল্মান বন্ধু থাকে তবে আপনি তাকে খারাপ ই বল্বেন…মানুষের মত ক্ষুদ্র জীব ই যখন মানুষ্ কে বিচারের সময় তার ধর্ম দেখেনা তখন একজন ইশ্বর তা দেখবেন একমাত্র ছাগল না হলে এ কথা কেউ বলবে না…উদাহরণ…আপ্নি যদি খুন করেন তাহলে আপনার ফাসি হতে পারে বাংলাদেশের আইন অনুসারে তা সে রাম না রহিম তা কোর্টের দেখার বিষয় না…খামাখা ইশ্বরকে(যদি থেকে থাকে) ছোট করবেন না …আশা করি বুঝেছেন…
@mkfaruk,
আপনার তো দেখি বোধ, বুদ্ধি দুটাতেই গণ্ডগোল আছে। এম্নিতেই আপনার রেফারেন্সবিহীন রম্য রচনা, তার উপর মুক্তমনা পাঠকদের নির্বোধ,অশিক্ষিত ভাবার স্থুল খোঁচা অনুভব করছি।
আপনার উক্তি-
আবার পড়েন নিজের উক্তিটি। আস্তিক যদি মৃত্যুর পর স্বর্গ-নরক না দেখে তবে সেই-ই তো বেশি ব্যথিত হওয়ার বা বৃদ্ধা আঙ্গুল চোষার কথা আর নাস্তিকের আনন্দিত হওয়ার কথা-তাই না!!! নাকি আরও খুলে বলতে হবে আপনাকে? যুক্তির নিরিখে বিচার করুন কিছু বলার আগে। মানবতার জয় হোক।
@সুকান্ত,
যে যুক্তি দেখানো হয়েছে- তা প্লেটোর বক্তব্য থেকে। আশাকরি এটা নিশ্চয়ই প্রমান করার চেষ্টা করবেন না যে আপনি প্লেটোর থেকে বেশী জ্ঞানী।
@mkfaruk,
ভাইজান দেখি দারুণ সুবিধাবাদী। তো ভাইজান আস্তিক হইলেই বেহেশত পাব? মুসলিম হতে হবে না? যারা ধর্মে বিশ্বাস করে তারাই আস্তিক। কাজেই মুসলিম হবার দরকার নেই, শুধু আস্তিক হলেই জান্নাত নিশ্চিত, এমন কিছু একটা দলিল কোরানের আলোকে পেশ করে এই অধমদের একটা ব্যাবস্থা করেন।( ৭০ টা হুরের নিশ্চিত ব্যাবস্থা কি মজা রে :lotpot: )
আর ভাইজানের মহাকাব্যটা একসাথে পরতে মন চাচ্ছে না। আস্তে আস্তে পড়ে নেব ইনশাল্লাহ 🙂 । আনন্দবিনোদন সবসময় ভাল লাগে না, কাজেই মাঝে বিজ্ঞাপন বিরতি নিলাম :hahahee: ।
@mkfaruk, আপনার লেখায় তো কোন রেফারেন্সই নেই! আপনি যে লিখলেন,
এটার স্বপক্ষে আপনার কোন রেফারেন্স আছে? নাকি নিজে নিজেই বানিয়ে লিখে গেলেন। আপনার পুরো মন্তব্যটাই একটা মনগড়া গল্প, এটা বোঝার জন্যে রকেট সাইন্টিস্ট হতে হয় না। মুক্তমনার পাঠকদের এতটা বোকা ভাবার কোন কারণ নেই।
@mkfaruk,
সম্মানিত পাঠকবর্গ ,
আগের পর্বে মি. ফারুক তার রম্য রচনা লিখেছিলেন, এবারও ঠিক একই কাজ শুরু করলেন। আমরা তার রম্য রচনা উপভোগ করছি। রম্য রচনার কোন উত্তর দেয়ার কোন দরকার পড়ে না। তারপরেও তার আয়শা সম্পর্কিত বিষয়ে একটু উত্তর দেব। উনি লিখেছেন-
মোহাম্মদ নিজেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন নাকি আবু বকর বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তার বর্ণনা পাওয়া যাবে নিচে-
ভলুম-৭, বই- ৬২, হাদিস নং-১৮: উরসা থেকে বর্নিত- নবী আবু বকরকে তার মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করার ইচ্ছের কথা জানালেন। আবু বকর বললেন- আমি তোমার ভাই , এটা কিভাবে সম্ভব? নবী উত্তর দিলেন- আল্লার ধর্ম ও কিতাব মোতাবেক আমি তোমার ভাই, রক্ত সম্পর্কিত ভাই না, তাই আয়শাকে আমি বিয়ে করতে পারি।
এখন পাঠক বিবেচনা করুন মোহাম্মদ নিজেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন নাকি আবু বকর চেয়েছিল।
পরবর্তীতে সম্ভবত আয়শা মোহাম্মদকে জিজ্ঞেস করেছিল যে কেন তিনি তাকে অত অল্প বয়েসে বিয়ে করেছিলেন, আর এর উত্তরে মোহাম্মদ যা বলেছিলেন তা হলো –
বুখারী, ভলুম-০৯, বই- ৮৭, হাদিস নং-১৪০: আয়েশা হতে বর্নিত- আল্লাহর নবী বললেন, তোমাকে বিয়ে করার আগে আমি স্বপ্নে তোমাকে দুই বার দেখেছি।এক ফিরিস্তা সিল্কে মোড়ানো একটা বস্তু এনে আমাকে বলল- এটা খুলুন ও গ্রহন করুন , এটা আপনার জন্য। আমি মনে মনে বললাম- যদি এটা আল্লাহর ইচ্ছা হয় এটা অবশ্যই ঘটবে। তখন আমি সিল্কের আবরন উন্মোচন করলাম ও তোমাকে তার ভিতর দেখলাম। আমি আবার বললাম যদি এটা আল্লাহর ইচ্ছা হয় তাহলে এটা অবশ্যই ঘটবে।
আর আয়শার বয়স সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যাবে নিচে-
ভলুম-৭, বই -৬২, হাদিস নং- ৬৫: আয়েশা হতে বর্নিত- মহানবী তাকে ছয় বছর বয়েসে বিয়ে করেন, নয় বছর বছর বযেসে তাদের বিবাহিত জীবন শুরু হয়। হিসাম জানিয়েছিল- আমি জেনেছি আয়েশা মহানবীর মূত্যুর আগ পর্যন্ত নয় বছর যাবত বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করেছিলেন।
এছাড়া আরও কিছু হাদিস দেয়া হলো-
Bukhari, Volume 7, Book 62, Number 64: Narrated ‘Aisha: that the Prophet married her when she was six years old and he consummated his marriage when she was nine years old, and then she remained with him for nine years (i.e., till his death).
Sahih Bukhari, Volume- 5, Book- 58, Hadith No- 236: Narrated Hisham’s father: Khadija died three years before the Prophet departed to Medina. He stayed there for two years or so and then he married ‘Aisha when she was a girl of six years of age, and he consumed that marriage when she was nine years old.
Sahih Bukhari, Volume- 7, Book- 62, Hadith No- 88: Narrated ‘Ursa: The Prophet wrote the (marriage contract) with ‘Aisha while she was six years old and consummated his marriage with her while she was nine years old and she remained with him for nine years (i.e. till his death).
Sahih Muslim 8:3310 : A’isha (Allah be pleased with her) reported: Allah’s Apostle (may peace be upon him) married me when I was six years old, and I was admitted to his house when I was nine years old.
Abu Dawud 41:4915: Narrated Aisha, Ummul Mu’minin: “The Apostle of Allah (peace be upon him) married me when I was seven or six. When we came to Medina, some women came. according to Bishr’s version: Umm Ruman came to me when I was swinging. They took me, made me prepared and decorated me. I was then brought to the Apostle of Allah (peace be upon him), and he took up cohabitation with me when I was nine. She halted me at the door, and I burst into laughter.”
আশা করি , পাঠকবর্গ এখন বুঝতে পারবেন , মি. ফারুক কি ধরনের রম্য গল্প এখানে রচণা করার তালে আছেন।
সংশোধনী:
বুখারী, ভলুম-০৯, বই- ৮৭, হাদিস নং-১৪০
ভলুম-৭, বই -৬২, হাদিস নং- ৬৫
ভলুম-৭, বই -৬২, হাদিস নং- ৬৫
সবগুলো সহি বুখারী হাদিস থেকে ।
ভলুম-৭, বই- ৬২, হাদিস নং-১৮
ভলুম-৭, বই -৬২, হাদিস নং- ৬৫
সবগুলো সহি বুখারী হাদিস থেকে ।
@ভবঘুরে, ভাই আপনি কি দেখে এই লোক টার সাথে তর্ক করেন…তার যুক্তি দেখে আমার তো হেসে গড়াগড়ি খাবার দশা…আমি জানি উনি আবোল তাবোল লেখেন তাই শুধু প্রথম কিছু অংশ পরেছি তাতে দেখলাম তিনি তার নবিকে এমন ভাবে তুলে ধরেছেন যে তিনি বিয়ে গুলো করতে চান নি …বরং কিভাবে যেন সব হয়ে গিয়েছে…মেয়ের বাবা নবির হাতে তুলে দিচ্ছেন তার ৬ বছরের মেয়ে কে, নবি নিলেন …যাদের খুব শখ নবির বউ হবে তারা লাইনে দারিয়ে গেল এক এক আসছে আর বলছে ‘আপনার বউ হতে চাই’ আর নবি মানে দয়ার নবি তিনি আর না কিভাবে বলেন …ঘরে তুল্লেন একে একে ১৩…মানে একটা হারেম আর কি…আর ফারুক সাহেবের যুক্তি তো অখন্ডনীয়…নবি কি অকারনে কোন বিয়ে করেছেন…বলেন? তিনি তো বিয়ে কি কারনে করছেন তার জন্য আয়াত নামাচ্ছেন…হাদিস দিচ্ছেন তার পর ও যদি আপনি এমন করেন তাহলে কিভাবে হবে…/?…মেয়ের বাবা তার ৬ বছরের মেয়ে কে বিয়ে দিতে চাচ্ছেন নবি ‘না’ বলে তাকে কষ্ট দিবেন আপনি তাই চান?…আর শান্তি স্থাপন করতে হবে না…তার জন্য শুধু শান্তির বানী দিলে হবে …আপনি কি জানেন শুধু বানী তে চিড়া ভেজে না…তাই বিয়ে করতে হবে…এবার শান্তি না এসে উপায় আছে…আপ্নারা শুধু চিল্লা-চিল্লি করেন…নবির ১৩ বিয়ের পর গোটা আরব জুরে যে শান্তির বাতাস বয়ে গেল তা তো বললেন না…আমি তো ফারুক সাহেবের ফ্যান হয়ে গেছি…তার jokeতি অখন্ডনীয়…
@সাগর,
এইটা আমার কাছেও পরিষ্কার না ভাই। ধরে নিলাম যে অনেক মেয়েই নবীর বউ হতে চেয়েছিল, আর দয়ার নবী করেও নিয়েছেন।কিন্তু সমস্যা হল যে দয়ার নবি মাত্র ১৩ টাকেই কেন বউ করলেন? নাকি এই ১৩ জনই খালি দয়ার নবীর বউ হতে চেয়েছিল?আর যদি আরও বেশি নারী নবীজির বউ হবার দরখাস্ত করে থাকেন কিন্তু নবী মাত্র ১৩তা বিবি গ্রহণ করেন এটা কি অনাচার। তিনি বিশ্বনবী এমন পক্ষপাতিত্ব তাঁর শোভা পায় না 😀 । আর যদি মাত্র ১৩ জন নারীই হুজুরের বউ হবার লাইন ধরেন তবে তো দেখি হুজুরের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়, কারন দেখেন না শহীদ আফ্রিদিকে দেখলেই কিভাবে বঙ্গ ললনারা ” আফ্রিদি আমাকে বিয়ে করো” বলে লাইনে থাকে, সেখানে নবীজির বউ হলে বেহেশত ফ্রি কাজেই আরো বেশি মেয়ের লাইনে দাঁড়ানোরই কথা :)) ।তা না হলে নবীর থেকে একজন উম্মতের বউ হবার আগ্রহী মেয়েই বেশি এটা যে হুজুরের জন্য অপমানজনক। আর যদি নবীর বউ হওয়া সমগ্র আরবের মুসলিম রমণীর সাধ থেকে থাকে, তবে হুজুরের উচিত ছিল সেই শখ পূরণ করা। 😛 :lotpot:
কোনটি সত্য তা mkfaruk ভাইজান মনে হয় ব্যাখ্যা দিতে পারবেন ভাল। 🙂
@mkfaruk,
ভাইজান আপনার উপন্যাস টা একটু পরে পড়ি কেমন? এখন একটু কাজে ব্যাস্ত আছি। শুধু একটা প্রশ্নের উত্তর দেন দেখি। যদি সেকালে নারী জাতির এতই দুর্গতি থাকত আর তারা এতই লাঞ্ছনার শিকার হত তবে খাদিজা অত ধনী কি করে হলেন আর সতী-সাধ্বী এবং শূচিতায় ও শুভ্রতায় অনন্য কিভাবে থাকতে পারলেন?
তার মানে ব্যাপারটা কি এই দাঁড়াচ্ছে না যে চাইলেই যে কেউ অমন থাকতে পারত, মানে দুর্গতি ও লাঞ্ছনা আসলেই তেমনটা ছিল না?
@mkfaruk,
আপনার কথাগুলোর তেমন কোন যুক্তি খুজে পেলাম না । তাই মানতে পারলাম না । দুঃখিত ।
ভাইজান,
আমাকে তো হাদিছের অনুবাদকের পদে উন্নীত করে দিয়েছেন। অসুবিধা নাই।
আপনার এটাতো একটা বিশ্ব কাপানো প্রবন্ধ হয়েছে। এটা তো ধর্মে নিতান্ত অন্ধ ও অজ্ঞ
সাধারণ জনগনের চোখ কে আরো বেশী উন্মুক্ত করে দিবে।
হ্যাঁ, তবে একটা অসুবিধা আছে। কারন মানুষের মধ্যে ঈর্ষাপরায়নতা বলে তো একটা গুনাগুন থাকে। তারা আপনার দ্রুত উন্নতি দেখে ঈর্শান্বীত হয়ে কোনই যুক্তির পথ না পেয়ে, অবশেষে অনোন্যোপায় হয়ে একমাত্র শেষ অবলম্বন যেটা থাকে, যে ধর্ম সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ সাধারন জনগনের ধর্মীয় আবেগ কে একমাত্র সম্বল হিসাব ব্যবহার করে আপনাকে হেয় বা দুর্বল করার প্রয়াস চালাতে পারে। সাবধান!!
এবারের প্রবন্ধ অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ তথ্য সমৃদ্ধ ও আরো উন্নত প্রকাশ ভঙ্গীর হয়েছে।
পরে ধীরে ধীরে পড়তে হবে।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
একতম পোষণ করছি। সত্যি অসাধারণ এই সিরিজটা
এইখানেই ভরসা পাইনা ভাই, অন্ধ আর বধিরদের চোখ খুলানো খুবি মুশকিল।খুলে গেলে এতদিন খুলে যেত। তবে আশায় বুক বাঁধি যে একদিন না একদিন এরা বুঝবেই যে ইসলাম আসলে একটি আফিম ছাড়া কিছুই না।
প্রথম উত্তরটা লিখেছি একতম প্রকাশ করছি ওটা হবে একমত।
@অচেনা,
আসলেই সত্য কথা বলেছেন। তবে আমি খেয়াল করেছি মানুষের মাঝে কোরান হাদিস নিয়ে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে । তারা আর মোল্লাদের কথার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না , নিজেরাই সেগুলো পরোখ করে দেখতে চাইছে। এটা একটা ভাল লক্ষন।
@ভবঘুরে, হ্যাঁ খুব খাঁটি কথা বলেছেন ভাই। সত্যি যদি মানুষগুলো মোল্লাদের শিখানো কথাবার্তা গুলোর উপর ভরসা না রেখে একটু কোরান হাদিস পড়ে দেখে আর সেই ভুল আর অনাচারগুলি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিচার করতে পারে, তাহলেই আপনাদের বহু পরিশ্রম করে লেখাগুলো আরও বেশী সার্থক হবে ।আর অনেক কিছু বদল হতে পারে বলেই আমিও বিশ্বাস করি( ধীরে হোক সমস্যা নেই), আর তাইতো নিরাশার মাঝেও নতুন করে স্বপ্ন দেখি। 🙂 ।
আর যারা পৃথিবীতে (সত্য দেখার ব্যাপারে) অন্ধ হয়ে থাকবে, তারা আখেরাতেও অন্ধ হয়েই থাকবে। বরং পথ লাভ করার ব্যাপারে তারা অন্ধদের চেয়েও ব্যর্থকাম। (বনী-ইসরাইল-৭২)