লিখেছেনঃ ডাইস
ফরাসি বৈজ্ঞানিক মার্কুইস দ্য লাপ্লাস যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছিলেন-মহাবিশ্ব সম্পূর্ণভাবে নিধারণীয়(deterministic)… লাপ্লাসের প্রস্তাবনা ছিল,এমন একগুচ্ছ বিধি থাকা উচিত যার সাহায্যে মহাবিশ্বের যে কোনো এক সময়কার অবস্থা যদি সম্পূর্ণভাবে জানা থাকে,তাহলে ভবিষ্যতে মহাবিশ্বে কি ঘটবে সে সর্ম্পকেও ভবিষ্যতবাণী করা সম্ভব হবে…উদাহরণ:সূর্য এবং গ্রহগুলির যে কোনো এক সময়কার দ্রুতি এবং অবস্থান যদি জানা যায় তবে নিউটনের বিধিগুলোর সাহায্যে সৌরতন্ত্রের অন্য যে কোন সময়কার অবস্থা গণনা করা সম্ভব…গত শতাদ্বীর প্রথম পর্যন্ত নির্ধারণীয়তাবাদই(determinism)ছিল স্ট্যান্ডার্ড বৈজ্ঞানিক অনুমান।
১৯২৭ সালে ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ নামক একজন জার্মান বিজ্ঞানী বিখ্যাত অনিশ্চয়তাবাদ(uncertainty principle)গঠন করেন…যার সারমর্ম হল,একটি কণিকার ভবিষ্যত অবস্থান ও গতিবেগ সম্পর্কে ভবিষ্যতবাণী করতে হলে তার বর্তমান অবস্থা ও গতিবেগ নিভুলভাবে মাপা প্রয়োজন…স্পষ্টত এ কাজ করার সহজ পন্থা হল কণাটির উপর আলোকপাত করা…তাহলে কিছু আলোক তরঙ্গকে এ কণিকা বিক্ষিপ্ত করে দেবে এবং তার ফলে তার অবস্থান নির্দেশ পাওয়া যাবে…কিন্তু আলোকের দুটি তরঙ্গশীর্ষের দূরত্বের চাইতে বেশী নির্ভুলভাবে ঐ কণিকার অবস্থান নির্ধারণ করা যাবেনা…সেজন্য প্রয়োজন হবে হ্রস্ব তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকপাত করা,যাতে কণিকাটির অবস্থান সঠিকভাবে মাপা যায়…কিন্তু প্লাঙ্কের প্রকল্প অনুসারে অরবিটারি ক্ষুদ্র পরিমাণ আলোক ব্যবহার সম্ভব নয়…অন্ততপক্ষে,এক কোয়ান্টাম আলোক ব্যবহার করতে হবে…কিন্তু এই কোয়ান্টাম কণাটিকে অস্থির করে তুলবে এবং গতিবেগে এমন পরিবর্তন আনবে যে সে সম্পর্কে ভবিষ্যতবাণী করা যাবেনা…তাছাড়া অবস্থান যত নির্ভুল হবে,আলোকের তরঙ্গদৈর্ঘ্যও তত ক্ষুদ্র হবে…সুতারাং এক কোয়ান্টাম শক্তির পরিমাণও হবে উচ্চতর…তাহলে,কণিকাটির গতিবেগের স্থিরত্বকে বৃহত্তর শক্তি বিঘ্নিত করে তুলবে…অন্যভাবে বলা যায়,একটি কণিকার অবস্থান যত নির্ভুলভাবে মাপার চেষ্টা করা যাবে,তার দ্রুতির মাপন হবে তত কম নির্ভুল এবং বিপরীত সত্য হবে(vice versa)…হাইজেনবার্গ দেখিয়েছিলেন যে কণাটির ভরকে তার গতিবেগের অনিশ্চয়তা দিয়ে গুন করে তাকে কণিকার অবস্থানের অনিশ্চয়তা দিয়ে গুন করলে গুনফল কখনোই একটি বিশেষ পরিমাণের কম হতে পারেনা…এই পরিমান হল প্রাঙ্কের ধ্রুবক(ħ=6.62606876*10^-34 J/s)
অবস্থান ও ভরবেগের অনিশ্চয়তাকে যথাক্রমে Δx এবং Δp দ্বারা প্রকাশ করলে, অনিশ্চয়তা নীতিটিকে নিম্নরূপে গাণিতিকভাবে প্রকাশ করা যায়,
ΔxΔp≥ħ/2
হাইজেনবাগের অনিশ্চয়তার নীতি বিশ্বের একটি মূলগত অনতিক্রমণীয় ধর্ম
লাপ্লাসের স্বপ্নের এখানেই মৃত্যু…অনেক দার্শনিকও অনিশ্চয়তাবাদের মর্ম সম্পূর্ণ উপলব্ধি করতে পারেন নি
একটি কণিকার বর্তমান অবস্থা ও ভরবেগ যদি নির্ণয় করা না যায় তাহলে ভবিষ্যত কিছুতেই নিধারণ করা সম্ভব নয়
আশা করি অনিশ্চয়তার নীতি বোধগম্য হয়েছে…এবার আসুন আমরা চেষ্টা করি এই নীতি জগতের সর্বময় ছড়িয়ে দেই…আপনি কাজটি করতে পারবেন কিংবা পারবেন না,আপনি আগামিকাল কক্সবাজার যাবেন কিংবা যেতে পারবেন না…সবই সম্ভাবনা কেননা অনিশ্চয়তার নীতি আপনাকে অচল করে দিয়েছে।
প্রশ্নঃ ঈশ্বরও কি এই নীতির ভেতরে?
উত্তরঃ হ্যাঁ
কেননা ঈশ্বর নিজেই নিয়মের ভেতরে…নিয়মের বাইরে থেকে জগতের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা অসম্ভব
সেটা কিভাবে? আসুন দেখি আইনস্টাইন কি বলে,
the laws of physics don’t change, even for objects moving in inertial (constant speed) frames of reference
সংক্ষেপে পদার্থ বিজ্ঞান সব জায়গায় এক…আপনি এন্ড্রোমিডাতে কোন পরীক্ষার যে ফলাফল পাবেন মিল্কিওয়েতেও একি ফলাফল পাবেন,দুই জায়গায়ই একই নীতি প্রযোজ্য হবে
সুতরাং ঈশ্বর নিজেও নিয়মের বেড়াজালে
এবার আসুন দেখি ধর্মগ্রন্থে ঈশ্বর তার ক্ষমতার কথা কিভাবে উল্লেখ করেছেন,
সূরা ইউনুস (মক্কায় অবতীর্ণ)
وَمَا كَانَ النَّاسُ إِلاَّ أُمَّةً وَاحِدَةً فَاخْتَلَفُواْ وَلَوْلاَ كَلِمَةٌ سَبَقَتْ مِن رَّبِّكَ لَقُضِيَ بَيْنَهُمْ فِيمَا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ (আয়াত নং ১৯)
বাঙলা অনুবাদঃ আর সমস্ত মানুষ একই উম্মতভুক্ত ছিল, পরে পৃথক হয়ে গেছে। আর একটি কথা যদি তোমার পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে পূর্ব নির্ধারিত না হয়ে যেত; তবে তারা যে বিষয়ে বিরোধ করছে তার মীমাংসা হয়ে যেত
আয়াতটির একটি অংশ, ”আর একটি কথা যদি তোমার পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে পূর্ব নির্ধারিত না হয়ে যেত; তবে তারা যে বিষয়ে বিরোধ করছে তার মীমাংসা হয়ে যেত”
এখানে পুর্ব নির্ধারিত বলতে ২ টি কালকে বুঝানো হতে পারে
১। ঐ সুরা নাজিলের সময়ের কোন ঘটনা পূর্ব নির্ধারিত
২। সামগ্রিক সব ঘটনা পূর্বনির্ধারিত
১ হতেঃ ধরি,ঐ সুরা নাজিলের সময় কোন ঘটনাকে নির্দেশ করা হয়েছে…ধরি সুরা নাজিলের হিজরি সন ৬১৯…তাহলে এর পুর্বে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা ঘটেছিল এরপুর্বের যেকোন একটি সন ধরি ৫৯৯ সন
কিন্তু অনিশ্চয়তা অনুসারে আপনি কোন ভাবেই ৬১৯ সালের ঘটনা ৫৯৯ সালে জানতে পারবেন না…যা পারেন কেবল মাত্র সেটি হল ভবিষ্যতবানীর সম্ভাবনা
২ হতেঃ ধরি এখানে সামগ্রিক সব ঘটনাকে পুর্ব নির্ধারিত বলা হয়েছে…অনিশ্চয়তা অনুসারে কেউ নিয়মের মধ্যে কোন ঘটনার সঠিক ভাবে ভবিষ্যতবানী করতে পারেনা সুতরাং কোন ঘটনাই পূর্ব নির্ধারিত হতে পারেনা
১ ও ২ নং অনুসারে কেউ যদি দাবি করে আমি ৬১৯ সালের ঘটনা ৫৯৯ এ জানতাম তাহলে সে অবশ্যই মিথ্যা কথা বলছে কিংবা বিজ্ঞান জানেনা অথবা জ্ঞানীদের হাসির সুযোগ করে দিচ্ছে বা সাহিত্যিকদের রম্য রচনার খোরাক তৈরি করছে
প্রচলিত ধর্ম সমূহে যে সকল ঈশ্বর বিরাজমান তাদের মতে তারা সর্বশক্তিমান কিন্তু অনিশ্চয়তা তাদের শক্তির ভারসাম্যে বিরাট একটা প্রশ্নবোদক চিহ্ন এঁকে দিয়েছে…অনিশ্চয়তা হাতে কলমে দেখিয়েছে যদি আপনি অস্তিত্বশীল হন তাহলে আপনি অক্ষম…আরও দাবি করা হয় সব পূর্বনির্ধারিত কিন্তু অনিশ্চয়তা দেখিয়েছে কোন কিছুই পূর্ব নির্ধারিত হতে পারেনা…পরিহাস থাকবে সেই সকল মানুষদের জন্য যারা অজ্ঞতায় অক্ষম এক ঈশ্বরের পুঁজা করছে
সাহায্যকারী সোর্স সমূহঃ
অনিশ্চয়তা নীতি
http://en.wikipedia.org/wiki/Uncertainty_principle
http://plato.stanford.edu/entries/qt-uncertainty/
স্পেসিয়াল রিলেটিভিটি
http://en.wikipedia.org/wiki/Special_relativity
http://www.dummies.com/how-to/content/einsteins-special-relativity.html
কোরআনের সুরা ও আয়াত
http://www.ourholyquran.com/index.php?option=com_content&view=article&id=161&Itemid=83
http://www.deshforum.com/showthread.php?tid=8440
হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তার নীতি অনুসারে,
যেইটারে বিকৃত করেছেন সুন্দরভাবে…….
গেল one, পরে বললেন
আপনি কোন কনার পূর্বের অবস্থান থেকে গড় মান বের করে তার ভবিষ্যত সম্পর্কে ঠিকই ধারনা করতে পারেন যার জন্য তার বর্তমান অবস্থান জানার প্রয়োজন নেই যেহেতু ইলেকট্রন একই অরবিটালে সর্বদা ঘুরছে, মনে রাখা ভাল যে আপনি কোন শক্তি তাকে দিচ্ছেন না।
জগতের সর্বত্র থিওরি ছড়িয়ে দিয়েছেন, মানে গ্রহ, নক্ষত্র সর্বত্র। বেশ, তাহলে তার থিওরি অনুসারে পৃথিবী এত স্পিডে ঘুরছে যে মূহুর্তেই তা সূর্যের চারপাশ প্রদক্ষিন করছে যেমনটি ইলেকট্রন অনবরত নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘুরে থাকে। তাই যদি হয়, ডি ব্রগলির ওয়েব equation থেকে বুঝা যায় ইলেকট্রনের পৃষ্টে কোন বস্তু থাকলে তা ছুড়ে ফেলে দিবে। যাদের বোধগম্য হয় নি তাদের বলি আমাদের পৃথিবী 24 ঘন্টায় মাত্র এক পাক ঘুরে এখন আপনার থিউরি অনুযায়ী এটি যদি সেকেন্ডে 365পাক ঘুরে আপনি এর পৃষ্ঠে থাকতেন নাকি উড়ে যেতন তা সহজেই অনুমেয়।
এরপর ঈশ্বরকেও এই নীতিতে ফেলেছেন, বোঝা গেছে অল্প শিক্ষিত, কারন ডাইমেনশন নিয়ে বা spectral science নিয়ে কোন ধারনা নেই। হতে পারে, অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী এটা এখনও বুঝে নাই আরকি।
আইনস্টাইনের থিওরি
ব্যবহার করেছেন তা বেশ তো, আইনস্টাইন বাবার এই থিওরি ব্লকহোলে গিয়ে ভেঙ্গে পরে এটা আইনস্টাইন নিজেও জানতেন না। আপাতত নতুন থিওরি খুজছেন এর ব্যাখ্যা দেবার জন্য। এ মহাবিশ্বের 70% dark energy বা অদৃশ্য শক্তি তার ব্যাখ্যা আপনার কাছে চাইব না, নতুন কিছু উদ্ভট থিওরি খুজবেন হয়ত। এত নতুন থিওরি খুজছেন আর স্রষ্টার মত জটিল বিষয়কে খুজছেন সাধারন ভৌত বিজ্ঞান দিয়ে।
এ বিশ্বে মহাকাশ এমন এক বিজ্ঞান যেখানে পৃথিবীর কোন rules খাটে না। সেটা হয়ত ভুলে গেছেন। আপাতত, নাস্তিকদের গুরু স্টিফেন হকিং ও তা মানেন। আমাদের তৈরি বিজ্ঞান দেখে শেখা বিজ্ঞান, আমরা বলতেও পারি না কখন কি হবে? শুধু অনুমান নির্ভর। এতকিছু অনুমান করতে পারছে আর এক স্রষ্ঠাকে অনুমান করতেই যত কষ্ট, অবশ্য আপনাদের সাথে বলে লাভ নাই, মাথায় গোবর ছাড়া কিছু নাই। পারেন ভুল বোঝাতে, গালাগালি দিতে, আর পারে ভ্যাংগাতে…………
মহাবিশ্ব অনেক বিশাল। কত বিশাল জানেন?
আমরা এখনো মহাবিশ্বের একটা ক্ষুদ্র অংশ সম্পর্কেও জানি না।
পদার্থ বিজ্ঞান কি সম্পুর্ন? এখনো আমরা একটা ছোট কনা সম্পর্কেও ভালো জানি না যার জন্য বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা সবাই দিন রাত চেষ্টা করে যাচ্ছে, সেখানে তো মহাবিশ্ব অনেক দূরের পথ।
আপনার এ পোস্টটা লেখার জন্য ইন্টারমিডীয়েটের জ্ঞানই যথেষ্ট। আরেকটু ভালো কিছু জানার চেষ্টা করুন না।
@ ডাইস,
অনিশ্চয়তা নীতি দিয়ে ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করার কোন প্রয়োজন আছে কি? বিজ্ঞানের পরতে পরতে কতভাবে যে প্রমাণিত হয়েছে, ঈশ্বর নামক ব্যক্তির কোন উপস্তিতি নাই। যারা বুঝতে বা স্বীকার করতে চাই না তাদেরকে অনিশ্চয়তা নীতি দিয়ে ও বুঝিয়ে লাভ হবে না। তবে খুব সহজ ভাবে অনিশ্চয়তা নীতি টা বোঝানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুরোধ রইল অনিশ্চয়তা নীতির ব্যাপ্তি নিয়ে লেখার। বিজ্ঞানের জয় হোক। :guli:
@আমি আমার, অনিশ্চয়তা দিয়ে তো ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে লিখিনাই…যাস্ট বললাম যে যদি ঈশ্বর থাকে তাহলে তিনি অবশ্যই এই সীমারেখার অন্ত্রভুক্ত
বিজ্ঞানের জয় হোক…
physics যেহেতু সত্য ,তাই সহজ কথায় যাকে ভাগ্য বলি তার অস্তিত্য সত্য, অর্থাৎ পূর্ব নির্ধারিত। কিন্তু তা নির্নয় করা অসম্ভব, এটাই অনিশ্চয়তা তত্ত বলে।
@সন্দীপন, হুম…আমি সেটা থেকে থিওরি অব রিলেটিভিটির সুত্র দিয়এ বুঝাতে চাইলাম যে ঈশ্বরের জন্য ও এই অনিশ্চয়তা প্রযোজ্য
দারুন। বোঝার মত করে লিখে দেবার জন্য এটি চমৎকার একটা লেখায় হয়ে দাঁড়িয়েছে :clap
অজ্ঞতায় অক্ষম ব্যাপারটা ঠিক বুঝিনি।
@কাজী রহমান, অজ্ঞতা বললাম মানুষদের আর অক্ষম বললাম ঈশ্বরকে…ঈশ্বর অক্ষম এটি তারা বুঝতে চাইবে না…ধরেন একটা দেশ বেলারুশ…ঐ দেশে কোন এক বিজ্ঞানী একটা সমীকরণ আবিষ্কার করল যেটা দিয়ে প্রমান করা যায় ঈশ্বর বলে কিছু নাই…কিন্তু তখন রাষ্ট্রক্ষমতার অধিকারীরা বা পুরোহিতরা সমীকরণটা জনগনের নিকট বইপুস্তকে প্রকাশ করতে দিবেনা কারন এতে তাদের সকল জনগনকে নিয়ন্ত্রন করার সক্ষমতা লোপ পাবে আর পুরোহিতদেরও অস্তিত্ব থাকবেনা যেহেতু ঈশ্বর বলে কিছু নাই…এই অর্থে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগন সমুহের অজ্ঞতার জন্য দায়ী ধর্মযাজকরা
@ডাইস,
তা’হলে নীচের মত করে লিখলে কেমন হয়?
@কাজী রহমান, সঠিক তা আমি সরাসরি বলব না…বলব সঠিক হতে পারে…অনিশ্চয়তা না প্লেয়িং ডাইসের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ডুকে গেছে
@ ডাইস,
হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা-বাদ ভেবেছিলাম শুধু কোয়ান্টাম জগতের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, কোন বৃহৎ ঘটনার ক্ষেত্রেও যে প্রযোজ্য জানতাম না। যেমন- আবহাওয়া পূর্বাভাস, কোন গ্রহ asteroid এর সাথে সংঘর্ষের পূর্বাভাস, এমনকি কোন মানুষের সকল হরমোনাল ক্যারেকটার, ডিএনএ ক্যারেকটার এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা জেনে নিলে মানুষটির সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ জানা ইত্যাদি হয়তো একদিন সম্ভব হবে ভেবেছিলাম। তবে হা যেহেতু ইনপুটগুলো ১০০% জানা কঠিন, তাই আউটপুট অর্থাৎ ভবিষ্যতবাণী ১০০% বের করাও হয়তো সম্ভব না।
অনিশ্চয়তার নীতি কিভাবে স্থূল বিষয়গুলোতে কাজ করছে একটু বুঝিয়ে বলবেন কি? :-s
তবে এটা স্বীকার করছি, ঈশ্বর যদি থাকতোও, তবুও তিনি সর্বময় ক্ষমতাবান বা সর্বজ্ঞ হওয়া সম্ভব হতো না। আর তাতে তিনি ঈশ্বর পদবিটাও পরিত্যাগ করে একজন মহাবিশ্ব ম্যানেজারের পদবি ধারণ করতে হতো, যে তার কাজকর্ম ঠিক রাখতে যেয়ে তার মাথার ঘাম পায়ে পরত। :))
আপনাকে ধন্যবাদ।
@হেলাল, ঈশ্বর কি প্লাঙ্ক স্টেজের বাইরে? নিশ্চয়ই তা নয়…কোয়ান্টাম জগতে ঈশ্বর অবশ্যই বিরাজমান যদি ঈশ্বর বলে কিছু থেকে থাকে…সুতরাং ঈশ্বর অনিশ্চয়তা এড়িয়ে চলতে পারেন না…বাস্তবিক উদাহরন যেটা বললাম সেক্ষেত্রে যে পার্থক্যটুকু ঘটে সেটি অতি সুক্ষ…এই অতি সুক্ষ পরিমানও ঈশ্বরের জন্য পরিমাপযোগ্য
আপনি কক্সবাজার যাবেন কি যাবেন না সেটা নিয়ে আমাদের বৃহত পরিসরে ভাবনার অবকাশ নেই…অবকাশ রয়েছে ঈশ্বরের,যেহেতু তিনি সর্বজ্ঞ এবং অতিত ও ভবিষ্যতে অবস্থান করতে পারেন…এখন আপনি তাকে নির্নয় করতে দিলেন,দেখা গেলো তিনি একটি নির্দিষ্ট আনসার না দিয়া কতক গুলো আনসার দিলো,তখন কি তাকে সর্বজ্ঞ বলবেন!!!
@অগ্নি,
পড়াশোনা করাটাও পুর্ব নির্ধারিত, এবার আসেন যে পড়াশোনা করবে সেও পুর্ব নির্ধারিত, সে যে পুর্ব নির্ধারিত সেটাও পুর্ব নির্ধারিত, যে নির্ধারিত করেছে সে নিজেও পূর্ব নির্ধারিত আসলে পূর্ব নির্ধারিত শব্দটাই পূর্ব নির্ধারিত…
অসাধারণ। ঘটনা আসলে এইটাই। কারণ সব কিছু যদি পূর্বনির্ধারিত হয়েই থাকে তবে যার পরীক্ষায় ১ম হওয়ার কথা সে পড়াশোনা না করলেও হবে। মানুষ বলে রিযিক পূর্বনির্ধারিত, আবার বলে নিজের কাজের জন্য মানুষ নিজেই দায়ী অর্থাৎ ভালো কাজ করলে বেহেশ্ত না করলে দোজখ!! এইটা কি স্ববিরোধিতা নয় ??
@অগ্নি, আপনার কথাটা বহুল প্রচলিত একটি স্ববিরোধিতা…যেমন বলা যায় চোরে চুরি করলে সে দায়ি নয় যেহেতু সেটা আগে থেকেই নির্ধারিত
@অগ্নি,
যার পরীক্ষায় ১ম হওয়ার কথা তার পড়াশোনা করাটাও কি পূর্বনির্ধারিত হতে পারে না?
@অগ্নি,আমার পূর্বনির্ধারিত নিয়ে একটা প্রশ্ন ছোটবেলা থেকে মনে ঘুরে.আগে ঐটার জবাব চাই. সবকিছুই পূর্বনির্ধারিত তাহলে আমার জন্ম পূর্বনির্ধারিত, আমার করা পাপ পূর্বনির্ধারিত, আমার করা ভন্ডামী পূর্বনির্ধারিত, আমার করা পুন্য 😛 পূর্বনির্ধারিত, পূর্বনির্ধারিত করেছেন ঈশ্বর, আল্লাহ যাই বলেন. তাহলে দোষ কি আমার না যিনি পূর্বনির্ধারিত করেছেন তার??? যদি আমার হয় তবে কোন যুক্তিতে আমার. আর ঈশ্বর বা আল্লাহের হলে আমি কেন শাস্তি পাব 😕 ??? বেহেস্তের হুর আমার জন্য কেন বরাদ্ধ থাকবে না? (ইশ আবার পাপ করে ফেললাম.)
আমি যে জাহান্নামে যাব, সেটাও মনে হয় পূর্ব নির্ধারিত………। :guli:
@কামরুল আলম, কোথায় জানি পরসিলাম মুসলিম নামধারীরা কোন ভাবেই জাহান্নামে যাইবে না…আপনি নতুন ক্যাচালে ফালায়া দিলেন ঈশ্বররে…আপনার ক্ষেত্রে নাম বিবেচনা করে কিনা সেটা দেখার বিষয়
@ডাইস, সুভানাল্লা, কিন্তু আপনি তো নির্ঘাত জাহান্নামে যাইবেন। এসব পাপ কাজ ছাড়েন, আল্লার রাস্তায় আসেন।
laws of physics বুঝবেন সে যুগের অশিক্ষিত অথচ শ্রেষ্ট ভিরিঞ্চি বাবা মুহাম্মদ? কোরানের সবটাই ভেলকিভাজী। আল্লাহর দুঃখের সীমা নাই, মুহাম্মদের কাছে তার দুঃখ শুনাচ্ছেন, নাটকটা দেখেন-
হায়রে আল্লাহর কপাল!
মুহাম্মদের মুখ দিয়ে বের হয় আল্লাহর কথা? মুহাম্মদ নাটক করছেন না তা আরবের কিছু মুর্খরা বিশ্বাস করলো।
তারা / আমরা শব্দ ব্যবহার, কলা-কৌশল, ছল-চাতুরী আওয়ামী লীগ-বিএনপি এর বেলায় খাটে। আল্লাহ এতো স্টুপিড কেন হবেন যে, তারই সৃষ্টিকে নিজের প্রতিপক্ষ বানাবেন?
@আকাশ মালিক, আরবের মুর্খরা বিশ্বাস করার পিছনে যথেষ্ট কারন ছিল,কিন্তু কারন গুলা স্বতঃসিদ্ধ কিনা যাচাই করার মত জ্ঞান তাদের ছিল কিনা সেটাই প্রশ্ন সাপেক্ষ…মোহাম্মদ পরবর্তী সময়ে তার প্রচারিত আইন গুলো সবাই বিনা ঢেকুরে হজম করতে শুরু করে আর নতুন সামাজিক সমস্যা গুলতে মননিবেশ করতে থাকে…গ্যাপ টা এখানেই থাকতে পারে যে তারা মোহাম্মদের প্রেরিত আইন গুলো নিয়েই প্রশ্ন করতে চায়নি
আরও অনেক ঘটনা আছে যে তিনি নিজের সৃষ্টিকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছেন…ইবলিশ কে দিয়েই শুরু