ইসলামে নারীর অধিকার সম্পর্কে তো নিত্যদিন শুনি ইসলামি ব্যাখ্যাকার দের মুখে। তাদের মতে , ইসলাম নারী কে যে অধিকার দিয়েছে , তা অন্য কোনও ধর্ম আজ পর্যন্ত দিতে পারেনি আর ভবিষ্যতেও দিতে ও পারবে না । এদের মতে আজকের আধুনিক বিশ্বেও নাকি অ মুসলিম কোনও দেশে নারী রা এতো টা স্বাধীনতা ও মর্যাদা পায় না , যত টা পায় একজন মুসলিম নারী । এই দেশে জলসা গুলিতেও জোর প্রচার চালানো হয় এই বলে যে ,হিন্দু ধর্মের জঘন্য পণ প্রথা ইসলামের আদি থেকেই নিষিদ্ধ । বরং বিবাহের মাধ্যমে মুসলিমা গন আর্থিক স্বাধীনতার অধিকারিণী হন । কখনো কখনো এও বলা হয় যে একমাত্র ইসলাম ই নারী কে পুরুষের সমান মর্যাদা দিয়েছে ।
আরবী তে বিবাহ কে “নিকাহ” বলা হয় । যদিও বাঙালি দের মধ্যে প্রথম বিবাহ কে শাদী ও পরবর্তী বিবাহ গুলি কে নিকাহ বলাই অধিক প্রচলিত । মুসলিম আইন অনুসারে বিবাহ এমন এক চুক্তি, “যাহার দ্বারা একজন পুরুষ কর্তৃক একজন নারী কে সম্ভোগের অধিকার দ্বারা দখল করা বোঝায়”— (মুসলিম ও পারিবারিক আইন পরিচিতি –মোঃ মজিবর রহমান) । হুমায়ুন আজাদ তার সুবিখ্যাত নারী গ্রন্থে বলেছেন , “ এই বিয়েতে একজন পুরুষ দখল করে একজন নারী কে ; দখল করে সম্ভোগের অধিকার দ্বারা । সম্ভোগ এবং দখল দুটি ই নৃশংস প্রভুর কাজ । এই চুক্তির অনন্ত সুফল ভোগ করে পুরুষ , নারী হয় শিকার ।” কঙ্কর সিংহের মতে ,“ মুসলিম ক্রীতদাসী ও এমনভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নিজেকে সমর্পণ করে নাপ্রভুর কাছে যেভাবে করে মুসলমান স্ত্রী ।”
সম অধিকারের দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত ইসলামী বিবাহ রীতি অনুসারে , পুরুষ নারীর কাছে প্রস্তাব পাঠাবে , ইসলামী পরিভাষায় যাকে ইজাব বলা হয় ; এবং নারী তা কবুল করবে । নারী ইজাব পাঠাবে আর পুরুষ কবুল করবে , এটা কখনই হতে পারে না । আবার নারীর সেই কবুল করা টাও কি রকম দেখুন ! “… সবাই জিজ্ঞেস করলেন । হে আল্লাহ-র রসুল , কুমারীর অনুমতি কিভাবে নেওয়া যাবে ? রসুলুল্লাহু সাল্লালাহু আলাইহি অয়াসাল্লাম বললেন , তাদের নীরব থাকাই তাদের অনুমতি ।” (— মুসলিম—৩৩৩৭) । অর্থাৎ , অনুমতি না দিয়ে নীরব থাকাও যদি অনুমতি হিসাবে গ্রাহ্য হয় , তবে নিশ্চয়ই ওই অনুমতি মূল্যহীন !
তৃতীয় দৃষ্টান্ত (মুসলিম সপ্তদশ অধ্যায় অনুচ্ছেদ দশ) ইসলামে নাবালিকার বিবাহ বৈধ যদি অভিভাবকের অনুমতি থাকে । মহানবী এভাবেই আয়েশা কে বিবাহ করেছিলেন । এখনো পৃথিবীর বেশ কয়েকটি ইসলামিক দেশে এক বছরের মুসলিম নাবালিকার বিবাহেরও আইনগত স্বীকৃতি আছে । সুতরাং নারীর অনুমতির প্রয়োজন কতটা , সে তো জলের মতোই পরিষ্কার ।
বিবাহের সংখ্যা ইসলামে পুরুষের বহুবিবাহ সংক্রান্ত আয়াত টি সম্ভবত ইসলামের জন্মকাল থেকে সব চেয়ে বিতর্কিত ও বহু চর্চিত বিষয় । আয়াত টি কোরআনের সুরা নিসা , আয়াত নং ৩ , “… বিবাহ করবে স্বাধীনা নারী দের মধ্যে ,যাকে তোমার ভালো লাগে , দুই তিন অথবা চার ।” এই আয়াতটির একটি মাখন লাগানো ব্যাখ্যা ইসলামী ব্যাখ্যাকার রা দিয়ে থাকেন । সেই টি হল—প্রাক ইসলামী যুগ অর্থাৎ জাহিলিয়া যুগে প্রতি টি আরব পুরুষ অসংখ্য বিবাহ করত । এমন কি নিজের মা এবং বোনকেও । এই রকম অবস্থায় মহানবী হজরত মোহম্মদ বিবাহের সংখ্যা চার টি পর্যন্ত বেঁধে দিয়ে আরবের সমাজব্যবস্থা কে অবনমনের অতল তল থেকে উদ্ধার করে একটি সর্বাঙ্গসুন্দর রূপ দিয়েছেন ।— কিন্তু এই ব্যাখ্যা যদি মেনে নেওয়া হয় , তাহলে এটাও মানতে আমারা বাধ্য যে কোরআন কেবল আরব দের জন্য এসেছে , সারা পৃথিবীর সকলের জন্য নয় । কেননা সেই সব সমাজ ব্যবস্থা যেখানে একবিবাহ ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল বা আছে সেখানে ইসলামের চার বিবাহ ব্যবস্থা প্রচলিত হলে সমাজব্যবস্থা কয়েক ধাপ পিছিয়ে যাবে ,এ বিষয়ে নিশ্চয়ই কারো মনে কোনও সন্দেহ থাকার কথা নয়।
আরেকদল ব্যাখ্যাকারী আয়াত টির স্পষ্টীকরণ করতে গিয়ে বলেন , কোরআনে চার টি পর্যন্ত বিয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে , কিন্তু আবশ্যিক করা হয় নি । তাই পৃথিবীর সকল দেশেই এই আইন প্রযোজ্য হতে পারে । কিন্তু এই যুক্তি টি ঠিক নয় । কেননা , এক বিবাহ প্রচলিত থাকা সমাজে বহু বিবাহের অনুমোদন সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করতে বাধ্য ।
বর্তমানে জাকির নায়েক একাধিক লেকচারে বলছেন , যেহেতু পৃথিবী তে পুরুষের চেয়ে নারী অনেক বেশি , তাই একবিবাহ প্রথা কার্যকরী হলে লক্ষ লক্ষ নারীকে সারা জীবন অবিবাহিত হয়ে থাকতে হবে । ফল হিসাবে নারী নাকি গনসম্পত্তি তে পরিণত হবে ।—- এই যুক্তি টি একটি মিথ্যা তথ্য থেকে মিথ্যা সিদ্ধান্ত টানা । আসলে পৃথিবী তে নারীর থেকে পুরুষের সংখ্যাই বেশি । আর যদি বেশি হয় ও , তাহলেও চার গুণ তো নয়ই , দ্বিগুণ ও নয় দেড় গুণ ও নয় । তাহলে চার টি বিবাহের অনুমোদনের পক্ষে যুক্তি কোথায় ?
বিবাহ কি চারটির বেশি নয় ? এই বক্তব্যে সকল ইসলামী ব্যাখ্যাকারই একমত যে ইসলামে পুরুষের বিবাহ চার টি পর্যন্ত সীমায়িত করে দেওয়া হয়েছে । যদিও এই কথা সর্বৈব মিথ্যা । আসল কথা হল ইসলাম ধর্ম অনুসারে , একটি মুসলিম পুরুষ একই সঙ্গে চারটির বেশি স্ত্রী রাখতে পারে না । অর্থাৎ পঞ্চম নারী কে বিবাহ করতে হলে বর্তমান চারটি স্ত্রীর মধ্যে যে কোনও একটি বা একাধিক কে তালাক দিলেই হবে । এবং সেই তালাক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পঞ্চম বিবাহের বৈধতা এসে যায় । উদাহরণ তো প্রচুর দেওয়া যায় , আপাতত একটাই দিই । হাসান , যার জন্য আমরা প্রতি বছর হায় হায় করি , তার ৭০ জন স্ত্রী ছিল । সে বিবাহ করে বাসর ঘরে নারী ঢোকাত ,কাজ মিটে গেলেই তালাক দিয়ে বাসর ঘর থেকে বেরিয়ে আসতো ।
মুসলিম আইনে ২৫৫ নং ধারা হল স্ত্রী দের সংখ্যা বিষয়ক । তাতে বলা আছে – একজন মুসলমান পুরুষ একই সময়ে চার জন স্ত্রী রাখার অধিকারী , কিন্তু তার বেশি নয় । যদি চারজন স্ত্রী বর্তমান থাকা কালীন তিনি পঞ্চমবার বিবাহ করেন ,তাহলে বিবাহ টি বাতিল নয় , কেবল নিয়ম বহির্ভূত । এবং তা শাস্তিযোগ্য নয় । এই নিয়ম বহির্ভূত বিবাহে আবদ্ধ নারী ও তার সন্তান পুরুষটির সম্পদের বৈধ উত্তরাধিকারী ।
আলোচ্য নিয়ম বহির্ভূত বিবাহ টির ক্ষেত্রে ইসলামের মীমাংসা হল ,পূর্ববর্তী যেকোনো একটি স্ত্রী কে তালাক দেওয়া । এই মীমাংসাও ঠিক নয় । কেননা ,
১) এখানে দোষ স্বামীর । চারটি স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও সে আরেকটি বিয়ে করেছে , তা যদি ইসলাম বিরুদ্ধ হয় তবে শাস্তি তার হওয়া উচিত । কিন্তু বাস্তবে শাস্তি হবে ওই পাঁচ স্ত্রীর মধ্যে কোনও এক বা একাধিক জনের । অর্থাৎ তাকে তার কোনও দোষ ছাড়াই ত্বালাক পেতে হবে ।
২) সম্ভবনা অতি নগণ্য হলেও যদি ধরেই নেওয়া যায় যে ওই চারটি নারীই তাকে সন্তুষ্টি দিতে পারছে না , তাহলে পঞ্চম বিবাহ করার সময় ওই চার টি নারীর মধ্যে একজনের সাথে বিবাহছিন্ন করা কতটা যুক্তিযুক্ত ?
৩)মুসলিম আইনের ২৫৬ নং ধারার সঙ্গে তুলনা করা যায় । সেখানে , বলা হয়েছে “কোনও নারী স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় পুনরায় বিবাহ করলে দণ্ডবিধি ৪৯৪ ধারা অনুসারে তাকে শাস্তি প্রদান করা হবে ।এবং সেই বিবাহ জাত সন্তান অবৈধ হবে ।” কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান না থাকা আসলে যথেচ্ছ বিবাহ কে বৈধতা দানেরই নামান্তর ।
সে যাই হোক , বিবাহের সংখ্যা নিয়ে ইসলামের বক্তব্য এখানেই শেষ নয় । স্বাধীনা নারী দের প্রতি সুবিচার না করার আশঙ্কা থাকলে পুরুষ কে একটি নারী বিবাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে , কিম্বা নিজের দক্ষিণহস্তের অধিকারে যেসব নারী গন আছে অর্থাৎ ক্রীতদাসী বা যুদ্ধ বন্দিনী , তাদের কে বিবাহ করার নির্দেশ আছে কিন্তু সেই সব নারী দের সংখ্যা নির্দিষ্ট করা নেই ( কোরআন সুরা নিসা , আয়াত ৩) । অর্থাৎ যত জন নারী ক্রীতদাসী কে ইচ্ছা , তত জন কে বিবাহ করা যেতে পারে । এবং তাতে দোষের কিছু হবে না বলে কোরআনে মনে করা হয়েছে ।
দেনমোহর ইসলামে বিবাহে পুরুষ কর্তৃক নারী কে দেনমোহর প্রদান ইসলাম ধর্মে একটি অবশ্য কর্তব্য । এই বিষয়ে ইসলামী ব্যাখ্যাকার গন গর্ব করে বলেন যে ইসলাম ধর্মে পণ প্রথার মতো নোংরা প্রথা নেই । বরং ইসলাম ধর্মে পণ প্রথার বদলে দেনমোহর প্রদান নামক এমন এক প্রথা আছে , যেখানে নারী রা আর্থিক সঙ্গতি প্রাপ্ত হন । পৃথিবীর কোনও ধর্ম ই নারী কে এতটা সম্মান দিতে পারেনি , যত টা দিয়েছে ইসলাম । দেনমহরের মাধ্যমে নারী কে আর্থিক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে যা আজকের সেকুলার পৃথিবীও ভাবতে পারছে না । কিন্তু এই ব্যাখ্যা আসলে অপব্যাখ্যা । কেন ? সেজন্য দেনমোহর বিষয় টির উপর আলোকপাত প্রয়োজন ।
বিবাহের সময় পতি তার পত্নী কে যে অর্থ দিতে প্রতিশ্রুত হয় , তা-ই দেনমোহর । বিবাহের অব্যবহিত পরে বা অন্তত দাম্পত্য জীবনের পরিসরের মধ্যেই পতি কর্তৃক পত্নী কে দেনমহরের পাই পয়সা মিটিয়ে দেওয়া ইসলামে ফরজ বা অবশ্য কর্তব্য ।
দেনমোহর প্রথা টি ইসলাম কর্তৃক ব্যবহৃত হলেও এটি কিন্তু ইসলাম এর আবিষ্কার নয় , বরং এটি প্রাক ইসলামী যুগেও প্রচলিত ছিল । এই বিষয়ে স্পষ্ট প্রমাণ হল মুহম্মদ ও খাদিজার বিবাহ । সেখানে আবু তালেব মুহাম্মদের তরফ থেকে খাদিজা কে ২০ টি উঠ মোহর হিসাবে দিয়েছিলেন । এই সময় কিন্তু কোরআন আবির্ভূত হয়নি । সুতরাং এই নীতি যে জাহিলিয় সময়ের এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ।
আমরা আগেই দেখেছি যে , ইসলামে বিবাহ হল একটি চুক্তি ।এই চুক্তি দ্বারা পতি পায় পত্নীটির গুপ্তাঙ্গের অধিকার , বিনিময়ে পত্নী পায় মোহর । সহজ কোথায় পতি টি দেনমহরের বিনিময়ে পত্নী টিকে কিনে নেয় । শুনতে খুব খারাপ লাগলেও এটাই আসলে সত্যি যে , ইসলামী নারী রা আসলে নিজেকে বিক্রি করে মোহরের বিনিময়ে । বিশ্বাস হচ্ছে না ? এখানে নবীর দুটি উক্তি উল্লেখ করলে পরিষ্কার হবে ।“ নিশ্চয়ই এই ধরনের বিবাহে বরকত বেশি হয় , যে বিবাহের মোহর কম থাকে” —- কম মূল্যে পছন্দসই নারী কে পাওয়া গেলে সেটা তো সৌভাগ্যের অবশ্যই । কিম্বা , “ওই স্ত্রীলোক (বিবাহের পক্ষে) অতি উত্তম , যে দেখতে সুন্দরী এবং যার মোহর অতি নগণ্য ।” অর্থাৎ সস্তায় ভালো জিনিস পাওয়া গেলে সেটাই কেনা উচিত ।
দেনমোহরের পরিমাণ দেনমোহর নারী কে আর্থিক স্বাধীনতা দেয় বলে যারা মনে করেন , তারা যদি সহীহ হাদিস গুলি পড়ে থাকেন , তারা জানবেন , নারী কে আর্থিক স্বাধীনতা প্রদান দেনমোহরের উদ্দেশ্য নয় । কেননা , তাহলে একজোড়া জুতো , একটি লোহার আংটি , বর্ম ,একমুঠো ছাতু খেজুর কিম্বা তিনখানি কাপড় দেনমোহর হিসাবে কখনো প্রদান করার অনুমতি থাকত না , যে অনুমতি নবী দিয়েছেন । এসবের তো কিছুটা পরিমাণ ও আর্থিক মূল্য আছে । কিন্তু কোরআন এর দুটি সুরা শেখানো (আবু দাউদ ,২১০৭ ) টা কি কোনও ভাবেই দেনমোহর হিসাবে গ্রহণীয় হতে পারে ? দেনমোহরের আসল উদ্দেশ্য পত্নী কে মনে করিয়ে দেওয়া যে “আমি তোমায় কিনে ফেলেছি । এখন তুমি আমার শস্যক্ষেত্র । তাই আমার যখন ইচ্ছা ,যেভাবে ইচ্ছা তোমাকে ব্যবহার করবো । ”
দেনমহরের বাস্তবতা সে যাই হোক , বাস্তবে নারী কি তার প্রাপ্য দেনমোহর পায় ? উত্তর–পায় না । যেহেতু আমআর জন্ম একটি মুসলিম পরিবারে তাই আমি খুব ভালো ভাবেই জানি , বাঙালি মুসলিম সমাজে তো বটেই , এমনকি এই উপমহাদেশীয় সমগ্র মুসলিম সমাজেই পণপ্রথার মতো খারাপ প্রথা হিন্দু সমাজের থেকে কিছু কম নাই । দেনমোহর এখানে শুধুমাত্র একটি মৌখিক চুক্তি , একটি ধর্মীয় আচার হিসাবেই থেকে গেছে । দেনমোহরের চুক্তি তে দুই পক্ষের দরাদরি আসলে খানিক টা খেলার মতোই । প্রহসন মাত্র । তার বাস্তব আদান প্রদান হয় না । কেন না , বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্ত্রী কে বিবাহের প্রথম রাত্রেই নাম মাত্র বাদ দিয়ে পুরো দেনমোহর টা মাফ করে দিতে হয় । কারন , এর উপর ই নির্ভর করে শ্বশুর বাড়ির নতুন নিজের লোকেদের কাছে নতুন বউ কত টা সদ গুনের অধিকারী রূপে গণ্য হবে । আমার এক বান্ধবী ১০ লক্ষ টাকা ধার্য দেনমোহরের মধ্যে নয়লক্ষ নিরানব্বুই হাজার নয় শো টাকা মাফ করে দিয়েছে । আরেকটি কথা , নারী টিকে পুরুষ টি অর্থাৎ তার পতি যদি তালাক ও দিয়ে দেয় , তাহলে তালাক কার্যকর করার ব্যাপারে মুসলিম আইন ও আইনের রক্ষক রা যত টা কার্যকরী ভূমিকা নেয় , দেনমোহর আদায়ের ক্ষেত্রে তার ৫ শতাংশ কার্যকরী ভূমিকাও পালন করে না । তাই ডিভোর্সি মুসলিম মহিলা দের অবস্থা বরাবরই খুব আশঙ্কাজনক অবস্থায় !
দেনমোহর গ্রহণের পর
ইসলাম অনুসারে পতি যতক্ষণ না পত্নী কে তার প্রাপ্য দেনমোহর প্রদান করছে , ততদিন পত্নী ইচ্ছা করলে বিছানায় শয্যা গ্রহণ না ও করতে পারে । অর্থাৎ ততদিন পর্যন্ত নারীর স্বাধীনতা থাকে । কিন্তু যে মুহূর্তে দেনমোহর গ্রহণ করলো , ঠিক সেই মুহূর্ত থেকেই সে নারী থেকে পুরুষের ব্যবহার্যে পরিণত হয় । তার সকল স্বাধীনতা , সকল স্বাতন্ত্রের অন্ত হয় । দাসীর থেকেও ভয়ানক হয়ে ওঠে তার জীবন । কিভাবে ? নিচে বিশ্লেষণ করা হল —
মহানবীর নির্দেশে বিবাহিতা নারীর জীবন হয়ে ওঠে সন্তান উৎপাদনের কারখানা । আমাদের মহান নবী তার অনুগামী পুরুষ দের নির্দেশ দিয়েছেন এমন নারী দের বিবাহ করতে বলেছেনযারা অধিক প্রেম(?) প্রিয়া ও অধিক সন্তান প্রসব কারিণী(আবু দাউদ ২০৪৬)। অর্থাৎ অধিক সন্তান উৎপন্ন করতে না পারলে এই নারী কে বিবাহ না করাই উচিত । একটু খেয়াল করলে বোঝা যাবে ইসলামে পুরুষ ও নারীর বিবাহ হয় না । পুরুষ বিয়ে করে নারী কে সন্তান উৎপাদনের এর উদ্দেশ্যে । পতি পত্নীর যৌথ ইচ্ছায় সন্তান ও সন্তানের সংখ্যা নির্ধারণ এর দিকে কখনই নবী গুরুত্ব দেন নি । বরং নবী পুরুষের নিজের উদ্দেশ্য(অধিক সন্তান উৎপাদন) পূরণ করার জন্য নারী কে ব্যবহার করার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন । স্ত্রীর ইচ্ছা কে চূড়ান্ত অবহেলা করা হয়েছে । আর নবীর অনুসারী পুরুষেরা বেশি সন্তান উৎপন্ন করলে সেটা নবীর কাছে , ইসলামের কাছে গর্বের বিষয় , তা সে যতই স্ত্রীর শরীর খারাপ হয়ে উঠুক, বা স্ত্রীর সামর্থ্যের বাইরে হোক । সে যতই জনবিস্ফোরণের মতো সামাজিক ও সার্বিক সমস্যা উৎপন্ন হোক । আর জনসংখ্যার আধিক্যের সাথে অপরাধ বৃদ্ধির সম্পর্ক টা কি নবী বা আল্লাহ , কারো জানা ছিল না !
ইসলামে পুরুষ দের বীর্য বের করার নর্দমা হল নারী । মহানবীর নির্দেশ , যেই পরস্ত্রী কে দেখে কামনা জাগবে , সঙ্গে সঙ্গে সে যেন নিজ পত্নীর কাছে চলে আসে ও নিজের যৌন কামনা মেটায় । স্ত্রীর ইচ্ছা অনিচ্ছা থাকতে নেই । পত্নী কি অবস্থায় আছে দেখার প্রয়োজন নেই । । বাড়ির নর্দমার সাথে তুলনা করলেই বোঝা যাবে । যখনি বাড়িতে নোংরা জমা হল , তুলে নিয়ে গিয়ে নর্দমায় ফেলে দিয়ে এলাম । ঘর পরিষ্কার হয়ে গেলো । ইসলাম পুরুষ কে সংযম শেখায় না । (মুসলিম- বিবাহ অধ্যায় -৩২৭১) নবী নিজেও তার পত্নী জয়নব ও সাওদা কে এভাবে ব্যবহার করেছেন , সহিহ হাদিস গুলি তার প্রমাণ । । এবং এটা আল্লাহ-র নবীকে প্রদত্ত কোনও বিশেষ ক্ষমতা বলে নয় , বরং এই নির্দেশ সকল মুসলিম পুরুষদের জন্য । নারীর কি সম্মান , তাই না!
অন্যদিকে তিরমীযি ১১৫৯ এ বলা হয়েছে , কোনও পতি যদি তার পত্নী কে আহ্বান করে (এমনকি শয্যাতেও) তখন পত্নী যে অবস্থাতেই থাকুন না কেনও, সে পতির কাছে আসতে বাধ্য । একজন স্ত্রী তার স্বামীর কতখানি বাধ্য হবে ,তার উদাহরণ দিতে গিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অধ্যাপক ডঃ ওসমান গণি ইসলামী পুরুষতান্ত্রিকতার দাঁত নখ দেখাতে ছাড়েন নি । “বীরভূম জেলার পাপুরি গ্রামের হারাত শাহ আসগর আলী কে লোকে খুব সম্মান করে মুসুল্লি সাহেব বলতো । একবার তিনি আপন খামার বাড়ি তে শাক সবজি লাগানর জন্য বেরা দিচ্ছিলেন । হেন কালে দুই জন মহিলা তার কাছে হাজির হয়ে বলে—কিভাবে স্বামীর অনুগত হতে হয় ,এবং কতটুকু ?তখন তিনি তাদের একজন কে বললেন , তুমি হামিদের মা (মুসল্লি সাহেবের স্ত্রী) কে একটু দেকে দাও । সে তাই করলো । যখন ডাকা হল তখন হামিদের মা দুধ ফোটাচ্ছিলেন । স্বামীর ডাক পাওয়ার সাথে সাথে আপন শারীর ত্যেপে ফুটন্ত দুধ ধরে স্বামীর কাছে উপস্থিত হলেন । এবং জিজ্ঞেস করলেন –কেন ডাকছ ? তখন মুসল্লি সাহেব বললেন , — দেখো এই গড়ত গুলো খুঁড়তে আমার কষ্ট হচ্ছে ,মাতি খুবই শক্ত । তুমি একটু করে দুধ ঢেলে দাও যাতে মাতি নরম হয় । তখন তার স্ত্রী ওই দুই মহিলার সামনে বিনা দ্বিধায়, বিনা বাক্যে ওইরূপ করলেন । শেষে মুসল্লি সাহেব বললেন ,এবার তুমি চলে যাও । স্ত্রী চলে যাওয়ার পর মুসল্লি সাহেব ওই দুই মহিলা কে বললেন , স্বামীর অনুগত হওয়া কাকে বলে তোমরা দেখলে কি ?” (এই মসল্লি ছিলেন গণি সাহেবের প্রপিতামহ) । এখান থেকে তিনি ভাবনায় গদগদ হয়ে সিদ্ধান্ত করেছেন “মহানবীর পবিত্র বাণীর অনুসারী মানুষ দুনিয়া তে এখন আছে ,এবং ভবিষ্যতে ও থাকবে” (–সমাজ ও চরিত্র গঠনে হাদিস শরিফ) । অর্থাৎ পুরুষেরা অন্যায় আদেশ করবে আর পত্নীরা তা বিনা বাক্যে মানবে ! কি অপূর্ব বাণী !! এমন কি পতির যৌন কামনা জাগলেও পত্নী সর্বাবস্থায় বাধ্য পতির যৌন কামনা মেটানোর জন্য তৎক্ষণাৎ নিজের শরীর বিছিয়ে দিতে । কিন্তু পুরুষ টিকে সংযত হওয়ার নির্দেশ কিন্তু ইসলামে দেওয়া হয় নি । বলা হয়নি যে, নিজেকে সংযত করো — পরস্ত্রী কে দেখে যেন তোমাদের কামনা না জাগে । আপন স্ত্রী তে সন্তুষ্ট থাক । অর্থাৎ খুব স্পষ্ট যে পতি কে সংযত হতে না বলে পত্নী কে বাধ্য করা হচ্ছে । কেন না সেই স্ত্রী দেনমোহর দিয়েই তাকে কিনেছে !
ঋতু কালে নারীর শারীরিক অবস্থা কেমন থাকে ,তা আমরা নারী মাত্রই জানি । ইসলাম অনুসারে, ঋতু মতি নারী না-পাক। তাই সেই সময় তাদের মসজিদে স্পর্শ করাও বারণ । পুরুষকেও একাধিকবার বারণ করা হয়েছে ঋতুমতী নারীর সাথে সঙ্গম করতে । নারীর শারীরিক কষ্টের কথা ভেবে নয় , বরং পুরুষকে নাপাক হওয়া থেকে বিরত রাখতে । তবে পতিগণের কোনও চিন্তা নেই । কেননা কামনা মেটানর জন্য সেই সময় অন্য স্ত্রী তো আছেই । তবে সমস্যা যদি পুরুষটির সেই ঋতুমতী পত্নীর সাথেই সঙ্গমের ইচ্ছা হয় ! কুছ পরোয়া নেই , তার ও সমাধান আছে ইসলামে… বিশ্বের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানে । কি সমাধান ? আবু দাউদ হাদিসের কিতাব আল নিকাহ এর ২১৬৪-২১৬৫ নং হাদিসে বলা আছে , ঋতুমতী পত্নীর সাথেও সঙ্গম করা বৈধ । কিন্তু ঋতুর প্রথম দিকে হলে এক দিনার এবং শেষ দিকে হলে আধ দিনার সাদকাহ(দান) দিতে হবে । অধিকাংশ ব্যাখ্যাকারী বলেন সেই দান টি প্রায়সচিত্য স্বরূপ(অর্থাৎ গরিব কে দান করতে হবে) আবার কেউ মনে করে সেই দান জরিমানা স্বরূপ (অর্থাৎ পত্নী কেই সাদকাহ দিতে হবে) । তবে সে যাই হোক , সাদকা-র পরিমাণ এতো কম যে কোনও পুরুষ ই তাকে গুরুত্ব দেবে না । অথচ পেয়ে যাবে নিষিদ্ধ সময়ে স্ত্রী সঙ্গমের অধিকার । স্ত্রী নাপাক হলেও পতি সঙ্গম করলেও নাপাক হবে না ! অসাধারণ বিধান !
আরেকটি কথা জানাতে চাই তাদের ,যারা মনে করেন ইসলাম হল পরম বিজ্ঞান । তারা কি জানেন ঋতু কালীন অবস্থায় স্ত্রীর অবস্থা কেমন থাকে ? কোনও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ কে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন । তারা আপনাদের জানিয়ে দেবেন যে ঋতুকালে বিশেষত প্রথম তিন দিন নারীর যোনি কতটা দুর্বল থাকে । এই সময় যৌন মিলনে যোনি তে মারাত্মক ক্ষত তৈরি হতে পারে । যা থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে । কিন্তু ইসলামে এসবের কোনও গুরুত্বই নেই । যেমন মহৎ ইসলামীয় বিজ্ঞান তেমনই মহৎ তার নারী কে মর্যাদা প্রদান !
নারী তো ওই সময় তার শারীরিক দুর্বলতা ও অনিচ্ছার কারণে তার পতির কাছে না যেতে পারে ! তখন পুরুষ টি কি করবে ? চিন্তা নেই , চরম পুরুষতান্ত্রিক ধর্ম ইসলাম পুরুষের ইচ্ছা পুরণের যাবতীয় সরঞ্জাম মজুত রেখেছে । নারীকে দৈব অভিশাপের ভয় দেখানো হয়েছে , যাতে করে নারী ভয়েও পুরুষের বিছানায় আসতে বাধ্য হয় । আবু দাউদ হাদিসের ২১৩৮ নং হাদিস টি দ্রষ্টব্য । “মুহাম্মাদ ইবন আমর… আবু হুরায়রা (রা) নবী করিম হতে বর্ণনা করেছেন । তিনি বলেন ,যখন কোনও ব্যক্তি তার স্ত্রী কে তার বিছানায় আহ্বান করে ,আর সেই স্ত্রী তার নিকট গমন করে না , যার ফলে স্বামী রাগান্বিত অবস্থায় রাত কাটায় , ওই স্ত্রীলোকের উপর ফেরেস্তা গন সকাল পর্যন্ত(অন্য একটি হাদিস অনুযায়ী, বা যে পর্যন্ত না স্বামীর কাছে আসছে, সেই পর্যন্ত ) অভিসম্পাত করতে থাকেন” ।
নারীর বিরুদ্ধে আল্লাহ এবং নবীর মিলিত চক্রান্ত এখানেই শেষ নয় । স্ত্রীর অবাধ্যতার আশঙ্কা করলে তাকে প্রহারের ও নির্দেশ দিয়েছে আল্লাহ ( সুরা –নিসা , ৩৪ ) । আর নবী ও বলেছেন পতি কে ইহকালে বা পরকালে কখনই জানতে চাওয়া হবে না কেন সে তার পত্নী কে প্রহার করেছে । তবে নবী সাবধান করে দিয়েছেন , গোলামের মতো স্ত্রী কে যেন প্রহার করা না হয় ! কিন্তু এই জন্য নয় যে স্ত্রী ও একজন মানুষ , তারও ইচ্ছা অনিচ্ছা থাকতে পারে , বা স্ত্রী তার আপন । বরং এই কারণে যে , রাত্রি বেলা স্ত্রী কে নিয়ে বিছানায় যেতে হবে তো ! তখন যেন স্ত্রী বিছানায় যাওয়ার মতো অবস্থায় থাকে । কিম্বা , যে স্ত্রী কে প্রহার করেছে, রাতে তার বিছানায় যেতে যেন পুরুষ টির সঙ্কোচ বোধ না হয় ( বুখারি ৪৮২৫)!
দেনমোহর গ্রহণের পর সারা জীবন নারী এই ভাবে নিজেকে নিঃস্ব করে পুরুষ কে সব কিছু দিয়ে যাবে , তবু নারী শয়তান । নারী অপয়া (বুখারি, ৪৭২২) নারী পুরুষের উপর সর্বাপেক্ষা বড় ফিতনা ( বুখারী,৪৭২৫) এবং অধিকাংশই জাহান্নামী (৪৮২৫) ।
এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যে প্রসঙ্গ টি অনিবার্য ভাবেই এসে পরে তা হল তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ । ইসলামী ব্যাখ্যাকার রা এখানেও মিথ্যার আশ্রয় নেন । তারা বলেন , ইসলাম কেবল স্বামী কেই ত্বালাক দেওয়ার অধিকার দেয়নি , স্ত্রী দেরও দিয়েছে । যারা পড়েন ওই সব ইসলামের অন্ধ প্রশংসা করে লেখা বইগুলো , তারা যাচাই করে দেখেও না যে সত্যি টা কি ! তাই নারীর মর্যাদার আলোচনায় তালাকের বিষয়টি ও জেনে নেওয়া আবশ্যিক —
বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় পতি বা পত্নী যে কেউ তো একে অপরের বিরুদ্ধে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন বিবাহবিচ্ছেদ (তালাক) প্রার্থনা করে । কিন্তু এই প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে আমরা জেনে নেবো ইসলামী ব্যবস্থায় আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ব্যতীত কিভাবে তালাক কার্যকর করার নির্দেশ আছে ।
মুসলিম আইন অনুসারে , আদালতের হস্তক্ষেপ ব্যতিরেকে পতি ও পত্নীর তালাক দুই ভাবে কার্যকর হতে পারে ।
১) পতির একক ইচ্ছায় — “মুসলিম আইনের ৩০৮ নং ধারায় বলা হয়েছে , সুস্থ মস্তিষ্ক ও সাবালক কোনও মুসলমান কোনরূপ কারন প্রদর্শন না করেই নিজ ইচ্ছানুযায়ী টার স্ত্রী কে এককভাবেই ত্বালাক দিতে পারে”। এই তালাক দুই ভাবে কার্যকরী হতে পারে । মৌখিক ঘোষণা ও লিখিত ঘোষণা । তবে সেই ঘোষণা টি পরিষ্কার হতে হবে । যেন তার অভিপ্রায় নিয়ে কারো মনে কোনও সংশয় না থাকে ।
২) পতি ও পত্নীর উভয়ের ইচ্ছায়— মুসলিম আইনের ৩১৯ নং ধারায় বলা হয়েছে , খুলা বা মুবারা দুই ভাবেও বিবাহ বিচ্ছেদ হতে পারে । পত্নী সঙ্গত কারন প্রদর্শন করে পতির অনুমতি ক্রমে যদি তালাক চান ,তাহলে সেই তালাক কে খুলা বলা হয় । আর যদি উভয়ের ই সঙ্গত কারন বশত উভয়ের বিরুদ্ধে তালাক চান ,তাহলেও পারস্পরিক সম্মতিতে তালাক কার্যকর হতে পারে , একে মুবারা বলে ।
এছাড়াও ইলা , জেহার প্রভৃতি ভাবে তালাক হতে পারে । কিন্তু কোনও ভাবেই স্ত্রীর একক ইচ্ছায় তালাক কার্যকর হতে পারে না । সুতরাং তালাকের ক্ষেত্রে সমানাধিকারের বা সম মর্যাদার তত্ত্ব যে কতটা মিথ্যা , তা জলের মতোই পরিষ্কার ।
সব শেষে যে প্রসঙ্গ দিয়ে লেখা তে ইতি তানতে চাই তা হল , হিলা প্রসঙ্গ । একজন পতি যদি তার পত্নী কে রাগের মাথায় বা অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় তালাক দিয়ে থাকে তাহলে , স্বাভাবিক ভাবেই প্রকৃতিস্থ হলে তার অনুসুচনা হতে পারে । সেক্ষেত্রে তার নিজ স্ত্রী কে ফিরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা হতে পারে । তখন ইসলাম তা করার নির্দেশ দেয় একটি শর্তে । তালাক সুদা সেই পত্নী কে ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পর অন্য এক জন কে বিবাহ করতে হবে । তার সাথে বিছানায় যেতে হবে । এবং এরপর যদি সেই পতি তাকে তালাক দেয় , তবে পূর্বেকার পতি তাকে পুনরায় গ্রহণ করতে পারবে । বেশিরভাগ ব্যাখ্যাকার এই নোংরা প্রসঙ্গ টি সযত্নে এড়িয়ে যাওয়াই পছন্দ করেন । তবে কয়েকজন নিতান্তই নির্লজ্জ ব্যাখ্যাকার বলেন , তালাক কে আরও কঠিন ,আরও দুঃসাধ্য করার জন্য এই প্রথা গৃহীত হয়েছে । বাস্তবে কিন্তু তা সত্যি নয় । তালাক কে দুঃসাধ্য করার জন্য স্ত্রী কে অন্য একটি বিয়ে করতে হবে , তার পর সেই ব্যক্তি টির সাথে যৌন সঙ্গম করতে হবে । তারপর সেই দ্বিতিয় পতি যদি তার স্ত্রী কে তালাক দিতে রাজী থাকে ,তাহলে তালাক দেওয়ার পর সে আবার প্রথম পতির কাছে ফিরে যেতে পারে । বাহ ! তালাক দিয়ে দোষ করলো পতি , তাকে শাস্তি না দিয়ে , তালাক কে দুঃসাধ্য করার কি অপূর্ব চেষ্টা ! যার জন্য ভুগতে হবে পত্নী টি কে । দ্বিতীয় পতি অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে গ্রহণ করতে হবে । অনিচ্ছা সাথেও তার সাথে বিছানায় যেতে হবে , শুধুমাত্র নিজের পতি কে ফিরে পাওয়ার জন্য ! । দ্বিতীয় পতি যৌন দুর্বল হলে তো প্রথম পতির কাছে ফিরে যাওয়ার আশা পূরণ হল না । আর সে যৌন সক্ষম হলে তাকে নিজদেহ ভোগ করতে দিতে হবে । এর পর সেই দ্বিতীয় পতি যদি তাকে তালাক দিতে না চায় , সেই ভয়ে বাকি দিন গুলো কাটাতে হবে । তারপর দ্বিতীয় পতি যদি দয়া করে তাকে তালাক দেয় , তবে সে আবার প্রথম পত্নীর কাছে ফিরে যেতে পারবে । পতি কে ফিরে পাওয়ার জন্য যার এতো আত্মত্যাগ , পতি কে ফিরে পেয়ে কি আর সে সেই সম্মান পাবে , যা আগে পেত ? এর উত্তর আমরা সবাই জানি ।
তাই, ইসলামে নারীর অধিকার , মর্যাদা আর স্বাধীনতা নিয়ে বড় বড় কথা না বলাই ভালো ।
এই লেখাটি অতি চমৎকার। আমরা যারা মুসলমান সমাজের বাইরে থেকে তাকে বিচার করি, অনেক কিছু না জানার দরুন বহু রকম ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছাই। সেই দিক থেকে এই প্রবন্ধ আমাকে অনেকখানি আলোকিত করেছে। লেখিকার বক্তব্যের আত্যন্তিক সমর্থক হিসাবে সমালোচকদের বিভিন্ন বক্তব্যের মধ্য থেকে পরিদৃশ্যমান কিছু অসঙ্গতির দিকে সকলের নজর আকর্ষণ করছি।
ক) লেখিকা যে সমালোচনা করেছেন তা খুবই তথ্যপূর্ণ ও নির্দিষ্ট। তার বিরোধিতা করতে হলে সেই নির্দিষ্ট বিন্দুতে গিয়ে তথ্যের ভ্রান্তি কোথায় সেটাই দেখাতে হবে। তা না করে অন্য প্রশ্ন উত্থাপন করলে বুঝতে হবে, সমালোচকও মনে মনে জানেন লেখিকার কথা আসলে সর্বৈব সত্য, কিন্তু তবুও তিনি তা ধর্ম রক্ষার খাতিরে মেনে নিচ্ছেন না। এই অবস্থানটা আমরা যারাই বিজ্ঞান, বৈজ্ঞানিক বুদ্ধি ও যুক্তিবাদের পক্ষে কাজ করি, তারা কিছুটা হলেও জানি এবং এর মোকাবিলা করেই আমাদের এগোতে হচ্ছে।
খ) অনেকেই লেখিকার বিরোধিতা করতে গিয়ে কোরান থেকে কিছু কিছু ভালো ভালো সূত্রের উল্লেখ করেছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন, লেখিকার এগুলো কেন নজর এড়িয়ে গেল? মুশকিল হচ্ছে, লেখিকা যে সমস্ত আয়াত থেকে নারীর অধিকারহীনতা দেখাতে চেয়েছেন, অন্য দুটো ভালো কথায় তার তো খণ্ডন হয় না। যেমন, পঞ্চম বিবাহের ক্ষেত্রে পূর্ববিবাহকৃত চার জন স্ত্রীর প্রতি পুরুষকে যে অন্যায় ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, ভরণপোষণ, ক্ষতিপূরণ, দেনমোহর, খোরপোষ, ইত্যাদি বিধি উল্লেখের দ্বারা না হয় তার জবাব, না হয় নারীর মর্যাদা প্রদানের প্রমাণ। এতে শুধু এইটুকু প্রমাণ হয়, কোরানে পুরুষদের যাবতীয় সুবিধা বজায় রেখেই দুর্দশাগ্রস্ত নারীদের জন্য কিছু রক্ষাকবচের কথাও হয়ত ভাবা হয়েছিল।
গ) সমস্ত ধর্মগ্রন্থেই অনেক ভালো ভালো কথা আছে, ঠিক যেমন অনেক খারাপ খারাপ কথাও আছে। প্রথম গুচ্ছের অস্তিত্বের দ্বারা দ্বিতীয় গুচ্ছের অস্তিত্ব নাকচ হয় না। যারা যেমন অবস্থান নেন, তারা সুবিধা মতো এক এক জায়গা থেকে সেই অনুযায়ী উদ্ধৃতি দিয়ে থাকেন। আর আমরা চাইলেও আজ আর এই সব শাস্ত্রগ্রন্থের সংশোধনের কোনো উপায় নেই। সংশোধিত শাস্ত্র প্রকাশের কোনো সুযোগ কোনো ধর্মই রাখেনি।
ঘ) বহুবিবাহের পক্ষে যেভাবেই যুক্তি করা হোক না কেন, তা শেষ বিচারে কুযুক্তিতে পরিণত হতে বাধ্য। মহসীনাদেবী পুরুষ-নারীর অনুপাতের বিষয়টা যথার্থভাবেই উল্লেখ করেছেন। সেটা মাথায় রাখলে বুঝতে কারোর অসুবিধা হবে না, কোনো দেশে কোনো কালেই পুরুষদের পক্ষে বিশ পঞ্চাশ একশ ইত্যাদি যথেচ্ছ সংখ্যায় বিয়ে করার সুযোগ বা সম্ভাবনা ছিল না। ফলে আরবেও প্রাক-ইসলাম যুগে বহুবিবাহ প্রচলিত থাকলেও সংখ্যাটা খুব বেশি হওয়া বাস্তব জনসংখ্যার বিচারেই সম্ভব ছিল না। প্রাচীন ভারতের লোককথা ও পুরাণে কৃষ্ণ প্রমুখের বিপুল বিবাহিত নারীর সংখ্যা পাওয়া যায়, তাও যে সম্পূর্ণ অসত্য না বোঝার কোনো কারণ নেই। রাজা জমিদার পাণ্ডাপুরোহিতরা প্রভাবশালী ব্যক্তিরা একাধিক বিবাহ করলেও অধিকাংশ মানুষকে এক বিবাহেই সন্তুষ্ট থাকতে হত। বরং, এটাই মনে হয় যে আরব সমাজে প্রচলিত বিবাহ প্রথাকে হজরত মহম্মদ (বানান ভুল হয়ে থাকলে সংশোধন করে নেবেন) খুব বেশি পরিবর্তিত না করেই তাঁর ধর্মীয় আচরণের অংশ করে নিয়েছিলেন। পঞ্চমের প্রশ্ন যদি নাও ধরি, দাসী বা যুদ্ধ বন্দি নারীদের সাথে যৌন সংসর্গের কথা যদি বাদও দিই, চার সংখ্যাটা কিন্তু (পুরুষ-নারী সম্পর্কের ক্ষেত্রে) বেশ বড় সংখ্যা। নারীর সমানাধিকারের প্রশ্নটি যে এই প্রশ্নে এসে দারুণভাবে মার খায়, এই সত্যকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। সেদিনকার সমাজে এটা হয়ত গ্রহণযোগ্য ছিল। কিন্তু আধুনিক যুগে এর অস্তিত্বের পক্ষে কিছু বলা মানেই আমাদের চারপাশের মা বোনেদের অসম্মান করা।
ঙ) আর উদ্ধৃত আয়াতটিকে স্বীকার করে নিলে একটা আরও গুরুত্বপূর্ণ বিন্দু চোখে পড়ে। নির্দেশিকায় বলা হচ্ছে, “দুই, তিন, অথবা চার”। এক নয় কেন? অর্থাৎ, একেবারে মূলগতভাবে বহুবিবাহ প্রথাকেই মান্যতা দেওয়া হয়েছে, একগামিতাকে স্বীকার করাই হয়নি (যদি আমি এই সূত্রটিকে না বুঝে এই মন্তব্য লিখে থাকি, পাঠকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী; আমাকে ভুলটা কোথায় হল ধরিয়ে দিন)।
চ) ইসলাম ধর্মের বিকাশের অন্তত ছয়শ বছর আগেই খ্রিস্টধর্মের উৎপত্তি। সেখানে একপুরুষ-একনারী বিবাহ প্রথা চালু হয়ে গিয়েছিল। আরব দেশের চারপাশে প্রচুর খ্রিস্টান ছিল। সুতরাং, সেদিনকার অর্থেও সমকালীন বিচারে খ্রিস্টধর্মের তুলনায় এই জায়গায় ইসলাম অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছিল। কেন পেছতে হয়েছিল, তার সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ চলতে পারে, যুক্তিতর্ক করা যেতেই পারে; কিন্তু কোনো মতেই একে অগ্রগতি বলা যায় না।
ছ) পশ্চিমি দেশগুলিতে যৌনতার সমস্যা কতটা ভয়াবহ, নারীর সামনে কী কী বাড়তি অসুবিধা আছে, তা দেখিয়ে আর একটা জায়গায় উত্থাপিত সমস্যাগুলিকে অগ্রাহ্য করা যায় না। আর একথা তো মানতেই হবে, ইসলামি দেশগুলির তুলনায় সেই সব দেশে নারীদের মধ্যে শিক্ষার অগ্রগতি চাকরিগ্রহণ সামাজিক দায়িত্ব বহন ইত্যাদির সূচক অনেক উঁচুতে। যেহেতু নারীরা গৃহে আবদ্ধ থাকলে, রাস্তায় নারীর অবমাননার ঘটনা কম ঘটবে, সেই যুক্তিতে পর্দা বোরখা অশিক্ষা বহুবিবাহ ইত্যাদিকে সমর্থন করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এই সব কুযুক্তি রামমোহন বিদ্যাসাগরের সমাজ সংস্কার আন্দোলনের সামনেও উঠেছিল। তাঁরা সেই সব কথায় কান দিলে আজ ভারতের শিক্ষা সংস্কৃতিতে যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তার কিছুই হত না।
[… পরের মন্তব্যে বাকি অংশ]
[…] প্রথম মন্তব্যের পর
এর পর আমার আর দুচারটে কথা লেখিকার উদ্দেশে বলার আছে। এক, এত অসঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও ইসলাম ধর্ম বিশ্বের একটা বড় অংশের মানুষকে কীভাবে আকর্ষণ করেছিল, যুক্তিবাদীদের তরফে এর একটা ইতিহাস সম্মত ব্যাখ্যা পাওয়ার বা দেবার চেষ্টা করতে হবে। আমার মতে, ইসলামের বিধানগুলি আধুনিক বিশ্বে এবং আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যতই বিসদৃশ লাগুক, মধ্য যুগের সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থায় এর নিশ্চয়ই কিছু সর্বজনীন আবেদন ছিল। যার ফলে একে আরবের বাইরেও এক বিরাট ভূখণ্ডের মানুষ গ্রহণ করেছিল। দুই, আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে পুরুষের চতুর্বিবাহের বিধান, ধর্মগুরুর ততোধিক বিবাহ, পোশাকের ব্যাপারে নারীর উপরে চাপাচাপি, পর্দাপ্রথা, দাসপ্রথা মেনে চলা, দাসীদের সঙ্গে বাধাহীন যৌনসম্পর্ক, যুদ্ধে পরাজিত রাজ্যের নারীদের লুট করা, ইত্যাদি বিষয়গুলি, সামন্ততন্ত্রে রাজাবাদশা ও পাণ্ডাপুরোহিতদের জীবনযাপনের প্রায় স্বাভাবিক অঙ্গ ছিল। আলাদা করে কোরান বা ইসলামকে এর থেকে অন্যভাবে দেখা বা তার থেকে অন্য কিছু আশা করা বোধ হয় অনুচিত। তিন, এরকম সম্ভাবনা থাকতে পারে কিনা ভেবে দেখা দরকার, চতুর্দিকে অনবরত যুদ্ধবিগ্রহ চলতে থাকার কারণে সক্ষম যুবকের সংখ্যা সংশ্লিষ্ট বয়সের তরুণী-কিশোরীদের তুলনায় কম হয়ে যাওয়ার কারণে হয়ত বহুবিবাহ প্রথা সামাজিকভাবে ভারসাম্য রক্ষার একটা আবশ্যক সাময়িক বিধি হিসাবে চালু হয়েছিল। যদি এই সম্ভাবনা স্বীকার করা হয়, তাতে আদি ইসলাম ধর্মের সপক্ষে বলার সুবিধা হলেও আজকের সমাজে একটা অসুবিধা আছে। কেন না, আজ যে সামাজিক পরিস্থিতিতে এরকম সমস্যা নেই, সেখানে এক লহমায় এই বিধি অকার্যকর হয়ে যাওয়ার কথা। তা সত্ত্বেও যদি তা না হয়ে থাকে, তখন বুঝতে হবে, এই বিধানের সপক্ষে কোনো যুক্তি নয়, নিছকই ধর্মীয় অন্ধতা আমাদের মূলধন। উনি বলেছেন, ওখানে আছে, অতএব তা আজ অবধি সত্য, কল্যাণকর, ভালো, সুন্দর, মহান, ইত্যাদি বলে দেখাতেই হবে। আসল বিপত্তি এইখানেই।
আমার এই ব্যাখ্যার সাথে আপনি একমত হবেন কিনা জানি না। আমি শুধু ভেবে দেখতে বলছি।
সুন্দর লেখাটির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
মন্তব্য.. এরপর মন্তব্য দেওয়ার আগে যে বিষয়ে মন্তব্য দিবেন সেই বিষয়টি ভালভাবে জেনে নিন তারপর মন্তব্য দিন। আর আপনারা তো কারও সাথে ডিবেট করবেন না কারন আপনারা শুধু মনগড়া বক্তব্য দিতে পারেন যদি সাহস থাকে তো ড.জাকের নায়েক এর চ্যালেঞ্জ গ্রহন করুন অথবা কোন ইসলামী স্কলারের সাথে ডিবেটে অংশ নিন দেখি আপনার কলিজায় কত জোর –
মিষ্টার লেখক আপনাকে বললাম
আর আপনি যদি কোন ডিবেটে অংশগ্রহণ করেন সেটি TV তে সরাসরি সম্প্রচার করুন তাহলে আপনাকে দেখে সবাই শিখতে পারবে
অনেক দিন আগের পোষ্টা
তাই বলে আমার লেখা না পরে কেউ পালা ্
বেনা
আমার মনেহয় এখানে যারা ইসলামকে ও আমার প্রিয় নবী
হযরত মুহাম্মাদ সাঃ কে নিয়ে কুরুচি পন্য কথা বলেছে
আল্লাহ তাদের উত্তম বিচার করেছেন এবং করবেন।
আর তারা কুরআন এবং হাদিস থেকে যে তথ্য গুলি দায়েছেন তাতে মনে হয় তারা মুসলিম না যদিও তারা
নিযেদের নামদিয়ে মুসলিমের পরিচয় দিচ্ছেন।
যদি এতো গ্যানি হন তাহলে বানিয়ে ফেনুনা এমন একটা বই
যাতে থাকবে সুধু আপনার দেওয়া বানী।
আর সবাই (নারীরা) টিভি দেখা বাদ দিয়ে আপনার বই
দেখবে আর পরবে।পারবেন না। তা আপনার দ্বারা এই দুনিয়া
সম্ভাব না।
আপনি কি আমার মা কে কখনো আপনার মতো বলতো সুনেছেন?
আপনি কি আমার মাকে কখনো করতে দেখে ছেন?
তাহলে আপনি কিভাবে এভাবে বুঝতে সিখলেন?
আর আমি বলবো আপনার এই নাসতিকতার জন্য দায়ি আমার মা।
কারন কুরআন হাদিস থেকে আপনি যে বাক্য গুলি ব্যবহার করেছেন তা সবগুই আপনার নিজের যুক্তির জন্য গ্রহন করেছেন তার করনা ঐ সব বিষয়ে কুরআন এবং হাদিসে
আরো ভাল এবং গ্রহন যোগ্য বানি আছে যা আমার অন্য বন্ধুরা দেখিয়ে দিয়েছে।
দয়া করে তাওবা করে কালিমা পাঠ করবেন করন ইসলামের প্রথমে কালিমা কে গুরুত্তো দেওয়া হয়েছে।
আর অবশ্যই যেনে বুঝে পরবেন।
তাহলেই আপনারা যারা ইসলামের দোস ত্রুটি খুযেবেরা তারা তাদের সকল প্রশ্নের যবাব পেয়ে যেবেন।
আর যদি না পান তা হলে বুঝবোন আপনি কালিমা বুঝেন নি অথবা আপনি বুঝেছন যে ভাবে আমরা বুঝতে পারি মায়ের জারজ সন্তান কে।
ভালো কাজ নিজেকে আনন্দ দেয় আর খারাপ কাজ দেয় পিরা।
দেনমহর এর নাম শুনলেই কেন যেন গা জালা করে।মনে হয় নারীরা যেন কোন পন্য আর তার শরীরটা কেনার মুল্যর নাম দেনমহর।আর তারা একে বলেন অধিকার!
@সাদিয়া, ঠিক বলছেন । ভাবলেই রাগে সারা শরীর জ্বলে ওঠে
@সাদিয়া, আপনার সাথে আমি ও একমত হবো যদি বিবাহের দেনমহর আদায়ের ক্ষেত্রে নারীকে পন্য রুপে গণ্য করা হয়। (Y)
তবে তার পূর্বে এই লেখাটা একবার ভালো করে পরে দেখবেন আশা করি। (F) (F) (F)
http://www.theanuranan.com/news_detail.php?news_id=1637
– ইসলামে পৈতৃক সম্পত্তিতে নারী-পুরুষ সমানাধিকার নেই। যা খৃষ্টান ধমের্ আছে । আমাদের দু:খ আরবের মত ববর্র্ দেশের ইতিহাস এবং তাদের জীবনাচরণ মানার জন্য আমরা ব্যাকুল হয়ে যাই।
কখনো কখনো এও বলা হয় যে একমাত্র ইসলাম ই নারী কে পুরুষের সমান মর্যাদা দিয়েছে । একথাটি আপনি কোন সূরা বা আয়াত ধরে বলেছেন তা উল্লেখ করেননি। জানালে ভাল হতো।
@shilpi,
আমাদের উপমহাদেশের মেয়েরা যেন একটু বেশিই আকুল । 🙁
নারী মর্যাদায় ইসলাম সর্বোওম। ইসলামী বিধানের ভূল ব্যাখ্যা দেবেন না। ইসলামে আছে, সামর্থ থাকলে পুরুষের একের অধিক তিন থেকে চারটি বিয়ে করতে বলা হয়েছে। না জেনে blog এ লিখে ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন,না জেনে এত লাফালাফি করা উচিত নয়। আগে নিজে জানুন।
ভাইরে আমাকে এবং মহানবীকে এক কাতারে বসিয়ে দিলেন? ধর্মের তো বারোটা বেজে গেলোরে ভাই। আমার মতো মহাপাপীর মনে নাই থাকতে পারে কিন্তু মহানবীর ক্ষেত্রে এটি কতটুকু প্রযোজ্য হতে পারে?
@ছন্নছাড়া, অভিনন্দন । হে মহানবী ২ :guru:
ভাই, এইসব তুচ্ছ ব্যাপারে কি আমাকে টানাটানি না করলেই নয়? জ্ঞান তো এখন মানুষের পকেট পর্যন্ত পৌছে গেছে.. শুধু পড়ে নেয়ার অপেক্ষা.. অবশ্য এখন আমার মনে হচ্ছে আপনাদের পড়তে বলে ভুলই করেছি.. আমি নিজে প্রায় অন্ধ হয়ে গিয়েছি.. এই মুহূর্তেও চোখ থেকে পানি পড়ছে. অবশ্য এজন্য আমি দু:খিত নই..আবার চোখ পেলে আমি আবার পড়তে পড়তে নষ্ট করতাম জানি, এখনো তো জানাই হলো না “আমি কে”?
আমার পুরো আয়াত টা উল্লেখ করা অপ্রয়োজনীয় ছিল, যদি করতামও, তবু যা বলেছি তাই বলা হত.
সিএনজি অটোরিক্সা চালায় কে? এটা কি গ্যাস এ চালিত? ভাড়ায় চালিত? মিটারে চালিত? ইঞ্জিন চালিত? চালক কর্তৃক চালিত? আপনি কি উত্তর দেবেন?সবগুলো সবসময় একসাথে বলবেন? না পরিস্থিতি অনুযায়ী যখন যেটা প্রাসঙ্গিক সেটাই বলবেন? আদমকে মাটি থেকে বানানো হয়েছে, মানুষকে ধাবমান পানি (বীর্য ) থেকে বানানো হয়েছে, রক্তপিণ্ড থেকে বানানো হয়েছে, তার মধ্যে আগুন, পানি, মাটি, বাতাস সবকিছুর বৈশিষ্ট আছে, সবকিছুই আছে কুরআনে এবং সবগুলোই তো সত্যি. কোথাও তো কঠিন মানুষকে পাথরও বলা হয়েছে.
ষষ্ঠ শ্রেণীতে আপনি শেক্সপিয়ার এর সহজ ক্ষুদ্র বঙ্গানুবাদ পড়েছেন, সেকেন্ডারি লেভেলে পড়েছেন সংক্ষেপিত গল্প, মূল শেক্সপিয়ার এর স্বাদ তখনি পাবেন, তখনি বুঝতে পারবেন, যখন নাটকগুলো যেভাবে লেখা হয়েছিল সেটাই পড়বেন. অনুবাদ আর সংক্ষেপন তো তাদের জন্য যারা এটা করতে অক্ষম বা অনিচ্ছুক. আরবি “ইকরা” অর্থ “পড়” নয়, অনেকটা “আবৃত্তি” কর গোছের. সেজন্য অনেক অনুষ্ঠানে মোল্লাকে বলা হয় “কিরাত পড়েন” আর সেও চোখ বুজে শুরু করে দেয়, কিছু না দেখেই… বুঝে নিন, “ইকরা ” আর “কিরাত ” এর মূল ধাতু একটাই. মুহাম্মদ নিরক্ষর ছিলেন, তাকে পড়তে বলার কারণ নেই.. জিব্রাইল এর উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “মা আনা বি কারী ইন..” এর অর্থ দু’রকম হতে পারে শুধু ধ্বনি বদল করলেই (এ জন্যই বলি অনুবাদে কাজ হয়না ) ১. আমি তো পড়তে জানিনা ২. আমি কী পড়ব? সবশেষে বলি, আপনি যখন দেখেন কোনো মোল্লার ঠোঁট নড়ছে, তার সামনে কোনো বই বা কিছু নেই, আপনি কী বলেন? সে দোআ পড়ছে, নাকি দোআ বলছে??
মুহাম্মদ যদি জন্ম থেকেই জানতেন যে তাঁর জন্যই এই পৃথিবী, তাহলে তাঁর কাছে ওহি আসার কী দরকার ছিল? তাঁর আত্মা সবার আগে সৃষ্টি হয়েছে, তাই বলে জন্মের আগের ঘটনাও তাঁর মনে থাকবে? আপনার কী মনে আছে, যখন সব আত্মা সৃষ্টি করে আল্লাহ প্রশ্ন করেছিলেন “আমি কি তোমাদের স্রষ্টা, প্রতিপালক নই?” আমরা সব মানুষ, আপনি সহ, বলেছিলাম “নিশ্চয়ই তুমি তাই!” মনে থাকলে তো আর কথাই ছিল না.
ওয়ারাকা বেচারাকে এত তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবেন না ভাই, তখন তো ঈসা নবীর আমল শেষই হয়নি, সে মুহাম্মদ এর অনুসরণ করবে কিভাবে?
চোখের ১৫ টা বেজে যাচ্ছে, আজ আর পারছি না, এসবের উত্তর আপনার আসে পাশেই ছিল, আপনি ভালমত খোঁজেন নি. আমার কথা তো আমার ছেলে মেয়েরাও শোনে না, অন্যদের আর উপদেশ দিয়ে কি হবে? আশা করি আপনি ধন্য হয়েছেন.
পোস্ট টা ব্যাপক হইসে… 🙂 … তবে কিছু কিছু ঘতনার লিঙ্ক দিলে ভাল হইত… 🙂
ভাই judhishthir
আপনার লেখাটা পড়লাম।আপনার ভাষ্যমতে কুরানের প্রথম শব্দ “পড়”।আমার মনে হয় লেখিকাকে আপনি যে দোষে দুষ্ট করতে চাচ্ছেন আপনার নিজের লেখাও তার থেকে কম দুষ্ট নয়।আপনি নিজেও আংশিক অনুবাদ করলেন। পুর্নাংগ লাইনটি এরকম হবে “পাঠ কর তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমায় সৃষ্টি করেছেন জমাট রক্তপিন্ড হতে”। মজার ব্যাপার একই কুরানের বিভিন্ন জায়গাতে মানুষকে (পানি, বাতাস) ইত্যাদি দিয়ে তৈরির কথা বলা হয়েছে।যা মানুষের জন্য আজীবনের সংবিধান তাতে এরকম আন্তঃসাংঘর্ষিক কথা থাকে কিভাবে?দ্বিতীয় ব্যাপার আমারা কোথাও এটা শুনিনি যে জীব্রাইল মহানবীর কাছে কোন লিখিত বানি আনতেন। সেক্ষেত্রে “পড়” না হয়ে শব্দটি হওয়া উচিৎ ছিল “বল”।আল্লার বানীতে ভুল হওয়া খুবি আস্বাভাবিক।দয়া করে পড় ও বল শব্দ দুটিকে একই বানানর চেষ্টা করবেননা কারন কোন লিখিত বিষয় পড়া যায় কিন্তু মৌখিক ব্যাপারটা বলা যায়।তৃতীয়তঃ যিনি মহানবি, যিনি না হলে এই বিশ্মব্রক্ষান্ড তৈরি হতনা তিনি কিভাবে যিব্রাইল নামক এক মামুলি ফেরেস্তাকে দেখে এত ভীত হলেন?যদিয় আমরা জানি পুর্ববর্তী নবীরা সরাসরী আল্লার সাথে যোগাযোগ করতেন।আরেকটি ব্যাপার হযরত মোহাম্মাদ সাঃ যে শেষ যামানার নবী সেটি তাকে জানতে হল ওয়ারাকা বিন নওফলের মতো এক বিধর্মীর কাছ থেকে?প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর খুজেছি অনেকদিন ধরে আজো জানিনা উত্তর কি।উত্তরগুলো পেলে ধন্য হব
ভালো থাকবেন
ও হ্যা, আরেকটা কথা.. আমার মন্তব্যে যদি মনে হয়ে থাকে আমি আপনার কথা গুলো সত্য বলে ধরে নিয়েছি তাহলে সবিনয়ে বলতে চাই, আপনার অধিকাংশ যুক্তি উদ্দেস্শ্য প্রণোদিত ভাবে চয়িত, সুত্র গুলি দুর্বল অথবা অস্তিত্বহীন, কিছু ভাবাবেগে দুষ্ট (যেমন, নারী পুরুষকে শুধু দিয়েই যাবে সারাজীবন? ( যেন পুরুষদের কাছ থেকে নারী কিছুই পায়না..) পরনারীর প্রতি আকৃষ্ট হলে ঘরে এসে স্ত্রীকে ভালবাসা উচিত নয়.. আপনার মতে পরনারীর পেছন পেছনি যাওয়া উচিত মনে হয়! ), আর কিছু তো হাস্যকর. (যেমন ইসলাম সম্পর্কে জনৈক কংকর সিংহের উদ্ধৃতি)
কৈশোরে বাম রাজনীতি করতাম, আমাদের তখন বলা হত “পড়”, যদি বলতাম পড়েছি ভাইয়া, তাহলে শুনতাম, “আরো পড়”. পরবর্তিতে দেখলাম ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যেটা শুরু করেছে, “পড়” বলে. যেটা নারী পুরুষ সকলকে জ্ঞানার্জন করতে বলেছে. আপনাদেরও বলব, পড়ুন, যদি বলেন অনেক পড়েছি, আমি বলব আবার পড়ুন এবং আরো পড়ুন.. একসময় ভ্রান্তি দূর হবে, ব্লগে বিদ্বেষ ছড়াবে না, জ্ঞান এর জয় হবে, বিবেকের জয় হবে, মানবতার জয় হবে. “শিক্ষাই আলো” তো আর খামোখা বলে না!
@judhishthir, আপনার
আপনার “ভালবাসা” শব্দ টি আসল ভাষা টি কে আড়াল করতে চাওয়ার ভাষা । এরকম কি বলা যেতো না , তোমরা নিজেকে সংযত করতে শিখো । বরং সংযত হতে না হয়ে বলা হল যাও নিজের পত্নীর কাছে এবং সে যে অবস্থায়ই থাকুন না কেন , সঙ্গমে রত হও ।
২) পড়ো , একথা বলা মানেই জ্ঞানার্জন করতে বলা নয় । কোনও বিশেষ একটি বই পড়তে বাধ্য করাও হতে পারে । যেমন আপনি বললেন কমিউনিসম এর বই পড়তে বলা ।
৩)
আপনার কথা যদি মেনেও নিই যে উভয়েই উভয়ের কাছ থেকে পায় , তাহলেও এটা জাস্টি ফাই করা যায় না যে নারীকে পুরুষ পেটানোর অধিকার পাবে । আরও অন্যান্য অমানবিক ব্যবহারের অধিকার পাবে !!
এই লেখককে আমি দোষ দিতে পারছি না. কারণ যারা ইসলাম এখন মানে বলে দাবি করে, তারাও ইসলাম সম্পর্কে ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়েই আছে, ইসলামিক রাষ্ট্র গুলো ডুবে আছে পাপ পঙ্কিলতা আর অন্তর্দন্দে. আপনারা ইসলাম বহু বিবাহে অনুমতি (হ্যা, “অনুমতি”.. স্বেচ্ছা চারিতা নয়)দিয়েছে এটা সবাই জানেন, কিন্তু এটা কেউ জানেন না যে এই অনুমতি তখনি কার্যকর হয় যখন সমতা বিধান করার সংকল্প থাকে.. অন্যথায় কঠিন শাস্তি পেতে হবে. লেখক কি ইচ্ছে করেই কুরআনের সেই আয়াত টি এড়িয়ে গিয়েছেন?
আপনারা দাস প্রথার কথা বলছেন, যেটাকে ইসলাম ধীরে ধীরে উত্খাত করে দিয়েছে.. বিদায় হজ্জের ভাষণ নিশ্চই পড়েছেন? পুরুষ নারীর জন্য আর নারী পুরুষ এর পোশাক স্বরূপ. দাস বানানো ও সুদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে. কুর’আন ২৩ বছরে অবতীর্ণ হয়েছে.. সময় অনুযায়ী নতুন নিয়ম ও আইন হয়েছে.. যেহেতু আপনার উদ্দেশ্য কলহ সৃষ্টি করা, তাই আপনি শুধু পছন্দ মত আয়াত নির্বাচিত করেছেন..আর যে বেচারারা কমেন্ট করেছে, তাদেরও তো এই বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নেই..ফলে যা হবার তাই হয়েছে.
মানলাম, যে মানুষ মনের দিক থেকে সৎ থাকে তার বিয়ের দরকার হয়না. আপনি কয়জন সেরকম সৎ ছেলের দেখা পেয়েছেন?সমাজের নিচ থেকে উপরে সবখানেই তো ছেলেদের লাম্পট্য আর লালসার শিকার মেয়েরা. যেসব কাঠমোল্লারা মেয়েদের পর্দার ব্যাপারে এত চিল্লাচিল্লি করে, তারা নিজেরা কি তাদের দৃষ্টি এবং চিন্তার নিয়ন্ত্রণ করে? অথচ কুরআনএ তো প্রথমে ছেলেদের নিয়ন্ত্রনের কথাই বলা হয়েছে!ওই কাঠমোল্লারা আপনারই মত, পছন্দসই একটা নির্দিষ্ট অংশ কোট করে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে.
সব মানুষ যদি, নিজের ইচ্ছেমাফিক জীবন যাপন করতে চায়, তবে সমাজে বিপর্যয় অনিবার্য. কারণ বেশিরভাগ মানুষেরই বিবেক জাগ্রত থাকেনা. আপনি হয়ত আইন এর কথা বলবেন. বিবেকহীন মানুষ একটা পশুর মত. তাকে আপনি আইনে বেঁধে রাখতে পারবেন, কিন্তু কথা শোনাতে, বোঝাতে, তার প্রয়োজন শিক্ষা. ধর্ম হচ্ছে সেই বিবেক জাগানোর শিক্ষা. তা সে যেকোনো ধর্মই হোক না কেন. ধর্ম ভালো কাজ করতে বলে, খারাপ কাজ ছেড়ে দিতে বলে. আপনি অবশ্য মোল্লা আর পুরুতদের পাপের কথা বলবেন এখন. কিন্তু আপনি আমি ধর্ম সম্পর্কে না জানলে খারাপ মানুষেরা মোল্লা পুরুত সেজে আমাদের বিশ্বাসের সুযোগ নেয়.
আমি দেখেছি, যারা একেবারে কিছুই জানেনা, তারা অন্ধভাবে ধর্মভয় করে. আর তারা করে যারা সব জেনে বুঝে, দেখে শুনে ধর্ম পালন করে. যারা অল্প অল্প জানে, তাদের মাঝেই দেখা যায় নানা সন্দেহের বীজ. আপনি পড়াশোনা করেছেন দেখে ভালো লাগলো. আরো পড়ুন এই কামনায় শেষ করছি.
@judhishthir,
আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ জানালাম , আপনি দেখান কোথায় সমতা বিধানের কথা বলা হয়েছে ? নেই কোথাও । কি আছে , সেটা আমিও জানি আপনিও জানেন ।
২)
একটু জানান কি রকম নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে ?
৩)
আপনি জাহিলিয়া (?) দের ধর্ম যে বিবেক জাগাত একথা স্বীকার করছেন ? সমস্ত ধর্মই বিবেক জাগায় কিভাবে ? তাহলে ইসলামে ইহুদি খ্রিস্টান ও পৌত্তলিক দের বিরুদ্ধে এতো কথা বলা হয়েছে কেন ? আবু তালিব পৌত্তলিক ছিল । তবু মুহম্মদ কে তথা ইসলাম কে রক্ষা করেছে সারা জীবন ধরে । সুতরাং তার বিবেক জাগ্রত ছিল । কিন্তু পরিণাম কি ? জাহান্নাম । তাকেও ইসলাম তথা মুহম্মদ ছেড়ে দেয় নি । কারো একটাই , সে পৌত্তলিক ছিল । তাহলে সব ধর্ম বিবেক জাগায় একথা তো ইসলাম মানে বলে মনে হয় না । আরও উদাহরণ আছে । থাক। আপাতত আপনি
@মহসিনা খাতুন,
সুরা নিসার ৩ নম্বর আয়াত, যেটা কিনা আপনার প্রথম রেফারেন্স, সেটা হলো:
If ye fear that ye shall not be able to deal justly with the orphans, Marry women of your choice, two or three, or four but if ye fear that ye shall not be able to deal justly (with them), then only one, or (a captive) that your right hands possess. That will be more suitable, to prevent you from doing injustice.
আপনার চ্যালেঞ্জই প্রমান করলো যে আপনি আসলেই পুরো আয়াতটা পড়েন নি, অথবা ইচ্ছে করে অল্প একটু উল্লেখ করেছেন। আপনি চালেঞ্জ এ হেরে গেছেন মহসিনা।
@মহসিনা খাতুন,
আমার মনে হয় এটা, অতি সহজে ইসলাম ধর্মের প্রসারের বা বহু অনুগামী তৈরির জন্য মুহম্মদের অনুর্বর মস্থিস্কের ফসল- বেশী সন্তান উৎপাদন ফর্মুলা।
আশা করি আপনার এই লেখা আমাদের দেশের মেয়েদের চিন্তাধারার পরিবর্তন আনবে। সত্যের জয় হোক, মানবতার জয় হোক। (Y)
বিবাহের সংখ্যা ইসলামে পুরুষের বহুবিবাহ সংক্রান্ত আয়াত টি সম্ভবত ইসলামের জন্মকাল থেকে সব চেয়ে বিতর্কিত ও বহু চর্চিত বিষয় । আয়াত টি কোরআনের সুরা নিসা , আয়াত নং ৩ , “… বিবাহ করবে স্বাধীনা নারী দের মধ্যে ,যাকে তোমার ভালো লাগে , দুই তিন অথবা চার ।” এই আয়াতটির একটি মাখন লাগানো ব্যাখ্যা ইসলামী ব্যাখ্যাকার রা দিয়ে থাকেন
শুনে মনে হচ্ছে চকলেট বাক্সের সামনে ছোট বাচ্চা আবদার করছে বাবা কয়টা নিব??? বাবা বলছে, তোমার ইচ্ছে মত দুই, তিন অথবা চার।’
আমাদের ধর্ম অধিপতিরা ভুলে গিয়েছেলেন তিনি চকোলেট নয় নারী নিয়ে কথা বলছেন!!!
@রাহনুমা রাখী, :clap
@রাহনুমা রাখী, উদাহরন তা ঠিক মত দিতে পারলেন না, চকোলেট আর বিয়ে এর ভিতর ব্যাপক তফাৎ, চকোলেট খাইয়া ফালাইলেন আর শেষ, বিয়ে করলে কি তাই? বরং এই উদাহরন তা দেন, আপনার পছন্দের বিবাহ বহিরভিত গার্ল ফ্রেন্ড আর বয় ফ্রেন্ড এর সম্পর্কে, গার্ল ফ্রেন্ড= মজাদার ডিজিটাল চকোলেট খাইয়া ফেলাইলাম কি শেষ, এবং এই গার্ল ফ্রেন্ড চকোলেট প্রতিদিন প্রতিনিয়ত কিভাবে খাওা হচ্ছে আধুনিক সমাজে আর ফেলায়া দেওয়া হচ্ছে তা একটু কফি শপ ইত্যাদি জাইগার ডেটিং করার জন্য কি যে সুন্দর সিস্টেম করে রাখছে দেখলেই বুজবেন, উপরে আমার লেখার উত্তরে অনেকে বলেছে যার যার ব্যাপার তার তার, আবার কেও কয় বিয়ে করার এ নাকি দরকার নেয়, তো আমার প্রশ্ন এখন যদি আপনি দেখেন আপনার পরিবারের কেও কফি শপ আর আবদ্ধ জাগায় ডেটিং করতেছে এই ব্যাপারে আপনার উত্তর তাহলে নিশ্চয়ই হবে এটা অর বেক্তিগত ব্যাপার… , আর মহসিনা আপনি তো উত্তর এ দিলেন না আমার প্রশ্ন গুলির । নারী মর্যাদা দেয় কোন সমাজ উন্নত বিশ্ব? আপনাকে ছোট্ট একটা তথ্য দেই যেটা শুনে খুশিতে টগবগ করবেন কারণ আপনি এই স্বাধীনতাই বিশ্বাসী ইউএসএ তে প্রতি ৩৯ মিনিটে একটি করে পর্ণ তৈরী হয়, প্রতিবছর কয়েকশ মিলিয়ন ডলার আয় হয় এই পর্ণ ইন্ড্রাস্ট্রি থেকে। দেশের উন্নয়নে কি এভাবে অবদান রাখতে চান আপনারা? যে ইউএসএ নিজেদেরকে আধুনিক ও সভ্য দাবি করে সেই ইউএসএ তে ১৬ বছরের আগেই কিশোর কিশোরীরা ভার্জিনিটি হারায়!! বাকিটা ইন্টারনেট ঘাটলেই পাবেন।
@বেয়াদপ পোলা, পাশ্চাত্যের দৃষ্টান্ত দেবেন না । আরবে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নাচ গুলো দেখেন , কত সুন্দর পোশাক ও অঙ্গভঙ্গি কত অশ্লীল ! পাশ্চাত্য পর্ণ তৈরি করতে গিয়ে ধর্মের মোড়ক দেয় না । ধমের নামে তারা অশ্লীল নাচের আয়োজন করে না । আর ভারজিনিতি হারানো বা না হারানো টা আমার কাছে তেমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নয় । ভারজিনি টি -র প্রয়োজন কোথায় ?
@মহসিনা খাতুন, আপু হাসান এর বউ এর বেপারে যে কথাটা বলসেন অইটার লিঙ্ক দিলে ভাল হইত…কারন এই ধার্মিক (!!!!) দের সাথে তর্ক করতে গেলে রেফারেন্স লাগে…দিলে ভাল হইত… 🙂
@মহসিনা খাতুন,
ঠিক, এর কোন গুরুত্বও নেই বা এর কোন প্রয়োজনও নেই, এইসব ভারজিন টারজিন শব্দগুলো অতি চাতুরতার সাথে উদ্দেশ্যমুলকভাবে মেয়েদের মনের মধ্যে গেঁথে দেয়া হয়েছে, এটা মেয়েদেরকে দুর্বল করে দিবার একটি হীন চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রতিটি মেয়ের ভারজিন নামক এই ষড়যন্ত্রটি বুঝার চেষ্টা করা দরকার।
এই লিঙ্ক এ দেখতে পাবেন নবীজি র বৌ এর লিস্ট
http://www.shodalap.org/munim/10759
মহসিনা, আপনি আমার প্রশ্ন গুলির উত্তর দিচ্ছেন না কেন, আপনার কত সঙ্গি আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে যাইয়া ভুল ভাল বলতেছে, কত রকমের যে উত্তর পাইলাম আর মনে মনে ব্যাপক হাসি পাইল এই ভণ্ড গুলা নিজেরে মুক্ত মনা পরিচয় দিয়া মুক্ত মনে নারিগো ইজ্জত লুইটা নিতেছে কারণ এরা চলে তাদের নিজস্ব দর্শণ মতে। তাদের যেটা ভাল লাগে হোক না সেটা অনৈতিক তাদের কাছে যদি এটা ঐ সময় আনন্দ দেয় তা হলে সেটা লিগ্যাল। তার মানে তারা নিজেরাই নিজেদের ভাল অথবা মন্দের প্রবক্তা, যাই হোক আপনি যেহেতু এই টপিক এর উদ্যোক্তা তাই আপনার কাছ থেকে প্রশ্ন গুলির উত্তর আশা করতেছি, প্রশ্ন গুলি রিপিট করলাম আবারো আপনার জন্য,
১) আপনার স্ত্রী বা বোন যদি অন্য কারো সাথে লিভ টু গেদার বা পরকীয়া না করতে চায় তাহলে সে কি পিছিয়ে পড়া নারী হবে কিনা?
২) বিবাহ ব্যতিত অবাদ যৌনাচার কে আপনি কি চোখে দেখেন?
৩) আপনি কি প্রস্টিউসন বা পতিতা গিরি কে সমর্থন করেন?
৪) বহু গামিতাকে আপনি কি চোখে দেখেন?
@বেয়াদপ পোলা, এই প্রতি টি প্রশ্নর উত্তর আমি দিতে পারি কিন্তু দেবো না । আপনি পারলে লেখার প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করেন । দয়া করে আদব আয়ত্ত করেন ।
আচ্ছা , আমাকে আপনারা জানাতে পারবেন , যে আমি যদি লেখা পোস্ট করার পরে এডিট করতে চাই , টা করা যায় কি না ? আর করা গেলে কিভাবে করবো ? দুই একটি জায়গা একটু এডিট করা দরকার । কিছু বানান ,আর প্রথম প্যারা আর দ্বিতীয় প্যারা এর মাঝে কোনও লিঙ্ক নেই মনে হচ্ছে । এডিট করতে চাই ! প্লিজ সাড়া দিন ।
@মহসিনা খাতুন,
লগ-ইন করার পরে আপনার লেখায়ই দেখবেন এডিট বা সম্পাদনা অপশন দেয়া আছে। সেখানে ক্লিক করে সংশ্লিষ্ট জায়গা এডিট করে নিন। প্রিভিউ দেখার আগে সেইভ করে নিবেন। তারপর সব ঠিক থাকলে পরম করুণাময়, মর্মন্তুদ শাস্তি দাতা ও দয়ালু আল্লাহর নামে প্রকাশ বা আপডেইট বোটনে ক্লিক করুন, ইনশাল্লাহ আপনি সফলকাম হবেন।
@আকাশ মালিক, পেরে গিয়েছি । পরম করুণাময়, মর্মন্তুদ শাস্তি দাতা ও দয়ালু আল্লাহর নামে ! :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: 😛 😀 :)) :rotfl: কি এক্সপ্রেশন দেবো বুঝতে পারছি না !
আগুন আগুন পুরাই আগুন। অসাধারণ হইছে!! :guru:
আপনার এই লেখা পড়লেই বোঝা যায় কেন মমিন মুসলমানেরা বোরখা,হিজাব এর পক্ষে কথা বলে।
আর রেফারেন্দ গুলো বিস্তারিত দিলে ভালো হত শুধু নম্বর না দিয়ে।
আমার খুব কৌতুহল ছিল ছাগু মন্তব্য কি আসে এই লেখাটার… তার খানিকটা ধারনা পেলাম, যদিও জানি কি ধরনের মন্তব্য আসতে পারে! আর মহসিনার লেখা নিয়ে কিছু বলা আমার সাজে না কারন আমি একজন পুরুষ ও তার ওপর জন্মসূত্রে মুসলমান!
@থাবা, আজকের মুসলমান পুরুষ বলে তোমার অনেক কিছু বোলার থাকবে ভেবেছিলাম । আমি মনে করি পুরুষ রাও মানুষ । তারা একদিন এই সব প্রাচীন গ্রন্থ গুলো ছুঁড়ে ফেলে দেবে , যা তাদের নারী শোষণের যন্ত্র করে রেখেছে !
অসাধারন একটি লেখা। তবে –
হাসান , যার জন্য আমরা প্রতি বছর হায় হায় করি , তার ৭০ জন স্ত্রী ছিল । সে বিবাহ করে বাসর ঘরে নারী ঢোকাত ,কাজ মিটে গেলেই তালাক দিয়ে বাসর ঘর থেকে বেরিয়ে আসতো
সুত্র উল্লেখ করবেন কি এর সপক্ষে?? আমার জানা মতে আব্বাসিদ এক খালিফা প্রথম এই কথা ছড়ান। আর মুসলমানরা সম্ভবত হাসান নয়, হূসাইন এর কারবালা প্রান্তর এর ম্রিত্তুর খাতিরেই হায় হায় করে। বানান ভুলের জননো মাফ চাই। 🙁
ধন্নবাদ।
@ফ্লয়েডিয়ান, হাসান কে তার আগেই মারা হয়েছিল বিষ দিয়ে । কিন্তু পরিপ্রেক্ষিত ছিল এক । কিন্তু হাসান আর হোসেন এর নাম মোহররমে একসাথেই নেওয়া হয়ে থাকে । এক সাথেই এদের দুজন কে হত্যার শক পালিত হয় ।
ইসলামের কতবড় স্পর্ধা ইসলাম পুরুষকে পর নারীর দিকে তাকাতে নিষেধ করে, পর নারীর দিকে তাকানোকে পাপ হিসেবে বিবেচনা করে! পুরুষেরা নারীর দিকে তাকাবে, নারীর রূপ দেখবে, এটাইতো প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম হওয়ার কথা। কিন্তু একি বলছে ইসলাম? কিসের বাণী শোনাচ্ছে? ইসলাম ধর্মে নারীকে বোরখা পড়তে বলা হচ্ছে, হিজাব পড়তে বলা হচ্ছে, নিজের স্ত্রীকে পর পুরুষের সামনে ঘোমটা দিয়ে যেতে বলা হচ্ছে, এগুলো পালন করলে কি নারীর হাত, পা, উরু, পেট, উপরন্তু নারীর রূপ দেখা সম্ভব? ধর্ম আর্ভিভাবের পূর্বে নারীদের অবস্থানটা কিরকম ছিলো এইডা ভুইলা গেলেন? আইলও হুদা পেঁচাল লইয়া, ইসলাম মর্যাদা দেয় নি, উনি মর্যাদা দিয়া মাথাই তুলসে …
এইবার তাইলে আপনার দেওয়া মর্যাদার ভিত্তিতে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন…
১) আপনার স্ত্রী বা বোন যদি অন্য কারো সাথে লিভ টু গেদার বা পরকীয়া না করতে চায় তাহলে সে কি পিছিয়ে পড়া নারী হবে কিনা?
২) বিবাহ ব্যতিত অবাদ যৌনাচার কে আপনি কি চোখে দেখেন?
৩) আপনি কি প্রস্টিউসন বা পতিতা গিরি কে সমর্থন করেন?
৪) বহু গামিতাকে আপনি কি চোখে দেখেন?
একজন পুরুষ বা নারী বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছায় ১২-১৩ বয়সে, পুরুষের যৌন ক্ষমতা টিকে থাকে ষাট সত্তর বয়েস পর্যন্ত আর নারীরা মেনোপজ কিংবা যৌন কার্যকলাপের ষেষ পর্যায়ে পৌছে যায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সের মধ্যেই, একটা প্রচলিত কথা আছে, ‘নারীরা কুড়িতেই বুড়ি’। এ থেকে স্পষ্টই বুঝা যায় শুধু একনারীতে আবদ্ধ থাকাটা পুরুষের জন্যে একটু কষ্টকরই বটে।
আর সুরা আল- বাকারার ২২৮ নাম্বর আয়াতের শেষের দিকের, পুরুষ দের উপর নারীদের যেমন ন্যায়ানুগ অধিকার রয়েছে, তেমনি নারীদের ওপর আছে পুরুষের অধিকার, < এই ধরনের বহু আয়াত আপনার চোখ এড়িয়ে গেল, অবসস এড়িয়ে জাওয়ার এ কথা কারণ নাস্তিকেরা চলে তাদের নিজস্ব দর্শণ মতে। তাদের যেটা ভাল লাহে হোক না সেটা অনৈতিক তাদের কাছে যদি এটা ঐ সময় আনন্দ দেয় তা হলে সেটা লিগ্যাল। তার মানে তারা নিজেরাই নিজেদের ভাল অথবা মন্দের প্রবক্তা।
@বেয়াদপ পোলা,
কোথায় পান এসব তথ্য?। একটু রেফারেন্স দিয়েন ত। নারির মেনপেজের সাথে যৌন চাহিদার কোন সম্পর্ক নাই। নারি চাইলেই সত্তরেও সাস্থকর যৌন সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে।
এগুলা মানুষে ব্যাক্তিগত চয়েস। কে কি চায় তাতে আঙ্গুল দেয়ার অভ্যাস বাদ দেয়া যায় না। আপনার বোন,ইস্ত্রি, কে আপনি আপনার মত গাইড করেন, অন্যের কিসে কি মত দরকার কি?। ব্যাক্তি প্রাপ্ত বয়সে তার জীবন কিভাবে পরিচালিত করবে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। আর কোনটা আইন সম্মত আর কোনটা না সেতা দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষ্যা বাহিনী আছে।আইনত ভাবেই যার যা ইচ্ছা তা করতে পারে। এখানে কে কি চোখে দেখে এটার কোন মুল্য আছে নাকি?। যার যার চোখ তার তার।
@সপ্তক, আপনার বিশাল মাথা পরে ঢুকান, আগে যারে প্রশ্ন করেছি উনারে উত্তর দিতে দিন, ভণ্ডামি আর কত এ বা দেখব , আপনার কথা মতে, ব্যাক্তি প্রাপ্ত বয়সে তার জীবন কিভাবে পরিচালিত করবে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। তার মানে সে উলঙ্গ হয়ে যদি চলে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। দেখেন এই সব কর্ম কাণ্ড আপনার পরিবারে নিজস্ব হতে পারে,
হা হা আচ্ছা শুনেন ধরেন আপনার পরিবারের কাও কে নিয়া বের হয়ছেন, আপনার সামনে মাইরা দিলাম আমি তারে চোখ টিপ, অথবা মুখ দিয়ে কিছু একটা আওয়াজ দিলাম, নিচয়ই আপনি আমারে কিছু কয়বেন না, যেহেতু আমার চোখ দিয়া আমি করেছি, আমার মুখ দিয়ে আমি বলেছি, আপনি এ তো কয়লেন যার যার চোখ তার তার, আমার কি দোষ বলুন । 🙁
@বেয়াদপ পোলা,
মিয়া কইছি আইন নিজস্ব গতিতে চলব। চখ মারলে ইভ টিজিং এ পড়বেন। আইনের মধ্যে থাইক্যা যে যার মত চলব। আপ্নে কউনের কেডা?।
@বেয়াদপ পোলা,
ভাইজানে কি ভালা নি ? অনেকদিন পর দেখে মনটা বেশ পুলকিত হয়ে উঠল। মনে হয় আমাদের আলোচনা জমে উঠবে।
উক্ত আয়াত আসলে নজর এড়ায় নি কারন উক্ত আয়াত নারীকে কোন বিশেষ মর্যাদাবান করে না যদি আয়াতটার বাকী অংশ উল্লেখ করতেন, যেমন –
বাকারা, ২২৮
তো দেখুন আপনি কিন্তু আংশিক আয়াত উল্লেখ করে মানুষের চোখে ধুলো দিতে চাইছেন। এটা তো সততা হলো না, ভাইজান। এরম অসততার আশ্রয় নিয়ে কি পন্ডিত্যপূর্ণ আলোচনা করা যায়? ইন্টারনেটের এ যুগে এরকম অসততা কিন্তু খুব সহজেই ধরা যায় ভাইজান, তাই ভবিষ্যতে এ ব্যপারে সতর্ক থাকার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি।
উপরের উত্তর গুলি সব আবল তাবল, যাই হোক ভবঘুরে আমাকে দেখে খুশি হওয়াতে ধন্যবাদ, চলে আসলাম আবার আপনাদের সাথে এক হয়ে ঘাস খাইতে,
@ভবঘুরে, কোরআনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন নারীকে বিশেষ সম্মান ও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে তেমনি আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরুষের উপরও অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতএব সবকিছু যোগ-বিয়োগ করে এবং নারী-পুরুষের মধ্যে যে প্রকৃতিগতভাবে কিছু পার্থক্য আছে সেটা বিবেচনায় রেখে কোরআনে নারী-পুরুষের মধ্যে পার্থক্য করা কিন্তু খুবই কঠিন..
“হে মানব-জাতি! তোমরা ভয় কর তোমাদের রবকে, যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের এক আত্মা থেকে এবং যিনি সৃষ্টি করেছেন তার থেকে তার জোড়া, আর ছড়িয়ে দিয়েছেন তাদের দু’জন থেকে অনেক নর ও নারী।” (আন-নিসা ৪:১)
যে ব্যক্তি ভাল কাজ করবে, হোক সে পুরুষ কিংবা নারী, এবং সে ঈমানদার হবে, এরূপ লোক জান্নাতে দাখিল হবে, আর তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র অবিচার করা হবে না।” (আন-নিসা ৪:১২৪)
আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের নিজেদের মধ্যে থেকে সঙ্গী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি লাভ কর এবং সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া।” (আর-রূম ৩০:২১)
“আমি বিনষ্ট করি না তোমাদের কোন পরিশ্রমকারীর কর্ম, তা সে হোক পুরুষ কিংবা নারী। তোমরা একে অন্যের সমান।” (আল-ইমরান ৩:১৯৫)
“বিশ্বাসী পুরুষ ও বিশ্বাসী নারী একে অপরের বন্ধু। তারা ভাল কাজের নির্দেশ দেয় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে, তারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আনুগত্য করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের। এদেরই উপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ করবেন।” (আত-তওবা ৯:৭১)
“তারা“যে ভাল কাজ করে এবং বিশ্বাসী, হোক সে পুরুষ কিংবা নারী, আমি তাকে অবশ্যই দান করব এক পবিত্র শান্তিময় জীবন এবং তারা যা করত তার জন্য তাদেরকে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করব।” (আন-নাহল ১৬:৯৭)
তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক।” (আল-বাকারা ২:১৮৭)
“আমি মানুষকে তার মাতা-পিতা সম্বন্ধে নির্দেশ দিয়েছি তাদের সাথে সদাচরণ করতে। তার মাতা কষ্টের পর কষ্ট সহ্য করে তাকে গর্ভে ধারণ করেছে এবং দু’বছরে তার দুধ ছাড়ানো হয়। সুতরাং শোকরগুজারী কর আমার এবং তোমার মাতা-পিতার।” (লুকমান ৩১:১৪)
“নিশ্চয় মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারী, ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, বিনয়ী পুরুষ ও বিনয়ী নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, রোজাদার পুরুষ ও রোজাদার নারী, স্বীয় লজ্জাস্থান হেফাযতকারী পুরুষ ও স্বীয় লজ্জাস্থান হেফাযতকারী নারী এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও অধিক স্মরণকারী নারী–এদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও বিরাট প্রতিদান।” (আল-আহযাব ৩৩:৩৫)
সেদিন আপনি দেখতে পাবেন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদেরকে যে, তাদের নূর ছুটাছুটি করছে তাদের সামনে ও তাদের ডানে। তাদেরকে বলা হবে: আজ তোমাদের জন্য সুসংবাদ এমন জান্নাতের, যার নিম্নদেশ দিয়ে প্রবাহিত হয় নহরসমূহ, সেখানে তোমরা অনন্তকাল থাকবে। ইহাই মহা সাফল্য।” (আল-হাদীদ ৫৭:১২)
পুরুষদের জন্য অংশ আছে সে সম্পত্তিতে যা পিতা-মাতা ও নিকট-আত্মীয়রা রেখে যায়; এবং নারীদের জন্যও অংশ আছে সে সম্পত্তিতে যা পিতা-মাতা ও নিকট-আত্মীয়রা রেখে যায়, হোক তা অল্প কিংবা বেশী। তা অকাট্য নির্ধারিত অংশ।” (আন-নিসা ৪:৭)
“পুরুষ যা অর্জন করে সেটা তার প্রাপ্য অংশ এবং নারী যা অর্জন করে সেটা তার প্রাপ্য অংশ।” (আন-নিসা ৪:৩২)
আপনি এগুলি ভুইলা গেলেন? 🙁
আপনার জ্ঞাতার্থে আরও বলসি শারীরিক গঠনের ভিন্নতার কারণে কোরআনে নারীদেরকে কিছুটা বেশী সতর্ক করা হয়েছে মাত্র। অন্যথায় নারী-পুরুষ উভয়কেই শালীন পোশাকের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নারী-পুরুষ উভয়কেই সততা ও শালীনতা রক্ষার উপরই বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে (৭:২৬-২৮, ২:২৬৮, ১৭:৩২)। এ প্রসঙ্গে কোরআন আরো বলে: তাকওয়ার পোশাকই সর্বোত্তম (৭:২৬); তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন রকম সংকীর্ণতা আরোপ করেননি (২২:৭৮); দ্বীনের ব্যাপারে কোন জোর-জবরদস্তি নেই (২:২৫৬)।
আরও বলি , কোরআনে নারী-পুরুষ উভয়কেই রোজগারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে (৪:৩২) অথচ পরিবারের সকল প্রকার ভরণপোষণের দায়-দায়িত্ব শুধু পুরুষের ঘাড়েই চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে (৪:৩৪)। অর্থাৎ একজন নারী যা রোজগার করবে সেটা তার নিজস্ব কিন্তু পুরুষের রোজগার থেকে সংসারের সকল প্রকার খরচ বহন করতে হবে।
আরও বলি, বিবাহ বিচ্ছেদের পরও নারীর ভরণপোষণের ভার পুরুষের উপর ন্যাস্ত করা হয়েছে (২:২৪১)। এমনকি বিধবাদের ভরণপোষণের কথাও বলা হয়েছে (২:২৪১)।
আপনি এগুলি ভুলে গেলেন? এছারাও একটা হাদিস,
Jahimah came to the Prophet, peace be upon him, and said: “Messenger of Allah! I want to join the fighting (in the path of Allah) and I have come to seek your advice.” He said, “Then remain in your mother’s service, because Paradise is under her feet.”
*The best of you are they who behave best to their wives.
None but a noble man treats women in an honorable manner. And none but an ignoble treats women disgracefully.
আরও লাগবে? আসলেই না ইসলাম নারী মর্যাদা দেয়নি, দিলে কি আর এগুলি কয়ত? ইসলাম নারী মর্যাদা দেইনি দেখে পৃথিবীতে আজ নারীরা ইসলাম বেশি গ্রহণ করতেছে, হায়রে কি আর কমু, জাইগা ঘুমাইগা ফাও পেঁচাল , রাত ৩ তা ১৫
@ভবঘুরে, ব্যাপক হইসে ভাই… :guru:
@বেয়াদপ পোলা,
মহানবী যদি একের পর এক দাসীদের সাথে বিয়ে বহির্ভুত যৌন কাজ করতে পারেন, যখন তখন যে কোন নারীকে বিয়ে করতে পারেন, তার উম্মতেরা হালকা পাতলা আউলা ঝা্উলা কাজ করলে অসুবিধা কোথায় ভাইজান ? আফটার অল , গুরুর আদর্শ শিষ্যদের তো মেনে চলা উচিত, না কি ?
@ভবঘুরে,
এরা আমাদের মেহমান, খুব ভাল করেই চিনি। তাদেরকে বলতে দিন। তাদের সাথে যুক্তি তর্ক করার কোন মানে নেই, ফলাফল অর্থহীন হীন ত্যানা পেচানী ছাড়া আর কিছু হবেনা। এর চেয়ে বরং ভাল হয়, তাদের ওয়াজ উপদেশ মেনে নিন।
ঠিকই তো আছে, শুধু আয়েশা ব্যতিক্রম।
এটাও ঠিক, শুধু ইব্রাহিম আর সায়েরা ব্যতিক্রম।
আপনি যদি আবার প্রশ্ন করেন, কেন ব্যতিক্রম, এরও উত্তর আছে ইনশাল্লাহ। যেমন, আল্লাহর ইচ্ছে, আল্লাহর কুদরত, আল্লাহই ভাল জানে, আল্লাহর গোপন ইচ্ছে কারো বোঝার সাধ্য নেই ইত্যাদি ব্ল্যা ব্ল্যা ব্ল্যা।
দেখুন আল্লাহর মগজের বুদ্ধিমত্তা, কারিগরি হাতের সুনিপুণ দক্ষতা, বুকের অসীম মমতা ও ভালবাসা, সীমাহীন সুন্দর চোখের তৃপ্তি ও বাসনা, সব মিলিয়ে ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইনের নমুনা-
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/RakibBd_1308691050_1-Shantaner_Mrityu.jpg[/img]
@আকাশ মালিক,
ঐ লোকের কথা শুনে হাসবো না কাদবো বুঝতেসি না। মেনোপজ স্থুল মনের পুরুষেরা নিজেদের মত করে ব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছে, আর মনে করে নিজেদের জিনিস ৭০ এও ঠিক থাকবে। ছেলেদের স্পার্ম থাকা আর মেয়েদের এগ না থাকা যে একি না এটা কে বোঝাবে।পঞ্চাশের পর মেয়েদের হরমোন উৎপাদন কমে যায় অনেক কিন্তু তা সমাধান করা যায় অতি সহজে। বেশির ভাগ চাপটা আসে সামাজিক কারণে, যৈবিক কারণে না!!! চল্লিশে মেয়েদের যৌন কার্যকলাপ শেষ! উফ!! আকাশ মালিক ভাই আপনার মন্তব্যের পর লিখলাম, কারণ ঐ মন্তব্যে জবাব দিতে রুচি হচ্ছে না! :p
@নির্মিতব্য,
অবসর সময়ে এইটা সাথে এইটা একবার পড়ে নিবেন।
@আকাশ মালিক, :guru:
@ভবঘুরে, :guru: :clap
@বেয়াদপ পোলা,
১।সৎ মানুষের জন্য বিয়ে একটি অপ্রয়োজনীয় জিনিস। বিয়ে করেও একে অপরের প্রতি অসৎ হতে পারে। আবার বিয়ে না করেও একে অপরের প্রতি সারা জীবন সৎ থাকতে পারে। অহরহ উদাহরণ আছে। বিয়ে করবে কি করবে না এটা যার যার নিজের ব্যাপার।
২। যার যার যৌনতা যার যার ব্যাপার। এটা কেউ বিয়ে করবে নাকি বিয়ে না করে করবে সেটাও ব্যক্তিগত। তাছাড়া আল্লাপাকও এ ব্যাপারে মুমিনদেরকে অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছেন, দাসী ও যুদ্ধবন্দিনী হালাল ক’রে। মুহাম্মদও সে কাজ সফলাতার সাথে সাধন করেছেন।
৩।কর্মক্ষেত্রে দাসী ও যুদ্ধে সর্বহারা নারীদের হায়েনার মত সম্ভোগকে আপনি কী চোখে দেখেন?
৪। মুহাম্মদও ত বহু বহু বহুগামী ছিল। সেটা আপনি কী চোখে দেখেন?
নারীরা কুড়িতেই বুড়ি মায়ের বয়েসী ৪০ বছরের বুড়ির সাথে ২৫বছরের টগবগে যুবক কী ভাবে ২৫টি বছর কাটিয়েছিল? দীর্ঘকালের অতৃপ্ত কলুষিত যৌনবাসনা তাই কি উথলে উঠেছিল সে অবাঞ্ছিত বৃদ্ধাটি মারা যাবার পর!বুড়ির সাথে ২৫ বছর কাটিয়েছে। কিন্তু বুড়ি মরার পর বাকি ১৩ বছরে ১১ থেকে ৩৬টি বিবাহ করেছে। তাও আবার শেষ বয়েসে। এত বড় পয়গম্বরের বৃদ্ধা জীবিত থাকাকালে সেই দুঃসাহস হল না কেন?
৫২ বছরের বৃদ্ধ; যার আরো কয়েকটি বৌ বর্তমান রয়েছে, যে দাসীসম্ভোগ পবিত্রজ্ঞান করে, যার কয়েকটি বিবাহিত ও অবিবাহিত সন্তান রয়েছে তার সাথ আপনার বোনের বিবাহ দেবেন কি?
@তামান্না ঝুমু, অরা ধর্মের চশমা পরে সব কিছু দেখে… চোখে আঙ্গুল দিয়া দেখায়া দিলেও লাভ হবে না…
@তামান্না ঝুমু,
বাংলা কালচারে লিভ টুগেদার জিনিসটা খুব জামেলার এক টা বিষয়, তবে এই লিভ টুগেদার করতে হলেও প্রত্যেক মানুষকে অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হতে হবে। তাছাড়া লিভ টুগেদার করতে হলে লুকুচুরি করে করতে হবে,যেটা খুবি জামেলার……………………
তবে আমি বিয়ে+লিভ টুগেদার দুটুকেই প্রিফার করি। বাংলাদেশের মানুষের মন মানসিকতা এখন ও অনেক পিছিয়ে…… তাই চাইলেই হুট- হাট করে কিছু করা যায় না। এই নিয়া অনেক কষ্টে আছি। ;-(
@বেয়াদপ পোলা,
তাইলে মোহাম্মাদ খাদিজারে বিয়া করলো কেন? 😀 ,খাদিজার ত মহাম্মদের লগে বিয়া হওনের সময় বয়স ছিল চল্লিশ। মহাম্মদ কি হাত দিয়া কাম সারত? :lotpot: । নাকি… :hahahee:
আর আয়েশারে ঘরে নিয়া তুলছিল ৯ বছর বয়সে বয়সন্ধিখনের আগেই,বাচ্চা মেয়ের সাথে… নাউজুবিল্লাহ (N)
@সপ্তক, ভাই পালক পোলার বউরে যে বিয়া করসে অইডা কন না কেন????…পুরাই …… :)) :lotpot: :hahahee:
@বেয়াদপ পোলা,
আচ্ছা, আপনি সত্যি করে বলেনতো, আপনার ১), ২), ৩) এবং ৪) -এর প্রশ্নগুলোতে দেখা যাচ্ছে খালি মেয়েদেরকে নিয়েই আপনার অসম্ভব কৌতুহল, কিন্তু কেন? আপনাদের সারাক্ষন কি মাথার মধ্যে মেয়েদের বিষয়গুলিই ঘুরপাক খায়, যেমন কোন্ মেয়ে অন্য কার সাথে পরকীয়া করে বেড়াল বা কোন্ মেয়ে বিবাহ ব্যতিত অবাধ যৌনাচার করল বা কোন্ মেয়ে পতিতা গিরি করল বা কোন্ মেয়ে বহু গামি হলো। আপনারা কি ঘুমের মধ্যেও এসব নিয়ে সপ্ন দেখেন নাকি? চোখ মেলে যেদিকে তাকান শুধু মেয়েরাই আপনাদের ধ্যান, জ্ঞান, কল্পনায় বিরাজ করে। ইসলাম ধর্মে মেয়েদের প্রতি আলাদা নজর দেয়া আছে শুধু আপনাদের মতো লোকদের কথা বিবেচনায় এনে। আহা আপনাদের নিয়ে দুঃখ হয়, মেয়েরা আপনাদের জীবনটাকে দুর্বিষহ করে ফেললো। ভালো উপদেশ হলো, মেয়েদের নিয়ে এইসব আলতু ফালতু চিন্তা বাদ দিয়ে নিজের চরকায় তেল দিলে জীবনটাকে একটু উন্নত করুন।
@ব্রাইট স্মাইল্,
দেখতে হবেনা কার উম্মত?
@বেয়াদপ পোলা,
আপনার প্রশ্নগুলো কিসের ভিত্তিতে করা? কিছু আয়াত উল্লেখ করে কি প্রমান করতে চান যে ইসলাম মেয়েদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছে? কি সুন্দর যুক্তি আপনার, মেয়েদের বোরকা পরিয়ে দিলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেল। এতেই কি মনে হয় না যে, মেয়েদের আপ্নারা ভোগের বস্তু হিসেবেই দেখেন, না-হলে কেন পুরুষদের কামভাব কন্ট্রোল না করে মেয়েদের স্বাধীনতা হরণ করা? কি শক্ত ঈমান আপনাদের, ভাবতেই অবাক লাগে।
১। আপনি-ই বা কোথা থেকে জানলেন, লিভ টু গেদার বা পরকীয়া না করলে নারীদের পিছিয়ে পড়তে হবে বা বিবাহিত হলে-ই যে নারীরা অনেক এগিয়ে যাবে?
২। বিবাহ ব্যতিত যৌনাচার এর মাঝে খারাপ টাই বা কি বলে মনে হয় আপনার? ভাবখানা এমন যে, বিবাহ পরবর্তী যৌনাচার করে পুরো সমাজ কে উদ্ধার করে ফেলেছেন…
৩। প্রস্টিটিউশনকে কিভাবে দেখতে হবে এর সাথে নারীর স্বাধীনতার সম্পর্কটা কি? জানেন কি, ইন্দোনেশিয়া তে প্রস্টিটিউশন বিজনেস এর প্রধান খরিদ্দার কারা? একটু নেট সার্চ করে দেখেন কি পরিমান আরবের লোকজনদের অবাধ বিচরন, তাও আবার এক রাতের জন্য বিয়ে করে পতিতাদের সংস্পর্শে আসার জন্য।
৪। বহুগামিতা কি এইটা আগে ভালো করে জানেন তারপর না হয় প্রশ্ন করবেন…
এ বিষয়ে আগেও পড়েছি কিন্তু এখানে অনেক সুনির্দিষ্ট ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। খুব ই ভালো একটি লেখা। আসলে ইস্লামের বারোটা বাজিয়েছে মুসলিমরা নিজের হাতে। আল্লার কিতাব পরিবর্তন করা যাবে না,করা যায় না… এই বলে। রাতের অন্ধকারে কুৎসিত আয়াত গুলো বদলিয়ে দিলে আর হাদিসের বইগুলো পুড়িয়ে ফেললে লাভ মুসলমানদের ই হত। আর “সহি হাদিস” ব্যাপারটা কি?। “সহি ভন্ডামি” নাকি?।
@মহসিনা খাতুন,
যেহেতু আমার ইমেইলে আপনার মন্তব্য পেয়েছি সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। সার্ভারটা ঝামেলা করার সময় পেল না। যাই হোক!
আমি আপনার পরামর্শ অনুযায়ী বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারের সহি মুসলিম শরীফ ৫ম খন্ড বই টি ডাউনলোড করে পড়লাম এবং পাশাপাশি আরো কয়েকটি ওয়েবসাইট যেগুলো আমেরিকান, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, কাতার, কুয়েত, সৌদী, দক্ষিন আফ্রিকা, জিম্বাবুই এবং ব্রিটেন ইসলামিক কালচারাল সেন্টার থেকে সার্টিফাইড অথেনটিক ইসলামিক সাইট সেগুলোতেও আপনার রেফারেন্সের হাদিসটি ক্রস চেক করে দেখলাম।
প্রথমত আপনার পোষ্টের সোর্স হিসেবে বাংলা হাদিসের বইটিতে অনুচ্ছেদ ৯ এর হাদিস # ৩৩৩৭ এ আপনার রেফারেন্স হাদিসের বর্ননা ঠিকই আছে। কিন্তু অপর অথেনটিক ওয়েব সাইটগুলোর সবকটিতেই একই হাদিস বলা আছে অনুচ্ছেদ ৯ এর হাদিস# ৩৩০৩। যদিও অনুবাদ ঠিকই আছে।
আপনি নিজেই হয়তো লক্ষ্য করেছেন হাদিসের ক্রমিক নম্বর অনেক সময় এদিক সেদিক হয়ে থাকে। শুধু কেমিক নম্বর কেন শব্দের অর্থও হেরফের হয়। এখানেই সমস্যা। এটা হবার কথা নয় যদি কেউ সত্যকে সত্য হিসেবেই প্রকাশ করতে চায়। যদি কেউ অন্য উদ্দেশ্যে কোন হাদিসকে কোট করতে চায় তখন সেখানে বক্রতা দেখা দেয়। বাংলা বইটি আমার কাছে সে রকমই মনে হয়। সেজন্য সম্ভবত আমি আপনার পোষ্টে মন্তব্যে বলেছিলাম আপনার সোর্সে ভূল থাকতে পারে।
কিন্তু আপনি যে এই হাদিসটির অনুমতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেটা সম্ভবত ঠিক নয়। কারন আমরা সর্বদা বলে থাকি “নিরবতা সম্মতির লক্ষন”। এবং এটা বাস্তবেও কোর্ট কাচারীতেও প্রয়োগ হতে দেখা যায়। জজের কোন আর্জিতে যদি আসামী/বাদী বা তাদের পক্ষের উকিল নিরবতা থাকে তখন জজ সেই আর্জি’র প্রতি সংশ্লিষ্ট পক্ষের অনুমতি আছে বলে ডিক্রী জারী করেন (বিশ্বাস না হলে আপনার আশে পাশে কোন জজ ব্যারিষ্টার বা উকিলদের জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন)। এটা আইনসিদ্ধ প্রাকটিস। আপনাকে (নারী পুরুষ উভয় ক্ষেত্রে) যদি কেউ বিয়ের প্রস্তাব দেয় তখন আপনার পক্ষে ২টি কাজের যে কোন একটি বাছাই করতে হবে। হয় আপনি তাকে স্বসম্মানে “না” বলে দেবেন নয়তো বা “হ্যাঁ” বলবেন। এখন “না” বলার কারনে প্রস্তাবকারী আপনার উপর যুলুম করতে পারে বলে আপনি যদি আশঙ্খা করেন তখন আপনি পুলিশ বা অভিভাবকের সাহায্য নিবেন নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু যদি সম্মতি সূচক “হ্যাঁ” বলা স্থির করেন তখন হয় আপনি নিরবতা পালন করবেন নয়তো বা “কবুল” শব্দ উচ্চারন করবেন। এই দুই কাজের মাঝখানে আর একটি কাজ আমরা সাধারনত করে থাকি যা কোরআন বা হাদিসে পাবেন না। সেটা প্রস্তাবকারীকে বলে থাকি “আচ্ছা আমি চিন্তা করে দেখি”। কাজেই নিরবতা থাকলে সেই অনুমতি মূল্যহীন নয় যা আপনি দাবী করছেন।
সুরা নিসার আয়াত ৩ এর ব্যাপারে আপনার অপর একটি ইমেল এর প্রতিত্তর এটা।
এখানে যে আরবী শব্দ ব্যবহার হয়েছে সেটি “ইয়াতামা” যা একটি স্ত্রীবাচক Plural Noun এবং এর বাংলা প্রতিশব্দ “এতিম নারীরা”। আর আরবী “বারিউন” নামক মাসকুলিন নাউন শব্দের অর্থ স্বাধীন (দেখুন সুরা আল আ-নাম আয়াত ১৯ শব্দ ৩৫)।
এখন বলুন যদি স্বাধীনা নারী বলতে হয় তখন কোরআনের ৪.৩ আয়াতে “ইয়াতিমা” না থেকে “বারিউন” শব্দের সাথে কিছু থাকতে হবে। কাজেই এতিম নারী মানে স্বাধীনা নারী নয় যা আপনি দাবী করেছেন। আর অভিভাবকের অধিনস্ত নয় এমন নারীকে স্বাধীনা নারী বলে এটা অ-মুসলিম কালচারের বেলায় হয়তো ঠিক আছে। কিন্তু মুসলিম কালচারে নারীরা কোন না কোন অভিভাবকের অধিনস্ত থাকেই এমনকি এতিম নারীরাও। আপনি সুরা নিসার ১-১৪ আয়াত দেখলেই বুঝতে পারবেন মুসলিম নারীদের জন্য অভিভাবকের বর্ননা। আপনার ত্বত্ত অনুযায়ী একজন মুসলিম এতিম নারী স্বাধিনা নারী হয় কিভাবে? আপনার রেফারেন্স অনুযায়ী আব্দুল আজিজ আল আমান এর বাংলা কোরানের অনুবাদে যদি “এতিম নারী” কে “স্বাধীনা নারী” বলে থাকে তবে বোধকরি আপনার হাদিসের সোর্সেই সমস্যা আছে। সেজন্যই বলা হয় কেবল সেই সব বই থেকে কোরআন হাদিসের বিষয় জানা ঠিক নয় যা শুধু নিজের ইচ্ছা পূরনে সহায়ক হয়।
@ভবঘুরে,
ভবঘুরে’র একটা মন্তব্য সহ ইমেল পেয়েছি। আপনার এখানেই উত্তর দিয়ে দিলাম। ভবঘুরে সাহেব আপনার আশে পাশের এতিম নারী’র সামাজিক অবস্থা আর সাধারন অ-এতিম নারীর সামাজিক অবস্থা নিয়ে চিন্তা করুন তাহলেই বুঝতে পারবেন তফাৎটা কৈ?
সর্বশেষে এটাই বলি যে, নিজস্ব যুক্তি দিয়ে সত্যকে মেনে নেয়া বা না নেয়ার অধিকার সবার আছে, এটা দোষের কিছু না। কিন্তু কোন কিছুর অহঙ্কারের বশবর্তি হয়ে সত্যের সত্যতাকে অস্বীকার করা বা সেই সত্যকে মিথ্যা বলাটা মানবতা সালিনতার মধ্যে পড়ে কি?
@করতোয়া, ১) নীরবতা যে সম্মতির লক্ষণ সবসময় নয় , সেটা কি আদালত জানে না ? একটু নেট সার্চ দেন । ইসলামীয় উত্তর পেয়ে যাবেন । নীরবতা সর্বদায় সম্মতির লক্ষণ নয় । মুহম্মদ অনেক জায়গা তে নীরব থাকলেও কোনও ইসলামিক স্কলার মানেন না যে তিনি সম্মতি দিয়েছেন ! ২) আপনি কি বলতে চান ,নারী এতিমা না হলে ইসলামে চার বিবাহের সমর্থন নেই ? না আছে ? বুখারির ২৪৪৫ অনুচ্ছেদ ,৪৭২৭ নং হাদিস দেখে বলবেন ।
@মহসিনা খাতুন,
রেফারেন্সটি কি একটু স্পেসিফাই করবেন? আমি কোথাও খুজে পাচ্ছি না। এ ধরনের হাদিস নম্বর আমার জানা নাই। গাদিসটি একটু পড়ে নেই তারপর আলোচনা করবো।
@করতোয়া, সব সময় সার্চ করে করে কি পড়া হয় ? নিয়মিত পড়ুন । তর্ক যখন করতে হবে , তখন একবার দেখে নেবো বললে হবে ? তাহলে এক কাজ করুন , একটা বুখারি কিনে নিন । ধর্ম আমার একাদেমিক বিষয় । তাই যথেষ্ট স্পেসিফাই যে করা হয়েছে , এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত ।
@মহসিনা খাতুন,
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মত ধর্ম বিশেষজ্ঞ এর সন্ধান যে পেয়েছি তাই বা কম কিসে। যাই হোক। আমার জ্ঞান বেশী নাই। সাগড়ের পারে নুড়ি নিয়ে খেলছি কেবল। যদি অনুগ্রহ করে বলেন বুখারী’র কত নং বই এর অনুচ্ছে ২৪৪৫ তাহলেই হবে। আপনি অবশ্যই জানেন। আমি খুজে পাচ্ছি না। এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি। নিয়মিত তো পড়িই সব কি মাথায় ঢোকে? সেজন্যই তো প্যাঁচ লাগিয়ে ফেলি আপনাদের সাথে। আশা করি রেফারেন্সটি দিয়ে এই অধমকে ধন্য করবেন।
@করতোয়া,
ধন্যবাদ আপনাকে এ অধমের মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য করার জন্য।
আমার আশপাশের সামাজিক অবস্থা তো সেই ৭ম শতাব্দীর ইসলাম তৈরী করে দিয়েছে। আমরা তো এখনো তৈরী করতে পারলাম না নিজেদের বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে, আর তাই এ সমাজে এতিম নারীর অবস্থা আপনি যা বললেন সেরকমই। কিন্তু যেখানে মানুষ নিজেদের বুদ্ধি বিবেচনা দ্বারা নিজেদের সমাজ গঠন করেছে সেখানকার এতিম নারীদের অবস্থাটা একটু দেখুন ভাই। ইউরোপ আমেরিকা এসব দেশে এতিম ও অএতিম নারীদের সামাজিক অবস্থানে কোন সমস্যা আছে নাকি সেখানে ?
@ভবঘুরে,
যার চোখ কানা তার হাতে সাদা ছড়ি দিয়ে পথ দেখানো যায়। কিন্তু যার হৃদয় কানা তার কোন ঔষুধ নাই। ইউরোপ আমেরিকায় নারীদের সামাজিক মর্যাদা এখনো ২১ বিংশ শতাব্দীদে ২য় শ্রেনীর তাকি ভাইজানের জানা নাই। একটু সিএনএন এমএসএনবিসি চ্যানেলে বর্তমান চলতি আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানদের প্রাইমারী নির্বাচনের ক্যারিক্যাচারগুলো দেখুন তাহলেই বুঝতে পারবেন। আমিও আপনার মত এই প্রশ্ন এক সময় করেছিলাম। এখন সবই দেখছি। আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে ফেডারেল সরকারের একটা আইনের উপর আজ ২৭শে মার্চ সারাদিন বিতর্ক হবে জানেন সেটার বিষয় বস্তু কি? ওবামা সরকার আমেরিকার স্বাস্থ্যনীতিতে মহিলাদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি বা ঔষধ সহজলভ্য করে আইন করেছে (সাথে আরো কিছু আছে) যা বন্ধ করার জন্য অপর দল কেস করেছে। আমেরিকায় এখনো যে কোন চাকুরীতে একই যোগ্যতার একই পদবীতে মহিলারা পুরুষের চেয়ে বেতন কম পায় এ হিসাব কি আপনার জানা আছে? হিলারীকে কেন প্রেসিডেন্ট নমিনেশন থেকে বাদ দেয়া হলো পপুলার ভোটে এগিয়ে থাকার পরও?
আমেরিকার টিভি চ্যানেল সিএনএন এর সিস্টার চ্যানেলের HLN দেখুন প্রতিদিন কিভাবে ফস্টার প্যারেন্টদের দ্বারা এতিম শিশু নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে। শুনুন whatever media feeds we people eat those. ভেতরে না ঢুকলে বুঝতে পারবেন না ভিতরটা কত চক্কের। ৭ম শতাব্দী’র আগে সমাজে এতিমেদর যে অবস্থা ছিল তার চেয়েও এখন কঠিন অবস্থা। আমাদের আশপাশের অবস্থা ৭ম শতাব্দীর ইসলাম তৈরী করেনি তাই যদি হতো ৭ম শতাব্দীতে ইসলামে এতিমদের অধিকার সংরক্ষন করে আইন হতো না। আমরা আমাদের লোভ চরিতার্থ করার জন্য আমাদের আশপাশের অবস্থা তৈরী করেছি আর ৭ম শতাব্দীর ইসলাম তা বন্ধ করার জন্য আমাদের বলছে সেই ৭ম শতাব্দী থেকে কিন্তু চোরা নাহি শোনে ধর্মের কাহিনী। আমরা আপনারা হইলাম চোরা আমাদের কানে ধর্মের কাহিনী ঢোকে না।
সত্যি নাকি? এ ব্যাপারটা জানা ছিলনা। আমি বরং হুমায়ুন আজাদের ‘নারী’ এবং পূরবী বসুর ‘নারী সৃষ্টি ও বিজ্ঞান’ বইতে পড়েছি যে এ সময়টা সঙ্গমের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বিশেষ করে জন্মনিয়ন্ত্রনের জন্যে। শারীরিক কোনো ক্ষতির কথা কোথাও পড়িনি।
@তামান্না ঝুমু, আপুমনি , জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্যে নিরাপদ হলেও নারী র ক্ষেত্রে রিস্ক হাই ! একটু ডাক্তারের কাছে জেনে নেবেন প্লিজ ।
আমি ২টা মন্তব্য দিলাম জানার জন্য। লেখক বা এডমিন তা প্রকাশ না করে ডিলিট করে দিয়েছেন। উল্টো ভবঘুরে নামক অন্য এক ব্লগার আমাকে অন্য প্রশ্ন করে ইমেল করেছেন।
বাহ! এটাই কি দ্বিতীয় বিদ্যার শিক্ষা?
ভাই, সার্ভার বদল হচ্ছে। কিছু মন্তব্য হারিয়ে যাচ্ছে। ইরতিশাদ আহমদের লেখায় ৫ টি মন্তব্য ছিলো। সার্ভার বদলের পর দেখছি ৩ টা। কাজেই কেবল আপনার বেলাতেই এমন হচ্ছে না, আপনি দয়া করে আবার মন্তব্য করুন। ধৈর্য ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার সব লেখাই আমি পড়ি, আপনার এই লেখাটি তথ্য পূর্ণ ও পরিপক্ক হয়েছে। ভাল লেগেছে লেখাটি :clap
এই কথাটি আমি অনেক আল্লার বান্দা-নবীর উম্মতকে বুঝাতে চেষ্টা করেও ব্যরথ হই। কারন অন্ধ চশমা এমন ভাবে তাদের চোখের উপর এটে গেছে যে, কোন যুক্তি বা জ্ঞানের আলোই অন্ধ চশমা ভেদ করে প্রবেশ করতে পারেনা। তাদের অনেকে বলেন, কোরানের বাংলা অনুবাদ নাকি সঠিক ভাবে হয়নি। কোরানের মহাত্ম বুঝতে হলে নাকি আরবি ভাষাতেই বুঝতে হবে, অর্থাত আরবি ভাষার উপর ডক্টরেট করতে হবে!!! আবার অনেকে বলেন, “খোদ কোরানই নাকি ভুল ভাবে সংকলিত হয়েছে, অর্থাত কোরান নাকি ইয়াজিদের বংশধরেরা বা ইসলামের শত্রুরা সংকলন করেছে”। যদি প্রশ্ন করি, কোরান যদি ভুল ভাবেই সংকলিত হয়ে থাকে তাহলে সেটা পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হয় কি করে!!! বা কোরানতো আল্লাহ নিজেই সংরক্ষণ করবে বলছেন, তাহলে কেন আল্লাহ নিজেই তার কথা রাখতে পারলেননা???
এর কোনো সদুত্তর পাইনা!
আসলেই কোরান একটা আজগুবি জিনিস, এর মহাত্ম বুঝা বড় দায়!!! :-X
মজার ব্যাপার হল আমাদের দেশের মহিলারাই কিন্তু ইসলাম ধর্মের বেশী অনুসারী।পুরুষদের চাইতে তারাই ধর্মকে বেশী লালন করে। আমি একবার এক মহিলাকে প্রশ্ন করেছিলাম“বেহেস্তে পুরুষরাতো ৭০ টা হূর পাবে আপনারা কি পাবেন”? তার উত্তর ছিলো এত কিছু জানিনা আল্লাহ ইবাদত করতে বলছে তাই করি।
আমার মনে হয় দেশের প্রায় সব ধার্মিক মহিলার উত্তর ই এক :-Y
খুব ভালো লিখেছেন, তবে এই সব কথার জবাব দেবে কে? কেবলই মনে হয় অরণ্যে রোদন :-Y
@আফরোজা আলম,
আমার সেটা সারাজীবন ধরেই মনে হয় যে এটা অরন্যে রোদন।এখন তো আবার ধর্ম নিরপেক্ষ স্বাধীনতা যুদ্ধের সমর্থক( নাকি ঠিকাদার?) মহান সরকারের সময়েই ফেসবুক পেজ নিয়ে নাটক হচ্ছে। এখন দেখেন অরন্যে রোদন করার সুযোগ টাও পান কিনা। সাবেক রাজাকার সরকারের ( জারা লীগ না তারা অবশ্যই রাজাকার, এমন্টাই তো শুনি) আমলেও কিন্তু এই কাজ করতে পারেনি আদালত।দেখবেন আপু এ নিয়ে আবার কিছু লিখবেন না। গ্রেপ্তার হতে পারেন। ৩য় শ্রেণীতে আইন পাশ করা মহাপুরুষ রাই ত এই বিচার বিভাগ নামের সার্কাস টির প্রধান, কাজেই জাই বলবে সব হবে আদালত অবমাননা। জয় বাংলা থুড়ি জয় বাংলাস্তান (বাংলাদেশের বাংলা আর পাকিস্তানের স্তান)
@আফরোজা আলম, যাই হোক , তবে বলতে তো ছাড়ব না ! যতদিন বাঁচব বলে যাবো । মাখঝা মাঝে খুব হতাশ লাগলেও আশা ছারি না ।
@মহসিনা খাতুন,
<blockqমাঝে মাঝে খুব হতাশ লাগলেও আশা ছারি না ।
হাল ছেড়ো না বন্ধু তুমি কণ্ঠ ছাড় জোরে (Y)
মেয়ে মানুষের মাথা সম্পূর্ণ বিকৃত করে ফেলেছে, এই ইসলাম ধর্মের পুরুষেরা। তবে আজকাল কিছু মেয়েদের দেখি, তারা স্বাধীন জীবন যাপন করে, তাদের মা বাবা কে ফাকি দিয়ে… :hahahee: :hahahee: :hahahee:
আপনার এই লেখা খুব জোরালো হয়েছে। বাঙলাদেশের প্রত্যেক নারী এবং নরের পড়া উচিত।
খুব সত্য কথা। বিবাহের পর নারী যে দাসী-বান্দীতে পরিণত হয়–তা ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ গুরু, ইমাম গাযালি জানিয়েছেন। দেখুন, ইমাম গাযালি কি লিখেছেন এহিয়া উলুম আল দ্বীন গ্রন্থেঃ
এবং
এবং আরও
দেনমোহর নিয়ে মোল্লাদের প্রচারণার শেষ নেই। ভাবখানা যে মোহরানা পেলেই একজন নারী একবারে স্বাবলাম্বী হয়ে যাবে! আর কিছু লাগবে না।
নারী তাঁর পিতার সম্পত্তি থেকেও পাবে তাঁর ভাইয়ের অর্ধেক। তাঁর যদি কোন ভাই না থাকে, তো কচু পাবে।
মোল্লারা তেতে গিয়ে বলে- নারী তো স্বামীর সম্পত্তির ভাগ পায়! খুবই হাস্যকর কথা। ইমাম হাসানের ৭০ জন স্ত্রীর কে কতটুকু ভাগ পেয়েছিল- তাঁর হিসেব জানা যায় না।মোল্লারা দেয় না।
দেনমোহর আর গনীকার পারিশ্রমিকের মধ্যে পার্থক্য একটিই। দেনমহর একবার দিলেই চলে। তাঁরপর যতদিন খুশী তাঁর যোনীটা উপ ভোগ করা যায়। দরকার হলে- পেটাও, বন্দী করে রাখ। আল্লা তোমার পক্ষে আছে।
অনেক শ্রম দিয়ে রেফেরন্সসহ লেখাটা তৈরি করেছেন। এধরনের লেখা খুব ভাবায়। আপনাকে ধন্যবাদ।
@মুরশেদ,
একদম ঠিক কথা বলেছেন। দেনমোহর ইসলামে শুধুমাত্র নারীর যোনি উপভোগের মূল্য মাত্র। এর সাথে মর্যাদা বা সমতার কোন সম্পর্ক নেই। একবার এই মূল্য দিয়েই সারাজীবন তাকে নিশ্চিন্তে উপভোগ করা যায় ও তার উপর প্রভুত্ব চালানো যায়। সব ধর্মই প্রাচীন সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে তাই পুরুষতন্ত্র সব ধর্মেই বিদ্যমান। আধুনিক সমাজই যেখানে এখনও পুরুষতন্ত্রকে পুরোপুরি পরাস্ত করতে পারেনি সেখানে হাজার বছর আগেকার এইসব মতবাদগুলির থেকে নারী পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠা করা দুরাশা মাত্র। লেখা ভালো লেগেছে। চালিয়ে যান। (F) (F)
@মুরশেদ, ইসলামে বিবাহ বিষয়টি বিস্তৃত একটি অধ্যায়। তাই আমি কয়েকটি পর্বে ধাপে ধাপে এ নিয়ে আলোচনা করছি। পূর্বেকার দু’টি পোষ্টের প্রথমটিতে ইসলামে বিবাহ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিবাহের অপ্রয়োজনীয় খরচ বাড়ানো এবং দ্বিতীয় পোষ্টে ”বিবাহের দ্বারা যে নারী লাভবান হয় এবং ব্যভিচার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয় তা বোঝানো হয়েছে। লেখার শেষে বলেও দেয়া হয়েছিলো যে “বহুবিবাহ, তালাক, ও অন্যান্য কিছু বিষয় নিয়ে পরবর্তী পোষ্টে আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ।”
যে সকল ভাইদের কাছে ইসলাম ও ইসলাম স্বীকৃত বিবাহ পদ্ধতি পছন্দনীয় নয় তারা এর বিরোধীতা করবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তারা যে এই প্রসঙ্গের পোষ্টে আরেক প্রসঙ্গ জোর করে হলেও টেনে আনবেন এটা অনাকাঙ্খিত ছিলো। যদিও ইতিপূর্বে এক বিষয়ের লেখায় ’তাদের’ হাজার প্রসঙ্গ টেনে এনে জগাখিচুড়ি পাকানোর দূর্দান্ত সক্ষমতার এক ঝলক ইতিপূর্বে আমার দেখার সৌভাগ্য হয়ছে। সেজন্যই আমি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিলাম পোষ্টের বক্তব্যের পিন পয়েন্ট আলোচনা করার জন্য, অন্য বিষয় অন্য পোষ্টে। এই পোষ্টেও একই প্রত্যাশা সকলের কাছে।
নাস্তিকভাইদের ইসলাম বিরোধীতার কারণ সমূহের অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, ইসলাম পুরুষদেরকে কেন চারটি বিয়ের অনুমতি দিলো? তারা বিষয়টিকে এমনভাবে প্রচার করেন যে, ইসলাম পুরষদেরকে চারটি বিয়ে করতে বলেছে। নারীদেরকে যথেচ্ছ ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে। যার যখন মন চাইবে সে তখন বিয়ে করতে পারবে। ইত্যাদি ইত্যাদি বক্তব্যের মাধ্যমে তারা ইসলাম স্বীকৃত বহু বিবাহের বিষয়টিকে এতোটাই বিকৃত করে উপস্থাপন করেন যে, এক সময় তাদের বক্তব্যের মধ্যে থেকে ‘বিয়ে’ শব্দটি গৌন হয়ে যায় এবং বক্তব্যের মূল ভাব এটাই বুঝাতে থাকে যে, ইসলাম পুরুষদেরকে যেন যথেচ্ছ এবং যে কোন উপায়ে যত খুশি নারী ভোগের সুযোগ করে দিয়েছে।
আসলে বিষয়টি এর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিশাল ও বিস্তৃত একটি প্রেক্ষাপটের মাঝখানের একটি অংশ ‘’চারটি বিবাহ’কে আগে-পরের সম্পূর্ণ প্রেক্ষাপট থেকে বিচ্ছিন্ন করে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়, তাতে কেবল মাত্র সীমাহীন অস্পষ্টতার মধ্য দিয়ে ইসলামের উপর আক্রোশ আর ক্রোধ উদ্গীরণই তাদের সাফল্য বলে বিবেচিত হয়, সত্য উদ্ঘাটন বা বাস্তবতার নিরীখে একটি অতি প্রয়োজনীয় বিষয়কে বিশ্লেষণের সুযোগ থাকে না।
এ ক্ষেত্রে অনেক গুলো অস্পষ্ট বিষয়ের মধ্যে অন্যতম কয়েকটি যথাক্রমে:
ইসলাম আসলে পুরুষদের অসংখ্য বিয়ের সুযোগ রহিত করে দিয়েছে। ইসলাম বিবাহ বিমুখ সমাজে এসে লোকদেরকে পাইকারী হারে চারটি করে বিয়ের নির্দেশ দেয় নি, (যেমনটি নাস্তিকরা সাধারণ লোকদেরকে বুঝিয়ে থাকেন) বরং নারীদের যথেচ্ছ ব্যবহারে উন্মুখ সমাজে পুরুষদের শতাধিক বিয়ের ক্ষমতাকে রহিত করে দিয়ে তাকে সর্বোচ্চ চারটির মধ্যে স্থির করে দিয়েছে। ইসলাম পূর্ব আরব সমাজে নারীদেরকে যথেচ্ছ ব্যবহার করা হতো। এক একজন ব্যক্তির স্ত্রীদের কোন সীমা রেখা ছিলো না। অনেকের স্ত্রীদের সংখ্যা ছিলো ১০০ (একশত) এরও বেশি। ১০/১৫ টি তো সাধারণ বিষয় ছিলো।
লাগাম ছাড়া এমন শতাধিক ও সহস্রাধিক বিবাহ বা নারী সম্ভোগ হিন্দু ধর্মের দেবতাদের মধ্যেও দেখা যায়। শ্রীকৃষ্ণের জীবন বৃতান্তে বলা হয়েছে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১৬,১০৮ জন রাজকুমারীর সাথে যৌনক্রিয়া করেছিলেন। মহাভারতের স্বর্গারোহণ পর্বে বলা আছে, কৃষ্ণের পিতা-বাসুদেব ১৬,০০০ নারীকে বিয়ে করেছিলেন। কৃতিবাসী রামায়ন, আদিকান্ডের ৬৪৬ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ভগবান রাম পিতা মহারাজ দশরথের ৭৫০ বহুবিবাহ করেছিলেন। একই বইয়ের ৬৪৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে ঋৃষিরাজ কশ্যাপ বিয়ে করেছিলেন ২৭ টি। ( কৃতজ্ঞতা স্বীকার, গুরুদেবজী, এ বিষয়ে বিস্তারিত : Click This Link)
বর্তমানেও পাশ্চাত্য সভ্যতা বিবাহের পরিবর্তে যিনা-ব্যভিচারকে উন্মুক্ত করে দেয়ার ফলে আজ সেখানে এক একজন পুরুষ তার জীবনে কত হাজার মহিলার সাথে যে যৌন ক্রিয়া করে, তা সে নিজেও বলতে পারবে না। নারীরা অনেক সময় তাদের সন্তানদের পিতাকেও চিহ্নিত করতে পারেন না। যার কারণে সেখানে সন্তানের পরিচয় মায়ের পরিচয় দিয়ে দেয়াই উত্তম। পাশ্চাত্যের যৌন স্বাধীনতার সংস্কৃতি তাদের পছন্দ তাদের সবাইও সেই একই নীতিতে হাজার হাজার নারীর সাথে মিলিত হন। আমাদের দেশেও এমন হাজার হাজার পুরুষ পাওয়া যাবে, যারা বিবাহ করতে ভয় পান কিংবা একটি বিয়ে করেছেন তবে রাত কাটান হাজার জনের সাথে।
নারীদের জন্য বিভীষিকাময় এমনি এক চরম মুহূর্তে ইসলাম এসে বিকৃত রুচির পুরুষদের শতাধিক বিয়ের খায়েশকে সর্বোচ্চ ৪ টির মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। ইসলাম গ্রহণের পর অনেক সাহাবীই রাসূলের নির্দেশে ৪ টি স্ত্রী রেখে বাকিদেরকে তালাক দিয়ে দেন। এভাবে ইসলাম চারটির অধিক স্ত্রী রাখা চিরকালের জন্য হারাম সাব্যস্ত করে।
-এখন আপনি আপনার বিবেকের কাছেই প্রশ্ন করুন, ইসলাম শতাধিক বিয়েকে অনধিক চারটির মধ্যে স্থির করে দিয়ে মানবিক কাজ করেছে না অমানবিক কাজ করেছে?
ইসলাম পুরুষদেরকে যথেচ্ছ বিবাহের কোন সুযোগ দেয় নি। (এক সময়ে চারটির অধিক স্ত্রী রাখা সম্পূর্ণ হারাম।) আর ইসলাম পুরুষদেরকে একাধিক তথা চারটি বিয়ের ‘নির্দেশ’ দেয়নি, বরং প্রয়োজনীয় শর্ত সাপেক্ষে ‘অনুমতি’ দিয়েছে। যদি শর্ত পূরণ করা না যায় তাহলে একটির অধিক বিবাহ করাকেও হারাম বলেছে। ইরশাদ হয়েছে,
فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً
অর্থ: “তোমরা বিয়ে কর নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে; দু’টি, তিনটি অথবা চারটি। আর যদি ভয় কর যে, তোমরা সমান আচরণ করতে পারবে না, তবে একটি।” (সূরা নিসা, আয়াত ৩)
এই আয়াতে একের অধিক বিয়ে করার আগে সমতার শর্ত দেয়া হয়েছে। একাধিক স্ত্রীর সবার মাঝে সমতা ও সমান অধিকার বিধান করা ফরজ করেছে। যদি সকলের হক যথাযথভাবে আদায় করার ক্ষেত্রে সামান্যতমও সংশয় থাকে তাহলে একের অধিক বিয়েকে ‘হারাম’ ঘোষণা করেছে।
এখন প্রশ্ন হলো তাহলে ইসলাম পুরুষদেরকে চারটি বিয়েরই বা অনুমতি দিলো কেন? এটা জানতে হলে আগে আমাদের জানতে হবে বিয়ে কি এবং বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে কেন?
বিয়ে কি এবং যিনা-ব্যভিচারের পরিবর্তে ইসলাম বিয়ের অনুমতি কেন দিয়েছে সেটি গত পর্ব গুলোতে আলোচনা করা হয়েছে। সংক্ষেপে নারী-পুরুষের প্রাকৃতিক চাহিদা পূরণের জন্যই বিবাহের অনুমতি দেয়া হয়েছে। আর শারিরিক চাহিদা ও আর্থিক সক্ষমতার উপর ভিত্তি করেই মূলত: ইসলাম বিয়ে করা, না করার অনুমতি দিয়েছে। এখন যেই ব্যক্তির শারিরিক ও আর্থিক সক্ষমতা আছে তাকে একটি বিবাহ করতে বলা হয়েছে তার প্রয়োজন পূরণের জন্য। পৃথিবীর সকল মানুষের চাহিদা এক রকম নয়। কারো কম কারো বেশি। এখন কারো যদি শারিরিক সক্ষমতা বা চাহিদা বেশি থাকে এবং একজন স্ত্রীর অধিক প্রয়োজন হয় তাহলে ইসলাম তার মানবিক দিক বিবেচনা করেই একাধিক স্ত্রীর মধ্যে সমতা বিধান করা ও তাদের হক পূর্ণ রূপে আদায় করার শর্তে প্রয়োজন অনুপাতে সর্বোচ্চ চারটি পর্যন্ত বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছে। যদি ইসলাম এই অনুমতি না দিতো তাহলো তখন আপনারাই বলতেন যে, “দেখো ইসলাম কত অমানবিক! লোকটির অঢেল সম্পদ আছে সে ইচ্ছা করলে প্রতিদিন অনেক মেয়ের পেছনে টাকা উড়াতে পারে, কিন্তু ইসলাম তাকে একটির অধিক বিয়ের অনুমতি দেয় নি। এখন সে বাধ্য হয়েই ব্যভিচার করছে!
এটা তো গেলো পুরুষের ক্ষেত্রে। মহিলার ক্ষেত্রেও এটি কল্যাণকর কেননা, বহু বিবাহের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই দেখা যায় যে তালাকপ্রাপ্তা মহিলারাই দ্বিতীয়, তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে কারো সাথে বিবাহে বসেন। কারণ সাধারণত: কুমারী মেয়েদেরকে সতীনের ঘরে দেয়া হয় না। এখন যদি বহু বিবাহের সুযোগ না থাকে তাহলে একজন কুমার ছেলে বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা মহিলাকে বিবাহ করা খুবই দূরুহ ব্যাপার। ফলে সেই মহিলা আজীবন একটি অনিশ্চিত ও কষ্টকর জীবন যাপনে বাধ্য হতো। ইসলাম তাদের কল্যাণের জন্যই শর্ত সাপেক্ষে পুরুষদের বহু বিবাহের অনুমতি দিয়েছে। আর এর ফলে সেই মহিলারও মৃত্যু পর্যন্ত নিশ্চিত সম্মানজনক জীবন-যাপনের সুযোগ হলো। অবিশ্বাসী ও সুযোগ সন্ধানীদের ফাও স্বার্থ লোটার পথ বন্ধ হলো।
অর্থাৎ উপরোল্লেখিত সামগ্রিক আলোচনার দ্বারা দেখা গেলো, একজন নারীর জন্য বিয়ের মাধ্যমে নিজ চাহিদা পূরণ করাই হলো সবচেয়ে উপকারী ও লাভজনক। পক্ষান্তরে পুরুষদের জন্য বিবাহ হচ্ছে সামান্য আনন্দের বিনিময়ে বিশাল দায়িত্ব ও কর্তব্য কাধে নেয়া। আর যেহেতু প্রাকৃতিক চাহিদা পূরণের জন্যই বিবাহের অনুমতি দেয়া হয়েছে, তাই যদি কারো চাহিদা বেশি হয় এবং আর্থিক সক্ষমতাও থাকে তাহলে তার জন্য ইসলাম মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে এবং তাকে গুনাহ মুক্ত রাখার জন্য শর্ত সাপেক্ষে একাধিক সর্বোচ্চ চারটি পর্যন্ত বিয়ের অনুমতি দিয়েছে এবং এর মাধ্যমে সমাজের পরিত্যাক্ত নারীদের সম্মানজনক জীবন নিশ্চিত করেছে। সুতরাং বহু বিবাহের অনুমতি যে কতটা মানবিক আর কল্যাণকর তা আর বিস্তারিত বলার অপেক্ষা রাখে না।
এবার আসুন ভিন্ন মতাবলম্বী ও নাস্তিকদের আক্রোশ আর ক্ষোভের আসল কারণটি আমরা একটু ভেবে দেখি:
নারী-পুরুষের শারীরিক ও জৈবিক চাহিদা পুরণের জন্য বিবাহ হচ্ছে ধর্ম ও সমাজ স্বীকৃত বৈধ পন্থা। পক্ষান্তরে জিনা-ব্যভিচারের মাধ্যমে নারী-পুরুষের জৈবিক চাহিদা পুরণ হলেও সেটি ধর্ম ও সমাজ স্বীকৃত নয় বরং তা অবৈধ। বর্তমান পাশ্চাত্য সমাজ এবং অনেক বিকৃত রুচির লোকদের কাছে জিনা-ব্যভিচার বৈধ হলেও কোন ধর্মই একে বৈধতা দেয় নি।
ভিন্ন মতাবলম্বী ও নাস্তিকদের জন্য সবচেয়ে কষ্টকর বিষয় হচ্ছে: জিনা-ব্যভিচার নিষিদ্ধ করন ও বিবাহের বিধান চালু করণের ইসলামী নির্দেশ। কেননা এর ফলে নারীদেরকে যথেচ্ছ ভোগের সুযোগ তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। বহু-বিবাহের অনুমতি দিয়ে ইসলাম নারীদের উপর জুলুম করেছে অভিযোগ তুলে তারা আসলে নারীদেরকে ফাও ভোগের ব্যবস্থা করতে চায়। এর দ্বারা তারা তাদের আক্রোশ প্রশমনের কিঞ্চিৎ চেষ্টা করে থাকে বৈকি। যা কখনো হবার নয়।