এমন কর্তব্যনিষ্ঠ কর্মচারী জন্মেছে কি কভু,
সৎ, কর্মঠ রাখাল যুবকের
সততায় মুগ্ধ হয়ে
প্রৌঢ়া কর্তৃ, যুবক রাখালের প্রেমে
খেয়েছে কি কখনো হাবুডুবু?
বিগত-যৌবনা সম্পদশালী নারীর প্রতি
আর কোন যুবকের কবে লেগেছে মন
কোন যুবাপুরুষ গবাদি পশুর বিনিময়ে
প্রৌঢ়াকে দান করেছে তার যৌবন?
জীবনের দুইভাগ দ্বীনহীন কাটাবার পর
তৃতীয় ভাগে এসে কার জীবনে
এসেছে এমন নূরানি প্রহর?
পর্বতের অন্ধকার গহ্বরে আলোকের খনি
গায়েবী ঐশী বাণী
আর কোন বিজ্ঞানী করতে পেরেছে আবিষ্কার?
বিধবা অথবা এতিম রমণীর
এমন চমৎকার সতীনী পুনর্বাসন
আর কে করেছে কখন?
একটি দেহ, একটি মন
ক্লান্তিহীন অকাতরে অনেকেরে বিলোন।
আর কার আছে দুঃসাধ্য এমন!
এতিম অসহায় কন্যাদের তরে
কার কবে কেঁদেছিল এমনতর মন।
যৌবন শেষে বার্ধক্যে এসেও
কে কবে করেছিল
বন্ধুকন্যা ও শিশু-প্রেয়সী রমণ?
আর কার হয়েছিল অনাদৃত কন্যাসন্তানদের
প্রতি এমন সুবিচারের উদ্রেক,
আর কোন দরদী বলেছিল,
“কন্যাসন্তান হচ্ছে পুত্রসন্তানের আধেক”
নিগৃহীত তুচ্ছ দাসীরে
আর কে করেছিল এতটুকু সম্মান,
আর কে করেছিল দাসীদের
যৌন হয়রানের এমন মহান আইন!
কে কবে নগণ্য ক্রীতদাসকে
দিয়েছে পুত্রের স্বীকৃতি,
আবার পুত্রবধূকে বিবাহের জন্যে
সেই পুত্রকে দিয়েছে
পুত্রের পদ থেকে নিষ্কৃতি?
স্বামী পরিত্যক্তা পুত্রবধূর তরে
কোন দয়ালু শ্বশুরের কোমল মন
কেঁদেছে এমন ক’রে
কোন দেবতা শ্বশুর বধূকে দিয়েছে ঠাঁই
তার বিশাল অন্তরে
সতীনপূর্ণ খর্জূরপত্রের কুটিরে?
পুত্রবধূ অসহায় নারীটি যাবে কোথায়
পয়গম্বর শ্বশুর যদি না দেন
তারে প্রেমের উষ্ণ আশ্রয়?
নিজের দ্বীনী তরবারির আঘাতে
মৃত ব্যক্তির সদ্য বিধবা স্ত্রীর জন্য
আর কার মন কেঁদেছে
আর কে তাকে উম্মুল মোমেনিনের
সম্মানিত মর্যাদা দিয়েছে
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ভিন্ন?
লুণ্ঠন ক’রে হালাল উপার্জনের
এমন সহজ সরল পথ
আর কে দেখায়েছে কবে?
কে বাৎলায়েছে কখন
মানুষের অঙ্গ কেটে বিকলাঙ্গ ক’রে
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান?
না করিয়া সীমা লঙ্ঘন
হাতে নিয়ে শান্তির লণ্ঠন
গায়েবী আল্লার পাক নামে
আর কে উৎসব ভেবে করেছিল
ক্রমাগত পবিত্র ধর্ষণ, হত্যা, লুণ্ঠন?
কোন কালে কার মনে ছিল
এত দয়া, এত মায়া,
কার ছিল এত লাজ-লজ্জা-হায়া,
নারীর আপাদমস্তক আর কে
দিয়েছে বস্তায় ঢাকিয়া,
আর কে মানুষের জীবনের উপর
এনে দিয়েছে মানব-রক্তের লোহিত ছায়া?
@তামান্না ঝুমু,
হে নবী, আপনি তো দেখি মুহম্মদরে কবরে ও থাকতে দিবেন না!!!! তাও আবার মিলাদুন্নবীর দিন, খবর আছে আপনার দোজখে… 😀 😀
বরাবরের মতই দারুণ, লাজাবাব… :guru: :guru: :guru:
আচ্ছা, মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য টা কি জানাবেন?
@আমি আমার,
মিলাদুন্নবীর দিন আল্লাপাকের সবচেয়ে আনন্দের দিন। যাকে তিনি পৃথিবী সৃষ্টির আগে সৃষ্টি করেছেন তাকে এই দিনে সাহস ক’রে পৃথিবীতে প্রেরণ করেন। আল্লা মুহাম্মদের জন্মদিনে সাত আকাশে ব’সে ব্রহ্মাণ্ড সমান কেক কাটেন। ফেরেশতাদেরকে কেক বিলোন ধুমধাম করে হ্যাপী বার্থডে পালন করেন।’ হ্যাপী বার্থডে টু ইউ’ ব’লে ব’লে তার নামে মিলাদও পড়েন।
@তামান্না ঝুমু/হে নবী,
তাহলে মিলাদুন্নবী হল মুহম্মদ এর জন্মদিন!!! আমার তো জানা ছিল আল্লাহ পৃথিবী আগে সৃষ্টি করেছেন, তারপর যখন দেখল যে পৃথিবীতে একজন সব্জান্তা শমশের দরকার, তখন মুহম্মদ রে প্রেরণ করেন সবাইকে জ্ঞ্যনী বানানোর আশায়। কেমন জানি স্ববিরোধী তথ্য। :-Y :-Y
আপনি হাসাতে পারেন ও বটে। (Y) (Y)
হে বাঙলার নবী নিসা—
আপূর্ব! অপূর্ব!
এই কবিতা নবীর রওজা মোবারকে পাঠ করলে নবী কবর থেকে উঠে আসবেন।
নবী কোনদিন শহীদ হন নাই। তবে এইবার নবী শহীদ হবেনই–বার বার, যেমন ভাবে হাদিসে লেখা আছে।
@আবুল কাশেম,
ইয়া সোবহানাল্লাহ। কিন্তু রওজা মোবারকের মাটির শয্যায় কি তিনি শুয়ে আছেন, সাধারণ মানুষের মত? তার ত সপ্তম আকাশে গিয়ে থাকার কথা বন্ধু আল্লার সান্নিধ্যে।
@সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড, তিনি এইসব মহৎ কর্ম করে গিয়েছেন। আমরা না লিখেও ত পারিনা। কী করব বলুন!
আসলে মিলাদুন্নবী নাকি সিরাতুন্নবী হবে- সেটা নিয়েও এক বিরাট ক্যাচাল আছে, কারন মোহাম্মদ নাকি একই তারিখ ও দিনে জন্ম ও মৃতূবরন করেছিলেন।
@ভবঘুরে, একই দিনে মিলাদুন্নবি ও সিরাতুন্নবি।
মহাপুরুষের জন্ম ও পগারপার
মুসলিম জাহান আনন্দ বেদনায় একাকার।
@তামান্না ঝুমু,
খুব সুন্দর লিখেছেন, অনেক শুভেচ্ছা |
@অমল রায়, ধন্যবাদ। আপনাকেও শুভেচ্ছা (F) (F)
কালের কন্ঠে নবী মোহাম্মদ নিয়ে আজকে একটা আর্টিকেল পড়ার সময় একটা জায়গায় চোখ আটকে গেল। তার মৃত্যু সম্পর্কে সেখানে লিখেছে যে তিনি মাথা ব্যথা আর জ্বরে আক্রান্ত হন আর আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়েন এবং অবশেষে মৃত্যু ঘটে। যদিও টেকনিক্যালি কোন মিথ্যা বলা হয় নি কিন্তু সত্যটাও পরিষ্কার করা হয় নি । মুসলমানদের তাদের নবীর মৃত্যু নিয়ে এত লজ্জা কেন ?
বি.দ্র. আমি জানি যে নবীর শেষ দিন নিয়ে আগেও লেখা হয়েছে তবু আবার যদি কেউ বিস্তারিত লেখেন তবে এরকম ভাবে বিভ্রান্ত নবাগতদের জন্য সুবিধা হবে ।
@আধ্যাত্মিক,
খায়বারের যুদ্ধে মুহাম্মদ, যয়নাব নামে এক নারীর স্বামী ও ভাইকে নিজের হাতে হত্যা করেছিল। সেই নারী প্রতিশোধ স্বরূপ মুহাম্মদকে দাওয়াত করে তাকে বিষ মিশ্রিত ভেড়ার মাংস খাইয়ে দেয়। বিষক্রিয়ায় মুহাম্মদ সাথে সাথে মারা যায়নি আস্তে আস্তে ধীর বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছিল।
@তামান্না ঝুমু,
এগুলো জানি কিন্তু পত্রিকায় এ কথা গুলো প্রকাশ করার সাহস দেখায় নি । মুহাম্মদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয় নি একথা সহস করে বলার খুব কম মানুষ আছে। তাই বলেছিলাম আবার যদি কেউ লিখতেন এই বিষয়ে তবে নবাগতদের জন্য সুবিধা হত।
@তামান্না ঝুমু,
আপনার সব কবিতায় খুব সুন্দর। এই কবিতাটি অপূর্ব। খুবই ভাল লাগলো।
প্রতিটি পংক্তি এক একটা ইতিহাস। (F) (F) (Y) (Y)
@গোলাপ,
আল্লাপাকের সৃষ্টি করা পাক পবিত্র ইতিহাস ত বিকৃত হবার নয়। আল্লাই এর হেফাজতকারী।
অনেক ধন্যবাদ , ভাল থাকুন।(F) (F) (F)
প্রত্যেকটা চরণই কাব্যিক। ক্যামনে লেখেন বুঝিনা।
তবে মিলাদুন্নবির মিলাদ (জিলাপি, বাতাসা, আমিত্তি…) পর্বটা বলবৎ থাকা উচিৎ বলে আমি মনে করি। :))
@অরণ্য,
সবই আল্লাপাকের অপার মহিমা। তিনি ওহী নাজিল করলেই লিখা হয়। নাহলে আমি লেখার কেউ নাই।
লইয়া আল্লা ও রাসুলের পাক নাম
গায়েবী জিলাপি,বাতাসা, আমিত্তি বিতরন করিলাম।
এই মহান দিনে রাসুলের নামে দরুদ পাঠ করা সবচেয়ে সওয়াবের কাজ। আসুন সবাই মিলে সুর মিলিয়ে দরুদ পড়ি;সালাতুনিয়া রাসুলাল্লাহ আলাইকুম, সালামুনিয়া হাবিবাল্লাহ আলাইকুম।