( এ লেখাটি এমব্রোস বিয়ার্সের ‘দ্যা কালেক্টেড ওয়ার্ক্স অফ এমব্রোস বিয়ার্স” হতে সংগৃহীত ও অনূদিত।আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশ এখন জাকির নায়েকদের মত কূটতার্কিকে ভরে গেছে।এদের কূটতর্কের নানা ধরণের কলা কৌশল আছে।এখানে সে রকমেরই কিছু কূটতর্কের উদাহরন ও আলোচনা করা হয়েছে।আমার কাছে মনে হয়েছিল এ প্রবন্ধটি প্রাসংগিক হতে পারে,তাই অনূবাদ করলাম।
ডিসক্লেইমারঃ অনূবাদে ত্রুটি হয়েছে বোধ হয় কিছুটা।খুব দ্রুত অনুবাদ করেছি।যারা মূল লেখাটি পড়তে চান তারা দেখতে পারেনঃ-grammar.about.com/od/classicessays/

যে লোকটি কখনো নিজেকে বিতর্কে জড়ায়নি সেও বিতর্কের পদ্ধতি নিয়ে কিছু না কিছু জানে। কিন্তু এমনও হতে পারে যে যুক্তি স্বাক্ষ্য আর প্রমাণ যে পদ্ধতিতে গড়ে উঠে তা সম্বন্ধে সে প্রায় কিছুই জানে না।
এমনকি যে উকিল আর বিচারকদের কাজই হচ্ছে স্বাক্ষ্য-প্রমান পর্যালোচনা করা, এগুলোকে বাতিল করা কিংবা গ্রহণ করা তারাও দর্শন কিংবা ধর্ম কিংবা প্রথাগত আইনের বাইরে যা কিছু আছে সেসব বিষয় বিচার করার সময় অন্যদের থেকে খুব একটা বেশি জ্ঞানের পরিচয় দেন না। এ সমস্ত ব্যাপারে তাদের ক্লান্তিকর ও হাস্যকর সব যুক্তিগুলো দাঁড়িয়ে থাকে কিছু অর্থহীন স্বাক্ষ্যের উপর । এগুলো শুনে আমার ভয় হতে থাকে-মনে হয় এরা আমাকে প্রতিবেশীর মই খেয়ে ফেলার মতো কাল্পনিক অভিযোগেও অভিযুক্ত করতে পারে। সুতরাং এটা বুঝা যায় যে মামলা মোকদ্দমা সংক্রান্ত ব্যাপারে এই সমস্ত পান্ডারা যে বিচার করবে তাও হবে আংশিক যৌক্তিক আর আংশিক সঠিক। অন্যদিকে প্রত্যেক ধর্মের ধর্মবেত্তারা নিজেদের কাজকর্মে ওদের( উকিল বা বিচারক) মতো অযৌক্তিক হতে পারেন না (যেহেতু ধর্মে যেভাবে বলে দেয়া আছে তারা সেরকমই করেন।ধর্মের মূল এসাম্পশনটি ভুল প্রমাণ করা যায় ।এটা নিয়ে অধিকাংশ ধার্মিকের খুব একটা মাথা ব্যাথা কিংবা আগ্রহ কোনটাই নেই। এখন এসাম্পশান থেকে যে উপসংহারগুলো পাওয়া যায় তা একজন ধার্মিকের কাছে খুব যৌক্তিক মনে হতেও পারে।কেননা ভুল প্রপোজিশন (বচন) থেকেও যৌক্তিক উপসংহারে পৌঁছানো যায় যতক্ষণ না ঐ ‘বচন’-কে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে।এই অর্থে একজন ধার্মিক ধর্মীয় যুক্তির পথ অনুসরন করেন বলে বলা যায়- অনুবাদক)। কারন প্রতিটি ধর্মই হচ্ছে অ-যুক্তির সমাবেশ, প্রচুর অনুকল্প ও কল্পনার সাহায্যে তৈরী কোন সৌধ।কিংবা এটিকে ধরা যায় একটি উপরিকাঠামোরূপে যার কোন অধিকাঠামো (ভিত্তিকাঠামো) নেই।এবং পুরো ব্যাপারটাই শয়তানের (বা ভাবানুবাদে চতুর মস্তিষ্ক-অনুবাদক)আবিষ্কার। ন্যায়বিচারের কাছে আইন যেমন;বদান্যতার কাছে শিষ্টাচার যেমন,কেমিস্ট্রির কাছে আলকেমি যেমন কিংবা মেডিসিনের কাছে হাইজিনি যেমন-ধর্মের কাছেও যুক্তি ব্যাপারটা ঠিক তেমনি।একজন ধার্মিক কখনো যৌক্তিক হতে পারেন না।কারণ কেউ যুক্তির পথে হাঁটতে চাইলে সে কখনো ধর্মের শরণাপন্ন হতে পারে না।ধর্মই কাউকে যুক্তিবাদী হওয়া থেকে বিরত রাখে। ধর্ম হচ্ছে ঈশ্বরের অনুশাসন।এবং ধর্মের কিছু ব্যাখ্যাকার বলে থাকেন ঈশ্বরের কোন আকার-আকৃতি নেই;আরেক দল দাবি করেন ঈশ্বরকে জানা সম্ভব নয়।
আমি ঐ সমস্ত লোকদের বোকামির কথা উল্লেখ করব যারা কিছু সাধারণ উদাহরণকে তাদের মতবাদের সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে হাজির করেন। আমি তাদের মধ্য হতে এমন একজন লোকের যুক্তি খন্ডন করতে যাচ্ছি যিনি আত্নার অমরত্ব সম্বন্ধে অন্য অনেকের চেয়েও বেশি জ্ঞান রাখেন।তিনি একজন বিশ্বাসী এবং তিনি বিশ্বাস করেন এটা সম্ভব যে অমর আত্নার দল নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রলোকে ঘুরে ঘুরে বেড়াতে পারে।এবং তিনি ব্যাপারটিকে এভাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেনঃ
স্থানের ভেতর দিয়ে চলাচল করা যায় এটা জানা ছাড়া কেউই স্থানের ব্যাপারটি চিন্তা করতে পারে না।তাহলে স্থানের ধারণার মাঝেই নিহিত আছে এর মধ্য দিয়ে চলাচল করার ব্যাপারটি।
‘কিন্তু কত দূর যাওয়া যায়?’ তিনি জবাব দিলেনঃ
‘সাগরে সাঁতার কাটা যায় এটা জানা ছাড়া কেউই সাগরের কথা চিন্তা করতে পারেনা।ফলে সাগরের ধারণার মাঝেই নিহিত থাকে সাঁতার কাটার ব্যাপারটি ।
আরেকটি প্রমাণের উদাহরণ পেশ করা হলঃ
মানুষ যে অনন্ত স্থানের ধারণা করতে পারে -যে স্থানের কোন শুরু কিংবা শেষ নেই-এতে প্রমাণিত হয় মানুষ একটি অনন্ত ভ্রমণে আছে যে ভ্রমণের কোন শুরু কিংবা শেষ নেই।এখন এ ধরণের ‘যুক্তি’র সঠিক হওয়ার সম্ভাবনার দিকে একটু খেয়াল করা যাক। ধরুন একটি শূকর শালগম সম্বন্ধে বেশ অবগত।তাহলে উপরের যুক্তি অনুসারে এটা ধরে নিতে হবে যে শূকরটি শালগম গাছে শালগম নিয়ে উঠতে পারে এবং এ থেকে আমরা ধারণা করতে পারি যে শূকরটি একটি মাছ।(যেমন মানুষ ‘স্থান’সম্বন্ধে জানে বলেই ঐ ব্যক্তি উপসংহারে পৌঁছে গেছেন যে মানুষের আত্না অমর- অনুবাদক)। এরকম প্রত্যেকটি যুক্তির প্রথম অংশ ঠিক ততখানিই ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছে যেমন কেউ একজন একটি কান্নারত বেবুনকে দেখে উপসংহার টানল যে বেবুনটি একটি বরফ খন্ডের উপর আছে। ঠিক এরকমভাবে নিচের দুটো আপাত নিরীহ দুটি যুক্তিও ভুলঃ

আমরা যে আমাদের জন্মের পূর্বে আমাদের অস্তিত্বকে স্মরণ করতে পারি না তা থেকে প্রমাণিত হয় আমরা কোন কালেই অস্তিত্ববান ছিলাম না।আমরা ওটা স্মরণ করতে পারতাম যদি তখন আমরা কোন স্মরণযোগ্য কাজ করে থাকতাম।

লক্ষ্য করুন প্রথমে বলা হল ‘আমরা’ যারা বেঁচে আছি;তারপর বলা হল আমরা আমাদের জন্ম পূর্ব অস্তিত্বকে স্নরণ করতে পারি না।( অর্থ্যাৎ দ্বিতীয় বাক্যটি পুরোপুরি কল্পিত-প্রমাণিত নয়ঃ অনুবাদক)

আমরা জানি ছোট শিশুদের আচার আচরণ ও স্বভাব বড়দের থেকে অনেকখানি আলাদা। এটা প্রমাণ করে আমাদের যদি কোন পূর্ব অস্তিত্ব না থাকত তবে আমরা প্রত্যেকেই একই রকম স্বভাবের অধিকারি হতাম এবং আমাদের সকলেরই স্বভাব ,দেহ ও মুখমন্ডলের গঠন একই রকম হতো। চলুন পাথর কিংবা বিড়াল সংক্রান্ত এই উদাহরণটি বিবেচনা করি। দূর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা কেউই জানিনা কিংবা আমাদের মধ্যের কেউই জানি না এবং এটা সত্যও নয় যে ছোট ছোট বাচচাদের বড়দের মতই আলাদা আলাদা ব্যাক্তি-বৈশিষ্ট্য থাকে।কিন্তু যদি আমরা জানতামও, কিংবা আমাদের মধ্যে কেউ এটা জানত অথবা এটা যদি সত্যি হত তবুও এই ব্যাপারটি অথবা এই ব্যাপারটি সম্বন্ধে যে জ্ঞান আমরা পাচ্ছি তার কোনটিই প্রমাণ করে না যে আমাদের পূর্ব-অস্তিত্ব আছে। হয়তো ঈশ্বর কিংবা অন্য কোন শক্তির বাধা দানের ফলেই মানুষ এটা নিয়ে আগে ভাবে নি-অথবা ভাবলেও কোন কিছু স্মরণ করতে পারে নি। প্রকৃতপক্ষে আমরা জানি যে প্রত্যেক ব্যক্তি তার চরিত্রের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যগুলো সাত সাগর তের নদী পেরিয়ে কোন পূর্ব জন্ম থেকে নিয়ে আসে নি। এমনও না যে এই সাগর কিংবা নদীর একতীরে মানুষের জন্ম এবং অপর তীরে মানুষের মৃত্যু।বরং এ বৈশিষ্ট্যগুলো আমরা পেয়েছি এ মাটির পৃথিবী থেকেই। এই বৈশিষ্ট্যগুলো আলাদা কিছু নয় বরং এরা বংশগত।এমনও না যে এই বৈশিষ্ট্যগুলো আগে ছিল এখন নেই;বরং এই বৈশিষ্ট্যগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বংশানুক্রমে আমাদের মাঝে এসেছে। এখানে যে সমস্ত ‘তর্কের’ পদ্ধতি সম্বন্ধে আলোচনা করা হল সে সমস্ত পদ্ধতির সাথে আমাদের ধর্ম কিংবা গোড়া মতবাদ গুলো খুব ভালোভাবে পরিচিত। এখান থেকে আমরা মানুষ যে ভাবে চিন্তা করে তার কিছুটা ব্যাখ্যা করতে পারি। এ সমস্ত পদ্ধতির প্রয়োগ আমরা বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাই।যেমন আমাদের প্রতিদিনের আলোচনায় কিংবা বিভিন্ন বইতে অথবা সংবাদপত্রে। ভূয়া দাবী কিংবা প্রমাণহীন বিবৃতি অথবা অলৌকিক ব্যাপারসমূহ হচ্ছে পুরোটাই একটা ভ্রান্তিকর ব্যাপার ( নন সেক্যুটার) যাদের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিকভাবে তার প্রথম প্রতিজ্ঞা (প্রেমাইজ)থেকে আসে।অর্থ্যাৎ এ সমস্ত যুক্তির প্রথম বাক্যের সাথে সিদ্ধান্তের কোন প্রকার যৌক্তিক সম্পর্ক নেই।
অন্য কোন জীবন আছে বলে আমার জানা নেই।যদি থাকে তাহলে এটা আশা করা যায় যে তাকে অবশ্যই নিরাবেগ যৌক্তিক পরীক্ষণের মধ্য দিয়েই যেতে হবে।অথবা এমন কোন পরীক্ষণের মধ্য দিয়ে এ সমস্ত অনুকল্পকে যেতে হবে যে সমস্ত পরীক্ষণ বোকা বনে যাওয়া হতে আমাদেরকে রক্ষা করে। একটি তুমুল তর্ক বিতর্কের অধিবেশনে এটা মনে রাখা খুব জরুরি যে সাধারণ মানুষ অনেকক্ষেত্রের এই বিতর্কের মধ্য দিয়ে কী বেড়িয়ে আসল তা নিয়ে মাথা ঘামায় না।কিংবা তারা এই ঘটনা মনেও রাখে না। সুতরাং যিনি এ রকম কূটতর্কে যান তাকে অবশ্যি দুটি ব্যাপার মাথায় রাখতে হয়-১) পাঠক বা শ্রোতাদের আনন্দদান ২) ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা তৈরী। প্রথমটির তেমন কোন নিয়ম নেই।একজন ভালো লেখক সবসময়ই পাঠকদের আনন্দ দিয়ে থাকেন ।দ্বিতীয়টি পরিশ্রমলব্ধ। এটা করতে হলে যা করতে হয় তা হচ্ছে -১) নিজের সম্মান ধরে রাখা ২) প্রতিপক্ষের আত্ন-সম্মানকে আঘাত করা ৩) প্রতিপক্ষকে তার নিজের বিরূদ্ধে গিয়ে হলেও আপনাকে সম্মান করতে বাধ্য করা ৪) এবং তাকে এমন এক ঝামেলায় ফেলে দেয়া যেখান থেকে তাকে আক্রমণ করা যায়। এ থেকে বুঝা যায় যে কোন প্রকার ভূল ভ্রান্তি, ফলসিফিকেশন কিংবা ভুল ব্যাখ্যার ফলে অপর জন বেশ ভালই সুযোগ পেয়ে যান।জনসাধারণ এ সমস্ত ব্যাপারে মাথা ঘামায় না।এবং তারা কখনো কখনো প্রবনচনার শিকার হয় যদিও খুব সহজেই প্রবনচনাটি ভুলে যেতে তাদের বিশেষ বেগ পেতে হয়না।কিন্তু তারা পুরো ব্যাপারটি কখনো ভুলে যায় না।
এদের পদ্ধতি হল আমি কখনোই আমার বিবৃতিতে প্রতিপক্ষকে ভুল ধরার সুযোগ দেব না।বরং আমি আমার প্রতিপক্ষকে একদম মাটির সাথে মিশিয়ে দেব।যে অংশটিতে প্রতিপক্ষকে তুমি বাধ্য করাতে পারবে তোমাকে সম্মান করতে সে অংশটিতে তুমি নিশ্চিত থাকতে পার।কিন্তু যে অংশটিতে আপনি তাকে আঘাত করতে শুরু করবেন কিংবা তার মধ্যে ভীতি সনচার করে দিতে পারবেন ঠিক সে মুহূর্তে সেটা তার উপর নির্ভর করবে ব্যাপারটি সে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে। তিনি হয়তো খুব ঈর্ষণীয় একজন ব্যক্তিত্ব হতে পারেন যিনি তার লেখনীতে খুব সৎ এবং মুক্তকন্ঠ।তাহলে আপনি তার মাঝে কোন ভুল খুঁজে পাবেন না। মনে রাখবেন আপনার দ্বায়িত্ব তার দূর্বলতাকে প্রকাশ করা না( কেউ এটাকে দুই টাকার দামও দেয় না) বরং আপনি তাকে বাধ্য করবেন আপনার যুক্তির ধাক্কায় সে যেন এটা স্বীকার করে। এটাই সমস্ত বিতর্ক-কৌশলের নিয়ম।
.
আপনি হচ্ছেন দুই গ্লাডিয়েটরের একজনঃ আপনার প্রথম দ্বায়িত্ব হচ্ছে জনগনকে আনন্দ দেয়।কিন্তু যেহেতু জনগণ অনুষ্ঠান শেষে বেশিদিন মনে রাখবে না কে জিতেছিল সুতরাং ওরা যেন না বুঝতে পারে গোটা অনুষ্ঠানের কোথাও আপনি দৃশ্যমান কোন আঘাত পেয়েছেন কিনা।সুতরাং যুদ্ধ করতে হবে এমনভাবে যেন আপনি আপনার প্রতিপক্ষ ও সবার কাছে এ ধারণা তৈরী করতে পারেন যে আপনিই কেবলমাত্র এখানকার সম্মানিত মানুষ।এ সমস্ত জায়গায় বিজয় খুব জরুরী;কেননা মানুষ এটাই মোটামুটি কিছুদিনের জন্য মনে রাখবে।এবং এটা লোকেদের খুব আনন্দও দিয়ে থাকে যখন লোকেরা দেখে যে কেউ একজন খুব দারুণভাবে পরাজিত হয়েছে।যদি দ্বন্ধ যুদ্ধে আমি কোন অবৈধ আঘাত পেয়ে থাকি তবে এটা আমার জন্য বাড়তি পাওনা।এবং আমি আমার কথায় বা লেখায় কখনো উল্লেখ করতে ভুলব না যে ঐ লোকটি ভুল ভ্রান্তিতে ভরপুর একজন লোক। আমি এটাই আমার প্রতিপক্ষকে বুঝাতে চাই।এবং এ ব্যাপারটাই আমি বারবার উল্লেখ করব কেননা আমার প্রতিপক্ষ চাইবে আমি যেন এটা না বলি।তার সাথে আমার রাস্তা,ক্লাব বা অন্য যেকোন জায়গায় দেখা হতে পারে।যেখানেই দেখা হোক না কেন আমি এটা উল্লেখ করতে ভুলব না যে আমি নৈতিকভাবে তার থেকে অনেক উন্নত চরিত্রের অধিকারী।

এটা কী একটা অদ্ভূত ব্যাপার না যে শতকরা নিরানব্বই জনই এ টেকনিকটা ব্যাবহার করে থাকেন তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য?তাদের (প্রতিপক্ষের) সমস্যা হচ্ছে তাদের চরিত্রের ত্রুটি, সাধারণ বিচার বুদ্ধির অভাব। তারা হচ্ছে উন্মত্ত জনতার মত যারা পরস্পর বিবদমান যদিও তারা যুদ্ধের কৌশল সম্বন্ধে কিছুই জানে না।আরো আশ্চর্যের ব্যাপার তারা যে পরাজিত হয়েছে তা সম্বন্ধেও তারা সচেতন থাকে না।এবং তারা এটাও জানে না কীভাবে তাদের যন্ত্রণা ক্ষতে পরিণত হয়েছে বলে প্রচার করতে হয়।