“It’s – the economy”, stupid!
১৯৯২ এর ভোটের ক্যাম্পেনে কথাটি বলেছিলেন সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন !
এখন দেশটিতে অর্থনৈতিক মন্দা ।
কিন্তু উক্তিটি আমেরিকান রাজনীতিতে স্থান করে নিয়েছে ।
এখনও রাজনীতিবিদরা বিভিন্ন প্রসঙ্গে উচ্চারণ করেন –
“It’s- the corporation”, stupid !
“It’s- the voter’s”, stupid !
সারা পৃথিবী জুড়ে “Occupy wall street” এর পাগলা হাওয়া ছড়িয়ে পরেছে !
আমেরিকা থেকে যুক্তরাজ্য, ইটালী, স্পেন, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড সবখানে !বাংলাদেশ ও ভারতেও !
ওয়াল ষ্ট্রীটের ব্যাংকগুলোর লোভের লেলিহান শিখা আজ বাজার অর্থনীতিকে গ্রাস করেছে !
উন্নত বিশ্বের প্রচলিত পুঁজিবাদ আজ বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি !মন্দায় ব্যাঙ্কগুলোকে সরকারী
টাকা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে !ধনতন্ত্রের ভঙ্গুর অবস্থা !রাষ্ট্র যে ভাবে পারে তাকে রক্ত জোগাচ্ছে!
পৃথিবীর সাধারন মানুষ রাজপথে নেমেছে অকুপাই সফল করতে 1 আমেরিকার প্রতি ছয়জনের একজনের দারিদ্রসীমার নীচে অবস্থান !যুক্তরাজ্যেও মন্দা দেখা দিচ্ছে ।গ্রীস, আয়ারল্যান্ড প্রায় দেউলিয়া । আইসল্যান্ড তো আরো অনেক আগেই । স্পেন আর ইটালীর অবস্থাও ভাল নয় । গ্রীসের তরুণ, তরুণীরা এখন দলে দলে জন্মভূমি ছাড়ছে অন্য দেশে চাকরীর খোঁজে !
সরকার গুলোর বাজেট কাটছাঁট আমেরিকা ও ইউরোপের স্বল্প ও মধ্যবিত্তদের মানিব্যাগে আঘাত করেছে !আন্দোলনে মূলত বাম, গ্রীন, ছাত্র, বেকার, এক্টিভিস্ট, নিও লিবারিস্ট ও সাধারন লোকরা অংশ নিচ্ছে।
ধনতন্ত্র, গ্লোবালাইজেশন, গনতন্ত্রের দূর্বলতা ও চলমান পৃথিবীর সিস্টেমের বিরুদ্ধেই এই আন্দোলনের
স্লোগান !
ইন্টার ন্যাশনাল কো’অপারেশন পত্রিকায় পড়লাম অর্থনীতিবিদ ডঃ অমর্ত্য সেন বলেছেন –
“ভারতে সবচেয়ে বেশী ক্ষুধার্ত মানুষ – কারণ ভারতীয়রা তাদের গণতন্ত্র ও অধিকারের দাবী নিয়ে
সোচ্চার নয়”!
আসলে খাদ্যের উচ্চমূল্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সরকারকে বাধ্য করে খাদ্য সরবরাহ করতে!
কারণ তাদের পরবর্তীতে ভোটে জিততে হবে!
পশ্চিমের উন্নত দেশগুলিতে স্বাস্থ্যবীমা, শিক্ষা, বাচ্চাদের ডে কেয়ার, ভবিষ্যতের পেনশনসহ সব সুবিধা আকাশচুম্বী হচ্ছে !এর সঙ্গে সহজে ছাঁটাইয়ের আইন !
যতদিন লোকদের হাতে টাকা ছিল গনতন্ত্রের সাথে সমঝোতা করে চলতে অসুবিধা হয়নি!
আজ টাকা শেষ দেখা দিয়েছে শূন্যতা!
সমাজবিদ ও অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন অতীতের সব আন্দোলনের মত এটা কেবল শুরু
আগামীতে রাজপথ আরও উচ্চকিত হবে!
সূত্রঃ ইন্টারনেট
( এডমিন লেখাটা অন্য একটা ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে ! পাঠকদের আগ্রহে দিলাম।)
প্রবন্ধটি খুব সুন্দর ও ও তথবহুল কিন্তু খুব ছোট হবার কারনে মনে হচ্ছে শেষ হয়েও হইলনা শেষ । পরবর্তীতে লেখিকার কাছে আরও এই রকম লেখা চাই
@মাসুদ রানা,
পড়া ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক শুভেচ্ছা!
আমার কেন জানি সন্দেহ আরবে বসন্ত নয় বর্ষা আসছে। মাহবুব সাঈদ মামুন, হেলাল ভায়ের সাথে আমিও এক মত। স্বৈরাচার দূর করতে গিয়ে তারা মৌলবাদের রাস্তা প্রসস্থ করছে। কারণ গণতন্ত্রে আরবের লোকেরা মোটেই অভ্যস্ত নয়। গণতন্ত্র এক দিনে প্রতিষ্ঠা করাও সম্ভব নয়। এর জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি ও বিচক্ষন নেতা দরকার যা তারা এখনো তৈরী করতে পারে নি। পারষ্পরিক আস্থা ও অবিশ্বাসে বিভিন্ন গ্রুপে গ্রুপে সংঘাত করে তারা আরো অনেক রক্ত ঝড়াবে, দেশের সংকট আরো ঘনীভূত করবে।
@রাজেশ তালুকদার,
আশঙ্কা অমূলক নয়!
তবে পরিবর্তনের প্রথম ধাপ গুলোতো পেরুতেই হবে।
পড়া ও মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা!
@ মাহবুব সাঈদ মামুন ভাই,
মিডিয়া ও সংবাদপত্রের প্রচার আরব বসন্ত,কিন্তু আমার মনে হচ্ছে এ যেন আরব শীত বা আরেক অন্ধকার দিক ঘনায়মান।
আমারও মনে হয় তাই। যদিও নামে দেশগুলো গণতান্ত্রিক হচ্ছে, তবে গণতন্ত্রের মধ্যে ধর্মবাদী দল থাকাই নিরাপদ না। আমজনতার কাছে ভোট চাইতে গেলে ইহকালের রাস্তাঘাটের উন্নয়নের চেয়ে পরকালের রাস্তাঘাটের উন্নয়নই জরুরি হয়ে দাড়ায়, আর ভোটটাও পরকালের দলের বাক্সেই পড়ে। বাংলাদেশের জামাতে ইসলামের মুক্তিযুদ্ধের কলঙ্ক না থাকলে তারা নিঃসন্দেহে এত দিনে একক ভাবে ক্ষমতায় থাকত।
@হেলাল,
হয়ত বা তাই। :-s ।কিন্তু বাংলাদেশের সাথে আরব বিশ্বের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন।কারন প্রথমতঃ আমাদের ভৌগলিক অবস্থান,দ্বিতীয়তঃ ৭১,সালের মুক্তিযুদ্ধ।দেখুন না, ৭৫ এ রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ার পরেও অর্থাৎ যাদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম তারাই গত ৩৫ বছর একবার স্বৈরাচারের নামে আবার জাতীয়তাবাদী চরম দঃক্ষিনপন্থীদের জামায়াত তাদের কোলে বসে ক্ষমতার আসীন হয়েছে, যেটা সাম্রজ্যবাদী শক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল,জামায়াত তাদের কোলে বসে মাত্র প্রথমবারে ১৮ আর দ্বিতীয়বারে পার্লামেন্টে ৪ আসন পেয়েছিল,বি।এন।পির কোলে বসে জামায়াত দুই দুইবার ক্ষমতায় থেকে সৌদির কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাংলাদেশের গ্রামে,গুঞ্জে,শহর-বন্দরে শুধু মাদ্রাসা আর মাদ্রাসা বানিয়েছে আর সাথে সাথে তাদের ক্যাডার জন্ম দিয়েছে ) নামে ক্ষমতায়ন হওয়ার পরেও কিন্তু আজো তারা বাংলাদেশকে ধর্মের বড়ি খাইয়ে পাকি,আফগান বা আরব বিশ্ব বানাতে পারেনি,যেমন,বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু প্যানাটিক নয় শুধু জামাতী ছাড়া।আর ১লা বৈশাখ,১৬ ই ডিসেম্বর,২১ ফেব্রুয়ারী সহ পুরো ফেব্রুয়ারী মাস এবং বাংলায় ১২ মাসে ১৩ পবনে যে আচার- অনুষ্ঠান হয় এবং এগুলিতে যে হারে মানুষের সমাগম হয় সেটাই প্রমান করে বাঙালীরা একটি সেক্যুলার জাতি। সেকারনেই সকল স্বৈরাচার বা জামাতীরা ক্ষমতায় আসলেই প্রথমে আমাদের সংকৃতির উপর আঘাত আনে। বাংলার মানুষ পাকি, আরব বিশ্বের পেট্রো ডলার ও সাম্রজ্যবাদীর শক্তির কিচিঞ্জারি ঠিক বুঝে বলে এইসব অপশক্তি কোন কষ্মিনকালেও তাদের রঙিন লাল-নীল স্বপ্ন সোহাগায় পূর্ণ হবে না একথা আমি স্পষ্ট করে বলতে পারি।
জয় হউক মানুষের মানবতার মুক্তি।
মিডিয়া ও সংবাদপত্রের প্রচার আরব বসন্ত,কিন্তু আমার মনে হচ্ছে এযেন আরব শীত বা আরেক অন্ধকার দিক ঘনায়মান। কারন আরব দেশের সব একনায়কদের ক্ষমতার বদলে এখন আবার মধ্যযুগীয় ধ্যান-ধারনার ধর্মীয় পার্টির ক্ষমতাসীনরা শরিয়া আইন বলবৎ করার জন্য যেন আরব ভূ-খন্ডে আরেক রাজত্ব কায়েম করতে চলেছে।যদিও স্বৈরাচার এবং ধর্মীয় পার্টি গুলি একে অপরের সম্পূরক।সাম্রজ্যবাদী শক্তিগুলি যখনই যারে দরকার মনে করে তখনই শুধু ক্ষমতার পালাবদল করায় শুধু নিজেদের স্বার্থে। আম জনতার এছাড়া আর কি-বা করতে পারে। বছরের পর বছর ধরে স্বৈরাচারের যাতাকলে পিষ্ট হওয়ার কারনে সে অবস্থা থেকে আসন্ন মুক্তি সবাই চায়।কিন্তু মুক্তি আর হয় না।যে লাউ সে কদুই রয়ে যায় ! কারন নিজেদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেলে তো তখন শুধু সাময়িক সমস্যা নিরসন করা ছাড়া আর কিছু দেখতে পায় না।একদিকে নিজেদের সমস্যা অন্যদিকে সাম্রজ্যবাদীদের আগ্রাসন, এই দুই শক্তির ঘৃন্য ক্ষমতার জাতাকলে পড়ে আমজনতা তথা তৃতীয় বিশ্বের জনগন আজ জীবনের কাছে দিশেহারা।
কিন্তু সাধারন আম জনতার জয় হয়-ই, ইতিহাস তা-ই স্বাক্ষ্য দেয়। জনগনের প্রকৃত বিজয় হউক এআশা আমরা করতেই পারি,এবং আমরা করব জয় একদিন………
লেখাটি আমাদের নিবেদন করার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
অনেক শুভেচ্ছা পড়া ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য!
@লাইজু নাহার,
সংক্ষিপ্ত, অথচ অনেক কথা বললেল। লেখার শিরোনামটিই লেখাটি পড়তে উদ্ধুদ্ধ করল।
@গীতা দাস,
অনেক শুভেচ্ছা!
অনেক তথ্য জানলাম মন্দা ও মন্দা পরবর্তি বিশ্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে। তবে আমার মনে হয় পুজিবাদের শিকড় অনেক গভীরে এবং তা বেশ শক্ত। তথ্য বহুল লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।
@শাখা নির্ভানা,
হুম সামনের অগ্নিপরীক্ষায় তা বোঝা যাবে!
অনেক শুভেচ্ছা!
অস্বীকার করা যায় না যে, আরব বসন্তের হাওয়া লাগছে উদারবাদী বিশ্বেও। আর এটাও অস্বীকার করা যায় না, আরব বসন্তের পঙ্খীতে ভর করে যা আসছে আরব বিশ্বে, সেরূপ কিছুই হয়ত আসবে পাশ্চাত্যেও। একই হাওয়া, ফলাফল ভিন্ন হয় কিভাবে?
@অবিশ্বাসী,
অনেক শুভেচ্ছা পড়া ও মন্তব্যের জন্য!
@ আকাশ মালিক,
বানাগুলো কি ঠিক আছে?
:-s
@হেলাল,
তা না হলে মুক্তমনার পাঠক! :guru:
তয় কথা হইলো গিয়া, একটা ন কোরবানি হয়ে গেছে আমার অজান্তে। :rotfl:
বানাগুলো কি ঠিক আছে?
@আকাশ মালিক,
ঠিক করে দিলাম।
ধন্যবাদ!
ভারত বলতে আশা করি অর্থনীতিবিদ ডঃ অমর্ত্য সেন উপমাহাদেশটাকেই ধরে নিয়ে বলেছেন। কি বলেন?
@কাজী রহমান,
অনেক শুভেচ্ছা মনযোগ দিয়ে পড়া ও মন্তব্যের জন্য!
আমার মনে উনি ভারত বলতে ইন্ডিয়াই বুঝিয়েছেন ইন্টারভিউতে।
stupid বানানটি ভুল হয়েছে।
লেখার জন্য (F)
@রৌরব,
অনেক শুভেচ্ছা!
ডাচ আর ইংরেজী বানান মিক্সট হয় প্রায়ই।
(Y)
@বেয়াদপ পোলা,
অনেক শুভেচ্ছা!