লিখেছেনঃ এ. প্রামানিক
নীলক্ষেতে গেছি একটা বইয়ের খোঁজে। একটা দোকানে গিয়ে কাঙ্খিত বইটা হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখছি। এমন সময় পাশের দোকানে কথোপকথনরত এক ভদ্রলোকের একটা কথা কানে আটকে গেলো। ভদ্রলোক বলছে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমার নাম সুরজ মিয়া। আমি ৬নং সেকশনে যুদ্ধ করেছি। আমার কমান্ডারের নাম ছিলো কর্নেল মতিন। একটা বৃদ্ধ ভদ্রলোক কথার মাঝখানে কী কারণে বলছে আমি একজন মু্ক্তিযোদ্ধা তা শোনার জন্য কিংবা লোকটাকে দেখার জন্যই হোক কৌতূহল বশত ঘাড় ঘুরিয়ে লোকটা দেখার চেষ্টা করি। লোকটাকে দেখে আমি স্তম্ভিত। একটা লোক মুক্তিযোদ্ধা, একথা শোনার পর আমার বয়সী প্রতিটি তরুণের মনে সর্বপ্রথম জীর্ন কাপড় পরিহিত, চামড়া কুচঁকানো, চোখে মোটা চশমা নেওয়া অসহায় হতদরিদ্র এক বৃদ্ধলোকের কথা ভেসে ওঠে। যার চোখ দুটো সবসময় জলে ভেজা থাকে। একটা লজ্জায়, একটা ভীষন অভিমানে, একটা জমাট বাঁধা কষ্টে মাথা অবনত, চোখ নামানো বৃদ্ধকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেখতে আমরা অভ্যস্ত। সেখানে কিনা দেখছি, চুলে দাঁড়িতে মেহেদি লাগানো, সতেজ, সৌম্য, শক্তিশালী, আর অহংকারী এক বৃদ্ধকে। যার জন্য একটা কালো রঙের গাড়ি দাঁড়িয়ে। গাড়ির ড্রাইভার উদাসি চোখে চারপাশে তাকাচ্ছে আর অপেক্ষায় ভাবছে এই বুঝি তার মালিক গাড়িতে উঠে বসলো। তাই ঘাড় ঘুরিয়ে বৃদ্ধ ভদ্রলোককে দেখার পর প্রথম আমার মনে যে কথাটা আসলো তা হলো অসম্ভব। এ হতে পারে না। এ কিছুতেই হতে পারে না। লোকটা মুক্তিযোদ্ধা নয়। লোকটা আমাদের চাপা অহংকার, একজন মুক্তিযোদ্ধা নয়। লোকটা বানিয়ে বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলছে। এ কিছুতেই হতে পারে না। ঠিকমতো খোঁজ খবর নিলে দেখা যাবে লোকটা আসলে একাত্তরে রাজাকার ছিলো।
প্রথম বিস্ময়ের ঘোর কারতেই দেখি লোকটা গাড়িতে উঠে বসেছে আর দরজা লাগাতে বাম হাতটা আগ বাড়িয়েছে। আমি একলাফে লোকটার গাড়ির জানালার কাঁচে গিয়ে পড়লাম। একটা বড় নি:শ্বাসে বললাম- আমি তপন। ঢাকা ভার্সিটিতে জ্যারনালিজমে এম এস করছি। এম এস ফাইনাল পরীক্ষায় একটা ডকুমেন্টারি অ্যাসাইমেন্ট হিসেবে জমা দিতে হয়। আমি আমার ডকুমেন্টারিটা স্যার আপনার উপর তৈরি করতে চাই। লোকটা বুঝলো কিনা জানি না, শুধু একটা কার্ড বের করে এগিয়ে দিতে দিতে বললো শুক্রবার পাঁচটার দিকে আসো। বলতে বলতে কাঁচের জানাল আটকে দিলো। আর গাড়িটাও তৎক্ষনাৎ সরাৎ করে সাঁ সাঁ শব্দে বেরিয়ে গেলো।
আমি কার্ডটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষন ঠিক সেইভাবেই ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলাম। ঘোর কাটতেই হাতের আঙ্গুলে ধরা কার্ডের দিকে তাকালাম। দেখলাম সেখানে মালিবাগের একটা ঠিকানা লেখা। মাথায় চট করে ভাগ্যিস অ্যাসাইমেন্টের বুদ্ধিটা এসে ছিলো। নিজের চতুরতাই আমি নিজেই মুগ্ধ। তাই উল্লাসিত হাসিতে আমি দুহাত উচিঁয়ে ধরে আনন্দে চিৎকার করে উঠলাম। কিছু লোক অবাক হয়ে আমার কান্ড দেখছে। তাদের সাথে চোখাচুখী হতেই আমি লজ্জায় আড়ষ্ট হলাম। চোখ সরিয়ে মাথা নিচু করে ফেললাম। অ্যাসাইমেন্ট ঠিক আছে। কিন্তু বাধ্যতামূলক না। অর্থাৎ আমি জারনালিজমেরই ছাত্র তবে আমি এই অ্যাসাইমেন্টটা করবো বিশ্ব-বিদ্যালয়ের জন্য না, ব্যাক্তিগত কৌতূহল মিটানোর জন্য।
শুক্রবার। বেলা বিকেল পাঁচটা বেজে প্রায় পনেরো মিনিট। আমি দো-তলার একটা ড্রয়িংরুমে বসে আছি। কিছু্ক্ষন আগে ছোট একটা কাজের মেয়ে চা দিয়ে গেছে। আমি সোফায় হেলান দিয়ে বসে চায়ের কাপ হাত তুলে নিলাম। চায়ে হালকা একটা চুমুক দিয়ে ঘরের চারপাশে তাকিয়ে দেখতে লাগলাম। আমার সামনের টেবিলটাতে যেখানে চায়ের পিরিচ রাখা সেখানে পিরিচের পাশেই কিছু ম্যাগাজিন দেখা যাচ্ছে।বাংলা, ইংরেজী দুই ধরনের ম্যাগাজিনই আছে। ঘরের সবকিছু বেশ ঝক-ঝকে তক-তকে। ঘরের একপাশের দেয়ালে একটা বড় ছবি বাঁধাই করা আছে। তাতে সুরজ মিয়াকে হাস্যচ্ছল অবস্হায় দেখা যাচ্ছে। সে একহাতে তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা স্ত্রীকে ধরে আছে। মহিলার মাথায় হালকা করে ঘোমটা দেওয়া। সুরজ মিয়ার দৃষ্টি সামনের দিকে। সামনের সারিতে দুই পাশে দুইটা কিশোরী মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যাদের চুলগুলো বেনি করে বাঁধা। বেনিগুলো সাপের মতো কাঁধের দুইপাশে ঝুলছে। তাদের মাঝখানে একটা যুবক ছেলে। যুবকের চোখে বিরক্তির ছাপ, দৃষ্টি উদ্বিগ্ন। সুরজ সাহেবের পরিবারের ছবি। চোখে পড়ার মতো ঘরেতে আর আছে একটা ছোট রঙিন টেলিভিশন ও ছোট একটা আলমারি। টেলিভিশনটা ঘরের এক কোনে রাখা। মেঝেতে লাল রংয়ের কার্পেট বিছানো। আলমারির উপর কিছু সুবেনিয়র, একটা ক্রেচ ও ক্রেচের দুই পাশে দুইটা ছবির ফ্রেম দেখা যাচ্ছে। বাম পাশের ফ্রেমের ছবিটি রং জ্বলা। তাতে একটা লোক একটা বন্দুক হাতে নিয়ে দাড়িঁয়ে আছে। লোকটার বৈশিষ্ট্য হলো নাকের নিচে পুরু মোচ । তাতে একটা উদাসী সংসারী ভাব ফুটে উঠেছে। ক্রেচটা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা এসোসিয়েশনের। তাতে সুরজ মিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আনুষ্ঠানিক সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। আরেকটা ছবির ফ্রেমে প্রধানমন্ত্রির কাছ থেকে ক্রেচটা নেওয়ার সময় সুরজ মিয়াকে বন্দি করা হয়েছে। আমি একটু অস্তিরতা নিয়ে আমার হাত ঘড়ির দিকে তাকালাম। আরো পনের মিনিট অতিবাহিত হয়ে গেছে। সুরজ মিয়ার এখনো আসার চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। তবে ছোট কাজের মেয়েটিকে এদিকে আসতে দেখা যাচ্ছে। বাসায় মনে হয় গেস্ট এসেছে। একটা গুম গুম ভাব পরিলক্ষিত করা যাচ্ছে। ডাইনিং রুমে একটা ছোট বাচ্চার খেলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। মাঝে মাঝে সে আবার কেঁদে উঠছে। কাজের মেয়েটা এসে চায়ের কাপ আর পিরিচটা নিয়ে গেলো। যাবার সময় বলে গেলো আপনাকে আর একটু বসতে হবে। নানা জান নামায পড়তে গেছে।
ঘরে ঢুকে সোফাতে বসতে বসতে সুরজ সাহেব আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কী যেনো নাম তোমার? স্বপন মনে হয়। আমি একটু হেসে বলি স্বপন না, আমার নাম তপন। তুমি কি সাংবাদিক? আমি বলি না। আমি প্রফেশনাল সাংবাদিক না তবে ফ্রি- লান্সার হিসেবে কালের কন্ঠের ক্যাম্পাসে মাঝে মাঝে লিখি। সেদিন তুমি বলছিলে যে আমার একটা সাক্ষাৎকার নিবে। তাহলে সেটা কিসের জন্য? আর পৃথিবীতে এত লোক থাকতে তুমি কেনই বা আমার সাক্ষাৎকার নিতে চাচ্ছো? আমি বলি, যদিও আমি সাংবাদিক না তবে আমি জারনালিজমেই পড়ি। আমি চাই আপনার উপর একটা ডকুমেন্টারি তৈরি করতে। আমি আপনার উপর ডকুমেন্টারি তৈরি করতে চাচ্ছি সত্যি কথা বলতে কি একজন মুক্তিযোদ্ধা শুনতেই আমার বা আমাদের চোখে ভেসে উঠে একটা অধিকার বঞ্চিত, একটা অসহায়, কোন রকমে বেচেঁ থাকা মানুষকে। সেখানে আপনাকে দেখছি বেশ শক্ত সামর্থ্য, সৌম্য, সুন্দর আর কিছুটা অহংকারী যা আমার বা আমাদের ধারণার বাইরে। আপনার এই যে ব্যতিক্রম হওয়া এটা কিসের জন্য, কী বা এর কারন, কী একটা উপাদান যা আপনাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে তুলেছে তার অনুসন্ধান করাই আমার ডকুমেন্টারির উদ্দেশ্য আর সেই সাথে ব্যতিক্রমী একজন মানুষের কাছ থেকে আমাদের চিরচেনা স্বাধীনতার গল্পটা আবার শুনতে চাই আর দেখতে চাই সেখানে কোনো ভিন্নতা পাই কিনা। আমি যে একজন মুক্তিযোদ্ধা সে কথা তোমায় বললো কে? সুরজ সাহেব আমায় জিজ্ঞেস করলেন। আমি বললাম সেদিন নীলক্ষেতের দোকানে যখন আপনি কথা বলছিলেন তখন আমি আপনার কথা থেকেই জানতে পারি যে আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ও, আচ্ছা। কিন্তু তুমি আরেক জনের কথা চুপি চুপি শুনছিলে এটা তো ঠিক না বাবা। তার এ কথাতে আমি দ্ব্যর্থবোধক একটা হাসি হাসলাম। সেও হাসতে ছিলো। সুরজ সাহেবকে আমার বেশ মিশুকই মনে হচ্ছিলো এবং কেন জানি মনে হচ্ছিলো আমি নতুন কিছু পাবো এই লোকটার গল্পে। ততক্ষণে কাজের মেয়েটা আবার চা নিয়ে এসেছে। দুই জনের জন্য দুই কাপ। মেয়েটা চা রেখে নি:শব্দে চলে গেলো। সুরজ সাহেব চায়ে চুমুক দিয়ে একটু চুপ থেকে কথা শুরু করলেন। দেখো বাবা, তুমি যে পয়েন্টটা নিয়ে কথা বলছো সেটা আমি সেভাবে কখনো ভাবিনি। তবে আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করবো আমার অবস্হান ব্যাখ্যা করতে। তাছাড়া আমি জানিও না আমি ব্যতিক্রম কিনা। এরকম ভাবনা আমার কখনো হয়নি। এই প্রথম তোমার কাছ থেকে শুনলাম যে আমি ব্যতিক্রম। সেটা যদি সত্যি হয় তাহলে আমি কী কারণে ব্যতিক্রম এটা অনুসন্ধান করার ইচ্ছে আমার এখন করছে তাই আমি তোমার কাছে আমার গল্পটা বলবো। দেখো, সেখানে নতুন কোন কারন খুজেঁ পাওয়া যায় কিনা যা আমাকে অন্যদের চেয়ে ভিন্ন করেছে, তোমার কথা মতো। আমি একটু নিরব হাসি হেসে তার কথার সমর্থন করে গেলাম।
চায়ে আরেকবার চুমুক দিয়ে তিনি আবার কথা শুরু করলেন। নাইনটিন সেভেনটিন ওয়ান। একাত্তের আমি ছাত্র। ঢাকা কলেজে পড়াশুনা করছি। কেমেস্ট্রিতে। তখন বোধহয় আমি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য কলেজ বন্ধ হয়ে যায়। আমাকে ঢাকা ছেড়ে কিছুদিন লুকিয়ে গ্রামে থাকতে হয়। কলেজে আমি হালকা পাতলা রাজনীতি করতাম। সেটা সুবিধা নেবার জন্য। রাজনীতি আমার বড়ো কোন লক্ষ্য ছিলো না। আমি রাজনীতি সচেতনও ছিলাম। বাংলাদেশ বা পাকিস্তান এসব নিয়ে আমার ভাবনা ছিলো না। আমার ভাবনা তখন কিভাবে আরো একটু ভালোভাবে বাচাঁ যায়। কৃষকের ছেলে। অনেক ভাইবোনের পর আমার জন্ম। অর্থকষ্ট আমার ছোট বেলা থেকে খুব চেনা। আমি চাইতাম মনে প্রাণে আমার অবস্হান পরিবর্তন করতে। রাজনৈতিক কারণে কলেজ বন্ধ হলে আমি কিছুদিন গ্রামে গিয়ে লুকিয়ে থাকে। অত:পর আমার বয়সী যুবকদের দেখাদেখি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করি। আমরা গ্রুপ হয়ে ট্রেনিং প্রাপ্ত হয়। উঠতি বয়স আমার। হঠাৎই আমার হাতে অস্ত্র চলে আসে। আমার রক্ত গরম হয়ে ওঠে। আমাদেরকে জীবনের ঝুঁকি নেয়ে সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হয়। যৌবনের ঐ সময়টাতে আমার সে সব অভিযান মন্দ লাগতো না। আমি একটা চার্ম ফিল করতাম সেগুলোতে। সেখানে কিছুটা দেশপ্রেমতো ছিলোই। আবার ক্যাম্পে এসে যখন শুনতাম দেশ স্বাধীন হবার পর আমাদের অবস্হার উন্নতি হবে, আমরা স্বাধীন, সহজ ভাবে জীবন যাপন করতে পারবো তখন আমি ভাবতাম এগুলোইতো আমি চাই। এর জন্য সংগ্রাম করছি। তাই আমার এই সংগ্রাম আমার কাছে বেশ যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে। সর্বোপরি আমার মনে হয়েছে সংগ্রাম একটা সময়ের দাবি। এ দাবি আবশ্যক। এর দায় এড়ানো যায়না। একটা উত্তেজনার ভিতর আমার দিন কাটতে থাকে। নতুন স্বপ্ন, নতুন দেশ। সবকিছু এবার আমাদের হবে। একা আমাদের। এসব ভাবতে খারাপ লাগতো না। নিজের ভিতর একটা অজানা সীমাহীন শক্তি অনুভব করতাম। এভাবে দিনের পর দিন চলে যায়। এক সময় দেশ স্বাধীন হয়। আমি আমার পরিবারের কাছে ফিরে। অবস্হার পরিবর্তন হবে তাই নতুন স্বপ্নে অপেক্ষা করতে থাকি। কিন্তু সময় যত যাই অবস্হার ভালো কি মন্দই বেশি হয়। এর ভিতর মরার উপর খড়ার ঘা হিসেবে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এমনিতই নতুন একটা দেশ। যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক। চারপাশে স্বজন হারানোর চাপা কান্না। তার ভিতর ভাতের টান। সব কিছু মিলে অসহ্য সময়। অস্ত্র চালাতে চালাতে ততদিনে অভ্যাস হয়ে গেছে। অস্ত্রের সামনে সবাই কাবু ততদিনে আমি বুঝে গেছি। বাচাঁর জন্য আমি আবার অস্ত্র তুলে নেই। কয়েকজন মিলে আমরা রাতের অন্ধকারে নিজ গ্রাম ছেড়ে অনেক দূরে গিয়ে ডাকাতি করতে থাকি। একটা সময় প্রচুর অর্থ জমলে আর দেশের আইন শৃঙ্খলা মোটামুটি স্বাভাবিক হলে আবার ঢাকায় চলে আসি। ঢাকায় নারায়নগন্জের দিকে কয়েকটা ইটের ভাটা দেই। ব্যবসায়ীর আড়ালে ততদিনে আমার ডাকাতের দুর্নাম ঘুচে গেছে। দুহাতে টাকা আসতে থাকে। সাহস আর কাজে লেগে থাকার ব্যাপার আমার মজ্জাগত। তাই আর কোনদিন পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি।
সুরজ মিয়ার গল্প বলা শেষ হলে আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকি। আমার বলার ভাষা খুজেঁ না পাওয়ায় কোনমতে তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি।
চমৎকার লিখেছেন। ব্যতিক্রম ধর্মী প্রতীবাদ।
তবে কাহিনীটা যে সত্য নয় তা উল্লেখ করা উচিৎ ছিল।
একটু অন্যরকম!
এটা একটা ফিকশন গল্প। ঐ সময়ের সামাজিক প্রেক্ষাপট চিন্তা করে আমার কল্পনা প্রসুত চিন্তা এইটা। এর বাস্তব ভিত্তি নেই। তাই আমার কাছে এর স্বপক্ষে প্রমান নেই। তবে আমার মনে হয়েছে, একটু ইতিহাস ঘাটলে এ রকম ঘটনা পাওয়া অস্বাভাবিক না। তারপরও বলছি, এইটা একটা ফিকশন গল্প।
@এ.প্রামানিক,
তা হলে গল্পটিতে মুক্তিযোদ্ধাদের এইভাবে রিপ্রেজেন্ট করার কোন দরকার ছিল কি? খুবই দুর্ভাগ্যজনক। (N)
@ব্রাইট স্মাইল্, অবশ্যই দরকার ছিলো। একজন মুক্তিযোদ্ধা হলেই যে সে ফেরেস্তা হবে, তারও যে মানবিক দোষ থাকবে না এ কথা নিশ্চিত ভাবে কি ভাবে বলেন। তাছাড়া, এ গল্পটা ফিকশন হলেও, এ রকম মুক্তিযোদ্ধা পাওয়া অসম্ভব না এই বাংলায় সে কথা আমি যেমন জানি তেমনি আপনিও জানেন।
তাছাড়া, আমি একটা মুক্তিযোদ্ধা শ্রেনীকে একই রকম বলছি না। এদের ভিতরকার চেতনার পার্থক্য যে ছিলো তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। সবাই যে একই বোধ থেকে যুদ্ধ করেনি সেই কথা মনে করানো দরকার ছিলো।
@এ.প্রামানিক,
প্রাণকুমার ভট্টাচার্য্যের নাম আমি জানতাম না। আপনারাও হয়তো অনেকে জানেন না। আমি যাকে পড়াতাম, তার দাদু (নানা), বাড়ী চট্টগ্রাম। যুদ্ধ চলছে, উনি দেশ ত্যাগ করে ভারতের সাহায্য নিয়ে যুদ্ধ করার ঘোর বিরোধী। নিজ দেশেই প্রতিরোধ গড়ে তুললেন। কোন মাসে এ ঘটনা ঘটেছিল মনে নেই। মুজিব বাহিনী এলো। তার সাথে আলোচনা হলো, যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য। উনি সানন্দে রাজী হলেন এবং মুজিব বাহিনীকে আশ্রয় দিলেন। সেই মুজিব বাহিনী রাতের আধারে তাকে এবং তার সাথীদের হত্যা করে চলে গেল।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়া ক্ষমতায়। ( সময় কাল খুব সম্ভব ৮০-৮১) বি এন স হাজী মহসিন এ রিয়ার এডমিরাল এম এইচ খানকে বিদায় জানানো হবে। আমি নৌ স্কাউট। আমাদের শেখানো হলোঃ এহলান শেহলান, মারহাবা মারহাবা। আর বিদায় বেলা “আল বিদা”। সব মনে নেই। গুলজার (পদবি মনে নেই) আমাদের কর্তা আর বেসামরিক লোক ছিলেন ভাল্লুদা (তার পুরো নাম মনে নেই)। প্যারেড করতে গিয়ে আমার তাল কেটে যাচ্ছিল।
লেখাটা পড়তে পড়তে এরকম অনেক ছোট ছোট ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছিলো। কিন্ত এসব ঘটনা কতটু্কু লেখা আছে ইতিহাসের পাতায়। ইতিহাস তো আবার সব সময় গৌরবোজ্জ্বল হওয়া চাই। ওখানে কোনো অন্ধকারের চিহ্ন থাকতে পারবে না।
@স্বপন মাঝি, ধন্যবাদ আপনাকে এ সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য। এখানে অনেক কিছু শেখার আছে।
@এ.প্রামানিক,
আমি আপনার এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করছি। কারণ এ-কথাটির অর্থ কিন্তু ভিন্ন আঙ্গিকেও উপস্থাপন সম্ভব। সব মুক্তিযোদ্ধা একই বোধ থেকে যুদ্ধ করেনি মানে কি? কোন কোন মুক্তিযোদ্ধা কি এ দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিতে চেয়েছিলো? সবার আগে আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি মুক্তিযোদ্ধাকে সঙ্গায়ীত করবেন কিভাবে? দেশ যখন কাউকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে এবঙ (আমার এখানে অনুঃস্বর টাইপ হচ্ছে না) তার বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নেয়, যে বা যারা ঠিক একই উদ্দ্যেশ্যে তা করে অথবা যে কোন উপায়ে দেশের স্বপক্ষে ভূমিকা রাখে তাঁরা সবাই মুক্তি যোদ্ধা। এমনকি সে সময়ে যারা দেশ ত্যাগকরে বিভিন্ন স্থানে সাময়িক ভাবে আশ্রয় নিয়ে পরবর্তীতে দেশে ফিরে দেশের সার্বিক কল্যাণে ভূমিকা রাখে বা এমনকি মনে মনে মুক্তিযোদ্ধাদের সমর্থন করে, তারাও মুক্তি যোদ্ধা। কিন্তু যুদ্ধপরবর্তীকালে বাস্তবতার নিরীখে অনেকেরই পদস্খলন হতে পারে। তখন সে যে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয় তা মুক্তি যোদ্ধা হিসেবে নয়, পদস্খলিত একজন বিচ্ছিন্ন নাগরিক হিসেবে। এরকম অনেক নাগরিক আমাদের দেশে আছেন! আমিতো বুঝতে অক্ষম যে জামাত-শিবিরের ছাঁয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙগঠন কিকরে সম্ভব! এদের অনেকেই সত্যিই মুক্তি যোদ্ধা ছিলেন! এই যে দেখুন আমার কথাতেই একটা বিষয় স্পষ্ট যে “মুক্তি যোদ্ধা ছিলেন”, কিন্তু এখন বিভ্রান্ত! তাই বলে আমি তাঁর অবদানকে অশ্রদ্ধা করবো না, তবে তাঁর বর্তমান মানসিক অবস্থানের জন্যে করুণা বোধ করবো। আর এসবের জন্যে আমরাই কি কম দায়ী নাকি? মুক্তি যুদ্ধকে মুক্তি যোদ্ধাকে সম্মানিত করতে কার্যতঃ আমাদের ব্যক্তিগত তরফে কে কয়জনে সত্যিকারের ভূমিকা রেখেছি? আমার জানামতে আপনি মুক্তি যোদ্ধাদের ইতিবাচক দিক কে তুলে ধরে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সহায়ক কোন প্রবন্ধ বা উপাদান, প্রস্তাবনা, স্থাপনা বা সঙগঠন গড়ে তুলেননি এই মুক্তমনায়। হঠাৎ করে অন্ধকার দিকের বা ভিন্ন বোধের খোঁজে নেমে পড়লেন! যুদ্ধকালীন যারা লুন্ঠন, অপমান, অযাচিত হত্যা এবঙ অত্যাচারের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো তারা আর যাই হোক মুক্তি যোদ্ধা ছিলো না, ছিলো ঘৃনিত রাজাকার! এখানে সুরুজমিয়া বিভ্রান্ত নাগরিক, মুক্তি যুদ্ধকালীন তিনি দেশের জন্যেই লড়েছেন। এটি আপনার সত্য ঘটনা অবলম্বনেই হোক আর গল্পই হোক। আপনার এই গল্প আমার কাছে কোন তাথপর্যপূর্ণতো নয়ই বরঙ কিছুটা বিভ্রান্ত চিন্তার বা অহেতুক সমাজের একাঙশের কাছ থেকে বাহবা কুড়াবার উদ্দ্যশ্য নিয়ে করেছেন বলে মনে হয়েছে। আমার আরোও মনে হয়েছে যে আপনার গল্পের নায়ক সুরুজমিয়া যতোটানা বিভ্রান্ত আপনাকে আমার তারও চেয়ে অধিক বিভ্রান্ত মনে হয়েছে।
সুরজ মিয়ার মতো লোক আপনি অনুসন্ধান করে বের করেছেন, আমিতো দেখি অজস্র! আমাদের সরকারে, বিরোধীদলে যারা নেতা তাদের দিকে তাকান, আপনার আশেপাশে যারা ছোট বড় ব্যবসা করেন, যারা সাঙবাদিকতা করেন তাদের মাঝেও দেখেন, যারা শিক্ষক তাদের মাঝে দেখেন, যারা বৈজ্ঞানিক গবেষনা করেন তাদের মাঝে দেখেন, আপনি সুরজমিয়াদের খুঁজে পাবেন।
মুক্তি যুদ্ধকালীন যাঁরা অস্ত্র হাতে নেমেছিলেন পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে, তাঁদের একটাই উদ্দ্যেশ্য ছিলো, আর তা হলো দেশকে দখলদার মুক্ত করা।
আপনার গল্পের সুরজ মিয়া একজন যথার্থি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তবে স্বাধীনতা উত্তরকালে দেশীয় এবঙ আন্তর্জাতিক চক্রান্তে এবঙ আমাদের (অর্থাৎ তৎকালীন প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগে) সার্বিক অব্যবস্থায় সুরজ মিয়ারা বিভ্রান্ত হয়ে পরেন। এ এক ক্রান্তিকাল। আমরা এই ক্রান্তিকালের অবসানের অপেক্ষাতেই আছি। মনে রাখবেন, যে শিক্ষক কোমলমতি শিশুদের আদর্শলীপি শেখান তিনিও সময়ের তাগিদে ডাকাতি করেন!
মুক্তি যোদ্ধা মানেই নবী ফেরেস্তা নয়, তবে একটা জাতির গর্ব এবঙ শ্রদ্ধার সর্ব্বোচ্চ আসনে আসীন। আমাদের রোগ হলো,
সেকারণেই অনেক মুক্তি যোদ্ধা বিভ্রান্ত হযেছেন। পৃথিবীর আর কোথাও আপনি এমনটি দেখবেন না। আমি সবিনয়ে এমন বিভ্রান্তিকর বিষয় এড়িয়ে যেতেই অনুরোধ রাখবো। আশাকরি আমার বক্তব্য অনুধাবনে অসুবিধা হয়নি। ধন্যবাদ[img]undefined[/img]
@কেশব অধিকারী, আপনি বলেছেন সবাই একই বোধ থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেন নি এটা সম্পূর্ন ভিন্ন আঙ্গিক থেকে দেখা যায়। যেমন দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দেবার জন্য যুদ্ধ। তাদেরকে আমি তো বলি রাজাকার বলি। আর যারা দেশ মুক্তির জন্য যুদ্ধ করেছে তারা যে পরিমান গত ভাবে একই দেশপ্রেম থেকে যুদ্ধ করেনি এই চিত্তটাই তুলে ধরাই আমার উদ্দেশ্য। সেখানে মনে হয় আমি সফল। কারন আপনিই বলেছেন যুদ্ধ পরিবর্তি অনেক মুক্তিযোদ্ধার পদস্ফলন ঘটেছে। অনেকের ঘটেনি। কি কারনে ঘটেছে আর কি কারনে ঘটেনি তার অনুসন্ধানই হলো আমার গল্প। তাছাড়া আপনি যা বলেছেন, আমি শুধু শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের নেগেটিভ দিক তুলে ধরে বাহবা কুড়ানোর চেষ্টা করছি। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপক্ষে পজিটিভ কিছু লিখিনি কেনো? এই প্রশ্নগুলো কতটা অবান্তর আপনি একবার ভেবে দেখেন। আপনি বলছেন আমি কেন শেষের কবিতা লিখলাম না এই জাতীয়। তাছাড়া আপনার জানার জন্য বলছি আমি স্বপক্ষেও লিখেছি। যা আমার কাছে জমা আছে। প্রকাশের সুযোগ পাই নি। আপনার জন্য তার কয়েক লাইন তুলে দিলাম।
মেরাজ আলী
পরনে জীর্ন লুঙ্গি, গায়েতে জড়ানো লাল গামছা
চোখেতে দড়ি দিয়ে বাধাঁ মাইনাস পাওয়ার চশমা
একহাতে ধরা ক্র্যাচকার্ড অন্যহাতে লাল সবুজের নিশান
আমি দেখেছি তোমায় মেরাজ আলি
তুমি করছো পতাকা ফেরারি আমার শহরে।।
একাত্তরে তুমি হারিয়েছো পা আর হারিয়েছো ছেলে
অনাহারে দিন কেটেছে তোমার খাবার জোটে নি বলে
আজ তুমি পতাকা হাতে এ শহরে ফেরারি
দেশপ্রেমটা আমার সবার উঠুক জেগে
থেকে লাল সবুজের কাছাকাছি
তাই দেখছি তোমায় চলছে জীবিকার ট্রেন
তারচেয়ে বেশি দেখিছি আমি তোমার দেশপ্রেম।।
@কেশব অধিকারী, আপনিই বলছেন সুরজ মিয়ার মতো মানুষ আমাদের চারপাশে অজস্র। পান বিক্রেতা থেকে শুরু করে দেশের নেতা পযর্ন্ত। যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে তাদের পদস্ফলন ঘটে। এটা ক্রান্তিকাল। যখন আমি পদস্ফলন কেনো হলো তার অনুসন্ধান করছি তখন আপনি বলছেন এ অনুসন্ধান বিভ্রান্তিকর। আপনার কথাগুলো কতটা স্ববিরোধী একবার লক্ষ্য করে দেখবেন আশাকরি।
@ব্রাইট স্মাইল্,
মোটেই দরকার ছিল না।
১৯৭১ সালে ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে দুয়েক জন ডাকাতি করেছে। যার শিকার আমার পরিবার। আমার কাকা আগরতলা গিয়ে ডাকাতদের নাম ঠিকানাসহ অভিযোগ করার পর একটা দল এসে ডাকাতির প্রমাণ পেয়ে যাদেরকে পরে মেরে ফেলেছিল। তাদের আস্তানা ছিল তখনকার কুমিল্লা জেলার নবীনগর থানার ছলিমগঞ্জ এলাকায়। বয়স্ক কেউ ওই সময়ে আমার উল্লেখিত এলাকায় থেকে থাকলে ঘটনা জেনে থাকবেন।
এরপরও বলব, মুক্তি যোদ্ধাদের পরিচয় এভাবে আঁকা উচিত নয়। ফিকশন গল্প লেখার বিষয় অনেক আছে। ১৯৭১ সালে আমাদের অনেক ভোগান্তি হলেও ঐ বিভ্রান্ত দল নিয়ে আমি মুক্তিযোদ্ধাদের খাটো করতে পারি না। ১৯৭১ সালে আমরা যখন বর্ডার ক্রস করি তখন একটা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাথে দেখা হবার পর আমার মা দুয়েকটা খারাপ মন্তব্য করেছিল।মা তার স্বর্ণালংকারের দুঃখ তখন ভুলতে পারছিল না। তাৎক্ষণিকভাবে আমার বাবা তা সংশোধন করে দিয়েছিল একটা বিভ্রান্ত দলের জন্য মূক্তিযোদ্ধাদের যেন অপবাদ না দেওয়া হয়।
আমি মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাধীনতা পরবর্তী ভূমিকা নিয়ে এমন ফিকশন গল্প না লেখার জন্য অনুরোধ করছি।
@গীতা দাস, আসলে একটা অংশ লুকিয়ে যাওয়া আর একটা অংশ খুববেশি প্রকাশ করা। মানে আমরা পথভ্রস্ট হচ্ছি। আমাদের সবকিছুই জানতে হবে সেখান থেকেই আমাদের সাঠিক মূল্যবোধটা গড়ে উঠবো
@এ.প্রামানিক,
আপনার এ সব ফিকশন গল্প পড়ে নেতিবাচক মূল্যবোধ গড়ে উঠুক তা নিশ্চয়ই কাম্য নয়?
@গীতা দাস, আপনি এই পোস্টের অন্যান্য কমেন্টগুলো একটু মন দিয়ে পড়েন দেখবেন আপনি এটাকে যতটা ফিকশন মনে করছেন ততটা ফিকশন এটা না। এ রকম ঘটনা যে ঘটেছে তার স্বপক্ষে প্রমান আপনি এখানেই পাবেন।
@এ.প্রামানিক,
আমি কিন্তু বলিনি যে এমন ঘটনা ঘটেনি। আমি নিজেও একটা ঘটনা বলেছি। তা সত্ত্বেও গুটিকয় বিভ্রান্ত লোকজনের জন্য আমি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এমন লেখার প্রতিবাদ করছি। এ নিয়ে মন্তব্য করে আমি আর সময় অপচয় করতে চাই না।
@গীতা দাস, কিন্তু আজ বিভ্রান্তিদেরই জয়েজয়কার। তারাই এখন প্রভাবশালী এবং ক্ষমতাবান। তারা যা বলছে, যা করছে সবাই নিরবে মেনে নিচ্ছে। আপনার কি মনে হয়না তাদের স্বরপটা নিয়ে একটি কাল্পনিক প্রতিবাদ একটা ভিন্ন কিছু শুরু করা আপনার জন্য না হলেও সমাজের জন্য দরকার।
এটি কি সত্যি ঘটনা?
আপনি যে ব্যক্তিটি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেছেন, তার নাম ঠিকানা, উনার কি ব্যবস্যা এগুলো প্রকাশ করবেন দয়া করে? একটু যাচাই করে দেখতাম যে বাস্তবে ওই নামের কেউ আছেন কিনা! নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি এত প্রতিষ্ঠিত, উনার ব্যাবস্যা, সুনাম ইত্যাদির জন্য হলেও আন্ততঃ স্বীকার করবেন না যে উনি একজন চোর, ডাকাত!!!! যখন কিছু প্রকাশ করেন তখন তার প্রমাণ সহ প্রকাশ করা ভাল, নইলে হয়ত ছাগু বা আরো জঘন্য গালিও ভাগ্যে জুটতে পারে কারণ এগুলো ছাগুদের প্রপাগান্ডা হতে পারে!!!!
গল্পটি পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে মাত্র শুরু করলাম,কিন্তু শুরু না করতেই যেন শেষ হয়ে গেল।
গতানুগতিক মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি থেকে ব্যতিক্রম মনে হয়েছে এবং ভাল লেগেছে।
চলুক। (Y)
স্বাধীনতা পরবর্তী অসংখ্য সুযোগ সন্ধানী সুবিধাবাদীরা এমন করেছে। মজুতদার মুনাফাখোর আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া প্রচুর লোকজনেরা সে সময় আখের গুছিয়েছে একান্ত স্বার্থপর ভাবে। ৭২,৭৩,৭৪ এর ভয়াবহ অবস্থা নিয়ে অনেক অনেক লেখা, লেখা যাবে। কিছু তো এখানে লেখা হোল। কেউ কেউ তো জানুক। কেউ কেউ তো অন্তত স্বাভাবিক কৌতূহলী প্রশ্নগুলো তুলুক।
এই রকম লেখা আরো লিখুন। (Y)
আপনি বোধহয় ৬ নম্বর সেক্টর শুনেছিলেন।
@কাজী রহমান, আমার লিখতে ভুল হয়েছে। আপনি ঠিক বলেছেন। আপনার চিন্তা ভাবনার সাথে আমার চিন্তা ভাবনার মিল পাওয়া যাচ্ছে। শুভ কামনা রইলো।
সুরুজ মিয়ার সততা প্রশংসনীয়।
@ছিন্ন পাতা, আমার কাছে সততা থেকে তার সাহস টা বেশি ভালো লেগেছে।
(Y)
@হেলাল, ধন্যবাদ।
আমার কবিতা পড়তে চাইলে নিচের লিংকে পাবেন। আসলে আমি বলতে চাইছি আমার কবিতা পড়েন আপনি-
http://www.somewhereinblog.net/blog/apramanik