শুরু করিলাম তার নাম নিয়া
যার নাম রহিম মিয়া।

যারা বলে এই কিতাব
আল্লাহর লেখা নয় কোন মতে
তাদের বল এই রকম কোন সুরা লিখিতে।

ক্ষমতা আমার অবাধ।
আমি মাটিকে করিয়াছি বিছানা
আকাশকে করিয়াছি ছাদ
ছাদ হইতে বর্ষণ করি জলের প্রপাত
এইভাবে তোমাদের জীবিকা করি আবাদ।

ঋতুমতী নারী অপবিত্র
তাদের সাথে হইয়ো না সংগত
যতদিন তারা না হয় পবিত্র।
কিছু নিন্দুক বলিয়া থাকে,
“এই সময়টা জন্মনিয়ন্ত্রনের জন্য উপযুক্ত
এবং সকল রকম শারীরিক বিপদমুক্ত।”
বস্তুতঃ তাহারা তোমাদিগে করিতে চাহে বিভ্রান্ত।
তাহাদের কুফরীর নাই কোন অন্ত।
তাহারা আমার নিন্দুক
আমার মিথ্যা নিন্দা করিয়াই তাহাদের সুখ।

বিবিগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র।
তাদের তোমরা মোহর দিয়া করিয়াছ ক্রয়
তাই ইহা আদৌ বিচিত্র নয়।
তাহাদের মাঝে আবাদ কর খুশিমতো।

তোমরা তোমাদের স্ত্রীগণের
শরীরের মূল্য প্রদান কর।
তাহাদের স্পর্শ করিয়া তালাক দিলে পুরামূল্য
বিনাস্পর্শে আধামূল্য।
এই বিধি অতুল্য।

সাক্ষীর জন্য জোগাড় কর
দুইজন নর।
যদি না মেলে দুইজন নর
তবে একজন নরের স্থলে নাও দুইজন নারী।
নারীদের মাথা গোবরে ভরা
সবকিছুই ভুলে যায় ওরা
তাই এই উত্তমব্যবস্থা অনুসরণ কর।

সুদী কারবার ত্যাগ কর
আল্লাহকে ভয় কর
দুনিয়ার সব ব্যাংক-ব্যবস্থা অবিলম্বে বন্ধ কর।

আমি ৬ দিনে সৃষ্টি করিয়াছি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড।
এই বিশাল কাণ্ড
যারা করিবে অবিশ্বাস
তাহাদের দিব অগ্নিকারাদণ্ড।
হইবে তাদের অনল-সমাধি
সেথায় আজীবন জ্বলিবে তারা নিরবধি।

আমি ‘হও’ বলিলেই
সাথে সাথেই সবকিছু হইয়া যায়।
তবুও এ যাবত আমি পৃথিবীর
কোন সমস্যার সমাধান করি নাই।
পৃথিবীর ধ্বংসলীলা দেখিতে
আমি বড্ড মজা পাই।
দুনিয়ার দুঃখ-দুর্দশা দেখিয়া
পরমানন্দে আসমানে বসিয়া হাসিয়া যাই।

আমার পথে যারা হয় নিহত
তারা নয় মৃত
তারা জীবিত।
তারা আমার কাছ থেকে হয় রিজিকপ্রাপ্ত।
তাহারা “কমায়” আছে
আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান “কমাবিদ্যা”
আমার কাছেই শিখিয়াছে।
আমি মহাবিজ্ঞানী তাতে কোন সন্দেহ আছে?

আমি মহাত্মা।
তাই আমায় খুশী করিতে
কর নিরীহ জীব হত্যা।
অহিংসা হচ্ছে কাপুরুষতা।
তাই জগতজুড়ে ছড়িয়ে দাও সহিংসতা।
কাফেরদের উপর কর
লুণ্ঠন, ধর্ষণ, হত্যা
এবং সর্বপ্রকারের অরাজকতা।
দুনিয়ায় কাফের ও পশুরক্তের
বইয়ে দাও প্লাবন
জিতে নাও আমার মন।

যদিও তিনি সর্বত্র বিরাজমান
তিনি কিন্তু জনসমক্ষে আসিতে লজ্জা পান।
তাই বছরে একবার রব্বের নিকটে গিয়া হাজিরা দাও।
কাবাঘরের চারপাশে চরকির মত ঘুরপাক খাও।
‘আসিয়াছি আসিয়াছি’ বলিয়া কর চিৎকার।
পরকালে পাইবে চিৎকারের পুরষ্কার।
ইহাকে হজ্জ বলে।
হজ্জে যদি না যাও পড়িবে রব্বের রোষানলে।

তিনি সর্ব বিষয়েই সর্বশক্তিমান।
তাই তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন
যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন।