আলোকোজ্জল চোখ ধাধাঁনো মঞ্চে যখন সুন্দরী মডেলরা নিত্যনূতন ডিজাইনারদের পোষাক পরে
গর্বিত পদচারণায় শত শত ক্যামেরাম্যানদের ফ্লাশের আলো ভেদ করে ক্যাটওয়াক করেন, তখন কি
ভাবেন একটি নাম !
কোকো শ্যানেল তার নাম !
ফ্যাশন আজ দুনিয়া কাপাচ্ছে !বাংলাদেশের বিবি রাসেল যেমন বাংলাদেশের লুঙ্গি, গামছা থেকে থীম নিয়ে প্রায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন ! হচ্ছেন জাতিসংঘের দূত !
ফ্রান্স –আধুনিক সাহিত্য, সংস্কৃতি, ফ্যাশনের লীলাভূমি !
এখানেই জন্মেছিলেন শ্যানেল(১৮৮৩) এক হতদরিদ্র পরিবারে !
মা পঞ্চম সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান । হতভাগ্য বাবা শ্যানেল আর তার বোনকে নানদের(খ্রীষ্টিয় সিস্টার)পরিচালিত এতিম খানায় রেখে যান । বলে কিছুদিন পরে ফিরে এসে ওদের নিয়ে যাবে, বাবা আর ফিরে আসেনি! যদিও শ্যানেল বাবার পথ চেয়ে থাকত !
শ্যানেলের দুইভাইয়ের জায়গা হয় বড় চাষীদের খামারে, শিশুশ্রমিক হিসেবে।
কোকোর আসল নাম ‘গাব্রিয়েলা বনহুর শ্যানেল’ ! এতিম খানায় কোকো সুন্দরী প্রানচঞ্চলা তরুনী হয়ে ওঠে, তখন কে জানত এই মেয়ে একদিন পুরো ফ্যাশনের জগতকে পালটে দেবে !
এতিমখানা ছেড়ে বোনের সঙ্গে থেকে হ্যাট বানানো শুরু করে। হ্যাট বানিয়ে বিক্রি করত ।
মাঝে মাঝে ক্যাফেতে গান গাইত! কোকো নামে!গায়িকা হিসেবে ফ্লপ করে, দর্শকরা হাসাহাসি করে ।
এই গান গাইতে গিয়ে ধনী এক বস্ত্রব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা হয় কোকোর তার বয়স তখন ২১ ।
কোকো এথেনের সঙ্গে বসবাস শুরু করেছেন একটু ঘনিষ্ঠ হবার পরই । এথেনের বয়স তখন ২৪ তারা সব ভাইরা মিলে অনেক বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক । তাদের প্রাসাদের মত বাড়িটায় ঘোড়ার আস্তাবল ছিল এখানেই কোকোর ঘোড়াপ্রীতি শুরু হয়, পরবর্তীতে রীতিমত ঘোড়দৌড়ের মাঠে তাকে প্রায়ই দেখা যেত !
এথেনের প্রাসাদে কোকো ৫/৬ বছর থাকেন। এই প্রাসাদে থাকার সময়ই সমাজের অভিজাত নারী পুরুষের সংস্পর্শে আসেন তিনি। তাদের চলন বলন রীতিনীতিতে অভ্যস্ত হয়ে পরেন।
এসময়েই তার পরিচয় ঘটে এথেনের বন্ধু আর্থার ক্যাপেল বয় এর সাথে । রেসের মাঠেই প্লেবয় নামে খ্যাত কালোচুল আর সবুজ চোখের বয়ের প্রেমে পরেন কোকো !
এরপরই সিদ্ধান্ত নেন বয়ের সাথে প্যারিসে যেয়ে হ্যাটের ব্যবসা করবেন।
কোকোর বুদ্ধিদীপ্ত আকর্ষনীয় চেহারা, আর উচ্চাকাঙ্খা নিয়ে তখন তিনি ভবিষ্যতের স্বপ্নে বিভোর!
কয়লা খনির ব্যবসা বয়দের। বয়ের কাছে টাকা ধার করে কোকো তার হ্যাটের দোকান খুললেন প্যারিসের অভিজাত বুলোফার্ডে(বড় রাস্তায়)।
কখনও কখনও কোকো সাধারন খড় দিয়ে বানানো হ্যাট কিনে আনতেন, তারমধ্যে নিজের সৃষ্টিশীলতা, আপন খেয়াল, আর একটুখানি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতেন তিনি। আর তাই সবার প্রশংসা পেত!
আর ফ্যাশন আর এলিগ্যান্সের ছোঁয়ায় তা অনন্য হয়ে উঠত প্যারিসের লেডীদের চোখে! কোকো তাদের ফ্যাশনে আলোকিত করতেন, ঘোরদৌড়ের মাঠেও নিজের ডিজাইন করা নিত্যনূতন হ্যাট পরে হাজির হতেন! আর তার সেসব হুডে আকৃষ্ট হতেন আপারক্লাশ লেডিরা!
সেসময়ে ব্যয়বহুলতার কারণে শুধু ধনীরাই ফ্যাশন করত, ওগুলো ছিল একেবারেই জবরদস্ত পোষাক !
সেমিজের ওপর করসেট(পিঠে অসংখ্য চামড়ার জুতার ফিতা দিয়ে টাইট করে বাধাঁ পোষাক) যা পরলে স্বাভাবিক নিঃশ্বাসও নেয়া যায়না ! করসেটের ওপরে একটা ব্লাউজ, ফ্লানেলের পেটিকোট, তারওপর লম্বা পেটিকোট।
কোকোর ছিল সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা ! বিংশ শতাব্দীর মহিলাদের জন্য তিনি উদ্ভাবন করলেন ছিমছাম, চলার উপযোগী, আরামদায়ক, এলিগ্যান্ট পোষাক!যা দেবে তাদের প্রকাশ করার শক্তি !
পুরুষের পোষাক থেকেই আইডিয়া নিয়ে তা তিনি মহিলাদের পোষাকে প্রয়োগ করেছেন।
১৯১৬ সালে তিনি ফ্যাশনের জগতে আনলেন জার্সি স্যুট । জার্সি ঐসময় পুরুষদের আন্ডারগার্মেন্টে ব্যবহার করা হত।
যুদ্ধের সময় সহজলভ্যতার কারণে এ কাপড় তিনি ব্যবহার করেন । সহজ ও আরামদায়ক হওয়াতে মহিলাদের তা আকর্ষন করে। এপোষাকে হাঁটুর নীচ অনাবৃত থাকত, প্যারিসবাসীর কাছে তা রীতিমত বৈপ্লবিক! এই প্রথম এ পোষাক মেয়েদের অন্তর জয় করে নিল! ফ্যাশনের পুরোনো ধারনা ভেঙ্গে কোকো তখন প্যারিসের আকাশ জয় করেছেন!
তার লিটল ব্ল্যাক ড্রেস, উলেনচেক স্কার্ট ও কোট, পুরুষদের ছাটে স্যুট, মেয়েদের সুদৃশ্য কস্ট্যুউম পার্স, জুতা, আর সুগন্ধি চ্যানেল -৫ ফ্যশন জগতে অনন্য সংযোজন! চ্যানেল-5 আজও সর্বাধিক বিক্রিত সুগন্ধি! ফ্যাশন ডিজাইনাররা এখনও তার আইডিয়া থেকে পোষাক তৈরী করছেন ।
আত্মবিশ্বাসে অটল কোকো নিজের স্বপ্ন সফল করেছেন । সব মিলে তার আকাশছোয়া খ্যাতি!
কোকোর প্রথম জীবনের দুইপুরুষই তার ব্যবসার প্রসারে সাহায্য করে। এরা ছিল হাইসোসাইটির!
এদের পরিচিত এলিট মহিলারাই তার ফ্যাশনকে ছড়িয়ে দিয়ে জনপ্রিয় করেছে ।
শ্যানেল আর বয় একসাথে বসবাস করেছেন। বিবাহিত ছিলেননা বলে তাদের ওখানে কেউ যেতনা ।
ওরা ক্যাফে প্যারিস, ক্যাটেলন রেস্টুরেন্ট আর রেসের মাঠে ঘুরে বেড়াতেন । বয়ের সাথে তিনি ইংরেজ লর্ড ও রাশিয়ান ডিউকদের সাথে খেলতে যেতেন । এভাবেই তিনি সেসময়ের আপার ক্লাশের রীতিনীতিতে দক্ষ হন । বয় তাকে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টেও নিয়ে গিয়েছিলেন । পারিবারিক চাপে বয় ইংল্যান্ডের এক অভিজাত পরিবারে বিয়ে করেন । বিবাহিত থাকাকালিন সবসময়ই কোকোর সাথে যোগাযোগ রেখেছিলেন। ১৯১৯ সালের ক্রীসমাসের সময় কোকোর বাড়িতে যাওয়ার সময় গাড়ী দূর্ঘটনায় মারা যান বয় ।
সম্ভবত বয়ই কোকোর ভালবাসার পুরুষ !
১৯২৫ এর দিকে মহিলারা বাইরে কাজ করা শুরু করেন কোকোকে দেখেই তারা চুল ছেটে ফেলেন কাজের সুবিধার জন্য।
১৯৩১ এ তিনি হলিউডে চুক্তিবদ্ধ হন সেসময়ের প্রখ্যাত নায়িকাদের পোষাক তৈরী করে দেয়ার জন্য । এদের মধ্যে ছিলেন এলিজাবেথ টেইলর, গ্রেসকেলী ও ক্যাথরিন হেপবার্ন । এসময়ে তিনি কস্টিউম জুয়েলারীতে আর্টডেকো ধারা শুরু করেন । শুরু করেন নকল মুক্তার মালা পরার চল ! আসল আর নকল গহনার মিশ্রন তিনিই প্রথম শুরু করেন ।মার্জিত ছোট কালোড্রেস, ছেলেদের ছাটে কাটা স্যুট, আর্টডেকো জুয়েলারী আর সুগন্ধি শ্যানেল-5 এর খ্যাতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে তখন আকাশ ছুঁয়েছে ! তার আগে যারা কৃষক, শ্রমিক বাইরে যারা কাজ করে তাদের বাদামী গায়ের রং ছিল অবজ্ঞার !কোকোই বাদামী রঙকে জনপ্রিয় করেন! মহিলারা দলে দলে রোদে পুড়ে ট্যান হওয়া শুরু করে । এই ট্রেন্ড আজও চলছে ! এরসাথে মানানসই বাথস্যুটেরও উদ্ভাবক তিনি !
এসময়ই তিনি দুটি ফ্যাশন হাউস খোলেন ।
চল্লিশ দশকের মাঝামাঝি নাৎসীরা প্যারিস দখল করে নেয় ।এ সময় তিনি তার ফ্যাশন হাউস বন্ধ করে দেন । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি নার্স হিসেবেও কাজ করেছেন । কথিত আছে তার সাথে এক নাৎসী অফিসারের সম্পর্ক ছিল । অনেকে মনে করেন জার্মানীর কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে থাকা নিকটজনদের বাঁচানোর জন্য তিনি এই সম্পর্ক রেখেছিলেন !
এ জন্য ১৯৪৫ থেকে ১৯৫৪ পর্যন্ত তিনি সুইজারল্যান্ডে নির্বাসনে থাকেন। তারপর তার প্রানের প্যারিসের ফ্যাশন জগতে ফিরে আসেন তিনি । এসময় হলিউডের স্টাররা নাৎসী কানেকশনের জন্য তার পোষাক বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয় । সম্ভবত চার্চিল ও ইংল্যান্ডের রাজপরিবারের সাথে ভাল সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে কোলাবরেটরের ভাগ্য বরণ করতে হয়নি ।
পরে ফিল্মজগতের স্টাররাও তার পোষাকে আগ্রহ দেখায় । এভাবে আমেরিকার ফ্যাশন জগৎ জয় করে নেন তিনি। বিভিন্ন নাটক ও ছবির কস্ট্যুম ডিজাইনও করেছেন কোকো । সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম কয়জন সফল কর্মজীবি ও সফল ব্যবসায়ী মহিলাদের একজন! পৃথিবী জুড়ে হাজারো মহিলাদের অণুপ্রানিত করে যাচ্ছেন তার বিশাল কর্মযজ্ঞ দিয়ে । কালজয়ী এই ফ্যাশন ডিজাইনার ১৯৭১ এ মৃত্যুর আগেও কাজ করেছেন ।
কোকো শ্যানেলের জীবন নিয়ে কয়েকটা মুভি ও ব্রডওয়ে মিউজিক্যাল হয়েছে ।
১৯৮৩ থেকে শ্যানেল ফ্যাশন হাউস ডিজাইনার কার্ল লেজারফেল্ড চালাচ্ছেন।
কোকোর কিছু উক্তিঃ
“Some people think luxery is the opposite of proverty.It is not .It is the opposite of vulgarity”.
“Elegance does not consist in putting on a new dress”.
“I never wanted to weigh more heavily on a man than a bird”.
“Elegance is not the prerogative of those have just escaped from adolescence but those who have already taken possession of their future”.
“Fashion is not something that exist in dresses only, fashion is in the sky, in the street, fashion has to do with ideas, the way we live, what is happening”.
সূত্রঃ Mizuho Inoue, Coco Chanel , the most famous fashion designer.
Jessa Krick, The costume institute, The Metropolitan Museum of Art.
Over mode en Mensen, Leontien van Beuren
চমৎকার লেখা। সত্যি বলতে কি এই শ্যানেল সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না।
ধন্যবাদ। (Y)
@রাজেশ তালুকদার,
অনেক শুভেচ্ছা পড়া ও মন্তব্যের জন্য!
এ লেখাটা আপনার আগের অন্য লেখার চেয়ে অনেক ব্যতিক্রমধর্মী (আর ভাল লেগেছে খুব, এটা ত বলাই বাহুল্য)। কিংবা হয়তো কোকো শ্যানেলদের মত স্বাধীনচেতা মহিলাদের নিয়ে লিখেছেন বলেই এটা এরকম মনে হচ্ছে। কোকো শ্যানেল চুল ছোট করে কেটে নতুন ফ্যাশন তৈরি, হাটুর নীচ অনাবৃত পোষাকের চল চালু করা সহ অনেক কিছুতেই রীতিমত বৈপ্লবিক ছিলেন। আসলে পুরোন রীতি বা সংস্কৃতির ধূয়া তূলে যে সামনে এগুনো যায় না, কোন শ্যানেলের মত নারীদের উদাহরণগুলো যেন ব্যাপারটি আমাদের সামনে আরো স্পষ্ট করে তোলে। সামনে এগুতে হলে বৃত্ত ভাঙ্গা চাই।
শ্যানেলের একমাত্র (হয়তো একমাত্র নয়, অনেকগুলোর মাঝেই একটি) কালো দিক সম্ভবতঃ নাৎসী বাহিনীর সাথে তার সুসম্পর্ক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তার হিটলারের এক আর্মি অফিসারের সাথে প্রণয় ছিলো, তার শ্যানেল নিজেও নাৎসী বাহিনীর স্পাই হিসেবে কাজ করেছিলেন। তবে তার রাজনৈতিক জীবন যাই হোক না কেন, নিঃসন্দেহে তিনি এক বিপ্লবী নারী ছিলেন।
@অভিজিৎ,
লেখাটা ভাল লাগার জন্য অনেক শুভেচ্ছা!
অবশ্যই!
ইচ্ছে করেই এ বিষয়ে অতটা আলোকপাত করিনি, তিনি ঠিক কোন পরিস্থিতে তা করেছিলেন সেটাও তেমন স্পষ্ট নয়।অনেকে মনে করেন তার পরিবারকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প দেখে বাঁচাতে!
এই সব ব্যক্তিততের কালো দিক অতটা আলোচনা না করে আলোকিত দিকটা বেশী আলোচনা করলেই মনে হয় সামনে এগুনোর পথ গুলোতে চলতে বেশী সুবিধা হয়!
অনেক বারই কোকো শ্যানেল কিনেছি। ভেবেছি নামটা কি কোকোনাট থেকে এসেছে?
জানতাম না যে এই নামের পেছনে আছেন এক মহিলা–যিনি নারী স্বাধীনতায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন।
লাইজু নাহারকে ধন্যবাদ এই তথ্য জানাবার জন্য।
@আবুল কাশেম,
অনেক শুভেচ্ছা মনযোগ দিয়ে পড়া ও মন্তব্যের জন্য!
কোকোনাট! হা হা মজা পেলাম!
তবে হা বাংলাদেশে থাকলে আমিও কোকোনাটই ভাবতাম!
শ্যানেলের কাহিনী পড়ে খুব ভাল লাগল! লেখিকাকে ধন্যবাদ!
এ থেকে বোঝা যায়, নারী-পুরুষের পোশাকের ভিন্নতা কোন অবশ্যম্ভাবী বিষয় বা ‘বায়োলজিক্যাল নেছেসিটি’ নয়; পুরোটাই দৃষ্টিভঙ্গি-জনিত বা অভ্যাস-জনিত অনুষঙ্গ!
সাথে সাথে জয় করে নিল পুরুষদের চোখও! 🙂
@কাজি মামুন,
মনযোগ দিয়ে পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক শুভেচ্ছা! 🙂
@লাইজু নাহার,
দূর্দান্ত লেখা দিলেন সত্যি। অভিভূত হলাম। এমন আরো লেখা দিবেন (F)
@আফরোজা আলম,
আপা কি যে বলেন! শুধু একটু কষ্ট করে অনুবাদ করেছি!
সকল প্রশংসা ফ্যাশনের দেবী কোকোর!
অভিভূত হওয়ার জন্য! (F)
কোকো শ্যানেল কে নিয়ে ২০০৯ সালে http://www.imdb.com/title/tt1035736/ সিনেমা তৈরী হয়।ছবিটি নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ছবিটি দেখা হয় নি।তবে এখন ভিডিও দোকান থেকে ভাড়া নিয়ে দেখে নিব।ছবিতে ফ্রান্সের নতুন প্রজন্মের প্রতিভাবান অভিনেত্রী অড্রু টাওটু নাকি সফল অভিনয় করেছিলেন।টাওটু আমার একজন পছন্দের প্রিয় অভিনেত্রী।
কোকো-কে নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
অনেক শুভেচ্ছা পড়া ও মন্তব্যের জন্য!
ইউটিউবে পুরোনো ফিল্মও আছে।
আমার কাছে ভাল লেগেছে!
ওনার অনেক ভাল কাজের মাঝে একটিই খারাপ কাজ। ওনার পারফিউম গুলো (ছেলেদের খলোন) একটু বেশি দাম! আমরা খেটে খাওয়া মানুষেরা চাইলেও অনেক ভেবে চিন্তে দুরু দুরু বুকে কিনতে হয়।
****এ বছরের জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারী নাগাদ তার জীবনি, বহু উক্তি, আর জীবনকে কিভাবে দেখেন তা নিয়ে একটি বই বেরিয়েছিল (এ মহুর্তে নামটি মনে পড়ছেনা)। অনেক বার বইটি উল্টেপাল্টে দেখেছিলাম। হঠাৎ একটি উক্তি পড়ে দেখলাম যার হুবুহু মনে নেই, তবে সারাংশ এই – “কোন নারীই সত্যিকার নারী নয়, যে প্রতিদিন পারফিউম ব্যবহার করেনা।” পৃথিবীর অধিকাংশ নারী পুরুষ পারফিউম পছন্দ করেন না, দামী অথবা শস্তার জন্য নয়, অনেকে এলার্জিক, আবার অনেকে নিজেকে পরিস্কার রাখাটাই মুখ্য আর যথেষ্ট মনে করেন বলে। বইটি কিনিনি। কারন যত টিপস দেয়া হয়েছিল ওখানে অধিকাংশই যারা হাই ফ্যাশন নিয়ে আছেন তাদের জন্য। তবে আপনার দেয়া উক্তি গুলোর মতন অর্থপূর্ণ অনেক উক্তিও ছিল। ধন্যবাদ। 🙂 ****
@ছিন্ন পাতা,
পড়ার ও মন্তব্যের জন্য অনেক শুভেচ্ছা!
কোকো শ্যানেলদের মত স্বাধীনচেতা মহিলারাই পাশ্চাত্যে নারীর মুক্তিতে বিশাল অবদান রেখেছেন। তাঁকে নিয়ে এই লেখাটা ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
কোকো শ্যানেলের নাম হয়তো অনেকেই জানে না, তবে শ্যানেল ফাইভের নাম শোনে নি, এরকম লোক পাওয়া শিক্ষিত লোকের মধ্যে বিরল।
আপনি তাঁর নামের উচ্চারণটা চ্যানেল লিখেছেন। আসলে বোধহয় হবে শ্যানেল।
@ফরিদ আহমেদ,
লেখা ভাল লাগার জন্য অনেক শুভেচ্ছা!
ঠিক করে দিচ্ছি নামটা।
@লাইজু নাহার,
ধন্যবাদ আপনাকে। এই রকম লেখা মাঝে মাঝেই ছেড়ে দিয়েন মুক্তমনায়। নিশ্চয়ই গানের চেয়ে ফ্যাশন উত্তম। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
প্রথম এক সেকেন্ড ধরতে পারিনি কথাটার গূঢ়ার্থ।
যদিও বুঝতে পেরেছি কেন বলেছেন ( :lotpot: ) তাও :-O
গান নিয়ে এত বড় অকথা!! না না না…
@ফরিদ আহমেদ,
তাই নাকি? বউকে কতোবার দিলাম, তবু আমাকে শিক্ষিত বলেনা।
এই নিন, ভাবীকে দিয়ে দিবেন।
[img]http://smartpei.typepad.com/robert_patersons_weblog/images/2008/01/14/chanel5.jpg[/img]
@আকাশ মালিক,
কী আর করবেন আকাশ ভাই। বউগুলাই সব এইরকম। প্রশংসাতো দূরের কথা, পুরুষ মানুষের প্রাপ্য সম্মানটাই দিতে চায় না। 🙁
আমি অবশ্য আপনার মত বোকা না। শ্যানেল ফাইভ দিলেও অশিক্ষিত বলবো, না দিলেও বলবো। কাজেই দেই না। মলে গেলে অশিক্ষিত লোকের ভূমিকা নেই। শ্যানেল ফাইভ নামটাই পড়তে পারি না তখন আমি। 🙂
@আকাশ মালিক,
এই জন্যই আমি শ্যানেল ফাইব না দিয়ে কোকো দিলাম।
কিন্তু হিতে বিপরীত—আমাকে এখন শুনতে হয়–=নিরক্ষর, গবেট, আহাম্মক শব্দগুলি।
কিন্তু যখন বয়ফ্রেণ্ড-গার্লফ্রেণ্ড ছিলাম তখন চার্লি দিলেও শুনতাম–‘তোমার মত জ্ঞানীগুনি খুব অল্প। তুমি খুব স্মার্ট। তুমি খুব ভাবুক, চিন্তাশীল—এই সব আর কি?’
হায়, মেয়ে হয়েও কোকো শ্যানেল কি মেয়েদের মন বুঝতেন? মনে হয় না। তারা যে বিবাহের পর একেবারে উলটে যায় তা কি কোকো শ্যানেল জানতেন?