মুক্তমনায় জ্ঞানী গুনি বিদগ্ধ পাঠকদের তথ্যজ্ঞানের অভাব নেই। অনেক পাঠক আছেন যারা আমার এই লেখার তথ্যগুলো সম্পর্কে পূর্ব পরিচিত। আশাকরি তাঁরা সহজ ভাবেই নেবেন। মূলত এই লেখায় নতুন কোন তথ্য নেই, সবি পুরানো। এই পুরনো তথ্য গুলোকে হয়তো আবার অনেকের কাছে নতুন হতে পারে মূলত তাদের উদ্দেশ্যেই এই লেখা।

প্রাকৃতিক বিবর্তনের খেয়ালি ধারায় সৃষ্ট বিবর্তিত সরীসৃপ প্রজাতিয় প্রাণীদের মধ্যে সাপ অন্যতম। আমাদের ভীরু মানসপটে সাপ সাধারণত খুবি হিংস্র প্রাণসংহার কারী প্রাণী কল্পিত হয়ে থাকলেও সাপ মোটেও তেমন ভীতিকর প্রানী নয়। পারত পক্ষে মানুষ থেকে পালিয়ে বেড়ায়। আক্রান্ত মনে করলেই কেবল নিজের জীবন বাঁচাতে ছোবল মারতে উদ্যত হয়। সাপ নিয়ে কৌতুহল, ভয় ও কুসংস্কার কোনটারি ঘাটিতি নেই আমাদের দেশে। সঠিক জ্ঞানের অভাবে সাপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এক ধরনের ভীতি ও আতঙ্ক। যা বংশানুক্রমে আমরা আজো বহন করে চলেছি। মানুষের এই দূর্বলতাকে পুজি করে সাপ নিয়ে রচিত হয়েছে নানান লোক কথা, জনশ্রুতি, উপখ্যান, গল্প। সৃষ্টি হয়েছিল পেশা, চলে বানিজ্য। তৈরী হয়েছে নানান শিল্প ও ভাষ্কর্য। বেহুলা লক্ষিন্দরের গল্প তো লোকের মুখে মুখে। সাপের কাল্পনিক দূর্লভ মনির কথা বিশ্বাস করা লোকের অভাব নেই আজো আমাদের দেশে। সাপ মিশে গেছে আমাদের লোকজ সংষ্কৃতি, ধর্ম ও ভাষ্কর্যে। সাপকে আরো অধিক রহস্যি করনে সাপ ইচ্ছাধারী অর্থাৎ মাথাটা মানুষের বাকি অংশ সাপের রূপ ধারন করার ক্ষমতা আছে কল্পনা করে তৈরী হয়েছে ভারত বাংলায় অসংখ্য চলচিত্র। সেখানে আমাদের দেখানো হয় সাপ কিভাবে জোড়ায় জোড়ায় ঘুরে বেড়ায়, মনুষ্য রূপ ধারন করে কি ভাবে প্রেম করে, খারাপ মানুষের উপর কি ভাবে ঝাপিয়ে পড়ে, কখনো বা ভালো মানুষের জীবনরক্ষা কারী প্রতীক রূপে। তবে লক্ষ্যনীয় এখানে র্নিবিষ কোন সাপ নয় বরং বিষাক্ত ফনা উঁচিয়ে ফোস ফাস করতে পারা সাপকেই শক্তির আধার হিসাবে কল্পনা করা হয়।

অত্যধিক সাপের ভয় থেকে সূচনা হয় ভক্তির। ভক্তির মোহে পড়ে এক সময় সাপকে দেবতা তুল্য করে চালু হয় সাপের পূজা বন্দনা। হিন্দু সমাজে মনসা পূজা তার জ্যান্ত প্রমান। শক্তির মহাত্ম প্রকাশে ভক্তিতে গদ গদ হয়ে ভক্তকুল শিব ঠাকুরের গলায় লটকে দেয় সাপের প্রতিকৃতি। শিবের এই সাপ বশিকরনে শিবের মহাত্ম যেন বেড়ে যায় আরো শত গুন।

হিন্দুদের এই প্রচ্ছন্ন সর্প ভক্তির হাওয়া সামান্য হলেও পরশ বুলিয়ে যায় পথ হারা ভারতীয় বৌদ্ধ সমাজকে। বৌদ্ধ মিথেও অনুপ্রবেশ করে সাপের কিছু ভূমিকা। জানা যায় এক ঝড় বাদলের রাতে সর্প রাজ তার বিশাল ফনা ছাতার মত মেলে ধরে বুদ্ধকে রক্ষা করে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির কবল থেকে।

রচিত হয় সাপের পা দেখা, দুধ কলা দিয়ে সাপ পোষা, কেঁচো কুড়তে সাপ, দুমুখো সাপ, ইত্যাদি প্রবাদ বাক্যের।

শুধু ভারতীয় উপমহাদেশে নয় এক সময় প্রাচীন মেসোপ্টেমিয়া, মিসর, গ্রীক,অষ্ট্রেলিয়া,দক্ষিন আমেরিকা, আফ্রীকায় ধর্ম, সংষ্কৃতিতে, একদা গুরুত্ব পূর্ণ স্থান দখল করেছিল সাপ। চীনা মিথ অনুসারে “নুয়া”ই (যার সারা শরীর সাপ হলেও মাথাটা ছিল দেবীর) প্রথম কাদা মাটি থেকে মানুষ সৃষ্টি করে। গ্রীক দেবী “মেডুসা”র চুলের বদলে ছিল মাথা ভর্তি সাপ। বাইবেলের বর্ননা মতে স্বর্গীয় উদ্যান ইডেনে ঈভকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিষিদ্ধ জ্ঞান বৃক্ষের ফল সরবরাহ করে এই সারপেন্টে বা সাপ। অনুন্নত জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়া দেশগুলুর কথাই বা শুধু কেন বলি পাশ্চাত্যের জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত দেশ গুলো সাপের এই মিথ জ্বরের কবল থেকে মুক্ত হতে পারে নি এখনো। সাপ মিথকে ভিত্তি করে তারাও তৈরী করেছে অনেক কাল্পনিক ছবি ও গল্প। তবে ছোট খাট নয়, তারা মাথা ঘামায় পাইথন(অজগর), বোয়া, আনাকোন্ডার মত বিশাল বিশাল সাপ নিয়ে।

সাপের আকার আকৃতির প্রাগৈতিহাসিক ইতিহাস নিয়ে জীব বিজ্ঞানীরাও বহুদিন ছিলেন ধোয়াসাচ্ছন্ন, ছিলেন দ্বিধাবিভক্ত। তাদের মতানৈক্যের কারন ছিল বিশ্বাসযোগ্য ফসিলের অভাব। সাপের হাড়ের গঠন খুবি ভঙ্গুর হওয়ায় তাঁরা খুঁজে পান নি কোন অকাট্য শক্ত প্রমানের ভিত, আসতে পারেন নি কোন গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তে। বিগত কয়েক দশক ধরে চলে তাদের সাপ বির্তক। অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটে ৪ই মার্চ ২০০৯ সালে। দক্ষিন আমেরিকার কলম্বিয়ার পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ উন্মুক্ত কয়লা খনি চেরিজনের কয়লা স্তুপের খাজে পাওয়া যায় ৬০ মিলিয়ন বছরের পুরানো এক বিশাল সাপের ফসিল। প্রাগৈতিহাসিক যুগের ডাইনোসরের মত আরেক বিশাল প্রাণীর অস্থিত্বের গন্ধে রোমাঞ্চিত হয়ে নড়ে চড়ে বসেন বিজ্ঞানীরা। অতি বিশাল বা দানব আকৃতির জন্য “টাইটান” আর বর্তমান “বোয়া” প্রজাতির সাথে কিছুটা মিল থাকায় বিজ্ঞানীরা এর নামের প্রথম অংশ রাখেন “টাইটানোবোয়া” আর চেরিজনে পাওয়া গেছে বলে নামের দ্বিতীয় অংশ রাখেন “চেরিজোনেনসিস” অর্থাৎ পুরো নাম দাঁড়ায় “টাইটানোবোয়া চেরিজোনেনসিস”।

এই সাপ নিয়ে আলোচনার আগে আকার-আকৃতি, চলনে-বলনে, খাদ্যাভাসে এদের কাছাকাছি আমাদের অতি পরিচিত প্রজাতি পাইথন বা অজগর সম্পর্কে কিছুটা ধারনা নিলে তুলনা মূলক আলোচনা আরো একটু প্রাণবন্ত হবে।

দক্ষিন এশিয়ার দেশ ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, চীন, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকার মত উষ্ণ দেশগুলোতে প্রায় বিশাল অজগরের দেখা মেলে। শীতল রক্ত বিশিষ্ট এই প্রাণীটি কিছুটা উষ্ণতা প্রিয়। তবে বেশী গরম ও তীব্র ঠান্ডা এরা কোনটাই সহ্য করতে পারে না। পানি, গাছ-গাছালি এবং শুকনো ভূমি আছে এমন জায়গায় আবাস গড়তে তারা বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। গাছে চড়া ও সাঁতার কাটাতে এরা সমান দক্ষ।

স্ত্রী অজগর গড়ে ২৫-৩৫ টি ডিম পাড়ে তবে কোন কোন অজগর ৬০ টিরো অধিক ডিম পাড়তে দেখা গেছে। বিশাল শরীর স্বাস্থ্যের জোর থাকলেও শত্রু কম নেই। অনেক সময় শত্রুর চোখ ফাঁকি দিতে ডিম গুলোকে গাছের পাতা বা মাটি দিয়ে ঢেকে রাখে। আবহাওয়া শীতল থাকলে মা অজগর কুন্ডলি পাকিয়ে ডিম গুলিকে পর্যাপ্ত তাপ দিয়ে যায়। এক একটি ডিম আকার ৪ইঞ্চি বা তারো বেশী হতে পারে। ডিম পাড়ার পর মা অজগর বংশ রক্ষায় কিছুটা আক্রমনাত্মক হয়ে উঠে। বড় মাপের পাখি- ঈগল, সারস, কুমির, গিরগিটি, কিছু কিছু বন্য পশু বাচ্চা অজগরের প্রধান শত্রু। বড় অজগরের শত্রু বাঘ, সিংহ।

৪-৫ বছরের মধ্যে এক একটি শিশু অজগর পূর্ণাঙ্গ অজগরের রূপ নেয়। এক একটি পূর্ণাঙ্গ অজগর লম্বায় ৩-৩৩ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত অজগরের গড় আয়ু ২০-৩০ বছর হয়ে থাকে তবে ৪৭ বছর ধরে পৃথিবীর মায়া ভোগ করে গেছে এমন রের্কডও আছে।
সাধারণত অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাসে এদের তৎপরতা চোখে পড়ে বেশি। জুন থেকে আগস্ট মাসে গরমের তীব্রতা বেশি থাকায় এ মাস গুলোতে মাটির গর্তে বা গাছের কোটরে পালিয়ে থাকার চেষ্টা করে।

তার নাদুস নুদুস ভারি দেহটাকে টানা হেঁচড়ার ধকল থেকে বাঁচাতে শিকারের পিছে না ছুটে ববং শিকারের জন্য ওঁত পেতে থাকাতেই তার যত শান্তি। অবশ্য বিশাল বপু নিয়ে শিকারের পিছে ছোটার গতিই বা তার আছে কই? ঘন্টায় ছুটতে পারে মাত্র ১ মাইলের মত। অজগরের উপরের চোয়ালে থাকে তাপ বোধশক্তি সংবেদক অঙ্গ যা তাকে শিকারের অবস্থান বুঝতে সাহায্য করে। শিকার বাগে এলেই তার দানব দেহটা দিয়ে শিকারকে আষ্টে পৃষ্টে পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। তারপর শিকারের মাথার অংশটা প্রথমে মুখে পুরে পরে আস্ত শিকার ধীরে ধীরে তৃপ্তি সহযোগে সোজা চালান করে দেয় ভুরিতে। গিলতে সুবিধার জন্য প্রয়োজনে মুখ ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে নেওয়ার আশ্চর্য ক্ষমতা আছে অজগরের। খাদ্য বৈচিত্রের জন্য তাকে বেশ ভোজন রসিকও বলা যায়। তার খাদ্য তালিকায় আছে ব্যাঙ, ইঁদুর, খরগোশ, গিরগিটি, পাখি, মুরগি, বানর, শুকর, ক্যাঙ্গারু, হরিণ, ছাগল, অন্যান্য প্রজাতির সাপ, কুমির, ইত্যাদি।

শিকার কত বড় হবে তে নির্ভর করে তার দেহের আকার আকৃতির উপর। একবার খেলেই সে সাপ্তা খানেকের জন্য নিশ্চিন্ত। এই খাবার হজম হতে তার কয়েক দিন থেকে সাপ্তা খানেক লেগে যায়। দীর্ঘ দিন না খেয়েও বাঁচার অপূর্ব ক্ষমতা আছে অজগরের। অনেক সময় এটা সেটা দিয়ে ভুরি ভোজ করতে গিয়ে বাধিয়ে ফেলে বিপত্তি, ফলাফল তাড়িয়ে বেড়ায় মৃত্যু। খাবারের লোভে বৈদ্যুতিক কম্বলগলফ বল গিলে হজমের চেষ্টা করতেও দ্বিধা করতে ছাড়েনি ।

মোটামুটি সংক্ষিপ্ত আকারে একটা ধারনা পাওয়া গেল এই বিশাল অজগরের জীবন পরিক্রমা নিয়ে, এই বার আসি টাইটানবোয়া প্রসঙ্গে।

কয়লা খনিতে পাওয়া সাপের ফসিলটি দেখে বিজ্ঞানীদের চোখ তো ছানাবড়া। ফসিলটি নেড়ে চেড়ে অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেন এটি লম্বায় ছিল প্রায় ৪৫ ফুট। সবুজ আনাকোন্ডার সর্বোচ্চ ওজন যেখানে ২৫০ কেজি সেখানে টাইটানবোয়ার ওজন ছিল সোয়া টনেরও বেশী। আর প্রস্থে ছিল এক জন পূর্ণ বয়ষ্ক লোকের কোমরের পাজরের সমান । মেরুদন্ডের যে কশেরুকা পাওয়া গেছে প্রস্থে তা ছিল সুস্থ পূর্ণ বয়ষ্ক যে কোন লোকের হাতের চেয়েও বড়।
এই বিশাল ফসিল আবিষ্কারের পর বিজ্ঞানীরা লেগে গেলেন গবেষনায়। হিসাব কষে বের করেন প্রকান্ড ডাইনোসর যুগের অবসানের পরেই তাদের রাজত্ব শুরু। যেন এক দৈত্য রাজার রাজত্বের অবসানের পর আরেক দৈত্য রাজার উত্থান।

কিছু চিত্র
১) দেখুন
২) দেখুন
৩)দেখুন
৪)দেখুন

সাপটির আকার আকৃতি ছাড়া এখনো বিস্তারিত তথ্য জানা না গেলেও বিশাল দানবটি বেশির ভাগ সময় পানিতে বিচরণ করত তা বিজ্ঞানিরা নিশ্চিত হয়েছেন। দানবটির উদর পূর্তির আয়োজন ছিল পিলে চমকানোর মত। ফসিলটির পাশেই পাওয়া গেছে ছয় কোটি বছর আগের এক কুমির প্রজাতির। বিলুপ্ত ক্রোকোডাইলিফর্ম পরিবার ডাইরোসাউরিডায়ে গোত্রের সদস্য ছিল এই কুমির। যাকে অধুনা কুমিরের পূর্ব পুরুষ বলা যায় আর ২ মিটার দানব আকৃতির কচ্ছপের দেহবাশেষ। মারার আগে হয়তো কোন নিষ্ঠুর প্রাকৃতিক দূর্যোগ তাকে সেই খাবার উপভোগের সুযোগ দেয় নি। জীব বিজ্ঞানীদের ধারনা এই সাপ অনায়াসে গিলে ফেলত ৭/৮ ফুট আকারের ইয়া বড় কুমির ও বড় বড় কচ্ছপ, মাছ ইত্যাদি।

ঘন গাছ গাছালি আর নদী ঘেরা সবুজ বনাঞ্চলে বিস্তৃত ছিল তাদের অবাধ সাম্রাজ্য।

কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সাপ ফসিল বিশেষজ্ঞ একি সাথে স্মিথসোনিয়েন ইনেস্টিটিউটের সহকারী গবেষক ড.জনসনের মতে-
“That’s longer than a city bus and … heavier than a car”

সাপটির বিশালতা বুঝাতে তিনি রসিকতার ছলে বলেন-
“If it tried to enter my office to eat me, it would have a hard time squeezing through the door,”

তিনি আরো বলেন-
“The discovery of Titanoboa challenges our understanding of past climates and environments, as well as the biological limitations on the evolution of giant snake.

তাঁর এই উপলব্ধির পেছনে কাজ করেছে বৈশ্বিক উষ্ণতা পরিবর্তন। সে সময় বৃষ্টিপাত যুক্ত বনাঞ্চলের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩০ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা বর্তমান বিশ্বের যে কোন বৃষ্টিপাত যুক্ত বনাঞ্চলের গড় তাপমাত্রার চেয়ে আরো প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশী। জীব বিজ্ঞানীরা তাই নতুন করে হিসাব কষতে শুরু করেছেন মিলিয়ন মিলিয়ন বছর আগের তাপমাত্রার সাথে বর্তমান তাপ মাত্রায় হের ফেরে জীব জগতের জটিল বিবর্তনের হিস্যা নিয়ে।

এই ফসিল আবিষ্কারের আগে এতদিন উত্তর আফ্রিকার “জাইগেন্টোফিস জারস্টিনি” বিজ্ঞানী মহলে বিবেচিত হয়ে আসছিল সব চেয়ে দানব সাপ রূপে। যার বিচরন কাল ছিল আজ থেকে ৪০ মিলিয়ন বছর আগে। এই সাপ লম্বায় ছিল ৩৬-৩৮ ফুট।
আর আধুনিক বিশ্বের সব চেয়ে বড় অজগরটির রের্কড ৩৩ ফুট।

নিউ ইর্য়কের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ গবেষক ও বিশেষজ্ঞ হ্যারি ডাব্লিউ গ্রীনের মতে-
For decades herpetologists have argued about just how big snakes can get, with debatable estimates of the max somewhat less than 40 feet

জীব বিজ্ঞানী মহলে কয়েক দশক ধরে সাপ নিয়ে চলে আসা বির্তকের আপাত অবসান ঘটলেও কোন কোন জীব বিজ্ঞানী দাবী করেন যদি আমরা পৃথিবীকে ফিরিয়ে দিতে পারি তার মিলিয়ন বছর আগের হারানো সেই তাপমাত্রা, ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হই উপযুক্ত বাঁচার পরিবেশ তবে বর্তমান পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব করা শীতল রক্ত বিশিষ্ট প্রাণীগুলো আবার ফিরে পাবে তাদের সেই বিশাল দানব আকৃতির দেহ, তাদের হারানো ঐতিহ্য।

আমাদের তখন আর প্রয়োজন হবে না কোন কম্পিউটার এ্যানিমেইশনে সৃষ্ট দানবের। তাদের বিশাল বিশাল শরীর নিয়ে হেলে দুলে ঘুরে বেড়ানো দেখব অবাক বিস্ময়ে কোন সাফারি পার্কে, হয়তো মিডিয়া পর্দায়, নয়তো চিড়িয়াখানায় শক্ত কোন লোহার খাঁচায় বন্ধি হয়ে মানুষের মনোরঞ্জনের পণ্য হতে।

বিঃ দ্রঃ- সব তথ্য নেট থেকে সংগৃহীত