মহানবীর চরিত্র বিশ্লেষনের সময় আমাদের কতকগুলো বিষয় খেয়াল রাখা বিশেষ জরুরী। সেটা হলো –কোন শিষ্য বা মুরিদ যখন তার পীর বা গুরুর জীবনী রচনা করে বা তার কার্যাবলী লিপিবদ্ধ করে তখন সে সর্বদাই তার গুরুর সমালোচনা মূলক বা নেতি বাচক বিষয়গুলো এড়িয়ে তা রচনা করবে।বরং এমন ভাবে তাদের জীবনী লেখা হবে যে – যে গুন তার ছিল না , সেটাও ফুলিয়ে ফাপিয়ে জীবনীতে লেখা হবে। বিষয়টা যে এরকম তার প্রমান পাওয়া যাবে আশে পাশেই। যেমন – একজন আওয়ামী লীগার যদি শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী লেখে, দেখা যাবে তাতে মুজিবুর রহমানের কোন দোষ ত্রুটির উল্লেখ নেই, একই কথা খাটে একজন জাতীয়তাবাদী লেখকের জিয়াউর রহমানের জীবনী লেখাতে।এসব জীবনী পড়লে দেখা যাবে- মুজিবুর রহমান বা জিয়াউর রহমান ছিলেন ফুলের মত পবিত্র চরিত্রের অধিকারী ব্যাক্তিত্ব আর ছিলেন ১০০% পারফেক্ট।তেমনি ভাবে মোহাম্মদের কার্যাবলী লিখে রেখে গেছে তার নিবেদিত প্রান শিষ্যরা যেমন- ইমাম বোখারী, মুসলিম , আবু দাউদ এরা। এরা নিশ্চয়ই তাদের রচনায় এমন কিছু লিখবে না যা তাদের গুরুর চরিত্রকে হনন করে বা কালিমালিপ্ত করে।যে সময় তারা এসব বিবরন লিখে রেখে গেছে সেই তখনকার সময়ে মোহাম্মদের কার্যাবলী নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠত না, সে সময়ের ঐতিহ্য অনুযায়ী সেসব ছিল সিদ্ধ ও ন্যয় সম্মত। যেমন তার অসংখ্য বিয়ে, দাসি বাদি দের সাথে যৌন সংসর্গ, শত্রুদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক হুংকার ইত্যাদি এসব। তখন এসব কিছুই ছিল ন্যয় সঙ্গত। আর তাই তারা বিনা দ্বিধায় সেসব সরল মনে লিপিবদ্ধ করে গেছে। যদি তারা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারত হাজার বছর পরে মহানবীর এসব কর্মকান্ডই তাকে নৈতিক মানদন্ডের কাঠগড়ায় দাড় করাবে তাহলে এসব ঘটনাবলী তারা কস্মিনকালেও লিপিবদ্ধ করত না।বিষয়টা মুমিন বান্দাদের যে বেশ বেকায়দায় ফেলে দিচ্ছে তা বোঝা যায় তাদের কথা বার্তা ও কর্মকান্ডে। একদল কোরান-হাদিস ও সুন্নাহ হুবহু অনুসরন করার পক্ষে, আর এক দল পুরো হাদিস কে বাদ দিয়ে শুধু কোরান অনুসরন করার পক্ষে, এ ছাড়া আর এক দল আছে যারা হাদিসের মধ্যে যে সব স্ববিরোধাত্মক বা সমালোচনামূলক বিষয় আছে সেসবকে দুর্বল হাদিস বলে বাদ দেয়ার পক্ষে।অথচ সহি হাদিস বলে আমরা যা জানি- তা কিন্তু যারা লিপিবদ্ধ করে গেছে তা বহু রকম পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমেই তারা করে গেছে, আর সেকারনেই সেগুলোকে সহি বা পরীক্ষিত বলা হয়। তা করতে গিয়ে হাজার হাজার হাদিস বাদ দিতে হয়েছে।এসব সহী হাদিসকেই মুমিন বান্দারা তের চৌদ্দশ বছর ধরে সত্য বলে বিশ্বাস ও পালন করে এসেছে , কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হয় নি।বর্তমান যুগে এসে যখন অমুসলিমরা সেসব নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করেছে, অমনি কিছু মুমিন বান্দা তাদেরকে আর সহি হিসাবে মেনে নিতে অস্বীকার করছে। অথচ তারা কিসের ভিত্তিতে সহি হিসাবে মেনে নিতে পারছে না , তার কোন যৌক্তিক কারন নেই। তাদের ভাবখানা এরকম যে- সেই কালের ইমাম বোখারী বা ইমাম মুসলিম বা আবু দাউদ এসব নিবেদিত প্রান মুসলমানদের চাইতে এখনকার বান্দারা বেশী ইসলাম বোঝে ও নবীর কার্যাবলী তারা বেশী জানে।কত সহজ সরল ভাষায় তারা এসব হাদিস সংরক্ষন করেছে তার প্রমান নিচের হাদিসটি-
জাবির থেকে বর্নিত, আল্লাহর নবী একজন নারীকে দেখলেন এবং সাথে সাথে তিনি তার অন্যতম স্ত্রী জয়নবের কাছে আসলেন যিনি তখন তার ত্বক রঙ করছিলেন এবং তার সাথে যৌনক্রীড়া করলেন। তারপর তিনি তার সাথীদের কাছে ফিরে গেলেন ও তাদের বললেন- স্ত্রীলোকটি আমার দিকে অগ্রসর হয়ে একটা শয়তানের রূপ ধারন করল। তাই তোমরা যখন কোন নারীকে দেখবে তখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের কাছে সত্ত্বর চলে যাবে যাতে তোমরা তোমাদের মনের চাঞ্চল্যভাব দুর করতে পার। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস- ৩২৪০
অত্যন্ত সহজ সরল ও প্রাঞ্জল বর্ননা। কোন রকম প্যাচগোছ বা লুকো ছাপার ব্যপার নেই।আর রূপক হিসেবে ধরার তো প্রশ্নই ওঠে না। রূপকের প্রসঙ্গ আসল একারনে যে , অনেক বিতর্কিত বক্তব্যকে রূপক হিসাবে ধরার একটা প্রবনতা ইদানিং লক্ষ্যনীয়।আর সুবহানআল্লাহ, কি অনুকরনীয় আচরনই না মহানবী আমাদেরকে সহজ সরল ভাষায় শিক্ষা দিচ্ছেন। আর বলা বাহুল্য, এ থেকে মহানবীর নিজের স্বভাব চরিত্রটাও ভাল করে বোঝা যায়। তিনি এমনই মানুষ ছিলেন যে রাস্তায় বের হয়ে কোন যুবতী নারী দেখলেই তার দেহে উত্তেজনার সৃষ্টি হতো আর তা প্রশমনের জন্য তিনি কাল বিলম্ব না করে তার ডজন খানেক স্ত্রীদের একজনের কাছে হাজির হতেন ও তার দেহের উত্তেজনা প্রশমন করতেন।মহানবীর এ ধরনের আচরন বা স্বভাব দেখে যদি বলা হয়, মোহাম্মদ ছিলেন একজন অতি মাত্রায় কামুক ব্যাক্তি, তাহলে কি ভূল বলা হবে ? ঠিক এই প্রশ্নটা করার জন্য হয়ত বহু ইমানদার মুমিন বান্দারা আমার ওপর তেড়ে আসবেন, বলবেন আমি মোহাম্মদের চরিত্রে কালিমা লেপন করছি।কিন্তু আমি কি কালিমা লেপন করলাম আর কিভাবেই বা করলাম এখনও বুঝতে অক্ষম। কারন আমি সহি মুসলিম হাদিসে যা পরিষ্কার ভাষায় বর্ননা করা হয়েছে ঠিক সেটাই বর্ননা করলাম সহজ সরল ভাষায়।তবে মনে হয় মুমিন বান্দাদের একটা ভাল যুক্তি আছে আর তা হলো –যেহেতু মোহাম্মদ রাস্তার ওপর একটা নারী দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন, এর পর তিনি তো উত্তেজিত অবস্থায় উক্ত নারীর ওপর ঝাপিয়ে পড়েন নি, বরং নিজের উত্তেজনা প্রশমন করার জন্য নিজ বিবাহিত স্ত্রীর কাছে গমন করেছেন ও শরীরটাকে ঠান্ডা করেছেন।যা একটা খুব শালীন আচরন। অন্তত: উক্ত নারীটি ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পেল।কিন্তু এর সাথে সাথে তিনি যে কথা কয়টি বলছেন তা খুব গুরুত্ব পূর্ন।
প্রথমত: তিনি বলছেন- স্ত্রীলোকটি আমার দিকে অগ্রসর হয়ে একটা শয়তানের রূপ ধারন করল।
তার মানে আমাদের দ্বীনের নবী ,আল্লাহর প্রিয় দোস্ত মোহাম্মদের নিকট স্ত্রী লোক হলো শয়তান।আর এই শয়তানের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিটি পুরুষ মানুষের কি করনীয় তাও তিনি সুন্দরভাবে বলে দিচ্ছেন-
তাই তোমরা যখন কোন নারীকে দেখবে তখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের কাছে সত্ত্বর চলে যাবে যাতে তোমরা তোমাদের মনের চাঞ্চল্যভাব দুর করতে পার।
আহা মহানবীর কি মহান উপদেশ!এ থেকে আরও একটা বিষয় খুব পরিস্কার , তা হলো- সেই আরবের লোকগুলোর ও খোদ মোহাম্মদের মানসিক স্তর। যদি আজকের যুগে, মোহাম্মদ এসে হাজির হয়ে, নিজে একাজ করে পরে মানুষকে এ ধরনের উপদেশ দিতেন তাহলে মানুষরা তাকে কি নজরে দেখত? নিশ্চয়ই একজন প্রচন্ড কামুক মানুষ হিসাবেই চিহ্নিত করত আর তাকে আল্লাহর নবী হিসেবে মেনে নেয়া তো দুরের কথা, একটা অতি মাত্রার কামুক মানুষ হিসেবে তারা তাকে পরিত্যাগ করে চলে যেত। শুধু তাই নয় এর পর মোহাম্মদের পক্ষে সমাজে টিকে থাকাই মুস্কিল হতো।তাহলে প্রশ্ন জাগে সেই কালের আরবগুলো তাকে পরিত্যাগ করে নি কেন ? তার উত্তর একটাই- তাদের মন মানসিকতা ও মানসিক স্তর তো তাদের ওস্তাদ মোহাম্মদের মতই ছিল আর তাই তারা এটাকে মোটেও খারাপ কোন কিছু হিসাবে গন্য করেনি।
আব্দুল্লাহ মাসুদ থেকে বর্নিত, আমরা একবার আল্লাহর নবীর সাথে অভিযানে বের হয়েছিলাম ও আমাদের সাথে কোন নারী ছিল না। তখন আমরা বললাম- আমাদের কি খোজা (নপুংষক) হয়ে যাওয়া উচিৎ নয় ? তখন তিনি আমাদের তা করতে নিষেধ করলেন ও স্বল্প সময়ের জন্য কোন মেয়েকে কিছু উপহারের বিনিময়ের মাধ্যমে বিযে করার জন্য অনুমতি দিলেন। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস-৩২৪৩
মহানবী আসলেই পুরুষ মানুষদের জন্য মহানই ছিলেন যার প্রমান উপরিউক্ত হাদিস।তিনি সেই আরবদের মন মানসিকতা খুব ভালভাবেই বুঝতে পারতেন। তিনি বুঝতেন তার সঙ্গী সাথীদেরকে যদি যৌন ফুর্তি থেকে বঞ্চিত করা হয় তাহলে তারা তাকে ত্যাগ করে চলে যাবে। বিশেষ করে তিনি যখন কোন দলের সাথে নিজেই বের হতেন তখন তিনি কোন না কোন স্ত্রীকে সাথে নিয়ে যেতেন, ফলে তার জন্য কোন সমস্যা হতো না। কিন্তু দলের অন্যরা তো সে সুযোগ পেত না। তাই তাদের সহজ সরল আর্জি – মোহাম্মদের নিকট, তাদের যেন যৌনানন্দ থেকে বঞ্চিত করা না হয়। দয়ার সাগর মহানবী সাহাবীদের দু:খ বুঝতে পারলেন আর সাথে সাথেই নিদান দিলেন- নারী ধর, এক বা দুদিনের জন্য বিয়ে কর, যত পার ফুর্তি কর, তারপর লাথি মেরে বিদায় কর।এটা বলা বাহুল্য, পতিতা বৃত্তিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। অথচ আবার প্রচার করা হচ্ছে- ইসলাম পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ করেছে।একদিন বা দুদিনের জন্য বিয়ের নামে প্রহসন করে , তাদের সাথে যৌনানন্দ করে পরে তাদেরকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দেয়া যদি পতিতাবৃত্তি না হয়, তাহলে পতিতা বৃত্তি কাকে বলে ? আহা , মহানবীর কি অসীম করুনা!আমাদের মহানবী জয়নাবকে পাওয়া ও তার সাথে শারিরীক ভাবে মিলিত হওয়ার জন্য কতটা উতলা ছিল তার প্রমান পাওয়া যায় নিচের হাদিসে:
আনাস বর্নিত: যখন নবী জয়নাবকে বিয়ে করলেন, নবী তার কিছু সাহাবীকে খানাপিনায় দাওয়াত করলেন, তারা আসল ও খাওয়া দাওয়া শেষে বসে গল্প গুজব শুরু করে দিল।নবী উঠে যাওয়ার উপক্রম করলেন কিন্তু লোকজনের তবুও যাওয়ার নাম নেই।তখন তিনি উঠেই পড়লেন, তা দেখে কিছু লোক উঠে চলে গেল কিন্তু কিছু লোক তারপরেও বসে থাকল।অত:পর ফিরে এসে যখন তিনি জয়নবের ঘরে ঢুকলেন , তখন লোকজন উঠে সব চলে গেল।বুখারী, বই-৭৪, হাদিস- ২৫৬
খুব সহজ সরল ভাষায় বর্ননা, কোন রাখ ঢাক নেই।জয়নাবকে যেদিন মোহাম্মদ বিয়ে করেন সেদিন বৌভাত উপলক্ষ্যে তার বিভিন্ন সাহাবীদেরকে খানা পিনায় দাওয়াত করেন।লোকজন এসে খাওয়া দাওয়া করে সবাই চলে না গিয়ে কিছু লোক বসে বসে গল্প গুজব করতে থাকে।লোকজন বসে গল্প গুজব করতে থাকায় মোহাম্মদ জয়নাবের ঘরে ঢুকতে পারছেন না, কারন তার আর তর সইছে না।অনেক ঝড় ঝঞ্ঝার পর তিনি জয়নাবকে তার ফুলশয্যায় পেয়েছেন। আর তাই তিনি বিরক্ত হচ্ছেন।তিনি এমনও ভাব দেখালেন যে তিনি উঠে পড়ছেন কিন্তু তার পরও লোকজনদের হুশ নেই- বোঝাই যাচ্ছে জয়নাবের কাছে যাওয়ার জন্য কি পরিমান ব্যকুল তিনি হয়ে পড়েছিলেন।তবে লোকজনকে দোষ দেয়া যায় না। কারন তারা তো মোহাম্মদের মনের খবর জানত না। অন্য কোন নারী হলে হয়ত তারা বর-বউয়ের মিলনের সুযোগ দিয়ে চলে যেত। কিন্তু তারা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারে নি যে মোহাম্মদ তার পালিত পুত্রবধূ জয়নাবের জন্য আগে থেকেই কেমন উতলা হয়ে আছেন।আমি জানিনা কোন মুমিন বান্দা এটাকে আবার কোন রূপক বলে ব্যখ্যা বা অন্যভাবে ব্যখ্যা করে কি না।যদি কেউ তা করতে চায় তা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।তবে একটা ব্যখ্যা থাকতে পারে : বিয়ে করার পর সব স্বামী তার স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে, মোহাম্মদ যদি সেটা করে থাকেন তাতে অসুবিধা কি হলো।যথার্থ ব্যখ্যা।কিন্তু সমস্যা হলো- ঐ যে জয়নাব তো আর অন্য কোন সাধারন নারী না, সে হলো মোহাম্মদের নিজের পালিত পূত্র জায়েদের প্রাক্তন স্ত্রী,যার সাথে মোহাম্মদ আল্লাহর নির্দেশে পরকীয়া প্রেম শুরু করেন।অথচ মোহাম্মদকে আবার পরকীয়া প্রেমের দায়ে দায়ী করতে চায়না সাচ্চা মুমিন বান্দারা বরং বলতে চায় এটা ছিল মোহাম্মদের একটা বৈপ্লবিক সংস্কার । আসলে যে মোহাম্মদ জয়নাবের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েই কাজ টি করেছেন ও এর পিছনে কোন সংস্কারের পরিকল্পনা ছিল না , বরং ঠেলায় পড়ে পরে ওহীর মাধ্যমে এ ধরনের অসামাজিক ও অনৈতিক রিপুতাড়িত কাজকে জায়েজ করতে হয়েছে তা তাদেরকে কোরান হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বোঝালেও বুঝতে চায় না।আর মোহাম্মদের রতিক্রিয়ায় শক্তিমত্তার প্রমানও পাওয়া যায় নিচের হাদিসে:
কাতাদা বর্নিত: আনাস ইবনে মালিক বলেন, “ নবী দিনে রাতে পালাক্রমে তার স্ত্রীদের সাথে মিলিত হতেন,আর তার স্ত্রীর সংখ্যা ছিল এগার।আমি আনাসকে জিজ্ঞেস করলাম- “ নবীর কি এত শক্তি ছিল ?” আনাস উত্তর দিলেন-“ আমরা শুনেছি নবীর শক্তি ছিল ত্রিশজন মানুষের সমান”। বুখারি, বই-০৫, হাদিস-২৬৮
মারহাবা, দ্বীনের নবী!রতিক্রিয়ায় এ বিশ্বজগতে আপনার সমান কেউ নেই, ছিলও না কেউ কোন কালে, সত্যিই আপনি অসাধারন ও অনন্য। আল্লাহ আপনাকে অসীম শক্তি দিয়েছেন।আর সেকারনেই আপনার দরকার ডজনেরও বেশী স্ত্রী, আর ততোধিক দাসী।কারন আপনি যখন তখন উত্তেজিত হয়ে পড়েন আর তখন যে কোন একজন স্ত্রীকে আপনার জন্য রেডি থাকতে হবে। একজন স্ত্রী থাকলে তো সে আপনার কাম যন্ত্রনার সময় মাসিক পিরিয়ডের মধ্যে থাকতে পারে।তাই কাম যন্ত্রনায় মহানবী কষ্ট পাবেন এমন কষ্ট তো পরম করুনাময় আল্লাহ আপনাকে দিতে পারেন না।সুবহানাল্লাহ।এখানে এটাও একটা বড় প্রশ্ন- পালাক্রমে রাত দিন এগার জন স্ত্রীর সাথে সহবত করার পর ধর্ম প্রচারের সময় উনি কখন পেতেন ?
উক্ত হাদিস থেকে পরিস্কার বোঝা যায়, যেমন ছিল তার সাহাবীরা তেমনি ছিলেন মোহাম্মদ। যোগ্য লোকের যোগ্য সাথী। ওস্তাদের সাথে শিষ্যদের যৌনতা নিয়ে এমনতর প্রকাশ্য আলাপ ইতোপূর্বে আর কোন ধর্ম প্রচারকদের মধ্যে আমরা দেখি নি।আর এখানেই মহানবী মোহাম্মদের মাহাত্ম, তার বিশেষত্ব।যীশু,বুদ্ধ,চৈতন্য এদের জীবনী থেকে জানি কেউ রিপু তাড়নায় তাড়িত হয় নি।যীশু বিয়ে করেন নি, বুদ্ধ ও চৈতন্য বিয়ে করেও স্ত্রী ফেলে রেখে তারা মহত্বের সন্ধানে বের হয়ে পড়েন।আর কৃষ্ণের কথা বলা হয়- তার ছিল ষোল হাজার গোপী বা স্ত্রী। সে তাদের সাথে লীলা করত। কিন্তু এমনতর কোন ঐতিহাসিক নিদর্শন পাওয়া যায়নি যে কৃষ্ণ বলে সত্যি কেউ কোন কালে ছিল।পৌরাণিক চরিত্র হিসাবে গণ্য করে তাকে আলোচনা থেকে অব্যহতি দেয়া যেতে পারে।ব্যতিক্রম শুধু আমাদের মহানবী।আল্লাহ তাকে ৩০ টা পুরুষের সমকক্ষ করে তৈরী করেছেন।তাই তার ১৩টা স্ত্রী আর সমসংখ্যক দাসী লাগে । আর কিছু অন্ধ বিশ্বাসী প্রমান করার জন্য উঠে পড়ে লাগে তার বহু বিবাহ ছিল অসহায় নারীদেরকে সমাজে সম্মানের সাথে ঠাই দেয়ার জন্য আর কোনটা নাকি ছিল রাজনৈতিক কারনে।দ্বীনের নবীর দয়ার সীমা নাই,তাই বিধবা নারী বিবাহেও তার ক্লান্তি নাই, ভাগ্য ভাল তিনি আরবদেশের সব গুলো বিধবাকে বিয়ে করেননি।খাদিজা মারা যাওয়ার সময় মোহাম্মদের বয়স ছিল পঞ্চাশ, তার মানে বাকী ১২ টা বিয়ে তিনি করেছিলেন বাকী ১৩ বছরের মধ্যে, কারন ৬৩ বছর বয়সে তিনি মারা যান।।আরও বছর দশেক বাঁচলেই সম্ভবত: আরবের সবগুলো বিধবাসহ কিছু নাবালিকাও বিয়ে ফেলতেন আর তখন তার সাহাবীরা বিয়ের জন্য কোন নারী খুজে পেত না, আল্লাহ বিষয়টি বুঝতে পেরেই দ্রুত তাকে দুনিয়া থেকে তুলে নিয়ে যায়।আল্লাহ মোহাম্মদের মনের কথা বুঝতে পেরেছিল মনে হয়, আর এও বোধ হয় বুঝতে পেরেছিল যে- ওহী নাজিলের মাধ্যমে তার বিয়ে করা বন্দ করার বিধান জারী করলেও মোহাম্মদ মনে হয় তা কেয়ার করতেন না , সেই ভয়ে তিনি তাকে তাড়াতাড়ি তার কাছে নিয়ে যান। নিচের আয়াতটি দেখা যাক-
হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা নিজের জন্যে হারাম করেছেন কেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়। আল্লাহ তোমাদের জন্যে কসম থেকে অব্যহতি লাভের উপায় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তোমাদের মালিক। তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। সূরা আততাহরিম ৬৬: ১-২
বিষয়টি কি ? আল্লাহ নবীর জন্য কি হালাল করেছে? আল্লাহ নবীর জন্য দাসী নারীদের সাথে বিয়ে বহির্ভুত যৌনকাজ হালাল করেছে। আল্লাহ নিচের আয়াতের মাধ্যমে তা হালাল করেছে-
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন——- ।কোরান, ৩৩: ৫০
এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন———-। কোরান, ৩৩: ৫২
(Waqidi has informed us that Abu Bakr has narrated that the messenger of Allah (PBUH) had sexual intercourse with Mariyyah in the house of Hafsah. When the messenger came out of the house, Hafsa was sitting at the gate (behind the locked door). She told the prophet, O Messenger of Allah, do you do this in my house and during my turn? The messenger said, control yourself and let me go because I make her haram to me. Hafsa said, I do not accept, unless you swear for me. That Hazrat (his holiness) said, by Allah I will not contact her again. Qasim ibn Muhammad has said that this promise of the Prophet that had forbidden Mariyyah to himself is invalid – it does not become a violation (hormat). [Tabaqat v. 8 p. 223 Publisher Entesharat-e Farhang va Andisheh Tehran 1382 solar h (2003) Translator Dr. Mohammad Mahdavi Damghani])
(Also it is reported that the Prophet had divided his days among his wives. And when it was the turn of Hafsa, he sent her for an errand to the house of her father Omar Khattab. When she took this order and went, the prophet called his slave girl Mariyah the Copt who bore his son Ibrahim, and who was a gift from the king Najashi and had sexual intercourse with her. When Hafsa returned, she found the door locked. So she sat there behind that locked door until the prophet finished the business and came out of the house while pleasure[?] was dripping from his face. When Hafsa found him in that condition she rebuked him saying you did not respect my honor; you sent me out of my house with an excuse so you could sleep with the slave girl. And in the day that was my turn you had intercourse with someone else. Then the Prophet said, be quiet for although she is my slave and halal to me, for your contentment I at this moment make her haram to myself. But Hafsa did not do this and when the Prophet went out of her house she knocked at the wall that separated her room from that of Aisha and told her everything. She also gave the glad tiding about what the Prophet had promised about making Mariyah haram to himself. [Published by Entesharat-e Elmiyyeh Eslami Tehran 1377 lunar H. Tafseer and translation into Farsi by Mohammad Kazem Mo’refi])
কি এমন ঘটনা ঘটল যে হঠাৎ মোহাম্মদ তার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্য দাসীর সাথে যৌন কাজকে হারাম করছেন? গুরুত্বপূর্ন বিষয়।আসলে ঘটনাটা এরকম।মিশরের বাদশা থেকে মোহাম্মদ মারিয়া নামে একটা দাসী উপহার পেয়েছিলেন যে ছিল দারুন যৌনাবেদনময়ী দেহ বল্লরীর অধিকারী।একদিন মোহাম্মদ তার অন্যতম স্ত্রী হাফসা( ওমরের মেয়ে) কে বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দেন এই বলে যে – ওমর তাকে দেখা করতে বলেছে ও পরে তার ঘরে মারিয়ার সাথে মিলিত হন।হাফসা বাপের বাড়ী গিয়ে দেখে ওমর বাড়ী নেই, সাথে সাথে সে ফিরে আসে আর এসেই দেখে তার ঘরে তার বিছানায় তার স্বামী প্রবর আল্লাহর নবী শ্রেষ্ট মানুষ মোহাম্মদ তার এক দাসি মারিয়ার সাথে মৌজে ব্যস্ত আছেন ও তা দেখে হাফসা তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে।অথচ সেদিন হাফসার সাথে থাকার পালা ছিল মোহাম্মদের। তো খোদ হাফসার ঘরে মারিয়ার সাথে দেহ মিলনের ব্যপারটা অবশ্যই হাফসার সাথে একটা বিশ্বাসঘাতকতার পর্যায়ে পড়ে অথবা কম পক্ষে হাফসার জন্যে ছিল সেটা অসম্মানজনক। আর হাফসা ছিল ওমরের কন্যা ও তার পিতার মতই তেজস্বীনি।মোহাম্মদের সাথে অনেক কথা কাটাকাটি হয়, হাফসা ঘটনাটা অন্য সব সতীনদেরকে জানিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।আল্লাহর নবী সম্মান হানির হুমকির মুখে পড়ে যান।তাই অনেক অনুনয় বিনয় করে তিনি হাফসার কাছে এই বলে প্রতিজ্ঞা করেন যে তিনি আর কোন দাসী বাদির সাথে যৌন সংসর্গ করবেন না।কিন্তু এটা ছিল একটা উপস্থিত ছলনা মাত্র।আপাতত হাফসার মুখ বন্দ করার কৌশল। ভিতরে ছিল অন্য কথা। মানুষের রক্তের স্বাদ পাওয়া বাঘ যেমন বার বার মানুষের ওপর হামলে পড়ে, কোনমতেই তাকে ফেরানো যায় না, মোহাম্মদও ইতোমধ্যে সুন্দরী যৌবনবতী মারিয়ার দেহ বল্লরীর স্বাদ পেয়ে গেছেন, তিনি কি অত সহজে তাকে ত্যাগ করবেন? কিন্তু তিনি তো প্রতিজ্ঞা করে ফেলেছেন হাফসার কাছে। প্রতিজ্ঞাও তো ভঙ্গ করা যায় না।তাহলে তার নবীগিরির ভবিষ্যত খারাপ হতে পারে। আসলে হাফসা কিন্তু এমন কান্ড করেছিল যাতে মোহাম্মদের নবীয়ত্বের জন্য বিরাট হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছিল। হাফসা ঘটনাটা তার সব সতীনদেরকে জানিয়ে দিয়েছিল।মোহাম্মদ দেখলেন সমূহ বিপদ।অত্যন্ত প্রখর বুদ্ধির অধিকারী মোহাম্মদ কাল বিলম্ব না করে আর এক অভিনয় শুরু করলেন। কথা নেই বার্তা নেই তিনি সকল স্ত্রীদের কাছ থেকে দুরে দিন যাপন করতে লাগলেন আর হুমকি দিতে থাকলেন যে তিনি তাদের সবাইকে তালাক দিয়ে দেবেন।আর ঠিক সেই মুহুর্তেই অসীম দয়ালু আল্লাহ তার প্রিয় দোস্ত মোহাম্মদের মন ও দেহের জ্বালা জুড়ানোর জন্য জিবরাইল মারফত অতি দ্রুত পাঠিয়ে দেয় উক্ত ৬৬: ১-২ আয়াত। অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায় এখানে আল্লাহ বলছেন- দাসীদেরকে তোমার বা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে, তাই তুমি এ বিষয়ে তোমার স্ত্রীর কাছে যে প্রতিজ্ঞা করেছ তা পালন করার তোমার দরকার নেই। অর্থৎ তুমি যখন খুশী যেখানে খুশী তোমার দাসীর সাথে সঙ্গম করতে পার, কোন অসুবিধা নেই।আহা, মহানবীর প্রতি দয়াল আল্লাহর কি অপরিসীম করুনা! তার প্রতি আল্লাহর দয়া ও করুনা এতটাই বেশী যে তিনি কোন প্রতিজ্ঞা করলেও তা রক্ষা করার দায় তার নেই। যে কোন সময়ই তিনি তা ভঙ্গ করতে পারেন।উক্ত ৬৬:১-২ আয়াত কিন্তু আরও একটা বিষয় অত্যন্ত পরিষ্কার করে বলছে যা অতীব গুরুত্বপূর্ন। তা হলো- স্ত্রীকে খুশী করার কোন দায় স্বামীর নেই।তাই আল্লাহ বলছে- হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা নিজের জন্যে হারাম করেছেন কেন? তার মানে ইসলামে নারীদের মর্যাদা দেয়ার ব্যপারে যেসব মনগড়া কথা বার্তা বলা হয় তার কোন ভিত্তি নেই যা আল্লাহর ভাষাতে একদম পরিষ্কার।স্বামী প্রবর যা ইচ্ছে খুশী করে বেড়াবে, দাসী বাদির সাথে স্ত্রীর সামনেই যৌনক্রিড়া করবে, স্ত্রীর বলার কিছু নেই। একজন স্ত্রীকে এর চাইতে আর কোনভাবেই বেশী অপমান করা যায় না। যদি কোন মুমিন বান্দাকে প্রশ্ন করা হয়- ইসলাম নারীকে কিভাবে মর্যাদা দিল? তাদের প্রথম বক্তব্যই হলো- হাদিসে বলা আছে- মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত।আর সেই মায়ের সামনে তার বাপ দাসী বাদী বা অন্য আর ৩ টা স্ত্রীর সাথে রঙ্গ ঢঙ্গ করবে বা সন্তানের সামনেই তার বাপ তার মা কে সামান্য কারনে মারধোর করবে, লাথি উষ্টা মারবে( যা আল্লাহর বিধান, আয়াত: ০৪: ৩৪) , আর তাতে তার মায়ের সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে না।এসব মুমিন বান্দাদের বুদ্ধি এতটাই ভোতা যে-
তারা বুঝতে অক্ষম নারীর প্রকৃত মর্যাদা নির্ধারিত হয় তার সাথে তার সন্তানের সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে নয়, বরং তা নির্ধারিত হয় তার স্বামীর সাথে সম্পর্কের ভিত্তিতে।তারা এটাও বুঝতে অক্ষম যে – মা ও সন্তান- এটা সম্পূর্ন ভিন্ন একটা সম্পর্ক। এ সম্পর্ক দিয়ে মা বা সন্তান কারোরই মর্যাদা নির্ধারন করা যায় না।অথচ তোতা পাখীর মত এ উদাহরন তারা আউড়ে চলে অবিরল।
উপরিউক্ত মারিয়া সংক্রান্ত ঘটনা প্রমান করে মোহাম্মদ প্রয়োজনে মিথ্যা বলতেন। মারিয়ার সাথে মৌজ করার জন্য তিনি হাফসাকে মিথ্যা কথা বলে ওমরের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।আহা সত্যবাদী মহানবী মোহাম্মদ! অন্য সাধারন বিষয়ে মিথ্যা বলার হয়ত তার দরকার পড়ত না, কিন্তু তার পরও প্রয়োজন হলে তিনি মিথ্যা বলতেন ও অন্যকে মিথ্যা বলার অনুমতিও দিতেন।যেমন নিচের হাদিস-
জাবির বিন আব্দুল্যা বর্নিত- আল্লাহর নবী বললেন – “ আল্লাহ ও তার নবীকে অবমাননাকারী কা’ব বিন আল আশরাফ কে খুন করার জন্য কে ইচ্ছুক?” এ কথায় মোহাম্মদ বিন মাসলামা উঠে দাড়িয়ে বলল-“ হে আল্লাহর নবী, আপনি কি চান আমি তাকে খুন করি ?” মোহাম্মদের উত্তর-“হ্যা”। মোহাম্মদ বিন মাসলামা তখন বলল-“ তাহলে আমাকে যে কেন একটা মিথ্যা অজুহাত বলার অনুমতি দিন”।নবী বললেন – “ তুমি সেটা বলতে পার”। সহী বুখারী, বই-৫৯, হাদিস-৩৬৯
খুব পরিস্কারভাবে দ্বীনের নবী আল আমীন বলে খ্যাত মোহাম্মদ তার সাগরেদকে একজন মানুষকে খুন করার জন্য মিথ্যা বলার অনুমতি দিচ্ছেন।আর কেন তিনি খুন করার অনুমতি দিচ্ছেন? আর কিভাবে মাসালামা কা’ব- কে খুন করে তার বিস্তারিত বিবরন নিম্নে-
Narrated Jabir Abdullah:
Allah’s messenger said “Who is willing to kill Ka`b bin al-Ashraf who has hurt Allah and His apostle?” Thereupon Maslama got up saying, “O Allah’s messenger! Would you like that I kill him?” The prophet said, “Yes”. Maslama said, “Then allow me to say a (false) thing (i.e. to deceive Ka`b). The prophet said, “You may say it.”
Maslama went to Ka`b and said, “That man (i.e. Muhammad) demands Sadaqa (i.e. Zakat) [taxes] from us, and he has troubled us, and I have come to borrow something from you.” On that, Ka`b said, “By Allah, you will get tired of him!” Maslama said, “Now as we have followed him, we do not want to leave him unless and until we see how his end is going to be. Now we want you to lend us a camel load or two of food.” Ka`b said, “Yes, but you should mortgage something to me.” Maslama and his companion said, “What do you want?” Ka`b replied, “Mortgage your women to me.” They said, “How can we mortgage our women to you and you are the most handsome of the Arabs?” Ka`b said, “Then mortgage your sons to me.” They said, “How can we mortgage our sons to you? Later they would be abused by the people’s saying that so and so has been mortgaged for a camel load of food. That would cause us great disgrace, but we will mortgage our arms to you.”
Maslama and his companion promised Ka`b that Maslama would return to him. He came to Ka`b at night along with Ka`b’s foster brother, Abu Na’ila. Ka`b invited them to come into his fort and then he went down to them. His wife asked him, “Where are you going at this time?” Ka`b replied, None but Maslama and my (foster) brother Abu Na’ila have come.” His wife said, “I hear a voice as if blood is dropping from him.” Ka`b said, “They are none by my brother Maslama and my foster brother Abu Na’ila. A generous man should respond to a call at night even if invited to be killed.”
Maslama went with two men. So Maslama went in together with two men, and said to them, “When Ka`b comes, I will touch his hair and smell it, and when you see that I have got hold of his head, strike him. I will let you smell his head.”
Ka`b bin al-Ashraf came down to them wrapped in his clothes, and diffusing perfume. Maslama said, “I have never smelt a better scent than this.” Ka`b replied, “I have got the best Arab women who know how to use the high class of perfume.” Maslama requested Ka`b “Will you allow me to smell your head?” Ka`b said “yes.” Maslama smelt it and made his companions smell it as well. Then he requested Ka`b again, “Will you let me (smell your head)?” Ka`b said “Yes”. When Maslama got a strong hold of him, he said (to his companions) “Get at him!” So they killed him and went to the prophet and informed him.”সহী বুখারী, বই-৫৯, হাদিস-৩৬৯
এ ঘটনা পড়লে বোঝা যায় মোহাম্মদ তার বিরুদ্ধে সামান্যতম সমালোচনা সহ্য করতে পারতেন না, ঠিক যেমন পারত না আধুনিক যুগের স্বৈরাচারী একনায়ক শাসকরা- হিটলার, মুসোলিনি, স্টালিন এরা। আমাদের দেশের শেখ মুজিব, জিয়াউর রহমান বা এরশাদ এরাও ছিল অনেকটা স্বৈরাচারী একনায়ক।এসব স্বৈরাচারী একনায়করা যেমন তাদের সমালোচনাকারীদেরকে জীবনে শেষ করে দিত, আমাদের আল্লাহর নবী ঠিক একই কায়দা অনুসরন করতেন।এ কেমন আল্লাহর নবী যিনি তার বিরুদ্ধে সামান্যতম সমালোচনা সহ্য করতে পারতেন না ? তার সত্য ধর্ম ইসলাম কি এতই ঠুনকো যে তা সামান্য সমালোচনাতেই উবে যেত? আর তার আল্লাহ কেমন দয়ালু যে সামান্য সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতাও সে মোহাম্মদকে দেয় নি ? আর এ কেমন মহানবী যে তার সমালোচনাকারীকে খুন করতে তাকে প্রয়োজনে মিথ্যা বা প্রতারনার আশ্রয় নিতে হয় ? তিনি নাকি আবার আল আমীন মানে সত্যবাদী? আল্লাহ কি এতই ভীত যে তার সামান্য সমালোচনা করলে তার অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে ?
এত সব বিচার বিশ্লেষণ করলে আমাদের মনে প্রশ্ন উদিত হওয়া স্বাভাবিক যে মোহাম্মদের নামে আমরা এতদিন যা শুনেছি তা কি আসলে সত্য নাকি মিথ? বিগত ১৪০০ বছর ধরে তাকে ও তার ইসলাম নিয়ে সত্যিকার অর্থে ব্যাপক কোন গবেষণা হয় নি, তার প্রয়োজনও পড়েনি, যে কারনে তার জীবনের অনেক সত্য জিনিস সাধারন মানুষের নজরে আসেনি, তাই তিনি রয়ে গেছেন ধরা ছোয়ার বাইরে।মাঝে মাঝে কেউ যদি সামান্য চেষ্টা করেছে, তাকে মোহাম্মদের দেখানো কায়দায় দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, যে প্রক্রিয়া আজও বিদ্যমান।আর একারনে মুসলমানদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। তারা শত শত বছর পিছিয়ে পড়েছে জ্ঞান- বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অর্থনীতি, দর্শন , রাজনীতি সর্ব ক্ষেত্রেই।পক্ষান্তরে, অমুসলিমরা এগিয়ে গেছে বহুদুর, যা আবার মুসলমানদের মধ্যে একটা হীনমন্যতা বোধের সৃষ্টি করেছে।এ হীনমন্যতা বোধ থেকেই ইসলামের অনুসারী কিছু উগ্র ও অন্ধ মানুষ গোটা সভ্যতাকে অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিয়ে ধ্বংস করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক সভ্যতার সব কিছুই যে শুদ্ধ তা কোনভাবেই বলা যায় না। অনেক কিছুই হয় ত শুদ্ধ নয়, ছিলও না কখনো আগে, কিন্তু মানুষ তার নিজ প্রয়োজনে সেগুলোকে সংশোধন করে এগিয়ে যাবে সামনের দিকে।তার পর হয়ত এমন একদিন আসবে যখন মানুষ এ নীল গ্রহ ছেড়ে মহাবিশ্বের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়বে, সভ্যতাকে ছড়িয়ে দেবে মহাবিশ্বের আনাচে কানাচে। মানুষের বিজয়বার্তা ধ্বনিত হবে বিশ্বের অন্যত্র। এমন বিপুল সম্ভাবনাময় মানব সভ্যতাকে কোন অন্ধ ও বদ্ধ আদর্শ দ্বারা কলুষিত ও ধ্বংস হয়ে যেতে দেয়া যায় না কোন মতেই।আমরা তা হতে দেব না। বিজয় আমাদের হবেই।
মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-১
মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-২
মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-৩
লেখকের কাছে আমার একটা বিশেষ অনুরোধ, মোহাম্মাদ(স) এর প্রেম, বিবাহ, স্ত্রি ও দাসি নিয়ে একটা লেখা লিখতে হবে। আপনার বিভিন্ন লেখায় সেগুলোর অনেক বর্ননা আছে। কিন্তু আমি যেটা বলতে চাচ্ছি সেটা হল, শুধমাত্র এই বিষয়ের উপর একটা লেখা, যেখানে প্রচুর পরিমানে কোরআন ও হাসিদের উল্লেখ থাকবে। সেই লেখাটি হবে মুলত কোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন আয়াত স্বম্বলিত একটা গল্প/উপন্যাস। কোরআন হাদিসের বিভিন্ন আয়াত সিরিয়ালি সাজিয়ে একটা ইতিহাস লিখবেন। :)) ——-আমি কি বোঝাতে পেরেছি বিষয়টা ?
নাস্তিকতা কি ধর্ম হতে পারে?
অদৃশ্য কোনও শক্তির ওপর বিশ্বাস ই ধর্ম।নাস্তিক রা কোন অদৃশ্য শক্তির উপর বিশ্বাস করে না।খুব সাধারন।সবাই জানে।কিন্তু পদার্থ মাত্র ই ধর্ম থাকে।মানুষ ও পদার্থ বৈ কি !মানুষ এরও ধর্ম আছে।পদার্থের মৌলিক ধর্ম গুলো মানুষ এর ত থাকবে ই ,অতিরিক্ত ধর্ম গুলোর মধ্যে প্রধান ধর্ম মানুষ তার নিজের বিবেক এর দ্বারা পরিচালিত হয়।এই বিবেক কে জাগ্রত করতে প্রয়োজন শিক্ষার,আমরা এসব জানি।একজন মানুষ এর যেমন ধর্ম পালন করার বা মানার অধিকার আছে ,আমার না মানার ও অধিকার আছে।অরথাত আমার ধর্ম নাস্তিকতা।সাধারনত একজন ধার্মিক তার নিজের ধর্মের অনুসারি না হলেও অন্য ধরমের অনুসারি মানুষ কে পেলে যেন কিছুটা স্বস্তি পায়।বেপারটা এমন যে যাই হোক না কেন একটা ধর্ম ত আছে!নাস্তিক দের ও সময় এসেছে আত্মপ্রকাশ করার।উপাশনালয় তৈরি করা।জে উপাশনালয় এ জ্ঞান চরচা,বিবরতন বাদ এর চর্চা করা (বিবরতন কি মতবাদ?)হবে।ধারমিক দের গালাগাল না করে বা ধর্মের অসারতা প্রমান করার আপ্রান চেষ্টা না করে কি আমরা আমাদের ধর্ম পালন করতে পারি না?।বিবরতন আলোচনা করতে গেলে ত ধর্মের অসরতার কথা আসবে ই,নির্দষ্ট করে কোনও নিরদিষ্ট ধর্মের অসারতা প্রমান করার দরকার কি?।এটা ত নয় যে নাস্তিক হতে হলে ধর্ম এর অসারতা আমাদের প্রমান করতে ই হবে।আম্রা আমাদের ধর্ম পালন করব ,জ্ঞান চর্চা করব,জ্ঞান এর আলো ছরাব,জ্জান ই মানুষ কে ধর্ম মুক্ত করতে পারে।নাস্তিক হওয়া খুব কঠিন একটা বেপার।ইচ্ছা করলে ই কি একজন মানুষ নাস্তিক হতে পারে?।এমন অনেক মানুষ কে আমি চিনি যে সারাজীবন এ ধর্ম কে মেনেও নিতে পারেনি আবার বর্জনও করতে পারেনি পুরপুরি।এখন আবার একটি দল তৈরি হএছে সংশয়বাদি নাম এ!! এরা কারা?…পলাতক মানসিকতার মানুষ না এরা?।।আমার ত তাই মনে হয়।আছে আবার নেই এর মাঝে যারা তারা ই ত সংসয়বাদি না কি?।সুন্দর বেবস্থা !!।তাই আমার মনে হয় মহাম্মদ এর চরিত্র ফুলের মত না গোবর এর মত তাতে আমাদের কি?।আমাদের ধর্ম নাস্তিকতা।আমাদের কি দরকার মহাম্মাদ এর চরিত্র বিশ্লেষণ করার?আছে অথবা নেই ,যেকোনো একটা তে বিশাস করতে হবে এটা ই আমি বুঝি।বাংলা টাইপ শিখছি এক্তু চালু হলে হয়ত ব্লগ লেখার চেষ্টা করব।এখন নিজের বানান এর দুরাবস্থা দেখলে নিজের এ বমি পায়:lotpot: ।
@ভবঘুরে,
হায়, হায় !
দ্যাখেন গিয়া আপনাদের সহযোদ্ধা অর্থাৎ আপনাদের একই মতাদর্শের প্রথম সারির লেখক হৃদয়াকাশ তার “সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষ – আল্লা কোথায়?” প্রবন্ধের আলোচনা অংশে ধরা খাইছে।
ঠ্যালা খাইয়া স্বীকার গেছে, সে ইসলাম ও মুসল্মান বিদ্বেষী। আর এই বিদ্বেষ থেকেই লেখে সে এসব লেখা। :)) :)) :))
আপনার লেখাটা আনেক ভাল লেগেছে, কিন্তু দু:খের বিষয় যে সিরিজ টা শেষ হয়ে গেল।
শুধু ওনার নারী লালসা বাদে রাজনীতি নিয়েও কিছু লিকলে ভাল হত।
@বিজন,
অপেক্ষা করুন ,হবে হয়ত একসময়।
@ফুয়াদ,
আপনার অভিযোগঃ
দেখা যাক আমারা কিসের ভিত্তিতে আলোচনা শুরু করলাম। লেখকের বক্তব্যঃ
আপনার মন্তব্যঃ
আপনার উক্ত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই আপনার কাছে জানতে চাইলাম, “ইসলামী বিধানে ‘মুহাম্মাদের’ কোন কাজের সমালোচনাকারী শাস্তি কি?”
প্রতি উত্তরে আপনি দিলেন ‘তেনা প্যাচানো’ জবাব। তাইতো বাধ্য হয়ে আপনার এবং পাঠকদের জন্য লিখতে হলো (রেফারেন্স সহ) ‘ইসলামী বিধানে’ মুহাম্মাদের সমালোচনাকারীর শাস্তি কি। শাস্তি হলো ‘মৃত্যু -দন্ড’। যা কিনা মুহাম্মাদ স্বহস্থে ‘দৃষ্টান্ত সহকারে’ তার উম্মতদের জন্য পালনীয় করে রেখে গিয়েছেন। কুরান-হাদিসে তা লিপিবদ্ধ আছে। এমতা পরিস্থিতিতে লেখকের মন্তব্য “এরা নিশ্চয়ই তাদের রচনায় এমন কিছু লিখবে না যা তাদের গুরুর চরিত্রকে হনন করে বা কালিমালিপ্ত করে।” এর সাথে কি কারনে আপনি দ্বিমত করলেন তা বুঝতে না পেরেই আমি ঐ প্রশ্নটি করেছিলাম।
ভাইজান, এটা কোন ব্যক্তিগত মতামতের বিষয় নয়। আলোচনা হচ্ছে ইস্লামী বিধানের’, যা মুহাম্মাদ তার উম্মতের জন্য কিয়ামত পর্যন্ত আবশ্য পালনীয় করে রেখে গিয়েছেন। যে শিক্ষার প্রত্যক্ষ ফলঃ
১) আপনার (তথাকথিত মডারেট মুসলীম) মন্তব্যঃ মুহম্মাদ “ভুল-প্রুফ”
২) কঠোর বিশ্বাসীদের দ্বারা যুগে যুগে ইসলামের স্ংস্কারে আগ্রহী ‘মুক্ত-মনাদের’ মুহাম্মাদী কায়দায় খুন ও হুমকী। যেটা এখনো চলছে বহাল তাবিয়তে।
পৃথিবীর তাবৎ জন গুষ্ঠী (মুসলীম ও অমুসলীম) কবে এই “মুহাম্মাদী শিক্ষার অভিশাপ” থেকে মুক্ত হতে পারবে তার আনেকটাই নির্ভর করছে আপনার এবং আপনার মত সমমনা মানুষের হাতে।
আবারো বলছি, “মিথ্যা অপবাদ” বলতে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন তা স্পষ্ঠ নয়। আমরা তো ইসলামের মূল উৎস থেকেই রেফারেন্স দিচ্ছি।
ইসলাম বিষয়ে সুস্থ “বিতর্কের” পরিবেশ কোন কালেই ছিল না, এখনো নাই- যেখানে নির্ভয়ে মানুষ তাদের নিজ নিজ ‘বক্তব্য’ উপস্থাপিত করার সূযোগ পাবে। কেন নাই তার বিস্তারিত বিবরন পাঠকরা জানতে পেরেছেন ইতিমধ্যেই। টিটকারী -তামাশার ‘ইস্যু’ টা ও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যক্তি নির্ভর – পছন্দ না হলে যে কারো বিরুদ্ধেই এ অভিযোগ তুলে ‘কাল্লা ফেলানোর’ শিক্ষা ও মানসিকতার অবসান অবশ্যই জরুরী। তথাপি আপনার সাথে আমি একমত। সুস্থ আলোচনা ও বিতর্কের মাধ্যমেই সাধারন মানুষ এবং পাঠকরা আসল সত্য জানতে পারবে। পাঠকদের বোকা ভাবার কোন কারন নাই।কিন্তু সে পরিবেশ কবে সেটাই এখন প্রশ্ন! আমি এখানেই এ আলোচনার শেষ করছি।
ভাল থাকুন।
@গোলাপ,
গঠনমুলক এবং যুক্তি নির্ভর জবাব দেবার জন্য আপনাকে (Y) (Y) (Y) (F) (F) (F) । আমি জানি এর পরেও ফুয়াদের মতো লোকজন তেনা পেচাবেই। কারন এছারা আর কিছুই করার নেই তাদের ।
মুক্ত মনার সকলকে আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা । মুক্ত মনার কারনে আমার মতো অনেকেই সত্য ঘটনা কি তা জানতে পারছে। আজকাল দেখা যায় মুক্ত মনার অনেক সদস্যরা বলেন যে ধর্ম নিয়ে এতো লেখার দরকার নাই। এটা এমনি এমনি শেষ হয়ে জাবে। কিনতু দাদা, যারা জানেন তাদের জন্য নেই, আমার মতো মমিন মুসলমানদের জন্য খুবই দরকার। আমরা সত্য কে জানতে চাই চাই চাই………। আপনারা আমাদের কে বঞ্চিত করবেন না।
@ভবঘুরে এ বিষয়ে আরো কিছু পর্ব চাই।
সকলের জন্য শুভ কামনা।
@এমরান,
যারা এসব কথা বলছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। ইউরোপে ধর্মের আধিপত্য খর্ব করার ইতিহাস এদের ভাল মতো পড়া দরকার।
@এমরান,
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মুক্তমনাতে যারা ‘ইসলাম’ নিয়ে নিয়মিত লিখেন এবং মন্তব্য করেন তাদের প্রায় সবারই জন্ম ও বৃদ্ধি রক্ষনশীল মুসলীম পরিবারে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে তাদের অনেকেই ছিলেন ধর্মভীরু। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ‘ইসলামী দলগুলো’ এবং পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কর্মকান্ড, বাংলাদেশের বর্তমান জে-এম-বি, আফগানিস্তানের তালেবান, পাকিস্তানে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী এবং বিশ্বজুড়ে ইস্লামীস্টদের নৃশংস সন্ত্রাসী হত্যাকান্ডের পর কেন তারা তা “ইসলামের নামে সংঘটিত” করার দাবি করে – তা জানার আগ্রহ নিয়েই হ্য়তো পড়াশুনা শুরু করেছিলেন একদিন। দুটো সম্পূর্ন বিপরীতধর্মী বক্তব্য আমারা প্রাযই শুনিঃ
১) ইসলামীষ্টরা ‘দৃঢ়ভাবে দাবী’ করে তাদের ‘কর্মকান্ড শুধু যে ইসলাম সম্মতঃই তাইই নয়, তা ইসলাম আদিষ্ট এবং অবশ্য পালনীয়। এ বিশ্বাসে তারা এতটাই দৃঢ যে নির্বিধায় নিজের জীবন (সর্বোচ্চ ত্যাগ) পর্যন্ত বিসর্জন দিচ্ছে। নিজে মরছে, এবং নিঃসংকোচে অন্যকে মারছে।
২) আর অন্যদিকে আরেকদলের (তথাকথিত মডারেট) দাবীঃ ইসলামীষ্টরা ‘সন্ত্রাসী’। নৃশংসতা-নিষ্ঠুরতা ‘ইসলাম-বিরোধী’। ইসলাম মানে শান্তি, ইসলাম শান্তির ধর্ম ইত্যাদি, ইত্যাদি।
এ দুই মতবাদের কোনটা সত্য? দুটোই তো একই সাথে সত্য হতে পারে না। বর্তমান বিশ্বে মুসলীমরা হলো এক-পঞ্ছমাংশ। কিন্তু তারা জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, আর্থ-সামাজিক মর্যাদা, চিন্তা-ভাবনায় পৃথিবীর সর্বনিম্ন । এরই বা আদি কারন কি? খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল যে এর মূল কারন হচ্ছে ইস্লামের ‘মৌলিক শিক্ষা’। যা গত ১৪০০ বছর ধরে গোপন রাখা হয়েছে।
কেন তারা তা করেন? দেখুন এখানে।। ইসলামের “দুটি” চেহারা। মক্কার ভালমানুষী (ধোকা দেয়ার মক্ষম অস্ত্র) চেহারা, আর মদীনার আসল চেহারা। ইসলামের এ “মারুফত” না জানলে বিভ্রমে পরা প্রায় নিশ্চিত।
@গোলাপ,
একটা হলো মাক্কি ইসলাম যাতে ঠেলায় পড়ে কিছু শান্তির কথা বলা আছে।
অন্যটা হলো মাদানী ইসলাম যাতে আছে খালি খুন খারাবি, লুটতরাজ , হিংসা বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসার কথা।
অধিকাংশ মুসলমানই এ দুইটা ইসলাম সম্পর্কে অবগত নন। তাই তারা গুলিয়ে ফেলেন।
@এমরান,
যুক্তি যেখানে দুর্বল, সেখানে তেনা পেচানো ছাড়া আর কি করার আছে ? তাজ্জব ব্যপার হলো – তেনা পেচানোকেই তারা মনে করে আমোঘ যুক্তি।
আপনার লেখার সব কয়টা পর্বই পড়লাম।
এত ঘৃণা আর বিদ্বেষ নিয়ে লিখলে কোন লেখাই বস্তুনিষ্ঠ হয় না।
আপনি হাদিস বা কোরান থেকে যে উদ্ধৃতিগুলো দিয়েছেন, সেগুলো হয়তো ঠিক। কিন্তু আপনার ব্যাখ্যাগুলো পড়ে মনে হয়, সেগুলো প্রচন্ড ঘৃণা ও বিদ্বেষ থেকে প্রসূত। আপনার ক্রুর রসিকতাগুলোও তারই ঈঙ্গিত বহন করে। আমি নিশ্চিত, এই একই বাক্যগুলো যারা এর ভক্ত, তার অন্যরকম ব্যাখা দেবেন।
আর আমার মনে হয়, এধরণের লেখা সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ব্যাপারে কোন অবদান রাখেনা, বরঞ্চ ধর্মগত অসহিষ্ণুতাকে আরো উস্কিয়ে দেয়।
@চঞ্চল সাহা,
একজন লোক যে নিজেকে পয়গম্বর বলে দাবী করবে এবং সারা পৃথিবীর মানুষ কে তার কথায় উঠতে বসতে বাধ্য করবে, জীন পরী ভূতের গল্প শুনাবে আর যারা তার গল্প শুনবে না, তাকে কাফের বলে হত্যা করবে, তাকে কেন ভালবাসতে হবে ? তাকে কেন ঘৃণা করা যাবে না ? আপনি ত এটুকু অন্তত মেনেছেন যে, কোরআন হাদীসের সূত্র গুলো ঠিক আছে, আর আমি এই সূত্র গুলো দেখেই যথেষ্ঠ মনে হয়েছে, এর ব্যাখ্যা লেখক কি দিলেন কি দিলেন না, তাতে কিছু যায় আসে না, বরং এই সব কোরআন হাদীসের সূত্র গুলোই প্রমাণ করে যে, মুহম্মদ একজন স্বঘোষিত ভন্ড নবী, তার দাবীর কোনই যৌক্তিতকা নেই। আর এইসব কোরআন হাদীসের রেফারেন্স গুলো যার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে মুহম্মদ একজন খুনী ডাকাত ছিল, কাফের দের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করার জন্যও আয়াত নাজিল করত, কবিদের হত্যা করত, নারী শিশুদের যৌন দাস/দাসী বানাত এসব রেফারেন্স ত আমাদের ছোট বেলা থেকে বলাই হয় নি। সারাজীবন শুনে এসেছি যে নবী মুহম্মদ ছিল একজন ফেরেশতা্… ত এই প্রতারনার মানে কি ? এখন যখন হাদীস কোরআন থেকেই জানলাম যে, সে ছিল একটা খুনী হিংস্র ডাকাত, এর পক্ষে কি ব্যখ্যা পড়তে হবে যা পড়লে মনে হবে যে, তিনি ছিলেন মহান ? যার সাথে জীন পরী ফেরেশতা ঘোরাঘুরী করে, তাকে কেন মানুষ হত্যা করতে হয়,… আমাকে শুধু এটুকু ব্যাখ্যা করুন। আর তিনি কেন আল্লাহর কাছে বলে কাফেরদের মনের সীল মোহর খুলে দেওয়ার জন্য দোয়া করেন নি ? তিনি দোয়া করলেই ত আল্লাহ কাফের ইহুদি দের মনের সীল মোহর তুলে নিতেন। তিনি মেহমান তাড়াতে লজ্জা পাচ্ছেন দেখে পর্যন্ত আল্লাহ জীবরাইল পাঠিয়ে দেন আয়াত দিয়ে, আর তিনি খুন খারাবী না করে শান্তি করতে চাইলে কি আল্লাহ জীবরাইল পাঠিয়ে তাদের সীল মোহর তুলে নিতেন না ? ঘৃণা ছাড়া এখানে আর কি ব্যখ্যা আপনি আশা করেন ?
আমি জানতামই না যে, মহানবী জীবনে কাউকে খুন করেছেন.. নিজে যুদ্ধবন্দীদের কে দাস দাসী বানিয়েছেন… এসব কিছুই জানতাম না… আকাশ মালিকের ‘বোকার স্বর্গ’ বইটি পড়েই আমার আকাশ থেকে পড়ার মত অবস্থা হয়েছে… সত্যি বলছি, এসব কিছুই কোনদিন জানতাম না। এখন যখন দেখি কোরআন হাদীসের পাতায় পাতায় খুন, ধর্ষন, যৌন দাস/দাসী এসবের কথা বলা, এরপর যখন দেখি যে কেউ আবার ব্যখ্যা করতে চান যে এসব কাজ আসলে ভাল ছিল… আমি সত্যি নির্বাক হয়ে যাই।
আজকাল দেখি কোরআন যে মুহম্মদের নিজের কথা নয়, আল্লাহর বাণী এসব প্রমাণ করার জন্য ভক্ত রা কাফেরদের আবিষ্কৃত বিজ্ঞান কে ব্যবহার করে। কিন্তু ব্যপার টা কি লজ্জার নয় যে, যেই কোরআন শরীফে যেখানে কাফেরদের কে গর্দানে মারতে বলা হয়েছে, কাটতে বলা হয়েছে জোড়ায় জোড়ায়, ওৎ পেতে বসে থাকতে বলা হয়েছে কাফেরদের হত্যার জন্য… আজকে তাদেরই আবিষ্কৃত বিজ্ঞান কে প্রয়োজন পড়ছে মুহম্মদের কথার সত্যতা প্রমাণ করার জন্য। আর কিভাবে যে প্রমান করছে কোরআনে বিজ্ঞান সেটাও আরেক লজ্জার ইতিহাস যা এখানে অফ টপিক হওয়ায় আর কথা বাড়াচ্ছি না।
আমার মনে হয়, এখানে আলোচনার উদ্দ্যেশ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নয়, বরং আলোচনার টপিক হচ্ছে নবী মুহম্মদ আসলেই কথিত আল্লাহর পাঠানো দূত ছিলেন কিনা। এখানে লেখক বিভিন্ন রেফারেন্স তুলে ধরে দেখিয়েছেন যে, মুহম্মদকে আল্লাহর প্রেরিত দূত মানার কোন যৌক্তিকতা নেই। আমরা সারা জীবন চোখ মুখ বন্ধ করে কি বিশ্বাস করছি, আসলেই তা ঠিক কিনা সেটা নিয়ে অবশ্যই গবেণার অধিকার আমাদের আছে।
@স্বঘোষিত অতিথি,
আমার তো মনে হয়, চঞ্চল সাহ
@সুদীপ্ত হাসান,
মনে হয়, আপনার পুরো লেখাটি কোন কারণে পোষ্ট হয়নি, কিন্তু আগ্রহ অনুভব করছি আপনি কি বলতে চেয়েছিলেন জানার জন্য। দয়া করে আবার লেখাটি পোষ্ট করবেন কি ?
@স্বঘোষিত অতিথি,
আমার তো মনে হয়, চঞ্চল সাহা যা বোঝাতে চেয়েছেন আপনি তা বুঝতে পারেননি। মনে হচ্ছে উনি বলতে চাচ্ছিলেন, যে কোন বিশেষ সম্প্রদায় বা ব্যক্তির প্রতি এত তীব্র ঘৃণা ও বিদ্বেষ নিয়ে কিছু analysis করলে, তা বস্তুনিস্ট হয় না।
কিন্তু আপনি উনার এ বক্তব্যকে কোন পাত্তা না দিয়ে বললেন, ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই – উৎসগুলোই যথেষ্ট।
এট বলেই দেওয়া শুরু করলেন নিজের ব্যাখ্যা – ভবঘুরে সাহেবের কথাগুলোরই পুনরাবৃত্তি করলেন।
কিন্তু আমার ধারণা চঞ্চল সাহা বলতে চেয়েছিলেন, কেউ যদি ইসলাম বিদ্বেষী না হয়ে ইসলামের ভক্ত হয়, তবে তার ওই একই হাদিস বা উদ্ধৃতিগুলোর ব্যাখা হবে অন্যরকম। যেমন হয়তো হতে পারে, সে চেষ্টা করবে দেখাতে যে, আজ থেকে ১৪০০ বছর আগের আরব সমাজের রেওয়াজ অনুযায়ী সেগুলো নর্মাল ছিল, যুদ্ধাবস্থার পরিস্থিতিতে লঘু কারণে হত্যা গ্রহণযোগ্য, হয়তোবা উদাহরণ দেখাবে আজ থেকে ১০০ বছর আগেকার নৈতিকতাও আজকে বর্বর মনে হয় ইত্যাদি…। কিন্তু তখন তিনি ইসলামের বিধানগুলো যে পৃথিবীর শেষদিন পর্যন্ত ভ্যালিড, সেইটার উত্তর তিনি সযত্নে এড়িয়ে যাবেন, এটা আমি নিশ্চিত। এইসমস্ত কারণেই বায়াস্ড্ হয়ে কোন অনুসন্ধানমূলক লেখা উন্নতমানের হয় না।
যাই হোক, আমি কোন ঐশ্বরিক স্বত্বায় বিশ্বাসী নই। কিন্তু আবার আমি বিভিন্ন মতাদর্শের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী।
“যারা আমদেরকে ঘৃণা করে, যারা আমাদের অস্তিত্বকে বিলীন করে দিতে চায়, যারা আমাদের রসুলে করিম (সাঃ) এর নামে কুৎসা রটায়, বিবি ফাতেমা (রাঃ) র চরিত্র হননের চেষ্টা করে, তাদের সঙ্গে কিসের পেয়ার মোহাব্বত? শান্তি নষ্ট করে কারা, আমরা না ওরা? তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমানের কর্তব্য। “
এই অংশটুকু একটি ইসলামিস্টদের ব্লগ থেকে নেয়া। ওখানে দেখবেন এ ধরণের পোস্টের বাহবা দিয়ে মন্তব্য করার সাগরেদের অভাব নেই।
এটার সঙ্গে আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশের প্যারালেলিজম খুঁজে পাচ্ছেন?
আসলে প্রচন্ড ঘৃণা ও বিদ্বেষ মানুষের বিচার বিবেচনার ক্ষমতাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। আমার তো মনে মনে শঙ্কা যে, আপনি কোন পরহেজগার মুসলমান দেখলে ঘৃনায় তার মুখে “ওয়াক থুঃ” বলে একগাদা কফ ছুড়ে মারবেন। হোক না নিরীহ সে (নাকি মুসলমানরা নিরীহ হতে পারে না?), কিন্তু সে তো এক ভন্ড প্রতারকের, কবি হত্যাকারীর, শিশু ধর্ষনকারীর, এক হিংস্র খুনী ডাকাতের, মোটকথা মানব ইতিহাসের নিকৃষ্টতম লোকের অনুসারী!
আমার তো মনে হয়, মোহাম্মদ কালপ্রিটটার নামে নিগেটিভ অ্যাডজেক্টিভ লাগাতে আপনারা কম্পিটিশনে নেমেছেন। যিনি নিগেটিভিটির মাত্রা যত বাড়াতে পারবেন, আপনাদের সার্কেলে তিনি তত বেশী ইন্টেলেকচুয়াল বলে খ্যাতি পাবেন।
সবশেষে বিনয়ের সাথে একটা প্রশ্ন করতে চাই। হল্যান্ডের রাজনৈতিক নেতা গের্ট ভিল্ডার্স (Geert Wilders)বা ফ্রান্সের জাঁ মারি লেপেন -দের সাথে আপনাদের কোন মতপার্থক্য আছে? তাদের রাজনৈতিক মেনিফেষ্টো একটাই – ইসলাম হেট্রেড আর মুসলমান খেদাও। ইউরোপে তাদেরকে চরম দক্ষিণপন্থী হিসাবে গণ্য করা হয়ে থাকে। তাহলে আপনারাও কি তাই না?
@সুদীপ্ত হাসান,
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার লেখা পড়ার জন্য এবং সুন্দর ভাবে আমার ভুলগুলোকে পয়েন্ট করার জন্য।
আসলে আমার রাগ এবং ক্ষোভ একটি মাত্র ব্যক্তির প্রতি যে নিজেকে পয়গম্বর দাবী করেছে। আমি অবশ্যই কোন সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণার কথা বলি নি। আমার নিজের পরিবার প্রচন্ড ধার্মিক এবং ঘৃণা করলে প্রথমেই আমার পরিবারের প্রতি ঘৃণা শুরু হবার কথা।
ইতিহাসের যে কোন ব্যক্তির দোষ গুণ খুজে পাওয়া যাবে। হিটলারের ভক্ত রা তার গুণ নিয়ে ১০০০ পৃষ্ঠার বই লিখতে পারবে, আবার যারা তাকে পছন্দ করে না তারাও তার দোষ নিয়ে ১০০০ পাতার বই লিখতে পারবে। দুটো ব্যপারকেই সুস্থ ভাবে দেখা যায়। আমি যদি হিটলারের মতের পক্ষে হই, তাহলে অবশ্যই তার মতের বিপক্ষের কাউকে দেখলে গলা কাটার কথা ভাবব না। আর হিটলারের দেওয়া কোন আদেশ বা বিধান আমি কারও উপর চাপিয়ে দিতে চাব না। আর হিটলার যেহেতু নিজেকে কোন আলৌকিক পুরুষ বলে দাবী করেনি, তার জীবন ইতিহাস নিয়ে আজকের দিনের মানুষের উপর কোন প্রভাবই থাকবে না, এক্ষেত্রে আপনার দেওয়া ব্যাখ্যা টি মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু নবী মুহম্মদের ব্যপার টা কি সেরকম ? তার নামের পর দুরুদ পাঠ না করলে মাথা কাটতে আসবে (রুপক অর্থে) এরকম লোককেও আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। যখন আমি জানতে এবং বুঝতে পারলাম যে ভদ্রলোক নবী ছিলেন না, অবশ্যই আমার স্বাধীনতা থাকা উচিত ছিল যে আমি আর মুসলমান ধর্ম পালন করব না, কিন্তু আমাকে কি সেই স্বাধীনতা দেওয়া হবে ? মুরতাদ ঘোষনা দিয়ে যেকোন মোল্লা আমার গলা কাটার নির্দেশ দিতে পারে। তাহলে আপনি বলুন যার নির্দেশে একজন মোল্লা আজকের দিনেও খুন করতে চাবে, তার প্রতি আমার কেন রাগ/ঘৃণা আসা উচিত না ? আমার রাগ এবং ঘৃণার কারণ হবে আমার স্বাধিকারকে হরণ করা হয়েছে এজন্য। এমতাবস্থায় যখন দেখতে পাব নবী মুহম্মদ একের পর এক খুন খারাবী করেছেন শুধু মাত্র তার ভুতের গল্প বিশ্বাস না করার জন্য, আর আমার এটুকু অধিকার থাকবে না অন্তত আমাকে জোড় করার বিরুদ্ধে ঘৃণাটুকু প্রকাশ করার ? তবে অবশ্যই আমি সাধারণ শান্তিকামী মুসলমান দের কে ভাইয়ের মতই গ্রহণ করব।
হিটলারেরে পক্ষে যদি কেউ সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়ে প্রমান করতে চায় যে সে মানুষ খুন করত সামগ্রিক পৃথিবীর কল্যানের জন্য, আমি সে ব্যাখ্যা গ্রহণ করলেও করতে পারি, কিন্তু একজন আলৌকিক ব্যক্তির মানুষ খুন করার প্রয়োজন হত তাকে ক্ষেপানোর কারণে যা আমরা সহীহ হাদীস থেকে জানতে পারি, এটার কোন পজিটিভ ব্যাখ্যা আমি কল্পনা করতে পারি না, এটা হতে পারে আমার ব্যক্তিগত চিন্তা এবং জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা।
আজকে আমাকে পরিবারের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য হলেও লোক দেখানো নামাজ পড়তে হয়, রোজা রাখতে হয়… আরও অনেক সব কঠিন নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়… সেই ১৪০০ বছর আগে একজন পাহাড়ের গুহায় ভূত না কি দেখছিলেন এই জন্য আজকে আমাকে কেন এত পানিশমেন্ট পেতে হবে ? হ্যা তিনি যদি নিজেকে পয়গম্বর দাবী করে একটা মার মার কাট কাট ধর্ম চালু না করে যেতেন, তাহলে আমি অবশ্যই তার ভাল দিক গুলোর গুণগান গাইতাম এবং খারাপ দিক গুলোকে ধরেই নিতে পারতাম যে যুগের প্রয়োজনে তিনি তা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু যিনি দাবী করেন যে তিনি সুপারম্যান, যার কথায় ফেরেশতারা উঠে বসে, বোরাকে করে সাত আসমান ঘুরে বেড়ায় তাকে কেন “যুগের প্রয়োজনে” নামক সীমাবদ্ধতার অযুহাতে ছেড়ে দিতে হবে ? তিনি ত যুগের উর্দ্ধে বলেই দাবী করতেন এবং তার আদেশ সকল যুগের জন্য শিরোধার্য করে দিয়েছেন, তাহলে তার নৃশংস কাজগুলোকে কেন ‘যুগের প্রয়োজনে’ টাইপ উদার দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাবতে হবে ?
আমি নিজে খুব স্বাধীনচেতা, আমার স্বত্তার উপর যদি কেউ অন্যায় ভাবে ছড়ি ঘুরায়, তাকে আমি চরম ভাবে ঘৃণা করব।
আমি চাইব না সমাজে মানুষ ধর্ম নিয়ে সম্প্রীতি নষ্ট করুক, কিন্তু অনুগ্রহ করে খেয়াল করে দেখুন, এখানে কোন সম্প্রদায় কে চোখে আঙ্গুল দিয়ে কিছু বলা হচ্ছে না, বরং একজন মানুষকে নিয়ে বলা হচ্ছে যে কিনা সম্প্রদায়িক দাঙ্গার মাধ্যমে জীবন পার করতে বলেছে মুসলমানদের যতদিন না পৃথিবীতে দারুস সালাম প্রতিষ্ঠা হয়।
৮:৩৯
আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন।
৯:৫
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(আল ইমরান: ১৪২)
তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে ? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে কারা জেহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্যশীল।
আমি বুঝতে পেরেছি যে আমার প্রকাশ করার ভাষা অনেক তীব্র ছিল যা আরও সুন্দর হতে পারত, আমি সেজন্য দু:খিত। আশাকরি আমার মন্তব্যটি আপনারা নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধ ধারণা মনে করে কেউ ব্যক্তিগত ভাবে আহত হবেন না। আমি নিজে ভুলের উর্দ্ধে নই এবং আমি মনে করি না যে আজ আমি যা ভাবছি তাই ১০০% সঠিক। তাই আপনাদের সমালোচনা কে আমি শ্রদ্ধা করি এবং আমি অবশ্যই আমার ভুল গুলো আপনাদের সমালোচনা থেকে শুধরে নেবার চেষ্টা করব। এমনকি আজও যদি আমি যৌক্তিক কোন প্রমাণ পাই যে নবী মুহম্মদ আলৌকিক ব্যক্তি ছিলেন এবং তিনি স্রষ্টার সাথে যোগাযোগ করতেন, তাহলেও তওবা করে মুসলিম হয়ে যাব। আমি এখনও এ ব্যপারে পড়াশুনা করছি এবং জানার চেষ্টা করছি।
ধন্যবাদ।
@সুদীপ্ত হাসান,
How right you are! (Y)
আমি মুসলমান নই। তারপরও ওই ধর্মে কোন কিছুই ভাল নেই, তা মানতে রাজী নই।
আসলে পৃথিবীর সব কিছুই এক চোখে না দেখে দুই চোখে দেখলে দৃষ্টির পরিসর বাড়ে।
@চঞ্চল সাহা,
ভাল যা আছে তা মানার জন্য ইসলাম পালনের দরকার নেই। তারপরও ইসলামে ভালর চাইতে খারাপ বেশী। সমস্যা হলো- ইসলাম কিন্তু আপনার মত অনুযায়ী ভাল বা খারাপ বেছে নিয়ে তা পালন করতে বলে না। ভাল হোক বা খারাপ হোক, আপনাকে অন্ধের মতই সব মানতে হবে, আপনার বেছে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। না মানলে আপনাকে জোর করা হবে , তার পরেও না মানলে আপনাকে হত্যা করতে হবে- এটাই ইসলামের মর্মবানী। আপনি সঠিক অবগত নন বলেই এমন উদার মনোভাব ব্যাক্ত করছেন। মানুষের উদারতার সুযোগ নিয়ে ইসলাম সমাজে প্রবেশ করে, তারপর প্রথমেই সেই সমাজের ওপর চড়াও হয়ে উদারতার বিনাশ ঘটায়। ভাল করে ইসলাম পড়ুন বুঝতে পারবেন।
@ভবঘুরে,
সব ধর্মের ব্যাপারেই কি এইটা বলা যায় না?
ছিদ্রান্বেষী দৃষ্টি নিয়া দেখলে সব কিছুরই শুধু মন্দ দিকটা উঠে আসবে, ভাল কোন কিছুই চোখে পরবে না।
এটাই ইসলামের মর্মবানী? তাই?
মর্মবাণী বলতে আমি কোন মতাদর্শের এককথায় প্রকাশিত সেন্ট্রাল জিস্ট টা বুঝি।
আর আপনি বলছেন, এটাই ইসলামের মর্মবাণী? আর কিছু চক্ষে পরে নাই?
ঘৃণায়, বিদ্বেষে আন্ধা হয়ে গেলে এই ধরণের কথা বের হয়।
আপনাদের উদ্দেশ্য একটাই, ইসলাম ব্যাশিং করে মনের তৃপ্তি পাওনের চেষ্টা করা।
@জনি রাজপুত,
আপনি অনুগ্রহ করে এই পেইজটি দেখবেন,
লন্ডনবাসী আবু ওয়ালিদের হুশিয়ারী
সে বলেছে,
ব্রিটেনকে ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে এবং “ডেভিড ক্যামেরন চার হাত-পায়ে ভর করে সুরসুর করে এসে ইসলামী ট্যাক্স জিযিয়া দেবেন, রাণী এবং বেশ্যা ও ব্যভিচারিণী কেইট মিডলটোনসহ সকল নারী নিকাব পরবেন…”
we, as Muslims, are not those types of coconut-chocolate moderate Muslims – the ones who bow their heads down to the government. Rather, we are the ones who want to work for the sake of Allah, to establish the manifestation of Islam, and make sure that David Cameron comes on his hands and knees, and give us the jiziya – yeah, that’s right – and cover up all the women and put a niqab on their faces, including Queen Elizabeth and Kate Middleton, the whore, the fornicator.
আপনার দৃষ্টিতে ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামের যে রুপ দেখে আপনি মুগ্ধ, সে রুপ কি আসল ইসলামের রুপ ? যারা extreme ইসলাম ফলো করে তারা ত কুরআন হাদীসের কথাই প্রচার করে বলছে যে, শান্তির বুলি ওয়ালা মুসলিম রা আসলে কোকোনাট চকলেট মডারেট মুসলিম… এখন আপনার ইসলাম আসল ইসলাম না কি আবু ওয়ালিদের ইসলাম আসল ইসলাম ? এখন আপনার ইসলাম যা কিনা ওয়ালিদের ভাষায় কোকোনাট চকলেট ইসলাম, তাত আমার দৃষ্টিতে খুবই সুন্দর কিন্তু হাদীস কোরআন ঘেটে দেখা যায় আবু ওয়ালিদের ইসলাম ই সত্য ইসলাম। আপনি যে ইসলামের কথা বলেন, তার নাম অন্য কিছু হতে পারে, হয়ত ইসলাম নয়… আর হ্যা, আপনার ইসলামই আমরা চাই… আমাদের আপত্তি ত আপনার ইসলামের বিরুদ্ধে নয়, আবু ওয়ালিদের ইসলামের বিরুদ্ধে যা কিনা প্রকৃত ইসলাম।
আপনি যদি ভেবে থাকেন অন্য ধর্মের ব্যপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে “লাকুম দীনুকুম ওয়াল ইয়া দীন“.. তাহলে আপনি আকাশ মালিক এর “যে সত্য বলা হয় নি” বই টি পড়ে দেখবেন একবার ? এই আয়াত টা ছিল মাক্কী সূরার আয়াত যখন নবী ছিল দুর্বল। যখন মদীনায় তিনি চলে যান, তখনকার আয়াত গুলো খেয়াল করে দেখুন। আর হ্যা, কোরআন আসার পর যদি ইঞ্জিল বাতিল হয়ে যায় এই জন্য যে কোরআন হচ্ছে একই ব্যাপারে লেটেস্ট ইন্সট্রাকশন, তাহলে ত একই ব্যপারে যেখানে মদীনায় বিরোধী আয়াত নাজিল হল মক্কার শান্তিপূর্ণ আয়াতের বিপরীতে, সেখানে মাক্কী আয়াত গুলো বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা। সেই হিসেবেও ইসলাম শান্তির ধর্ম একথার ও ভিত্তি বাতিল হয়ে যায়। মাদানী সুরা এসেছে মাক্কী সুরার পরে, তাহলে কি আপনি মাদানী সুরা বাদ দিয়ে মাক্কী সুরা গ্রহণ করবেন ? ব্যপারাটা কিন্তু খুবই কন্ট্রাডিক্টরি।
@চঞ্চল সাহা,
ধর্ম তথা অন্ধ বিশ্বাস সমাজে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে চলছে, একটি সাম্প্রদায়িক সমাজে সম্প্রীতির আশা করা অবাস্তব। আর ধর্মের কারনেই সমাজে ধর্মগত অসহিষ্ণুতা বেড়ে চলছে। তাই এই ধরনের লেখা ধর্ম তথা অন্ধ ও ভ্রান্ত বিশ্বাসের কুপমুন্ডকতা থেকে সমাজকে রক্ষা করার ব্যাপারে বিরাট ভূমিকা রাখছে।
@চঞ্চল সাহা,
এ পর্যন্ত কিন্তু কেউ অন্য রকম ব্যখ্যা দেন নি। কারন কি ? আমরা কিন্তু অন্য রকম ব্যখ্যার জন্য অপেক্ষায় আছি। তারা যুক্তি সঙ্গত ব্যখ্যা দিলেই আমরা মাফ চেয়ে লেখা বন্দ করে দেব।
সত্য কথা অনেক সময় শুনতে সুন্দর লাগে না। আর ঘৃণা ও বিদ্বেষের দেখেছেন কি ? দয়া করে মাতৃভাষায় কোরান হাদিস পড়ুন, দেখবেন ঘৃণা ও বিদ্বেষ কাকে বলে ও কত প্রকার।
একমত না। নজরুলের কবিতার একটা লাইন আছে- আধ মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা। কোন কোন বিষয় আছে যাকে আপনি ঠিক ভদ্র ভাষায় কিছুই করতে পারবেন না , ঘা মারতে হয়, তাহলে যদি কিছু হয়।
@ভবঘুরে,
নজরুল নয়, ওটা রবি ঠাকুরের কবিতার লাইন।
@অন্ধকারে আলোর খোঁজে,
দু:খিত, আপনি ঠিক বলেছেন। শুদ্ধিকরনের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
লেখাটা পড়ে খুব ভাল লেগছে। আমি প্রতিটা পর্বই পড়েছি। তবে এই পর্ব ফুয়াদ ভাই এর লেখা বুঝতে অনেক কষ্ট হল। কিছু বিষয় বুঝতেই পারলাম না। কেমন যেন ঘোলাটে লাগল। তবে ভবঘুরে ভাই একটি বড় অন্যায় করেছেন, শেষ পর্ব লিখে। আমি এর তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং আরও লেখা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আর যদি ভাইজান না লেখেন তাহলে আমি লেখার অনুমতি চাচ্ছি। যদিও আমি ওনার মত এত সুন্দরভাবে হয়তো লিখতে পারব না।
@নোথেইষ্ট,
আরে ভাই আপনাদের মত মানুষরা লিখবেন বলেই তো শেষ করে দিলাম। সব যদি আমি লিখি বাকীরা কি লিখবে?
এই অসাধারণ চরিত্র সম্পর্কে আপনার অসাধারণ বিশ্লেষণ এবং তথ্যপূর্ণ লেখা আমার আতীত ধারণা ভেংঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে। :guru: :guru: :guru:
@শান্তনু,
ধন্যবাদ। কিন্তু আগে কি ধারনা ছিল আর এখন কি ধারনা হলো সে সম্পর্কে জানতে পারলে আরও ভাল লাগত।
@ভবঘুরে, শৈশব থেকে যা শুনেছি, জেনেছি তাতে ওনাকে একটু বেশি মানবিক ভাবতে শিখেছিলাম। এখন জানলাম উনি সবচেয়ে বেশি অমানবিক।
মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের (ধুতুরা) মত পবিত্র!:P, পর্ব-৪(শেষ পর্ব)(U) মানিনা মানব না।
এযে রীতিমত অপমান(!)। হাজার বাসরের 😉 সেরা পুরুষের কথা ক্যামনে মাত্র ৪ পর্বে শেষ হয়??
@অরণ্য,
আমিও এক মত। এ বিষয়ে আরো কিছু পর্ব চাই।
@যাযাবর,
নতুন বউয়ের সাথে তাড়াতাড়ি সেক্সের জন্য দাওয়াতি লোকদের তাড়ানো প্রসঙ্গেও যে প্রিয় নবী ( সা) কোরানের আয়াত নামাতে পারে, এ তথ্যটি জানা ছিল না। এ থেকে বুঝা যায় তিনি কত বড় মাপের নবী ছিলেন। নবী হওয়ার তরিকা জানা থাকলে ভাল হত। যায়গা মত বউ বা বান্ধবীকে সোজা করার জন্য ওহি নাযিল কইরা দিতাম, প্রয়োজনে ত্যাদড় বন্ধুদেরও সাইজ করা যাইত।
@হেলাল,
আপনার জন্য 🙂
ধর্মগুরু হইবার রেসিপি
@স্বঘোষিত অতিথি,
কাজটা ভাই ভাল করেন নি।
আপনার প্রদর্শিত পথে যদি কেউ হঠাৎ একজন নবী বা নিদেন পক্ষে পীরের আবির্ভাব ঘটে , আমাদের বিপদ আরও বেড়ে যাবে।
আমি মাওলানা সাহেবদেরকে বলতে শূনিয়াছি হাদিছে নাকি আছেঃ
১।যারা দরিদ্র, কেয়ামতের দিনে তাদের হিসাব নিকাসে কম সময় লাগার কারনে ধনীদের চাইতে ৫০০ বৎসর পুর্ধে বেহেস্তে যাইতে পারিবেন।
2।আমি একবার এক মাদ্রাসার নামকরা একজন মোহাদ্দেছ ( যারা হাদিছে বিশেষজ্ঞ) কে এক ওয়াজ মাহফিলে বর্ণণা করিতে শূনিয়াছি ‘যার ইহজগতে বাড়ী আছে সে পরজগতে বাড়ী পাইবেনা ।
৩।নবী বলিয়াছেনঃ”আল্লাহ আমাকে দরিদ্র রাখুন,দরিদ্রদের সংগে হাসর করানও দরিদ্রদের সংগে বেহেস্ত নছিব করান।”
তাহলে দেখা যাচ্ছে হাদিছ আমাদেরকে দরিদ্র বা অনূন্নত জীধন যাপনে উৎসাহিত করছে।
৪।আমাকে আমার একটা ছেলে একদিন বল্ল যে(সে আন্তর্জালে কোথাও দেখেছে)”আব্বা জানেন? ইউরোপে যখন প্রথম প্রিন্টার ব্যবহার শূরু হল তখন সৌদি শাসক গন ও আরব দেশে ণ্রিন্টার ব্যবহার করতে চাইলেন।
কিন্তূ সাথে সাথে সেখানকার মসজিদের তৎকালীন কোরান হাদিছে অভিজ্ঞ ইমাম সাহেবরা এই বলিয়া ফতোয়া দিয়া এটা বন্দ্ধ করাইলেন যে,যেহেতূ আমাদের নবী এটা ব্যবহার করেন নাই তাই আমাদের জন্য ও এটা ব্যবহার করাও জায়েজ (বৈধ)হইবেনা।
ফলে আরধ জগত আধূনিক জ্ঞান বিজ্ঞান হতে দীর্ঘকালের জন্য পিছিয়ে পড়ে রইল।”
তাহলে কি এই ভাবে যূগে যূগে হাদিছের দোহাই দিয়ে দিয়ে মূসলমানদেরকে সভ্য জগৎ হইতে পিছিয়ে রাখা হইবে?
থন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
এমন চমৎকার একটি সিরিজ এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল! অনেক ধন্যবাদ শ্রমসাধ্য এ সুন্দর লেখাটির জন্য (F)
নবীকে ঘিরে মুসলীমদের যে মিথা সেই মিথ ভঞ্জনের জন্য অকাট্য যুক্তি আছে এই লেখায়। ভবঘুরে এক শক্তিশালী মিথ ভঞ্জক কোন সন্দেহ নাই।
ভবঘুরে যয়নাবের সাথে নবীর বিয়ের খানাপিনার দাওয়াতে কিছু লোকের খাওয়াদাওয়া শেষ হবার পরেও চলে না যাওয়াতে নবীর অসুবিধার কথা নিয়ে একটা হাদীস বর্ণনা করেছেন যাতে নবী যে যয়ানবের সঙ্গে মিলিত হবার জন্য কতটা ব্যাকুল ছিলেন সেটা বোঝাতে চেয়েছেন। আরেকটা ব্যাপার এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে হয়। সেটা হল “কিইইইইই সুবিধাজনক” জাতীয় এক আয়াত নাজিলের কথা। দাওয়াত শেষে কিছু লোকের প্রস্থান না করাতে নবী এতই বিরক্ত হন যে ভবিষ্যতে যাতে এর পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য একটা আয়াতও নাজিল করিয়ে নেন।
আয়াত ৩৩:৫৩ : “হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য আহার্য রন্ধনের অপেক্ষা না করে নবীর গৃহে প্রবেশ করো না। তবে তোমরা আহুত হলে প্রবেশ করো, তবে অতঃপর খাওয়া শেষে আপনা আপনি চলে যেয়ো, কথাবার্তায় মশগুল হয়ে যেয়ো না। নিশ্চয় এটা নবীর জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের কাছে সংকোচ বোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ সত্যকথা বলতে সংকোচ করেন না…।”
নিজের সঙ্কোচ হলে সমস্যা কি, আল্লাহর মুখ দিয়েই তো তা বলান যায়। “কিইইইই সুবিধাজনক” ! সাধে কি আর আয়েশা একবার টিপ্পনী কেটে নবীকে বলেছিলেন, আপনার তো দেখি যখন যে সমস্যায় পড়েন তার থেকে উদ্ধারের জন্য সঠিক আয়াত নাজিল হয়ে যায়!
বড় কথা হল, এটাই টি কুরাণের উদ্দেশ্য? নবীর কিসে সুবিধা অসুবিধে সেটা নিয়ে মাইক্রো ম্যানেজ করে ডিক্রী জারী করা? না কি মানব সমাজের জন্য শ্বাশ্বত বাণী প্রচার/প্রেরণ করা? আর যদি দাওয়াত শেষে চটপট উঠে চলে যাওয়া সেরকম শ্বাশ্বত বাণী হয়েই থাকে, তাহলে সেটা বলার জন্য নবীর অসুবিধা ঘটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে কেন? এ সবই তো পরিস্কার ভাবে নবীর সুবিধার্থে আনীত সিচ্যুয়েশনাল এথিক্স।
ভবঘুরে নবীযে নবীর সমালোচককে হত্যার জন্য প্রয়োজনে মিথ্যা বলার জন্য অনুমোদন দিয়েছিলেন সেই হাদীস উল্লেখ করেছেন। প্রয়োজনে মি্থ্যা কথা বলার প্রসঙ্গে সিরাত থেকে আরে একটা ঘটনার উল্লেখ করতে হয়। এর উল্লেখ পাওয়া যাবে ইবনে ইশাকের (হিশাম কর্তৃক সংকলিত) সিরাতের ইংরেজী অনুবাদ (গিলোমের) এর ২৯৪ পৃষ্ঠায়। আর বাংলায় পাওয়া যাবে আব্দুস সালাম হারুন কর্তৃক সংকলিত হিশামের সিরাতের (মিসররুল জাদিদাহ থেকে আরবীতে প্রকাশিত) বাংলা অনুবাদের (বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার থেকে প্রকাশিত) ১৫৮ পৃষ্ঠায়। এতে লেখা আছেঃ
বদরের যুদ্ধের সময় বদরের প্রান্তরে তাঁবু স্থাপনের পর নবী এক সাহাবীকে নিয়ে টহলে বেরিয়েছেন। কিছু দূর যাবার পর এক বৃদ্ধকে দেখতে পেলেন । নবী বৃদ্ধকে জিজ্ঞেস করলেন সে কুরায়েশদের কথা কিছু জানে কিনা আর মুহম্মদ আর তাঁর সহচরদের কোন খবর শুনেছে কি না। বৃদ্ধ বলল আগে তোমরা কোন দলের লোক সেটা জানাও, না জানালে বলব না। নবী বৃদ্ধকে বললেন আগে আমরা জা জানতে চাচ্ছি সেটা বল, তারপর আমাদের পরিচয় দেব। বৃদ্ধ বলল “খবরের বিনিময়ে পরিচয়?” । নবী বললেন হ্যাঁ। তখন বৃদ্ধ বলল, “শুনেছি মুহম্ম্দ ও তাঁর সহচররেরা অমুক দিন যাত্রা শুরু করেছেন। সেটা যদি সত্য হয় তাহলে তাদের এখন অমুক জায়গায় থাকার কথা । আর কুরায়েশদের সম্পর্কে শুনেছি তারা অমুক দিন রওয়ানা দিয়েছে। সেটা সত্যি হলে তাদের অমুক জায়গায় থাকার কথা। বৃদ্ধ সঠিকভাবেই উভয় জায়গার নির্দেশ করল। অতঃপর বৃদ্ধ নবীকে তাঁর পরিচয় দিতে বললে নবী বললেন “আমরা পানি থেকে এসেছি”। বৃদ্ধ বলল “পানি মানে? ইরাকের পানি থেকে নাকি?” অতঃপর নবী সাহাবীদের কাছে ফিরে গেলেন ।
পাঠক কেমন বুঝতাছেন ?
@যাযাবর,
আপনার পর্যবেক্ষনের তারিফ না করে পারছি না। উক্ত আয়াত কিন্তু সত্যি সত্যি সে উদ্দেশ্যেই নাজিল হয়েছিল। কারন আল্লাহ চাইত না যে তার পেয়ারা নবী প্রিয় দোস্ত নব বিবাহিতা স্ত্রীর সাথে সহবতের জন্য বেশী দেরী করেন। সে কারনেই তো আল্লাহ পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।
খুব ভাল সিরিজ হয়েছে, তবে এই লেখাটার মান আরেকটু উন্নত করা যেত যদি লেখক আরো কিছু ঐতিহাসি সমান্তরাল বা বিশ্লেষণ দিতেন।
কোটিল্য মহম্মদের জন্মের ৪০০ বছর আগে, রাজন্য বর্গকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, কোন রাজনীতি নিজের আদেশ বলে চালাতে নেই-তা ঈশ্বের স্বপ্নাদেশ বা ঈশ্বরের প্রেরিত বাণী বলে চালাতে হয়।
মহম্মদ ইতিহাসে কৌটিল্যের এবং কৌটিল্যনীতির সেরা ছাত্র।
@বিপ্লব পাল, একটা নতুন তথ্য জানলাম, চমৎকার এবং ধন্যবাদ।
@বিপ্লব পাল,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমি দেখেছি ইসলাম যে একটা তথাকথিত অসত্য ধর্ম তা কোরান ও হাদিস দিয়েই খুব ভালভাবে প্রমান করা যায়।ইতিহাসের দরকার তেমন পড়ে না। এমনিতেই এখন একদল আছে যারা হাদিসটাই অস্বীকার করতে চায়, ইসহাক, তাবারী, সাদ এদের ইতিহাস থেকে উদ্ধৃতি দিলে তো ওরা বলেই বসবে- কোথাকার কে বানান ইতিহাস লিখেছে সেটা কেন তারা বিশ্বাস করবে? একারনেই আমি ইতিহাসকে একেবারেই ব্যবহার করতে চাই না। খোদ কোরান হাদিস যেখানে যথেষ্ট , ইতিহাসের দরকারটা কি ?
@ভবঘুরে,
কিছু মন্তব্য না করে পারলাম না–
আপনি সম্পূর্ণ সঠিক। ইসলামকে মোকাবেলার জন্য আমাদের কাছে রয়েছে অমোঘ অস্ত্র–আর সেগুলো হচ্ছে
আল-কোরান
সাহী হাদিস
শারিয়া আইন
সীরা–তথা ্নবীজির জীবনী
আমাদের হাতে যখন ঐ দূর্দান্ত অস্ত্রগুলো রয়েছে–তখন অন্য কোন অস্ত্রএর দরকার তেমন নাই।
দেখুন না আপনার ব্যবহৃত ঐ সব অস্ত্রএর আঘাতে ্নব মোল্লারা দিশেহারা হয়ে ছুটাছুটি করছে। কিন্তু তাদের পালাবার কোন পথ নেই। আপনি সুদক্ষ ভাবে তাদের পালাবার পথ বন্ধ করে দিয়েছেন।
তাই আবার লিখছি–যাঁরা ইসলামকে মুখোমুখি লড়তে চান তাঁদের সর্বপ্রথম দায়িত্ব হবে ঐ সব কিতাবগুলি পূর্ণ রপ্ত করা। তা না করে কাগজে কলম দিবেন না। হয়ত কয়েক বছর লাগতে পারে। কিন্তু ইস`লামকে মোকাবিলার জন্য এর কোন বিকল্প নাই।
:)) @আবুল কাশেম,
অস্ত্র হিসেবে কোরানই তো যথেষ্ট। নব্য মোল্লারা শুধু তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অস্ত্র কোরান নিয়েই মাঠে নামুক। দেখি তারা কটা মুক্তমনাকে ওটা দিয়ে মোল্লামনা বানাতে পারে। :))
@কাজী রহমান,
হাঁ, আপনার কথা ঠিক–আল-কোরান আমাদের আনবিক বোমা। তবে যুদ্ধ করতে যেমন সর্বদা আনবিক বোমা ব্যবহার করা যায় না–প্রয়োজন মত অন্যান্য অস্ত্রও দরকার পড়ে, তেমনি–ইসলাম`কে মোকাবেলার জন্য অন্যান্য ছোটখাট অস্ত্রএরও সুবিধা থাকা দরকার।
আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা এক বিষাক্ত ও কালক্ষেপণকারী যুদ্ধে লিপ্ত আছি। আমাদের বিপক্ষ শক্তি অত্যান্ত শক্তিমান—বিলিয়ন ডলার, কোটি কোটি মোহাচ্ছাদিত বিশ্বাসী এবং অসীম বর্বরতায় নিমজ্জিত এক দুর্বার অসভ্য বেদুইন শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ। আমাদের এক`মাত্র শক্তি হচ্ছে ঐ সব অস্ত্র এবং মুষ্টিমেয় মোর্তাদ যাদেরকে আজ জীবন হাতে নিয়ে এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এই যুদ্ধ হতে পিছ পা হওয়া যাবে না। যারা এই যুদ্ধে সিরিয়াস’ নন তদের উচিত হবে না শুধু খেলাধুলাচ্ছলে অথবা বাহবা কুড়ানোর জন্য এই যুদ্ধে যোগদান করা।
@আবুল কাশেম,
যারা সিরিয়াস নয় তারা এমনিতেও উড়ে যাবে বলে মনে হয়। তবু নাহয় থাক ওরা। ছোঁয়াচে সংশয় যদি ওদের ছোঁয়, আমরা ভাববো কেন? কে জানে, অনেকেই হয়ত আলো দেখবে, হয়ত ধার্মিক থেকে সাচ্চা মানুষে রূপান্তরিত হয়ে যাবে।
আপনার প্রতি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। (F)
@বিপ্লব পাল,
তুলনাহীন।(Y)
কোটিল্য? নাকি কৌটিল্য?
আরও কিছু বাণী জানা থাকলে ছাড়ুন, মশাই।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
কৌটিল্য হবে।
কৌটিল্যনীতির আরো অনেক কিছুর সফল রূপায়ন আপনি কোরাণে পাবেন। আর সময়টা মহম্মদের পূর্বের ৮০০-৯০০ বছর আগে হবে। ৪০০ না।
যেমন কৌটিল্য ও লিখেছিলেন মদ্যপাণ ও জুয়া নিশিদ্ধ করার কথা কারন এই দুটি জিনিস একটি জনগোষ্ঠি এবং রাজাকে দুর্বল করে ও তা শত্রুর পদানত হয়।
অর্থশাস্ত্রের সব থেকে ইন্টারেস্টিং দিক হচ্ছে কিভাবে একজন রাজা ধর্ম এবং ঈশ্বরকে ব্যবহার করবে-
প্রজাদের তার মান্য করাতে
প্রজাবিদ্রোহ দমন করতে।
নিজের ভুলকে, ঠিক বলে চালাতে-যাতে প্রজারা তা মানে। যেমন রাজা যদি এমন বিবাহ করতে চান, যা প্রজাদের মঞ্জুর না-যেমন ধরা যাক রাজার একজন বিবাহিতা মহিলাকে ভাল লাগল-তাহলে তাকে ধর্ষন করতে গেলে, প্রজা বিরূপ হবে। কৌটিল্য বলছেন, তার থেকে, রাজা প্রজাদের বলবেন ঈশ্বরের স্বপ্নাদেশ ওমুক মেয়েকে বিয়ে করলে, রাজ্যে ফসল ভাল হবে :clap
তারপর বিদেশী শত্রু বা অন্যরাজ্য আক্রমন করলে, সেই রাজ্য আক্রমন করা ঈশ্বরের আদেশ বলে চালাতে হবে 😉
কৌটিল্যে অর্থশাস্ত্র আজও দুর্দান্ত -কিন্ত কেন যে কেও অর্থশাস্ত্রের আলোকে কোরান ব্যখ্যা করে নি কে জানে। হয়ত ঘারে গর্দান থাকবে না, এমন ভয় ছিল। কিন্ত আমি অনেক ক্ষেত্রেই দেখেছি কৌটিল্যবাণীর অমোঘ সফল প্রয়োগ হয়েছে কোরানে।
আমি অবশ্য সমাজ বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের আলোকেই ধর্মকে দেখতে চাই। এভাবে দেখে খুব লাব কিছু হবে না। অতীত অতীতই-তাকে বর্তমানে দেখে কি হবে?
@বিপ্লব পাল,
প্রাচীন রাজন্যবর্গ ব্রাহ্মণদের বিশেষ মর্যাদা দিয়ে পুষতেন।
এঁদের কাজ ছিল
১) ধর্মকে লালন-পালন করা
২) রাজন্যবর্গ সাক্ষাৎ সূর্যদেবের বংশধর, দেবতাদের অংশ এই জিনিষটি প্রজাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া।
মুহম্মদ জিনিষটি সরাসরি করেছিলেন। তিনি আল্লাহ্র নিজের লোক – দোস্ত। কোন কিছুই তাঁর মাথা থেকে আসে না। আল্লাহ্ তাঁর মুখ দিয়ে কথা বলিয়ে নেন। এবং আল্লাহ্ যা করতে বলেন তিনি তাই করেন মাত্র। তাঁর কোন দোষ নেই।
@বিপ্লব পাল,
সে আলোকে এ পর্যন্ত সারা দুনিয়াতে কম আলোচনা বা লেখা জোখা হয় নি। কিন্তু ফলাফল?
ধর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি বা তাদের ঐশি কিতাব সমূহের অন্তসারশূণ্যতা প্রমান করতে পারলে আমার মনে হয় তা বেশী কাজে দেয়। সমাজ বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানের মত জটিল বিষয় পড়ে কয়জনেই বা ভাল মত বোঝে ?
ধন্যবাদ ভবঘুরে ভাইকে। সত্যিই অসাধারণ! :guru: বলতে পারেন এক নি:শ্বাসে পড়েছি। আবুল কাশেম ভাই, আকাশ মালিক ভাইদের লেখা তো ভীষণ মিস করি। আপনি সেই শূণ্যতা পূরণ করলেন। আপনার লেখার বিবরণ, বিশ্লেষণ, যুক্তি, মন্তব্য… প্রতিটা লাইনকে করেছে যেন বিজ্ঞান দ্বারা পরীক্ষিত। শেষ প্যারাটাতো আমাকে ভিষণ মুগ্ধ করেছে।
শুভ কামনা রইল। ভবিষ্যত লেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
@গোলাপ,
ভাই আমি আরো একটু এডাইতে চাই, ইসলাম ত্যাগিদের শাস্তি কি? মুসলিম পুরুষেরা বির্ধমী মেয়ে বিয়ে করার শক্তি ও অধিকার দু’টুই রাখে কিন্তু মুসলিম মেয়েদের বির্ধমী পুরুষদের বিয়ের কোন অনুমতি আছে কি?
আমি আপনাদের লেখা যতবার পড়ি আমার ততবারই হাসি পায়, কেননা চামচিকার চোখে সূর্যের আলো সহ্য হয় না। একটা কথা কি, আমাদের একদিন মরতে হবে, আর মৃত্যুর পরেও একটা জগত্ আছে, সেখানের জন্যও কিছু আমল নিয়ে যেতে হবে। নাস্তিকদের কথামত যদি পরকাল বলতে কিছু নাও থাকে তাহলেও আমার কোন আফসুস নাই, যদি এমন হয় তাহলে আমরা সবাই বেচে গেলাম, BUT যদি পরকাল থেকে থাকে তাহলে আমাদের কি উপায় হবে………???
@মুক্তাদীর,
তখন আল্লাহকে বলবেন- আপনিই তো আমার হৃদয়ে সীল মেরে দিয়েছিলেন আর তাই আমি আপনার জন্য কিছুই করিনি, সুতরাং দোষ তো আমার না, আপনার । – আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি , এর পর বিনা বাক্য ব্যয়ে আল্লাহ আপনাকে বেহেস্তে ছুড়ে মারবেন আর আপনি সেখানে গিয়ে ৭২ যৌনাবেদনময়ী হুরদের সাথে—- ইয়ে মানে ——— করতে পারবেন, 😀
@ভবঘুরে,
আরো আছে আল্লাহ নিজেই নিজের সৃষ্টি কর্তাকে অস্বীকার করে সব সময়।আমরা করলে তাতে দোষের কি? নিজের সৃষ্টি কর্তাকে অস্বীকার করার সাহস তো উনার কাছ থেকেই পাওয়া! 😀
@মুক্তাদীর,
ওহ লটারী না? লটারী খেলা কিন্তু হারাম… :lotpot: :lotpot:
@মুক্তাদীর,
এই কথাটা অবশ্যই একটা চিন্তার বিষয় যে পরকাল বলে যদি কিছু থাকে। এখন কথা হলো কার পরকাল সত্য? হিন্দুর, খ্রিষ্টান এর নাকি মুসলমানের। এমন যদি হয় আপনি হিন্দু তাই পরকালের সুখের জন্য হিন্দুধর্ম পালন করেন কিন্তু পরকালে গিয়ে দেখলেন যে হিন্দুধর্মের ভগবান বলে কিছু নেই, আল্লাহ বলে একজন আছে, এখন সেই আল্লাহর কাছে আপনি যতই মাফ চান না কেন আল্লাহ কিন্তু আপনারে দোযখে ছুড়ে মারবে। কারণ দুনিয়াতে ভগবানকে বিশ্বাস করা মানে আল্লাহর সাথে শিরক করা। আর আল্লাহর সাথে যে শিরক করে তার কোন ক্ষমা নেই। তাই কে ঠিক আর কে ঠিকনা এইটা কোন প্রাণীর পক্ষে জানা বা যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করা সম্ভব না। যেহেতু বিজ্ঞান আমাদের সব দিয়েছে তাই আসুন সবরকম অপবিশ্বাসকে ফেলে দিয়ে আমরা বিজ্ঞান এর আলোই আলোকিত হই।
@মুক্তাদীর,
BUT যদি পরকাল থেকে থাকে তাহলে আমাদের কি উপায় হবে………???
খুব সোজা বেপার। খঁটি মুসলমান হিসেবে আমি যানি আল্লার হুকুম ছাড়া গাছের একটি পাতারও নড়ার সাধ্য নাই। তো আমি যদি আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাস না করি তা তো আল্লার হুকুমের বাইরে হওয়া সম্ভব নয়। এখন যে কাজটি আমি আল্লার হুকুমেই করেছি তাতে যে শুধু দোষের কিছু নাই তাই নয় বরং আল্লাহ্র হুকুম তামিল করায় ৭০ টি হুরও আমার পাওনা হবে। :))
ভাই ভবঘুরে;
সময়ের অভাবে মন্তব্য করতে পারি না। তবে আপনার এই ধারাবাহিক রচনাটি আমি বিস্তৃত পড়েছি এবং অভিভূত হয়েছি।
আপনার অসাধারণ বিশ্লেষণ ক্ষমতা, রচনাশৈলী, একাগ্রতা, সর্বোপরি অগাধ জ্ঞান সত্যিই উচ্চ প্রশংসার দাবী রাখে।
আমি সবচাইতে আনন্দ পাচ্ছি এই জেনে দীর্ঘ ১২ বছর যাবত আমরা যার বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলাম–আজ তার কিছু সুফল পাচ্ছি। ১২ বছর আগে আমরা দুই তিন জন ইসলামের মুখোমুখি হয়েছিলাম, তখন বাঙালি সমাজে আমাদের কোন সমর্থনই ছিল না।
আজ সেই অবস্থার বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। আমরা চিন্তাই করতে পারি না যে আপনার মত এত মেধাবী, কুশলী এবং দক্ষ লেখক ইসলামের মুখোমুখি হবেন।
আপনার মত সাহসী লেখক অতি বিরল।
@আবুল কাশেম,
আপনাকেও ধন্যবাদ।
আপনাদের মত বর্ষীয়াণ ব্যক্তিত্ব আমাদেরকে অণুপ্রানিত করলে আমরা সত্যি বিশেষ উৎসাহিত হই।
পরিবর্তন এমন একটা বিষয় যা ঘটবেই , তাকে আটকে রাখা যায় না। হয়ত অনেক সময় একটু দেরী হয়ে যায়। যেমন হচ্ছে আমাদের ইসলামের ব্যপারে। আর তার কারন আমি আগেই বলেছি- সত্যিকার অর্থে ইসলাম নিয়ে চুল চেরা বিশ্লেষণ আগে কখনও হয়নি , তার দরকারও পড়েনি।
আমি আপনার লেখার একজন একনিষ্ট ভক্ত। সত্যি বলতে কি , আপনার লেখা পড়েই সর্বপ্রথম আমি ইসলামের অন্ধকার জগত সম্পর্কে অবগত হই ও পরে নিজেই গভীরভাবে কোরান হাদিস পড়া শুরু করি ও আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করি আপনার বক্তব্য অমূলক নয়। অত:পর দায়ীত্ববোধ থেকেই লেখা শুরু করি।
সাহসী আর হতে পারলাম কই। আমি যে লেখা লেখি করি তা আমার পারিপার্শ্বিক কেউ জানে না। আফটার অল, কল্লা কাটা যাক এত তাড়াতাড়ি সেটা তো হতে দিতে পারি না। 🙁
কিন্তু আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছ থেকে শুনেছি- আল্লাহ পাক নবীজীকে এক হাজার পুরুষের সমান সেক্স পাওয়ার দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন হচ্ছে- হাদিস সত্য নাকি আমাদের মসজিদের ইমাম সত্য?
@মাহফুজ,
আপনাদের মসজিদের ইমাম কতটা খবিশ হলে আল্লাহর নবী সর্বশ্রেষ্ট মানুষ সম্পর্কে এ ধরনের উক্তি করতে পারে , তা আপনার বোঝা উচিত।
ধন্যবাদ ভবঘুরেকে। এমন চমৎকার একটি সিরিজ লেখার জন্য।
ভবঘুরে, আপনার সিরিজটা অসাধারন ভাল হয়েছে। আগেই এক মন্তব্যে বলেছিলাম আমি আপনার সব সিরিজ লেখা গুলো পড়েছি এবং সব গুলোই ভাল লেগেছে। তবে খুশী লাগেনি। কারণ, এই পৃথিবী টা আমার কাছে একটা place of injustice হিসেবেই জানতাম এবং আশা ছিল যে পরকালে গিয়ে যারা আমার সাথে অবিচার করল, আল্লাহ তার বিচার করবেন… এবং বেহেশতে অসীম সময়ের একটা স্নিগ্ধ শান্তিময় জায়গার কথা ভাবতেই মন জুড়িয়ে যেত… কিন্তু এসব লেখা পড়ার পর কোন মতেই আমার আগের ঈমান ফিরে আসবে না,.. আপনি যেভাবে শক্ত হাদীস কুরআন রেফারেন্স দিয়েছেন,.. সত্যিই মনে হয় আমরা একটা বোকার স্বর্গে ছিলাম। ত এখন নিজেকে আমি ধর্ম থেকে মুক্ত করে নিলাম… কিন্তু দিন শেষে নিজেকে খুবই অসহায় মনে হয়। আগে ভাবতাম মাথার উপর আল্লাহ আছে,… রোজা নামাজ পড়ে নিজের মনটা ফুরফুরে লাগত.. এখন ত এসব থেকে আর আনন্দ পাব না.. কিভাবে নিজেকে শান্তনা দিব বলুন ? এ জীবনটা তাহলে এখানেই শেষ ? 🙁 🙁 🙁 ;-(
@স্বঘোষিত অতিথি,
না ভাই, আসলে এখানেই শুরু। এখন আপনি নিজেকে আর একা একা চিন্তা করতে পারবেন না , আপনাকে ভাবতে হবে মানব জাতির একটা অংশ হিসাবে যেখানে আপনারও কিছু করনীয় আছে। আর সেটা হলো – এ জগতটাকে এমন সুন্দরভাবে গড়ে তোলায় অবদান রাখা, যেখানে আমরা সবাই সুন্দরভাবে সুখে শান্তিতে বেঁচে থাকতে পারি। ধর্ম আপনাকে ব্যপকভাবে স্বার্থপর বানিয়েছিল, তাই আপনি নিজের চিন্তা ছাড়া আর কিছুই ভাবতেন না- যা পরিশেষে আমাদের সমাজকে পিছিয়ে দিয়েছিল। আপনি যদি নিজেকে একা না ভেবে সমাজের একজন সত্যিকার অংশ ভাবেন দেখবেন আপনি নিজেই টের পাবেন না আপনার জীবন কত কর্মময় ও আনোন্দচ্ছল হয়ে উঠেছে। তখন অলীক বেহেস্তের সেক্সি হুরদের ফালতু চিন্তায় অযথা মন খারাপ হবে না।
:-X মরুভুমির গরম থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই বোধহয় তিনি নারী দের মরুদ্দ্যানে ডুব মারতেন! :guru:
@ডারউইন এর ভুত,
:-X
আপনার লেখাকে মিস রিপ্রেজেন্টেশ্ন ছাড়া আমার কিছু বলার নেই। এগুলো যুগে যুগেই ঘটছে। তাই আপনার সব পয়েন্ট নিয়ে আর্গুমেন্টে যাবার ইচ্ছা আমার নেই। আপনার নিচের কথাগুলি মনগড়াঃ (অবশ্যই আমার দৃষ্টিতে)
কারন হচ্ছে ভাল মন্দের মান দন্ড নিজের বিবেক দ্বারা তৈরি করি না। রাসূল সাঃ জীবনি এবং আল কুরানের দ্বারা তৈরি করি। রাসূল সাঃ এর জীবনির ক্ষেত্রে চেইন অব নেরেশন অত্যান্ত গুরুত্বের সাথে নেই। এবং আমরা মনে করি রাসূল সাঃ কোন কাজ কেন করেছেন ? এটা ভাল না মন্দ সেটা বিবেচনা করার চেয়ে তিনি কি করেছেন সেটা জানানোই আমাদের দ্বায়িত্ব। হতে পারে সব থেকে শেষের ব্যাক্তিই আমাদের সবার থেকে ভাল বুঝবে।
httpv://www.youtube.com/watch?v=i3Xc1MfX9X8
তাই ইমাম বুখারি কিংবা মুসলিমের কাছে যে সব হাদিসএর রেফারেন্স শক্ত এবং নির্ভর যোগ্য মনে হয়েছে সেগুলো বিচার বিশ্লেষন, বর্ননাকারীর বক্তব্যের সত্যতার উপর ভিত্তি করে তাদের গ্রন্থগুলি লিখেছেন। মধ্যযুগে এমন বিচার বিশ্লেষন কোন ইতিহাস নিয়ে করা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। যেসব হাদিসের ব্যাপারে ইমাম বুখারি এবং মুসলিম দুজনই একমত হয়েছেন সেগুলো আরো অধিক গ্রহন যোগ্য বলা হয়। কিন্তু তাই বলে আপনি নিজে হাদিস নিয়ে গবেষনা করতে পারবেন না, তা ইসলামে বলা নেই। আপনি ও গবেষনা করে আপনার দৃষ্টিতে যেসব হাদিস সহী তা লিখতে পারেন, এবং এর পিছনে কারন এবং যুক্তি দিতে হবে কেন সহী। আপনি যদি কোন হাদিস নিতে না চান, তাহলে আপনার পিছনে আপনি নিজে যুক্তি দিতে পারেন, এই এই কারনে এই হাদিস আমার কাছে সহী মনে হয় না, ইত্যাদি।
যাইহোক, নিচের ছবিটুকু দেখুনঃ (পাঠকদের প্রতি অনুরোধ, ছবিটা ভাল করে দেখে নিন)
[img]http://i50.tinypic.com/wso75k.jpg[/img]
রাসূল সাঃ এর একটি হাদিস বহু ভিন্ন ব্যাক্তির বর্ননা ঘুরে স্থান পেয়েছে। হাদিসটিতে দেখুন চেইন অব নেরেশন একটি নয়, অনেক গুলি। বুঝতে বাকি থাকে না, তারা কত কষ্ট করে এগুলো সংগ্রহ করেছেন। ছবির ডান পাশে রাসূল সাঃ এবং তার থেকে শুনেছেন আরো আট জন সাহাবী এবং এই আঠ জন থেকে বহু মানুষ। লাল বক্স গুলো বর্ননাকারিদের থেকে হাদিস বিভিন্ন বইগুলিতে স্থান পেয়েছে।
@ফুয়াদ,
আপনাকে এক অতি সাধারন প্রশ্ন করি। ইসলামী বিধানে ‘মুহাম্মাদের’ কোন কাজের সমালোচনাকারী শাস্তি কি?
@গোলাপ,
ইসলাম অনুষারে এক মাত্র আল্লাহ পাক বাদে কেউ ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে নয়। পৃথিবীর সব মানুষের ভুল হয় এবং রাসুল সাঃ ও একজন আমাদের মত মানুষ কিন্তু আমাদের আহলে সুন্নাতুয়াল জামাতের মতে যেহেতু উনার উপর ওহী নাজিল হত, তাই তিনি ভুল করার সাথে সাথেই আল্লাহ পাক তা ঠিক করে দিতে্ন, যদিও তিনি ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে নন। রাসুল সাঃ এর বিভিন্ন কাজের উপর বিতর্ক আপনি করতে পারবেন, তবে তা অবশ্যই সত্য বুঝার জন্য করতে হবে। সাহাবীগন আমাদের নিকট অতী সম্মানী। কিন্তু তারাও ভুলের বাহিরে নন। কিন্তু তাদের ভুল নিয়ে তাদের প্রতি অসম্মান দেখানো আমাদের পক্ষে অন্যায়। এ জন্য সাহাবীদের কাজও যে যেরূপ করেছিলেন ঠিক সেই রূপ লিপিবদ্ধ করা যায়, কিন্তু তাদের নিয়ে তুচ্ছ তামাশা করা আমাদের জন্য খুব অন্যায়। কারন তারা হয়ত লাখে একটা ভুল করেছেন, আমরা লাখের মধ্যে হয়ত নয়শত নিরানব্বইটা। এ জন্য আমরা সকল সাহাবীদের নামের শেষে রাঃ লাগাই, ঠিক তেমনি সকল নবীদের নামের শেষে আঃ এবং সকল ইসলামের শ্রেষ্ট ও সম্মানী ব্যাক্তিদের নামের শেষে রঃ লাগাই।
আপনি নিশ্চই মিথ্যা অপবাদ কি জিনিস তাহা বুঝেন। আপনি সমালচনার নামে মিথ্যা অপবাদ দিবেন সেটা কিসের ভিত্তিতে ন্যায্য হল ? তা কি বুঝাতে পারবেন। তুচ্ছ তামাশা একটা জিনিস, মিথ্যা অপবাদ আরেকটা জিনিস, সত্যের বিকৃতি করা আরেকটা জিনিস, সমালোচনা করে একটা জিনিস, ভাল মন্দ বিচার করা ভিন্ন জিনিস।
যেমন ধরুন আপনাদের ভবঘুরে সাহেব উপরের পোস্টে বলেছেনঃ
এখানে উনি যে কাজটা করেছেন সেটা সমালোচনা নয়, একে বলা যাবে মিথ্যা অপবাদ।
আরেকটি উদাহারন দেখুন উপরের প্রবন্ধেইঃ
উনার এই বক্তব্য হচ্ছে মিস রিপ্রেসেন্টেশন, কারন তিনি যে বক্তব্যের উপর এই উপসংহার টেনেছেন তা হলঃ স্ত্রীলোকটি আমার দিকে অগ্রসর হয়ে একটা শয়তানের রূপ ধারন করল
এই বাক্য কখনই প্রকাশ করে না, “স্ত্রী লোক হলো শয়তান” । এই অন্যায় উপস্থাপনা ১ ইচ্চাকৃত হতে পারে, ২ মুসলমানদের প্রতি ঘৃনায় অন্ধত্বের জন্য অনিচ্ছায় হতে পারে।
এগুলো কি আপনার দৃষ্টিতে ঠিক সমালোচনা ? খোলা মনে উত্তর দিয়েন। উপরের লেখক সম্পর্কে যদি আমাদের বক্তব্য জানতে চান তাহলে বলব দেখতেঃ
লেখক যেসব অন্যায় করবেন তার প্রতিটিই তিনি নিজেই সে সময় দেখতে পারবেন। ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ,
অনুগ্রহ করে আমার লেখায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ধরে নিলাম আপনার কথামত আমি অপবাদই দিয়েছি। কিন্তু যে হাদিস উল্লেখ করে বিষয়টি বলেছি , সেটা কি আপনার খেয়াল ছিল উক্ত মন্তব্য করার আগে ? সেটা হলো –
ওখানে দেখুন পরিস্কার ভাবে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে- নবীর কি এত শক্তি ছিল ?
কেন জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে? কারন আগেই বলা হয়েছে- নবী দিনে রাতে পালাক্রমে তার স্ত্রীদের সাথে মিলিত হতেন।
এখন যে ব্যাক্তি পালাক্রমে দিন ও রাতে তার স্ত্রীদের সাথে সহবত করেন ও যার যৌনক্ষমতা ছিল ৩০ জন পুরুষের সমান, যদি তার সম্পর্কে বলা হয় যে সে কারনে তার ১৩ টা স্ত্রী ও সমসংখ্যক দাসি দরকার পড়ত, এতে অযৌক্তিক কি বলা হলো ভাই ? যদি দেখা যেত তার ৩০ জনের সমান যৌনক্ষমতা থাকার পরেও শুধুমাত্র নিজের সংযম সাধারন মানুষকে প্রদর্শনের স্বার্থে মাত্র একজন স্ত্রীলোকের সাথে বসবাস করতেন তাহলে আমরা তাকে সত্যি সত্যি একজন মহান মানুষ হিসাবে গণ্য করতাম। সেটা হতো আমাদের মত সাধারন মানুষের জন্য অনুকরনীয়। অথচ আপনার নবী কি করছেন? ১১ জনের সাথে দিনে রাতে সহবত করার পরেও তিনি যখন রাস্তায় বের হন তখন তিনি নারী দেখলেই সাথে সাথে উত্তেজিত হয়ে পড়েন যা আবার লেখা আছে সহি হাদিসে। তার মানে তিনি কি সব সময়ই উত্তেজিত থাকতেন ? সুবহানআল্লাহ। আপনার কি বোধ বুদ্ধি কিছুই নেই? কিছুই কি বোঝেন না এসব হাদিসের বর্ননা পড়ে ও তার সমার্থক কোরানের আয়াত পড়ে ? যিনি কাম যাতনায় সর্বক্ষন উত্তেজিত থাকতেন বলেই হাদিসের বর্ননা থেকে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে ও কোরান তা সমর্থন করেছে- সে লোককে আপনি কোন কান্ড জ্ঞানে আল্লাহর নবী ভাবতে পারেন ? আপনার পাশে জানা শোনা কেউ যদি হুবহু একই রকম ভাবে উত্তেজিত হয়ে দিনে রাতে তার ৪ জন স্ত্রীর সাথে মিলিত হয় , ও চান্স পেলে ঘরের কাজের মেয়ের সাথেও মিলিত হয়, আপনি তাকে কি বলবেন ? বুকে হাত দিয়ে বলুন তো ? মোহাম্মদ কি এর চাইতে ভাল কোন আচরন প্রদর্শন করেছে ? হাদিস কি বলে ? যে লোকের অন্যতম কাজই হলো- দিন ও রাতে এগারো জন স্ত্রীর সাথে পালাক্রমে মিলিত হয়ে সহবত ( যৌন ক্রিড়া ) করা , যা আবার আমাদের নিজেদের বানান কথা না, খোদ সহি(পরীক্ষিত) হাদিসের কথা ,সেই লোককে আপনি আল্লাহ প্রেরিত নবী বা সর্ব শ্রেষ্ট মানুষ ভাবতে পারেন কিন্তু আমাদের বোধ বুদ্ধি এতটা লোপ পায়নি যে এমন একটা কামুক ও যৌনতাড়িত লোককে আমরা আপনার মত করে ভাবব।
@ভবঘুরে,
আপনার কথাগুলিতে যুক্তির কিছুই পেলাম না, যা পেলাম তা কিছু ইমোশনাল বক্তব্য। তথাপি আপনি আমার দ্বিতীয় উদাহারন কে আমলে আনেনি।
প্রথমেই বলে নেই, আমার প্রথম মন্তব্য হাদিস সংগ্রহকারী বাক্তিদের অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রতি সাক্ষী দিয়েছে, যা আপনার প্রবন্ধের প্রথমাংশের জবাব।
যাইহোক, চলুন আপনার লেখা হাদিসটি দেখে নেইঃ
আমি এই হাদিসের যে অনুবাদ পড়েছিলাম তা ছিল ভিন্ন। সে যাইহোক, আপনার দেওয়া হাদিসটি ইউনিভার্সিটি অব সাওদ্রান কেলিফোর্নিয়ার ডাটা বেইজে দেখি কি আছেঃ
এখানে ভিজিট শব্দটাকে আপনার দেওয়া অনুবাদে মিলিত হওয়া হয়েছে। দেখা করাকেও মিলিত (সাক্ষাত) হওয়া বলা যায়। কিন্তু আপনি কি বলেন দেখিঃ
তারমানে আপনি ধরে নিয়েছেন, মিলিত হওয়া মানে যৌন মিলিত হওয়া। আপনি কোন বাক্যের কোন অর্থ ধরবেন সেটা আপনার বিষয়, কিন্তু সাধারন মানুষ কেন ধরে নিবে যে অর্থ আপনি ধরে নিয়েছেন ? তারপরও আপনি যে অর্থ নিয়েছেন সেই অর্থ নিয়েই আমি কাজ করব।
আসুন এবার যুক্তিতে চলে যাই, আপনার দেওয়া অনুবাদ দিয়েই। এখানে বলা হয়েছেঃ “ নবী দিনে রাতে পালাক্রমে তার স্ত্রীদের সাথে মিলিত হতেন,আর তার স্ত্রীর সংখ্যা ছিল এগার”
ক) এই বাক্যে প্রকাশ করে না, রাসূল সাঃ এর ১৩ জন স্ত্রী লাগত। “কাউরো ১৩ জন স্ত্রী আছে”, আর “কাউরো ১৩ জন স্ত্রী লাগে” কথার মাঝে বহুত তফাত।
খ) এই বাক্যে এও প্রকাশ করে না যে তার ১৩ জন দাসী লাগত। এমন কি তার ১৩ জন দাসী আছ, এমন কিছুও প্রকাশ করে না। কিন্তু লেখক বলেছেনঃ “তাই তার ১৩টা স্ত্রী আর সমসংখ্যক দাসী লাগে”-ভবঘুরে। সেজন্য সমসংখ্যক দাসীর ব্যাপারটা সম্পূর্ন মিথ্যা-অপবাদ।
তারপর দেখুন নিচের কথাটি, এটি রাসূল সাঃ এর নিজের কথা না, আনাস রাঃ রা বলতেন অথবা শুনেছেন “ আমরা শুনেছি নবীর শক্তি ছিল ত্রিশজন মানুষের সমান”। নোটে রাখুন এটি রাসূল সাঃ এর কথাও নয়, এবং আল কুরানের কথাও নয়, এটি মানব নির্মিত শুনা কথা।
মূল আলোচনায় ফিরে যাই। জনাব ভবঘুরে সাহেব, আমি তো প্রমান করলাম আপনি রাসূল সাঃ এর উপর মিথ্যা-অপবাদ(খ নম্বর আর্গুমেন্ট) দিয়েছেন। আমি জানি মানুষের ভুল হয়, আপনিও মানুষ তাই আপনার ও ভুল হয়েছে। তবুও আমার জানার ইচ্ছা এই ভুল আপনি ইচ্ছাকৃত করেছেন, নাকি অজান্তে করেছেন। যদি ইচ্ছাকৃত করে থাকেন, তাহলে কেন করেছেন ?
আপনার ইমোশনাল প্রশ্নগুলির ব্যাপারে বলি, আপনি (হযরত) মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ (আমরা মসুলমান রা সাঃ পড়ব) কে নবী হিসাবে বিশ্বাস করবেন, কি না করবেন তা আপনার একান্তই নিজস্ব ব্যাপার। এ জন্যই এটিকে বিশ্বাস বলা হয়। যেমন, সূর্য আছ্ তা কি আপনি বিশ্বাস করেন ? এই প্রশ্ন অবান্তর। কিন্তু যদি বলেন আলেকজেন্ডার দা গ্রেইট খুন হয়ে ছিলেন, তা কি আপনি বিশ্বাস করেন ? এটি বাস্তব প্রশ্ন। কেউ বলতে পারে করি, কেউ বলতে পারে করি না। ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ,
ভাই, অত্যন্ত দু:খের সাথে জানাচ্ছি যে , আপনার চোখ ও বিবেচনাবোধ দুটোই গেছে। আপনি বলেছেন-
আপনার চোখ ও বিবেচনাবোধ থাকলে এ প্রশ্ন করতেন না। কেন জানেন ?
আবার আলোচ্য হাদিসটি দেখুন-
কাতাদা বর্নিত: আনাস ইবনে মালিক বলেন, “ নবী দিনে রাতে পালাক্রমে তার স্ত্রীদের সাথে মিলিত হতেন,আর তার স্ত্রীর সংখ্যা ছিল এগার।আমি আনাসকে জিজ্ঞেস করলাম- “ নবীর কি এত শক্তি ছিল ?” আনাস উত্তর দিলেন-“ আমরা শুনেছি নবীর শক্তি ছিল ত্রিশজন মানুষের সমান”। বুখারি, বই-০৫, হাদিস-২৬৮
এখানে visit অর্থ যদি শুধুমাত্র দেখা সাক্ষাত বুঝাতো এর পর পরই – নবীর কি এত শক্তি ছিল?– এ প্রশ্নটি হাদিসে আসত না। এ শক্তি দিয়ে কি বোঝানো হচ্ছে? এর পরেই কিন্তু আরো পরিষ্কার করে সেটা বলা হয়েছে সে শক্তিটা কি – তা হলো – “ আমরা শুনেছি নবীর শক্তি ছিল ত্রিশজন মানুষের সমান”।
এখন আপনার কি ধারনা এটা কি কায়িক শক্তি? নাকি যৌন শক্তি ? একটু বিবেচনা বোধ থাকলেই যে কেউ সহজেই বুঝতে পারে এ শক্তি শব্দ দিয়ে কায়িক শক্তি বোঝাচ্ছে না , বোঝাচ্ছে বিশুদ্ধ যৌনশক্তি। কেন ? কারন কোন প্রসঙ্গে এ শক্তি বিষয়টা আসছে ? আসছে স্ত্রীদের সাথে নবীর দেখা সাক্ষাতের বিষয়ে। আর স্ত্রীদের সাথে সাক্ষাত যদি স্রেফ সৌজন্য বা খোশ গল্পের সাক্ষাত হয়ে থাকে তাহলে ৩০ পুরুষের কায়িক শক্তির উপমাটা এখানে যে আসে না। আর যেহেতু বহু স্ত্রীদের সাথে পালাক্রমে দেখা করা উপলক্ষ্যে মোহাম্মদের শক্তি হলো ৩০ পুরুষের সমান- এ উপমাটা দেয়া হচ্ছে , এর সোজা অর্থ তার ৩০ পুরুষের সমান যৌন শক্তি ছিল সেটাই এখানে বলা হচ্ছে- বিষয়টা আপনি বুঝতে না পারলেও অন্যরা ঠিক ই বোঝে, কারন তাদের মাথা আপনার মত এখনও বদ্ধ হয়ে যায় নি। তার মানে ইংরেজী Visit এর এ হাদিসে সোজা অর্থ এখানে সহবত বা যৌনকার্য এর উদ্দেশ্যে দেখা করা, সৌজন্য সাক্ষাত বা খোশ গল্পের সাক্ষাত নয়।
@ভবঘুরে,
কথা এরিয়ে যান কেন ? আপনার অনুবাদের আপনার ব্যাক্ষাকৃত অর্থ ধরেই আমি পুরো জবাব সাজিয়েছি। (পাঠকদের অনুরোধ করব আমার জবাব গুলি পড়ার জন্য) যুক্তিদিতে আপনার ব্যার্থতা এবং দোষ স্বীকার না করার মন মানষিকতা আমাকে ঠিক তেমন অবাক করেনি। ঠিক তেমনি আমি আশ্চার্যিত হয়নি আপনার প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে অবেজ্ঞাসূচক বক্তব্য গুলিতে। একটি জাতিকে নিয়ন্ত্রন করতে এবং বিচার-সালিশ করে ভিন্ন ভিন্ন সমস্যা সমাধান করে বিভিন্ন বাড়িতে যেতে যতেষ্ট শক্তি ও সামর্থ থাকা প্রয়োজন তা আজকের মানুষ নয়, পৃথিবীর যে কোন যুগের মানুষের-ই জানা থাকার কথা। তথাপি আপনি জানেন না বলে, আমি আকাশ থেকে পরিনি। পরার কথাও না। তাছাড়া, আমি আপনার ব্যাক্ষা ধরে নিয়েই বক্তব্য দিয়েছি, যা চোখ এড়িয়ে যাবার কথা নয়। ধন্যবাদ।
মুক্তমনা এডমিন,
আমি বহুদিন ধরে এখানে কমেন্ট করি। আমি কোন অযৌক্তিক কথা বা দ্বাবীর যৌক্তিক সমালচান করে যদি কোন পোস্ট দেই একজন আল্লাহ পাকের বান্দা, মানুষ এবং মুসলিম হিসাবে, তাহলে কি আমার পোস্ট পাবলিশ করা হবে ? এবং যেকোন প্রকার সংঘবদ্ধ আক্রমনের ব্যাপারে কি ন্যায়ের পক্ষে নেওয়া হবে? তাহলে যদি সময় সুযোগ করে কিছু কথা লিখতাম।
-ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ,
“ঠিক তেমনি আমি আশ্চার্যিত হয়নি আপনার প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে অবেজ্ঞাসূচক বক্তব্য গুলিতে” হবে না, হবে “ঠিক তেমনি আমি আশ্চার্যিত হয়নি আপনার, আমার প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে অবেজ্ঞাসূচক বক্তব্য গুলিতে” । টাইপো মিসটেইকের কারনে আমার শব্দটি উঠে গেছে।
@ফুয়াদ,
আপনি যেহেতু দীর্ঘদিন মুক্তমনায় আছেন, সেহেতু অবগত আছেন যে মুক্তমনা মডারেশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করে থাকে। কে কোন ধর্মালম্বী সেটাকে আমরা বিবেচনায় নেই না। সবাইকে মানুষ হিসাবেই গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আপনি যদি মুক্তমনার নীতিমালা মেনে যৌক্তিক কোন লেখা দেন, অবশ্যই তা প্রকাশিত হবে। সংঘবদ্ধ আক্রমণের বিপক্ষে মুক্তমনার নীতিমালা পরিষ্কার। এরকম কিছু হলে, নিশ্চিত থাকুন, মডারেশন কমিটি ন্যায়ের পক্ষেই থাকবে।
@মুক্তমনা এডমিন,
ভাল লাগল (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F)
@ফুয়াদ,
কিন্তু মুশকিল হলো মুক্তমনা এডমিন যখন আপনার পক্ষে কথা বলবেন তখন বলবেন মুক্তমনা এডমিন ন্যায়ের পক্ষে আছে, আর উলটো ব্যাপার ঘটলে বুঝতেই পারছেন কি বলা হবে। আসলে ন্যায়-অন্যায়ের বিচারটাতো অনেক সময়ই দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভরশীল হয়ে পরে।
@ফুয়াদ,
আমরা তো সেই অপেক্ষাতেই বসে আছি বহুদিন। এবারে তা হলে আপনার একটু হুশ হলো ? তবে বিনীত অনুরোধ – আপনি কি বিশ্বাস করেন আর করেন না তার ফিরিস্তি দিয়ে কিছু লিখলে তা এখানে প্রকাশিত হতে নাও পারে। কারন সত্যিকার অর্থে এ ব্লগে যারা বিচরন করে , তারা মনে হয় কারও ব্যাক্তিগত বিশ্বাসের ফিরিস্তি শোনার ধৈর্য্য রাখেন না। মোহাম্মদ যেমন রাস্তায় নারী দেখলে ধৈর্য্য ধারন করতে পারতেন না , দৌড়ে একজন স্ত্রীর কাছে যেতেন ঠান্ডা হতে। আমরা অতটা অসভ্য নই যে রাস্তায় নারী দেখলেই দৌড়ে স্ত্রীর কাছে ছুটে যাব তবে কারও ব্যাক্তিগত বিশ্বাসের ফিরিস্তি শোনার ব্যপারে ধৈর্য্য বড়ই কম। বিষয়টা মনে রাখলে বড়ই খুশী হব।
@ফুয়াদ,
এসব মোহাম্মদের একান্ত নিবেদিত প্রান সাহাবীদের কথা। আর এসব কথা বার্তা যারা সংরক্ষন করে রেখেছে তারাও নিবেদিত প্রান। এখন এসব কথা গুলো নবীর আসল চরিত্র ফাঁস করে দিচ্ছে বলে – আপনাদের বড়ই সমস্যা হচ্ছে- আপনার মনের যাতনা দেখে আপনাদের মত মানুষের জন্য বড়ই করুণা হচ্ছে।
আপনার বাকী সব কথা নিতান্তই ফালতু জ্ঞান করে আর উত্তর দিলাম না। ভূল আমি না , ভূল আপনি বা আপনার মত মানুষেরা করছে। আপনারা যত তাড়াতাড়ি ভুল শুধরে সত্যের পথে আসবেন ততই আমাদের মুসলমান জাতির মঙ্গল- বেশী দেরী করলে সমূলে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। এখন আপনি সিদ্ধান্ত নিন , কোনটা আপনার পছন্দ- ভালভাবে বেচে থাকা , নাকি সমূলে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ?
@ভবঘুরে,
কি আজব, একটি কথাতেও যুক্তি আনতে পারতেছেন না। সুন্দর করে যুক্তিদিন, তা নাহলে এত এত সব লোক যে আপনাকে বাহবা দিয়ে গেল, তার কি হবে ? দেখুন, আমি বলেছি “নোটে রাখুন এটি রাসূল সাঃ এর কথাও নয়, এবং আল কুরানের কথাও নয়, এটি মানব নির্মিত শুনা কথা।” এই কথার পিছনে আপনার দেওয়া অনুবাদ ডাইরেক্ট জরিত। এই কথার মধ্যে আমি কি ভুল বললাম, সেটা যৌক্তিক বিচারে বলুন তো ?
আপনার বাকি পড়ামর্শ গুলি আউলিয়ে গেছে। দেখুন তো এ সব কথার কি কোন জবাব হয় ঃ
আপনি আমার পয়েন্ট গুলি নিয়ে আলচনায় যাচ্ছেন না কেন সেটাই বুঝতে পারলাম না। অদ্ভুত !
যাইহোক, মুক্তমনার যৌক্তিবাদের দ্বাবীদার মানুষ গুলি গেলেন কই ? আপনারা উনাকে কিছু বুঝান।
@ফুয়াদ,
এখানে strength বলতে কোন ধরনের strength-এর কথা বলা হয়েছে বলে আপনার মনে হয়? তা হলে বুঝা যাবে “The Prophet used to visit all his wives” বলতে কোন ধরনের visit বোঝানো হয়েছে।
কারো যদি ১৩ জন স্ত্রী থাকে তো স্ত্রীদের সাথে যৌন মিলন হয়েছে এটা বলাতে অসুবিধা কোথায়? আফটার অল, ইসলাম অনুসারে নবীতো অন্যায় কিছু করেননি!
সাধারন মানুষের মাথায় এই সোজা হিসাবইতো আসার কথা।
@ব্রাইট স্মাইল্,
আপনার কথা সত্য, রাসুল সাঃ তার বিবাহ করা বউয়ের কাছে গেছেন এতে কার কি সমস্যা থাকতে পারে। খুব স্বাভাবিক, এতে তিনি সামান্য-ও দোষ বা অন্যায় করেননি, বরং উনার সাম্যবাদের মহত্বই প্রকাশ করে। কিন্তু হাদিসের ব্যাপারে, ব্যাক্ষা পরে আগে আসল ঘটনা কি হল সেটাই বলতে হবে এক্সাক্টলি। কোন সিননিম বা কাজিন ওয়ার্ড ও ব্যাবহার করা উচিত নয়। যদিও সবাই যে উচিত-অনুচিত মেনে চলবে তা কিন্তু নয়, কারন বিভিন্ন মানুষের ভিন্ন প্রকার অভিজ্ঞতার জন্য বাক্যের অর্থ গ্রহন করার তারতম্য হয়। আপনি যে মিনিং নিয়েছেন, তা আরেকজন নিতে বাধ্য নয়, যদি আপনি বাধ্য করেন তাহলে আপনি স্ট্যালিন, মাও হিটলারদের চেয়ে কোন অংশে কম নন। তথাপি আমার নেওয়া ভিজিট শব্দটি কে আপনার কাছে কি অধিক যুক্তি সম্পন্ন মনে হচ্ছে না ? আপনার খোলা-মনের কমেন্ট আমার ভাল লেগেছে, দয়া করে সৈকত চৌধুরি সাহেবকে করা আমার কমেন্টি দেখে নিন। আশা করি ভাল লাগবে এবং আমার বক্তব্যের বাকি অংশ বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ,
একজন মানুষ যদি দুশ্চরিত্র, লম্পট না হয় তাহলে তার একাধিক বৌ একসময়ে থাকে কীভাবে? বৌ মারা গেলে বা ডিভোর্স হয়ে গেলে তার পরে যে কেউ চাইলে আবার বিয়ে করতে পারে কিন্তু বৌ বর্তমান থাকা অবস্থায় যে লোক বিয়ে করে সে লোক তো মহালম্পট।
@তামান্না ঝুমু,
আপনার বক্তব্য গুলিতে কি কোন যৌক্তি আছে ? একটু ভাল করে দেখুন তো কি বলেছেনঃ
আপনার কথা হল একাধিক বঊ থাকলেই লম্পট, এছাড়া তেমন কিছু আপনার বক্তব্যে পাইনি। কেউ দশটা বিবাহ করলেই কি সে দুঃশ্চরিত্রের হয়ে যায়, মনে করুন ১০০০ বছর আগের এক ব্যাক্তি ৫ বয়সেই তার বিয়ে হল, তার বাবা মা তাকে আরো পাচটি বিবাহ দিল। এতে কি প্রমান হল ? সে লম্পট কিভাবে হল ? বউ থাকলেই লম্পট সেটা আপনার নিজস্ব আবেকপ্রবন সিদ্ধান্ত। সেক্সই যদি লম্পটের মান দন্দ হয়, তাহলে সব বিবাহিত ব্যাক্তি এবং অবিবাহিত ব্যাক্তিই লম্পট। কিন্তু তাহা সম্ভব নয়। বিবাহিত স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক সম্পূর্ন আইনগত বৈধ। এটা কোন অবৈধ সম্পর্ক নয়, যে যাকে তাকে এর ভিত্তিতে লম্পট বলবেন। জাস্ট এ সব ঘৃনা প্রকাশ করে নিজের মনকে বুঝ দিতে পারবেন, “দেখ মুসলিমরা খারাপ, মুসলিমদের নবী ভাল নয়” ইত্যাদি। কিন্তু বস্তবতা বড়ই ভিন্ন, কারন আমরা মসুলমানরাও মানুষ, সুখে আমরাও হাসি, বিপদের আমরাও কাদি। আমরা কোন ভিন গ্রহের এলিয়েন নই। ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ,
ভাল কথা, কিন্তু তামান্না ঝুমু যা বলতে চেয়েছেন তার মানে হলো যদি কোন পরিনত বয়স্ক ব্যাক্তি স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আরও আট দশটা বিয়ে করে তাকে কি বলা হবে ? আর সেই ব্যাক্তি যদি হন আমাদের মহানবী যার জীবনাদর্শ সকল যুগে সব মানুষকে অনুসরন করতে হবে , তাহলে ? ১০০০ বছর আগে হয়ত এটা খারাপ দেখাত না , কিন্তু বর্তমানে খারাপ দেখায়। তার মানে তার অগনিত বিয়ে আজকের যুগের মানদন্ডে লাম্পট্য। তাহলে তার জীবনের আচার আচরন আজকের যুগের জন্য অচল। বিষয়টা এরকম হলে তার জীবনাচরন সর্ব যুগের জন্য আদর্শ হয় কেমনে ? সমস্যাটা তো সেখানেই। আপনার সমস্যা হলো আসল বিষয় এড়িয়ে আলোচ্য বিষয়ের গতির দিক পাল্টাতে চান। মোহাম্মদের ১৩ কেন ১৩০০ টা বিয়েও আমাদের জন্য কোন সমস্যা না। সমস্যা হচ্ছে যখন আপনাদের মত মানুষ বলেন তার জীবনাচরন সর্ব যুগের মানুষের জন্য আদর্শ। এবারে আপনি বলবেন – তিনি তো কোরানে বলেছেন মাত্র ৪ টা বিয়ে করতে। কথা হলো সেই ৪ টা বৌ একসাথে রাখাটাও কি লাম্পট্যের পর্যায়ে পড়ে না ? এবারে বলবেন- যদি একটা বৌ থাকে আর সে বন্ধ্যা হয় তাহলে সে তো আরও তিনটা বিয়ে করতেই পারে। সে ক্ষেত্রে স্বামী প্রবরটি যদি সন্তান দানে অক্ষম হয় – তাহলে কি নিদান ? আবার কোরান বলছে – সব স্ত্রীর সাথে সমান আচরন করতে হবে । কিন্তু স্বয়ং নবী কি সেটা করতে পেরেছিলেন তার জীবনে ? আপনারা সবাই তো জানেন তিনি তার কনিষ্ঠা বালিকা বধু আয়েশাকে সবচাইতে বেশী ভাল বাসতেন। আর সেকারনেই তো – অন্য একটা আয়াতে আল্লাহ বলছে-
তোমরা কখনো ভার্যাগনের মধ্যে সমতা রক্ষা করতে পারবে না যদিও লালায়িত হও, তবে সামগ্রিকভাবে ঝুকিয়া পড়িও না যে অপর স্ত্রীকে ঝুলানবৎ করিয়া রাখিবে এবং যদি সংশোধন কর এবং উভয়ে যদি পৃথক হইয়া যায়, তবে আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাকারী দয়ালু। এবং যদি উভয়ে পৃথক হইয়া যায় তবে আল্লাহ আপন উদারতায় প্রত্যেককে অমুখাপেক্ষী করিয়া দিবেন। সূরা-৪: নিসা, আয়াত:১২৯-১৩০
এর মানে কি ? এর সোজা মানে হলো- স্বয়ং নবী নিজেই সকল স্ত্রীর প্রতি সমান আচরন করতে পারতেন না ,বিষয়টা তার সাহাবীদের নজরে আসে, অথচ বৈচিত্রময় যৌনজীবনের জন্য অনেকগুলি স্ত্রীও দরকার, তাহলে কি করা ? সহজ নিদান- আল্লাহর নামে ওহি আনা। এতে করে সাহাবীদেরকে ধোকাও দেয়া গেল , ডজন খানেক স্ত্রী নিয়ে ফুর্তি করার সুযোগও পাওয়া গেল , একই সাথে সাহাবীদেরকেও কমপক্ষে চারটি স্ত্রী নিয়ে ফুর্তি করার সুযোগ দেয়া গেল। আপনার ভোতা মাথায় এসব না ঢুকলেও বাকীদের মাথা তো আপনার মত ভোতা না। আপনিও একটু মাথাটাকে রিফ্রেশ করে নিন , সবকিছু আপনার কাছেও ফকফকা মনে হবে। আর এ কেমন মানুষ যে নিজে আচরন না করে অন্য মানুষকে আচরন করার উপদেশ দেয় ? নিজে বিয়ে করবেন ১৩ টা , আর তার সাগরেদদেরকে বলবেন ৪টা , এটাই তো প্রমান করে এ লোক ভূয়া ছাড়া আর কিছু না। আপনি যদি কাউকে মদ পান করতে নিষেধ করেন, প্রথম উচিত আপনার মদ পান বন্দ করা। মোহাম্মদের এ ধরনের একটা কাহিনী তো আমরা জানি। সেই মিষ্টি পছন্দ করা ছেলেকে মিষ্টি না খেতে উপদেশ দেয়া। কাহিনীতে তো বলা আছে মোহাম্মদ নিজে প্রথম মিষ্টি খাওয়া বন্দ করেন ও তারপর উপদেশ দেন,কারন তিনি নিজেই মিষ্টি খাওয়া পছন্দ করতেন। এ ক্ষেত্রে যে নীতি তিনি অনুসরন করলেন , বিয়ের ক্ষেত্রেও সেই নীতি অনুসরন করলেন না কেন ? এবারে আপনি হয়ত বলবেন- মোহাম্মদকেও তো আল্লাহ আর বিয়ে না করতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু কখন ? যখন তার বয়স অলরেডি ৬০ হয়ে গেছে আর তার হারেমে ১১ স্ত্রী জীবিত আছে। প্রশ্ন হলো- ৪টা বিয়েই যদি নিদান হয়ে থাকে , মোহাম্মদের যখন ৪টা বৌ ছিল তখন কেন তিনি এ আয়াত নাজিল করলেন না ? এবারে আপনার উত্তর হবে – সেটা তো আল্লাহই জানেন ভাল। কেন এ উত্তর হবে জানেন ? কারন এর পর আপনি আর যুক্তি দিয়ে এগোতে পারবেন না। কিন্তু যদি মোহাম্মদের চরিত্র বুঝতে পারেন , তার স্বভাব বুঝতে পারেন তাহলে দেখবেন আল্লাহর হস্তক্ষেপ ছাড়াই সব ব্যখ্যা করা যাচ্ছে।
@ফুয়াদ,
:lotpot:
অভিযোগ দুইটা;
১) নবীর বিয়ে কেউ ৫ বছরের দিয়ে দেয় নি তাহলে হয়তো এত দোষ দেয়া হত না, উনি শুরু করেছেন ৫০ পার হওয়ার পর :-Y
২) আর রবীন্দ্রনাথও বাল্য বিবাহ করেছিলেন সেটাও এখনকার স্ট্যান্ডার্ডএ অন্যায় কিন্তু তারপরও তাকে দোষারোপ করিনা কারন উনিতো মহামানব নয়জে প্রচলিত রীতির বাইরে যেতে পারবেন। কিন্তু আপনাদের মহান নবীকে আল্লাহ সতর্ক করেন নি ক্যান যে এখন যেই কাম করছে সেইটা কিন্তু ২০১১ সালে বিশ্বের (প্রায়)সকল দেশের আইন অনুসারে ধর্ষন, আমি রিপিট করছি ধর্ষনের কাতারে পড়বে!! কারন মেয়ের ইচ্ছা থাকুক আর নাই থাকুক কোন দেশে ১৮ কোন দেশে ১৬ এর নিচে মেয়ের সাথে সেক্স করা মানেই ধর্ষন এর কাতারে পড়ে।
নবীজি এই কথাটা কেন আগে থেকে জানলো না?
@টেকি সাফি,
বিবেকবান আমজনতার কাছে যা ধর্ষন ঈশ্বরের বিজ্ঞ চোখে তা কর্ষন। তিনি উপর থেকে সব সরাসরি সম্প্রচার দেখেন কিন্তু প্রতিকারে এগিয়ে আসেন না বরং বলতে পারেন উপভোগ করেন আর কি!
মনে রাখবেন- ঈশ্বর যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন। 🙂
@টেকি সাফি,
দেয় তো নাই, বরং দেখা যাচ্ছে এ বিয়ে করতেও মোহাম্মদকে নানা ছলা কলা করতে হয়েছে। এমনকি আয়শার কাছে পরিস্কার থাকার জন্য পরে তাকে বানিয়ে বানিয়ে মোহাম্মদকে বলতে হয়েছে- আমি তোমাকে বেহেস্তে স্বপ্নে দেখেছিলাম, যেখানে ফেরেস্তারা বলেছিল তুমি আমার স্ত্রী। কেন এসব বানান কথা বলতে হয়েছিল ? কারন একটাই – আয়শা যখন যুবতী নারীতে পরিনত হয় তখন তার কৌতুহল জাগে , আল্লাহর নবী সর্বশ্রেষ্ট মানব ৫১ বছর বয়েসে কিভাবে তাকে বিয়ে করতে পারে যখন তার বয়স ছিল মাত্র ৬ ?
@ফুয়াদ,
১০০ বছর আগে কোন বিবাহিত পুরুষের বৌ বর্তমান থাকার পরও যদি তার বাবা মা তাকে বিয়ে দিতে চায় তাহলে সে যদি বিবেকবান হয় তবে বলবে ” আমার বৌ আছে আমি বিয়ে করবো কেন, আমি আমার বৌয়ের প্রতি অবিচার করব কেন?” এ সে এ অমানবিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে।
বৌ থাকলেই সে লম্পট সেটা আমি বলিনি। আমি বলেছি বৌ বর্তমান থাকা অবস্থায় যে বিয়ে করে সে লম্পট।
আমার কাছে সেক্সই লাম্পট্যের মানদন্ড নয়। যে কোন ব্যক্তি যদি বহুগামী হয় সে আমার কাছে লম্পট। কিছু মনে করবেননা , আপনার কাছে লাম্পট্যের মানদন্ড কী? বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক? ্তাও যদি হয়ে থাকে তবুও তো মোহাম্মদ লম্পট। কারণ দাসী ও যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে তো বিবাহ ছাড়াই সংখ্যাবিহীনভাবে নিশ্চিন্তে যৌনক্রিয়া চালানো যায়। এবং তিনি নিজেও সে মহান কাজ করেছেন।
সব মানুষই সুখে হাসে দুঃখে কাঁদে। কোরানের অমানবিকতা ও সর্বসাধারণে লাম্পট্যের লাইসেন্স প্রদানের হিরিক দেখেতো আমাদের হাসি আসেনা ,গভীর বিষাদ-বেদনায় অন্তর ভ’রে যায়। আমরা তো চাই সব মানুষ শান্তিতে মানবিক জীবন যাপন করুক,বানোয়াট গ্রন্থের নৃশংস বাণীগুলো ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে প্রাণ ভ’রে হাসুক।
@ফুয়াদ,
শুধু গিয়েছেন তাই নয়, স্ত্রীদের সাথে পালাক্রমে যৌন মিলনের বিষয়টি সম্পুর্ন প্রাসংগিকভাবেই আসবে এই কারনে যে একই হাদীসে এই প্রসংগে শারীরিক strength-এর কথা উল্লেখ আছে (যদিও অজানা (?) কারনে আপনি তা ঊল্লেখ করা থেকে বিরত থেকেছেন), কিন্তু আপনি আমার কথা সত্য বলে মেনে নিয়েছেন এই বলে যে
তা হলে ভবঘুরের এই কথায় আপনার আবার কি সমস্যা হচ্ছে বুঝা যাচ্ছেনা।
@ব্রাইট স্মাইল্,
সবাই বিষয়টা বুঝতে পারে , পারে না শুধু বিশ্বাসীরা । কারন শ্রেষ্ট মানব মোহাম্মদ ১১ টা স্ত্রীর সাথে দিনে রাতে পালাক্রমে রতিক্রিয়ায় ব্যস্ত থাকবেন, এটা মহামানবের চরিত্রের সাথে মানায় না – সেখানেই আসলে সমস্যাটা। অথচ বাস্তবতা সেটাই। এই বাস্তবতাকে এড়ানোর জন্য এখন বলা হচ্ছে হাদিস মানব রচিত। কিতাব আকারে যখন লিখিত তখন তো তা মানব রচিতই হবে, কিন্তু কোন মানব রচিত ? সেই সব মানব রচিত যাদেরকে আমরা একনিষ্ট নিবেদিত প্রান মুসলমান হিসাবেই এতদিন জেনে এসেছি। কোরান কি মানব রচিত নয় ? জিব্রাইল কি কোরানের ফটোকপি সেই লাওহে মাহফুজ থেকে বয়ে এনে মোহাম্মদকে দিয়ে গেছিল নাকি ? তা দিয়ে গেলে তো এত সমস্যা হতো না।
@ফুয়াদ,
দেখেন তো শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক হাদিসটির কি অনুবাদ করিয়াছেন-
নবি (সাঃ) একই রাত্রে বা দিনে পরপর (মধ্যবর্তি গোসল ব্যতিরেকে) ১১ বিবির সহিত সঙ্গম করিতেন। (৯ জন বিবাহ সুত্রে ও ২ জন শররিয়তী স্বত্বাধিকার সুত্রের)।
[দ্র: বোখারী, ১ম খণ্ড, আজিজুল হক, হাদিছ নং-১৯০, হামিদিয়া লাইব্রেরী]
এই হাদিসটি পাবেন বুখারি শরিফের বাংলা অনুবাদের এই অংশ থেকে- (পৃষ্টা ১৯৪, হাদিস নম্বর ১৯০)
http://www.banglakitab.com/BukhariShareef/BukhariShareef-ImamBukhariRA-Vol-1-Page-167-219.pdf
আর সম্পূর্ণ বুখারির অনুবাদ ডাউনলোড করতে হলে
http://www.banglakitab.com/BukhariShareef.htm
@সৈকত চৌধুরী,
লেখকের দেওয়া অনুবাদের উপর-ই আমি যুক্তি দিয়েছি, উনি আমার যুক্তিটা পাশ কেটে আমি উনার অনুবাদের যে দুর্বলতা তুলে ধরেছি সেটাকে হাইলাইট করেছেন। আমি পরিষ্কার বলেছিঃ
আমি অনুবাদটি কেন দুর্বল তা সুস্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছি, আমার মনে হয় না আপনার দ্বিমত করার কিছু আছে, তবুও বলে রাখা ভাল, শায়খুল হাদিস আজিজুল হক সাহেব জ্ঞানী মানুষ, উনি উনার জ্ঞানের অনুষারে ঐ অর্থ নিয়েছেন, ব্রেকেটে-ও কিছু লেখেছেন, যা গনীতের নিয়মের বিরুদ্ধে। আজিজুল হক সাহেব খুব সম্ভবত, এই ঘটনাকে মিরাকেল মনে করছেন। আপনাদের ঐ একই ঘটনাকে মিরাকেল বলে মেনে নেওয়াতে ঠিক দুইটি সমস্যা আছে।
সমস্যা ১ঃ যদি ঐ ঘটনাকে আপনি মিরাকেল হিসাবে মেনে নেন, তাহলে আপনি রাসুল সাঃ মিরাকেল করতে পারেন মেনে নিলেন। অর্থ্যাৎ, আপনি উনাকে রাসূল হিসাবে স্বীকার করে নিলেন।
সমস্যা ২ঃ যদি ঐ অর্থ না নেন, তাহলে অভিযোগ সেখানেই খতম, অভিযোগ তোলাই সম্ভব হবে না।
উপরন্তু আপনারা যে অর্থ নিতে চাইছেন, তার উপর আমার করা কমেন্ট ভবঘুরে সাহেবের অভিযোগ সমাধান করতে সক্ষম। তাই আশা করব, কাউকে অন্ধ সমর্থন না দিয়ে, তার ভুল গুলো তাকে ধরিয়ে দিবেন। এতে করে, তার এবং আপনার, এমনকি সকল পাঠক বৃন্দের উপকার হতে পারে। এবং এটাই কি করা উচিত নয় ?
@ফুয়াদ,
মাওলানা আজিজুল হকের অনুদিত সহিহ বোখারী থেকেঃ
১.১৯১ আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেন, (হজ্জের সফরে) রসুলুল্লাহ ছাল্লালাহু অসাল্লামকে সুগন্ধি লাগাইয়া দিয়াছি। তিনি স্ত্রীগণের সহবাসে গোসল করিয়া এহরাম বাঁধিয়াছেন—ওই সময় শরীর হইতে সুগন্ধি নির্গত হইতেছিল। (ইংরাজি হাদিস 1.5.267, 270)
আমার ব্যক্তিগত মত বাদ দিলাম
এই হাদিস ব্যাপারে আপনার কি ্মন্তব্য?
@ফুয়াদ,
আপনার মতে উপরোক্ত বক্তব্যের প্রকৃত অর্থ কি ? নাকি এটা একটা রূপক যা ইদানিং আপনারা ব্যপকভাবে আবিষ্কার করে চলেছেন ?
@ভবঘুরে,
একটা হতে পারে স্ত্রীলোকদের শয়তান বলা হয়েছে অথবা শয়তান এসেছিলো স্ত্রীলোকের রুপ ধরে, কিন্তু আমি হাসতে হাসতে মরছি নবি স্পষ্ট করেই ঘোষনা করছে স্ত্রীলোকটি আমার দিকে অগ্রসর হয়ে একটা শয়তানের রূপ ধারন করল অর্থাৎ উনি বুঝলেই এইটা আসলে শয়তান…তারপরও উনি উত্তেজিত হয়ে গেলেন… ব্যাপক হাসি পাইতেছে :lotpot: :lotpot:
@ফুয়াদ,
আপনাকে একটা সোজা প্রশ্ন করেছিলাম, “ইসলামী বিধানে ‘মুহাম্মাদের’ কোন কাজের সমালোচনাকারী শাস্তি কি?”
তার উত্তরে আপনি আগডুম-বাগডুম অনেক কিছু লিখেছেনঃ যেমন,
কেউ ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে নয় এটা পৃথিবীর তাবৎ মানুষ, ‘যার একটা মাথা’ আছে, সবাই জানে। “ইসলাম অনুষারী” হওয়ার প্রয়োজন নাই।
“ভুল করার সাথে সাথেই আল্লাহ পাক তা ঠিক করে দিতে্ন” তা আপনি কিভাবে জানলেন? আপানার মন্তব্য সত্যি হলে ‘মুহাম্মাদের যাবতীয়’ কাজ-কর্ম-আদেশ-নিষেধ” সবই আল্লাহর দ্বারা “এডিট” হয়ে পাবলিকের কাছে আসছে। সুতরাং মুহাম্মাদ (মানুষ হিসাবে) যদি ভুল করেও থাকে “সাথে সাথেই আল্লাহ পাক তা ঠিক করে দিতে্ন”। আল্লাহ (বিশ্ব-স্রষ্ঠা) ভুল করেন (আবিশাস্য প্রস্তাবনা) এটাতো ভাবা ই যায় না। সুতরাং মুহাম্মাদের (আল্লাহর) কাজের কোনই ভুল নেই। তাই তদের কাজের কোন বিতর্ক অসম্ভব! মুহাম্মাদ ও তার আল্লাহর অবিশ্বাসী হলে পরিনাম কি হবে তা আগের কিছু মন্তব্যে লিখেছিলাম। দেখুন এখানে, এখানে। । ও মা তার পরেই দেখি,
বিশ্বাসীদের কাছে আল্লাহ /রসুলের (always promptly edited by Allah) কাজের কোনই ভুল নেই। তারা তো এটা সত্য বলে ধরেই নিয়েছে। “অবশ্যই সত্য বুঝার জন্য” বিশ্বাসীরা আরো প্রশ্ন করতে যাবে কেন? সত্যের উপর সত্য, তার উপরে সত্য জানার জন্যে? এটা তাদের জন্যে বেশ রিস্কি (!?) কারন, অবিশ্বাসীদের শাস্তি কি তা তো আল্লাহ(মুহাম্মাদ) কুরানের পাতায় পাতায় বর্ননা করেছেন- তা হবে দুনিয়াতে (মুস্লীমরা ক্ষমতাধর হলে -মদীনার আয়াত), আর আখেরাতে (ক্ষমতাধর না হলে – মক্কার আয়াত)।
মিথ্যা অপবাদ বলতে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন তা ‘মোটেও” স্পষ্ঠ নয়।
লেখক এখানে ‘রেফারেন্সের’ সহ লিখেছেন।তার নিজের বাখ্যাও দিয়েছেন। আপনার কাছে তার ব্যখ্যা আরেক রকম মনে হলে আপনিও পাল্টা রেফারেন্স দিয়ে লেখক /পাঠকদের সাহায্য করুন। মুক্তমনার পাঠকরা উচ্চ শিক্ষিত। তারা আলোচনার মধ্য থেকে আসল সত্যটাকে ঠিকই ধরতে পারবেন।হতাস হওয়ার কিছু নেই।
ফুয়াদ সাহেব, মুহাম্মদের কাজের “সমালোচনা কারীদের” কি অবস্থা মুহাম্মাদ এবং তার সাংগ-পাংগোরা কি নিষ্ঠুরতা এবং প্রফেশানাল সন্ত্রাসী কায়দায় দমন করেছিলেন তা ‘ইসলামীক ইতিহাসে’ অত্যন্ত স্পষ্ঠ। ইস্লামের ইতিহাসের তিনটি রেফারেন্সস্থল “সীরাত, হাদিস এবং কুরান”। আমি এ তিনটি স্থান থেকেই আলাদা আলাদা করে রেফারেন্স দিচ্ছি।
১) সীরাতঃ
অল্প কিছুদিন আগে আদিল মাহমুদের সাথে আমার প্রাস্নগিক মন্তব্য বিনিময় হয়েছিল, দেখুন এখানে।
মাক্কায় মুহাম্মদের যখন “শক্তিমান” হয় নাই, সে সময়েও কুরাইশদের “দেব-দেবী ও পূর্ব-পুরুষদের” তাচ্ছিল্যকারী মহাপুরুষ মুহাম্মাদের কাজের প্রতিবাদকারীদের মুহাম্মাদের হুমকীঃ “will you listen to me O Quraysh? By Him who holds my life in His hand ‘ I bring you slaughter’.
মদীনায় বানু কুরাইজার হত্যা-কান্ড (মুহাম্মদার সন্দেহ হেতু) ও অন্যান্য ইহুদী জনপদের উপর ম্যসাকার! ৫ সন্তানের মা আসমা-বিন্তে মারোয়ান কে খুন।
২) হাদিসঃ
রাতের অন্ধকারে কাপুরুষ ডাকাত /সন্ত্রাসী ( বলেছেন সাহাবীদের সমালোচনা করা যাবে না – দুঃখ পাইলে মাপ কইরেন !) ক্বাব বিন আশরাফ (Sahi Bukhari -V-5, B-59, N-369): , আবু আফাক (Sahi Bukhari -V-5, B-59, N-371) নৃশংষ হত্যাকান্ড, বানু কুরাইজার গন- হত্যা (Bukhari -V-4, B 52, N 280), ইত্যাদি।
৩) কুরানঃ
মুহাম্মাদের হুকুম বিশ্বাসীদের জন্য অবশ্য পালনীয়, সমালোচনার কোন প্রশ্নই আসে না। তা না মানলে কি হবে? মুহাম্মাদের সৃষ্ট আল্লাহ বলছেনঃ (অল্প কিছু নমুনা)
Muhammad (Allah) commanded to obey Muhammad by referring it from Allah:
Sura Al Imran (Chapter 3) – Medina
Sura Al- Nesa (Chapter 4) –Medina
Sura Al- Araf (Chapter 7)
Sura Al-Anfal (chapter 8) – Medina
Sura Tawba (chapter 9) – Medina
এতো গেল মুহাম্মাদের জীবদ্দশার কাহিনী। পরের ঘটন কি? মুসলীম শাসন আমলে “Pact of Omar” জারী করে অমুসলীমদের মৌলিক সামাজিক-রাস্ট্রীয়-ধর্মীয় অধিকার লাঘব করে তাদেরকে “ধিমিনী” রুপে বেঁচে থাকার অধিকার দেয়া হয়েছিল।
মুহাম্মাদ সম্মন্ধে হাজারো বই লিখা হয়েছে এবং হবে। কিন্ত তার সঠিক “জীবনী” জানা সম্মভ নয়। সে পথ তিনি নিজেই বন্ধ করে দিয়ে গিয়েছেন। তার সমালোচনার শাস্তি “দুনিয়া ও আখেরাতে।” আপনি শুধু তার প্রশংসা করতে পারবেন, সাল্লালাহু আলাইহে সালাম’ বলতে হবে প্রায় বাধ্যতামুলক ভাবে। তাই তার “সঠিক জীবনী” জানা সহজ নয়! কিন্তু ইসলামকে “সঠিকভাবে” বুঝতে গেলে তার জীবনী যে জানতেই হবে। অন্য কোন বিকল্প যে নেই ভাই।
ভাল থাকুন।
@গোলাপ,
আচ্ছা যাইহোক, সমস্যা তাহলে কোথায়, আপনি যদি মনে করেন একজন বিশ্বাসীর সমালোচনা করার নিয়ম নাই, তাহলে নাই, বাস খালাস। (যার বিয়া তার খবর নাই পারা পরশির ঘুম নাই, বিশ্বাসীরা কি করবে না করবে এটা পুরোই বিশ্বাসীদের ব্যাপার)। কিন্তু সমালোচনার নামে মিথ্যা অপবাদ দিবেন, এই টিটকারি দিবেন সেই তামাশা করবেন, তা কেন অন্যায় হবে না ? আলোচনার মোর অন্য দিকে ঘুরিয়ে না নিয়ে, ভবঘুরে সাহেবকে আমি যে সব যুক্তি দিয়েছি, তার জবাব নিয়ে আসতে বলুন। সেটাই কি ভাল নয়, এতে আপনিও জানলেন, আমি ও জানলাম। জানার তো শেষ নাই। তাছাড়া আমার ইসলাম আমাকে শিখাবার দরকার নেই। মায়ের কাছে নানা বাড়ির গল্প বলা, বড়ই অদ্ভুত। আমরা বহু যোগ ধরেই, আলোচনা করেছি, রাসূল সঃ এই কাজ করেছেন? এটি কেন করেছেন? এটি কি অন্যায় নয়,যদি না হয়, তাহলে কেন নয় ? ইত্যাদি ধরনের প্রচুর আলোচনা, আর এসব আলোচনার মূল হল সত্য জানা, কাউকে টিটকারী কিংবা কাউকে নিয়ে তামাশা করা না। আর এই সব বিতর্কের ভিত্তিতেই আমরা সমাধানে আসি।
{পারলে, পয়েন্ট ভিত্তিক আলোচনায় থাকুন, তাহলে খুশি হব, কারন আমার একটা মাত্র ব্রেইন, দশজনের দশটা ব্রেইনের দশ বক্তব্যের দশ রকমের সমাধান দেবার মত ক্ষমতা আমার নেই, কারন আমি সাধারন মানুষ। আমি চাই, এই প্রবন্ধের বিপক্ষে আমার করা মন্তব্যগুলির উপর থাকবেন, সমুদ্রের মধ্যে মাছ একটি না, হাজারটি, হাজারটি মাছের হাজারটি সমাধানও আছে। ধন্যবাদ }
@গোলাপ,
শুধুমাত্র অন্ধ বিশ্বাসের ওপর কথা বললে আগডুম বাগডুম ছাড়া কি আর কিছু বলার থাকে ?
@ফুয়াদ,
আপনার বক্তব্য পরিষ্কার নয়। তাই বুঝলাম না কি বুঝাতে চাইলেন। আমার বক্তব্য হলো- শত বার পরীক্ষার পরও যদি কোন মুরিদ তার পীরের কার্যাবলী লিপিবদ্ধ করে তাহলে তার বর্ননাতে তার পীরের কোন নেতি বাচক কিছু উল্লেখ থাকবে না। পরীক্ষার প্রথমেই সেগুলি সেন্সর হয়ে যাবে। এটা মিস রিপ্রেজেন্টেশনের কি হলো? যাহোক আর একটু পরিষ্কার করে বললে উত্তর দিতে সুবিধা হতো।
@ভবঘুরে,
আমরা তা হতে দেব না। বিজয় আমাদের হবেই।
সহমত। (Y)
প্রতিটি পর্বে আপনি অসামান্য বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্তের যোগান দিয়ে একটি শ্বাস রুদ্ধকর সিরিজ শেষ করলেন সেই সাথে অনেক মুমিন বান্দার রাতের ঘুম ও হারাম করলেন।
আপনার প্রিতিটি সিরিজের বর্ননা ও প্রায়োগিক ক্ষমতা ছিল অনন্য অসাধারন। আমি এক মুমিন বান্দাকে দেখিছি আপনার সিরিজ গুলো পড়ার পর কিভাবে তার চিন্তা জগতে ধীরে ধীরে পরিবর্তনের হাওয়া লাগতে। সে আমাকে বলেছে- “আগে রোজা ভঙ্গ করার চিন্তা আমি কখনো কল্পনাও করতে পারতাম না অথচ এখন আমি রোজা রাখার কোন মানেই খুজে পাচ্ছি না”।
একটা সত্য কথন সিরিজ উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে (F)
ভালো থাকুন আমাদের জন্য আরো লিখতে থাকুন।
@লাইট ম্যান,
ভাই আপনাকে ধন্যবাদ তারিফ করার জন্য।
আমি ভীষণ দু:খিত যদি কারও ঘুম হারাম হওয়ার কারন হয়ে থাকি। আসলে কারো ঘুম হারাম করার জন্য এ লেখা নয়। আমি শুধুমাত্র সত্য প্রকাশ করার প্রয়াস থেকে লেখা লিখি করি। দেশে বিদেশে ঘোরার সময় লক্ষ্য করি জাতি হিসাবে আমরা মুসলমানরা কতটা পিছিয়ে আছি। তখন কারন খুজতে বসি কেন এমন। উপসংহারে আসি আমাদের অবস্থা যে এরকম তার প্রথম কারনই হলো – ইসলাম , আরও অনেকগুলো তো আছেই কিন্তু সর্বপ্রথম কারন এটাই। সুতরাং বলতে পারেন স্বজাতি প্রেম বা স্বদেশ প্রেম থেকেই আমি লিখি। যদি দু্ একজন মানুষেরই ঘুম ভাঙ্গাতে পারি। শুনে খুব ভাল লাগল আপনার পরিচিত একজন ঘুম থেকে জেগে উঠছেন।
@ভবঘুরে,
:clap :clap
:clap :clap :clap
:clap :clap :clap :clap
:clap :clap :clap :clap :clap
নানা কারণে বলতে গেলে ইচ্ছে করেই আপনার এ লেখার উপর মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছি। দাগী মানুষ তো, অনেকে অপবাদ দেন জোটবদ্ধ হয়ে মুসলমান, ইসলাম ও ইসলামের নবীর পেছনে লেগেছি। অনেকে মনে করেন ধর্মগ্রন্থের সমালোচনায় বিপরীত ফল হয়।
কাশেম ভাইও একদিন হুবহু এই কথা তার এক মন্তব্যে বলেছিলেন। দেখুন আপনার মন্তব্যে আপনি আমরা মুসলমান শব্দটি ব্যবহার করেছেন। আমরা যারা মুসলিম পরিবার থেকে এসেছি, মাদ্রাসায় পড়েছি, কোরান-হাদিস ও ইসলামের ইতিহাস জেনেছি, ধর্মের চড়-থাপ্পড়, উষ্টা-বিষ্টা খেয়ে বড় হয়েছি, অনেকে আমাদের এই অনুভুতিটা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হন।
এমন একটা তথ্য-রেফারেন্স সমৃদ্ধ লেখা চাট্টিখানি কথা নয়। আপনার সকল লেখা একত্র করে বই ফরমাটে নিয়ে আসুন। ই-বুক আকারে মুক্তমনায় রেখে দিন। কাউকে পার্সোন্যাল ই-মেইল দিতে বা ই-মেইলের উত্তর দিতে সতর্ক থাকবেন।
পরিশেষে, নিশ্চয়ই আপনার এ শ্রম বৃথা যাবেনা, কেউ না কেউ উপকৃত হবে, আপনার এই লেখা ঘুমন্ত অবচেতন একজন মানুষকেও যদি জাগাতে পারে সেটাই হবে লেখার স্বার্থকতা।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। (Y) (F)
– আকাশ।
@আকাশ মালিক,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ উৎসাহ দেয়ার জন্য। আপনিও আমার একজন প্রিয় লেখক। একদিন এক বন্ধুর কাছে আপনার নাম শুনে কৌতুহল বশত: নেট থেকে সংগ্রহ করে আপনার লেখা পড়ি ও বলা বাহুল্য আপনার ভক্ত হয়ে যাই। আবুল কাশেম ভাইয়ের মত আপনিও আমার লেখার একজন আলোক বর্তিকা।
মুক্তমনা যদি আমার লেখা গুলিকে ই-বুক আকারে রাখতে চায় , তা রাখতে পারে। আমার কোন আপত্তি নেই। সেক্ষেত্রে কোন লেখায় যদি কোন সংযোজন বা বিযোজন করা লাগলে করে দিতে পারি। আমার লেখার উদ্দেশ্য – কিছু মানুষকে জাগানো- বিখ্যাত বা কেউ কেটা গোছের কিছু হওয়া না। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি নিভৃত জীবন পছন্দ করি।
আবারও আপনাকে ধন্যবাদ।
সম্পূর্ন একমত। ভবঘুরে খুবই শক্তিশালী লেখক। এ ‘সিরিজটি’ তে সীরাত- কুরান-হাদিস থেকে প্রচুর তথ্য-রেফারেন্স দেয়া আছে। তার এ লিখা এবং মন্তব্য থেকে পাঠকরা অনেক তথ্য পাবেন।আগ্রহী পাঠকরা রেফারেন্সের মূল ‘উৎসে গিয়ে’ মুহাম্মদের ঘটনাবহুল জীবনের আরো অনেক অজানা তথ্য জানতে আগ্রহী হবেন।
@ভবঘুরে,
আমি মালিক ভাইয়ের প্রস্তাবের সাথে সহমত। জলদি ই বুকের ব্যবস্থা করেন।আমি নিশ্চিত এটা বাংলা ব্লগ আকাশে মালিক ভাইয়ের “যে সত্য বলা হয়নি” মত অরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বই হিসাবে বিবেচিত হবে।
@লাইট ম্যান,
আপনি হয়ত জানেন না, আকাশ মালিকের ঐ বইয়ের উপর কিছু লেখা দেওয়া হয়েছে যা কোন অজানা কারনে এড়িয়ে যাওয়া হয়। দেখে নিনঃ (অন্যান্য পাঠকরাও দেখে নিন)
সততার কাঠগড়ায় আকাশ মালিক : যে সত্য বলা হয়নি-১
সততার কাঠগড়ায় আকাশ মালিক : যে সত্য বলা হয়নি-২
অসততা বনাম অপারগতা: মুক্তমনা আকাশ মালিক
মুহাম্মাদ (সা.) নাকি পৌত্তলিক দেব-দেবীর উপাসনা করতেন !!!!!
{এখানে সদালাপের কোন লিংক নেই, সব আমার ব্লগ ডট কমের লিংক, তাই আনলিংক করার কোন যৌক্তিকতা নেই}
@ফুয়াদ,
পাগলে কি না কয়, ছাগলে কি না খায়। ওই সব সাইটে গিয়ে দেখলাম হুদা প্যাচাল। তেমন কেউ কোন কমেন্ট ও করেনি । কারন হুদা প্যচালের কমেন্ট করবে কোন পাগলে? সবাই তো পাগল না।
@লাইট ম্যান, আটলান্টিক মহাসাগোর থেকে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত | দীর্ঘ ৫০০ বছর ধরে যে রক্তের বন্যা বয়েছে তার জন্য ধায়ী হজরত মুহাম্মদ এর মতবাদ |
যদিও বিশ্বব্রহ্মানডে ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই তবুও বলি যদি ঈশ্বর বলতে কেউ থেকেও থাকে তবে তা ইস্লামের মত এত নিষ্ঠুর হতে পারে না it’s impossible.
@আস্তরিন,
একেবারে ১০০% ভাগ খাটি কথা। আল্লাহ যে এত নিষ্ঠুর, নির্মম হতে পারে কোরান বাংলায় পড়ার আগে আমি নিজেও বিশ্বাস করতাম না।
:lotpot: :hahahee:
@ ভবঘুরে, আপনার লেখা ভালো হয়েছে, তবে আরো ভালো হলে ভালো হত। লেখা ভালো লেগেছে। এখানে প্রাসঙ্গিক একটা লিঙ্ক দিচ্ছি। আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ। (Y)
@সবুজ বড়ুয়া,
আপনাকেও ধন্যবাদ এবং (F)
চমৎকার!
ভবঘুরেকে আবারও ধন্যবাদ।
@সফ্টডক,
আপনাকেও (Y)