লিখেছেনঃ হৃদয়াকাশ
আফ্রিকার একটি প্রায় ১০০% মুসলিম দেশ সোমালিয়া। জনসংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখের মতো। দেশটির পুরো জনগোষ্ঠিই এখন এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন। সেখানে প্রতিমিনিটে প্রায় ৬ জন করে শিশু মারা যাচ্ছে। এাণ কেন্দ্রগুলোতে আসার সময় লোকজন তাদের শিশু সন্তানদের পথে ফেলে দিয়ে আসছে। এক ত্রাণকর্মীর মতে, যারা ত্রাণ শিবিরে আসতে পেরেছে তারা ভাগ্যবান; কারণ, দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি এত ভয়াবহ যে অন্যদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। হাজার হাজার লোক পালিয়ে যাচ্ছে পাশের দেশগুলোতে একটু খাদ্য ও আশ্রয়ের আশায়।
এর মধ্যেও ইসলামিরা জঙ্গীরা থেমে নেই। আল্লা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তারা জানপ্রাণ। তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তারা বেশ আগেই নারী পুরুষের করমর্দন, একসঙ্গে উঠাবসা, চলাফেরা, গল্প করা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে; পাথর ছুঁড়ে হত্যা তো চলছেই- সম্প্রতি খ্রিষ্টানদের ত্রিত্ববাদের সঙ্গে মিল থাকায় তারা সেখানকার জনপ্রিয় খাবার সমুচাকে নিষিদ্ধ করেছে। একে ব্যাঙ্গ করে ধর্মকারীতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এর পর সেখানে তারা জ্যামিতির ত্রিভুজকে নিষিদ্ধ করে কিনা কে জানে। অবশ্য আর একটি ত্রিভুজ রয়েছে, হুমায়ূন আজাদের ভাষায় যেটা বিশুদ্ধ ত্রিভুজ; মেয়েদের যোনী। এই ত্রিভুজকে অবশ্য নিষিদ্ধ করার সম্ভাবনা সোমালিয়ার ইসলামী জঙ্গীদের নেই। কারণ, এই বিশুদ্ধ ত্রিভুজ ইসলামের নবী হযরত মুহম্মদের বরাবরই প্রিয় ছিলো, আর তার উন্মাদ সোমলিয়ান জঙ্গীদেরও খুব প্রিয় হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
অবশ্য এই বিশুদ্ধ ত্রিভুজ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল পুরুষের কাছেই খুবই আদরের জিনিস; কিন্তু ইসলামের নবীর কাছে এর কদর আলাদা। বিয়ের আগে ব্যাপারটা ভিন্ন হলেও বিয়ের পরে ম্যাক্সিমাম পুরুষই একটা বিশুদ্ধ ত্রিভুজে সন্তুষ্ট থাকে বা একটাতেই জীবন পার করে দেয়। অনেক মহাপুরুষই আবার এই বিশুদ্ধ ত্রিভুজের ধারে কাছেও ঘেঁষে না; যেমন- যীশু এবং হিন্দুদের প্রায় সব সাধু সন্ত। অনেকে আবার বিশুদ্ধ ত্রিভুজ গ্রহণ করেও মানব কল্যাণে তা ত্যাগ করে চলে গেছেন; যেমন- গৌতম বুদ্ধ, চৈতন্যদেব প্রমুখ। কিন্তু হযরত মুহম্মদের ক্ষেত্রে এই বিশুদ্ধ ত্রিভুজের ব্যাপারটা একেবারে অন্যরকম। প্রথম স্ত্রী খাদিজার চাকর কাম স্বামী হওয়ায়, তার খেয়ে প‘রে খাদিজার বিশুদ্ধ ত্রিভুজ ছাড়া অন্য কোনো ত্রিভুজের দিকে তাকানোর সাহস সেই সময় হযরতের হয় নি। কারণ এরকম হলে- হযরতের ভয় ছিলো- তার মায়ের মতোন, মায়ের বয়সী স্ত্রী তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেবে এবং তার পর চতুর্থ স্বামী হিসেবে অন্য কাউকে নিয়ে নেবে। তখন খাদিজার জন্য এটা কোনো ব্যাপারই ছিলো না, কারণ তার প্রচুর সম্পত্তির লোভে যে কেউ, যুবক থেকে বৃদ্ধ, তাকে বিয়ে করার জন্য সব সময় প্রস্তুত ছিলো। শুধু তার আহ্বানের অপেক্ষা। তা না হলে এরকম একটি অসম বিয়েকে মুহম্মদই বা হাসি মুখে মেনে নিলো কেনো ? তার কি যৌবনের স্বাদ আহ্লাদ ছিলো না ? দুই বার বিবাহিতা, দুই মেয়ের মা, ৪০ বছর বয়সী, ওরকম একটি ঢিলা খালে সাঁতার কাটতে চায় কোন যুবক ? মুহম্মদ এইসব কারণেই খাদিজাকে বিয়ে করেছিলো । জাস্ট তার ধন সম্পত্তির লোভে, অন্য কোনো কারণে নয়। যা হোক চতুর মুহম্মদ জানতো, খাল ঢিলা হোক আর যা ই হোক খাদিজার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অন্য কোনো ত্রিভুজ নিয়ে বিশুদ্ধ চিন্তা ভাবনা তার একেবারেই করা চলবে না। তাহলে বউয়ের বাড়িতে বসে বসে খাওয়া আর হেরা গুহায় গিয়ে বসে থেকে উল্টা পাল্টা চিন্তা করা তার লাঠে উঠবে।
বলছিলাম সোমালিয়ার কথা। সোমালিয়ার সুন্নি মুসলিমদের এই দুর্দিনে আল্লা কোথায়, কী করছে ? এই মুসলমানদের দুঃখ কষ্টে আল্লার কি একটুও কিছু যায় আসে না ? তারা যে না খেয়ে মরছে, তাতে কি আল্লার একটুও দরদ লাগছে না ? এরা আত্মঘাতী বোমা হামলায় আত্মঘাতী হয়ে মরছে না। আত্মঘাতী হয়ে মরায় একধরণের সুখ আছে। পরকালে বেহেশত আর হুর গেলমান পাবার সুখ। কিন্তু দুর্ভিক্ষে যারা মরছে তাদের তো সেই সুখ নেই। দুর্ভিক্ষ মানে ভিক্ষার অভাব; মানে কোথাও কোনো খাবার নেই; চারেদিকে হাহাকার। এভাবে মৃত্যু যে বড় কষ্টের। দিনের পর দিন না খেয়ে থেকে থেকে, অপুষ্টিতে ভুগে ভুগে, হাড় জিড়জিড়ে কঙ্কালসার হয়ে, চলৎশক্তি রহিত হয়ে আস্তে আস্তে মারা যাওয়া। এ মৃত্যু জঙ্গীদের বোমা গুলি খেয়ে মরার মতো অল্পক্ষণের কষ্টের মৃত্যু নয়। এ মৃত্যু দীর্ঘ কষ্টের মৃত্যু। আল্লা এ কষ্টের মৃত্যু মুসলমানদের কেনো দিচ্ছে ? তারা কি মুহম্মদের মহাউন্মাদ নয় ? আর মহাউন্মাদ কি আল্লার প্রেরিত রসূল নয় ? আল্লা তো মুসলমানদের জন্য পরকালের সুখের গ্যারান্টি দিয়ে দিয়েছে। তাহলে ইহকালে মুসলমানদের সুখে রাখতে তার সমস্যা কোথায় ? মুসলমান ছাড়া পৃথিবীর তাবৎ জাতি মোটামুটি সুখে শান্তিতে বাস করছে। তাদের যেটুকু অশান্তি তারও কারণ মুসলিম নামের এই অদ্ভুত চিন্তা ধারার কতিপয় কিছু অমানুষ। তো, আল্লার মনোনীত ধর্ম ইসলামের অনুসারী না হয়েও অন্যরা কিভাবে পৃথিবীতে এত ভালো জীবন যাপন করছে? যেখানে ইসলামিক কান্ট্রি মানেই ক্ষুধা, দারিদ্র, হানাহানি আর আত্মঘাতি বোমা।
পৃথিবীর ইতিহাসে কখনও কোথাও শুনি নি যে খ্রিষ্টান, ইহুদি বা বৌদ্ধদের দেশে কখনও দুর্ভিক্ষ হয়েছে। হিন্দু অধ্যুষিত ভারতের উড়িষ্যা ও বিহারে ১৯৭১/৭২ সালে একবার কিছুটা দুর্ভিক্ষ হয়েছিলো। তারও কারণ বাংলাদেশের মুসলমান। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্রায় ১ কোটি বাঙ্গালি ইন্ডিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নেয়; আর তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে গিয়েই ঐ এলাকা মুখোমুখি হয় খাদ্য সংকটের। তারপরও এটা তেমন একটা ভয়াবহ ছিলো না। কিছুদিনের মধ্যেই অন্যান্য এলাকা থেকে খাদ্য সামগ্রী এনে ভারত সরকার পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এর আগে ১৭৭৬ সালে বাংলায় একটা দুর্ভিক্ষ হয়েছিলো। যার মূল কারণ ছিলো ইংরেজদের শোষণ। কিন্তু আমার সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। আমার বিবেচ্য বিষয় সংখ্যাগুরু এ মুসলিম অঞ্চলে আল্লা দুর্ভিক্ষ হতে দিলো কেনো ? এরপর বাংলায় দুভিক্ষ হয় ১৯৪২ সালে। এখানেও প্রশ্ন একটাই। আল্লা কাদের পক্ষে, মুসলমানদের পক্ষে না অমুসলমানদের পক্ষে ? উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা বাদ দিলে বাংলা তথা বাংলাদেশে শেষ দুর্ভিক্ষ হয় ১৯৭৪ সালে। বঙ্গবন্ধুর পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারা, আমেরিকা বঙ্গবন্ধু সরকারকে সহযোগিতা না করাসহ অন্যান্য কারণ যা ই থাকুক ঘটনার মূল ভিকটিম তো মুসলমানরাই। আল্লা এটা কেনো হতে দিচ্ছে ? সকল ক্ষমতা তো তারই হাতে। তার ইশারা ছাড়া তো গাছের একটা পাতাও নড়ে না। তাহলে কি তারই ইশারায় সোমালিয়ার এই ১ কোটি ২০ লাখ মুলমান না খেয়ে ধুকে ধুকে মরছে ? এরপরও হয়তো সোমালিয়ার ক্ষুধার্ত মুসলমানরা মৃত্যুর পূর্বে, কথা বলার তো শক্তি নেই, মুখে বিড় বিড় করে বলছে, ‘লা ইলাহা ইল্লাহা মুহম্মদের রাসূলুল্লাহ।’ ভাবখানা এমন, এই দুনিয়ায় তো কোনো সুখ পেলাম না পরকালে যদি একটু সুখ পাই।
সত্যিই বড় অদ্ভুত জাতি এই মুসলমান। এরা চিন্তা করতে করে শিখবে ? কবে এরা বুঝবে, আল্লা বলে কেউ নাই। আর থাকলেও তার করার কিছু নাই। আল্লার যদি কিছু করার থাকতো তাহলে মুসলিম বিশ্ব আজ ক্ষুধা-দারিদ্র-পীড়িত আর গুলি-বোমায় রক্তকবলিত দোযখ নয়, বেহেশতে পরিণত হতো। কারণ, মুসলমানরাই আল্লার পেছনে সময় ব্যয় করে বেশি। আল্লার যদি কিছু দেওয়ার ক্ষমতা থাকতো তো তাদেরই দিতো।
ধরে নিলাম, মুসলমান ছাড়া পৃথিবীর সমস্ত মানুষ আল্লাই সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু কোরানের ভাষ্যমতে খ্রিষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধসহ অন্যরা তো আল্লার অবাধ্য সৃষ্টি। তো তাদের আল্লা এত ভালো রাখছে কেনো ? আল্লার সমস্ত রোষ মুসলমানদের উপর কেনো ? মুসলমানরা আল্লার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য দৈনিক পাঁচবার তার তোষামোদ করে। এক হাজার মাসে বছর আছে ৮৩ টা এবং ৮৩ বছরে ৮৩ টা ‘শব ই কদর’ এর রাত থাকলেও আল্লা বলেছেন, ’ শবে কদর সহস্র্র মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ’ কেনো এই আজগুবি কথা ? মুসলমানরা সেই প্রশ্ন না তুলে প্রতিবছরই সারারাত জেগে তোষামোদ আর কান্নাকাটি ক‘রে পরদিন কাজের ক্ষতি ক‘রে ঘুমায়। চোখের পানি আল্লার খুব পছন্দ, তাই শবে কদরের একরাতের চোখের পানিতে আল্লার মন ভরে না। এজন্য আল্লা মুসলমানদের কান্নাকাটির জন্য আর একটি রাত রেখেছে শব ই বরাত নামে। আল্লার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সেই রাতেও মুসলমানরা বিশুদ্ধ ত্রিভুজ অঙ্কণ বাদ দিয়ে তার তোষামোদ করে। জাকাতের নামে নিম্নমানের কাপড় চোপড় ফকির মিসকিনদের দেয়। গরীবদের দুঃখ কষ্ট বোঝার জন্য একমাস যাবৎ সারা রাত খেয়ে, সারা দিন না খেয়ে থাকে। আল্লার রক্ত পছন্দ বলে প্রতি বছর কুরবানীর নামে লক্ষ লক্ষ পশুর রক্তে পৃথিবীর মাটি ভিজিয়ে দেয়। আল্লা বলেছেন, রক্ত প্রবাহেই নাকি মুসলমানদের কল্যান। সেই জন্যই বোধ হয় মুসলমানরা রক্ত ঝরায় পশুর, সেই সঙ্গে মাঝে মাঝে মানুষেরও। সমর্থ মুসলমানেরা জীবনে একবার হজের নামে মরুভূমি থেকে আলহজ ডিগ্রি কিনে আনতে গিয়ে প্রতিবছর দেশের কোটি কোটি টাকা অপচয় করে। কাজ কাম বাদ দিয়ে সারা বছর চিল্লা দিয়ে বেড়ায়। পারলে যাকে তাকে ধরে মুসলমান বানানোর চেষ্টা করে আর ইসলামের দাওয়াত দিয়ে বেড়ায়। দাওয়াত কবুল না করলে আত্মঘাতী বোমায় কাফের মেরে নিজেদের বেহেশতে গিয়ে হুরের সঙ্গে ছহবত নিশ্চিত করে। এত কিছু করেও কেনো মুসলমানরা আল্লাকে সন্তুষ্ট করতে পারছে না ? কেনো যতসব প্রব্লেম মুসলিম দেশে ? খাদ্য নাই, বস্ত্র নাই, চিকিৎসা নাই। শুধু নাই নাই আর নাই। এত নাই এর মধ্যেও মুসলমানদের কি একবারও মনে হয় না যে, আল্লা নাই ?
এখনও পৃথিবীর ম্যাক্সিমাম দেশের ম্যাক্সিমাম লোক ধার্মিক; তারা কোনো না কোনো ধর্ম বিশ্বাস করে। কিন্তু যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করে অর্থাৎ নীতিনির্ধারক বা মাথা এবং যারা রাষ্ট্রের মগজ; যেমন- কবি, সাহিত্যিক, শিল্পি, বুদ্ধিজীবী, বিজ্ঞানী তাদের অধিকাংশই নাস্তিক। এই নাস্তিকদের সংখ্যা যে দেশে যত বেশি সেই দেশের উন্নতিও তত বেশি। নাস্তিকরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে, আর আস্তিকরা আল্লার দোহাই দিয়ে দেশকে পেছনে ধরে রাখে। এর ফলেই উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়। ধার্মিকদের ভয়ে অনেক সময় নাস্তিকরা তাদের বিশ্বাসটাকে পর্যন্ত প্রকাশ করতে পারে না। কারণ, চেয়ার আর মাথা যাবার ভয় সবারই আছে। সবাই তো আর হুমায়ূন আজাদ বা তসলিমা নাসরিন নয়। প্রত্যেকেই এক অলিক আল্লা আর তার দোযখের ভয়ে সন্ত্রস্ত।
মুসলিম দেশে দুর্দশার পরিমান বেশি; কারণ, মুসলিম দেশগুলোতে নাস্তিকতার কোনো স্থান নেই। তাই সেসব দেশ উন্নতি করতে পারে না। জন্মসূত্রে একজন লোক ধার্মিক হতে পারে, হয়ও; কিন্তু জন্মসূত্রে কেউ নাস্তিক হয় না। নাস্তিক হতে হলে তাকে প্রচুর পড়াশুনা করে জ্ঞানার্জন করতে হয়। এই জ্ঞান তখন সে দেশ ও জাতির উন্নতিতে কাজে লাগাতে পারে। তাছাড়া একজন নাস্তিক কখনও কোনো দেশ, জাতি ও রাষ্ট্র ও মানবতার জন্য হুমকি নয়, যতটা হুমকি বা ভয়ংকর একজন ধার্মিক। এরা ধর্মের নামে অবলীলায় মানুষ খুন করতে পারে, ধর্ষণ করতে পারে। ব্যক্তি বা রাজনৈতিক স্বার্থে দাঙ্গা লাগিয়ে হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেলতে পারে। হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ টুইন টাওয়ার ধ্বংস করতে পারে; এমন কি নিজেকে শেষ করে দিয়ে হলেও। কী ভয়ানক ব্যাপার ! কোনো কিছুই এসব ধার্মিকদের কাছে অসম্ভব নয়। কিন্তু একজন নাস্তিকের কাছে এসব একেবারে অসম্ভব। মানবতার বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
ধার্মিকদের কাছে সবকিছুই সম্ভব বলে অবলীলায় এরা দেশের ভেতরে যুদ্ধ লাগাতে পারে, দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এতে দেশের কোটি কোটি লোক না খেয়ে মরুক তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। আসে যায় না তাদের আল্লারও। এই পরিস্থিতিই চলছে সোমালিয়ায়। একদিকে দেশের লক্ষ লক্ষ লোক না খেয়ে মরছে, অন্যদিকে জঙ্গী গোষ্ঠি আল শাবাব তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ইসলামি শরিয়া আইন চালু করতে ব্যস্ত। লোকজন যে না খেতে পেয়ে দেশ ছাড়ছে এটা তাদের কোনো মাথা ব্যথার কারণ না। মাথা ব্যথা জাতিসংঘের লোকজনের। তারা সেখানে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছে আর সেখানকার বিদ্রোহী গ্রুপগুলো ট্রাকে হামলা করে সেগুলো লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এরপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাতিসংঘের লোকজন, যাদের সবাই প্রায় অমুসলিম, সোমালিয়ার লোকজনকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারপরও ইসলামী বিধান মতে এসব লোকজন কখনও বেহেশতে যাবে না। কারণ, তারা মুসলমান নয়। বেহেশতে যাবে তারাই যারা লোকজনকে না খেয়ে মারছে আর নিজেরা মরছে। কারণ, তারা নবীর উম্মত এবং নবী তাদের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, একজন উম্মত রেখেও তিনি বেহেশতে প্রবেশ করবেন না।
শেষে এসে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের একটি লাইন মনে পড়ে গেলো: ’ঈশ্বর থাকেন ভদ্রপল্লীতে, উহাকে এখানে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না।’ আমারও এখন তাই মনে হচ্ছে সোমালিয়ার দুঃখ দুর্দশাপীড়িত মানুষগুলোর মাঝে ঈশ্বর বা আল্লা এখন আর নেই। যেখানে তোষামোদ সেখানে আল্লা থাকে, যেহেতু সোমালিয়ানরা এখন খাবারের চিন্তায় ব্যাকুল তাই তাদের এখন আল্লাকে তোষামোদ করার সময় নাই, তাই আল্লাও সেখানে নাই। এখন আল্লা আছে ধনীদের শহর, নগর , গ্রাম আর ঝকমকে মসজিদে । আমি ঢাকায় থাকি। যেখানে ব্যঙের ছাতার চেয়েও মসজিদের সংখ্যা বেশি। এখানে এখনও খুব স্বাভাবিকভাবে মসজিদে আজান দেয়া হচ্ছে, লোকজন দামী পাজামা পাঞ্জাবী প‘রে মসজিদে আসছে। সেই আল্লাকেই, যে আল্লা গরীব দুঃখীদের পাশে থাকে না, তাকে তোষামোদ করে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে সোমালিয়ায় যে লক্ষ লক্ষ মুসলমান না খেয়ে মরছে তাতে তাদের কোনো বিকার নেই। না সাধারণ পাবলিকের, না সরকারের।
সোমালিয়ার দুরাবস্থা বর্ণনা করার আড়ালে লেখক একটি ধর্মানুসারীদের অত্যন্ত অশালীনভাবে ও বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব নিয়ে পোস্টটি লিখেছেন। একজন মানবতাবাদী হিসেবে বলব, পোস্টলেখক আর একজন মৌলবাদী ধর্ম ব্যবসায়ীর আচরণের মাঝে আমি তেমন কোন পার্থক্য খুঁজে পেলাম না। মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।
লেখাটি আগে পড়া হয়নি। এই সব লেখা এখন এড়িয়ে চলি। লেখাটি আমার বিচারে খুবই নিম্নমানের একটি লেখা যেটি মুক্তমনায় স্থান পাওয়ার মতো না। মডারেটররা এই সব লেখা ছাড় দিয়ে মুক্তমনার লেখার যে মান পাঠক ও লেখকদের সামনে তুলে ধরছেন সেটার পরিণতি ভালো হওয়ার নয়। তখন এই ধরণের লেখা আরো আসতে থাকবে। এই ধরণের লেখক, পাঠকদের আগমণ ঘটবে। মুক্তমনা একটি যুক্তিবাদী/বিজ্ঞান সাইট থেকে ইসলাম ব্যশিং সাইট হিসেবে পরিচিতি পাবে (এর মধ্যে সেটা বলাও হচ্ছে)।
আমার অনুরোধ রইবে লেখা পড়ে তারপর লেখা ছাড়ার। আমার ধারণা আমাদের বিজ্ঞ মডারেটরদের খুব ভালোই ধারণা রয়েছে কোনটা যুক্তি সঙ্গত লেখা আর কোনট বিদ্বেষ প্রসূত লেখা। আমি যুক্তি সঙ্গত লেখা পড়তে চাই, দেখতে চাই মুক্তমনায়। এই লেখার কয়েকটি লাইন পড়ে রীতিমত বমি আসছে যা আমি আর উদ্ধৃত করছি না। এরকম পাঞ্চ লাইন থাকার পড়েও কিভাবে লেখাটি ছাড় পায় বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছি :-X । মডারেটেররা কি আসলেই লেখাটি না পড়েই ছেড়ে দিয়েছেন?
আজ সকাল সাড়ে সাতটার আন্তরজালে বিবিসি বাংলার সংবাদে শূনলাম,হরন- অফ- আফ্রিকায়,সোমালিয়া সহ ১০ মিলিয়ন মানূষ চরম দূর্ভিক্ষ্যের শিকার হয়েছেন।
গত রাত্রের ১০ টার সংবাদে শূনলাম সেখানে”ইছলামিক গোষ্ঠি আলসাবাবজাতি সংঘের খাদ্য ত্রান কার্যক্রম বাধা গ্রস্থ করে দিচ্ছেন।
এখানে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তাহলে এটাই কি ইসলাম ধর্মের শিক্ষা দেওয়া মানবিকতার কাজ?
জাতিসংঘের ত্রান কর্মসূচীকে বরং “আলসাবাবের” সাদরে অভর্থনা করা কি উচিৎ ছিলনা?
এই ইহূদি নাছারারাতো তাদেরই দায়িত্ব পালনের জন্য সেখানে নিজেদের জীবনের ঝূকি নিয়ে হলেও মুসলমানদেরই জীবন রক্ষ্যার্থে গিয়েছেন।না কি?
ইসলামিক চিন্তাবিদ কেহ যূক্তিযূক্ত সহ ব্যাখ্যা দিলে কৃতজ্ঞ হইব।
ধন্যবাদান্তে
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
ও আমিনির চ্যালা আল আমিন। বাবা আমি বুঝতে পারছি তুই ভুল করে আমিনির মিছিল ভেবে মুক্তমনায় এসে হুমকি দিয়েছিস। তয় তোর ভয়ে লোকানোর কারণ নেয় রে বাপধন, মুক্তমনারা কখনো তোকে তাড়া করবেনা। শুধু ব্রেনটা হাঁটু থেকে মাথায় নিয়ে আস আর কাইট্টা ফালামু, খাইয়া ফালামু বাদ দিয়া একটু পড়াশুনা কর বাপধন।
@ রনদিপম বসূ
সব হাদিছই সঠিক হাদিছ নয় । অনেক জাল হাদিছ পরবর্তিতে নবীর নামে হাদিছে ঢূকানো হয়েছে।
হাছান মাহমূদের “শরিয়া কি বলে আমরা কি করি” বইটি পড়িলে জানিতে পারিবেন।
বইটি এখানে পাওয়া যাইবে http://www.hasanmahmud.com/j/
ধন্যবাদ
@আব্দুল হাকিম চাকলাদা,
আজ্ঞে আমিও শুনছি। বাংলা সিনেমার হাদীস।
“স্বামীর পায়ের নিচে ইস্ত্রীর বেহেশ্ত” খিক খিক! :lotpot:
জ্ঞানের জন্য সুদূর চীনদেশে যাও- জাতীয় প্রচলিত বক্তব্যটা যে কোন হাদীসে নেই, আজই জানলাম তা !
আর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিষয়টি কী বলবো ! দেখে দেখে ইদানিং অভ্যস্ত হয়ে গেছি, অনেককেই দেখি যে সাধ করে আগ বাড়িয়ে এসে যুক্তিহীনভাবেই বুক পেতে ঘা খান এবং তারপর ঘা দিয়েছে ঘা দিয়েছে বলে চেঁচাতে শুরু করেন ! কিন্তু সঠিকভাবে কোন যুক্তিই উপস্থাপন করতে পারেন না।
আমি যেটুকু বুঝি, ধর্ম হচ্ছে একটি রাজনৈতিক তন্ত্র। নইলে দেশে দেশে ধর্মীয় রাজনৈতিক দল চালু এবং তা প্রশ্রয় পেতো না। আর ধর্মকে যখন রাজনৈতিক মঞ্চে উঠাবেনই, তাহলে এর ব্যবচ্ছেদ তো হবেই ! যে কোন রাজনৈতিক তন্ত্রকে সমালোচনা করার অধিকার প্রতিটা নাগরিকের রয়েছে। জোর করে অন্যের উপর চাপাতে গেলে প্রতিবাদ হওয়াটাই স্বাভাবিক। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে এই ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর পার্থক্য হচ্ছে ধর্মীয় ব্যবহারিক বিধানগুলো বড় ব্যাকডেটেড। যা ধর্মীয় অনুভূতিসম্পন্ন ব্যক্তিরা বুঝতে চান না।
সোমালিয়ার মানবিক বিপর্যয়ের পেছনে এটা একটা বড় সমস্যা। ন্যানো-প্রযুক্তির যুগে এসে খড়্গ-তলোয়ারের মাহাত্ম্য গান মানায় না আসলে। একদিকে নাস্তিকদের উদ্ভাবিত আধুনিক কম্প্যুটার বাটন টিপবো, অন্যদিকে এসবকে গালাগাল করে অবৈজ্ঞানিক চিন্তার প্রসারে জিহাদ ঘোষণা কি প্রকৃতই ভণ্ডামো নয় !! যাঁরা ধর্মের ললিত বাণী শোনাতে মুখিয়ে আছেন, দয়া করে নিজেদেরকে আরেকটু আপডেট করুন। অন্তত চিন্তার দেয়ালটা উন্মুক্ত করে বিজ্ঞানমনস্ক যুক্তিবোধকে নিজের মধ্যে প্রবেশ করতে দিন। তুলনামূলক বিশ্লেষণ করুন। অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে যাবে আশা করি।
@রণদীপম বসু,
একেবারে খাঁটি কথা বলেছেন। পোস্টে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
@রণদীপম বসু,
হাদীসে এই কথা থাকলে সুদূর চীনদেশেও কোনকালে কোন না কোন নবীর পয়দা নিশ্চিত হইত।
@ভবঘুরে
মোহাম্মদ যে, যে কোন সাধারন মানূষের গূনাগৃনের উর্দ্ধে ছিলেন তার একটি প্রমান নীচে দেখুন।
আমি ছোট বেলায় কোন এক ওয়াজ মাহফিলে গিয়েছিলাম।সেখানে তৎকালীন একজন কোরান হাদিছে বিশেষ অভিজ্ঞ্ মাওলানা ও সূমধুর বক্তা
(বূলবূলে পাকিসতান নামে খ্যাত) কোরান হাদিছ দ্বারা বূঝিয়ে ছিলেন যে
“কাফেরদের অনূরোধে মহাম্মদ তার নবীত্বের সত্যতা ণ্রমাণের জন্য আকাশের চন্দ্রকেও পর্যন্ত তার হাতের আংগূলের একটি মাত্র ইশারায় জনসম্মূখে সম্পূর্ন ভাবে দ্বিখন্ডিত করে দিয়েছিলেন”
এটা কোরানেও ছূরা “কমর” এর ১ম বাক্যে এবং হাদিছেও নাকি বিশদ ভাবে বর্নিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে যূক্তিযূক্ত মন্তব্য জানালে কৃতজ্ঞ হইব॥
ধন্যবাদান্তে
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আব্দুল হাকিম চাকলাদা,
হযরত মুহম্মদের সূরা কমরের চাঁদ দ্বিখন্ডিত করার ঘটনাটি, যদি ঘটে থাকে, আজ থেকে ১৪০০ বছর আগের ঘটনা। চাঁদ শুধু আরব থেকেই দেখা যায় না, পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকেও দেখা যায়। পৃথিবীর ইতিহাসে শুধু ১৪০০ বছর বা তার পরের ঘটনাই নেই, তার আগের ঘটনাও আছে। চাঁদ যদি দ্বিখন্ডিত হতো, সেটা যেভাবেই হোক, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের লোকজনও তা দেখতো এবং ইতিহাসে তা লেখা থাকতো। এরপরেও সূরা কমরের ব্যাপারে যদি আপনার বিশ্বাস না টলে তাহলে জোতির্বিজ্ঞান নিয়ে অন্তত কিছুটা পড়াশুনা করুন, তাহলে বুঝতে পারবেন আমাদের সৌরজগতের গ্রহ এবং উপগ্রহগুলোর যে চরিত্রপ্রকৃতি তাতে কোনো মানুষের পক্ষে চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করা সম্ভব নয়।
@হৃদয়াকাশ,
হ্যা ভাই,
এটাতো আমারো প্রশ্ন।জ্যতির্বিজ্ঞানের জ্ঞান না থাকলেও, আকাশের চাদ দ্বিখ্ন্ডিত হয়ে গেল,আর শূধূ মাত্র নবীর সন্নিকটস্থ কিছূলোকই এই নৈসর্গিক ঘটনাটি দেখতে পেলেন অথচ অন্ন্যান্ন্য অন্চলের লোকেরা দেখতে পারলনা কেন?
আপনার যূক্তিযুক্ত ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ,
আবারো দেখা হবে
ভাল থাকূন
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@হৃদয়াকাশ,
চমৎকার একটি যুক্তি দিয়েছেন ভাই।
আপনার ইতিহাসের জ্ঞান দেখে আমি মুগ্ধ।
আপনি কি খেয়াল করেছেন, আপনার এই উক্তি দিয়ে আপনি পৃথিবীর সমস্ত বয়স্কা নারী, যারা বেশী বয়সে অধিকতর কম বয়সের পুরুষ বিবাহ করেন, তাদের সবাইকে অপমান করছেন? সমাজে বিভিন্ন ধরণের রুচি থাকতে পারে, সেগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন সভ্যতার পরিচয়। এ ধরণের উক্তি বিকারগ্রস্থ যৌনবাদী (sexist) মনের পরিচয়।
আপনার এই উক্তিগুলি প্রমাণ করে, আপনি বস্তুনিষ্ঠ লিখায় আগ্রহী নন। একজন অন্ধ ইসলামী মৌলবাবাদীর মত আপনিও একজন অন্ধ মুসলিম বিদ্বেষী।
এ ধরণের নিম্নস্তরের রচনা বাদ দিয়ে আসুন আমরা একটা সমাজ গড়ার চেষ্টা করি, যেখানে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, অন্যান্য প্রাকৃতিক ধর্মাবলম্বীরা এবং নাস্তিকরা নির্ভয়ে পাশাপাশি বাস করতে পারে। একমাত্র শর্ত, একজনের মতাদর্শ অনুযায়ী জীবনযাপনের ব্যাপারে অন্যজন যেন বাধার সৃষ্টি না করে। আপনি হয়তো বলতে পারেন, এ জিনিসটা তাত্ত্বিকভাবেই সম্ভব না। কিন্তু যারা অন্ধ বিদ্বেষ না নিয়ে ধর্মীয় পুস্তকগুলো (যে কোন ধর্মই হোক) পড়তে পারঙ্গম, তারা আমার মত সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন। এ ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই।
আপনার যুক্তির ধরণটা ইসলামী মৌলবাদীদের মত। আপনার ইতিহাসের জ্ঞানের আরো একবার প্রশংসা না করেই পারছি না। আজ পর্যন্ত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুইজন গণ নিধনকারী (mass murderer) হিসাবে ধরা হয় হিটলার এবং চেঙ্গিস খানকে। এদের দুইজনের কেউই কিন্তু ধার্মিক ছিলেন না। কাজেই মানবতার জন্য হুমকি হওয়ার ব্যাপারে ধার্মিকতা বা অধার্মিকতা কোন মাপকাঠি নয়।
আপনার কিছু কিছু কথার সঙ্গে আমি একমত। যেমন নাস্তিকরা আমাদের সমাজে মৌলবাদীদের উগ্র অসহনশীলতার জন্য নির্ভয়ে তাদের মত প্রকাশ করতে পারেন না। যে কোন সভ্য নাগরিক এ অবস্থার অবসান কামনা করবেন। তবে ইসলামী মৌলবাদীদের এই জঙ্গী উত্থান ঠান্ডা যুদ্ধের অবসানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নাকি দৈবক্রমে যুগপৎ সংঘটন, আশা করি কোন চিন্তাবিদ এ বিষয়ে লিখবেন।
আপনার পুরো লেখাটাই মুসলিম বিদ্বেষে ভরা। আপনার মত বিদ্বেষী দৃষ্টি নিয়ে যে কোনো ধর্ম বা যে কোনো মতাদর্শ পড়লে আপনার মতই নিম্নস্তরের সাদাকালো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে, এটা কোন আশ্চর্য বিষয় নয়। এ ধরণের লেখার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, Islam bashing-এ আত্মতৃপ্তি লাভ করা। এটা কখনই মুক্ত মনের পরিচয় হতে পারে না।
আর আপনার খোদা, গড, ভগবান কিংবা ইহোভা সম্পর্কে ধারণা এতটাই primitive যে, এটা নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছাটা পরিত্যাগ করতে হচ্ছে। যার যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ সম্পর্কে ঠিকমত ধারণা নেই, তার সঙ্গে বহুমাত্রিক ডিফারেনশিয়াল সমীকরণের সমাধান নিয়ে আলোচনা করা বাতুলতা মাত্র।
@হীরক রাজা,
আপনার মন্তব্যটা ভাল লাগল। মুক্তমনায় স্বাগতম (যদি নতুন হয়ে থাকেন)।
@রৌরব,
ধন্যবাদ। আমি আসলেই মুক্তমনায় নতুন।
@হীরক রাজা, :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli:
@ইমেজ,
আপনি বোধহয় আসলেই পাগল হয়ে গেছেন। হীরক রাজাকে গুলি করছেন কেনো ? উনি তো মনে হয় আপনার লোক।
@হৃদয়াকাশ,
ওইটা হীরক রাজার ছবি । উনি গুলি করতেছেন।
@হৃদয়াকাশ,
অবাক ব্যাপার!! কি করে আপনি হীরক রাজার সাথে ইমেজের কানেকশন খুঁজে পেলেন?? আপনার কাছে হীরক রাজার যুক্তিগুলোর পাল্টা যুক্তি আছে কি? পুরো মন্তব্যে সিরিজে বিভিন্ন জায়গায় অনেকের যুক্তিকে খণ্ডাতে না পেরে এড়িয়ে গেছেন আপনি? আপনার মত কোয়ার্টার-জ্ঞানের মানুষ দেখে আস্তিকরা বলার সুযোগ পায় যে নাস্তিকতা একটা ফ্যাশন। আপনার পক্ষে তো কোনো আস্তিকের সাধারণ নির্বোধ যুক্তি কাটানোই সম্ভব হচ্ছেনা।
ইমেজ আপনাকে মন্তব্য করেছেন,
আপনি উত্তরে নাস্তিকতার বেসিকেরও ধারেকাছে ছিলেন না, সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব-অনস্তিত্ব নিয়েও কোনো পাল্টা যুক্তি দিলেন না, উলটা আস্তিকেরা কি কি ফ্যাশন করে সেটা দেখাতে গেলেন।
বুঝতে পারলাম না, কারটা বেশী নির্বুদ্ধিতা!! :-s
ইমেজ বললেন,
আপনি উত্তর দিলেন,
চল্লিশোর্ধা কোনো নারীকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় কোনো বিয়ে করতে বা প্রেমে পড়তে দেখলে আপনার মানসপটে কি চিন্তা আসিবে তার ভালই প্রমাণ দিলেন? মহিলাদের সম্পর্কে আপনার মন্তব্য পড়ে রসময় গুপ্তের গল্প মনে হল। তবে পার্থক্য এখানে এই যে, রসময় বাবু সম্পূর্ণভাবে যৌন বিনোদনের উৎস হিসেবে এরূপ গল্প প্রকাশ করেন, মনে হয়না কোনোরকম অতিমানবীয়, সুপারম্যান নাস্তিক মুক্তমনা টাইপ ভাব মারার কথা তখন ভাবেন।
আপনার কাছে একটাই অনুরোধ নিজেকে মুহম্মদের বিপরীতে রেখে নাস্তিক! বলার আগে একবার নিজের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দেখুন। দেখুন, ১৪০০ বছর আগে মুহম্মদের নারীভাবনা আর এই একুশ শতাব্দীতে এসে আপনার নারীভাবনা। ফারাকটা কতখানি?? 😕
@পাপিয়া চৌধুরী,
ফ্যাশন দেখার বা দেখানোর বিষয়, মুখে কথা বলার ভঙ্গিকে কেউ ফ্যাশন বলে না। নিজেকে নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দেওয়াকে ইমেজ যখন ফ্যাশন বললো এবং তার উত্তরে আমি যা লিখলাম, আমি জানতাম ওটা কোনো উত্তর না। ওটার ভেতরে যথেষ্ট ফাঁক আছে; তাই অমন উত্তর দিলাম, ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কুলোর ব্যবহার আর কি।
এই পোস্টটি প্রকাশ হওয়ার পর পাঠকেরা যতগুলো মন্তব্য করেছে তার যে শব্দ সংখ্যা, আমার মনে হয় আমি জবাব দিতে গিয়ে তার চেয়ে বেশি শব্দ লিখেছি। এই কারণে সবগুলো মন্তব্যের জবাব এখনও দিয়ে উঠতে পারি নি। যে সব মন্তব্যে বেশি কথা লিখতে হবে সেগুলো একটু সময় সুযোগের জন্য রেখে দিয়েছি; এতে আপনি ভাববেন না যে আমি কিছু এড়িয়ে যাচ্ছি। আপনি যা লিখেছেন তারও দাঁতভাঙ্গা জবাব আপনি পাবেন সেই সঙ্গে পাবে অন্যরা। একটু অপেক্ষা করুন।
আমার জবাব দেওয়ার ক্ষমতায় আপনার যদি সন্দেহ থাকে তাহলে আমার পুরোনো পোস্টটি এবং তার মন্তব্যগুলো পড়ার অনুরোধ করছি।
@হৃদয়াকাশ,
দাঁতভাঙা জবাবের প্রয়োজন নেই। পাপিয়া কী বলেছে সেটা আগে বোঝার চেষ্টা করুন। তারপর ভদ্র ভাষায় যুক্তিসঙ্গত উত্তর দিন। শুধু এইটুকু মনে রাখবেন যে, আপনার যে জ্ঞান, শালীনতাবোধের মাত্রা এবং বিদ্বেষপরায়ণ মানসিকতা, তার পালটা হিসাবে শুধু দাঁতভাঙা নয়, শিরদাঁড়া ভাঙা জবাব দেবার ক্ষমতাও মুক্তমনার বহু লোকেরই আছে।
@ফরিদ ভাই,
পাপিয়া কী বলেছে সেটা বুঝেছি, সেই সাথে এটাও বুঝেছি যে মুক্তমনায় মুহম্মদকে নেংটা করা যাবে, আল্লাকে টেনে মাটিতে নামানো যাবে। কিন্তু সরাসরি, মুহম্মদ এবং আল্লার যারা প্রতিনিধিত্ব করে, সেই মুসলমানদের সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না।
মুক্তভাবে মনের কথা বলতে পারবো বলেই মুক্তমনায় লেখা শুরু করেছিলাম। কিন্তু জানি না আমার ভবিষ্যত কী ? নিজেকে যদি সেন্সর করতেই হয় তাহলে ব্লগে লেখা কেনো, স্বনামে পত্র পত্রিকায় লিখলেই তো পারি। আমি স্বীকার করছি আমি ইসলাম ও মুসলমান বিদ্বেষী, কারণ আমি তাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত। আমি চাই, তারা জানুক যে আমার মতো ইসলাম ও মুসলমান বিদ্বেষী লোকজনও আছে, যারা পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে মুখ ফুটে তাদের কথা বলতে পারে না, কিন্তু ক্ষোভটা জমে আছে। তো যাদের কাছে আমার লেখাগুলো খারাপ লাগে তারা আমার প্রশ্নের শিরদাঁড়া ভাঙ্গা জবাব দিয়ে আমাকে কাউন্টার এ্যাটাক দিক। আপনি মডারেটর হয়ে এর মধ্যে মাথা ঘামাতে আসেন, ব্যাপারটা আমার কাছে কেমন যেন লাগলো। আর শালীনতার কথা বলছেন, মুহম্মদ জীবদ্দশায় যা করেছেন, আর তার সাহাবীদের যা করতে বলেছেন এবং কল্পিত স্বর্গের যে কল্পনা মুসলমানদের মনে ঢুকিয়ে দিয়েছেন সেগুলো সম্পর্কে ডিটেইলস লিখলে তো রসময় গুপ্ত হয়ে যাবো। আমি কি তার কাছাকাছি গিয়েছি ? আমার তো মনে হয় এখনও আমি হুমায়ূন আজাদ স্যার পর্যন্তই পৌঁছতে পারি নি। এরই মধ্যে শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করলাম ???
@হৃদয়াকাশ,
ঠিক বুঝেছেন। অলীক আল্লাহ আর মধ্যযুগের মুহাম্মদকে নিয়ে কে কী করলো তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। ঠিক একই ভাবে আসে যায় না ধর্মান্ধ মোল্লা, চরমপন্থী এবং সন্ত্রাসীদের বিষয়েও। কিন্তু, সাধারণ মুসলমানদের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থানটা ভিন্ন। এরা ধর্ম পালন করে শুধুমাত্র বাপ-দাদার সূত্রে তা প্রাপ্ত বলেই। ধর্মের কারণে কারো ক্ষতি করার প্রবনতা এদের মধ্যে পাবেন না। কাজেই, এই সমস্ত নিরীহ, নির্বিরোধী লোকজনের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের বিদ্বেষকেই মুক্তমনায় প্রশ্রয় দেওয়া হয়না।
মুক্তভাবে কথা বলার মানে এই নয় যে, আপনি মুক্তভাবে বিদ্বেষ ছড়াবেন বা অশালীন কথাবার্তা বলবেন। মুক্তমনায় মুক্তভাবে কথা বলতে বহু লোকেরই কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আপনারও হওয়ার কোনো কারণ আমি দেখতে পাচ্ছি না।
এই সৎ স্বীকারোক্তিটার জন্য আপনার প্রতি আমার ধারণাটা অনেক উঁচু পর্যায়ে চলে গেলো। দীর্ঘদিন মুক্তমনার সাথে জড়িত থাকার কারণে খুব ভাল করেই জানি যে, এখানে অনেকেই আসে শুধুমাত্র ইসলাম ব্যাশিং করতে এবং মুসলমানদের ধরে ধোলাই দিতে। আমরা যেহেতু প্রচলিত সব ধর্মের বিরুদ্ধে, ফলে এই সুযোগটাকে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু ওই সমস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ-ই কখনোই স্বীকার করে নি যে, তারা আসলে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী। অন্য কোনো ধর্মের সমালোচনায় তাদের কখনোই খুঁজে পাওয়া যায় না, কিন্তু ইসলাম আর মুসলমানের নাম শুনলেই শাণিত কৃপাণ নিয়ে ছুটে আসে তারা।
ভদ্রবেশী কপটের চেয়ে, রুক্ষ্ণ, রূঢ় অকপট ব্যক্তি আমার বেশি পছন্দের।
এই বিষয়টা নিয়ে বহুবারই ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমি যখন নিজ নামে মন্তব্য করি তখন আমি মুক্তমনার একজন সাধারণ সদস্য হিসাবেই মন্তব্য করি। মডারেটর হিসাবে নাক গলাই না। ব্যক্তি আমার সাথে যে কোনো তর্কে নিশ্চিন্তে আপনি নেমে পড়তে পারেন। দ্বিমত পোষণ করতে পারেন যে কোনো বিষয়ে। শুধু তাই নয়, ইচ্ছা করলে তুলোধুনোও করে ছাড়তে পারেন আমাকে। নিশ্চিত থাকতে পারেন যে, মডারেটর হওয়ার সুবিধায় কোনো ধরণের অন্যায় সুযোগই আমি নেবো না। এটা শুধুমাত্র কথার কথা নয়, আমি অত্যন্ত কঠোরভাবে এই নীতিটাকে মেনে চলি।
মুক্তমনায় বহু বিষয়েই আমি আমার নিজস্ব মতামত দিয়ে থাকি। মুক্তমনায় যারা পুরোনো তাঁরা এটা জানেন। আপনি নতুন বলে হয়তো ভেবে নিয়েছেন যে, আমি মডারেটরের অবস্থান থেকে মন্তব্য দিয়েছি। আসলে তা নয়। আমার নিজস্ব বক্তব্য মডারেশনের মনোভাবকে প্রতিনিধিত্ব করে না।
মুক্তমনা শালীনতার ক্ষেত্রে মুহাম্মদ বা হুমায়ুন আজাদ এদের কাউকেই আদর্শ হিসাবে বেছে নেয় নি। এর নিজস্ব একটা নীতিমালা আছে। সেই নীতিমালার ভিত্তিতে এবং দীর্ঘদিন চর্চার ফলশ্রুতিতে শালীনতার একটা মাত্রা এবং মাপকাঠি তৈরি করে নিয়েছে মুক্তমনা। এর সদস্যরাও অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে সেই মাত্রার মধ্যেই থাকার চেষ্টা করেন। আশা করবো যে, আপনিও এই বিষয়টার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবেন।
@পাপিয়া চৌধুরী,
http://blog.mukto-mona.com/?p=16854#comment-59594
@পাপিয়া চৌধুরী,
পৃথিবীতে পক্ষ আছে সব সময় দুটো; একটা স্বপক্ষ, অন্যটা প্রতিপক্ষ। এই পোস্টে যারা মন্তব্য করেছে, তাদের মধ্যে ইমেজ, হীরক রাজা এবং আপনি ছাড়া সম্ভবত কেউ আমার বিরুদ্ধে লিখে নাই। তাহলে কি আমি ধরে নিতে পারি না যে তারা আমার পক্ষে, ঠিক একইভাবে অন্যরা আমার বিপক্ষে। তাহলে, যিনি ইমেজের পক্ষে; তিনি আমার পক্ষে হন কিভাবে ?
ফ্যাশন সম্পর্কিত মন্তব্যের জবাবটা আগের মন্তব্যে আমি কিছু বলেছি, এখন অবশিষ্টটুকু বলছি। ফ্যাশন সম্পর্কে বলা হয় ‘ফ্যাশন রিপিটস ইট সেলফ’ । এ থেকে বোঝা যায় ফ্যাশন খুবই ক্ষণস্থায়ী একটা ব্যাপার। এটা আজ আছে তো কাল নেই। আপনি যদি আমার মতো কোয়ার্টার জ্ঞানী না হন তাহলে ঠিকই বুঝবেন যে, ফ্যাশনের জন্য কেউ নাস্তিক সাজে না। আস্তিকতা যেমন একটি বিশ্বাস, তেমনি নাস্তিকতাও একটি বিশ্বাস। মানুষের জন্মের পর একটু জ্ঞান বুদ্ধি হলেই পরিবার ,সমাজ ও পরিবেশের প্রভাবে সে আস্তিকতা অর্জন করে। কিন্তু নাস্তিকতা ? আপনি যদি নাস্তিক হন তাহলে বুঝবেন যে এটা অর্জন করা কত কঠিন। এর জন্য কী পরিমান পড়াশুনা করতে হয়। অনেকে তো সারাজীবন ধরে পড়াশুনা করেও নাস্তিকতা অর্জন করতে পারে না। এত কষ্টে যে অর্জন, আপনার কি মনে হয়, এটা নিয়ে ফ্যাশনের কোনো সুযোগ আছে ? যে বিশ্বাসে নাস্তিক নয়, গার্লফ্রেন্ডের কাছে ভাব নেওয়ার জন্য তার পক্ষে কি নিজেকে নাস্তিক বলে পরিচয় দেওয়া সম্ভব ? আর নাস্তিকতা নিয়ে ফ্যাশন করার সুযোগটাই বা কোথায়, আপনি যদি নাস্তিক হন তাহলে কয় জনের কাছে আপনি বলতে পারেন যে আপনি নাস্তিক ? আমি যে একজন গোঁড়া নাস্তিক, এটা আমার আশে পাশের খুব কম লোক জানে। এর কারণ নিজেকে নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দিলে অধিকাংশ সময়ই পরিবেশ বিরূপ হয়ে যায়। অনেক সময় কোনো কথা বললেই তর্কে যেতে হবে, এই ভয়ে কথাই বলি না, চুপ করে থাকি। আমার মনে হয়, এটা শুধু আমার সমস্যা নয়, সব নাস্তিকদেরই এই সমস্যা। সমাজে নাস্তিকদের যখন এই অবস্থা তখন আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে কোন আস্তিকের মুখে শুনলেন যে নাস্তিকতা একটা ফ্যাশন!
সময়ের অভাবে- নাস্তিকতা ও ফ্যাশন -সম্পর্কিত উপর্যুক্ত ব্যাখ্যা ছাড়া আর কোন কোন যুক্তিগুলোকে আমি এড়িয়ে গেছি সেটা যদি আপনি পয়েন্ট টু পয়েন্ট উল্লেখ করতেন, তাহলে আমি বুঝতাম যে আপনিও আমার মতো কোয়ার্টার জ্ঞানী নন, যুক্তিভিত্তিক আলোচনায় আপনারও আগ্রহ আছে।
চল্লিশোর্ধা নারীকে প্রথম বিয়ে করতে দেখলে আমি তাকে বুদ্ধিমতীই মনে করবো এই জন্যই যে, শেষ পর্যন্ত সে তার জীবনের গুরুত্বটাকে উপলব্ধি করতে পেরেছে। কিন্তু কোনো চল্লিশোর্ধা নারীকে ২য় বা ৩য় বিয়ে করতে দেখলে আমি একটু অবাকই হবো এবং প্রশ্নও তুলেবো, যদি সে নারীর ১৬ থেকে ২০ বছরের মধ্যে যথা সময়ে বিয়ে হয়ে থাকে এবং কোনো ঘটনাক্রমে সে যদি বিধবা হয়ে থাকে। কারণ, এই বয়সে তার বিয়ে করার আর কী কারণ থাকতে পারে ? যদি ১৬ থেকে ২০ এর মধ্যে তার বিয়ে হয় তাহলে খুব সম্ভব ৪০ এ পৌঁছতে পৌঁছতে তার এক বা একাধিক বিবাহযোগ্য ছেলে বা বিবাহযোগ্যা মেয়ে থাকবে। তখন সেই নারী ছেলে মেয়েদের বিয়ের চিন্তা না করে যদি নিজের বিয়ের চিন্তা করে তাহলে তাকে আপনি কী বলবেন ? খাদিজা সম্পর্কে আমি এই প্রশ্নটিই তুলেছি। এর মধ্যে মহিলাদের বিয়ের বয়স নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গির কী পরিচয় আপনি পেলেন ? আর এর সঙ্গে রসময় গুপ্তের গল্পেরই বা সম্পর্ক কী ? আমার কোয়ার্টার জ্ঞানে কিন্তু আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না, আপনার কিলোমিটার জ্ঞানে আমাকে একটু সাহায্য করেন। আমাকে একটু দেখান, খাদিজার বিয়ে নিয়ে আমি যে সব কথা বলেছি তা অযৌক্তিক। উনি কি উনার মেয়ের সঙ্গে মুহম্মদের বিয়ে দিয়ে মুহম্মদকে নিজের কাজের জন্য পেতে পারতেন না ? যেখানে দুই দুইটা বিবাহযোগ্যা মেয়ে ! এটা শুধু আরবের বর্বর সমাজেই সম্ভব, নাকি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও আপনি এমনটা কল্পনা করেন ? যদি তাই ভাবেন, তাহলে একবার কল্পনা করেন, আপনার বয়স ২০, আপনার মায়ের ৪০, আপনাদের একটা বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, কিন্তু আপনার বাবা জীবিত নেই। সেই ব্যবসা পরিচালনার জন্য একজন বিশ্বস্ত আপন লোক দরকার, যে চুরি টুরি না করে নিজের মতো করে ব্যবসা পরিচালনা করবে। এই সমস্যা সমাধানে আপনার মা কী করবে ? আপনাকে বিয়ে দিয়ে একটা জামাই ঘরে আনবে, না নিজে বিয়ে করবে ? আর যদি নিজেই বিয়ে করে তাহলে তখন আপনার কেমন লাগবে ? জানার খুব ইচ্ছা। সেই সাথে জানার এটাও ইচ্ছা যে আপনার মগজটা আপনার নিজের আছে, না মধ্যযুগের কারো কাছে বন্ধক দিয়ে রেখেছেন ?
শেষে আরেকটা কথা আপনার কাছে আমার জানার ইচ্ছা। আপনি আমার এই পোস্টটা পড়েছেন, আমার দেয়া লিঙ্কে আগের পোস্টটাও সম্ভবত পড়ে থাকবেন। এই পোস্টের মন্তব্যের কোনো এক জায়গায় আমার পার্সোনাল ব্লগের একটা লিঙ্ক দেওয়া আছে, সম্ভবত ইমেজের মন্তব্যের জবাবে, সেখানে এমন কিছু পোস্ট আছে যা মুক্তমনায় পোস্ট করি নি। আপনি যদি আমার সকল লেখা পড়ে মুহম্মদের নারী ভাবনার সঙ্গে আমার নারী ভাবনার আর কী কী মিল খুঁজে পান তা যদি আমাকে দয়া করে জানাতেন তাহলে আমার খুবই উপকার হতো। কারণ, তাহলে আমি বুঝতে পারতাম আমি আসলে কতটা খারাপ! সেগুলোকে আস্তে আস্তে নিজের ভেতর থেকে সরাতে চেষ্টা করতাম, এই আর কি । জানেনই তো আমি কোয়ার্টার জ্ঞানী, নিজে সব কিছু বুঝতে পারি না।
@হীরক রাজা,
মোক্ষম লিখেছেন। (Y)
পোস্টটি পড়ে ঠিক এই কথাগুলোই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। মন্তব্য সিরিজে অনেক পাঠকই লেখককে এই বোঝাতে চেয়েছেন যে সোমালিয়ার দূর্ভিক্ষের সাথে যত্রতত্র ইসলামকে সম্পর্কিত করে মুহম্মদ ব্যাশিং করাতে লেখাটা একপেশে হয়ে গেছে। তাছাড়া নাস্তিকতাকে উনি সুমহিমান্বিত করতে গিয়ে অতিমানবীয়, অতিপ্রাকৃতিক কিছু বানিয়ে ফেলেছেন, যা কখনোই সত্যিকারের নাস্তিক ভাবাদর্শের দাবী নয়। এইসব অনুযোগ মন্তব্যের উত্তরে লেখক নিজের ভুল বোঝার চেষ্টা করা তো দূরের কথা, আমি যা ভাল বুঝি তাই লিখি টাইপ কথাবার্তা টেনে এনেছেন। জায়গায় জায়গায় নিজের মতামতের দৃঢ়তা বোঝাতে উনি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, স্যার হুমায়ুন আজাদের উদাহরণ টেনে এনেছেন। আমার ফুল ডাউট আছে উনি আজাদের সরলতম প্রবচনগুলোরও মর্মার্থ বোঝেন কিনা। উনি আপনার বলা কথাগুলোর একটা শব্দও ধরতে পারেন নাই। আপনার আর ইমেজ সাহেবের মধ্যে উনি ফারাকই করতে পারেন নাই। সহজতম ধারণাও পরিষ্কার না করে কি করে উনি নিজেকে মুক্তমনা দাবী করেন, উনার লেখা এবং অধিকাংশ মন্তব্যে ভদ্রতা বা বিনয়ের পর্যন্ত অভাব ছিল, নিজের নাস্তিকতাকে উনি অহমপ্রকাশের উপাদান করে তুলেছেন। আপনার যুক্তিগুলো খন্ডানোরও কোনো চেষ্টা করেন নি, উল্টো ইমেজের সাথে তুলনা করে ব্যাক্তিগতভাবে ছোটো করার প্রয়াস ছিল। লেখকের মুক্তমনের বলিহারি যাই!! :-X
@পাপিয়া চৌধুরী,
আপনার সঙ্গে আমি একমত।
হৃদয়াকাশ সাহেবের লেখা পড়ে এ ধারণাই জন্মায় যে, উনার নাস্তিক ভাবাদর্শের মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে খুব একটা আগ্রহ আছে। উনার মত ব্লগারদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এমন একটা ছবি দাঁড় করানো, যা থেকে এটাই প্রতিভাসিত হয় যে, মুহম্মদ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিশু ধর্ষক, সবচেয়ে ঘৃণ্যতম হত্যাকারী, সবচেয়ে বড় লম্পট, সবচেয়ে বড় প্রতারক – এককথায় সবচেয়ে নিকৃষ্টতম ব্যক্তি এবং ইসলাম হচ্ছে আজকের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অশুভ বা দুরাশয় (evil)। আর এরকম দৃষ্টিভঙ্গির যৌক্তিক উপসংহার এই হবে যে, ইসলামকে যে কোন মূল্যে পৃথিবী থেকে মুছে ফেলতে পারলে, পৃথিবীতে আর কোন সমস্যা কিংবা অন্ততঃ বড় কোন সমস্যা থাকবে না। আর এ ছবি আঁকতে গিয়ে যে যত কদার্য শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন কিংবা আল-আমিন সাহেবদের মত লোকদের কাছ থেকে যে যতটা “ঘাড় থেকে কল্লা ফেলে দেয়ার” মত পয়েন্ট স্কোর করতে পারবেন, উনাদের সমমনা বন্ধুদের গন্ডীতে উনারা তত বড় হিরো বা ইন্টেলিজেন্ট বলে গণ্য হবেন।
সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনায় উনার আদৌ কোন আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না।
@হীরক রাজা,
মনের কথাতা বলছেন! 😀
:lotpot:
@হীরক রাজা,
একটা কারণে আমার মানসিক অবস্থা খারাপ, তাই তর্ক বিতর্কে আর যেতে চাচ্ছি না। শুধু একটা কথা বলছি আপনি যদি ইতিহাস থেকে অন্তত একটা রেফেরেন্সও দিতেন তাহলে আপনার ইতিহাস জ্ঞান দেখে আমি মুগ্ধ হতাম। আর আপনি বয়স্কা মহিলার বিয়ের ব্যাপারে বলেছেন, আপনি কি একটা পরিসংখ্যান দিতে পারবেন কত পার্সেন্ট মহিলা এরকম বিয়ে করে ?
দুরভিক্ষের সাথে ইসলামের সম্পর্কটা বুঝলাম না। দুরভিক্ষ অর্থনৈতিক কিংবা পরিবেশগত কারণে ঘটে, এর সাথে ইশ্বরের কোন সম্পর্ক নেই। একটা প্রশ্ন অবশ্য করাই যায় যে একজন দয়ালু ঈশ্বর কিভাবে দুর্ভিক্ষ দিয়ে মানুষকে ভোগাতে পারেন, কিন্তু সেক্ষেত্রে শুধু ইসলামকে দোষারোপ করাটা উদ্দেশ্যমূলক। আর আপনার যদি মনে হয় যে ইউরোপের অমুসলিমরা অতীতে কখনওই অনাহারে কাটায়নি, তাহলে বলব যে ইসলামের প্রতি আপনার এলার্জিটা উদ্বেগজনক।
সমালোচনা করার মত ইসলামে অনেক কিছুই আছে, কিন্তু সমালোচনার মধ্যে ঘৃণার কোন অবকাশ নেই।
@Prithvi,
কোনো দেশ বা জাতির উন্নতি নির্ভর করে সেই দেশ বা জাতির লোকজনের কর্ম এবং বিশ্বাসের উপর। এখন আপনার বিশ্বাস যদি আপনার কর্মকে পেছনে টেনে রাখে তাহলে আপনি উন্নতি করবেন কিভাবে ? এই ঘটনাটাই ঘটে মুসলমানদের ক্ষেত্রে। পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি যেখানে ১৬ বা ১৭ ঘন্টা কাজ করে নিজেদের উন্নয়নের চেষ্টা করছে, সেখানে মুসলমান জাতি করছে কী ? দৈনিক পাঁচ বার নামাজ পড়লে এক জন মুসলমানের পক্ষে ২৪ ঘন্টার কত ঘন্টা কাজে লাগানো সম্ভব ?
তারপর এই রমজান মাসের কথাই ধরেন। এই মাসে অফিসে বা কলকারখানায় কত ঘন্টা কাজ হয় ? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তো পুরা ৪০ দিন বন্ধ। এই ৪০ দিন কাজে লাগালে ছাত্র ছাত্রীরা তো কিছুটা হলেও এগিয়ে যেতো ? সরকারীভাবে রমজান মাসে অফিস সময় সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। ভোরে সেহরি খেয়ে আবার ঘুমিয়ে সকালে উঠতে উঠতে ৯টা, তারপর অফিস যেতে যেতে ১০টা, সাড়ে ১০টা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও লেট। কিছু বললেই রোযার অজুহাত। ঐদিকে দুপুরের নামাজের জন্য একঘন্টা বরবাদ। নামাজ শেষ হতে হতে না হতেই তিনটা। আর তিনটা বাজলেই মনে হয় সাড়ে তিনটা বেজে গেছে। শুরু হয় ব্যাগ গুছানো। সব মিলিয়ে কাজ হলো কত ঘন্টা ? বড় জোর ৪ ঘন্টা। অথচ একজন লোকের মিনিমাম কাজ করা উচিৎ ৮ ঘন্টা। যারা দেশ ও জাতির উন্নতি চায় কারা আরও বেশি করে। অথচ এই একই সময়ে পৃথিবীর অন্যান্য জাতি ৮ বা তারও বেশি সময় কাজ করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে পিছিয়ে পড়ছে আমাদের মুসলিম বিশ্ব। ভিক্ষা কি আমাদের করতে হবে না অন্য কারো ? দুর্ভিক্ষ মুসলিম দেশে হবে না তো হবে ইউরোপ আমেরিকায় ?
একজন অলস ব্যক্তির যেমন কখনও অভাব ঘোচে না; তেমনি কর্মক্ষম জাতিও কখনো দুর্ভিক্ষে পতিত হয় না। আর যদি কখনো ইউরোপের অমুসলিমরা অনাহারে কাটায়, তাহলে সেই সময়ের ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন সারা পৃথিবীর লোকজনই কমবেশি অনাহারে ছিলো। আপনার ঝুলিতে যদি এর ব্যতিক্রম থাকে তাহলে দয়া করে জানান।
ট্যাজেডিটা এখানেই, মুসলমানরা ভাবে সবকিছুই আল্লার হাতে। কিন্তু আল্লার হাতে যে কিছুই নেই এটা তারা বোঝার চেষ্টা করে না। যে দিন অধিকাংশ মুসলমান এটা বুঝবে সেই দিনই শুরু হবে মুসলিম জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি। তার আগে আমাদের ভিক্ষা করতেই হবে।
এখন নিশ্চয় বুঝতে পারছেন ইসলামের সঙ্গে দারিদ্রতা আর দুর্ভিক্ষের সম্পর্ক।
@হৃদয়াকাশ,
সৌদি-কুয়েত-ইরান প্রভৃতি দেশে দুর্ভিক্ষ না হওয়া সম্পর্কে আপনার ব্যাখ্যা কি? আর নামাযের কারণে যে ওয়ার্ক-আওয়ার লস হচ্ছে, এতে তাদের খুব একটা ক্ষতি হচ্ছে বলে তো মনে হয় না। ভারতে যখন দুর্ভিক্ষ হয় তখন সেটার ব্যাখ্যা আপনি কি দিবেন? আপনি কি তথ্য-প্রমাণ সহ দেখাতে পারবেন যে নামায-রোজার কারণেই সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষ হচ্ছে? একটা কেস স্টাডি না দেখালে আপনার পয়েন্ট ধোপে টিকছে না। ধর্মের কারণে অনেক কিছুই ঘটে, কিন্তু দুর্ভিক্ষ-সুনামি-ভূমিকম্প-বন্যা-দুর্নীতি ঘটে না।
এটা প্রত্যেকটা ধর্মের অনুসারীরাই ভাবে। আমেরিকায় এমন কেসও দেখা গিয়েছে যে খ্রীষ্টান দম্পতি তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অসুস্থ সন্তানকে ডাক্তার না দেখিয়ে পুরোহিতের ঝাড়-ফুকের উপর রেখেছিল, পরে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দিলে সন্তানকে অল্পের জন্য রক্ষা করা গিয়েছিল। উজবুকি সব ধর্মেরই বৈশিষ্ট্য, কিন্তু কোন বিশেষ ধর্মে একে সীমিত করে ফেললে সেটা চরম প্রেজুডিসড হয়ে যায়।
কর্মের উপর নির্ভর করে, কিন্তু বিশ্বাসের উপর করে না। হলিউডের সিনেমা আর তাদের বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় ও একাডেমিয়া দেখে বোঝার উপায় নেই যে আমেরিকার অর্ধেকের মত মানুষ এখনও বাইবেবেলের সৃষ্টিতত্ত্বে বিশ্বাস করে, যার মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ আবার বিশ্বাস করে পৃথিবীর বয়স ১০০০০ বছর। আমেরিকা তবুও উন্নতি করেছে। একই কথা ইতালির ক্ষেত্রেও খাটে।
@পৃথিবী,
মধ্যপ্রাচ্যে তৈল আবিষ্কারের আগের ইতিহাস একটু স্টাডি করে দেখুন। তখন তাদের কী অবস্থা ছিলো আর এখন কী অবস্থা। ১৯৩২ সালে সৌদি আরবে তৈল আবিষ্কারের আগেও সৌদি ছিল ভয়াবহ দারিদ্র পীড়িত দেশ। ১৯১১ সালে বর্তমান বাংলাদেশ থেকে সৌদিতে হজ করতে গিয়েছিলো এমন একটি লোকের অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ লেখা ২০০০ সালের দিকে প্রথম আলোর সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘ছুটির দিনে’ প্রকাশ করেছিলো। সেখানে ঐ হাজির উদ্ধৃতি দিয়ে লেখা ছিলো, প্রতি বছর সৌদি আরবের লোকেরা এই হজের সময়ের জন্য অপেক্ষা করে। কারণ এই সময় হাজিদের সাহায্য করে তাদের কিছু আয় হয়। শুধু তাই নয় জাহাজ থেকে নেমে হেঁটে মক্কা যাওয়ার পথে আমরা যেখানে যেখানে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম, সেখানেই স্থানীয় কিছু লোক জড়ো হচ্ছিল এবং আমাদের ফেলে দেওয়া উচ্ছিস্ট খাবার তারা কুড়িয়ে খাচ্ছিল।’
এই ম্যাগাজিন প্রকাশের সঠিক তারিখ আমি বলতে পারবো না। কিন্তু এরকমই আমি পড়েছিলাম। এ থেকেই ভাবুন তৈল আবিষ্কারের আগে সোদি আরবের লোকজনের আর্থিক অবস্থা কেমন ছিলো। আর তৈল আবিষ্কারের পরে কেমন। এই পুরো ব্যাপারটাই খাটে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য এলাকার জন্য। এখনও তাদের আয়ের প্রধান উৎস খনি থেকে তৈল উত্তোলন আর বসে বসে খাওয়া, সেই সঙ্গে তিন চারটা করে বিয়ে করা। খনির তৈল তো আর অফুরন্ত নয়; তৈলটা ফুরাক। তারপর দেখেন তাদের কী অবস্থা হয় ?
নামাজের কারণে যে কিছু পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে, সেটাতো আপনি স্বীকার করছেন। প্রতিদিন যদি একটা মানুষের ২ ঘন্টা করে সময় নষ্ট, তাহলে মাসে কত ঘন্টা নষ্ট হয়, আর বছরে কত ? আর এই সময় যারা কাজে লাগাচ্ছে তাদের সাথে কী মুসলমানদের পক্ষে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব ?
ভারতীয় উপমহাদেশের দুর্ভিক্ষের সময় ও কারণ আমি পোস্টেই ব্যাখ্যা করেছি, সেটাই আবার ভালো করে পড়ে দেখেন।
কখনো কোথাও বলি নি যে নামাজ রোযার কারণেই সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষ হচ্ছে। আমি বলেছি তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে প্রথমত তারা পিাছিয়ে পড়েছে এবং তা থেকে তারা কোনো শিক্ষা না নিয়ে সেই ভুলগুলো বারবার করছে। এর সঙ্গে অন্যান্য কারণ যুক্ত হয়ে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছে। দুর্ভিক্ষের কারণগুলোকে খুঁজে বের করে তারা যদি সঠিক পদক্ষেপ নিতো তাহলে কিন্তু দুর্ভিক্ষ হতো না। এই পরিস্থিতিতে অন্য যে কোনো জাতি হলে তাই করতো। কিন্তু সোমালিয়ানরা তা করে নি। উল্টো এমন কিছু ব্যাপার তারা ঘটায় যা সমালোচনাযোগ্য।
সুনামী, ভূমিকম্প, বন্যা এগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, এগুলোর সঙ্গে ধর্মের কোনো যোগ নেই। কিন্ত দুর্নীতির সঙ্গে রয়েছে। একটা কথা প্রচলিত আছে যে, যত বেশি ধর্ম, তত বেশি দুর্নীতি। টিআইবি যে রিপোর্ট প্রকাশ করে সেটার দিকে একটু নজর রাখেন তাহলে এর সত্যতা মিলবে। আর দুর্নীতির মাধ্যমে একটা দেশ যখন পিছিয়ে পড়তে থাকে তখন যদি সেদেশে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয় তখন সেদেশের পক্ষে সেই দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব হয় না। তখন সেই দেশের দুর্ভিক্ষে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কি না এখন আপনিই বলেন। যদি এই সম্ভাবনা থাকে তাহলে আমি বলবো এর পেছনে ধর্মই দায়ী।
উজবুকি সব ধর্মেরই বৈশিষ্ট্য। ঠিক আছে, কিন্তু সেই উজবুক বিশ্বাস যখন দেশের অধিকাংশ লোক ধারণ করে তখন সেটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনার কাছে প্রশ্ন থাকলো এই ধরণের উজবুক বিশ্বাস ইউরোপ আমেরিকার কত পার্সেন্ট লোক ধারণ করে ? সেই সংখ্যা নিশ্চয় বেশি না। আর তাই যদি হয় তাহলে তাদের ধর্ম বিশ্বাস সামাজিকভাবে খুব একটা ক্ষতির কারণ কি হতে পারে ? যতটা ক্ষতির কারণ হতে পারে গোঁড়া ইসলামি রাষ্ট্রে ? যেহেতু সেখানকার বেশির ভাগ লোকই ধর্ম বিশ্বাসী ?
আমেরিকা ইতালির অর্ধেকের মতো মানুষ বাইবেলের সৃষ্টিতত্ত্বে বিশ্বাস করলে বাকি অর্ধেক কিন্তু বিশ্বাস করে না। আর এই বাকি অর্ধেকই কিন্তু সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিচালক। এরা সমাজ ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যায়। যারা বাইবেলের সৃষ্টিতত্ত্বে বিশ্বাসী তাদের বেশির ভাগই সমাজের খুবই সাধারণ মানুষ। রাষ্ট্র পরিচালনায় এদের তেমন অংশগ্রহণ নেই। তাই এই বিশ্বাসীদের ভূমিকা সমাজে তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারে না। এর বিপরীতে বাংলাদেশের কথা চিন্তা করেন। সংবিধান সংশোধনের আগে যখন মতামত নেওয়া হচ্ছিলো তখন কেউ কি বলেছিলো যে বিসমিল্লাহ রাখতে হবে ? সবাই বলেছিলো ওটার দরকার নেই। একটা ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে ওটা অর্থহীন। এই মতামত যারা দিয়েছিলো এরাই কিন্তু রাষ্ট্র চালায় বা ভবিষ্যতে চালাবে। কিন্তু ঘটনাটা ঘটলো কী ? বিসমিল্লাহ থেকে গেলো, কারণ হাসিনা সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এটা সরাতে পারলো না । কারণ তার ভোটের দরকার আছে। এই ভাবেই সাধারণ মানুষ, যাদের কাজ খাওয়া আর বংশবৃদ্ধি করা, তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় ভূমিকা রাখে, যেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেগেটিভ। দেশের অগ্রগতি এদের কারণেই বাধাগ্রস্ত হয়।
@ admin, আপনাদের এই ধরনের অশালীন লিখা প্রত্যাহার না করলে,
“মুক্ত মনা” ব্লগ টি ওয়েব থেকে সরিয়ে দেব, whatever the cost it takes. আর মনে রাখবেন, আপনাদের ধর থেকে মাথা আলাদা করার জন্য খুব বেশি দিন সময় লাগবে না।
@আল আমিন,
আপনার মত এ রকম লম্ফঝম্ফ করা গর্জনশীল পাতি মৌলবাদী জীবনে কম দেখি নি। ওই গর্জনটুকুই সম্বল আপনার। তাও আবার আন্তর্জালে অদৃশ্য হবার সুবাদে। বাস্তবে ঘর থেকে বের হবারও সাহস নেই আপনার। ধড় থেকে মাথা আলাদা করাতো অনেক দূরের ব্যাপার।
আমি মুক্তমনার একজন মডারেটর। পারলে আমার ধড় থেকে মাথাটা আলাদা করেন আগে। প্রয়োজনে ঠিকানা দিয়ে দেবো আপনাকে। নিজের নিরাপদ অন্ধকার গর্ত থেকে বের হবার সাহসটুকু আপনার হবে কি না, সেটাই হচ্ছে আসল প্রশ্ন।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার ফোন নাম্বারটা দ্যান।
@ইমেজ,
আপনিও কি আল আমিন সাহেবের মত কট্টর মৌলবাদী নাকি? এই আপনিই না দাবী করলেন যে, আপনি খুব ভাল ছেলে, আম্মু যা বলে, তাই করেন। তা আপনার আম্মু কি আপনাকে মানুষের ধড় থেকে মাথা আলাদা করতে বলেছে নাকি?
তবে, এর চেয়েও জটিল প্রশ্ন হচ্ছে যে, টেলিফোনের মাধ্যমে ধড় থেকে মাথাটাকে আলাদা করবেন কীভাবে? :-s
@ফরিদ আহমেদ,
ভয় পাইলেন নাকি? নারে ভাই এমনি বাজায়া দেখলাম। খুব তো ফাপড় নিতেছেন । আমিতো এমন ও হইতে পারি, ধর্মকে সাপোর্ট দিচ্ছি কিন্তু আসলে ধর্মের ধারও ধারি না।
আমি আসলে জানতে চাচ্ছিলাম
এই কথাটার দাম কতটুকু ? তাছাড়া ব্যাক্তিগতভাবে আমি জানি, সব ওয়েবসাইটেরই দুর্বল দিক থাকে। আল-আমিন ভাই যদি এমন কাউকে যোগাড় করতে পারেন যে কিনা সাইটটা ধ্বংস করে দিতে পারে তখন কিছু করার থাকবে না। আসলেই আপনারা আইন লঙ্ঘন করেছেন। কথার প্যাচে এটাকে অন্যদিকে ঘুরাচ্ছেন।
সত্যি বলি, আমি নিজে একসময়য় এই ব্লগারের মত কথা বলতাম। ভাবতাম, আমি তো খারাপ কিছু করি না। মানুষের সেবা করছি। তাবলীগ জামাত দাওয়াত দিতে আসলেও হাসিমুখে কথা বলছি, কারণ ওদেরকেও বিরক্ত লাগে না, আবার আমার কট্টরপন্থী নাস্তিক বন্ধু সানিকেও খারাপ লাগে না।
কিন্তু প্রায় এক বছর হল। সব নতুন করে ফিরে পেয়েছি। আমার কাছের কিছু মেডিকেলের বন্ধু আমাকে এব্যাপারে ব্যাপক সাহায্য করে। তাছাড়া এখন অসংখ্য ইসলামিক লেকচারার পাওয়া যায়। ইউটিউবে আছে। আমি আমার সব সমস্যা এখনো দূর করছি।
ইসলামে আমার বয়স মাত্র ১ বছর বলে হয়তো কথাবার্তায় দুর্বল, কিন্তু এটা বলতে পারি, আল্লাহ বলেন আর ঈশ্বর বলেন, তিনি আছেন। এবং তিনি এক। অবিনশ্বর। আগে ঈশ্বরের ব্যাপারে সন্দেহমুক্ত হোন। বেশিরভাগ লোক ই নাস্তিক হয় এই জন্য, কিছু প্রশ্নের জবাব পায় না। ক্যান এত বিয়ে করলো? পতিতারা কই যাবে? মেয়েরা কেন বোরকা পড়বে? ইত্যাদি। জংগীবাদ বোমা ইত্যাদি।
কুরান পড়তে গেলে মজা লাগতো না। ভাল অনুবাদ আগে পাওয়াই যেত না। সুখের বিষয় এখন যায়। লন্ডন একাডেমীর কুরান এর অনবাদ বেশ ভাল । গুগলে বাংলায় লিখে সার্চ দিলেও পাবেন।
আর মুহাম্মাদ (স) কে টিটকারি দেয়ার আগে মনে রাখবেন,
– তিনি মানুষ। তাঁর আগমন বার্তা সব ধর্মগ্রন্থেই ছিল। এখনো আছে।
– তিনি ঈশ্বর নন।
– তিনি নিজেও ভুল করতেন এবং আল্লাহ তা শুধরে দিতেন অথবা ভুলটাকেই নিয়ম করে দিতেন। তারপর সেটা শুদ্ধ হত।
– তিনি মানসিক রোগী ছিলেন না। এটা শিওর
– জিহাদের ব্যাপারে বেশিরভাগ মানুষ ভুল জানেন।
———————————–
নাস্তিকতা নিয়ে কিছু বলবো না। আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটা, আমার ইংলিশ টিউটর ছিলেন। উনি নাস্তিক । কিন্তু কোনদিন আমাকে অপমান করেন নি। সেই স্কুলে থাকতে, না বুঝেই নামায পড়তাম। টুপি পাঞ্জাবি পড়ে পড়তে যেতাম। এত বছর হল, (এখন দেখা করতে এপয়েন্টমেন্ট করতে হবে আপনার )
কোনদিন সামান্য কথাও বলেন নি। মুসলমানদের প্রতি আদেশ আছে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকো । এটা ফরয। আপনাদের তো এমন কোন আদেশ কেউ দেয় নি। তারপরেও কেন ঢাক ঢোল পেটান আপনারা নাস্তিক?
আর ইদানিংকালের নাস্তিকগুলো এতই খ্যাত, শুধু গার্লফ্রেন্ডের কাছে পার্ট নিতেই তারা নিজেকে নাস্তিক বলতে শুরু করে। না বুঝে, না জেনে। এজন্যই বলেছিলাম , নাস্তিকতা একটা ফ্যাশন।
সম্ভবত আমার বয়স কম হওয়ায় আপনাদের সাথে পেরে উঠতে পারছি না। ইনশাল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি আমি ফিরে আসবো। এমন আন্তরিক ইচ্ছা আমার আছে।
ধন্যবাদ হীরক রাজা। পাপিয়া আপু। আর চাকালাদা’ ভাই। You’ve Inspired me through your personality. পাপিয়া আপু অবশ্য আমাকে পচাইছেন। সমস্যা নাই। i confess for my মাথা গরম টাইপ কমেন্টগুলো। যুক্তির ওজনের কমতি ছিল।
@ইমেজ,
কার ভয় পাবো ব্রাদার? যার নিজের নামে কোনো কিছু লেখারই সাহস নাই, তার? 🙂
আপনি ধর্মের ধার ধারেন না? হাসায়েন না। আপনি হচ্ছেন পূতিগন্ধময় একজন পচনশীল পাতি মৌলবাদী। কিন্তু সেটা স্বীকার করার মতন সামান্য সাহসটুকুও আপনার নেই।
@আল আমিন,
এই তো মহাদস্যু সেরা সন্ত্রাসী মুহাম্মদ এর যোগ্য শিষ্যের সুযোগ্য মন্তব্য। বার বার করে যুগে যুগে প্রমাণিত হচ্ছে এ ধর্মটির মানুষরূপী পশু তৈরীতে জুড়ি নেই।
ধর্মটির অনুসারীরা প্রচারকটির মতোই সমালোচনা-আলোচনা একদমই সহ্য করতে পারে না।
@আল আমিন,
আল্লাহ মুক্তমনাকে আপনার মত জালিমের হাত থেকে হেফাজত রাখুক, আমিন।
@আল আমিন,
cost তো পরের কথা, আগে বলুন “মুক্ত মনা” ব্লগ টিকে ওয়েব থেকে সরিয়ে দিবেন কি করে। 😀
@আল আমিন,
bring it on.
@আল আমিন,
আগে আপনার নিজের ধরের হেফাজত করুন। একেবারে কোরানী ভাষায় হুমকি দিলেন দেখছি। ভন্ড মোহাম্মদ ও অস্তিত্বহীন আল্লাহ আপনার সহায় হোক। অপনার ধরে যদি সামান্যতম জ্ঞানও থেকে থাকে তবে বিতর্কে আসুন। মুক্তমনাকে টাকার দাপট না দেখিয়ে পারলে জ্ঞানের দাপট দেখন।
@আল আমিন,
১০০% খাঁটি ‘মুহাম্মাদী’ চেহারা আপনার। মুহাম্মদ ও ছিল আপনার মতই স্বঘোষিত ‘আল-আমিন’ (বিশ্বাসী)।কিন্তু সত্য হচ্ছে তার ‘আবিষ্কৃত’ ইসলামের ‘মৌলিক শিক্ষা’র বলী, মুখোশের আড়ালে বিভৎস কুৎসিত চেহারার মানুষ। ‘মুক্ত-মনার’ সদস্য, ব্লগার ও লেখকরা ‘ইসলামের এই আসল’ রুপটাকেই দীর্ঘদিন ধরে সাধারনের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করে আসছে। আপনি যে স্কুলের ছাত্র সে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মুহাম্মাদ এবং তার সাংগো-পাংগো প্রফেসারেরা (সাহাবী) ১৪০০ বছর আগে কি পরিমান ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে অসহায় মানুষদের ‘ইসলামী পতাকায়’ শরিক হতে বাধ্য করেছিল আপনার মন্তব্য তার জ্বাজল্যমান উদাহরন।
আহা, এই তো ‘শান্তির ধর্মের’ অনুসারীদের প্রকৃত রূপ!
প্রিয় আল আমিন,
আপনার অভিযোগ সঠিক নয়। এই প্রবন্ধটি প্রকাশ করে আমরা কোন নীতিমালা ভঙ্গ করেছি বলে মনে করি না । যে দুটো নীতিমালা এই প্রবন্ধটি ভঙ্গ করেছে বলে আপনি মত প্রকাশ করেছেন, মুক্তমনার মডারেটররা অত্যন্ত বিনয়ের সাথে তার সাথে দ্বিমত পোষণ করছে। মুক্তমনার মডারেটররা এই ধারণা পোষণ করে যে, লেখাটি বিদ্বেষপ্রসূত কোন লেখা নয় এবং একে অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত করাটাও অযৌক্তিক।
কোন লেখাই ত্রুটিহীন নয়। এই লেখাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। এর যুক্তির সীমাবদ্ধতা এবং তুলনার অসঠিকতা নিয়ে এর মধ্যেই মুক্তমনার অনেক সদস্য আলোচনা করেছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেকে ডিফেন্ড করতে লেখকও নানান ধরনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ হাজির করছেন। আমাদের অনুরোধ থাকবে, আপনিও লেখাটির উপর যৌক্তিক আলোচনায় অংশ নিন। যুক্তিতর্কের মাধ্যমে লেখকের মতামতের বিরোধিতা করুন। আপনি শক্তিশালী যুক্তি নিয়ে বিতর্কে অংশ নিলে, অনেককেই আপনার পাশে পাবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।
বিষয়টিকে আমাদের দৃষ্টিতে আনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
@মুক্তমনা এডমিন,
বাহ বাহ! থ্যাঙ্কু। আমার লেখাগুলা কেমন? আমি কি খারাপ কিছু বলছি কোনদিন? (F) (F) (F) (F)
মুক্তমনা মডারেটর,
আপনারা মুক্তমনার নীতিমালা ভঙ্গ করেছেন।
২.১০। সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন, উত্তেজক ভাষায় পরিপূর্ণ কিংবা বিদ্বেষমূলক ভঙ্গিতে লিখিত প্রবন্ধসমূহ কোনভাবেই মুক্তমনায় প্রকাশের জন্য বিবেচিত হবে না।
২.১২। লেখার মধ্যে অশ্লীলতা পরিহার করতে হবে। কোন ধরণের লেখা অশ্লীল বলে বিবেচিত হবে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
মডারেটরকে বলছি,
আপনারা এই রকম একটি লিখা কি করে প্রকাশ করেন?
আপনাদের কি “code of ethics” বলে কিছু নেই?
আমাদের নবীর বহু বিবাহ সম্পর্কে আপত্তি থাকলে মার্জিত ভাবে লিখুন।
I will answer.
আপনারা নিজেদের মুক্ত মনা দাবি করলে আমার প্রশ্নের উত্তর দেন না কেন?
ভাই ভবঘূরে,
“কেন উক্ত রকম হাদিস থাকিতে পারে না তাহার একটা যৌক্তিক কারন হইল- মোহাম্মদ বলিতেছেন- ইসলামই হইল চুড়ান্ত জীবন বিধান ও চুড়ান্ত জ্ঞান, সুতরাং সেই ইসলামকে বাদ দিয়া তিনি চীনের মত একটি পৌত্তলিক পূজারী জাতির কাছে জ্ঞানের জন্য ধর্না দিতে বলিবেন এত বড় আহাম্মক মোহাম্মদ ছিলেন না বলিয়া ভাবিবার যথেষ্ট সঙ্গত কারন রহিয়াছে। কারন, তাহা হইলে তাহার ইসলাম চীনাদের জ্ঞানের চাইতে হীনতর প্রমানিত হইয়া যায়। আশা করি বুঝিতে পারিয়াছেন।”
ধন্যবাদ,
আপনার যুক্তি অখন্ডনীয়।বিষয়টি পরিস্কার হয়ে গেল।
এটাও বোঝা যাচ্ছে, না-জানি আমরা এভাবে কত অসংখ্য জাল হাদিছের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে আটকে আছি
আবারো ধন্যবাদ, ভাই ভবঘুরে
আবারো দেখা হবে।
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
ভাই ছফটডক,
“চাকলাদার সাহেব, আপনি বোধ করি, এই হাদিসটির সম্পর্কে বলিতে চাহিতেছেন।”Utlub il ‘ilma wa law fis-Sin.”
হ্যাঁ, ভাই হূবহূ এটাই।
,
আপনার দেওয়া লিংকটাই সৃন্দর উত্তর দিয়েছে।আর তা ছাড়া আন্তর্জালে খূজেও কোথাও হাদিছটির সত্যতা পাওয়া যায়নাই ।
ধন্যবাদ,
আবারো দেখা হবে।
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আব্দুল হাকিম চাকলাদার,
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
আসলে আমরা কিন্তু নিয়মিত হাদীস-কোরাণের চর্চ্চা করছি, আর করছি বলেই আত্মবিশ্বাসের সাথে যুক্তির সাথে কথা বলতে পারছি। আপনি খোলা মন নিয়ে মন্তব্য গ্রহণ করেছেন দেখে খুব ভাল লাগছে।
শুভেচ্ছা রইল।
@লেখক,
জঙ্গিবাদ একটি রাজনৈতিক ইস্যু। যে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়নি সেখানেও ধার্মিক আছে। ধর্ম একটা ফালতু ব্যাপার এটা বোঝাতে দুর্ভিক্ষকে নিয়ে আসা অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। আর দুর্ভিক্ষের অনেক কারণ থাকে। এর মত একটি মানবিক ব্যাপারের সাথে ঠাট্টা করার জন্যে নাস্তিকতার সাহায্য নেয়াতে আপনার বোধ সম্পর্কে আমি সংকিত হলাম। মুক্তমনারা ধর্মের অর্থহীনতা ধরতে পারে, তাই তাকে পরিত্যাগ করে। মুক্তমনা আর ধর্মের বিরোধীতা সমার্থক নয়।
@তুহিন তালুকদার,
কিভাবে? একটু ব্যাখ্যা করলে সুবিধে হতো…
@ভৈরবানন্দ,
আল্লাহর অস্তিত্বের দাবী যে ফালতু এটা বোঝাতে দুর্ভিক্ষকে নিয়ে আসা খুবই প্রাসঙ্গিক। এটাই করা হয়েছে এই পোস্টে, যদিও কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথাও টেনে আনা হয়েছে। এটাকেই দর্শনে “Argument from Evil against God” বলে। দুর্ভিক্ষের অস্তিত্ব যে পরম করুণাময় আল্লাহর অস্তিত্বের সঙ্গে সাঙ্ঘর্ষিক সেটাই বোঝান হয়েছে এই পোস্টে। দুর্ভিক্ষের কারণ বিশ্লেষণ এই পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে হয় না।
আপনার শঙ্কিত হওয়াটা অবিশ্বাসীদের জন্য শঙ্কার ব্যাপার। আর লেখাটিতে মানবিক ব্যাপারকে ঠাট্টা করা হয়নি, করা হয়েছে আল্লাহ পরম দয়ালু, ইসলামিস্টদের এই নিত্য ঢাক পেটানোকে। দুর্ভিক্ষ আল্লাহর পরম দয়ালুতাকেই উপহাস করে। যারা আল্লাহ পরম দয়ালু বললে চিল্লাতে থাকে এত সব মানবিক দুর্যোগ সত্ত্বেও তারা নিজেরাই ঠাট্টার পাত্র। মানবতা নয়। মানবতাকে যারা উচ্চে স্থান দেয় তাদের মধ্যে নাস্তিকেরাই বেশী ।
মুক্তমনা ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে। ধর্মকে ব্যক্তি পর্যায়ে একটা বিশ্বাসে সীমিত রাখলে মুক্তমনাদের ধর্ম নিয়ে লিখতে হত না। ইসলাম একটি রাজনৈতিক মতাদর্শ যা বলপূর্বক অন্যের উপর চাপাতে চায়। এটা মুক্তচিন্তার, ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী। তাই মুক্তমন(মনা) এই রাজনৈতিক মতাদর্শের বিরুদ্ধে, ব্যক্তি পর্যায়ে যারা ধর্ম পালন করে, তাদের বিরুদ্ধে নয়।
@যাযাবর,
আপনে তো মিয়া ব্যাপক পেইন। খালি খুচাখুচি খুচাখুচি! ক্লাসের ফার্স্টবয় ছিলেন নাকি?
:rotfl: :rotfl: :rotfl: :rotfl: :rotfl:
@ভৈরবানন্দ,
ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আসলে হিসাবটা এরকম হওয়ার কথা
৯ মাসে নিহত -> ৩০ লাখ
১ মাসে নিহত -> ৩০ / ৯ লাখ
৩০ দিনে নিহত -> ৩০ / ৯ লাখ
১ দিনে নিহত -> ১ / ৯ লাখ
২৪*৬০ মিনিটে নিহত -> (১০০০০০ / ৯) জন
১ মিনিটে নিহত -> (১০০০০০) / (৯ * ২৪ * ৬০) জন
তাহলে প্রতি মিনিটের নিহতের সংখ্যা ৭ এরও বেশি হচ্ছে।
আপনার মন্তব্যটি খেয়াল না করায় উত্তর দিতে দেরি হল।
আজ সকাল সাড়ে সাতটা বিবিসি বাংলার সংবাদে শূনলাম সোমালিয়ায় এ পর্যন্ত না খেয়ে থ্রায় ১০ হাজার লোক মারা গেছেন।
আমার মনে হয় এর পিছনে অনেকটা দায়ী তাদের জ্ঞান বিমূখতা ও আভ্যন্তরীন বিশৃংখলা।
আমি শূনিয়াছি হাদিছে (আরবীভাসায়) আছে ” তোমরা ইলম (জ্ঞান} চর্চা করতে প্রয়োজনে চীন দেশেও গমন কর”
এখানে প্রশ্ন হল আজ কারা মূছলিমদের আধৃনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চাকে বাধা গ্রস্থ ও নিরূৎসাহিত করে সমাজের একটা বিপুল অংশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত রাখতে তৎপর আছে?
এরা নিজেরাও ধর্মের বিজ্ঞ দাবিদার হয়েও কি হাদিছের এই বানী বিরূদ্ধ কাজ করছেননা?
নবীর ভাসা যদি আরবী না হয়ে ইংরেজী হইতো, তাহলে কি ‘ইলম ‘ শব্দের স্থলে ” KNOWLEDGE” শব্দ বসিত না?
এরা কি তাহলে হাদিছের এই বানীর বিরূদ্ধ কাজ করছেন না ?
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আব্দুল হাকিম চাকলাদার, নিউ ইয়র্ক
চাকলাদার সাহেব, আপনি বোধ করি, এই হাদিসটির সম্পর্কে বলিতে চাহিতেছেন।”Utlub il ‘ilma wa law fis-Sin.”
কিন্তু পরম দুঃখ ও হতাশার সাথে জানাইতে বাধ্য হইতেছি যে, বর্বর সমাজের ততোধিক বর্বর নবীটি তাঁহার জ্ঞান চর্চা ও জ্ঞান অণ্বেষন এর পক্ষে বহুলউদ্ধৃত এই বাক্যটি আদৌ কোনদিন উচ্চারণ করেন নাই। ইহা একটি প্রসিদ্ধ জাল হাদিস।
এখানে কিঞ্চিৎ দৃষ্টিপাত করুন।
@আব্দুল হাকিম চাকলাদা,
ভাই, আমিও বহুকাল থেকেই উক্ত হাদিসটি শুনিয়াছি, কিন্তু বহু খোজাখুজি করিবার পরেও কোন সহি হাদিস কিতাবে উহা পাই নাই। আপনিও অন্তর্জালে অনুসন্ধান করিয়া দেখিতে পারেন পান কি না। তবে আমার বিশ্বাস উহা না পাইবার সম্ভাবনাই অধিক কারন উহা সত্যি সত্যি কোন হাদিসে নাই।উহাও মুমিন বান্দাদের বহুরকম মিথ্যা প্রপাগান্ডার একটি অন্যতম বিষয়। কেন উক্ত রকম হাদিস থাকিতে পারে না তাহার একটা যৌক্তিক কারন হইল- মোহাম্মদ বলিতেছেন- ইসলামই হইল চুড়ান্ত জীবন বিধান ও চুড়ান্ত জ্ঞান, সুতরাং সেই ইসলামকে বাদ দিয়া তিনি চীনের মত একটি পৌত্তলিক পূজারী জাতির কাছে জ্ঞানের জন্য ধর্না দিতে বলিবেন এত বড় আহাম্মক মোহাম্মদ ছিলেন না বলিয়া ভাবিবার যথেষ্ট সঙ্গত কারন রহিয়াছে। কারন, তাহা হইলে তাহার ইসলাম চীনাদের জ্ঞানের চাইতে হীনতর প্রমানিত হইয়া যায়। আশা করি বুঝিতে পারিয়াছেন।
ইহার পরেও বুঝিতে না পারিলে, উক্ত হাদিসটি কোন বইয়ের কত নম্বর হাদিস তাহা যদি অনুগ্রহ করত: সংগ্রহ পূর্বক আমাদের মত নালায়েক নাস্তিক বান্দাদেরকে অবহিত করিতেন তাহা হইলে আমরা বড়ই কৃতজ্ঞ থাকিতাম আপনার নিকট।
@ভবঘুরে,
চাকালাদা ভাই এম্নে কইর উনার মুখে গু নিক্ষেপ করিবেন ভাবিতে পারিনাই।(N)
আপনার জন্য এক গিলাস রুহাপজা । ইফতারে খাইয়েন (D)
এমন সময়পোযোগী লেখার জন্য ধন্যবাদ।
@বরুন জামান,
ধন্যবাদ আপনাকেও।
ধর্মীয় উগ্রপন্থী এবং নাস্তিক এই দুই শ্রেণীর মানুষের মাঝে মিল খুবই বেশি। দুই দলেরই চূড়ান্ত রকমের মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটেছে , দুই দলের কথাবার্তায়ও আশ্চর্য রকমের মিল ; গা গুলানো।
@সাকিব, আমারো তাই মনে হয়। আসলে উগ্রপন্থীর চেয়ে ইম্পর্টেন্ট পুরোপুরি না জেনে তারা কাজ করে। আর তাদের চেয়েও বাজে হল নাস্তিকগুলো। উগ্রপন্থীদের ধারে কাছে যাবেনা কখনো। যারা শান্তিতে আছে তাদের খোচানোর জন্য সারাক্ষণ ছ্যাব্লামি করতে থাকে
@সাকিব,
খোলা তরবারি নিয়ে যখন কেউ মারতে এগিয়ে আসে তখন তার উদ্দেশ্যে প্রেমের বাণী শুনিয়ে লাভ নেই। সেখানে আরেকটি খোলা তরবারিই মানানসই।
লেখাতে মুহম্মদ, খাদিজা, ত্রিভুজ এগুলি আনার কোন দরকার ছিল না। এটা একটি দার্শনিক প্রশ্ন, যেটা খ্রীষ্টান সমালোচকেরাও করেন। বাইবেলের জবস্ অধ্যায়ে জবস্ নিজে জেহোভাকে আকুতি করে জিজ্ঞেস করেছেন, হা ইশ্বর তুমি যদি সত্যি দয়ালু ও সুবিচারক হয়ে থাক, তাহলে আমার এই দুর্গতি কেন? আমি তো কোন পাপ করিনি, অপকর্ম করিনি। বলাই বাহুল্য, বাইবেলে এর উত্তর দেয়া হয়নি। যাহোক মানব দুর্গতি যে আল্লাহ্র অস্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, সেটার জন্য শুধু সোমালিয়াকে বেছে নেয়ার প্রয়োজন নেই। কয়েকটা দুর্ঘটনার উল্লেখ করছি তাতে আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়ে আরো সংশয় হবার কথা।
১। জানুয়ারী ২২, ১৯৭৩: ১৭৬ জন হজ্জ্ব যাত্রীকে বহনকারী জর্ডান এয়ারের এক বিমান নাইজেরোয়ার কানো বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পড়লে সবাই নিহত হয়।
২। ডিসেম্বর ৪, ১৯৭৪: শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে ডাচ এয়ারলাইন্সের একট ডিসি-৮ বিমান হজ্জ্ব জাত্রীদের নিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হলে ১৯১ জনের সবাই নিহত হয়।
৩। নভেম্বর ২৫, ১৯৭৮: শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে আইসল্যান্ডিক এয়ারলাইন্সের মক্কা থেকে ২৪৯ জন হজ্জ্ব যাত্রীকে বহনকারী একটি ডিসি-৮ বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে সবাই নিহত হয়
৪। নভেম্বর ২৬, ১৯৭৯: জেদ্দায় ১৫৬ জন হজ্জ্ব যাত্রী বহন কারী পাকিস্তান ইন্টারনয়াশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বোইং ৭০৭ বিমান টেকফের পরপরই বিধ্বস্ত হলে সবাই মারা যায়।
৫। ১৩ই ফেব্রুয়ারী, ২০০২: চল্লিশজন হজ্জ্ব যাত্রী সংযুক্ত আরব এমিরাত থেকে মক্কা অভিমুখে যাবার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ে সবাই নিহত হয়।
৬। ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০০৯: সড়ক দুর্ঘটনায় সেনেগালে ১১ জন হজ্জ্ব যাত্রী মারা যান।
৭। ১২ই মে, ২০১১: ১২ জন মিসরীয় হজ্জ্ব যাত্রীকে মক্কা অভিমুখে বহন কারী একটি বাস আরেকটি ভ্যানের সাথে মুখোমুখি ধাক্কা লাগলে ১২ জনের সবাই মৃত্যু বরণ করেন।
হজ্জ্ব কে মুসলিমরা একটা বড় ফরজ কাজ মনে করে। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার এটা একটা প্রকৃষ্ট উপায় মনে করে তারা। তাহলে কেন আল্লাহ হজ্জ্ব যাত্রীদের এভাবে শাস্তি দেন? হ্যা অনেক মুসল্লী বলে থাকেন, এটা আল্লাহর পুরস্কার, হাজ্বীদের নিজের কাছে টেনে নিয়ে জান্নাতে পাঠান। তাই নাকি। তাহলে তো যে সব হাজ্জ্বীরা মারা যাচ্ছে না তারা কি দোজখে যাবে? হজ্জ্ব কালীন সময়ে মারা পড়লে যদি বেহেশ্ত নসীব হয়, তাহলে তো সব হজ্জ্ব যাত্রীই তো দুরঘটনায় পড়ার জন্য দোয়া চাইত। কিন্তু প্লেনে উঠে তো তারা দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য কত দোয়া দরুদ পড়ে। আর তা ছাড়া সব দুর্ঘটনাই যে হজ্জ্ব পালনের পর হয়েছে তা তো না। কোন কোন দুর্ঘটনা হজ্জ্ব পালনের আগেই ঘটছে। সেই অভাগা হজ্জ্ব যাত্রীরা কি দোষ করল যে হজ্জ্ব পালনই করতে পারল না? হজ্জ্ব না করেই তারা বেহেশ্তের টিকেট পেল কেন ? তাছড়া প্রশ্ন উঠে মৃত হাজ্জীদের মাসুম ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীগণদের নিয়ে। তার কি অপরাধ করল যে তাদের হাজ্জী স্বামী/বাবা কে আল্লাহর পুরস্কারের জন্য তাদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হবে?
@যাযাবর,
প্রবন্ধে যা এসেছে তা কিন্তু আমি এমনি এমনি আনি নি। প্রসঙ্গ ক্রমে চলে এসেছে বলেই আমি এনেছি। আর আমি চাই নি আমার প্রবন্ধটা একটা কাঠখোট্টা জাতীয় প্রবন্ধ হোক।
@যাযাবর, আমার বাবা যদি হজ্জে যেতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন আমার মা খুব একটা কষ্ট পাবেন না।
আমিও পাবো না। কারণ মৃত্যু খুব ই স্বাভাবিক ব্যাপার । আপনার ডাক্তার বন্ধুটিকে জিজ্ঞেস করুন। উনি নিশ্চয়ই আল্লাহকে ভয় করেন। নয়তো বলবো উনি খারাপ ছাত্র। বই ছুয়ে দেখেন না।
ওই মৃত্যু হজ্জ ছাড়াও হতে পারতো। ঘরে বসেই হতে পারতো। কি আসে যায়?
উনাদের উদ্দেশ্য যদি ঠিক থেকে থাকে, উনারা সবাই জান্নাতি হবেন ইনশাল্লাহ। হজ্জ করলেই হজ্জ কবুল হওয়ার গ্যারান্টি নাই। কিন্তু যারা আগেই মারা গেলেন। তাদের ঝামেলা থাকলো না। কবুল হজের পয়েন্ট পেয়ে গেলেন।
একটা প্রশ্ন আপনাকে। আপনি কি ধর্মভীরু মানুষকে “দয়া” দেখাতে চান? জেনে রাখেন, আপনার দয়ার ধার উনারা ধারেন না।
আপনি কি ধর্মভীরু মানুষকে ঈর্ষা করেন?
@ইমেজ,
না, করুণা করি। মস্তিষ্ক সম্পন্ন মানুষ কতটা গবেট হতে পারে তা’ই ভেবে অবাক হই।
ঠিকই বলেছেন। কোরান-হাদীস যদি কেউ ভাল করে বুঝে পড়ে আর মস্তিষ্ক যদি বর্বর আরবদের কাছে জিম্মা দেওয়া না থাকে, তা’হলে তো সত্য উপলদ্ধি হতে দেরী হওয়ার কথা না।
এত নৃশংসভাবে যিনি পয়েন্ট বিতরণ করেন, শুধুমাত্র তাঁর নিজের খেয়াল চরিতার্থ করার জন্য, তাঁকে তো সুস্থ মস্তিষ্কে ‘মহাদানব’ বলাই যথোপুযুক্ত।
ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বর যে মানুষটি, হেন কোন অপরাধ নাই যা তাঁর দ্বারা সম্পন্ন হয় নি, তাঁকে যখন আপনি সেরা মানুষ বলেন বা বিশ্বাস করেন- তখন আর কিই বা বলার থাকে!
জনাব ইমেজ, আপনাকে সত্যিই করুণা করি, করুণা, অন্য কিছু নয়।
@ইমেজ,
উন্মাদরা কিসের ধার ধারে বা না ধারে তাতে কারও কিছু আসে যায় না। তবে সে দিন আর বেশী দুরে নয় যখন এ ধরনের লোকদেরকে উন্মাদ সাব্যাস্ত করে পাগলা গারদে পাঠানো হবে। যাদের আস্ত সুন্দর একটা ব্রেইন থাকতে উদ্ভট কিস্সা কাহিনীতে বিশ্বাস করে তাদেরকে উন্মাদ ছাড়া আর কি ই বা বলা যায় ?
@ভবঘুরে,
এই দ্যাখেন আমি উম্মাদ হয়া গেছি
:guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli:
ভুছুং ভুছুং
@ইমেজ,
আপনার কষ্টটা বুঝতে পারছি। সামনে পেলে তো এভাবেই মারতেন। সামনে পাচ্ছেন না, কী আর করবেন ? তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছেন। সমস্যা নাই, মেটান।
@ভবঘুরে,
আল-আমিন সাহেবদের
“আর মনে রাখবেন, আপনাদের ধর থেকে মাথা আলাদা করার জন্য খুব বেশি দিন সময় লাগবে না”
আর আপনার বা হৃদয়াকাশ সাহেবদের
“তবে সে দিন আর বেশী দুরে নয় যখন এ ধরনের লোকদেরকে উন্মাদ সাব্যাস্ত করে পাগলা গারদে পাঠানো হবে”
এই ধরণের কথার মাধ্যমে আপনাদের মানসিকতা আমার কাছে কেন যেন এক মনে হয়।
এ ধরণের ঘটনা আমরা প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের গুলাগে পাঠানোতে দেখেছি, দেখছি বর্তমানে চীনে এবং ইরানে।
আপনাদের এই দুই গ্রুপেরই বৈশিষ্ট হচ্ছে, আপনারা চরম অসহনশীল হন।
ধর্মে আপনার বিশ্বাস না থাকতে পারে । কিন্তু আপনার ভেতর থাকা ‘বিবেক’ কি আপনাকে এটা শিখায় যে ‘আধুনিকতার নামে আরেকজনের অনুভূতিতে মনের আনন্দে আঘাত করতে ?
আরেকটু মানসম্মত ভাবে এই লেখাটা লিখলে খুব একটা ক্ষতি হতো কী ?
একটা মানব বিপর্যয় নিয়ে নিষঠুর রসিকতাও কোন মানবিকতার মাঝে পড়ে বলে মনে হয় না ।
@সাকিব,
আরেকজনের অনুভূতিতে মনের আনন্দে আঘাত
আরেকটু মানসম্মত ভাবে এই লেখাটা লিখলে খুব একটা ক্ষতি হতো কী ?
@সাকিব,
এ ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেও যারা ইসলামের নামে উন্মত্ত আচরন করছে সেই সোমালিয়াতে তাদের জন্য আপনার বক্তব্য কি , জানতে পারি ?
@ভবঘুরে,
ভাই আপনাদের কাজ কাম নাই? আপনাদের কাজ কর্ম কিন্তু ক্রুসেড জিহাদের ক্যাম্পেইনের মত হইতেছে। কয়দিন পর বই-টই বাইর করবেন মনে লয় :rotfl:
@সাকিব,
ভাই , অত্যন্ত বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি যে, ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত বলতে আপনি কি বুঝাতে চান? সেটা আগে পরিষ্কার করেন। তার পর আলোচনা করা যাবে। তবে একটা বিষয় সম্পর্কে আপনার বোঝা উচিত- এই ধর্মীয় অনুভুতি নামক কথা বলে পার পাওয়ার দিন বোধ হয় শেষ হতে চলেছে। খুব বেশি দিন নেই যেদিন পশ্চিমা বিশ্ব ঘোষণা দেবে যে – ইসলাম আসলে কোন ধর্ম নয়, ওটা হলো হিটলারের ফ্যাসিবাদি স্টাইলের একটা রাজনৈতিক দর্শন বা কমিউনিজমের মত একটা কিছু। সুতরাং সময় থাকতে না জেনে না বুঝে কারও সাথে তর্ক করতে আসাটা ঠিক না। এখানে যারা ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করে- বিশ্বাস করুন আর না করুন আপনাদের মত বিশ্বাসীদের চাইতে তারা কম করে হলেও দশগুন বেশী পড়াশুনা করেই সেটা করে। তার পরেও আপনারা তাদেরকে উপহাস করে বলেন- অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। কিন্তু আসলে সেটা প্রয়োগ হওয়ার কথা আপনাদের ওপর। যাহোক, অর্থহীন কথা না বলে আপনার কোন যুক্তি থাকলে সেটা তুলে ধরে প্রমান করুন লেখক যা বলেছেন তা ভূল। না পারলে চুপ করে থাকুন।
আল্লাহ্ আছেন কি নাই তার প্রমান আপনারা সকলেই পাবেন মৃত্যুর পর। আশা করি সেখানেই আপনাদের ব্যাঙ্গভরা চন্দ্রমুখগুলি দেখতে পাবো!
“আমি তোমাদেরকে ভয়ভীতি, ক্ষুধা, ধনসম্পদ, জীবন ও ফলন হ্রাস দ্বারা পরীক্ষা করবো। তুমি ধৈর্য্যশীলদেরকে সুসংবাদ দাও।”
আপনাদের মন্তব্যগুলো দেখে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করি যে তিনি আপনাদের মত অন্ধ ও অবুঝ করে সৃষ্টি করেননি। তাঁর সবচেয়ে বড় উপহার “ঈমান” কে দিয়ে দিয়েছেন। আলহাম্দুলিল্লাহ।
@ফয়সল,
এত বর্বর অমানবিক যাঁর পরীক্ষা পদ্ধতি সেই কল্পিত মহাদানবের অনুসারীরা তো বর্বর নির্মম হবেই। আপনার ‘ঈমান’ নিয়ে আপনি মহানন্দে মহাদানবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হোন!
হায়রে মস্তিষ্ক! হায়রে সভ্যতা!
@ফয়সল,
মৃত্যুর পর যে আল্লার দেখা পাবেন, এই গ্যারান্টি আপনি কোথায় পেলেন ? কে দেখে এসেছে ? নাকি শুধুই বিশ্বাস ? বিশ্বাস কিন্তু শিশুর ধর্ম।
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে যেমন স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন, তেমনি ঈমানও। আর এই ঈমানকে রক্ষা করা আর ও জরুরী এই জন্য যে, ইহা ছাড়া বেহেশতের হুর গেলমান পাওয়া যাইবে না।
@ফয়সল,
অর্থাৎ আপনাকে আমাদের মত অন্ধ ও অবুঝ করে সৃষ্টি না করার জন্য দায়ী আল্লাহ? তাহলে আমদের অন্ধ ও অবুঝ করে সৃষ্টি করার জন্য দায়ী কে?
@যাযাবর,
একটা ইম্পর্ট্যান্ট কথা শোনেন
لآ اِلَهَ اِ لّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ
এবং
এটা সত্য এটা সত্য এটা সত্য।
http://www.halaltube.com/
ভাল কথা শোনেন । মন পবিত্র হবে। উনি যেভাবে লিখেছেন! আমি নাস্তিক হলেও এমন ভদ্র নষ্টামি ভাষা ব্যবহার করতাম না।
আসসালামু আলাইকুম। May Allah Bless you. Also me.
@ইমেজ,
আপনার ইম্পর্ট্যান্ট কথাটা বাংলায় লিখেন, সবাই বুঝুক।
একটু বুঝিয়ে বলবেন ‘পবিত্র’ জিনিসটা কী। এটাকে কিভাবে প্রমাণ করা যায় ?
@হৃদয়াকাশ,
কথাটার মানে “আল্লাহ ছাড়া কোন কোন উপাস্য নেই।
মুহাম্মাদ সঃ আল্লাহ’র রাসূল”
মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল না। এটা আপনি কিভাবে প্রমাণ করতে পারবেন? এটা ঠিক তিনি মানুষ ছিলেন। কিন্তু তিনি ছিলেন সবচেয়ে ভাল মানুষ। সেরা মানুষ।
তখনকার সময়ে অসংখ্য বিয়ে করতো মানুষ। আর আপনি কি মনে করেন জানিনা, শারীরিক সম্পর্কই যদি উদ্দেশ্য হত, উনার বিয়ে করার দরকার ছিল না।
আপনার কাছে বহু বিবাহ খারাপ মনে হয়। কিন্তু আপনি ১০ জন মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ককারী বন্ধুটিকে আপন করে নেন। লিভ টুগেদার করে মেয়েটাকে ছ্যাবড়া করে ফেলে দিতে পারেন। খারাপ লাগে না। বলছিনা বহুবিবাহ করেন। বহুবিবাহের অনুমতি দেয়া হয়েছে ইসলামে। সাথে শর্ত দেয়া হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে……
আর যা ই বলেন ধার্মভীরু একটা পরিবারের পরিবেশ থাকে পরিচ্ছন্ন। থাকে শান্তি। স্ত্রী উচ্চস্বরে কথা বলে না। মেয়েরা রিকশাওয়ালাদের চক্ষুধর্ষনের শিকার হয় না। ছেলেটা বাবার সাথে নিচু স্বরে কথা বলে। মা’কে অসম্ভব ভালোবাসে। আমি গর্বিত। আমি যে পরিবারে থাকি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সেই পরিবার। আমার বাবার মত সুন্দর বাবা আপনার নেই। আমার মা’র মত করে আপনার মা আপনাকে ভালোবাসে না। আমার ভাই বোন আমার জন্য যতটা পাগল, আপনার তেমন কিনা জানিনা। যে মেয়েটা আমার স্ত্রী হতে যাচ্ছে, তাকে কেউ দেখেনি। দেখবেও না আমি ছাড়া। এগুলো তো জাগতিক পাওনা। মনের শান্তি আর কিসে আসে? আল্লাহর উপর ভরসা রেখে কাজ করতে থাকলে মানুষ কখনো হতাশ হয় না। দেখা হবে আপনার সাথে কোনদিন।
সোমালিয়ার সমস্যা নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে কিছু করতে পারলে করুন। সম্পাদকীয়তে কলাম লেখার মত প্রফিটলেস আপনার এই ব্লগ। কি বোঝাতে চান আপনি?
‘পবিত্র’ সম্পর্কে জানতে চান? নাকি “মনের পবিত্রতা” সম্পর্কে জানতে চান? কষ্ট করে জানালে সুবিধা হত।
আর হ্যা “উন্নত দেশ” কথাটার মানে জানতে চাই। অর্থই কি উন্নতির মাপকাঠি? মানে বিলগেটস কি পৃথিবীর সেরা মানুষ? (D)
@ইমেজ,
বিলগেটস কি পৃথিবীর সেরা মানুষ?
অন্যতম সেরা তো বটেই। আজ আমরা যে দুনিয়াতে বাস করি তার একজন রূপকার বিল গেইটস।সেইখানে তার গু্রুত্ব। তার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সর জন্য নয়। আর বিল গেইটসের অবদানের পিছনে পিছনে আছে science। জীন পরীদের গপ্পো ভরা কোরান বা বাইবেল নয়।
@ইমেজ, আপনার সাথে একমত।
অনামি, আপনি ইমেজের যুক্তি খণ্ডাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
@ইমেজ,
ভাই ,মুহাম্মদ যে আল্লাহর রসুল – এটা প্রমানের দায়িত্ব আপনার, কারন আপনি বিষয়টার দাবীকারী। যে এটা বিশ্বাস করে না , দায়িত্বটা তার না। আপনারা যারা অন্ধ বিশ্বাসী তাদের বোধ বুদ্ধি এতটাই ভোতা যে লজিকের এ সাধারন নিয়মটাও আপনাদের অজানা।
যে মানুষ ১৩ টা বিয়ে করে- তার মধ্যে একটার বয়স ৬, একটা তার পালক পুত্রের স্ত্রী, যে লোক দাসী বাদিদের সাথে অবৈধ সেক্স করে, যে লোক তার বিরুদ্ধে সামান্যতম সমালোচনাকারীকে সহ্য করতে পারে না – তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে, আর তার সাথীদেরকে উপদেশ দেয় হত্যা করতে, যে লোক তার স্ত্রীদের বিবাদ মিটাতে ব্যর্থ হয়ে আল্লাহর ওহীর নামে ধোকা দেয়, যে লোক বলে রাতে সূর্য আল্লহর আরশের নীচে বিশ্রাম নেয়, যে লোক বলে পৃথিবী হলো সমতল যায়গা যাকে পাহাড় পর্বত আটকে রেখেছে যাতে এটা নড়ে চড়ে উল্টে না যায়, যে লোক বলে আকাশের উল্কা খন্ড হলো শয়তান তাড়ানোর অস্ত্র, যে লোক বলে আকাশ হলো কঠিন পদার্থের তৈরী ছাদ, যে লোক তার সাথীদেরকে লুটের মালের লোভ দেখিয়ে ব্যবসায়ী দল বা জনপদ আক্রমনের জন্য প্রলুব্ধ করে, যে লোক নারীকে মনে করে নিম্নতর বুদ্ধি সম্পন্ন কোন এক জীব যার মূল কাজ হলো যৌন চাহিদা পূরন ও বাচ্চা পয়দা—————— সে লোক কিভাবে সবচেয়ে ভালমানুষ তো দুরের কথা একজন সাধারন ভাল মানুষ হতে পারে , দয়া করে বলবেন কি ?
@ইমেজ,
আমার হয়ে অনেক কথা ভবঘুরে ভাই ই আপনাকে বলে দিয়েছে, তারপরও যেগুলো বাকি আছে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করছি।
মুহম্মদ আল্লার রাসূল এই কথা আপনাকে কে বলেছে ? এর কি কোনো প্রমাণ আছে ? মুহম্মদের রাসূলত্ব কি বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত ? মুহম্মদ নিজেই বলেছে সে আল্লার রাসূল। এতেই কি প্রমাণ হয় যে সে আল্লার রাসূল ? আমিও তো এখন বলতে পারি, আমি আল্লার রাসূল। তখন আপনারা আমাকে কি বলবেন ? বলবেন, একটা পাগল। তারপর নবীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুসলমানরা আমাকে হত্যা করবে। আর যদি বেঁচেও যাই এবং তারপরও নবীর দাবি না ছাড়ি তাহলে উন্মাদ আখ্যায়িত হওয়ার পর আমার ঠাঁই হবে পাবনায়।
আপনার বাবার বয়স এখন সম্ভবত পঞ্চাশ হবে, না হলেও ধরে নিলাম তার বয়স পঞ্চাশ। এখন আপনার বাবা যদি ৯ বছর বয়সী একটা মেয়েকে বিয়ে করে তার সঙ্গে সেক্স করে, সেটা কেমন হবে ? ৯ বছর বয়সী একটা মেয়ে কত বড় জানেন, যে ক্লাস থ্রিতে পড়ে। তার সঙ্গে ৫০/৫২ বছর বয়সী আপনার বাবা, এক বিছানায়। এখন ভাবেন দৃশ্যটা আপনার কেমন লাগবে।
তারপর ভাবেন, আপনার মা ছাড়াও আপনার বাবার আরও স্ত্রীর সংখ্যা ১২ জন। আপনার বাবা পালা করে প্রত্যেক স্ত্রীর সঙ্গে একরাত করে কাটান। কেমন লাগবে আপনার ?
তারপর ধরেন আপনাদের বাড়িতে দু‘চার জন কাজের মেয়ে আছে; থাকতেই পারে, ১৩ সতীনের সংসারসহ আপনার মা‘র এতবড় পরিবার, কাজের মেয়ে লাগবে না, নিশ্চয় লাগবে। সেই কাজের মেয়েদের মধ্যে থেকে দুজনকে আপনার বাবার মনে ধরে গেলো, ব্যস তাদের সঙ্গেও আপনার বাবা ওভারটাইম হিসেবে এক বিছানায় দিনে বা রাতে সময় কাটাতে লাগলো। কেমন লাগবে আপনার ? দারুণ মজা না।
এই যে আপনার বাবার ১৩ স্ত্রী, তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় আবার আপনার বিশেষভাবে জানা দরকার। এর মধ্যে যিনি আপনার ৫ নং মা, তিনি কিন্তু আগে আপনার ভাবী ছিলেন। মানে আপনার যখন জন্ম হয় নি; তখন আপনার বাবা একটা ছেলেকে দত্তক হিসেবে নিয়েছিলেন, তাকে নিজের ছেলের মতো করে মানুষ করে বিয়ে দিয়েছিলেন। তাকে থাকার জন্য আলাদা একটা বাড়ি করেও দিয়েছিলেন। একদিন হলো কী, কোনো একটা কারণে আপানার বাবা আপনার ঐ বড় ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন তার সঙ্গে দেখা করতে, গিয়ে আপনার বাবা অর্ধনগ্ন অবস্থায় আপনার ঐ ভাবীকে দেখতে পায়; এর পরই আপনার বাবা সিদ্ধান্ত নেন আপনার ভাবীকে বিয়ে করার। তারপর তিনি কৌশলে আপনার ভাই আর ভাবীর বিচ্ছেদ ঘটান এবং পরে তাকে বিয়ে করেন। ঘটনাটা দারুন না।
এই হলো আপনাদের সুখী পরিবারের ইতিহাস। আমি এতক্ষণ যে পরিবারের ইতিহাস বর্ণনা করলাম, ঠিক এমনটাই করেছিলেন আপনার নবী। এখন বলেন তো, তিনি মানুষ হিসেবে কতটা ভালো ? মুহম্মদকে যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ বলেন সেটা কি বেহেশতের হুর গেলমনানের লোভে, না অন্য কারণে ? বিবেক বলে কি কোনো বস্তু আপনার মধ্যে আছে ?
আমার কোনো বন্ধুর যদি ১০ জন মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক থাকে আর সে যদি কারো সাথে প্রতারণা না করে তাহলে ও আমি তাকে আপনার নবীর চেয়ে ভালো মনে করবো। কারণ, আপনার নবীর শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিলো মোট ২২ জন মেয়ের সাথে। নারী কেলেঙ্কারীর জন্য এরশাদকে আমরা বিশ্ববেহায়া বলি, আপনার নবীকে কী বলা উচিৎ ?
আমি কোনো মেয়ের সাথে লিভটুগেদার করতে পারি, করি এখনও; তাই বলে তাকে তাকে কখনও ছেড়ে যাবো না বা ফেলে দেবো না। যেমনভাবে আপনারা তালাকের মাধ্যমে ছুঁড়ে ফেলে দেন কলমা পড়ে বিয়ে করা বউকে। তখন কলমাকে আপনারা কি খুব মূল্য দেন ? আমরা নাস্তিক, কিন্তু আমরা অমানবিক নই। আমাদের মনের কথা আর মুখের কথা আলাদা নয়। আমরা মনে যা ভাবি, মুখে তাই বলি আর তাই করি; সেজন্য শারীরিক সম্পর্কের জন্য আমাদের কোনো সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয় না।
ইসলামে বহু বিবাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, আপনার বাবা যদি এখনও না করে তাহলে তাকে একটা বা দুটো বা একসঙ্গে তিনটা দিয়ে দিন। কারণ, আপনার নবী ১৩টা করলেও তিনি উম্মতদের জন্য একসঙ্গে ৪টার অনুমতি দিয়েছেন। তারপর দেখেন আপনার পরিবারে কেমন সুখের ফল্গুধারা ছোটে ? তবে বহু বিবাহের যে শর্ত দেয়া আছে তা হচ্ছে সবাইকে সমানভাবে দেখা। আপনার বাবা সব স্ত্রীর ঘরে সমান সময় কাটায় কিনা সেটা না হয় আপনিই তদারকি কইরেন। হাজার হলেও বাপ তো। জায়েদ তার পালক বাপ মুহম্মদের জন্য নিজের বউকে তালাক দিয়ে তার সঙ্গে বিয়ের পথকে সুগম করে দিয়েছিলো, আর আপনি এটুকু করতে পারবেন না ? বাপকে দুই তিনটা বিয়ে দেওয়ার চেয়ে ভালো হবে নিজে যদি দুইটা করেন। একটা তো রিসেন্টলি করবেন বলে লিখেছেন, আর একটাও করে ফেলেন; তারপর দেখেন দুইটাকে আপনি সমান নজরে দেখতে পারেন কিনা। কিন্তু এ ব্যাপারে আপনাকে একটু সাবধান থাকতে হবে, আপনার নবীর নাতি হাসান কিন্তু তিন নম্বর বিয়েটা করেই ফাঁসছিলো। সতীনের সংসার জায়েদা সহ্য করতে পারে নি। তাই স্বামী হাসানকে সে বিষ দিয়ে মেরেছিলো। সাবধান থাকবেন, আপনার অবস্থাও যাতে এরকম না হয় ।
ধর্মভীরু একটা পরিবারে থাকে শান্তি, স্ত্রী উচ্চস্বরে কথা বলে না। কারণ, উচ্চস্বরে কথা বললেই ঘরে সতীন আসার সম্ভাবনা। চারটা বিয়ের অনুমোদন তো আছেই । সুতরাং স্বামী যদি হুট করে আর একটা বিয়ে করে তখন তো স্ত্রী কিছু বলতে পারবে না। বললেই স্বামী ধর্মের দোহাই দেবে। সেজন্য স্ত্রী আগে থেকেই চুপ করে থাকে সংসারে যেন কোনো অশান্তি না হয়। আপনি কি জানেন এই চার বিয়ের বিধানের কারনে অনেক মেয়েরই সারাজীবন আতঙ্কের মধ্যে কাটে ? তাদের স্বামী কখন কী করে ফেলে এই ভয়ে।
আপনার পরিবারের সঙ্গে আমার পরিবারের যে তুলনা করেছেন আমি এক বাক্যেই তা উড়িয়ে দিয়ে বলতে পারি আমার পরিবার আপনার পরিবারের চেয়ে ভালো। কেননা আপনি তো আমার পরিবার সম্পর্কে জানেন না। আমি যা বলবো আপনাকে তাই বিশ্বাস করে থাকতে হবে। কিন্তু আমি তা করবো না। কারণ, নাস্তিকেরা সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পায় না। হ্যাঁ, আমি স্বীকার করছি আমার পারিবারিক বন্ধন কিছুটা হালকা। কিন্তু তার কারণ আমার নাস্তিককতা না, কারণ আমার বাবা মা‘র জ্ঞানের সঙ্গে আমার জ্ঞানের আকাশ পাতাল পার্থক্য।
যে মেয়েটাকে আপনি বিয়ে করতে যাচ্ছেন তাকে কেউ কখনও দেখে নি এবং ভবিষ্যতে আপনি ছাড়া কেউ দেখবেও না। এর দ্বারা আপনি কী বোঝাতে চাচ্ছেন ? আপনি যে শস্য ক্ষেত্রটা পেয়েছেন সেটা অক্ষত ? সেটাতে কারো হাত পড়েনি ? এই তো ? একটা কথা ঠিক করে বলেন তো, মেয়েদের আপনি মানুষ মনে করেন, না বস্তাবন্দী মাল মনে করেন ? যে তারা সব সময় থাকবে পর্দার আড়ালে ঢাকা ? আপনার কাছে মেয়ে মানেই কি শুধু সেক্স করা আর সন্তান জন্মদানের মেশিন ? বোরকার আড়ালে ঢেকে আপনি যে একটা মেয়ের সকল সম্ভাবনাকে হত্যা করছেন, তার বিকাশকে রুদ্ধ করছেন, এটা কি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ না ? শেষে আপনাকে একটা তথ্য দিই, আবাসিক হোটেলে যে সব মেয়েরা আসে এবং দেহ ব্যবসা করে তারাও কিন্তু আপাদমস্তক বোরকার আড়ালে ঢেকেই আসে এবং রাস্তায় চলাফেরাও করে বোরকায় শরীর ঢেকে, তাদেরও কেউ দেখে না। সুতরাং সাবধান। বিয়ের পর আপনার কাছে যেন এটা আবিষ্কার না হয় যে আপনার আগেই খালটা কেউ আগেই খনন করে রেখেছে । আপনার কাজ শুধু বিনা পরিশ্রমে সেখানে ঢোকা আর বের হওয়া।
সম্পাদকীয়তে কলাম লেখার মতো প্রফিটলেস এই ব্লগ হলেও, আমার এই জবাব পড়তে পড়তে নিশ্চয় আপনি বুঝতে পারছেন এই ব্লগের শক্তি। এক নাস্তিক, এক আল্লার বান্দাকে কিভাবে তুলোধুনো করছে ? আর রাগে আপনি আপনার দাঁত কামড়াচ্ছেন। কিন্তু কিছুই করতে পারছেন না। অথচ আপনার সামনে দাঁড়িয়ে এই কথাগুলো বলার আগেই রাসূলের নামে কটূক্তি করার অভিযোগে আপনি আমাকে কতল করে আল্লার সন্তুষ্টির কী পরিমান আপনার উপর বর্ষিত হলো, আপনার বেহেশত নিশ্চিত হলো কিনা, বেহেশতে আপনি হুরগেলমান পাবেন কিনা, ইত্যাদির খোঁজ করতেন।
হুমায়ূন আজাদ বলেছেন, ‘পবিত্র বলে কোনো কিছু নেই, কোনো কিছু পরিষ্কার থাকতে পারে। তাই পবিত্র একটা বোগাস ব্যাপার।’ উদ্ধৃতিটা হুবহু না হলেও এইরকমই। আপনি আমার তামাশার জায়গাটা ধরতে না পেরে যখনই বলেছেন মনের পবিত্রতার কথা তখনই বুঝেছি আপনি কী বলতে চাচ্ছেন।
আপনারা বিশ্বাস করেন, দুজন নরনারীর মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত অর্থাৎ সার্টিফিকেট বা লাইসেন্সবিহীন সেক্স হলে সেটা অপবিত্র; আর লাইসেন্স থাকলে সেটা পবিত্র, বৈধ। এই তো? তাহলে আপনাকে একটা কথা বলে রাখি, আপনার আল্লার কাছে বিয়ে কোনো ব্যাপার না, তার কাছে ব্যাপার হচ্ছে সেক্স। আপনি যদি আপনার হবু স্ত্রীকে বিয়ে না করেও কোনো উপায়ে তার সঙ্গে নিয়মিত বা ঠিক সময়মতো একবার সেক্স করতে পারেন তাহলেও আপনার যৌনসঙ্গিনী গর্ভবতী হয়ে পড়বে। আর অন্তঃসত্ত্বা হলেই প্রাণের সৃষ্টি। এই প্রাণের সৃষ্টি করলো কে ? আল্লা ছাড়া আর কারও কাউকে প্রাণ দেওয়ার ক্ষমতা আছে ? এ থেকে কী প্রমাণ হয় আল্লার কাছে বিয়েটা গুরুত্বপূর্ণ না সেক্স গুরুত্বপূর্ণ ? পারস্পারিক সম্মতিতে দুজন নারী পুরুষের সেক্সের মধ্যে আপনি অপবিত্রতার গন্ধ পেতে পারেন, তাকে অবৈধ হিসেবে দেখতে পারেন, কিন্তু আমি দেখি না।
অবশ্যই অর্থই উন্নতির মাপকাঠি। যার অর্থ আছে তার কাছেই সবাইকে হাত পাততে হয়। খোঁজ নিয়ে দেখেন বিল গেটসের টাকায় কত মুসলিম দেশের কত সাহায্য প্রকল্প চলে। আল্লা তো মুসলমানদের আর সাহায্য করে না তাই বিল গেটসদের মতো মানুষদেরই তাদেরকে সাহায্য করতে হয়। এখন আপনিই চিন্তা করেন কে সেরা? অবশ্য আপনাদের তো আবার প্রব্লেম আছে। কোনো কৃতিত্বই তো আবার আপনারা মানুষকে দিতে চান না। সব কৃতিত্বই নাকি কোনো এক কল্পিত আল্লার!
————— বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম————–
হৃদয়াকাশ ভাই ও ভবঘুরে ভাই। সত্যি কথা বলতে কি, আপনাদের কমেন্ট দেখে আসলেই ঘাবড়ে গিয়েছি আমি। আপনারা নিশ্চয়ই ভীষন আনন্দ পেয়েছেন কিছু গোলগাল কথা বলে। একটা কথাই মনে মনে হল যথেষ্ট জানার সুযোগ সত্তেও আপনি সেগুলোকে হারিয়েছেন। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি আপনাকে আল্লাহ তাআলা যেন ইসলামের দাওয়াতকারী বানান।
মুহম্মদ আল্লার রাসূল এই কথা আপনাকে কে বলেছে ? এর কি কোনো প্রমাণ আছে ? মুহম্মদের রাসূলত্ব কি বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত ? মুহম্মদ নিজেই বলেছে সে আল্লার রাসূল।
হ্যা মুহাম্মাদ (স) আল্লাহর রাসূল। এখানে কোন ভুল নেই।
সব ধর্মই ইসলামের আগে এসেছে। প্রধান প্রধান সব ধর্মগ্রন্থেই মুহাম্মাদ (স) এর আগমন বার্তা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। আপনারা আশাকরি জাকির নাইকের সব লেকচারই শুনেছেন। আপনার শেষ বাক্যের উত্তর এটা। না সে নিজে বলেনি যে তিনি আল্লাহর রাসূল। আগেই বলা ছিল। উনি যা করেছেন তা হল নিজেকে প্রকাশ করা “হ্যা, আমিই সেই মানুষ”। জন্য কোন রেফারেন্স লাগবে বলে আমার মনে হয় না।
রাসূল ৪০ বছর সত্য বলেছিলেন। আল-আমিন উপাধি ছিল উনার। এরপর হুট করে উনি মিথ্যা বলা শুরু করলেন! কেন? টাকার লোভ? নাকি উনি পাগল হয়ে গিয়েছিলেন? নাকি ক্ষমতার লোভ?
টাকার লোভে এসব তিনি করেন নি। মুহাম্মাদ (স) নিজেকে অর্থবিত্ত থেকে দূরে রেখেছেন। বলাই বাহুল্য। এমনকি তাঁদের নিজেদের জন্য যাকাত হারাম করা হয়েছিল।
পাগল যুক্তি বোঝে না। উনি যুক্তি বুঝতেন। তাছাড়া পাগল হলে ২৩ বছরের কুরানের কোন আয়াত কোথায় লাগবে উনি বলতে পারতেন না। ২মাস আগে আসা বাক্যে কথা উনি যদি পাগল হতেন ঠিক ঠিক মনে করতে পারতেন না। অবচেতন ভাবে এসব কথা বলেন নি।
যে জিনিস দেখছি আপনাদের মূল অস্ত্র । নবী কেন এত বিয়ে করলেন!
প্রথম কথা, একমাত্র আয়েশা (রা)- ছাড়া আর কোন কুমারী নারী উনার ভাগ্যে জোটেনি। আর একটা ব্যাপার, বলেছেনঃ
গিয়ে আপনার বাবা অর্ধনগ্ন অবস্থায় আপনার ঐ ভাবীকে দেখতে পায়; এর পরই আপনার বাবা সিদ্ধান্ত নেন আপনার ভাবীকে বিয়ে করার। তারপর তিনি কৌশলে আপনার ভাই আর ভাবীর বিচ্ছেদ ঘটান এবং পরে তাকে বিয়ে করেন।
আপনার সুন্দর ভাষা ব্যবহার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনি মনে হয় আপনার অবস্থান ভুলে গেছেন। যাই হোক,
যায়েদ রাঃ’এর কথা হচ্ছে এখানে। সূরা আল আহযাবের ৩৭ নম্বর আয়াতে আছে এই ব্যাপারে কথা।
যায়েদ ছিলেন দাস। আর জয়নব (রাঃ) ছিলেন মুহাম্মাদ (স) এঁর খালাতো বোন। এটা ভুলে যাবেন না। জয়নব কিন্তু জায়েদ কে বিয়ে করতে চান নি। প্রথমবার ফিরিয়ে দেন। এঁর কারণ হিসেবে বলা হয় উনার উচ্চবংশের গৌরবের কারণে সামান্য দাসকে বিয়ে করতে চান নি। কেউ কেউ বলেন(William Montgomery Watt) উনার মনে আগে থেকেই মুহাম্মাদ(স) কে বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল। তাই এমন করেছিলেন। কিন্তু মুহাম্মাদ (স), দাস-বিষয়ক এই নিম্ন ধারণা দূর করার জন্য বিয়ে দেন। “সবাই সমান” টাইপ ব্যাপার। মুহাম্মাদ (স) এঁর পঞ্চম বিয়ে ছিল, আর কুরানে অনুমতি ৪! তাই ভয়ে তিনি নিজের মনের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করতে পারেন নি। উনার মনে এই বাসনা আগেই ছিল।
ভুলে যাবেন না, She was also Muhammad’s first cousin, Muhammad’s father Abd Allah ibn Abd al Muttalib was brother of Zaynab’s mother Umaimah bint Abd al-Muttalib (উইকিপিডি থেকে নিলাম) । তার ওপরে আছে সেই দিনের ঘটনা ; “One day Muhammad went out looking for Zaid (Mohammed’s adopted son). Now there was a covering of hair cloth over the doorway, but the wind had lifted the covering so that the doorway was uncovered. Zaynab was in her chamber, undressed, and admiration for her entered the heart of the Prophet”
এজন্যই যখন যায়েদ তালাক দিলেন মুহাম্মাদ(স) জয়নবের মত নিয়েই বিয়ে করেন। তাছাড়া এটাও ঠিক মুহাম্মাদ (স) এঁর Desire ও কম ছিল না। আয়েশা (রাঃ) কে এই ব্যাপারে কথা বলতে শোনা যায়। টিটকারিও বলতে পারেন।
এবার আসি বহুবিবাহ ও দাসী ব্যাপারের সমস্যায়ঃ
তখন টেকনোলজির যুগ ছিল না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছেলে শিশুরা জন্মের সময়ই বেশি মারা যেত। মেয়েরা বেঁচে যেত । তার উপর ছিল নিয়মিত যুদ্ধবিগ্রহ। যাতে ছেলেরাই অংশগ্রহণ করতে হত এবং ব্যাপক হারে মারা যেত। এসব তো মুহাম্মাদ (স) জন্মের আগে থেকেই ছিল।
উনি এসে পেলেন এমন সমাজ যেখানে হাজার সমস্যার পাশাপাশি একটা সমস্যা ছিল ছেলেঃ মেয়ের অনুপাত। অনেক বেশি ছিল। দাসী, একাধিক স্ত্রী রাখার পরেও কেউ স্ত্রী-হীনতায় ভুগেনি। তাছাড়া আমার মনে হয় এই বহুবিবাহ ছাড়া “পতিতা” সমস্যার অন্য কোন সমাধান নাই। তবে হ্যা যদি বলেন পতিতা থাকলে সমস্যা নাই…… ইত্যাদি তাহলে আপনাকে আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিলাম। নিজের বিবেকের কাছে ছেড়ে দিলাম। আপনার বোন পতিতা হওয়া ভাল না কারো দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়া ভাল? নিশ্চয় এইটা পুরোনো প্রশ্ন আপনার কাছে? তা-ও করলাম। আবার।
আপনি অসময়ে মারা গেলে আপনার স্ত্রী কি করবেন? তখন আরবে কারো স্ত্রীর অভাব ছিল না যে আপনার বিধবা ( আপনার ভাষায় কি খাল না কি যেন) স্ত্রী কে নিয়ে ফুর্তি করবে। তার স্থান পতিতা পল্লীতে। তাও কেউ ছায়াও মাড়াইতো না। এরকম স্ত্রীই নবী নিয়েছেন। আপনার কি মনে হয় উনি খারাপ কাজ করেছেন? নাকি ফুর্তি করার জন্য?
জীবণে কোনদিন নামায পড়লে দেখবেন, ৫ ওয়াক্ত নামায পড়তে কেমন সময় লাগে। তার উপর উনি সবসময়ই দীর্ঘ নামায, এবং রাত জেগে ইবাদত করেছেন। প্রতিদিন ই সাহাবীদের সময় দিয়েছেন। এত এত বক্তৃতা বয়ান করেছেন। রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। যুদ্ধ করেছেন। সময় কোথায় উনার ফুর্তি করার? যেভাবে বলছেন! ইয়াল্লাহ!
আপনার বাবা যদি এখনও না করে তাহলে তাকে একটা বা দুটো বা একসঙ্গে তিনটা দিয়ে দিন। কারণ, আপনার নবী ১৩টা করলেও তিনি উম্মতদের জন্য একসঙ্গে ৪টার অনুমতি দিয়েছেন। তারপর দেখেন আপনার পরিবারে কেমন সুখের ফল্গুধারা ছোটে ? তবে বহু বিবাহের যে শর্ত দেয়া আছে তা হচ্ছে সবাইকে সমানভাবে দেখা। আপনার বাবা সব স্ত্রীর ঘরে সমান সময় কাটায় কিনা সেটা না হয় আপনিই তদারকি কইরেন। হাজার হলেও বাপ তো
আপনি কোথায় যেন বলেছেন যে আপনাদের মুখের কথা আর মনের কথা এক । বোঝা যাচ্ছে আপনার মন কেমন। আপনি ছোট্ট একটা মানুষ। অসুখী।
অনুমতি দেয়া আর উৎসাহ দেয়া এক নয়। অনুমতি আদেশ উৎসাহ । এসব শব্দগুলো আপনি শুনেছেন নিশ্চয়ই।
তাছাড়া মেয়েরা একাধিক বিয়ে করতে পারে না কে বলল? স্বামীর ক্ষমতায় পোষায় না, সে তালাক দিয়ে আবার বিয়ে করবে।
আমরা মনে যা ভাবি, মুখে তাই বলি আর তাই করি; সেজন্য শারীরিক সম্পর্কের জন্য আমাদের কোনো সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয় না।
হুম ইংলন্ড-এমেরিকা দ্যাখলেই আমার আক্কল গুডুম হয়া যায়। কি হিসেবে এই কথা বললেন বুঝি নি। আবার বলেন।
আমি কোনো মেয়ের সাথে লিভটুগেদার করতে পারি, করি এখনও; তাই বলে তাকে তাকে কখনও ছেড়ে যাবো না বা ফেলে দেবো না।
–আজ্ঞে আজ্ঞ।
কারণ আমার বাবা মা‘র জ্ঞানের সঙ্গে আমার জ্ঞানের আকাশ পাতাল পার্থক্য।
আমার বাবা কিন্তু একটা BOSS. সেই ছোটবেলা থেকে আমার ইচ্ছা আমি আমার বাবার মত হব। এখনো সেই ইচ্ছা পূরণ না হলেও বলতে পারি উনার আর আমার জ্ঞানের মধ্যে অমিলের চেয়ে মিল বেশি। প্রচন্ড ভালোবাসেন আমাকে। আমিও তাঁকে। MY REAL HERO.
বিয়ের পর আপনার কাছে যেন এটা আবিষ্কার না হয় যে আপনার আগেই খালটা কেউ আগেই খনন করে রেখেছে । আপনার কাজ শুধু বিনা পরিশ্রমে সেখানে ঢোকা আর বের হওয়া।
আপনি কি বুঝতে পারছেন? নিজেকে যেই লেভেলের মানুষ মনে করেন, আপনি তা না। সামান্য বিতর্কে রাগে অন্ধ হয়ে পোস্ট দিয়েছেন! আপনার মত নাস্তিকের ঘরেই এইরকম কাহিনী হওয়া সম্ভব। নিজের বোনকে দেখে রাখবেন। নাইলে উপরোক্ত অভিজ্ঞতার কথা নিজকেই একদিন শুনতে হবে। আপনার ভাগ্যে যে কি ঘটবে তা আল্লাহ তাআলাই বলতে পারেন।
আমার প্রিয় হবু স্ত্রী (ইনশাল্লাহ) পুরোপুরিই আমার। সে সত্যবাদী। মেধাবী। অসম্ভব সুন্দরী। অসম্ভব রূবপতী। আর আমাকেও ভালোবাসে অসম্ভবরকম। সম্মান করে। ওর বাবা-মা’ অমত করেন নি নিজেদের মেয়েকে আমার জন্য রেখে দিতে। আর আমি জানি ওর মত মেয়ে আপনার মত ছেলেরা কোনদিন পাবে না। দেখার সৌভাগ্যও হবে না!
আপনার ভাগ্যে খালি আছে খনন করা খাল! মাফ করবেন।
এক নাস্তিক, এক আল্লার বান্দাকে কিভাবে তুলোধুনো করছে ? আর রাগে আপনি আপনার দাঁত কামড়াচ্ছেন। কিন্তু কিছুই করতে পারছেন না। অথচ আপনার সামনে দাঁড়িয়ে এই কথাগুলো বলার আগেই রাসূলের নামে কটূক্তি করার অভিযোগে আপনি আমাকে কতল করে আল্লার সন্তুষ্টির কী পরিমান আপনার উপর বর্ষিত হলো, আপনার বেহেশত নিশ্চিত হলো কিনা, বেহেশতে আপনি হুরগেলমান পাবেন কিনা, ইত্যাদির খোঁজ করতেন
আপনিও আল্লাহর বান্দা। আল্লাহর রাসূলের উম্মত। আপনি শিরক’ ছাড়া অন্য যা—ই করেন না কেন, আপনি ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য।
আপনাকে একটা কথা বলি। আমার মেডিকেলের বন্ধু ইমরান (মেধাবী) যা জানালো তার সারমর্ম হল, আপনি যদি ৯০দিন টানা বলতে থাকেন আমি নাস্তিক। তাহলে আপনি আসলেই নাস্তিক হিসেবে নিজেকে আবিষ্কার করবেন। ব্রেইনের প্রাইমারিনার্ভে এই কথা সেট হয়ে যাওয়ার কারণে হয়। তাই বলবো, আল্লাহ আছেন। বলতে না পারেন , অন্তত নিজেকে হিম্মত বাহাদুর ভাবা থেকে দূরে থাকুন।
আপনার চেয়েও দ্বীন দুনিয়ায় বড় মানুষ আছে। শান্ত থাকুন।
এ থেকে কী প্রমাণ হয় আল্লার কাছে বিয়েটা গুরুত্বপূর্ণ না সেক্স গুরুত্বপূর্ণ ?
অন্তত এই কথায় আপনাকে আমি পিঠ চাপড়াতে পারি। শাবাশ বস! সত্যি কথাটা বলেছেন। আই লাইক ইউ সো মাচ! আল্লাহ তাআলার কাছে সেক্স মহা গুরুত্বপূর্ণ। এটা বেহেশ্তের অসংখ্য সুখের একটা। ব্যাখ্যা করতে পারবো না। হাত ব্যাথা করতেছে।
পারস্পারিক সম্মতিতে দুজন নারী পুরুষের সেক্সের মধ্যে আপনি অপবিত্রতার গন্ধ পেতে পারেন, তাকে অবৈধ হিসেবে দেখতে পারেন, কিন্তু আমি দেখি না।
আপনি যেহেতু আগেই বলেছেন
আমরা মনে যা ভাবি, মুখে তাই বলি আর তাই করি;
তাই আশা করি একজন পতিতা( আই মীন খালওয়ালাকে) বিয়ে করে ব্যাপারটা প্রমাণ করবেন আর আমাকে ফোন দিবেন। অবশ্য বিয়ে করেই ফোন দেয়া উচিত। বাকিটা আমি দেখবোখন।
অবশ্যই অর্থই উন্নতির মাপকাঠি। যার অর্থ আছে তার কাছেই সবাইকে হাত পাততে হয়। খোঁজ নিয়ে দেখেন বিল গেটসের টাকায় কত মুসলিম দেশের কত সাহায্য প্রকল্প চলে।
আজ্ঞে আপনি মনে হয় মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ আর মুসলিম মানে ইসলামিক রাষ্ট্র আলাদা করতে জানেন না।
ইসলামিক রাষ্ট্রের সবচেয়ে কাছাকাছি সৌদি। তাও পুরো না। ঝামেলা আছে। ইসলামিক রাষ্ট্র কিনতে জানে। না খেয়ে মরতে জানে, হাত পাততে জানে না। নাহ মানুষের কৃতিত্ব কেন থাকবে না?
Don’t you know?
And all of you beg Allah to forgive you all, O believers, that you may be successful.” (An-Noor 24:31)আয়াতের কাটপিছ।
“ But as for him who repented (from polytheism and sins, etc.), believed (in the Oneness of Allah and His Messenger Muhammad), and did righteous deeds (in the life or this world), then he will be among those who are successful.” (Qasas 28:67)
___ভালো থাকুন সুখে থাকুন__________________
আসসালামু আলাইকুম___________
@ইমেজ,
সব ধর্মই ইসলামের আগে এসেছে। প্রধান প্রধান সব ধর্মগ্রন্থেই মুহাম্মাদ (স) এর আগমন বার্তা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। আপনারা আশাকরি জাকির নাইকের সব লেকচারই শুনেছেন। আপনার শেষ বাক্যের উত্তর এটা। না সে নিজে বলেনি যে তিনি আল্লাহর রাসূল। আগেই বলা ছিল। উনি যা করেছেন তা হল নিজেকে প্রকাশ করা “হ্যা, আমিই সেই মানুষ”। জন্য কোন রেফারেন্স লাগবে বলে আমার মনে হয় না।
জাকির নায়েক একটি বিখ্যাত মিথ্যাবাদি। চমৎকার কুযুক্তি গড়গড় করে বলা ছাড়া আর কোন পারদর্শীতা তার নেই।একটি নমুনা কয়েকদিন আগে মুক্তমনাতেই বের হয়।
http://mukto-mona.com/evolution/QA/zakir_naik.htm
আপনার এই গু্রু ঠাকুর আলি সিনার মতন একজন “তুচ্ছ” নাস্তিকের মুখোমুখি হতে সাহস করেন না। আপনি বরং আলি সিনার চ্যালেঞজ গ্রহন করুন।জিতলে ইহজগতেও লাভবান হবেন আর পরকালে কত হূরী পরী জুটবে তার লেখা জোখা নেই।
http://www.faithfreedom.org/challenge.htm
জাকির নায়েক প্রায়শই দাবি করে হিন্দুদের কল্কি অবতার নাকি আসলে আপনাদের রসুল।যদিও জন্মসুত্রে হিন্দু হিসেবে জানি কট্টর হিন্দুদের কাছে এইটা কতটা হাস্যকর বা আপত্তিকর!তার চেয়ে বড় কথা জাতিবিদ্বেষী হিন্দু আর্যরা কোন দুঃখে বর্বর আরবদের মধ্যে নিজদের অবতারকে কল্পনা করবে? তারা বোধহয় আরবদের কথা জানতই না!
আর কোরান আউড়ান দয়া করে বন্ধ করুন এইখানে।কারন যাদের সাথে তর্ক করছেন তারা কোরানকে বর্বর আরবদের খামখেয়াল আর বদখেয়াল এর চেয়ে বেশী কিছু মনে করেনা।বেদে atom bomb-এর ফর্মুলা আছে আর বোরাক হল উন্নত spaceship এইসব কথা পাগলের প্রলাপ।বেদ কোরানের reference কোন কিছুই প্রতিষ্ঠা করতে অক্ষম।যুক্তি ছাড়া আমরা কিছুই মানিনা।
আর প্রকাশের কথাই যদি বলেন, তো আমিও প্রকাশ করলামঃ(আগেও করেছি, দেখেননি বোধহয়!)
আমিও একজন নবী। আমার খোদা হল একটি তালগাছ। তাকে সৃষ্টি করেছে একটি কচ্ছপ।আমার কবিতার খাতা হল নতুন কোরান।
তালগাছ খোদা কারন আমার কোরান বলছে তালগাছই খোদা।আমার কোরান সঠিক কারন আমি বলছি তা সঠিক।আমি সঠিক কারন তালগাছ আমাকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে নবীগিরির জিম্মা দিয়েছে।
দ্বীন দুনিয়ার ভালো হবে আমার আর তালগাছ-এর ভজনা করলে।
আমার তালগাছই সেরা ভগবান কারণ তাকে চোখে দেখা যায়!
প্রমাণ করুন আমি ভুল।
@ইমেজ,
আমার প্রিয় হবু স্ত্রী (ইনশাল্লাহ) পুরোপুরিই আমার। সে সত্যবাদী। মেধাবী। অসম্ভব সুন্দরী। অসম্ভব রূবপতী। আর আমাকেও ভালোবাসে অসম্ভবরকম। সম্মান করে। ওর বাবা-মা’ অমত করেন নি নিজেদের মেয়েকে আমার জন্য রেখে দিতে। আর আমি জানি ওর মত মেয়ে আপনার মত ছেলেরা কোনদিন পাবে না। দেখার সৌভাগ্যও হবে না!
আপনার ভাগ্যে খালি আছে খনন করা খাল! মাফ করবেন।
শুনে খুশী হলাম।আপনি ভাগ্যবান।আপনার স্ত্রী বোধহয় নন।কারন আপনার উক্তি থেকে বিচ্ছিরি male chauvinistic দুর্গন্ধ বেরচ্ছে।
“ওর বাবা-মা’ অমত করেন নি নিজেদের মেয়েকে আমার জন্য রেখে দিতে। “
অর্থাৎ আপনাকে ভারি লায়েক ঠাউড়ে আপনার শশ্বুরালয় তাদের “সম্পত্তি” আপনাকে দিয়েছে যা কিনা আপনার গর্ব আর প্রতিবেশীদের হিংসা! ছিঃ!
আপনারা আজো কি করে অবলীলায় মধ্যযুগে বাস করেন ভেবে অবাক লাগে!
@অনামী,
মনে হয় আপনার নাক অনেক সেন্সিটিভ। নিজেকে সম্মান করতে শিখুন । জানলে বুঝতেন, জীবনে অনেক কিছু করার আছে, জানার আছে।
মুক্তমনা হোন। আপনি ধর্ম বিদ্বেষী।
চেষ্টা করেন ধর্ম নিরপেক্ষ হতে।
হা হা হা! সত্যি বলেছেন। তবে হ্যা লায়েক ঠাউরে ভুল করেন নাই।
আমি লায়েক। ভাল গোছের লায়েক।
বুঝি নাই। আমি কম্পিউটার চালাতে জানি আর ইংরেজিতে নিজের নাম সই করতে পারি। আপনার চেয়ে অনেক কম জানি হয়তো, তবুও লিস্ট দিব নাকি কি আধুনিক জিনিস পারি আমি? অ্যাঁ?
দেখুন, আপনার যদি একটা গাড়ি থাকে, যেটা তেলে চলে, তাহলে সেটাকে তেল দিয়েই চালাতে হবে। গত বছর তেলে চালাচ্ছেন আর আজকে তেল ঢুকানোর ছিদ্র দিয়ে গ্যাস ঢুকাবেন তা হবে না।
সামান্য মুডিফিকেশন করে কিন্তু গ্যাস দিয়ে চালাতে পারবেন।
তাতে আপাত দৃষ্টিতে সমস্যা না হলেও অদূর ভবিষ্যতে সমস্যা হবে । কেন জানেন? ইঞ্জিনটা তো তেলের জন্য বানানো!
মানুষের জন্যও তাই। যেভাবে চলতে হবে তা ইসলাম বলে দিয়েছে। নিজেদের সুবিধার জন্য আমরা মুসলমানরাই অনেক কিছু মুডিফাই করে চলি। তাতে আপাত দৃষ্টিতে সমস্যা না হলেও দীর্ঘ সময় পর জটিল জটিল সমস্যা দেখা দেয়। এখন যেমন যাচ্ছে। তাই—-
প্রকৃত ইসলামের অনুসারীরা সুখী। ছিলেন, আছেন, থাকবেন। আপনি মুক্ত মনের অধিকারী হলে তাদের সুখে বাধা দেয়ার অধিকার আপনার নেই। মুসলমান ভাই-বোনের মনে কষ্ট দেয়াটা ঠিক না, কেননা, আল্লাহ তাআলার কাছে একজন মুসলমানের সম্মান কা’বা শরীফের চাইতেও বেশি।
ইসলামের পথে আসুন। পৃথিবীতেও সুখ। আখিরাতেও সুখ।
MAY THE PEACE AND MEERCY OF ALLAH BE UPON YOU.
(G) (L) (G)
@ইমেজ,
ঠিক ধরেছেন আমার নাক সেন্সিটিভ ।আপনাদের মতন নির্লজ্জ পুরুষতান্ত্রিকদের হাড়ে হাড়ে চিনি।আগেকার দিনে আপনাদের পৌরুষের মাপকাঠি ছিল গরু, ভেড়া, ঘোড়া, জমি ও নারীর উপর মালিকানা।আজ তা হয়েছে কয়টা গাড়ি, দামী মোবাইল ফোন, বিলাসবহুল বাড়ি এবং সেই অভাগা নারীর উপর মালিকানা।
নিজেকে সম্মান করতে চেষ্টা করিতো। ততটাই সম্মান অন্যদের করি। তাই নিজের হবু স্ত্রীর কথা বলে যারা নিজের macho প্রমান করার চেষ্টা করে তাদের দেখে গা গুলিয়ে যায়!
অবশ্যই!
মুক্তমনা হতে চেষ্টা করি।
আমি ধর্ম বিদ্বেষী নই। ধর্মের ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত। এবং বর্তমান কালে তার অসারতা নিয়েও সমধিক পরিচিত।
আমি ধর্ম নিরপেক্ষ কারণ সব ধর্মকে সমান ভাবে অপছন্দ করি। কারো প্রতি এতটুকু পক্ষপাত করিনা।
সে আর বলতে! :guru: :guru: :guru: :guru:
কম্পিউটার চালাতে জানা বা ইংরেজিতে নিজের নাম সই করতে জানার সাথে আধুনিকতার কোন সম্পর্ক নেই! আধুনিকতা একটা মানসিকতা।নিজের সীমাকে জেনে, নিজের পরিধির বাইরে পা বাড়ানোকে বলে আধুনিকতা। সময়ের সাথে চলা আধুনিকতা।বিপরীত উন্নততর যুক্তির সম্মুখে, প্রমাণের সম্মুখে নিজের সযত্নলালিত বিশ্বাসকে ছুড়ে ফেলা আধুনিকতা।
নিজের মগজকে মধ্যযুগের আরব তাবুতে ঊটের পাশে বেন্ধে আসাকে আধুনিকতা বলেনা। Bio-Physics-এ PHD করে বিয়ের জন্যে ব্রাহ্মণ পাত্রী খোজাও আধুনিকতা নয়!
পয়েন্টে আসার আগে একটু ভাট বকা কি খুব জরুরী? দাদা কি ওকালতি নিয়ে পড়েছেন??? :-X :-X
সেকি আপনাদের রসুলের আসমানী প্রলাপ মডিফাই? এইসব কি allowed?
সমস্যা হল কে প্রকৃত ইসলামের অনুসারী আর কে ভন্ড বা বিচ্যুত, সেইটা কে বিচার করবে?
দেখা যায় যার গলার জোর, টাকার জোর আর বন্দুকের জোর বেশী, সে।
যদি কেউ নিজের গায় আগুন দিয়ে মরতে চায় তাকে বাধা দিই বা না দিই, সে যদি তার পরিবারের লোকেদের আগুন দিয়ে মারতে চায়, বাধা দেব তো বটেই!
যারা মেয়েদের গৃহবন্দি, বস্তাবন্দি করে রাখতে চায়, স্বাধীন মতপ্রকাশের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে, আসমানী কিতাব বা রাজনৈতিক pamphlet মানুষের মুখে জোর করে গুজে দেয়, তাদের সর্বশক্তি দিয়ে বাধা দেব।
এমনিতেই সুখে আছি।
“জানার মাঝে অজানাকে করছি সন্ধান!” তাই ইসলামের প্রয়োজন নেই।
আর আখিরাতের জন্যে দেহদান করা আছে। আপনি যখন হুরী পরী আর গেলমানদের সাথে লীলা করবেন, আমি তখন মেডিকাল কলেজে কাচের বয়ামে টুকরো টুকরো হয়ে ফরম্যালিক সলিউশানে চোবানো থাকব। তাতেই আমার সুখ।
@ইমেজ,
আর অন্যদের মনে কষ্ট দেয়া বুঝি ঠিক ? এই বুঝি আপনার মহান (!) নবীর মহান আদর্শ ? এমন আদর্শকে আমি থুথু মারি।
এই জন্যই ঐ একচোখা আল্লাকে আমি দু‘ চোক্ষে দেখতে পারি না। পৃথিবীর তাবৎ ধর্ম সৃষ্টি করে সে বললো, ইসলাম শ্রেষ্ঠ ধর্ম। এমন যে বলে সে কখনো মহান হতে পারে না। কক্ষণো না।
ইসলামের পথে এলে পৃথিবীতে যে সুখ পাওয়া যাচ্ছে সোমালিয়াই তো তার শ্রেষ্ঠ দৃষ্টান্ত। আর বেহেশতে তো সুখ পাওয়া যাবেই। ৭২ জন নারীর সঙ্গে ননস্টপ সেক্স। দিন নাই রাত নাই শুধু সেক্স , সেক্স আর সেক্স। যখন যাকে খুশি তাকে। কী মজা ! সবাই সময়ই কুমারী। ঢিলা খালের কোনো ব্যাপার নেই। এরপরও আছে গেলমান। চাইলেই রুচি চেঞ্জ। এমন জায়গা কি সুখের না হয়ে পারে ? লোকজন কি মুহম্মদকে এমনি আর বর্বর বলে। এমন অশালীন আর অশ্লীল ভাবনা যার মাথা থেকে বের হয় সে বর্বর তো না কী ? আর এই সব নিয়ে লিখলেই নাকি আমাদের লেখা হয়ে যায় অশালীন। কেউ কেউ আবার হুমকীও দেয় মডারেটরদের, এমন লেখা পোস্ট করার জন্য। মজা আর কাকে বলে।
আজকের এই মন্তব্যের শেষে ইমেজ এর কাছে একটি ছোট্ট প্রশ্ন, আপনার অসম্ভব মেধাবী ও সুন্দরী হবু স্ত্রী কি বেহেশতে আপনার সাহচর্য পাবে? ৭২ জন হুরীর পাশে কি তার ঠাঁই হবে ? ঠাঁই হলেও চিরকুমারী হুরীদের রেখে আপনি কি তার সঙ্গে সেক্স করবেন ? আপনি যদি তার সঙ্গে সেক্স না করেন বা না সময় দেন তাহলে আপনার স্ত্রীর কাছে বেহেশত কি আর বেহেশত থাকবে ? তার কাছে কি মনে হবে না যে, এই ৭২ জন হুরীর সঙ্গে নিজের স্বামীর অনবরত যৌন ক্রিয়া দেখার চেয়ে বা তাদের দাসী হয়ে থাকার চেয়ে আমার দোযখই ভালো ? আপনার জন্য তো হুর গেলমান থাকবে কিন্তু আপনার স্ত্রীর জন্য সেরকম কোনো ব্যবস্থা আছে কি ? যদি না ই থাকে তাহলে নারীদের কাছে স্বর্গের সুখের মূল্য কী ? দৈহিক সুখই শ্রেষ্ঠ সুখ, সেই সুখ যদি না পেলো তাহলে নারীদের বেহেশত পেয়ে লাভ কী ?
ব্যাপারটা আপনার হবু স্ত্রীর সঙ্গে একটু আলোচনা কইরেন।
@ইমেজ,
জয়নব মুহম্মদের খালাতো বোন ছিলো শুধু এই যুক্তিতেই কি মুহম্মদ ছেলের বউকে বিয়ে করতে পারে ?
আপনি বোধহয় ভুলে যাচ্ছেন, আইয়ামে জাহেলিয়াত নামে আপনারা যা প্রচার করেন সেখানে কিন্তু বলেন, মেয়েদের জন্মের সাথে সাথেই মাটিতে পুঁতে ফেলা হতো। তাহলে এত মেয়ে এলো কোত্থেকে ? নাকি আইয়ামে জাহেলিয়াতের ব্যাপারটাই ভুয়া ? আপনার কথাতে কিন্তু তাই প্রমান হচ্ছে।
যুদ্ধ বিগ্রহ হোক আর যা ই হোক একমাত্র ফিলিপাইন ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে পৃথিবীর আর কোনো দেশে কখনো মেয়েদের সংখ্যা ছেলেদের চেয়ে বেশি হয় নি। আরবে সেই সময় মেয়েদের সংখ্যা বেশি ছিলো এই সব আজগুবি পরিসংখ্যান আপনি পেলেন কোত্থেকে ? একবার বলবেন জন্মের সময় মেয়েদের মাটিতে পুঁতে ফেলা হতো, আবার পরক্ষণেই মুহম্মদের বহু বিবাহকে জায়েজ করার জন্য বলবেন মেয়েদের স্যংখা বেশি ছিলো; এসব ভণ্ডামি বাদ দেন।
একটা মেয়ে জৈবিক কারণে কখনো পতিতা হয় না, হয় আর্থিক কারণে। যে সমাজে আর্থিক সমস্যা বেশি , সেই সমাজেই মেয়েরা পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য হয়। সুতরাং আমি যদি আমার বোনের খাওয়া পরার ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে এটা নিশ্চিত যে বিধবা হওয়ার পরেও সে আর যাই হোক, পতিতা হবে না। আর দ্বিতীয় স্ত্রীর কথা বলছেন, দেশে এখনও ছেলেদের সংখ্যা বেশি; সুতরাং একটা ছেলের একাধিক স্ত্রী গ্রহণের চান্স কোথায় ? স্বামী মরলে মেয়েরা যেমন বিধবা হয় তেমনি স্ত্রী মরলেও ছেলেরা বিপতœীক হয়। সুতরাং সমস্যা কোথায়। এই দুজন আবার মিলে যাবে। এখন বুঝতে পারছেন সমাজের পতিতা সমস্যা এবং বিধবা সমস্যা সমাধানে আপনার বহু বিবাহের যে যুক্তি, তা কতখানি অসার ?
আপনি আমাকে একজন পতিতা বিয়ে করে আমার কথার সত্যতা প্রমাণ করার কথা বলছেন না। এই প্রসঙ্গে একটু বলে রাখি। আকাশের মতো হৃদয় বলেই আমার নাম হৃদয়াকাশ। আমি যে একটুও বাড়িয়ে বলছি না, নিচের ঘটনায় তার প্রমাণ পাবেন।
২০০১ সালে আপনার বয়স কত জানি না। যদি ২০ এর আশে পাশে হয় আর যদি পত্র পত্রিকা পড়ার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনার নিশ্চয় মনে আছে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার পূর্বদেলুয়া গ্রামে পূর্ণিমা নামের একটি মেয়ে গণধর্ষনের শিকার হয়েছিলো। ঐ ঘটনার ৭ বছর পর পত্রিকার মাধ্যমে পূর্ণিমার ঠিকানা খুঁজে বের করে ওকে আমি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তারপর বছরখানেক আমাদের যোগাযোগও ছিলো। কিন্তু যখন আমরা বুঝতে পারলাম মনের দিক থেকে আমরা অনেক দূরের মানুষ তখন দুজন দূরে চলে যাই। বাংলাদেশে আর একটি এরকম উদাহরণ আপনি দেখাতে পারবেন ? আপনার নিজের কথা বাদই দিলাম। আপনি তো চিন্তায় আছেন আপনার স্ত্রীর সতীচ্ছদ পর্দা নিয়ে। আর পূর্ণিমাকে কতজন মিলে ধর্ষণ করেছিলো জানেন ? ১১ জন। আছে এরকম মন আর সাহস আপনার ? আমি কিন্তু এরকম সাহস দেখিয়েছি। পূর্ণিমা আমার গ্রেটনেসটাকে বুঝতে পারে নি, এটা পূর্ণিমার দুর্ভাগ্য। আমি কিন্তু আমার জায়গা থেকে আমার কাজটা করেছি।
আপনার কথায় অমারও একটা কথা মনে পড়ে গেলো। মদীনায় পালিয়ে যাওয়ার পর আপনার নবীর পেশা কী ছিলো ? কোনো ব্যবসা বাণিজ্য করেছেন বলে তো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। তাহলে ডজনখানেক স্ত্রী আর কয়েকজন দাসীসহ তার যে একটা ছোট খাটো হেরেমখানা ছিলো তার ব্যয় চলতো কিভাবে ? যুদ্ধে জিতে লুটপাট করে আনা গণিমতের মালের সম্পদই কি ছিলো মুহম্মদের আয়ের একমাত্র উৎস ? ভেবে জবাব দেবেন।
নিজের অবস্থান থেকে অন্যের অবস্থান বিচার করা ঠিক নয়। আপনি কখনো বলতে পারবেন, আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। কিন্তু আমি বলতে পারি। যদিও কোনো মানুষই চরম সুখী নয়, তারপরও এটা বলার জন্য মনের একটা শক্তি, একটা আত্মবিশ্বাস লাগে। সেটা আছে আপনার ? আমার কিন্তু আছে। আর ছোট বড়র কথা বলছেন, হৃদয় যার আকাশের মতো উদার, কিসের সঙ্গে তুলনা করে তাকে ছোট ভাববেন ?
ইংল্যান্ড আমেরিকা দেখলে আপনার আক্কেল গুড়–ম হয়ে যায়, কিন্তু তাদের থেকেই সাহায্য বা ভিক্ষা নিয়ে বাজেট করতে দেখলে আপনার লজ্জা লাগে না ? অধিকাংশ দরিদ্র মুসলিম দেশগুলো কিন্তু তাই করে। আর এত এত প্রযুক্তি যে ব্যবহার করেন সেটা কাদের অবদান ? নাকি আপনিও বিশ্বাস করেন যে কোরান রিসার্চ করেই তারা ল্যাপটপ, ইন্টারনেট এগুলো আবিষ্কার করেছে।
জয়নব মুহম্মদের খালাতো বোন ছিলো শুধু এই যুক্তিতেই কি মুহম্মদ ছেলের বউকে বিয়ে করতে পারে ?
আপনি বোধহয় ভুলে যাচ্ছেন, আইয়ামে জাহেলিয়াত নামে আপনারা যা প্রচার করেন সেখানে কিন্তু বলেন, মেয়েদের জন্মের সাথে সাথেই মাটিতে পুঁতে ফেলা হতো। তাহলে এত মেয়ে এলো কোত্থেকে ? নাকি আইয়ামে জাহেলিয়াতের ব্যাপারটাই ভুয়া ? আপনার কথাতে কিন্তু তাই প্রমান হচ্ছে।
যুদ্ধ বিগ্রহ হোক আর যা ই হোক একমাত্র ফিলিপাইন ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে পৃথিবীর আর কোনো দেশে কখনো মেয়েদের সংখ্যা ছেলেদের চেয়ে বেশি হয় নি। আরবে সেই সময় মেয়েদের সংখ্যা বেশি ছিলো এই সব আজগুবি পরিসংখ্যান আপনি পেলেন কোত্থেকে ? একবার বলবেন জন্মের সময় মেয়েদের মাটিতে পুঁতে ফেলা হতো, আবার পরক্ষণেই মুহম্মদের বহু বিবাহকে জায়েজ করার জন্য বলবেন মেয়েদের স্যংখা বেশি ছিলো; এসব ভণ্ডামি বাদ দেন।
একটা মেয়ে জৈবিক কারণে কখনো পতিতা হয় না, হয় আর্থিক কারণে। যে সমাজে আর্থিক সমস্যা বেশি , সেই সমাজেই মেয়েরা পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য হয়। সুতরাং আমি যদি আমার বোনের খাওয়া পরার ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে এটা নিশ্চিত যে বিধবা হওয়ার পরেও সে আর যাই হোক, পতিতা হবে না। আর দ্বিতীয় স্ত্রীর কথা বলছেন, দেশে এখনও ছেলেদের সংখ্যা বেশি; সুতরাং একটা ছেলের একাধিক স্ত্রী গ্রহণের চান্স কোথায় ? স্বামী মরলে মেয়েরা যেমন বিধবা হয় তেমনি স্ত্রী মরলেও ছেলেরা বিপতœীক হয়। সুতরাং সমস্যা কোথায়। এই দুজন আবার মিলে যাবে। এখন বুঝতে পারছেন সমাজের পতিতা সমস্যা এবং বিধবা সমস্যা সমাধানে আপনার বহু বিবাহের যে যুক্তি, তা কতখানি অসার ?
আপনি আমাকে একজন পতিতা বিয়ে করে আমার কথার সত্যতা প্রমাণ করার কথা বলছেন না। এই প্রসঙ্গে একটু বলে রাখি। আকাশের মতো হৃদয় বলেই আমার নাম হৃদয়াকাশ। আমি যে একটুও বাড়িয়ে বলছি না, নিচের ঘটনায় তার প্রমাণ পাবেন।
২০০১ সালে আপনার বয়স কত জানি না। যদি ২০ এর আশে পাশে হয় আর যদি পত্র পত্রিকা পড়ার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনার নিশ্চয় মনে আছে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার পূর্বদেলুয়া গ্রামে পূর্ণিমা নামের একটি মেয়ে গণধর্ষনের শিকার হয়েছিলো। ঐ ঘটনার ৭ বছর পর পত্রিকার মাধ্যমে পূর্ণিমার ঠিকানা খুঁজে বের করে ওকে আমি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তারপর বছরখানেক আমাদের যোগাযোগও ছিলো। কিন্তু যখন আমরা বুঝতে পারলাম মনের দিক থেকে আমরা অনেক দূরের মানুষ তখন দুজন দূরে চলে যাই। বাংলাদেশে আর একটি এরকম উদাহরণ আপনি দেখাতে পারবেন ? আপনার নিজের কথা বাদই দিলাম। আপনি তো চিন্তায় আছেন আপনার স্ত্রীর সতীচ্ছদ পর্দা নিয়ে। আর পূর্ণিমাকে কতজন মিলে ধর্ষণ করেছিলো জানেন ? ১১ জন। আছে এরকম মন আর সাহস আপনার ? আমি কিন্তু এরকম সাহস দেখিয়েছি। পূর্ণিমা আমার গ্রেটনেসটাকে বুঝতে পারে নি, এটা পূর্ণিমার দুর্ভাগ্য। আমি কিন্তু আমার জায়গা থেকে আমার কাজটা করেছি।
আপনার কথায় অমারও একটা কথা মনে পড়ে গেলো। মদীনায় পালিয়ে যাওয়ার পর আপনার নবীর পেশা কী ছিলো ? কোনো ব্যবসা বাণিজ্য করেছেন বলে তো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। তাহলে ডজনখানেক স্ত্রী আর কয়েকজন দাসীসহ তার যে একটা ছোট খাটো হেরেমখানা ছিলো তার ব্যয় চলতো কিভাবে ? যুদ্ধে জিতে লুটপাট করে আনা গণিমতের মালের সম্পদই কি ছিলো মুহম্মদের আয়ের একমাত্র উৎস ? ভেবে জবাব দেবেন।
নিজের অবস্থান থেকে অন্যের অবস্থান বিচার করা ঠিক নয়। আপনি কখনো বলতে পারবেন, আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। কিন্তু আমি বলতে পারি। যদিও কোনো মানুষই চরম সুখী নয়, তারপরও এটা বলার জন্য মনের একটা শক্তি, একটা আত্মবিশ্বাস লাগে। সেটা আছে আপনার ? আমার কিন্তু আছে। আর ছোট বড়র কথা বলছেন, হৃদয় যার আকাশের মতো উদার, কিসের সঙ্গে তুলনা করে তাকে ছোট ভাববেন ?
ইংল্যান্ড আমেরিকা দেখলে আপনার আক্কেল গুড়–ম হয়ে যায়, কিন্তু তাদের থেকেই সাহায্য বা ভিক্ষা নিয়ে বাজেট করতে দেখলে আপনার লজ্জা লাগে না ? অধিকাংশ দরিদ্র মুসলিম দেশগুলো কিন্তু তাই করে। আর এত এত প্রযুক্তি যে ব্যবহার করেন সেটা কাদের অবদান ? নাকি আপনিও বিশ্বাস করেন যে কোরান রিসার্চ করেই তারা ল্যাপটপ, ইন্টারনেট এগুলো আবিষ্কার করেছে।
@হৃদয়াকাশ,
আপনার সৎ সাহস আর উদার হওয়ার সংকল্পকে সাধুবাদ জানাই।
আমি জানিনা আপনার মুসলমানদের প্রতি এমন ঘৃণা হওয়ার কারণ কি। আমাকে ব্যক্তিগতভাবে জানালে খুশি হব। আশাকরি মেইল করবেন।
[email protected]
http://www.dhakadesigners.com
– ইসলামের পক্ষে কথা বলে এরকম সোর্সে আপনি ঘাটাঘাটি করে দেখতে পারেন। http://www.halaltube.com
আমি সুখী। এটা সত্য। আমি আমার ধর্মকে নিয়েই সুখী। তবে আপনার ধারণা বেশি সংকীর্ণ আমার ব্যাপারে
@ইমেজ,
যিনি দাবি করেন প্রমান করার দায়িত্ব বর্তাবে তার উপর…
খারাপ লাগার কথা তখন যখন আনন্দ হবে একা আমার।এবং ভোগ করব একা আমি।মুহম্মদ স্ত্রী, দাসীদের সাথে অবাধে মিলন ঘটিয়েছেন কিন্তু তার স্ত্রীদের কি সেই অধিকার দিয়েছেন? ব্যাপারটি এক পাক্ষিক হয়ে গেলো না?
গর্ব তো করবেনই। বাসায় আসলে বোন পানির গ্লাসটি এগিয়ে দেয়, মা বিনা দাবিতেই আপনার কাপড় চাপড় ধুয়ে দেয়, রান্না করে খাওয়ায়, আপনার বিছানা গুছিয়ে দেয়।
আপনি চার চারটা বিয়ে করে অবাধে সঙ্গম করতে পারছেন। প্রয়োজনে বউকে পিটিয়ে রাগকে দমন করতে পারছেন। আপনার চারপাশে আছে আপনার দাসী-মা, স্ত্রী, বোন।
এমতাবস্থায় গর্ব করাই তো আপনার সাজে!
:clap :clap
@রাহনুমা রাখী,
আমি ভাল ছেলে। আম্মু যা বলে তাই করি। (L) (L) (L)
@ইমেজ,
কারন আপনার আম্মু তাই বলে যা আপনি শুনতে চান।
বৃত্তের বাইরে গিয়ে কথা বলার অধিকার ইছলাম নারীদের দেয়নি।
@ফয়সল,
ভাই আপনি কি বোরাক নামক খচ্চরে চড়ে সাত আসমান দেখে এসেছেন ? মরার পর আল্লাহ যদি থাকে তাহলে আপনাদের বিচার আগে করবেন সে ব্যপারে আমি নিশ্চিত। তিনি প্রশ্ন করবেন – ফয়সল, তোমাকে এত সুন্দর ও শক্তিশালী একটা ব্রেইন দিয়েছিলাম তা দিয়ে তুমি কি করেছ ?
আপনার উত্তর- ওই ব্রেইন আমি ১৪০০ বছর আগেকার এক মোহাম্মদের নিকট বন্ধক দিয়ে অন্ধ হয়ে বসেছিলাম, একটুও ব্যবহার করিনি।
আল্লাহ- আমি ব্রেইনটা তোমাকে ব্যবহার করার জন্যই দিয়েছিলাম আর দেখতে চেয়েছিলাম আমার বান্দারা কতদুর উন্নতি করতে পারে। অথচ তুমি আমার হুকুম অমান্য করেছ। তাই তোমাকে সাজা স্বরূপ দোজখের আগুনে অনন্তকাল জ্বলে পুড়ে যন্ত্রনা ভোগ করার শাস্তি দেয়া হলো।
@ভবঘুরে,
আল্লাহ আইলো কুইত্থাইক্যা? আমি তো ভাবছিলাম আপনাদের স্টকে খাল টাল ছাড়া আর কোন শব্দ নাই।
:rotfl:
:lotpot:
@রাহনুমা রাখী, :guli: :guli: :guli:
”দেখুন আল্লাহ যে আছে তার কিছু উদাহরন আপনাকে দেই”
উদাহরন ১: সর্ব প্রথম আপনি পৃথিবীতে এসেছেন খালি হাতে আপনার এক বেলার খাবারো নিয়ে আসেননি।আপনার খাবার ছোট বেলায় সবচেয়ে বেশী প্রয়জন ছিলো দুধ যা আপনি আতি সহযে পান করেছেন আপনার মায়ের কাছ থেকে। এত সুন্দর নিয়মটি কি আপনার বাবার নিয়মে হয়েছে? কে আপনার প্রয়জনে আপনার মায়ের স্তনে আপনার জন্য দুধের ব্যাবস্তা করেছেন?
উদাহরন ২: আপনি আবশ্যই জানেন পৃথিবীতে এমন কেন বস্তু নেই যেটা আপনার জজ্মের সময় নিয়ে এসেছেন সব কিছু দুনিয়াতে আগে থেকে ছিলো কে এই মাটি,গাছ,পানি,বায়ু খাদ্র সৃষ্টি করেছেন যার উপর এখন পর্যন্ত নির্ভর ।নিজে প্রকৃতি ছারা কিছুই করতে পারেন না। এত বড় মহা বিশ্ব কে সৃষ্টি করেছেন? এই বিগ্ঞান ময় পৃথিবী এবং এত সুন্দর পৃথিবীর নিয়ম একা একি হয়েছে…
উদাহরন ৩: আমি যদি বলি বাজার থকে ইট, বালি, সিমেন্ট,রড,সব কিছু কিনে এনে রেখেছি কোন লোকছারা এমনিতে বাড়ি হয়েছে তাহলে আমাকে পাগল ছারা কিছু বলবেন না। সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কিছুই হয়না ।তাই যুক্তি বিদ্যার নিয়ম আনুযাই বলা যায়
”গাড়ির সৃষ্টি কর্তা রয়েছ”
”বাড়ির সৃষ্টি কর্তা রয়েছ”
”সকল কিছুর সৃষ্টি কর্তা রয়েছ”
”মহা সাগরের চেয়েও বড় এই সত্য কে অস্বীকার করার কোন সুযুক নেই”
:guli: :guli: :guli:
@আমিনুল,
এই সব তো শিশুর যুক্তি। আপনি এত পড়াশুনা করে কী শিখলেন ?
@আমিনুল,
আপনার মতন লোকেরা এখনো এইসব প্যালের ঘড়ি মার্কা বাজে লজিক ছাড়েন কি করে বলুন তো? এই মুক্তমনাতেই এইসব রাবিশ লজিক সহস্রবার খন্ডন করা হয়েছে।আগডুম বাগডুম বকার আগে সেইগুলো একবার পড়ে নেন না কেন? বিবর্তন বিবর্তন করে গলা শুকিয়ে গেল আর তার পরেও আপনারা কানে আংগুল দিয়ে দুলে দুলে কোরান পড়েন! আর মাঝে মাঝে মুখ তুলে ফেনিয়ে আজগুবি গপ্পো দিয়ে লোকের সময় নষ্ট করেন। :-Y
নিন আমি বলছিঃ আমিও একজন নবী। আমার খোদা হল একটি তালগাছ। তাকে সৃষ্টি করেছে একটি কচ্ছপ।আমার কবিতার খাতা হল নতুন কোরান।
তালগাছ খোদা কারন আমার কোরান বলছে তালগাছই খোদা।আমার কোরান সঠিক কারন আমি বলছি তা সঠিক।আমি সঠিক কারন তালগাছ আমাকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে নবীগিরির জিম্মা দিয়েছে।
দ্বীন দুনিয়ার ভালো হবে আমার আর তালগাছ-এর ভজনা করলে।
আমার তালগাছই সেরা ভগবান কারণ তাকে চোখে দেখা যায়!
প্রমাণ করুন আমি ভুল।
@অনামী,
চমৎকার মন্তব্য! (Y)
তবু যদি বোধোদয় হয় তেনাদের।
@অনামী,
একটা জিনিস বাদ পড়েছে…।নবীর সাহাবী থাকতে হবে তো, আমি আপনার সাহাবী…
@অনামী,
(Y) (Y) :rotfl: :rotfl: :rotfl:
@আমিনুল,
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকর্তাটা কে জনাব?
সমস্যা তো থেকেই যাচ্ছে, নাকি আপনার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে তা ধরা পড়ছে না?
মনোযোগ দিয়ে অনামীর কথাগুলো পড়ৃন, দেখুন আপনাদের ‘যুক্তি’ কতো অসার, অলীক!
@আমিনুল,
”
সেই সকল কিছুর সৃষ্টি কর্তারও নিশ্চয়ই তাহলে সৃষ্টি কর্তা থাকবে ? সেই সৃষ্টি কর্তাটি কে ?
ভাই আপনি অতি পুরনো যুক্তি তুলে ধরলেন। এতে বোঝা যাচ্ছে আপনি এখনও পাঠশালাতেই পড়ে আছেন, প্রাইমারী স্কুলেও ঢুকতে পারেন নি।
@আমিনুল, :lotpot: :lotpot: :lotpot:
আপনাকে কে বলল এইসবের সৃষ্টিকর্তা একইজন।
এবং সেই একজন আল্লাহ।
গাড়ির সৃষ্টিকর্তা একজন।
বাড়ির সৃষ্টিকর্তা আরেকজন।
তার মানে কি প্রতিটা আলাদা জিনিসের সৃষ্টিকর্তা আলাদা।
এ তো বহুশ্বরবাদ থেকে শুরু করে এখন আবার বহুশ্বরবাদের দিকে টার্ন নেয়া!
কি সুন্দর যুক্তি রে! :lotpot: :lotpot: :lotpot:
জাপানে দুর্গতদের সাহায্যের জন্য এদেশ থেকে sms সিস্টেম চালু করেছে ,কেন আফ্রিকার মঙ্গাপীড়িত দেশেগুলোর জন্য এরকম অর্থসাহায্য দেয়া হয়নি?জাপান পরাশক্তি বলে?
@সমুদ্র,
ঠিক আমার মনের কথাটা বলছেন ভাই।
প্রায় ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে পরিমান মত বৃষ্টি পাতের অভাবে দেশটিতে নেমে এসেছে ভয়াবহ এই বিপর্যয়। দেশটির ১০ মিলিয়ন মানুষ আজ প্রতিনিয়ত পাঞ্জা লড়ছে যমের সাথে।৬.৩ মিলিয়ন লোক অনাহারের স্বীকার।ইউনেস্কোর হিসাব মতে প্রায় ৫৫% শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।প্রতি ১০ হাজারে প্রতিদিন ২ জন লোক মরছে অনাহারে।
প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ কেনিয়ার ডাডাবের আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে।১৯৯০ সালের প্রথম দিকে প্রায় ৯০,০০০ লোকের ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন ডাডাবে আশ্রয় কেন্দ্রেটি খোলা হয়। বর্তমানে এখানে আশ্রয় প্রার্থীর সংখ্যা ধারন ক্ষমতার প্রায় চার গুন।এই বিপুল অনাহারি জন সংখ্যার চাপে পিষ্ট হতে চলেছে স্বয়ং কেনিয়াও।
আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা গুলো দু’হাত বাড়িয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে অসহায় মানুষ গুলোর কাছে। দিয়ে যাচ্ছে অন্ন বস্ত্র সহ চিকিৎসা সুবিধা। যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল তথাপি চেষ্টার তারা ত্রুটি করছে না।
পরিস্থতি এত ভয়াবহ যে এক পিতা তার ছেলে মেয়েদের খাওয়াতে না পেরে
চলে যায় পাশের শহরে যদি কিছু ভিক্ষা জোটে সে আশায়। কিন্তু এই নিদারুন দূর্ভিক্ষে সবাই তো ভিক্ষুক। কে কাকে ভিক্ষা দিবে? উপায় না দেখে সে আবার ফিরে নিজ গ্রামে। ছেলে মেয়েদের জন্য সামান্য খাবার যোগাড় করতে না পারার অপমান সহ্য করতে না পেরে হাতে তুলে নেয় ধারালো ছুরি, চালিয়ে দেয় নিজের পেটে।মুক্তি পেতে চায় চরম দারিদ্রতার অসহায়ত্ব থেকে।
শুধু তিনি একাই নয়, এ রকম হাজার হাজার লোক ছেলে মেয়ে স্ত্রী পুত্র আত্মীয় স্বজন ফেলে পালিয়ে যাচ্ছে যে যেদিকে পারছে বাঁচার আশায়।
সবচাইতে ভয়াবহ অবস্থা মহিলা ও শিশুদের।
এক সাহায্য কর্মী বর্ননা করলেন, তিনি দেখতে পেলেন এক গর্ভবতী মহিলা রাস্তায় ছটফট করতে করতে কিভাবে শিশু জন্ম দেয়ার কিছুক্ষন পরেই মা ও শিশু দু’জনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে।
এত উদ্বেগ জনক সংকটময় পরিস্থিতেও দেশটি এখনো পড়ে আছে শরিয়া শাসনের যাতাকলে। মেয়ারা বোরকা বা মাথায় কাপড় ছাড়া বের হতে পারে না বাইরে এই জীবন বিপন্ন দূরবস্থার মাঝেও।
তাদের যেন একটাই চাওয়া এখন- ইহ জীবনে তো কিছুই পেলাম না যদি পরকালে কিছু জোটে!
[img]http://resources1.news.com.au/images/2011/07/21/1226099/364325-somalia-drought.jpg[/img]
[img]http://static8.businessinsider.com/image/4e32db626bb3f7e207000000-400-299/famine-africa-somaliland-horn.jpg[/img]
লেখক কি অবগত আছেন যে, আল্লাহকে অস্বীকার করলে অনেক বিষয়ের ব্যাখ্যা দেওয়া যায় না। এসবের মধ্যে একটি হল আমাদের “subjective experience” যা আমাদের চেতনার অংশ। । আর “subjective experience” কে বলা হয় “হার্ড প্রব্লেম” । যেমন ধরুন, আপনি এই মন্তব্য পড়ছেন, এখানে “আপনি” ( yourself) হলেন “subject” । আপনার ভিতরের সত্তা এটাকে ” Brain Science” দিয়ে ব্যাখা দিতে পারবেন না। এ ছাড়া আপনার “Free Will” কেও অস্বীকার করতে হবে । (http://www.susanblackmore.co.uk/Conferences/Sharpham Aug 2006.htm)
আপনি আল্লাহকে খুজে পাচ্ছেন না? আল্লাহ আপনার ভিতরেই আছে।
“……যে ঘড়ি তয়ার করে, লুকায় ঘড়ির ভিতরে গো
লুকায় ঘড়ির ভিতরে…”
@আলামিন,
আমার ভেতরে আল্লা না থাকলেও চলবে। কারণ, আমি মনে করি, আমি অতটা পরিমান মূর্খ নই যে, আল্লা ছাড়া চলতে পারবো না। আমি এই মূহুর্তে অসহায় সোমালিয়ানদের পাশে আল্লাকে চাচ্ছি। আপনার ভেতরে যদি আল্লা থাকে তাকে একটু বলুন না সোমালিয়ানদের ব্যাপারে।
@হৃদয়াকাশ,
http://www.sachalayatan.com/swadhin/40288
আপনাদের যারা নাস্তিক তাদের সবার জন্য …আমার মন্তব্যটি দেখুন সব জবাব পেয়ে যাবেন।
আর আমার যুক্তি কিন্তু আপনি খণ্ডাতে পারেন নি, হৃদয়; তাঁর মানে কি এই যে আপনি নিজেকে “নাই” বলছেন? “free will” কে অস্বীকার করছেন? আপনার তো মুক্ত মনই নাই। আপনাকে এই ব্লগ থেকে বহিস্কার করা হোক।
@আলামিন,
আপনার বুঝি মুক্ত মন আছে ? সেই জন্যই তো মাথা থেকে এখনও ঈশ্বরের ভূতকে তাড়াতে পারেন নি। মুক্তমনের মানে বোঝেন ? বহুমতকে সহ্য করাই মুক্তমনের বৈশিষ্ট্য। আগে এইটা বোঝেন, তারপর মুক্তমনায় মন্তব্য করেন।
হুমায়ূন আজাদ একটা কথা বলেছেন, ‘যারা এক এ বিশ্বাসী, তারা বহুকে সহ্য করতে পারে না।’ আপনার অবস্থাও তো দেখি এই। আমরা মুক্তমনায় বহু তর্ক বিতর্ক করি; কিন্তু কেউ কাউকে কোনো দিন বলিনি যে আপনি মুক্তমনায় মন্তব্য করবেন না বা আপনার মুক্তমনায় লেখা উচিৎ না বা আপনাকে মুক্তমনা থেকে বহিষ্কার করা উচিৎ। আপনি কিন্তু সেই কাজটি করলেন। তারপরও আমি বলবো, আপনি মুক্তমনায় নিয়মিত আসেন, মন্তব্য করেন। এ থেকে কী প্রমাণ হয়, মুক্তমন কার? আপনার না আমার ?
@আলামিন,
কিছুই বুঝলাম না। আমার রক্তমাংস হোল আল্লাহ নাকি দেহকোষ হোল আল্লাহ? আল্লাহ আমার ভিতরে থাকলে তাকে মাপব কিকরে? ব্লাড সুগার টেস্টের মতন একটা টেস্ট বাতলে যদি দেন তাহলে আল্লাহকে বোতলে পুরে সুখে থাকি।
আমার মগজে এইসা তালা মারা আছে যে যা মাপা যায় না, বা অঙ্ক কষে বার করতে পারিনা, তাকে মানতেই চাইনা। একটু যদি দয়া করে আল্লাহর সু্লুক সন্ধান দেন তো আমিও বেহেস্তে গিয়ে গেল্মান আর হূরিদের নিয়ে সুখি থাকি :))
@অনামী,
আপনি আমার প্রশ্নের জবাব দেন নি।
আমি কি ধরে নিব আপনি চেতনাহীন একটি “zombie”?
@আল আমিন,
আহার নিদ্রা মৈথুন – সবই যখন করছি তখন zombie হব কেমন করে?
চেতনা তো আমার ব্রেনের ভেতর প্রবাহিত তড়িৎ সঙ্কেত।Exchange of electrochemical signals between neurons through synapses.
এর মধ্যে আল্লাহই বা কই, zombie-ই বা কই?
আমার মধ্যে আল্লাহ থাকলে আমার ল্যাপটপের মধ্যেও আছে।
আমার ল্যাপটপ crash করলে যেমন স্বর্গে যাবেনা, আমিও যাবনা। নরকেও না।
ল্যাপটপের সাথে আমার আপনার পার্থক্য হল আমাদের algorithm-টা কিঞ্ছিৎ উন্নত (অবশ্য আপনাদের ভাবালুতা দেখে সন্দেহ হয়!)
কিন্তু মস্তিস্ক নামক যন্ত্রটার পিছনে কোনো অলৌলিক আল্লাহ নেই। আমাদের চেতনার পিছনেও নেই। বিবর্তন তত্ত্ব আমাদের মস্তিস্কের ক্রমিক বিকাশকে চমৎকার ব্যাখা করে। আবার বলছি, বেশী দুরে যাবার দরকার নেই। আপনি মুক্তমনার বিবর্তন তত্ত্ব সম্পর্কে লেখাগুলি পড়ুন। এদ্দিন কোরান আউড়ে যে সব বদ ধারনা মাথায় ঢুকেছে তা দূর হয়ে যাবে!
@অনামী,
বিবর্তনের বিষয়ে পরে পরে আলোচনা করা যাবে।
আপাতত আমার প্রশ্নের উত্তর দিন, আপনি কি মনে করেন আপনার Free Will আছে? আপনি বরাবরের মতই আমার প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন। লিঙ্কটি সম্পর্কে মন্তব্য করুন।
http://www.susanblackmore.co.uk/Conferences/Sharpham Aug 2006.htm
@আল আমিন,
আপনার দেওয়া লিঙ্কটা খুল্লাম। কিন্তু বিশ্বাস করুন একটা লাইনও বুঝলাম না! আগাগোড়া আবোল তাবোল ননসেন্স। হয়তো আমার বুদ্ধি খাটো, তাই দয়া করে একটু যদি বুঝিয়ে দেন তো ভাল হয়।
আপনার কোন প্রশ্ন এড়িয়ে গেছি বলে মনে হয়নি। চেতনা নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিলাম তো! zombie নই তাও বল্লাম।
দেখুন, Freewill, conscience, principles, ideology এইগুলি qualitative ব্যাপার। quantitative নয়।
এর কোন সার্বজনীন আভিধানিক ব্যাখাও(definition) নেই।
quantitative হল আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে ঘটে চলা অজস্র electrochemical প্রক্রিয়া, যা MRI scan-এ পরিষ্কার ধরা পড়ে। নিউরো সায়েন্স আবিষ্কার করে ফেলেছে আমাদের মস্তিষ্কের কোন অংশ আমাদের চিন্তা চেতনার জন্যে দায়ী। বিবর্তন ব্যাখা করেছে জটিল মানব মস্তিষ্কের উদ্ভব।
মুশকিল হল আপনারা এইগুলো সবই দেখেন/শোনেন। তারপরেই চোখ বুঝে ফেলেন। তারপর দুলে দুলে কিছু জাকির নায়েক মার্কা কুযুক্তির অবতারণা করেন।বালিতে মুখ গুজে থাকা উটপাখিদের মতন ১৭-শ বা ১৮-শ শতকের ভাববাদি দর্শণ একবিংশ শতকে আর চলেনা।
আপনি Free Will বলতে ঠিক কি বোঝেন তা জানিনা। এইটুকু জানি যে তা নিয়ে দার্শণিক আলোচনা হতে পারে কিন্তু scientific আলোচনা সম্ভবপর নয়।
এরপর আপনি কিছু চর্বিত চর্বণ ও ভ্রান্ত প্রমাণিত psuedo scientific গপ্পো দেবেন যা জাকির নায়েকের মতন বিড়াল তপস্বীদের থেকে দিস্তা দিস্তা জানা যায় এবং কোনো মুলধারার peer reviewed scientific publications/journals যেইগুলি স্বীকার করেনা।
আপনি altruism-এ প্রবেশ করার আগে জানিয়ে দিলাম যে বিবর্তন তত্ত্ব মানুষের পরোপকার করার প্রবণতা, মানবতা ইত্যাদির ব্যাখা দিয়ে দিয়েছে game theory ব্যবহার করে। আমাদের সামাজিক আচরণকে Tit for Tat Strategy in Prisoner’s dilemma game দিয়ে ব্যাখা করা যায়। অঙ্ক কষে বলে দেওয়া যায় যে কেন আমাদের ভালো, সুস্থ, সঠিক ব্যবহার করা উচিত সামাজিক জীবনে। সহযোগিতা কেন কর্বো আমার প্রতিবেশীর সাথে, তার পিছনেও আছে scientific and logical reasoning based on solid mathematical models.
আল্লাহ আর নরকের ভয় থেকে আগে নিজেকে মুক্ত করুন। ভাববাদ থেকে বেরিয়ে এসে যুক্তিবাদ গ্রহণ করুন।ভাববাদ মানলে ঈশ্বরের অনস্তিত্ব প্রমাণ করা খুব সহজঃ
কৃষক + প্রার্থ্না + পরিশ্রম = শস্য
কৃষক + পরিশ্রম = শস্য
কৃষক + প্রার্থ্না = ০
অর্থাৎ, প্রার্থ্না = ০
অতএব যার কাছে প্রার্থ্না, সেই ঈশ্ব্র একটি অশ্ব ডিম্ব।
বলা বাহুল্য উপরুক্ত সুত্রটি ভাববাদি, কিঞ্ছিৎ যুক্তিবাদি কিন্তু একেবারেই scientific নয়!
সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষ না হলে আপনি কি আল্লার সন্ধান করতেন?
এই জন্যই ঐ দুর্ভিক্ষটা দরকার ছিল- আপনার মত একজনকে হলেও তার পথের সন্ধানী করতে পেরেছেন। তাতে কিছু মানুষ অনাহারে মরে গেলেও…মানে আপনে কি আল্লারত্তে বেশী বুঝেন?
এমনিতে লেখাটা ভাল লেগেছে।
কিন্তু দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের নিয়ে লেখায় ইসলামকে টেনে আনা উচিত হয়নি বলে মনে হচ্ছে। অনেকটা তাদের অসহায় অবস্থাকে উপহাস করা হচ্ছে বলে মনে হল।
যাহোক দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের জন্য মুক্তমনা থেকে কি কোন উদ্যোগ নেয়া যায়? যদিও ফান্ডের পরিমান হয়ত রিলেটিভলি অনেক কম হবে। কিন্তু কমপক্ষে আমরা বলতে পারব যে অন্তত তাদের পাশে আমরা আছি।
@রনবীর সরকার,
ঠিক। লেখককে অনুরোধ করবো, অযাচিতভাবে মুহাম্মদ ও তার বহুবিয়ে সংক্রান্ত ব্যাপারটা ও কিছু রুক্ষশব্দ বাদ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি আপডেইট করে নিতে।
@আকাশ মালিক,
সহমত।
@রনবীর সরকার,
আমি আকাশ মালিক ও সফ্টডক এর সাথে একমত যে অযাচিতভাবে মুহাম্মদ ও তাঁর বহুবিয়ে সংক্রান্ত ব্যাপার এই পোস্টে না আনাই উচিৎ ছিল। কিন্তু একমত নই যে ইসলামকে টেনে আনায় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের অবস্থাকে উপহাস করা হয়েছে। দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের অবস্থাকে উপহাস করা একমাত্র কোন বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ এর পক্ষে সম্ভব। এখানে উপহাস যদি করাই হয়ে থাকে তাহলে সেটা করা হয়েছে কথিত আল্লাহকে, বা যারা আল্লাহ পরম করুণাময়, আল্লাহু আকবর বলে নিত্য ঢোল পেটায় তাদের। এত দুঃখ কষ্টের পর আল্লাহ যদি থেকেই থাকেন তাও কিছুই করছেন না, তাতে আল্লাহকে উপহাস করাই যথার্থ, আর যারা আল্লাহ পরম করুণাময় বলে যাচ্ছে তারা আরও বেশী উপহাসের পাত্র হওয়া উচিৎ। আরও বড় উপহাসের পাত্র হওয়ার কথা সোমালিয়ার শরীয়া বলবৎকারী সরকারের। আমরা লেখকেরা আর কি করতে পারি এখানে উপহাস (আল্লাহ ও ইসলামিস্টদের) করা ছাড়া, যেখানে আল্লাহ নিজে আর তার অনুসারীরাই কিছু করতে পারছে না বা চাইছে না। ভাগ্যিস কাফের নাসারারা চেষ্টা করছে যতজনকে সম্ভব সাহায্য করতে।
@যাযাবর,
আমি এই কথাটাই বলতে চেয়েছি।
ভাষা খুব রুক্ষ হয়ে গেছে।আর একটু পরিচ্ছন্ন ভাষা হলে ভাল হত।যাইহোক ২৫বছরের মুহম্মদ ৪০ বছরের খাদিজাকে বিয়ে করে যে অতৃপ্তিতে ভুগছিল তা পরবর্তীতে ৫৪ বছর বয়সে ৬ বছরের আয়েশাকে বিয়ে করে পুষিয়ে নিয়েছে।
আল্লার সে ক্ষমতা আর নাই।নাস্তিকরা তার মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে।তার এখন শেষ ভরসা হচ্ছে ঐ সোমালিয়ার মত অভুক্ত জনগন।ঐ অভুক্ত জনগন আছে বলেই আল্লাহ এখনও টিকে আছে।
@পূর্বপূরুষ,
ভাষা রুক্ষ বলতে আপনি কী বোঝাতে চেয়েছেন তা আমি বুঝি নি। আর পরিচ্ছন্ন বলতেই বা আপনি কী বুঝিয়েছেন? আপনি আমার বক্তব্য বুঝতে পারছেন না, না বুঝতে কষ্ট হচ্ছে ? একটু ডিটেইলস লিখেন।
গরীব লোকেরা আল্লার খুব প্রিয়, তাই উনি পরীক্ষা নিচ্ছেন-পরীক্ষা নিতে গিয়ে দুই একটা মারা গেলে ক্ষতি কি-আফটার অল উনি হচ্ছেন দ্বীনের সুপারম্যান! উনি শুধু গরীবদের পছন্দ করেন-তাই গরীবদেরই পরীক্ষা নেন।
সোভিয়েতে যখন দুর্ভিক্ষ-মানুষ মারা যাচ্ছে স্টালিন চারিদিকে রটিয়েছেন, এটা হচ্ছে সমাজতন্ত্রের পরীক্ষা।
ধর্ম এবং কমিনিউজমের ট্রেন কেন জানি না, সব সময় একই লাইন দিয়ে চলে।
@বিপ্লব পাল,
পার্থক্য হলো যে ধর্ম সাধারণত শাস্তি দিতে চায় নরকে নিয়ে গিয়ে, আর সমাজতন্ত্র শাস্তি দিয়ে দেয় দুনিয়াতেই। কাজেই সমাজতন্ত্রকে আমি খুব ভয় পাই।
@বিপ্লব পাল,
ধর্ম আর কমিউনিজমের ট্রেন একলাইনে চলে কিনা কখনও ভেবে দেখিনি। কমিউনিস্টরা কিন্তু চীনের ১৩০ কোটি লোককে একটা সম্মানের জীবন দিতে পেরেছে মাত্র ৬০ বছরের মধ্যে। যেটা কোনো ধর্ম পারে নি হাজার হাজার বছরেও। আপনি এই কথাটি কী ভেবে বললেন বুঝতে পারছি না। ধর্ম আর কমিউনিজম তো পরস্পরের শত্র“। এরা একলাইনে চলে কিভাবে ?
@হৃদয়াকাশ,
চীনের উন্নতি হয়েছে মাওবাদ লেনিনবাদ বর্জন করে বাজারবাদ গ্রহণ করে। সুতরাং চিন কমিনিউজমের পথে উন্নতি করেছে-এমন দাবী করা অসঙ্গত।
@বিপ্লব পাল,
আমি যে প্রব্লেমটা আপনার লেখায় দেখি; আপনি যা বলেন তা কোরানের আয়াতের মতো বলেন, যা পড়ে কিছু বোঝা যায় না। আপনি যা বলেন তার একটু ব্যাখ্যা ট্যাখ্যা দ্যান। আমরাও একটু জানি শিখি, কিভাবে চিন বাজারবাদ গ্রহন করে এত উন্নতি করলো ? আর কেনোই বা তাদের গুরুদের মতবাদ ত্যবগ করলো ?
সোমালিয়ার সমস্যাটা আসলে কী? কেউ কী আর একটু পরিস্কার করে জানাবেন। লেখককে ধন্যবাদ।
@বাসার,
আফ্রিকার শিং বলে পরিচিত সোমালিয়ায় কার্যত কোন সরকার নেই ১৯৯১ সন থেকে। ব্যর্থ রাষ্ট্র তালিকায় এ দেশটি গত কয়েক বছর ধরেই শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। লুটেরা, সন্ত্রাসী আর যুদ্ধবাজদের স্বর্গভূমিতে পরিণত হয়েছে এ বিশাল দেশটি। পুরো দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে রাজত্ব কায়েম করেছে উগ্র ইসলামী গোষ্ঠী ‘আল শাবাব’।
আর আল শাবাব শাসিত অঞ্চলটি হচ্ছে সবচেয়ে বেশী দুর্ভিক্ষ আক্রান্ত। গত দু’বছর ধরে আল শাবাব এ এলাকায় কোন বিদেশী সাহায্যকারী এমনকি জাতিসংঘের মানবিক সাহায্যকারী দলকেও ঢুকতে দেয়নি। বর্বর সব ইসলামী শরিয়া আইন এরা কঠোরভাবে প্রয়োগ করছে। ত্রিভূজাকৃতির বলে সমুচা বানানো, বিক্রয় ও খাওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে এ আল শাবাব।
প্রাকৃতিকভাবেও বৈরীতার শিকার এ দুর্ভাগা দেশটি। গত ষাট বছরের মধ্যে ভয়াবহতম খরার কবলে পড়েছে কৃষিপ্রধান অঞ্চলটি। সবমিলিয়ে সারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় চলছে এখন সোমালিয়ায়। আটত্রিশ লক্ষ অসহায় মানুষ শুধুমাত্র খাবারের অভাবে নিশ্চিত মৃত্যু পথ যাত্রী। প্রতি মিনিটে ছয়জন শিশু মারা যাচ্ছে।
আল শাবাব এখন বুঝতে পারছে ঐশী সাহায্য আর আশার উপায় নেই। তাই এখন তারা জাতিসংঘ ত্রাণ দলকে আবার কাজ চালানোর অনুমতি দিয়েছে।
হৃদয়াকাশ এর এ সময়োপযোগী লেখাটা অনেকের চোখ খুলে দিতে পারে।
@সফ্টডক,
Thanks.
ধর্ম আর মুহাম্মদ নিয়ে ‘অতি’ টানাটানি খারাপ লাগলো। (N) সোমালিয়ার দূর্ভিক্ষের কারন, প্রতিকার ইত্যাদি নিয়ে বিশ্লেষণী লেখা হলে আরো ভাল হতো।
ভাল করেছেন দেখিয়ে যে ধর্ম এখানে সমাধান দিতে পারছে না, কিন্তু তাহলে আপনার দেখনো উচিত ছিলো সমাধান কী হতে পারে।
@টেকি সাফি,
একমত।
@টেকি সাফি,
ধর্মাক্রান্ত সমাজের মানুষগুলোর সকল সমস্যার মূলই হচ্ছে ধর্ম। লক্ষ্য করলে দেখবেন, পৃথিবীর যেসব সমাজে ধর্মের বাড়াবাড়ি কম, সেখানে সমস্যার বাড়াবাড়িও কম। তাই স্বাভাবিকভাবে ধর্মাক্রান্ত সমাজ নিয়ে কথা বলতে গেলেই চলে আসে সেই সমাজের ধর্মের কথা। আর ইসলাম নিয়ে বলতে গেলে মুহম্মদের কথা আসবে না এটা কি সম্ভব ? তিনি যে দিয়ে গেছেন পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানকে আপনি অস্বীকার করবেন কিভাবে ?
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যখন তৎকালীন হিন্দু সমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে একের পর এক উপন্যাস লিখে যাচ্ছিলেন, তখন কেউ একজন তাকে বলেছিলেন, ‘আপনি তো শুধু সামাজিক সমস্যা তুলে ধরেন, কিন্তু সেগুলোর সমাধান কোন পথে তা তো দেখান না।’ জবাবে শরৎ বলেছিলেন, ‘আমার কাজ শুধু সমস্যা দেখানো। সেগুলোর সমাধান করার দায়িত্ব সমাজপতিদের আর সমাধানের পথটাও।’
এই কিছুদিন আগেই ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার এক লেখায় বলেছেন, লেখক হিসেবে আমি তো শুধু লিখতে পারি, আর তো কিছু করতে পারি না।
সমাধানটা যে লেখকের হাতে নেই এই বিষয়টি বোঝাতে গিয়েই কিন্তু তিনি এই কথাটি বলেছেন।
শেষে জাকির নায়েকের ভাষায় বলছি, আশা করি আমি যা বলতে চেয়েছি তা বুঝেছেন।
@হৃদয়াকাশ, ভাইয়া আপনি আসল কথা বলুন। নাস্তিক বলে আস্তিকদের শত্রু হিসেবে দেখবেন না। নিজের সমাধান থাকলে দিন।
নাস্তিকতাকে ফ্যাশন বানাবেন না।
@টেকি সাফি,
দারুন সহমত। (Y)
একটা হাদিসে আছে- ইহজগতে যতই হাসিবে হাশরের ময়দানে ততই কাদিবে। বিষয়টাকে অন্যভাবেও বলা যায়- ইহজগতে যতই সুখ করিবে , পরকালে ততই কষ্ট পাইবে। সুতরাং সোমালিয়ার মানুষদের জন্য দু:খ করে লাভ নাই। ওরা সবাই পরকালে অনন্তকাল সুখ ভোগ করবে। সেই তুলনায় আমরা বরং হতভাগা। পরকালে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে অনন্ত যন্ত্রনা আর কষ্ট।
@ভবঘুরে,
আরেকটা হাদিসে আছে-
কয়টা মুসলমান এই হাদিস বিশ্বাস করে ? আর যদি তা বিশ্বাস না করে তাহলে তারা মুসলমান আছে কিভাবে ?
আপনার লেখাটা আমার খুব ভাল লাগলো, পৃথিবীতে যে আল্লাহ নাই এর জ্বলন্ত প্রমান সোমালিয়া।
@অরূপ,
আরও জ্বলন্ত প্রমাণ আমি। কারণ, আমি প্রকাশ্যে আল্লার নামে যা বলি এবং সুযোগ পেলেই যা লিখি, আল্লা বলে কেউ থাকলে তা সহ্য করতে পারতো না। এত দিনে আমার কিছু হয়ে যেতো।
ভালো লাগল।
যে বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন আর যে বার্তা দিতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট। কিন্তু কোনো কোনো জায়গায় লেখাটা কিছুটা স্থুল মনে হলো; মাঝেমধ্যে মনে হলো মূল বিষয়বস্তু থেকে সরে আসছেন। তবুও আপনার প্রচেষ্টার জন্য সাধুবাদ। লিখতে থাকুন।
@নিটোল,
ধন্যবাদ অপনাকেও।
সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষ নিয়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আসলেই, যারা দুর্ভিক্ষের সময়ও ধর্ম আর শরিয়ত নিয়ে লাঠালাঠি করতে পারে তাদের তুলনা নেই।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতি মিনিটে গড়ে ১ জন মানুষ মারা গিয়েছিল। তাহলে সোমালিয়ার মৃত্যুর ভয়াবহতা বোঝাই যায়।
এর উত্তরে এক ধার্মিক একবার বলেছিল, অমুসলিমরা কেউ বেহেস্তে যেতে পারবে না। তাই তারা পৃথিবীতে জাগতিক সুখ বেশি ভোগ করছে।
এই কথাগুলো একটু বেশিই একপেশে হয়ে গেল। নাস্তিকদের মধ্যে খুনীও আছে, হয়তো নাস্তিক্যবাদ প্রসারের জন্য সে খুন করে নি। কিন্তু তবুও তো তা মানবতা বিরোধীই।
দুর্ভিক্ষ, দুর্ভোগ সব ধর্মের মানুষদের মধ্যেই হয়েছে। কেউ এর বাইরে নয়। আসল বিষয়টা হচ্ছে, কে কিভাবে পরিস্থিতির মোকাবেলা করছে।
আপনারলেখার বিষয়বস্তুটি ভাল। শুধু কিছু কথা খুব একপেশে লাগল।
@তুহিন তালুকদার,
বাংলায় দুর্যোগ এবং দুর্দশা নামে দুটো শব্দ আছে। দুর্যোগ হচ্ছে প্রাকৃতিক আর দুর্দশা মানুষের সৃষ্টি। যদিও খরা সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের একটা কারণ; তার চেয়েও বড় কারণ সেখানকার মানুষের বিশ্বাস। দেশের এই দুর্দিনে কোথায় সবাই মিলে এর সমাধান করবে, তা না এর মধ্যেও তারা নিজেদের মধ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে ব্যস্ত। আর ব্যস্ত মধ্যযুগীয় শরিয়া আইন প্রচলনে।
আপনি পরিস্থিতি মোকাবিলার কথা বলেছেন। কিন্তু সোমালিয়ানরা করছে কি। সমুচা নিষিদ্ধ করার মতো হাস্যকর সব কান্ড করছে। ইতোমধ্যেই সোমালিয়ান জলদস্যুরা জাহাজ জিম্মি করে বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছ থেকে কোটি কোটি ডলার আদায় করেছে। এর বিরুদ্ধে সে দেশের সরকার ব্যবস্থা নেয়া দূরে থাক, পার্লামেন্টে কোনো কোনো সাংসদ জলদস্যুদের প্রশংসা করে বলেছে তারা নাকি বেসরকারীভাবে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মতো কাজ করছে। বর্বর আর কাকে বলে।
দেশের এই ঘোর বিপদে সোমালিয়ান সরকার কোনো দেশের কাছে সাহায্য চেয়েছে কিনা জানি না। জাতিসংঘ যখন দুর্ভিক্ষ কবলিত লোকজনকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে তখনও তারা সেদেশের কিছু গোষ্ঠির কাছ থেকে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। পাগলও তো নিজের ভালো বোঝে, সোমালিয়ানরা কী ?
দুর্যোগ পৃথিবীর সব দেশের সব ধর্মের মানুষের মধ্যেই আছে, কিন্তু স্বসৃষ্ট দুর্দশায় আছে পৃথিবীর কয়টা জাতি ? ইতিহাস থেকে আপনি এর কিছু উদাহরণ দিতে পারবেন কি ? আমার জ্ঞান থেকে এই বিষয়টি আমি লিখেছি। এর বাইরে যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে তাহলে জানালে খুশি হবো।
আপনি কি একটা বিষয় কখনও ভেবে দেখেছেন, পৃথিবীর ম্যাক্সিমাম মুসলিম দেশ গরীব কেনো ?
আমি লেখার সময় যা আমার কাছে সত্য বলে মনে হয় তাই লিখি। ব্যালান্স করার কথা ভাবি না। এজন্য কিছুটা এক পেশে মনে হতেই পারে। কিন্তু সত্য তো সত্যই। ব্যালান্স করলে কি প্রকৃত সত্য প্রকাশ করা সম্ভব ?
ধন্যবাদ।
@হৃদয়াকাশ,
এই কথাটিকেই আমি বলেছি এভাবে, “আসলেই, যারা দুর্ভিক্ষের সময়ও ধর্ম আর শরিয়ত নিয়ে লাঠালাঠি করতে পারে তাদের তুলনা নেই।”
এখানে আমি সোমালিয়ানদের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার কথা বলি নি। আমি বলেছি সেসব জাতির কথা যারা দুর্যোগ বা দুর্দশার দিনেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। আমি শুধু এই বক্তব্যটির বিরোধীতা করেছিলাম যে, মুসলিম ছাড়া আর কোন জাতির দুর্দশা হয় না। দুর্দশা সবারই হয় কিন্তু সবাই সেই মুহূর্তে শরিয়া আইনের মত হাস্যকর বিষয় নিয়ে রক্তারক্তি করে না। যেমন, কিছুদিন আগে জাপানের ফুকুশিমায় পারমাণবিক বিস্ফোরণের পর তেজস্ক্রিয়ায় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তারপরও সেখানে অরাজকতা তৈরি হয় নি যা অনেকের মধ্যেই দেখা যায় না। নিয়মনিষ্ঠ থেকে জাপানীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে গিয়েছে। আমি তেমন কিছুই বোঝাচ্ছিলাম।
ধর্ম যত না আধ্যাত্মিক তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি অর্থনৈতিক। ধর্ম উন্মাদ সব জাতিই কম বেশি গরীব। যদি না তেলের খনির মত লটারী জেতা টাইপ কোন ভাবে তারা ধনী হয়। ইয়োরোপকে ধর্মের প্রভাবকে ঝেড়ে ফেলে এগিয়ে যেতে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছে। তার আগ পর্যন্ত (মধ্যযুগে) সাধারণ জনগণ দরিদ্র আর নিষ্পেশিতই ছিল। মুসলিম অধ্যুষিত জাতি আজও ধর্ম উন্মাদ রয়ে গিয়েছে।
যা আপনার কাছে সত্য বলে মনে হয়, তাই প্রকৃত সত্যটি কি না আগে যাচাই করা উচিত। নাস্তিক বলে কারও মানবতা বিরোধী কোন কাজ থাকতে পারে না – এই ধরণের ধারণা ব্যালেন্সজ নয়। নাস্তিকতা পড়াশোনার পরই আসে কিন্তু নাস্তিকদেরও ভুল ত্রুটি, অপরাধ থাকতে পারে।
@তুহিন তালুকদার,
এখানে ব্যালেন্সড হবে।
সোমালিয়ার জন্য আমাদের কিছু করা উচিত। হজ্ব ওয়ালাদের নারকেলের মাথায় গরিবের হাহাকার কখনও স্পর্শ করে না। মুক্তমনা সোমালিয়ার জন্য কোন উদ্যোগ নিলে ভাল হত।
লেখককে ধন্যবাদ এ বিষয়ে লেখার জন্য। তবে ত্রিভুজ, ঢিলা খাল ইত্যাদি বিষয়গুলো না লিখলেই ভাল দেখাত।
@হেলাল,
ত্রিভুজ, ঢিলা খাল এগুলো আমার আবিষ্কৃত নয়, অধ্যাপক হুমায়ূন আজাদের। তো তারটা যদি জনগন সহ্য করতে পারে, আমারটা নয় কেনো ?
“ধার্মিকদের ভয়ে অনেক সময় নাস্তিকরা তাদের বিশ্বাসটাকে পর্যন্ত প্রকাশ করতে পারে না। কারণ, চেয়ার আর মাথা যাবার ভয় সবারই আছে। সবাই তো আর হুমায়ূন আজাদ বা তসলিমা নাসরিন নয়।”
ঠিকই বলেছেন। আমার অবস্থা ঐ রকমই। আমি কেবল আমার এক মুসলমান বন্ধু আর তার মেসে`র বড় ভাই ছাড়া কাউকে এ ব্যাপারে কিছু বলতে সাহস পাই নি। আর এদেরকে বলার সাহস পেয়েছি “মুক্তমনা” থেকে। সেজন্যে মুক্তমনার নিকট আমি কৃতঙ্গ। আমার কথা শুনে তাদের মধ্যে এক ভাই অবশ্য আমাকে ‘পাগল’ নামক এক সুন্দর উপাধি দিয়েছেন। তবে আমি খুশিই হয়েছি যে আমি পাগল কিন্তু তাদের মত মহাউন্মাদের উন্মাদ নই।
লেখককে ধন্যবাদ।
@ছদ্মবেশী, (F)
@ছদ্মবেশী, বিশুদ্ধ ত্রিভুজ; মেয়েদের যোনী এটা ভগবান কৃষ্ণা ভাল জানে!!!!না হলে ১৬,০০০ বিয়ে করতে পারত না—http://in.answers.yahoo.com/question/index?qid=20070608075450AA3g3zy or http://wiki.answers.com/Q/Who_was_Krishna%27s_wife
@shankar,
তারা কোরলে লিলা অন্যের বেলয় ক্যারেক্টার ঢিলা 😉
@ছদ্মবেশী,
ধন্যবাদ আপনাকেও।
কথাগুলো খুব ভাল লাগল!
দেশে গেলে লোকজন উপদেশ দেয় হজ করতে, বলি ঐ টাকা গরীবদের
দিলে বেশী পূণ্য হবে!
সেটা তারা মানতে নারাজ, কবে দেশের লোকদের মোহ ঘুচবে!
@লাইজু নাহার,
ধন্যবাদ। একদম ধার্মিক মূর্খদের কথায় কান দেবেন না। ধর্ম মানেই অপচয়; সময় ও অর্থের। নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকুন। অনধিকার চর্চা হলেও একটা কথা জানতে ইচ্ছে হচ্ছে-আপনি কোন দেশে থাকেন ?
@হৃদয়াকাশ
নাস্তিকতা একটা ফ্যাশন। থার্ড ক্লাস এসব চিন্তা থেকে দূরে থাকবেন। আসমান থেকে কেউ টপকায় না। সৃষ্টিকর্তা আছেন।
খাদিজা রাঃ মুহাম্মাদ-এর প্রতি মুগ্ধ হন। উনার বাবা ছিলেন তাওরাত ইঞ্জিলের উপর পন্ডিত। ওখানে মুহাম্মাদ সঃ এর সম্পর্কে ভবিষ্যতবাণী আছে।
আপনি চাইলেই শেখ হাসিনাকে বিবাহের প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন না। শেখ হাসিনা আপনাকে পাঠালে আপনি কি করবেন? মনে করেন আপনার চোদ্দ গুষ্ঠী কবরে। শুধু চাচা বেচে আছে।
এই ব্লগে দেখলাম নাস্তিকের সংখ্যার অভাব নাই। দেখুন আস্তিক মানেই ভালো মানুষ না। মুসলমান হলেই মানুষ ফেরেশ্তা হয় না।
কুরান হাদীস কোথাও বলা হয়নাই তুমি বিদ্রোহ কর। হ্যান ত্যান কর। যারা করছে, তারা মানছে না। যারা কুরান মানে না, তাদের আপনি কি বলবেন? আপনার ই মত তারা।
আমি কখনোই বলবো না আমেরিকার মানুষ অনেক ভালো। দশ মিনিটের জন্য সব সিকিউরিটি -পুলিশ বন্ধ করেন। সব মেয়ে গড়ে দুইবার করে ধর্ষন হবে। এবং তারা এতে কিছুই মনে করবে না। তারা উন্নত।
টাকা থাকলেই মানুষ উন্নত হয় না। তাইলে আমাদের মন্ত্রীরা সবচে উন্নত।
“তুমিতো কেবল এমন লোককেই সতর্ক করতে পার, যে আমার উপদেশ মেনে চলে এবং সে অনুযায়ী দয়াময় আল্লাহ তাআলাকে না দেখেই ভয় করে, হ্যা, যে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করে, তাকে তুমি ক্ষমা ও মহা প্রতিদানের সুসংবাদ দান কর।”
—- ইয়াসীন ১১
দেখুন সতর্ক করতে বলা হয়েছে তাদের যারা ইতোমধ্যেই মুসলমান। কাফের দের শুধু ইসলামের মধুর দিকগুলো জানানোর কথা।
@ইমেজ,
নাস্তিকতা একটা ফ্যাশন হতে পারে, কিন্তু আস্তিকতাও কম ফ্যাশন নয়, শুক্রবার দিন যেকোনো মসজিদের সামনে গেলেই দেখতে পাবেন, ইস্ত্রি করা বা নতুন বাহারি রঙের পাজামা পাঞ্জাবি, পায়ে জুতো; এটা অবশ্য কম দামী হয়ে থাকে। কারণ, মসজিদ থেকেই এখন জুতো চুরি হচ্ছে বেশি । আল্লা মুমিন মুসলমানদের জুতা চুরি রোধ করতে পারছে না। তিনি নাকি মহা ক্ষমতাশালী ! পরিষ্কার পাজামা পাঞ্জাবির সাথে গায়ে আতরের সুগন্ধ, মাথায় টুপি, আহা! কি ফ্যাশন।
কারণ, তাঁর ব্যবসা পরিচালনার জন্য একজন দক্ষ লোক দরকার ছিলো আর দরকার ছিলো একটা তাগড়া জোয়ান শরীর। কারণ, বিধবা খাদিজা অনেকদিন পুরুষ বঞ্চিত ছিলেন। তিনি বোধহয় দেহের জ্বালা আর সহ্য করতে পারছিলেন না। তাই তিনি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন এবং ভাবেন বিয়ে যখন করা তখন এমন একজনকে বিয়ে করতে হবে যাতে এতদিনের উপোসী শরীরের বহুদিনের ঘাটতিটা মেটানো যায়। না হলে কোনে মহিলাকে ৪০ বছর বয়সে তৃতীয় বিয়ে করতে শুনেছেন ? তাও আবার ঘরে দুই দুইটা প্রায় বিবাহযোগ্যা মেয়ে থাকতে ! স্বামী মারা গেলে মেয়েরা বিয়ে করে, সেটা ৩০ এর মধ্যে বা আশে পাশে। কিন্তু ৪০ বছর বয়সে! এই বয়সে তো একটা মেয়ে প্রায় বুড়ি হয়ে যায়। বুঝলাম মুহম্মদকে খাদিজার প্রয়োজন ছিলো, তাহলে তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিলেই তো পারতেন। নিজে বিয়ে করতে গেলেন কেনো ? এটা কি যৌবনের জ্বালায়, না অন্য কিছু ?
খাদিজার বাবা না, খাদিজার চাচাতো ভাই নওফেল ছিলো তাওরাতে দক্ষ। তাওরাতে ভবিষ্যদ্বানী থাকলেও সেটা খাদিজা জেনে মুহম্মদকে বিয়ে করে নি। এমনকি সেটা মুহম্মদ নিজেও জানতো না। হেরা গুহায় গায়েবি আওয়াজ শুনে মুহম্মদ যখন ভয় পেয়ে যায় এবং সে কথা খাদিজাকে বললে, বিষয়টি কী তা জানার জন্য নওফেলের কাছে খাদিজা, মুহম্মদকে নিয়ে যায়; কোনো রহস্যে বা বিপদে আপদে পড়লে ছোটরা যেমন বড়দের কাছে ব্যাপারটা ঠিক তেমন । সেখানেই খাদিজা ও মুহম্মদ দুজনেই নবুয়তের ব্যাপারটি জানতে পারে।
আপনি ভালো করে বাংলায় আগে কোরান পড়েন, তারপর দেখেন কতবার মুসলমানদের কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে বলা হয়েছে আর কেনো বলা হয়েছে।
@হৃদয়াকাশ,
আমি বললাম কি আর বুঝলেন কি!
আমার কয়েক কোটি টাকা থাকলে সেটা আল্লাহর নিয়ামত। আমি তখন একটা বিএমডাব্লিউ কিনতেই পারি। সেটা আল্লাহর নিয়ামতের ই প্রকাশ। ব্যাপারটা এরকম ” সবাই দেখ আল্লাহ আমাকে কত কত নিয়ামত দিয়েছেন” বরং আমি যদি তখন ছেড়া কাপড় পড়ি, সেটা মুনাফেকি, ভন্ডামি।
আর জুতা চুরির কথা বলছেন?
একটা কথা বলি আপনাকে। নিজেকে আল্লাহ তাআলার স্থানে কল্পনা করুন। পুরো মহাবিশ্ব সৃষ্টি করলেন আপনি। তারপর কি করবেন?
আপনি কি করতেন ওই চোরকে শায়েস্তা করতে? তবে হ্যা। আল্লাহ তাআলা আরো বেশি জানেন। কিন্তু এই সামান্য জিনিস আপনার নিজেরই বোঝার কথা।
“কুরান হাদীস কোথাও বলা হয়নাই তুমি বিদ্রোহ কর। হ্যান ত্যান কর। যারা করছে, তারা মানছে না।”
কথাটায় ইনফর্মেশন গ্যাপ থাকয় দুক্ষিত। জিহাদ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। কখন সরাসরি আক্রমণাত্মক জিহাদ করতে বলা হয়েছে জেনে আমাকে জানাবেন। জিহাদের কথা বলা হয় সব শেষে। আপনি কি বলতে চান? জিহাদ করতে বলা আল্লাহ তাআলার ভুল? কেউ আমাকে আক্রমণ করলে আমার কি করা উচিত বলে আপনি মনে করেন? কুরান শরীফের লেখক আপনি হলে কি করতেন? (আস্তাগফিরুল্লাহ)।
তাছাড়া বড় জিহাদ- ছোট জিহাদ বলতে একটা ব্যাপার আছে। তাছাড়াও। অনেক ক্ষেত্রেই কুরানে ঘটনা উল্লেখ করতে যেয়ে জিহাদের ব্যাপার এসেছে।
আমার মনে হচ্ছে আপনি অনেক অনেক পড়াশুনা করেছেন ইসলামের ব্যাপার নিয়ে। কেন মনে হচ্ছে আল্লাহ বা ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই? মানুষের কষ্টে চুপ থাকেন বলে?
আপনি হলে কি করতেন? মানুষকে ১০,০০০ কোটি বছর হায়াত দিতেন আর সবাইকে ফেরেশ্তার মত ভাল মানুষ করতেন? আপনি কি শিওর যে জর্জ ডাব্লিঊ বুশ জাহান্নামে যাবেন? আমি কিন্তু শিওর না। উনি যদি শিরক না করে থাকেন মনে মনে, তাহলে তার ব্যাপারে জান্নাত জাহান্নামের ফয়সালা আল্লাহর হাতে। আর আপনাকে যেহেতু জর্জ ডাব্লিউ বুশ কেমন মানুষ ছিলেন? এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে না। সেহেতু আপনি চুপ থাকতে পারেন এই ব্যাপারে। কে ভাল আর কে মন্দ আপনি কিভাবে বলবেন? লাদেন ভাল আর বুশ খারাপ? নাকি বুশ ভাল আর লাদেন খারাপ?
রেড ইন্ডিয়ান খারাপ আর জর্জ ওয়াশিংটন ভাল। তাই না?
বাঙ্গালিরা ভাল আর চাকমারা খারাপ? পুরো ব্যাপারটাই আপেক্ষিক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।
সোমালিয়ায় সাহ্যায্য পাঠাতে না পারেন তো চুপ করে বসে থাকেন । ওদের জন্য প্রার্থনা করেন।
@ইমেজ,
শুরু করি হুমায়ূন আজাদের ‘ছাপ্পারো হাজার বর্গমাইল’ উপন্যাসের ১৫৯ নং পৃষ্ঠার একটি উদ্ধৃতি দিয়ে। তিনি লিখেছেন, ‘ মনে করা যাক একজন স্রষ্টা রয়েছে, সে মহাজগতের সব কিছু সৃষ্টি করেছে, তাহলেও তার উদ্দেশ্যে প্রার্থনার আনুষ্ঠানিকতা অপ্রয়োজনীয়। কারণ যে অনন্ত মহাজগত সৃষ্টি করতে পারে, সে নিশ্চয় হবে অত্যন্ত মহান, মানুষের মতো তুচ্ছ প্রাণীর তুচ্ছ প্রশংসা তার দরকার পড়তে পারে না।’ এই সূত্রে আমিও বলছি, আমি যদি সৃষ্টিকর্তা হতাম ঐ চোরকে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি না দিলেও মানুষের কাছে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত তোষামোদ কখনোই কামনা করতাম না। শবে বরাত, শবে কদর, ঈদের নামাজের তোষামোদের কথা বাদই দিলাম।
আপনার আল্লাহ তাআলা এত বেশি জানেন যে, পৃথিবী যে গোল সেটা তিনি জানেন না, আরব উপদ্বীপের বাইরে আরও যে দেশ আছে সেটাও তিনি জানেন না; জানলে কোরানে আরবের বাইরের অন্যান্য দেশ সম্পর্কে কিছু কথা থাকতো। সুর্যকে তিনি ডোবান কর্দমাক্ত পানির মধ্যে।
মুহম্মদ যখন মক্কা থেকে মদীনায় যেতে বাধ্য হলেন এবং মদীনার লোকজনের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে বেশ কিছু শক্তি সঞ্চয় করলেন তখনই তিনি শুরু করলেন তার বিরোধীদের উপর জিহাদ এবং কোরানের আয়াতের মাধ্যমে তাকে মুসলমানদের মনে চিরস্থায়ী রূপ দিলেন। দেখুন কোরানের সূরা বাকারা ১৯১ নং আয়াতে আপনার নবী কী বলেছেন,
“ যে স্থানে তাহাদিগকে পাইবে তথায় তাহাদিগকে হত্যা কর, এবং তাহারা যে স্থান হইতে তোমাদিগকে নির্বাসিত করিয়াছে তোমরা তাহাদিগকে নির্বাসিত কর, হত্যা অপেক্ষা ধর্মদ্রোহিতা গুরুতর, এবং মসজ্বেদুলহারামের নিকট তোমরা তাহাদের সঙ্গে জিহাদ করিও না যে পর্যন্ত না তথায় তাহার তোমাদের সঙ্গে জিহাদ করে, পরন্তু যদি তাহারা তোমাদের সঙ্গে ( তথায়) জিহাদ করে তোমরাও তাহাদের সঙ্গে জিহাদ করিও, কাফেরদের প্রতি এই রূপ শাসন।”
এই আয়াতে এটা স্পষ্ট যে মক্কাবাসী মুহম্মদকে মক্কা থেকে তাড়িয়েছে, তাই মুহম্মদ মদীনায় গিয়ে মক্কাবাসীদের সঙ্গে জিহাদ করার জন্য তার অনুসারী, যারা তার সঙ্গে মদীনায় গিয়েছিলো এবং মদীনার নব্য মুসলমান, তাদেরকে উদ্দীপ্ত করছে। সাথে এও বলছে, হত্যা অপেক্ষা ধর্মদ্রোহিতা গুরুতর, অর্থাৎ মুহম্মদের ইসলাম ধর্মকে মক্কাবাসী মেনে না নিয়ে তারা ধর্মদ্রোহিতার মতো অপরাধ করেছে। সুতরাং তাদেরকে হত্যা করতে হবে। আর মসজ্বেদুলহারাম বলতে যে কাবা শরীফকে বোঝায় সেটা নিশ্চয় আপনি জানেন। একই সূরার ১৯৩ নং আয়াতে আরও কী বলেছে দেখেন, “যে পর্যন্ত না ধর্মবিদ্রোহিতা হয় এবং ও আল্লার ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয় সে পর্যন্ত তোমরা জিহাদ কর।” এর অর্থ হচ্ছে, ধর্মবিদ্রোহিতা দেখা গেলে যেমন জিহাদ করতে হবে, তেমনি কোনো দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জিহাদ করতে হবে । কোরানে জিহাদ করতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে, এমন আয়াতের সংখ্যা কত জানেন, ৬৮ টি। আর হাদিস আছে ১৮ টি। একটি হাদিস দেখুন, আবু হুরায়রা বললেন: আল্লাহর রসুল বলেছেন, “যে কেহ আল্লাহ্র সাথে দেখা করবে অথচ তার কাছে জিহাদের কোন চিহ্ন থাকবে না সে এক খুঁত নিয়ে আল্লাহ্র সাথে সাক্ষাত করবে। ”
জিহাদ করতে বলা আল্লার ভুল কিনা এখন সেটা মুসলমানেরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। এই আদর্শে উজ্জীবিত হয়েই তো লাদেন আর তার আল কায়েদা বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছে। তার ফল তো দেখতে পাচ্ছেন। পৃথিবীতে মুসলমানদের কোথাও ঠাঁই নেই। সর্বত্র তাদের সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা হয়। এমন কি শাহরুখ খানের মতো একজন আন্তর্জান্তিক মানের স্টারকেও নিউইয়র্ক বিমান বন্দরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অবস্থাটা কী বুঝতে পারছেন ? এখনও কি ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ করার দরকার আছে ? মানুষকে কি এখন জোর করে ধর্ম গেলানো যায় ? উত্তর হচ্ছে, যায় না। কিন্তু আপনার কোরান কী বলছে ? ‘যে পর্যন্ত না আল্লার ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয় সে পর্যন্ত তোমরা জিহাদ কর।” আবার নবী বলছে,‘ যে কহে আল্লাহ্র সাথে দখো করবে অথচ তার কাছে জহিাদরে কোন চহ্নি থাকবে না সে এক খুঁত নয়িে আল্লাহ্র সাথে সাক্ষাত করবে ।’ এরপরও যদি জিহাদ না করে চুপচাপ বসে থাকেন, তাহলে বুঝতে পারছেন আপনার বেহেশতি ভবিষ্যত কী ? ইসলামী জঙ্গীরা যখন বোমা ফাটিয়ে মানুষ হত্যা করে তখন উদারপন্থী মুসলমানরা বলে যে কোরানের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাদের বিপথগামী করা হয়েছে। আসলেই কি তাই ? ভুল ব্যাখ্যা কারা করছে ? জঙ্গীরা সঠিক আয়াতটাই জানে আর তার ব্যাখ্যাও জানে। ভুল ব্যাখ্যা তারাই করছে যারা কোরানের আয়াতগুলোর অর্থ ঠিক মতো না জেনে বলছে যে ইসলামে হত্যার কোনো নির্দেশ নেই বা ইসলাম সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয় না।
কেউ আক্রমন করলে নিশ্চয় আগে প্রতিরোধ করতে হবে। কিন্তু ইসলামের ইতিহাসের কোনো যুদ্ধে মুলমানদের কেউ আগে আক্রমন করে নি। আগ বাড়িয়ে মুসলমানরাই অমুসলিমদের বিরুদ্ধে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে, যখন তারা ইসলাম গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তখনই তারা যুদ্ধ ঘোষণা করে তাদের জান মাল লুট করেছে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে কখনও কখনও যুদ্ধ ঘোষণাও করা হয় নি, অর্তর্কিতে হামলা করে অমুসলিমদের হত্যা করে তাদের নারী আর ধন সম্পদকে গণিমতে মাল হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
তিনি যে শুধু মানুষের কষ্টে চুপ থাকেন তাই নয়, আসলে তার কিছু করারও নেই। আল্লা যদি থাকতো তাহলে ইসলামী বিশ্ব বেহেশতে পরিণত হতো। ধর্মের জন্য মুসলামনদের যে ত্যাগ, এটা আর কে করে ? তারপরও মুসলমানদের প্রাপ্তি কী ? সোমালিয়ার তো একটা উদাহরণ দিলাম। এরকম শত শত। একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন, সারা পৃথিবীতৈ মুসলমানরা কোথাও ভালো নেই। ক্ষুধা দারিদ্র অশিক্ষা পশ্চাতপদতা তাদের নিত্য সঙ্গী। জ্ঞান বিজ্ঞানে মুসলমানদের ১%ও অবদান নেই। অথচ মুসলমানরা গর্বের সঙ্গে বলে , বিজ্ঞানীরা কোরান রিসার্চ করেই সব কিছু আবিষ্কার করেছেন। কিন্তু একবারও মুসলমানদের মাথায় এই বিষয়টি কথনও আসে না যে, বিজ্ঞানীরা যদি কোরান রিসার্চ করেই সব কিছু আবিষ্কার করে থাকে তাহলে আমরা ১৪০০ বছর ধরে কোরান পড়ে করলামটা কী ? মুসলামানদের চেয়ে অন্যরা তো আর বেশি কোরান পড়ে না। এ্যাকচুয়ালি মুসলানরা তো আর কিছু করতে পারে না, তাদের কোরান পড়ে যে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কারগুলো করছে এটা তাদের এক প্রকার শান্তি দেয়, এ এক অদ্ভুত আত্মতৃপ্তি !
ইসলাম তো তাই বলে। মুসলমান ছাড়া কেউ কোনো দিন বেহেশতে যাবে না। এজন্যই ইসলামে এও বলা হচ্ছে. মুসলমান না হয়ে তোমরা মৃত্যু বরণ করো না। অর্থাৎ ব্যাপারটা দাঁড়ালো এরকম, সারাজীবন যাই করি আর যেই ধর্মই বিশ্বাস করি; অন্তত মৃত্যুর আগে যদি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি তাহলে বেহেশতে যাওয়ার একটা চান্স আছে, আল্লা ক্ষমা করলে করতেও পারে। তিনি পরম করুনাময়।
আপনি যদি এখনও শিউর না হন তাহলে আমি বলবো মুসলমান হওয়ার পথে আপনার এখনও অনেক পথ বাকি আছে। কারণটা তো আমি উপরের প্যারাতেই উল্লেখ করলাম। বিশ্বাস না হলে গোঁড়া মাওলানাদের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন।
ইসলামে এসব যুক্তি তর্কের কোনো স্থান নেই। কথা হচ্ছে সে মুসলমান কি না। মুসলমান হলে সব অপরাধ মাফ। সোজা বেহেশত। অমুসলমান হলে সোজা দোযখ। এত কিছু দেখার সময় আল্লার নাই।
আমি তো সোমালিয়ার মুসলমানদের নিয়ে তবুও লিখেছি। এই লেখা পড়েই তো আপনি বা অন্যরা তাদের সাহায্য করার কথা চিন্তা করছেন। আমি মনে করি আমি আমার দায়ত্ব পালন করেছি। এবার আপনার পালা। দেখি এবার আপনি কী করেন? ব্লগে আমার সঙ্গে বসে শুধু তর্ক করেন না বাস্তব কিছু করেন। এটাও মনে রাইখেন, আপনি যাই করেন তার হিস্যা কিন্তু আমারও। কারণ আমি ধরে নেবো আমার লেখা পড়েই আপনি উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
আমি এসব ফালতু কাজে সময় ব্যয় করি না। আপনার কাছে যদি এখনও মনে না হয় যে প্রার্থনা একটা ফালতু কাজ, তাহলে কোনো একটা কাজ সাকসেস করার জন্য বাস্তব কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে শুধু বসে বসে প্রার্থনা করেন আর বাসার সবাইকে প্রার্থনা করতে বলেন, দেখেন ফলাফল কী হয় ? কিন্তু আমি শিউর, আমি যা করতে চাই তা কোনো প্রার্থনা ছাড়াই শুধু পরিশ্রম দ্বারাই সাকসেস করতে পারি। কোনো কাল্পনিক আল্লার সাহায্য আমার দরকার হয় না।
নিচে যে ঠিকানাটা দিলাম এটা আমার পার্সোনাল ব্লগ। এখানে অনেক বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা আছে। সময় এবং সাহস থাকলে এগুলো পড়েন এবং আমার যুিক্ত খণ্ডন করেন।
@ইমেজ, http://www.somewhereinblog.net/blog/dthought