এমন একটা লেখা কখনো লিখতে হবে ভাবি নি। কিন্তু এই তো, খট খট করে লিখতে শুরু করেই দিলাম। এক রকম বাধ্য হয়েই। লেখাটা লেখাচুরি নিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরে একদম আশেপাশেই এমন ঘটতে দেখছি। সহ ব্লগারদের লেখা চুরি হচ্ছে অহরহ। কখনো ভিক্টিম মুক্তমনার বিপ্লব পাল, কখনো সচলায়তনে শুভাশীষ দাশ, কখনো অন্য কেউ। এরা সবাই সহ ব্লগার হলেও, এরা তো ঠিক ‘আমি’ না। তাই এসব ব্যাপার দেখে ক্রুদ্ধ, বিচলিত, বিরক্ত, যাই হই না কেন সব সময়-ই এগুলো ছিলো ‘অন্যদের ব্যাপার’। তবে যে অন্যায়টা সব সময় আশেপাশে ঘটে সেটা নিশ্চিতভাবে নিজের সাথেও ঘটে শেষ মেশ।
স্টিফেন হকিং এবং লিওনার্দ ম্লদিনাও এর ‘দ্য গ্র্যান্ড ডিজাইন’ নামক বইটা প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে চারিদিকে। আমিও পড়ি। আর ভালো লাগে খুব। সেই ভালো লাগাটা কিছু বন্ধুর সাথে শেয়ার করার উদ্দেশ্যেই অনুবাদ করতে শুরু করি বই টা। এক সময় প্রথম অধ্যায়টা পোস্ট করি মুক্তমনায়। এখানে সবার কাছ থেকে দারুণ ফিডব্যাক পাই। তারপর একের পর এক অধ্যায় অনুবাদ করে প্রকাশ করতে থাকি নিয়মিত বিরতিতে। প্রতি পোস্ট প্রকাশ হবার পরই মনোযোগী পাঠকেরা অনেক প্রশ্ন করেন, আলোচনা করেন, অনুপ্রেরণা দেন। সব মিলিয়ে দারুণ একটা সময়ই পার করতে থাকি। এক রকম নেশায়ই পেয়ে বসে। নিজের কাজ থেকে এক মুহূর্ত বিরতি পেলেও বসে যাই অনুবাদ নিয়ে। মাঝে ভাটা পড়ে কাজে। বন্ধুরা, সহব্লগাররা, ছোটো আর বড় ভাইয়েরা তাগাদা দিতে থাকেন। এসবের মধ্য দিয়েই এক সময় অনুবাদটা শেষ হয়।
যারা কখনো অনুবাদ করেছেন, বিশেষ করে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের, তারা জেনে থাকবেন ‘পোয়েটিক ফ্রিডম’ এখানে কতটা কম। নিজ ভাষায় প্রকাশ করার সাথে সাথে, খেয়াল রাখতে হয় অর্থ ঠিক থাকছে কি না। সে জন্য প্রচুর রেফারেন্স পড়াশুনাও প্রয়োজন হয়। সব মিলিয়ে বেশ বড়সড় এক কর্মযজ্ঞ যাকে বলে। আমার মনে হয় অনুবাদের চেয়ে নিজে কিছু লিখে ফেলাটা বেশি মেধার দাবিদার হলেও, কম শ্রম সাধ্য। তবে একটু পরিশ্রম হলেও এর বিনিময়ে পাঠকদের কাছথেকে যত শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা পেয়েছি তা সত্যিই অমূল্য আমার কাছে। সে সব কথা না হয় থাক আপাত।
তবে আজ সকালে হঠাত সহ ব্লগার আশরাফ মাহমুদের মেসেজ পেলাম ফেসবুকে। কোনো এক ব্যক্তি আমার অনুবাদটা একটা পি ডি এফ আকারে সংকলিত করেছে। তাও ভালো কথা। তবে সেই পিডি এফের প্রতি পাতায় সে অনুবাদক হিসাবে নিজের নাম NC Das লিখে রেখেছে বড় করে। এটা করেই সে থেমে থাকেনি, মুক্তমনা, সচলায়তন আর দুয়েকটা ব্লগ বাদে প্রায় গোটা দশেক ব্লগে আর বিভিন্ন সাইটে সে নিজেকে অনুবাদক দাবি করে পোস্ট দিয়েছে।
তার পরেও থেমে থাকেনি, অন্য আরেকটি পোস্ট দিয়ে কীভাবে সে তার করা এই অনুবাদ প্রকাশকদের নজরে আনবে বা প্রকাশ করবে সে বিষয়ে জনসাধারণের মতামতও চেয়েছে! সামহোঅয়্যার ইন ব্লগে আমি তার পোস্ট বিষয়ে আপত্তি জানালে সেটা সরিয়ে দেওয়া হয়। এর পর ফেসবুকে তার এই জালিয়াতি বিষয়ে লিঙ্ক শেয়ার দিয়ে পোস্ট দেবার পরে আরো কিছু মেজর ব্লগ সাইট (প্রথম আলো ব্লগ, আমাদের ব্লগ) থেকে সে তার পোস্ট সরিয়ে ফেলে। কিন্তু তারপরেও এখনো প্রায় ১০ টি লিঙ্ক অ্যাকটিভ আছে। মিডিয়া ফায়ারে তার বানানো পিডিএফ ও পাওয়া যাচ্ছে। কবে দেখা যাবে বাজারে কাগজের বইও পাওয়া যাবে!
এভাবেই ‘যে ঘটনা সব সময় ঘটার কথা অন্যদের সাথে’ সেটা ঘটে গেছে আমার সাথেও। আমরা অনেকেই ব্লগে বা অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের লেখালিখি করি। যেগুলোর সবার কাছে সহজ লভ্য হবার কারণে এভাবে চুরির/জালিয়াতির শিকার হতেপারে (এবং হয়) সহজেই। এখন অন্তত আমি বুঝতে পারছি যে আসলেই সময় এসে গেছে এসব নিয়ে গুছিয়ে ভাবার।
কী করা যেতে পারে এ বিষয়ে? যেসব চিন্তা মাথায় আসছে শেয়ার করি। আপনারাও যোগ করুন,
১) কাগজের মাধ্যমের প্রকাশকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা যতে পারে, যেন তারা কোনো লেখা প্রকাশের আগে অন্তত গুগলে সার্চ দিয়ে দেখেন এ শিরোনামের বা এ ধরনের টেক্সট ব্যবহার করে অলরেডি কোনো লেখা অনলাইনে কোথাও আছে কি না।
২) প্রকাশক নিজেই এ ধরণের চুরির/জালিয়াতির সাথে জড়িত হলে। যে সাইটে প্রথম লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিলো সেখান থেকে ফরমালি যোগাযোগ করা যেতে পারে। কোনো ধরনের নোটিশও দেওয়া যেতে পারে। কারণ আমাদের দেশের আইনি ব্যবস্থার কারণেই মূল লেখক একা এ ধরনের ‘হামলা-মামলায়’ জড়াতে চাইবেন না বেশিরভাগ সময়ই। তার উপর আমরা প্রায় কেউ-ই পেশাদার লেখক না। অবসরে ভালো লাগা থেকে লিখি। এবং একেকজন থাকি একেক দেশে।
…
…
যাই হোক। আমার অনুবাদটির জালিয়াতি যে করেছে তার পরিচয় বের করা গেছে। নাম N C Das ওরফে Niranjan Das । তার ফেসবুকপেজ ও ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের তথ্য মতে সে AIUB এর ছাত্র। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক এর মেম্বার। এবং ই-পৃথিবী নামক প্রযুক্তি বিষয়ক ই ম্যাগাজিনের সাথে জড়িত। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের মুনির হাসান, এবং ই পৃথিবীর একজন প্রতিষ্ঠাতার কাছে তার বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু এর বেশি আর কী করা সম্ভব ভেবে পাচ্ছি না। তার ফোনে যোগাযোগ করলেও সে ফোন ধরছে না।
“বাংলায় দ্য গ্রান্ড ডিজাইন” লিখে গুগল করলেই তার মহান কীর্তির নমুনা পাওয়া যাবে। যেটাকে বন্ধু তানিম নাম দিয়েছে ‘দ্য গ্র্যান্ড থেফ্ট’। আসলে দুয়েকটা পোস্ট চুরি হলে এক রকম লাগে। আর মাসের পর মাস পরিশ্রম করে করা একটা কাজ চুরি হয়ে যেতে দেখলে লাগে অন্য আরেক রকম। সেই ‘অন্য আরেক রকম’ অনুভূতিটা বুকে পুষে রাখা ছাড়া আর কী কী করা যেতে পারে বলে মনে করেন? আপনাদের অভিমত জানতে চাচ্ছি।
তার ফেইসবুক, ওয়েবসাইট কোনটাই সো করছে না।
আজকে একটা potrika dekhlam “Shaptahik Amar Bangla”, shonkhya no. 22 , 3rd June prokashito. Oikhane Asif Mohiuddin er “Jakir Nayek er gomor fash” namok ekta lekha ase. Except for some few interjections, lekhatar beshirvag e Shikkhanobish er lekha theke hubhu, noito poribortito rup e tule deya. Shikkhanobish jehetu koshto kore research kore lekhata dara koriyechen, tar naam ta ullekh korata ki uchit chilo na?
Potrikatar website http://www.amarbanglabd.com, but it seems it’s not updated.
চুরির জগৎ বিস্তৃত হচ্ছে। মনে হয় না, চোর সব সময় ধরা পড়বে। চারদিকে চোখ রাখতে গেলে লেখা-লেখি বন্ধ করে চৌকিদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। তবে অনেকগুলো চোখ (স্মরণশক্তির ভূমিকাও অনস্বীকার্য) সক্রিয় হলে অন্য কথা।
এটি প্রকাশের কোন উদ্যোগ নে’য়া হয়েছে কি? আমার মনে হয়, এ ব্যাপারে জোর তৎপরতা শুরু করা দরকার।
চৌর্যবৃত্তি মহামারী আকার ধারণ করেছে। আমি যেসব আব-জাব লেখা লিখি সেগুলো কেউ চুরি করবে কখনো ভাবিনি। আজ আরো কিছু চুরির কথা শুনে নিজের কিছু লেখা দিয়ে গুগুল করে এইটা পাইলাম। এই লেখাটির দু’টি বাক্য এবং ছবিটি ব্যতীত পুরাটাই আমার এই লেখা হতে কপি-পেস্ট করা ;-( । আবার উক্ত ব্লগারের মন্তব্য দেখুন
কোন দয়া মায়া নাই, কোন লজ্জা শরম নাই :-Y ।
ফেসবুকে মুনির হাসান স্যার স্ট্যাটাস আর কমেন্ট দিয়েছেন-
@নিটোল,
চুরির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছি। কেউ একটু আলো ফেলবেন?
@রূপম (ধ্রুব), এ ব্যাপারে আমি বিস্তারিত কিছু জানাতে পারব না। যেহেতু মুনির হাসান স্যার কথাটি বলেছেন সেহেতু এ ব্যাপারে উনিই ভালো জানবেন। তবে আমার ধারণা, এ কাজের সাথে যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় কোনোভাবে যু
@নিটোল, দুঃখিত পুরো কমেন্ট আসেনি। আমি বলতে চেয়েছি-
এ ব্যাপারে আমি বিস্তারিত কিছু জানাতে পারব না। যেহেতু মুনির হাসান স্যার কথাটি বলেছেন সেহেতু এ ব্যাপারে উনিই ভালো জানবেন। তবে আমার ধারণা, এ কাজের সাথে যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় কোনোভাবে যুক্ত নয় সেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ব্যাপারে কিছুই করার নেই। তবে এর মাধ্যমে যদি শিক্ষক ও সহপাঠীদের ভর্তসনা সে পায়, তাহলে তা মন্দ নয়! :))
@নিটোল,
আমরা কি সেটাই চাই যে সে তার শিক্ষক আর সহপাঠী দ্বারা ভর্ৎসনা পাক? আমরা এখানে কী চাইছি আসলে? তানভীরুল তার অভিযোগ জানিয়ে লেখা লিখেছে। এর বদলে এনসি দাস দোষ দ্বীকার করে নিয়েছে। সামাজিকভাবে এর চেয়ে বেশি কী চাওয়ার থাকতে পারে? তাকে শাস্তি দিতে হলে সেটা আইন আদালতের মাধ্যমে দেওয়া হোক। সামাজিক শাস্তি সুবিধার জিনিস না। দেখতে খুব ন্যায়বিচার মনে হয়, কিন্তু এর চোট যাতে এনসি দাসের ব্যক্তিগত অশুভাকাঙ্ক্ষীরাও নিতে পারে, সে ব্যবস্থাও কিন্তু নিশ্চিত হচ্ছে। তার সহপাঠীরা হয়তো ব্লগে পড়ে এমনিতেই তাকে ছোট করবে। এর বাইরে আবার তার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে তাকে অফিশিয়ালি ভর্ৎসনা দেওয়ার মানে কী? এতে আমাদের ফয়দাটা কী? আমরা চাই এরকম চুরি না হোক। এবং সেটার জন্যে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়া হয়ে গেছে। এর বাড়তি এনসি দাসকে ভোগানোর ইচ্ছাটা আমাদের আসছে কোথা থেকে?
@রূপম (ধ্রুব),
যে ছেলে অন্যের পুরো লেখা চুরি করে নিজের নামে বই হিসেবে প্রকাশ করতে চায় সে যে অন্যের থিসিস চুরি করে নিজের নামে চালাবে না তার গ্যারান্টি কোথায়? সেই চিন্তা থেকে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে হয়তো মুনির ভাই এই চিন্তা করেছেন। এটি আমার একটি ধারণা মাত্র। বাড়তি সতর্কতা খারাপ না।
@স্বাধীন,
আমরা এরকম অনুমান কেনো নেবো? কখগ যে অন্যের থিসিস চুরি করবে না, তারও গ্যারান্টি নেই। গ্যারান্টিটা কারও পক্ষ থেকেই নেই। আমরা গ্যারান্টি আশাও করি না। ঘটনা ঘটার পরে আমরা ব্যবস্থা নেই। ঘটনা ঘটার আগে এরকম যেটা ঘটে নি, সেটা নিয়ে এতো বাড়তি অনুমান আমার কাছে একটা কর্তৃত্ববাদী সামাজিক ব্যবস্থা বলে মনে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় বেছে বেছে কাউকে কাউকে নজরে রাখবে, এটা ভালো কথা নয়। যে কেউ থিসিস চুরি করলে যাতে ধরা যায়, সেটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কাম্য। থিসিস চুরির আগেই তাকে সম্ভাব্য চোর ভাবাটা তার প্রতি অবিচার বলে মনে হয়। কারণ অন্য যেকেউ-ই সম্ভাব্য। যে যেই কাজ করেছে সেটার জন্যেই সে ভুগবে। যেটা করে নি, সেটার জন্যে হেয় হওয়াটা মানা যায় না। প্রিএম্টিভ চিন্তা ভাবনা অনেক সময়েই অবিচারে পরিণত হয়।
এধরনের সামাজিক প্রতিকার অনেক সময় খুব ভালো বলে মনে হয়, কিন্তু এর একটা বাধ থাকা দরকার। কারণ এর সুযোগে নানান মানুষ নানা ধরনের ক্ষমতা দেখানোর সুযোগ পায়। এন সি দাস যে চোর, এটা প্রতিষ্ঠা পাবার পর কিন্তু এখন সে দুর্বল। অন্যরা তার প্রতি অবিচার করার বা সুযোগ নেবার অবস্থানে চলে গেছে। মানুষ এসব অবস্থায় দুর্বলের উপর এক চোট নিয়ে উল্লসিত হয়। অসভ্য সমাজে গণধোলাই দেয়। ক্ষমতাবানরা ক্ষমতা দেখায়, হুমকি ধামকি দেয়। কিন্তু সত্যি কথা, সামাজিক বিচার মোটেও ন্যায়বিচার নয়। এনসিদাস ব্যাপারটা চেপে গেলে, অস্বীকার করলে বা উল্টো বাড়াবাড়ি করলে অন্য কথা ছিলো। কিন্তু সে এটা স্বীকার করে যাবার পর, দিকবিদিগে ও চোর এটা রটে যাবার পর আমাদের আর বাড়তি কী চাওয়ার থাকতে পারে এটা আমি বুঝতে পারছি না। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে চুরি করলে আমরা সক্রিয়তা অবশ্যই দেখাতে পারি প্রতিবাদ ও প্রচার করে। কিন্তু সেটা করার এটা আমাদের ভাবার বিষয় বলে মনে হচ্ছে না। বাড়াবাড়ি বলে মনে হচ্ছে।
@রূপম (ধ্রুব),
ধ্রুবর সাথে আমি একমত। এনসি দাস বড় ধরনের অপরাধ করেছে এবং সেই অপরাধের শাস্তিও সে পেয়েছে। তাঁর চেয়েও বড় কথা হচ্ছে যে, সে একাধিক ব্লগে গিয়ে এ বিষয়ে দুঃখপ্রকাশও করেছে। অবশ্য তার দুঃখপ্রকাশটা আরেকটু আন্তরিক এবং অকপট হওয়া উচিত ছিল।
এটাই খুব সম্ভবত তার প্রথম অপরাধ। এর যে ভয়ংকর প্রতিক্রিয়া সে দেখেছে, তারপরে তার সংশোধিত হয়ে যাবার সম্ভাবনাই বেশি। সেটা যদি সে না হয়, তখন না হয় বড় ধরনের শাস্তি দেওয়ার উপায় খোঁজা যাবে। কিন্তু এই মুহুর্তে তার স্বল্প বয়সকে বিবেচনায় এনে এবং প্রথম অপরাধ বলে, আমি মনে করি যে, আর বেশি বাড়াবাড়ি না করাটাই বোধহয় সঠিক এবং মানবিক কাজ। একজন মানুষকে সংশোধনের সুযোগ না দিয়ে, সরাসরি তাকে অপরাধী হিসাবে অপরপাশে ঠেলে দেওয়াটা খুব সহজ কাজ, কিন্তু খুব একটা সুবিবেচনাপ্রসূত কিছু নয়।
@ফরিদ আহমেদ,
ঠিক। সামাজিকভাবে আসলে বিচার করা বা শাস্তি দেয়া যতোটা সম্ভব নিরুৎসাহিত করা উচিত। সবচেয়ে ভালো যেটা করতে পারি আমরা সামাজিকভাবে, তা হলো রিহ্যাবিলিটেশন। যদি সত্যি আমরা সমাজের মঙ্গল চাই, তাহলে আমরা চাইবো না যে এনসিদাস তার জীবনে আরও আরও ভুগুক এই একটা ভুলের জন্যে। সেটাতে মঙ্গলের কিছু নেই। বরং চাইবো ভুল স্বীকারের মাধ্যমে সে অন্যের কাজের প্রতি যে শ্রদ্ধাবোধটা তৈরির চেষ্টা শুরু করলো, সেটায় বহাল থেকে আগামিতে সত্যিকারের একজন মানুষ হয়ে গড়ে উঠুক। সেটার সুযোগ চিরতরে তার বন্ধ হয়ে যাক, সেটা কারোর জন্যই উপকারি হতে পারে না। সেটায় আছে কেবল চোর পিটিয়ে তৃপ্তিলাভের বিকার।
@রূপম (ধ্রুব),
(Y) । আপনার এই যাত্রায় আমিও সংঙ্গী হলাম।
ড.মুশফিক আজ (৯ তারিখ) দেখলাম একটি পোস্ট দিয়েছে সদালাপে। এটাই কি আমার ব্লগে দেয়া হয়েছিল? তানভীর ভাইয়ের প্রোফাইল হেডফোন,এলোমেলো চুল এসব নিয়েও লাইনের পর লাইন লিখেছে সে,ট্রল বলার জন্য সে খুব ক্ষেপে আছে,কে কবে তানভীর ভাইয়ের লেখার সমালোচনা করেছে সব খুজে বের করেছে। অভিজিত রায় কেও ছাড়েনি,সমকামিতা বইটা নিয়ে যাচ্ছেতাই লিখেছে।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
এ লোক কি ট্রল? আমি এ ব্যাপারটা নিয়ে দ্বিধার মধ্যে আছি। মধ্যে মধ্যে মনে হয় তার নিজের কথা সে আসলেই বিশ্বাস করে।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
মুশফিকের কথা বলে আর লাভ নাই। একই লেখা উনি আমার ব্লগেও দিয়েছিলেন, প্রিয় ডট কম নামেও একটা ব্লগে দিয়েছিলেন। লেখার বিষয়বস্তু এতটাই আপত্তিকর আর অশালীন যে দু’জায়গা থেকেই সেটা মুছে দেয়া হয়েছে। এমনকি আমার ব্লগের মত ‘আনমডারেটেড’ ব্লগের মত জায়গাতেও মুশফিক সাহেবের লেখা সরিয়ে দেয়া হয়েছে, উনাকে ব্যান করা হয়েছে। উনি নিজেকে ডাক্তার দাবী করলেও অনেকেই তার মানসিক সুস্থতা সম্বন্ধে সন্দিহান।
যা হোক, কিছু কথা না বললেই নয়। তানভীরুল খুব কষ্টসাধ্য একটি অনুবাদ করেছেন গ্র্যান্ড ডিজাইন বইটির। বাংলাভাষায় এমনিতেই ভাল লেখার অনুবাদ পাওয়া যায় না। তানভীর সেই অনুবাদের দূরূহ কাজটি সম্পন্ন করেছেন। মুশফিকের কাছে যদি মনে হয় তার ভাষা দুর্বল, ঠিক আছে। উনি তানভীরুলের একটি পর্বের তনুশ্রী রয়ের মন্তব্যের উদাহরণ দিয়েছেন। আমরা তো আরো শ খানেক মন্তব্য থেকে উদাহরণ হাজির করতে পারি যে, অনুবাদটি কার কত ভাল লেগেছে তাই না? অধিকাংশ পাঠকেরই অনুবাদটি খুব ভাল লেগেছে, অনেকের কাছে মনে হয়েছে এটি অসাধারণ। এগুলো সবই পাঠকদের অভিমত। এ নিয়েই আমাদের থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হল – তানভীর নিজেই নিজে স্বেচ্ছাপ্রনোদিত হয়ে অনুবাদ করেছেন। এই বইয়েরর আরো অনুবাদও আছে। আশরাফ মাহমুদ নামে আরেক ব্লগার একই বইয়ের অনুবাদ করেছেন, সেটা রয়েছে সচলায়তনে। আশরাফ মাহমুদের অনুবাদের ব্যাপারটি জানি না, তবে অনুবাদ করার সময় তানভীরুল বইয়ের প্রকাশকের সাথে ইমেল এক্সচেঞ্জ করেছিলেন, সেটার কপি আমার কাছে আছে। তারপরেও মুশফিক সাহেবের কাছে যদি ব্যাপারটা এখনো ‘অবৈধ’ বলে মনে হয়, তবে আমার কিছু বলার নেই। তানভীরুল একটি বইয়ের অনুবাদ করেছেন বাংলায় ভাল একটি বইকে পরিচিত করেছেন, আর এন সি দাস পুরো অনুবাদটিকে নিজের বলে হাতিয়ে নিয়েছেন। দুটো এক কথা নয়। অথচ মুশফিক বলতে চেয়েছেন তানভীরুল বড় চোর, আর এন সি দাস ছোট চোর। এই হচ্ছে মুশফিক সাহেবের বিচার।
আর আমার প্রসঙ্গে যা বলেছেন সেটা নিয়ে কিছু বলে আর লাভ নেই। আমার বিয়ের সার্টিফিকেট আমার কাছে আছে (আমেরিকার জর্জিয়া স্টেটে সেখানকার আইন অনুযায়ী আমাদের বিয়ে হয়েছে বহু আগেই – আমার কাছের বন্ধু বান্ধবদের অনেকেই জানেন আমাদের বিয়ের খর, অনেকে উপস্থিতও ছিলেন বিয়েতে) , ডঃ মুশফিক যদি আমাদের বিয়ের ছবি আর সার্টিফিকেট দেখতে চান, তবে স্বাগতম। উনি সরাসরি সেটা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেই হত। তা না করে বিভিন্ন ব্লগে গিয়ে আকাশ কুসুম গল্প ফাঁদলে কি আর হবে? আর সমকামিতার অধিকার নিয়ে লেখা মানে নিজেও সমকামী হয়ে যাওয়া নয়। আমি বিজ্ঞান এবং মানবাধিকারের দৃষ্টিকোন থেকেই বইটি লেখার চেষ্টা করেছি। বইটিতে বায়োলিজাল এক্সুবুরেন্সের স্বপক্ষে বিভিন্ন আধুনিক তথ্য সন্নিবেশিত করা হয়েছে, আমার জীবনের ঘটনা নয়। আমি মুলতঃ একটি বিজ্ঞানভিত্তিক বই লিখতে চেয়েছি, আত্ম্যজৈবনিক উপন্যাস নয়। আমার বইটি যারা পড়েছেন সবাই সেটির সত্যতা বুঝতে পারেন। বইয়ের ভুমিকায় আমি স্পষ্ট করেই লিখেছিলাম – “আমি নিজে সমকামী নই, কিন্তু সমকামী অধিকার নিয়ে কাজ করা বহু মানুষের এবং তাদের উপর নির্যাতনের ধারাবাহিক প্রতিফলনকেই আমি সন্নিবেশিত করেছি আমার লেখায়।” এ জন্য আমার বহু প্রতিষ্ঠিত একাডেমিয়ান থেকে শুরু করে মানবাধিকার কর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্য নিতে হয়েছে বইটি রচনার জন্য। বাংলাদেশে যারা জেন্ডার ইস্যু নিয়ে গবেষণা করেন তাদের অনেকেই নিজ থেকে সাহায্য করেছেন। আমার বইটি সেসব কিছুরই গ্রন্থিত প্রতিফলন। কেউ হিজড়াদের অধিকার নিয়ে বই বের করলে, নিজেও হিজড়া হবেন এমন কোন কথা নেই। কোন সমাজকর্মী যৌনকর্মীদের দুঃখবঞ্চনা এবং তাদের অধিকার নিয়ে কথা বললে তাকেও যৌনকর্মী হতে হবে তা নয়। আর হিজাড়াদের উপর বই লেখা মানে হিজড়া হবার জন্য উৎসাহিত হওয়া নয়, ঠিক তেমনি আমি মনে করি সমকামিতা বইটির মাধ্যমে সমকামিতাকে উৎসাহিত করা হয়নি, বরং সমকামীরা যে বিভিন্নভাবে নিগৃহীত এবং নির্যাতিত হচ্ছেন সেটার একটা সামাজিক প্রতিফলন বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র। এক ধাক্কায় আমাকে সমকামী, বিকৃতরুচির মানুষ প্রভৃতি বলে বিরাট একটি লেখা লিখে ফেলার আগে মুশফিক সাহেব আরেকটু ভাববেন বলে আশা করেছিলাম। আমার ব্লগে সেকথা প্রাথমিকভাবে বলেছিলামও। ভেবেছিলাম আমার ব্লগ থেকে ব্যান খাওয়ার পর তার বোধোদয় হবে। তা হয়নি। একই লেখা তিনি এখন দিয়েছেন সদালাপে। সমকামিতা নিয়ে মুশফিক সাহেবের ভিন্নমত থাকতেই পারে, কিন্তু না জেনে কাউকে জোর করে সমকামী বানানোটা আর আকাশ কুসুম গল্প ফেঁদে ব্লগে সেটা ছড়িয়ে বেড়ানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি তো সমকামিতা ছাড়াও মহাবিশ্বের উৎপত্তি, প্রাণের উৎপত্তি, বিবর্তন, দর্শন, বিবর্তন মনোবিজ্ঞানের উপরও অনেক বই লিখেছি। সেগুলো সব বাদ দিয়ে মুশফিক সাহেব হঠাৎ করে আমার সমকামিতা বইটা নিয়ে পড়লেন কেন? আমি সমকামী হলে সেটা বলতে আমার কোন অসুবিধা ছিল না, আমি যেহেতু সমকামী অধিকার সমর্থন করি, তাদেরকে ঘৃণা করি না – তাই নিজে সমকামী হলে আমি স্পষ্টভাবেই সেটা বলতাম। সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যক্রমে আমি তা নই। যা আমি নই, তা মুশফিক সাহেব বললেই আমি হব নাকি?
আমার ব্লগে এ কথা বুঝিয়ে বলার পর উনি অযথাই শন পেনের উদাহরণ হাজির করলেন। যেন শন পেন কোন উদ্দেশ্য নিয়ে করলে অভিজিতেরও সেই উদ্দেশ্য নিয়ে করতে হবে। Richard J. Schmidt নামের এক ডাক্তার ডাক্তারীবিদ্যা খাটিয়ে তার বান্ধবীকে হত্যার প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন। কেউ যদি দাবী করেন রিচার্ড স্মিথ যে উদ্দেশ্য ডাক্তারী করেন, মুশফিক সাহেবও সেই একই উদ্দেশ্যে ডাক্তারী করেন – সেটা কি ঠিক অনুমান হবে? আর সমকামিতা এইডসের সম্পর্ক নিয়ে আমার বইয়েই বিস্তারিতভাবে বলেছি, নতুন করে পুনরুক্তি করার কোন কারণ নেই। আর সমকামিতার কারণে যে নিগ্রহ এবং অত্যাচার হয়, এবং বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়, তার প্রমাণ অনেক এলজিবিটি ফোরামেই আছে। এটি এর মধ্যে একটি –
A text book case how sexuality is enforced upon in Bangladeshi society
আমি আমার বইয়ে কেস স্টাডি হিসেবে এ ধরণের অনেক ঘটনাই লিপিবদ্ধ করেছি। গায়ের জোরে ‘কোথাও কিছু হয় না’ দাবী করা বিবেচনাপ্রসুত নয়। আরো একটি বড় অন্যায় তিনি করেছিলেন। আমার ব্লগ আর প্রিয় ডট কমে উনি এমনকি আমার ফেসবুক থেকে আমার একটি ছবি সংগ্রহ করে ব্লগে দিয়েছিলেন। ‘তথাকথিত চুরির’ প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিজেই যে চুরি করছেন, সেদিকে তার খেয়াল নেই। সেটি বুঝতে পেরে অবশ্য সদালাপের লেখাটায় ছবি টবি দেননি। সেজন্য তিনি সাধুবাদ পেতেই পারেন। কিন্তু আমার মনে হয় না উনাকে কোন কিছু বলে আর লাভ আছে। উনার মত প্রোপাগান্ডা উনি করেই যাবেন। মুক্তমনা, আমার ব্লগ, নাগরিক, প্রিয় ডট কম – সব জায়গা থেকেই বিতারিত হয়ে মনে হচ্ছে মুশফিকের একমাত্র আশ্রয়স্থল হচ্ছে সদালাপ। সদালাপের লিঙ্ক মুক্তমনাতে নিয়ে আসার মানে আমাদের সাইটের মানকে আরো নীচে নামিয়ে আনা। রামগড়ুড়ের ছানা আশা করি ব্যাপারটা বুঝবে।
ফুয়াদ সাহেব উপরে দেখলাম খুব করে সদালাপের প্রশংসা করে গেলেন। ডক্টর মুশফিকের ব্যান খাওয়া কুরুচিপূর্ণ এই লেখা সদালাপের পাতায় স্থান দেওয়ার উনার জবাব কি, আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে। এ ধরনের লেখা কি ফুয়াদ মুক্তমনায় দেখেছেন? সদালাপের মডারেশনের পেছনে কে জড়িত, আর আমার ব্লগ থেকে মুশফিক সাহেবের বিতারণে আমার ব্লগে জিয়াউদ্দিন সাহেবের কেন এত লাগছে সেটাও সবাই দেখছে। সাইটটি নামে সদালাপ হলেও সাইটটি এখন কুরুচিপূর্ণ লেখার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ওটাকে নিয়ে আমাদের এত চিন্তা না করলেও চলবে।
@অভিজিৎ,আমি নিজে সবসময় ব্যাক্তি আক্রমন ও কুরুচিপূর্ণ লেখা ও মন্তব্যের বিরোধী। নিজে কখনো অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করি না।
আমার মুক্তমণায় লেখা বিভিন্ন পোস্টে আল্লাচালালাইনা যে সকল অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন , সে সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? কখনো তো দেখলাম না মুক্তমণা কতৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিয়েছে এ মন্তব্যগুলোর ব্যাপারে।
@ফারুক,
আপনি যে ব্যাক্তি আক্রমন ও কুরুচিপূর্ণ লেখা ও মন্তব্যের বিরোধী সেটার প্রমাণ আমি অনেক লেখা এবং মন্তব্যেই পেয়েছি। অনেক ধন্যবাদ। এই শিষ্টতাটুকু সবারই শেখা উচিৎ। আপনার সাথে বহুবারই আমার বিতর্ক হয়েছে, আশা করি সেটাও দেখেছেন যে আমি বরাবরই আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি ব্যক্তিগত বিশেষণ এড়িয়ে।
আল্লাচালাইনার মন্তব্যেও আমি আপত্তি জানিয়েছি, একবার নয় বহুবারই।এই থ্রেডেও উপরের দিকে এর প্রমাণ পাবেন। আল্লাচালাইনা কিছু রূঢ় মন্তব্য করলেও আমি মনে করিনা আল্লাচালাইনা কারো ব্যক্তিগত জীবন, যৌনপ্রবৃত্তি, চুলের আকার প্রভৃতি নিয়ে কুৎসিৎ লেখা লিখেছেন মুশফিক সাহেবের মত। সেরকম লেখা পেলে ব্যান করা হত বৈকি। এটা শুধু আল্লাচালাইনা নয় – যে কারো জন্যই প্রযোজ্য। বহু আগে ফুয়াদ সাহেব যখন নিয়মিত ছিলেন, তার কিছু মন্তব্যেও ঢালাও ব্যক্তিগত কিছু কটাক্ষ পেয়েছিলাম। অনেক সময় আলোচনায় বর্ডার লাইন ক্রস করে কিছু ক্ষেত্রে। এ ধরণের ক্ষেত্রে ব্যান করা হয়না, তবে ক্ষেত্র বিশেষে সতর্ক করা হয়।
ভাল থাকুন।
@অভিজিৎ,
আমি অভিযোগ করতে চেয়ে ছিলাম, কিন্তু তার আগেই সদালাপ সম্পাদক সাহেব লেখাকে কেটে ছিড়ে অন্য অবস্থায় নিয়ে এসেছেন। তাই প্রতিবাদ করার মত খুব বেশী পয়েন্ট আমার হাতে নেই। আমার ব্লগ ডট কমে ডাঃ মুশফিক সাহেবের ঐ লেখা প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই সর্বপ্রথম আমি কয়েকটি পয়েন্টে ধরে ছিলাম। বিশেষ করে ছবির ব্যাপারে। এই লেখায় এ সব নেই তথাপি সদালাপ সম্পাদক সাহেব নিজেই প্রতিবাদ করেছেন। বর্তমানে লেখাটি ঘুরে আসুন । সদালাপে এখন যেকেউ নাম রেজিস্ট্রি করে লেখা দিতে এবং কমেন্ট দিতে পারে। মডারেশন করা হয় না, তবে রেজিস্ট্রি ছাড়া নিকে কমেন্ট করলে মডারেশন হয়। আমি জানি না, ভবিষতে মডারেশনের নীতিমালা কি হবে।
-ঐ সময় সবাই মিলে এক সাথে আমাকে ধরা হত, যে পরিমান কথা আমাকে শুনানো হয়েছে তা মুক্তমনার জন্য এক ইতিহাস। তার বিপরীতে মাথা ঠিক রেখে উত্তর দেওয়া খুব কঠিন তারপরও আমার জবাব ছিল নিতান্ত শিশুর মত তথাপি যদি আপনি কিছু ন্যায়বিচার-সম্পন্ন প্রমান তুলে আনতে পারতেন, তাহলে আমার কৃত কর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিতে পারতাম।
আপনি চাইলে কবর খুড়ে একের পর এক উদাহারন নিয়ে আসতে পারব যেখানে আমাকে অবজ্ঞা, কড়া কথা, কিংবা গালি দেওয়া হয়েছে। বেশীদূর যাবার দরকার নেই, উপরে চালাইনা সাহেবের কমেন্টটি লক্ষ্য করুন, তিনি আমার প্রতি কতগুলো বিশেষন ব্যাবহার করেছেন।
পরিশেষে, আমি কোথায় সদালাপের প্রশংসা করলাম সেটি যদি একটু আংগুল দিয়ে দেখাতেন ? আমি তো প্রতিবাদ করে ছিলাম, যা আমি এই মুহূর্ত্বে আবার করব ফাহিম রেজা সাহেবের জবাবে।
-আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
@ফুয়াদ,
রামগড়ুড়ের ছানাকে যে ব্যাপারটি বলেছিলাম, সেটি আপনাকেও বলব। সদালাপের লিঙ্ক প্রমোট করার কোন কারণ নেই আমাদের সাইটে। রামগড়ুড়ের ছানা যে কারণে তার মন্তব্য থেকে লিঙ্ক তুলে দিয়েছে, একই কারনে আপনারটি থেকেও তুলে দেয়া হল।
কেবল একটি ব্যাপারই আপনাকে বলব। এমনি এমনি সদালাপের সম্পাদক সাহেব লেখা পরিবর্তন করেননি। যে কারণে আমার ব্লগ থেকে এই লেখাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যে কারনে প্রিয় ডট কম থেকে লেখাটি মুছে দেয়া হয়েছে এটা তারই ধারাবাহিকতা। আমি বিস্তারিত ব্যাপারে যাচ্ছি না। মুশফিক সাহেব এ ধরণের লেখা লিখলে কোথাওই ছাড় পাবেন না এটুকু বলা যায়। এখনো আমার সমকামিতা বইয়ের উল্লেখ সহ বেশ কিছু অপ্রসাঙ্গিক বিষয় আছে মুশফিক সাহেবের লেখায়, যেগুলোর সাথে মূল বিষয়ের কোনই সম্পর্ক নেই। তারপরেও এটি যে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ তা বলাই বাহুল্য। মুশফিক সাহেবের নোংরামিপূর্ণ লেখা কোন সাইটের জন্যই যে মঙ্গলজনক কিছু না, যত তাড়াতাড়ি সবাই বুঝবে, ততই মঙ্গল।
।
এর আর এখন দরকার নেই। অযথা কাদা খোঁচাখুঁচি করে লাভ নেই। তবে ব্যক্তি আক্রমণ যেই করুক আমিই করি আর আপনিই করুন – সেটা খারাপ। চলুন এটা মেনে নিয়ে আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকাই।
প্রশংসা হয়তো করেননি, আমার বলা উচিৎ ছিল কিছুটা হলেও ‘ডিফেন্ড করেছেন’। সেটা অবশ্য দোষণীয় কিছু নয়। তবে আপনি নিজেই জানেন যে সদালাপের অধিকাংশ লেখাই থাকে বিষয়বহির্ভূতভাবে মুক্তমনা লেখকদের চরিত্রহনন নিয়ে। এমনিতে খুব একটা গা করা হয় না বলে এ জায়গাতে পৌঁছুতে পেরেছে। এগুলো বাদ দিয়ে ভাল লেখার ব্যাপারে মনোযোগী হলে সেটা সবার জন্যই ভাল ফল বয়ে আনবে – এটুকু আশ্বাস আপনাকে আমি দিতে পারি।
আরেকটা ব্যাপার স্বীকার করতেই হবে – আপনার মন্তব্য এবং লেখা এখন অনেক পরিণত। ভাষা বানানের ব্যাপারেও আপনি অনেক সচেতন হয়েছেন। মুক্তমনায় আরো লিখুন, আলোচনায় অংশ নিন। আমাদেরও ভাল লাগবে।
@অভিজিৎ,
– ষোল আনা সত্য। ফুয়াদ ভাই এর ডেভেলপমেন্টে আমিও সত্যই মুগ্ধ। আগের সেই ফুয়াদকে অনেকটাই হারিয়ে গেছে। উনি যেসব কথা আপনাদের এখানে বলেছেন সেগুলিতে যথেষ্ট যুক্তি আছে। বিশেষ করে আল্লাচালাইনার যে কথা উনি টেনে এনে মুক্তমনার অনেক নিয়মিত ব্লগারের পজিটিভ ফিডব্যাক টেনে এনেছেন তা মুক্তমনার জন্য কিছুটা বিব্রতকর হলেও ভবিষ্যতের জন্য ভাল।
ওনার সাথে মত পার্থক্য তর্কাতর্কি আপনার আমার যাইই হোক উনি যে মানুষ হিসেবে খাঁটি তার প্রমানও উনি আমার ব্লগের সেই আবর্জনা পোষ্টে রেখেছেন মনে হয় আপনিও দেখেছেন। যেখানে একদল লোকে সেই উন্মাদকে সরাসরি ও ঠারে ঠোরে সমর্থন দিচ্ছিল তখন একমাত্র উনিই দৃঢ়স্বরে এমন নোংরা ব্যাক্তিগত আক্রমনের প্রতিবাদ করেছিলেন।
@আদিল মাহমুদ,
ফুয়াদের বিস্ময়কর উন্নতি আমারও চোখে পড়েছে। ভাষাগত এবং যুক্তির দিকে দিয়ে প্রচণ্ড রকমের উন্নতি করেছে সে। অনেক আস্তিকই মুক্তমনায় এসেছে বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু তাদের বেশিরভাগের মানসিকতাটা ছিল মুক্তমনাকে শত্রু হিসাবে বিবেচনা করা। এই ক্ষেত্রে ফুয়াদ একেবারেই ব্যতিক্রমী।
@অভিজিৎ,
সুন্দর বক্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মুক্তমনায় আমাকে অনিয়মিত হারে পাবেন, তবে বেশীর ভাগ মন্তব্য হয়ত প্রশংসা নয়, সমালোচনাই হবে। আমার ব্যাপারে আপনার জাজমেন্ট দেখে খুশি হলাম। ভাল থাকুন।
@অভিজিৎ,
যে লোকের যুক্তিবোধ হচ্ছে সমকামিতা নিয়ে লিখলে সে সমকামি, আর দাড়ি থাকা মানেই ছাগল, সেরকম লোককে আমাদের ইগনোর করাই শ্রেয়। এই লোক তার যতটুকু যোগ্যতা তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি পাত্তা পেয়েছে। তার বিষয় আমাদের এখানেই ড্রপ করা ভালো।
সেই সাথে সদালাপকেও ড্রপ করা ভালো। মুশফিকের মত উন্মাদের জায়গা যেখানে হয় সেটি নিজেই একটি পাগলাগারদ হয়ে যায়। তাই সেই ব্লগে কি হয় বা না হয় সেগুলো মুক্তমনায় টেনে না আনা ভালো। কেউ যদি বিনোদনের উদ্দেশ্যে উক্ত ব্লগে যাতায়াতও করেন, তারপরেও মুক্তমনায় সদালাপের কোন লেখার লিঙ্ক, বা মন্তব্যের লিঙ্ক না দেওয়াটাই মুক্তমনার জন্যে ভালো হবে বলে মনে করি। এই ব্যাপারে এডমিনদেরকেও জিরো টলারেন্স দেখানোর জন্যে অনুরোধ রইল।
@অভিজিৎ,
মন্তব্য থেকে লিংকটি সরিয়ে দিয়েছি। লিংক দেয়ার সময় এতটা চিন্তা করিনি,তবে আমার আরেকটু দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল।
@অভিজিৎ,
মুশফিক আপনার বিয়ের ছবি ও সার্টিফিকেট দেখতে চাইলেই তাকে তা দেখাতে হবে কেন?কেউ বিয়ে করুক অথবা বিয়ে ছাড়া একসাথে থাকুক তাতে তার মাথা ব্যথা কেন?ব্লগে কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সে আলোচনা করে কেন?এখানে লেখা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হবে,বিতর্ক হবে ; কিন্তু লেখক নিয়ে নয়।
অনেক পুরুষ লেখকও নারীবাদ নিয়ে লিখেন,তাই বলে তাঁরা নারী হয়ে গিয়েছেন নাকি?কেউ কেউ প্রাকৃতিক ভাবে সমকামী, আর কেউ বিভিন্ন কারণে সমকামী হয়ে উঠে। তাদেরও অসমকামীদের মত সব অধিকার থাকা উচিত দেশে ও সমাজে।অসমকামীতা যদি অপরাধ না হয় তাহলে সমকামীতাও কোন অপরাধ নয়।তাই তারা ঘৃণার পাত্র-পাত্রী নয়।সে নিজেকে ডাক্তার দাবী করে আর এ সামান্য ব্যাপারটুকু বুঝতে পারেনা! কার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কতটুকু,কার পেষা কি এ সব ব্যাপারে তার এত আগ্রহ কেন?অনেকেই তাকে পাগল আখ্যায়িত করেছে।কোন অপরাধিকে পাগল বলা মানে তার অপরাধ ঢাকা পড়ে যাওয়া।সে কিন্তু পাগল নয়,চরম অভদ্র একজন মানুষ।সে সবার সাথে যে রকম আচরণ করছে তাকে সে রকমই ফিরিয়ে দিতে হবে।
@তামান্না ঝুমু,
ঠিক কথা। হুমায়ুন আজাদ নারীদের নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ গবেষণাগ্রন্থ রচনা করেছেন, নাম ‘নারী’ (আগামী প্রকাশনী)। ড এ বিসর্গ মুশফিক সাহেবের অবিস্মরণীয় সংজ্ঞানুযায়ী হুমায়ুন আজাদ তাহলে একজন পরিপূর্ণ নারী। আর কি বলার আছে!
(Y) । এটা দশজন বুঝলেও মুশফিকের মাথায় ঢুকবেনা সেটা নিঃসন্দেহ। এই লোককে আসলেই বেশি পাত্তা দেয়া হয়ে গেছে। এটাকে বাতিলের খাতায় তুলে রেখে চলুন সামন এগোই।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
হ্যা সে এই পোষ্টই আমার ব্লগে দিয়েছিল। আমার ব্লগ সেটি মুছে দিয়েছিল, পরে অন্য কারণে তাকে সাময়িক ব্যানও করে। এখন নাস্তিক মুশফিক আশ্রয় পেয়েছেন সদালাপে :)) । এইবার খেলা জমবে ভালো। সদালাপ খাল কেটে কুমির তো আনেনি এনেছে ডাইনোসর :)) । দুইটা দিন যেতে দাও, দেখো DDডঃ রায়হান বনাম ডঃ মুশফিকের খেলা।
অভিজিৎ’দার ব্যক্তিগত ব্যাপারে সে যা লিখেছে কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ সেগুলো লিখতে পারে না। এই ক্ষেত্রে অভি’দাকে সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কি করতে পারি বুঝতে পারছি না। বুঝতে পারছি অভি’দা কিছুটা বিব্রত এই বিষয়টি নিয়ে। উনি ব্যক্তিগত ভাবে এই পাগলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, কিন্তু তাতেও এই উন্মাদ নিবৃত হবার নয় :-Y ।
এখানে আমরা একটি বদ্ধ উন্মাদকে নিয়ে কথা বলছি। আমার জানা নেই কিভাবে এইসব উন্মাদকে নিষ্ক্রিয় করা যায়। এক ভাবেই করা যায় তা হচ্ছে কোন ব্লগে তাকে জায়গা না দেওয়া। এখন সদালাপের মত ব্লগ যদি তাকে আশ্রয় দেয় আমরা কি বলতে পারি। তাতে সদালাপই ক্ষতিগ্রস্থ হবে শুধু সেটাই আমি বলতে পারি। আশা করি সদালাপের পাঠকেরা এবং ব্লগারেরা এই উন্মাদের কার্যকলাপের প্রতিবাদ করবে।
@স্বাধীন,
আমার মনে হয় সদালাপও তাকে বেশিদিন আশ্রয় দিবেনা। “মুশফিক আশ্রয় পেয়েছেন সদালাপে” এ কথা এখনই বলা যায়না। অভিদার বিব্রত হবার কিছু নেই,যে কোনো সুস্থ মানুষ সহজেই বুঝবে এগুলো কি ধরণের মানসিকতার লোকের লেখা।
@স্বাধীন,
আসলেই কোনো সুস্থ্য মস্তিষ্কের মানুষ কারো ব্যক্তিজীবন নিয়ে এমন করে ঘৃন্য,কদাচার ও অসভ্য আচরন করতে পারে না।ব্যক্তিজিঘাংসা ও হিংসা শরীরের মাথায় ও চিন্তায় চরম পরিমানে থাকলেই এমন জঘন্যতম আচরন কারো পক্ষে করা সম্ভব। ঐ লোকটির সত্যিই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে অতি জরুরিভাবে দেখা করা উচিৎ।
@স্বাধীন,
খুব সহজেই তাঁকে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব। তাঁর মনোজগতকে অনুধাবন করতে পারলে এই কাজটা অতি সহজে করা সম্ভবপর। ডঃ মুশফিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পছন্দ করেন। তীব্রভাবে মানুষের মনোযোগাকাঙ্খী তিনি। এধরনের মানুষকে নিবৃত্ত করার সবচেয়ে সহজপন্থা হচ্ছে উপেক্ষা করা। কথা না শোনা কুকুরদের জন্য ট্রেনিং এ এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। শুধু কুকুরের ক্ষেত্রেই নয়। বাচ্চাদের স্কুলেও বেয়াড়া বাচ্চাদের সোজা করার জন্য এইভাবে ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়ে থাকে।
ডঃ মুশফিকের অস্তিত্ব বিদ্যমান একারণে যে, তাঁকে নিয়ে মুক্তমনায় আলোচনা হচ্ছে। এখানে তাঁকে নিয়ে আলোচনা বন্ধ করে দিন। দেখবেন, ডঃ মুশফিক বলে কারো অস্তিত্ব আর থাকবে না।
@ফরিদ আহমেদ,
:))
সাধারণতঃ ইগনোরই করি এই ধরণের লোকদের। কিন্তু এই আমাদের নিস্ক্রিয়তাকে মাঝে মধ্যে দুর্বলতা ভেবে নেন তেনারা। আমার ফেসবুক থেকে ছবি নিয়ে আবোল তাবোল না লিখলে হয়ত গা করতাম না তেমন। অন্য ব্লগে সামান্য একটু আওয়াজ কালকে দুই মিনিটের জন্য দিয়েছিলাম – এতেই ব্লগ টগ থেকে ব্যান ট্যান খেয়ে সারা। উনার সেটা বুঝা উচিৎ যে, আমরা দুর্বল নই। আর উনি উনার আবোল তাবোল লেখালিখির মাধ্যমে বিনোদনের পাত্র হয়ে উঠেছেন, অন্য ব্লগে কিছু প্রতিফলনও দেখলাম কাল, তার ব্যান-এর সেলিব্রেশন নিয়ে। আরো সামনে এগুলো উনার কপালে সত্যই দুর্দিন। দেখি আরেকটু মজা – উনি কতদূর যান। তারপর ধরে কোনদিন আবারো টাইট দেয়া যাবে।
@ফরিদ আহমেদ,
ভীষণ রকমের সহমত।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
মুক্তমনার লেখকরা মূলত মুক্তমন এবং প্রযুক্তির উপর শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে লেখেন। এই জন্যই আমরা এই সাইটে ভীর করি। ডঃ মুশফিকরা আবর্জনা ছড়ানো ছাড়া আর কী করেন? মুক্তমনা থেকে ডঃ মুশফিকরা জবাব পেলে এরা পদোন্নতির সুখ অনুভব করেন। প্লিজ এদের মন্তব্যের কোন জবাব দেবেন না।
১) তানভীর আপনি আপনার ছবি পাল্টাবেন না। ওটি আপনার স্বাক্ষর। আপনার মূল্যবান লেখা চালিয়ে যান।
২) অভিজিৎ রায়, আপনি কেন যে মুশফিককে টেনে তুলছেন, বুঝিনা। আপনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি। মুশফিকের কথায় আপনার গায়ে এককনা ধুলোও লাগবে না। সমকামিতার উপর লেখা আপনার বইএর বিষয় বস্তু তিনি বুঝতেই পারেন নি। আপনাকে কেন বিয়ের সার্টিফিকেট দেখাতে হবে? আমরা সবাই কি লিভ টুগেদার করি না? মুশফিক কী করেন? আমি কি করিনা? আমি লিভ টুগেদার করে অন্যের বোনের হাত ধরতে গেলে তখন যেন কেউ কিছু বলে।
৩) সদালাপের কাউকে নিয়ে মুক্তমনায় আলোচনা হওয়া উচিৎ নয়।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
মানুষ কুকুরকে কামড় দেয়না,কিন্তু তার বিষ দাঁত ফেলে দেয় যাতে সে আর কামড়াতে না পারে।মুশফিকের সবার প্রতি ক্রমাগত দুর্ব্যবহারের জবাব তাকে পেতেই হবে।
নাস্তিক এবং মুক্তমনা নিয়ে উপরোল্লিখিত মন্তব্যগুলোর উপর অনেক কিছু বলার, জানার, প্রশ্ন করার ছিল কিন্তু করবোনা। শুধু অনুরোধ করবো অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোচনা করে, মুল্যবান এই থ্রেডে মন্তব্য অপশন বন্ধ করে দেয়ার পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি করা না হয়।
@আকাশ মালিক,
:)) ভুতখেদানো নিউরোসায়েন্স বয়ান করা বাক্যটি কোট করতে ভুলে গিয়েছেন আপনি সম্ভবত!
রিচার্ড ডকিন্স বুড়ো হয়ে গিয়েছে, মরে যাবে খুব তাড়াতাড়ি সম্ভবত। সে মরে গেলে পরে তার কানের কাছে এই নিউরোসায়েন্টিফিক আয়াতটি পাঠ করে দেখা যেতে পারে, বলা যায়না মৃত ডকিন্স পুনরায় বেঁচে উঠলেও উঠতে পারেন। সিন্স, হযরত ইছা (আঃ) এর প্রয়ানের পর তো মৃত মানুষ জীবিত করার এর চেয়ে ভালো আর কোন এফিকেশিয়াস ট্রিটমেন্ট চোখে পড়ে না তাই না, সো লেটস গিভ নিউরোসায়েন্স এ ট্রাই (H) !
এবং আরও একটি-
এমন মন্তব্য আরও দুই একটা করতে পারলে তো দুনিয়ার সকল গ্লোবাল হার্মিনিউটিক হেগেমোনি এক ধাক্কায় ডিকনস্ট্রাক্ট হই যাইবো! 😀
এই পাকনামী কেউ না কেউ হজম করতে ব্যার্থ হবে মনে মনে আশা করছিলাম। আপনাকেই ব্যার্থ হতে দেখে খুউব খুশী হলাম।। (F)
ইংরেজীতে মন্তব্য লেখার জন্য দুখি:ত।বাংলা ঠিকমতো টাইপ করতে পারছিলামনা।
“N C Das ওরফে Niranjan Das”
N = Niranjan
C=?
Das.
Fraudulence is present in his name. So, how can we expect honesty from him?
উইকএন্ডে বাসায় ছিলাম না। মন্তব্যের অনেক কিছুই আমার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে। আল্লাচালাইনার বেশ কিছু মন্তব্যই বিষয়বস্তু বহির্ভূত এবং অনাকাংক্ষিত। আমি আপত্তি জানিয়ে গেলাম। না মডারেটর হিসেবে নয়, একজন সদস্য হিসেবেই জানালাম। না রূপম যেভাবে হিন্ট করেছেন – ‘গোষ্ঠিগত ফিটনেস কমে যাবে’ -সেই ধারনার থোরাই কেয়ার করেই আপত্তি জানালাম। মুসলিমদের বিরুদ্ধে এর আগেও লাগাতার আপত্তিকর শব্দপ্রয়োগের কারণে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিজয় নামের এক ব্লগার আপত্তিকর ভাষায় পোস্ট দেয়ার পর তার সদস্যপদও বাতিল করা হয়েছিল। তাই সাইফুল যেভাবে বলেছেন, নাস্তিকেরা কিংবা ইসলামবিদ্বেষীরা কিছু বললে কিছু করা হয়না – তা সত্য নয়। সব ধরণের রেসিজমের বিরুদ্ধেই আমার আপত্তি ছিল এবং থাকবে, সেটা বিজয়ই করুক, ফুয়াদই করুক, আল্লাচালাইনাই করুক আর কানাজাওয়াই করুক। আর আমি কখনো মুক্তমনা থেকে দূরে থাকলে বা কোন মন্তব্য না দেখলে সেটার দায়ভারও আমাকে নিতে হবে তা আমি মনে করি না। অন্য মডারেটররাও একই রকম ক্ষমতা রাখেন, তারাও নিজের বিচার বুদ্ধি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আর মুক্তমনার গর্বিত সদস্যরা তো আছেনই। তাদের অনেকেই বিভিন্ন ভাবে প্রতিবাদ করেছেন। তারাই মুক্তমনার প্রাণ।
আরো একটা ব্যাপার আজকে লক্ষ্য করলাম – মুশফিক নামের এক অর্ধোন্মাদ আরেক ব্লগে গিয়ে স্টিফেন হকিং এর বইটি অনুবাদ করার জন্য উলটে তানভীরুলকেই চোর বানাচ্ছে। আমি উপরে ফারুকের বক্তব্যের সাথে মুশফিক সাহেবের হবহু মিলও দেখছি। কেউ এনসি দাসের মত মহা চোরের সাথে তানভীরুলের কষ্টসাধ্য অনুবাদের তুলনা করে তাকেও চোর বানাতে পারেন, সেটা দেখেই আমি অবাক হচ্ছি।
@অভিজিৎ,
(Y)
ধন্যবাদ। আপনার আপত্তিটাই যথেষ্ট বলে মনে করি।
বিজয়ের ব্যাপারটা জানতাম না। জেনে ভালো লাগলো। আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
@অভিজিৎ,
আর কী শুরু হলো এসব? ব্লগে অনুবাদ করা তো বেআইনি না, যদি না বইতে সেটা বলে দেয়া থাকে। এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে একটা বক্তব্য আসলে ভালো হয়। আমি ফারুক সাহেবকে স্পষ্ট করে সেটা বলেছি। খুব দুঃখজনক।
@রূপম (ধ্রুব),
আপনি যেটা বলেছেন সেটা আমার বক্তব্যও। না ব্লগে অনুবাদ করে তানভীরুল তার্থিকভাবে লাভবান তো হন নি, বরং সময় এবং অর্থ দুটোই ব্যয় করে ক্ষতিগ্রস্তই হচ্ছেন বলা যায়। আর উপরি পাওনা হিসেবে এখন একজন তার লেখা মেরে দিয়ে অন্য জায়গায় পিডিএফ করে ছেড়ে দিচ্ছে, আর আরেক চোরের সাক্ষী মাতালের কাছ থেকে ‘চোর’ উপাধি শুনছেন। ফারুক সাহেবের সাথে তানভীরুলের লেখাটার পার্থক্য হল – তানভীরুল মূল লেখকদের নাম চেপে জাননি। অনুবাদটা যে অনুবাদ সেটা সরাসরি প্রথম থেকেই বলে গেছেন। অন্যদিকে ফারুক সাহেব বেশ কিছুদিন ধরেই এখান ওখান থেকে লেখা এনে মূল লখকদের নাম না দিয়েই পোস্ট করে দিচ্ছিলেন। কারো না জানা থাকলে মনে হতে পারে এ যেন ফারুক সাহেবের নিজের লেখাই। মডারেটরের পক্ষ থেকে সম্ভবতঃ এ বিষয়েই কেবল সতর্ক করে দেয়া হয়ছিল, বলা হয়েছিল মূল লেখার রেফারেন্স যেন ঠিকমত দেয়া হয়। এমন নয় যে অনুবাদ দিতে নিষেধ করা হয়েছে। এটা বোঝা কিন্তু খুব বেশি কঠিন নয়। চাইলেই বুঝতে পারা যায়।
আর অন্যদিকে এনসি সাহেব বেমালুম পুরো ব্যাপারটাই নিজের অনুবাদ বলে আত্ম্যস্যাৎ করার চেষ্টা করেছন। বুদ্ধিমান মুশিফিক সাহেব সেটা বুঝেও না বুঝার ভান করছেন।
@অভিজিৎ,
গত দুদিন মুক্তমনায় ব্যাস্ত থাকার কারণে আমারব্লগ ফলো করতে পারিনি, আজকে করলাম। আমি খুব ভালো করেই জানি মুশফিক পাগলা এই লেখাটি পড়ছে। পিতার পুর্বেই পশম পাকিয়ে ফেলা পাগলাচো ছেলেপেলেকে শান্ত ভঙ্গীতে উত্তর দেওয়া কঠিন, তারপরও এর প্রতি আমার সেই চেষ্টা থাকবে সর্বোচ্চ, কেননা আমি মনে করি এর সাহায্য প্রয়োজন এবং প্রয়োজন অন্তত কিছু মানুষের ভালোবাসা, এই ছেলেটির আচার-আচরণে এম্প্যাথির শোচণীয় শোচণীয় অভাব স্পষ্টতই লক্ষ্যণীয়। বিনা প্রভোকেশনে ২৪/৭ যার স্টেইট অফ মাইন্ড থাকে হাইপারএক্সাইটেড সে আর যাই হোক মানসিকভাবে যে সুস্থ নয় এই উপসঙ্ঘারে পৌছতে ক্লিনিশিয়ান হওয়াটা নিষ্প্রয়োজন। এ যেভাবে মানুষের সাথে ইন্টার্যাক্ট করে এটা দেখে আমার মনে হয়েছে এর জীবন খুবই একাকী, এর কোন সোশ্যাল লাইফ নেই। এর মতো মানুষদের সোশ্যাল লাইফ থাকাটাও একটু কঠিন কেননা মানুষকে যেই মুশফিক পাগলা মানুষ বলে মনে করেনা, মানুষ কিন্তু সেই মুশফিক পাগলার অন্ডকোষ ক্যাতক্যাতায়া লাত্থি দিয়ে ফাটিয়ে দিবে।:-(
আমি সন্দেহ করছি এ একজন এনপিডি বা নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার রোগী যেটি কিনা একটা সাঙ্ঘাতিক মানসিক রোগ, যার ক্ষমতা রয়েছে রোগীর পারিবারিক জীবন এমনকি ধবংস করে ফেলার! পাগলা হওয়াটা সমস্যা না অনেক প্রতিভাবান মানুষেরই একাধিক পার্সোনালিটি ডিসুর্ডার ছিলো। পাগলা হওয়াটার সপক্ষে একমাত্র ডিফেন্স আমি মনে করি হতে পারে যদি কিনা তার খুবই খুবই উচ্চ আইকিউ থেকে থাকে এবং সমাজকে এর চামচামী ছাড়াও অন্যান্য গুরুতবপুর্ণ আরও কিছু দেওয়ার থাকে। এই ছ্যাড়া যা কথা বলে যা কাজ কর্ম করে আমি মনে করিনা আইকিউ পরীক্ষায় বসলে এ ৪০ স্কোরও পাবে। তারপরও ফাইনালি একে আমি একটা পরামর্শ দিবো, একটা আইকিউ পরীক্ষা দেওয়ার পরামর্শ। ইন্টারনেটে বহু আইকিউ টেস্ট পাওয়া যায়, যেকোন একটা গ্রহনযোগ্য সংস্থার আইকিউ টেস্টে তার বসা উচিত, আইকিউ টেস্ট খুবই চিপ। এটা শুধু মুশফিকে পাগলার জন্যই না যারই কিনা একটা বড় মুখগহ্বর রয়েছে তারই একটা আইকিউ টেস্টে বসা উচিত বলে আমি মনে করি। আমি নিজেও বসেছি। আফটারঅল, এতো বড়ো বড়ো কথা বলে যদি আমি হই একটি নিন্মবুদ্ধিসম্পন্ন ইডিয়ট, পপুলেশনের এভারেজ আইকিউ স্কোর ছাড়াতে হিমশিম খায় আমার বুদ্ধিমত্তা, তাহলে ইদার আমাকে আমার বিশাল মুখগহ্বরটি বন্ধ করতে হবে অথবা কচুগাছের সাথে ফাঁসি নিতে হবে, ফেয়ার?
দড়ি ছেড়া মুশফিক যদি চায় নিজের পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার সে নিজেই ডায়াগ্নোস করতে পারে। http://www.4degreez.com/misc/personality_disorder_test.mv
@অভিজিৎ,
এই “ডঃ মুশফিক” লোকটা কে? নামটা কেন যেন চেনা চেনা লাগছে। উনি কি কিছুদিন আগে মুক্তমনায় আগত “ডঃ মুশফিক” নাকি?
@স্বাধীন,
যতদূর মনে পড়ছে ডঃ মুশফিক নামক একজন মাঝে মুক্তমনায় ‘ট্রলিং’ করছিলেন। সম্ভবত ইনি সেই ব্যক্তিই। (মুক্তমনায় তার পোস্ট গুগল করে খুঁজে পাচ্ছি না)
ট্রলদের ইগনোর করাই একমাত্র সমাধান। তারপরও এখানে বলে রাখি, আমি এমন কিছুর জন্য ‘ক্রেডিট’ দাবি করিনি যেটুকু আমার অবদান নয়।
@তানভীরুল ইসলাম,
আপনার হেডফোনের মূল্য কত? :lotpot: :lotpot: :lotpot:
উনার লেখাটা পড়ে অনেকদিন পর প্রান খুলে হাসলাম :))
@অভিজিৎ,
একেবারে হুবহু মিল খুজে পেলেন? আপনার দেয়া লিঙ্কে যেয়ে আমি তো মিল পেলাম না!!
আপনার কাছ থেকে এমন বক্তব্য আশা করি নি।
বেশ কিছুদিন ধরে নয় , সকল সময় এটা করে থাকি এবং যেখানে নির্দিষ্ট ভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে , এমন প্রতিটি পোস্টের মন্তব্যে তার স্বীকারোক্তি খুজলে হয়তো পাওয়া যাবে। আমি তো আর বৈজ্ঞানিক নই। আমার আদর্শের লেখকরা কেউ হকিংস সাহেবের মতো নাম করা নয় যে , তাদের নাম বল্লেই একবাক্যে সকলেই চিনবে।
সুত্র নিয়ে এমন অসুবিধায় পড়তাম , ইসলামী ব্লগসাইটগুলোতে। পোস্টের বক্তব্য যখন তাদের ধ্যানধারনার বিপরীত হতো ও জবাব খুজে না পেত , তখনি সুত্র , রেফারেন্স নিয়ে টানাটানি পড়ে যেত দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর উদ্দেশ্যে। মুক্তমনা ব্লগে ও যে এমনটি ঘটবে কল্পনার বাইরে ছিল।
আমার ধারনা ব্লগে আসে মানুষ জানতে ও আলোচনা করতে , নাম নিয়ে কচলাকচলি করতে নয়। যাইহোক এটা পরিস্কার করার জন্যই এই পোস্টে আমি প্রশ্ন করেছিলাম। আপনি সেটার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন , যা দুঃখজনক।
@ফারুক,
রেফারেন্সটা দিয়ে লেখা দিলেই তো হয়ে যায়। যেখানে ব্লগার বা কর্তৃপক্ষরা বারংবার সেটা দাবী করছে নানা ব্লগে। রেফারেন্স দেওয়া বা চাওয়াটা তো আলোচনার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেটা দিয়েই দেখুন না মানুষ দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যে এরপর কী করতে পারে।
@ফারুক,
ইসলামী সাইট হোক আর অনৈসলামিক সাইট হোক, কারও লেখা অনুবাদ করলে লেখকের নাম ও সাইটের লিঙ্কটা যোগ করে দেওয়াটা শিষ্টাচার, এই বোধটা আমরা যেকোন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের কাছ থেকে আশা করতে পারি। আপনি যার কষ্ট করে লেখা রচনাটা অনুবাদ করেছেন, তাকে “অপরিচিত এক কলাম লেখক” হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তার পরিশ্রমের অবমূল্যায়ন করেছেন। রেফারেন্স যুক্ত করার সাথে লেখকের খ্যাতির কোন সম্পর্ক নেই। আপনার যুক্তি মতে তো জার্নালের গবেষণাপত্রগুলোতে গবেষকদের রেফারেন্সও যুক্ত করা উচিত না, সব গবেষক তো আর বিখ্যাত না।
@ফারুক,
তর্ক বিতর্কের সময় কোরান হাদিসের রেফারেন্স চাওয়া আর কারো লেখা কপি করে রেফারেন্সবিহীনভাবে ব্লগে দেয়ার মধ্যে যে পার্থক্য আছে সেটা না বুঝলে আমি অপারগ। লেখা কোন জায়গা থেকে কপি বা অনুবাদ করে নিজ নামে ব্লগে দিলে সেটার রেফারেন্স আমরা চেয়েই যাব। ঠিক বলেছেন – মুক্তমনা ব্লগ এমনই।
আর মন্তব্যের বাকি অংশগুলোর উত্তর রূপম আর পৃথিবীর মন্তব্যে পাবেন।
@অভিজিৎ,
ব্লগিং জগতের পলিটিক্স, আর কিছু নয়। কিছু হীন মানসিকতার লোক এমনটা করতে পারে, সুযোগ পেলেই। হতাশ হবার কিছু নেই। শুভশক্তিকে দমিয়ে দেবার সাধ্য এদের নেই।
তানভীর, যত যাই কিছু হোক, সত্য এবং সুন্দরের সাথে আছি।
@অভিজিৎ, এইখানে আলোচনা আর ডিস্ট্রাক্ট করার ইচ্ছা নেই। তারপরও আমাকে আরও একটি মন্তব্য করতে হবে। রেইসিজম মানে কি? আমি কি কানাযাওয়ার মতো বলেছি নিউক অল মুসলিমস, আমি কি যানবাহনে একটি মুসলমানের পাশে বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছি, একচুয়াল বডিলি হার্ম ঘটাতে পারে এইধরণের কোন এক্ট বা একশন কি প্রস্তাব করেছি? মানুষ জবাই করার সময় মুসলমানরা যেই মন্ত্র পাঠ করে সেটাকে শুয়োরের শিতকারের সাথে তুলনা করাটা সদালাপে গন্য হয় ইসলাম-বিদ্বেশ হিসেবে বলে কি মুক্তমনায়ও সেইটির রেইসিজম হিসেবে গন্য হওয়া উচিত? ইসলাম বিষয়ে লেখালেখি মাঝে মাঝে অপেক্ষাকৃত কম পজিটিভলি নেওয়া হতে পারে এই বার্তা আমাকে কমিউনিকেট করার পর ইসলাম বিষয়ে আমি একটি লেখাও লিখিনি। আর যদি কখনও লিখিও সেই লেখাটি হবে অনেক বিনম্র। ইসলাম সম্পর্কে আমি কি মনে করি সেটা প্রকাশ করেছি বড়োজোর মন্তব্যে এবং ইসলাম বিষয়ক মন্তব্যও আমি এখন করি অনেক অনেক কম ফ্রিকোয়েন্সিতে; এমনকি ইসলাম বিষয়ে যেই লেখাগুলো লেখা হয় সেগুলোতে অংশগ্রহন করা হতেও পারতপক্ষে বিরত থেকেছি সেটা জনমানসে পজিটিভ পরিগণিত নাও হতে পারে এইটা ভেবে। আপনার আপত্তির সাথে আমার কোন দ্বিমত নেই, নীলরোদ্দুরের উপরের মন্তব্যের সাথেও একফোঁটা দ্বিমত নেই। দ্বিমত ছিলো আমার আদিল মাহমুদের আমাকে একিউস করা নিয়ে। এখন বলাই বাহুল্য আমার একশন মোটামুটি একিউজেবলই ছিলো, কিন্তু তারপরও কিছু কিন্তু রয়েছে।
তানভীরের লেখা এই পোস্টটি শতশত শেয়ার পায় এবং বাইরের অনেক মানুষজনও এই লেখাটা পড়তে আসে বিধায় খুবই অল্প সময়ে লেখাটার ভিউ ছাড়ায় কয়েক হাজার, মন্তব্য ছাড়ায় কয়েক শত। এইটা দেখে ফুয়াদ সম্পুর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে একটা মন্তব্য এখানে করে, যেই মন্তব্যটি কিনা সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক হতো ফারুকের পোস্টটিতে গিয়ে করলে। ফুয়াদ কি জন্যে এটা এইখানে করেছে এটা আপনিও জানেন আমিও জানি। এমতাবস্থায়, ফুয়াদের পরবর্তী মন্তব্যকারীর উচিত ছিলো ফুয়াদকে একটা মডারেট ধমক দেওয়া এই ইচ্ছাপ্রনোদিত, অসত এবং প্রভোকেটিভ আচরণটির জন্য। সেটা না হলেও কোন সমস্যা ছিলোনা তারপরও ফুয়াদের মন্তব্যটা আমি ইগ্নোর করতাম যদি অন্যরা কিনা সেটা ইগ্নোর করতো। কিন্তু সেটা না হয়ে কেউ যদি বলে বসে যে- না ফুয়াদের অভিযোগটিও সিরিয়াসলি শোনা উচিত, তখন সেটা ইগ্নোর করে থাকাটা হতো আমার জন্য পরিষ্কারভাবেই চিকেন আউট করা, তাই না? এই কারণেই এই প্রসঙ্গ বহির্ভুত আলোচনা শুরু করতে হয়েছিলো। ফারুক একটি অজ্ঞান, ব্লাকশিপ এর আগেও যে কিনা একাধিক এন্টিসায়েন্স পোস্ট প্রসব করেছে, আমি সেটার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু তার এন্টিসায়েন্স পোস্ট প্রসব করার একমাত্র কারণ যদি হয়ে থাকে ইসলামকে ডিফেন্ড করা, পরিষ্কারভাবেই বর্তমান পৃথিবীতে যেটা কিনা অশান্তি এবং হানাহানির একটি উল্লেখযোগ্য কারণ, তখন কি ফারুক ও তার এন্টিসায়েন্স চিন্তাভাবনা এবং তার ইছলাম (যাকে কিনা ডিফেন্ড করার লক্ষ্যেই সে কিনা নিজের অন্টিসায়েন্স গুব্লি-ডি-গুক এর ঝোঁলা গলে বসে) সমেত দুই একটি কর্কষ বাক্য শোনার আশা করতে পারে না? আর ইসলামও আমার ওই মন্তব্যের ফোকাল পয়েন্ট ছিলোনা মোটেও ইসলাম; ফকাল পয়েন্ট ছিলো ফারুকের এন্টিসায়েন্স ধ্যাষ্টামো এবং অসত প্লেইগিয়ারিজম, ইসলাম সেইখানে এসেছে কারণ এই অপকর্মগুলো করার মোটিফ ছিলো ফারুকের ইসলামকে ডিফেন্ড করা। ইসলাম সেইখানে আসাটাতে কি এমন মহাভারত অসুদ্ধ হয়েছে?
ক্লাস সেভেন বা এইটের বইয়ে একটা চাপ্টার পাঠ্য ছিলো আমার যেইখানে বন্যা সম্পর্কে আলোচনা হয়। বন্যার উতপত্তি, মেকানিজম, প্রভাব, অপকারীতা এবং ফাইনালী উপকারীতা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়। আমি স্পেশালি কিউরিয়াস ছিলাম বন্যার কি উপকারীতা থাকতে পারে সেটা জানতে। জানলাম বন্যার দুটি উপকারীতা আছে, প্রথমত- এটি সেডিমেন্ট ডিপোজিট করে মাটির উর্বরতা বাড়ায়, দ্বিতীয়ত এটি ময়লা আবর্জনা ধুয়ে পরিষ্কার করে দেয়! বন্যার উপকারীতা ময়লা পরিষ্কার করা এইটা কি গোপালভারের গল্পের ‘মরলে মরেছে, চোখটাতো তাও বেঁচে গিয়েছে’ -এর মতোই নয়? এখন আমি যদি বলি ‘বন্যা ময়লা ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে যায়’ এটা হয়তো হবে খুবই সঠিক একটি বক্তব্য; তবে এটি মোটেও হবেনা বন্যার কোন সঠিক ক্যারেক্টারাইজেশন। ফুয়াদের জবাবে আদিল মাহমুদের একও বাক্যের প্রতিক্রিয়া ‘আল্লাচালাইনা মুসলমানদের কটু কথা বলে বড্ড খারাপ কাজ করেছে’ আমার কাছে মনে হয়েছে ইসলামের একই ধরণের একটি ভুল ক্যারেক্টারাইজেশন। একটা কথাই যদি বলতে হয় তাহলে কোনভাবেই সেটা উপরোক্ত কথাটি হওয়া উচিত নোয় বলে আমি মনে করি। আর আমার একশনের প্রতিবাদ যদি করতে হয় তাহলে আমি বাক্যটির আগে আরও তিন চারটি বাক্যে ইসলাম কি কি করে সেটার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র ফুঁটিয়ে তোলা আদিল মাহমুদের উচিত ছিলো বলে মনে করি। আদিল মাহমুদ নিজের চোখে দেখেছে আমি দেখেছি, যে- লাদেনকে হত্যা করা হলে মুসলমানরা ডিনায়ালে ভুগে, হযরতের ছবি আঁক হয়েছে বলে সারা বিশ্বকে হুমকী দেয়; এবং এইটা হচ্ছে ইসলাম সংগঠিত সংক্ষিপ্ততম কুকর্মের তালিকা যা কিনা এই একও দুই মাদে ইসলাম করেছে। সেইসব জাগায় আদিল মাহমুদ ঠিকই প্রতিবাদ করলেন, আর আমার এখানে এসে একও বাক্যে উপসঙ্ঘারে পৌছে গেলেন আমার কাজটি বড়ই খারাপ হয়েছে। এইটা কি মোটেও সঠিক ক্যারেক্টারাইজেশন হলো?
আমি আসলেই ইসলাম ইস্যুতে কাজ করতে চাই, নিজেকে একজন কর্মী হিসেবেই গড়ে তুলতে চাই। এর কারণ হচ্ছে গিয়ে আমি মনে করি, ইসলামমুক্ত একটি পৃথিবী হতে যাচ্ছে অনেক অনেক সুন্দর একটি পৃথিবী। এটার জন্য সবার প্রথমে আমাকে নিজেকে অন্তত এতোটা যোগ্য প্রমানিত করতে হবে যাতে অন্যরা আমার কথা অন্তত কর্ণকুহরে ঢুকানোর মতো গুরুত্বপুঅর্ণ মনে করে, আপাতত এই প্রাথমিক পর্যায়েই নিজেকে গড়ে তুলছি। সেই সাথে ইসলাম ইস্যুতে অন্যকে ভাবাতে সক্ষম হতে হলে কি কি বলত হবে করতে হবে কি করা যাবেনা এটার শিক্ষাও আমি এখন গ্রহন করছি, যেটা কিনা সকলের ফিডব্যাক পেয়ে হয়েছে অনেক অনেক উপকৃত। যদিও সকলের ফিডব্যাকের গুরুত্ব অবশ্যই সমান নয়, অনেকে আছেন যারা নেগেটিভ ফিডব্যাক দিলে আমি মনে করবো আসলেই আমার অধপতন হচ্ছে, আবার অনেকে আছেন যারা নেগেটিভ ফিডব্যাক দিলে আমি মনে করবো আমার উর্ধ্বগমন হচ্ছে। আপনার এবং সকলের ফিডব্যাকই আমি সিরিয়াসলি নিলাম। একটা জিনিষ আমি ক্লিয়ার করি- একটা বোমারু মুসলমান অবশ্যই অপরাধী অনেক মডারেট মুসলমানও কিন্তু এটার সাথে দ্বিমত পোষণ করে না। কিন্তু, একজন মুসলমান যে কিনা অন্যের আরোগ্যের জন্য দোয়া করেছে সে কি অপরাধী? আমার অবস্থান হচ্ছে- নিঃসন্দেহে না; তবে, সে কি ইরেস্পন্সিবল? আমি বলবো যে হ্যা, নাম্বার ব্রিংস সিকিউরুটু নীতিতে সে বোমারু মুসলমানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। কিন্তু সেটা সে সচেতনভাবে অবশ্যই করছে না, এই সচেতনতাটা তার ভেতরে জাগ্রত করাটাই সবসময় আমার লক্ষ্য।
আমি যা বলেছি সেটা নিয়ে আপত্তি জানানোর সাথে সাথে, সেক্সি সাউন্ডিং হোকাস-পোকাস কথাবার্তা নিজের অসারত্ব ঢাকতে যেটা কিনা ব্যাবহার করে পলিটিকাল কারেক্টনেস এবং বিনম্রতার কালো বোরখা, যেমন- “ঠিক মৌলবাদী মুসলমানদের মতোই একজন মৌলবাদী নাস্তিকেও মাঝে মাঝে একটু জিহাদ করতে পারে, বড়ই নির্মম হতে পারে ইয়াডা…ইয়াডা…ইয়াডা” ইত্যাদি অনুযোগের বিরুদ্ধেও আপত্তি চাই আপনার কাছ থেকে। স্পেশালি এই অনুযোগটি যখন কিনা নিষ্ক্রিত হয় সেই মুখগহ্বর থেকে, যেই একই মুখগহ্বরকে এর আগে একাধিকবার দেখা গিয়েছে ‘একটি পিনের আগায় কয়টি অদৃশ্য গোলাপী ইউনিকর্নের জায়গা হতে পারে’ কিংবা ‘আমাদের তকদির তদবির নিয়ন্ত্রন করছে যেই ক্র্যাব নেবুলাতে বসবাসকারী হোতকা মোটা বকচ্ছপ, তার ন্যাজের রঙ কি’ ইত্যাদি ইত্যাদি সম্পুর্ণই অবান্তর, সম্পুর্ণই টাইম ওয়েস্টিং এবং সম্পুর্ণই শুণ্য ট্রান্সলেশনাল গুরুত্বসম্পন্ন দার্শনিক প্রশ্নাবলী নিয়ে গভীর নিমগ্নতায় নির্ঘুম রাতের পর রাত পার করতে। একজন মুক্তমনা লেখক মৌলবাদী নাস্তিক কবে বহুতল ভবনে প্লেন উড়িয়ে দিয়েছে? একজন মৌলবাদী নাস্তিক কবে গলা পর্যন্ত মাটিতে পুতে পাথড় মেরে নারীহত্যা করেছে? একজন মৌলবাদী নাস্তিক কবে আন্ডারগ্রাউন্ডে বোমা ফুটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে? একজন মৌলবাদী নাস্তিক কবে শৈশবে একজন নারীশিশুর ভগাঙ্গুর ও ল্যাবিয়া কেটে নিয়েছে যাতে শিশুটি সারাজীবনে একবারও পুলক লাভ করতে না পারে? একজন মৌলবাদী মুসলমান এগ্রেসিভ হলে তার হাতে উঠে চাপাতি-রামদা; আর একজন মৌলবাদী নাস্তিক এগ্রেসিভ হলে তার হাতে উঠে কফির কাপ আর সিগারেট। একজন মৌলবাদী মুসলমান এগ্রেসিভ হলে তার মুখ দিয়ে ছুটে ‘আল্লাহু অকবার’, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লা’ কিংবা এরচেয়েও কুতশিত শব্দাবলী; আর একজন মৌলবাদী নাস্তিক এগ্রেসিভ হলে তার মুখ দিয়ে বড়োজোর ছুটতে পারে হিউম্যান এনাটমির রেফারেন্স সম্বৃদ্ধ দুই একটু অম্ল-মধুর বাক্য। মৌলবাদী নাস্তিক নিয়ে উপরের মন্তব্যটি কি যথেষ্টই অসুস্থ এবং অসুস্থতা উদ্রেককারী নয়?
@আল্লাচালাইনা,
আপনার উত্তর পেয়ে ভাল লাগল। লাইনবাই লাইন উত্তর দিতে গেলে ব্যাপারটা দীর্ঘ হয়ে যায়। রেসিজম কি – এ বিষয়ে প্রশ করেছেন। খুব সংক্ষেপেই বলি। তানভীরুলের এই লেখাটা এনসি দাস চুরি করেছে। এন সি দাস একটা হিন্দু নাম। যে কেউ কিন্তু এই নাম দেখে তাবৎ হিন্দু জাতিকে গালাগালি শুরু করলে এটা আমার চোখে রেসিজম হত বৈকি। তেমনিভাবে ফারুক বা ফুয়াদের কৃতকর্মের জন্যও পুরো মুসলিমদের গালি দেয়াটা আমার কাছে শোভন মনে হয় না। আমি আসলে আমার বহু লেখাতেই ইসলাম আর মুসলিমের মধ্যে পার্থক্য করেছি। ইসলাম হচ্ছে আর ক’টি সাধারণ বিশ্বাসের মত একটি বিশ্বাসমাত্র যা কখনই সমালোচনার উর্দ্ধে নয়। কিন্তু ‘মুসলিম’ তো কোন বিশ্বাস নয়, মুসলিমরা হল রক্ত-মাংসের মানুষ – যাদের রয়েছে আশা, আকাঙ্খা, ভালবাসা আর সুন্দরভাবে বেঁচে থাকবার অধিকার। তাই ইসলামের কট্টর সমালোচক হয়েও বহু মুক্তমনাই গুজরাত-কাশ্মীর-প্যালেস্টাইন ইস্যুতে নির্যাতিত মুসলিমদের পাশে এসে দাঁড়াতে কোন অনীহা বোধ করেন না। ঢালাওভাবে মুসলিমদের গালাগালি করলে সেই উদ্দেশ্যটুকু আর পরিস্কার থাকে না। আমরা যদি মানবতাবোধে উজ্জীবিত হই, যদি রেসিজম মুক্ত থাকি, তবে মুসলিমরা নিপীড়িত হলে আমাদের যেমন তাদের পাশে দাঁড়াতে অনীহা হবার কথা না, তেমনি আবার সুইসাইড বোম্বারদের কর্মকান্ডে প্রতিবাদের ঝড় উঠানোতেও কোন সমস্যা দেখি না। কিন্তু সমস্যা হয় যদি মুসলিমরা কোথাও কোন ঝামেলা করলেই কেউ প্রতিবাদের তুমুল সরগোল তুলেন, কিন্তু একই কাজ মুসলিমদের উপর করা হলে হয়তো নিশ্চুপ হয়ে থাকেন, কিংবা ইনিয়ে বিনিয়ে সমর্থন করেন। আপনি যাই বলুন আমার কাছে এটা একধরণের ডবল স্ট্যান্ডার্ডই। আমি বলছি না আপনি এটা করেন বা করছেন, কিন্তু আমি এ ব্যাপারে আমার দৃষ্টিভঙ্গিটুকু আর অবস্থানটুকু পরিস্কার করলাম আর কি। অন্যায় যেই করুক, সেটা তো অন্যায়ই তাই না?
আবারো – আপনাকে ইসলাম আর মুসলিমদের মধ্যে পার্থক্য করতে বলব। ইসলামের বিরুদ্ধে লিখুন না, কে না করছে? মুক্তমনায় লেখার বড় একটা অংশই কিন্তু থাকে ইসলামের সমালোচনামূলক লেখা। কিন্তু যেটা আমরা সমর্থন করি না হল – ঢালাওভাবে মুসলিমদের গালাগালি, রেসিজম আর স্টেরিওটাইপিং। এ ধরণের আপ্তবাক্য কোন সঠিক দিকনির্দেশনা দেয় না। আপনি একে ‘পলিটিকাল কারেক্টনেসের সাইক্লোন’ বলুন আর যাই বলুন, পাবলিক কমিউনিকেশনে এটুকু ভব্যতা থাকা উচিৎ। আমি বরং বলব ইসলামের উপর লেখা কমিয়ে দেয়া নয়, বরং আরো বেশি করে লিখুন। প্রয়োজনে আরো কঠোর ভাষাতেই না হয় লিখুন, আর দশটা বিশ্বাসের মত এটাকেও ছন্নছাড়া করে ফার্দাফাই করে লিখুন, কিন্তু অযথা মুসলিম বা অন্য কোন জাতিকে অযথা স্টেরিওটাইপিং করে না লিখলেই কি নয়?
এই অংশটির সাথে একমত না হয়ে পারা গেল না। আমি আর রায়হান ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ বইয়ে বিস্তারিত লিখেছি। নাস্তিকদের কোনো ধর্মগ্রন্থ নেই, যেটা তারা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন, তাই ধর্মগ্রন্থের প্রেরণায় লাদেন, স্ট্যালিন, হিটলার, আল-কায়দা কিংবা বজরংদলদের মতো নাস্তিকেরাও মানুষ হত্যায় উজ্জীবিত হয়ে উঠবেন তা ঢালাওভাবে মনে করা ভুল। হিটলার তো নাস্তিক ছিলেনই না, বরং ছিলেন একজন ‘ভাল খিস্টান’। আর স্ট্যালিন নাস্তিকতা প্রতিষ্ঠার জন্য তার বিরোধী লোকজনের উপর খুন, জখম, জেল- জুলুম করেননি, সেগুলো করেছিলেন কমিউনিস্ট মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার নামে। আর তারচেয়েও মজার ব্যাপার হলো, কমিউনিস্ট রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নে দাপ্তরিকভাবে ধর্মকে অস্বীকার করা হলেও, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় স্ট্যালিন রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন। নাস্তিকদের কোন ম্যানুয়ালে লেখা নাই ‘যেখানেই পাও ইহুদি নাসারাদের হত্যা কর’, কিন্তু বহু ধর্মের ম্যানুয়ালেই আছে। নাস্তিকেরা যে অপরাধ করেন না তা নয়, কিন্তু সেগুলো নাস্তিকতার কারণে করেন না, হয়তো করেন কোনো ব্যক্তিগত কারণে কিংবা কোনো রাজনৈতিক কারণে, নাস্তিকতার জন্য নয়। এই ব্যাপারটুকু অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন।
ভাল লাগল আপনার সাথে আলোচনা করতে। ভাল থাকুন।
@আল্লাচালাইনা,
কমিনিউস্ট নাস্তিকরা এর থেকে আরো বাজে কাজ করেছে। বস্তুত নৃশংসতার প্রশ্নে ইসলাম ৫/১০, কমিনিউস্ট নাস্তিকরা ১০/১০।
এখন আমরা বলতেই পারি, তারা মুক্তমনা নাস্তিক না। সেত মুসলিম রাও বলে নৃশংস মুসলিমরা, মুসলিম না।
আবার, এটাও বলতে পার স্টালিনের গণহত্যার সাথে নাস্তিকতার সম্পর্ক কি? স্টালিনের জীবন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে, আমার কোন সন্দেহ নেই, নাস্তিকতা এবং সিউডো সায়েন্সের ভূত স্টালিনের ঘারে ছিল।
সুতরাং ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে “নাস্তিকতার দর্শন” ইসলামের থেকেও আরো বেশী নৃশংসতার জন্ম দিয়েছে। তাই ওপরের যুক্তি মানা যাচ্ছে না।
মানবিকতা এবং মানবিক দৃষ্টিভংগী সভ্যতার একমাত্র গোল্ড স্টান্ডার্ড। এর কোন বিকল্প নেই। কোন শর্টকার্ট নেই। নাস্তিকতার হাজারটা দর্শন আছে। ইসলামের ও হাজারটা দর্শন আছে। সুতরাং নাস্তিকতা আস্তিকতা নয়-প্রশ্নটা হচ্ছে আমরা মানবিক এবং বিজ্ঞান সম্মত দৃষ্টি ভংগী নিচ্ছি কি না।
নজরুল একজন চূড়ান্ত আস্তিক লোক ছিলেন-জ্যোতিষ এবং কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ছিল তার মন। রবীন্দ্রনাথ প্লানচেটে বিশ্বাস করতেন।
কিন্ত এদের মতন মানবিক লোক বিংশ শতাব্দিতে কজন জন্মেছেন?
তাই এই ধরনের আদর্শগত অবস্থান ছেরে, মানবিকতার শিক্ষা নিতে হবে। বিজ্ঞানের দৃষ্টি ভংগী এই জন্যে নিতে হবে যে তা ছারা প্রগতি বা শান্তিপূর্ন পৃথিবী সম্ভব না।কিন্ত একটা পশুর মন নিয়ে বিজ্ঞানমুখী হয়ে লাভ নেই। স্টালিন জ্বলন্ত উদাহরণ।
@বিপ্লব পাল,
অফটপিক কিন্তু প্রসঙ্গটা ওঠায় একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার কথা মনে আসলো।
১) এই মানবতাবোধ কোথা থেকে আসে? কোথায় যেন পড়েছিলাম মনে হচ্ছে, বিবর্তনীয় টিকে থাকার প্রচেষ্টা থেকে।
আপনার সাথে আমি একমত, দর্শন নয় মানবতাবোধের পারদস্তম্ভই কে কতটা বর্বর হবে নির্ধারন করে। তবে উপরেই প্রশ্নটা করেছি এই মানবতাবোধটা কোথা থেকে আসে? বিবর্তনীয় প্রসেস থেকে? তাহলে ব্যক্তিগত দর্শনের কী এই প্রসেসে প্রভাব থাকতে পারে না? যা এই প্রসেসকে প্রভাবিত করতে পারে?
@টেকি সাফি,
হা। মানবতা বা আলট্রুইজম বিবর্তন সঞ্জাত। কিন্ত এই আলট্রুইজমকে কিভাবে সারভাইভাল স্ট্রাটেজিতে কাজে লাগাতে হয় সেখানেই ফলিত দর্শনগুলির পার্থক্য লক্ষ্যনীয়।
@বিপ্লব পাল,
খুবই সত্যি কথা।
কিন্তু, এই আর্গুমেন্টের সবচেয়ে সুযোগ্য এনকাউন্টার রিচার্ড ডকিন্স ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে। একজন মুসলমান বোমারুকে আপনি জিজ্ঞেস করুন তুমি কি চাও। একটিমাত্র চাওয়া যদি তার বলার থাকে সে বলবে আমি চাই সারা বিশ্বে ইসলাম কায়েম হোক। আর একইভাবে স্টালিনকে জিজ্ঞেস করুন একই প্রশ্ন তুমি কি চাও। কি মনে হয় আপনার স্টালিন কি উত্তর দিবে? সে কি বলবে আমি চাই সারা বিশ্বে নাস্তিকতা কায়েম হৌক রিগার্ডলেস সেইসব নাস্তিকেরা কমিউনিস্ট না ক্যাপিটালিস্ট? নাকি স্টালিন বলবে আমি চাই সারা বিশ্বে কমিউনিজম কায়েম হোক, অন্য কোন কমিউনিজম নয় আমার নিজের সমুন্নত করা স্পেসিফিক ব্রান্ড অফ কমিউনিজম? তাহলে দেখা যাচ্ছে মুসলমান বোমারু ইসলামের সবার্থে বোমাটা ফুটাচ্ছে যেখানে কমিউনিস্ট বোমারু কিন্তু ক্লিয়ারলিই নাস্তিকতার সবার্থে বোমাটা ফুটাচ্ছে না, ফুটাচ্ছে বরং কমিউনিজমের সবার্থে। তাহলে নাস্তিকদেরকে কেনো স্টালিনের অপকর্মের জন্য লজ্জিত হতে হবে? স্টালিনের অপকর্মের জন্য লজ্জিত যদি কাউকে হতেই হয় তবে কমিনিজম সমব্যাথিদেরকেই সেটা হতে হবে। নাস্তিকদের বড়জোর যেটা করার থাকতে পারে সেটা হলো কমিউনিজমের প্রতি তার কোন ধরণের সহানুভুতি থাকলে সেই সহানুভুতি সেই মুহুর্তেই সম্পুর্ণরুপে উইথড্র করে নেওয়াটা। কালেক্টিভাইজেশন, গুলাগ ইত্যাদির প্রতি কখোনই আমার সহানুভুতি ছিলোনা, থেকেও যদি এমনকি থাকতো সেটা আগাগোড়া উবে যেতো যখন কিনা প্রথমবারের মতো আমি জানতে পারতাম কাটিন ম্যাসাকারের কথা।
এখন কথা হচ্ছে কমিউনিস্টরাও নাস্তিক হয়, নাস্তিকদের হার্ডটির একটি সাবসেট যেহেতু হচ্ছে কমিউনিস্টদের মতো ডেস্পিকেবল ডেস্পিকেবল একটা গ্রুপ, আমি মনে করি কমিউনিজমবিরোধী সবচেয়ে
তুমুল প্রতিবাদটা ফলে আসা উচিত নাস্তিকদের পক্ষ থেকেই। নাস্তিক হবার কারণে কমিউনিজমের প্রতি আমার যেই অবস্থান সেই একই অবস্থান আমার বাংলাদেশী হবার কারণে ইসলামের প্রতিও। এবং একজন নাস্তিক হিসেবে আপনারও কমিউনিজমকে সবচেয়ে আগ্রাসীভাবেই রিজেক্ট করা উচিত। আপনি কিন্তু তা করেন না, আপনাকে বরং মাঝে মাঝেই আমরা দেখি কমিউনিজমের প্রতি সহানুভুতি দেখাতে। আপনি বলেন স্টালিনের কমিউনিজমটা ছহি কমিউনিজম না, ছহি কমিউনিজমটা এইরকম। ঠিক এই একই যুক্তি দেখায় মুসলমানরাও। আমার প্রশ্ন হচ্ছে ‘ইহা ছহি…’ ফ্যালাসি ব্যাবহার করে কি আমি আসলেই একটি অবস্থানকে ডিফেন্ড করতে পারি যেই অবস্থানটি কিনা মানবতাবিরোধী এবং সভ্যতায় যেটার অবদান প্রায় শুণ্য?
(Y) (Y) মডার্ন সায়েন্স সভ্যতাকে রিভলিউশনাইজ করেছে। পল ফিয়েরাবেন্ড বা সান্ড্রা হার্ডিং বা অন্য কোন এন্টিসায়েন্স সমাজবিজ্ঞানী দার্শনিক ফলে যখন আমাকে এটম বোমা, ট্রাইনাইট্রোটলুউইন, নাইট্রোগ্লিসারিন, সারিন গ্যাস, ফসজিন গ্যাস, এন্টিব্যালেস্টিক মিসাইল কিংবা ইউরোফাইটার টাইফুনের কথা বলবে সেইখানে আমি বলতে পারি যে ‘ইহা ছহি বিজ্ঞান নয়’; ছহি বিজ্ঞান হচ্ছে এন্টিবায়োটিক, ভ্যাক্সিন, হাবার্স প্রসেস, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট এবং ওপেন হার্ট সার্জারি। বিজ্ঞান মানব সভ্যতার যতো ক্ষতি করেছে এটা হিউজলি হিউজলি ওভারশ্যাডোড মানবসভ্যতার যতো উপকার করেছে সেটার দ্বারা। তেমনটা যদি না হতো, সভ্যতায় যদি বিজ্ঞানের অবদান হতো শুধু এটম বোমা বানানো, মিসাইল বানানো আর সারিন গ্যাস বানানো, তবে ইসলাম ও কমিউনিজমের প্রতি আমার যেই অবস্থান মডার্ন সায়েন্সের প্রতিও আমার অবস্থান হতো একই, নেইমলি- মডার্ন সায়েন্স মানুষকে কোন কিছু দিতে পারেনি উলটো ক্ষতি করেছে অপরিসীম বিধায় এটা সম্পুর্ণরুপেই পরিত্যাজ্য!
@আল্লাচালাইনা,
রিচার্ড ডকিন্সের যুক্তি রাজনৈতিক ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে টেকে না। সব কমিনিউস্ট রাষ্ট্রই ধর্মকে দমন করে, নাস্তিকতার প্রতিষ্ঠা করা হয়-ঠিক যেমন একজন বোমারু ইসলামিস্ট সব ধর্ম ধ্বংশ করে, তার নিজের ভার্সনকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইবে। কোন পার্থক্য নেই। আর বোমারু ইসলামিস্টদের মুসলমানরা সমালোচনা করে না এমন না। নাস্তিকদের মধ্যে কমিনিউস্ট সিম্পয়াথাইজার রা সংখ্যাগুরু-আবার মুসলমানদের মধ্যে বোমারু মুসলিমদের সিম্পাথাইসাররা সংখ্যাগুরু। আবার একটা মুষ্টিমেয় অংশ সমালোচনাও করে। সুতরাং সিচুয়েশন রুমে ১-১।
এর একটা গভীর নৃতাত্বিক কারণ তুমি বুঝতে চাইছ না। ইসলাম বা কমিনিউজম আদর্শের ভিত্তিতে একটা রাষ্ট্র গড়তে চাইছে-যেখানে সামাজিক বিবর্তনের স্থান নেই। আদর্শবাদের ভিত্তিতে রাজনীতি করয়ে চাইলে ইসলাম=কমিনিউজম=হিন্দুত্ববাদি হয়ে যায়।
সব ধর্মই নৃশংস হয়ে ওঠে যখন সে রাষ্ট্রএর মধ্যে ঢুকতে চাইবে। রাজনীতি বিনা ধর্ম ঢোঁড়া সাপ। রাজনীতি হচ্ছে সেই বিষ যা একটা ধর্মকে সাপের চেয়েও বিষধর করে তোলে।
আর কমিনিউজম নিয়ে তোমার অনেক ধারনা ভুল। যেমন ইসলাম নিয়েও তোমার কোন স্বচ্ছ ধারনা নেই। সবটাই যেটা দেখছ, বা বই এ পড়ছ-সেটাকেই মান। কারন সবাই সেটাকেই মানে। কিন্ত কমিনিউজম নিয়ে প্রচলিত ধারনার অধিকাংশটাই ভুল।
ইসলাম বা কমিনিউজমের ভাল ভার্সন ও থাকতে পারে। সুফী ইসলামের সাথে বৈষ্ণব ধর্মের কোন পার্থক্য নেই। এই দুটিই খুব মানবিক ধর্ম।
আবার কমিনিউজমের অনেক ভার্সন আছে। এমন তেমন একটি ভার্সন যেটি আমার পচ্ছন্দ সেই কাউন্সিল কমিনিউজম নিয়ে কিছুদিন আগেই লিখেছি-যার সাথে স্টালিনিজম বা লেনিনিজমের সম্পর্ক নেই।
@বিপ্লব পাল,
এ বিষয়ে কোন রিচার্স আপনার কাছে আছে?
থাকলে দিয়ে দিন!
@আল্লাচালাইনা,
(Y)
@অভিজিৎ,
এই লোককে অর্ধোন্মাদ বললে কম বলা হয়, পুরাই উন্মাদ। তার প্রধান রাগ আসলে মুক্তমনার উপরে। তানভীরের এই পোষ্ট কেবল মাত্র উছিলা। মুক্তমনা থেকে তাকে গদাম খাওয়ার পর তার এই রকম পোষ্ট এক প্রকার অনিবার্যই ছিল। যা হোক, এই লোককে নিয়ে কথা বলে লাভ নেই, বরং এর সাথে সম্পর্কিত কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বলছি।
এক। “আমার ব্লগ” এ এই উন্মাদের লেখাটি আগে পড়িনি। এখন পড়ে তাকে পুরোপুরি ভাবে একজন মানসিক রোগী বলে মনে হচ্ছে। কথা হচ্ছে এই রকম একটি কুৎসিত লেখা “আমার ব্লগে” প্রকাশ হয় কিভাবে আর প্রকাশ হলেও এতোদিনে কেন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। আমার ব্লগ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান নেই। ব্লগটি হয়তো মডারেশন বিহীন ভাবে চলে (আমি নিশ্চিত নই)। কিন্তু মডারেশন না থাকার মানে কি সেখানে যা খুশি লিখতে পারে। চাইলে কেউ সেখানে গুপ্তের লেখাও প্রকাশ করতে পারে। সদালাপ বা সোনার বাংলা হলে হয়তো আমি কিছু বলতাম না। কিন্তু আমার ব্লগের একজন কর্ণধার সুসান্ত’দা মুক্তমনায় কিছুদিন আগে লিখেছিলেন একটি ব্লগ। আমার প্রশ্ন উনার কাছেই – মুশফিকের এই ব্লগের বিরুদ্ধে কেন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? তানভীরের অনুবাদ নিয়ে মুশফিক বাদে আরো কয়েকজন প্রশ্ন তুলেছেন, সেগুলোকে ব্যখ্যা করা হয়েছে, ব্যাখ্যা সম্ভব। কিন্তু কারোর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কেউ যখন ইচ্ছেমত লিখে এবং সেই ব্লগকে বা ব্লগারকে কোন প্রকার কারণ দর্শানো হয় না তখন “আমার ব্লগ”-কে নিয়ে আমার ভাবতে হয়। “আমার ব্লগ” আসলে কোন আদর্শ নিয়ে চলে? বা আদৌ এর কোন আদর্শ কি রয়েছে? হিট বাড়ানোর জন্যে কি যা কিছু প্রকাশ করলেই হয়। আমি আশা করবো “আমার ব্লগ” এই বিষয়ে তাদের মতামত জানাবে।
দুই। এটি মুক্তমনা সম্পর্কিত। এই মুশফিক এতো দূর পর্যন্ত যেতো না যদি না তার মতো উন্মাদকে প্রথমেই গদাম দেওয়া হতো। কিন্তু সদস্যরা বেশ কয়েকবার আপত্তি জানানোর পরেও মুশফিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনেক দেরী করে মাননীয় মডারেটররা। অবশ্য তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটাও আমরা জানি না, কারণ সদস্যদেরকে এই সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। তার আর কোন মন্তব্য না দেখায় বুঝতে পারি তার মন্তব্য আর প্রকাশ করা হয় না। তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা মন্তব্য আকারে জানানো থাকলে ভবিষ্যতে এমন কেউ আসলে সে জানতো যে কি কি মুক্তমনায় গ্রহণযোগ্য নয়। রেকর্ডগুলো থাকা দরকার।
মডারেটর/এডমিনদের সাথে সদস্যদের কোন দূরত্ব থাকা উচিত নয় বরং একে অপরের জন্যেই রয়েছে। সদস্যরা এডমিনদের পরামর্শ দিবেন, এডমিনেরা সেটা বাস্তাবয়ন করবেন। এডমিনেরা সাহায্য চাইবেন সদস্যরা তাদের সাহায্য করবেন। অন্তত মুক্তমনার মতো ব্লগে আমি সেরকমই প্রত্যাশা করি। কিন্তু যে কারণেই হোক আমার কাছে মনে হয় মডারেটর/এডমিন কম অথবা তাদের মধ্যে এক্টিভ এডমিন কম (নো অফেন্স প্লিজ)। অভি’দা প্রায়ই কিছুদিন পর পর উদয় হন। অন্য এডমিনরা কতটুকু এক্টিভ আমি জানি না। তবে তাদের মন্তব্য খুব বেশি দেখি না। এক্মাত্র ফরিদ ভাইকেই দেখি বেশিরভাগ সময় এক্টিভ থাকতে। কিন্তু মুক্তমনার মত একটি ব্লগের জন্যে একজনের পক্ষে সব সামলানো সম্ভব নয়। আবার সব সিদ্ধান্ত একা একজনের পক্ষেও নেওয়া সম্ভব নয়। তাই আমি আসা করবো হয় সকল এডমিনেরা একটিভ হোন অথবা এডমিন/মডারেটর আরো বাড়ান। মুক্তমনার সদস্য সংখ্যা বেড়েছে এবং পাঠক সংখ্যাও বেড়েছে, সেই সাথে মন্তব্যের পরিমানও বেড়েছে। সেই সাথে মডারেটরেরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্যে ফেইসবুকে সিক্রেট গ্রুপ খুলতে পারেন, যেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
আমি কোন এডমিন/মডারেটরকে দোষ দেওয়ার উদ্দেশ্যে মন্তব্যটি করিনি। মুক্তমনা যেন আরো স্মুথভাবে চলে সেজন্যে নিজের চিন্তাগুলো শেয়ার করলাম। আমার অভিমত মুশিফকের প্রথম পাঁচ/দশটি মন্তব্যের পরেই তাকে গদাম দেওয়া হলে সে এতো দূর পর্যন্ত যেতে পারতো না। তানভীরের উপর তার রাগ কারণ তানভীর তাকে আগের কোন এক্মন্তব্যে “ট্রল” বলেছিল। সেই রাগ সে এখন ঝাড়ছে। এগুলো হতো না যদি না তাকে মন্তব্যের পর মন্তব্য করার সুযোগ না দেওয়া হতো। এডমিনেরা ভাবেন যে মুক্তমনার সদস্যরাই এই সব উন্মাদকে জবাব দিয়ে ঠিক করবেন। এটি সঠিক প্রসেস নয়, কারণ উন্মাদেরা ঠিক হওয়ার নয়। মাঝখান হতে আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয় উন্মাদদের পেছনে। আমি সেটা করতে রাজী নই। তাই আমি চাই মুক্তমনায় এই সব ভাঁড় দেখা মাত্রই গদাম দিয়ে পাগলা গারদে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।
@স্বাধীন, আপনি কাকে কি বলছেন? মুশফিক তো ফরিদ আহমেদ এর স্নেহধন্য প্রিয় ব্লগার। ইউনুসকে কুৎসিত অসংলগ্ন প্রথম পোস্টেই তিনি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন চোখা আক্রমনাত্মক লেখনীর জন্যে। অসুস্থভাবে একজন মহিলাকে গৃহিনী বলে তাচ্ছিল্য করায় সেটাকেও স্বাগত জানিয়েছিলেন। প্রথম লেখা থেকেই যেকোন স্বাভাবিক বুদ্ধির পাঠক বুঝতে পারা উচিৎ ছিলো যে এই ছেলেটার মাথার কিছু নিউর্যাল পাথওয়ে কাটা পড়েছে। কিন্তু না, ইউনুস কে পাগলা কুকুরের মতো কামড়াতে গেছে এতেই অনেকের হাততালি পড়ে গেছে। মুশফিক ও মুক্তমনা হলো ক্লাসিক ব্লোব্যাক এর নিদর্শন।
@সফিক, উনি হয়তো একেবারে প্রথমে বুঝতেই পারেননি যে মুশফিক একটা পাগলা ছ্যাড়া? পাগল চিনতে এবং ছাগল চিনতে কিছু সময়তো বলাই বাহুল্য লাগে, নাকি? এমনও হতে পারে যে ফরিদ আহমেদ একজন মডারেটর হিসেবে ফেয়ার এন্ড ব্যালেন্সড থাকার জন্য এটা করেছেন? একই কারণেতো ফারুকের কাছেও একবার এপোলজি করেছিলেন উনি, অন্যের কথা জানিনা আমার ব্যক্তিগত মতানুসারে ফারুকের কাছে এপলজি করার চেয়ে মুশফিককে অভিনন্দন জানানোটা অনেক কম দৃষ্টিকটুই। মুশফিক নামক এই পাইক্যা জারজটিকে মুক্তমনা সদস্যদের খাঁটি বাংলায় একটি গালি দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মডারেটরদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। গড! পাইক্যা জারজ বলাটাও যেনো কারো কাছে রেইসিজম হিসেবে পরিগনিত না হয় সেই দোয়াই করছি। একটা পাগলা ভ্যান্ডালের কিছু গদাম এমনিতেই পাওনা রয়েছে, অন টপ অফ দ্যাট ঐ পাগলা যদি আবার পিইক্যাও হয় তাহলে সেটার উল্লেখ করাটা আশা করি রেইসিজম হিসেবে গন্য হবেনা।
@সফিক,
আপনার মন্তব্যের বিষয়টি আমি বুঝতে পেরেছি। দেখুন মডারেটরের কাজ অনেক কঠিন। সে জন্যেই আমি বলেছি মডারেটরদের মধ্যে সমন্বয়ের ব্যাপারটি। প্রতিটি পদক্ষেপে না হলেও অন্তত বিশেষ ক্ষেত্রে কোন একক মডারেটর সিদ্ধান্ত না নিয়ে যৌথ ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। একক সিদ্ধান্ত অনেক সময় ভুল হতে পারে, কিন্তু সম্মিলিত সিদ্ধান্তে ভুল কম হবে। বিশেষ করে নুতন সদস্য ভুক্তির ক্ষেত্রে বা কাউকে গদাম দেওয়া হবে কি হবে না এই সব ক্ষেত্রে।
@সফিক,
অযথাই প্রসঙ্গটা এখানে টেনে আনলেন, কোন দরকার ছিলনা।
দয়া করে ইংরেজি শব্দদ্বয়ের বাংলাটা দেন, একটু বুঝি।
@সফিক,
আপনাকে যথেষ্ট দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তি মনে করতাম। সেই জায়গাটাতে বিরাট একটা ধাক্কা খেলাম আজ। ডক্টর মুশফিক আমার স্নেহধন্য প্রিয় ব্লগার এই অদ্ভুত তথ্যটা কোথায় পেলেন সে বিষয়টা জানতে পারলে খুশি হতাম। লেখককে অভিনন্দন জানালে যদি সেই লেখক আমার স্নেহধন্য হন, তবে এরকম লেখকের সংখ্যা অসংখ্য। প্রশংসা করতে কখনো কার্পণ্য করি, এরকম দোষারোপ আমার শত্রুও মনে হয় দিতে পারবে না।
এর প্রমাণ কি আপনার কাছে আছে? ওই লেখাটা এখনো মুক্তমনায় আছে। বিশাল এই অভিযোগ করার আগে সেটা আরেকবার পড়ে এলেই ভাল করতেন মনে হয়। ওখানে নৃপেন্দ্রনাথ সরকার বলেছিলেন যে, আফরোজা আলমকে গৃহিণী বলাটা দেশের সমুদয় নারী সমাজের জন্য অবমাননাকর। এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছিলাম আমি। গৃহিণী পেশাটার প্রতি আমার কোনো উচ্চ ধারণা নেই। এটা বলতে আমি কখনই দ্বিধান্বিত নই। তারপরেও কাউকে গৃহিণী বলে ছোটো করাটাকে আমি ব্যক্তি আক্রমণই মনে করি। সেটা বলেছিলামও আমি। দেখা যাক নৃপেন্দ্রনাথ সরকারের উত্তরে আমি কী বলেছিলাম।
আমিতো তবু বলেছিলাম যে ডক্টর মুশফিকের মন্তব্য আফরোজা আলমের ক্ষত্রে ব্যক্তিগত আক্রমণ। আপনাকে কিন্তু তখন খুঁজেও পাওয়া যায় নি আফরোজা আলমের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। ঝড়ের সময়েই মানুষের আসল ভূমিকা দেখা যায়। ঝড় থামার পরে বীর হওয়াটা কাজের কিছু নয়।
বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এই বিষয়টা আপনি নিজেও বোঝেন নি। লাইজু নাহারের প্রবন্ধে ডঃ মুশফিক যখন বিহারিদের উপর নির্যাতনের বিষয়টা টেনে এনেছিল, তখন আপনিই তাঁকে উৎসাহ দিয়েছিলেন কাউন্টার ন্যারেটিভের দোহাই দিয়ে। বিহারি প্রসঙ্গ নিয়ে ডঃ মুশফিকের সাথে আমি আর আদিল মাহমুদ যখন লাগাতার তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত ছিলাম, তখনও আপনাকে পাওয়া যায় নি। অথচ, দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে যে, এখন আমাকেই শুনতে হচ্ছে যে, ডঃ মুশফিক নাকি আমার স্নেহধন্য। কলিকাল আর কাকে বলে!
আমার দ্বৈত পরিচয়ের জন্য অনেক কিছুই এখানে বলা যায় না। সামান্য একটু বলছি। মুক্তমনায় ডঃ মুশফিকের আগমনে আমার কোনো হাত নেই। এর আগে তাঁর নামও শুনি নি আমি। কিন্তু, মুক্তমনা থেকে তাঁর নির্গমনের পুরো বিষয়টা আমাকে একাই সামলাতে হয়েছে।
@ফরিদ আহমেদ, আমি দু:খিত যদি আমার অভি্যোগটা কিছুটা অর্বাচীন হয়ে থাকে এজন্যে। আসলে এব্যপারে আমার কিছুটা রাগ আর হতাশার কারনে এই কথাটা বলে ফেলেছিলাম। আমার ক্ষোভ যে খামোকা এই ছেলেটার (যে সত্যই অসুস্থ এবং যার সাহা্য্য প্রয়োজন) প্রলাপের পিছনে সময় কিছু সময় নষ্ট করেছি। এছাড়া এব্লগ-সে ব্লগে ঘোরাফেরা করার সময়ে কয়েকবার দেখেছি যে এই ছেলেটা গর্বভরে আপনার প্রথম স্বাগতম এবং প্রশংসাপত্র দাখিল করে বেড়াচ্ছে নিজেকে মুক্তমানার বিশিষ্ট লেখক দাবীকরে। সেকারনেই আমার কিছুটা রাগ জমে ছিলো।
সব আলোচনায় সবসময়ে যোগ দেয়া সম্ভব হয় না সময়ের অভাবে, এজন্যে হয়ত কোনো থ্রেডে পরে যোগদান করা হয়নি। আপানার মডারেশন নিয়ে আমার কোনো অভি্যোগ নেই। একটা দুটো মুশফিক হঠাৎ করে ঢুকে পড়তেই পারে। স্বাগতম জানানো ঠিক আছে তবে লেখার প্রশংসা দেবার ক্ষেত্রে হয়তো একটু কিপ্টে হবার দরকার আছে।
@সফিক,
ডঃ মুশফিক মুক্তমনার বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছেন, অথচ সেই মুক্তমনারই একজন মডারেটরের ব্যক্তিগত প্রশংসাপত্রকে বিভিন্ন জায়গায় দেখিয়ে বেড়াচ্ছেন। এর থেকে মজার জিনিস আর কী হতে পারে। তবে, ভদ্রলোক বুদ্ধিমান আছেন এটা বলতেই হবে।। ওই প্রশংসাপত্রের মধ্যে তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ পরিহার করার অনুরোধ করেছিলাম। ওই লাইনটি তিনি সুচতুরভাবে বাদ দিয়ে বাকিটা সবাইকে দেখিয়ে বেড়ান।
উপদেশ শিরোধার্য। এখন থেকে কৃপণতা প্রদর্শন শুরু করবো। 🙁
আমার উপর আপনার রাগ কিছুটা কমেছে বলে আশা রাখছি। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
ঠিক এই কারণেই আমার উপরের মন্তব্যটি করা। আপনি একা কেন? এডমিন তো আমি যতটুকু জানি অন্তত চারজন আছে। সবাইকে নিয়ে এই সিদ্ধান্তগুলো নিলে তো একক কাউকে দায়িত্ব নিতে হয় না। প্রয়োজন হলে এডিমনের সংখ্যা বৃদ্ধি করুন। আর নুতন সদস্য কাকে করা হবে বা কাকে করা হবে না এগুলো একটি প্রসেসের মধ্যে আনুন এবং সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিন।
@স্বাধীন,
সিদ্ধান্ত সবসময় একমত হয়েই নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত এমন কোনো সিদ্ধান্ত কোনো মডারেটর নেয় নি, যেটাতে অন্য মডারেটরদের আপত্তি রয়েছে। তবে, কোনো সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ক্ষেত্রে হয়তো কাউকে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখতে হয়। মুক্তমনার শুরু থেকে জড়িত থাকা এবং বয়সে বড় হবার কারণে আমাকে আর অভিকে হয়তো কখনো কখনো সামান্য কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়, এই যা। এর মানে এই নয় যে, বাকি মডারেটররা নিষ্ক্রিয়।
মডারেটরের সংখ্যাবৃদ্ধি কি খুব একটা জরুরী? যতটা মনে হচ্ছে যে, মডারেটররা নজর রাখেন না, সেটা মনে হয় ঠিক না। চারজোড়া চোখের কোনো না কোনো একজোড়া সবসময় তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে রেখে চলেছে মুক্তমনার দিকে। তবে, যেহেতু আমাদের সদস্যদের প্রতি আমাদের আস্থার মানটা অনেক উঁচুতে, সে কারণে সব বিষয়ে নাক গলানো হয় না সবসময়। প্রতি মুহুর্তে নাক গলালে এর যে স্বতস্ফূর্ত একটা গতি আছে, সেটা বাঁধাগ্রস্ত হবার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু, কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে মুক্তমনায় সমস্যা তৈরি করতে আসছে, এটা টের পাবার সাথে সাথেই মোটামুটি জিরো টলারেন্স এ চলে যাই আমরা। তবে, সদস্যরা যতদ্রুত তাঁদের প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন, মডারেটরেদের ক্ষেত্রে সেটা হয়তো সম্ভবপর হয় না, হওয়াটা ঠিকও না বোধহয়।
@ফরিদ আহমেদ,
বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
মডারেটরদের এই সীমাবদ্ধতা অস্বীকার করি না। কিন্তু আপনাকে স্বীকার করতে হবে যে মুশফিকের ক্ষেত্রে এবং বিপ্লব’দার বিরুদ্ধে যিনি লেখা দিয়েছিলেন (নাম মনে করতে পারছি না) এই দু’জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মডারেটররা অনেক দেরী করেছেন। এই দুই ক্ষেত্রে আমি আশা করেছিলাম মডারেটরেরা আরো আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কিন্তু সেটা হয়নি। অনেক সদস্য আপত্তি জানানো সত্ত্বেও কেন এতো দেরী হলো এখনো বুঝতে পারছি না। আমার দুঃখ এখানেই। যা হোক, এক দিক দিয়ে ভালো হয়েছে। মডারেটরেরা এখন আরো তৎপর থাকবেন। মডারেটরের সংখ্যাবৃদ্ধি জরুরী নয়, জরুরী গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়াটা। সেটা হলেই সদস্য হিসেবে আমি খুশি।
ভালো থাকবেন।
“আমার ব্লগ” থেকে মুশফিকের লেখাটি দেখলাম মুছে দেওয়া হয়েছে। জানি না “আমার ব্লগ” কর্তৃপক্ষ লেখাটি সরিয়েছে নাকি মুশফিক নিজেই সরিয়েছেন। যেই সরিয়ে থাকুক ধন্যবাদ জানাই।
@স্বাধীন,
আমার ব্লগ পুরোই মডারেশনহীন। হ্যা, সেখানে মনে হয় রসময় গুপ্তের মত লেখাও দেওয়া যায়। তবে অভিযোগ করলে ব্যাবস্থা নেওয়া হয়।
খুব সম্ভব অভিজিতের অভিযোগের পর এডমিন যৌক্তিকতা বুঝতে পেরে লেখাটি সরিয়ে নিয়েছে।
@আদিল মাহমুদ,
এই রকম জগাখিঁচুরি মডারেশনের মানে কি আমি বুঝি না। পরে ব্যবস্থা নেওয়া হলে সেটা তো মডারেশনই। আর মডারেশন না থাকুক অন্তত নীতিমালাতে উল্লেখ থাকুক zeযে অশ্লীলতা বা ব্যক্তিগত বিদ্বেষ গ্রহণযোগ্য নয়। কি আছে? আমি তুলে দিচ্ছি তাদের ওয়েব সাইট থেকে
তার মানে দিতে আপত্তি নেই, শুধু প্রথম পাতায় থেকে সরানো হবে, কিন্তু ব্যক্তিগত ব্লগে থাকতে পারবে। কি বিচিত্র!
আমারো তাই ধারণা। মুশফিক এতো বুঝদার হলে তো কথাই ছিল না :-Y ।
@স্বাধীন,
আমার ব্লগের গর্ব এখানেই, তারা মডারেশন বিহীন ব্লগ রাখবে, যা মনে আসবে লিখবেন। তবে কিছু নীতিমালা আছে ঠিকই। সেসব নিয়ে কেউ অভিযোগ না করলে এডমিন অনেক সময়ই নিজ থেকে কিছু করে না।
মুশফিক সাহেব ওখানে (শুনেছি আরো অনেক ব্লগেই) দারুন বিনোদন দিয়ে চলেছেন। ওনার এই মহতী উদ্যোগের স্বীকৃতি স্বরূপ আমার ব্লগে ওনার সম্মানে কটি পোষ্ট পড়েছিল, একটির কথা মনে আছে, পড়লে ঠকবেন না। যদিও “পুনশ্চঃ এই কাহিনী সত্য ঘটনা অবলম্বনে লিখিত। কাহারো নিজ জীবনের সহিত মিলিয়া গেলে পোস্টদাতা নিজে দায়ী বলিয়া গন্য হইবেন।”
@আদিল মাহমুদ,
সেটা আসলেই গর্ভ বটেই, গুপ্তের মতো লেখাতো আর কোথাও পাওয়া যাবে না। মুশফিকের নিজের ব্লগ পড়ে মনে হলো ব্যাটা “নাগরিক” থেকেও গদাম খাইছে :)) । সকল বর্জ্য ধারণ করে যদি আমার ব্লগ গর্ভ করতে চান আমি বাধা দেওয়ার কে। কথা হইল আপনি এতো সময় কই পান :-s
@আদিল মাহমুদ,
লিঙ্কের জন্যে অনেক ধন্যবাদ :))
@আদিল মাহমুদ,
আমি আশা করেছিলাম আপনি আরেকটু আগে ওখানে আসবেন। মুশফিকের সাথে যোগ দিয়েছিল সদালাপী গুন্ডারা। খুব খারাপ লাগছিল। আমি আর হোরেস প্রতিবাদ করায় যখন একের পর এক সদালাপীরা ঐ পাগলের উছিলায় আমার বিভিন্ন লেখা তুলে ধরেছিল। সদালাপীরা অনবরত আমাকে ও অন্যান্যকে মুক্তমনার দালাল বলে গালাগালি করছিল। এখন কাজ থেকে নিয়ত করে এসেছিলাম সদালাপীদের কিছু কথা বলবো, কিন্তু দেখলাম লেখাটা উধাও হয়ে গেছে। কত নীচমনা এই মুশফিকটা দেখেছেন? অকারণে আরেকজন মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে, পারিবারিক ব্যাপার নিয়ে ব্লগে লেখা প্রকাশ করলো? আমি তো চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, সাহস থাকে তো মুক্তমনায় আয়, কিন্তু আসলোনা। কিছুটা অবাক হয়েছি আমরা প্রতিবাদ করার পরেও আমার ব্লগের নীরবতা দেখে।
@আদিল ভাই,
লিঙ্ক দেখে তো গেলাম, কিন্তু প্রলাপ ছাড়া তো কিছু দেখলাম না!
আমার ব্লগে কেমনে যে ব্লগিং করেন ভাই বুঝি না। বিরাট পাগলাগারদ। :))
@সাইফুল ইসলাম,
সেই জন্যই তো মজা পাই :))
তেমন কিছু বুঝাবুঝি করতে হয় না, পাগলামী করলেই চলে।
@আদিল মাহমুদ, হুমম… আমিও মনে হয় একটু পাগলা কিছিমের আছি। :))
@হোরাস,
বাংগালী জাতির নীতিবোধ শিক্ষাদানের অগ্রদূত, ডক্টর মুশফিক ইমতিয়াজকে আমার ব্লগ থেকে ব্যান করা হয়েছে চোরের মত প্রাইভেট পোষ্ট বিনা অনুমতিতে পাবলিক করার দায়ে।
আমার ব্লগ এডমিন ফেসবুকে ব্যাখ্যা করেছেন।
অবশ্য ওনার যেই প্রতিভা এর পরেও দাবী করবেন যে আমার ব্লগ তাদের এই নীতি কোন ষ্ট্যাম্প কাগজে ৫ জন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে ওনার স্বাক্ষর দিয়ে এনডোর্স করায়নি, কাজেই উনি চুরি করেছেন বলা যাবে না।
এমন বেহায়া ব্লগ জগতে আর দেখি নাই।
@আকাশ মালিক,
কাল রাতেই দেখেছিলাম তার পোষ্ট, একটু মজা দেখছিলাম। আছাড় দিতে হলে একটু ওপরে তুলে দেওয়াই ভাল, দলবল কখন জুটে তারও অপেক্ষায় ছিলাম।
@আকাশ মালিক,
সদালাপীরা কোথায় কোথায় মারামারি করেছেন যে তারা গুন্ডা হতে যাবেন ? নাকি তারা সদালাপে লেখেন বলে বাই ডিফল্ট গুন্ডা ! আমি ও তো সদালাপে লিখি, তাহলে আমিও বাই ডিফল্ট গুন্ডা, তবে কোথায় গুন্ডামী করলাম জানি না। আমি যতদূর জানি আপনারা যাকে পাগল বলে সম্মোধন করছেন সে আপনাদের নাস্তিক পক্ষের লোক। নিচের মন্তব্যে ক্লিক করে আলোচনায় চলে যান অথবা বল্ড করা অংশগুলি পড়ুন। এখন, চালাইনা সাহেব কি বলবেন, এখানে তিনি কেন পুরো নাস্তিক সম্প্রদায়কে গালি দিলেন না একজনের দোষের জন্য ?
@ফুয়াদ,
ফুয়াদ ভাই ক্রমশ যুক্তিবাদী হয়ে উঠছেন 🙂 ।
@ফুয়াদ,
সদালাপীরা খালি মুক্তমনার লেখকদের নিয়ে পড়ে থাকেন। আর স্ত্রিন শট দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করে হেইটা ওমুক সেইটা তমুক। কোন ভাল লেখা আছে নাকি ওখানে। মুক্তমনায় কয়টা লেখা দেখেছেন সদালাপী লেখকদের চরিত্র আর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে? আর সদালাপে খাজাবাবা হয়রান গংদের কাজ কর্ম দেখেন। তাইলেই বুঝবেন। সদালাপ নাম নিলেই যে গুণ্ডা হইতে পারবে না কে কইল।
তা আর বলতে! 🙂
হেই ব্যাটা আস্তিক নাস্তিক কিছুই না। স্বাধীনের মন্তব্য দেখেন উপরে। উনি হইল অসুস্থ মানসিক রোগী। আম্বালীগের চামচামী করা আর আস্তিকদের গুতানোর সময় নাস্তিক সাজে, আর মুক্তমনাদের গাইল দেয়ার সময় ইসলামপ্রেমিক সাজে। এইটা থেকে সাবধান
@ফাহিম রেজা,
(Y) (Y) (Y)
@ফাহিম রেজা,
আপনি সঠিক কথাই বলেছেন। যেমন বলেছেন আকাশ মালিক সাহেবঃ
জনগন মুখে ফুটে কিছু বলতে পারে না, ভয়ে রে ভাই, ভয়ে। 🙁 🙁
আমি জানি না আল্লাচালাইনার এইসব বৈজ্ঞানিক রেসিস্ট মন্তব্যের ব্যাপারে মডারেটর কেন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না!!!!!!
আল্লাচালাইনা নাস্তিক পুরুষ। তো এখন তার এই সুমহান নাস্তিকতার এমন মহানুভব প্রকাশ দেখে অন্যান্য ধর্মের মানুষ যদি পুরো মুক্তমনা ফোরামটাকেই রেসিস্ট বলে তার দায় দায়িত্ব কে নেবে? মডারেটরকে বলছি আমি ভাই নিতে রাজি না।
তার ঐ বায়োলজিকাল শব্দে ভরা অন্তত তিন হাজার বাক্যের মন্তব্যেগুলোতে ইসলামের আলোচনা উঠলে সবসময়ই তাকে মুসলমান বিদ্বেষী কথা বলতে দেখা যায়। যা নিয়ে তার সাথে আগেও অনেক তর্ক হয়েছে, খোদ ফরিদ ভাই তাকে বোঝাতে সক্ষম হয় নাই। অন্য সবাইকেই হয়ত নাস্তিকের বিরুদ্ধে কিছু বললে খুবই সরব দেখা যেত, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে না এই যা বিস্ময়।
@সাইফুল ইসলাম,
কথা সত্য। এই ধরনের কথাগুলো আস্তিকেরা কোন বিশেষ গোষ্ঠির বিরুদ্ধে বললে হয়ে যেতো রেসিস্ট। আর নাস্তিকে একই মন্তব্য করলে তিনি হন আলো আনয়নকারী। তখন এগুলো বলা যায় কারণ কথার মধ্যে নাকি যুক্তি আছে। তাইলে রেসিস্ট কথা যুক্তি থাকলেও পার পেয়ে যায়? রেসিস্ট, ফ্যাসিস্ট, হিস্টিরিয়াগ্রস্ত, অমানবিক মন্তব্য সরাসরি মুক্তমনাবিরোধী। মডারেটররা সেটা আমার চেয়ে ভালো বোঝেন। কিন্তু ওনারা সমস্যায় পড়েছেন, ভাবছেন হয়তো নাস্তিকের সংখ্যা এমনেই কম, তার উপর আবার যোদ্ধা নাস্তিকের সংখ্যা আরও কম। এভাবে ঠক বাছতে গেলে গা উজাড় হয়ে যাবে হয়তো। গোষ্ঠিগত ফিটনেস কমে যাবে। কিন্তু সময় হলো রিয়েলাইজ করার যে নাস্তিক মাত্রই ভালো মানুষ এমন প্রায়র-বিলিফ থেকে সরে আসার। নাস্তিকেরা স্কাউন্ড্রেল থেকে শুরু করে রেসিস্ট, ফ্যাসিস্ট, জেহাদি সবই হয়। স্ক্যান করলে দেখা যাবে এদের মস্তিষ্কে বোমাবাজ জেহাদিদের মস্তিষ্কের একই অংশগুলোই উত্তেজিত হয়। অবিশ্বাস তো আর ম্যাজিক না যে সেটা পোষণ করলেই মুক্ত মনের অধিকারী হয়ে যাওয়া যাবে। কর্তৃত্ববাদী আচরণ হলো মৌলিক প্রণোদনা। বিশ্বাস আর অবিশ্বাস হলো উছিলা। রেসিস্টদের আস্তিক নাস্তিক নির্বিশেষে একইভাবে ট্রিট করা হোক। আখেরে মুক্তমনারই মঙ্গল হবে। নাস্তিক দেখে রেসিস্টদের সাথে উঠাবসা করতে বাধ্য হওয়াটা মুক্তমনাদের জন্যে কাম্য নয়।
@রূপম (ধ্রুব),
একান্ত বাধ্য হয়েই একটা অফ টপিক এবং trolled +derailed বিষয়ে মন্তব্য করতে যাচ্ছি বলে সবার কাছে প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
আস্তিক নাস্তিক নিয়ে অনেক বিতর্ক এখানে হয়েছে বলে সে বিষশে নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু সবাই যে জিনিসটা বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন যে , নাস্তিক মাত্রই মুক্তমনা নয়। একজন নাস্তিক যে কোন কারনে ঈশ্বরে অবিশ্বাস করেন- এর মানে এই নয় যে তিনি মানবতা , বিজ্ঞান এবং যুক্তিবাদের চর্চা করেন। বরং মানবতা , বিজ্ঞান এবং যুক্তিবাদের চর্চা করা একজন মুক্তচিন্তার চর্চাকারীর জন্য নাস্তিক হওয়ার চাইতেও বেশী জরুরী।
কি লাভ নাস্তিক হয়ে যদি সাধারন যুক্তিবোধ dysfunctional হয়ে পড়ে ?
@রূপম (ধ্রুব),
এ জন্যই আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কে আস্তিক কে নাস্তিক কে মুসলমান কি কে এসবে মোটেও মাথা ঘামাই না। প্রকৃত মুক্তমনের মানুষ হতে গেলে এসব পরিচয়ে এমন কিছু যায় আসে না।
নাস্তিক হলেই যেমন মুক্তমনা হওয়া যায় না তেমনি আস্তিক মানেই মুক্তমনের হওয়া যাবে না এটাও ঠিক নয়। যুক্তিবিদ্যার বড় বড় কথা যাইই বলুক না কেন, বাস্তবতা এমনই বলে। আমি অন্য ফোরামে ধর্মবিরোধী কথাবার্তা বলে গালি খেলে আমার কিছু বলতে হয় না, সেই ধর্মের সাধারন ধার্মিকেরাই আগে গালি দেয়। আমি মনে করি বিশাল জ্ঞান ভান্ডার নিয়ে নিজেদের সীমিত জগতে বড় বড় লেকচার দেবার চাইতে সেটার স্বার্থকতা অনেক বেশী।
@রূপম (ধ্রুব),
আমি ঠিক একই কথা বেশ কিছুদিন আগে ফেসবুকে নোট আকারে লিখেছিলাম তবে নাস্তিকদের ফোরামে,ব্লগে বলতে ভয় লাগে :))
কোট করি,
যাকগে সংশপ্তক এর মত আমিও মন্তব্য করব না করব না করেও করলাম কিন্তু এটা এখানে বেশ অফ-টপিকিও আলোচনা হয়ে গেলো তাই দুঃখিত!
নোটটা এখানে http://goo.gl/lt2bc
@সাইফুল ইসলাম,
আল্লাচালাইনার ব্যাপারটি নিয়ে সরব হওয়ার জন্যে ধন্যবাদ। আমি অনেকটা হতাশ হয়ে এখন এই সব প্রতিবাদ হতে বিরত আছি। অতীতে বহু বলেছি, নিজের সময় ব্যয় করেছি। কিন্তু দিন শেষে কাজ করতে হবে মডারেটর কিংবা এডমিনদের। উনারা যদি মনে করেন সদস্যরা সেই কাজ করবে সেটা তো সম্ভব নয়। আমরা বড়জোর আমাদের আপত্তি জানাতে পারি। আশা করি মডারেটর/এডমিনেরা এই বিষয়ে একটু কঠোর হবেন। আস্তিক/নাস্তিক নির্বিশেষে রেসিস্ট মন্তব্যকে মডারেট করবেন এবং যিনি করবেন তাকে সতর্ক করবেন।
অনলাইন সাহিত্য চোরদের ঠেকাতে গেলে একটা পরিকল্পিত চিন্তা ভাবনা করতে হবে। শুধু এন. সি. দাশ নয় এই ধরণের চোরের অভাব নেই। আরেকজন চোরের কথা বলি উনার নাম সত্যজিৎ ভৌমিক তিনি নিজেকে সত্যবাদী বলে জাহির করেন। একদিন সোনার বাঙলাদেশ ব্লগে ঘুরে অর্থৎি আমার একটা লেখা দেখলাম যা আমি মুক্তমনাতে পোষ্ট করেছিলাম। কিন্তু সেই ব্লগে দেখলাম আমার লেখা ঠিক আছে শুধু লেখকের নাম ঠিক নেই। মুক্তমার এখানে আমার লেখাটা আছে। আর সোনার বাংলাদেশ ব্লগে আছে সত্যজিতের নামে আছে এখানে । তার পর আর কিছুও ঘাটানোর পর দেখলাম উনি শুধু আমার লেখা নয় মুক্তমনার অনেক লেখকের লেখা উনার নামে সেখানে জমা করেছেন। এই ব্যাপারটি নিয়ে আমি সোনার বাংলার মডারেটারকে জানালাম। কিন্তু আজও কোন উত্তর পাই নি।
আমি অবশ্যই চোরটাকে (এন সি বেটার কথা বলছি) সমর্থন করছি না। চোরটার শাস্তি হওয়া দরকার এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত কান ধরে। কিন্তু স্টিফেন হকিং এর যে বইটা মূল অনুবাদক অনুবাদ করলেন, সেটার কি অনুমতি আছে? বিখ্যাত লেখকদের বই এর গ্রন্থস্বত্ত থাকে বলে শুনেছি এবং এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করতে হলে অনুবাদক এবং প্রকাশক এর অনুমতির প্রয়োজন হয় বলে পড়েছি। দয়া করে এই বিষয়ে কেউ বলবেন? নাকি মূল ইংরেজী বইটার কোনো গ্রন্থস্বত্ত নেই? বাংলা লেখার অনভ্যাস থেকে অনেক বানান মনে হয় ভূল হোয়ে গেলো, চেষ্টা করছি শুধরে নেওয়ার।
@কল্যাণ,
উপরে একবার উত্তর দিয়েছেন একজন। স্ক্রল আপ করুন। আর মুক্তমনার নীতিমালাতেও সম্ভবত লেখা আছে। ওখানেও দেখতে পারেন।
@টেকি সাফি, উত্তর পেয়ে গেছি, ধন্যবাদ। আবারো চোর ব্যাটার মুন্ডু চাই।
প্রথম-আলো ব্লগে আমিও এন.সি. দাস এর পোস্টে প্রশংসা সূচক কমেন্ট করেছিলাম। কিন্তু উনি যে এই কাজ করছে বুঝতে পারি নাই। আর একটা জিনিস বুঝলাম না ঘটনা ঘটল ডিম নিয়ে সবাই এখানে তাল নিয়ে আলোচনা করল কেনো? তনভীর ভাই কি বলেন?
@অনীক,
ডিম আর তালের ব্যাপারটা ঘটেছে ‘ট্রলিং‘ এর শিকার হয়ে। অনলাইনে এমন অনেককেই দেখা যায় কোনো আলোচনা থ্রেডের মোড় যাথে অন্যদিকে ঘুরে যায় সেই উদ্দেশ্য নিয়ে উস্কানিমুলক মন্তব্য করে। আলোচনাকারীরা এইসব ট্রলদের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে বিভ্রান্ত হন। এর সমাধান একমাত্র ‘অভিজ্ঞতা থেকে ট্রল চিহ্নিত করার স্কিল অর্জন করার মাধ্যমেই হতে পারে’। একবার ট্রল চেনা গেলে স্রেফ ইগনোর করতে হবে।
আজকে অনেকবার জনাব এনসি দাসকে ফোন দিয়েছিলাম। তিনি রিসিভ করলেন না! খুব ইচ্ছা জনাবের সাথে কথা বলার। বাসায় কিছু ইংরেজি বই আছে। কষ্ট করে পড়তে ইচ্ছে করছে না। জনাব এনসি দাসকে যথাযথ সম্মানীপূর্বক অনুবাদের কাজ দিতে চাই। কিন্তু ফোন না ধরলে ক্যাম্নে কী! দেখি, অন্তত সপ্তাহখানেক চেষ্টা চালিয়ে যাই।
তানভীর ভাই, এই লেখাটা এবং সচলের লেখাটা আমরা সবাই ছড়িয়ে দিচ্ছি। মানুষের সচেতনতার উপর আর কোনো ওষুধ নাই।
কোন ধর্মে জন্ম হয়েছিলো সেইটা জানতে পেরেই যদি হারানো রেসপেক্ট পুনরুদ্ধৃত হয়ে যায় তাহলে সমস্যা না? আরও সমস্যা রয়েছে, মনে হচ্ছে যে যেকোন ধর্মে বা সেইভ ফর যে কোন নির্দিষ্ট একটি ধর্মে জন্মগ্রহন করলে রেসপেক্ট পুনরুদ্ধৃত হবে না। তারপরও কৌতুহল হয়ে থাকলে উত্তর করছি, ইসলাম। তবে সমস্যা হচ্ছে এইটা ভেরিফাই করার কোন উপায় এই মুহুর্তে আপনার নেই, তাই না? আপনাকে আমার কথা বিশ্বাস করতে হবে। আর বিশ্বাস করাটা বলাই বাহুল্য কোন কাজের কথা নয়। তাই আমি বলি, মনে করুননা কেনো যে আমার জন্ম হয়েছিলো একটি ইহুদী ঘরে? হতেই পারে, খুবই স্বাভাবিক। সেটা হলে কি আপনার রেসপেক্ট পুনরুদ্ধৃত হবে না? ফাইনালি, একজন রেসপেক্টেবল ব্যক্তি হব
@আল্লাচালাইনা, মন্তব্য পুরো আসেনি আগেরবার সরি।
কোন ধর্মে জন্ম হয়েছিলো সেইটা জানতে পেরেই যদি হারানো রেসপেক্ট পুনরুদ্ধৃত হয়ে যায় তাহলে সমস্যা না? আরও সমস্যা রয়েছে, মনে হচ্ছে যে যেকোন ধর্মে বা সেইভ ফর যে কোন নির্দিষ্ট একটি ধর্মে জন্মগ্রহন করলে রেসপেক্ট পুনরুদ্ধৃত হবে না। তারপরও কৌতুহল হয়ে থাকলে উত্তর করছি, ইসলাম। তবে সমস্যা হচ্ছে এইটা ভেরিফাই করার কোন উপায় এই মুহুর্তে আপনার নেই, তাই না? আপনাকে আমার কথা বিশ্বাস করতে হবে। আর বিশ্বাস করাটা বলাই বাহুল্য কোন কাজের কথা নয়। তাই আমি বলি, মনে করুননা কেনো যে আমার জন্ম হয়েছিলো একটি ইহুদী ঘরে? হতেই পারে, খুবই স্বাভাবিক। সেটা হলে কি আপনার রেসপেক্ট পুনরুদ্ধৃত হবে না? ফাইনালি, একজন রেসপেক্টেবল ব্যক্তি হবার আকাঙ্খা এখনও আমার জাগেনি, এতোটা বুড়ো আমি এখনও হইনি।
Just in order to demonstrate that I am not the worst example for this specific case লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সে একজন বিবর্তনবাদী সমাজবিজ্ঞানী (বিজ্ঞানের সাথে যেইটার কোনই সম্পর্ক নেই) রয়েছে সাতোশি কানাযাওয়া নামে। মোটামুটি বছরে অন্তত একবার সে পত্রিকায় হেডলাইন হয় বিভিন্ন ধরণের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করে। এইতো সপ্তাহ দুয়েক আগেও এমনকি এক পত্রিকা তার সম্পর্কে লিখেছে ‘an idiot with a phd’. সে একসময় আবিষ্কার করেছিলো যে ‘আঠারোটি এটম বোমার সাহায্যে ইসলামমুক্ত পৃথিবী কায়েম করা সম্ভব’! এখন, আমি কি তার এই আবিষ্কারের সাথে ঐক্যমত পোষণ করি? উত্তর হচ্ছে অবশ্যই না। তবে হ্যা তার বর্ণীত আঠারোটি বোমা নিয়ে আমেরিকা যদি তাদের পরম মিত্র সৌদিআরবে গিয়ে জনবিরল কোন মরুভুমিতে মাটি খুড়ে তিনমাইল গভীরে বোমাগুলি রেখে ডিটোনেট করে দেয় আল্লার ওয়াস্তে। এবং অতপর ‘মাটির নীচে বোমা ফুটানোর চেয়ে উপরে ফুটানোটাই অনেক স্বল্প সময়, শ্রম ও অর্থ সাধ্য!’ লেখা একটি লিফলেট বানিয়ে তা ছড়িয়ে দেয় সমগ্র মুসলিম জাহানে, তাদেরকে আমি হর্ষধ্বণী দিয়ে স্বাগত জানাবো!!
@আল্লাচালাইনা,আপনি আমার কিছুটা রেসপেক্ট পেলেন যদিও তার কেয়ার আপনি সম্ভবত করেন না। নিজ পিতৃধর্মকে যতইচ্ছা গালিগালাজ এবং মুন্ডুপাত করাকে আমি অশোভন মনে করি না। ক্যারি অন।
কানাযাওয়া’র আউটপুট নিয়ে আমি অনেক আগে থেকেই জানি। অভিজিৎ রায় একবার তার লেখার কানাজাওয়ার লম্বা রেফারেন্স টানায় আমি আপত্তি জানালে Ad hominem আক্রমনের অভি্যোগ পেয়েছিলাম। কদিন আগেই গার্ডিয়ানে কানাজাওয়ার সাদা-কালো মেয়েদের তুলনামূলক সৌন্দর্য নিয়ে নতুন তত্বের মুখরোচক আলোচনা পড়েছিলাম। তার এটম বোম তত্বটা জানা ছিলো না। একটু গুগলিং করে দেখি।
@সফিক,
এক্সাক্টলি, মুসলমানদের অপকর্মের বিরোধীতা আসা উচিত তাদের কাছ থেকেই যারা কিনা মুসলমান ডেমোগ্রাফির ভেতরে পড়ে। আমি মনে করি এইটা তাদের দায়িত্ব। কিন্তু, দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে ইসলামের প্রশ্ন আসলেই স-বা-র মনে পলিটিকাল কারেক্টনেসের সাইক্লোন জাগে। অথচ এই সাইক্লোন জাগেনা কোন রেস্টরান্ট, ফুটবল ক্লাব এমনকি সামগ্রিকভাবে ধর্মের সমালোচনা করলেও! অথচ ইসলাম, যেটি কিনা সমগ্র পৃথিবীর জন্য একটি সিকিউরিটি থ্রেট, সেটি পেয়ে আসে একটা স্পেশাল ইনডেমনিটি সবার কাছ থেকেই, আজব!! অথচ বাস্তবতার নিরিখে ধর্ম সামগ্রিকভাবে যতোটা না রক্ত ঝরানোর পটেনশিয়াল রাখে, ইসলাম রাখে তার যেয়ে অনেক অনেক বেশী। মোহাম্মদের ছবি আঁকলে ইন্দোনেশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দেয় ‘এইটা বিশ্বশান্তি বিনষ্টের একটি প্রক্রিয়া’! অথচ, ‘এই হতভাগা একটা লোলাইফ পিডোফাইলের ছবি আঁকলে বিশ্বশান্তি কেনো বিনষ্ট হবে?’ এই প্রশ্নটা করার কোন আগ্রহ এবং প্রয়োজন বোধ করেনা মুসলিম অমুসলিম কেউই।
এইটাও ঠিক। অন্য কোন কারণে নয়, মানুষ রেসপেক্ট করা শুরু করলে নিজেকে সেলফসেন্সর করা লাগে। এবং একটি সেলফসেন্সরিং লুজার হবার বাসনা থাকলে আমি আমার নিজ নামেই ছবি-পোস্টকোড সহকারে ইন্টারনেট এন্টিটি হতাম, যেটি কিনা ক্লিয়ারলি-ই আমি হইনি।
সরি আঠারোটা না, পয়ত্রিশটা এটম বোমা। 😀 http://www.metro.co.uk/news/863719-fury-over-black-women-are-less-attractive-psychologist
@আল্লাচালাইনা,
আমি কিন্তু প্রচন্ড ধার্মিক পরিবারে জন্ম নিয়েও ধর্মপ্রাণ মানুষদের সকাল সন্ধ্যা দেখেও ভাবি, আমি কেবল মুসলিম ডেমোগ্রাফির মধ্যে পড়িনা। মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলে যেমন মুসলিম হওয়া যায় না, তেমনি আমি মুসলিম ডেমোগ্রাফির মধ্যে পড়ি এইভেবে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখারও কোন মানে হয় না। আর কোন একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে ইঙ্গিত করে অপমানজনক কথা বলা, সাম্প্রদায়িকতার পর্যায়ে পড়ে, সাম্প্রদায়িকতার সংজ্ঞা এইখানে জবাই করা মুসলিম, বোমারু বুশ কিংবা জাত তুলে গাল দেয়া মানুষ সবার জন্যই প্রযোজ্য। আমি কোন পলিটিকাল কারেক্টনেসের দাবী করছিনা, ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মের কারণে আমাকে যত অস্বস্তিকর কষ্টকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে, তার মাত্রা নেহায়েত কম নয়। কিন্তু তারপর, আমার সুস্থতার জন্য যে মানুষটা নামাজে হাত তুলে প্রার্থনা করেছেন, আমার জন্য উনার শুভকামনার বহিঃ প্রকাশ বা পদ্ধতি যাই হোক না কেন, ভালোবাসাটুকু সত্যি। সেই মানুষটার ধর্ম যাই হোক, আমি উনার হৃদয়কে শ্রদ্ধা করি, উনার ভালোবাসা আমাকে স্পর্শ করে। ইসলাম বিদ্বেষ দেখিয়ে তার হৃদয়কে অপমান করার কোন অধিকার আমার নেই। যদি তাই আমি করি, তাহলে আমি আসলে মানবতার চেয়ে ধর্মকেই বেশী গুরুত্ব দিয়ে ফেললাম। সাম্প্রদায়িক চেতনাসমৃদ্ধ মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, ইহুদী, শিখ বা বুশের চ্যালা চামুন্ডার সাথে বস্তুত আমার তফাত রইল না। আস্তিকতা, নাস্তিকতা, ধর্মীয় পরিচয় বহন করা, এসব নিয়ে আর বিশেষ কিছু বলার নেই, তবে এটুকু বলব, উগ্র ধর্মীয় গন্ডিতে বিষাক্ত হয়ে যারা মানুষকে বিচার করে, তাদের সাথে উগ্র নাস্তিকতার বহিঃ প্রকাশ ঘটিয়ে মানুষকে বিচার করার প্রকৃত পক্ষে কোন পার্থক্য নেই। দুটোই উগ্রতা, সাম্প্রদায়িকতা।
ডেমোগ্রাফির বাইরে বেরিয়ে একটু মানুষকে দেখি, সবাই লাদেন নয়, সবাই বুশ নয়, সবাই সৌদি বাদশা নয়। মানুষ হিসেবে তাদের মানুষের মর্যাদা, সম্মানটুকু একজন সাধারণ মানুষের প্রাপ্য।
@সফিক,
আমি ঠিক বুঝতে পারছি না যে, কানাজাওয়ার লেখার সাথে আমার একটি রেফারেন্সের সম্পর্ক খুঁজার ব্যাপারটা এ লেখায় কিভাবে প্রাসঙ্গিক হল। 🙂 জার্নালে প্রকাশিত কানাজাওয়ার কোন লেখার রেফারেন্স দেয়ার মানে এই নয় যে কানাজাওয়ার সব বক্তব্যের সাথেই একমত হওয়া। আমি কিন্তু এখানে স্পষ্ট করেই বলেছি – সব ধরণের রেসিজমের বিরুদ্ধেই আমার আপত্তি ছিল এবং থাকবে, সেটা বিজয়ই করুক, ফুয়াদই করুক, আল্লাচালাইনাই করুক আর কানাজাওয়াই করুক।
দেখুন, অনেক বিজ্ঞানীদের বিরুদ্ধেই রেসিজমের অভিযোগ আছে। যুগল সর্পিলের রহস্যভেদকারী নোবেল লরিয়েট জেমস ওয়াটসনও এই তালিকায় আছেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে কোন জার্নালে প্রকাশিত ওয়াটসনের কোন বৈজ্ঞানিক লেখার রেফারেন্স টানা যাবে না। এটা কিন্তু একটা ফ্যালাসিই। কানাজাওয়ার প্রতিভা বনাম বয়সের কার্ভ নিয়ে একটা আর্টিকেলের রেফারেন্স আমি দিয়েছিলাম মনে আছে। এর সাথে কোথায় কখন কানাজাওয়া বোমা মেরে মুসলিম দেশ উড়িয়ে দেয়ার হিসেব দিয়েছেন (যদি সত্যই তিনি তা বলে থাকেন) , আর সেটা তুলে এনে সেটা সমর্থনের যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টাটা আমার চোখে Ad hominem হেত্বাভাস ছাড়া কিছু নয়। রেসিজম প্রসঙ্গে কানাজাওয়া কেন, যত বড় মহারথীই হোন না কেন, সেই ধরণের কোন বক্তব্যই আমি সমর্থন করিনি, করবোও না।
@অভিজিৎ, আমি কানা্যাওয়া প্রসংগে আপত্তি তুলেছিলাম তার গবেষনার পদ্ধতি এবং ফলাফল বিজ্ঞনীমহলে বিতর্কিত হওয়ায় কারনে। আপনি নিশ্চই জানেন এভো-সাইকোলজীর যথেচ্ছা ব্যবহার এ বিষয়কে অনেকটা অনাকাংখিতভাবে বিতর্কিত করেছে। কানা্যাওয়া একজন চরম রেসিস্ট ও ফ্যাসিস্ট চিন্তার মানুষ। কিন্তু এর সাথে তার গবেষণার মানের কোনো সম্পর্ক নেই। তার গবেষণা, নিজগুনেই সমালোচিত।
@সফিক, পি জি মায়ার্স দেখলাম কানাজাওয়াকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি না, কানাজাওয়াকে তিনি সৃষ্টিবাদীদের মতই ট্রিট করেন।
১) I guess even Psychology Today has limits
২) Stop patting yourselves on the back over this study– নাস্তিকদের উচ্চতর আইকিউ নিয়ে কানাজাওয়ার গবেষণা এবং সেটা নিয়ে কিছু নাস্তিক কমিউনিটির লাফালাফি আমার কাছেও অত্যন্ত দৃষ্টিকটু লেগেছিল।
৩) In which I concede that some scientists are evil and stupid
৪) Africa is filled with people too dumb to live, according to the LSE
@সফিক,
তর্কবিতর্ক খুব ঘুরপথে চলে যাচ্ছে। আপনার আপত্তির কথাটা বুঝলাম। আমার শেষ কথাটা বলি। আপনি পি জি মায়ার্স (পৃথিবীও উল্লেখ করেছেন) এর একটি উক্তি দিয়ে প্রাথমিকভাবে মন্তব্য করেছিলেন – কানাজাওয়া ইডিয়ট বলে। আমার বক্তব্য ছিলো এই ইডিয়েট কিংবা রিসিস্ট বিশেষণগুলো কানাজাওয়ার যুক্তি খণ্ডনের জন্য যথেষ্ট নয়। গোলাম আজম কিংবা নিজামী রাজাকার, ধর্ষক হতে পারেন, কিন্তু তাদের কেউ যদি দাঈ করেন ২ + ২ =৪ হয়, সেটা তারা রাজাকার বলেই বাতিল হয়ে যায় না। আসলে প্রতিটি ইন্সিডেন্ট আলাদাভাবে বিচার করতে হবে। কেউ যদি রিসার্চের মাধ্যমে দেখান যে, কানাজাওয়া ডেটা ম্যানিপুলেশন করেছেন কিংবা তার রিসার্চের পদ্ধতি সঠিক ছিলো না, তবে সেটা একটা জোরালো খণ্ডন হয়। কিন্তু তা না করে পারিপার্শ্বিকতাকে আক্রমণ (ইডিয়ট, রেসিস্ট ইত্যাদি) কোন জোরালো খণ্ডন নয়। সেক্স, জেন্ডার, রেস নিয়ে গবেষণা খুব সেন্সেটিভ ইস্যু। বহু বিজ্ঞানী কিংবা গবেষকদেরই ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি আছে এ ব্যাপারে। ‘প্রচলিত মতাদর্শের’ বিরুদ্ধে যাওয়ায় নোবেল লরিয়েট ওয়াটনের সেমিনার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, হ্যান্স ইয়েন্সেনকের চশমার কাঁচ ভেঙ্গে আহত করা হয়েছিল, ল্যারি সামার্সকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল ইত্যাদি। কানাজাওয়ার মত রেসিজমের উদাহরণ যেমন আছে, তেমনি আবার উলটো দিকে এমন দৃষ্টান্তও আছে যে ‘সমাজের’ কথা ভেবে, ‘গণরোষের’ কথা ভেবে, ‘পলিটিকাল কারেক্টনেসের’ দোহাই দিয়ে বৈজ্ঞানিক সত্য চেপে যাওয়া হয়েছে।
কানাজাওয়া কালো মেয়েদের বুদ্ধিবৃত্তি নিয়ে যা বলেছেন কিংবা বোমা মারার যে ‘থট এক্সপেরিমেন্ট’ করেছেন সেটার সাথে আমি মোটেও একমত নই। সেগুলো আমি আমার লেখায় রেফারও করিনি। আমি করেছিলাম ভিন্ন একটি প্রসঙ্গে ‘প্রতিভা বনাম বয়স’ নিয়ে প্রকাশিত তার একটি লেখার উল্লেখ, এবং তার একটি বিশ্লেষণ। সেটার উল্লেখ রেসিজম নয় বলেই আমি মনে করি। প্রসঙ্গতঃ আরো একটা উদাহরণ দেই। আমি আমার ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে’ বইয়ে ফ্রান্সিস ক্রিক আর ওয়াটসনের কাজের উল্লেখ করেছিলেম। ওয়াটনের কাজের উল্লেখ করা মানে এই নয় যে, ওয়াটসনের রেসিস্ট মন্তব্যগুলোকেও (তিনি ভাবতেন আফ্রিকার কালো মানুষদের বুদ্ধিসুদ্দ্ধি সাদাদের থেকে কম) সমর্থন করা। ভিন্ন ভিন্ন প্রসঙ্গের উল্লেখের ক্কেত্রে এইটুকু পার্থক্য কিন্তু থাকা উচিৎ বলেই মনে করি।
@অভিজিৎ, দু:খিত খামোকা আপনাকে কানা্যাওয়া’র প্রসংগে টেনে সময় নষ্ট করা’র জন্যে। এটা ছিলো একটা অনর্থক এসাইড। পরে কোনো এক সময়ে কানা্যাওয়া’র রিসার্চ এবং এরকম হেডলাইন বাগানো সামাজিক রিসার্চের ব্যবচ্ছেদ করা যাবে।
আদিল মাহমুদ……!!!!!????? সম্পুর্ণ যাঁতি তো ফারুকের প্লেইগিয়ারিজমের জন্য গালি খায়নি, সম্পুর্ণ যাঁতির গালি খাওয়ার কি অন্যান্য আর কোন কারণ আপনার চোখে পড়ে না? কিছুদিন আগে সম্পুর্ণ যাঁতি আফগানিস্তানে পাঁচজন মানুষকে জীবন্ত জবাই করে শুধুমাত্র কারণ তাদের চামড়ার রঙ্গ ছিলো সাদা; যেই সাদা জাতির অন্যান্য কয়েকটি সদস্য সাত সুমুদ্দর তেরো নদী পারে পুড়িয়েছিলো একটি বই এন্ড আই কোট এগেইন ‘একটি বই’!!! সেই জবাই হওয়া পাঁচজন মানুষকে যখন ঐসব হাজার হাজার মানুষদের কয়েকজন মিলে মাটিতে চেপে ধরে চালাচ্ছিলো তাদের গলায় ছুরি, ফিনকী দিয়ে ছুটছিলো রক্ত, প্রথমে স্কীন কেটে তারপর কেটে সাবকিউটেনিয়াস ফ্যাট, তারপর ট্রাকিয়া-ইসোফেগাস, ক্যারোটিড আর জুগুলার, নিজের রক্ত ফুসফুসে ঢুকে ঐ পাঁচজন নিরীহ যখন দমবদ্ধ হয়ে মারা যাচ্ছিলো অসহ্য যন্ত্রনায়, যন্ত্রনায় মরণের আগমুহুর্তে এমনকি যারা ফ্লাশব্যাকও করারও সুযোগ পায়নি তাদের প্রিয়জনদের মুখ- সেইসময় সম্পুর্ণ যাঁতি গোল হয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলো আর স্লোগান দিচ্ছিলো ‘আল্লাহু আকবুর’ ‘লাইল্লাহা ইল্লালা’ আর শত শত শুয়োর আর শুয়োরীর শিতকারের মতো বাতাসে প্রপাগেট করা সেই ‘আল্লাহু আকবুর’ ‘লাইল্লাহা ইল্লালা’ আমি আমার মনের কানে ভেসে আসে এবং গালিটা আমি সেইজন্যই দেই। আপনি আপনার কানে কি শোনেন আদিল মাহমুদ, আপনি এইখানে ঐক্যমত প্রকাশ করছেন ফুয়াদের মতো একজন ডেস্পিকেবল মুসলমানের সাথে? কয়েকদিন আগে বলে হযরত হয়রানও আপনার প্রসংসা করেছিলো, কি এমন বলেছিলেন আপনি যেই বক্তব্যকে কিনা হযরত হয়রান প্রসংসা করে? আই মিন, ভালো কিছুতো নিশ্চয়ই বলেননি তাই না? পৃথিবীতে আমি মনে করি হয়রান প্রসঙ্গসা করে এমন বাণী নির্গত করা, ফুয়াদের সাথে ঐক্যমত প্রকাশ করার চেয়ে গুরুতবপুর্ন কিছু কাজ আছে এবং বেশীরভাগ সময় সেইসকল কাজেই আপনাকে ব্যাস্ত থাকতে আমরা দেখি এবং আপনি ব্যাস্ত থাকুন সেইসকল কাজেই সেইটাই চাই। আপনি জানেন সকল মানুষেরই কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, আমারও রয়েছে, এবং সেটা হচ্ছে- ইসলাম বিষয়ে আমি নিজেকে সেলফসেন্সর করতে যাচ্ছি না এবং ইসলামের মতো ডিসগাস্টিং একটি মতাদর্শের প্রতি যার বিন্দুমাত্র সহানুভুতি রয়েছে যে কোন ঝুঁকি গ্রহনের বিনিময়ে আমি সেটা তাকে প্রত্যক্ষভাবেই জানিয়ে দিবো তার সম্পর্কে আমি কি মনে করি। আপনি করতে পারেন নিজেকে সেলফসেন্সর আমার কোন আপত্তি নেই কেননা আফটারঅল এটাই বেশী সিলেক্টেবল সার্ভাইবাল স্ট্রাটেজি, তবে মানবিকতাবোধের মুল্য আমার কাছে সার্ভাইবালের মুল্যের চেয়ে বেশী। ইসলাম পৃথিবীর একমাত্র ধর্ম যেটা ধর্ষণ পারমিট করে, ইসলাম পৃথিবীর একমাত্র ধর্ম যেটা বিনা প্ররোচনায় অন্য মানুষকে হত্যা পারমিট করে। আপনিতো মুসলমান না, you have some vision, এইধরণের ইসলাম সমব্যাথি বুদ্ধিবৃত্তিক ব্লাকআউট কি আপনার শোভা পায়?
বেড়াল কান্না ভালোভাবে কাঁদতে পারলে কেউ শত্রু মিত্র নির্বিশেষেই যে কারো কাছ থেকে সাহায্য পেতে যাচ্ছে। এইটা বোঝার জন্য কোন ডক্টরেট ডিগ্রী লাগে না, ফুয়াদও এলবেইট তার সীমিত মস্তিষ্ক দিয়ে ব্যাপারটা যে বুঝতে পেরেছে এটাই এর পক্ষে সবচেয়ে বড় এভিডেন্স। মানব মননের এই চিরায়ত প্রপঞ্চের উপর ভিত্তি করে হযরত ফুয়াদ একটা চিপশট খেলেছে দুজন মানুষকে ইনভল্ভ করে যার একজন আপনি। আমি আপনার জাগায় থাকলে সবার প্রথমে প্রশ্ন করতাম- আমার কাছে একজন ইসলামিস্ট এসে বেড়াল কান্না কেনো কাঁদছে, কেনো বলছে you are my lord, i’m helpless and totally submissive to you, now please help me, আমি প্রশ্ন করতাম কি বেঁচতে চায় ইসলামিস্ট আমার কাছে। অথচ একবার এইসব না ভেবে সোজা, সরলরেখায় আপনার মতো বুদ্ধিমান একজন মানুষকে আমি যখন ফুয়াদেরর মতো একটা অসত মুসলমানের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ফেলতে দেখি বোকার মতো, খুব খারাপ লাগে আমার। এইটাও ভেবে দেখবেন।
আপনি কি বোঝেন না যে আপনার দেওয়া এই যুক্তি যে- দুএকটি খারাপ মুসলমানদের জন্য সব মুসলমানদের গালি দেওয়া উচিত নয়’ এর উপর ভিত্তি করে এইটাও বলা যায়- ‘হিটলার, হিমলার, আইখমানের মতো দু একজন খারাপ নাতসীর জন্য সম্পুর্ণ মিলিয়ন মিলিয়ন নাতসী পার্টি মেম্বারদের গালি দেওয়া উচিত না’? এই মিলিয়নের মধ্যে বলাই বাহুল্য ছিলো শিন্ডলার, রোমেলের মতো লোকও যারা কিনা ছিলো খুবই ভালো নাতসী, বেশীরভাগ নাতসীই ছিলো মাঝামাঝি ভালোও না খারাপও না, অল্প কয়েকটা নাতসীই ছিলো খারাপ, it turns out বিশ মিলিয়ন মানুষের হত্যাযজ্ঞ ঘটাতে মিলিয়ন মিলিয়ন খারাপ নাতসী লাগে না, দুই একটি খারাপ নাতসীই যথেষ্ট। তবে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই মিলিয়ন মিলিয়ন নাতসী কাজ করেছে ওই দুই একটি খারাপ নাতসীর শিল্ডিং হিসেবে। মিলিয়ন নাতসী খারাপ কাজ না করেও প্রতিরক্ষা বুহ্য হিসেবে কাজ করেছে দুই একটি খারাপ নাতসীর জন্য বলেই তারা সক্ষম হয়েছিলো বিশ মিলিয়ন মানুষ মারতে। আমি বলছি না মুসলমানদের নির্ধর্মী হয়ে যেতে হবে, তবে ভবিষ্যতের একটা পরিষ্কার পৃথিবীর স্বার্থে মুসলমানরা যদি আজকে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু, মর্মোন কিংবা সাইন্টোলজিস্ট হয়ে যায় তাহলে আপনার কথিত ওই দুই একজন খারাপ মুসলমান যারা কিনা মাটিতে শুইয়ে নিরীহ মানুষ জবাই করে, কর্নার্ড হয়ে পড়বে। তাদের পেছনে কষে গদাম হাকানো সহজ হবে তখন সংবেদনশীল মানব সম্প্রদায়ের জন্য। এখনকার মিলিয়ন মিলিয়ন ভালো মুসলমান এই কাজটাই দুরুহ করে তুলছে।
@আল্লাচালাইনা,
ইয়ে, আলোচনা মূল পোস্টের সাথে অপ্রাসংগিক হয়ে যাচ্ছে।
তবুও লঘুভাবে জেনারালাইজড একটা মন্তব্য করি।
আসলে মাটিতে ফেলে যেমন জবাই করে এক পক্ষের লোক। তেমনই মাউসের দুয়েক ক্লিকেই কয়েক লক্ষ মানুষকে হত্যা (ইরাক/প্যালেস্টাইন) এবং আরো মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষকে দুর্বিসহ জীবনের দিকে ঠেলে দেয় আরেক পক্ষ। তাহলে কে বেশি অমানুষ?
উভয় দিক বিচারে ধর্মীয় গোড়ামির বিপক্ষে বলতে গিয়ে তাই এ ধরনের উদাহরণ টানাটা বক্তব্যকে দুর্বল করে ফেলে।
@তানভীরুল ইসলাম,
(Y)
মাউস ক্লিক করনেওয়ালারা তো আর জানোয়ারের মতো আল্লাহু আকবর ধ্বনি দেয় না। বরং শিক্ষিত, স্মার্ট তারা। বোমায় মানবতাবোধ বেঁধে বিভিন্ন জানোয়ার দেশে বিতরণ করে। জানোয়ার পিটিয়ে মানুষ করনেওয়ালারা কি আর অমানুষ হতে পারে? যুক্তির অভাব হবে না।
@আল্লাচালাইনা, ফুয়াদ এখানে অপ্রাসংগিকভাবে ধর্মের কথা এনেছে, কিন্তু guys like you are more than enough to turn a non-believer into a raving Jihadi! জাস্ট সামান্যতম রেসপেক্ট পুনরুদ্ধারের আশায়, কোন ধর্মে জন্ম হয়েছিলো জানতে পারি কি?
অস্কার শিন্ডলার নাৎসী পার্টি মেম্বার হলেও রোমেল কখনই নাৎসী ছিলো না।
@আল্লাচালাইনা,
বেহুদাই মনে হয় অনেক কথা বলে গেলেন।
ফুয়াদের কোট করা ফারুক সাহেবের উদ্দেশ্যে আপনার প্রথম কোট করা অংশটুকু তো প্ল্যাগিয়ারিজমের কারনেই তাকে জাত তুলে গাল দেওয়া ইন্ডিকেট করে, নাকি?
আমার কাছে সেটাই সূস্থ সংস্কৃতি মনে হয় না। হতে পারে যে উনি নিজ ধর্মের স্বার্থে কাজটি করেছিলেন যা এই মুহুর্তে আমি নিশ্চিত নই। যে কারনে সালমান এফ রহমান শেয়ার চুরি করলে মুসলমান সালমান চুরি করেছে বলা অশোভন তেমনি মুসলমান ফারুক বা হিন্দু এনসি দাস চুরি করেছে বলাটাও খুবই অশোভন। এ ধরনের পাঠ অতি মৌলিক বলেই সব সমাজে স্বীকৃত।
ডবল ষ্ট্যান্ডার্ড নীতি তো ব্যাক্তি বিশ্বাস সাপেক্ষে যে কোন লোকেরই এড়িয়ে চলা উচিত। কেউ একই কাজের জন্য জাত তোলা গাল খেলো আর কেউ পুরো বই জালিয়াতি করেও জাত বিষয়ক কোন গাল খেলো না এটাকে কি সুবিচার বলা চলে? আমি মুক্তমনা সংস্কৃতি বলতে যা বুঝি তাতে একে ফেয়ার বলে না।
আপনি যদি মনে করেন যে আপনি কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকেই কেবল গাল দেবেন সে আপনার ব্যাপার, আমার তাতে তেমন কিছু বলার নেই। সেটা আপনার ব্যাক্তি অধিকার। আমারও তেমনি অধিকার তাতে প্রতিবাদ করার।
আজ যদি আমি ফারুক সাহেবের গাল খাওয়াকে সমর্থন করি তবে কোন মুখে আমি কাউকে লেজ কাটা বামুন গাল দিলে তার সমালোচনা করি?
কে প্রসংশা করল কে বলল তা নিয়ে আমি এমন কিছু মাথা ঘামাই না, যা মনে হয় বলি। ফুয়াদ বা রায়হান সাহেবের প্রসংশায়ও আমার কিছু যায় আসে না, আমার পেছনে তেমনি রায়হান সাহেব কি কি উন্মাদীয় প্রলাপ বকেন তাতেও কিছু যায় আসে না। জিজ্ঞাসা করছেন বলেই বলছি; গত বছর আমার ব্লগে বর্ষ সেরা ছাগু প্রতিযোগিতা হয়েছিল নেহায়েত মজা করতে। সেখানে একজন রায়হান সাহেবের নামও প্রতিযোগির তালিকায় তুলেছিলেন। আমি তাতে আপত্তি করেছিলাম কারন রায়হান সাহেব ধর্ম রক্ষার নামে অনেক কিছু লিখলেও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কিছু লিখতে ওনাকে কোনদিন দেখিনি। এর আরেকটি কারন ছিল এই যে ইসলামিষ্টরা প্রায়ই দাবী করেন যে ইসলামের কথা বললেই তাদের রাজাকার ট্যাগ করা হয়, এই অভিযোগের পথও বন্ধ করা।
একটি ছোট্ট প্রশ্ন- কোন নাম করা লেখকের বই অনুবাদ করার আগে লেখকের অনুমতি লাগে কী না? অনুমতি না নিয়ে অনুবাদ করে প্রকাশ করাকে চুরি বলে কী না? আঁদি লেখকের নাম দিলেই কি সেটা আইনসম্মত হয়ে যাবে?
বিভিন্ন ফোরাম বা ওয়েবসাইটে অখ্যাত কোন লেখকের লেখা (বই নয়) ভাল লাগলে সেটা শেয়ার করার জন্য আংশিক অনুবাদ বা ভাবাবলম্বনে লিখে ব্লগে প্রকাশ করা চুরি কী না? (যেমনটি আমি করে থাকি।:-( ) এক্ষেত্রে লিণ্ক দেয়া কতটা জরুরী? লিঙ্ক দিলে কি সেটা আইনসম্মত হয়ে যাবে?
@ফারুক,
এটা + এই সাইট
থেকে জানতে পারলাম কোনো লেখকের বই অনুবাদ করার আগে লেখকের অনুমতি লাগে।
@সহৃদয়,
আপনার দেয়া লিঙ্ক দুটোই পাবলিশ করা সংক্রান্ত প্রশ্ন। তানভীরুল তার অনুবাদ পাবলিশ করতে গেলে অনুমতি লাগবে। কিন্তু ব্লগে অনুবাদ প্রকাশ বেআইনি নয়। এখানে আর্থিক লাভের বিষয় নেই।
@ফারুক,
বইতে বিশেষভাবে উল্লেখ করে না দিলে অনুমতি ছাড়া অনুবাদ করে সেটা দিয়ে আর্থিকভাবে লাভ না করলে সেটা বেআইনি না। তবে, যে ব্লগে প্রকাশ করা হবে, সেখানের নিয়মকানুনের উপর বাকিটা নির্ভর করবে তখন। যেমন, ব্লগ কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে, তাহলে যেখান থেকে মূল অংশ বা ভাবটা নেয়া হয়েছে, সেটার সূত্র উল্লেখ বাঞ্ছনীয়। তবে, শেষেরটা আইনের বিষয় না। ব্লগ কর্তৃপক্ষের কথা না শুনলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ সেটার জন্য ব্যবস্থা নিতে পারে। এ ব্যাপারে কোনও আইনি বাধা নেই।
একটি ছোট্ট প্রশ্ন- কোন নাম করা লেখকের বই অনুবাদ করার আগে লেখকের অনুমতি লাগে কী না? অনুমতি না নিয়ে অনুবাদ করে প্রকাশ করাকে চুরি বলে কী না? আঁদি লেখকের নাম দিলেই কি সেটা আইনসম্মত হয়ে যাবে?
বিভিন্ন ফোরাম বা ওয়েবসাইটে অখ্যাত কোন লেখকের লেখা (বই নয়) ভাল লাগলে সেটা শেয়ার করার জন্য আংশিক অনুবাদ বা ভাবাবলম্বনে লিখে ব্লগে প্রকাশ করা চুরি কী না? (যেমনটি আমি করে থাকি)। এক্ষেত্রে লিণ্ক দেয়া কতটা জরুরী? লিঙ্ক দিলে কি সেটা আইনসম্মত হয়ে যাবে?
ভেবেছিলাম শরিয়তি কায়দায় চোরের দুই হস্ত কেটে দেবার রায় জানাবো (রূপক)। চোর সাহেবের কিঞ্চিত অনুশোচনার কারনে আরেকটু লঘু শাস্তি চিন্তা করতে হচ্ছে।
তবে শাস্তি ফাস্তি বড় কথা না, কিভাবে এই ধরনের চৌর্যবৃত্তি বন্ধ করা যায় তার কার্যকরি ব্যাবস্থা সিরিয়াসলি চিন্তা করা দরকার। সবগুলো ব্লগ অন্তত এ ব্যাপারে একটি মিলিত অবস্থানে আসতে পারে।
@আদিল মাহমুদ ও অন্যরা,
বহুদিন পর আপনাদের মুক্তমনায় কমেন্ট করতেছি। আদিল ভাইয়ের সাথে মাঝে মধ্যে আমার কথা হয়, বাকিদের লেখা আর কমেন্ট পড়ি মাঝে মধ্যেই। আশা করি সবাই ভালই আছেন।
যাইহোক, কিছুদিন আগে মুক্তমনায় দেখেছিলাম, ব্লগার ফারুক সাহেবের একটি অনুবাদ যেখানে মূল লেখকের নাম কিংবা লিংক উল্লেখ ছিল না। তবে লেখাটি ব্লগার ফারুক সাহেবের নিজের কষ্টের অনুবাদ-ই ছিল, তবুও এর উপর উনাকে কি কি শুনতে হয়ে ছিল তা দেখেনঃ
আল্লাচালাইনা এর জবাব:
জুন ১st, ২০১১ at ৪:৩৪ অপরাহ্ণ
আল্লাচালাইনা এর জবাব:
জুন ৩rd, ২০১১ at ৬:৫০ অপরাহ্ণ
আমার বল্ড করা অংশগুলি দেখলেই বুঝতে পারবেন, ব্লগার ফারুকের দোষের জন্য তার জাতিকে গালি খেতে হল, কিন্তু ঐ তুলনায় বেশ বড় অপরাদ করেও দোষ শুধু ঐ ব্যাক্তির ই। এই ঘটনা কি প্রকাশ করে, তা যে কোন বিবেক সম্পন্ন সাধারন মানুষ বুঝতে পারবে। আমার এই মন্তব্যদেখে অনেকের মাথা গরম হয়ে উঠতে পারে, অপ্রাসংগিক ভাবে আমাকে ব্যাপক কথার যুক্তি তর্কের মধ্যে ফেলে দিতে পারেন। তবে যাইহোক, খোলা মনে ব্যাপারটি নিয়ে মুক্তমনার ফরিদ ভাইকে ভাবার জন্য অনুরোধ করব। উনাকেই বেশ লিবারেল মনে হয়। কেন জানি কয়েক জন বাদে এই ব্লগের বেশীর ভাগকে মনের জেল-এ বন্দি মনে হয়, খোলা মন তাদের নেই, তারা যেন এমন, “ঘটনা যাইহোক দোষ সব ইসলামের, খারাপ শুধুই মুসলিমরা”। ফরিদ ভাই যেন ভুলেও না ভাবেন উনাকে তেল দেওয়া হচ্ছে, কারন আমার মন্তব্যের প্রতি উত্তরেই উনার চিন্তার গভীরতা প্রকাশ করবে। সবাই ভাল থাকুন।
@ফুয়াদ,
এখানে কিছুটা অপ্রাসংগিক হলেও অভিযোগে যুক্তি আছে।
ব্লগার ফারুক প্ল্যাগিয়ারিজম করলে তা তার দায়, কোন জাতির নয়।
@আদিল মাহমুদ,
থ্যাঙ্কস। কিছুটা অপ্রাসংগিকতার জন্য আমি দুঃখিত কিন্তু অপ্রাসংগিকতার ভিতরেও বেশ প্রাসংগিকতা লুকানো আছে, তাই ভাববার বিষয়। অভিযোগ বুঝতে পারার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ, অভিযোগটা বুঝলাম। ব্লগে কিন্তু কথার পিঠেই কথা আসে…
একে তো চুরি আবার চুরির উপর বাটপারি আর শিনাজুরি।চুরি করে মহাপন্ডিতের খাতায় নাম লিখাতে চায় এন,সি দাস , অথচ বুঝে না যে এমন চুরিবিদ্যা নিজের জীবনে তো কোন কাজে যেমন আসে না তেমনি দেশ ও দশেরও কোনো কাজে লাগে না।। আমাদের জাতির আসলে এমন অধোপতন হয়েছে যে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সকলস্থরে শুধু চুরি আর চুরির মেধাই বেড়েই চলছে।:-[
এন,সি দাসের মতো আর যেন কেউ এমন চুরি করতে না পারে তার জন্য মুক্তমনারসহ সকল ব্লগাদের এখনই সজাগ দৃষ্টি রেখে সামনে আগাতে হবে।সাথে সাথে এমন কাজের জন্য আইনি কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি-না তারজন্যও আইনবিভাগের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
খুব জঘন্য, ঘৃন্য, আর লজ্জাজনক কাজ। এর কি বিহিত ব্যাবস্থা হবে জানার ইচ্ছে থাকল। একজন কষ্ট করে লিখবে অন্যজন বেমাউল গায়েব করে নিজ নামে ছাপাবে- কি আর বলি।
সমরেশ মজুমদার, সুনীলের বই ও শুনেছি নিজ নামে বাংলাদেশে ছাপাচ্ছে কেউ কেউ- কি বিচিত্র ব্যাপার :-O
অনেক কষ্টে অনুবাদটা শেষ করেছেন । মুক্তমনার অনেক পাঠকও এই অনুবাদের সাথে, কিছুনা কিছু জড়িত । চাইলেই কেউ চুরি করবে, এটা হতে পারে না ! ওই বেটা যদি বই প্রকাশ করে, তাহলে আমরা সবাই কোর্টে যাব ।
ধন্যবাদ
http://www.facebook.com/pages/Mohachor-NC-Das-Fan-Page/124607284288828?ref=hnav#!/pages/Mohachor-NC-Das-Fan-Page/124607284288828?v=wall
মহাচোর এর ফ্যান পেজ খুলিলাম। সকলে সমবেতভাবে এই ফ্যান পেজ এ লাইক দিয়া মহাচোর এর গুণগান করুন।
Shame ! Shame!! Shame !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
মহাচোর জিন্দাবাদ। ঘরে ঘরে এই চোরের ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হোক।
এর কি কোনো ছবি পাওয়া যাবে? বাই মিস্টেক হলেও একটা ছবি দেন প্লিজ।
এই চুরি করা অনুবাদ গুলো কখনো পড়িনি ,তবে আমার ব্লগ এ N.C Das এর অন্যান্য লিখাগুলো মোটামুটি যত্ন নিয়েই পড়তাম | এখন মনে হচ্ছে তার ঐ লিখাগুলোও চুরি করা | এখন নিজের জন্যই মায়া হচ্ছে | আহা , তাকে কতই না great ভাবতাম !!!! :-Y
@প্রকৃতেয়া,
কত কিছুই তো দরকার । বাংলাদেশে দরকারের তো আর অভাব নেই । কিন্তু বড্ড অভাব ইঁদুরের, যে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে ।
এমন মেজাজ গরম লাগছে…বেটা নাকি ভুলে করছে, ভুলে একটা লেখা চুরি কইরা ১৪ জাগায় ছাপাইয়া প্রকাশেরও প্রস্তুতি লইতাছিল? আমার ইচ্ছা করতাছে ভুলে জোড়া বেত দিয়া কতক্ষন বাইরায়া আসি…এমন এমন গালি আসতেছে মনে যেগুলা লেখা সম্ভব না।
তানভীর ভাই, তাড়াতাড়ি ই বুক বানায়া ফেলেন, আর বইটা প্রকাশ করে ফেলেন…এত দারুণ আর হাড়ভাঙ্গা থুক্কু মাথা ভাঙ্গা পরিশ্রমের একটা কাজ চুরি হইলে তো একটা খুন করতে মন চাওয়ার কথা… আমি লোকটার স্পর্ধা দেখে অবাক হইছি…আমার জীবনের সবচেয়ে অবাক করা ডায়লগ “it has all done by mistake”!!!!!!! :guli: :guli: :guli: :guli:
ছেলেটা আমাদের ব্যাচ এর মনে হচ্ছে, আমিও ২০০৮ এ পাস করেছি। আমার এক বান্ধবী এ আই ইউ বি তে পড়ে একই বিষয়ে। দেখি ওকে জিজ্ঞেস করব আর এই ছেলের জালিয়াতির ব্যাপারে সবকিছু জানাব যাতে ওর পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জানে ওর কুকর্ম। সবারই সাবধান থাকা দরকার
@লীনা রহমান,
:lotpot: :lotpot: ব্যাটা ভাল ফান্দে পড়সে :)) !! মশায়ের গার্লফ্রেন্ড থাকলে তাকেও জানাতে হবে, যাতে ঝেটিয়ে বিদেয় করে দেয়। ব্যাটা চুর :hahahee:
চোর কে ধিক্কার।
মামলা জিনিসটাকে বরাবরই ভীষণ ভয় হয়। আসামীর পাশাপাশি বিবাদিও খুব ভোগে আমাদের দেশে। তাই, তার চেয়ে বরং এন সি দাসের বন্ধুমহলে ও পরিচিতমহলে এই ব্রেকিং নিউজটা প্রকাশ ও বিস্তার করা খুব দরকার, যাতে প্রতিনিয়ত এই চুরির দায় তাকে মনোপীড়া দেয়। হয়তো এ পীড়াই একদিন তার বোধোদয় ঘটাবে (যদিও সে আশা ক্ষীণ)। এন সি দাসের মতো মানুষেরা মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠুন – এই প্রত্যাশায়।
মহাচুর মহোদয় মনে হয় ভয় পাইছে। তাই এখানে এসে মিথ্যা মেশায়ে সরি বলেছে। তার কপালে ছেড়া জুতা।
মহাচুর N C’র বিরুদ্ধে সব রকম ব্যবস্থাই নেয়া হোক।
অবাক হলাম…এতো ভয়াবহ চুরি…..
প্রথম আলো ব্লগে ডাউনলোড লিঙ্ক দিয়েছিল সে..এখন
সরিয়ে ফেলেছে… তাকে চ্যাপটার ওয়াইস পোস্ট দিতে মন্তব্য করেছিলাম..
এখন পোষ্টটা দেখছি না। এটা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ…
তানভীরুল ইসলাম ,আমার সমবেদনা,,
আপনার অনুমতি থাকলে আমি এই পোষ্ট প্রথম আলো ব্লগে দিতে চাই…
@কাজী মাহবুব হাসান,
হ্যাঁ দিতে পারেন। এ ধরনের ঘটনা সবার নজরে আনা উচিৎ।
@তানভীরুল ইসলাম,
ধন্যবাদ
পোষ্টটির লিঙ্কটা।
এন সি ওয়ার্ল্ড-এর ওয়েবের গেস্ট বুকে লিখে দিয়ে এলাম অতি ভদ্র ভাষায়: আপনার ওয়েব ডিজাইনের প্রশংসা করি; কিন্তু আপনার চরিত্রকে ঘৃণা করি। বিনা অনুমতিতে এভাবে অন্যের পরিশ্রমলব্ধ অনুবাদ অন্যত্র প্রকাশ করা ভীষণ অন্যায়। ভবিষ্যতে সাবধান না হলে অন্যের নিকট থেকে ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই পাবেন না। কোন লেখা বা অনুবাদ ভালো লাগলে অনুমতি নিতে আপত্তি কোথায়?
চুরি খুব অন্যায় কাজ। মেনে নেওয়া প্রশ্নই ওঠে না। তবে চুরি করে NC নিজের ভুল স্বীকার করে সবার সামনে ক্ষমা প্রার্থণায় বাধ্য হয়েছে সেটাও কম অর্জন নয় তানবীর।
চুরি করে সবার সামনে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য NC কে সাধু বাদ জানাই। সামনের দিন গুলোতে এই সব চুরি দারি বাদ দিয়ে নিজের যোগ্যতা বলে কিছু করতে চেষ্টা করবেন বলে আশা রাখি।মনে রাখবেন মিথ্যা সুনাম কামানোর চেয়ে নিজের মান ইজ্জত নিয়ে বেঁচে থাকাও কম অর্জন নয়।
@রাজেশ তালুকদার,
দাদা, সে ভুল স্বীকার করেনি, চুরি ঢাকতে গিয়ে আরেকটা মিথ্যাচার করেছে, বলছে, অল ডান বাই মিসটেইক। অর্থাৎ বলতে চাইছে সে ইচ্ছে করে নাই। অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুলের নাম মিসটেইক, চুরির নাম মিসটেইক নয়, ভুল করে কেউ চুরি করেনা। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ।
সরি বলে যেন এই লোক ই-পৃথিবী বা ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের মত গ্রুপগুলোর সাথে যুক্ত না থাকতে পারে ভবিষ্যতে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আরো কি কি গ্রুপের সাথে যুক্ত আছে সেগুলো খুজে বের করা দরকার। সেই সাথে তার বিশ্ববিদ্যালয়েও জানিয়ে রাখা উচিত। না হলে দেখবেন অন্যের থিসিস নিজের নামে চালিয়ে দিচ্ছে। সাবধানের মার নেই। দুনিয়ার সব চোর আর বদমায়শই ধরা খেলে সাধু বনে যায়।
CLICK HERE and put the Flight Confirmation Number: STS134P000118699422 You will have my certificate Given by NASA. Thanks to all.
@তানভীরুল ইসলাম
I am sorry for that. It has all done by mistake. Please forgive me.
@NC, বেশ ভালো কথা this has all been done by mistake, কিন্তু আমি আরেকটু বিস্তারিত জানতে আগ্রহী if you kindly and possibly may! ঠিক কি কি সিকোয়েন্স অফ ইভেন্ট পর্যবসিত হলো এতোটা বড় একটা ভুলে 😀 ? ভুলটা নাহয় জানলাম, কিন্তু আমি এর মেকানিজিমটা জানতে আগ্রহী।
এইটা যথেষ্টই ফ্রাস্ট্রেইটিং একটা ঘটনা নিঃসন্দেহে, একজন মানুষকে পরবর্তী এক কি দুই সপ্তাহের জন্য ক্ষণে ক্ষণে লুজার লুজার বোধ দেওয়ার জন্য যেটা কিনা যথেষ্ট! তবে পজিটিভলি চিন্তা করতে গেলে এইটাও কিন্তু একপ্রকারের অর্জন, অভিজিত রায়, তানভীরুল প্রমুখের লেখাই মানুষজন মেরে দেয়। সম্ভবত কেননা এতোটা চমতকার জিনিষপত্রই তারা লেখে যেটা দেখে কিনা তষ্করের মনে হয় যে- ‘নাহঃ, এই লেখাটা মেরে দিতেই হবে’! Whereas, হযরত ফারুকের লেখা তারা মারে না, কিংবা মারে না আমার লেখাও। তানভীরের কষ্টসাধ্য কাজের জন্য তাকে আবারও সাধুবাদ জানাচ্ছি এবং শেয়ার দিচ্ছি তানভীরের লেখা ফেইসবুকে ঘটনা বিস্তারিত বর্ণনা পুর্বক।
@আল্লাচালাইনা,
আরে তানভীর তো চুনাপুঁটি, সয়ং নাসা নাকি উনাকে ‘নকল সার্টিফিকেট’ দিয়েছে মহাকাশ পরিভ্রমণের পুরস্কার হিসাবে। :)) বুঝুন ঠ্যালা। আমি উপরে রায়হানের দেয়া লিঙ্ক থেকে উনার ফেসবুকে গিয়ে সকালেই সার্টিফিকেটের ছবি দেখেছিলাম। এখন পাব্লিকের গালি খেয়ে মনে হয় ফেসবুকের প্রথম পাতা অনাহূত দর্শকদের দর্শন মুক্ত রাখার ব্যবস্থা করেছেন। আর ‘এঞ্চিদাচ’-এর চুরির মেকানিজম নিয়ে আর কি বলব? তানভীরের নিজেরই নিশ্চয় সন্দেহ হতে শুরু করেছে – সত্যই কী উনি গ্রান্ড ডিজানের অনুবাদ কখনো করেছিলেন? 😕 :-s
আরেকটা মজার তথ্য, এন সি দাসের নিজের ওয়েব সাইটের অমোঘ বানী –
“Stay true to yourself “!
@NC,
আফনে বইডা ভুলে অনুবাদ কইরা লাইলেন?? শাব্বাস বাঙ্গালী। বাঙ্গালী ভুল করলে কী না করতে পারে।
:-X
@NC,
গুয়োর্তমি না করে সবার সামনে সরি বলতে পেরেছেন দেখে আপনার উপর প্রথমে যা রাগ লাগছিলো তার অনেকটাই কমে গেছে।
তবুও এটা বেশ দেরি হয়ে গেছে কিনা তাই কিছু সুন্দর সুন্দর ফিডব্যাক পাবেনই :))
সত্যি কষ্টের ব্যাপার।এতো পরিশ্রমের ফল অন্যের হাতে এভাবে নষ্ট হতে দেখলে অপমান আর আক্রোশ বোধ হয়।
আমার মনে হয় সবার আগে আমরা জারা জেনেছি তাদের ফেসবুকে তার প্রোফাইল সম্পর্কে রিপোর্ট করা প্রয়োজন।
We need to make him famous. ঘরে ঘরে এই চোরের নাম ছড়িয়ে দেয়া হোক।
@রৌরব,
তার শিক্ষকবৃন্দ এবং নিকট বন্ধুদের মধ্যে আগে ছড়ানো হউক।
কথা হইলো সেই সমালোচিত N C Das এর সাথে। (N) নিচে স্ক্রিনসট দিলামঃ
——————————————————–
[img]http://i.imgur.com/pcHMe.jpg[/img]
সচলের এই ব্লগে দেখলাম “দ্যা গ্রান্ড থেফট” কমেন্ট করেছে
আরেকজনের অনুবাদ নিজের অনুবাদ হিসেবে চালিয়ে বই প্রকাশের চেষ্টা করে, তারপর স্যরি বললেই সব মাফ হয়ে গেলো? কস্কি মমিন :-X
এরকম ঘটনা ঘটবে জেনে অনেকেই কষ্ট করে এখন লিখতে চান না। এসব লেখা তৈরী করতে কি রকম শ্রম প্রয়োজন কেবল যারা লেখেন শুধু তারাই বুঝবেন।
এই চোরের ব্যপারে ‘বিশেষায়িত ব্যবস্তা’ নেয়ার জন্য আমার পক্ষ থেকে কোন সাহায্যের প্রয়োজন হলে , যোগাযোগ করতে লজ্জা করবেন না।
@তানভীরুল ইসলাম
আপনার ১ম আধ্যায়টা পড়ে এতো ভাল লেগেছিল, পরের কয়েক দিন মুগ্ধ বার বার পড়তাম।পরে ৭টা আধ্যায় আপনার ছবি সহ কপি করে আমার অনেক বন্ধু কে পরতে দিয়ে ছিলাম, তারা সবাই মুগ্ধ এবং থ। আমি আমার বন্ধুদের বলেছিলাম এ ছেলে এত অল্প বয়সে চমতকার অনুবাদ করে।আজ সত্যি খুব খারাপ লাগছে , কুলাঙ্গার N C Das চোর টারে মাইর দিতে ইছা করছে।
তানভীর ভাই,
এখন প্রথম যে কাজটা করবেন সেটা হল ফেসবুকে জানান। ব্যাটার প্রোফাইল আগে বন্ধ হোক। তারপরে মুক্তমনার কপিরাইট সহকারে বইটা ইবুক হিসেবে রাখেন।
আর পাঠক সবাইকে অনুরোধ করজোড়ে, আপনারা যেই এইলেখাটা পড়ছেন তারা সবাই লেখা ফেসবুক বা যেকোন সোস্যাল মিডিয়াতে শেয়ার দেন। তাতে করে বেশী মানুষের চোখে পড়বে।
অপেক্ষায় রইলাম কেষ্ট ব্যটার জেল দেখার জন্য। :-X
@এডমিন,
পোষ্টটাকে কি স্টিকি করা যায়, কারন মুক্তমনাত প্রতিদিন অজস্র পাঠক আসে। তাতে করে করে সবার চোখে পড়োবে ব্যাপারটা।
নিজস্ব চিন্তা আর কি।
@সাইফুল ইসলাম,
সহমত জানালাম। অন্তত এক সপ্তাহের জন্যে পোষ্টটা স্টিকি করে রাখা হোক। এর মধ্যে তানভীর বইটা ই-বুক বানিয়ে ফেলো।
ভাল জিনিসই লোকে চুরির চেষ্টা করে। কাজটা যে খুব ভাল হয়েছিল সেটা অন্তত বোঝা গেলো চুরির ঘটনা থেকে।
হতাশ হবার কিছু নেই তানভীর। সাথে আছি আমরা।
এই হলো ফেসবুক প্রোফাইল।
আসলেই ধরে পেটানো দরকার।
আমি প্রতিবাদ করে আসলাম।
তবে প্রথম বার ভেবেছিলাম, ওটাও বোধহয় আপনারই নিক। পরে ভুল ভাঙ্গল।
মুক্তমনা থেকে আগেও বেশ কিছু লেখা চুরি হয়েছে। রণক ইকরাম নামের এক সামহোয়্যার ইনের ব্লগার দিগন্ত সরকারের ডারউইন থেকে ডাবল হেলিক্স লেখাটা পুরোটা চুরি করে এক পেপারে নিজের নামে ছাপিয়ে দিয়েছিলেন (দেখুন – এখানে)। বিপ্লবের একটা লেখা নিয়েও এক ভদ্রলোক এক পত্রিকায় কলাম লিখে দিয়েছিলেন। ফরিদ আহমেদের আমাদের বীরাঙ্গনা নারী এবং যুদ্ধ শিশুরাঃ পাপমোচনের সময় এখনই নামের একটা লেখা একজন কপি করে প্রথম আলো ব্লগে ছাপাতে শুরু করে দিলেন নিজের নামে। আমার চোখে পড়ায় পরে উনি নীচে ফরিদ আহমেদের উৎস অবলম্বনে গোছের কিছু একটা যোগ করে দেন। এগুলো অহরই ঘটে চলেছে।
আমারও বহু লেখার লাইন বাই লাইন আমি কাট এণ্ড পেস্ট অংশ অনেক ‘ব্লগ লেখকের’ লেখায় দেখেছি। ইউনিকোড আসার পর ব্যাপারগুলো আরো বেড়েছে। এক ব্লগ থেকে কপি করে নিয়ে আরেক ব্লগে সটান ঢেলে দেয়া। এর চেয়ে ঘৃণ্য কাজ আর কি হতে পারে। কিন্তু পুরো বইয়ের অনুবাদ যে কেউ নিজ নামে হাতিয়ে নিতে পারে তা এই কুলাঙ্গার এন. সি. দাস এর কাজ না দেখলে বোঝা যেত না। এটাকে চোর ডাকলে চোরেরও অপমান হবে।
আমি তানভীরকে দুটো কাজ তাড়াতাড়ি করতে বলব। গ্র্যান্ড ডিজাইন বইটি তাড়াতাড়ি প্রকাশ করে ফেলা। এবং ইবুক হিসেবে একটা কপি মুক্তমনায় রেখে দেয়া, কপি রাইট সহযোগে। প্রথম কাজটা তাকেই করতে হবে উদ্যোগ নিয়ে। আর দ্বিতীয়টার ব্যবস্থা আমি করছি তার পুরো লেখা ডকুমেন্ট আকারে পেলে।
@অভিজিৎ,
পোস্টগুলোর প্রাথমিক ভার্সন ডকুমেণ্ট আকারে লেখা হলেও। ব্লগে আসার পরে অনেক খানি ইভল্ভ করেছে মূল অনুবাদ। সেটা একত্র করে এডিট করা হয়েছে। তবে আমার কাছে এখন নেই। জোগাড় করতে পারলেই আপনাকে মেইল করে দেব।
আর আমিও আজ সকালে, এই কান্ড দেখে বিরক্ত বা ক্রুদ্ধ হবার বদলে অবাকই হচ্ছিলাম বেশি!
চরম হতাশা জনক। তবে মানুষ যে এই চৌর্যবৃত্তির বিরুদ্ধে থাকে সেটাই একমাত্র আশার খবর।
আসল কথা হলো, তোমার নিজের বই প্রকাশের অগ্রগতি কতদূর? এই বিষয়ে আপডেট জানাও। কোন প্রকাশকের সাথে কি কথা হয়েছে? এখন তো দেখতে পাচ্ছো যে এভাবে ফেলে রাখলে অন্য কেউ আবার বের করে ফেলবে। বই মেলার জন্যে না বসে থেকে বইটা বের করে ফেলো। বই মেলাতে আবার নুতন করে সংস্করণ বের করতে পারো।
চৌর্যবৃত্তির নমুনা দেখে আশ্চর্য হলাম। এত কষ্ট করে লেখাটি এভাবে নেট থেকে চুরি করে নিজের নামে চালাবে ভাবতে গেলেই কেমন ঘৃণা বোধ করছি।
আপনার লেখাটি পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি অনেকের কাছেই শেয়ার করেছি। প্রথম দুপর্ব নেট থেকে নিয়ে কাগজে প্রিন্ট করে নিয়ে অন্যদের পড়তেও দিয়েছি। তবে তার আগে ফেসবুকে আপনাকে মেসেজ করে অনুমতি নিয়েছিলাম।
সিরিয়াসলি বলছি, পেটাতে চাই।
What is the link of his facebook profile?
তার ফেসবুক পেইজে গিয়ে দেখালাম। পুরাপুরি অসুস্থ পাবলিক! নাসার সার্টিফিকেটগুলাও তো দেখা যায় নকল। ছবি কনটেস্টে দেওয়া ছবি। একটু মাটি খুঁড়লে সেগুলোর উৎপত্তিস্থলো পাওয়া যাবে। এর নামে অফিসিয়ালি কমপ্লেইন দেওয়া দরকার। তার বিশ্ববিদ্যালয় AIUB তে পরিচিত কেউ ইইই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক হিসেবে থাকলে তাদের বিষয়টা জানানো দরকার! হতাশ ফিল করতেছি!
আগে ফেসবুককে জানাও এবং সেই ব্যাক্তির প্রোফাইল ডিলিট করতে বল।
সব জায়গাতে চোরের পরিচয় প্রকাশ করা হোক। সবাই অন্তত চীনতে পারবে।
অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য!
আমার ব্যাপারটা বেশ স্পর্শকাতর!
বাংলাদেশের নূতন শিক্ষানীতিতে আমার “বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে
কিছু কথা” (মুক্ত মনায় আছে) লেখাটার হুবহু কয়েকটা লাইন আছে।
জলপাই সরকারের সময় লেখাটা দেশের দু’একটা পত্রিকায় পাঠিয়েছিলাম!
কিন্তু ছাপা হয়নি অদ্ভুদ ভাবে তা জায়গা করে নিয়েছে শিক্ষানীতিতে!
পরে বিভিন্ন পত্রিকা পড়ে আঁচ করতে পেরেছি এর পেছনে ছিলেন
এক স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ যিনি বাসে করে পুস্তক বিতরন করে আগামী
প্রজন্মের মনোজগৎ আলোকিত করেন!
বড়ই সত্য কথা। চোর চোট্টায় দেশটা ভরে গেলো।
বাংলাদেশের আইনে কী এর নামে মামলা দায়ের করা সম্ভব হবে?
এ ধরনের চৌর্যবৃত্তি ঠেকানো না গেলে ভবিষ্যতে সচল, মুক্তমনা ইত্যাদি ইত্যাদির সব ব্লগাররাই বিপদে পড়ে যেতে পারেন।
ব্যাপারটাকে পাবলিকে নিয়ে আসা দরকার
আপনি লেখাটা একটা মাত্র জায়গায় প্রকাশ করেছেন। আর কেষ্টা ব্যাটায় করেছে দশটা জায়গায়। সংখ্যা বিচারে সেই লেখাটার প্রকৃত মালিক।
😀 😀 😀 😀 😀
বাংলাদেশে জন্মে মেধাস্বত্ব চুরি নিয়ে কেঁদে লাভ কী বলেন? বরং প্রার্থনা করেন যেন পাবলিশিং কস্ট চেয়ে না বসে।
ব্যাপারটা সবাই সিরিয়াসলি নেবেন এবং কড়া প্রতিবাদে চিহ্নিত চোর সবখানে ধরিয়ে দেবেন আশা করছি। এদেরকে প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায় বের করা দরকার।
অদ্ভুত আক্রোশ বোধ করছি। নিজের লেখা হলে কতটা খারাপ লাগতো তা ভাবতে পারছি না। মহাচোর এন. সি. দাশের কর্মকান্ড সবাই বন্ধুদেরকে জানান।
তানভীর ভাই, আদালতের ব্যাপারটা কি ভাবছেন? মামলা করা যায় না? একজনকে ছেড়ে দিলে তো এদের বংশ বাড়বে!
@অনার্য সঙ্গীত,
না রে ভাই। আদালত-হামলা-মামলা করা এই দেশে বিরাট ঝামেলা। তবে BdOSN থেকে তাকে বহিস্কার করা হবে বলে আশ্বাস পেয়েছি। এছাড়া ‘ই-পৃথিবী’ নামক যে পত্রিকায় সে ছিলো সেখান থেকেও।