১০ এপ্রিল বিকাল ৩টায় ধানমন্ডির ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অডিটরিয়ামে ভূমকিম্প বিষয়ক বিজ্ঞান বক্তৃতা
আগামী ১০ এপ্রিল, ২০১১ রববিার, বকিাল ৩টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অডিটরিয়ামে ভূমিকম্পের আশংকা: বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার এবং বিজ্ঞান বক্তৃতার আয়োজন করা হয়ছে। যৌথভাবে এই সময়োপযোগী এবং ব্যতক্রিমী আয়োজনটি করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিজ্ঞান সংগঠন ডিসকাশন প্রজেক্ট-এর উদ্যোক্তা এবং খ্যাতিমান বক্তা বিজ্ঞান বক্তা ও বিজ্ঞান লেখক আসিফ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান ও দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক মিজানুর রহমান খান উপস্থিত থাকতে সম্মতি জানিয়েছেন।
সেমিনারের মুক্ত আলোচনায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পেশাজীবীরা এবং ছাত্র ছাড়াও প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেবেন। সময়োপযোগী এবং গুরুত্বর্পূণ এ সেমিনারটি আমাদের দেশ এবং কংক্রীটরে নগরী ঢাকাকে ভূমকিম্প এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকেও রক্ষার ক্ষেত্রে বেশকিছু নির্দেশনা আসবে বলে প্রত্যাশা করছে। সেইসাথে এই আয়োজনের মাধ্যমে সম্ভবত উঠে আসবে বেশ কিছু গুরুত্বর্পূণ সুপারিশ, যা থেকে ভবিষ্যত র্কমপরকিল্পনার উদ্যোগ এবং চিন্তা প্রসারতি হবে। আমাদের প্রত্যাশা ইতিহাস বিজরিত ঢাকা শহরকে রক্ষায় কছিুটা হলেও সচতেনতার পথ উন্মোচিত হবে এই সেমিনারের মাধ্যমে।
খালদো ইয়াসমনি ইতি
ডিসকাশন প্রজক্ট
প্রয়োজনীয় যোগাযোগরে জন্য:
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অডিটরিয়াম
৪/২ সোবহানবাগ, মিরপুর রোড, ঢাকা।
(সোবহানবাগ মসজিদের উল্টো দিকে প্রিন্স প্লাজা)
যোগাযোগ: আনোয়ার হাবিব কাজল (০১৭১৩-৪৯৩০১৫)
জনসংযোগ কর্মকর্তা, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
থাকার চেষ্ঠা করব।
বাংলাদেশে ভুমিকম্প হলে রক্ষা নেই। ঢাকা শহর মানুষ আর দালানের যেরকম ঘনত্ব তাতে লক্ষ, অনেক লক্ষ্ প্রানহানি মোটেও অসম্বভ নয়। এছাড়াও বিপর্যয় প্রস্তুতির কোন খবর কখনো শুনিনি। টেলিভিশনে শুধু কয়েকজন ভূ বিজ্ঞানীর ভুমিকম্প হতে পারে এই ধরনের আশঙ্কা ব্যাক্ত করেছে, এ পর্যন্তই। দালান, রাস্তা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, জনসচেতনতা কোন বাপারেই গঠনমূলক কোন বক্তব্য দেখিনা। দুর্যোগ ত্রান বা জরুরী ব্যাস্থাপনা সন্মন্ধে কিছু শুনি না। অকল্পনীয় ধ্বংসস্তুপের উপর বাংলাদেশের মানুষ কি করে দাঁড়াবে ভাবতেও পারছি না। ভুমিকম্প হলে আর রক্ষা নেই।
সেমিনারের খবরটির চেয়ে এতে কী কী আলোচনা হলো, তার ওপর পোষ্ট দিলে ভালো হতো। 🙂
এক বাক্যে একজন ব্যক্তির এতো বিশেষণ! 😛
@বিপ্লব রহমান,
উপরন্তু মুক্ত-মনাকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহারও আমার ( ব্যক্তিগতভাবে) ভাল লাগেনি।
@গীতা দাস,
একমত।
@বিপ্লব রহমান,
এক বাক্যে একজন ব্যক্তির এতো বিশেষণ!
এ আর এমন কী। দেখুনঃ
নিজের সম্পর্কে: আসিফ, ডিসকাশন প্রজেক্ট, বিজ্ঞানবক্তা। কসমিক ক্যালেণ্ডার, সময়ের প্রহেলিকা, নক্ষত্রের জন্ম-মৃত্যু, প্রাণের উতপত্তি ও বিবর্তন, আন্তঃনাক্ষত্রিক সভ্যতা, জ্যামিতি প্রভৃতি বিষয়ে দর্শনীর বিনিময়ে বক্তৃতার আয়োজনের মাধ্যমে দেশে অভিনবত্ব এনেছেন। আসিফের বইয়ের সংখ্যা সাতটি।
@স্বপন মাঝি,
আপনি ত মশাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আসিফ ত তাও বাংলাদেশের মতন দেশে বিজ্ঞান চর্চার প্রসারে কিছু করছে। সে এটাকে পেশাদারি হিসাবে করে। এবং পেশাদারিত্বের কিছু দাবী সেক্ষেত্রে মেটাতেই হয়।
কোন কিছুতেই বাণিজ্য দেখলেই আপনাদের বামপন্থী টিকিতে সুরসুরি লাগে কেন?
এই ধরনের আদিম বাঙালী বামপন্থী মনোভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করুন। ভাবুন একটা ছেলে কতটা মনের জোর থাকলে বিজ্ঞান চর্চার প্রসারকে পেশা হিসাবে নিতে পারে। সেই কৃতিত্ত্বের বাহবা আসিফের প্রাপ্য।
@বিপ্লব পাল, (Y) :lotpot:
বাংলাদেশতে একটা পলির গভীর লে য়ারের ওপর বসে আছে। এখানে ভূমিকম্প হবে কিভাবে?
@বিপ্লব পাল,বাংলাদেশে প্রতিবছরই ৪ থেকে ৫ মাত্রার বেশ কিছু ভুমিকম্প নিয়মিত অনূভূত হয়। ইন্ডিয়ান প্লেট এবং ইউরেশিয়া প্লেট বাংলাদেশ থেকে বেশ দূর দিয়ে গেলেও একটা ৮/৯ মাত্রার ভুমিকম্প বাংলাদেশেও যথেষ্ঠ ক্ষতি করতে সক্ষম। আর বঙ্গোপসাগরের নিচে যে ফল্ট লাইন আছে সেখানে ভুমিকম্প হলে তো সুনামীর আশংকা আছে।
তাছাড়াও, বাংলাদেশ এবং আশেপাশের ল্যান্ড এরিয়াতেও বেশ কিছু ফল্ট জোন আছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বগুড়া ফল্ট জোন, ত্রিপুরা ফল্ট জোন, সাব-ডাউকি ফল্ট জোন, শিলং ফল্ট জোন, আসাম ফল্ট জোন, সিলেট ফল্ট এবং কোপিলি ফল্ট। এই ফল্টগুলা ৭ থেকে ৮.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার ক্ষমতা রাখে।
নিচে বাংলাদেশে এবং আশেপাশে ঘটে যাওয়া কয়েকটা ভূমিকম্পের তালিকা দিলাম:
তারিখ, সাল —- অঞ্চল/নাম — মাত্রা
————————————————
১৫ আগস্ট, ১৯৫০ — আসাম — ৮.৫
১৫ জানুয়ারী, ১৯৩৪ — বিহার নেপাল — ৭.০
৮ জুলাই, ১৯১৮, শ্রীমঙ্গল — ৭.৩
১৪ জুলাই, ১৮৮৫ — বেঙ্গল — ৭.০
১২ জুন, ১৮৯৭ — গ্রেট ইন্ডিয়ান — ৮.৭
@হোরাস,
ভূমিকম্প একটা একস্টিক ওয়েভ-যা একমাত্র পাথুরে এলাকাতেই ছড়াতে পারে। ক্লে বা পলি হচ্ছে এর ড্যাম্পার। সুতরাং ৭-৮ এর ভূমিকম্প ক্লের জন্যে ড্যাম্পড হয়ে ৩-৪ এ পৌছাবে। এই জন্যেই ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে বদ্বীপ নিরাপদ।
ভূমিকম্প হলে তা মোকাবেলা করার জন্য জনগনের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এইসব সেমিনার, গনমাধ্যমে প্রচার খুবই দরকার এখন বাংলাদেশে।