প্রকাশ কর হে প্রিয়তম,
প্রকাশ কর নিজেরে।
স্তব্ধ হয়ে থেকোনা আর,
মুগ্ধ কর মোরে তব প্রেমে;
বলে দাও “ভালোবাসি”।
মোর অভিমানী নিশ্চুপ ঠোঁটের –
অনুচ্চারিত কথাগুলো শুনে নাও,
জেনে নাও আমি তোমায় ভালোবাসি।
বুঝে নাও সুগভীর দুটি চোখের চাহনী।
বুঝে নাও মোর আকুল হৃদয়খানি।
মন দিয়ে বুঝে নাও মনের ব্যাকুলতা,
শুনে নাও এ মনেতে জমে আছে যত না বলা কথা ।
অঝোরে আর ঝরিতে দিওনা মোর অশ্রুধারা,
এ অশ্রু এক “প্রতিবাদ”;
কেবল নয়তো জলধারা !
এবার সাঙ্গ কর এ নিষ্ঠুর খেলা,
আমার প্রেমে আর করোনা অবহেলা।
হৃদয় দিয়ে শুনে নাও হৃদয়ের ধ্বনি,
তোমায় আমি মোর প্রাণেশ্বর জানি।
ধন্য করে দাও প্রিয় মোরে,
ধন্য কর মম জীবনখানি-
ভালোবেসে হৃদয়েতে স্থান দাও একটুখানি।
কবিতাটি খুব ভালো লাগলো। ওমর খৈয়ামের একটি কবিতার কয়েকটি লাইন আমি বড় সত্য বলে মানি–
“কিছুই বড় টিকতে নারে
ভালোবাসাই হেথায় শুধু
অমর হয়ে থাকতে পারে।”
(অনুবাদটা যে কার আমি ঠিক জানি না)
@মোজাফফর হোসেন,
কবিতাটি পড়ার ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
@মোজাফফর হোসেন,
আমার স্টকের ওমর খৈয়াম ঘেঁটে আপনার অনুবাদকের নাম খুঁজলাম কিন্তু পেলাম না। খুঁজতে গিয়ে কাজী নজরুলের অনুবাদে মজার একটা ওমর খৈয়াম পেয়ে গেলাম। তামান্না ঝুমুর কবিতাকাশের নিষ্ঠুর প্রিয়তম মনে হয় মিথ্যা বেহেশ্তি ভাবনাতে এটা মিস করেছেঃ
==================================
করছে ওরা প্রচার-পাবি স্বর্গে গিয়ে হুর পরি,
আমার স্বর্গ এই মদিরা, হাতের কাছে সুন্দরী।
নগদ যা পা’স তাই ধরে থাক, ধারের পণ্য করিসনে,
দূরের বাদ্য মধুর শোনায় শুন্য হাওয়ায় সঞ্চরি!
=================================== :-s
@কাজী রহমান, আমি স্কুল-পড়কালীন সময়ে পড়েছিলাম। ওমর খৈয়ামের কবিতা কে কে অনুবাদ করেছে বলতে পারবেন ?
@মোজাফফর হোসেন,
কাজী নজরুল ইসলাম ছাড়া যাদের নাম মনে আছে তারা হলেন কবি সিকান্দার আবু জাফর, কান্তি চন্দ্র ঘোষ আর নরেন্দ্র দেব। আরও নাম আছে, মনে করতে পারছি না। দেশে গেলে দাদুর আলমারিগুলো ঘাঁটতে হবে। অনেক বই চুরি হয়ে গেছে। অনুবাদ্ গুলো মূলত কলকাতা থেকে আসতো। আপনার প্রকাশক হয়তো সাহায্য করতে পারবে।
কবিতাটা পড়ে মনে হল আমি যেন সেই ১৯-২০ বছরে চলে গেছি।
খুব মুগ্ধকর কবিতা–প্রেমে হাবুডুবু যারা খাচ্ছে তাদের জন্যে।
@আবুল কাশেম,
ভালবাসার কোন বয়স নেই তাই প্রিয়তমকে সবসময় একরকম ভালবাসা যায়।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা রইল।
এতদিন শুনে আসছি- বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না।
কেউ তো দেখছি এখনো মুখ ফুটে কমেন্টও করছে না।
বিশেষ দিনের বিশেষ কবিতা ভালোই লাগল।
যদি কিছু মনে না করেন- ছেলে বা মেয়েদের এই ধরনের কথা ভালো লাগে না। পুরা হৃদয়টা দখল করার মত মনের জোর না থাকলে ভালোবাসাবাসির মধ্যে না যাওয়াই মঙ্গল। তবে কেউ যদি শাস্ত্রমতে ছেলেদের একটা হৃদয় চার জন মিলে ভাগ করে নিতে চান, সেটা ভিন্ন ব্যাপার।
@শ্রাবণ আকাশ,
মুখ ফুটে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে হৃদয় হচ্ছে হৃৎপিন্ড।আর হৃৎপিন্ডের কাজ শুধু ভালবাসাবাসি নয়,শরীরের অন্যান্য কাজ ও তাকে করতে হয়।তাই একাংশ ভালবাসাবাসির জন্য বরাদ্য রেখে বাকি অংশে সে অন্য করে থাকে।অবশ্য এটা সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব দর্শন।শাস্ত্রে ভলবাসতে বলা হয়নি,বলা হয়েছে; নারীদের হতে যাকে ভাল লাগে বিবাহ কর দুই,তিন,বা চার—
এখানে শুধু পরুষকে তার পছন্দ মত বিয়ে করতে বলা হয়েছে।নারীর পছন্দ অপছন্দের কোন উল্লেখ নেই।আর বহুবিবাহের মধ্যেতো ভালবাসার মতো কোন সুন্দর ব্যাপার থাকতে পারেনা,থাকতে পারে ভালবাসার সম্পূর্ন বিপরীত কোনকিছু।
ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা রইল।