অমরত্ব
মোকছেদ আলী।
কবি বলছেন, ‘জন্মিলে মরিতে হইবে, অমর কে কোথা কবে,’ -কবির মতে এই জগতে কেউই অমর নহে।
মানুষের গড় আয়ু নাকি ৩০ বছর। জগতে যত লোক আছে তার মধ্যে সোভিয়েট রাশিয়ার অন্তর্গত জর্জিয়ার অধিবাসীগণের পরমায়ু দুনিয়ার আর সব রাষ্ট্রের অধিবাসীদের চেয়ে অনেক বেশি। তাদের গড় আয়ু ৯০ বৎসর। সে দেশের বেশির ভাগ লোক মারা যায় একশত বৎসরেরও উর্ধে গিয়ে। এমনকি ১৫০ বৎসর বয়সী বৃদ্ধের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। এত দীর্ঘজীবি হয়েও কেউ অমরত্ব লাভ করতে পারেনি।
আবার শোনা যায়- হিমালয় পর্বতের গভীর অরণ্যে পর্বতের গুহায় বহু যোগী ধ্যানমগ্ন অবস্থায় আছে, যাদের বয়স ৫/৬ হাজার বছর। তবুও তারা অমরত্ব লাভ করেনি। অমর করে কাউকে কি রাখা যায়। শোনা যায়, মিসরের পিরামিডের মধ্যে যে মৃতদেহ অক্ষয় হয়ে আছে সেই সব ফেরাউন বাদশাহগণের জীবন আয়ু নাকি খুবই দীর্ঘ ছিল। তৎকালিন রাজা বাদশাগণ ৫/৬ শত বৎসর জীবিত থাকতেন।
ধর্মীয় কিতাব মতে, মানুষের আয়ু ক্ষণস্থায়ী। অতীতকালে মানুষের আয়ু ছিল অনেক। কিন্তু পরবর্তীকালে আল্লাহ মানুষের আয়ু কমিয়ে দেন। ধর্মগ্রন্থ সমুহের বর্ণনায় আছে, প্রথম মানুষ হযরত আদম ৯৩০ বৎসর পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। অবশ্য আদমের চেয়েও বেশি বেঁচে ছিলেন নুহ। নুহ ৯৫০ বৎসর পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। এছাড়া ইয়ারুদ ৯৬২, মুতাশালেহ ৯৬৯, শিশ ৯১২, কীনান ৯১০, আনুশ ৯০৫, মাহলাইল ৮৯৫, লামাক ৭৭৭, ইব্রাহিম ১৭৫, ইসমাইল ১৩৭, ইসহাক ১৮০, ইয়াকুব ১৪৭, ইউসুফ ১১০, লুত ১৩৭, কহাত ১৩৩, ইমরান ১৩৭, যিহোয়াদা ১৩০, ইউসা ১১০, সারা ১২৭ বৎসর পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। ইনোক ৩৬৫ বৎসর দুনিয়াতে ছিলেন। এরপর তাকে আর দেখা যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাহলে কি তিনি মারা যাননি? কিতাব মতে, ইনোক মারা যান নি। তাকে আল্লাহ তুলে নিয়েছেন। কিন্তু কেউই দৈহিক অমরত্ব লাভ করেনি। আল্লাহ যে আয়ু নির্দিষ্ট করে রেখেছেন, তা তিনি পাল্টিয়েও দিতে পারেন। যেমন তিনি হিস্কিয়ের আয়ু ১৫ বছর বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই আধুনিক যুগে মানুষ কত বৎসর পর্যন্ত বাঁচে? এক এক দেশে এক এক রকম গড় আয়ু রয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ৬৫ বৎসর পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। তার আগের নবী হযরত ঈসা মাত্র ৩৩ বৎসর বেঁচে ছিলেন। (নবীদের নাম উচ্চারণের সময় আ. সা. পড়তে হয়! তাই পাঠক মনে মনে পড়ে ফেলুন)।
পশু-পাখিদের মধ্যে শকুন ২০০ বৎসর বাঁচে। এবং সমুদ্রের বিশালকায় প্রাণী তিমি ১১ শত বৎসর বাঁচে। তাহলে বোঝা গেল- প্রকৃতির রাজ্যে কোন জীবই অমর নয়। তবে মানুষ নাকি অমরত্ব লাভ করতে পারে, সে যদি গাছপাকা একটি হরিতকি গিলে খেতে পারে।
একটা শোনা গল্প বলি। গল্পটা শুনেছিলাম ভেড়ামারার বাহারের নিকট থেকে। লোকেরা তাকে বাহার কোম্পানী বলে ডাকতো। কেন যে তাকে কোম্পানী বলে ডাকা হয় তা জানি। কোনদিন জিজ্ঞেসও করিনি। গল্পটি এরূপ-
একবার এক মধ্যবিত্ত ঘরের ১৫/১৬ বৎসরের এক যুবক মানে কেবল কৈশর ছাড়িয়ে যুবকের দলে যোগ দিতে শুরু করেছে। যুবকের মা ছেলেকে ভাত খাবার কথা বললে সে জবাব দেয়, তার ক্ষুধা নেই, সে এখন কিছু খাবে না। দিন চলে গেলো। রাত এলো। ছেলে সারাদিন কিছু খায়নি। রাত্রে মা ছেলেকে খেতে বললে ছেলে দুপুরের ন্যায় উত্তর দিল তার ক্ষুধা লাগে নি। সুতরাং সে কিছুই খাবে না। মা শাস্ত্র বাণী উচ্চারণ করল, রাত্রে উপোস থাকতে হয় না। রাত উপোস করলে আয়ু কমে যায়। সুতরাং ক্ষিদে না লাগুক, এক মুট মুখে দিয়ে একটু পানি খেয়ে শুয়ে থাকেক গা। কিন্তু যুবক ছেলে মায়ের কথা অগ্রাহ্য করে বিছানায় শুয়ে মহাসুখে ঘুমালো। সকালে মা বাসি ভাত তরকারী গরম করে ছেলেকে ডেকে বলল, ‘হাত মুখ ধুয়ে শিগ্গির ভাত খেয়ে নে। কাল দুপুর থেকে উপোস করে আছিস।’ ছেলে পূর্ববৎ বলল, “মা, অযথা পিড়াপিড়ী করছো। আমার তো মোটেই ক্ষিদে পায় নি। ক্ষিদে লাগলে কি তুমি আমাকে ডাক পাড়ার সময় পেতে? আমি নিজেই ‘ক্ষিদেয় পেট জ্বলে গেল, তাড়াতাড়ি ভাত দে’ বলে তোমায় জ্বালাতন করতাম। আর এখন আমি ভাত খাব না। বলছি আমার মোটেই ক্ষিদে নেই অথচ আমাকে ভাত খাবার জন্য জ্বালাতন করছো।” ছেলের কথা শুনে মা চিন্তিত হল। তবে কি ছেলের কোন অসুখ করলো। নাকি অগ্নিমান্দ্যা হলো? ছেলে আর কিছু খায় না। কিন্তু শরীর তার ঠিক আছে। দৌড় ঝাপ ঠিকমত করছে। পিতা মাতা ভাবলো- ছেলেকে জ্বীন কিম্বা পরীতে ধরেছে। তা না হলে আজ ১০/১২ দিন কেউ কিছু না খেয়ে থাকতে পারে? মহাত্মা গান্ধিজীও মাঝে মাঝে অনশন ধর্মঘট করেন, ১২/১৪ দিন অনাহারে থাকতেন। তাহলে পুত্র কি গান্ধিজীর মত বিশ্ববিখ্যাত হবে নাকি? যাহোক পিতামাতা ডাক্তারের শরণাপন্ন হলো। ডাক্তার দাওয়াই দিলেন, কিন্তু ছেলের এক কথা, সে কিছ্ইু খাবে না। পিতামাতা পুত্রের অনাহারের জন্য ভীষণ চিন্তিত হলো। সব খুলে বলল কবিরাজের কাছে। কবিরাজ ব্যর্থ হলেন। মৌলবী সাহেবের নিকট হতে তেল পড়া, পানি পড়া, দোয়া তাবিজ এনে ছেলেকে দিলো, না তবুও ছেলের ক্ষুধা লাগে না। ছেলে পানি পর্যন্ত খায় না। পানি না খেয়ে ছেলে বেশ সুস্থ সবল আছে। কাজ কাম সব করে, দৌড় ঝাপ পাড়ে। একটুও কাতর হয় না। বরং স্বাস্থ্য আগের চেয়ে সবল হয়েছে।
খাওয়া বন্ধ, হাগাও বন্ধ। এতে পড়াশোনার প্রচুর সময় পাওয়া যায়। দৈনিক তিন বার আহার করতে কম করেও হাতমুখ ধোয়াতে সময় ব্যয় হয়। মানে খাবার পূর্বে একবার হাত মুখ ধোও, আবার খাবার পরে আরেকবার হাতমুখ ধোও। কত ঝামেলা। আবার আছে আরেক ঝামেলা, খাদ্য পরিপাকযন্ত্রে গিয়ে হজম হবে। তার অসার বস্তুগুলি পাকস্থলী থেকে বেরিয়ে আসবে। তখন তো সেই অসার বস্তুগুলি যেখানে সেখানে রাখা যাবে না। তখন দৌঁড়াতে হবে নির্জন নিরালা স্থানে। সেখানে বস্তুগুলি রাখতেও বেশ সময় লাগবে। আবার বস্তুগুলি থেকে এক প্রকার গন্ধ বের হবে, যা মনুষ্যের ঘ্রাণগ্রহণ যন্ত্রকে বিকল করে দেবে। সুতরাং বিবেকবুদ্ধি খাটিয়ে বস্তুর ঘ্রাণ যাতে মনুষ্য সমাজে আগমন না করে, অতিদ্রুত তার সুব্যবস্থা করতে হবে। এর দ্বিতীয় বস্তুগুলি যে গেট বা ঘাট দিয়ে বহির্গমন করেছে সেই ঘাটে বা গেটে তার অংশ বিশেষ লেগে থাকে। সেই ঘ্রাণযুক্ত বস্তুটুকুকে বিশুদ্ধ পানি দ্বারা উত্তমরূপে ধৌত করতে হবে। নচেৎ এই অবস্থায় মনুষ্য সমাজে প্রবেশ করা যাবে না। তবে দেখ এক আহারের নিমিত্ত কত ঝামেলা। আর যদি আহার না করা যায়, তবে ছোট ঝামেলা, বড় ঝামেলা, মেজ ঝামেলাও আর থাকে না।
কিন্তু স্নেহময়ী জননী তত্বের এত গভীরে না গিয়ে পুত্রের জন্য কান্নাকাটি শুরু করল। তার কান্না শুনে দরদী প্রতিবেশীগণ সমবেদনা জানাতে বাড়িতে সমবেত হলো। দেখতে দেখতে কথাটা গ্রামময় রাষ্ট্র হয়ে গেলো। ১৫ দিনের অনাহারী সুস্থ সবল যুবককে দেখার জন্য কৌতুহলী জনতার ঢল নামলো।
জনতার ঢল দেখে এবং কোলাহল শুনে এক দরবেশ কৌতুহলী হয়ে কারণ জানতে চাইলো। এক পৌঢ় ব্যক্তি দরবেশের কাছে বিস্তারিত বিবরণ দান করলেন। এবং দরবেশকে এর একটা বিহিত ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করলেন। দরবেশ মুহুর্তমাত্র দেরী না করে তার ঝোলা থেকে একটা ঔষধ বের করে যুবককে জোর পূর্বক খাইয়ে দিলেন। অমনি যুবক হর হর করে বমি করতে লাগলো। দরবেশ দুই হাত দিয়ে সেই বমি ঘাটতে লাগলেন। বাস, একটি ফল পাওয়া গেল। দরবেশ ফলটি তাড়াতাড়ি করে তার লম্বা কোর্তায় মুছে টপ করে গিলে খেয়ে হাঁটা ধরলো।
ছেলে তখন ‘মা খিদেয় মরে গেলাম, শিগগির ভাত দাও’ বলে চেঁচাতে লাগল। মা থালা ভর্তি করে ভাত দিল। ছেলে গোগ্রাসে ভাত খেয়ে শান্তি পেল।
প্রবীণ লোকেরা বলাবলি করতে লাগল, ছেলেটা বোধ হয়, গাছপাকা তরিতকি গিলে খেয়েছিল। যার জন্য তার ক্ষুধা চিরতরে তিরোহিত হয়েছিল। ছেলেটি অমরত্ব লাভ করেছিল। কিন্তু পিতামাতার ভুলের জন্য ছেলেটির অমরত্ব ঘুচে গেল। পক্ষান্তরে দরবেশ চির অমরত্ব লাভ করলো। এখন সে মহানন্দে বিশ্ব ভ্রমণ করতে পারবে। আর যেখানে খুশি সেখানে বসেই ধ্যান করতে পারবে।
বাহার সাহেব গল্প বলেই আমাকে বলল, ‘ডুমুরের ফুল দেখলে যেমন বাদশাহ হওয়া যায়, তেমনি গাছপাকা হরিতকি খেলে অমরত্ব লাভ করা যায়।
অমরত্ব লাভের আরেকটি উপায় আছে-
সেটা, ‘সময়ের মূল্য বুঝে যে করেছে কাজ, মরিয়াও অমর তারা জগতের মাঝ।’ সংস্কৃত শাস্ত্রে আছে- ‘কীর্ত্তিযস্য স জীবতি।’ যে ব্যক্তি মহৎ কোন কিছু করে জগতে অক্ষয় কীর্ত্তি স্থাপন করতে পারলো তিনি অমর হয়ে গেলেন। যেমন তাজমহল। অমর কীর্ত্তি তাজমহল নির্মাণ করে সম্রাট শাহজাহান জগতে অমরত্ব লাভ করেছেন। ফেরাউন বাদশাহগণ পিরামিড তৈরী করেও অমর হয়ে আছে। অমর যদি হতে চাও তবে একটা কীর্তি স্থাপন কর। তবে এই কীর্তি এমন স্থানে স্থাপন করতে হবে যেখানে পদ্মার মত প্রমত্তা নদী না থাকে। ভাগ্যকূলের কুন্ডুদের বহু কীর্তি ছিল। পদ্মা সেগুলি একে একে সব গ্রাস করে কীর্তিনাশা নাম ধারণ করে মেঘানার সাথে মিশেছে। আবার দেখ, যদি অমর হতে চাও তবে একটা মহাকাব্য রচনা কর। হোমার ইলিয়াড কাব্য রচনা করেছেন, মহাকবি কালিদাস শকুন্তলা কাব্য রচনা করে জগতে অমর কবি হয়ে আছেন। আরো আছে, যদি মানব কল্যাণের জন্য কোন কিছু আবিষ্কার করতে পারো তা হলেও অমর হতে পারবে। মার্কনী সাহেব রেডিও আবিষ্কার করে অমর হয়ে আছেন। ষ্টিভেনসন রেলগাড়ি তৈরী করে অমর হয়ে আছেন। মাইকেল ফ্যারাডে বিদ্যুৎ আবিষ্কার করে অমর হয়ে আছেন। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিস্কার করে অমর হয়ে আছেন।
আমাদের দেশেও ঐ রকম ২/১ জন আবিস্কারক আছে। জগদীস চন্দ্র বোস গাছের প্রাণ আছে এটা প্রমাণ করে ফ্রেস্কোগ্রাফ যন্ত্র আবিস্কার করে অমর হয়ে আছেন। আবার বড় বড় রাজনীতিবিদগণ দেশের অশেষ কল্যাণ করে গেছেন। কায়েদে আজম পাকিস্তান কায়েম করে, শেখ মুজিব বাংলাদেশ কায়েম করে অমর হয়ে আছেন।
আবার দেখ, দুনিয়ার অজানা দেশ আবিষ্কার করে অমর হয়ে আছেন। যেমন, কলম্বাস আমেরিকাগো ভেচপুচি অমর হয়ে আছেন।
আবার দেখ, হিমালয় পর্বতের এভারেষ্ট পর্বতচূড়া যা মাটি হতে সাড়ে ছয় মাইল উচু, যেখানে সব সময় কঠিন বরফে ঢাকা থাকে। আবার গরমে হঠাৎ তুষার ধ্বস নেমে সব পথ বন্ধ করে দেয়। মানুষ বিগত শত বৎসর ধরে চেষ্টা করেছে হিমালয়ের চূড়ায় উঠে দুনিয়াটা দেখতে, কিন্তু পারে নাই। মৃত্যুবরণ করেছে। তবুও মানুষ চেষ্টা ছাড়েনি। অবশেষে তেনজিং ও হিলারী সেই দুর্গম পথে দুঃসাহসী হয়ে উঠে পড়লেন এভারেষ্ট শৃঙ্গে। সারা বিশ্বে ধন্য ধন্য পড়ে গেল। তেনজিং হিলারী ইতিহাসের এক অমর বীর। যতদিন হিমালয় থাকবে, মনুষ্য সভ্যতা যতদিন থাকবে, তেনজিং হিলারী ততদিন বেঁচে থাকবে সভ্য মানুষের স্মৃতিতে। তুমি আমি আজ থেকে শত বৎসর পর মানুষের স্মৃতি থেকে মুছে ছাফ হয়ে যাব। কিন্তু তেনজিং হিলারী দুঃসাহসী বীররূপে জাগরুক থাকবে ইতিহাস ও ভুগোল পড়ুয়াদের অন্তরে।
চাঁদ পৃথিবী থেকে ৫০ লক্ষ মাইল দূরে। সেই চাঁদে পদার্পন করলেন মাইকেল কলিন্স আর অলড্রিন। মানব ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা বিস্ময়কর অভিযান চালিয়ে প্রমাণ করলেন, মানব জাতি সর্বাপেক্ষা দুঃসাহসী। তারা আজ অমর।
এমনিভাবে ভবিষ্যতে অমরের খাতায় নাম লেখাবে কত শত মানুষ। তাহলে মানুষ অমর হতে পারে তার মহৎ কাজের মাধ্যমে। কিন্তু দৈহিক অমরত্ব কি কখনোও সম্ভব? ‘কুল্লু নাফসিন জায়েকাতুল মাউত’। প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। অতএব এই দুনিয়াতে দৈহিক অমরত্ব বা চিরকালীন দৈহিকভাবে বেঁচে থাকা কখনই সম্ভব নয় বলেই বোধ হচ্ছে। আগে যেমন সম্ভব হয়নি, এখন যেমন সম্ভব হচ্ছে না, তেমনি ভবিষ্যতেও সম্ভব হবে কিনা সন্দেহ। আর সত্যি সত্যি যদি বিজ্ঞান দৈহিক অমরত্বের কিছু একটা আবিষ্কার করেই ফেলে, তাহলে জনবিস্ফোরণ ঘটবে। তখন হয়তো দেখা যাবে মানুষ অন্য কোন গ্রহে বাস করার গবেষণায় লিপ্ত হয়ে পড়বে।
তাবলিকের এক পাবলিক ধরে
দিল মগজ ধোলাই আচ্ছা করে
শুধায় মোরে বাছা,
এই দুনিয়ার সবি হলো মিছা।
বয়স হইছে কতো?
চাচা এই সতেরো
বান্ধবী কি আছে?
নাইলে জীবন কি আর বাচে?
বাছা শুনো, আসল কথা বলি
আস যিকির আযার করি
বেশতের টিকিট কাটি
নাইলে জীবন হইবো মাটি
তোমার জীবন গেলো মিছা,
তোমার বান্ধবীও মিছা
একটু আল্লারে লবিং কইরা বেহেশ্তে যাইবা
৭২ টা হুর আর ১৪ তা পরী পাইবা
আহা,তাদের রুপতো মাগো
ভেল্কি লাগানো, মনমাতানো!
তোমার বান্ধবি মিছে, পুরো মিছে
ছোটো এখন তাদের পিছে
আজকাল আমার এলিনাকে হায়
দেখতে আর না মন চায়!
মন নিয়ে গেছে হুর আর পরী
এখন আমি কী করি?
আহারে এলিনা বেচারি!
@টেকি সওদাগর,
সুন্দর ছড়া/কবিতার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো লাগলো। আপনার নিজের লেখা নাকি?
@মাহফুজ, ভাই plagiarism জিনিসটা আমি দেখতে পারি না । কাল রাতে আপনাদের কমেন্টগুলো পড়তে খুব ভাল লাগলো তাই মনের ভুলে কি জানি লিখে ফেললাম হাঃ হাঃ 😀
তবে ঘটনাটি আংশিক সত্য, না ভাই এলিনাকেই আমার চাই, হুর-পরী দিয়ে আমার কোনো কাজ নাই :guru:
@মাহফুজ
ধন্যবাদ,বানানে ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
@তামান্না ঝুমু,
আপনাকেও ধন্যবাদ, বিষয়টি বুঝতে পারার জন্য।
@মাহ্ফুজ
পবিত্র কোরানে আল্লাহ্তালা বলেছেন,”কাফের মারতে যারা জীবন উৎসর্গ করবে তারা মৃত নয়।তারা কেয়ামত পর্যন্ত রিজিক প্রাপ্ত হবে।”‘আমার মনেহয় তারা কেয়ামত পর্যন্ত কমায় থাকবে।বর্তমান বিশ্বে আমরা দেখতে পাই কোন কোন মানুষ দুর্ঘটনায় মারাত্নক ভাবে আহত হলে বা দূরারোগ্য ব্যাধীতে আক্রান্ত হয়ে ব্রেইনের কার্যকারিতা হারিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অবদানে কয়েক বছর কমায় বেঁচে থাকছে,কেউ কেউ সুস্থ ও হচ্ছে।সাধারন মানুষ যদি কমায় গিয়ে কয়েক বছর বেঁচে থাকতে পারে তবে সর্বশক্তিমান আল্লার শহীদ্গন কেন কেয়ামত পর্যন্ত কমায় থাকতে পারবেনা?কোরান আসলেই এক বিজ্ঞান ময় কিতাব এবং আল্লা সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী যা আল্লাহ্ কোরানে বারবার উল্লেখ করেছেন ।
@তামান্না ঝুমু,
ঠিকই কইছেন, তয় একটু বানান ভুল হইছে, বোল্ডকৃত ‘ম’ টা দন্ত্য ‘ন’ হবে।
ভাই মাহফুজ;
আপনার লেখা না পড়ে থাকা যায় না। এই লিখাটা সত্যিই অন্যনা।
মোকছেদ আলী সামান্য কিছু তত্ত্বগত ভূল করেছেন–কিন্তু তা মার্জনীয়; এমন কি আসে যায়–যখন আমরা দেখি আল্লা পাক তাঁর লিখিত গ্রন্থেও অনেক ভূল আছে স্বীকার করে নিয়েছেন। যেমন আয়াত রহিত করা, তার পর দশজনের স্থলে দুইজন কাফের মারবে একজন ্মুসলমান এই সব আর কি।
যাক, মোকছেদ আলী আল্লা পাকের কথাবার্তা সঠিক বুঝেন না বলেই মনে হচ্ছে। আল্লাহ পাক কোরানে লিখছেন যে জিহাদে যো্গদান করবে ও কাফের মারতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করবে, আল্লাহ কোনদিন তাকে মৃত করবেন না। সে সোজাসুজি বেহেশ্তে গিয়ে ৭০ জন হুরপরীদের সাথে যৌ্ন সঙ্গমে ব্যাস্ত হয়ে পড়বে।
এমনকি সায়ুতির হাদিসে আমরা পড়ি যে কোন খলীফার আমলে নাকি ৫০-৬০ বছর আগে মৃত জিহাদীর ্কবর খুঁড়ে দেখা গেল, জিহাদির কাপড় জামা সেই আগেকার অবস্থাতেই আছে, তার দেহ থেকে ঐ ক্ষত স্থান থেকে রক্ত ঝরছে।
এমতাবস্থায় আমরা বলতে পারি আল্লাহ মাবুদ সবাইকে যে পটাপট মেরে ফেলেন তা নয়। আল্লাহ শহীদ জিহাদিদেরকে ঘুম পাড়িয়ে রাখেন–এই মর্তে–কিন্তু তাদেরকে সরাসরি বেহেস্তে তুলে নেন। কাজেই চিরদিন বেঁচে থাকার সবচাইতে সহজতম রাস্তা হবে ‘জিহাদ ফি সাবিল আল্লাহ’—আল্লাপাকের রাস্তায় জিহাদ করুন এবং কাফের মারতে গিয়ে শহীদ হোন।
আমি যতটুকু পড়ছি, হুজুরের মৃত কালের বয়স কত ছিল কেউ সঠিক জানে না। তাবারি, ইস`হাক, ইবনে সা’দ থেকে ্জানা যায় নবিজীর বয়স ৬০ থেকে ৬৫ এর মাঝে ছিল। এটাও আল্লার কুদ`রত—আল্লাহ কোনকিছুই সঠিক দিতে পারছেন না –এমন`কি তাঁর প্রানাধিক প্রিয়পাত্রের ব্যপারেও।
@আবুল কাশেম,
আসলে এটা আমার লেখা নয়, স্বশিক্ষিত মোকছেদ আলীর। যিনি পাঠশালায় মাত্র তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছিলেন।
বড় বড় শিক্ষিত, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়াররা তথ্য বা তত্ত্বগত ভুল করছেন, সেখানে মোকছেদ আলীর তথ্যগত ভুল হওয়া স্বাভাবিক। আমাদের দেশেই ড. শমসের আলী কোরানের ব্যাখ্যা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞান দিয়ে। কেউ কেউ হোমিও চিকিৎসাকে বিজ্ঞান বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে মোকছেদ আলীর ভুলটা অবশ্যই মার্জনীয়।
তবে মৃত্যু সম্পর্কে তার একটি পান্ডুলিপি রয়েছে। সেখান থেকে কিছু অংশ এখানে তুলে দিচ্ছি:
বস্তুতপক্ষে আমরা যাহারা এখন পর্যন্ত জীবিত আছি মৃত্যুর বাস্তবতা প্রতি মুহুর্তে দেখিতে পাইতেছি, আমাদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অর্থাৎ মৃত্যুর হাত হইতে বাঁচিয়া থাকিবার নিমিত্তে অন্য জীবিত জীব বা প্রাণীকে মৃত্যুর গহ্ববরে ঠেলিয়া দিতেছি। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে, মনুষ্যকূলমাত্রেই সর্বদা অপর জীবনধারীকে নিধনযজ্ঞে ব্যপৃত রহিয়াছি। বাঁচিয়া থাকিবার জন্য আহারের একান্ত প্রয়োজন, সেই প্রয়োজন মিটাইতে গিয়া অপরকে হত্যা করিতেছি। বাঁচিয়া থাকিবার জন্য, কর্মক্ষম হইবার জন্য পুষ্টির প্রয়োজন। এই প্রয়োজনের তাগিদে জলচর জীব, স্থলচর প্রাণী, খেচর, কাহাকেও বাদ দিতেছি না, বধ করিতেছি। এক ধর্মের অনুশাসনে যে জীবকে বধ করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হইয়াছে অন্য ধর্মের অনুশাসনে সেই প্রাণী বধা করা সিদ্ধ বলিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইয়াছে।
আবার দেখ শরীরের পুষ্টি নয়, আত্মরক্ষায় অরিকুলকে ধ্বংস করিবার বিধান সর্বশাস্ত্রেই স্বীকৃত হইয়াছে। বাঁচিয়া থাকিতে সুখ ও শান্তির একান্ত প্রয়োজন। সেই প্রয়োজন মিটাইতে গিয়া শুধু অপর প্রাণী নহে, মনুষ্য তাহার জ্ঞাতি মনুষ্যকেই নিহত করিতেছে। ধর্মীয় বিধানে এই হত্যাকান্ডকে পূণ্যজনক ঘোষণা করিয়া হত্যাকে উৎসাহ প্রদান করা হইয়াছে। শান্তির নামে অশান্তি ঘটানো হইতেছে। সুখের নামে দুঃখকে ডাকিয়া আনা হইতেছে। আসল কথা- এই মৃত্যু বিভিন্নভাবে জীবনধারীকে পরবারে লইয়া যাইতেছে।
ভাই, আমি তো শুনেছিলাম ৭২ জন। তথ্যগত ভুল হলো নাকি? কিছুদিন আগে তাবলিগের এক ‘লোক আয়নায়ে হুর’-এর গল্প বলছিলেন। আয়নায়ে হুর হচ্ছেন সমস্ত হুরদের সর্দার বা রাণী। সেই রাণীর দৈহিক সৌন্দর্যের বর্ণনা যেভাবে দিলেন তাতে মানসিকভাবে স্থির থাকা অনেকটা অসম্ভবই হয়ে পড়বে। বেহেস্ত থেকে এক ফোটা থুথু যদি এই জগতে ফেলেন, তাহলে সমস্ত পৃথিবী সুগন্ধে ভর্তি হয়ে যাবে। যাহোক এক যুবক স্বপ্নে আয়নায়ে হুরকে দেখে তার প্রেমে দিওয়ানা হয়ে যায়। তার সান্নিধ্য কামনায় জিহাদের ময়দানে গিয়ে শহীদ হয়। এমন মজাদার কাহিনী রূপকথাকেও হার মানায়।
আপনি তো ইসলাম নিয়ে এখনও পড়াশুনা করছেন। উপরোক্ত কাহিনীটি কি কোন হাদিসের মধ্যে আছে কি? নাকি তবলিগের লোকদের বানানো গল্প?
@মাহফুজ,
হাঁ, আপনি ঠিক লিখেছেন। আমার স্মৃতি খোয়া যাচ্ছে। হুরপরীর সংখ্যা ৭২ টাই হবে–যা আমি ইমাম তিরমিজির হাদিসে পড়েছি।
আমার মনে হয় এই হাদিসটা সহি সিত্তায় (ছয় সহিহ) নাই–অথবা থাকলেও গুম করে দেওয়া হয়েছে। তবে আমার মনে হচ্ছে আমি এই ধরনের কয়েকটা হাদিস ইমাম সিয়ুতির ‘খাসায়েসুল কুবুরা’ গ্রন্থে পড়েছি। ইমাম সিয়ুতির হাদিস সহিহ সিত্তার পর্যায়ে না পড়লেও আজকাল প্রায় সমস্ত মুসলিম পণ্ডিতকুল ইমাম সিয়ুতির হাদিস উধৃতি দিয়ে থাকেন। কাজেই
আমার মনে হয় তবলিগ পণ্ডিতেরা যা বলেছে তা ঠিক আছে। সিয়ুতির বইটা ঘাঁটাঘাঁটি করলে হাদিসটা পাওয়া যেতে পারে।
ইমাম ইবনে মাজা তাঁর হাদিস বইতে লিখেছেন যে ্বেহেস্তের পুরুষদের লিঙ্গ সর্বদা খাড়া থাকবে এবং কখনও তা নম্র হবে না (permanent erection)। চরম পুলক (orgasm) থাকবে অনেক ঘন্টা পর্য্যন্ত। সঠিক সংখ্যা দিতে পারলাম না–ইমাম মাজার বইটা হাতের কাছে নাই।
@আবুল কাশেম,
ভায়াগ্রার আবিষ্কার সম্ভবত এখান থেকে। 😛
@আবুল কাশেম, গরুজী ২ বছর আগে বা পরে বেহেজখে (বেহেস্তে/দোজখের সীমান্ত, যেহেতু তিনি নিজেই নিশ্চিত ছিলেন না কোথায় যাবেন) গেলে কিছুই যায় আসে না। কিন্তু আপনি যদি তার পেয়ারা বান্দাদের জন্য বরাদ্দকৃত হুরপরীর সংখ্যা ৭২ থেকে ২টা করে নিজের জন্য রেখে দিয়ে ৭০টা করে বিলি করতে চান, তাহলে কিন্তু এর জন্য আলাদা ভাবে জিহাদের ডাক দেয়া হবে! :guli:
(প্রায়ই দেখি- কেউ ৭০, কেউ ৭২ বলেন, আসলে কোনটা সঠিক?) 😕
ভাবছি, এই ৭২ সংখ্যাটা কি কোনো অলৌকিক সংখ্যা কিনা? এক কুড়ি, দুই কুড়ি বা ৫০, ১০০… এরকম না হয়ে ঠিক এই সংখ্যাটিকে বেছে নেয়ার কারন কি?
আবার প্রায়ই শুনি- ৭২ ঘন্টার হরতাল। এটাও বা কিসের ভিত্তিতে করা হয়? ঐ সময়টাতে তো মানুষের কাজকর্ম থাকে না। তখন কি বাড়িতে বসে শুধু প্রাকটিস করে… মানে এরকম একটা যোগসূত্র থেকেই এই ৭২ সংখ্যাটা নির্ধারণ করা হয়েছে?
এখন আবার আমাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবেন না যে- দেখেন সেই ১৪০০ বছর আগেই আল্লায় ৭২ সংখ্যাটার তাৎপর্য বুঝতে পেরেছিলেন 🙂
যা হোক, ৭২টা হুরপরী দিয়ে পালাক্রমে… আই মিন- কোথায় যেন পড়েছিলাম বনের রাজা নাকি একবারে একে একে ৫০টা সিংহীকে দেখিয়ে দিতে পারে… তো বেহেস্তে গেলে কি মানুষ এই বনের রাজাকেও ছাড়িয়ে যাবে!
ইস্ বড়ই আপসোস, অলরেডী দোজখে এক পা দিয়ে বসে আছি! :-Y
@শ্রাবণ আকাশ,
এতদিন ১৯ নিয়ে মিরাক্কেল হয়েছে। আপনি আবার হঠাৎ করে ৭২ এর তত্ত্ব আবিষ্কার করে ফেললেন। বোঝা যাচ্ছে আপনাকে মিরাক্কেলের আছরে ধরেছে। এর দাবাই রয়েছে সৈকত ভাইয়ের কাছে। 😛
@মাহফুজ, গানটা শোনেন-
“বন্ধু ৩দিন তোর বাড়িতে গেলাম/ দেখা পাইলাম না…” ৩*২৪=৭২ (ঘন্টা), মিরাক্কেল আর মিরাক্কেল… 😛
@শ্রাবণ আকাশ,
যত গবেষণা (গবেটষণা) করবেন ততই কোটি কোটি মিরাক্কেল হাজির হবে আপনার মস্তিষ্কের মধ্যে। রুনা লাইলার উপরও মিরাক্কেল ভর করেছিল তা তিনি টের পান নি। বিষয়টা তাড়াতাড়ি তাকে জানিয়ে দিন। উনি তো আবার প্রচুর আংটি পড়েন। আংটির সাথে ৩ , ২৪, ৭২, এর কোন মাজেজা আছে কিনা বের করুন।
তার আগে আরেকবার উনিশের উনিশ বিশ পড়াটা ফরজ।
@মাহফুজ, মুখস্ত বিদ্যা আমার কোনো কালেই ছিল না। এখনো নাই। তবুও ওই লেখাটা ঠিক মুখস্ত না থাকলেও “মগস্থ” আছে অনেক আগে থেকেই।
আর এই মিরাক্কেলের সাথে পরিচয়ও সেখান থেকেই 🙂
@শ্রাবণ আকাশ,
আমরা হাদিস থেকে আরো কিছু তথ্য জেনে নিতে পারি- (৭০ বা ৭২ নিয়ে)
১) কেয়ামতের আগে মুসলিমরা ৭২ ফেরকায় বিভক্ত হবে।
২) বেহেস্ত থেকে দোযখের দুরত্ব হবে ৭২ বৎসরের পথ। (আবু দাউদ)
৩) ক্ষমা করতে হবে ৭ গুণ ৭০ বার। (মুসলিমি ৩১/৫৯০৪)
৪) দোযখে ৭০ টি রশি থাকবে, সেই ৭০ টি রশি ৭০ জন ফেরেস্তা ধরে থাকবে।
ইত্যাদি ইত্যাদি।
খুঁজলে আরো অনেক তথ্যই পাওয়া যাবে।
@শ্রাবণ আকাশ,
আমি ইমাম তিরমিজি হাদিসে দেখেছি ৭২।
সঠিক সংখ্যা স্বয়ং আল্লাহও জানেন না।
আমার স্মৃতি ব্যাহত হয়েছিল–তাই ভুল`ক্রমে ৭০ লিখেছিলাম, সে জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলাম।
@আবুল কাশেম, আহা, সংখ্যাদুটো নিয়ে একটু মজা করলাম। আর এটা নিশ্চয়ই সিরিয়াস ব্যাপার বলে কিছু নয়। এতো ক্ষমা-তমার কি আছে! :rose:
আসেন আরেকটু মজা করি। 🙂
যাহা ৭২ তাহাই ৭০! ইহজগতে ৪টা পর্যন্ত জায়েজ, সেটা চিন্তা করেই ত্যানাদের কী খুশি! সেখানে ৭২ থেকে দুইটা কমে গেলেও এদের খুশি একটুও কমবে না। আসলে টের পাবে কিনা সেটাই সন্দেহ। মগজের যে হাল তাতে বেহেস্তে যেতে যেতেই সব ভেস্তে না যায়। ১ থেকে ৭০ পর্যন্তই গোনার মত মগজ যদি থাকত তবে বেহেস্ত-দোজখ আসলে কোথায়, তা বুঝতে পরকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগত না।
@মাহফুজ
আমাদের প্রিয় নবীজি সঃ হচ্ছেন আল্লাহ্র best friend.পরম করুনাময় আল্লাহ্ তাঁর প্রিয়তম কাজগুলো তাঁর হাবিবের মাধ্যমেই করিয়েছিলেন।যেমন,
শিশুবিবাহ,বহুবিবাহ,পত্নীপ্রহার ,যুদ্ধবন্দিনী ধর্ষন,চোরের হাত কাটা,লিংগ বৈষম্য ইত্যাদি মহান আল্লাহ্তালার অত্যন্ত পছন্দের ব্যাপার।তাই তিনি তাঁর বন্ধুর মাধ্যমে এ কাজ গুলোর বাস্তবায়ন ঘটিয়েছিলেন।
@তামান্না ঝুমু,
এগুলো উপলব্ধি করতে পেরেছি বলেই আল্লাহ এবং তাঁর বন্ধুকে ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মুক্তমনাতে আবুল কাসেম, আকাশ মালিক, ভবঘুরে, উত্তরপুরুষ, অভিজিৎ এরা ইসলামের বিষয়ে অনেক লেখালেখি করেছেন। এমন একটা সময় ছিল কোরানটাকে অন্ধের মত গ্রহণ করতাম- আল্লাহ এবং রসুলের সমস্ত কাজকেই মহান মনে করতাম, কখনও নিজের বিবেকটাকে ব্যবহার করতে পারতাম না। উপরোক্ত কাজগুলোকে মনে হতো ‘আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন’। আর মুক্তমনায় আসার পর আল্লাহর মঙ্গলের ভাবটি ভালো মতই বুঝতে পারলাম।
নবী রাসুলদের অনেকেরই জীবনকাল জানা ছলোনা। তাই গুরুত্বপূর্ন তথ্যের জন্যে ধন্যবাদ।আমার ধারনা প্রিয় নবী মোহাম্মদ ৬৩ বছর বেঁচে ছিলেন,৬৫
বছর নয়।
@তামান্না ঝুমু,
আসুন একটু হিসাব করি- জন্ম ৫৭০ খ্রিস্টাব্দ। আর মৃত্যু ৬৩২ খ্রিস্টাব্দ। তাহলে তো হ্যা, আপনার কথাই ঠিক। তিনি ৬৩ বছর বেঁচে ছিলেন। ধন্যবাদ। মোকছেদ আলী ২ বছর আয়ু বাড়িয়ে দিয়েছেন। মনে হচ্ছে বাড়িয়ে বলা মোকছেদ আলীর স্বভাব। তিমির আয়ুকে তিনি অসম্ভব রকমের বাড়িয়ে বলেছেন।
তবে এখানে মূল বিষয় ছিল দৈহিকভাবে অমর হওয়া। সমস্ত নবী রাসুল মারা গেছেন, এমন কি মুহাম্মদ মারা গেছেন।
আসুন মুহাম্মদ সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জেনে রাখি। যখন মুহাম্মদের বয়স ২৫ তখন ৪০ বছর বয়স্কা খাদিজাকে বিয়ে করেন। খাদিজা মারা যান ৬১৯ খ্রিস্টাব্দে। তখন মুহাম্মদের বয়স ৫০। যতদিন খাদিজা জীবিত ছিলেন, ততদিন তিনি কোন বিয়ে করতে পারেন নি। আবু বকরের কন্যা আয়েশার বয়স প্রায় ৭/৮ হবে, তখন মুহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন। অর্থাৎ তিনি একজন শিশুকে বিয়ে করেন। যাহোক, খাদিজার মৃত্যুর পর তিনি একে একে ১২/১৩ টি বিয়ে করে ইতিহাসে নাম লেখান।
বড়ই ভাল লাগল। বিশেষত
পড়ে হাহাপগেকেধ :lotpot:
@রৌরব,
ইস আরেকটু হলেই তো ঠ্যাঙ ভেঙ্গে যেতো, ভাগ্যিস ধরেছিলাম। :clap2:
পিসিটা বিক্রি করে দেই। কি হবে এসব করে?
:laugh: :laugh: :laugh:
@আসরাফ,
প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। এটা তো সতসিদ্ধ ব্যাপার। এতে হতাশ হবার কি আছে? বরং মরে যাবার আগে যত বেশি পারেন, মুক্তমনার লেখা পড়ুন। কারণ মৃত্যুর পরে জ্ঞান অর্জনের চাঞ্চ নাই। আর আপনি যদি মনে করেন, মৃত্যুর পর বেহেস্তে যাবেন- তাহলে নিশ্চিত সেখানে কোনো কম্পিউটার পাবেন না। কারণ কোরানে, বেহেস্তের মধ্যে কম্পিউটার দেবার কোন আয়াত নাই। আছে শুধু আয়তলোচনা হুর, আর সুস্বাদু পানীয় (শুরা, দুধ)। ইহ জগতে অমর হতে চাইলে মোকছেদ আলীর দেয়া তত্ব ফলো করুন। আর সেটা হচ্ছে, ‘সময়ের মূল্য বুঝে যে করেছে কাজ, মরিয়াও অমর তারা জগতের মাঝ।’ সংস্কৃত শাস্ত্রে আছে- ‘কীর্ত্তিযস্য স জীবতি।’ যে ব্যক্তি মহৎ কোন কিছু করে জগতে অক্ষয় কীর্ত্তি স্থাপন করতে পারলো তিনি অমর হয়ে গেলেন।
@মাহফুজ, ঠিক বলেছেন।
মাঝে মাঝে খুব অসহায় লাগে যখন ভাবি একদিন মরে যাব অথচ কত কিছু দেখিনি, শুনিনি,পড়িনি এখনো, মনে হয় জীবনের ২০টি বছর অলরেডি নষ্ট করে ফেলেছি হেলায়। 🙁
প্রবন্ধের বিভাগের মতই প্রবন্ধটি মজা লেগেছে।মজার একটি প্রবন্ধের জন্য লেখককে থ্যাংস… 😛
@ভুইফোঁড়,
আপনাকেও ধন্যবাদ। কিন্তু থ্যাংস দিয়ে জিহ্বা বের করার কারণটি বুঝলাম না। তার মানে থ্যাংস দিয়ে ভুল করে ফেললেন। কী আর করা, ভুল করা তো স্বভাবের একটা বৈশিষ্ট্য, কী বলেন? আমিও আপনাকে থ্যাংকস দেই :heart: দিয়ে।
তথ্যগুলো (যেমন তিমির আয়ু) সঠিক মনে হয় নি।
মোকসেদ আলী কি নীললোহিত টাইপের কিছু?
@তানভীরুল ইসলাম,
ধর্মীয় ব্যক্তিদের আয়ু নিয়ে ভাবি না। তবে তিমির আয়ু নিয়ে আমারও সন্দেহ রয়েছে। আমি এ বিষয়ে উইকিতে খোজ করলাম। কিন্তু সেখানে তিমির আয়ু সম্পর্কে লেখা পেলাম না। সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী এই প্রাণীটি কত বছর বাঁচে আপনার জানা থাকলে প্রকাশ করুন।
নীল আর লালের সংমিশ্রণৈ বেগুণী হয়। আর তা শিবকেই নির্দেশিত করে। শিব গাজা খেতেন।
না, মোকছেদ আলী নেশা জাতীয় কোন দ্রব্যাদি গ্রহণ করতেন না। তবে তিনি হাইপারগ্রাফিয়া টাইপের ছিলেন। বাতিকগ্রস্থের মত লিখতেন। তার লেখাগুলো পড়লে মনে হয়, কখনও আস্তিক, কখনও নাস্তিক, কখনও সংশয়বাদী। মোকছেদ আলী গাজা না খেলেও, গাজার আসরের বর্ণনা লিখেছেন চমৎকার করে। তিনি মাঝে মাঝে বিভিন্ন মাজার পরিদর্শন করতেন। মাজার পরিদর্শনের কাহিনিও লিখে রেখেছেন। যেমন: সোলায়মান বাবার আস্তানা দর্শন, শাহজালাল মাজার, লালন শাহ মাজার।
@মাহফুজ,
:laugh: তানভীরুল ইসলাম সম্ভবত জানতে চাইছেন মোকছেদ আলী ছদ্মনাম কিনা।
@রৌরব,
মোকছেদ আলী চরিত্রটিকে আগাগোড়াই মাহফুজ সাহেব রহস্যাবৃত করে রেখেছেন।
@গীতা দাস,
বিবর্তন তত্ত্ব দিয়ে ডারউইন লক্ষ লক্ষ বছর আগের রহস্য উন্মোচন করে ফেলছেন। আর মোকছেদ আলী তো উনবিংশ শতাব্দীর মানুষ। এই রহস্যও উন্মোচন করা তেমন কঠিন কাজ নয়।
@রৌরব,
কত্তায় বুঝায় কি, গিন্নি বুঝে কী? :-X
ধান ভানতে গিয়ে শিবের গীত গাইলাম। :laugh:
@মাহফুজ,
life expectancy of whales এটা দিয়ে গুগল করার পর এর উপরে 91,100 results (0.23 seconds) পেলাম। শুধু তিমির ওপরেই বহু ওয়েব পেজ আছে। নীল তিমির গড় আয়ু দেখা যাচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ বছর যা আপনার অতীব শ্রদ্ধেয় মোকছেদ আলীর দেয়া ১১০০ বছরের চাইতে সামান্য কম বলেই প্রতীয়মান হয়।
@সংশপ্তক,
আমি আসলে বাংলা উইকিতে খোঁজ করেছিলাম। আপনাকে ধন্যবাদ খুঁজে বের করার জন্য। আমি Encarta তে খুঁজে দেখে পেলাম। Whales may live from 20 to 60 years.
মোকছেদ আলী ভুল করেছেন বলেই তো তিমি সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে পারলাম। তানভীরুল ইসলাম ভুল সনাক্ত করেছিলেন। আমারও সন্দেহ জেগেছিল। আর সেই ভুল বা সন্দেহ থেকেই তিমি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অনুসন্ধান চলল।
@মাহফুজ,
এমনিতেই উইকি হচ্ছে ফাঁকিবাজ , ধান্ধাবাজ আর আদুভাইদের আস্তানা। বাংলা উইকির অবস্হা আরও করুণ । সন্দেহজনক এনসাইক্লোপিডিয়া না ঘেটে সব সময় গুগল করে বিশেষায়িত ওয়েব সাইট কিংবা জার্নাল থেকে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করবেন। তারপর একাধিক সূত্র থেকে ক্রস চেক করা বাঞ্ছনীয়। আমাদের রিসার্চ প্রজেক্টের ক্ষেত্রে আমাদেরকে সহস্র সাইট ঘাটতে হয়।
@সংশপ্তক,
খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর ভালো পরামর্শের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এখন থেকে তাই করবো। কিন্তু ওদিকে আবার গুগল হ্যাক হওয়ার সংবাদ পরিবেশ করা হয়েছে। একবার ঢুকেছিলাম, পরে সংবাদটি পেয়ে ভয়ে আর ঢুকিনি।
@সংশপ্তক,
এমন মনে হলো কেন?
@মাহফুজ,
মোকছেদ আলী সাধু ও চলিত দুই রীতিতেই লিখতে পারদর্শী ছিলেন দেখছি। 😛
যথারীতি এই গল্পটাও ভাল লাগল। তবে রম্য রচনার রম্য বেশি পরিমানে পাওয়া গেলনা। 🙂
@লীনা রহমান, তবে না খাওয়ার যে সুবিধাগুলো বললেন সেটা পড়ে অনেক মজা পেয়েছি।
এ ব্যাপারে আমার মত বলি, আমার মাঝে মাঝে মনে হয় খাবার আপনা আপনি মুখে এসে পড়লে মজা হত।নিজে নিয়ে খাওয়া অনেক ঝামেলা।মজার ব্যাপার কি জানেন?আমি আজ কদিন ধরে দু বেলা খাচ্ছি আলসেমি করে।বাইরে থেকে ফিরেই কম্পিউটার নিয়ে বসি।আম্মু ডেকে ডেকে হয়রান হয়ে যায়(যদিও আমার খেয়াল পড়েনা কখন, এতই বুদ হয়ে থাকি কম্পিউটার নিয়ে) শেষে বিরক্ত হয়ে শুয়ে পড়েন তিনি আর আমি না খেয়ে অনেক রাতে ঘুমাতে যাই।ক্ষুধা লাগলেও আলসেমি করে খেতে যাইনা 😛
আমার যে কি হবে… :-/
@লীনা রহমান,
বেহেস্তে নাকি এমনটি হয়। মনে হচ্ছে আপনার বেহেস্ত ছাড়া গতি নাই। ঘুরে আসবেন নাকি? 🙂
@শ্রাবণ আকাশ, ভালা বুদ্ধি!আজকে থেইকা তওবা করলাম, মুক্তমনায় আর আসুমনা।তাইলে বেহেস্তে যাওয়ার উপায় হইলেও হইতে পারে…মুক্তমনার পাবলিকগুলার রগ কাইটা দিমু :rotfl:
@লীনা রহমান,
আমাকে তো মা কিম্বা বড় ভাবী মুখে তুলে খাইয়ে দেয়। এই ধরনের পন্থা অবলম্বন করতে পারেন।
@মাহফুজ, আমার মা আমার মত নাফরমানরে মুখে তুলে খাওয়াবে!!!মনে হয়না 😛
@লীনা রহমান,
তিনি মাঝে মাঝে আঞ্চলিক ভাষাতেও লিখেছেন।
অমরত্ব লেখাটি কিছুটা রস রচনা টাইপের। মুক্তমনায় সেরুপ কোনো বিভাগ না থাকায়, রম্য রচনায় স্থান দিয়েছি।
@মাহফুজ, Average lifetime of a whale is 70 years but it can be upto 130 years.
@Sangram,
আপনি আবার এই তত্ত্ব কোথা থেকে আমদানী করলেন? উৎস উল্লেখ করুন।
সংশপ্তক বলেছেন- ৩৫ থেকে ৪০ বছর
আমি ইনকার্টা থেকে পেয়েছি ২০-৬০
আপনি বলছেন গড় আয়ু ৭০, কিন্তু ১৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
যাহোক যত বছরই বাঁচুক, মরে তো যাচ্ছে একটা সময়। কোন প্রাণীই দৈহিকভাবে অমর তো হতে পারছে না।
আপনি তথ্যটা কোথা থেকে পেলেন, সেটা জানাতে ভুল করবেন না যেন। প্রয়োজনে লিংক দিয়ে দিয়েন।
@মাহফুজ, Its only for the SPERM Whale.
http://www.enchantedlearning.com/subjects/whales/species/Spermwhale.shtml
http://library.thinkquest.org/26442/html/life/whale.html
@Sangram,
দয়া করে বাংলা হরফে ও বাংলা ভাষায় মন্তব্য করবেন। না হলে তা নাও প্রকাশিত হতে পারে। দেখুন – মুক্তমনা নীতিমালা
@সৈকত চৌধুরী, ধন্যবাদ । এখন থেকে বাংলায় লিখতে চেষটা করব ।
মাহফুজ ভাইকে অনেক ধন্যবাদ, খুব ভাল লাগলো। :rose:
অভিজিৎ দাদার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি…………………………………………….
আপনি তো মুক্তমনা ওয়েব সাইট এর মাধ্যমে মুক্তমন, মুক্তচিন্তা, মুক্তবুদ্ধি এর ব্যাপক প্রসার ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন। এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ছোট করব না। আপনি আমার কাছে অনেক অনেক বড় মাপের একজন মানুষ। আমার মনের অনেক প্রশ্ন এর উত্তর আমি কেবল মুক্তমনা সাইটেই পেয়েছি।
তো যাই হোক, আপনি যেমন ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ তথ্যগুলো প্রচার করছেন তেমনই আমিও সুযোগ পেয়েছি এনিয়ে আলোচনা করতে। তা হলো আমাদের এলাকায় একটি ধর্মীয় আলোচনা সভা শুরু হয়েছে। এর মূল উদ্যেশ্য হলো মানুষের ভুলভ্রান্তি দুর করা। অর্থাৎ তারা বলে যে আমরাও যুক্তিবাদী। যুক্তিদ্বারা ধর্মকে বুঝতে হবে। এর মদ্ধ্যে ৫ টি বৈঠক হয়ে গেছে, এটা হয় প্রতি ইংরেজী মাসের প্রথম শুক্রবার। সেখানে আমি আপনাদের মুক্তমনা থেকে পাওয়া কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলাম। তাতে যা বলার তা তো আন্দাজ করতেই পারতেছেন! আবোল তাবল কিছু উত্তর বলে গত সভা শেষ হল। যাইহোক এখন আমার অনুরোধ হল। আপনার একটা ই-মেইল এ্যাড্রেস দেন তাতে সেই সভার কিছু প্রশ্ন-উত্তর আপনাকে দেই। এবং দয়া করে যদি কিছু মন্তব্য করেন তাতে আমার (মুক্তবুদ্ধি প্রচারের) কিছু উপকার হবে বলে মনে করছি।
উল্যেখ্যঃ সে সভায় যে কেউ প্রশ্ন করতে পারবে এবং যে কেউ তার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করতে পারবে।
এ ব্যাপারে অভিজিৎ দাদার হয়ে যে কেউ আমাকে সাহায্য করতে পারেন।
আমার ই-মেইলঃ
[email protected]
ধন্যবাদ সবাইকে :rose:
@Digital Aslam,
নামটা বড়ই অদ্ভূত।যাক নামেই কি আসে যায়।
আপনাদের আলোচনা কি ইসলাম সম্পর্কিত?
যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে একটা পরামর্শ দেই(যদি কিছু মনে না করেন) শ্রদ্ধেয় অভিজিৎ’র সাথে সাথে , শ্রদ্ধেয় আবুল কাশেম,শ্রদ্ধেয় আকাশ মালিক এঁরা মনে হয় আপনাকে এই ব্যাপারে বেশি সাহায্য করতে পারবেন।
@আফরোজা আলম,
ধন্যবাদ আপু, আমার মন্তব্যের দিকে নজর দেয়ার জন্য :rose:
-> নামটা নিয়ে কোন চিন্তা নাই, ডিজিটাল বাংলাদেশের নাগরিক তো তাই 🙂
-> না, এটা মূলত যে কোন ধর্ম অথবা কু-সংস্কার সম্পর্কে। আর আপনার পরামর্শটা আমার চিন্তাতেও ছিল (পরামর্শ দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ)। তবুও আমি মনে করেছিলাম অভিজিৎ দাদার কাছে হয়ত যে কোন তথ্য সাজানো-গোছানো আছে। যেহেতু সে মুক্তমনার প্রধান এডমিন।
তারপরও যদি শ্রদ্ধেয় ভাইজানেরা আমার জন্য এগিয়ে আসে তবে আমার চেয়ে আর কে বেশি উপকৃত হবে?
ইচ্ছা করলে আপনিও আমাকে সাহায্য করতে পারেন (মূলত আমি সবারই দৃষ্টি আকর্ষন করেছি)।
আবারও ধন্যবাদ সবাইকে……………… :rose:
@Digital Aslam,
আপনার মন্তব্যের কথাগুলো হৃদয়কে স্পর্শ করে গেল।
আপনি যদিও অভিজিৎ রায়কে উদ্দেশ্য করে কিছু কথা বলেছেন। তার চোখে যদি আপনার মন্তব্যটি পড়ে তাহলে হয়ত জবাব দিবেন। আপনি মুক্তবুদ্ধি চর্চ্চার বিষয়টি ছড়িয়ে দিচ্ছেন এটা খুবই আশা জাগানিয়া কথা।
যাহোক আপনার সেই প্রশ্ন-উত্তর মুক্তমনায় পাঠাতে পারেন।
আপনার লেখা পাঠানোর জন্য মুক্তমনায় প্রবন্ধ পাঠানোর নিয়ম পড়ুন।
অমরত্ব নিয়ে লেখাটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। যথারিতি বেশ ভালো লাগলো।
লেখককে ধন্যবাদ।
@আফরোজা আলম,
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।