অমরত্ব

মোকছেদ আলী।

কবি বলছেন, ‘জন্মিলে মরিতে হইবে, অমর কে কোথা কবে,’ -কবির মতে এই জগতে কেউই অমর নহে।

মানুষের গড় আয়ু নাকি ৩০ বছর। জগতে যত লোক আছে তার মধ্যে সোভিয়েট রাশিয়ার অন্তর্গত জর্জিয়ার অধিবাসীগণের পরমায়ু দুনিয়ার আর সব রাষ্ট্রের অধিবাসীদের চেয়ে অনেক বেশি। তাদের গড় আয়ু ৯০ বৎসর। সে দেশের বেশির ভাগ লোক মারা যায় একশত বৎসরেরও উর্ধে গিয়ে। এমনকি ১৫০ বৎসর বয়সী বৃদ্ধের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। এত দীর্ঘজীবি হয়েও কেউ অমরত্ব লাভ করতে পারেনি।
আবার শোনা যায়- হিমালয় পর্বতের গভীর অরণ্যে পর্বতের গুহায় বহু যোগী ধ্যানমগ্ন অবস্থায় আছে, যাদের বয়স ৫/৬ হাজার বছর। তবুও তারা অমরত্ব লাভ করেনি। অমর করে কাউকে কি রাখা যায়। শোনা যায়, মিসরের পিরামিডের মধ্যে যে মৃতদেহ অক্ষয় হয়ে আছে সেই সব ফেরাউন বাদশাহগণের জীবন আয়ু নাকি খুবই দীর্ঘ ছিল। তৎকালিন রাজা বাদশাগণ ৫/৬ শত বৎসর জীবিত থাকতেন।

ধর্মীয় কিতাব মতে, মানুষের আয়ু ক্ষণস্থায়ী। অতীতকালে মানুষের আয়ু ছিল অনেক। কিন্তু পরবর্তীকালে আল্লাহ মানুষের আয়ু কমিয়ে দেন। ধর্মগ্রন্থ সমুহের বর্ণনায় আছে, প্রথম মানুষ হযরত আদম ৯৩০ বৎসর পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। অবশ্য আদমের চেয়েও বেশি বেঁচে ছিলেন নুহ। নুহ ৯৫০ বৎসর পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। এছাড়া ইয়ারুদ ৯৬২, মুতাশালেহ ৯৬৯, শিশ ৯১২, কীনান ৯১০, আনুশ ৯০৫, মাহলাইল ৮৯৫, লামাক ৭৭৭, ইব্রাহিম ১৭৫, ইসমাইল ১৩৭, ইসহাক ১৮০, ইয়াকুব ১৪৭, ইউসুফ ১১০, লুত ১৩৭, কহাত ১৩৩, ইমরান ১৩৭, যিহোয়াদা ১৩০, ইউসা ১১০, সারা ১২৭ বৎসর পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। ইনোক ৩৬৫ বৎসর দুনিয়াতে ছিলেন। এরপর তাকে আর দেখা যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাহলে কি তিনি মারা যাননি? কিতাব মতে, ইনোক মারা যান নি। তাকে আল্লাহ তুলে নিয়েছেন। কিন্তু কেউই দৈহিক অমরত্ব লাভ করেনি। আল্লাহ যে আয়ু নির্দিষ্ট করে রেখেছেন, তা তিনি পাল্টিয়েও দিতে পারেন। যেমন তিনি হিস্কিয়ের আয়ু ১৫ বছর বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই আধুনিক যুগে মানুষ কত বৎসর পর্যন্ত বাঁচে? এক এক দেশে এক এক রকম গড় আয়ু রয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ৬৫ বৎসর পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। তার আগের নবী হযরত ঈসা মাত্র ৩৩ বৎসর বেঁচে ছিলেন। (নবীদের নাম উচ্চারণের সময় আ. সা. পড়তে হয়! তাই পাঠক মনে মনে পড়ে ফেলুন)।

পশু-পাখিদের মধ্যে শকুন ২০০ বৎসর বাঁচে। এবং সমুদ্রের বিশালকায় প্রাণী তিমি ১১ শত বৎসর বাঁচে। তাহলে বোঝা গেল- প্রকৃতির রাজ্যে কোন জীবই অমর নয়। তবে মানুষ নাকি অমরত্ব লাভ করতে পারে, সে যদি গাছপাকা একটি হরিতকি গিলে খেতে পারে।

একটা শোনা গল্প বলি। গল্পটা শুনেছিলাম ভেড়ামারার বাহারের নিকট থেকে। লোকেরা তাকে বাহার কোম্পানী বলে ডাকতো। কেন যে তাকে কোম্পানী বলে ডাকা হয় তা জানি। কোনদিন জিজ্ঞেসও করিনি। গল্পটি এরূপ-

একবার এক মধ্যবিত্ত ঘরের ১৫/১৬ বৎসরের এক যুবক মানে কেবল কৈশর ছাড়িয়ে যুবকের দলে যোগ দিতে শুরু করেছে। যুবকের মা ছেলেকে ভাত খাবার কথা বললে সে জবাব দেয়, তার ক্ষুধা নেই, সে এখন কিছু খাবে না। দিন চলে গেলো। রাত এলো। ছেলে সারাদিন কিছু খায়নি। রাত্রে মা ছেলেকে খেতে বললে ছেলে দুপুরের ন্যায় উত্তর দিল তার ক্ষুধা লাগে নি। সুতরাং সে কিছুই খাবে না। মা শাস্ত্র বাণী উচ্চারণ করল, রাত্রে উপোস থাকতে হয় না। রাত উপোস করলে আয়ু কমে যায়। সুতরাং ক্ষিদে না লাগুক, এক মুট মুখে দিয়ে একটু পানি খেয়ে শুয়ে থাকেক গা। কিন্তু যুবক ছেলে মায়ের কথা অগ্রাহ্য করে বিছানায় শুয়ে মহাসুখে ঘুমালো। সকালে মা বাসি ভাত তরকারী গরম করে ছেলেকে ডেকে বলল, ‘হাত মুখ ধুয়ে শিগ্গির ভাত খেয়ে নে। কাল দুপুর থেকে উপোস করে আছিস।’ ছেলে পূর্ববৎ বলল, “মা, অযথা পিড়াপিড়ী করছো। আমার তো মোটেই ক্ষিদে পায় নি। ক্ষিদে লাগলে কি তুমি আমাকে ডাক পাড়ার সময় পেতে? আমি নিজেই ‘ক্ষিদেয় পেট জ্বলে গেল, তাড়াতাড়ি ভাত দে’ বলে তোমায় জ্বালাতন করতাম। আর এখন আমি ভাত খাব না। বলছি আমার মোটেই ক্ষিদে নেই অথচ আমাকে ভাত খাবার জন্য জ্বালাতন করছো।” ছেলের কথা শুনে মা চিন্তিত হল। তবে কি ছেলের কোন অসুখ করলো। নাকি অগ্নিমান্দ্যা হলো? ছেলে আর কিছু খায় না। কিন্তু শরীর তার ঠিক আছে। দৌড় ঝাপ ঠিকমত করছে। পিতা মাতা ভাবলো- ছেলেকে জ্বীন কিম্বা পরীতে ধরেছে। তা না হলে আজ ১০/১২ দিন কেউ কিছু না খেয়ে থাকতে পারে? মহাত্মা গান্ধিজীও মাঝে মাঝে অনশন ধর্মঘট করেন, ১২/১৪ দিন অনাহারে থাকতেন। তাহলে পুত্র কি গান্ধিজীর মত বিশ্ববিখ্যাত হবে নাকি? যাহোক পিতামাতা ডাক্তারের শরণাপন্ন হলো। ডাক্তার দাওয়াই দিলেন, কিন্তু ছেলের এক কথা, সে কিছ্ইু খাবে না। পিতামাতা পুত্রের অনাহারের জন্য ভীষণ চিন্তিত হলো। সব খুলে বলল কবিরাজের কাছে। কবিরাজ ব্যর্থ হলেন। মৌলবী সাহেবের নিকট হতে তেল পড়া, পানি পড়া, দোয়া তাবিজ এনে ছেলেকে দিলো, না তবুও ছেলের ক্ষুধা লাগে না। ছেলে পানি পর্যন্ত খায় না। পানি না খেয়ে ছেলে বেশ সুস্থ সবল আছে। কাজ কাম সব করে, দৌড় ঝাপ পাড়ে। একটুও কাতর হয় না। বরং স্বাস্থ্য আগের চেয়ে সবল হয়েছে।

খাওয়া বন্ধ, হাগাও বন্ধ। এতে পড়াশোনার প্রচুর সময় পাওয়া যায়। দৈনিক তিন বার আহার করতে কম করেও হাতমুখ ধোয়াতে সময় ব্যয় হয়। মানে খাবার পূর্বে একবার হাত মুখ ধোও, আবার খাবার পরে আরেকবার হাতমুখ ধোও। কত ঝামেলা। আবার আছে আরেক ঝামেলা, খাদ্য পরিপাকযন্ত্রে গিয়ে হজম হবে। তার অসার বস্তুগুলি পাকস্থলী থেকে বেরিয়ে আসবে। তখন তো সেই অসার বস্তুগুলি যেখানে সেখানে রাখা যাবে না। তখন দৌঁড়াতে হবে নির্জন নিরালা স্থানে। সেখানে বস্তুগুলি রাখতেও বেশ সময় লাগবে। আবার বস্তুগুলি থেকে এক প্রকার গন্ধ বের হবে, যা মনুষ্যের ঘ্রাণগ্রহণ যন্ত্রকে বিকল করে দেবে। সুতরাং বিবেকবুদ্ধি খাটিয়ে বস্তুর ঘ্রাণ যাতে মনুষ্য সমাজে আগমন না করে, অতিদ্রুত তার সুব্যবস্থা করতে হবে। এর দ্বিতীয় বস্তুগুলি যে গেট বা ঘাট দিয়ে বহির্গমন করেছে সেই ঘাটে বা গেটে তার অংশ বিশেষ লেগে থাকে। সেই ঘ্রাণযুক্ত বস্তুটুকুকে বিশুদ্ধ পানি দ্বারা উত্তমরূপে ধৌত করতে হবে। নচেৎ এই অবস্থায় মনুষ্য সমাজে প্রবেশ করা যাবে না। তবে দেখ এক আহারের নিমিত্ত কত ঝামেলা। আর যদি আহার না করা যায়, তবে ছোট ঝামেলা, বড় ঝামেলা, মেজ ঝামেলাও আর থাকে না।

কিন্তু স্নেহময়ী জননী তত্বের এত গভীরে না গিয়ে পুত্রের জন্য কান্নাকাটি শুরু করল। তার কান্না শুনে দরদী প্রতিবেশীগণ সমবেদনা জানাতে বাড়িতে সমবেত হলো। দেখতে দেখতে কথাটা গ্রামময় রাষ্ট্র হয়ে গেলো। ১৫ দিনের অনাহারী সুস্থ সবল যুবককে দেখার জন্য কৌতুহলী জনতার ঢল নামলো।

জনতার ঢল দেখে এবং কোলাহল শুনে এক দরবেশ কৌতুহলী হয়ে কারণ জানতে চাইলো। এক পৌঢ় ব্যক্তি দরবেশের কাছে বিস্তারিত বিবরণ দান করলেন। এবং দরবেশকে এর একটা বিহিত ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করলেন। দরবেশ মুহুর্তমাত্র দেরী না করে তার ঝোলা থেকে একটা ঔষধ বের করে যুবককে জোর পূর্বক খাইয়ে দিলেন। অমনি যুবক হর হর করে বমি করতে লাগলো। দরবেশ দুই হাত দিয়ে সেই বমি ঘাটতে লাগলেন। বাস, একটি ফল পাওয়া গেল। দরবেশ ফলটি তাড়াতাড়ি করে তার লম্বা কোর্তায় মুছে টপ করে গিলে খেয়ে হাঁটা ধরলো।

ছেলে তখন ‘মা খিদেয় মরে গেলাম, শিগগির ভাত দাও’ বলে চেঁচাতে লাগল। মা থালা ভর্তি করে ভাত দিল। ছেলে গোগ্রাসে ভাত খেয়ে শান্তি পেল।

প্রবীণ লোকেরা বলাবলি করতে লাগল, ছেলেটা বোধ হয়, গাছপাকা তরিতকি গিলে খেয়েছিল। যার জন্য তার ক্ষুধা চিরতরে তিরোহিত হয়েছিল। ছেলেটি অমরত্ব লাভ করেছিল। কিন্তু পিতামাতার ভুলের জন্য ছেলেটির অমরত্ব ঘুচে গেল। পক্ষান্তরে দরবেশ চির অমরত্ব লাভ করলো। এখন সে মহানন্দে বিশ্ব ভ্রমণ করতে পারবে। আর যেখানে খুশি সেখানে বসেই ধ্যান করতে পারবে।

বাহার সাহেব গল্প বলেই আমাকে বলল, ‘ডুমুরের ফুল দেখলে যেমন বাদশাহ হওয়া যায়, তেমনি গাছপাকা হরিতকি খেলে অমরত্ব লাভ করা যায়।

অমরত্ব লাভের আরেকটি উপায় আছে-

সেটা, ‘সময়ের মূল্য বুঝে যে করেছে কাজ, মরিয়াও অমর তারা জগতের মাঝ।’ সংস্কৃত শাস্ত্রে আছে- ‘কীর্ত্তিযস্য স জীবতি।’ যে ব্যক্তি মহৎ কোন কিছু করে জগতে অক্ষয় কীর্ত্তি স্থাপন করতে পারলো তিনি অমর হয়ে গেলেন। যেমন তাজমহল। অমর কীর্ত্তি তাজমহল নির্মাণ করে সম্রাট শাহজাহান জগতে অমরত্ব লাভ করেছেন। ফেরাউন বাদশাহগণ পিরামিড তৈরী করেও অমর হয়ে আছে। অমর যদি হতে চাও তবে একটা কীর্তি স্থাপন কর। তবে এই কীর্তি এমন স্থানে স্থাপন করতে হবে যেখানে পদ্মার মত প্রমত্তা নদী না থাকে। ভাগ্যকূলের কুন্ডুদের বহু কীর্তি ছিল। পদ্মা সেগুলি একে একে সব গ্রাস করে কীর্তিনাশা নাম ধারণ করে মেঘানার সাথে মিশেছে। আবার দেখ, যদি অমর হতে চাও তবে একটা মহাকাব্য রচনা কর। হোমার ইলিয়াড কাব্য রচনা করেছেন, মহাকবি কালিদাস শকুন্তলা কাব্য রচনা করে জগতে অমর কবি হয়ে আছেন। আরো আছে, যদি মানব কল্যাণের জন্য কোন কিছু আবিষ্কার করতে পারো তা হলেও অমর হতে পারবে। মার্কনী সাহেব রেডিও আবিষ্কার করে অমর হয়ে আছেন। ষ্টিভেনসন রেলগাড়ি তৈরী করে অমর হয়ে আছেন। মাইকেল ফ্যারাডে বিদ্যুৎ আবিষ্কার করে অমর হয়ে আছেন। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিস্কার করে অমর হয়ে আছেন।

আমাদের দেশেও ঐ রকম ২/১ জন আবিস্কারক আছে। জগদীস চন্দ্র বোস গাছের প্রাণ আছে এটা প্রমাণ করে ফ্রেস্কোগ্রাফ যন্ত্র আবিস্কার করে অমর হয়ে আছেন। আবার বড় বড় রাজনীতিবিদগণ দেশের অশেষ কল্যাণ করে গেছেন। কায়েদে আজম পাকিস্তান কায়েম করে, শেখ মুজিব বাংলাদেশ কায়েম করে অমর হয়ে আছেন।

আবার দেখ, দুনিয়ার অজানা দেশ আবিষ্কার করে অমর হয়ে আছেন। যেমন, কলম্বাস আমেরিকাগো ভেচপুচি অমর হয়ে আছেন।

আবার দেখ, হিমালয় পর্বতের এভারেষ্ট পর্বতচূড়া যা মাটি হতে সাড়ে ছয় মাইল উচু, যেখানে সব সময় কঠিন বরফে ঢাকা থাকে। আবার গরমে হঠাৎ তুষার ধ্বস নেমে সব পথ বন্ধ করে দেয়। মানুষ বিগত শত বৎসর ধরে চেষ্টা করেছে হিমালয়ের চূড়ায় উঠে দুনিয়াটা দেখতে, কিন্তু পারে নাই। মৃত্যুবরণ করেছে। তবুও মানুষ চেষ্টা ছাড়েনি। অবশেষে তেনজিং ও হিলারী সেই দুর্গম পথে দুঃসাহসী হয়ে উঠে পড়লেন এভারেষ্ট শৃঙ্গে। সারা বিশ্বে ধন্য ধন্য পড়ে গেল। তেনজিং হিলারী ইতিহাসের এক অমর বীর। যতদিন হিমালয় থাকবে, মনুষ্য সভ্যতা যতদিন থাকবে, তেনজিং হিলারী ততদিন বেঁচে থাকবে সভ্য মানুষের স্মৃতিতে। তুমি আমি আজ থেকে শত বৎসর পর মানুষের স্মৃতি থেকে মুছে ছাফ হয়ে যাব। কিন্তু তেনজিং হিলারী দুঃসাহসী বীররূপে জাগরুক থাকবে ইতিহাস ও ভুগোল পড়ুয়াদের অন্তরে।

চাঁদ পৃথিবী থেকে ৫০ লক্ষ মাইল দূরে। সেই চাঁদে পদার্পন করলেন মাইকেল কলিন্স আর অলড্রিন। মানব ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা বিস্ময়কর অভিযান চালিয়ে প্রমাণ করলেন, মানব জাতি সর্বাপেক্ষা দুঃসাহসী। তারা আজ অমর।

এমনিভাবে ভবিষ্যতে অমরের খাতায় নাম লেখাবে কত শত মানুষ। তাহলে মানুষ অমর হতে পারে তার মহৎ কাজের মাধ্যমে। কিন্তু দৈহিক অমরত্ব কি কখনোও সম্ভব? ‘কুল্লু নাফসিন জায়েকাতুল মাউত’। প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। অতএব এই দুনিয়াতে দৈহিক অমরত্ব বা চিরকালীন দৈহিকভাবে বেঁচে থাকা কখনই সম্ভব নয় বলেই বোধ হচ্ছে। আগে যেমন সম্ভব হয়নি, এখন যেমন সম্ভব হচ্ছে না, তেমনি ভবিষ্যতেও সম্ভব হবে কিনা সন্দেহ। আর সত্যি সত্যি যদি বিজ্ঞান দৈহিক অমরত্বের কিছু একটা আবিষ্কার করেই ফেলে, তাহলে জনবিস্ফোরণ ঘটবে। তখন হয়তো দেখা যাবে মানুষ অন্য কোন গ্রহে বাস করার গবেষণায় লিপ্ত হয়ে পড়বে।