পৃথিবীর সকল লেখকদের প্রতি লিউ জিয়াবোর আবেদন
httpv://www.youtube.com/watch?v=2QJGuPOMPvE
*************
সকালে উঠে প্রথমেই যে খবরটার প্রত্যাশায় ছিলাম-বলাই বাহুল্য দেখেই অত্যন্ত খুশী হলাম। দলাই লামা, ডেসমন্ড টুটু চীনের মানবাধিকার নেতা লিউ জিয়াবোকে এবারের নোবেল শান্তি প্রাইজের জন্যে বেছে ছিলেন-এবং নরওয়ের নোবেল কমিটি চীনের বিদেশ মন্ত্রীর প্রচ্ছন্ন হুমকি উপেক্ষা করে লিউ জিয়াবোকেই বিজয়ী ঘোষনা করে। আগের বারে ওবামাকে নোবেল দেওয়া বেশ বিতর্কিত ছিল-এবার বলা যায় সুদে আসলে সেই খেদ মেটালো নোবেল কমিটি। চীনের গান্ধীকে যথাযোগ্য সন্মান দিয়ে নোবেল শান্তি পুরস্কার বহুদিন বাদে গেল তার কাছে, যিনি সত্যিই এর যোগ্য দাবিদার।
সাথে সাথে দুনিয়া দেখলো কমিনিউস্টদের বাঁদরামো। আমি চীনা কমিনিউস্টদের আলাদা করছি না-কারন পশ্চিম বঙ্গেও কমিনিউস্টদের অসভ্যতা, বাঁদরামো এবং গুন্ডামো দেখতে দেখতে আমরা বিরক্ত। বিংশ শতাব্দিতে অসভ্যতা, অত্যাচার এবং মানবিকতার দলনের ইতিহাসে কমিনিউস্টদের কেও হারাতে পারবে না ( এই নিয়ে আমার বিস্তারিত লেখা এই লিংকে পাবেন)। নোবেল প্রাইজ ঘোষনা করা মাত্র চীনে সি এন এন বন্ধ করে দেওয়া হয়। টুইটার ও বন্ধ হয়। লিউ জিয়াবো নামে সার্চ দিলে চিনের কোন সাইটে কিছু যাতে না আসে তা সিদ্ধ করা হয়। খবর পাচ্ছি একদিনে অন্তত ১০ টি চীনা ব্লগকে বন্ধ করা হয়েছে। কিন্ত তাতেও টুইটারকে আটকানো যায় নি-প্রক্সি সাইট দিয়ে চিনারা ভালো ভাবেই খবর পেয়েছেন। তারাও আজ গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে ভাবাবেগে আপ্লুত। টুইটারে বাঁধন ভাঙা জলের মতন ছড়িয়ে পড়ছে চীনে গণতন্ত্রের দাবী।
তবে লিউ জিয়াবো এখনো সম্ভবত তার বিজয় খবর জানেন না। হয়ত তিনি এখনো জেলে পাথর ভাংছেন। তার স্ত্রী লু জিয়াকে চীনা পুলিশ গতকালই তুলে নিয়ে গেছে যাতে তিনি মিডিয়ার সাথে কথা বলতে না পারেন। সাথে সাথে নরওয়েকে শাসাচ্ছে চীনা মিডিয়া এবং সরকার। প্রকাশ্যেই।
কি করেছেন লিউ জিয়াবো? যার জন্যে তিনি এই নিয়ে চতুর্থবারের জন্যে জেলে? ১৯৮৯ সালে তিয়েমান স্কোয়ারের বিক্ষোভের সময় তিনি আমেরিকাতে পড়াচ্ছিলেন। দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দেখে বিদেশে স্থির থাকতে পারেন নি বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্যের এই অধ্যাপক। জেল অবধারিত জেনেও চীনে ফিরে আসেন শুধু গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্যে। এবং দু বছরের জন্যে তাকে জেলে পাঠানো হল। মনে রাখতে হবে, তিনি কোন আইন ভাঙেন নি। শুধু গনতন্ত্রের দাবিতে লিফলেট ছড়িয়েছিলেন। অবশ্য কমিনিউস্টদের চোখে সেটাই অপরাধ। এর পর আবার জেল ১৯৯৫ সালে ছমাসের জন্যে-সেই গণতন্ত্রের দাবিতে। ১৯৯৬ সালে চীনা সরকার তাকে তিন বছরের জন্যে “কমিনিউস্ট রিহ্যাবিলেটশনে” পাঠায়। যেহেতু তিনি কমিনিউজমের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্যে সোচ্চার দাবিদার- তাকে লেবার ক্যাম্পে পাঠানো হয় কমিনিউম বুর্জোয়া গণতন্ত্রের থেকে কত মহান তা পাথর ভেঙে শিক্ষা দিতে। তাতেও তাকে দমানো যায় নি। লিউ জিয়াবো পন্ডিত লোক। তিনি জানেন এবং বলেন, পৃথিবীতে যারাই স্বৈরাচারি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে-সবার ভাগ্যেই জুটেছে মৃত্যু বা জেল। তিনিই বা ব্যাতিক্রম হবেন কেন? এই বিশ্বাসেই তিনি হাঁসিমুখে জেলে গেছেন বারংবার-যার তুলনা শুধু মহত্মা গান্ধী। শেষ জেল যাত্রা ২০০৯ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর। মাত্র দুঘন্টার বিচারে তাকে ১১ বছরের জন্যে জেলে পাঠানো হল। অবশ্য তিনি ভাগ্যবান। তার আরেক ডেমোক্রেটিক সাগরেদকে মাত্র দশমিনিটের বিচারেই তিন বছরের জন্যে জেলে পাঠানো হয়েছে। তার স্ত্রী বা অন্য কোন ইন্টারন্যাশাল অবর্জাভারকে ঢুকতে দেওয়া হয় নি কোর্টরুমে।
তার অপরাধ?
চীনে গনতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে একটি সনদ লিখে সেটি ব্লগ সাইটে প্রকাশ করার ইচ্ছা ছিল তার। চীনে বিশিষ্ঠ ৩০০ জন বুদ্ধিজীবী তাতে সাক্ষর করেন ( এদের মধ্যে ৬০ জন জেলে বাকিদের ভাগ্যে জুটেছে নানা রকমের হেনস্থা) । এই চার্টার প্রকাশের আগেই তাকে তুল নিয়ে যায় পুলিশে। কি বক্তব্য ছিল চার্টারে?
This year is the 100th year of China’s Constitution, the 60th anniversary of the Universal Declaration of Human Rights, the 30th anniversary of the birth of the Democracy Wall, and the 10th year since China signed the International Covenant on Civil and Political Rights. After experiencing a prolonged period of human rights disasters and a tortuous struggle and resistance, the awakening Chinese citizens are increasingly and more clearly recognizing that freedom, equality, and human rights are universal common values shared by all humankind, and that democracy, a republic, and constitutionalism constitute the basic structural framework of modern governance. A “modernization” bereft of these universal values and this basic political framework is a disastrous process that deprives humans of their rights, corrodes human nature, and destroys human dignity. Where will China head in the 21st century? Continue a “modernization” under this kind of authoritarian rule? Or recognize universal values, assimilate into the mainstream civilization, and build a democratic political system? This is a major decision that cannot be avoided.
খুব সুন্দর বক্তব্য-এই একবিংশ শতাব্দিতে পৃথিবীর কোন রাজনৈতিক সিস্টেমই বাকস্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রকে অস্বীকার করে চলতে পারে না। অথচ চীনের স্বৈরাচারী কমিনিউস্ট সরকার ঠিক তাই করে চলেছে। এমনকি প্রাইজ পাওয়ার পরেও বোকার মতন মিডিয়া সেন্সরশিপের বাঁদরামো করে পৃথিবীতে সবার সামনে হাস্যস্পদ হচ্ছে। ভাবা যায় চীনের কোন মিডিয়াতে এই খবর প্রকাশ করা হয় নি? যে কটি ব্লগ সাইট তা করার সাহস করেছিল-তাদেরকে বন্ধ করা হয়েছে। টুইটার নিশিদ্ধ -সি এন এন এবং সব আন্তর্জাতিক মিডিয়ার ওপর সম্পূর্ন ব্ল্যাক আউট।
লিউ জিয়াবোর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার গোটা পৃথিবী। আমআদমি থেকে ওবামা একই সুরে কথা বলছেন। চীনের অবশ্য তাতে রক্ত চক্ষু দেখানো কমে নি। তারা নোবেল কমিটি একজন “অপরাধি” কে কি করে প্রাইজ দিতে পারে সেই নিয়ে
বোকা বোকা প্রশ্ন তুলছে! চীনা বিদেশমন্ত্রীর কি এটুকু পড়াশোনাও নেই যে তিনি জানেন না নেলসন ম্যান্ডেলা বা মহত্মা গান্ধী কবার জেল খেটেছেন? তারা কি জানেন না গান্ধী বলে গেছেন স্বৈরাচারীদের তৈরী জেল গণতন্ত্র প্রেমীদের পবিত্র মন্দির?
আমি বারবার যে কথাটা লিখতে চাই-সেটা ইতিহাসের সহজতম সত্য। ক্ষমতাই পচনের মূলে। কমিনিউজম তাত্বিক দিয়ে খুব খারাপ কিছু না হলেও, লেনিন যেভাবে ভোটে হেরে, গণতন্ত্রকে খুন করে ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন করার স্কীম করে গেছেন, সেটাই কমিনিউস্টদের পৃথিবীর সব থেকে অত্যাচারী ঘৃণিত জীব বানিয়েছে। সিস্টেমের নাম ক্যাপিটালিজমই হোক বা কমিনিউজম হোক-সর্বত্র সমস্যার সূত্রপাত “ক্ষমতা”থেকে-সে ক্ষমতার উৎস টাকাও হতে পারে- আবার লেনিনিজমও হতে পারে ( আমি কমিনিউজম না বলে লেনিনিজম লেখাই ঠিক মনে করি-চমস্কির সাথে আমিও সহমত -আসলেই লেনিনিজম কমিনিউজমের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস)। মার্কেটের মনোপলি বা রাজনৈতিক ক্ষমতার মনোপলি দুটোই খারাপ-এবং কারনটাও সেই এক-ক্ষমতার পুঞ্জীভবন। লেনিন, স্টালিন বা মাওদের মতন অমানবিক নরদানবদের তান্ডবলীলা যে সোভিয়েতের পতনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় নি-লিউ জিয়াবোর নোবেল প্রাইজ আবার তা স্বরণ করালো।
আমাদের বঙ্গজ কমিনিউস্টরা লিউ জিয়াবোর নোবেল প্রাইজকে সহ্য করতে পারছেন না-আমি তাতে আনন্দিত। ওদের মুখোস আরো খসে পড়ছে। লিউ জিয়াবোর বিচারের কমিনিউস্ট তামাসা আজকে পৃথিবী ডিটেলসে জানল-কিন্ত আমাদের মতন যারা কমিনিউজমের ইতিহাস নিয়ে চর্চা করেছে-তারা বিলক্ষন জানেন, কমিনিউজমে বিচার মানে, বিচারক অপরাধ পড়ে শোনায়। কয়েদি তা স্বীকার করে। খাতা কলমে তাই লেখা থাকে। ঠিক যেমন ভাবে বুখারীন তার “অপরাধ” স্বীকার করেছিলেন ৩০ মিনিটের বিচারে-এবং তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড়াতে হয়েছিল-ঠিক তেমন ভাবেই লিউ জিয়াবো “অপরাধ” স্বীকার করেছেন। যেমন গান্ধী করেছিলেন। স্বরাজ যদি অপরাধ হয়, গান্ধী সেই অপরাধে বার বার জেল খাটতে রাজী ছিলেন। লিউ ও একই দর্শনের পথিক। গণতন্ত্রের দাবি যদি অপরাধ হয় লিউ বার বার জেলে যেতে রাজি। সেটাই তার স্বৈরাচারী কমিনিউস্ট শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-যা কমিনিউস্ট বাঁদরদের মানুষের মুখোস আরেক বার খুলে নিল।
আমি আবাক হলাম যে আপ্নারা চিন কে এখন কমিনিউস্ট রাস্ট ধরেন। আমার জানা মতে ১৯৮৫ শালের পর পৃথিবিতে আক কনো কমিনিউস্ট দেশ নাই। এমন কি ১৯৫৩ শালের পর রাশিয়া কে ও আর কমিনিউস্ট বলা হয় না। কস্ট লাগ্ল এই আমাদের অবস্তা।
বিপ্লব পাল
আপনি অনেক জানেন।কিন্তু কমিউনিজম নিয়ে আপনার লেখাপড়া হয় খুব সীমিত নয়তো আপনার সামাজিক-রাজনীতিক-অর্থনীতিক বিশ্লেষণ ক্ষমতা খুবই দূর্বল।আর একটা কারণ থাকতে পারে,সেটা হচ্ছে আপনার মধ্যে ডানপন্থি পাতি-বুর্জোয়া ভাব প্রবল।যাই হোক,আপনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টি আর মাওবাদীদের কমিউনিস্ট ভেবেছেন-যা কিনা প্রকারান্তরে আপনার এই বিষয়ে দূর্বলতাকেই প্রকাশ করে।আপনি প্রায়োগিক ক্ষেত্রে কাজ করেন নি বলেই বোধ হচ্ছে,ফলে পাতি চিন্তা চেতনায় আপনি আচ্ছন্ন হয়ে আছেন।ভাই আপনার বৈজ্ঞানীক বিশ্লেষণগুলো আমার খুব ভাল লাগে।আপনি এই জায়গাতেই সীমাবদ্ধ থাকুন না,বেহুদা না বুঝে কমিউনিজম নিয়ে মাতামাতি গুতাগুতি করেন কেন!!!!!!!!!!!
@ইমরান মাহমুদ ডালিম,
আপনি কম্যুনিজম জানেন বোঝেন শুনে ্ভাল লাগল। কারন মার্কসবাদ ঠিক ঠাক বোঝে এমন বাঙালী্র সন্ধান আজ অব্দি পাই নি।
আমি কিছুদিন আগে কমিনিউজম সংক্রান্ত ভুল ধারনার তালিকা প্রকাশ করেছিলাম। আপনার মন্তব্য পেলে বাধিত হইঃ
পোস্টটি কাজ করছে কিনা তা টেস্ট করা হচ্ছে।
আমি আপনার সাথে অনেকটা একমত কিন্তু আমার মতে সমস্যার মূলে কমিউনিসম নয়, বরং স্বৈরতন্ত্র। এটা বামপন্থী চিনের মত সামরিক শাসনের মায়ানমারেও দেখা গেছে, স্বৈরতান্ত্রিক দেশে মানবাধিকার দাবী করলে নিপীড়নের শিকার হবেই।
@দিগন্ত,
আমি একমত। এবং সেটা আমার লেখাতেও আছে।
@দিগন্ত,
স্বৈরতন্ত্র গণতন্ত্রের উলটো। তাই স্বৈরতন্ত্র ছাড়া কমিউনিসম টিকতে পারেনা। গণতন্ত্র কমিউনিসম এর বিপরীত। একই কথা বলা যায় ধর্মতন্ত্রের ব্যাপারে। তাই দুটোই রক্ষা করা হয় স্বৈরতন্ত্রের মাধ্যমে। এর ব্যতিক্রম আছে বলে জানি না। গণতন্ত্র আছে এমন অবস্থায় ধর্মতন্ত্র বা কমিউনিজম আসতে পারে গণতান্ত্রিক ভোটে। কিন্তু সেটা গণতন্ত্রের শেষ সূচণা করে। গণতন্ত্র -> কমিউনিজম বা গণতন্ত্র -> ধর্মতন্ত্র ঘটতে পারে গণতান্ত্রিক উপায়ে কিন্তু কমিউনিজম -> গণতন্ত্র বা ধর্মতন্ত্র -> গণতন্ত্র কখনই গণতান্ত্রিক উপায়ে ঘটতে পারে না।
লুই জিয়াবোর মুক্তি দাবীতে সরব হচ্ছে চীনের নাগরিকরাঃ
httpv://www.youtube.com/watch?v=NXVDXR1biH8&feature=player_embedded
কিউবান কমি ভাইরা চীনকে কি ভাষায় সমর্থন করছে দেখুন।
There is “no difference at all” between Liu, 54, and “the type of ‘dissident’ that the United States has been designing for decades to use … as fifth columns in those countries that they disagree with because those countries dissent from (the US) hegemony,” the article said.
মাঝে মাঝে ভাবি এরা কোন শতাব্দিতে বাস করে?
এখানে চীনা বন্ধুদের সাথে কথা বললে অবাক হই। নিজেকে অমন অবস্থায় কল্পনা করতে পারি না।
চীনকে মাঝে মাঝে একটা খুব বড় আকারের লেবারক্যাম্প ছাড়া কিছু মনে হয় না।
খারাপ কমিউনিস্ট -ভালো কমিউনিস্ট = মিলিটারি, পুলিশ, ব্যুরোক্র্যাসি, সরকারী কোষভান্ডার
চীনের কমিনিউস্ট নেতৃত্বের আরো বাঁদরামোর খবর আজকেই পাওয়া গেল-্জিয়াবোর স্ত্রঈ কার্যত নিখোজ ( ্পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে) এবং তার মোবাইল কানেকশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আনন্দবাজারের খবর।
:guli:
//কমিনিউজম তাত্বিক দিয়ে খুব খারাপ কিছু না হলেও, লেনিন যেভাবে ভোটে হেরে, গণতন্ত্রকে খুন করে ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন করার স্কীম করে গেছেন, সেটাই কমিনিউস্টদের পৃথিবীর সব থেকে অত্যাচারী ঘৃণিত জীব বানিয়েছে। //
যথার্থ পর্যবেক্ষণ। কমিউনিস্ট শাসকরা যেভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে, তাতে করে ‘কমিউনিজম’ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের খুব খারাপ একটা ধারণা হয়ে গিয়েছে; এই ধারণা বোধ হয় আর পাল্টাচ্ছে না।
মানুষ তার চোখের সামনেরটাই দেখে, তত্ত্বগতভাবে কোনটা অধিক কার্যকরী এইসব চিন্তা করার মত সময় বা চেষ্টা কোনটাই মানুষের নেই।
বিপ্লব দা, অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। 🙂
অসাধারণ লেখা :yes:
বাংলাদেশের, ভারতের বা বলতে গেলে তৃতীয় বিশ্বের যেখানেই গণতন্ত্র সাংবিধানিক ভাবে স্বীকৃত সেসব জায়গাতে আমরা আসলে আপনার কথা মত বাঁদরামোই দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশে কোন বাক স্বাধীনতা নেই, দুর্নীতিতে দুর্গন্ধময়, ভারতেও একই অবস্থা বা যা বলছিলাম তৃতীয় বিশ্বের সবজায়গাতেই একই অবস্থা। কমিনিজম আলাদা ভাবে কি করেছে একটু বুঝিয়ে বললে ভালো হত। অবস্থা হয়তো উনিশ বিশ, কিন্তু তাতে করে আপনি যেভাবে বলছেন সেই অবস্থা কি আসলেই আছে? সোভিয়েত ইউনিয়ন(বর্তমান রাশিয়া), চীন বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ। রাশিয়া অনেক আগে থেকেই শক্তিশালী। তারা এই উন্নয়ন কিভাবে করেছে বলে মনে করেন? আমি কিন্তু তর্ক করছি না বিপ্লব দা। শুধু জানার জন্য।
তাত্ত্বিকভাবে কমিউনিজম আসলে খারাপ কোন জায়গায়? মানবতাবাদী বেশির ভাগ মেধাবীকেই এই মতবাদ বেছে নিতে দেখা যায় কেন?
আমিতো বলব মানুষের মাথা থেকে সৃষ্টি সবচেয়ে মানবিক মতবাদই হল কমিউনিজম। যেখানে যুক্তি দিয়েই দেখান হয়েছে কিভাবে একটি আদর্শ সমাজ তৈরী করা যায়। যেখানে কোন শ্রেনী বৈষম্য থাকবে না, যেখানে থাকবে না মুক্তবাজার অর্থনীতির মত একটা রাক্ষস।
উন্নত বিশ্বের বাকস্বাধীনতাকে, গণতন্ত্রকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আপনার কি মনে হয় না এই গণতন্ত্র আসলে বৃথা? এই গণতন্ত্র আমাদের আসলে দিয়েছে কি? এই গণতন্ত্র আমাদেরকে যেটুকু শেখায় তা হল যেভাবে পারো কামাও।
আসলে এই গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা কি আমাদের?
যার পেটে আসলে ভাত নেই, তার কাছে গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা শুধুই পরিহাস।
প্রতি বছর নোবেল দেয়ার সময়েই ঝামেলা থাকে। এটা নতুন কিছু নয়।
লিউ জিয়াবোকে আমি চিনি না। তাই তার সম্পর্কে মতমত দিতে পারছি না।
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার চিন্তাধারায় দুটি ভুল আছে। সম্ভবত কমিনিউজম আমরা যে ডিটেলসে গেছি ( যেকারনে আপনাদের বাংলাদেশের অনেকেই ইসলামের ইতিহাসের গভীরে গেছে), সেখানে গেলে আপনি অন্য কিছু ভাবতেন।
প্রথমে একটা ভুল দূর করি যে ভারতে বাক স্বাধীনতা নেই। এটা ভুল। পেটে ভাত না থাকলেও আন্দোলনের স্বাধীনতা এখানে ১০০% ই আছে। সেই জন্যে সিঙ্গুর থেকে টাটা, নন্দীগ্রাম থেকে সেলিম, পস্কো, ভেদিক্ ইত্যাদি নানান কর্পরেট জমি দখল করতে পারে নি। এটা গত তিন বছরের ইতিহাস। এছারাও ভারতের অনেক বুদ্ধিজীবি কাষ্মীরের স্বাধীনতার সপক্ষে প্রকাশ্যে সওয়াল করেছেন , মাওবাদিদের পক্ষে সওয়াল করেছেন-তাদের কেও জেলে পোড়ে নি-ভারতীয় টিভিতে তারা রেগুলার মুখ দেখাচ্ছেন। সুতরাং চীন বা কমিনিউস্ট দেশের বাক স্বাধীনতার সাথে ভারতের তুলনা করাটা একদমই ঠিক না।
এবার প্রশ্ন করবেন যে এই গণতন্ত্র দিয়ে কি পেলাম?
ভারতে পৃথিবীর সর্বাধিক নিরক্ষর এবং বুভুক্ষ বাস করে। চীন করে না। তারা আমাদের চেয়ে উন্নত।
তবুও আমি ভারতের গণতন্ত্রকেই সমর্থন করব। কারন বস্তবাদি উন্নতি যদি
মাপকাঠি হয় রাজনৈতিক সিস্টেমের তাহলে প্রশ্ন উঠবে হিটলারকে ্কেন সমর্থন করবো না? লোকট মাত্র চার বছরে জার্মানীর বেকার সমস্যার সমাধান করে, দেশটিকে শিল্পোন্নতির শিখরে ্নিয়ে গিয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে একটি জাতির অত দ্রুত উন্নতি কখনো হয় নি-তবুও আপনি কি নাজিদের সমর্থন করেন?
প্রশ্ন করতেই পারেন এই গনতন্ত্র ব্যাবসায়ীদের দ্বারা হাইজ্যাকড-এখানে জনগনের ভূমিকা কোথায়?
এর উত্তর হচ্ছে ব্যাবসায়ীদের দ্বারা হাইজ্যাক হওয়া কমিনিউজমের থেকে এই জন্যে ভাল-যে ক্ষমতার অনেক সেন্টার এই ভাবে তৈরী হয়-যা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ। তাই বিনা রক্তপাতে ব্যাবসায়ীদের গনতন্ত্রকে সাধারনের গনতন্ত্রে বিবর্তন সম্বভ-আমেরিকাতে লোকেরা আস্তে আস্তে গনতন্ত্রকে ব্যাবসায়ী প্রভাবমুক্ত রাখতে বিল আনছে। আস্তে আস্তে আমরা জনগনতন্ত্রের দিকে শান্তিপূর্ন ভাবেউ এগোচ্ছি।
মনে রাখবেন গণতন্ত্র একটি রাজনৈতিক সিস্টেম যার ফাইনাল বিবর্তন আপনি দেখেন নি-এটি বিবর্তিত হচ্ছে-প্রযুক্তির সাথে সাথে আরো বিবর্তন হবে-সেই পথেই আসবে জনগণতন্ত্র।
এবার আসি আপনার দ্বিতীয় কথাটাই। পৃথিবীর সব মানবতাবাদি কমিনিউস্ট কি না। এখানে আপনি বামপন্থি, প্রতিবাদি, লেনিনিস্ট সব গুলিয়ে দিলেন। হ্যা-মানবিকতাবাদি মানেই তিনি প্রতিবাদি। তিনি কমিনিউস্ট কেন হতে যাবেন???
লেনিনিজমের সাথে কমিনিউজমের পার্থক্যটা আপনাকে আগে বুঝতে হবে। যদিও এখানে সবাই কমিনিউজম বলতে লেনিনিজম বোঝে, সেখানেই সব থেকে বেশী ্ঝামেলা, যে আমরা মনে করি [ যুক্তি সহ] লেনিন ্মার্কসবাদের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আসলে কমিনিুজমের নামে
ফাসিজমের প্রচলন করে। বলশেভিক পার্টি একটি ফাসিস্ট পার্টি ছারা আর কিছুই না। আমার একটা লেখা আছে-কমিনিউজম নিয়ে ভুল ধারনার তালিকা। ওটা পড়লেই আপনি বুঝবেন মার্সবাদ, লেনিনিজম, কমিনিউজম এগুলোর মধ্যে পার্থক্য আকাশ পাতালের। অথচ আমরা সর্বত্র লেনিনিজমকে মার্কসবাদ বা কমিনিউজম হিসাবে বুঝি। যেটা মারাত্মক ভুল। কারন এখানে আমি তোপ দেগেছি লেনিনিস্টদের বিরুদ্ধে যারা কমি্নিউস্ট আন্দোলনকে বন্দুকের নলে হাইজ্যাক করে মানবিক মার্কসবাদ কে কবরে পাঠায়।
@বিপ্লব দা,
আপনি আমার থেকে এইসব ব্যাপারে অনেক বেশী জানেন, তাই আমি তর্ক করব না। আমি আসলে বলতে চাইছিলাম আমরা যেই মতবাদই গ্রহন করি না কেন মানুষ যদি ঠিকভাবে তার ব্যবহার না করে তাহলে কিন্তু সব ব্যবস্থাতেই ফাটল ধরবে।
আর ভারতের বাক স্বাধীনতা অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে অনেক ভিন্ন।
আমি সবাইকে বোঝাইনি, বলেছি বেশীরভাগ। 🙂
@বিপ্লব পাল,
মানলাম। তবে ন্যায় বিচারিক ব্যাবস্থা, ন্যায় বিচার ছাড়া গনতন্ত্র পৃথিবীর সবচে’ বস্তাপঁচা পদ্ধতি। বিচারের কাঠিন্য ছাড়া গনতন্ত্রের বাঁধন খুলে কালের স্রোতে গনতন্ত্র ভেসে যায়। এদেশে ন্যায় বিচারের ‘ন’ নেই তাই গনতন্ত্র এখানে ধনিকতন্ত্র। গনতন্ত্র এখানে ফাসিজম।
আর উন্নত বিশ্বে যে গনতন্ত্র চলছে তা একেবারেই ব্যবসায়ীদের দ্বারা ছিনতাইকৃত।ওখানে গনতন্ত্র মানে মুনাফা। তবে এটা স্বীকার করতে হবে অন্যান্য অঞ্চল থেকে বাকস্বাধীনতার ক্ষেত্রে তা অনেক উদার। তবে বলতে হবে সেই গনতন্ত্রের চালকেরা খুবই কৌশলী। বিরূদ্ধ মতবাদকে তারা প্রকাশ্যে চাঁপা না দিয়ে কৌশলে ঘাঁয়েল করতে সিদ্ধ হস্ত।
@মুহাইমীন,
আপনার বিশ্লেষন মনগড়া। বণিক তন্ত্রে ক্ষমতার একাধিক কেন্দ্র থাকে, তাই সেখানে ফ্যাসিজম আসা মুশকিল-কিন্ত কমিনিউজমে ক্ষমতা এক হাতে-তাই চোখ কান বুঁজে প্রতিটি কমিনিউস্ট শাসক স্বৈরাচারী শাসকে পরিণত হয়।
@বিপ্লব পাল,
আমার বিশ্লেষণ মনগড়া না, বাস্তবতা। তবে আপনার কথা ঠিক আছে।
ধন্যবাদ বিপ্লবদা, খুবই সুন্দর সময়োপযোগী লেখা। শিরিন এবাদি নোবেল শান্তি পুরষ্কার পাবার পর ইরানী শাসকেরা যেরকম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল- চীনাদেরও প্রায় একই সুরে কথা বলতে দেখা গেল।
এটাই কষ্ট লাগে যে এতবার মনোনয়ন পাবার পরেও গান্ধীজীকে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয় নি।
@প্রদীপ দেব,
মনে হয় গান্ধীর মতবাদ উপনেশবাদীতার সাথে জড়িত।
এটাই প্রধান বাধা!
@লাইজু নাহার,
না। গান্ধী পান নি কারন বৃটিশ রা চাই নি। নরওয়ে চাই নি বৃটিশদের সাথে সম্পর্ক খারাপ করতে-কারন জার্মান আগ্রাসনের হাত থেকে বাঁচার জন্যে বৃটিশরাই ছিল ভরসা। তবে নোবেল কমিটি সেই ভুল স্বীকার ও করেছে,।
@বিপ্লব পাল,
একটি প্রশ্ন ছিল মরনোত্তর নোবেল কি দেওয়া হয় না?
@স্বাধীন, দেওয়া হয় না … সেজন্যই নোবেল কমিটির ক্ষমা চাওয়া।
@দিগন্ত,
হমম্। কিন্তু কেন দেওয়া হয় না। এই না দেওয়ার পেছনে যুক্তি কি?
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পশ্চিমাদের একটা রাজনৈতিক ষ্টানবাজি ছাড়া আর কিছু না এর আগের বছর নোবেল পেল ওবামা শান্তিতে কোন কিছু না করেই আসলে চিনের উথানে এদের হাত পা কাপাকাপি আরম্ভ হয়ে গেছে একারনে তারা একটা চাইনিজ গর্ভাচেভ খাড়া করতে চায়।
@কালো ওঝা,
হিটলার জার্মানীর যে উন্নতি করেছিলেন মাত্র ৪-৫ বছরে তার ধারে কাছে কেও আছে? আপনি কি সেই উন্নতি সমর্থন করেন?
সেই উন্নতি কি পৃথিবীর অভিশাপ হয় নি?
চীন ভারতের সাথে সম্পর্ক খুব ভাল না। চোখ রাঙানো চলছে। পাকিস্থান ত ছোট দেশ-কিন্ত চীনের সাথে ট্ক্কর দিতে ভারতের যে খরচ হচ্ছে তাতে দেশে আরো বেশী অভুক্ত থাকছে।
স্বৈরাচারী শাসককুল সব সময় নিন্দানীয়।
@বিপ্লব পাল, হিটলার কিন্তু জার্মানদের মতো উচ্চ শিক্ষিত সংস্কৃতিবান লোকদের ভোটেই ক্ষমতায় এসেছিল এবং সেই সময়কার জার্মানিকে দ্রুত অর্থনীতিক সংকট হতে বের করতে সক্ষম হয়েছিল তার বেহুদা ইহুদি ঘৃনা আগ্রাসি নীতিমালার জন্য হিটলারকে সমর্থন দেওয়া যায় না কিন্তু এর মানে এই নয় যে তার শাসন আমলের কিছু পজিটিভ দিকও ছিল তা অস্বীকার করতেই হবে নেতাজি সুভাষ কিন্তু হিটলারের কট্টর সমালোচক হলেও ভারতের স্বাধীনতার প্রথম দশ বছর কালিন ব্যাপক দারিদ্র, নিরক্ষরতা সহ নানা সমস্যা দূর করতে কিছুটা একনায়কি ধাঁচের সরকারের কথাই প্রস্তাব করে গেছিলেন । চিন ছাড়াও যদি সিঙাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম অথবা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিক অগ্রগতির মডেলের দিকে যদি তাকানো যায় তবে প্রথম শক্ত একনায়কি ধরনের শাসন এরা গ্রহণ করেছে লাস্ট চিনের ওলিমপিক ও ভারতের কমনওয়েলথ গেমের ব্যবস্থাপনা দেখলেই বুঝা যায় কোন ব্যবস্থা অধিক কার্যকর। ভালো চাকুরি নিয়ে বিদেশে বসবাস করে আমরা হয়তো কিবোর্ডে আমরা গণতন্ত্র বহুমত নিয়ে বকর বকর করতে পারি লিউ জিয়াবো নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে বাকুম বাকুম করতে পারি কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে চিন সরকার তার নিজদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে যতটা তৎপর দক্ষিণ এশীয়ার ওথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকারগুলি তার অর্ধেক আগ্রহী না কয়েকদিন আগে পিপলি লাইভ ছবিটা দেখলাম এ ছবিটা মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্র কীভাবে কাজ করছে ভারতে তা সুন্দর করে তুলে ধরেছে
@কালো ওঝা,
(১) আমি আগেও লিখেছি জীবনের কোন পরম লক্ষ্য বৈজ্ঞানিক মতে থাকতে পারে না। তাই কোন ফকির যদি ফকিরি করে আনন্দ পায়, কোন বাউল যদি ভিক্ষা করে আনন্দ পায়, আর কেও যদি লিখে আনন্দ পায়-সবার জীবনের আলাদা আলাদা উদ্দেশ্যগুলোকে মেনে নিতে হবে। আপনি আমি কে যে , একজন ফকিরকে বলা-যে তুমি প্রতিক্রিয়াশীল-তোমাকে প্যান্ট শার্ট পড়ে সফটোওয়ার শিখতে হবে-নইলে তুমি রাষ্ট্রের শত্রু? নিজের মতকে অন্যের ওপর চাপানোর একটা ভাল যুক্তি দিন।
হ্যা গনতন্ত্র হচ্ছে সেই সিস্টেম যেখানে সবাই তার মনের কথা বলতে পারবে। এবং সেই অনুযায়ি কাজ় ও করতে পারবে যতক্ষন না সংখ্যাগরিষ্ঠরা তাতে না বলছে।
ভারত এত দারিদ্রের মধ্যে নিজের ভারতীয়ত্বকে ধরে রেখেছে। এই মুহুর্তে পৃথিবীর সব থেকে বেশী সাহিত্য, সিনেমা এবং গান -টিভি চ্যানেল ভারতেরই। এত বৈচিত্র আর কোথায় আছে? সেখানে চীনের অবদান একটি আধুনিক সভ্যতার যেখানে বস্তুবাদি উন্নতি আছে কিন্ত শিল্প সাহিত্য সিনেমাতে তারা ভারতের থেকে হাজার গুন পিছিয়ে গেছে কমিনিউস্ট শাসনের অত্যাচারে। শুধু বস্তুবাদি উন্নতির যে সমাজ, সেটাই কি আমাদের কাম্য? বাড়ি ঘর ট্রাম ট্রেইনই কি কেবল সভ্যতা? সাহিত্য সংস্কৃতি ফাও?
ইঁট পাথর প্রযুক্তির মৃত্যু হয়-সেই ইঁট পাথরের সভ্যতার কবরের ওপর বেঁচে থাকে সাহিত্য সংস্কৃতি গান-যা অমর-সেটাই প্রবাহমান সভ্যতা। কালিদাসের আমলেও কৃষক না খেতে পেয়ে মরেছে-কিন্ত বেঁচে রয়েছে কালিদাসের শকুন্তলা-সেটাই সেই সময়ের সভ্যতার ধারক এবং বাহক।
(২) দ্বিতীয় ভয়টা রাজনৈতিক। স্বৈরাচারি শাসকরা সব সময় চক্রান্ত তত্ত্ব এবং মিলিটারি শক্তিতে বিশ্বাস করে। দুটী গনতান্ত্রিক দেশের সাথে যে সম্পর্ক থাকে, সেটা স্বৈরাচারী শাসন ব্যাবস্থায় থাকে না।
যেসব আমেরিকানরা ভারত এবং চীন -এই দুটো দেশ ভ্রুমণ করেছে, তারা বারবার ভারতে ফিরতে চাই এটা জেনেও ভারতে দূষন এবং সভ্যতার মান নীচে। কেন এমন হয়- আমি তাদের বলতে শুনেছি চীনের সমাজ এবং দেশটাকে তাদের নিস্প্রান সভ্যতার মতন লাগে-সেখানে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ন খোলামেলা পরিবেশকে তারা অনেক বেশী পছন্দ করে।
@কালো ওঝা,
সমস্যাটাই সেটা। Absolutist স্বৈরতন্ত্র প্রায় ধর্মীয় রূপ ধারণ করে, এবং ধর্মের যেমন দরকার একজন “শয়তান”, এসব স্বৈরতন্ত্রের তেমনি শত্রুর প্রয়োজন হয়। নাসিজমের ইহুদী বিদ্বেষ তাই “বেহুদা” নয়, ওটা কাঠামোগতভাবে অপরিহার্য। এটার সবচেয়ে সুতীক্ষ্ম বিবরণ পাওয়া যায় অ্যানিমাল ফার্ম-এ (যদিও সেটা কমিউনিজম নিয়ে, কিন্তু ব্যাপার একই)।
@কালো ওঝা,
চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ না থাকলেও সাধারন জনগনের জীবনযাত্রার মান কতটা বেড়েছে বা উন্নত এ নিয়ে আমার ঘোরতর বিভ্রান্তি আছে।
তাদের জীবন যাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটে থাকলে কেন তাদের পালে পালে দেশ ত্যাগ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশের নাগরিকদের মত পশ্চীমা দেশে আশ্রয় নিতে দেখা যায়? তারা কত বিচিত্র উপায়ে দেশ ত্যাগ করে সেগুলি পড়লে শিহরিত হতে হয়। জাহাজের মালের কন্টেনারে লুকিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়েও তারা আসে, পথে অনেকে অনাহারে মারা যায়।
চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আতংকিত হয়ে কোন চীনাকে নোবেল শান্তি পুরুষ্কার দিলে সেই প্রবৃদ্ধি কতটা ঠেকানো যাবে তা বুঝি না।