ইসলাম নিয়ে কথা বলতে গেলে মুসলমানরা ইদানিং একটা কথা প্রায়ই বলে- শুধু ইসলামে নয়, সকল ধর্মেই হিংসাত্মক কথা বার্তা আছে। এ কথাগুলো যে তারা বলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা সেটা বলে অন্য ধর্মের কিতাবাদি না পড়েই। সেটা তারা মূলত বলে- তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতদের দেয়া বক্তৃতা বা ভাষণে যা তারা শোনে টিভি বা অন্য কোথাও। তার মানে অন্য ধর্মে যেহেতু কিছু না কিছু হিংসাত্মক বানী আছে তাই ইসলামের কোরান বর্নিত হিংসাত্মক বানীও জায়েজ হয়ে গেল। এটা যে এক প্রচন্ড স্ববিরোধি বক্তব্য তা কিন্তু তারা বোঝে না বা বুঝলেও না বোঝার ভান করে থাকে।
প্রথমত: ইসলাম একমাত্র ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মকে বিশ্বাস তো দুরের কথা, স্বীকারও করে না। তারা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করে ইসলামই একমাত্র সত্য ধর্ম, সুতরাং বলা বাহুল্য অন্য ধর্মগুলো সব অসত্য অথবা গাজাখুরী। এখন কোন অসত্য বা গাজাখুরী ধর্মের সাথে একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলামের যে তুলনা করা যেতে পারে না, ইসলামী পন্ডিতরা সেটা বেমালুম ভুলে যায়, অথবা তুলনা করাটা যে একটা মহা গাধামী এটা তাদের মোটা মাথাতেই ঢোকে না। অথবা তাদের লক্ষ্য থাকে- তাদের বানোয়াট আর বোগাস কথা বার্তা শুনে যারা পুলকিত হয় তাদেরকে মহা গাধাতে পরিনত করা।
দ্বিতীয়ত: তারা অনেক সময় যুক্তিতে পেরে না উঠলে অত্যন্ত আস্থার সাথে বলে- ইসলাম বলেছে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে। তারা আরও বলে যে- ইসলাম কখনই হত্যা বা খুন করতে বলেনি যদি বলেও থাকে তা বলেছে পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ও আত্মরক্ষার জন্যে। তারা অভিযোগ করে- বর্তমানে ইসলামের নামে যারা নানা রকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত তারা প্রকৃত ইসলামের অনুসারী নয়। তারা ইসলামের ক্ষতি করছে। কিছু কিছু শিক্ষিত লোক আরও আগ বাড়িয়ে বলে- সে সব সন্ত্রাসীরা আমেরিকার দালাল, আমেরিকার কাছ থেকে টাকা খেয়ে তারা ইসলামের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাস করছে আর এভাবেই ইসলামের ক্ষতি করছে। আর তা প্রমান করতে গিয়ে তারা কোরানের সেই বিশেষ আয়াতটি উল্লখ করতে কখনই ভুল করে না যেটা হলো-
দ্বীনের ব্যপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নেই ।২: ২৫৬
ঠিক সে মুহুর্তেই যদি নিম্নের সূরাটি উল্লেখ করা হয়-
তারা চায় যে তারা যেমন কাফের তোমরা তেমনি কাফের হয়ে যাও যাতে তোমরা ও তারা সমান হয়ে যাও। অতএব তাদের মধ্য থেকে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহন করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে না আসে। অত:পর তারা যদি বিমুখ হয় তাদেরকে পাকড়াও কর. এবং যেখানে পাও সেখানে হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরুপে গ্রহন করো না, এবং সাহায্যকারীও বানিও না। ৪:৮৯
তখন যে মজার বক্তব্যটি পাওয়া যাবে তা হলো- উক্ত সূরা বিশেষ কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে অবতীর্ন হয়েছিল তা ভালভাবে জানতে হবে তথা কোরান তফসির সহকারে পড়তে হবে। বলা বাহুল্য উক্ত দুটি আয়াতের তফসির আমরা এখন সবাই জানি। আর সেটা কি? সেটা হলো- মোহাম্মদ যখন দুর্বল ও অসহায় ছিল তখন তার মুখ দিয়ে ২: ২৫৬ আয়াত বেরিয়েছিল, আর যখন সে প্রচন্ড শক্তিশালী এক গোষ্ঠি নেতা তখন তার মুখ থেকে ৪:৮৯ আয়াত বেরিয়েছিল। আসলে এখানে যে চালাকিটা করতে চাওয়া হয় তা হলো- তারা নিজেরা যেমন তাদের কিতাব ভালমতো না পড়ে শোনা কথা তোতা পাখির বুলির মত আউড়ে যায়, তারা ভাবে অন্যেরাও বোধ না কোন কিছু না জেনে তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করছে। তার মানে নিজে যেমন বোকা , অন্যদেরকেও ঠিক তেমনি বোকা মনে করে।
সাধারন মুসলমানরা কিন্তু তাদের এসব কথাবার্তা দারুন ভাবে বিশ্বাস করে ও মনে করে সত্যি সত্যি ইসলামী সন্ত্রাসীরা ভুল পথে চলছে ও ইসলামের ক্ষতি করছে। এ ব্যপারে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারের সন্ত্রাসী আক্রমনের উদাহরন টানা যায়। সেদিন ইসলামী টিভি এর এক অনুষ্ঠানে দেখলাম ইসলামের বিশাল পন্ডিত ডাক্তার জাকির নায়েক খুব দৃঢ়তার সাথে বলছে- টুইন টাওয়ারের ঘটনা যে মুসলিম সন্ত্রাসীরা ঘটিয়েছে এর নাকি কোন নিশ্চিত প্রমান নেই। এর পেছনে আল কায়েদা বা ওসামা বিন লাদেন আছে তার কোন অকাট্য প্রমান নেই। পক্ষান্তরে মার্কিনী ও পাশ্চাত্যরা যে মুসলিম বিশ্বে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে তার অকাট্য প্রমান- আফগানিস্তান ও ইরাকে তাদের আগ্রাসন। জাকির নায়েক আরও আগ বাড়িয়ে খুব উচ্চৈস্বরে বলছে- ছিনতাইকৃত বিমানগুলো যখন টুইন টাওয়ারে আঘাত করার মুহুর্তে ছিল , আঘাত করার ঠিক আগ মুহুর্তে নাকি বিমান থেকে ক্ষেপনাস্ত্র জাতীয় কিছু বের হয়ে টুইন টাওয়ারে আঘাত হেনেছিল যে কারনে ১২/১৩ শ’ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার সৃষ্টি হয়েছিল যার ফলে টুইন টাওয়ারের লোহার শক্ত কাঠামো গলে গিয়ে গোটা টাওয়ার দুটি ধ্বসে পড়ে। সে দেখলাম আরও উল্লেখ করল- ঘটনা ঘটনার কিছু পরেই কোন এক বিশেষজ্ঞ নাকি বলেছিল শুধুমাত্র বিমানের আঘাতের ফলে বিমানের জ্বালানী জেট ফুয়েল জ্বলে উঠলে যে তাপমাত্রার সৃষ্টি হবে তা নাকি লোহার কাঠামো গলানোর জন্য যথেষ্ট নয়। তার মানে বিমান ভর্তি কোন ধরনের অতি উচ্চ শ্রেনীর বিস্ফোরক ছিল যা বিস্ফোরিত হয়েই নাকি অবশেষে টুইন টাওয়ারকে ধ্বসিয়ে দিয়েছে। তার মানে তার বক্তব্য হলো- আমেরিকানরা নিজেরাই ষড়যন্ত্র করে টুইন টাওয়ার ধ্বসিয়ে দিয়েছে যাতে এ উছিলায় তারা আফগানিস্তান ও ইরাক আক্রমন করতে পারে। বলা বাহুল্য, তার এ তত্ত্ব অন্য আরও অনেক বোগাস তত্ত্বের মত কিন্তু ভীষণ জনপ্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য মুসলিম দুনিয়াতে। তখন মনে মনে ভাবছিলাম- এই লিকলিকে লোকটি সত্যি সত্যি মুসলমানদের বারোটা বাজানোর জন্য দুনিয়াতে আবির্ভুত হয়েছে। সে নিজেকে একজন ইসলামী পন্ডিত মনে করে অথচ পোশাক আশাকে পশ্চিমা ফ্যাশন। কিন্তু কথাবার্তা গুলো আবার আধুনিক না, একেবারে সেই মধ্য যুগীয়। তার পোশাক এরকম হবার কারন বোধ হয় তার বাড়ী হলো ভারতে আর ভারতীয়দেরকে ধোকা দেয়ার জন্যই তার এ পশ্চিমা ফ্যাশনের পোশাক আশাক।
টুইন টাওয়ারের ঘটনা ভালমতো বোঝার জন্য আমি এ ব্যপারে একটু খোজ খবর নিলাম। দেখলাম টাওয়ার দুটির উভয়টাতেই আঘাত হেনেছিল আমেরিকান এয়ারলাইনস ও ইউনাইটেড এয়ার লাইনস এর দুটি বোয়িং- ৭৬৭-২০০ বিমান। সবার বোঝার স্বার্থে আমি বিমানের পুরো স্পেসিফিকেশন নিচে তুলে ধরলাম:
767-200
Cockpit crew Two
Passengers 181 (3 class)224 (2 class)255 optional 290 (1 class)
Cargo 2,875 ft³ (81.4 m³)22 LD2s
Length 159 ft 2 in(48.5 m)
Wingspan 156 ft 1 in
(47.6 m)
Wing area 3,050 ft² (283.3 m²)
Fuselage height 17 ft 9 in (5.41 m)
Fuselage width 16 ft 6 in (5.03 m)
Cabin width (interior) 15 ft 6 in (4.72 m)
Maximum Fuel Capacity 23,980 U.S. gal (90,770 L)
Empty Weight,
operating 176,650 lb(80,130 kg)
Maximum take-off weight 315,000 lb(142,880 kg)
Maximum Range
at MTOW
3,950 nmi(7,300 km)transatlantic
Cruise speed Mach 0.80 (470 knots, 530 mph, 851 km/h at 35,000 ft cruise altitude)
উপরের বিবরন থেকে বোঝা যাচ্ছে, এটা কোন ছোট খাট বিমান নয়, বিরাট জাম্বো সাইজের বিমান যার ফুয়েল ক্যপাসিটি হচ্ছে- ৯০,৭৭০ লিটার। বিমানগুলি আঘাতের সময় এত জ্বালানী বিমানে ছিল না তবে তার পরিমান ৫০,০০০ থেকে ৬০,০০০ লিটারের ( কিছু জ্বালানী উড্ডয়নে ব্যয় হয়েছিল) কম ছিল না কারন, যে কোন বিমানই আকাশে উড্ডয়ন করে তার ট্যংক পূর্ন করেই যে কোন রকম আপদ কালীন কথা চিন্তা করে। ভিডিও চিত্রে দেখা যায় , এত বিশাল আকৃতির বিমান টাওয়ারে আঘাত করার পর পুরোটাই টাওয়ারের ভিতর ঢুকে গেছে আর তা হওয়ারও কথা।ভিতরে ঢুকে গিয়ে তার জ্বালানী পুরোটাই ভিতরে জ্বলতে শুরু করে। যদিও শুধুমাত্র জেট ফুয়েলকে মুক্ত বাতাসে জ্বালালে তার তাপমাত্রা ৩০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের বেশী উঠে না, কিন্তু একত্রে বিপুল পরিমান জেট ফুয়েল একটা আবদ্ধ জায়গাতে জ্বলে ওঠায় তার তাপমাত্রা দাড়ায় ১০০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের মত বা তারও কিছু বেশী। এ তাপমাত্রায় স্টীলের লোহার বীম গলে যায় না ঠিকই কিন্তু তা যথেষ্ট নরম হয়ে যায়, যে কারনে তার উপরিভাগে অবস্থিত ২০-২৫ তলার সমস্ত ভার সইতে না পেরে তা ধ্বসে পড়ে, অত:পর উপরের ধ্বসে পড়া তলাগুলির ভার সইতে না পেরে নিচের তলাগুলি ক্রমশ: ধ্বসে পড়ে। কিন্তু আগে এ ভার সইত কেমনে ? বিষয়টা হলো উপরের ২০-২৫ তলার ভার যখন হঠাৎ এক সাথে ধ্বসে পড়ে তখন যে বিপুল ভরবেগের সৃষ্টি হয় তা পরবর্তীতে নীচের তলাগুলি সইতে পারে নি। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় তো এ ধরনের কোন বিপুল ভরবেগের ধাক্কা কোন তলাকে সইতে হয়নি। তাই স্বাভাবিক অবস্থায় তার ধ্বসেও পড়বে না। এটা অনেকটা একটা ১০ কেজি পাথর খন্ডকে কোন লোকের পেটে রাখার মত। স্বাভাবিক অবস্থাতে যে কেউ ১০ কেজি কেন ২০ কেজি একটি পাথর খন্ড নিজের পেটের ওপর রেখে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকতে পারবে, তেমন কোন কষ্ট হবে না। কিন্তু ওই পাথরখন্ডকে যদি ২০ ফুট ওপর থেকে ছেড়ে দেয়া হয় তখন লোকটির পেট ও পিঠ চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যাবে। এর কারন পাথর খন্ডটি তখন ভর-বেগ অর্জন করবে, যার পরিমান হলো- বস্তুটির ভর ও বস্তুটির বেগের গুনফল। এটা পদার্থ বিজ্ঞানের তত্ত্বের বিষয়। ঠিক একারনেই টুইন টাওয়ার ধ্বসে পড়ে। টুইন টাওয়ার কেন পৃথিবীর কোন দালানই এ ধরনের ভর-বেগের আঘাত সহ্য করে টিকে থাকার প্রযু্ক্তি দিয়ে তৈরী করা হয় না। কারন, এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম ও অভূতপূর্ব। অথচ ইসলামী পন্ডিত বলছে- এটা ছিল আমেরিকার অন্তর্ঘাত মূলক কার্যকলাপ। অন্তর্ঘাত মূলক কাজ হলে একটা বিমান পেন্টাগনে আঘাত হানে কিভাবে ? পেন্টাগন হলো আমেরিকার সামরিক দপ্তর, তার মানে আমেরিকা তার সামরিক দপ্তরকে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। এ ধরনের গাজাখুরী আর উন্মাদের মত কথাবার্তা একমাত্র বিকৃত মস্তিষ্কদেরকেই মানায়। তা ছাড়া আমেরিকা যদি মুসলিম দেশসমূহে আক্রমনের অজুহাত তৈরীর জন্য নিজেরাই কোন অন্তর্ঘাত মূলক সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটানোর দুরভিসন্ধি করত তাহলে তারা টুইন টাওয়ারের মত অত গুরুত্বপূর্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত না হেনে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানত , তা করতে একটা মাত্র বিমান ছিনতাই করাই যথেষ্ট ছিল চার চারটে বিমান ছিনতাই এর দরকার ছিল না। আর তা করেই তারা তাদের প্রয়োজনীয় অজুহাত পেয়ে যেত। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো – ইসলামী দুনিয়াতে কিন্তু এসব কথাবার্তা বিশ্বাস করার লোকের অভাব নেই। এর কারন হলো মানস পট। মানস পটটা তৈরীই হয়ে আছে এসব গাজাখুরি কথা বার্তা বিশ্বাস করার জন্য। এর পর লাদেন তার ভাষণে কতবার এ ঘটনার দায় দায়িত্ব স্বীকার করল তাও তাদের কাছে বিশ্বাস যোগ্য হয় নি। অথচ, ঘটনা ঘটার পর মুসলিম বিশ্বে এটা নিয়ে উল্লাস প্রকাশে কোন ঘাটতি দেখা যায় নি। প্যালেস্টাইনি রা তো রীতি মতো আকাশে ফাকা গুলি ছুড়ে উল্লাস করেছে। বড়ই তাজ্জব ব্যপার।
এবারে দেখা যাক্, যারা উগ্রপন্থি ইসলামি জঙ্গী যথা আল কায়েদা, তালেবান, জে এম বি ইত্যাদি এরা সত্যিকার মুসলমান, নাকি যারা এদেরকে মনে করে এরা মুসলমান নামের কলংক ও এরা ইসলামকে বিকৃত করছে তারাই সত্যিকার মুসলমান। এসব ইসলামী জঙ্গী কি চায় ? তারা দেশে শরিয়া আইন চালু করতে চায়। ইসলামী দৃষ্টিতে এটা কি বেঠিক ? মোটেই না। প্রতিটি মুসলমান মনে করে- ইসলাম হলো একটা সম্পূর্ন জীবন বিধান যার মধ্যে রাজনীতি, সমাজনীতি, বিজ্ঞান, অর্থনীতি সব আছে। স্বয়ং মোহাম্মদ মক্কা মদিনাতে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করে দেখিয়ে দিয়ে গেছে কিভাবে শরিয়া ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। কোরান হাদিসে তার পূর্ন নির্দেশনা দেয়া আছে। প্রতিটি মুসলমানের জন্য আবশ্যকীয় হলো মোহাম্মদের জীবনের কর্মকান্ড, নীতি ও উপদেশ অনুসরন করা। তাহলে যারা শরিয়া আইন চালু করতে চায় তারা যথার্থ মুসলমান নাকি যারা গনতান্ত্রিক পদ্ধতি কায়েম করতে চায় তারা সত্যিকার মুসলমান ?
শরিয়া আইন কি? শরিয়া আইন হচ্ছে আল্লাহর বিধান। আল্লাহর বিধান কখনো ভূল হয় না , তাই শরিয়া আইন হলো নির্ভুল আইন। যাহোক শরিয়া আইনের কতিপয় প্রধান বিধানগুলো হলো এরকম যা কোরান ও হাদিস থেকে প্রনয়ন করা হয়েছে, যেমন- চুরির শাস্তি হাত কেটে দেয়া, মেয়েদেরকে আপাদমস্তক বোরখা মুড়ি দিয়ে চলতে বাধ্য করা, তাদেরকে একা রাস্তায় বের হতে না দেয়া, লেখাপড়া শিখতে না দেয়া, চাকরী করতে না দেয়া, গান-বাজনা শুনতে না দেয়া, ইসলামী বই পুস্তক ছাড়া অন্য কোন বই পুস্তক পড়তে না দেয়া এসব, যা কিন্তু পুরোই কোরান হাদিস অনুমোদিত ও সমর্থিত। তো আফগানিস্তানে তালেবানরা সেটারই প্রচলন করেছিল তাহলে তারা ইসলাম নিয়ে কি বাড়াবাড়ি করল ? আসলে তারাই বলে যে তালেবানরা ইসলাম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেছিল যারা আসলে ইসলাম জানে না।তারা কোরান হাদিস পড়েনি আর তাই তারা মনগড়া কথা বার্তা বলে।
অনেকে বলে ইসলাম তো নারীদেরকে শিক্ষা গ্রহনে বা চাকরী করতে নিষেধ করেনি। কিন্তু ইসলাম নারীদেরকে শিক্ষা গ্রহনে উৎসাহিতও করেনি, কোন ব্যবস্থা খোলাও রাখেনি। ইসলাম নারীদের জন্য এমন সব ব্যবস্থার নিদান দিয়েছে যা পালন করে কোন নারী উচ্চ শিক্ষা তো দুরের কথা , প্রাইমারী শিক্ষাও গ্রহন করতে পারে না। কোরান হাদিস নিদান দিয়েছে-একজন নারী বাইরে যেতে চাইলে তাকে নিকটাত্মীয় যার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করা যায় না এমন কেউ সাথে যেতে হবে, নারী একা বাইরে যেতে পারবে না, তাকে চার দেয়ালের মাঝে বন্দী থাকতে হবে, পর্দা দিয়ে পুরো শরীর মুড়ে রাখতে হবে যাতে কেউ তার পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত দেখতে না পায়। এমন ধরনের শর্ত মেনে কোন নারী উচ্চ শিক্ষা বা চাকরী করতে পারে ? বিষয়টা অনেকটা হাত পা বেধে একটা লোককে নদীর মাঝখানে ফেলে দিয়ে সাঁতরে নদী পার হয়ে তীরে যেতে বলার মত।
আল-কায়েদা, তালেবান, জে এম বি এসব উগ্র ইসলামী গোষ্ঠি নানারকম সুইসাইডাল আক্রমন করে সাধারন নিরীহ মানুষ মারে। তাদের ভাষায় তারা জিহাদে শরীক হয়ে আত্মদান করে শহীদ হয়। জিহাদ কি জিনিস? জিহাদ হলো- যারা ইসলাম গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানাবে তাদেরকে জোর করে প্রয়োজনে যুদ্ধের মাধ্যমে তাদেরকে ইসলাম গ্রহন করতে বাধ্য করা না হলে তাদেরকে হত্যা করা। এ ধরনের জেহাদে যদি কোন জেহাদী মারা যায় সে শহিদ আর জিতে গেলে হবে গাজী। মারা যাক বা জিতে যাক উভয়টাতেই বিপুল লাভ। শহিদ হলে বেহেস্তে গিয়ে হুর নিয়ে অনন্তকাল ফুর্তি করতে পারবে, জিতে গেলে এ জগতেই দখলকৃত যুবতী নারীকে গনিমতের মাল হিসাবে ভোগ করতে পারবে। আর এর প্রত্যেকটাই কোরান ও হাদিস সমর্থিত। কোরানে বার বার মুসলমানদেরকে উৎসাহিত করা হয়েছে জেহাদে যোগদান করতে। আর ঠিক একাজটাই করে সেই সব উগ্র পন্থি ইসলামী গ্রুপ আর তারা তা করে পূর্ন কোরান হাদিসের নির্দেশনা মোতাবেক। তাহলে তারা বিপথগামী হয় কি করে ? যারা ইসলাম জানে না , কোরান হাদিস পড়ে নি , শুনে মুসলমান একমাত্র তারাই এদেরকে বলতে পারে বিপথগামী মুসলমান। জেহাদের বিষয়ে কোরান কি বলছে দেখুন-
হে নবী, আপনি মুসলমানদেরকে জেহাদের প্রতি উৎসাহিত করুন। ০৮:৬৫
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ওই লোকদের সাথে যারা আল্লাহ ও শেষ বিচার দিনের ওপর বিশ্বাস রাখে না। আল্লাহ ও তার রসুল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহন করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষন তারা করজোড়ে জিজিয়া কর প্রদান না করে। ০৯:২৯
হে ইমানদারগন, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও, এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক, আর জেনে রাখ আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে রয়েছেন। ০৯:১২৩
হে ইমানদারগন , নিজেদের অস্ত্র তুলে নাও এবং পৃথক পৃথক সৈন্যদলে কিংবা সমবেত ভাবে বেরিয়ে পড়। ০৪: ৭১
এছাড়া ৪:৮৯ আয়াত তো আছেই। কোরান হাদিস অনুযায়ী তারাই কাফের যারা আল্লাহ ও তার রসুলের ওপর বিশ্বাস আনে না আর তাদেরকে আক্রমন করা ও অত:পর হত্যা করতে বার বার কোরান উৎসাহিত করছে। আর মুসলমান নামধারী যারা শরিয়া বিরোধী কাজ করবে, অর্থাৎ গান-বাজনা শুনবে ও করবে, পশ্চিমা গনতন্ত্রে বিশ্বাস করবে(কারন শরিয়া আইনে গনতন্ত্রের কোন স্থান নেই), পশ্চিমা গনতন্ত্রের ধাচে দেশ শাসন করবে, বিচার কার্য পরিচালনা করবে, তারাও কাফেরদের মত সম দোষী ও মুনাফেক আর তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ও তাদেরকে হত্যা করতে কোরানে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর সেকারনেই সত্যিকার মুসলমানরা এদেরকে নানা রকম সন্ত্রাসী আক্রমন দ্বারা হত্যা করার কাজে ব্যস্ত আছে। তাহলে এরা বিপথগামী মুসলমান হয় কেমনে ?
জেহাদের বিষয়টা যে কোন মানষিক হিংসা, বিদ্বেষ, স্বার্থ বা সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয় যা সাধারনত: সুফী ধাচের মুসলমানরা ব্যখ্যা করে থাকে ও যা অবশ্যই ভুল ব্যাখ্যা, এটা যে সত্যি সত্যি অমুসলিমদের বিরুদ্ধে সব সময় চলমান সর্বাত্মক যুদ্ধ ,একেবারে বাস্তব যুদ্ধ, খুন, খারাবি আর লুট তরাজের যুদ্ধ তার বড় প্রমান, নিচের আয়াত-
গৃহে উপবিষ্ট মুসলমান যাদের সঙ্গত কোন ওজর নেই, এবং ঐ মুসলমান যারা জান মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জেহাদ করে- সমান নয়। যারা জান মাল দিয়ে জেহাদ করে আল্লাহ তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন গৃহে উপবিষ্টদের তুলনায় এবং প্রত্যেকের সাথে আল্লাহ কল্যাণের ওয়াদা করেছেন। আল্লাহ মুজাহেদিনকে উপবিষ্টদের উপর মহান প্রতিদানে শ্রেষ্ট করেছেন। ০৪: ৯৫
বর্তমানে অনেক ইসলামী পন্ডিত জেহাদ বলতে বুঝায়- অসত্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। কথাটি বেশ আকর্ষণীয় ও মুখরোচক। অনেক সময় সাধারন মানুষ এর ভেতরকার নিহিতার্থ বুঝতে পারে না ফলে তারা বিভ্রান্ত হয়। কিন্তু ইসলামী বিধানে অসত্য কি ? আর সত্য কি ? আমাদের ভাল মতো জানতে হবে- ইসলামী সত্য আর অসত্য এবং আমাদের প্রচলিত সত্য ও অসত্যের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান। ইসলামী সত্য হলো-আল্লাহ ও তার রসুলের প্রতি প্রশ্নাতীত বিশ্বাস স্থাপন। অত:পর কোরান বর্নিত সকল বিষয় সত্য আর জীবনাচরনে রসুলের সমস্ত কার্যাবলী ও উপদেশ সত্য। এ ব্যপারে ন্যুনতম প্রশ্ন বা সন্দেহ করা অসত্য ও ধর্মদ্রোহীতার সামিল। কোরানে বার বার বলা হয়েছে যারা আল্লাহ ও তার রসুলের ওপর বিশ্বাস আনবে না তাদেরকে আক্রমন করতে হবে , পাকড়াও করতে হবে, যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই হত্যা করতে হবে। তার পর তাদের মালামাল গনিমতের মাল হিসাবে ভাগ বন্টন করে নিতে হবে। আর এটাই সত্য আর এ সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য যে যুদ্ধ সেটা হলো জিহাদ। অসত্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলতে যে জিহাদ বুঝানো হচ্ছে তার প্রকৃত স্বরূপ এটাই। ইসলামে গনতন্ত্রের কোন স্থান নেই, বাক স্বাধীনতার কোন স্থান নেই কারন এগুলো মানুষকে আল্লাহ ও তার রসুলের প্রতি সন্দেহ প্রবন করে তোলে আর যা চুড়ান্ত রকম অসত্য। তাই গনতন্ত্রের ও বাক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যুদ্ধও জিহাদ। সুতরাং যারা ঘুষ, দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি, ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে জিহাদ বলে প্রচার করে তারা মুলত আকর্ষণীয় কথা বলে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করার দুরভিন্ধিতে লিপ্ত। ইসলামী জিহাদ আর সমাজের প্রচলিত অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ মোটেও এক কথা নয়। ইসলামী জিহাদ হলো এক সর্বাত্মক যুদ্ধ যা গোটা মানব সমাজকে ইসলামের পতাকা তলে নিয়ে আসার আগ পর্যন্ত শেষ হবে না আর সে যুদ্ধে নিরীহ জনপদে আতর্কিত আক্রমন, তাদেরকে গন হারে হত্যা করা, তাদের মা বোনদেরকে গনিমতের মাল হিসাবে ভোগ করা, তাদের সম্পদ ভাগ বন্টন করে নেয়া ইত্যাদি আমাদের বর্তমান সমাজে প্রচলিত যাবতীয় মানবতাবিরোধী কাজ কারবার সব বৈধ তথা সত্য।
এত কিছুর পরেও যদি কেউ জিহাদে যেতে ইচ্ছুক না হতো তাদেরকে কিভাবে জোরাজুরি করা হচ্ছে তা দেখা যায় নীচের আয়াতে-
আর তোমাদের কি হলো যে তোমরা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না , দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে। ০৪:৭৫
এখানে তাদেরকে তিরস্কার করা হচ্ছে কাপুরুষ হিসাবে। অর্থাৎ যারা জিহাদ করবে না তারা তাদের নারী ও শিশুদের জন্য দুর্বল তথা কাপুরুষ। তার মানে অসভ্য আরব দেরকে মোহাম্মদ আতেঁ ঘা দিয়ে উত্তেজিত করে তাদেরকে জিহাদে প্ররোচিত করছে। মুসলমান পন্ডিতরা এ আয়াতের অর্থ করে যে মোহাম্মদ নারী ও শিশুদের রক্ষা করার জন্য জিহাদের ডাক দিচ্ছে। কিন্তু বিষয়টা বাস্তবতা বর্জিত। কারন সেই মোহাম্মদের কালেও আরবে অসভ্য লোকগুলো একটা নীতি মেনে চলত আর তা হলো তারা কখনই নারী ও শিশুদের আক্রমন করত না। এ ধরনের কাজকে তারা জঘন্য কাপুরুষতা মনে করত ও তাই এ ধরনের কাজকে তারা ঘৃণা করত। তাহলে মোহাম্মদ এ ধরনের আয়াত কেন নাজিল করল? এর কারন মোহাম্মদ নিজেই আসলে নিরীহ জনপদে আক্রমন করে অনেক সময় নারী ও শিশুদের বন্দী করত যেমন করেছিল খায়বারো। তাই তার আশংকা ছিল কাফেররাও কোন না কোন সময় সে কাজটা করবে। এ আগাম আশংকায় তার এ ধরনের উক্তি। অর্থাত নিজেই এ ধরনর অপরাধ করে আবার সেই ধরনের ঘটনার আশংকায় সে আরবদেরকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে এ আয়াতের মাধ্যমে। আশা করি এতক্ষনে জিহাদ যে কি জিনিস তা বোঝা গেছে ভাল মতই।
একবার এক টিভি অনুষ্ঠানে দেখলাম জাকির নায়েক বলছে- আমিও একজন জিহাদী কারন আমি অসত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছি। দেখলাম দর্শকরা বেশ হর্ষধ্বনি করে উঠল। কিন্তু জাকির নায়েকের কাছে সত্য কি আর অসত্য কি ? একজন মুসলমানের কাছে সত্য হলো ইসলাম আর ইসলামের জন্য জিহাদ। আর বাকী সব অসত্য।বিষয়টা দাড়াল খুব সুকৌশলে জাকির নায়েক সেই সব মুসলমানদেরকেই সমর্থন করছে যারা ইসলামের জন্য নানা রকম সন্ত্রাসী কান্ড করছে, নিরীহ মানুষ খুন করছে, কারন ইসলাম অনুযায়ী তারাই অসত্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে আর সে নিজেও ঠিক সেরকম মন মানসিকার একজন লোক যে নাকি যুদ্ধ করছে ভিন্ন ফ্রন্টে। আর ইসলামের কোরান ও হাদিস তা অনুমোদনও করে। জাকির নায়েক যে খুব সুকৌশলে আসল কথাটি প্রকাশ করল তা কিন্তু পাবলিক বুঝতে পারল না। তারা বুঝতেও পারল না কোন অসত্যের বিরুদ্ধে সে যুদ্ধ করছে। অথচ মূর্খ পাবলিক না বুঝেই হর্ষধ্বনি দিয়ে তাকে উৎসাহ জোগাল।
এক শিক্ষিত ভদ্রলোকের সাথে আলাপ করছিলাম যিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, ত্রিশটা রোজা রাখেন নিয়মিত। জিজ্ঞাসা করলাম- কোরান পড়েছেন?
-পড়েছি। গোটা রমজান মাসেই তো কোরান পড়ি।
– পড়ে কিছু বুঝেছেন ?
– কেমনে বুঝব, পড়ি তো আরবী কোরান।
আমি বলি- তাহলে কোরানে ভাল কথা লেখা আছে নাকি খারাপ কথা লেখা আছে তা বুঝলেন কিভাবে ?
তিনি নিরুত্তর রইলেন।
তখন আমি তাকে একটা বাংলা কোরান বের করে কিছু অংশ পড়ে শুনালাম। শুরু করলাম সুরা ফাতিহা দিয়ে-
শুরু করছি আল্লাহর নামে,যিনি পরম করুনাময়, অতি দয়ালু। ০১:০১
জিজ্ঞেস করলাম- উক্ত আয়াত কার বানী ?
-আল্লাহর বানী।
তখন জিজ্ঞেস করলাম- আল্লাহ কি নিজের নামে নিজেই শুরু করবেন নাকি ?
তখন সে একটু ধাধায় পড়ে গেল এ ধরনের প্রশ্নের জন্য প্রস্তুত ছিল না। কি উত্তর দেবে বুঝতে না পেরে চিন্তা করতে লাগল।
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধু তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। ০১:০৫
জিজ্ঞেস করলাম- আল্লাহ কি নিজেই নিজের ইবাদত করেন নাকি ? নিজের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন নাকি ?
এবার সত্যি সত্যি সে বিপদে পড়ে গেল। কারন সে কোনদিন বিষয়টাকে এভাবে চিন্তা করেনি। কিন্তু তার পরও খুব দৃঢ়তার সাথে বলতে চেষ্টা করল- বাংলা অনুবাদ এরকম শোনালেও আরবী ভাষায় সব কিছু ঠিক আছে।
আমি তাকে এবার খুব আন্তরিকতার সাথে জিজ্ঞেস করলাম- উক্ত আয়াত যে আল্লাহ বলেছে এরকম কি সত্যিই শুনায়?
এবার সে কোন উপায় না দেখে বলল- না শুনায় না। মনে হচ্ছে জিব্রাইল আল্লাহর কথা নিজের মত করে নবীর কাছে শোনাচ্ছে।
তখন আমি বললাম- কিন্তু কোরান হলো আল্লাহর প্রত্যক্ষ বানী। আর আল্লাহ জিব্রাইলকে নিজের মত করে কোন কিছু মোহাম্মদকে বলার জন্য বলে দেন নি। এখানে জিব্রাইল শুধুমাত্র বাহক। কোরানকে একটা পত্র হিসাবে ধরা যায় যা আল্লাহ লিখেছেন মোহাম্মদের কাছে। জিব্রাইল ডাক পিয়নের মত খালি মোহাম্মদের কাছে বহন করে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পালন ছাড়া তার এখানে কোরানের বানী নিজের মত করে বলার কোন সুযোগ নেই।
এবার আমি আরও অনেক আয়াত পড়ে শুনালাম যেমন-
এতে সন্দেহ নেই যে যারা আমার নিদর্শন সমূহের প্রতি যে সব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে পুড়ে যাবে, তখন আমি আবার তা পাল্টে দেব অন্য চামড়া দিয়ে যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহা পরাক্রমশালী ও হেকমত কারী। ০৪:৫৬
তাকে জিজ্ঞেস করলাম এ আয়াত কি আল্লাহর মনে হয় ?
-হ্যা এটাকে আল্লাহর মনে হয়।
-কেন মনে হয় ?
-কারন এখানে আল্লাহ নিজেকে আমি এ সর্বনামে উল্লেখ করেছেন । ব্যকরনগত ভাবে সেটাই সঠিক।
-কিন্তু- নিশ্চয়ই আল্লাহ মহা পরাক্রমশালী ও হেকমত কারী- এ টুকুকে কি আল্লাহর বানী মনে হয়?
– না মনে হয় না । মনে হয় এটা অন্য কেউ বলছে।
-আল্লাহ বললে বাক্যটি কেমন হতো ?
– আল্লাহ বললে বাক্যটি হতো- নিশ্চয়ই আমি মহা পরাক্রমশালী ও হেকমতকারী, কারন একই বাক্যে এর আগে আল্লাহ নিজেকে আমি বলে উল্লেখ করেছেন।
-তাহলে আপনার কি মনে হয়, কোরান আল্লাহর বানী ?
অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ইমানদার হবে না যতক্ষন না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদে তোমাকে ন্যয়বিচারক বলে মনে না করে। ০৪:৬৫
এবার জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহ কি নিজেই নিজের নামে কসম কাটেন নাকি ? আর এ কোন ধরনের আল্লাহ যে তার কথা বিশ্বাস করাতে তাকে কসম কাটতে হয় ?
পরিশেষে আমি সর্বপ্রথম সূরা আলাক নিয়ে পড়লাম।
পাঠ করুন, আপনার পালন কর্তার নামে ——-৯৬:০১
-এখানে পাঠ করুন এটা নিশ্চয়ই আল্লাহর কথা না। কারন কোন কিতাবের প্রথমেই লেখা থাকে না পাঠ করুন। এমনকি আপনার পালনকর্তার নামে এটাও আল্লাহর কথা না। এটা সম্পূর্নই জিব্রাইলের কথা আর জিব্রাইল যদি মিথ্যা হয় তাহলে এটা সম্পূর্নই মোহাম্মদের নিজের কথা । জিব্রাইল যদি কোন ওহি নিয়েও আসে তা শুরুর আগে সে মোহাম্মদকে একটা প্রারম্ভিক ভূমিকা স্বরূপ একথা বলছে যে , পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তার নামে —- অর্থাৎ এটা জিব্রাইলের নিজের বানী , আল্লাহর না। কি বলেন ?
এবারে সে ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে লাগলেন আরবী ভাষার সাথে বাংলা বা ইংরেজী ভাষার প্রকাশ ভঙ্গির তফাৎ আছে, হয়ত বা অনুবাদক ঠিক মতো অনুবাদ করেন নি ইত্যাদি। আমি বললাম যারা কোরানের বাংলা বা ইংরেজী অনুবাদ করেছে তারা তো আপনার আমার মত চুনোপুঠি না, তারা ভালভাবে আরবী ভাষা না জেনে এটা করেন নি। কিন্তু কে শোনে কার কথা , লোকটি তার বক্তব্যে অটল থেকে বললেন নিশ্চয়ই অন্য কোন কারন আছে যা আমরা বুঝি না। অগত্যা আমি রণে ভঙ্গ দিলাম।
আপনার এই লেখা আমি বেশ আগেই পড়েছি। আমি তখন ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্র, আমাকে পড়ার কাজে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকতে হয়েছিলো।
যাহোক, সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ।
দেখেন, আপনি একটা ধারণা পোষণ করছেন (বিভিন্ন যুক্তি থেকে ইনফার করেছেন)।
আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে সারা দুনিয়ায় অসংখ্য মানুষ (আপনার বিচারবুদ্ধি মতে) ভুল ধারণা বা বিশ্বাস ধারণ করে আছে। উপরের কমেন্টে দেখলাম আপনি লিখেছেন, মানবজাতির সামান্য উপকার করার চেষ্টা করছেন।
কিন্তু যেখানে সারা দুনিয়ায় কোটি কোটি মানুষ একটা বড় ধরণের ভ্রান্ত ধারণা (আপনার মতে) পোষণ করছে এবং সেটা মেনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে (আপনার মতে), সেখানে মানুষ হিসেবে আপনার দায়িত্ব হলো এই সকল মানুষকে ভ্রান্ত ধারণা থেকে বের করে আনা। সেজন্যে আপনি একটা ব্লগে (যার তিন মাসের আলেক্সা রেটিং ডাউনগোয়িং, bd rank 829), পোস্ট লিখেই দায়িত্ব শেষ করছেন। আমি দেখতে পাচ্ছি, এই ব্লগে যারা আসে, তারা মোটামুটি সবাই আপনার মত ‘মুক্তমনা’। আপনারা কাছাকাছি ধারণা পোষণ করেন, আপনারাই এখানে আলোচনা করে নিজেদের মাঝে আরো মুক্তমনা চিন্তাধারা তৈরী করেন।
কিন্তু দুনিয়ার মানুষের জন্য আপনাদের কিছু করতে দেখছি না। যেখানে জাকির নায়েক মানুষটি সারা দুনিয়ায় নতুন করে ভ্রান্ত ধারণা (আপনার মতে) প্রচার করে বেড়াচ্ছে এবং অনেক মানুষকে সেই ভ্রান্ত ধর্মে কনভার্ট করছে, সেখানে এত বড় অপকর্ম ঠেকাতে আপনার পদক্ষেপ বলতে শুধু সমমনাদের সামনে কিছু যুক্তি তুলে ধরা। আপনিতো দুনিয়ার মানুষের জন্য কিছু করছেন না। তাহলে বলতে হয়, আপনি বড়াই করবার জন্য এখানে এসব লিখেছেন।
আপনি জাকির নায়েকের সাথে আলোচনায় বসুন। তাকে বুঝাবার চেষ্টা করুন। দুনিয়ার বড় বড় ইসলামিক স্কলারদের সাথে আলোচনায় বসুন। টিভি চ্যানেলগুলোকে বলুন, আপনি এমন একটা বিতর্ক কিংবা টকশো তে অংশ নিতে চান। এভাবে মিডিয়ায় এসে দুনিয়ার মানুষের উপকার করুন। তা না করে অফিস (ধরে নিচ্ছি আপনি চাকরিজীবী) শেষে বাসায় ফিরে অবসর সময়ে কয়েক হাজার শব্দের আটশবার পঠিত একটা ব্লগ লিখে আপনি দায়িত্ব শেষ করছেন।
আপনার কাছে এত যুক্তি, আপনিতো এইসব ভ্রান্ত মানুষদের কাউকে আপনার পথে আনতে পারছেন না। তবে বলতে হয় আপনার যুক্তি দুর্বল, বা, তাদের ভ্রান্ত ধারণা অনেক বেশি শেকড় গেড়ে বসে আছে যে আপনি তার মূলোৎপাটন করতে পারছেন না। তবে আপনার যুক্তিকে সেইমতো শক্তিশালী করুন।
আর দুনিয়ার এইসব কোটি কোটি মানুষকে মুক্তমনা করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।
নাকি আপনার মুক্তমন বলে যে মানুষের প্রতি আপনার কোনো দায়িত্ব নেই ? নেই সমাজের প্রতি ?
অনেক ভালো লাগলো লেখাটি পড়ে। অনলাইন বাংলা কোরআনের সাথে রেফারেন্সগুলো মিলিয়ে দেখেছি। বাংলাদেশের মানুষের মগজ যে কি পরিমানে ধোলাই হয়ে আছে বোঝা যায়।
আপনার পোষ্টের অপেক্ষায় ছিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার লেখার মধ্যে যুক্তিবাদ এবং প্রগতির চিন্তাধারা উঠে আসছে। এই ভাবে মিথ্যাচারী ধর্মবাদীদের আঘাত করতে হবে। উগ্র মৌলবাদীদের আছে বন্দুকের জোর আর আমাদের আছে কলমের জোর। বন্দুকের জোর বেশী দিন থাকবে না কিন্তু কলমের লেখাগুলি যুগ যুগ থেকে যাবে। :rose2:
@সুমিত দেবনাথ,
নিজের সামান্য জ্ঞান দিয়ে মানবজাতির একটু সেবা করার চেষ্টা করি আর কি। জানিনা কতদুর আসলে সেবা করতে পারি। আপনাদের উৎসাহপূন মন্তব্য আমাকে উদ্বুদ্ধ করে দারুনভাবে
@Russell
খাটি(!) মুসলিমরা একথা অহরহ বলে থাকে যে, কোরান ঠিকই আছে কিন্তু মানুষে এর ভুল ব্যাখ্যা করছে বা ভুল ব্যবহার করছে। যার প্রেক্ষিতে আমি প্রশ্ন করেছিলাম। ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায়। এখন আপনি বলছেন কোরানও পালটে দেয়া হয়েছে। অথচ কোরান তো আল্লাহ নিজে সংরক্ষন করে (আসমানে)। মুসলিমরা বেশ জোর দিয়েই বলেন যে কোরান একমাত্র গ্রন্থ যার একটা অক্ষর পর্যন্ত পরিবর্তন হয় নাই। আপনার একথা বলার একটাই কারন থাকতে পারে সেটা হোলো বর্তমানে ইসলাম ধর্মে আপনি ভাল কিছু দেখতে পাচ্ছেন না। অথচ ব্যাখ্যা করার সময় সেই ভুল কোরানের (আপনার মতে) আয়াতই ব্যাখ্যা করছেন।
১৪০০ শত বছর আগে যার মূল কাটা গেছে তার নির্যাস বের করা কঠিনই মনে হয়। তাই না।
সঠিক। কিন্তু আমি যদি আমার দর্শন কায়েম করার জন্য জিহাদের মত কাজ শুরু করি কিংবা আমার দর্শন বাদে অন্য দর্শন মিথ্যা, ভুল, পাপাচার মনে করি তাহলে আমার সত্য দর্শন কি আর সত্য দর্শন থাকে? আর সত্য দর্শন এবং ধর্ম দর্শন এই দুইটাতে, আমার মতে অনেক পার্থক্য।
@শিরোনামহীন,
একনাগাড়ে ধরে কোরান সব পুরো বইটাইযে ভুল সেটা কিন্তু বলিনি। এখানে অনেক আয়াত প্রবেশ করানো হয়েছে, আবার অনেক আয়াত ঢুকানো হয়েছে। আবার যেমন ধরুন অনেক আয়াতের অর্থ ভুল করা হয়েছে (বাংলায় অর্থ); আবার অনেক আয়াতের ব্যাখ্যা ভুল করা হয়েছে, আবার মিথ্যা শানে নজুল ঢুকানো হয়েছে। এরকম আরও অনেক কিছু। সুতরাং যখন আপনে জানবেন কোথায় কি হয়েছে, হতে পারে তখন আপনেও ব্যাখ্যা দিতে পারবেন? আবার কোরানের আমার ব্যাখ্যা কিন্তু শাব্দিক অর্থের উপরে করা হয়নি। যাইহোক সব আয়াতের ব্যাখ্যা আমি দেইওনাই, কেননা “সব জান্তা সমসের” আমি নই। যাইহোক এসবের জন্য দরকার সামনা সামনি আলোচনা, তাহলে বুঝানো যেত হাজার কিছুর ভিতরেও কোরানে এখনও সৌন্দর্যমন্ডিত অনেক জ্ঞানের বিষয় বস্তু আছে।
যদি সত্য দর্শণ নিজের ভিতরেই হয় তাহলে জেহাদ কোথায় হবে? নিজের ভিতরেই, তাইনা? বাহ্যিক জেহাদ এখানে প্রশ্নই আসেনা। সত্য দর্শণ আর ধর্ম দর্শন আলাদা তবে এখানে জানার বিষয় হল সত্য দর্শণ বলতে আপনে কি বুঝেন? বা ধর্ম দর্শণ বলতেই আপনে কি বুঝেন?
আমার বাকি মন্তব্যগুলো পড়বেন আশা রাখি।
ধন্যবাদ।
যদিও সকল তথাকথিত কোরানে এই একই শব্দিক অর্থ করা আছে। তবে আমি আপনাকে এর একটি অর্থ দিচ্ছি, একটু পড়ে দেখবেন। দেখুন ঠিক আছে কিনা। যদিও কথাটা একটু হাস্যকর। কেননা ব্যাখ্যার ভিন্নতা হতে পারে, শাব্দিক অর্থের আবার ভিন্নতা হয় কিভাবে? তারপরেও যখন দেখি সুরা বাকারার ১৯ এর শেষাংশ-যখন দেখি “আল্লাহ কাফের দ্বারা আবৃত” প্রকৃত অর্থকে একদম ঘুরিয়ে জ্ঞানী মোল্লারা লিখে দেন ” কাফের আল্লাহ দ্বারা আবৃত”। আবার আরবির হুবুহু অর্থ যখন “নিশ্চয়ই আমরা জিকির নাজেল করি এবং আমরাই একে সংরক্ষন করি” এর জায়গায় মোল্লারা লিখেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ কোরান নাজেল করেন এবং তিনি সংরক্ষন করবেন” লিখে দেন। তাই কোরানে এইসব জ্ঞান পাপীদের দ্বারা বহুবার দা ছুরি চাকু চালানো হয়েছে যার কারনে প্রকৃত কোরান অনেক আগেই শেষ বলে মনে করি। যাইহোক ৪ নং সুরার ৭১ আয়াতটার অর্থ এইরুপঃ
এখানে লক্ষনীয়ঃ কোরানের অনেক জায়গায় পাবেন “ইয়া আইউহাল্লাজিনা আমানু” আবার কম জায়গায় পাবেন “ইয়া আইউহাল্লাজিনা মুমিনু”। আমরা আমানু আর মুমিন এক করে ফেলি। মুমিন আর আমানু এক নয়। মুমিনের জন্য কোরান নয়। কোরান মুলত আমানুদের জন্য। ইহা সর্ব সাধারনের জন্যেও নয়। থাক এই বিষয় আর না আগাই।
ধন্যবাদ
@Russell,
কোরানে আল্লাহ বলছে – আমি কোরানকে সহজ ভাষায় অবতীর্ণ করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার। আর আপনি বলছেন সর্ব সাধারনের জন্য নয়। তাহলে কাদের জন্য ? আর শোনেন, আমি অন্যান্য ধর্মের কিতাব পড়ে দেখেছি, এর মধ্যে কোরানের ভাষাকে আমার নীচের মানের মনে হয়েছে। যেমন অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের ভাষা যদি কলেজ লেভেলের হয় তো কোরানের ভাষার লেভেল হলো প্রাইমারী লেভেলের। অধিকাংশ মানুষ আরবী না জানার সুযোগে ইসলামী পন্ডিতরা এর নানা রকম মনগড়া ব্যখ্যা দেয়ার সুযোগ পেয়ে গেছে যেমন ওমুক শব্দের তমুক অর্থ ইত্যাদি। বিশ্বাস না হলে পাশাপাশি কোরান , বাইবেল , গীতা, ত্রিপিটক খুলে পড়ে দেখতে পারেন, বাংলা অনুবাদই পড়বেন দেখবেন তফাৎ। আমি মাঝে মাঝে সত্যি আশ্চর্য হয়ে যাই , এত নিম্নমানের ব্যকরন ও ভাষায় লিখিত একটা কিতাবকে কিভাবে বিলিয়নের ওপর লোক আল্লাহর কিতাব বলে বিশ্বাস করে জিহাদে ঝাপিয়ে পড়তে চায়।
@ভবঘুরে,
আমারও একই প্রশ্ন।
@ভবঘুরে,
আপনেত অনেক বিদ্যান, আপনার কাছে লাগতেই পারে… 🙂
@ভবঘুরে,
বলেইত দিয়েছি কোরান আমানুদের জন্যে। মুমিনদের জন্যেওনা, সাধারনের জন্যেও না। এখানে সব কিছু আদেশ, নিষেধ, উপদেস যা আছে সব আমানুদের জন্যে। এত বড় বড় ব্যাখ্যা দিচ্ছেন নিশ্চয়ই আমানু কারা সেই বিষয়ে আপনে জানেন। কোরান ভর্তি লেখা হচ্ছেঃ ইয়া আইউহাল্লাজিনা আমানু-হে ঈমানের মহাকড়িগন/আমানুগন। কোথাও মুমিনকে নিয়ে তেমন কোন কথা লেখা নেই। সহজ করে দেওয়া হয়েছে আমানুদের জন্যে। আর কারও জন্য নয়।
ধন্যবাদ
@ভবঘুরে,
ভালো লাগল আপনার সুন্দর উপস্থাপনা।
প্রকৃত ইসলাম কি? বা প্রকৃত মুসলমান কারা? ইসলামিক যেসব দেশ আছে, তারা কি ইসলামিক আইন চালু করে খুব ভালো আছে? অথবা বলা যেতে পারে এমন কোনো ইসলামিক দেশের উদাহরন দেয়া সম্ভব যারা ইসলামিক আইন চালু করে খুব ভালো আছে বা উন্নতি করেছে?
@Russell
কথা হচ্ছে, এই মোল্লাদের দর্শন কি ভুল? অথচ এই মোল্লারা নিজেরদেরকে খাটি মুসলমান মনে করে। তাহলে কারা সঠিক দর্শন বয়ান করে?
এইটা আপনি বলেছেন জাকির নায়েকের ক্ষেত্রে।জাকির নায়েকও কোরান হাদিসের ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে। জাকির নায়েকও নিজেকে খাটি মুসলিম মনে করে। ইদানিং মুসলিমরা কথায় কথায় এখন উনার উদাহরন দিয়ে থাকে।
আপনিও ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। (বিভিন্ন আয়াতের)
আমাদের দেশে জামাত শিবিরও মুসলিম ধর্মের অনুসারি। তাদেরও একটা ব্যাখ্যা আছে। কারটা সঠিক? কোনটা সঠিক?
যখনি কেউ ইসলাম ধর্মের ত্রুটি বের করছে, তখন বলা হচ্ছে, ভুল ব্যাখ্যা বা ভুল অনুবাদ করা হচ্ছে বা যারা এগুলান যারা করছে তারা প্রকৃত মুসলমান না।
একই ধর্মের এত ব্যাখ্যাকারী এবং তারা নিজেরা একে অন্যকে ভুল ব্যাখ্যাকারী হিসাবে গণ্য করছে। এ থেকে যদি ধারনা করি গোড়াতেই গলদ আছে তাইলে কি খুব ভুল হবে?
@শিরোনামহীন,
বড় জটিল প্রশ্ন আপনার। এর উত্তর আপনার প্রশ্নের মত ছোট করে দিতে পারবনা, তাই দিলাম না। দুঃখিত।
তবে হ্যা, আপনেই ঠিক আছেন, এর গোড়াতেই গলদ আছে। আমরা যেই ধর্ম আজ পালন করি এর মূল কেটে ফেলা হয়েছে নবী (সাঃ) দেহত্যাগের দিন থেকেই- যখনই আবু বকর ক্ষমতার লোভে গদি দখল করলেন ওমর আর মোয়াবীয়ার কুমন্ত্রনায়। ইসলামের বিধান, ইতিহাস, কোরান, আদর্শ সব কিছু পালটে দেওয়া হয় ধীরে ধীরে। এই পাল্টানোর নথি হিসাবে বের করা হয় হাদিস। আর সেই মিথ্যা হাদিস, কোরান ইতিহাস পড়ে আজ বড় বড়ো আলেম, স্কলার। আমরা যা পাই তাহল ইসলামের শুধু নাম, কোরানের শুধু খোসা। আর এই নিয়ে মারামারি, কাটাকাটি, হত্যা, ধর্ষন …।
তবে কারটা এখন সত্য, কে সত্য বলছে এই বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছিনা। আপনার বিবেক দিয়ে আপনে চিন্তা করুন। আমিও ব্যাখ্যা দিয়েছি, আরও অনেকে ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে, যারটা ভাল মনে হবে সেইটা আপনার জন্য সত্য হবে, হতে পারে। সত্য দর্শণ নিজের ভিতর হয়। তবে বলতে পারি সত্য দর্শনের জন্য ত্যাগী হয়ে কঠোর ত্যাগের সাধনায় না গেলে পাওয়া যায়না, ইহা ধ্রুব সত্য। ভোগের ভিতর ত্যাগের সাধনা, বা ভোগের সাধনায় সত্য পাওয়া সম্ভব নয়। এই সাধনা বই পুস্তকের সাধনা নয়। তিল পরিমান ভোগের মনোভাব থাকলেও সত্য দর্শন থেকে হাজার ক্রোশ দূরে ছিটকায় যেতে হয়। ধর্মের এই বিষয়গুলো এতই সূক্ষ্ণ, এতই গভির, বাস্তব সম্মত, ও সৌন্দর্য মন্ডিত যা একজন ত্যাগী ও অসীম ধৈর্যশীল ব্যতীত না হয়ে সম্ভব নয় বের করা। ত্যাগী অর্থ সংসার ত্যাগী নয়।
যাইহোক ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য।
@Russell,
গোড়াতেই যদি গলদ থাকে তাহলে এটা নিয়ে এই যে সারা দুনিয়া ব্যাপী তোলপাড়, মারামারি, কাটাকাটি, বোমবাজী এর ব্যখ্যা কি ? মুসলমানরা কি তাহলে স্রেফ ননসেন্সের মত এসব করছে ?
@ভবঘুরে,
আপনেত উপরে জনাব রৌরবকে বলেছেন আমার দর্শণ গ্রহন করা যাবেনা, তাই আপনাকে কি বলব? মানুষকে সর্বশ্রেষ্ট বলি-আপনার কাছে ভাল লাগল না। মোহাম্মদকে আল্লাহর নবীবলি-আপনার ভাল লাগল না, তবে কোরান প্রত্যক্ষ আল্লাহর বানী ইহা বলিনি কোথাও তারপরেও আমার উপর ইহা আরোপ করেছেন তাও মানলাম, অতঃপর বললেন এইরুপ হলে আমার কথা আর গ্রহন করা যাবেনা। তাহলে কি বলব?
পলিটিক্স কি সেই বিষয়েত ধারনা আছে, ধর্মে পলিটিক্স ইহা প্রবেশ করেছিল সেই নবী (সাঃ) দেহত্যাগের কয়েকদিন পূর্ব থেকে, ইসলামে গনতন্ত্র ছিলনা, না ছিল একনায়েক তন্ত্র, তখন নবী প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন মাওলায়েত প্রথা। যদিও এর ভিতরে যেই দর্শণ আছে তা আপনার বিদ্যা ভর্তি মগজে আসবেনা। যাইহোক এই পলিটিক্স একদিনের না, ধীরে ধীরে সময় নিয়ে এইসব হয়েছে। সুতরাং সাধারন মানুষ এই বিষয়ে তেমন অবগত নয়। কয়জন মানুষ আপনে দেখুন ইসলাম সম্পর্কে জানেন? আপনেত অনেককে প্রশ্ন করেন রাস্তা ঘাটে-কয়জন জেনে শুনে নামাজ পড়ে বলেন? জেনে শুনে ধর্ম পালন করে? তারা জানে টিভি দেখে, মসজিদে বেতন ভোগি ইমামের কাছে, বা বাপদাদা আত্নিয় স্বজন থেকে। এভাবেই ধর্ম মানুষের ভিতর গতিশীল হয়ে চলছে বেশিরভাগ। সুতরাং এর কল কাঠি কারা চালায়? কোথা থেকে ফতোয়া নাজেল হচ্ছে, বিধান পরিবর্তন হচ্ছে কেউ কি খবর রাখছে? দেখবেন নতুন নতুন অনেক বিধান যোগ হচ্ছে কোরানে, আজ থেকে ৫০০ বছর আগে যেই ব্যাখ্যা কোরানে ছিল আজ সেই ব্যাখ্যা বাতিল করে অন্য ব্যাখ্যা দিচ্ছে কোরান থেকে। কারা করছে? আবার শব্দ পরিবর্তন হচ্ছে, অক্ষর পরিবর্তন হচ্ছে, এসব কি একদিনে হচ্ছে? না। সময়ের সাথে সাথে ধীরে ধীরে সৌদি থেকেই মূলত এর পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের দেশের মোল্লারাত হল পুতুলের মত, অনেকে অধিক উত্তেজিত, কিন্তু এইসব পশুর রক্ত কই থেকে আসছে? এইসব আন্তর্জাতিক মানের পলিটিক্স, একদইনে হয়না। এইযে আমাদের দেশে জে।এম।বি এইসব আজ থেকে ৩০ বছর আগে কি ছিল? মনে হয়না। আর থাকলেও এই পশুর রক্তের বীজ কিন্তু আমাদের দেশের থেকে সৃষ্টি হয়নি, ইহা বাইর থেকে এসেছে। আমাদের দেশের মানুষ মুলত সহজ সরল। কিন্তু এইখানে এই রক্ত একদিনে ঢুকেনি কিন্তু, সময় নিয়ে আজ অনেক বড়ো এক দল গঠন করেছে। আরও অনেক কিছু থাকতে পারে ঘাটলে পাবেন।
আবার আপনার কাছে কি মনে হয়, নবী (সাঃ) তার দেহত্যাগের পূর্বে তার উত্তরসূরী দিয়ে জাননি? তিনি তার পরবর্তি খলিফা নিয়োগ করে যাননি? এত বড় এক নেতা -তিনি তার পরবর্তি নেতা নিযুক্ত করেননি? করেছিলেন অবশ্যই। কিন্তু তাঁর দেহত্যাগের সাথে সাথে সেই আদেশ অমান্য করে আবু বকর চলে আসল-কেন? আর এই আসার পিছনে টুইন টাওয়ার ভাঙ্গার মত ষড়যন্ত্র করতে হয়েছিল। এবং ইহা একদিনের ফসল ছিলনা। তারপর সেই আবু বকর এসে তার কৃত এই কর্মের সকল ইতিহাস মুছার জন্য কম কষ্ট করেন নি। আর মূল নায়ক, যে সেই নবীর জন্ম থেকেই পিছনে লেগেছিল, বরং তার পূর্ব পুরুষও নবী বংশের বিরোধিতা করেছিল -সেই মোয়াবীয়া কি কম কষ্ট করেছিল(?) এই সকল ইতিহাস, কোরান ধ্বংসের পিছনে? শেষে আরও স্বার্থক হয়েছিল ইমাম হোসাইন এর কতলের মাধ্যমে ইয়াজিদ, আর দরবারেই তিনি বানরের মাথায় টুপি দিয়ে আলখাল্লা পড়িয়ে রাখত, আর তার ভাড়া করা আলেম দিয়ে তখনই রাজকর্তৃক কোরানের তফসির, আর সাজানো গুছান হয়। বর্তমান যেই কোরান আপনে পড়ে গাল্গালি দিচ্ছেন সেইটা সেই কুফার কোরান। বাকি কোরানের হদিস নাই। কত শব্দ এর ভিতর নাই , কত শব্দ পরে যোগ হয়েছে। আর জনমনে তখন থেকেই ভয় ভীতি দেওয়া হত রাজ দরবার থেকে এই কোরানের বাইরে কথা বলা হারাম…আরও কত কি শাস্তি।
আবার ধরেন যেই যুদ্ধ নীতি আমরা বর্ননা পাই তা ওমরের সময়কার রচিত কোরানের ব্যাখ্য। ওমর এইসব যুদ্ধ নীতি সৃষ্টী করেছিলেন। ওমরের সময় যত রাজ্য ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে পাওয়া যায় তা নবীর সময় দেখতে পাওয়া যায়না। আর ওসমানত কোরান বোর্ড খুলেই খাল্লাস। আলী বিগত তিন খলিফার রফাদফা শেষ করতে করতে গেলেন, যদিও পিছনে মোয়াবীয়া, আয়েশা অনেকের হাত ছিল আলীকে হত্যার। আসলো হোসেন, ময়াবীয়ার চক্রে…শেষ।ঢুকল মোয়াবীয়া, যদিও ইমাম হোসেইনের আসার কথা ছিল, তিনি এসেছিলেনও বটে কিন্তু মোয়াবীয়া…যাইহোক আসলেন হোসাইন, তখন আসলেন ইয়াজিদ…সুতরাং দেখা যায় ইসলামের প্রাথমিক যুগটা ঐ ছুরি চাকু দিয়ে কাটাকাটি ছাড়া কিছুই হয়নি। আবার ধরেন ২০০-২৫০ বছরের দিকে যেয়ে তাদের এই পূর্ব পুরুষদের দফারফা ঢেকে রাখার জন্যেও হাদিসের সৃষ্টি করা হল। একদিনের ঘটোনা না এসব। এরপরে আসল ওহাবি। সেকি কম ছিল নাকি? ইসলাম নামে এখন পান শুধু খোসা।
জানিনা মুসলিম জাতি নন-সেন্স কিনা। আপনে ভাবেন।
ধন্যবাদ
@Russell,
দেখেন ভাই আপনার কথা মাঝে মাঝে বুঝি না। আপনার দার্শনিক তত্ত্ব অতীব গুঢ় আমাদের মত মূর্খ মানুষ তা উপলব্ধি করতে অক্ষম।
যেখানে কোরানে আল্লাহ বলছেন – তিনি কোরানের হেফাজতকারী, তাহলে তা এখন পরিবর্তিত হয়ে গেল কি ভাবে ? নাকি আপনি মনে করে এ কথাও ঢুকানো হয়েছে কোরানে ?
তিনি যদি আল্লাহর নবী হন, আর তার সাহাবীরা যদি তা বিশ্বাস ও করে , তাহলে তার জীবিতাবস্থায় তারা তার মনোনীত নেতা নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কিভাবে ? তাদের কি জাহান্নামের ভয় ছিল না ? নাকি তারা মোহাম্মদের জারি জুরি বুঝে ফেলেছিল ? আর তাই মোহাম্মদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে তাদের একটুও বাধেনি। নাকি তারা বুঝে ফেলেছিল যে বেহেস্ত দোজখ
আসলে ফাকা বুলি ?একটু পরিস্কার করে বলবেন ?
এর কারন তো স্পষ্ট। দিন দুনিয়ার পরিবর্তনে জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতি হচ্ছে, নতুন তত্ত্ব আবিস্কার হচ্ছে। নতুন নতুন মানবিক আইন কানুন তৈরী হচ্ছে। আর এর সাথে তাল মিলাতে গিয়ে ও কোরানের মধ্যে দ্বীন দুনিয়ার যাবতীয় বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আবিস্কার করতে গিয়েই সে না এসব পরিবর্তন। কিন্তু এসব করেও কি কোন সুবিধা হচ্ছে ?
@ভবঘুরে,
কাগজের কোরান আল্লাহ হেফাজত করেন না, এই কথা আল্লাহ কখনওই বলেননি। আর আপনে কোরানের কোথাও লেখা পাবেন না, যেখানে আল্লাহ বলছেন সরাসরি “আমি এই কোরান হেফাজত করব”। একটু খুজুন। বরং তিনি যেই কোরান হেফাজত করেন সেই কোরান হল “মানুষ”। মানব কোরান তিনি হেফাজত করবেন যতদিন সৃষ্টি গতিশীল, প্রক্রিয়াশীল। ধর্ম জগতে কেতাব হল মানব দেহ, আর সেই কেতাবের অংশ পাঠ হল কোরান। তাইত নবী করিম (সাঃ) বলেছিলেন বিদায় হজ্বের দিনে, “তোমাদের জন্য রেখে গেলাম দুটো জিনিস, এক আমার আহালে বায়াত, আর একটি হল আল্লাহর কেতাব। একটি অপরটিকে ছাড়বেনা। এই দুটিকে আকড়ে ধরলে কেউ পথ ভ্রষ্ট হবেনা”। নবী যখন এই ভাষন দেন তখন কিন্তু তথাকথিত কোরান কেতাব আকারে ছিলনা, তারপরেও তিনি কেতাবের কথা বলেছিলেন, কেন? কারন এই কেতাব হল পরম করুনাময়ীর বিজ্ঞান বিকাশ মানুষ।মানে আত্নজ্ঞান। এই কেতাব পাঠ করেই জ্ঞানী-বিজ্ঞানী হয়। এই জ্ঞান দিয়ে সৃষ্টি গতশীল হয়। আর বোকারা সব কাগজের কোরান নিয়ে লাফালাফি করে মাথায় নিয়ে ঘুরাঘুরি করছে।আকার মানুষের অথচ আত্না এদের পশুর। তাই সবার জন্য কোরান নয়। এই পশু থেকে কোরানের সৌন্দর্য রক্ষার জন্য কোরানকে আপনার ভাষা মতে খুবই ফালতু করে লেখা, অথচ যারা জ্ঞানী তারা ঠিকি এখান থেকে রস আস্বাদন করে নেন, মাওলানা রুমী বলেনঃ কোরানের মগজ আমি তুলে নিলাম আর হাড্ডি গোস্ত কুকুরের জন্য রেখে দিলাম। এসব জটিল কথা মোল্লারা কখনও বুঝেনা, বুঝবেও না। কোরান নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষ কেউ বিজ্ঞান খুজে পায়, কেউ গরু খুজে পায়, কেউ গাধা, আর জ্ঞানীরা তারা ঠিকি আসল মাল খুজে পায়। যাইহোক খুজেন দেখেন কোরানের কোথায় লিখা আছে যেখানে আল্লাহ বলছেন “আমি এই কোরান হেফাজত করব”।
ক্ষমতার লোভ ভাইজান। কামনা, আর ক্ষমতা এই দুই জিনিস বড় আজব ভাইজান। আর কিছু না বলি।
ধন্যবাদ
@Russell,
ভাই আপনি অনেকখানি এগিয়ে গিয়ে বলেন “আর না আগাই” আবার অনেক কথা বলে তারপর বলেন “আর কিছু না বলি”। এক কাজ করলে ভাল হয়, আপনার দার্শনিক চিন্তা-ভাবনা নিয়ে আলাদা একটা লেখা পোস্ট করুন অথবা একটা বই লিখে ফেলুন। তাতে করে আপনার না বলা কথা, না আগানোর সমস্যার অবসান হবে বলে মনে হয়।
@ব্রাইট স্মাইল্,
একেবারে হক কথা। আমারও একই অভিমত। ভাই রাসেল, আপনি কমপক্ষে একটা নিবন্ধ লিখে ফেলেন যাতে আমরা আপনার চিন্তাধারা বুঝতে পারি।
@ব্রাইট স্মাইল্,
হা…হা…এত কিছু লিখলাম, সব বাদ দিয়ে এইখানে এসেই আপনার চোখ আটকালো? এর পর থেকে এই বিষয়ে নজর রাখব,
ধন্যবাদ
@ভবঘুরে,
আপনে আমার এই লেখাই পড়েন না, আর পড়লে বুঝার চেষ্টা করেননা, নাকি বুঝতে পারেন না সেইটাও বুঝিনা। যাইহোক আপনে আগে বলুন কোরানে কোথায় লেখা আছে “আল্লাহ এই গ্রন্থ হেফাজত করবেন”। আমারও জানা দরকার এইরকম কোন আয়াত লেখা আছে কিনা।
ধন্যবাদ
@Russell,
দেখেন ভাই আপনার কথা মাঝে মাঝে বুঝি না। আপনার দার্শনিক তত্ত্ব অতীব গুঢ় আমাদের মত মূর্খ মানুষ তা উপলব্ধি করতে অক্ষম।
যেখানে কোরানে আল্লাহ বলছেন – তিনি কোরানের হেফাজতকারী, তাহলে তা এখন পরিবর্তিত হয়ে গেল কি ভাবে ? নাকি আপনি মনে করে এ কথাও ঢুকানো হয়েছে কোরানে ?
তিনি যদি আল্লাহর নবী হন, আর তার সাহাবীরা যদি তা বিশ্বাস ও করে , তাহলে তার জীবিতাবস্থায় তারা তার মনোনীত নেতা নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কিভাবে ? তাদের কি জাহান্নামের ভয় ছিল না ? নাকি তারা মোহাম্মদের জারি জুরি বুঝে ফেলেছিল ? আর তাই মোহাম্মদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে তাদের একটুও বাধেনি। নাকি তারা বুঝে ফেলেছিল যে বেহেস্ত দোজখ
আসলে ফাকা বুলি ?একটু পরিস্কার করে বলবেন ?
এর কারন তো স্পষ্ট। দিন দুনিয়ার পরিবর্তনে জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতি হচ্ছে, নতুন তত্ত্ব আবিস্কার হচ্ছে। নতুন নতুন মানবিক আইন কানুন তৈরী হচ্ছে। আর এর সাথে তাল মিলাতে গিয়ে ও কোরানের মধ্যে দ্বীন দুনিয়ার যাবতীয় বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আবিস্কার করতে গিয়েই সে না এসব পরিবর্তন। কিন্তু এসব করেও কি কোন সুবিধা হচ্ছে ?
Russell<<এনার প্যানপ্যানানিতে কান দেয়া মানে পাগলের প্রলাপে উত্তেজিত হওয়া। নির্ঘাত মাথার স্ক্রু ঢিলা আছে কয়েকটা।
@আরিফ খান,
:yes:
ভাই আমার প্রশ্ন আছে।মাথায় অনেক যন্ত্রণা দিচ্ছে… :-Y
কেউ জানলে জানান আর দয়া করে এখানে আবার অন্য উদ্দেশ্য খুঁজবেন না।
১। জ্বীন এর কি মহিলা প্রজাতি আছে?কিংবা পরীদের কি পুরুষ প্রজাতি আছে?
২।এরা কি বংশ বৃদ্ধি করে?
২।যদি এদের বংশবৃদ্ধি হয় এবং বিপরীত প্রজাতি হয়ে থাকে তবে তা কীভাবে?অ্যামিবার মত দুই টুকরা হয়ে যায় নাকি টেস্ট-টিউবে ক্লোন তৈরির মত ঘটনা ঘটে?
৩।যদি এদের সংখ্যা নির্দিষ্ট হয়, তবে এদের সংখ্যা কত?
……………… 😕
***৩।যদি এদের বংশবৃদ্ধি হয় এবং বিপরীত প্রজাতি না থাকে তবে তা কীভাবে?অ্যামিবার মত দুই টুকরা হয়ে যায় নাকি টেস্ট-টিউব আর ক্লোন তৈরির মত ঘটনা ঘটে?
৪।যদি এদের সংখ্যা নির্দিষ্ট হয়, তবে এদের সংখ্যা কত?
……………… 😕
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
আপনার সব প্রশ্নের উত্তর আল্লাহই জানেন। জানেন তো আল্লাহ সব জ্ঞান মানুষের কাছে উন্মোচন করেন নি।
খুব ভাল হয়েছে লেখাটা ওভারঅল। হাতে সময় নেই, পরে একটু বিস্তারিত বলব।
ধর্মগ্রন্থ বা ধর্ম ভিত্তিক কালাকানুন সমর্থন করতে গিয়ে দ্বি-চারিতার আশ্রয় নেওয়াটা একটা লক্ষনীয় পয়েন্ট।
ইসলামে কোন জোরাজুরি নেই বলে একদিকে উদার সাজা, অপরদিকে বোরখা থেকে শুরু করে রোজার মাসে দিনে হোটেল বন্ধ পর্যন্ত যাবতীয় সব জুলুমবাজী চলে।
@আদিল মাহমুদ,
এ জুলুমবাজী আমাদের সমাজে এখন প্রচলিত প্রথা হয়ে দাড়িয়েছে। বরং এর বিরুদ্ধে কথা বলাটাই এখন জুলুমবাজি।
আপনার লেখাটি অসাধারণ হয়েছে। শুধু এই অংশটি নিয়ে বির্তক।
আমার মনে হয় পোষ্ট থেকে এই অংশটি বাদ দেওয়াই ভাল। আপনার এই অংশটির ব্যাখ্যা অনেকটা দার্শনিকদের মত মনে হচ্ছে , সরাসরি যুক্তিতে না গিয়ে অন্য আরেকটা দর্শনের উপর ভিত্তি করে এর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
আপনি কুরানে আরও অনেক অসংগতি খুজে পাবেন , এটা বাদ দিয়ে বরং সেগুলোর একটা দিন।
আমার মতে, কুরানের ভুল বা অসংগতি উল্লেখ করার সময় সেই সব বিষয়েই উল্লেখ করা উচিত, যেগুলো সরাসরি যুক্তির মাধ্যমে বুঝা যায় বা ব্যাখ্যা করা যায়। আপনি যেভাবে ইতিহাসের মাধ্যমে উপরে উদ্ধৃত অংশটুকু ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা নিয়ে অনেক বির্তক করা যায়। আপনি কেন অন্যদেরকে বিতর্কের সুযোগ দিবেন??
@অসীম সময়,
আমার মতে কোন বিতর্ক করা যায় না যদি আপনি আয়াতটিকে তাফসির সহকারে বিচার করেন। ওহ, আপনি যদি কোন আয়াতের সরাসরি অর্থ বিচার করেন মুসলিম পন্ডিতরা কিন্তু আপনাকে তাফসির সহ কোরান পড়তে বলবে। মোহাম্মদের আমলে মুসলমান নারী ও শিশুরা কোনভাবেই নিরাপত্তাহীন ছিল না আপনি যদি হাদিস পড়েন সেখানে দেখতে পাবেন। আরবরা অসভ্য ছিল তবে তারা নারী ও শিশুদের আক্রমনের মত অতটা অসভ্য ছিল না। যেহেতু মুসলমান নারী ও শিশু নিরাপত্তাহীন ছিল না, তাই অহেতুক নারী ও শিশুদের রক্ষার কথা বলে মোহাম্মদ তার অনুসারীদেরকে যুদ্ধ করার জন্য উত্তেজিত করার চেষ্টাই আলোচ্য আয়াতে করেছে। আসল বিষয় হলো – মাত্র ২/৩ টি ব্যতিক্রম ছাড়া মোহাম্মদের বাহিনী সর্বত্রই অমুসলিমদের ওপর, তাদের নারী ও শিশুদের ওপর আক্রমন করেছিল। আর তাই তার আশংকা ছিল অমুসলিমরাও সুযোগ পেলে তাদের নারী ও শিশুদের ওপর আক্রমন করবে। আর নিজ সৃষ্ট অপকর্মের আশংকায়ই তাকে এ ধরনের আয়াত রচনা করতে উৎসাহিত করেছে। আপনি ইসলামী পন্ডিতদের ব্যখ্যা দেখুন, আর মোহাম্মদের আমলকার প্রকৃত ইতিহাস জানুন দেখবেন ইসলামী পন্ডিতরা মনগড়া ব্যখ্যাই করেছে যাতে মোহাম্মদের চরিত্রে সামান্যতম ত্রুটি ধরা না পড়ে। আপনি দেখুন একজনও এ পর্যন্ত আমার ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে কোন যুতসই ব্যখ্যা দাড় করাতে পারেনি। তার কারন আমি যে ব্যখ্যা দিয়েছি তা সম্পূর্নই কোরান হাদিস ঘেটে দিয়েছি তখনকার পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী।
@ভবঘুরে,
আপনার এই মুসলিম অমুসলিম নারী, শিশুদের উপর অত্যাচার এই ধরনের কথা, মোহাম্মদের উপর অর্পিত বর্ননাগুলোর সাথে এক মত হতে পারলাম না।
আর ৪ঃ৭৫ আয়াতটা শুদ্ধ অর্থ উপরে লিখেছি, এর উপর সামান্য তফসির বলেন, ব্যাখ্যা বলেন করেছি। পড়বেন আশা করি।
যেখান থেকে আপনে বর্ননা পেয়েছেন তা ছুড়ে ফেলে দিতে পারেন, কেননা আপনেত কোন বই পুস্তক পড়ে কারও দর্শণ থেকে দেয়া ব্যাখ্যাই পড়েছেন, তাইত? টাইম মেশিান দিয়ে সরাসরি ঐ সময় যেয়েত আর দেখেননি, সুতরাং ঐ দর্শণ বাদ দিতে পারেন। ভাল খুজলে ভাল পাওয়া যায়, আর বিরোধ করতে চাইলে একটা ভাল জিনিসকে ঘুরায় পেচায় খারাপ বানানো যায়। “আঙ্গুর ফল টক”- এই কথাটা জানেন আশা রাখি। খাইতে না পারলে তখন বলতে হয় আঙ্গুর ফল টক। দুই নম্বর ব্যাখ্যা থেকে দুই নম্বর জিনিস বের হবে। এখন যদি সবাই সেই দুই নম্বর ব্যাখ্যা থেকে শিখা শুরু করে, আপনে বিরোধ করুন, সেটা খারাপ না, বরং উচিৎ, তাই বলে শুধু ভুল ভুল বলে গালাগালি দিয়ে গেলেত হবেনা, তাইনা? সাথে আপনাকে বলতেত হবে, সঠিক কোনটি? আর আপনে যদি বলেন কোরান ব্যপারটাই সম্পুর্ন ভুল, মোহাম্মদ মানেই গাজা খিচুড়ি, তাইলেত হবেনা, কেননা এর ভিতর অবশ্যই সত্য আছে, এবং মোহাম্মদ আপনার বর্ননার মত হলে আজও তার পুজা হত না সত্য মানবের কাছে, এইসব আপনে এক তরফা বললেত হবেনা। আলোচনায় আসতে হবে, তাইনা?
মানি প্রতিটি ধর্মের ভিতরেই গোড়ামি, ছাগলামি অনেক কিছুই আছে, হ্যা হতে পারে ইসলামের ভিতর, মুসলিমের ভিতর গোড়ামী ছাগলামী বেশি আছে, তাহলে আপনে কি গোড়ামী উচ্ছেদ করবেন, নাকি মানুষটাকেই উচ্ছেদ করবেন? আপনে মনে হচ্ছে মানুষকেই বাদ দিতে চাচ্ছেন, অনেকটা এমন যে, মাথা ব্যাথ্যা হয়েছে, আপনে ঔষধ না দিয়ে মাথাই কেটে ফেলছেন। ধর্ম অবশ্যই প্রয়োজন, অনুষ্ঠানও প্রয়োজন- তাই বলে সেটা পরিবর্তনশীল, পরিবর্ধনশীল, গতিশীল স্থান, কাল পাত্র ভেদে।
কোরান এর তফসির শুধু শানেনজুলের উপর নির্ভর করেনা, না করে ইহার শাব্দিক অর্থের উপর।
@Russell,
ঐতিহাসিক তথ্য “দর্শন” নয়। ভবঘুরের তথ্য সত্য হলে ঐতিহাসিক মানদণ্ডে সত্য, আর না হলে সেই একই মানদণ্ডে অসত্য। এখানে দর্শনের কোন ব্যাপার নেই। আর টাইম মেশিন ছাড়াই ঐতিহাসিক তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব।
“সত্য মানব” কি ঠিক জানিনা, কিন্তু Argumentum ad populum এর মত শোনাচ্ছে। কেন “তাইলেত হবে না”– বহু লোকের বিশ্বাস্য কোন কিছু চ্যালেঞ্জ করা যাবেনা কেন? মত প্রকাশে আবার এক তরফা-দো তরফা কি? ভবঘুরে মিটিং করে তার মত প্রকাশ করবেন নাকি?
সত্যিই “মানুষ” কে কেন্দ্রীয় ভেবে থাকলে বাদ দিন না ধর্ম-টর্ম।
@রৌরব,
ধন্যবাদ আপনাকে। যদিও আমি ৪নং সুরার ৭৫নং আয়াতের তফসিরের বর্ননাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলাম, যা ইতিহাসের বিষয়না। তারপরেও আপনার অধিক আগবাড়িয়ে উত্তর দেয়ার জন্য ধন্যবাদ, এবং সেই ইতিহাসের মানদন্ডেও যে ঘাপলা আছে, আর মিথ্যা আছে তা নিশ্চিত।
সুতরাং এই মিথ্যা লেখা পড়িয়া “মত প্রকাশের” জন্য তখন “তরফা” প্রয়োজন হয়। কেননা যখন গাছের মূলেই কাটা থাকে, তখন ডালে ফল হয়না, আর সেই গাছের ডালে আপনে যখন পানি দেন সেইটা দেখায় উন্মাদের মত। আগে যাচাই করা দরকার, নিজে যেই তথ্যের উপর দাঁড়িয়ে মত প্রকাশ করছি উহা ঠিক আছে কিনা। যদি কথার গুতায় সেইটারেও শক্ত বানায় নেন তাহলেও বলার কিছু নাই।
বহু মানুষের বিশ্বাসে আঘাতের কথা আমি বলিনি আর সেটা দিলেও সমস্যা নেই, তবে সেই আঘাত যেন সত্য হয়, সেইটাত সিওর হতে হবে তাইনা?
সমস্যা হইল যদু মধু সবাই আজ ধর্মের ব্যপারে অতি বিদ্যান, কিছু না জেনেই দু-চারটে আরবি হরফ জেনেই আদা জল খেয়ে লেগে পড়ে, সাথে আবার অনেকে অধিক হরফ বিদ্যায় ভুগে। আত্নভোগি, রাজভোগি তফসিরে তারা ব্যস্ত।
যেখানে কোরান সংগ্রহের ভিতর রয়েছে হাজার ভুল,সেখানে আপনারা যেই ইতিহাস পেয়েছেন সেইটাও পুতঃপবিত্র নয়। তাই সব দিক দিয়ে বিচার করে মত প্রকাশের আহবান। তাহলে সেইটা হয় পড়ার উপযোগি। নয়ত হয় লাবড়া। বলছিনা মোহাম্মদের গুনগান করে আত্নহারা হয়ে যাক। সেইটাও লিখিনি।
আর আপনার একদম শেষের মত্নব্য বুঝতে পারিনি, দুঃখিত।
কাউকে উদ্দেশ্য করে বলছিনাঃ
মোহাম্মদ, ইসলাম, কোরান এইসব নিয়ে গালাগালি করাটা মুক্তমনার পরিচয় না, সাথে যে করছে তাকে তালি দিয়ে উপরে উঠানোও মুক্ত চিন্তার কোন বিষয়না।
@Russell,
কেউ এখানে গালাগালি করছে বলে তো দেখা যাচ্ছে না। এখন মোহাম্মদের সমালোচনা ভদ্র ভাষায় করাটাকেও যদি গালি মনে হয় তাহলে তো মুস্কিল। মুসলমানরা এটা করতে করতেই তো তাদের অবস্থা আজকের এ অবস্থানে এসেছে। এরকম সমালোচনা যদি আরও একশ বছর আগে করা যেত তাহলে হয়ত মুসলমানরা হতো দুনিয়ার সব চাইতে সভ্য আর উন্নত জাতি কারন মুসলিম দুনিয়ায় সম্পদের অভাব নেই। কিন্ত সে সম্পদ ব্যবহার করে উন্নত হওয়ার জ্ঞান গম্যি মুসলমানদের নেই। তারা পড়ে আছে কোরান হাদিস আর মোহাম্মদ নিয়ে।
@রৌরব,
যথার্থ বলেছেন। রাসেল সাহেব মানুষকেই সব কিছু মনে করেন তার দর্শনে , আবার সেই সাথে ভুল ভ্রান্তি আর আজগুবি তথ্য সম্বলিত কোরান কে আল্লাহর কিতাব ও নানা দোষে দুষ্ট মোহাম্মদকে আল্লার নবী মনে করেন- এরকম হলে তার কোন দর্শনই গ্রহন করা যাবে না।
@ভবঘুরে,
আমার মনে হয় আপনার ব্যাখ্যা এতটাই ইতিহাস নির্ভর যে ,কেউ এর বিরুদ্ধে ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। আর তফসির ব্যবহার করেন ইসলামী পণ্ডিত(?) রা, আপনি কেন তফসিরের মত ইতিহাস নির্ভর ব্যাখ্যা দেবেন?? তাহলে আপনার আর ইসলামী পণ্ডিতদের মাঝে যুক্তিবোধের কি পার্থক্য থাকল?? আপনিও কি ইসলামী পণ্ডিতদের মত নিজের মতামতের যর্থাতা প্রমাণ করার জন্য ইতিহাস ভিত্তিক ব্যাখ্যা দাঁড় করাচ্ছেন না??
ব্যাখ্যা সবসময় যতটা সম্ভব বিজ্ঞান ভিত্তিক হওয়া প্রয়োজন, ইতিহাস বা দর্শনের ভাগ যত কম থাকে ততই ভাল। তাহলে ব্যাখ্যা অধিক গ্রহণযোগ্য হয়।
যেখানে সরাসরি লেখা আছে ” …..নারী ও শিশুদের
”
সেখানে ইতিহাস না টানায় ভাল
আশা রাখি ভাল আছেন, যাইহোক আপনার সেই গতবাধা লেখা- অনেক জায়গায় আপনার সাথে সহমত থাকলেও আপনার মোহাম্মদ ব্যরাম যে আপনার মস্তিষ্কে আসন পেতে এখনও আছে সেটা বুঝা যাচ্ছে।
টুইন টাওয়ার নিয়ে আমার জানার ইচ্ছা আছে, আমি তেমন জানিনা যদিও -তবে যেটা শুনি, বা বুঝি বা বুঝতে চাই, বা উপলব্ধি করি- তা মনে হয় আজও সঠিক সত্য মানুষ এখনও জানে না, হতে পারে। আমি সিওর না। সেদিন এক আমেরিকার টিভি চ্যনেলেই দেখলাম, (কোন চ্যনেলে মনে নেই,) সেখানে এক আর্কিটেকচার (মুসলমান নয়) এই বিষয়ে কয়েকটি কথা বলেছেন- তার ভাষ্য মতে টুইন টাওয়ারে যেই ইস্পাত লোহা আছে তা গলে একদম সোজা পড়তে যেই তাপমাত্রার প্রয়োজন সেটা প্লেনের আঘাতে, ও জ্বালানী তেলের দ্বারা সৃষ্ট তাপমাত্রাইয় ঘটা সম্ভব না, এখানে এক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য অবশ্যই ব্যবহার করা হয়েছে, সেই রাসায়নিক দ্রব্যের নাম তিনি বলেছিলেন বটে কিন্তু আমার মস্তিষ্কে ধারন করতে পারিনি বলে দুঃখিত। এবং তার মতে এই রাসায়নিক দ্রব্য এত দামী যা আফগানিস্তান, বা ইরাক এদের কাছে থাকার কোন কারনই নেই, এবং ইহা এক মাত্র আমেরিকা, ইউরপিয়ান ডিফেন্স, বা কিছু জায়গায় পাওয়া যায়। এইরকম জাতীয় বক্তব্য। আপনার কথাগুলো ঐ ব্যক্তি বলছিলেন যে বড়জোড় ১০০০ ডিগ্রী সেঃগ্রেঃ তাপমাত্রা হবে তবে ঐ লোহা ঐ ভাবে গলে একদম সোজা পড়তে যেই তাপমাত্রা সেই সময় সৃষ্টি হয়েছিল তার পরিমান হল ৩০০০ ডিগ্রী সেঃগ্রেঃ তাপমাত্রা। আর এই তাপমাত্রা ঐ রাসায়নিক পদার্থএর বদৌলতে। তবে এটাও হতে পারে মুসলমানরা যেইরকম- এইসব বিষয়ে তারা অজস্র টাকা /ডলার /দিনার হাবাজা ব্যয় করে একজন আর্কিটেকচার ক্রয় করে সাজানো রিপোর্ট তৈরী করতে পারে। যেমন দেখা যায় জোকার নায়েকের ভেলকি খেলা দেখানোর ময়দানে, বেশিরভাগ মানুষ আমার মনে হয় সাজানো, নিজের লোক। সেই জোকার গিরি করে স্টেজে, আর বাকি সবাই তালি দেয়।
জোকার নায়েকের এই নিয়ে লাফালাফি করাটা আসলেই হাস্যকর, ওকে বাংলাদেশের চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করলে দেখবেন প্রথম যেই খাচাটা আছে,(বানরের) সেইখানেই বেশি ভাল মানাত। বানরের হাতে বই ধরিয়ে দিন, একটা টুপি পড়িয়ে দিন, আর ব্লেজার লাগায় দিন;যেমন লাগবে- তার হাতে বই দেখলে তেমনি লাগে। যাইহোক টুইন টাওয়ার নিয়ে আজও অনেক দ্বন্দ আছে। যেমন অনেকে বলেন সেইসময় কোন ইহুদি ছিলনা বিল্ডিং-এ। তারপর অনেক মুসলমান মারা গেছে…এই জাতীয়, আমি জানিনা এখনও আসলে ঘটনা কি। যে বা যারাই করুক মানতে হবে আসলেই মাথায় কিছু না কিছু আছে। এখানে মুসলমান নামটাও যে আসবে সেটাও পরিকল্পিত, শুধু মুসলমান এর একার হাত আছে মনে হয়না, আরও আছে অনেকের হাত বলে মনেকরি। তবে মনে হয়, মুসলমানের মত বলদ গাধা প্রকৃতির যারা শুধু কাগজের কোরান নিয়েই লাফায় আর মোউজ মাস্তিতে বিধি ব্যস্ত থাকে, আর মুসলমান একটা জাতী যারা জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে, সত্য সুন্দর চিন্তা থেকে সর্বদা একশ গজ দূরে, তাই তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া, বা তাদের দ্বারা এই কাজ করা হতে পারে সহজ, স্বাভাবিক।
কাগজের কোরান না বুঝার কারনে, কাগজের কোরান মাথায় রেখে মানুষকে যারা দূর দূর করে তারা এই ধরনের অনেক কুকর্ম করতেও পারে, আবার তাদের দিয়ে এই ধরনের কুকর্ম করাতেও পারে, অথবা মিথ্যা অপবাদ আসতেও পারে। একটা না একটা হবে।
ধন্যবাদ
@Russell,
অবশ্যই ঘটনা এরকম কিছু। যেমন সৌদি রাজ পরিবারের ফরাসি চিকিৎসক মরিস বুকাইলি বিপুল পরিমান পেট্রো ডলার হাতিয়ে নিয়ে তার কোরান, বাইবেল ও বিজ্ঞান লিখে ফেলল কিন্তু মজার ব্যপার হলো সে নিজে ইসলাম গ্রহন করল না। সাদা চামড়ার লোক মানেই যে ফুলের মত পবিত্র চরিত্রের লোক তা মনে করার কোন কারন নেই ।
@ভবঘুরে,
সেইটা হয়েছে, তবে এই টুইন টাঅয়ার নিয়ে আমার মনে হয়না শুধু একা মুসলিম জড়িত সেটা নয়, এখানে আরও অনেক কিছুর হস্তক্ষেপ আছে,
ধন্যবাদ
@Russell,
আপনার ধারনা যদি সত্যও হয়, মুসলিমরা কেন এত সহজে ভিক্টিম হবে ? এত উন্মাদ আর মূর্খ কেন তারা হবে ধর্মের নামে ?
@Russell,
যত দিন এ ব্যরাম থেকে মুসলমান জাতি মুক্তি না পাবে ততদিন এটা তো অনেকেরই ব্যরাম হিসেবে থাকার কথা। দেখুন এক কার্ল মাক্সের ব্যরাম কত মিলিয়ন মানুষের জীবন বিনষ্ট করেছিল।
@Russell,
ভাই অনেক বড় সত্য কথা বলেছেন।সে রীতিমত তথ্য-সন্ত্রাশ করে বেড়াচ্ছে।সত্যের সাথে মিথ্যার অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটাচ্ছে(অন্তত সে আসরের শ্রোতাদের দেখে তাই মনে হয়)।
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
জোকার নায়েককে কিন্তু এখন আর সরাসরি প্রশ্ন করা যায় না। প্রশ্নগুলো তার নিজের লোকেরা প্রথমে বাছাই করে তার পর তারা প্রশ্ন কর্তাকে প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়। আর প্রশ্নগুলোর উত্তর জাকির যাই দিক না কেন দেখেছি পাবলিক হুদাই বুঝে না বুঝে হাত তালি মারছে।
@Russell, ভাই একটা ব্যাপার আমি ঠিক জানিনা।তাই জানার জন্য প্রশ্ন করছি।জোকার নায়েকের প্রসঙ্গ আসায় মনে আসলো।
জোকার নায়েক কি এইসব প্রচারণা করে টাকা নেন??
ইসলাম কি ধর্মের নামে এইসব প্রচারণা চালিয়ে উপার্জণ কে হালাল বলে?
(আমার কাছে তার এই প্রচারণাকে অনেকটা ধর্ম-ব্যবসা করে পেট চালানোর মত মনে হয়)
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
বানরের খেলা দেখেছেন কখনো? সেখানে কি টাকা নেয় না? তাহলে জোকার নায়েক নিবে না কেন?
জোকার অথবা বানরের খেলায়, তারা শুধু পেট চালানোর চিন্তাটূকু থাকে মানুষকে একটু হাসি দিয়ে, একটূ সুখ দিয়ে, নিজের জীবন বাচায়, আর জোকার নায়েক, ইউসুফ আব্দুল্লাহ হাবাজাবা ধরনের আকারের মানুষ (পশুর থেকেও নিকৃষ্ট), মানুষের চিন্তা, চেতনা বিকৃত করে, মানুষকে ধ্বংশের খেলা খেলে, সমাজ, দেশ বিশ্বকে কুরুচী, মিথ্যা কথা, পরিচালঅনা করে টাকা নেয়। পৃথিবীতে নিকৃষ্টতম গালিও যদি দেন তাও এদের কম, (থাক এখানে না দেই), কেননা তারা আমাদেরই হয়ত কারও ভাই, কারও মা,বোন পিতার ব্রেন ওয়াস করে ফেলছে সত্য থেকে।
তথাকথিত ইসলামের কথা আমি জানিনা, প্রকৃত ইসলামে নেয়া হারাম। যেমন মসজিদে বেতন ভোগি ঈমাম, এরাও হারাম। বা মন্দিরে ঠাকুর এরা সবই একই পথের পথিক।
ধন্যবাদ
আপনার অবগতির জন্য একটি সাইটের ঠিকানা দিচ্ছি, আপনার লেখার জন্য তথ্য আরও পাবেন আশা রাখি। অন্য সবাইরা পড়তে পারেন।
তবে মেজাজ গরম থেকে গরমতর হইলে আমি দায়ী নই। এইসব সাইট ব্যন্ড করা হয়না কেন আমি বুঝিনা। আর লোকটির সম্ভবত একটি ফেসবুক একাউন্টও আছে, সেখানে দেখলাম তার ৬০০০ এরও বেশি মানুষ এড করা আছে।
যাইহোক পড়ুন তাহলেঃ
http://amarboi.org/book/ইসলামী%20নেতৃতà§à¦¬à§‡à¦°%20গà§à¦£à¦¾à¦¬à¦²à§€
http://amarboi.org/text/islam-o-zihad
ধন্যবাদ
বিষয়টা রৌরব সাহেবের মত আমার চোখেও পড়েছে। সুরাতুন নিসার ঐ আয়াত (০৪:৭৫) বলছে :
وَمَا لَكُمْ لاَ تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاء وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَـذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا
And what is wrong with you that you fight not in the Cause of Allâh, and for those weak, illtreated and oppressed among men, women, and children, whose cry is: ”Our Lord! Rescue us from this town whose people are oppressors; and raise for us from You one who will protect, and raise for us from You one who will help.”
এখানে অসহায় (وَالْمُسْتَضْعَفِينَ) মানুষের পক্ষে যুদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে আপনার দেয়া ব্যাখ্যার বিপক্ষে। আপনি এখানে যেটা করেছেন তাকে বলা হয় “contextomy” অথবা “quote mining” যা যুক্তিবিদ্যায় logical fallacy হিসেবে পরিগণিত। ধর্ম নিয়ে লেখার, সমালোচনার বিপক্ষে আমি নই , তবে সেসব জিনিষ যৌক্তিক ভাবে উপস্থাপনার পক্ষপাতী।
@সংশপ্তক,
মোহাম্মদের যুগে শিশু ও নারীদের ওপর আক্রমন করাটা ছিল আরবদের ঐতিহ্য বিরোধী। এটা ছিল কাপুরুষতা। তাই তারা প্রায় অসভ্য একটা জাতি হলেও এ কামটা তারা কখনো করত না। বরং এ প্রথা চালু করে মোহাম্মদ। মক্কা বিজয়ের ছয়মাস পর মোহাম্মদ তার দল বল নিয়ে আতর্কিতে এক সকালে মক্কার অদুরে ইহুদি অধ্যুষিত খায়বারে আক্রমন চালায় যখন তারা মাঠে কাজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। মোহাম্মদের দল নির্বিচারে অপ্রস্তুত মানুষ গুলো হত্যা করে যাদের সংখ্যা ৬০০ থেকে ৯০০ এর মধ্যে। অত:পর তাদের স্ত্রী ও শিশুগুলোকে বন্দী করে তারা নিয়ে আসে। এখানেই মোহাম্মদ সাফিয়া নামের এক মহিলাকে গনিমতের মাল হিসাবে পায় যে ছিল তথাকার সর্দারের স্ত্রী। ইহুদীদের লুকানো সম্পদের হদিস জানার জন্য সাফিয়ার স্বামীকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয় হত্যা করার আগে। এর পরও সেই সময়কার এমন কোন কাহিনী পাওয়া যায় না যাতে কুরাইশ বা কাফেররা কখনো কোন মুসলমান গোষ্ঠির শুধুমাত্র নারী ও শিশুর ওপর আক্রমন করেছে। তবে যে কাজ মোহাম্মদ নিজে করেছে সেই ভয় মাঝে মাঝে হয়ত সে পেত। তাই সে নারী ও শিশুদের রক্ষার নামে এ ধরনের উত্তেজক বানী প্রচার করেছে। তার মানে আগাম আশংকায় মুসলমানদেরকে উত্তেজিত করে অন্যায় যুদ্ধে প্ররোচিত করতেই আয়াতের আগমন। সুতরাং এটা লজিক্যাল ফ্যালাসির পর্যায়ে পড়ে না।
@ভবঘুরে,
আমি আসলে শুধু ওই আয়াতের textual পাঠের কথা বলছিলাম। আপনি যে আনুষাঙ্গিক ব্যাখ্যা দিচ্ছেন সেটা ওভাবে জানতামও না। যে ঘটনার কথা বলছেন সেটা কি ওই আয়াতের সাথে জড়িত? প্রসঙ্গক্রমে, আরবের ইতিহাস সম্বন্ধে আমার জ্ঞান নস্যি হলেও নারী-শিশু বিষয়ক যে দাবি আপনি করলেন সেটা সহজে গ্রহণ করতে পারছি না। তারা সত্যিই ইসলাম পূর্ব যুগে নারীদের ওপর আক্রমণ করত না? ঠিক “আক্রমণ করার” মধ্যে না পড়লেও দাসপ্রথা (নারী-পুরুষ নির্বিশেষে) তো ও অঞ্চলের প্রাচীন রীতি।
এ ব্যাপারে ঘাঁটতে গিয়ে ০৪ঃ৭৬ বরং বেশি কম্পমান করে তুলল আমাকে, কারণ মনে হচ্ছে সেখানে অন্য ধর্মে বিশ্বাস করাকে শয়তানের পক্ষাবলম্বনে যুদ্ধ করার সামিল ধরা হচ্ছে।
YUSUFALI: Those who believe fight in the cause of Allah, and those who reject Faith Fight in the cause of Evil: So fight ye against the friends of Satan: feeble indeed is the cunning of Satan.
@রৌরব,
তারা নারী ও শিশুদেরকে বন্দী করত , পরে দাস হিসাবে বিক্রি করে দিত। কিন্তু আক্রমন করে হত্যা করত না , আক্রমন করাটাকে তারা কাপুরুষতা মনে করত।
কিন্তু তারা কখনই কোন গোষ্ঠিকে বিনা নোটিশে আক্রমন করত না এটাও ছিল তাদের বিধি বহির্ভুত ও কাপুরুষতা। বিনা নোটিশে আক্রমন করার প্রক্রিয়া মোহাম্মদই প্রথম চালু করে। যেহেতু সে সেটা চালু করে তাই সে নিজেও এ ধরনের আক্রমনের ভয় করত। এখন নিজের চালু করা প্রক্রিয়ার দ্বারা নিজ গোষ্ঠি মুসলমান পুরুষদেরকে উত্তেজিত করে সে তাদেরকে যুদ্ধে যেতে প্ররোচিত করছে। আর আয়াতের মূল সূর থেকেও এটা বোঝা যায়। সে আরব যখনই গোষ্ঠিতে গোষ্ঠিতে যুদ্ধ হতো তখন গোষ্ঠির শক্ত সমর্থ লোক যুদ্ধ ক্ষেত্রে যেত স্বত:স্ফুর্তভাবে। তাদেরকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে হতো না। যুদ্ধে যাওয়া, যুদ্ধ করা, যুদ্ধে জয়ী হওয়া এসব কে তারা বীরত্বের প্রতীক মনে করত। এ ধরনের একটা ঐতিহ্য আরবে থাকতে মোহাম্মদ নারী ও শিশু রক্ষা করার জন্য মুসলমানদেরকে যুদ্ধে যেতে প্ররোচিত করছে আর সেখানে দেখা যাচ্ছে মুসলমানরা যুদ্ধে যেতে না চেয়ে বরং অন্যত্র চলে যেতে চাচ্ছে – বিষয়টি ভীষণ রকম বেমানান সেই সময়কার আরব দেশের প্রেক্ষাপটে। তার মানে মনে হচ্ছে- যে যুদ্ধ তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছিল তা ছিল নীতি বিগর্হিত, আরব ঐতিহ্যের বিরোধী ও সর্বোপরি মানবতা বর্জিত। বিষয়টা আসলে ছিলও তাই, কারন অপ্রস্তুত একটা গোষ্ঠিকে আতর্কিতে আক্রমন করে তাদেরকে গণহারে হত্যা করার মত অত খারাপ ও নীতিহীন সে আরবরা ছিল না, তা সে তারা যতই অসভ্য হোক না কেন, অন্তত এটুকু নীতি বোধ তাদের ছিল, যা মোহাম্মদ সেখানে শুরু করেছিল।
@ভবঘুরে,
যেভাবে আপনে ব্যাখ্যা দিলেন সেটার সাথে সহমত হতে পারলাম না। আসুন আগে আয়াতটা ভাল করে পড়ি-মোল্লাদের দর্শণে আপনার মন্তব্য ঠিক আছে-তারা যেভাবে আপনাদের শিখিয়েছে তার বাইরে কখনও চিন্তা করেন নি। তাই ঐ সীমিত গন্ডির বাইরে যাননি।
সুরা নিসাঃ৭৫
এবং তোমাদের কি হইল যে তোমরা আল্লাহর পথে কতল করিবে না? এবং দূর্বল পুরুষ এবং অসীম নারীকুল এবং ছেলে মেয়ের যাহারা বলে, “হে আমাদের রব, এই শহর হইতে আমাদিগকে বাহির করিয়া নাও যাহার অধিবাসীগন অত্যাচারী। এবং আমাদের জন্য তোমা হইতে একজন বন্ধু বানাইয়া দাও এবং আমাদের জন্য তোমা হইতে একজন সাহায্যকারী বানাইয়া দাও”। (তাহাদের সকলের উদ্ধারের জন্য কি কতলকর্ম করিবে না?)
কোরান এর বানী চিরন্তন সত্য। এর প্রতিটি বিষয়ের উপর যার দর্শণজ্ঞান উচ্চ পর্যায়ের তারাই এর স|ঠিক ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম। এখানে শানে নজুলের সাথে কোরান তফসির করলে তফসীর আর তফসীর থাকেনা, উহা লাবড়া হয়।
ধর্ম- বিশেষ করে কোরান, ইসলাম এখন এমন এক সস্তা বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে যে, যে কেউ এর বর্ননা দিতে সক্ষম, ব্যাখ্যা একদম যেকেউ দিয়ে দেয় একটু পড়ালেখা জানলেই/ অথবা না জেনেই। আর এই বাতিক মাদ্রাসায় পরিহিত মানুষদের কাছে বেশি দেখা দেয়। ভাষা, বর্নমালা, ব্যকরন জেনেই এক এক জন মহা জ্ঞানী। তবে বিশ্বের আর সকল যারা স্কলার নামে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি, বিভিন্ন স্থান দখল করে আছেন তারাও যে ঐ এক গতবাধা গন্ডির ভিতর বসে আত্নভোগি, বা রাজভোগি তফসির করে যাচ্ছে সেদিকে তাদেরও খেয়াল নেই।
ভবঘুরে ভাই আপনার সাথে আলোচনায় অনেক কিছুই নিয়ে আসতে হয়- মূল সত্য জানলে তাহলে বুঝতেন কোরানে আসলে কোন আত্নবিরোধ্মূলক কথা নেই, বা নেই কোন দ্বন্দের কথা, না আছে পদার্থ, রসায়ন, সৌরবিজ্ঞান এইসবের কথা। ইহা সম্পুর্ন একটি মানুষকে নিয়ে লেখা সামান্য জ্ঞানের কিছু কথা। অর্থাৎ প্রতিটি মানুষ নিজেই যে একটা খোলা কেতাব, এবং এর ভিতরেই আছে নাজেল হয় কোরান, আর সেই মানব কোরান চেনাতেই এই কাগজের কোরানে কিছু সামান্য ধারনা দেওয়া আছে মাত্র। যদি সেই ধরনের মানুষের কাছে যেতেন, তাহলে এর সৌন্দর্য উপলব্ধি করতেন। যদিও আমাদের কপালে পড়ে ভুত, তো পয়দা হবে কি? ভুত অথবা পেত্নি, তাইনা?
ছোট একটা তফসীর দেই এই আয়াতের উপরঃ বলতে পারেন আর এক দর্শণঃ মোল্লা আলেমদের এক দর্শন আর ইহা আর এক- কোনটি ভাল লাগবে সেটি নিবেন, আর একটাও ভাল না লাগলে আপনে আপনার মত করে চিন্তা করবেন, হতে পারে সেটা অন্য কোন ধর্মের হতে, অথবা নতুন কোন আপনার নিজের মতবাদ (যদি থাকে)-
কতল দ্বারা মানুষ তার ভিতরে “কাফ” শক্তি অর্জন করে। এইসব বিষয় কি আপনার ধারনা আছে? শুধু পড়ে গেলাম সারাজীবন “ঝড়ের রাতে মামার বাড়ি আম কূড়াতে সুখ…রঙ্গিন করে মুখ”… কিন্তু মামার বাড়ি যাওয়াও হল না, আম কুড়ানোও হল না, না হল মুখ রঙ্গিন করা, সুধু মুখেই পাঠ, আমাদের মুসলিম জাতীর হইছে সেই দশা। অন্ধের হাতি দেখার মত অবস্থা। সেই হাতি দেখে এক একজন এক এক তফসীর, শানে নজুল কত কি। সাথে হাদিসের ধাপ্পাবাজিত আছেই।ভাল হাদিস হয়ে গেল জাল, আর একদম গাজাখিচুড়ি হাদিস নিয়ে সং সেজে বসে আছে মুসলমান জাতি। এর থেকে ভাল লাগে সেই সকলদের যারা ধর্ম নিয়ে মাথাই ঘামায় না।এইসবের ভিতরেই নেই, যদি জিজ্ঞাসা করা হয় ভাই আল্লাহ দেখছে এইরকম করনা, অমনি চিন্তায় পড়ে মুখের উপর বলে বসে “কই দেখছে? কোথায়? who is allah?”
যাইহোক এইসব বিষয়ে আর না আগাই।
ভাল থাকবেন
ভদ্রলোককে ভালই বিপদে ফেলেছেন দেখা যাচ্ছে 🙂
প্রশ্ন: ০৪:৭৫ এর যে ব্যাখ্যা দিলেন কি পুরোপুরি ঠিক? নাকি এখানে দুর্বল মানুষের পক্ষে যুদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে তারা পুরুষ, নারী বা শিশু যাই হোক না কেন? অনলাইনে বিভিন্ন অনুবাদ পড়ে সেরকম মনে হচ্ছে।
@রৌরব,
আপনার প্রশ্নের উত্তর সংসপ্তককে দেয়া উত্তরে আছে।
অসাধারণ হয়েছে। এই পর্ব আগের দুটি পর্বের চেয়েও ভালো হয়েছে। আপনার কোরানের বাক্য নিয়ে ব্যাখ্যার অংশটুকু অনেক ভালো হয়েছে। অনেকের ভাবনার খোরাক যোগাবে এই অংশটি।
@নিটোল,
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।