১১ আগষ্ট, বুধবার, বাংলাদেশ সময় দুপুর বারোটায় একুশে টিভি থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত ‘একুশের দুপুর’ অনুষ্ঠানে কবি-গল্পকার ও এনওয়াইনিউজ৫২ ডট কম-এর সম্পাদক নাজনীন সীমনের বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়। নিউইয়র্ক ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক, নাজনীন সীমন, তাঁর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, বাংলা কৃষ্টি কালচারের সাথে আমেরিকানদের পরিচয় করিয়ে দেবার সামাজিক দায়িত্ব বোধ, নিজের লেখালেখি ও নিউইয়র্ক ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন ইত্যাদি বিষয়ে খোলামেলা আলাপ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, অনুবাদের মাধ্যমে আমাদের সাহিত্যকে বিশ্বের বৃহত্তর পাঠকের হাতে পৌঁছে দেয়া সম্ভব যা একদা রবীন্দ্রনাথ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। উল্লেখ্য সীমন আন্তর্জাতিক দ্বিভাষিক কবিতা পত্রিকা ‘শব্দগুচ্ছ’র সহকারী সম্পাদক। দীর্ঘ দিন ধরে উক্ত পত্রিকায় অনুবাদ কর্মের সাথেও তিনি যুক্ত রয়েছেন। একুশের দুপুরের উপস্থাপক ছিলেন সাদিয়া আফরিন। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেন বিশিষ্ট ছড়াকার মাসুদুল হাসান রনি। সাক্ষাৎকারটির লিঙ্ক:
httpv://www.youtube.com/watch?v=INIlAVu75_E
পোস্ট শেয়ার করুন
46 Comments
Comments are closed.
এই লেখার কমেন্ট করার অপশন সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।
বিপ্লবকে শুধুমাত্র বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বমানের না বলার কারণে যেভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হলো তা রীতিমত অশোভনই মনে হলো আমার কাছে। শুধু একা বিপ্লবকেই নয়, পশ্চিম বাংলার বাঙালিদের প্রতিও যে দম্ভোক্তিমূলক কটুক্তি করা হয়েছে, তা যে কোন বিচারেই বর্ণবাদী আচরণের মধ্যেই পড়ে।
বাংলা সাহিত্যতো কারো বাপ-দাদার একক সম্পত্তি নয় যে সবাইকেই এর মূল্যায়নে একমত হতে হবে। কারো কাছে এটা বিশ্বমানের মনে হতে পারে আবার কারো কাছে তা নাও মনে হতে পারে। যার যার দৃষ্টিভঙ্গিই এখানে মূখ্য। এর জন্য কাউকে হেনস্থা করার কোনো মানে আমি খুঁজে পেলাম না।
কে কত বিশ্ব সাহিত্যের এবং বাংলা সাহিত্যের নামিদামি বই পড়েছে তা নিয়েও দেখলাম বিশাল গর্ব একেকজনের। রাশি রাশি বই পড়লে গর্ব থাকতেই পারে। এতে কোন আপত্তি দেখছি না আমি। কিন্তু এই গর্বটা একান্ত গোপন থাকলেই মনে হয় সুশোভন হতো।
এত এত বই পড়ার কথা শুনে আমিতো এখন লজ্জায় ডুবে যাচ্ছি নিজের দৈন্যতা দেখে। বিশ্ব সাহিত্যতো বহু দূরের কথা, বাংলা সাহিত্যেরই শুধুমাত্র মাসুদ রানা আর রসময় গুপ্তের চটিগুলো ছাড়া আর তেমন কিছুই যে পড়ি নি আমি।
ও হ্যাঁ, আরেকটা কথা। আমি বিপ্লবের সাথে সম্পূর্ণ একমত তাঁর মন্তব্যের বিষয়ে। বাংলা সাহিত্যের একমাত্র কবিতাকেই আমি বিশ্বমানের মনে করি, আর কোন কিছুকেই নয়।
@ফরিদ আহমেদ,
ক্ষমা করবেন, বইয়ের লিস্ট আপনার জন্যে দেইনি। তাছাড়া কতোটুকু পড়েছি সেটাও জানানোর জন্যে নয়। অনুরোধটা ছিলো বাংলা ভাষার কিছু উপন্যাস বিশ্বের অন্যান্য ভাষার উপন্যাসের সাথে মিলিয়ে দেখার। তবে দেখে ভালো লাগছে যে আপনি দয়া করে বাংলা কবিতাকে ‘বিশ্বমানের’ মনে করেছেন। এবং আপনার পরবর্তী লাইনটা কি হবে তা আমি লিখে দেই: ‘একমাত্র রবীন্দ্রনাথই সেই মান রক্ষা করতে পেরেছিলেন।’ এমন আবেগ আমাদের অনেকেরই আছে।
আরেকটি কথা, লাগামহীন ভাষা ব্যবহারের এতোটা শক্তি কোথায় পেলেন, দয়া করে একটু জানাবেন!
[img]http://photos-f.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-snc4/hs294.snc4/41056_1482538434792_1573787229_31173221_5362681_s.jpg[/img]
এই যে জলের মধ্যে যাকে দেখছেন–তিনি আমার মা। গরুগুলি আমাদের পোষক। গাছটি আশ্রয়। কী করে বাবুকথা মুখে আসবে রে ভাই? এই উন্মুক্ত জল ও হাওয়ার মধ্যে এটা কি সম্ভব? এ কারণে পিপ্পল গাছটির ভাবনা আসে– আর পিপ্পল কুমারী বালার কথা মনে আসে। গন্ধগোকুলের নামে আকুল হয়ে উঠি। আমি কি করে ভাববো–ডায়াস্পোরা নামে একটি সাহিত্য ঠ্যারে ঠ্যারে তৈরি হচ্ছে। লালন ফকির নামে আমাদের প্রিয় বাউল জানতেন দেরীদা দেরী করে আসবেন !
আমার এই মা–শুধু বলেছেন চেয়ে দেখ, বাড়ির পাশে আরশিনগর, সেথা এক পড়শী বসত করে। সে আমার দুধভাই–দুধবোন।
বাই।
আপনারা যদি মনে করেন শ্রমজীবী মানুষেরা সারা দিন পরিশ্রম করে ক্লান্ত দেহ নিয়ে, কমপিউটারের সামনে বসে আপনাদের এই ঝগড়া সানন্দে উপভোগ করছে, হাততালি দিচ্ছে, বাহবাহ দিচ্ছে, তাহলে ভুল করছেন। আপনারা কে কুয়োর ব্যাঙ আর কে প্রশান্ত মহাসাগরের তিমি, কার বিদ্যার দৌড় বুম্বাই পর্যন্ত আর কার মস্কো পর্যন্ত, কে কয়খানা এ্যাংরাজি বই পড়েছেন আর কে বিশ্ব সাহিত্য মানের কয়খানা বই পড়েছেন, তা জানার আমার মোটেই আগ্রহ নেই। তবে এতটুকু বুঝি, এই অহংবোধ নিয়ে মাটির মানুষের কাছাকাছি যাওয়া যায়না। কম্যুনিষ্টরা এর জ্বলন্ত প্রমাণ।
অনুবাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যার সফলতা বাংলা সাহিত্যে হাতে গোণা। একদিকে দারিদ্র ও অন্যদিকে অনুবাদের অভাবে আমরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছিনা। আর পুরস্কার, সে নোবেল বা পেন যাইহোক না কেনো, সাহিত্য বিচারের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সত্যটা তুলে আনার জন্যে সীমনকে ধন্যবাদ। তাঁর সাথে একমত হয়ে বলছি, আসুন অনুবাদের ক্ষেত্রটাকে এগিয়ে নেবার চেষ্টা করি। কারণ, আমাদের দীর্ঘ সাহিত্যিক ঐতিহ্যকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। …এই সাক্ষাতকারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে যেমন, বর্হিবিশ্বে বাংলা সংস্কৃতিকে ধরে রাখা, ভিন্ন ভাষীদের আমাদের কর্মকাণ্ডে যুক্ত করা, রাজাকারদের বিচারের ব্যাপারে জোর দাবী তোলা ইত্যাদি। আসুন এসব নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করি।
সাহিত্য নিয়ে গুরুগম্ভীর আলোচনা ক্রমশঃ মারামারির দিকে চলে যাচ্ছে দেখে হাল্কা একটা কমেন্ট করি।
নাজনীন সীমন কবি হিসেবে যেমন দারুণ (তার দুইটা কবিতার বই পড়া হয়েছে। তারপরেও স্বীকার করব – সীমিত জ্ঞান থেকে বলছি, কারণ কবিতা আমি বুঝি না), তার চেয়েও বেশি ভাল মানুষ হিসেবে। সাহিত্য প্রতিভার পাশাপাশি তার সমাজ সচেতনতার বিষয়গুলোও গুরুত্বপূর্ণ। আর সর্বোপরি, তিনি ভাল রাঁধতে পারেন। সেটা অবশ্য সবসময়ই ভাল মানুষ হবার জন্য আমার কাছে বড় বৈশিষ্ট্য। 😀 । সিরিয়াসলি ! খুব কম সময়ের মধ্যে সুস্বাদু খাবার রান্নার প্রতিযোগিতা হলে নাজনীন সীমন ফার্স্ট হয়ে যাবেন নিঃসন্দেহে। একবার নিউয়র্ক গেছি হঠাৎ করে। খবর পেয়ে হাসান আমাকে জোর করে ধরে তার বাসায় নিয়ে গেলেন। বিনা প্রিপারেশনে নাজনীন সীমন যে খাবার খাওয়ালেন তা অবিশ্বাস্য। সাহিত্য কীর্তি বাদ দিয়ে তাঁর রান্না নিয়ে বেশি কথা বলছি বলে ‘নারীবাদী’ নাজনীন সীমন রাগ করতে পারেন, কিন্তু কিছু করার নেই। রান্নার প্রশংসা করতেই হবে, কারণ বিবর্তনীয় পথে চিন্তা করলে খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারটা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ (Catching Fire: How Cooking Made Us Human) 🙂
নাজনীন সীমনের অংশগ্রহণ আশা করছি মুক্তমনায়।
@অভিজিৎ, ওনার সঙ্গে একদিন ১ মিনিটের জন্য দেখা এবং কথা হয়েছিল। রান্নার খবরটা জানা ছিল না। জানা থাকলে সময়টা বাড়ানো যেত। ব্লগ ওনার লেখা পড়ে মনে হয়েছে উনি কিন্তু রাগীও বটে। এত রাগী হওয়ার কারণেই কি ঘাতক নির্মূল কমিটির সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন?
সাহিত্য নিয়ে মারামারি কেন হবে? একটা আলোচনা শুরু হয়েছে। যদি বিপ্লব পাল আলোচনাটি চালিয়ে যেতে চান–তাহলে কথা হবে।
নাহলে বাই।
@কুলদা রায়,
রাগী? আমার তো তা মনে হইলো না। অবশ্য খাওয়া সামনে থাকলে রাগ রাগিনী কমই চোখে পড়ে 🙂
@অভিজিৎ,
রাগী মানুষদের রান্না সবসময় সেরা হয । পৃথিবীর সেরা রাধক রাধুনীরা সবাই রাগী মানুষ । স্বাদের ব্যপারে তারা সবসময়ই আপোষহীন । অন্যদিকে , ঠান্ডা মেজাজের মানুষরা সালাদ ভাল বানিযে থাকেন , যদিও তাদের গরম রান্না খাওয়ার মত নয় ।
@সংশপ্তক, একবার আমাদের দাওয়াত দিয়ে বসল এক বন্ধু সুমন। মুশকিল হল–সেদিন চুলা জ্বলে না। গ্যাস নাই। কি করা–ভীষণ টেনশন বেড়ে গেল বন্ধুটির। এ সময়ই বাতেন ফোন করে ওর বউকে ডেকে আনল। আসার সঙ্গে সঙ্গে বাতেন বলল, দেরী করলা কেন?
ভাবী অবাক হয়ে বলল, দেরীতো করি নি।
–বুঝছি, বাপের বাড়িতে ফোন করছিলা।
ভাবী বাপের বাড়ির কথায় রেগে আগুন হয়ে গেল। থামানো কঠিন। আমরা দেখতে পাচ্ছি–বাতেন উস্কে দিচ্ছে। আর সহজ সরল ভাবী দাউ দাউ থেকে ধাও ধাও করে জ্বলে উঠছেন। থামাথামি নাই। ভীষণ উত্তাপ।
এর মধ্যে কোন ফাঁকে সুমন ভাবী রান্না করে ফেলল এই আগুনে কেউ টেরই পাই নি। সে কি স্বাদ। সেদিনের পোলাউ আর ঝাল মাংশের স্বাদ এখনো জিবে লেগে আছে।
আগুনের কি গুণ রে ভাই! আসেন–মাঝে মাঝে রেগে উঠি। মাগনা রান্নার ব্যবস্থা করি। ওম শান্তি। ওম শান্তি।
বাংলা সাহিত্যে কবিতার থেকে কথাসাহিত্য পিছিয়ে আছে বরাবরই, এটা আমি মানি। তাবে অনেকের গদ্যের মান খুব ভালো, হাসানআল আব্দুল্লাহ যাদের নাম বললেন আর কি, এটা মানতেই হয়। কিন্তু আমাদের সাহিত্যে বিষয়বস্তুর খুব বেশি ভ্যারিয়েশন ঘটেনি। আমাদের কথা সাহি্ত্য, আমি মনে করি, এক একটি সময়কে ধারণ করেছে ঠিকই কিন্তু metamorphosis, Death of Ivan Illych, Gulliver Travels এই মানের উপন্যাস খুব বেশি হয়নি। হ্যা, এটা ঠিক, লাল সালু, কবি, পুতুল নাচের ইতিকথা, আরণ্যক, পদ্মা নদীর মাঝি বিশ্ব সাহিত্যের সাথে টক্কা দেয়ার মত উপন্যাস। আর বর্তমানে, বলা যায়, বাংলা সাহিত্যে ভালো ছোট গল্প এবং উপন্যাসের দেখা পাওয়া বড়ই সোভাগ্যের ব্যাপার। যারা ভালো গল্প লিখতে পারতেন সময় বাঁচানোর জন্য কবিতা লিখছেন–এতে করে মন্দ কবিদের সংখ্যায় ভালো কবিদের বের করে নিতেও আমাদের কষ্ট হচ্ছে।
@মোজাফফর হোসেন, ধন্যবাদ–সুচিন্তিত মতামত দেওয়ার জন্য।
@প্রিয় মোজাফফর,
উপন্যাস সম্পর্কে তোমার মন্তব্যের সাথে আমি একমত নই। এ সময়ের বিশ্বখ্যাত (বিশ্বমাপের) কয়েকটি উপন্যাস হলো: বিলাভেড (টনি মরিসন), ব্লাইন্ডনেস (হোসে সারামাগো), সোল মাউনটেন (গাও সিনজেন), স্যাটানিক ভাসেস (সালমান রুশদি), মাই নেম ইজ রেড (ওরহান পামুক), দ্যা গড অব স্মল থিংস (অরুন্ধতি রায়) ইত্যাদি। আমি বাংলায় পঞ্চাশোত্তর কয়েকটি উপন্যাসের নাম বলছি যেমন, খোয়াবনামা (আখতারুজ্জামান ইলিয়াস), প্রদোষে প্রাকৃতজন (শওকত আলী), তিস্তাপাড়ের বিত্তান্ত (দেবেশ রায়), আলো নেই (শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়), কুবেরের বিষয় আশয় (মহাশ্বেতা দেবী), শুভব্রত তার সম্পর্কিত সুসমাচার (হুমায়ুন আজাদ), আগুন পাখি (হাসান আজিজুল হক), মুখের দিকে দেখি (শহিদুল জহির) ইত্যাদি পড়ে একটু মিলিয়ে নেবে। তবে, সাহিত্যের মূল্যায়ন বড়ো কঠিন ব্যাপার। এইসব উপন্যাসে বাংলা গদ্যের যে কাজ হয়েছে, হয়তো অনুবাদে তা ধরা সম্ভব নয় কিন্তু ভালো অনুবাদের বড়ো অভাব আমাদের। বিশ্বমাপের দু’একজন অনুবাদক (কায়সার হক, ফরিদা মজিদ) তৈরী হলেও, তারা সময়ের বড়ো অপচয় করে ফেলেছেন। আমাদের অসংখ্য বাজে লেখক আছে, সেতো সবদেশেই থাকে। তবে গর্ব করার মতো কিছু ভালো লেখক আছেন বৈকি!
@হাসানআল আব্দুল্লাহ, কুবেরের বিষয় আশয় উপন্যাসটির লেখক শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়।
@কুলদা রায়,
ধন্যবাদ। ‘কুবেরের বিষয় আশয়’ এর জায়গায় ‘হাজার চুরাশির মা’ বসিয়ে নিতে অনুরোধ করছি। এই ভুলের জন্যে আমি দুঃখিত। দু’টি উপন্যাসই গুরুত্বপূর্ণ।
@হাসানআল আব্দুল্লাহ,
হাজার চুরাশির মা “গুরুত্বপূর্ণ” মানি, কিন্তু আপনিকে এটি সত্যিই উঁচুদরের সাহিত্য বলে মনে করেন?
@হাসানআল আব্দুল্লাহ, কমল কুমার মজুমদারের অন্তর্জলী যাত্রা অনুবাদ কি সম্ভব?
@কুলদা রায়,
মার্কেজের ’ওয়ান হাড্রেড ইয়ার্স অব সলিচিউড’ কিম্বা সারামাগোর ‘ব্লাইন্ডনেস’-এর অনুবাদ সম্ভব হলে, বাংলা থেকেও ইংরেজীর অনুবাদ অসম্ভব নয়। তবে মার্কেজ যেমন গ্রেগোরি রাবাসার মতো একজন অনুবাদক পেয়েছিলেন যিনি সারা জীবন অনুবাদের সাধনাই করে গেছেন, তেমন অনুবাদক চাই। এটিতো পুরোপুরি একটি সাধনার ব্যাপার। শেক্সপীয়রের সনেটগুলির কি চমৎকার অনুবাদ করলেন সুধীন্দ্রনাথ দ্ত্ত, অথচ জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী অনুবাদের নামে ওইসব সনেটকে বাংলায় আবর্জনা বানিয়ে ফেললেন।
বিভিন্ন ভাষাভাষী লেখকেরা সাহিত্যের দরবারে উচু আসনে আসিন শুধু মাত্র ভালো অনুবাদের জন্য। যা আমাদের বাংলা সাহিত্যে নেই বললেই চলে
>>
একমত না। আমাদের সাহিত্যমান নিয়ে অতটা উঁচু ধারনা আমি রাখছি না। কবিতার ক্ষেত্রে বাঙালীরা সত্যই অসাধারন উচ্চতায় গেছে। তবে গদ্যসাহিত্যে আমরা খুব দুর্বল। এটা নাম মানলে আত্মপ্রবঞ্ছনা হবে।
@বিপ্লব পাল, আপনার সঙ্গে দুইশত ভাগ অসহমত। মনে হচ্ছে–বাংলা সাহিত্য বিষয়ে আপনার ধারণাটা স্পষ্ট নয়–বিদ্বেষপ্রসূত। গল্প-উপন্যাসের ক্ষেত্রে বাংলাসাহিত্যের কাজগুলো কি কি কারণে দুর্বল–তা নির্দেশ করবেন কি? নইলে আপনার মন্তব্যটি অজ্ঞানপ্রসূত বলে মনে করার যথেষ্ঠ কারণ আছে।
@কুলদা রায়,
খুব সহজ একটা কাজ করতে বলব। আপনি ত নিউ ইয়ার্কে থাকেন। নিউ ইয়ার্ক রাইটার্স ওয়ার্কসপ বলে একটি প্রতিষ্ঠানের গ্রুপ মেইল বা ফেসবুক পেজে জয়েন করেন। ওখানে অনেক উঠতি লেখকদের নমুনা প্রতিদিন পাবেন। তাদের প্রথম ৫০% লেখার সাথে রবীন্দ্রনাথ বাদ দিয়ে যেকোন বাঙালী সাহিত্যিকের লেখার তুলনা করুন। প্রথমেই ভাষা এবং বাক্যের গঠনের দিকে তাকাবেন প্লিজ। থিম অনেক পরের ব্যাপার। নামকরা বিদেশী সাহিত্যিক অনেক পরে আসবে। আগে সেই বেসিক কাজটা করুন। আমাকে তারপর আর একটা লাইন ও লিখতে হবে না। একমাত্র ররীন্দ্রনাথ বাদ দিলে ধারাবাহিক ভাবে কোন বাঙালী সাহিত্যিকের বাক্যের গঠন আন্তর্জাতিক মানের না। হুমায়ুন আজাদের গদ্য সাহিত্য এক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম-তার থিম আমাকে পুলকিত করে না-কিন্ত তার গদ্যশৈলী নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক মানের।
কুয়োর ব্যাঙের মতন আমরা শ্রেষ্ঠ বলে লাফানো আর নিজেদের সারা বিশ্ব ক্যারাম চ্যাম্পিয়ন হওয়া একই ব্যাপার।
@বিপ্লব পাল, ভাষা এবং বাক্য গঠন নিয়ে আপনার এত মাথা ব্যথা কেন? গদ্য কি শুধুমাত্র ভাষাবিজ্ঞানের বিশ্লেষণ? আন্তর্জাতিক মান বলতে কি কিছু আছে? সোজা আপনি আপনি সৈয়দওয়ালি উল্লাহর একটি বই খুলে বসুন। দেখুন তো–ওখানে মানটা কোন পর্যায়ের?
আপনি কালকূটের শাম্ব পড়েছেন? খোয়াবনামা? কেরী সাহেবের মুন্সী? অথবা হালের মৈত্রেয় জাতক?
@কুলদা রায়, শাম্ব এবং মৈত্রেয় জাতক আমার পড়া। কালকূট লেখার পেছনে প্রচুর সময় দিতেন-তাই তার গদ্যশৈলী অন্যেদের থেকে ভাল।
না। সাহিত্যের মানদন্ড নিজের কাছে। তাই আপনি বাংলা সাহিত্য আন্তর্জাতিক মানে বলে ভেবে নিজে আনন্দে থাকুন। আর আমি বাংলা সাহিত্যেকে কি ভাবে আন্তর্জাতিক করা যেতে পারি-সেই নিয়ে ভাবতে থাকি।
দিনে শেষে নিজেদের সিদ্ধান্তে আনন্দে থাকলেই চলবে।
@বিপ্লব পাল, সদা থাকুন আনন্দে। হা হা হা।
হায়, জীবন এত ছোট ক্যানে। শুধু একটি প্রশ্নের উত্তর দিন–শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় কোন অর্থে পিছিয়ে? শুধু কথা বললে হবে–যুক্তি দিতে হবে। এটা যুক্তিবাদিদের আসর।
@কুলদা রায়,
রবীন্দ্রনাথ কেন ভাল লাগে, কেন তিনি সবার সেরা এগুলো যুক্তি দিয়ে যে প্রমাণ করতে যাবে তার থেকে অযৌত্বিক কেও নেই। ভালোলাগাটা বোধ হয় যুক্তিবিদ্যার ঈশ্বরের ছোঁয়াছে রোগটি থেকে রেহাই পেয়েছে।
তবে শ্যামল বাবুর লেখা আমি এক সময় গ্রোগ্রাসে গিলতাম-যদ্দিনা বিদেশী সাহিত্য -বিশেষত রাশিয়ান সাহিত্য পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। তারপরে, তাকে আর ভাল লাগে নি।
আশা করি আমার ভাল্লাগার ওপর আপনার বিরাশি সিক্কার শব্দগুলোর ট্যাক্স বসাবেন না।
@কুলদা রায়, অনেকদিন পর বাণী বসুর মৈত্রেয় জাতকের কথা শুনলাম। আন্তর্জাজাতিক মানের সাহিত্য কিনা জানি না, সে বিচার কিভাবে করবো তাও জানি না, তবে বাংলায় লেখা কিছু সাহিত্যকর্ম যে অত্যন্ত উন্নতমানের তা স্বীকার করতেই হবে। হয়তো সব ভাষাতে লেখা সাহিত্যকর্ম সম্পর্কেই সেরকম দাবী করা সম্ভব। জীবনে হাতে গোনা কয়েকটি উপন্যাস শেষ না করা পর্যন্ত হাত থেকে নামিয়ে রাখতে পারিনি, তার মধ্যে এটি একটি। বিশাখাকে যেন আজও চোখের সামনে দেখতে পাই আমি।
@বন্যা আহমেদ,
মৈত্রেয়ী জাতকের ইংরেজি অনুবাদ আছে [The Birth of the Maitreya]-বানী বসুর প্রায় সব সেরা উপন্যাসেরই ইংরেজি অনুবাদ আছে।
সেগুলো কিন্তু জনপ্রিয় হয় নি, আমার ধারনা একটা কারন অনুবাদের ভাষা যথেষ্ট ভাল না।
@বিপ্লব পাল,
আমি তো দেখছি আপনি আমাদের গদ্য লেখকদের নামই জানেন না। হাসান আজিজুল হক, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শওকত আলী, শওকত ওসমান, জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, হুমায়ুন আজাদ, আহমদ শরীফ; এবং পরবর্তী সময়ে শহিদুল জহির, মনিরা কায়েস, মামুন হুসাইন, জাকির তালুকদার, শাহাদুজ্জামান, নাজনীন সীমন প্রমুখ। ‘কুয়োর ব্যাঙের’ মতো মন্তব্য করার আগে এঁদের পড়ুন। আরেকটি কথা আমি এই লিস্টে পশ্চিমবঙ্গের লেখকদের নাম উল্লেখ করিনি। তবে, আপনার উল্লিখিত সুনীলের থেকে ডজন দুয়েক গুরুত্বপূর্ণ লেখক আছেন ওখানে। তবে দুই বঙ্গেই বাজারি লেখক রয়েছে অসংখ্য যারা বাংলাটি ঠিক মতো লিখতে জানেন না। তারা আমার আলোচনার বিষয় নন। “একমাত্র ররীন্দ্রনাথ বাদ দিলে ধারাবাহিক ভাবে কোন বাঙালী সাহিত্যিকের বাক্যের গঠন আন্তর্জাতিক মানের না।” এই ফালতু মন্তব্য করার আগে ভালো করে পড়ে নিন প্লিজ।
@হাসানআল আব্দুল্লাহ,
আমি যে সময়ে বড় হয়েছি পশ্চিম বঙ্গে তখন [ এখনো] বাংলাদেশী সাহিত্য পাওয়া যেত না আমাদের লাইব্রেরীতে। তাহলে পড়ব কি ভাবে বলুন? এটাত আমি আগেও লিখেছি। পাইরেটদের দৌরাত্মে আপনাদের সর্বাধিক জনপ্রিয় হুমায়ুন আহমেদের লেখা পড়ছি- আপনি নিজে বাকিটা বলে দিয়েছেন।
দেখুন ভাল লেখা লুকিয়ে থাকে না। লেখা তার নিজগুনে বিশ্বকে চেনাবেই। এটাই বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাস। আপনি যাদের নাম বললেন তারা নিশ্চয় ভাল লেখেন-কিন্ত এতটা কি ভাল, যে তাদের লেখা নিজগুনে দেশকালের মাত্রা ভাংবে? যদি তা হয়, আমি মহানন্দে নিজের ভুল স্বীকার করব এবং সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম।
@বিপ্লব পাল, যাক, আপনার মন্তব্য থেকে বোঝা গেল–সাহিত্য বলতে আপনি ইংরেজিই বোঝেন– অন্তত মৈত্রেয় জাতক বিষয়ে আপনার তথ্য থেকে অনুমিত হল। এবং সাহিত্যকে পণ্য হিসাবে গণ্য করছেন। একটি লেখাকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করানোই কি একজন লেখকের দায়? রাশিয়ান সাহিত্য বিষয়ে আপনার প্রীতির কথা শুনলাম। রাশিয়ান লেখকরা কি বিশ্বের কাছে তাদের সাহিত্য তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই চিরায়ত সাহিত্য রচনা করেছিলেন?
সাহিত্যকে যখন ভাষা এবং বাক্য গঠনের একমাত্র উপায় হিসাবে চিহ্নিত করলেন–তখন প্রশ্ন আসে ভাষা এবং বাক্য গঠন কি বাঙলা বা ফরাসী বা জাপানী ভাষায় নেই?
আমি যদি আগে জানতাম যে আপনার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে তাহলে খামোখা এই সময় নষ্ট করতাম না। এর আগে তিনজন পশ্চিমবঙ্গের লোকের সঙ্গে বাতচিৎ হয়েছে। একজন কবি জয়দেব বসু, কবি গৌতম বসু এবং আরেকজন সৌম্য দাশগুপ্ত। এদের বিদ্যের দৌড় হিন্দি সিরিয়াল পর্যন্ত। ম্যায় গব্বর সিং হু। শিং নেই তবু শিং দিয়ে কথা বলেন। অথচ বাংলাদেশের পোলাপানও কিছু লেখাপড়া করে কথা বলে।
ভাই, ধারণাবিহীন লোকজনের সঙ্গে কথা বলা বিপজ্জনক। আপনার কর্যাণ হোক।
@কুলদা রায়,
@কুলদা রায়,
দেখুন আপনি ব্যাক্তিগত আক্রমনে যাচ্ছেন যার দরকার ছিল না। আমি শুধু রাশিয়ান না, ইটালিয়ান এবং স্পানিশ সাহিত্যের নিয়মিত পাঠক। তবে এখন পড়া সময় পায় না বলে চর্চাটা কমে গেছে। এটা ঠিক রবীন্দ্রনাথ ছারা বাংলা সাহিত্য বেশী পড়তে পারি না-কারন অতটা ভাল লাগে না। এই ব্যাপারটা আমার মধ্যে এসেছে রাশিয়ান সাহিত্যে হাতে খড়ির পরে। তার আগে বাংলা গ্রোগ্রাসেই পড়তাম। তবে এটা আমার ব্যাক্তিগত ব্যাপার-অন্য কাওকে তার সাথে এক হতে হবে সেটাও ঠিক না। আজকাল নানান কারনে পড়াশোনার সময় পায় না-কিন্ত যেটুকু দেখছি-তাতে ধারনা বদলাচ্ছে না।
এই প্রশ্ন আমিও করতে পারি-আধুনিক বিশ্ব সাহিত্য না পড়ে কি করে বাংলা সাহিত্যর রেটং দিচ্ছেন?
এপার ওপার বাংলার বিভেদ প্রসূত কথাবার্তা বেশ ছেলেমানুষির লক্ষণ। যখন গোট বাংলা সংস্কৃতিই হিন্দি আর ইংরেজির চাপে প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে, তখন এই ধরনের বালখিল্যতা কারুর কাছ থেকেই প্রত্যাশিত না। আমি মনে করি নিজেদের মধ্যে ঝগড়া না করে বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতির জন্যে আরো ভাল কি করা যায় সেই দিকেই লক্ষ্য রাখা উচিত। লক্ষ্য রাখা উচিত আরো ভাল শিশু সাহিত্য কি ভাবে আনা যায়।
হ্যা। আমি পরিস্কার ভাবেই মনে করি বাংলা সাহিত্যের আরো অনেক উন্নতি দরকার বিশ্বমানে পৌঁছাতে। তার সাথে ভাল অনুবাদ ও দরকার। বানী বসু বা সুনীলের বইগুলি অনুবাদ হচ্ছে ত-কিন্ত বিশ্ব মার্কেটে তারা কোথায়? কেও চেনে?
ভাল লেখা কোন সাহিত্যেই বসে থাকে না। মিলন কুন্দেরা চেক ভাষা কজন জানে? কিন্ত কি করে তার এত বিশ্বজোরা খ্যাতি হল?
দেখুন আমি চেকভ যদিন প্রথম পড়লাম-তখন আমার বয়স ১৯। বাংলা অনুবাদ গুলো খাজা। ইংরেজি অনুবাদ গুলো অনেক অনেক ভাল। সেদিন মনের মধ্যে অন্য চেতনার জন্ম হল। লেখকের সাথে পাঠকের চেতনার এই গভীর একাত্মবোধটা সেদিন প্রথম টের পেলাম। সেটা বাংলা সাহিত্য পড়ে কোন দিন হয় নি। স্থান কাল উত্তীর্ন করে লেখা খুব কঠিন কাজ।
@বিপ্লব পাল, বিশ্ব সাহিত্য আপনি একা পড়েছেন–এটা আপনার কিভাবে মনে হল? আপনি যে বয়সে চেখব পড়েছেন–বাংলাদেশের অনেক লোকজন শিশু বয়সেই চেকভকে পড়ে।
আমাদের আশেপাশের লোকজনকে দেখেছি হাতে খড়ির পরপরই আনা কারেনিনার লেখকের বইগুলোর শিশু সংস্করণ পড়ে পড়ে হাত মকসো করছে। তারাশ বুলবা পড়ে এক নানাজানকে দেখেছি–নাতীকে স্কুল ফেরার পথে লাইব্রেরীতে দান্তির ডিভাইন কমেডির সেলফটা দেখিয়ে দিচ্ছেন।
কবীর চৌধুরীর বুড়ি মা দি উলফ বইটা বালিশের পাশে রেখে ঘুমোচ্ছেন।
উন্নতি দরকার যে কোন সাহিত্যেরই। শুধু বাংলা সাহিত্যকে ব্রাকেট বন্দী করার দরকার কি?
আর অনুবাদ দরকার সন্দেহ নেই। তবে সকল সাহিত্যের অনুবাদ সম্ভব নয়। তার জন্য মূল ভাষাটা জানা থাকলে প্রকৃত আস্বাদন হয়।
@কুলদা রায়,
সেটা আমিও পড়েছিলাম। চেকভ সহ সব রাশিয়ান বই বাংলাতে পশ্চিম বঙ্গে ফ্রি তেই পাওয়া যেত। কিন্ত চেকভের বাংলা অনুবাদ্গুলো সব কটিই ভুল্ভাল। ইংরেজিতে চেকভ পড়ার পর সেটা পরিস্কার হয়। এবং আপনার মন্তব্য থেকে আপনার সাহিত্যজ্ঞান গত গভীরে সেটাও উপলদ্ধি করলাম।
@বিপ্লব পাল, হা হা হা। বাংলাদেশে ফ্রি পাওয়া যেত না–মাগনা পাওয়া যেত। আমি কিন্তু বাংলা সাহিত্যের হয়ে ইংরেজির সঙ্গে ঝগড়া করতে বসি নি। মোদ্দা কথাটা মোজাফ্ফর হোসেন বলেছেন। যারা জানেন শোনেন তারা এরকমই বলেন।
সাদ কামালীদের রবীন্দ্রশ্রাদ্ধের বিরুদ্ধে এই ভোতা অস্ত্র নিয়ে আপনার পক্ষে যুদ্ধ অসম্ভব। কি করেছিলেন, বুঝতে পারছি না। আপনার বিজয় কামনা করছি। সেজন্য হয়ে উঠুন।
@কুলদা রায়,
শুনুন-বাংলায় রাশিয়ান সাহিত্যের যেসব অনুবাদ পাওয়া যেত সেগুলিকে সাহিত্য বলা যায় না। গারবেজ। মির থেকে তখনকার সোভিয়েত সরকার এদেশের কমিনিউস্টদের ফ্রি তে পাঠাত। ওখান থেকে রাশিয়ান সাহিত্যের কোন স্বাদ পাবেন না। বিশ্ব সাহিত্যে রাশিয়ান সাহিত্যের গুরুত্ব অত্যাধিক-তাই চেকভের একেকটা গল্পের কখনো সখনো ১১ টা ইংরেজি অনুবাদ পাবেন। এগুলো সত্যই অসাধারন। বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ অত ভাল হয় না-বা আমরা পারি না-সেটা একটা বড় কারন বাংলাকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে না যেতে পারা।
অঙ্ক যেমন শিখতে হয়-সাহিত্যও তেমন শিখতে হয়। সেই জন্যেই সবাই কবি হয় না-কেও কেও কবি হয়। মুশকিল হচ্ছে অঙ্ক শেখার বই আছে-সাহিত্য শেখার বই নেই। সাহিত্য সমালোচনা ব্যাপারটা বাংলাতে খুব বিকশিত নয়।
আর এখানে সাদ কামালী এল কোত্থেকে?
হাসান ভাই ভালো আছেন? ভাল লাগল অনেক দিন পরে আপনাকে পেয়ে।
খুবই খারাপ লাগে পথের পাচালীর মত অমুল্য সাহিত্য অনুবাদের জন্য নোবেল না পাওয়ায়। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী লেখকেরা সাহিত্যের দরবারে উচু আসনে আসিন শুধু মাত্র ভালো অনুবাদের জন্য। যা আমাদের বাংলা সাহিত্যে নেই বললেই চলে।
@সাইফুল ইসলাম,
আমি ভালো আছি। আপনাকে ধন্যবাদ। অনুবাদের ব্যাপারে আপনার মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। ভালো লেখার ভালো অনুবাদ দরকার।
নাজনীন সীমন কবি হাসানআল আব্দুল্লাহর স্ত্রী–এই তথ্যটি উল্লেখ করেন নি।
@কুলদা রায়,
ধন্যবাদ। নাজনীন সীমনকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে আমি গর্বিত যেমন জাঁ-পল সার্ত্রে ছিলেন সিমোন দ্য বোভোয়ারকে পেয়ে এবং বন্ধু অভিজিৎ রায় আছেন বন্যা আহমেদকে পেয়ে।
@মাহফুজ,
খুবই অপ্রাসঙ্গিক ও ফালতু মন্তব্য। কারোর ব্যক্তিগত বিষয়ে এরকম কৌতুহল যে খুবই অশোভন সেই ধারণাটুকু যে আপনার মাঝে গড়ে উঠেনি এটা দেখে খুব হতাশ হলাম। হতাশাটুকু চেপে রাখতে পারলাম না বলে দুঃখিত।
@মাহফুজ,
ইস্ কেন ঐভাবে প্রশ্ন করলাম, নিজের কাছেই ভীষণ খারাপ লাগছে। মন্তব্যটা কি মুছে দেয়া সম্ভব? প্লিজ আমাকে কেউ হেল্প করুন। অশোভন আচরণের জন্য সত্যিই আমি দু:খিত, লজ্জিত, মর্মাহত।
@মাহফুজ,
আপনি দিনকে দিন মুক্তমনার জন্য লজ্জা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। আমি আপনাকে নিয়ে রীতিমত হতাশ। তবে, সামান্য আশার দিক এইটুকুই যে স্বাধীন বলার পরে এইবার অন্তত বুঝতে পেরেছেন যে আপনার মন্তব্যটা কতখানি অশোভন ছিল।
এইটুকু শুধু আপনাকে বলবো যে, ভবিষ্যতে কোন মন্তব্য করার অন্তত বার দুয়েক ভেবে তারপরই দেবেন। এতে যেমন আপনারও মঙ্গল হবে, তেমনি মুক্তমনার জন্যেও তা কল্যানকর হবে।
@মাহফুজ,
আপনি বারবারই অপরাধ করবেন আর তারপর আবার বোকার মত ক্ষমা চাবেন, আর তারপর সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, এটা আশা করা বোকামি। আপনার অনুরোধ রেখে আপনার আপত্তিকর মন্তব্যগুলো মুছে দেয়া হল, কিন্তু আপনাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মডারেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। স্বাভাবিক বুদ্ধি সুদ্ধি দিয়ে লিখতে না পারলে মুক্তমনা আপনার জন্য সঠিক প্ল্যাটফর্ম নয়।
খরচ দেবে কে? আর পড়বেই বা কে? সুনীলের প্রথম আলোর অনুবাদ ১০০কপিও বিক্রি হয় নি শুনলাম