হে ঈশ্বর
লেখক– রাজেশ তালুকদার
তুমি যখন ছিলে না মানুষ ছিল অসহায়
তোমার আগমন মানুষের অসহায়ত্বকে বাড়িয়েছে বহুগুণ
এতে অবশ্য তোমার কোন অপরাধ বোধ নেই
তুমি স্বেচ্ছায় আসতে চাওনি কোন দিন
কিছু মানুষ তোমাকে বাধ্য করেছে সৃষ্টি হতে।
তোমার জন্মটা ওরা দিয়েছে
মানুষের অন্তহীন কল্পনার প্রবল ঘর্ষণে
আজ তুমি বেঁচে আছ প্রতিটি ধার্মিকের অন্ধ বিশ্বাসে
তাদের স্পন্দনে তাদের প্রতিটি রক্ত কণিকায়
তোমার প্রথম শুভেচ্ছা বাণীটি লিখিত হয়েছে
নির্বোধ পশুর লাল লোনা রক্ত দিয়ে
এরপর ক্রমেই যেন বেড়ে চলেছে রক্তের চাহিদা ও যোগান
কোথায় যেন ফাঁক আছে বিশাল অপূর্ণতায়
চাই আরো রক্ত লাল রক্ত
হোন না কোন জীবন্ত মানুষের তর তাজা রক্ত
জন্ম দিয়েই ওরা তোমাকে করেছে
ধর্মের নামে বন্দী।
বধির কালা অন্ধ বোধশূন্য জেনে তোমাকে
স্বার্থপর গুলো মত্ত থাকে
ধর্মের নামে চরম জাত পাত মানব বিভাজনে
ওদের তীক্ষ্ণ চোখ দুটো
ঠিকরে বেরুতে চায় রাইফেলের গুলির মত
দাঁত গুলো সব ভয়ংকর হয়ে গর্জে ওঠে
ক্ষুধার্ত বাঘের মত।
তোমার নামে রচিত হয়
রসনা বিলাসের নানান উৎসব।
থর থর করে কাঁপতে থাকে অবোধ পশুগুলো
চিত্ত থাকে সদা সংকুচিত উপেক্ষিত প্রতিটি সংখ্যালঘুর।
শব্দ হীন বিছে পোকার মত
গুটি গুটি পায়ে অগ্রসরমান নাস্তিকতা
হে ঈশ্বর ওগো ঈশ্বর ।।
সুন্দর কবিতা। তবে খুঁতখুঁতে নাস্তিকের ভাবনা যে রকম হয় আর কি-
ঈশ্বরের অস্তিত্ব যেখানে স্বীকার করি না সেখানে নাস্তিকতা এগিয়ে আসার খবরটা ‘হে ঈশ্বর’ বলে ঈশ্বরকে জানানোর দরকার কী?
অসাধারণ! লিখে যান! একজন ভাল নাস্তিক কবির খুব দরকার বাংলা সাহিত্যের।
খুব ভাল লাগলো ভাই। ধর্মবাদীদের মূল রুপ ফুটে উঠেছে………
খুব ভাল লাগলো ভাই। ধর্মবাদীদের মূল রুপ ফুটে উঠেছে………
কবিতাটি ভাল লেগেছে। আরো লিখুন। তবে নাস্তিকদের তো আপনি বিছে পোকার মতো করে ফেলেছেন। না ভাই আমি মানুষের মতোই বাঁচতে চাই। উপমা ব্যবহারে ভবিষ্যতে খেয়াল রাখবেন আশা করি। ধন্যবাদ।
@আব্দুল হক, আপনি লাইন টা ভাল করে পড়েন নি মনে হয় আমি নাস্তিকদের পথ চলাটাকে বিছে পোকার হাটার শব্দের সাথে তুলনা করেছি। বিছে পোকার সাথে নয়।
তারপর ও আপনার উপদেশের জন্য ধ ন্যবাদ।
আমি ফেসবুকে আগে পড়েছিলাম। মারাত্বক লেগেছে।
আরও লিখুন। :yes: :yes:
রাজেশ দা কে মুক্ত-মনায় স্বাগতম। কবিতাটি বেশ ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ।