অনেক মুসলিম আমাকে বলেছেন (আমার ইসলাম অনুগামী বন্ধুরা এবং স্কলাররা) যে
“আপনি কুরআন পড়ুন, তাহলে দেখবেন কুরআন/ইসলাম মানবজাতিতে কোন বিভাজন সৃষ্টি করে নি; বরঞ্চ একটি সামাজিক, ভ্রাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষে একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান দিয়েছে।“
মুসলিম হিসেবে জন্ম নেওয়ার ঐতিহ্য হিসেবে কুরআন আমি আগেও পড়েছি; এখনও পড়ছি। নিচে বহুঈশ্বরবাদীদের ছাড়াও অন্যান্য ধর্মালম্বীদের ইসলামে অবস্হান প্রসঙ্গে কুরআনের কিছু আয়াত উল্লেখ করছি। আপনাদের সহযোগিতা কাম্য।
মুসলিম বন্ধুরা কাফের বলতে বিশেষ কোন প্রজাতি ভাববেন না। সাধারণভাবেই কাফের মানে হচ্ছে অবিশ্বাসী (disbelievers); যারা ধর্মকে ত্যাগ করলেন কিংবা জন্মসূত্রে অন্য ধর্মের অনুসারী এবং সেকারণে আল্লাহর দ্বীনকে মেনে চলেন না। [১]
১.
“মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহ্র সাথে তাদের কোন সম্পর্ক থাকবে না।” — সূরা: ৩ (আল-ইমরান, মদিনা); আয়াত: ২৮
ইংরেজী,
“Let not the believers take the disbelievers as Auliyâ (supporters, helpers, etc.) instead of the believers, and whoever does that will never be helped by Allâh in any way, except if you indeed fear a danger from them. And Allâh warns you against Himself (His Punishment), and to Allâh is the final return.”
২.
“হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা।” — সূরা: ৯ (আত-তাওবাহ, মদিনা); আয়াত: ৭৩
ইংরেজী,
“O Prophet (Muhammad SAW)! Strive hard against the disbelievers and the hypocrites, and be harsh against them, their abode is Hell, – and worst indeed is that destination.”
৩.
“আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।“ — সূরা: ৮ (আল-আনফাল, মদিনা); আয়াত: ১২; খ্রিষ্টানদের প্রতি কারণ তারা ত্রয়ীতে বিশ্বাস করেন এবং বহুঈশ্বরবাদীদের প্রতি
ইংরেজী,
“I will cast terror into the hearts of those who have disbelieved, so strike them over the necks, and smite over all their fingers and toes.”
যদিও অনেক মুসলিম শান্তিপূর্ণ তবুও উপরের আয়াত পড়লে এটা বলার অবকাশ রাখে না কেন অন্যরা চরম পন্হায় বিশ্বাস করে।
৪. একই সূরায় পরের আয়াতে বলা হয়েছে:
“যেহেতু তারা অবাধ্য হয়েছে আল্লাহ্ এবং তাঁর রসূলের, সেজন্য এই নির্দেশ। বস্তুতঃ যে লোক আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্য হয়, নিঃসন্দেহে আল্লাহ্র শাস্তি অত্যন্ত কঠোর।“
ইংরেজী,
“This is because they defied and disobeyed Allâh and His Messenger. And whoever defies and disobeys Allâh and His Messenger, then verily, Allâh is Severe in punishment.”
৫.
“কিছুতেই আল্লাহ্ কাফেরদেরকে মুসলমানদের উপর বিজয় দান করবেন না।“ — সূরা: ৩ (আল-নিসা, মদিনা); আয়াত: ১৪১
ইংরেজী,
“Never will Allâh grant to the disbelievers a way (to triumph) over the believers. ”
পরোক্ষভাবে বলা হতে পারত, সত্যের জয় হোক। কিন্তু স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই যেন একটি সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেছেন। যারা বিশ্বাস করেন সব ধর্মই পরাক্রমশালী আল্লাহর সৃষ্টি তাদের সন্দেহময় নৈরাশ্যে পড়া উচিত।
৬.
“সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি, বরং আল্লাহ্ই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তুমি মাটির মুষ্ঠি নিক্ষেপ করনি, যখন তা নিক্ষেপ করেছিলে, বরং তা নিক্ষেপ করেছিলেন আল্লাহ স্বয়ং যেন ঈমানদারদের প্রতি এহসান করতে পারেন যথার্থভাবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত।“ — সূরা: ৮ (আল-আনফাল, মদিনা); আয়াত: ১৭
ইংরেজী,
“You killed them not, but Allâh killed them. And you (Muhammad SAW) threw not when you did throw but Allâh threw, that He might test the believers by a fair trial from Him. Verily, Allâh is All-Hearer, All-Knower.”
৭.
“যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ্ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।” — সূরা: ৯ (আত-তাওবাহ, মদিনা); আয়াত: ১৪
ইংরেজী,
“Fight against them so that Allâh will punish them by your hands and disgrace them and give you victory over them and heal the breasts of a believing people”
৮.
“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক্ আর জেনে রাখ, আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন।” — সূরা: ৯ (আত-তাওবাহ, মদিনা); আয়াত: ১২৩
ইংরেজী,
“O you who believe! Fight those of the disbelievers who are close to you, and let them find harshness in you, and know that Allâh is with those who are the Al-Muttaqûn (the pious – see V.2:2).”
যারা আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে তাদের উদ্দেশ্যে
৯.
“সে পার্শ্ব পরিবর্তন করে বিতর্ক করে, যাতে আল্লাহ্র পথ থেকে বিভ্রান্ত করে দেয়। তার জন্যে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা আছে এবং কেয়ামতের দিন আমি তাকে দহন-যন্ত্রণা আস্বাদন করাব।” — সূরা: ২২ (হাজ্জ্ব, মদিনা); আয়াত: ৯
ইংরেজী,
“Bending his neck in pride (far astray from the Path of Allâh), and leading (others) too (far) astray from the Path of Allâh. For him there is disgrace in this worldly life, and on the Day of Resurrection We shall make him taste the torment of burning (Fire).”
১০.
“এই দুই বাদী বিবাদী, তারা তাদের পালনকর্তা সম্পর্কে বিতর্ক করে। অতএব যারা কাফের, তাদের জন্যে আগুনের পোশাক তৈরী করা হয়েছে। তাদের মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয়া হবে। ফলে তাদের পেটে যা আছে, তা এবং চর্ম গলে বের হয়ে যাবে। তাদের জন্যে আছে লোহার হাতুড়ি।”– সূরা: ২২ (হাজ্জ্ব, মদিনা); আয়াত: ১৯-২২
ইংরেজী,
“These two opponents (believers and disbelievers) dispute with each other about their Lord; then as for those who disbelieve, garments of fire will be cut out for them, boiling water will be poured down over their heads. With it will melt or vanish away what is within their bellies, as well as (their) skins. And for them are hooked rods of iron (to punish them)”
১১.
“তারা আল্লাহ্র বান্দাদের মধ্য থেকে আল্লাহ্র অংশ স্থির করেছে। বাস্তবিক মানুষ সপষ্ট অকৃতজ্ঞ।” — সূরা: ৪৩ (যুখরুফ, মক্কা); আয়াত: ১৫
ইংরেজী,
“Yet they assign to some of His slaves a share with Him (by pretending that He has children, and considering them as equals or co-partners in worship with Him). Verily, man is indeed a manifest ingrate!”
১২.
“তদ্দ্বারা মৃত ভূভাগকে সঞ্জীবিত করার জন্যে এবং আমার সৃষ্ট জীবজন্তু ও অনেক মানুষের তৃষ্ণা নিবারণের জন্যে। এবং আমি তা তাদের মধ্যে বিভিন্নভাবে বিতরণ করি, যাতে তারা স্মরণ করে। কিন্তু অধিকাংশ লোক অকৃতজ্ঞতা ছাড়া কিছুই করে না।”– সূরা: ২৫ (আল-ফুরকান, মক্কা); আয়াত: ৪৯-৫০
ইংরেজী,
“That We may give life thereby to a dead land, and We give to drink thereof many of the cattle and men that We had created. And indeed We have distributed it (rain or water) amongst them in order that they may remember the Grace of Allâh, but most men refuse (or deny the Truth or Faith) and accept nothing but disbelief or ingratitude”
অনুসারীদের সবসময় কুরআনে বুঝানো হয় একটি পক্ষপাতিত্বপূর্ণ দৃষ্টিকোণ থেকে। যারা আল্লাহ-তে বিশ্বাস করে না বা একাধিক প্রভুতে বিশ্বাস করে তাদেরকে অকৃতজ্ঞ বলা হচ্ছে এই বলে যে আল্লাহ সব সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সেভাবে স্মরণ করা হচ্ছে না বলে অকৃতজ্ঞতা করা হচ্ছে।
সাধারণ জ্ঞান বলে, সে হিসেবে যারা বহুঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী তারা পূজা করে নানা রকম আয়োজন করে; তাদের ধারণা অনুযায়ী তারা ঈশ্বরদের সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করছেন। স্মরণ করাই হয় যদি কৃতজ্ঞতা তবে তারা অকৃতজ্ঞ নয়।
আমি বহুঈশ্বরবাদের পক্ষপাতি নই; কিন্তু তাদের প্রসঙ্গ এ কারণে টানি যেন কুরআনে সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত এই সম্প্রদায়ের প্রতি কিছুটা সুবিচার করা হয়। সবার নিজেদের আলাদা রীতিনীতি আছে যেমনি আছে ইসলামী আল্লাহ কর্তৃক। ইসলামী আল্লাহ বললাম এ কারণে যে যতই পড়ছি দেখছি কুরআনে প্রভুর বা আল্লাহর যে ধারণা বা রুপ দেয়া হয়েছে তা যেন অনেকটা ভিন্ন। অন্য ধর্মের প্রভুদের সাথে যায় না। এবং একটু পরপর বিভিন্ন আয়াতে তিনি সেটা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন।
১৩.
“অতএব আপনি কাফেরদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের সাথে এর সাহায্যে কঠোর সংগ্রাম করুন।” — সূরা: ২৫ (আল-ফুরকান, মক্কা); আয়াত: ৫২
ইংরেজী,
“So obey not the disbelievers, but strive against them (by preaching) with the utmost endeavour, with it (the Qur’ân)”
১৪.
““যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলে বিশ্বাস করে না, আমি সেসব কাফেরের জন্যে জ্বলন্ত অগ্নি প্রস্তুত রেখেছি।“ — সূরা: ৪৮ (আল-ফাতহ, মদীনা); আয়াত: ১৩
ইংরেজী,
“And whosoever does not believe in Allâh and His Messenger (Muhammad SAW), then verily, We have prepared for the disbelievers a blazing Fire.”
১৫.
“অতঃপর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দানে মার, অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেঁধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে। আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহ্র পথে শহীদ হয়, আল্লাহ্ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।” — সূরা: ৪৭ (মুহাম্মদ, মদীনা); আয়াত: ৪
ইংরেজী,
“So, when you meet (in fight Jihâd in Allâh’s Cause), those who disbelieve smite at their necks till when you have killed and wounded many of them, then bind a bond firmly (on them, i.e. take them as captives). Thereafter (is the time) either for generosity (i.e. free them without ransom), or ransom (according to what benefits Islâm), until the war lays down its burden. Thus [you are ordered by Allâh to continue in carrying out Jihâd against the disbelievers till they embrace Islâm (i.e. are saved from the punishment in the Hell-fire) or at least come under your protection], but if it had been Allâh’s Will, He Himself could certainly have punished them (without you). But (He lets you fight), in order to test you, some with others. But those who are killed in the Way of Allâh, He will never let their deeds be lost,”
আল্লাহ তাআলা অপরাধ করে নিজ হাতে ময়লা লাগাতে চান না। অপরাধটা তিনি অনুসারীদের দিয়েই করাতে চান। এতই যদি ক্ষোভ এই অপরাধীদের তিনি জন্ম না দিলেই পারতেন। নইলে মনুষ্যতুল্য জিঘাংসাপূর্ণ অনৈশ্বরিক নির্দেশ দেয়ার জন্য তিনি পাপী; হাত ময়লা না করা ‘Smooth criminal’
১৬.
“যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলে বিশ্বাস করে না, আমি সেসব কাফেরের জন্যে জ্বলন্ত অগ্নি প্রস্তুত রেখেছি।“ — সূরা: ৪৮ (আল-ফাতহ, মদীনা); আয়াত: ১৩
ইংরেজী,
“And whosoever does not believe in Allâh and His Messenger (Muhammad SAW), then verily, We have prepared for the disbelievers a blazing Fire .”
এই ভাবে আয়াত উল্লেখ করতে গেলে কুরআনের বেশীরভাগ অংশই উঠে আসবে। তাই আপাতত এখানেই ক্ষান্তি দেয়া সমিচীন। পরবর্তীতে সময় পেলে আরো অনেক বৈচিত্র্যময় আয়াত উল্লেখ করা হবে। এতে বাঙালী কুরআন গবেষকদের সুবিধেই হবে।
অবিশ্বাসীদের কুরআনে সবসময় নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে উল্লেখ করা হয়। তাদের কোন দিকই ইতিবাচক নয়? বিধর্মী মানবসেবী, সভ্যতার উন্নয়নকামী বিজ্ঞানী এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞের তো অভাব নেই। তারা সব নেতিবাচক হলে অনুরূপ নেতিবাচকতার দোষ দেখি না।
কোন কোন মুসলিম বলবেন শুধু মাত্র তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বলা হয়েছে যারা ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সূচনা করে। কয়েকটা আয়াতের ক্ষেত্রে এটা সেভাবে মেনে নেয়া যেতে পারে অন্যগুলোতে নয়। কুরআন যিনি পড়েছেন তিনি জানেন, অবিশ্বাসীদের প্রতি কোমলতা নয়, কাঠিন্যই প্রদর্শন করা হয়েছে। তাদেরকে পাপের কারখানা হিসেবেই প্রদর্শন করা হয়েছে। যিনি কুরআন রচনা করেছেন তিনি যে সত্যিই তাদের গর্দান নিতে চান সেটা বুঝতে তৃতীয় নয়নের দরকার নেই।
বহুঈশ্বরবাদী এবং অন্য বিশ্বাসে বিশ্বাসীদের জন্য কুরআনে রয়েছে কঠিন শাস্তির উল্লেখ। শুধু গুটি কয়েক সূরায় বা আয়াতে নয়। প্রায় প্রতিটি সূরায় এ ব্যপারে স্পষ্ট উল্লেখ বা ইঙ্গিত আছে। অবাক হতে হয়। এত ঘৃণা কেন ছড়ানো হল অন্যদের প্রতি?
মানবজাতির নৈতিক সংশোধনের জন্য যদি ইসলাম ধর্ম (অন্য ধর্মকে সমর্থন করছি না, যে ধর্ম সম্পর্কে ভাল জানি সে ধর্ম সম্পর্কে মতামদ দেয়াই উত্তম) এসেছে বলা হয় তবে বোধ হয় বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে বলা যেতে পারে নীতি ঠিক করতে গিয়ে বরঞ্চ আরো নষ্টই করে ফেলা হয়েছে। ‘Stephen Weinberg’-এর সেই বিখ্যাত উক্তির কথা মনে পড়ে যায়:
“Religion is an insult to human dignity. Without it, you’d have good people doing good things and evil people doing evil things, but for good people to do evil things, it takes religion.”
চিন্তা করুন মায়ানমার জান্তা বা অনুরূপ সেনাশাসিত দেশ এবং সেখানকার হৃত মানবাধিকারের কথা। সবাই চান যে অং সান সুকি মুক্তি পান কিন্তু তিনি মুক্তি পাবেন না কারণ প্রশাসন চায় না। কিন্তু কারো মত সঠিক নয়, প্রশাসনের নিজের ছাড়া। কেউ কোন দ্বিমত পোষণ করবে? কার আছে স্পর্ধা? তাদের জন্য আছে জেল এবং নরকতুল্য শাস্তি। সুতরাং দ্বিমত পোষণকারীদের জন্য স্বৈরশাসিত প্রশাসন রেখেছে কঠোর শাস্তির ব্যবস্হা। তেমনিভাবে ইসলাম যেন কারো মতামতের তোয়াক্কা না করে অবিশ্বাসী সবাইকে নরকে পাঠাতে চায়। জেলের পরিবর্তে আছে নরক। ইসলামের সঙ্গে এই রকম স্বৈরশাসিত প্রশাসনিক ব্যবস্হার আছে গভীর মিল। ব্যপারটা কতোটা যৌক্তিক সেটা আপনারা বিবেচনা করুন।
কল্পিত নরক নিয়ে সমস্যা নেই যেখানে অনেকেই তাদের কল্পনাকে নরক পর্যন্ত বিস্তৃত করেন না। সমস্যা হচ্ছে অন্য বিশ্বাসীদের প্রতি ঘৃণা এবং নেতিবাচক সব ধ্যানধারণা নিয়ে। এতটা ঘৃণা, হিংসা-বিদ্বেষ এবং বিভাজন সৃষ্টির পর পরিপূর্ণভাবে ইসলামের কোন সমর্থক অন্য ধর্মালম্বীদের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ এবং শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারেন না।
ইসলাম/কুরআন মানবজাতিকে বিভাজিত করে। বিভাজন মানে শান্তিপূর্ণ কোন বিভাজন নয়। এই বিভাজন মানে ধ্বংসাত্মক, তুমুল সংঘর্ষপূর্ণ বিভাজন। বর্তমান বাস্তবতার দিকে নজর রাখুন। ইতিহাস দেখুন। দৈনিক সংবাদপত্রিকায় প্রতিদিন কিছু সংবাদ পাবেন র্যাডিক্যাল ইসলাম এবং তার অনুসারীদের। এমনিতেই পোস্ট বড় হয়ে গেছে। সম্মিলিতভাবে ধর্ম সমর্থিত কিছু অপরাধের তালিকা তুলে ধরব আরেকদিন।
** ইউসুফ আলির অনুবাদ অনুসরণ করা হয়েছে।
১. http://en.wikipedia.org/wiki/Kafir
এইসব তর্ক বিতর্কের পিছনে জীবনে বহু সময় শেষ করেছি। হুদাই, কোন লাভ হয় নাই। ইসলাম, কুরআন, মুহাম্মদের এত সামালচনার পরও ইসলামই পৃথিবীর সবচেয়ে সম্প্রসারিত ধর্ম। ভাই আপনারা চালিয়ে জান, মাঝে মাঝে ইচ্ছা হলে একটু ঢুঁ মেরে যাব।
কিছু কিছু লোক মুক্তমনাকে বাংলার ফেইথ ফ্রিডম বানানোর চেষ্টা করছে। ওই সাইটটা নিঃসন্দেহে ইসলামিক মৌলবাদের বিরুদ্ধে একটা বড় আন্দোলন করেছে। কিন্ত আলটিমেটলি ইসলামের ঘৃণার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে, তারাও ঘৃণার রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং করে বসল। কিন্ত সেটা শেষ গন্তব্য স্থল হতে পারে না। যুক্তির পরেও মানুষের আরো দুটো ধাপ আছে-অভিজ্ঞতা এবং শেষে উপলদ্ধি।
অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে আন্দোলন অসহিষ্ণু হয়ে হয় না-
ঘৃণার বিরুদ্ধে আন্দোলন অন্যকে ঘৃণা করে হয় না-
এইটুকু উপলদ্ধি যাদের নেই-তাদের যুক্তি ফলানো আর
পচা তরমুজ ফলানো একই ব্যাপার। ফেইথ ফ্রিডমের আলি
সিনহার ঠিক এই হাল হয়েছে।
@বিপ্লব পাল,
“তারাও ঘৃণার রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং করে বসল” বলতে কি বোঝাতে চাইছেন। কাদেরকে ফেইথ ফ্রীডম ঘৃণা করছে? সব মুসলিমদের? এটা বললে আপনিও তো প্রচারণার স্বীকার হলে। আলী সিনা তো স্পষ্ট করে বলছেন যে মুসলিমদের প্রতি তাদের ঘৃণা নেই। শুধু ইসলামের অসহিষ্ণু ডক্ট্রিনের প্রতি। যারা কোটি কোটি শান্তিপ্রিয় মুসলমা,ন যারা নিভৃতে ধর্ম পালন করে, অন্যের উপর কোন জোর জবরদস্তী করে না, ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করে না, বা ইসলামের সাফাই গেয়ে তর্ক বা প্রচারণ চালায় না, তাদের প্রতি আলী সিনা কোন বিরূপ মন্তব্য করেন নি। আলী সিনার বিরুদ্ধে ঘৃণার রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর অনেকটাই ইসলামিস্টদের প্রচারণার কারণে। আলী সিনাকে ইহুদী নাসারাদের পেইড এজেন্ট বল্লে এবং তাদের হয়ে মুসলীমদের বিরুদ্ধে লড়ছেন বলে প্রচারণা চালালে অনেক অ-মৌলবাদী মুসলীমও আলী সিনার প্রতি বিরূপ হয়ে যাবে সন্দেহ নেই। তাদের কজন এই প্রচারণার পর আলী সিনার নিজের কথা আদ্যোপান্ত পড়ে স্বতন্ত্র অভিমত গড়বে? আলী সিনা কি কোন মুসলীমের গর্দান কাতার জন্য ডাক/ফতোয়া দিয়েছেন? ইসলামিস্টদের ঘৃণা বা অসহিষ্ণুতার সাথে তাঁর তুলনা কি ভাবে হয়? তাঁর পদ্ধতি নিয়ে তর্ক উঠতে পারে। সেটা আরেক ইস্যু।
@যাযাবর,
ভাই আপনি এই লাইনে নতুন পাপী। আলি সিনহা গান্ধীকেও গুরু মানেন। তার মানে তিনি গান্ধীবাদি এমন ভাবার কারন নেই। কিভাবে ভুলে যাব বুশের ইরাক আক্রমনকে তিনি সমর্থন করেছিলেন-মুসলিমদের উপযুক্ত শাস্তি দরকার বলে। একটু ঘাঁটাঘাটি করে দেখুন।
@বিপ্লব পাল,
বুশের ইরাক আক্রমনকে সৌদী আরবও সমর্থন দিয়েছিল। তাহলে সৌদী আরব কেও ইসলাম বিদ্বেষী বলবেন? অনেক কট্টর মুসলীমরাও ইরাক আক্রমণ সমর্থন করেছিল, কারণ সাদ্দাম হুসেন সেক্যুলার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ইরান ও শিয়ারাও ইরাক আক্রমণ সমর্থন করেছিল। তাতে কি তারাও ইসলাম বিদ্বেষী হয়ে গেল? আমি আপনার সাথে একমত যে বুশের ইরাক আক্রমন সমর্থনযোগ্য নয়, এবং এখানে আলী সিনা ভুল করেছিলেন। আমার ধারণা এই সমর্থনের পিছনে তাঁর ইরানী হওয়া, আর সাদ্দাম বেচে থাকলে ইরান কখনো ধর্মনিরপক্ষ হয়েও (যেটা তাঁর স্বপ্ন) সবচেয়ে শক্তিশালী শক্তি হতে পারবে না এই ভয়টাই কাজ করেছিল। তিনি তো মহাপুরুষ নন।
@বিপ্লব পাল,
এভাবেই আসলে চেনা যায় কে প্রকৃত যুক্তিবাদী আর কে যুক্তি যুক্তি করতে করতে বিদ্বেষী বনে গেছেন।
বাংলা ফোরামেগুলির আরেকজন খ্যাতিমান লেখকও ও ২০০৪ সালে রীতিমত সিরিজ লিখে ফেলেছিলেন বুশের ইরাক আক্রমনে উল্লসিত হয়ে। আবার আশা করছিলেন এরপর ইরান।
@বিপ্লব পাল,
অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে আন্দোলন অসহিষ্ণু হয়নি বলেই ১৪০০ বৎসর ধরে সমাজ কোরানের আয়াত তথা ইসলামি তথা শারিয়া আইন কানুনের অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে আসছে।
অসহিষ্ণুতার চরমতম প্রান্তে পৌঁছার পরই আন্দোলনের জন্ম হয়। প্রতিবাদ যখন আন্দোলনে রূপ নেয় তখন তা অসহিষ্ণু হতে বাধ্য।
সমাজে পঁচা তরমুজ ততদিনই ফলতে থাকবে যতদিন ধর্মের এই সমস্ত অনাচার, অত্যাচার, বর্বরতা, অসভ্যতা সমাজ গন্ডারের চামড়ার মতো প্রতিবাদ না করে সহ্য করে যেতে থাকবে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
দেখ ভাই যার যখন ক্ষমতা-সে অত্যাচার করেছে। মুসলিমদের হাতে যেখানে ক্ষমতা ছিল-সেখানে তারা অমুসলিমদের ওপর অত্যচার করেছে-কমিনিউস্টরা মানবিকতাবাদি দের ওপর অত্যাচার করেছে-রোমানরা গলেদের ওপর-বৃটিশরা তাদের কলোনীর ওপর-
অত্যাচারের মূল কারন অগণতান্ত্রিক ক্ষমতা এবং তার উৎস স্থল। ইতিহাস না পড়ে শুধু কোরান কোরান করলে এই সব অমৃতবানী লিখবে।
@বিপ্লব পাল,
মুসলিমদের হাতের ক্ষমতা ছিল বলছেন কেন এখনও কি কম আছে? বাংলাদেশে বলুন, সৌদি আরব বলুন সবখানেই এদের দাপটে, এদের অত্যাচারে সাধারন মানুষের প্রান ওষ্ঠাগত। এমনকি আমেরিকা, কানাডার মতো দেশগুলোতেও মুসলিম কমিউনিটির যন্ত্রনায় মানুষ অতিষ্ঠ।
এরপরও বলবেন মানুষ অসহিষ্ণু হয় কেন? তারপরেও বলবেন মানুষ ইতিহাস পড়েনা কেন? ইতিহাস পড়ে পড়েতোও মানুষের হুস হয়নি। মানুষতো এখনও ধোকাবাজী আর কুপমুন্ডকতার মধ্যেই পরেই আছে।
দেখুন ভাই, সোজা কথায় কোরানের আয়াতগুলোকে যতক্ষন ভুল চিহ্নিত করে মানুষকে চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া না হবে যে সমাজকে এগুলো কি ক্ষতি করে যাচ্ছে, সমাজের উন্নতি পিছিয়ে পরবার জন্য এগুলো কতখানি দায়ী ততক্ষন এই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়। দেয়ালে এখন মানুষের পিঠ ঠেকে গেছে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
বাহ! বেশ ভাল। এইগুলো হল অলস মস্তিষ্ক, আর এক ধরনের স্বার্থমিশ্রিত, ভন্ডামি ছাড়া কিছুই নয়। ইহা যদি আপনার একান্ত মনের কথা হয়ে থাকে, বা কোন গ্রুপের অন্তরের কথা হয়ে থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে সবাইর মনে/ অন্তরে ভাইরাস/ব্যক্টেরিয়া দেখা দিয়েছে, কুছত ঘাপলা হ্যায়।
তথাকথিত মোল্লারা/আলেমরা অধিক কাল্পনিকতা, ভোগ, লোভ-লালসা, কামনার কারনে একধরনের তফসির করছে, আর আপনারা, যাইহোক আপনারা ব্যাখ্য করছেন আর একধরনের তফসির। এইবার আপনারা একজনকে আর একজন বোঝাচ্ছেন, চিতকার করছে, একসময় দেখা যাবে আপনাদের চিন্তা বাস্তবে আনতে আপনারাও মারামারি করছেন। সামনে হয়ত এমনি হবে।হা।।হা।।তাহলে তফাত থাকল কি? আপনাকে অধিক সিরিয়াস মনে হচ্ছে।
এই সব না করে ভাল হয় আপনারা কে কি জানেন তথা কেউ কিছু আবিষ্কার করছেন কিনা সমাজের কল্যানে, মানুষের কল্যানে, বা এমন কিছু যা বিজ্ঞান, বিশ্ব সকল ক্ষেত্রে হয়ত ভাল হবে। এইসব নিয়ে লেখা লেখি করেন। সেইটাই ভাল।
এমন কোন আইডিয়া বের করি, যাতে আমাদের দেশের অসংখ্য মানুষ উপকৃত হয়, দেশে চোর বাটপার কমে, তখন দেখবেন ধর্মীয় অনেক বাধা আসবে সেইসব নিয়ে তখন ডিসকাস করা যাবে। আন্দাজে না বুঝেই কোরান নিয়ে টানাটানি, মারামারি করছেন। আর কোরান এর সেই ফয়সালা করতে অবশ্যই এমন এক মানুষের কাছে যেয়েন যিনি বস্তুজ্ঞান, আধ্যাত্ন জ্ঞান উভয় জ্ঞান সম্পর্কে সম্যক ধারনা রাখেন, যিনি একজন মুক্ত পুরুষ। আপনারা কোরান বিশ্লেষন করতে যেয়েন না, কেননা ঊহা আজীবন উহা বুঝা আপনাদের দ্বারা সম্ভব নয়।
কিছু কথা খারাপ লাগলেও আপনারা এইখানে যারা যারা অতিব বিদ্যান ধরনের মানুষ আছেন, সবাই তারা দয়া করে কিছু মনে করবেন না। কিছু একটা করেন। এই লেখা লেখি অনেক করা যাবে। ইহা ভাল একটা মাধ্যম যদিও। লিখেন কিছু করে আসার পর। মোল্লারাও যা করে আপনারাও তাই করছেন। ওরাও গালাগালি দিয়ে যাচ্ছে আপনাদের, আপনারাও তাই ক্রএ যাচ্ছেন। কিন্তু মাঝে কোরান কেউ বুঝলই না।হা।।হা।।
বুঝাতে পারলাম কিনা জানিনা।
ধন্যবাদ।
@Russell,
এ ধরনের তাত্ত্বিক আলাপে কোন ফল কোনদিন হবে না। কোরানে বিশ্বাসীরা কোনদিন মানবেন না যে এতে অন্যায্য কিছু আছে, বিরোধীরাও মানবেন না যে এতে ভাল কিছু আছে। বিরোধীরা তাদের যুক্তি দেন, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিশ্বাসীদের এপ্রোচ হয় সেসব যুক্তি প্রত্যাখান করা।
কিন্তু কোরান কেন দরকার, কোরান থেকে কি কি ইউনিক জিনিস সভ্যতা পেয়েছে যা না পেলে আমাদের চলছিল না এ ধরনের আলোচনা অন্তত তারা যুক্তির পরিমন্ডলে করেন না।
আপনি কি এ বিষয়ে আলোকপাত করতে পারেন? পরকালের ধারনা বাদ দিয়ে অবশ্যই। দুনিয়ায় কোরান থেকে আমরা কি কি ভাবে উপকৃত হচ্ছি বা হতে পারি যা আর অন্য কোনভাবেই পাওয়া যায় না? আমার মনে হয় সফলভাবে এটা দেখিয়ে দিলেই সমালোচনাকারীরা আর গ্রামারের ভুল, বৈজ্ঞানিক ভুল, ভায়োলেন্ট ভার্স এসব নিয়ে কথা বলে কোন সুবিধে করতে পারবে না।
যে জিনিস আমার উপকার করছে তাতে ভুল থাকলে আমার কি যায় আসে?
@আদিল মাহমুদ,
আমি কিছু লিখলেই দেখি শুধু (-) মাইনাস দিয়ে দেয়,হা।।হা।।বুঝলাম না, একটা কথাও কি খাটি কইনাই?বা ভাল লাগার মত কিছুই কি কই নাইক্কা?হা।।হা।ব্যপার না,(+) পড়লেই বুঝতাম যে কোথাও গন্ডগোল আছে।
যাইহোক আপনার এই প্রশ্ন যত ছোট, সুন্দর করে প্রকাশ পাচ্ছে কিন্তু এর উত্তর উপলব্ধি করতে বাস্তবে আমার জানা মতে অনেকের ৩যুগ লাগে, অনেকের ইহ জনমেও হয়না, তাই আর ইহা নিয়ে আপাতত না আগাই। আপনার কথাটাই ঠিক যে বিশ্বাসীরা আকামের বিশ্বাস করেই যাবে, আর ইনারা ফাল পাইড়েই যাবে। তবে আমি তাত্ত্বিক কথা বলেছিলাম কিনা জানিনা।
কোরান, বাইবেল, গীতা এসবই দরকার, তবে আমরা একে যেভাবে উপস্থাপন করেছি মানুষের সামনে তা আসলে একটা লাবড়া পাকিয়ে ফেলেছি। ইহাই সমস্যা।
এই যেমন ধরুন পরকাল বলতে আপনে যা জানেন, শুনেছেন আসলে পরকাল ঐরুপ সিন্দবাদের মত কাল্পনিক কিছুই না। খুবই স্বাভাবিকঃ মৃত্যুর পরবর্তি জীবন যদি পরকাল হয়, তাহলে পরকালটা কোথায় হল? আপনে আজকে ধরেন মারা গেলেন, আচ্ছা ধরেন আমি মারা গেলাম। আপনে আমার পাশে বসে ইহজগত পালন করছেন আর আমি কিন্তু ঠিকি আপনার পাশে বসে পরকাল পালন করছি। ইহকাল, পরকাল সব কিছুই চিরবর্তমান হয়ে এক অখন্ড কাল। এই দুনিয়াতেই আমার পরকাল, এখানে ইহকাল, এই দুনিয়াতেই সব। আত্না আসলে একটি শক্তি। শক্তি বিনাশ হয়না, সে শুধু রুপান্তর হয়। বস্তুকে চালনা করতে শক্তি দরকার। মানষের দেহ এক বস্তু, এখানে যখন শক্তি আগমন ঘটে, তথা আত্নার আবির্ভাব হয়, তখন এই বস্তু চালিত হয়, বস্তুর সাথে শক্তি যুক্ত হলে তখন সেখানে গুন উতপন্ন হয়। এই শক্তি বিভিন্ন বস্তুতে তথা মানুষ, গরু, ছাগল, ভেড়া হাতি মহিশ বিভিন্ন দেহে বিভিন্ন গুন উতপন্ন করে। বস্তু হতে শক্তি কই যায়? বস্তুতে শক্তি ক্রিয়াশীল থাকেনা, কেননা বস্তু ধ্বংসশীল। ইহা চিরন্তন সত্য। তখন সেই শক্তি আর একটি মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তথা এই দুনিয়া থেকে ফুড়ে লক্ষ কোটি মাইল দূরে কোথাও যেয়ে আবার উঠেনা, এখানেই থাকে, এই দুনিয়াতে, আর একটি দেহে, উদ্ভিতে বা বস্তুতে ক্রিয়াশীল হয়। এইত রুপান্তর হল, আর ইহাই পরকাল হয়ে গেল।
আবার এই শক্তি গতিশীল হল বায়ুতে। বায়ু একটি বস্তু, পদার্থ। এর আবার গুন পাচটি- শুন্য বস্তুতে হেলা (Oscillation), বাতাস বস্তুতে চলা (motion), আগুন বস্তুতে ফোলা (expansion), পানি বস্তুতে কম্পন (vaibration), মাটি জগতে জমহাই বা ক্ষেপন (increament) বস্তু জগতে ক্রিয়াশীল। বিজ্ঞানময়ী সৃষ্টিলীলার ইশারা ঈঙ্গিত কোরানে বহু জায়গায় আছে, যেমন কোরানে এই কথা পাবেনঃ মৃদ সঞ্চালিত বায়ু, বেগমান বায়ু, বিকিরণে বিকিরন বায়ু, বিয়োজনে বিয়োজক বায়ু, প্রদর্শনের জন্য উপদেশ অবতারণ কারী বায়ু।
কোরান বলছেঃ খোদাই বায়ু সমুহকে প্রেরন করেন…।সুরা ফাতিরঃ৯ (পড়ে নিয়েন) এখানে বলছে “বায়ু সমুহ”-জিজ্ঞাসা করলাম এক হুজুরকে যে ভাই বাতাসকে আবার সমুহ বলা হইল কিল্লাই? ভাইজান গভির চিন্তার পর বইলে বসলেন ঐ বাতাস ভাই উত্তর দিক দিয়ে ঠান্ডা বাতাস, দক্ষিন দিক দিয়ে মোউসুমী বাতাস নিয়ে আসে, তাই কোরান কইছে বাতাস সমুহ। তখন ভাইজানরে কইলাম, ভাই তাহলে আপনারে যদি ঢাকা শহরের চারিদিক দিয়ে ঘুরায় আনি তাইলে আপনেও চারজন হয়ে যাইবেন, ভাল হইবনা? তখন আর কি? হয়ে গেলাম বেয়াদব। যাইহোক এখানে বায়ুর গুনের কথা সম্মলিত অবস্থায় আছে। তাই বলেছিলাম করান বাইবেল, গীতা, এসবে জ্ঞানের বিষয় বস্তু দেয়া যাছে, জ্ঞান দেয়া নাই।
এইবার না জানি কতগুলো (-) মাইনাস পাই কে জানে।
অনেক বেশি বলে ফেলি। যাইহোক ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ
@Russell,
তবে এই সৃষ্টি বিজ্ঞান জানতে যে কোরানই একমাত্র মাধ্যম সেটা নয়। কোরানে কখনও বলেনি কাগজের কোরান একমাত্র মাধ্যম, সেখানে আমি কিভাবে বলি এই কাগজের কোরানই সব?
কোরান বলছে, মূল কোরান হইল মানব কোরান। মানে হইল যেই প্রতিটি মানুষের ভিতরে যেই জ্ঞান আছে তাকে যে চর্চা করবে তার ভিতর থেকে কোরান বের হবে। তবে এই জন্য সেই সাধনা করতে হবে। যেমন আইনষ্টাইন, নিউটন, সেক্সপিয়ার, সক্রেটিস, গৌতম, শ্রীকৃষ্ণ, ঈসা, মুসা, এসব কি? সবাই নিজের দেহ কোরান পড়ছে আর সাধারনের কল্যানে তা প্রকাশ করেছেন। আর কোরান যে ওহী রুপে প্রতিটি সাধকের ভিতর নাজেল হয় সেই কথাই কাগজের কোরানে লেখা আছে।
@Russell,
আপনি তো দেখি নিজেই একটা নাস্তিক। কোরান কে অপব্যাখ্যা করেন। করানে কি বলা নেই ইহাই একমাত্র জীবনব্যাবস্থা।
কেন খামাখা শিশুদের মত আচরণ করছেন।
@Russell,
আমি আপনাকে মাইনাস দেই না কখনো। জানি না কারা দেন।
আপনার পরকালের ধারনা আমার ভুল না হয়ে থাকলে সনাতন ইসলামের থেকে বেশী মেলে হিন্দু ধর্মের জন্মান্তরের সাথে? একমাত্র সেভাবেই আমি ইহকালে আর আপনি আমার পাশেই বসে পরকালে আছেন সম্ভব।
কোরানে তো পরকাল, শেষ বিচার এসব পরিষ্কারভাবেই আছে। এখানে রূপক বলার অবকাশ কি আছে?
আর আপনি আমার মূল প্রশ্নের জবাব দিলেন না। প্রায়ই শুনি ইসলাম কায়েক করতে হবে, ইসলামী ব্যাবস্থামত দেশ চালাতে হবে; তাহলেই সব সমস্যার সমাধান। যতবারই জানতে চাই যে আসল ইসলাম কে বা কারা পালন করছে তার অন্তত একটি উদাহরন দিন, কেউই আর দেন না।
@আদিল মাহমুদ,
Russel অদ্বৈত বেদান্ত (আত্মা অমর্ত্য, পুনর্জন্ম), বাউল মত (সহজ মানুষ, দেহ তত্ব), যোগদর্শন (বায়ু নিয়ে তাঁর উৎসাহ লক্ষ্য করুন) এগুলির সাথে কোরানকে নিয়ে একটি ঘোঁট পাকিয়েছেন।
@রৌরব,
উপরে Russell বানান ভুলের জন্য দুঃখিত।
@রৌরব,
ভাই কোরানটা এমনি এক ঘোট। আপনেত কম বলেছেন এর ভিতরে আরও অনেক মসলা, হলুদ, পিয়াজ রসুন সব ধরনের আইটেম আছে, তাই যে এই রান্নায় পারদর্শি তার কাছ থেকে রান্না শিখতে, ও রান্না করার এবং সুস্বাদু খাবার খাওয়ার ঢাক ঢোল পিটাইলাম।
আর না।
ধন্যবাদ
@আদিল মাহমুদ,
“হে মানবগণ, পুনরুত্থান সম্বন্ধে তোমাদের যদি সন্দেহ থাকে তবে দেখ আমি তোমাদের সৃষ্টি করিয়াছি মাটি হতে, অতঃপর শুক্র হইতে, পরে জমাট রক্ত হতে, পরে মাংসের পিন্ড হতে, যার কতকটা আকৃতি বিহীন, যেন আমি প্রকাশ করতে পারি তোমাদের নিকট। গর্ভে রাখিয়া দেই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তারপর তোমাদের বাহির করি শিশুর আকারে যেন তোমরা যৌবনে উপনীত হও”। (সুরা হজ়ঃ৫)-
ঈস্রাফিলের সিঙ্গায় বাজনা নেই, এক কবর থেকে চল্লিশ লাশের লাফায় ঝাপায় দৌড়া দৌড়ি আর থাকলনা। পুনরুত্থানের সন্দেহ মুক্ত বিশ্লেষন হয়ে গেল। বুঝলাম আলেমরা এইসকল বুঝার সেই ঘিলুটুকু নাই, তবে শিক্ষিত সমাজ এই সাধারন কথাটা বুঝতে অক্ষম? তারপরও যদি কবর থেকে দৌড়া দৌড়ি করেন তাহলে বলার কিছু নাই।
আর ভাই প্রকৃত ইসলাম কে করে কারা করে পরে বলছি।
@Russell,
সমাজের কল্যানে, মানুষের কল্যানে কি করতে হবে মানুষতো সেটা আবিষ্কার করে বসে আছে। সেটা হলো ১৪০০ বৎসর আগে রচিত কোরানের নীতি দিয়ে জীবন চালান ক্ষতিকর এবং স্বাস্থস্মমত নয়। আর তাইতো মুক্তমনায় যাঁরা এই নিয়ে লেখালেখি করছেন তাঁরা সেই আবিষ্কারটা সমাজের কল্যানের জন্য লেখার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিবার চেস্টা করে যাচ্ছেন।
@ব্রাইট স্মাইল্,
হুমম…বুঝলাম
ভীষন রকমের অসহিষ্ণু একটি কথা-যদি যুক্তিবাদিদের জিহাদটা হয় ইসলামের অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে-তাহলে প্রথমেই আমি বলবো- সহিষ্ণুতার অভ্যেসটা নিজেদের থেকে শুরু করতে।
ধর্মগ্রন্থ গুলির সাথে মানব সভ্যতার সম্পর্ক কি-বা আদৌকিছু আছে কি না-বা তাদের অতীত-বা আগামিদিনের ভূমিকা কি হবে-এসব ত সামাজিক বিবর্তন থেকেই বুঝতে হয়। আমি জানি না-ধর্ম-যা একটি সামাজিক প্রডাক্ট-তা সামাজিক বিবর্তনের সূত্রগুলি না বুঝে আদৌ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে বোঝা যায় কি না।
বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই-কিন্ত ধর্ম যেহেতু একটি সামাজিক বিবর্তিত প্রডাক্ট-সেটিকে বুঝতে গেলে বিজ্ঞান ছারা বিকল্পও নেই।
একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে-পশুদের ধর্ম নেই-মানব সভ্যতার উষালগ্নে সবাই নাস্তিকই ছিল। আস্তিকতা নিয়ে কেও জন্মায় না। ফলে ধর্ম জিনিসটি কিভাবে সমাজে এল-কেন এল-কেন টিকল-কেন নাস্তিকতা বিলুপ্ত হল-এসব না বুঝলে- নিধার্মিকদের সাথে ধার্মিকদের পার্থক্য কোথায়?
যেকোন আয়াতের পক্ষে যুক্তি দিলে-বিপক্ষেও হাজার যুক্তি আসবে। কিন্ত আমার কাছে গোটা ব্যাপারটাই সময় নষ্ট ছারা কিছু না। কারন ঘটে যদি কারুর একটুও বুদ্ধি থাকে-এটুকু বোঝা উচিত-্মানুষকে এত জটিল পরিস্থিতির মধ্যে সারাজীবন থাকতে হয়-আর কোটী কোটি মানুষের ততোধিক জটিল সমস্যা-সেগুলির জন্যে কোন কোরান টাইপের মেড ইজি
হয় না। যারা ভাবে তা হয়-তারা গাধা -গরীব এবং জিহাদি এছারা তাদের ভবিষয়ত নেই। কোন আয়াত ভাল না খারাপ-এসব বিতর্ক যারা করে-তাদের স্কুলের বাচ্চা ছাড়া কি বলবো? কাওকে মারতে বলাটা কোন পরিস্থিতিতে ভাল-কোন পরিস্থিতিতে খারাপ হবে। যেকোন উপদেশের ই এই দুটি দিক সব সময় আছে-স্থান-কাল পাত্র ভেদে তা আলাদা হয়।
কোরান ঘাঁটার কি দরকার? লোককে সোজা ভাবে বো্ঝালেই ত হয়-এটা একবিংশ শতাব্দি-এখানে জ্ঞান আর বুদ্ধিই জীবনের স্তম্ভ। আর তার উৎস বিজ্ঞানকে ভাল ভাবে বোঝা। কোরান সহ সব ধর্মগ্রন্থের চর্চা সময় নষ্ট ছারা কিছু না।
অবশ্য আমি ধর্মগ্রন্থের সাথে মানুষের শ্বাস্বত আধ্যাত্মিক মানবিক দর্শন্গুলিকে গোলাব না। যুক্তির ওপরের মানুষের আনন্দ বা ভাললাগার একট স্তর আছে। সেখানে যুক্তি খুঁজে লাভ নেই-যাতে মন আনন্দে থাকে সেটাই গ্রহণযোগ্য। কারন সব যুক্তির শেষ আশ্রয় ও সেই মানুষ।
@বিপ্লব পাল,
আপনার মতে মানুষের আনন্দ বা ভাললাগাটা যদি আধ্যাত্মিক দর্শন দিয়ে হয় এবং মন যদি সেটাতে আনন্দ লাভ করে তা গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিৎ। তাহলে ধর্ম পালন করেও অনেকে আনন্দ লাভ করছে, সেটা গ্রহণযোগ্য নয় কেন?
আপনার এই উক্তির যৌক্তিকতা কোথায়?
@ব্রাইট স্মাইল্,
কেও কীর্তন করে যদি আনন্দ পায়, সেটা খারাপ হবে কেন?
কেও নামাজ পড়ে শান্তি পেলে-সেটাই বা খারাপ হবে কেন?
জীবনের কোন উদ্দেশ্য নেই-এটাত আমরা নাস্তি্করাই বলি।
তাহলে কোন যুক্তিতে সেটা খারাপ হবে?
তবে হ্যাঁ-কেও যদি মেয়েদের পাথর ছুঁড়ে মারা হওয়া দেখে আনন্দ পায়-যা ইরাণে ব্যাভিচারি মেয়েদের প্রতি করা হয়-তা নিশ্চয় গ্রহণযোগ্য না। সেটা অসভ্যতাই।
@বিপ্লব পাল,
ধর্ম বোঝার জন্য তা “সামাজিক বিবর্তন থেকে” বোঝার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু ধর্ম যে ভ্রান্ত তা প্রমাণ করার জন্য ধর্মগ্রন্থের সরাসরি সমালোচনা চাই। একজন মানুষ ইতিহাস, মানুষের বিবর্তন, নানারকম বিশ্লেষণ এগুলোকে সরাসরি নাকচ করে দিতে পারে কারণ এগুলো বিমূর্ত কিন্তু ধর্মগ্রন্থ একজন মানুষকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো সম্ভব।
আরেকটি কথা না বললেই নয়। আপনি ইচ্ছে করলে ধর্মগ্রন্থ বা ধর্মের আপনার মত করে ব্যাখ্যা এখানে দিতে পারেন, লেখতে পারেন। কিন্তু সকলকে যেভাবে পরামর্শ দিচ্ছেন তাতে বুঝা যাচ্ছে যারা মুক্ত-মনায় আসে তারা সবাই আবাল।
@সৈকত চৌধুরী,
আয়াত নিয়ে মাতামাতি করাটা -সে পক্ষেই হোক বা বিপক্ষেই হোক-বালখিল্যতা ছারা কিই বা বলবো? একটা মধ্যযুগীয় হজপজের জন্য
যদি এক বিংশ শতাব্দির মানুষ এতটা সময় নষ্ট করে ( পক্ষে বা বিপক্ষে) যখন তার হাতের সামনে আছে পৃথিবীর অনেক উন্নততর জ্ঞান ভান্ডার-সেটাকে বালখিল্যতা বলবো না?
@বিপ্লব পাল,
একটি মধ্যযুগীয় হজপজের পেছনে মানুষ পাগলা ঘোড়ার মত ছোটেছে বলেই এর বিরোধিতা করা সব মুক্ত-মনের মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। খেয়াল করেন, মানুষ আপনার কথিত মধ্যযুগীয় হজপজের পেছনে সময় ও শ্রম নষ্ট করছে বলেই এর বিরোধিতা করতে হয়। ওরা যদি তা না করত তবে আমরাই বা এর বিরোধিতা করতে যেতাম কোন দুঃখে?
আপনার নিম্নোক্ত কথা বড়ই বিনোদন দিলো-
নাহ, কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না।
@সৈকত চৌধুরী,
মন থেকে ধর্ম কর্ম (যে কোন ধর্মই হতে পারে) করে মানুষ মানসিক শান্তি পেতে পারে এতে কি ভুল আছে?
অন্যের কোন রকম সমস্যা না করে নিজের মত ধর্মকর্ম করা মানুষ এখনো অনেক আছে না?
@আদিল মাহমুদ,
সমস্যা অনেক। লোকটা একটা ভুল ধারণার উপর ভিত্তি করে কাজগুলো করছে। ধর্ম শুধু একটু আধটু মানসিক শান্তির বিষয় নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে একটা দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্বাস, জীবন-ব্যবস্থা, আছে বহুদিনের চলে আসা বদ্ধ-সংস্কার। আর একজনের ধর্মীয় বিশ্বাস যদি থাকে আর প্রশান্তির নামে তার চর্চা করতে থাকে তবে এ লোক যে ধর্ম দ্বারা ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি তা বলাই বাহুল্য, আর এটাই তো বিপদ। কেউ যদি বোমা জড়িয়ে ধরে মজা পায় তবে কি তা খুব সমর্থন যোগ্য?সব ধরণের প্রশান্তি যদি গ্রহণযোগ্য হত তবে ড্রাগ নিষিদ্ধ করার কথা উঠত না।
অনেকে আছেন বিপদে পড়লে, অসুস্থ হলে সঠিক ব্যবস্থা না নিয়ে ধর্ম-কর্মে মন দেন আর কিছুটা ওসিলা করেন। এমন মানুষ আপনি অনেক পাবেন যারা নাকি অসুস্থ হলে দান-খয়রাত করেন আর আল্লার নাম নেন। এখন তারা যদি ধর্মীয় বাদরামি বাদ দিয়ে যৌক্তিকভাবে ভাবতে পারতেন তবে তাদের অনেক দিক থেকে আরাম হত।
ধর্মীয় প্রশান্তির নামে অনেক টাকাও খরচ করা হয়। অনেকে লাখ টাকা খরচ করে হজ্জ করতে যান, মসজিদ-মাদ্রাসা তৈরী করেন যেটা না করে অন্য খাতেও তা ব্যয় করতে পারতেন। এভাবে বললে অনেক লম্বা হয়ে যাবে। মোট কথা, আমরা তো আর মানুষকে ধর্ম পালন করার জন্য শাস্তি দিতে যাচ্ছি না। ধর্মটা যে ভিত্তিহীন তা বলাই লক্ষ্য। আর ভিত্তিহীন জিনিস থেকে যতই দূরে থাকব ততই মঙ্গল।
@সৈকত চৌধুরী,
ধর্মের নামে ভন্ডামী বা ধর্মের দ্বারা ব্যাবহৃত হবার সম্ভাবনা ভাল রকমই থাকে। ধর্মীয় শান্তির নামে নানান মহা অপচয় চোখের সামনেই অনেক ঘটে, অস্বীকার করা যায় না। তারপরেও ধর্মের কাছে আশ্রয় নিয়ে জীবনের কোন দূঃখময় মুহুর্তে মানূষ সান্ত্বনা পায়, এটা অস্বীকার করা যায় না। ধর্মের হাজার বদনাম গাইতে পারি, কিন্তু সেসব মানুষের মানসিক সান্ত্বনার একমাত্র অবলম্বন আমি কেড়ে নিতে পারি না। মসজিদ করা বা বোমা জড়িয়ে ধরা বহু পরের ব্যাপার। স্রেফ পরকাল আছে, সেই বিচারে ভাল কাজের জন্য সে পুরষ্কার পাবে এই বিশ্বাসই বহু মানুষকে স্বান্ত্বনা জোগায়।
পৃথিবীতে বেশীরভাগ মানুষই ব্যার্থ, হতাশা গ্লানির ভার বইয়ে বেড়াতে হয় বেশীরভাগ মানুষকে। আপনারা পরকালে বিশ্বাস না করলেও সে যদি শুধু পরকালে ভাল থাকবে এই আশায় মনে ক্ষনিকের হলেও সুখ পায় তাতে আমি কেন বাধ সাধতে চাই বলেন? ঢাকার রাস্তার একজন পঙ্গু ভিক্ষুক, কাঠ ফাটা রোদে রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করছে। তার জীবনে অবলম্বন কি আর বিনোদনই কি? আমি তার ও তার মত লক্ষ লক্ষ লোকের জন্য করতে পারছি না কিছুই, কিছু লেখালেখি ছাড়া। আবার সে যা বিশ্বাস করে মানসিক শান্তি পাচ্ছে সেটাও কেড়ে নিতে যাব? বলতে পারেন যে ধর্মের কারনের মানুষের অবস্থা খারাপ হয়। বাংলাদেশের সব লোক রাতারাতি নাস্তিক হয়ে গেলেই নিশ্চয়ই ১০ বছরের ভেতর বাংলাদেশ আমেরিকা হয়ে যাবে না।
@বিপ্লব পাল,
বাব্বা রে!
কোরানের আয়াতের বিপক্ষে যুক্তি দিলে পক্ষেও আসবে, ভালো কথা কিন্তু যাদের ঘিলু আছে তারা ঠিকই ব্যপারটা বুঝে নিতে পারবে। কোরানের আয়াতগুলো একটা নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে। এখন এগুলোকে রক্ষা করার জন্য কেউ যদি তার অপব্যাখ্যা করে তবে তা ভালো করে খেয়াল করলে অবশ্যই ধরা সম্ভব। আমি মনে করি না যেকোনো কথাকে যথেচ্ছ ব্যাখ্যা করা যায় বা তা সম্ভব।
আপনার নিম্নোক্ত কথাটি বুঝি নি-
আধ্যাত্মিক মানবিক দর্শন?
যুক্তির ওপরের মানুষের আনন্দ বা ভাললাগার একট স্তর?
@সৈকত চৌধুরী,
মানুষ কি যুক্তিবাদি রবীন্দ্র নজরুল গীতি শুনে আমোদিত হয়???
ভালো লাগে, কেন লাগে, তার একটা এম্পিরিসিজম থাকলেও-সেখানে যুক্তির চেয়ে অযুক্তির দৌঁড় বেশী।
@বিপ্লব পাল,
শুধু আমোদিত হলেই কোনো কিছু গ্রহণযোগ্য হয় না। জিহাদের গান শোনেও একজন আমোদিত হতে পারে। ড্রাগ নিয়েও একজন আমোদিত হতে পারে। তাই কোন ধরণের বিনোদন পাওয়া উচিত, কোনটি পাওয়া উচিত না তা নির্ধারিত করার ও তা নিয়ে ভাবার ব্যাপার আছে।
আর “শ্বাস্বত আধ্যাত্মিক মানবিক দর্শন” টা তো আর বললেন না।
@সৈকত চৌধুরী,
তাহলে স্টালিন আর শরিয়া আইন কি দোষ করল? ওরাও তোমার ভাষাতেই কথা বলে। এই ধরনের সাংস্কৃতিক জ্যাঠামোকে বলে ফয়াসিজম।
লিব্যারালিজমের মানেই হল, ব্যাক্তির পছন্দের ওপর নাক না গলানো-যতক্ষন না ্তা সমাজের ক্ষতি করে। শেষ বাক্য নিয়েই গন্ডোগল। শরিয়া বা কমিনিউস্টরা সেই সমাজের দোষ দিয়ে থাকে। কিন্ত লিব্যারালিজমের ক্ষেত্রে ব্যাক্তি স্বাধিনতাকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হয়।
@বিপ্লব পাল,
আপনিই তো এর আগে বললেনঃ
তাহলে আমিও তো বলতে পারি আপনার এই সব তর্কগুলি সময় নষ্ট করা নয় কি, হাতের সামনে থাকা পৃথিবীর অনেক উন্নততর জ্ঞান ভান্ডার থাকা সত্বেও?
@ভবঘুরে,
এসব কিছু আমাদের চোখের সামনেই ঘটছে । এদের অনেকই আমাদের পরিচিত জন । অনেক পশ্চিমা পুরুষ ধর্মান্তরিত হয় শুধুমাত্র মুসলিম নারীকে বিয়ে করার জন্য এবং মেয়ে পক্ষের পরিবারের চাপে । সিংহভাগ ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে বিয়ে মূখ্য ভুমিকা পালন করছে ।
@আদিল মাহমুদ,
পশ্চিমা দেশ গুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিবাহ জনিত কারণে ইসলামে ধর্মান্তর ঘটছে । ‘কষ্টার্জিত’ দাম্পত্য টিকিয়ে রাখতে মানুষ এটা করছে । এর বেশিরভাগ আবার মহিলা । এদের বেশিরভাগ বিবাহ বিচ্ছেদের পর নিজ ধর্মে ফিরে যায় । পরিসংখ্যানে এসব বিষয়ও থাকা দরকার । এরপর ইসলামে ধর্মান্তর ঘটছে বিভিন্ন জেলখানায় হতাশাগ্রস্ত কয়েদিদের মাঝে । আপনার কাউন্টি কাউন্সিলে খোজ নিলেই এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন ।
@সংশপ্তক,
আপনার সাথে সহমত।
আমিও ঠিক একথাটাই বলতে চাইছিলাম। এশিয়ান বা আফ্রিকান মুসলমান পুরুষদের প্রেমে পড়লেই সাধারনত মেয়েটিকে ইসলাম কবুল করতে বাধ্য করে পুরুষটি। মেয়েটি তখন ইসলামের কিছু না বুঝেই তা গ্রহন করে শুধুমাত্র একটি স্থায়ী বিয়ের জন্য কারন অনেক পশ্চিমা মেয়েই আবার ক্ষনস্থায়ী বিয়ে বা সম্পর্ক নিয়ে হতাশাগ্রস্থ। তাই অনেকেই এশিয়ান বা আফ্রিকান দের বিয়ে করতে আগ্রহী থাকে। সুতরাং ইসলামকে ভালবেসে পশ্চিমা দুনিয়ার কিছু মানুষ মুসলমান হচ্ছে এটা মুসলমানদের একটা অপপ্রচার বা ভুয়া প্রপাগান্ডা যা তারা আরও অনেক বিষয়ে করে থাকে। তবে অনেক মহিলাই পরে অনুশোচনা করে ইসলামের ব্যপারে যখন দেখে তার স্বামী প্রবর তার ওপর জোর করে নানা রকম ইসলামি বিধি বিধান চাপিয়ে দিতে চায়। ঠিক একারনে অনেক বিয়েই আবার ভেঙ্গে যায়। আর অবৈধ মুসলমানরা বৈধ হওয়ার জন্য তো ওখানকার মেয়েদের বিয়ে করার জন্য মুখিয়েই থাকে , সেটা তো বলাই বাহুল্য ।
@ভবঘুরে,
হুমম, এটাও কারন।
@সংশপ্তক,
এ বিষয়ে কি কোন নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান আছে? কত জন বিয়ের জন্য কনভার্ট হল, আবার ফিরে গেল? কনভার্টদের কত জন জেলের কয়েদী, বা হতাশাগ্রস্থ লো ইনকাম ক্লাসের লোক?
এই দাবী প্রায়ই জোর গলায় শোনা যায়। সাথে কিছু ইউটিউব টেষ্টিমোনি। ৩০ কোটি লোকের দেশ আমেরিকার ট্রেন্ড বুঝতে ২০/৫০ জনের বক্তব্যও যথেষ্ট নয়। যদিও কিছু লোকে কনভার্ট অবশ্যই হচ্ছে।
যদিও আমার মনে হয় পশ্চীমে মুসলমান বাড়ার মূল কারন কনভার্শন নয়, ইমিগ্রেশন। আর স্থানীয় মুসলমানদের উচ্চ জন্মহার।
কনভার্শনের অন্যতম কারন মনে হয় মুসলমানদের বাধাহীন ধর্মপ্রচার। অন্য আর কোন ধর্মের লোক মনে হয় না ধর্মপ্রচারে এত নিষ্ঠ। সাথে সাথে পাশ্চাত্যের লোকের নিজ নিজ ধর্মে বহু বছর ধরেই অনিহা। এ কারনে কনভার্ষন নিশ্চয়ই হিন্দু ভারতে বেশী নয় যতটা পশ্চীমে।
পশ্চীমের লোকের অতি ওপেন মাইন্ড সেটও ফ্যাক্টর মনে হয়। এরা অনেক সময় সিরিয়াল কিলারের প্রেমে পড়েও জেলে গিয়ে বিবাহ করে।
যদিও মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে খুব বেশী গর্বের কারন বুঝি না। কিছু মুসলমান দেশেই ধর্মান্বরিত হবার রাষ্ট্রীয় শাস্তি মৃত্যুদন্ড, অন্য ধর্মের প্রচারনা সম্পূর্ন বন্ধ। নিজেদের দেশে অন্য ধর্মের প্রচারনার পথ বন্ধ করে বিধর্মীদের দেশে গিয়ে কনভার্ট করার গর্ব কেমন যেন ঠেকে। যেসব দেশে মৃত্যুদন্ড নেই সেসব দেশেও ধর্মান্বরিত হওয়া মোটেও সহজ নয়। টার্কির মত ওপেন বলে পরিচিত মুসলিম দেশেও ইসলাম ত্যাগের জন্য মানুষ মারা যায়। মুসলমান দেশগুলি বেশীরভাগই অশিক্ষিত ও দরিদ্র, জন্মহার এমনিতেই অনেক বেশী। জন্মসূত্রে সবাই মুসলমান। কাজেই বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে এর মাঝে খুব বেশী গর্বের কিছু আছে বলে মনে হয় না।
@আদিল মাহমুদ,
পশ্চিমা দেশে বাধাহীন ধর্মপ্রচার ক্রিষ্টান ধর্মে আরও বেশি চলে। এইসব দেশে চার্চের লোকজন যে হারে ধর্ম প্রচার করে তাতে তো ধর্মপ্রচারে এদের নিষ্ঠা কম দেখিনা। কিন্তু পার্থক্যটা এই, ইসলাম ধর্মে কনভার্টেড হওয়া নিয়ে যত ঢাক ঢোল পেটান হয় অন্য ধর্মে তা দেখা যায়না।
@ব্রাইট স্মাইল্,
তথ্যগত সত্যটা থাকলেও এইখানে একটু পার্থক্য আছে।
মুসলমানদের কিন্তু ধর্মপ্রচার যে শুধু তবলীগ বা মোল্লা আলেম (খৃষ্টানদের যেমন শুধু চার্চ বা কিছু যাজক) এই শ্রেনীর লোকেই সীমাবদ্ধ নয়। সাধারন মুসলমানেরাও এই কাজে সরাসরি বা ইন্ডিরেক্টলী অনেক সময় কাজ করে।
যেমন, মসজিদের ঈমাম সাহেবের ওয়াজে শুনেছি নাসারাদের মুসলমান বানাবার কিছু উপায় বাতলাতে, অবিবাহিতদের উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় খৃষ্টান মেয়ে বিয়ে করে ফেলার জন্য। তাতে কি সাধারন মানুষ কিছুটা হলেও উতসাহিত হয় না?
@সংশপ্তক,
একমত। গত বৎসর ব্যর্থ বোমা হামলায় নিউইয়র্কের নিউবার্গে যে চারজন এরেস্ট হয়েছিল তাদের সবারই পুর্বে এক বা একাধিক ক্রিমিনাল রেকর্ড ছিল এবং তারা ইসলামে কনভার্ট হওয়ার পরেই হামলার পরিকল্পনা করে।
সফিবাদ আর কিছু না , ইসলামের সন্ত্রাসী বা হিংসা-মূলক কথাবার্তা বা ভাবধারা কে আড়াল করার একটা ধাপ্পাবাজীমূলক অপচেষ্টা। অনেকে এটা বুঝে করেছে অনেকে না বুঝে করেছে। উপমহাদেশে সুফিবাদের কারনে অনেকেই ইসলাম কবুল করেছে এটা সত্য আর তার মূল কারন ইসলামের প্রতি ভালবাসা বা বিশ্বাস যতটা কাজ করেছে তার চেয়ে বেশী কাজ করেছে – হিন্দু সমাজের বর্ণবাদী ব্যবস্থার কারনে নির্যাতন ও নিপীড়ন। অপমান নিপীড়ন অসহ্য হওয়াতেই অনেক নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা তথাকথিত ইসলামী সুফিবাদের পাল্লায় পড়েছে, অনেকটা ফাদে পড়ার মত। আর তা করেই উপমহাদেশের বারটা বাজিয়েছে। এসব সুফিবাদীরা এসেছে আবার বিজয়ী মুসলমান সম্রাট বা সুলতানের পিছে পিছে। একদিকে সম্রাট বা সুলতানের তরবারী অন্যদিকে সুফীদের ধাপ্পাবাজীমূলক শান্তির ও স্বস্থির কথা বার্তা, এসব করেই উপমহাদেশে ইসলামের বিস্তার । ইতিহাস তাই বলে। ইসলামের মহান বানী শুনে কেউ মোহাম্মদের ওপর বিশ্বাস আনে নি তেমন।
@ভবঘুরে,
ঘটনার পেছনের ঘটনা বেশ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। সবকালে, সব ধর্মের ব্যাপারে যুক্তিটা প্রজোয্য। মানুষ ধর্মান্তরিত হওয়ার পেছনে আছে, সামাজিক বঞ্ছনা, পারিবারিক দেউলিয়াপনা, রাজনৈতিক অস্থিতাশীলতা, আর্থিক অসচ্ছলতা ইত্যাদি।
@আকাশ মালিক,
আজকের দিনে পশ্চীমে ধর্মগুলির মাঝে সবচেয়ে সমালোচিত ইসলাম।
তারপরেও বেশ কিছু পশ্চীমার ইসলামে কনভার্ট হবার কারন কি মনে করেন?
@আদিল মাহমুদ,
এ ব্যাপারে আমি ব্যাক্তিগত একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। ফেসবুকে একবার নাস্তিকতা নিয়ে বেশ বিতর্ক করেছিলাম। সেখানে ফ্রান্সের এক নাগরিক আমাকে বলল যে আমি ইসলাম নিয়ে এত কিছু জানি কিভাবে। তখন তাকে ব্যাক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করতে বললাম। পরে সে আমাকে জানাল যে সে খ্রীষ্টান থেকে মুসলমান হয়েছে। এবং ইসলামের বৈজ্ঞানিক দিকগুল তাকে আকৃষ্ট করেছে। এবং সে স্বপ্নে অলৌকিক জিনিস দেখেছিল। একবার রাতে তার খুধা লাগায় সে রান্না ঘরে খেতে যায়। তখন তাকে নাকি একটা লাল আলো ধাওয়া করেছিল। ধাওয়ার ব্যাপারটা সে স্বপনেও দেখেছে। পরে তাকে ইসলামের ইতিহাস এগুলা দেখালাম। সে অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিল। মুসলমান হওয়ায় পরিবারের সাথে তার সমস্যা হয়েছিল। পরে তকে বললাম যে তুমি পরিবারের কাছে ফিরে যাও। এবং ইসলামকে নিয়ে ভালভাবে পড়। এরপর অনেকদিন কথা হয়নি। একমাস আগে জানলাম যে সে তার কিছু বন্ধুর সাহায্যে আফ্রিকার কোন এক মুসলিম দেশে গিয়েছে। সেখানে সে ভালই আছে। এবং আবার আমাকে বলতে লাগল। তুমি কি কুরানে মানব জন্ম প্রক্রিয়াকে ভুল মনে কর? এটা একশ পার্সেন্ট বৈজ্ঞানিক সত্য। আমি তাকে বললাম, তুমি ফিকাহ, ব্যাকারন, ইসলামী ইতিহাস। এসব পড়েছ? সে বলল না। তাকে শুধু এটাই বললাম। যে তুমি জেনে যদি কোন কিছুকে সত্য মনে কর। তাহলে আমার বলার কিছু নেই। আমার জ্ঞানে সেটা সত্য হিসেবে ধরা পড়লে আমি তোমার সাথে যোগ দিব। সে পর্যন্ত আমি তোমার বন্ধু ঠিক আছে?
@আনাস,
ধর্মান্বরিত হবার বহুবিধ কারন থাকতে পারে।
এক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ প্রচারনার ব্যাপার অবশ্যই আছে।
কাউকে শুধু বাইবেল, কোরান, গীতা, ট্রিপিটকের বই ধরিয়ে দিয়ে নিজে নিজে পাঠ করতে বললে আসল ফল দেখা যেত।
@আদিল মাহমুদ,
হুমম, কথাটা ঠিক যে বহুবিধ কারনে ধর্মান্তরিত হয়, তবে আমি একটা বিষয় মনে করি, আমার ধারনা, তবে সঠিক হওয়ার possibility বেশি বলে মনে করি সেটা হলঃ
ইসলামে কাল্পনিক জান্নাত আছে যাহা সুখময়। অধিকাংশ ভোগবাদি মানুষ ইহা পছন্দ করেন। যদিও অন্যান্য ধর্মের আনুষ্ঠানিক রীতি নীতি তেমন জানিনা, অন্য ধর্মের মানুষেরা এই ভোগ বিলাশের কথা কিভাবে তারা প্রচার প্রশার করেন, হয়ত আমার মনে হয় ইসলামে ঐ আলেম নামক ভোগি লোভিরা যেইভাবে প্রচার করে এতটা অন্যরা করেনা, করতে পারেনা। হতে পারে। কেননা মুসলমানদের ভিতর যেই কল্পনা প্রসুত ভোগের লোভের সুখ দেয়া হয় তাতেই কাজ হয়ে যায়।
যেমন ধরুন একটা মহিলা দুইটা বিয়ে করার সাথে সাথে তার সামনে মোল্লারা যেভাবে বয়ান দিবে, যেভাবে তাকে জাহান্নামের কথা, চিন্তা ঢুকায় দিবে (যদিও অবাস্তব), তাতে অর্ধেক সে জাহান্নামে এই দুনিয়াতেই চলে যাবে ঐ জায়গাতেই। সুতরাং এই ভয়ে সে ইসলামের দিকে তাকাতে চাবে কি করলে ঐ সকল শাস্তি থেকে মাফ পাওয়া যায়। সাইকোলজি সে মানসিক ভাবে এমনি ক্ষতি গ্রস্থ , তারপরে সে যদি শুনতে পায় ঐ মুহুর্তে, ইসলাম কবুলের অর তোওবা করলে ঐ গুনাহ তো মাফ হবেই সাথে জান্নাতের বাগানে তারে হাটায় ছাড়বে কল্পনায়। এই জীবন আসলেইত কষ্টের, চারিদিকে কত ঝামেলা, আর এর ভিতর যদি সামান্য ঐ ধরনের লোভি, ভোগি কিছু স্বপ্ন কেউ দেখায় তাহলে প্রবলেম কোথায়? হতে পারে।
আবার ইসলামের রীতি রেওয়াজে যত ঘাপলা করা যায়, সর্ব ক্ষেত্রে অন্য ধর্মে পারা যায় কিনা যদিও জানিনা। যেমন ধরা যাক, কানাডা। এখানে রাষ্ট্র চলছে একটা আইনে, সবাইকে মানতেই হয়।।।মানে এই জাতীয়, এইখানে ধর্মীয় ভ্যলু আছে। এখানে যা হবে আইনের দ্বারা সেটা শাস্তি, সুখ সব পাবে, সব বাস্তব। ধর্মের দ্বারা এইখানে ততটা প্রভাবিত নয়। কিন্তু এই ধরুন সৌদি। সেখানে ইসলামের নামে কি হচ্ছে? ইসলামী দেশ, সব রাজা বাদশারা ভোগ বিলাস করছে। ধর্মের নামে কত অকাম করা যাচ্ছে, আর যা করছে তা আবার ধর্মের নাম দিয়েই মিটাই দিচ্ছে। সব কিছুই অদি ভোগ বাদিরা ধর্মের নামে করে তখন তাদের কিছু বলতে গেলে সেন্টিমেন্টালি ধর্মের ট্রিটমেন্ট দিয়ে দিচ্ছে, অশিক্ষিত, অর্ধ লেংটা, না খাওয়া পাবলিক ধর্মের ঐ ভয়ে কিছুই বলতে পারছেনা। সুতরাং যদি আপনে বেশ ভাল টাকা পয়সা ওয়ালা হন তাহলে ইসলাম বেশি ভাল, চুরি চামারি, নারী ভোগ, অর্থ ভোগ, লোভ সব আপনে ১০০% করতে পারছেন। যদিও এই ইসলাম কিন্তু আল্লাহ বা তার নবী প্রদত্ত ইসলাম নয়। ইহা সৌদি বাদশা কর্তৃক রচিত ইসলামি বীধি বিধান, যা সেই আবু বকরের সময় থেকে সূত্রপাত হলেও ইয়াজিদের সময় থেকে এর প্রকৃত প্রচার শুরু হয়ে যায়। এর পর থেকে ঐ ইসলাম শুধু নামেই আছে, কাজে আর নাই। আর সেই ইসলামের নাম দিয়েই তৈরি হইছে আজকের নাস্তিকতা, দাড়ি-টুপি বড় বড় আলখেল্লা, জোব্বা পরিহিত বহু ডিগ্রীধারী আলেম, ওলামা।
এই ইসলামে তাই হয়ত লোক সংখ্যা বাড়ছে। হতাশা গ্রস্থ, কল্পনা প্রবন, ভোগি, লোভি, কামুক যারা তারাই ইসলামে বেশি পা রাখে। আমার ধারনা। যেহেতু কিছু দেখেছি, তাই ১০০ ভাগ শিওরিটি না দিতে পারলেও সত্য।
বুঝাতে পারলাম কিনা জানিনা।
ধন্যবাদ
@Russell,
তাহলে আপনার বক্তব্য বা ধারনা মতে ইসলাম কবুল করে মূলত তারাই যারা বাস্তবে লোফার, লম্পট, বদমাশ, কামুক,লোভী, অপরাধী তথা নীচ প্রজাতির মানুষ। অন্য কথায় যারা মুসলমান তারাও মূলত অধিকাংশই ঐ নীচ প্রজাতির মানুষ , কি বলেন ? বাংলাদেশে যে কয়জন পুরুষ বা মেয়ে মানুষকে ইসলাম কবুল করতে দেখেছি একটাকেও ইসলামকে ভালবেসে ইসলাম কবুল করতে দেখিনি, সবাই প্রেম করার পর বিয়ের জন্য তা করেছে। এখানে ইসলামের মাহাত্ম তা কোথায় ঠিক বোধগম্য হয় না। তবে যে ভাবে কোরান হাদিস আর ইসলামের কাটা ছেড়া হচ্ছে ইদানিং তাতে সেদিন আর দুরে নেই যখন সভ্য মানুষ সমবেতভাবে বিশ্ব ময় ঘোষণা করে দেবে যে , ইসলাম হলো বর্বর আর অসভ্যদের ধর্ম, আর তাই তাদেরকে সভ্য সমাজ থেকে এক ঘরে করে যার যার দেশে আবদ্ধ করে রাখা হবে। পশ্চিমা দেশ সমূহে প্রবাসী মুসলমানরা যে ভাবে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও ধর্মীয় উগ্রতা প্রচার করছে তাতে মনে হয় না পশ্চিমাদেশ গুলো আর বেশীদিন মুসলমানদের এসব ফাজলামি সহ্য করবে। ভুললে চলবে না , ওরা এর চাইতেও কট্টর মৌলবাদী খৃষ্টিয় পাদ্রীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আধুনিক সভ্য দেশ গড়ে তুলেছে। তাই কতিপয় মুসলিম নামধারী মৌলবাদী সেখানে যা ইচ্ছা করে বেড়াবে ধর্ম প্রচারের স্বাধীনতার নামে , তা মনে হয় বেশীদিন আর ওরা সহ্য করবে না আর তার সমস্ত ঝামেলা গিয়ে পড়বে তথাকথিত নিরীহ মুসলমানদের ওপর । এই মুসলমান নামধারী লোক গুলো কতটা ভন্ড তার প্রমান মেলে সম্প্রতি সৌদি বাদশার একটা উক্তিতে। সম্প্রতি ফ্রান্সে মহিলাদের মুখ ঢাকা নেকাব পড়া নিষিদ্ধ ঘোষনা করাতে সৌদি বাদশা তার সমালোচনা করে বলেছে এটা মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ অথচ তার নিজ দেশে অন্য ধর্মের উপসনালয় গড়া তো দুরের কথা তা প্রচার করাও কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। সভ্য মানুষ অসভ্য এসব মানুষের কথা এখনও সহ্য করে যাচ্ছে শুধুমাত্র ওদের তেলের জন্য কিন্তু বিষয়টা সহ্য সীমা অতিক্রম করলে হয়ত এমন একদিন আসবে যখন পশ্চিমা দেশগুলো সব একত্রিত হয়ে ঘোষণা করবে আরবদেশের তেলের মালিকানা কোন অসভ্য মানুষদের কাছে থাকা উচিত নয়। আর এটা বলে তারা তার দখল নেবে না একথা কি জোর দিয়ে বলা যায় ? কারন জগতটাতো অনেকটা জোর যার মুল্লুক তার নীতিতে চলে। কিছু অসভ্য আরব তেলের জুজু দেখিয়ে শক্তিশালী সভ্য জাতিগোষ্ঠিকে ব্লাকমেইল করার তালে থাকবে তা তারা কয়দিন সহ্য করবে ?
@ভবঘুরে,
আগের দিনের জমিদারদের চমৎকার একখানি আদর্শ ছিল-“খানা লাগাও, বাইজি নাচাও, গানা বাজনা শোন, মওতের আগে মন্দির বানাও, বুড়ো বয়সে তপজপ কর এবং হাসতে হাসতে স্বর্গে চলে যাও”। জ্ঞান গবেষোনা করতে নেই। ঐসব ইউরোপ আমেরিকানরা করবে আর নতুন নতুন মাল আবিষ্কার করবে। আমরা ওদের থেকে কিনে নিব আর মউজ করব।সাবাস সাবাস বলে চাটুকারের দল সায় দিয়ে গেছে আর হুজুরদের দর্শনাবলী শুনিয়েছে, “ হুজুর ওরা গাধা, খাটূনি করে মরছে ইউরোপ আর আমেরিকা”।
সৌদি বাদশাদের একই অবস্থা।
@Russell,
তা হলে কোন ব্যবস্থাটা ভাল বলে আপনার বিশ্বাস? সৌদি আরবের মতো ধর্ম অনুসরন করে নাকি কানাডার মতো নিজস্ব আইনে রাষ্ট্র চালানো উচিৎ বলে আপনার মনে হয়।
আপনি কি এমন কোন দেশের নাম বলতে পারবেন যেখানে আপনার কথিত আল্লাহ বা তার নবী প্রদত্ত প্রকৃত ইসলামের আইন কানুন অনুসরন করে দেশ চালানো হচ্ছে?
@ব্রাইট স্মাইল্,
কোন দেশের আইন ভাল হবে এটাত আর বলতে বাকি নাই, অবশ্যই কানাডা।
একদম যে হয়না সেটা না, উন্নত দেশগুলো যেমন কানাডা বলা যেতে পারে, এখানে অনেকটা আল্লাহ-নবী আইন প্রনয়ন হয় বলা যেতে পারে।
@Russell,
কানাডায় আল্লাহ-নবী আইন বলতে কি কানাডার মুসলিম সমাজে প্রচলিত শারীয়া আইন বুঝাচ্ছেন? তো সেটার সাথে আবার সৌদি আরবের শারীয়া আইনের পার্থক্য কোথায়? দেখুন কানাডা তার নিজস্ব আইনে চলে বিধায় কানাডার প্রধানমন্ত্রীগন সৌদি রাজা-বাদশাদের মতো ভোগ বিলাসে মত্ত থাকতে পারেন না। পার্থক্যটা এখানে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
আসলেই লেখা কাজ আমার না। আমি আসলেই বুঝাতে পারিনা মনে হয়। আমি কি বলছি কানাডায় ইসলামি শরিয়াহ??? কানাডায় যেই আইন হোক সেইটাই ইসলামী আইন হওয়া উচিত। মানে ইসলামী প্রকৃত আইন এই ধরনের। কিন্তু সৌদি ও সকল ইসলামি রাষ্ট্র এই ধরনের হতে পারেনা, নিজেদের ভোগ, বিলাসিতার কারনে, কামনা, বাসনা, অহংকার, ক্রোধি হয়ে যাবার কারনে, আর ইহা সকল কিছু িসলামের নামে চালনা করছে।
পারলাম বুঝাতে? জানিনা। ধন্যবাদ।
@Russell,
ধন্যবাদ আপনার দীর্ঘ ইনপুটের জন্য।
আপনি বেহেশত দোজখের লোভ বা ভয় দেখিয়ে ধর্মান্বরিত করার যেসব কথা বললেন আমার মনে হয় না সেগুলি কনভার্শনের জন্য, বিশেষ করে পাশ্চাত্যের শিক্ষিত মানুষের জন্য কার্যকরি।
এই প্রক্রিয়া যারা মুসলিম বাই বর্ন তাদের জন্যই বেশী প্রযোজ্য। এই কাজটা অতি নিষ্ঠার সাথে করা হয় খুব ছোটবেলায় যখন তাদের কোনরকম যুক্তিবোধ জাগ্রত হয় না তখন। যে বয়সে বাবা মা বা স্কুলের শিক্ষক যা বলে তাই সদা সত্য বলে শিশু মন গ্রহন করে। তারপর আর বেশী কিছু করতে হয় না। বাকি জীবন চলে এই বিশ্বাসকে শক্ত করার কাজ।
পশ্চীমের মাত্রাতিরিক্ত ভোগ বিলাস, পারিবারিক জীবনের হতাশা বা ব্যার্থতা এসব কারনও কাউকে কাউকে ধর্মমুখী করে তুলতে পারে বলেই আমার মনে হয়।
ধর্মভিত্তিক আইন করে দেশ চালাতে গেলে যে কোন ধর্মের ক্ষেত্রেই একই ব্যাপারই ঘটতে বাধ্য। ধর্মগ্রন্থ ও আনুসাংগিক উতসগুলি সবই প্রাচীন মূল্যবোধের উপর লেখা, শুধু তাই নয়; সেগুলির মধ্যে আছে বড় ধরনের সেলফ কন্ট্রাডিকশন, ভাষাগত দূর্বলতা যার কারনে যে যেভাবে খুশী ব্যাখ্যা করতে পারে। এই সত্য অন্য ধর্মের লোকেরা বহু আগেই বুঝতে পেরেছে, মুসলমানেরা এখনো গোয়াড়ের মত অস্বীকার করে যাচ্ছে। যদিও তারাও আস্তে আস্তে স্বীকার করছে। তার প্রমান আজকাল কিছু বিতর্কে দেখছি কেউ কেউ মেনে নিচ্ছেন যে কোরানেরও কিছু আয়াত নাকি তামাদি হয়ে গেছে। হাদীস নিয়ে বড় ধরনের সন্দেহ তো অনেকেই করেন। অন্তত বোখারী মুসলিম এসব সহি গ্রন্থেও যে বহু অসহি হাদীস আছে তা সবাই স্বীকার করেন।
সুফী ইসলাম- তত্ত্বের উপর কি কেউ পূর্নাংগ লেখা বা অন্তত কিছু বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেন?
আমার ভুল না হলে রাসেল সাহেব মনে হয় কিছুটা হলেও পারেন?
যে কেউই পারেন বড় উপকৃত হব। বিপ্লব পালও মনে হয় বেশ কিছু জানেন।
@আদিল মাহমুদ,
বুঝবেন কীভাবে? এক সাথে ৪০ সিলিম গাঁজা সেবন করতে না পারলে সুফী-তত্ত্ব বুঝা যায়না।
এখানে কিছু তথ্য দেখুন-
এখানে দেখুন গাঁজা ছাড়া দরবেশী নৃত্যের কিছু বুঝেন কি না।
@আকাশ মালিক,
আপনাকে কি লিখব?দুটো কমেন্ট পড়লাম। হাসলাম। লেখক নই, তাই সুন্দর করে লিখে অনুভুতি বোঝাতে পারছিনা।
একদম না জেনে, না বুঝে একটা মন্তব্য করাটা ঠিক না। বই পুস্তক পড়ে হয়ত বিদ্যান হয়েছেন কিন্তু জ্ঞান আসেনি। আগে জানুন, বুঝুন অতপর মন্তব্য করুন।
চারিদিকে ভেজালের সমারহ।এত ভেজালের ভিতর খাটি বিষয়টা খুজে পাওয়া আসলেই দুষ্কর। আর ভেজাল খাইতে খাইতে পেট ভেজাল হয়ে গেছে। তাই ভাল জিনিস খাইলেই এখন পেট খারাপ করে। আপনাদের হইছে সেই দশা। যাইহোক সুফীতত্ব বুঝতে গাজা খাওয়া লাগেনা, মগজ থাকতে হয়, তবে তাহা আপনাদের মত বিদ্যানদের মগজ না।
থাক আপনারে আর কি লিখব। ইহাই “তকদির” বলেই শেষ করি।
ধন্যবাদ
@আকাশ মালিক, 🙂
আসলেই ভিডিওগুলি দেখে তেমন কিছু বুঝিনি। আপনার প্রেসক্রাইবড উপায় ফলো করা ছাড়া মনে হয় উপায় নেই।
যদিও মনে হচ্ছে যে এই ধরনের সুফিবাদ শরীরের জন্য বেশ উপকারী, কারন যথেষ্ট ফিজিক্যাল এক্টিভিটি করতে হয়, ভাল ক্যালোরি পুড়বে। সেই হিসেবে ট্রাই করে দেখবো কিনা চিন্তা করছি।
আল্লাহ গান বাদ্য নৃত্য বেশ পছন্দ করেন এনাদের দেখলে মনে হয়।
খৃষ্টানদেরও একটা চার্চ আছে (গস্পেল) নেচে গেয়ে ইশ্বর বন্দনা করা হয়। যদিও এতটা দৃষ্টি নান্দনিক নয় অবশ্যই।
@আদিল মাহমুদ,
Teletubbies দেখেছেন, ঐ কার্টুন চরিত্রের Tinky-Winky, Dipsy, La-La, আর Po কে তো চেনেন? সুফীবাদী চোখ দিয়ে এবার ভিন্ন ধরণের Teletubbies দেখুন। এখানে পাবেন সকল প্রশ্নের বৈজ্ঞানিক উত্তর। দেখুন এদেরকে চিনতে পারেন কি না?
@আকাশ মালিক,
তবে ভিডিও দুইটি দেবার জন্য ধন্যবাদ। ভাল লেগেছে।
@আদিল মাহমুদ,
ভাইজান, পুস্তক পড়িয়া সুফীবাদ বুঝা যায়না। তারপর প্রশ্ন হল আপনে কি সুফীবাদ কি সেই বিষয় বই চান নাকি সুফীদের জ্ঞানের কথা জানতে চান? তথা তাদের লেখা বই পুস্তক। সুফীবাদ কি, কিভাবে আসল, এইধরনের বই আপনে শাহাবাদ আজিজ সুপার মার্কেটে পাবেন বলে আশা রাখি। যদিও আজকাল পাওয়া যায়না। ঐখানে এক সুফীর লেখা পাবেন হয়ত- ডঃ জাহাংগির বেইমান। পড়ে দেখতে পারেন, তিনি খুবই সাধামাঠায়, সহজ সরল ভাষায় লিখেন। গভিরের তেমন কিছু না থাকলেও খুবই ভাল।
আবার যেমন ধরুন বাংলা একাডেমি বেশ অনেক আগে লালনের উপরে একটা বই ছাপিয়েছিল, লেখক আর বইএর দুটো নামই ভুলে গেছি(দুঃখিত)। এছাড়া লালনের উপর অনেক বই আছে। উনি বাংলার অতুলনীয় সুফী। যদিও নজরুল ইসলামের কবিতা আর গানের উপর একটা তফসির বই আছে, যাহা সচারচর দেখা যায়না। ঐ পুস্তক পেলে ।।।যদিও বুঝবেন না।
ইনারা বাংলার। এছাড়া খাজা মাইনুদ্দিন চিশতী (রঃ) এর একটি বই আছে-শাহাবাগে পেতে পারেন, যদিও যা পাবেন তা পাবেন হল অনুবাদকৃত দুই নম্বর বই। ঐ মাকাল ফলের সামিল।
যেমন ধরুন বায়জিদ বোস্তামী বলছেনঃ পৃথিবীর সমস্ত বস্তু আমি ও জীবাত্নাও আমি। এসব আসলে বই পড়ে শুধু পড়েই যাবেন। বুঝবেন না। যেমন লা্লন বলেনঃ অসময়ে কৃষি করে, মিছামিছি খেটে মরে।।। এর ভিতরে তিনি যা বলেছেন তা আসলে এভাবে লিখে প্রকাশ করা যায়না।
সুফীবাদ হল সেই জ্ঞান , যা চক্ষু বন্ধ করিয়া অর্জিন করিতে হয়, আকাশ মালিক, মিয়া বাবা।।।ইনাদের মত চক্ষু খুলিয়া বিদ্যা অর্জন নহে। উনারা বিদ্যান নামি দামি লেখক হয়ত। কিন্তু সেই সত্য জ্ঞান পায়নি। সুফীবাদ জ্ঞান হল বস্তুজ্ঞান আর আধ্যাত্ন জ্ঞানের সমাহার। এক অসীম সমুদ্র জ্ঞান। যেখানে শুধু ভেসেই যাবেন আনন্দে। শেষ নেই। ইহকাল পরকাল চিরস্থায়ী জ্ঞান। এই সুধা পান করিতে লালন বারবার ব্যকুল হয়।
যাইহোক কিছুটা বললাম। আমি তেমন জানিনা। হয়ত এখানে বিপ্লব দা হয়ত জানাতে পারেন আপনাকে ভাল।
ধন্যবাদ
@Russell,
তাহলে তো দেখা যায় আপনার ভাষা ও বিচারে লালন ফকির ছিলেন মোহাম্মদের চাইতে অনেক বেশী আধ্যত্মপূর্ন ও জ্ঞানী। তাহলে খামোখা আর মোহাম্মদ আর তার কোরান নিয়ে মাতামাতি কেন ?
@ভবঘুরে,
হয়তবা আমার প্রবলেম যে আপনাকে হয়ত বোঝাতে পারিনা। কে কার থেকে উন্নত সেটা কোথাও বলিনি, বরং বলেছিলাম যিনি রসুল তিনি খোদা,মুর্শিদ সেই হয়। (লালন) আবার কোরান বলছেঃ তোমরা আল্লাহ ও তার নবী রাসুলদের সহিত পার্থক্য করিওনা। তাহলে কি দাড়ালো? মানে সবাই সমান। আপনে যাকেই ধরেন কোন সমস্যা নাই। তবে ধরতে হবে একজনকে।
আর এতে বিন্দু মাত্র কোনই সমস্যা নাই যে আপনে কারে ধরলেন। আপনে লালনের ঐ আদর্শ নিন, বা নজরুলের মত তরুন হন, বা সামসেত্তাব্রীজ অনুসারী হন তবে এই ধরনের মহামানবের অনুসারী হন যারা মানুষ বানায়, তথা কোরানের মতেঃ আর রহমান, আল্লামাল কোরান, খালাকাল ইনসান, তথা এমন একজন মানুষ যিনি কোরান শিক্ষা দেন, জীবাত্না থেকে ইনসানিয়াত আত্নায় রুপান্তর করেন। সেইরকম হতে হবে।
ধন্যবাদ।
@Russell,
আপনার ব্যাতিক্রমধর্মী কথাবার্তা ধরা একটু কষ্টকর। ধন্যবাদ আপনার জবাবের জন্য। আপনি আপনার ধর্মবিশ্বাস একটু গুছিয়ে আলাদা পোষ্ট দিতে পারেন, মনে হয় আপনার বিশ্বাস সনাতন মুসলমান ধ্যান ধারনা থেকে বেশ ভিন্ন।
যা মনে হল সুফীবাদের উপর অথেন্টিক বই পুস্তক অন্তত বাংলাদেশের বাজারে নেই।
কৌতূহল হল, লালন কি সুফি ইসলাম পালন করতেন??
আমার একটা ভাসা ভাসা সাধারন ধারনা আছে যে সুফিবাদী মতবাদ বেশ শান্তিপূর্ন মতবাদ, যদিও সনাতনী ইসলামের কাছে রাজনৈতিকভাবে টিক্তে পারেনি।
পাগলামীকে গৌরবান্বিত করার নাম সুফিবাদ।
সূফী আর মডারেট মুস্লিম এবং তাদের যারা গ্লোরিফাই করে তারা মৌলবাদীদের চাইতেও ভয়ানক। আজমীরের মইনুদ্দীন চিস্তি বা শ্রীহট্টের শাহ জালাল – সব বিখ্যাত সূফীরা আগ্রাসী মুসলিম সম্রাটের লেজুর হয়ে এসে মন্দির ভেংগে তার ওপর মসজিদ বানিয়ে ধরমান্তরের অভিযান চালিয়েছেন। সূফীদের বরতমান অবতার হলেন মডারেট মুসলিম এবং সূফী প্রেমী কিছু অমুসলিম। সূফীদের মতন এদের কাজ হল ইসলামী অত্যাচার বা মৌলবাদী কাজকরমের সাফাই গাওয়া, কুরানের হিংসামূলক আয়াতগুলিকে আড়াল করা ইত্যাদি।
@মিয়া সাহেব,
আপনে বড্ড হাসালেন 🙁 যেমনটি হত সেই ছোট কালে বাংলা ছায়াছন্দ দেখার সময়, না হাসি আসে, না কান্না, না রাগ।।।।কি বলব? আপনার কোন ধারনাই নাই, সুতরাং কিছু বলেই লাভ নাই। যেমন ধরুন ১বছর শিশুকে যদি আপনে আপেক্ষিকতার সংগা দেন তাহলে যেমন হবে আপনাকে সুফিবাদ সম্পর্কে বললে তার থেকেও বেশি হাস্যকর হবে।
যাইহোক ভাল থাকবেন।
@মিয়া সাহেব,
আপনার মন্তব্যটি সম্পূর্ণই রিপিট করলাম এ জন্যে যে, সংক্ষেপে এটাই হল এই বিষয়ে সকল তর্কের শ্রেষ্ট উত্তর বা সারমর্ম ।
@মিয়া সাহেব,
যার সূচনা ঘটিয়েছিলেন মুহাম্মদ কাবার সব মূর্তি ভেঙ্গে আল্যার রাজত্ব কায়েমের মধ্য দিয়ে।
@মিয়া সাহেব, দারুন মন্তব্য। :yes:
বাংলায় একটা প্রবাদ আছেঃ “বিসমিল্লাতেই গলদ’-শুরুতে ভুল; বীজগণিতের সূত্রই ভুল, অংক মিলবে কি? অনেকটা গাছের গোড়া কেটে আগায় পানি ঢালার মত এক অবস্থা। অনেক উদাহরনই দেয়া যায়। যাইহোক কথা হল এই জোকার নায়েক ইউসুফ মিয়া টাইপের সংগা দিয়ে আপনে যদি ইসলামকে যাচাই করেন তাহলে আপনাদের এই চর্চা সত্যি দুঃখজনক। আপনারা জোকার নায়েক মিয়ারে বয়কট করেন, তাকে ভন্ড বলেন, তার যাবতীয় কথা বার্তা থেকে নিজে দুরে থাকুন, কেউ জিজ্ঞাসা করলেও তাকেও বলুন পারলে। এইভাবে একচেটিয়া ঐ উল্লুখটার কথার উপর বেজ করে আপনে সরাস্রি আল্লাহ, নবী সব ধরে নিজের ঐ ভন্ডের কাতারে নামায় আনলেন? সত্যি দুঃখ জনক। দাড়ি টুপি পড়লেই কি আলেম তথা কোরান জ্ঞানে জ্ঞানী হয় নাকি? আপনারা বলতে পারেন, আমরা মাদ্রাসা শিক্ষা চাইনা, আমরা এই ধরনের যুক্তিহীন কথা চাইনা। কোরান পড়ে নিম গাছে আমের ফলন ফলাতে চাইনা। নিশ্চয়ই একটি ধর্ম গ্রন্থ এত বাজে হতে পারে্না, তাহলে ইহার ব্যাখ্যায় গন্ডগোল আছে। ব্যাখ্যা তফসীর, শানে নজুলত আর আল্লাহর তরফ থেকে নাজেল হয়নাই, তাইনা? তাহলে সমস্যা আগে কোথায় সেটা বের করেন। কোরানেত বলছে চার আসমানী কিতাবের উপর বিশ্বাস আনতে হবে। যদি কোরান না বুঝেন বাকি গুলো পড়েন। সেখানে কি লেখা?
যাইহোক শরিয়তের পরিভাষায় কাফের শব্দের অর্থ হল যে সত্য প্রত্যাক্ষান করে। আসুন একটু এইটা নিয়ে ভাবি কিছু সময়। সত্য যে প্রত্যাক্ষান করে, তাহলে সত্য কি সেটা আগে জানতে হবে, তাইনা? জানার পরে সেটা প্রত্যাক্ষান করার বিষয় আসবে, তাইত? সত্য জানা মানে বাস্তবে আপনে দেখে শুনে জানার পরে তাকে অস্বীকার করলেন, তাহলে হল কাফের। ঠিক আছেনা? শরিয়ত যদি নেই। সৃষ্টি কর্তা এক ইহা কে বা কোন জাতি অস্বীকার করে, বলেন? সকলেই মানে এক বলে একটা কথা আছে। কেউ ভগবান, কেউ ঈশ্বর, কেউ খোদা কত কি নামে ডাকে। তাহলে দাড়াল ঈশ্বরকে দেখার পরে কেউ যদি বলে আমি মানিনা তাহলে তাকে কাফের বলা হবে। ঠিকাছেনা? নয়ত সত্য প্রত্যাক্ষান করল না মিথ্যা প্রত্যাক্ষান করল সেইটা জানতে হবে।
আসুন একটু তলিয়ে দেখিত শরিয়তের বাইরে। আল্লাহ বলছেনঃ কুলুবুল মূমীনুন আরশাল্লাহু। অর্থাত মুমীনের দেল হইলে আল্লাহর আরশ। তথা আল্লাহ মানুষের ভিতরেই। এইবার আসুন কোরান কি বলছেঃ ওয়াল্লাহু মুহিতুম বিল কাফেরি্ন-তথা আল্লাহ কাফের দ্বারা আবৃত।(সুরা বাকারঃ১৯ এর শেষাংশ) তাহলে কি দাড়ালো? পরম শক্তিমান, সর্ব শ্রেষ্ট আল্লাহই দেখি কাফেরদের দ্বারা আবৃত হয়ে আছেন। মানুষ কাফের নয়, মানুষকে কাফের বলনা। ইহা নবী (সাঃ) এর কথা। আমার না। আপনারা কই থেকে কি পাইছেন সেইটা আমার দেখার বিষয় না। কেননা ঐরকম রকমারি ২নং ব্যাখ্যা হাদিস নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নাই। বিষয়রাশি বা বস্তু রাশিকনা যা মস্তিষ্কে প্রবেশ করে, এবং তা মানব মনে অহঙ্কার সৃষ্টি করে। অতপর সে আমিত্বের সাগরে ভাসতে থাকে। ইহাই পতন। নিজের ভিতর এক পরম সর্ব শক্তি মান আল্লাহকে বাদ দিয়ে তখন সে বস্তু বিষয়ের পুজা শুরু করে দেয়, তাই আল্লাহ বলছেন তুমি তোমার ভিতরের সমস্ত ্কাফেরকে হত্যা কর, জেহাদ কর। জেহাদ অর্থ জেহদে আকবর তথা বড় জেহাদ যা নফসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। অস্ত্র, ঢাকঢোল, যুদ্ধ খুনাখুনি জেহাদ কোরানে বলেনি। রুপক বুঝতে ভুল হয়েছ।
যাইহোক এখন আপনার দেয়া আয়াত গুলোকে একটু ভাংগুন। দেখুন মিলে কিনা। না পারলে আমি পরে আপনাকে ব্যাখ্যা দিয়ে দিবনে।
ধন্যবাদ।
@Russell,
এই ‘সত্য’ ব্যাপারটা পরিষ্কার করলে ভাল হয়। আপনার ২ নং দর্শন আর সাহিত্য দিয়ে পেঁচিয়ে হযবড়ল করবেন না। সোজা বাংলায় বলবেন।
@নিশাচর,
একদম খাটি এক নম্বর সত্য হল মানুষ। মানুষের উপরে কিছু নাই। তথা মানুষের ভিতরেই এক খোদা। আর এক খোদা যখন সকল মানুষের ভিতর তাহলে মানুষও এক। আল্লাহকে এক চিন্তা সবাই করবে, কিন্তু ্মানুষকে এক কয়জন ভাবতে চায়?
আচ্ছা একবারে সহজ ভাষায় বলিঃ আল্লাহ আপনার আমার সবার মস্তিষ্কে আরশ বানায় বইসে আছে। এখন ইহা না আপনে বুঝতে পারছেন, না আমি বা আমরা। কারন হল সুরা বাকারা এর ১৯ শেষাংশঃ আল্লাহ কাফের দ্বারা আবৃত। তথা আমিত্ব, অহংকার, “অদৃশ্য বিষয়বস্তু” তথা বস্তুর প্রতি লোভ, লালসা, মোহ, কামনা ইত্যাদি আমাদের মন-মস্তিষ্কে প্রবেশ করে ঐ স্থানকে কলুষিত করে দিয়েছে। আপনার রাজত্যে তথা দেহ-ভুবনে লোভ,লালসা,মোহ ইত্যাদি প্রবেশ করে বসে আছে। তাই কোরান বলছে তোমরা যুদ্ধ কর যত সময়না ঐ সকল বিষয়বস্তু তোমার মস্তিষ্ক হতে বিদায় না হয়, তারা দখল করে আছে, তোমাকে তোমার ্রাজ্য হতেই তারা বিতাড়িত করে দিয়েছে। তাই তুমি রাজা হয়েও প্রজা হয়ে আছো। এই বস্তু জগত হল দেহ জগতের আর এক রুপ। দেহের উপর কন্ট্র্ল হারিয়ে যায়, মানুষ অধিক ভোগবাদি হয়ে পড়ে। মন-মস্তিষ্ককে শুদ্ধ কর, পবিত্র কর, মহান কর। আর এর জন্য ঐ সকল বিষয় রাশির সাথে তথা কাফের যা তোমার ভিতর সত্যকে ঢেকে রাখছে তাদের সাথে যুদ্ধ কর, ওত পাতিয়া থাক, সর্বদা অস্ত্র তথা জ্ঞান নিয়ে চৈতন্য থাক, তাদের ধর, তাদের বাধো, তাদের হত্যা কর, তাদের সাথে কোন সমঝোতায় যেও না, ফিতনা অপেক্ষা হত্যাই শ্রেয়।
মানুষ কখনো কাফের হয়না, নবী (সাঃ) এর হাদিসঃ কখনো কোন মানুষকে দেখিয়ে বলনা কাফের। কেননা কে কেমন সেইটা আল্লাহই ভাল জানেন।
আর আপনারা বইসে বইসে কোরান পইড়ে, উল্টায় পাল্টায় গবেষনা কইরে এইসব পাইছেন? মোল্লাদের রোগ আছে, বাতিক আছে, তারা সত্য বিমুখ, অথচ আপনারাও শিক্ষিত হয়ে আপনারাও যদি।।।।।
লালন বলছেনঃ
সহজ মানুষ ভোজে দেখনারে মন দিব্যজ্ঞানে
পাবিরে অমুল্য নীধি বর্তমানে।।
সব থেকে মূল কথাই হল এই সহজ মানুষ ধরা, একজন অভিভাবক ধরতে হয়, এই পৃথিবীতে আসতেও অভিভাবক দরকার, যাইহোক এতদুন না যাই। সুতরাং কোরান জ্ঞান নিতে , বাস্তব সেই জ্ঞান নিতে অবশ্যই একজন গুরুর কাছে যেতে হবে।
অনেক ্লিখলাম, খুব সহজ ভাষায়, দেখুন হয় কিনা।
ধন্যবাদ
@Russell,
আপনি কি pantheist, অর্থাৎ সর্বেশ্বরবাদী?
@রৌরব,
সর্বেশ্বরবাদী – শব্দটি ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা ভাই, আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
@Russell,
উইকিপিডিয়া থেকে কপি মারলাম:
“Pantheists are ‘monists’…they believe that there is only one Being, and that all other forms of reality are either modes (or appearances) of it or identical with it.”
উপমহাদেশের দর্শন গুলির মধ্যে ধরেন অদ্বৈতবাদ, যাঁরা মনে করেন ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান। এই গোত্রের দর্শন গুলির কথা বলছি (এদের মধ্যে বিভিন্ন পার্থক্যগুলির কথা আপাতত বাদ রেখে)।
@রৌরব,
হুমম বুঝলাম। ধন্যবাদ।
একটা জিনিস বুঝতেছিনা আমার আপনার এই লেখাগুলো ঝাপসা দেখাচ্ছে কেন?
আর এক ঈশ্বরইত সর্বত্র। ইহাই বিশ্বাস করি। এক শক্তি। কেউ বলে ভগবান, কেউ বলে আল্লাহ, কেউ বলে খোদা, কেউ বলে নিরঞ্জন, কেউ বলে ঈশ্বর, কেউ গড, যে যে যার যার ভাষায় যযার যার রুপে গুনে তাকে সাজায়, মহত করে, নিচে নামায়। কিন্তু সেই শক্তির কি আসে যায়? কেউ এখানে তাকে গালি দিচ্ছে, কেউ তার পুজো করছে? তার কিছুই যায় আসেনা।
সে বলে আমারে ডাইকে লাভ কি? আমিত তোমার ভিতরেই। তোমারে ডাক, তোমারে ভাল কর, আর একজন মানুষের ভাল কর, আমিত নিরপেক্ষ, আমিত শেষ সময় এসে শুধু বিচারের ফয়সালা দিব। আমার কাছে অপরাধ করার কিছুই নাই, তুমি কি কাউরে হত্যা করেছ? কারো ক্ষতি করেছ? তার কাছে যেয়ে বল। সেত আদালতে বিচার জানিয়েছে, আমিত শুধু সত্য মিথ্যা শুনে বিচার করব, হয় শাস্তি নাহয় শান্তি। শেষ।
যাইহোক কথা একটু বেশি বলি আমি। উপরে এত ঝগ্রা বিবাদ কত দলিল পেশ করা হচ্ছে, কিন্তু নিজেদের খবর নাই।
ভাল থাকবেন
এই কমেন্ট ব্লকে russel এর করা প্রথম কমেন্টে পজিটিভের থেকে নেগেটিভ রেটিং ৫টি বেশি পড়েছে। তাই প্রথম কমেন্ট সাময়িকভাবে hide হয়ে গিয়েছে, আর থ্রেডটি ঝাপসা হয়ে গিয়েছে। ঝাপসা ভাবটি কমিয়ে দিলাম, পড়তে কোনো সমস্যা হবার কথা নয়। প্রথম কমেন্টে দেখাচ্ছে: “”Hidden due to low comment rating. Click here to see.”” বুঝতেই পারছেন যেকেও চাইলেই কমেন্টটি দেখতে পারবে।
উপরের দিকে যাযাবর আর একজন নিধর্মীর কমেন্টে হলুদ রং দেখাচ্ছে ঠিক বিপরীত কারণে(হাই পজিটিভ রেটিং)। আবার যদি প্লাস-মাইনাস দুটোই অনেকগুলো পড়ে তাহলে অন্য রং দেখাবে।
একই কমেন্টে একাধিকবার বা নিজের কমেন্টে রেটিং দেবার সুযোগ নেই।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আমিও তাই দেখেছিলাম, কিন্তু এটা কি এই মুহূর্তে কাজ করছেনা? পরীক্ষা করার জন্য সফল ভাবে নিজের একটা কমেন্টে রেটিং দিয়ে দেখলাম কাজ হচ্ছে।
@রৌরব,
ঠিকইতো কাজ করছে। আপনি কি অন্য পিসি থেকে রেটিং দিয়েছেন? ব্যাপারটা আই.পি অনুসারে কাজ করে।
@রামগড়ুড়ের ছানা, আচ্ছা তাহলে তাই হবে।
@Russell,
:laugh: হ্যাঁ আমিও চোখ-টোখ ডলে পরে রামগড়ুড়ের ছানা যে কারণ টা লিখেছে সেটা ধরতে পারলাম প্রথম মন্তব্যের রেটিং দেখবার পরে।
@Russell,
হমম…আপনার লেখাটা পড়লাম। খুবই কৌতুহলোদ্দীপক। প্রথম দিকে “আর এক ঈশ্বরইত সর্বত্র। ইহাই বিশ্বাস করি।” থেকে বোঝা যাচ্ছে আপনি সর্বেশ্বরবাদী। কিন্তু পরে আবার “বিচার”-এর কথা তুলছেন দেখে ভড়কে গেলাম, এটা নতুন জিনিস। বিচার-টিচারে বিশ্বাসটা সাধারণ যারা ঈশ্বরের সৃষ্টিকর্তা-শাসনকর্তা মডেলে বিশ্বাস করেন তাদের ব্যাপার (যেমন প্রথাগত খ্রীস্টান ও মুসলিমরা)। মনে হচ্ছে আপনি একটা জগাখিচুড়ি ধরণের সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করছেন।
করছেন, ভাল কথা, আপনার বিশ্বাস আপনার কাছে। কিন্তু আপনার বিভিন্ন কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে “মোল্লা” ছাড়া বাকি সব বিশ্বাসী আসলে সর্বেশ্বরবাদী, অথবা “মোল্লা” কর্তৃক বিভ্রান্ত। এটা নিতান্তই আপনার গায়ের জোর। সব ধর্মেরই অধিকাংশ লোকই সৃষ্টিকর্তা-শাসনকর্তা মডেলে বিশ্বাসী। তাদের বিশ্বাসের উপর আপনার নিজের বিশ্বাস প্রক্ষিপ্ত করাটা ঠিক নয়।
আপনাকে একটা দু-একটি প্রশ্ন করি, উত্তর দিলে বাধিত হব। আপনার মতে আল-কোরান একটি সর্বেশ্বরবাদী বই। এটা কি এই বই পড়লে যে কেউ সহজেই বুঝতে পারবে? দ্বিতীয়ত, সর্বেশ্বরবাদের কোরানই কি শ্রেষ্ঠ প্রকাশ? ঈশোপনিষদের সাথে কিভাবে এটিকে আপনি তুলনা করেন? [ঈশোপনিষদ মাত্র ১৮ লাইন, ওয়েবে সঠিক ইংরেজী অনুবাদ সহজলভ্য]
@রৌরব,
না ভাই। আমি মুসলিম ঘরে জন্ম, তাই মোল্লা সম্পর্কে একটু বেশি বলে ফেলি , কেননা চারিপাশে এদেরকেই বেশি দেখি, আর এখানেও বেশিরভাগ মুসলিম সম্পর্কে জ্ঞা্ত মানুষ বেশি, আর বেশি মুসলিম তাই মোল্লা বলাটাই বেশি বোধগম্য। তবে আমি জানি, বিশ্বাস করিঃ মোল্লা দিয়ে যেমন মুসলমান ইসলাম এর জ্ঞান পাওয়া যায়না, তেমনি ঠাকুরকে দিয়ে সনাতন পাদ্রী দিয়ে খ্রীষ্টান এর জ্ঞান পাওয়া যাবেনা।
জগাখিচুরি লাগবেই, আসলে বিষয়টাই এমন। যদি শুধু মানুষকে এক ভাবাব যায়, মানুষ ও প্রকৃতির প্রেম করা যায়, উন্নতি করা যায় নিজের জ্ঞান দিয়ে তাহলেই হয়। ধর্ম ইহা পরের বিষয়, না জানলেও হয়। তাই বলেছিলাম আল্লাহকে ডাকতে আল্লাহ কোথাও বলেনি। যদি মুখে সামনা সামনি শুনতেন তাহলে আরও ভাল করে বলা যেত। সে যাইহোক।
অবশ্যই ইহা সর্বেশ্বরবাদী বই। না যে কেউ সহজেই কেন হাযার চেষ্টা করেও পা্রবেনা, যদি না কেউ সহজ মানুষের কাছে যেয়ে তা শিক্ষা না নেয়, তথা এই বিষয়ে জ্ঞানী। না ইহা একমাত্র শ্রেষ্ট কিতাব নয়। নবীজি (সাঃ) নিজেও বলেছিলেনএই কোরান সব নয়। তাই তার সময়ে এই কোরান লিপিবদ্ধ নিয়ে তেমন কিছুই হয়নি। তিনি মাঝে মাঝে ইশারা দিয়েছিলেন হয়ত সংগ্রহের, তবে এই নিয়ে মাথা ব্যাথার কিছুই নাই সেইটাই আসল আদেশ ছিল।
হাদিসে আসছেঃ জ্ঞান অর্জনের জন্য তোমরা পারলে চিন দেশে যাও। যদিও আলেমরা , সৌদি বাদশারা এসব মূল্যবান হাদিস জাল বলে সরায় দিছে। তাদের বাপ দাদার ধর্মত তাই। যাইহোক উনি যেখানে নিজে বেচে আছেন, তার সাথে কোরান অনেক ওহী নাজেল হয়ে গেছে, সামনে আরও ওহী আসবে, তারপরেও তিনি বলছেন যাও, যদি অন্য কোথাও কিছু পাও তার জন্য তোমাকে যেতে হবে, জেনে আস। আমারটাই সব না। এই হাদিস, কোরান সব না। আপনে যেই ভাষা,যেই ভাব বেশি ভাল লাগবে সেই ভাষায় যদি কিছু পান জ্ঞান এর তাহলে তাই নিন। কোন সমস্যা নাই। আপনে যদি মনে করেন মোহাম্মদের কথা ভাল লাগেনা, তাতেও সমস্যা নাই। তবে তার মতে আমি না হলেও আর একজন জ্ঞানীর হাত ধর। যে তোমাকে শিক্ষা দিবে মানবাত্নার।
আপনার শেষ কথাটা বুঝতে পারিনি, তাই উত্তর দিতে পারিছিনা, দুঃখিত।
@Russell,
অর্থাৎ গুরুবাদ। স্বীকার করছেন আপনার মতামত যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠাযোগ্য নয়, তাহলে কি দিয়ে আমাদের প্রত্যয় উৎপাদনের চেষ্টা করছেন? দূরপাল্লার সম্মোহন দিয়ে নাকি?
আপনার এই স্বীকারোক্তির পরে আমার আর কোন কথা নেই।
এই আয়াতের সাথে অবশ্যই নিচের দুটো আয়াতও পড়বেন:
60:8-9
ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন।
আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম।
@এন্টাইভন্ড,
আপনার প্রথম মন্তব্যের সঙ্গে এই পোস্টের কোন সম্পর্ক নেই। এখানে অবিশ্বাসীদের কথা বলে হচ্ছে যারা জন্ম ব্যাতীত (অবিশ্বাসী হয়ে জন্ম নিয়েছেন এটাই ইসলামী স্বৈরশাসন ব্যবস্হায় তাদের অপরাধ) কোন অপরাধ না করেই নেতিবাচক আচরণের স্বীকার হচ্ছেন। তারা কোন অত্যাচারও করেন না; আমার আপনার ধর্ম নিয়ে মাথাও ঘাটান না। কিন্তু ইসলাম তাদের ঘৃণা করে। বিভিন্ন আয়াতের রেফারেন্সে সেটা এবং তাদের জন্য ইসলামে যে শাস্তির বিধান রয়েছে তা প্রকাশ করা হয়েছে।
দেখুন যুদ্ধাপরাধীরা অবিশ্বাসী তো নয়ই বরং দুর্বল মুসলমানও নয়। সুতরাং যুদ্ধাপরাধ বা এরুপ বাজে কিছুর সঙ্গে অবিশ্বাসীদের তুলনা চলে না। জাতি এত বছর ধরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারল না আর আপনি তাদের কোপাবেন বলে আশা করেছেন। ঠিক বাস্তবসম্মত হল না। বরং তারাই কোপিয়ে যাচ্ছে, যাবে সত্যের অনুসারীদের। ইসলামী শাসন সেখানে নীরব।
আপনার দ্বিতীয় মন্তব্যটি কুরআনের একটি Contradiction হয়ে দাঁড়াল। আয়াত 60:8-9 দিয়ে অবিশ্বাসীদের সঙ্গে সম্পর্ক করুন এবং পোস্টে উল্লেখিত এবং অন্যান্য অসংখ্য আয়াত দিয়ে তাদের গর্দান কাটুন। বেশ হয় তাহলে!
@নিশাচর,
১. আপনার পোস্টের শিরোনাম হলো: কোরান/ইসলাম মানবজাতিতে বিভাজন আনে কি না…
আমাকে একটু বলেন, কোরান/ইসলাম আসার আগে মানবজাতি কি অবিভাজিত ছিলো?
যদি না-ই থাকে, (তা যে ছিলো না, তা তো ইতিহাস থেকে প্রমাণিত), তাহলে এই শিরোনাম কেন?
২. কোরান/ইসলাম আসার আগে গোটা মানবজাতি কী পরিমাণ বিভাজিত ছিল, তা তো নিশ্চিতভাবে বলা আমার পক্ষে সম্ভব না, কিন্তু এইটুকু আপনাকে বলতে পারি, শুধু মদীনাতেই সেসময় অনেকগুলো গোত্র ছিলো, যার ভেতরে ১২টা ছিলো প্রধাণ।
৩. এই ১২টা গোত্রের প্রধাণেরা নিজেদের স্বার্থেই মুহম্মদ স.-কে প্রধাণ মধ্যস্থতাকারি হিসেবে আমন্ত্রণ জানায়। মুহম্মদ স. সাথীদের নিয়ে হিজরত করার পর, এখানে গোত্রদের মধ্যে শান্তি স্থাপন করলেন “মদীনার সনদ” গঠন করে। আপনি বিশ্বাস করবেন কি না জানি না, প্রায় একশ বছর ধরে লেগে থাকা যুদ্ধ/অশান্তি আর বিভাজন ডিসকন্টিনউড হয়ে গেল মুহম্মদ স.-এর নেতৃত্বে।
৪. অর্থাৎ, বরং বিভাজিত মাদীনাবাসী একত্রিত হতে পেরেছিলো। এটাকে আপনি কীভাবে দেখেন, আমার জানার ইচ্ছা আছে।
৫. আমার প্রথম মন্তব্য ছিলো, এই কথাকে সামনে রেখে যে এমনকী যদি মানবজাতি এক ও অভিন্ন থাকেও, তাহলেও কি সেই অখন্ডতার স্বার্থে আপনি ন্যায় কোনো স্টেপ নেবেন না? আপনি অত্যাচারিত হলে আরো অত্যাচারিতের সাথে গ্রুপ করে প্রতিবাদ করবেন না? পাকিস্তান থেকে আপনি/আমি আলাদা হলাম, আক্ষরিক ভাবে একটা দেশকে দুইভাগে ভাগ করলাম, সেইটা শুধু অখন্ডতার স্বার্থে সেইটা অবৈধ হবে?
________________________
আমার দ্বিতীয় মন্তব্যে আপনি কন্ট্রাডিকশনের কথা বলছেন।
আয়াতগুলো আবার দেখি,
১. “মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহ্র সাথে তাদের কোন সম্পর্ক থাকবে না।” — সূরা: ৩ (আল-ইমরান, মদিনা); আয়াত: ২৮
এই আয়াতের সাথে অবশ্যই নিচের দুটো আয়াতও পড়বেন:
60:8-9
ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন।
আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম।
আপনি ঠিক কোন সেন্সে এটাকে কনট্রাডিকশন বলছেন আমি জানি না, কিন্তু আমার কাছে ব্যাখ্যামূলক মনে হয়েছে।
যাহোক, ধন্যবাদ।
@এন্টাইভন্ড,
আয়াত ৩-২৮ এ বলা হয়েছে কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করতে। মানে সমান মর্যাদা না দিতে। আয়াত 60:8-9 এ বলা হয়েছে যারা মুহম্মদকে ধর্মপ্রচার বাধা দেয় নি তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে। সদাচরণ ও ইনসাফ তো দাস দাস দাসীদের প্রতিও করতে বলা হয়েছে। পোষা কুকুর বিড়াল এর সঙ্গেও তো সদাচরণ করা যায়। এউ দুই আয়াত থেকে এটা বেরিয়ে আসল না যে কাফিরদেরকে সমমর্যাদা দেয়া যেতে পারে। সেটাই মূল কথা। কুরাণের কোথাও সেটা নেই। আর মুহম্মদের ইসলাম প্রচার তো আক্রমণাত্মকই ছিল বরাবর। কাজেই 60:8-9 সেই কাফেরদের কথাই বলা হয়েছে যারা মুহম্মদের আগ্রাসনকে প্রতিরোধ না করে, ইসলাম গ্রহণ না করে, জিযিয়া কর দিতে রাজী হয়েছিল। “ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি” তে এদেরকেই বোঝান হয়েছে। জিযিয়া কর দেয়া মানেই তো তাদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দেয়া, অধমের স্তরে নিয়ে যাওয়া।
@যাযাবর,
আপনি একটা অংশ মিস করেছেন, সেটা হলো:
আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে।
বন্ধুত্ব নিষেধ কেবল তাদের সাথে যারা
১) ধর্মের ব্যাপারে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে
২) মুসলমানদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে
৩) বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে।
কোরান এ ব্যাপারে স্পষ্ট করেছেন এখানে। সুতরাং, যদি কেউ এই তিনটি কাজের সাথে জড়িত না থেকে, তাকে বন্ধু বানানোতে কোনো নিধি-নিষেধ নেই।
@এন্টাইভন্ড
ভাইজান,
মোহাম্মদ বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সমঝোতা করে ঐক্য এনেছিলেন এটা আমরা স্বীকার করি আর সেকারনে আমরা তাকে একজন মহান জাতিয়তাবাদী নেতা হিসাবে ভীষণ সম্মান ও শ্রদ্ধা করি। কারন একমাত্র তিনি সক্ষম হয়েছিলেন অর্ধ সভ্য ও গোষ্ঠি বিভক্ত আরবদেরকে ঐক্য বদ্ধ করতে। কাজটা ছিল সত্যিই কঠিন।আর সে কাজটি করতে আধুনিক যুগে জাতিয়তাবাদী নেতারা যেমন জাতীর গৌরবময় ইতিহাস, ঐক্যবদ্ধ জাতির সুফল, ব্যক্তিগত কারিশমা ইত্যাদি ব্যবহার করেন, বা করেছেন বলে আমরা দেখি, যেমন- আলেক্সান্ডার, বিসমার্ক, হিটলার, জর্জ ওয়াশিংটন, কামাল আতাতুর্ক, মহাত্মা গান্ধী, জিন্নাহ এমন কি আমাদের বঙ্গবন্ধু সেখ মুজিবুর রহমান। মোহাম্মদ সেখানে নিজেকে নবী বলে দাবি করে কাজটি করেছেন, আর ব্যবহার করেছেন আল্লাহর বানীরূপ ( আসলে নিজের বানী) কোরানকে। এটাই হলো তফাত। আসলে সেই ১৪০০ বছর আগেকার অর্ধ সভ্য আরব দেরকে এ কৌশল ছাড়া অন্য কোন উপায়ে ঐক্যবদ্ধ করা যেত বলে মনে হয় না। সে যাহোক, মোহাম্মদ অতীব বুদ্ধিমান, চতুর, কৌশলী, দূর দৃষ্টি সম্পন্ন একজন জাতিয়তাবাদী নেতা হিসাবে সত্যি খুব সফল ছিলেন আমরা তার এ কৃতিত্বের জন্য তাকে হাজার বা সালাম জানাই। কিন্তু ১৪০০ বছর পরে তার নবুয়ত্বর বিষয় আর তার কোরান হাদিসের চুল চেরা বিশ্লেষণে তিনি আল্লাহর নবী হিসাবে আর উত্তীর্ন হতে পারছেন না বলেই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে। এটাই মূল বিষয়। অন্য কিছু না।
@ভবঘুরে,
অর্ধ সভ্য ও গোষ্ঠি বিভক্ত আরবদেরকে মুহম্মদ সভ্য করতে ঐক্যবদ্ধ করেন নি। ঐক্যবদ্ধ করার তাঁর একই উদ্দেশ্য ছিল। ইসলামকে প্রতিষ্ঠার জন্য লোকবল সংগ্রহ করা। এতে মাহাত্ম্যের কিছু দেখি না। স্রেফ স্বার্থসিদ্ধির জন্য। শেষ ফল কি দাঁড়াল। বিভক্ত পৃথিবী আরো বিভক্ত হয়ে নতুন এক ধর্ম গজাল, যা সারা বিশ্বের জন্য এক মাথা ব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইহুদী খ্রীষ্টানেরাতো এখনও বহাল তবিয়তে টিকে আছে। কিছু বিবাদমান বেদুইন ট্রাইবাকে একতাবদ্ধ করে বাকী পৃথিবীর কি লাভ হয়েছিল তখন? আরবের মরুভূমিই কি পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু ছিল তখন। চীন, ভারত, দক্ষিণ আমেরিকার সভ্যতা এরা কি ধর্তব্যের মধ্যেই ছিল না তখন? আর পৃথিবীর অন্য জায়গা কি স্বর্গ হয়ে ছিল যে মুহম্মদের মত কোন প্রেরিত পুরুষ প্রয়োজন হয় নি ব্বদ্মান গোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য? যদি তাই তাহলে তো আল্লাহ ঐ সব অঞ্চল থেকেই কোন প্রেরিত পুরুষ আরব মরুভূমিতে পাঠাতে পারতেন দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য। কিছু বেদুইন ট্রাইব এত কি বিরাট গুরুত্বের যে সৃষ্টিকর্তার বিশেষ দৃষ্টি পড়ল তাদেরই উপর, প্রিথিবীর অন্য সব অঞ্চল/মানব গোষ্ঠী ছেড়ে?
@ভবঘুরে, :yes:
উনি সেকালের পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত সফল একজন রাষ্ট্রনায়ক তাতে কোন সন্দেহ নেই। ব্যাবসায়ী,সেনানায়ক, গোষ্ঠীপতি, ধর্মীয় নেতা এ সব গুন তার মধ্যে ১৬ আনাই ছিল, বলা যায় সব ক্ষেত্রেই তিনি সফল।
তাঁর যতই সমালোচনা হোক, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে সেকালের বর্বর আরব সমাজে সমাজ সংস্কারক হিসেবে তার ভূমিকা ব্যাপক। বর্বর বিবাদমান গোষ্ঠিগুলির মাঝের বিবাদ বন্ধ করে তাদের নিয়েই তিনি গড়ে তুলেছিলেন এমন এক সাম্রাজ্যের ভিত যারা পরবর্তিতে শাসন করেছে অর্ধ পৃথিবী।
মুশকিল হয় তার যাবতীয় সব কাজ কারবার কেয়ামত পর্যন্ত অনুসরন করে যেতে হবে ধর্মের নামে এমন ধারনা প্রচার করলে। যুগের পরিপ্রেক্ষিতে তারও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে এই সরল সত্য মুসলমানেরা স্বীকার করতে চান না। সব মহাপুরুষেরই জীবনি থেকে কিছু না কিছু শিক্ষা নেবার আছে। মোহাম্মদের জীবনি থেকেও আছে। তাই বলে অন্ধভাবে সবকিছু মানতে হবে শুধু তিনি ধর্মীয় নেতা বলে এমন ধারনা খুবই ভ্রান্তিময়।
@আদিল মাহমুদ,
মুহম্মদ সমাজ সংস্কারক ছিলেন না। ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহন রায়, স্যর সৈয়দ আহমদ এদের সমাজ সংস্কারক বলা যায়।আরও অনেক উদাহরণ দেয়া যায় বিভিন্ন সমাজে। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করাকেই সমাজ সংস্কার বলে। প্রচলিত ধর্মকে নিষিদ্ধ করে নতুন ধর্মীয় ডক্ট্রিন প্রচার করা সমাজ সংস্কার নয়। ধর্মীয় রাজনৈতিক আন্দোলন বলা যায়। আর এর পেছনে নেতা হবার এক অদম্য বাসনাও ছিল। আর বর্বরতার কথা বললেন। নিরীহ কাফেলার উপর অতর্কিত আক্রমণ করে লুঠ করা এটা কি বর্বরতা নয়? আক্রমণাত্মক যুদ্ধে জয়ী হবার পর যুবতী মেয়েদের নিজের ও সহযোদ্ধাদের মধ্যে তা ভাগ বন্টন করা, এটা কি বর্বরতা নয়? বানু কুরায়যার কুখ্যাত হত্যাযজ্ঞ, ওটা বর্বরতা নয়? বর্বর বিবাদমান গোষ্ঠিগুলির মাঝের বিবাদ বন্ধ করে তিনি সেই ঐক্যবদ্ধ গোষ্ঠীদেরকেই আবার অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিবাদে জড়িয়ে (লেলিয়ে) দিলেন। আর এর জন্য বেঁচে থাকলে গণিমতের মাল (যুবতী অন্তর্ভুক্ত) আর মরলে বেহেশ্তে ৭০ হুরের লোভ দেখালেন।
@যাযাবর,
আমি দাবী করিনি যে তিনি ১০০% পারফেক্ট ছিলেন, বা তার সব উদাহরন আমরা এ যুগে আদর্শ মহাপুরুষের পদক্ষেপ হিসেবে অনুসরন করব। যুগের পরিপ্রেক্ষিতে ওনার বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল, যা এই যুগের দৃষ্টিতে অবশ্যই অমানবিকই বলতে হবে (যদি না সনাতন ইসলামী সূত্রগুলি অনেকের দাবীমতে মিথ্যা না হয়)।
একজন মানুষের শুধু মন্দ দিক টেনে তাকে যেমন নরক থেকে আসা শয়তান বানানো যায়, তেমনি শুধু ভাল দিক হাইলাইট করে ফেরেশতা বানানো যায়।
সব কিছু মিলিয়ে সেকালের আরব বর্বর সমাজে ওনার ভূমিকা সংস্কারক হিসেবে বলা যেতেই পারে বলে আমার মনে হয়, অন্তত ওনার জন্মকালীন সময়ের আরব সমাজ থেকে উন্নত ব্যাবস্থা করেছিলেন বলেই প্রতীয়মান হয়।
@এন্টাইভন্ড,
আল্লার বাণীর মধ্যে হিংসা থাকবে কেন?
কোরানকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে অনেকে বলেন “কোরানে শুধু মন্দ জিনিস খোঁজে বেড়ানো হয় কিন্তু কোরানে অনেক ভালো জিনিস আছে”। কিন্তু সমস্যাটি অন্য জায়গায়- কোরানকে বলা হয় আল্যার বাণী, তাহলে এতে মন্দ জিনিস থাকবে কেন?
আল্লা নামক কেউ মানুষ সৃষ্টি করেছেন তার আনুগত্যের জন্য, এখন মানুষের একটা বড় অংশ তাকে স্বীকারই করছে না আবার তিনি তার আনুগত্যকারী সম্প্রদায়কে নির্দেশ দিচ্ছেন যাতে তারা তার অনানুগত্যকারীদের অনুগত করে, এজন্য প্রয়োজনে যুদ্ধ করে বিশেষ প্রয়োজনে যেখানে পায় সেখানে হত্যা করে ইত্যাদি। আবার যারা ইসলাম গ্রহণ না করবে তারা দোজখে যাচ্ছে। কী হাস্যকর!
@সৈকত চৌধুরী,
কিছু বলতে হবে কি?
পোস্টের মূল কথাটা বুঝি নাই।
আমার যদি মনে হয় যে আমার “অখন্ড” সমাজ একটা অন্যায় করছে, ভুল করছে, আমি সেটার প্রতিবাদ করবো না কি এই জন্য যে তাতে সমাজে “বিভক্তি” আসবে?
আমি যদি অত্যাচারিত হই, তাহলে কি এই জন্য আরো অত্যাচারিতকে নিয়ে, দলিতকে নিয়ে একটা দল করে শক্তিশালী হবো না শুধু এই জন্য যে তাতে সমাজে “বিভক্তি” আসবে?
[প্রসঙ্গক্রমে, এই প্রশ্নেরও জবাব দিবেন যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কি এই জন্য করবো না, এবং তাদের সাথে বন্ধুত্ব বিনষ্ট করবো না, এবং তাদের সাথে কঠোরতা করবো না, এই জন্য যে তারা এখন একটা বিশাল গ্রুপ, এবং তাদের সাথে ক্যাচাল করলে সমাজে “বিভক্তি” আসবে???????? আমি যদি তাদেরকে বাগে পাইলে কোপানো শুরু করি (সরি টু সে), তাইলে কি এটা সেই ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুরতা হবে, যে ভয়ঙ্করতা নিয়া আপনারা বিরক্ত এবং ক্ষিপ্ত হয়া আছেন? এই নিষ্ঠুরতা কি অন্যায় হবে?????????????]
কিছু বলতে হবে কি?
বেশ বড় মন্তব্য করলাম। কেনো গেলনা?
ভাই নিশাচর,
জানিনা আমার এই প্রশ্নটি কে আপানারা কি ভাবে নেবেন। অনেক দিন থেকেই ভাবছি কোরানে ইহুদী ও খ্রীস্টানদের উল্লেখ আছে যারা কাফের বলে খ্যাত। কিন্তু specifically হিন্দুদের কথা, বুদ্ধিস্টদের কথার উল্লেখ নাই কেন? আল্লা তো মহান ও সর্ব জান্তা। চরাচর বিশ্বে কি আছে, কি নাই,কি হচ্ছে, কি হচ্ছে না -সবই ত তাঁর জানা। তাহলে ওই দুটা কাফেরদেরও তাঁর পবিত্র কিতাবে উল্লেখ করতে পারতেন তো ?
কোরানে বর্নিত বিভাজন নীতিমালা হতে বুঝতে পারলাম বাংলাদেশ ও ভারতের লোকেরা অনেক ভাল কারন তাঁরা যদি কোরানে বর্নিত ওই কথাগুলিকে অনুশরন করত তা হলে যুগ যুগ ধরে তাঁরা ও কাফেররা পাশা পাশি বাস করতে পারতনা। তার মানে এই হল তাঁরা পুরোপুরি পবিত্র কিতাবকে অনুশরন করছে না। তাই তাহারা ১০০% মুসলিম না। সুতরাং কোন মুশকিল নাই। বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে সেকুলারিজম আসছে খুবই শীঘ্র। প্রত্যন্ত গ্রাম গঞ্জের সংখ্যা লঘুরা সংখ্যা গুরুদের কাছে লাঞ্ছছিত হবে না। সংখা লঘু ও তাদের সম্পত্তি রক্ষার আইন থাকবে। একই ডালের দুইটা ফুল হয়ে শান্তিতে বসবাস করবে। আহারে কি শান্তি।
@সেন্টু টিকাদার,
“pagan” দের এক কাতারে ফেলা হয়েছে, যতদূর জানি। কাতারটা খুব সুবিধার কাতার না :-)।
কোরানে তৎকালীন আরবে প্রচলিত ধর্মগুলি নিয়ে প্রচুর বলা আছে, কিন্তু দক্ষিণ এশিয়া, মেসো-অ্যামেরিকা, চীন, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকার ধর্মগুলি নিয়ে specific কিচ্ছুটি বলা নেই। হমমমম :-/ ।
@সেন্টু টিকাদার,
আহারে কি আরাম! এটা কি সপ্ন না বাস্তব?
এ জাতীয় বেশ কিছু আয়াত এখানে আছে।
এসবের কিছু আয়াত যুদ্ধকালীন নির্দেশনা হিসেবে বলা গেলেও সব আয়াতই কেবলমাত্র যুদ্ধের জন্য প্রযোজ্য এমন বলা যায় না বলেই আমার পড়ে মনে হয়েছে।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি তো ভাই দেখলাম একটা ব্লগ সাইটে মহা নায়ক হয়ে গেছেন। মানে সুপার হিট হিরো। সাইটটির নাম- সদালাপ। সেখানে দেখলাম শুধুমাত্র আপনার নামেই এক মজাদার বিভাগ খুলেছে- আর আপনার এতদিনকার মুক্তমনা সাইটে করা মন্তব্যের ওপর। মুক্তমনাকে ওরা অবশ্য বদ্ধ মনা বলে। আমার শান্তির ধর্ম ইসলাম পর্ব -২ পড়ে একজন দেখলাম আমাকে নিয়ে কমেন্ট করেছে- ভ্যগাবন্ড বদমাশ ভবঘুরে। এখন ওরা বদর যুদ্ধের ওপর বিশাল একটা থিসিস করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। হেভী মজা পেলাম বিষয়টি নিয়ে। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
@ভবঘুরে,
যার যেমন অভিরুচি, যে ভাবে মজা পায় পাক না? আমি মানবতাবাদী লোক, মানুষের মজা পাওয়ায় কেন বেরসিকের মত বাদ সাধতে যাই? আমি নাস্তিক কিনা এই জাতীয় প্রশ্নে অট্টহাসির কারন বুঝতে খুব উচ্চ মেধা সম্পন্ন মানসিকতা লাগে।
আমার রুচি অমন নয় যে পালটা হিসেবে কার নামে ফ্যান ক্লাব খোলা হয়েছে, কোন পীরের কাছে কাছে আমার বিরুদ্ধে কোট হিসেবে ব্যাবহার করা দেশী পোলা একাধিক বিবি পালনের সমস্যা সমাধানের জন্য আকুল ফরিয়াদ জানিয়েছে, এমনকি হিটলারি কায়দায় কমেন্ট ডিলিটের জন্য বেচারাকে প্রতিবাদে পোষ্ট পর্যন্ত দিতে হয়েছে, কে কার নামে ফোন বিষয়ক কি জালিয়াতির অভিযোগ করেছে, এ জাতীয় কান্ডকীর্তন নিয়ে আসল বিনোদনের পোষ্ট দেই না। মুক্তমনাকেও কোনদিন এ ধরনের ব্যাক্তিগত আক্রোশ বা বিদ্বেষের প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যাবহার কেউ ভাল চোখে দেখবেন না জানি, রায়হান সাহেবের সাথে এখানকার অতীতে যতই সমস্যা হয়ে থাক। অবশ্য অন্য যায়গায় দিলে ব্যাপক বিনোদন হবে।
ওনারা যে সময় আমার পেছনে ব্যায় করেছেন তাতেই আমি ধন্য। মজার বিষয় হল আমি ধর্ম বিষয়ে জীবনে কোন পোষ্ট এখনো দেইনি। তাতেই আমার নামে পূর্নাংগ পোষ্ট পড়েছে,সদাশয় সম্পাদক সাহেবও বিনা দ্বিধায় ছাপিয়েও দিয়েছেন। অথছ ঐ সাইটেই আরো বহুজন আছে আল্লাহ নবী ধর্ম তুলে সরাসরি গালাগালি করে,তারা কেউ হিট লিষ্টে পড়েনি। ওটা সদালাপ সাইট বলেই আমি এ নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমার ব্লগে দুইজনকে বলেছিলাম খোলা ডিবেটে আসতে,ওনাদের তা মন:পূত হয়নি টেকনিক্যাল কারনে 🙂 । তারপরেই আমাকে এই বিশেষ সম্মান প্রদান।
যাক, বদরের যুদ্ধ বিষয়েও দেখি আমি আছি। মনে হয় আমি কি চিন্তা করব কি কমেন্ট করব তাও এবার থেকে ওনাদের অনুমতি সাপেক্ষে করতে হবে। দেখি, দেশী পোলার কাছ থেকে পীর বাবাদের কাছে আকুল আবেদন লেখার তরিকা শিখতে হবে। তাতে যদি নাজাত পাওয়া যায়। এখন অবশ্য যথারীতি দেশী পোলাও হয়ে যাবেন “ইসলাম বিদ্বেষী”।
বদর যুদ্ধের মন্তব্যে আমি বেচারার কি দোষ বুঝলাম না। ঐ নিবন্ধের লেখক তো নিজেই বলেছেনঃ
“সীরাত ও চিরায়ত ইসলামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমারা দেখি যে আবু-সুফিয়ানের কাফেলা লুন্ঠন করার উদ্দেশ্যে মুহাম্মাদ (সাঃ) মদিনা থেকে বের হন; কিন্তু তাদের হাতের নাগালে না পেয়ে ঘটনাক্রমে পথিমধ্যে কোরায়েশ বাহিনীর সাথে বদর প্রান্তে মুসমানদের সাথে যুদ্ধ বেধে যায়”
এর পরেই দেখি আবার দায় চাপাচ্ছেন ইসলাম বিদ্বেষীদের উপর।
লেখক তো নিজেই বলেছেন যে সহী ইসলামী সূত্র অনুযায়ীই মুহম্মদ আবু সুফিয়ানের বানিজ্য কাফেলা লুট করতে বের হন। এখন কাকে আমি আক্রমনকারী বলব? আবু সুফিয়ান, নাকি মোহাম্মদ? আর সে দায় আমার হবে নাকি সীরাত ও চিরায়ত ইসলামের ইতিহাস (যার রচয়িতা নিশ্চয়ই আমি নই) এর হবে? ঐ লেখক যদি প্রমান করে দেন যে এই তথ্য ভুল সেটা ওনার কৃতিত্ব। তবে ইসলামী ইতিহাসবিদ গনের ভুলের দায় আমার কেন হতে যাবে?
আধ্যত্মিক সৌন্দর্য্য খোঁজার একটাই পথ-আত্ম দর্শন-নিজের মনের দিকে তাকানো। কোন বই পড়েই তা হয় না। বই এর পঠন-তা যে বই ই হোক না কেন-মানুষকে সেই পথ দেখাতে পারে না-যা আসে একমাত্র আত্মোপলদ্ধির সাথে।
খলিল জিব্রান বা রুমী বা কবীর-এরা কেও কোরান পড়ে সেই জগতে আসেন নি। সবটাই ছিল তাদের উপলদ্ধি। কিন্ত রুমি বা জিব্রান নিষ্ঠাবান মুসলিম ছিলেন। এটাও সত্য।
@বিপ্লব পাল,
উইকিপিডিয়া অনুজায়ি খালিল জিব্রান christian পরিবারে জন্ম।
Gibran was born in the Christian Maronite town of Bsharri (in modern day northern Lebanon) to the son of a Maronite priest.
আমার পরিচিত দুজন লেবানইজ ডাক্তার আছে। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করতে পারি। ৯/১১ এর পরে অনেকে কুরান হাদিস পরে দেখেছে। আমিও বেশি বেশি পরেছি।
@Truthseeker,
খ্রীষ্টানিটির সাথে জিব্রানের সম্পর্ক ভাল ছিল না-তবে হ্যা উনাকে ধর্মপ্রান মুসলিম বলা আমার তথ্যে ভুল। কিন্ত উনি সুফীসাধক দের দ্বারা বিশেষ ভাবে অনুপ্রাণিত ছিলেন-এটাও ঠিক।
@বিপ্লব পাল,
হা।।।হা।।।পারবেন না মোসাই। পারবেন না। তথাকথিত মুসলিম একদিকে যেমন — ইনারাও ঠিক তার উল্টোদিকে—, তবে কেউ যে সত্যের দিকে যাচ্ছেনা, এটা ইনাদের বোঝাবেন কি করে? তবে ইহা সত্য যে পড়তে মজা লাগে। যেমন অতিব আস্তিক নামক আলেম যারা কোরান পড়ে বেগুন গাছে আমের ফলন ফলায় বা মহাকাশে জ্যোতির্বিজ্ঞান খুজে, ভুগর্ভে খনিজ বের করে, আর বাতাসে নিরাকারে অন্ধকারে ঢিল ছুড়ে আল্লাহ আল্লাহ বলে, আর ইনারা ঠিক তার উল্টোদিকে, কোরানে পড়ে মোহাম্মদকে বেধম গালাগালি দিচ্ছে, আল্লাহকে অস্বীকার করে কত কি যেন আবিষ্কার করে ফেলছে তার হদিস নেই। সবাই যুক্তি খাড়া করাচ্ছেন। যেমন জানতে বুঝতে চায়না ঐ ধুরন্দর আলেম দাড়ি টুপি আলখেল্লা পরিহিত ডিগ্রীধারি মোল্লারা, তেমন ইনারাও শুনবেন না, জানতে চাননা। ভেবেছিলাম কিছু যুক্তি কিছু চিন্তার খোরাক দেই, কিন্তু কি আর করা? ইনারাত যা ভেবেছেন, যা পড়ে এসেছেন তা মিথ্যা কিনা সত্য সেইদিকে গবেষনা না করে ঐ মিথ্যাকেই নিয়ে নাড়াচাড়া করে বেড়াচ্ছেন।
যাইহোক ভালই লাগে।
আবার আরেকটি হইল!
আরে ভাই, এই সব সুরাগুলোর সবই হচ্ছে যখন মহম্মদ রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্যে নেমেছেন। ঈশ্বরের নামে সেকালে সবাই রাজ্যের রাজা হত-আর শত্রুদের মুন্ডপাত করত। এটাই ত আদিবাসি গোষ্ঠির ইতিহাস। মহম্মদকে এর জন্যে আলাদা করে দেখার কারন দেখি না। সব রাজা গজাই এই দোষে দুষ্ট।
একটা জিনিস আবার বলি। এই সব রাজনৈতিক সুরার কারনে-যা কোন একটি কারনের জন্যেই “নাজিল” হয়-পরবত্তী কালের ইসলামিক সুফী সাধকরা তাতে বিরক্ত হয়ে ( কারন তারাও বুঝেছিলেন, কোরান ভিত্তিক ইসলাম আসলে রাজনৈতিক কেঁচাল ছারা কিছু না) কিন্ত অখন্ড বিশ্বমানবতার কথাই বলেছেন। ইসলামে যদি সেই মানব ঐক্যের বীজ না থাকত রুমী কেমন করে বলতেন
”
আমি পূবের না, পশ্চিমের না
মুসলমান না, ইহুদি না, খ্রীষ্ঠান না।।
সবার ওপর মানুষ সত্য কিন্ত ইসলামিক সুফী সাধকরাও বার বার বলেছেন। ইন্টারনেটে একটু তাদের কবিতা পরলেই বোঝা যায় তারা মরমীয়া সাধক। কিন্ত মুসলিমরা যদি কোরানের পাঁকে সপ্তম শতাব্দিতে আটকে থাকে, তাহলে দোষটা কার? মহম্মদের না মুসলিমদের? মহম্মদ ত তার কাজ করে গেছেন। এক দুর্বল আরব জাতিকে, একত্র করে তাদেরকে তৎকালীন শ্রেষ্ঠ বস্তুবাদি সমাজে পরিবর্তন করার বীজ ত তিনি রোপন করে গিয়েছিলেন। সুফী সাধকরাও রাজনৈতিক ইসলাম ছেরে সার্বজনীন আধ্যাত্মিক মানবিক পথেই সাধনা করেছেন যার সাথে উপনিষদের দর্শনের পার্থক্য নেই।
তাহলে দোষটা ত আমার মনে হয় মুসলিমদের। কারন আমি ইসলাম অনেক পড়ে বুঝেছি হাতে গোনা খুব অল্প মুসলিমই ইসলামের আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য্যের সন্ধান পেয়েছে। বাকী প্রায় সকলেই আরবের শিম্পাঞ্জীদের মতন কোরান নামক বৃক্ষের পাতা চেবাচ্ছে আর গোটা বিশ্বকে মুখ ভেংচাচ্ছে।
@বিপ্লব পাল,
>আবার আরেকটি হইল!
আরেকটি হওয়া ছাড়া কোন উপায় ছিল না। আমি যে বিষয়ে লিখছিলাম সে বিষয়ের এটার ওপর dependency ছিল। তাই ওটাকে প্রকাশ করার পূর্বে এটাকে প্রকাশ করা জরুরি মনে হল। কিন্তু কুরআন analysis করতে গিয়ে দেখা গেল এটা নিজেই বিরাট একটা পোস্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর থেকে excerpt বের করে লেখার যথেষ্ট সময়ও নেই। তাই আপনাদের বিরক্ত করতে এই পোস্টটা দিলাম। ভবিষ্যতে আরো একবার এই বিষয়ে বিরক্ত করতে পারি।
এখানে দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলায় এই বিষয়ের ওপর strongly supporting আয়াতগুলো একত্র করা।
ইসলামকে মেনে নিয়ে সে সুফির দর্শনই হোক আর আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য্যের সন্ধানই হোক, কোনটাই কার্যকর নয়। অন্যান্য ধর্মের মত শিথীল ইসলাম নয়। ইসলামের ভ্রম অনেক শক্তিশালী। তাই মাঝ থেকে ইসলামী মৌলবাদ লাফ দিয়ে উঠবেই। কুরআনেই এর বীজ আছে লুকানো। সন্ত্রাসের উৎস যেমন এই holy book তেমনি আপনার আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য্যেরও। কিন্তু লোকের psychology দেখতে হবে তো। কজন লালন হয় বলুন আর কজন হয় আমজনতা মুসলমান?
এই আমজনতা মুসলমানরা ততটা উগ্র নন সত্যি। এমনিতে তারা ধর্ম ঘাঁটাঘাঁটি করতে চান না। কিন্তু ধর্ম সমর্থিত অপরাধের ক্ষেত্রে নীরবে/সরবে সমর্থন দিয়ে যান। নিজেরা মিষ্টি কিনেও খান। এর মানে হল ধর্মের অন্ধকার বীজ তাদের মধ্যেও পুঁতা আছে। Crisis-এর সময় তারাও ইসলামী revolution করতে চান। তাই এই brain washing-এর একটা reverse process দরকার।
আপনার আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য্য/ঐক্য খুঁজার জন্য কুরআনের চেয়ে ভাল বই নেই?
@নিশাচর,
:yes: একদম সঠিক বলেছেন। এখনো কিছু লোক ইসলামকে নিয়ে কি যে ভাবে :-Y
@বিপ্লব পাল,
আরেকটা বার বার হোক। আরে ভাই আপনি বুঝতে পারছেন না বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য এটা কতটা জরুরী। যতই ইন্টার্নেট বিস্তৃত হচ্ছে নতুন নতুন পাঠক এই সত্য বাণী জানার, শোনার সুযোগ পাচ্ছে। তারা কোনদিন ই ইসলামের এই অপ্রিয় সত্যের কথা শুনেনি। শোনার সুযোগ দেয়া হয়না, হবে না। এখানেই তা তারা প্রথম শুনছে। আমি আপনি এই সত্য হয়ত অনেক আগেই জেনে গেছি বলে এটা চর্বিত চষ্য মনে হতে পারে, কিন্তু এই নতু প্রজন্মের অনেক তরুণদের জন্য এটা এক নতুন উপলব্ধি,আবিষ্কার। মুক্তমনে রুপান্তরের অনুঘটক, মোড় ঘোরান এক ব্যাপার। এরকম সাক্ষ্য তো এই ব্লগেই আমরা আগে দেখেছি। মুক্ত-মনা গ্রুপেও এডমিনদের চিঠি লিখে এরকম সাক্ষ্য অনেকেই দিয়েছে। সব সময়ে এই নতুন মুখ আসতে থাকবে। তাদের জন্য এই আলোচনা সব সময়ে একটা নতুনত্বের বাতাসই বয়ে নিয়ে আসবে। আবার আমরাও অনেক নতুন তথ্য পেয়ে যাই এই সব আলোচনা থেকে যা আবার আমরা আরও অনেকের কাছে ছড়িয়ে দিতে পারি। এভাবেই বদ্ধ চিন্তাকে হটিয়ে মুক্তচিন্তার আলো ছড়ান, সেটাই তো মুক্তমনার মুখ্য উদ্দেশ্য । এখানে ঢিলা দেয়া মানে যারা বাংলাদেশে সত্যকে চাপা দিয়ে আসছে, তাদের কাছে নতি স্বীকার করা। এটা চালিয়ে যেতেই হবে। যতই তা আপনাদের কিছুর জন্য যা একঘেয়ে,পুনরুক্তিপূর্ণ মনে হোক না কেন। আপনাদের মনোরঞ্জনের চেয়ে বাংলাদেশের বদ্ধ পরিবেশে থাকা লক্ষ লক্ষ তরুণদের সত্য কথা জানান অনেক বেশি জরুরী।
@যাযাবর,
>>
বস্তবাদি সত্য দ্বান্দিক। আমিত লেখাটাতে দ্বান্দিকতার দ ও পেলাম না-ফলে এটাকে আরেক ধরনের আদর্শবাদি সত্যের পর্যায়েই ফেলবো। ধর্মীয় আদর্শবাদের বিরুদ্ধে নিধার্মিক আদর্শবাদ।
@বিপ্লব পাল,
বিপ্লব’দা। এ ধরনের কিছু লিখা লিখলে আপনাদের কথা ভেবে পোস্ট করতে ইচ্ছা হয় না। ইসলামের মুল উৎস কুরান। সেখানে যদি বিভাজনের জোড়ালো বক্তব্য থাকে। তবে তার অনুসারিরা কেন নরম হবে? দেখুন স্রষ্টাই কি বলছেন
সুরা ফাতহ এ
তিনিই তাঁর রসূলকে হেদায়েত ও সত্য ধর্মসহ প্রেরণ করেছেন, যাতে একে অন্য সমস্ত ধর্মের উপর জয়যুক্ত করেন। সত্য প্রতিষ্ঠাতারূপে আল্লাহ যথেষ্ট।
কুরানেই বলা হচ্ছে রাসুলকে সত্য সহকারে পাঠানো হয়েছে, তাই সত্যের ধারক বাহক মাত্রই কুরানের অনুসারীরা। তাদের কাজ হল সকল ধর্মের উপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্যে কাজ করা। এ কাজে মুসলিক বিজ্ঞানীরা যে পথ অনুসরন করে নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন করেছিলেন। সে ধরনের প্রচেষ্টায় সবাই উপকৃত হবে। কিন্তু মুসলিমরাতো মুহাম্মাদের সময়কালের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের স্বপ্নে বিভোর। যার জন্যে তাদেরকে হতে হবে নিমোক্ত বানীর মত। যেখানে বলা হচ্ছে মুহাম্মাদের সংগী সাথীরা অবিশ্বাসীদের উপর কঠোর। এবং তারা কাফেরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করবে।
মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল…
@আনাস,
আপনারা বিপ্লবের যুক্তি ধরতে ভুল করছেন। উনি ধর্মের বিরুদ্ধে বেশী লেখা হচ্ছে বা একই বিষয়ে বার বার লেখা হচ্ছে এমন বলছেন না। উনি যা বলতে চাচ্ছেন তা হলে যে ধর্মের সমালোচনা করতে গিয়ে শুধু কোরান থেকে কিছু আয়াত কোট করে সমালোচনা করে দিলেই খুব উন্নতমানের সমালোচনা হয় না।
সেই সাথে আরো গভীরতায় যেতে হবে, নৃতাত্ত্বিক,সমাজতাত্ত্বিক এমন বেশ কিছু বিশ্লেষন থাকলে লেখার মান বাড়বে। ওনার বা অভিজিতের ধর্ম সম্পর্কিত লেখার সাথে এখনকার লেখাগুলির তূলনা করলে ব্যাপারটা ধরতে পারবেন। দূঃখজনকভাবে ওনারা আর ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করেন না।
@আদিল মাহমুদ,
বুঝলেও সেটা অবান্তর। মান এর কথাই বা উঠছে কেন? নৃতাত্ত্বিক,সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ এগুলি তাত্বিক ব্যাপার স্যাপার, একাডেমিক মহলে বা গবেষণার জন্য ঠিক আছে। যাহোক কেউ তো ঠেকাচ্ছে না এখানে প্রকাশ করতে। অভিজিত বা বিপ্লবকে কি কেউ নিষেধ করেছে? আমার উপরের মন্তব্যে আমি বাংলাদেশের সাধারন তরুন পাঠক দের উল্লেখ করেছি, কুরাণের আয়াতের মানে বিশ্লেষণ করে এর ভুল তুলে ধরা তাদের জন্য এক বিরাট বোধদয়ের ব্যাপার। তাদের জন্য ঐ সব নৃতাত্বিক একাডেমিক আলোচনা অনেক পরে। কুরাণের আয়াত সহজ সরল যুক্তিতেই খন্ডন করে তাদেরকে বোঝান সম্ভব। অন্ধ বিশ্বাসে চিড় ধরাবার জন্য এটাই কার্যকর, নৃতাত্বিক একাডেমিক আলোচনা, তা সে যত উঁচু মানের ই হোক না কেন, মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাবে। তবু সেটাও চলুক, আপনাদের জন্য।
@যাযাবর, :yes:
@যাযাবর,
রিমোট কন্ট্রোল আমার হাতে। কোনও চ্যানেল বিরক্তিকর লাগলে বাটন টিপে পছন্দের চ্যানেল খুঁজে নেয়ার সুযোগ ও অধিকার আমার আছে। আর তাই আমি কবিতার পাঠক নই বলে কেউ কবিতা পোস্ট করলে সেখানে গিয়ে “আবার আরেকটি হইলো” বলে মন্তব্য না করে বরং অন্য কোনও পোস্ট পড়বো।
নৃতাত্ত্বিক, সমাজতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত উঁচুমানের ধর্মীয় বিশ্লেষণের পাঠকসংখ্যা ও কার্যকারিতা বিষয়ে খুব আশাবাদী ধারণা পোষণ করতে পারছি না। তাই যাযাবরের করা দু’টি মন্তব্যের সঙ্গে পূর্ণ সহমত জানিয়ে গেলাম।
ব্যক্তিপছন্দের চাইতে সার্বিক গ্রহণযোগ্যতাই কি লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়?
@যাযাবর,
:yes:
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা উঠলেই হঠাৎ করে কিছু মানুষের পেটে দারুণ ক্ষিদে লেগে যায়। বিচারের আগে ভাত দাও, কাপড় দাও, বিদ্যুৎ দাও, বিচার করে ভাতের সমাধান হবেনা, ইত্যাদি ইত্যাদি। তেমনি ধর্মের সমালোচনায় কোরান হাদিসের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করলেই কিছু মানুষ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, নৃতাত্ত্বিক, সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের দাবি তুলে প্রকারান্তরে ধর্মগ্রন্থকে বাঁচিয়ে রাখার সাহায্যে এগিয়ে আসেন।
আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের পূর্বপুরুষগণ কোনদিন কোরান হাদিসের দিকে সন্দেহের চোখে তাকাননি, যা অনেক আগে থেকেই করা উচিৎ ছিল। আমরা তাকাতে পেরেছি, যা কিছু ভালমন্দ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আমরা সারা পৃথিবীর নতুন প্রজন্মকে জানিয়ে দিব।
@আকাশ মালিক,
দারুন বলেছেন। :yes:
@যাযাবর, :yes:
@আনাস,
ইসলামের মুল উৎস কুরান?
ঠিক এখান থেকেই অবৈজ্ঞানিক চিন্তার শুরু। যেকোন ধর্মই একটি ঐতিহাসিক বিবর্তনের কারনে এসেছে। সেই ঐতিহাসিক এবং সামাজিক কারন গুলিকে চিহ্নিত করতে না পারলে, ইসলাম=কোরান বলে লোকে ভুল করবে।
কোরানে লেখা সব কথা যদি ভালোও হয়, তাও তা কোন ধর্মের উৎস হতে পারে না। কারন ধর্ম হচ্ছে ব্যাক্তিগত জীবনাচরনের আধার-সেটা স্থান কাল ভেদে এত আলাদা হতে পারে-একটি বই লিখে তা কভার করার কথা এক মাত্র গন্ডমূর্খরাই ভাবতে পারে। সমস্যা হচ্ছে অধিকাংশ ধার্মিকের জ্ঞান বুদ্ধু হাঁটুর লেভেলে-তাই তারা ধর্মগ্রন্থকে ধর্মের সাথে সমান করে দিচ্ছে-কিন্ত তার জন্যে নিধার্মিকদের বুদ্ধি ও কি হাঁটুর লেভেলে যাবে?
@বিপ্লব পাল,
সেম্যান্টিক্স নিয়ে অহেতুক বিতর্ক টেনে আনা হচ্ছে। হ্যাঁ, সব ধর্মের মূল হল বিবর্তনের ইতিহাস, কিন্তু সব ধর্মই একটা কিছুকে অবলম্বন করে শিকড় গাঁড়ে, আকৃতি পায়, আর বিস্তার লাভ করে। ইসলামের বেলায় তা কুরাণ, হিন্দুদের বেলায় গীতা, খ্রীষ্টানদের বেলায় বাইবেল ইত্যাদি। ইসলামের মূল উৎস কুরাণ না বলে ইসলাম বা মুসলীমদের শক্তির (ধ্বংসাত্বক) মূলে আছে কুরাণ বললে ঠিক হত। কুরাণ বাদ দিলে ইসলামের কিছুই থাকে না। এটা ইসলামিস্টরা জানে ভাল করেই, তাই কুরাণকে রক্ষা করার এত আপ্রাণ চেষ্টা আর কুরাণের সমালোচনার বিরুদ্ধে এত হিংস্র মনোভাব। ধর্মের মূল উৎস আমাদের আলোচনায় অবান্তর। আমাদের আলোচনার একটাই ফোকাস। সেটা হলে কুরাণ নিয়ে ইসলামিস্টদের বড় বড় বুলি আর দাবীকে যুক্তির দ্বারা খন্ডন করা। যাতে যারা এই কুরাণের অন্ধ প্রেমে হাবু ডুবু খাওয়া লক্ষ লক্ষ তরুণরা প্রথমবারের মত এই কুরাণের আসল ব্যাপারটা জানতে পারে, বা জানতে উৎসুক হয়। তারা এই বিতর্কের মাঝ দিয়েই অনেক না জানা সত্য জেনে যাবে। কুরাণের আয়াতের প্রকৃত মানে, তার অসারতা, স্ববিরোধিতা, অসহিষ্ণুতা ইত্যাদি। সারা জীবন তাদেরকে কুরাণ নিয়ে এক রোমান্টিক ছবি চিত্রিত করে আচ্ছন্ন করে রাখা হয়। স্কুল, বাসা কোথাও কুরাণের সত্যিকার চিত্র জানার কোন সুযোগ নেই। এখানেই একমাত্র ভরসা। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান এদের জন্য এটা কোন সমস্যা নেই, কারণ তাদের সমাজে ধর্মগ্রন্থের সমালোচনা গ্রহণযোগ্য, এর জন্য কাউকে জীবনের হুমকি পেতে হয় না। কিন্তু বাংলাদেশ তথা যে কোন মুসলীম দেশে (এমনকি ভারতেও) এটা একেবারে সহ্য করা হয় না। কুরাণের সমালোচনা করা মানে কল্লা বাড়িয়ে দেয়া। আপনি আশা করি বুঝবেন কেন কুরাণ নিয়ে এত বেশি লেখালেখি হয় এখানে। আপনি তো বুদ্ধিমান মানুষই বটে।
@বিপ্লব পাল,
আপনি যে কথাটা বলতে পারতেন সেটা হল এ ধরনের লিখায় অনেক বেশী গ্রাউন্ড ওয়ার্ক দরকার। লেখকের বক্তব্য পরিষ্কারভাবে আসা উচিত। এবং নিজের বক্তব্যকে ডিফেন্ড করার জন্যে যথেষ্ট পরিমান সুত্র থাকা উচিত। বারবার সামাজিক বিজ্ঞানের দৃষ্টভঙ্গির কথা বলে এ ধরনের লিখার সমালোচনা কতটা যুক্তিযুক্ত তা আমি জানিনা। কারন যে জনসাধারনের জন্যে আপনি লিখছেন। তারা কি ভাবে বা তাদের চিন্তাধারা, বা চেতনার ব্যাপারেও আপনার লক্ষ্য রাখা উচিত। তারা যদি হাটুতে জ্ঞান রাখে (আপনার মতে)। তবে তাদের কাছে মাথার জ্ঞান বোধগম্য হবে না এটাই স্বাভাবিক। একটি জরিপ চালিয়ে দেখুন। পৃথিবীর কোন মুসলিমটি কুরান=ইসলাম মনে করে না। আপনার লিখাই কুরানের দিকে অন্যমাত্রায় তাকাতে আমাকে সাহায্য করেছিল। ইয়াহুতে আমার করা একটা এন্টিমুক্তমনা গ্রুপ আছে। মুক্তমনায় এ ধরনের লিখার জবাব দেবার জন্যে এটা করেছিলাম। সেটা করতে গিয়ে অন্যান্য লিখা আমার পড়া হয়েছিল। জ্ঞান যদিও হাটু থেকে উপরে উঠেনি।
কুরান=ইসলাম সেটার একটা উদাহরন দেই। মহিলাদের দেন মোরহর ব্যাপারটি নিয়ে বাসায় আলোচনা করেছিলাম। যৌক্তিক ভাবেই সেটা প্রমান করেছিলাম যে এর কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। শেষ সিদ্ধান্ত এটা কুরানে আছে। বেশীরভাগের যখন এই মত। তাহলে কেন সেভাবে কাজ করব না?
লেখক মনে হয় মন্তব্য করার অপশন খোলা রাখতে ভুলে গিয়েছিলেন।
ইসলাম বা কোরান গোটা মানুষ জাতিকে দু ভাগে যে বিভক্ত করেছে এটা আসলে আমেরিকার বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্র ধ্বংসের আগ পর্যন্ত এতটা প্রকাশ্যভাবে বোঝা যায় নি।কারন এ ঘটনার পর পরই ব্যপকভাবে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে কোরান হাদিস পড়া শুরু করে ও জানতে চায় তাতে কি লেখা। আর তাতেই মানুষ ইসলামের প্রকৃত স্বরূপ সম্পর্কে অবগত হতে শুরু করে। যদি এমন ব্যবস্থা থাকত যে ছোট বেলা থেকে ধর্মীয় বিশ্বাস মাথার মধ্যে পারিবারিক পরিবেশে ঢুকিয়ে দেয়া না হতো, বড় হয়ে তার পর মানুষকে ধর্ম বেছে নেয়ার অপশন দেয়া হতো, তাহলে কোরান হাদিস পড়ে কেউ ইসলাম কবুল করত বলে আমার মনে হয় না। কারন কোরানের আল্লাহ সত্যিকার অর্থে কোন দয়াশীল স্নেহশীল স্রষ্টা নন, তিনি মানুষকে ভালবাসেন না , পরন্তু প্রচন্ড ঘৃনা করেন, কঠিন শাস্তির ভয় দেখান , এমন কি হত্যা করার হুমকি দেন যখন তখন। এ ধরনের আল্লাহকে ভালবাসার লোক দুনিয়াতে খুজে পাওয়াই দুস্কর হতো তখন।
@ভবঘুরে,
নেট স্লো থাকার কারণে ঠিকমত পোস্ট করতে অনেক সমস্যা হয়েছে। এ জন্য আন্তরিকভাবে দু:খিত।
সত্যময় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।