যে কোন বইয়ের অনুবাদ একশত ভাগ সঠিক নয়। এমনকি যে কোন বইয়ের লিখিত ভাষাতেই লেখক ছাড়া অন্যের বক্তব্য বা ব্যাখ্যা একশত ভাগ সঠিক নয়। এর কারণ অনুবাদের ক্ষেত্রে অনুবাদকের নিজস্ব চিন্তা চেতনা, লক্ষ্য উদ্দেশ্য, পক্ষপাতিত্ব ইত্যাদি কাজ করে। সেই কারণেই কুরানে কোন কিছু ভুল পেলেই কুরানের ডিফেন্ডাররা বলে উঠেন এটা কুরানের ভুল নয়, এটা অনুবাদকের বা ব্যাখ্যা দাতার ভুল, পাঠকের বুঝার অক্ষমতা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কুরানের লেখক তো আজ বেঁচে নেই, এ ক্ষেত্রে অনেকগুলো অনুবাদ থেকে কোনটি সঠিক তা বুঝার উপায় কি?
আমার মতে একশত ভাগ সঠিক কোন অনুবাদই পাওয়া হয়তো সম্ভব নয়, তবে আমরা সঠিক অনুবাদ নির্ণয়ের কয়েকটি মাপকাঠি নির্ধারণ করতে পারি এভাবে-
• অনুবাদক কতটা ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করেছেন।
• মূল শব্দের আলোকে শব্দের অর্থ পেতে অনুবাদকের প্রচেষ্টা।
• সমার্থক শব্দের ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন।
• একই ধরণের বাক্যে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অর্থ না করা।
• যে সময় ও জনগোষ্ঠিকে উদ্দেশ্য করে বইটি লিখা, সে জনগোষ্ঠির জাগতিক জ্ঞান ও বইটি অনুসরণে জীবনাচারের প্রতি অনুবাদকের জ্ঞান।
• অনুবাদকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
• দীর্ঘ সময় ধরে অনুবাদের গ্রহন যোগ্যতা ও লেখকের সমকালীন যুগে অনুবাদ ও ব্যাখ্যা সমুহের গ্রহন যোগ্যতা।
ব্যাপারগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাকঃ
• যে কোন ভাষা শুদ্ধ রুপে লিখতে পড়তে ও বলতে পারার জন্যে ব্যাকরণের শিক্ষা অপরিহার্য। অন্য ভাষার ব্যাকরণের উপর যার যত বেশী দখল। সে ব্যাকরণের সে ভাষা নির্ভুল ভাবে লিখতে ও পড়তে পারে। আর তাই যে কোন অনুবাদের ক্ষেত্রে অনুবাদক ব্যাকরনের নিয়ম যত বেশী অনুসরণ করবেন, তত বেশী বিশুদ্ধ হবে তার অনুবাদ। যেমন ব্যাকরণ না জানা থাকায় এক ব্যক্তি একজন অনুবাদকের ভুল ধরতে পারেন নি। বিস্তারিত নিয়ম আলোচনা না করে উক্ত অনুবাদকের অনুবাদ করা দুটি আয়াতের থেকেই অনুবাদকের কারসাজির উদাহরণ দিচ্ছি।
أَفَمَن زُيِّنَ لَهُ سُوءُ عَمَلِهِ فَرَآهُ حَسَنًا فَإِنَّ اللَّهَ يُضِلُّ **مَن** يَشَاء وَيَهْدِي مَن يَشَاء فَلَا تَذْهَبْ نَفْسُكَ عَلَيْهِمْ حَسَرَاتٍ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِمَا يَصْنَعُونَ (35:8)
•
35:8 (Asad) Is, then, he to whom the evil of his own doings is [so] alluring that [in the end] he regards it as good [anything but a follower of Satan]? For, verily, God lets go astray him that wills [to go astray], just as He guides **him** that wills [to be guided]. [6] Hence, [O believer,] do not waste thyself in sorrowing over them: verily, God has full knowledge of all that they do! –
قُلْ أَيُّ شَيْءٍ أَكْبَرُ شَهَادةً قُلِ اللّهِ شَهِيدٌ بِيْنِي وَبَيْنَكُمْ وَأُوحِيَ إِلَيَّ هَذَا الْقُرْآنُ لأُنذِرَكُم بِهِ وَ**مَن** بَلَغَ أَئِنَّكُمْ لَتَشْهَدُونَ أَنَّ مَعَ اللّهِ آلِهَةً أُخْرَى قُل لاَّ أَشْهَدُ قُلْ إِنَّمَا هُوَ إِلَـهٌ وَاحِدٌ وَإِنَّنِي بَرِيءٌ مِّمَّا تُشْرِكُونَ (6:19)
6:19 (Asad) Say: “What could most weightily bear witness to the truth?” Say: “God is witness between me and you; and this Qur’an has been revealed unto me so that on the strength thereof I might warn you and all **‘whom** it may reach.” Could you in truth bear witness that there are other deities side by side with God? Say…
ব্যাকরণের নিয়ম মেনে বাক্যের মাঝে “মান” শব্দ আসায় এর অর্থ whom করা হয়েছে। যেটা আগের আয়াতে করা হয়নি। এরপরেও আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে পথভ্রষ্ট করেন নাকি যে চায় তাকে পথ ভ্রষ্ট করেন ব্যাপারটি মীমাংসায় আসতে না পারেন। তাহলে চলুন আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি।
رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ (3:8)
3:8 (Asad) “O our Sustainer! Let not our hearts swerve from the truth after Thou hast guided us; and bestow upon us the gift of Thy grace: verily, Thou art the [true] Giver of Gifts. –
3:8 (Y. Ali) “Our Lord!” (they say), “Let not our hearts deviate now after Thou hast guided us, but grant us mercy from Thine own Presence; for Thou art the Grantor of bounties without measure
হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য লংঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা। একি! এ দোয়া তো যে বিপথে যেতে চায়, তার করার কথা নয়। এ দোয়া করছে আল্লাহর পথে চলতে চায় যে ব্যাক্তি। আর তাকে আল্লাই শিখিয়ে দিচ্ছেন, তোমাকে আমি হেদায়েত করেছি, আর আমি চাইলেই তোমাকে বিপথে নিব। তাই আমার কাছে চাও আমি যাতে তোমাকে বিপথে না নেই। আল্লাহ যদি না চাইতেন, তবে এ কথা বলার মানে কি যে হেদায়েতের পর তুমি বিপথে নিও না? কোন অনুবাদকই অনুবাদের কারসাজি করেন নি এ আয়াতে। সত্য লংঘনে প্রবৃত্ত করার কর্মটি তো আল্লাই ঘটাচ্ছেন। আর তা না করতেই বান্দার অনুরোধ!
• আরবী ভাষার সকল শব্দ তিনটি অক্ষরে গঠিত মূল থেকে আগত। সেই মূলের একটিই অর্থ হয়ে থাকে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে অন্য ভাষায় যখন অনুবাদ করা হয়, তখন সমার্থক শব্দ ব্যবহার করা হলেও সম্পুর্ন বিপরীত অথবা সমগোত্রীয় শব্দ অনুবাদের ক্ষেত্রে পরিহার করা হয়। শব্দের মূল খুঁজেই জাকির নায়েক ধরা খেয়েছিলেন। তিনি দাহাহা শব্দের অর্থ করেছেন ডিম্ব। কারণ সেটি নাকি দুহিয়া থেকে এসেছিল, অথচ দুহিয়া নিজেই ইসম (নামবাচক শব্দ) এবং সেটি মূল শব্দ নয়। সুতরাং মূল শব্দ খুঁজেও অনুবাদকের কারসাজিগুলো ধরা যায়।
• একই বাক্য বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে অনুবাদ করলেও অনুবাদকের কারচুপি বা ছলচাতুরি ধরা পড়ে। এ প্রসঙ্গে এই ব্লগেই একজনের সাথে আলোচনা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন تَعْتَدُواْ অর্থ আগ্রাসন। আমি বলেছিলাম এর অর্থ সীমালঙ্ঘন। দুটি সম্পুর্ন বিপরীত অর্থ বহন করে। আগ্রাসন হল আগে থেকে আক্রমন। আমেরিকা তার সেনাবিহিনীকে আগ্রাসনের আদেশ দিল, কিন্তু কিছু সীমা বেধে দিল যা অতিক্রম করতে প্রেসিডেন্ট বারণ করে দিলেন। এ অবস্থায় সেনাবাহিনীর যুদ্ধে জড়ানো সমস্যা নয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট যদি বলতেন যে আগ্রাসন করোনা তাহলে সীমা লঙ্ঘনের প্রশ্নই আসত না। আমার মনে হয় সেই আসাদ সাহেবের অনুবাদ পড়েই তিনি বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। আসুন এবার আমরা আসাদ সাহেবের ছলচাতুরি দেখিঃ
وَقَاتِلُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَكُمْ “”وَلاَ تَعْتَدُواْ إِنَّ اللّهَ لاَ يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ”” (2:190)
2:190 (Asad) AND FIGHT in God’s cause against those who wage war against you, but **do not commit aggression-for, verily, God does not love aggressors**. [167] –
উপরের আয়াতে কমার ভিতরের অংশ দেখুন। এবার নিচের আয়াতটি লক্ষ্য করুন
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تُحَرِّمُواْ طَيِّبَاتِ مَا أَحَلَّ اللّهُ لَكُمْ ”’وَلاَ تَعْتَدُواْ إِنَّ اللّهَ لاَ يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ”’ (5:87
5:87 (Asad) O YOU who have attained to faith! Do not deprive yourselves of the good things of life which God has made lawful to you, [100] but **do not transgress the bounds of what is right: verily, God does not love those who transgress the bounds of what is right**
বুঝতেই পারছেন। অনুবাদক কুরানের আয়াতকে কিছুটা মানবিক প্রমান করতে আগের আয়াতে ভুল অনুবাদ করেছেন এবং পরের আয়াতে ঠিক অর্থটাই নিয়েছেন। মূলত تَعْتَدُواْ শব্দটি ‘আইন’ ‘দাল’ ‘ওয়া’ থেকে আগত। এর অর্থ সীমা। কুরানে অসংখ্য জায়গায় এ শব্দটি উপরোক্ত অর্থেই ব্যাবহার করা হয়েছে। উক্ত পাঠককে তাই দুটি আয়াত দিয়েছিলাম অনুবাদ করার জন্যে। জেনে শুনে তিনি ফসকে গিয়েছেন এটা আমি মনে করি না। মুহাম্মাদ আসাদ মূলত ভাবার্থ করে থাকেন। মূল অনুবাদ তিনি করেন না। এর কারণটি পরে আলোচনা করছি। পাঠকের সুবিধার্থে মুফতি তাকি উসমানীর অনুবাদ দিলাম উপরোক্ত দুটি আয়াতের।
[2:190]
Fight in the way of Allah against those who fight you,’’ and do not transgress. Verily, Allah does not like the transgressors’’.
[5:87]
O you who believe, do not hold as unlawful the good things that Allah has made lawful for you, ‘’and do not transgress. Verily, Allah does not like the transgressors’’.
পার্থক্যগুলো আশা করি পাঠকের চোখে পড়বে।
• যে কোন বই অনুবাদের ক্ষেত্রে বইটির প্রণেতার সমকালীন সময়ের সমাজ ও মানুষের জ্ঞানের পরিধি সম্পর্কে অনুবাদকের জ্ঞান থাকা আবশ্যক। যেমন ধরা যাক কেউ গ্রীক একটা বই অনুবাদ করছেন। তিনি দেখলেন যে গ্রীকরা জগতে চারটি রাসায়নিক উপাদানের কথা বলছে। পানি, মাটি, বাতাস ও আগুন। এখন অনুবাদক আজকের জ্ঞান অনুসারে গ্রীকদের এ জ্ঞানকে ভুল বলতেই পারেন। এবং সেটাই যুক্তিযুক্ত। এখন কেউ যদি দাবী করে বসে যে গ্রীকরা চারটি উপাদান বলতে আসলে রাসায়নিক উপাদানগুলর চুড়ান্ত অবস্থা বুঝিয়েছে। মাটি বলতে পদার্থের কঠিন অবস্থা, পানি বলতে পদার্থের তরল অবস্থা, বায়ু বলতে পদার্থের বায়বীয় অবস্থা এবং আগুন বলতে পদার্থের তেজস্ক্রিয় অবস্থা। তাহলে আমাকে বলতেই হবে যে সেই ব্যাক্তি ততকালীন গ্রীকদের জ্ঞানের পরিধির ব্যাপারে জ্ঞান রাখেন না। এরকম কিছু বুঝিয়ে থাকলে সেই বই এর লেখক তা উল্লেখ করেই দিতেন। কুরানের অনুবাদকেরা এ কাজটিই করে থাকেন। কোন কোন ক্ষেত্রে তারা ভুল জানাটাকেই লুকাতে চেষ্টা করেন। ব্যাপারটি বুঝানোর জন্যে আবার একটু ব্যাকরণের কাছে যেতে হচ্ছে।
আরবীতে ‘ছুম্মা’ শব্দের অর্থ তারপর। আরবীতে এর বিশেষ ধরণের ব্যবহার রয়েছে। ‘ছুম্মা’ শব্দটি ধারাবাহিকতা বুঝায়। তবে দুটি কাজের মাঝে সময়ের ব্যবধান নির্দেশ করে না। যেমন
وَعَلَّمَ آدَمَ الأَسْمَاء كُلَّهَا ”ثُمَّ” عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلاَئِكَةِ فَقَالَ أَنبِئُونِي بِأَسْمَاء هَـؤُلاء إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ (2:31)
•
2:31 (Asad) And He imparted unto Adam the names of all things; [23] **then** He brought them within the ken of the angels and said: “Declare unto Me the names of these [things], if what you say is true.” [
দেখুন কখন ‘ছুম্মা’ এসেছে। শিক্ষা অর্জনের ব্যাপারটি ঘটার পর উপস্থাপনার কাজটি ঘটেছে। এ দুটি ব্যাপার সংযুক্ত করতে আরবী কনজাঙ্কশন ‘ছুম্মা’ ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ ‘ওয়া’ শব্দটি ধারাবাহিকতা বুঝায় না এবং ‘ফা’ শবটি immediate sequence বুঝায়।
পাঠকদের মনে হতে পারে ব্যাপারটিকে এত গুরুত্ব দিচ্ছি কেন। কারণ এই ‘ছুম্মা’ এর উপর ফিকাহ শাস্ত্রে একটি অধ্যায় আছে। যেখানে এরকম বিধান আছে যে, কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে বলে- যদি তুমি প্রথম ঘরে প্রবেশ কর ছুম্মা (তারপর) দ্বিতীয় ঘরে প্রবেশ কর। তাহলে তুমি তালাক। এক্ষেত্রে স্ত্রী যদি বিপরীত অর্ডারে কাজ করে। তাহলে তালাক হবে না। এবার বুঝুন ব্যাপারটি!
এখন এ ছুম্মা নিয়ে আধুনিক অনুবাদকেরা কী কী কারসাজী করলেন তা আমরা লক্ষ্য করি। কয়েক শতক আগেও মানুষ জানত যে মহাজগত পৃথিবী কেন্দ্রিক। আগে পৃথিবী পরে পৃথিবীর উপর আকাশ বানানো হয়েছে। তারপর আকাশকে সুর্য চন্দ্র দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। আজকের বিজ্ঞানের আলোকে এ ব্যাপারটি প্রমণিত ভুল জ্ঞান। কিন্তু কুরানেও এ ভুলটিই উল্লেখ করা হয়েছে। পাঠক, উপরের আয়াতটির ‘ছুম্মা’ এর ব্যবহার লক্ষ্য রেখে নিচের কারসাজিগুলো দেখুন-
هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي الأَرْضِ جَمِيعاً ”ثُمَّ” اسْتَوَى إِلَى السَّمَاء فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ (2:29)
•
2:29 (Asad) He it is who has created for you all that is on earth, and has applied His design to the heavens and fashioned them into seven heavens; [20] and He alone has full knowledge of everything.
উপরের আয়াতে then “তারপর” শব্দটি খুঁজে পাওয়া কি যায়? এবার একটা পুরনো অনুবাদ দেই-
[2:29]
It is He who created for you all that the earth contains; “then” He turned to the heavens and made them seven skies – and He is the knower of all things.
এবার কি then খুঁজে পেয়েছেন? মূলত ‘ছুম্মা’ এর সঠিক অর্থ ব্যবহার করলে ছয় (স্পাইস)দিন ও আট দিন এবং পৃথিবীর পরে আকাশ সৃষ্টি। এসব সাধারণ ভুলগু্লো ধরা পড়ে যায়। তাই আধুনিক অনুবাদকেরা সজ্ঞানে এসব কারসাজি করে চলেছেন। মজার ব্যপার কি, আসাদ ও ইউসুফ আলী সাহেবের অনুবাদ সমুহে আসমান ও পৃথিবী সৃষ্টির আয়াতগুলোতেই ‘ছুম্মা’ (তারপর) এর খোঁজ পাওয়া যায় না। অথচ অন্যান্য জায়গায় এসকল আধুনিক অনুবাদকেরা ‘ছুম্মা’ এর সঠিক অর্থেই ব্যবহার করেছেন! এভাবে আমরা যদি রাসুলের যুগের মানুষের জ্ঞানের পরিধির প্রতি খেয়াল করি তাহলে কুরানে আমরা ভু-কেন্দ্রিক জগতের মডেল দেখতে পাই। কিন্তু অনুবাদকেরা এ ব্যাপারটি উপেক্ষা করে থাকেন।
• অনুবাদের ক্ষেত্রে অনুবাদকের লক্ষ্য উদ্দেশ্যর প্রতি খেয়াল রাখা দরকার, এর ওপর অনুবাদটির সঠিকতা নির্ভর করে। কুরানের বেশীর ভাগ অনুবাদ আক্ষরিক ভাবে করা। এক্ষেত্রে আগের সব অনুবাদক ও তাফসির কারকেরা ব্যাকরণ অনুসরণ করেছেন মাত্র। তবে মাওলানা মওদুদির তাফসীর তাফহিমুল কুরআন ও মুহাম্মাদ আসাদের অনুবাদ পড়লেও পাঠক বুঝতে পারবেন যে এটি আক্ষরিক অনুবাদ নয় বরং ভাবানুবাদ। যেখানে অনুবাদকের মনগড়া ও তার পক্ষপাতিত্বমুলক অনুবাদ দেখা যায়। মওদুদির লক্ষ্য ছিল রাজনীতি। তাই তিনি রাজনীতি কেন্দ্রিক ভাবানুবাদ করেছেন। সুতরাং তার অনুবাদ সঠিক হবার সম্ভবনা খুবই কম। আবার আসাদ আধুনিক বিজ্ঞান মনষ্ক মানুষের কাছে কুরানের ভুল ত্রুটিগুলো ঢাকতে নিজের মত করে ভাবানুবাদ করেছেন।
অথচ তার পুর্বে কুরানের বিখ্যাত সব অনুবাদ, তাফসিরে জালালাইন, ইবনে কাসির, ইবনে আব্বাস ইত্যাদি গ্রন্থগুল নিয়ে বিতর্ক ছিল না। অনুবাদ মূল কুরআন নয় এরুপ ধারনা থাকলেও কুরানের ভুলগুলো মানুষের অজানা ছিল। ফলে এসব অনুবাদ নিয়ে বিতর্ক ছিল না। বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও মানুষের নৈতিক বোধের পরিবর্তনের ফলে কুরানের অনেক কিছুই আজ অমানবিক ও বৈজ্ঞানিক ভাবে ভুল মনে হচ্ছে, এবং সেটা শুধু অমুসলিমদের কাছে নয়, মুসলিমদের কাছেও। তার প্রমাণ অনুবাদে উপরোক্ত কারসাজিগুলো। দাসীদের ব্যাপারে কুরানের অনু্মোদন, নারীর ব্যাপারে নিম্ন শ্রেনীর বক্তব্য, অমুসলিমদের গালাগালি ও হুমকি ধমকি, যুদ্ধ বিগ্রহ বাধানোর আদেশ এসকল বিষয় আজ খোদ মুসলিমদের কাছেই অগ্রহনযোগ্য মনে হচ্ছে বলেই নতুন করে মানবিক প্রলেপ লাগিয়ে কুরান অনুবাদের এ প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা। তবে আমি এ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। কুরান মানবিক হোক মানুষের ছোঁয়ায়।
তথ্য সুত্রঃ
১. http://www.explorethequran.com
২. http://www.ourholyquran.com/
৩. http://www.altafsir.com/
4. http://www.ilmfruits.com/thumma-wa-and-fa
5. আনোয়ারুত তানযিল। আরাফাত পাবলিকেশন।
৬. উসুলুশ শাশী। আল বারাকা লাইব্রেরী
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কুরানের লেখক তো আজ বেঁচে নেই,—কুরআনের লেখক বলতে কাকে বুঝিয়েছেন ?
আমরা সুইডেনের উৎরে কিরোনা তে থাকি।এখানে এখোন সুরজো ডুবেনা তাই আমরা কিভাবে রোজা রাখবো নামাজ পরব কোরান থেকে জেনে তার সমই তা জানাবেন।লেখক ভাই দের বোলছি সামনে রমজান আসিতেছে । আপনারা যারা কোরানের সঠিক ওনুবাদ জানেন তারা এটা জানাবেন । ধন্নবাদ।
২:২৯ নিয়ে কথা বলি।
هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا
এই অংশের মানে হলো: Muhsin Khan-এর অনুবাদ
He it is Who created for you all that is on earth.
এর মানে কি এই যে যত কিছু পৃথিবীতে আমরা দেখছি এবং দেখবো, তার সবই আল্লাহ আগেই সৃষ্টি করে রেখছিলেন?
এই অংশ নিয়েই গত কয়দিন খুব ভাবালুতার মধ্যে দিয়ে গেল।
(আপনাদের জন্য সেটা সুম্মার চেয়ে বড় উপাদান হবার কথা।)
@এন্টাইভন্ড,
মুহাম্মদ আসাদ কিন্তু আমার জানা মতে, আরবি-হিব্রু-আরমায়িক এই তিন টি সিস্টার ভাষার সবগুলিই জানতেন।ইহুদীরা যে হিব্রুভাষায় দক্ষ এটি না বললেও চলবে। মুহাম্মদ আসাদ ইহুদি বংশের মানুষ। আর হিব্রু-তাওরাত, যাবুর, আরমায়িক-ইনজিল, আরবি-আল কুরান । অতএব, যে এই তিনটি ভাষার সবগুলিই জানে, তার অনুবাদ ফেলনা নয়, কারন শব্দগুলি সম্পর্ক যুক্ত। তাছাড়া, ভাষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেক ভাষা বিজ্ঞানীর মধ্যেও মতবিরোধ নেই, এমন কথা জীবনে শুনি নি। আমার কাছে এক আয়াতের অর্থ একরকম, আপনার কাছে অন্য রকম মনে হতেই পারে।
তাই, সল্প ভাষা জ্ঞান নিয়ে, অনুবাদের ভুল ধরতে যাওয়া ঠিক না বেঠিক বুঝতেছি না। আমার মনে হয়, উপরের লেখক কট্ট্ররপন্থিদের ব্যাক্ষার দ্বারা প্রভাবিত, কিন্তু কট্টর পন্থিদের সকল অনুবাদ-ই সঠিক, অন্য গুলি নয় সেটা বলা, বিজ্ঞানীক দৃষ্টিকোন থেকে ভুল। তাছাড়া, শকির, পিক্তথাল, ইসুফ আলীর অনুবাদ বিভিন্ন বিশবিদ্যালয়ে পাঠ্য, সেই জায়গার প্রফেসররা তো কম জানে, তা বলা ভুল। আসলে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ কখনই পারফেক্ট নয়। ভাষা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা শেষ হয়ে গেছে, এই ধারনাও ভুল।
@ফুয়াদ,মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
কুরানিক্স.নেট সাইটে উল্লিখিত অনুবাদকদের মধ্যে আসাদ সাহেবের অনুবাদটাই বেস্ট এবং সততার দিক দিয়ে আমার কাছে সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে।
আসাদ সাহেব সম্বন্ধে তথ্যগুলো জেনে ভালো লাগলো।
কিন্তু আমি যেইটা মনে করি, সেটা হলো, যদি একজন মানুষ ভুল করে, তাহলে সে যেই হোক না কেন, যতবড় পন্ডিতই হোক না কেন, তার ভুলটা সঠিক হয়ে যায় না।
হাউএভার, আনাস এখানে মুহম্মদ আসাদের উপর যে অভিযোগগুলো এনেছেন, তার মধ্যে প্রথম দুই অভিযোগ আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয় নি। সেটার কারণ আমি ব্যাখ্যা করেছি। কিন্ত শেষে ২:২৯ নং আয়াত নিয়ে তার অভিযোগটি নিয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। আমাকে এই আয়াত নিয়ে আরো মাথা খাটাতে হবে। আয়াতটা নিয়ে, বলেছি, আমি বেশ একটু বিহ্বল হয়েছি। আপনাকে হয়তো আমার অনুভূতিটা শেয়ার করতে পারবো না। এটাকে কোনোভাবেই নেগেটিভ/পজিটিভ না ভাবাই সঠিক হবে। বরং এই বিহ্বল অবস্থাটাই আমার জন্য ভালো। এই বিহ্বলতার কারণে অনেক আন্তরিক পড়া হয়।
@এন্টাইভন্ড,
রৌরব ভাই বলেছিলেন যে সৃষ্টি কর্তা স্বাধীন ইচ্ছা দিতে পারেন এ ব্যাপারটিই অবোধগম্য। কারন সৃষ্টি কর্তাই সকল কিছু সৃষ্টি করছেন। আর আমার কাছে সৃষ্টি কর্তা সৃষ্টি করেন এ কথাটিই অবোধগম্য। কারন তা সময়ের সাথে এবং ইচ্ছার সাথে সম্পর্কিত হয়ে পড়ে। যেমন কেউ যদি কিছু তৈরী করবে বলে। তাহলে সেটা তার ইচ্ছার পরেই ঘটবে। কুরানেও তেমন কথাই বলা আছে, যখন তিনি কোন কিছু সৃষ্টি করার ইচ্ছা করেন। তখন তিনি বলেন, কুন ফায়াকুন। মানে ম্যাজিক্যাল ব্যাপার স্যাপার। আর এ পুরো ব্যাপারটিই মানুষের বৈশিষ্ট। মানুষ শুধু ম্যাজিক করতে জানেনা।
সেই সাথে কুরান পাঠানোর ব্যাপারটিও আমার কাছে অবোধগম্য। দেখুন আজ মানুষ ১৪০০ বছর আগের দাস ব্যবস্থাকে নৈতিক মনে করে না। মানুষ তার বিবেচনা দিয়ে এ বিষয়টিকে অনৈতিক ভাবছে। কয়েকশত বছর পর হয়ত দেখা যাবে মাংস খাওয়া অনৈতিক। নৈতিকতার এ জ্ঞান কোন ঐশী গ্রন্থের দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে না। তাই আমার কাছে এটাই যুক্তিযুক্ত মনে হয় যে মানুষের যে জ্ঞান দেয়া হয়েছে। তার দ্বারা সে কি সিদ্ধান্ত নেয়। সেটাই বিচার করা উচিত যদি কোন স্রষ্টা থেকে থাকেন।
যাহোক সেটা অন্য বিষয়।
@আনাস, :yes:
thanks for sharing ur valuable views
এমন কি সবসময় লেখকও সম্পূর্ণ নিজের ভাব প্রকাশ করতে নাও পারেন বা যা প্রকাশ করতে চান তা নাও প্রকাশিত হতে পারে। তবে কোরানের বেলায় অন্য কথা। এটা যেহেতু মানুষের প্রতি আল্ল্যা পাঠিয়েছেন বলা হয় তাই ওটা মানুষের জন্য সহজেই বোধগম্য করে তোলার দায়িত্বও আল্ল্যার। তিনি কেন এমন কথায় মানুষকে নির্দেশনা দিবেন যা মানুষ ঠিকমত বুঝে না বা বুঝতে অনেক কসারত করতে হয়।
আরেকটি কথা, পৃথিবীর তাবৎ জ্ঞান মানুষ পরস্পরের সাথে বিনিময় করতে পেরেছে অনুবাদের মাধ্যমে, কোথাও বিশেষ কোনো সমস্যা হতে শুনিনি। কিন্তু কোরানের বেলায়ই যত সব সমস্যা। যদিও যেকোনো গ্রন্থের অনুবাদ পুরোপুরি নিখুঁত হয় না তবে অনুবাদ পড়ে বলে দেয়া সম্ভব যে এতে কি আছে বা বইটি আসলে কী। যেহেতু বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় কোরানের অনেক গুলো অনুবাদ বেরিয়েছে তাই মোটামুটি কয়েকটি গ্রহণযোগ্য অনুবাদ পড়লে কোরানের বক্তব্য পরিষ্কার হয়ে যাওয়ারই কথা।
:yes: এবার ভেবে দেখুন একজন ঈমান ওয়ালা মানুষ কোরানের সঠিক অনুবাদ করতে পারবে কি না।
আর হ্যা, তানভীর পোস্টে শেয়ার করলাম তা এখানেও দিচ্ছি-
শুধু বিনোদনের জন্য দুটো আয়াত পড়েন-
# আমি নূহ্ কে তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করেছিলাম। সে তাদের নিকট অবস্থান করেছিলো পঞ্চাশ কম হাজার বছর।(২৯ : ১৪)
অর্থাৎ নূহ ৯৫০ বৎসরের বেশি সময় বেচেছিলেন।
# আর তিনি(আল্লাহ) সমস্ত আসমান ও জমিন সৃষ্টি করিয়াছেন ছয় দিনে, তখন তাহার আরশ(সিংহাসন) পানির উপর ছিল। (১১ : ৭)
যারা আরবি জানেন তারা আরো বেশি বিনোদন পাবেন।
আরো একটা কথা,
আসাদ সাহেবের অনেক অনুবাদের পক্ষে আমি না, কিন্তু তবু ২:১৯০ আয়াতের এই অনুবাদের পক্ষে একটা যুক্তি চাইলে দেখানো যায়; সেইটা দেখাই।
وَقَاتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَكُمْ وَلَا تَ
এই নির্দেশটার মানে কী?
লড়াই করো আল্লাহর রাস্তায় তাদের সাথে, যারা তোমাদের সাথে লড়াই করে।
মানে কী? আগে কাউকে এসে লড়াইটা শুরু করতে হবে, তাই না? তা যদি না হতো, অর্থাৎ, যদি আগে আক্রমণ আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্যই হতো, তাহলে নিশ্চয়ই {{তাদের
সাথে, যারা তোমাদের সাথে লড়াই করে}}–এই কথা আল্লাহ বলে দিতেন না। বরঙ وَقَاتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ এইটুকু অংশতে আয়াত শেষ করাটাই যুক্তিসংগত হতো সেক্ষেত্রে।
@এন্টাইভন্ড,
তিনটা পয়েন্ট। কুরাণের আয়াতের স্ববি্রোধিতারই একটা উদাহরণ হিসেবে এটাকে দেখা যেতে পারে। এক জায়গায় আক্রমণাত্মক, আরেকজায়গায় আত্মরক্ষামূলক বাণী। আরেকটা হল এই আয়াত ৯-৩৬ (আক্রমণাত্মক) দ্বারা বাতিল হয়ে গেছে। এক আয়াতের দ্বারা আরেক আয়াত বাতিলের কথা কুরাণেই বলা আছে। এটা যে ৯-৩৬ দ্বারা বাতিল হয়েছে সে ব্যাপারে দ্বিমত নেই কুরাণের “পন্ডিতদের” মধ্যে। তৃতীয়ত এর পরের আয়াত ২:১৯১ এ দেখুন যেখানে বলা আছে “আর তাদের সাথে মসজিদুল হারামে লড়াই করো না যদি না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে” অর্থাৎ মসজিদুল হারামে শুধু আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ করা যাবে। তার মানে মসজিদুল হারামের বাইরে আক্রমণাত্মক যুদ্ধও করা যাবে। তা না হলে মসজিদুল হারামের ব্যাপারে ওভাবে বিশেষ করে বলার কোন কারণ নেই ।
@এন্টাইভন্ড,
আচ্ছা সবসময়ই আল্লাহ লড়াই করার নির্দেশ দিচ্ছেন কেন, লড়াই করা ছাড়া কি আল্লাহর কাছে ধর্ম প্রচারের জন্য অন্য কোন পথ খোলা ছিলনা, যেখানে লড়াই করতে যেয়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে? আর আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করতে বলা কি স্পেসিফিকলি ধর্ম প্রচারের জন্য লড়াই করা বুঝানো হচ্ছে?
@ব্রাইট স্মাইল্,
উনি মনে হয় জোর দিতে চাচ্ছেন “যারা তোমাদের সাথে লড়াই করে।” এই অংশটিতে।
যা দিয়ে এই বাক্য আক্রমনাত্মক না হয়ে আত্মরক্ষামূলক হিসেবে ধরা যেতে পারে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
আপনার এই কথাটায় একটু অবাক হইসি।
প্রসঙ্গটা উঠছে হলো, {লড়াই করো আল্লাহর রাস্তায় তাদের সাথে, যারা তোমাদের সাথে লড়াই করে।} এই আয়াত নিয়ে।
যখন কেউ আপনার সাথে লড়াই করতে আসে, তখন আপনার সামনে দুটো অপশন আসে। একটা হলো পাল্টা লড়াই করা, দ্বিতীয়টি হলো, মার খেয়ে যাওয়া।
আপনার কী মনে হয়, চুপ করে মাইর খাওয়াটাই আল্লাহর অপশন দেওয়া উচিত ছিলো???
@এন্টাইভন্ড,
আপনার একমুখী নীতি দেখে আমিও একটু অবাক হচ্ছি।
কেউ লড়াই করতে আসলে মাত্র দুটো পন্থা, পাল্টা লড়াই করা অথবা মার খাওয়া শুধু বনে জঙ্গলে চলে বলে আমি মনে করি। পশুদের ব্রেইন কাজ করেনা বলে বেঁচে থাকার জন্য তাদের সামনে শুধু এই দুটো পথই খোলা থাকে।
কিন্তু সভ্য সমাজে আরও অনেক পন্থা কাজ করে। যেমন পৃথিবীতে এক দেশ যখন অন্য দেশকে কোন কারনে আক্রমন করতে উদ্যত হয় তখন দুই পক্ষের সমাঝোতা, তৃতীয় পক্ষের কুটনৈতিক তৎপরতা ইত্যাদিই বেশী চলে বলে আমার ধারনা। তা না হলেতো পৃথিবীতে ছোট ছোট শক্তি বা দেশগুলোর অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যেত।
আল্লাহতো মনে হয়না পশু ও মানুষকে একই ক্যাটেগরিতে ফেলেন।
@ব্রাইট স্মাইল্,
@ফারুক,
মুশকিল হলো কোরানের এত কিছু ভাল উপদেশের পরেও কিন্তু যুদ্ধ থামানো যায়নি। আল্লাহ একবার বলছেন যুদ্ধ করো আবার বলছেন ক্ষমা প্রদর্শন কর। আসতেও করাত যেতেও করাত কি মুসিবত! :-X
@ব্রাইট স্মাইল্,তাহলেই বোঝেন মুশ্কিল কোথায়? কোরানে যে ভাল উপদেশের অভাব নেই এটাতো প্রমান হলো।
মুশ্কিল হলো আপনার মতো মানুষের যারা বলে কোরানে ভাল কিছু নেই এবং মানুষের অপরাধের দায় আল্লাহ তথা কোরানের উপরে চাপানোর চেষ্টায় রত।
@ফারুক,
আমার কখনোই মনে হয়নি যে কোরানে ভাল কিছুই নাই, বা ভালবাসার কথা নাই। সব ধর্মগ্রন্থেই ভাব ভালবাসার কথা আছে। এই কারনেই একই কোরান পড়ে সুইসাইড বোম্বার হবার প্রেরনা পেতে পারে আবার কেউ শান্তিকামী সুফী সাধক হতে পারে।
একটু খুটিয়ে পড়লে মনে হয় যে কোরানের ভালবাসার আয়াত সমূহ বেশীরভাগই মুসলমানদের জন্যই আল্লাহ রেখেছেন, আর হিংসাত্মক বা হুমকি ধমকির আয়াতগুলিও বেশীরভাগই কাফের বা বিধর্মীদের জন্যই।
@আদিল মাহমুদ,
সেটা বোঝাই যায় আপনার মন্তব্যে।
কোরানে যখন বলাই আছে , একজন নিরপরাধ মানুষকে মেরে ফেলা , সমগ্র মানবজাতিকে মেরে ফেলার সমান। তারপরেও যদি কেউ সুইসাইড বোম্বার হয়ে নিরপরাধ মানুষ মারে , তার জন্য কোরানকে দোষ দেয়া কতটুকু সঙ্গত? কোরানে colateral damageকে justify করে কোন আয়াত নেই।
@ফারুক,
এই সমস্যার মূল নিহীত আছে কোরানের মাঝেই, আর প্রচলিত ইসলামী অন্ধবিশ্বাসে। সাথে হল বর্তমান যুগের আন্তর্জাতিক রাজনীতি। এই তিনের মিলিত ফসল হল সুইসাইড বোম্বার।
আপনাকে যতই বলি যে কোরানে কাফের বা বিধর্মীদের প্রতি এত বেশী বিদ্বেষমূলক আয়াত আছে যা কোরানে বিশ্বাসী যে কাউকেই বিধর্মীদের প্রতি জন্মগত ঘৃণা পোষন করাবে আপনি মানবেন না। আপনি হাজির করবেন ঐসব আয়াত কেবল যুদ্ধের সময়ের জন্য, ব্যাক্তিগত সম্পর্কের জন্য কিছু বলা হয়নি এইসব যুক্তি।
কার কথা ঠিক তা বুঝতে তর্ক না করে মুসলমান মূল সমাজের দিকে তাকান, বিধর্মীদের প্রতি সাধারন মুসলমান কনসেপশন বুঝতে পারবেন। আমি আর আপনি তর্ক করলে আজীবনই তর্ক করে যেতে পারব।
সুইসাইড বোমা মেরে কাফের নাসারা মেরে ফেল এমন কথা কোরানে নেই ঠিকই। তবে দ্বীন কায়েম না হওয়া পর্যন্ত জেহাদ চালিয়ে যাবারও নির্দেশ আছে। কাফের নাসারাদের বিরুদ্ধে জেহাদের বহু আয়াত আছে। সব আয়াত আপনাদের দাবীমত শুধু যুদ্ধের জন্য প্রযোজ্য এমন মনে করার কোন কারন পাইনি। কোরান মতে এসব জেহাদ এমনকি মুসলমানদের জন্য ফরয করা হয়েছে
এখন, মুসলমানেরা যদি আজকে সবাই ধনী অবস্থায় থাকত, কাফের নাসারা দেশগুলি বিশ্ব নেতৃত্বে না থাকত তবে কেউ মুসলমানেরা সুইসাইড বোম্বার হত না। জেহাদের চিন্তা ধারা মাথায় তেমন খেলত না। বলতে পারেন যে সুইসাইড ইসলাম কোনদিন সমর্থন করে না। তেমনি আবার অন্যদিকে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করাকে খুবই সম্মানের চোখে দেখে, আল্লাহর পথে শহীদ হওয়া অতি বড় স্মমানের কাজ। জেহাদীরা সেভাবেই তাদের কাজ জাষ্টিফাই করে। তারা আত্মহত্যা করাকে আল্লাহর পথেই শহীদ হওয়া হিসেবে দেখে। আপনি যত যাই ব্যাখা দিন না।
তারা আপনাকে উলটা চার্জ করতে পারে যে এমন কোন আয়াত নিশ্চয়ই একসংগে নেই যা বলে যে “আল্লাহর দ্বীন কায়েম কর, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ কর, তবে খবরদার আত্মহত্যা কর না”। আছে কি?
এখন আপনি আপনার খুশীমত আয়াত দেখাবেন, তারা তাদের মত দেখাবে। যে কাজটা ৯১১ এর পরে মিডিয়ায় হয়েছে। কেউ কেউ দেখাচ্ছেন কোরানের হিংসাত্মক বানী, আবার কেউ দেখিয়ে যাচ্ছেন শান্তির বানী। আরেকটা জিনিস আপনি কিছুতেই বোঝেন না যে যুদ্ধ বা ফাতনা ফ্যাসাদ বলতে কি তাও এক একজনার কাছে এক এক রকম হতে পারে।
অনেক মুসলমান প্যালেষ্টাইন ইস্যুর জন্যই ধরেই নেয় যে গোটা কাফের নাসারা সমাজ বা পশ্চীমের সাথেই মুসলমানদের অলরেডী যুদ্ধ চলছে। কাজেই আপনার দাবীমতই শুধু যুদ্ধের জন্য যেসব ধর, মার কাট আয়াত বলেন সেগুলি সবই এখনই প্রযোজ্য।
@ফারুক,
সেটাতো হলো আপনার দেয়া রেফারেন্স সাপেক্ষে প্রমান। যাই হউক অসুবিধা নাই, আপনার রেফারেন্সই মানা গেল যে কোরানে ভাল উপদেশের অভাব নেই।
কিন্তু প্রশ্ন হলো আল্লাহ একবার বলছেন যুদ্ধ করো আবার বলছেন ক্ষমা করো, আল্লাহর মানুষকে এভাবে মিস্গাইড করার অর্থ কি? নাকি আল্লাহ একবার যে যুদ্ধ করার বলেছিলেন সেটা ভুলে যান পরবর্তীতে ক্ষমা প্রদর্শন করার কথা উল্লেখ করতে যেয়ে।
কারন যখন যেদিকে বাতাস ছাতা সেদিকে ধরে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
@ব্রাইট স্মাইল্,
প্রমান করতে পারবেন আল্লাহর মানুষকে কোনভাবে মিস্গাইড করেছেন। কখন যুদ্ধ করা যাবে আর কখন যুদ্ধ করা যাবে না , তার পরিস্কার নির্দেশ দেয়া আছে। সকল সময়ই ক্ষমাকে সবার উপরে স্থান দেয়া হয়েছে।
@ফারুক,
কখন যুদ্ধ করা যাবে আর কখন যুদ্ধ করা যাবে না, তার পরিস্কার নির্দেশ দেয়া সত্তেও কোরান অনুসরন করে বর্তমান সময়ে কিছু লোকজন জিহাদী হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ যুদ্ধ করাটাকেই সবকিছুর এবং সবসময়ের জন্য উপযুক্ত মনে করছে। তাতে নিজেও মরছে অন্য লোকও মারছে। এটা নিশ্চয়ই আপনার ভাষ্যমতে কোরান অনুযায়ী সমর্থন যোগ্য নয়।
তাহলে কি করে বলি যে সবকিছুর পরিস্কার নির্দেশ কোরানে দেয়া আছে।
আপনার কাছে হয়তো আল্লাহর নির্দেশগুলো পরিস্কার মনে হচ্ছে, কিন্তু যাঁরা কোরানে বিশারদ নয় এমন অনেকের কাছেই নির্দেশগুলো পরষ্পর বিরোধী মনে হতে পারে বা পরিস্কার নাও মনে হতে পারে। তার মানেই কিছু লোকজন কোরান পড়ে মিসগাইডেড হচ্ছে।
যেমন আপনার ধারনা কোরানে সকল সময়ই ক্ষমাকে সবার উপরে স্থান দেয়া হয়েছে, অন্য অনেকের ধারনা হতে পারে সকল সময়ই ধর্মীয় কারনে যুদ্ধ করাটাকেই সবার উপরে স্থান দেয়া হয়েছে এবং তারা তাই করছে।
@এন্টাইভন্ড,
যখন আপনার ক্ষিদা পায়(খাবার মজুত আছে ধরে নেই), তখন আপনার সামনে দুটো অপশন আসে। একটা হলো ক্ষুদা নিবৃত্ত করে বাঁচা, দ্বিতীয়টি হলো খাবার না খেয়ে মরা । কুরাণে তো বলেনি কোনটা করা উচিত। আপনি কিভাবে অপশন বাছেন? আরে, জানোয়ার ও তো আক্রান্ত হলে বাচতে হলে পালটা লড়াই করতে হয় জানে, মানুষ নাকি আশরাফুল মখলুকাত, কুরাণে তা কি মানুষকে বলে দিতে হবে? নাকি আল্লাহ ধরে নিয়েছেন যে ইসলামের দাওয়াত যারা গ্রহণ করবে তারা এতই বুদ্ধু হবে যে তাদেরকে এটা স্পষ্ট করে না বলে দিলে আক্রান্ত হলে হাসিমুখে মার খেতে থাকবে।
আমিও “আপনার এই কথাটায় একটু অবাক হইসি।”
@যাযাবর,
আপনি ঠিক বলেছেন। ভালো বলেছেন।
যে কেউ আক্রান্ত হলে পাল্টা আক্রমণের প্রসঙ্গ আসে। সেটা বলে দিতে হয় না।
তবে বললে দোষ হবে কেন সেইটাই বোঝা গেল না। যাকে বলা হবে সে নেসেসারিলি বুদ্ধু হবে কেন, সেটাও বোঝা গেলা না।
এখানে খেয়াল করা উচিত, সেটা হলো, আল্লাহ কিন্তু এই পর্যন্ত বলেই চুপ থাকতে পারতেন যে
{{লড়াই করো তাদের সাথে, যারা তোমাদের সাথে লড়াই করে।}}; এইটুকু হলে আমিও আপনার সাথে একমত হতাম যে এই কথা বলার আসলেই কোনো দরকার ছিলো না।
কিন্তু এখানে বলা হয়েছে, {[লড়াই করো আল্লাহর রাস্তায় তাদের সাথে, যারা তোমাদের সাথে লড়াই করে।}}
{আল্লাহর রাস্তায়} এই শব্দজোড় আপনাকে হয়তো খুব একটা আলোড়িত করে না, বাট, যারা সেসময় বিপন্ন, আর আক্রান্ত, তাদের কাছে এই কথা অনেক বেশি ওজনদার।
____________________
[ইউসুফ আলীকে উদ্দেশ্য করা আপনার হাসিটা ঠিক মুক্তমনা ভঙ্গি মনে হয় নি। আরো বেশি অড লেগেছে, সেই ভুল ধরিয়ে দেবার পর একটাবার ভুল স্বীকার না করাটা।
ভুল তো যে কেউ করতে পারে, ধরিয়ে দেবার পর স্বীকার করার কাজটি বোধহয় সবাই করতে পারে না।]
@এন্টাইভন্ড,
আচ্ছা মেনে নিলাম। ওটা না বললেও পারতাম। Receive হল passive verb. আমার ভুল হতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় passive verb এর সঙ্গে do যায় না। আপনার উদাহরণ ” Please stand up ,,,, do so” এ stand হল active verb, যার সাথে do স্বাভাবিক ভাবে যায়। যদি ইউসুফ আলী লিখতেন “Those who receive… receive so…” তাহলে সেটা অবশ্যই নির্ভুল হত। কুরাণে অনেক ইংরেজী অনুবাদ ই কুরাণের আয়াতকে গ্রহণীয় করার জন্য ভুল ইংরেজীও ব্যবহার করা হয়েছে। কুরাণে মূল আরবীতেও ব্যকরণগত ভুল আছে বলে অনেক আরবী পন্ডিতের মত। যার জন্য ইংরেজী অনুবাদেও ভুল হতে পারে অনেক ক্ষেত্রে। যাহোক এক্ষেত্রে আমি ভুল স্বীকার করে নিলাম। যদিও মূল তর্কে এটা আমার বা আপনার পয়েন্টের উপর কোন প্রভাব ফেলবে না।
@যাযাবর,
১. না ভাই, রিসিভ প্যাসিভ না। ঠিক স্ট্যান্ড-এর মতোই একটিভ।
২. {{যদি ইউসুফ আলী লিখতেন “Those who receive… receive so…” তাহলে সেটা অবশ্যই নির্ভুল হত।}}
আপনি আবার ভুল করেছেন, {receive so} গ্রহণযোগ্য না। আপনি বলতে পারেন, {receive the same}. কিন্তু {receive so} ভুল। আপনি যখন {do so} বলছেন, তখন আপনি এই গোটা {do so}-কে receive-এর পরিবর্তে লিখছেন। আপনি যদি {receive so} লিখতে চান, তাহলে so বসে guidance (একটা নাউন)-এর পরিবর্তে। so কখনো একটা নাউনের পরিবর্তে বসতে পারে না।
৩. ভুল স্বীকারের জন্য ধন্যবাদ।
@এন্টাইভন্ড,
আমি ফারুক ভাই এর সাথে মান ইয়াশা নিয়ে কথা ইচ্ছুক। তাই আপনার সাথে এই আয়াত নিয়ে কথা বাড়াতে চাই না। যদিও আমি বলে দিয়েছি ম্যানিপুলেটেড অর্থ নিলে কি সমস্যা হয়। কুরান ইসলামী রাষ্ট্রের খলিফা প্রমান হিসেবে ব্যাবহার করবে। আর খেলাফত প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন রত হিজবুত তাহরির এর এক নেতার বক্তব্য এখানে একবার উল্লেখ করেছিলাম। শক্তি অর্জনের পর আক্রমনাত্মক জিহাদ ইসলাম অনুমদন দেয়। আর তা হলে যুদ্ধের গণিমতের মাল হিসেবে জায়গা জমি নারী শিশু ইত্যাদি পাওয়া যায়। যুদ্ধবন্দী নারীকে, যার পিতা, ভাই স্বামীকে আপনি হত্যা করলেন। তাকে বিছানায় নিয়ে যাওয়া হোক বা বান্দী হিসেবে ব্যাবহার করা হোক। একে নিশ্চই আপনি মানবিক মনে করেন না। সীমা লংঘন বলতে তৎকালীন নিয়ম নীতির ব্যাপারে নির্দেশ করা হয়েছে। চুক্তি আছে এমন কাউকে না জানিয়ে আক্রমন করা, নারী শিশু বৃদ্ধ হত্যা না করা। এবং তাওহীদের দাওয়াত না দিয়েই আক্রমন করা। এ ব্যাপারগুলই সীমা।
@আনাস,
১. মজিলা ব্যবহার করতে পারেন। মজিলা লেখা রেখে দেয়। অথবা কিছুক্ষণ পরপর ওয়ার্ডে রেখে সেভ করে রাখতে পারেন। তাতে অন্তত গোটা লেখা নতুন করে লিখতে হবে না।
২.
আমি {মান ইয়াশা} নিয়ে দীর্ঘ একটা মন্তব্য করে ফেলেছি। ৬নং মন্তব্যে যেয়ে স্ক্রল করে নিচে নেমে আসুন।
সেখান থেকে আমার একটা সিদ্ধান্ত ছিলো। সেটি হলো, গ্র্যামাটিকালি, মান-এর যে (who) এবং যাকে (whom)-উভয় অর্থই সঠিক। এবং এই আয়াতেও উভয় অর্থই কার্যকরী। এখন আসাদ সাহেব যদি এই দুটোর একটা অর্থ ব্যবহার করেন (তিনি একটা টিকাও দিয়েছেন তার অনুবাদের স্বপক্ষে), তাহলে কেন তাকে ম্যানিপুলেশনের দায়ে দোষী করবেন?
এই প্রশ্নটা গুরুত্বপূর্ণ। একটু জোর করছি, কিছু মনে করবেন না।
আমি কিছু ক্ষেত্রে তার অনুবাদ গ্রহণ না করলেও এমনকী সেক্ষেত্রেও তাকে অসৎ (ম্যানিপুলেশনের সেন্সে) মনে করি না। প্রথমত ভুল সবারই হতে পারে, দ্বিতীয়ত আমার মতের সাথে মিলছে না বলেই সে ভুল এটাও ঠিক না।
________________________
৩.
যদি একথা সত্যি হয় যে, মান-এর দুইটা অর্থের যেকোনোটাই ওকে, তাহলে ৩:৮-এর দোয়া নিয়ে আপত্তি করার কী আছে? আমি বুঝি নাই।
আমার মন তো কতকিছুই চায়, তার চাওয়াটা যেন এতটা সীমাছাড়া না হয় যে আল্লাহ আমাকে যে গাইড্যান্সটা দিয়েছেন, তাথেকে সরে যাই। এই কথা চাওয়ার জন্যই তো দোয়া।
__________________________
৪. ২:১৯০ এবঙ ৫:৮৭ আয়াতকে কেন্দ্র করে অনুবাদকের উপরে ম্যানিপুলেশনের অভিযোগ আরোপ করেছেন।
আপনার কথা হলো, এখানে কোনোভাবেই এ্যাগ্রেসর হবে না।
আমি এখন আর একবার আসাদ সাহেবের পক্ষ নেব।
আয়াতের প্রথমাংশে যারা তোমাদের সাথে লড়াই করে, এই অংশ থেকেও আসলে এ্যাগ্রেসরের যৌক্তিকতা চলে আসে। আসাদ সাহেব একটা নোটও দিয়েছেন। একানে ১৬৭ নং এন্ড নোটটি দেখুন।
এবং একই লিঙ্কে আরো দেখুন যে আসাদ সাহেব এই আয়াতে দুইবার {{but do not commit aggression-for, verily, God does not love aggressors}} এ্যাগ্রেসনের কথা ব্যবহার করেছেন। অন্য অনেক অনুবাদকও কিন্তু এই আয়াতে শেষ অংশে {এ্যাগ্রেসর} লিখেছেন।
দেখুন: রাশাদ খলিফা, শাব্বির আহমেদ, দি মনোথেয়িস্ট গ্রুপ, পিকথাল, তাফসিরে জালালাইন। তাফসিরে জালালাইনেও কিন্তু দুইবারই এ্যাগ্রেসনের কথা এসেছে। বরং তাফসিরে জালালাইনে রীতিমত শানে নুজুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, বরং ঐটা আসলে এ্যাগ্রেসনই হবে।
Tafsir al-Jalalayn
After the Prophet (s) was prevented from [visiting] the House in the year of the battle of Hudaybiyya, he made a pact with the disbelievers that he would be allowed to return the following year, at which time they would vacate Mecca for three days. Having prepared to depart for the Visitation [‘umra], [he and] the believers were concerned that Quraysh would not keep to the agreement and instigate fighting. The Muslims were averse to becoming engaged in fighting while in a state of pilgrimage inviolability in the Sacred Enclosure [al-haram] and during the sacred months, and so the following was revealed: And fight in the way of God, to elevate His religion, with those who fight against you, the disbelievers, but aggress not, against them by initiating the fighting; God loves not the aggressors, the ones that overstep the bounds which God has set for them: this stipulation was abrogated by the verse of barā’a, ‘immunity’ [Q. 9:1], or by His saying [below]:
নাহ! আনাস, শানে নুজুল পড়ে মনে হচ্ছে, অবশ্যই অনুবাদ এ্যাগ্রেসন হবে।
সুতরাং, আমার মনে হয় প্রথম দুটো ক্ষেত্রে আসাদ সাহেবকে আপনি বেকসুর খালাস দিতে পারেন!
_____________________________
৫. কিন্তু শেষে যে আয়াতটা (২:২৯) উল্লেখ করেছেন, তার ব্যাপারটা কী? আমি যতবার চিন্তা করছি, বিশ্বাস করবেন না আমি থান্ডার্ড হয়ে যাচ্ছি। ঠিক এইজন্যই আপনার সুম্মা নিয়ে আপত্তি দেখে অবাক হয়ে গেছি।
এটা নিয়ে আলাদা মন্তব্য দিচ্ছি।
@এন্টাইভন্ড,
আপনার উত্তর অনেক দেরীতে দেয়ায় আমি দুঃখিত। প্রথমেই সবাইকে এ কথা মনে করিয়ে দিতে চাই, প্রবন্ধের আলোচনাগুলো ছিল যে সঠিক অনুবাদ পেতে ব্যাকরন এবং শব্দের মুলের দিকে তাকাতে হবে। এবং ভাবানুবাদ সমুহ সাধারনত ব্যাক্তির নিজস্ব ভাবনা তাড়িত হয়ে থাকে। ফলে ভাবানুবাদের মাধ্যমে সঠিক অনুবাদের মান ক্ষুন্ন হয়।
এ বক্তব্যে যদি কারো বিরোধ থাকে, তার সাথে অন্যভাবে আলোচনা প্রয়োজন। কারন কেউ যদি অংকের একটি প্রটোকল = চিহ্ন নাই মানে। তবে তাকে ২=১ কেন নয় সেটা বুঝানো অসম্ভব।
২: فَإِنَّ اللَّهَ يُضِلُّ مَن يَشَاء
ফাঃ হারফ। আল্লাহ-মুবতাদা। subject يُضِلُّ ফে’য়েলে যমীর ফায়িল বা কর্তা। مَن ইসমে মাওসুল। يَشَاء ফে’ল। এদুটি মিলিত হয়ে মাফউলে বিহি। এখন এ আয়াতে প্রথম যে ক্রিয়াটি। সেটি আরবী ভাষার অনেক প্রকার ফেয়েলের মাঝে ফেয়েলে মুতাআদ্দি এর মধ্যে পরে। ফেয়েলে মুতাআদ্দি এর সংগা হল যে ফেয়েল নিজের অর্থ পুরন করতে তার কর্তাকে অতিক্ক্রম করে মাফুউলে বিহি এর উপর পতিত হয়। যেমন আকালা খালিদুন। এখানে প্রশ্ন জাগে খালেদ কি খেল? এর উত্তরে একটা মাফউলে বিহি দরকার। “র’য়া রাশিদ। রাশিদ কাকে দেখল। যে বাক্যকে কি কাকে দারা প্রশ্ন করলে মনে হবে একটা মাফুলে বিহি দরকার। এখন আল্লাহ হেদায়েত করেন, কাকে করেন প্রশ্ন করলে পাওয়া যাচ্ছে মান কে। এখন মান এর পর ইয়াশা এর মধ্যে হুয়াঃ যে সর্বনামটি রয়েছে তার কর্তা কে মান না আল্লাহ? তার উত্তর জানতে আবার প্রশ্ন করুন, কি ইচ্ছা করল, এই বাক্যে কোন উত্তর পান? উত্তর পেতে হলে ইসমে মাওসুল এর সঙ্গা জানতে হবে, ইসমে মাওসুল তার পরবর্তী বাক্যের সাথে মিলিত হয়ে তার অর্থ প্রকাশ করে। যেমন আ’রাফু মান ইয়াকাল্লামু মায়াকাঃ এখানে মান এর অর্থ মায়াকা এর উপর নির্ভর করছে। যেখানে অর্থ দাড়াচ্ছে আমি তাকে চিনি, যে তার সাথে কথা বলেছে। এখানে মায়াকা না থাকলে অর্থ হত আমি তাকে চিনি যার সাথে সে কথা বলেছ। দুটি বাক্যে খেয়াল করুন, প্রথমটিতে কথা বলার কর্তা মান, আর ২য়টিতে তাকালে তাকাল্লামু শব্দে অবস্থিত ফায়েল। অনুরুপে ইয়াশা শব্দটি প্রথমত ফেয়েলে মুতাআদ্দি, ২য়ত মাজহুল ফেয়েল, যার কর্তা বাক্যে অবস্থিত মুবতাদার সাথে সম্পর্কিত। এই কারনেই যারা ব্যাকরন অনুসরন করতে গিয়েছেন। তারা চাইলেও who করতে পারেননি। এবং যিনি Him করেছেন। তিনি ব্রাকেটে একটা মাফুউলে বিহি লাগিয়ে নিয়েছেন।
এই কারনেই বেশীরভাগ আলেম এ আয়াতকে যে চায় তা দিয়ে ডিফেন্ড করেননি। তারা তাকদির এর প্রতি লক্ষ্য করতে বলেন। এবং তাওফিকের কথা বলেন।
৩. দেখুন। অনুবাদটা হল হে আমাদের রব, লাতুযিগঃ তুমি বক্র করে দিও না, কুলুবানা, আমাদের মনকে, বা’দা ইয হাদায়তানা, তুমি আমাদেরকে হেদায়েত দানের পর।
আপনিই বলেন, হেদায়েত দানের ব্যাপারটি যদি বান্দার চাওয়ার উপর নির্ভর করে। তাহলে বক্র করে না দেবার জন্যে অনুরোধের কি প্রয়োজন? হেদায়েত প্রাপ্তির ব্যাপারটি যদি বান্দার উপর নির্ভর করে। তবে এ দোয়াইতো করার কথা ছিল যে হেদায়েত পাবার পর আমি বক্র হতে চাইনা। হৃদয়কে বক্র করার কর্তাটা কে?
৪. আপনি বলছেন যে এগ্রেসনই হবে। আপনাকে দেয়া কমেন্টিতে দেখতে পারেন। সেখানে লিখেছি যে সীমা লঙ্ঘনের ব্যাপারগুলর মধ্যে চুক্তি আছে এমন কারো উপর আক্রমন না করা। মুসলিমরা ভাবছিল যে কাফেরেরা চুক্তি ভংগ করবে (যদিও কুরানের আলোকে দেখা যায় শক্তি অর্জনের পর মুসলমানরাই চুক্তি ভঙ্গের ঘোষনা দিয়েছিল)। আর ভাবানুবাদ সমুহ শানে নুযুলকে অনুসরন করে। একেবারে মনগড়া কিছু লিখলে তো সমস্যা। যেহেতু ইসলাম সুরা মায়দার আয়াতের পর পরিপুর্ণতা পেয়েছে, তাই এ ব্যাপারটি খেয়াল রাখতে হবে যে আয়াতের আদেশ পরস্পর বিরধী না হয়ে যায়। যদি আগ্রাসন নিষেধ করেন, আর সামনে এ শানে নুযুল না থাকে। তবে তা ৯:২৯ এর সাথে সরাসরি সংঘাত করবে। যেখানে বলা হয়েছে যুদ্ধ কর। এবং এখানে কোন আদেশ নেই যে যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে। শানে নুযুলেই দেখা যায় যে আয়াটি মনসুখ করা হয়েছে। সুতরাং মনসুখের আগের অনুবাদ আর পরের অনুবাদ ভাবানুবাদ অনুসারেই ঠিক না। আর শাব্দিক অর্থেতো নয়ই। আপনি নিজেই দেখেন, জালালাইন the ones that overstep the bounds which God has set for them এ অংশটুকু কি আয়াতে পেয়েছেন?
৫: এরকম আরো আয়াত আমার মাথা নষ্ট করে রেখেছে। সুরা রুম ومن ءايته ان تقوم السماء والارض بامره ثم اذا دعاكم دعوه من الارض اذا انتم تخرجون
এবং তার নিদর্শন মদ্ধ্যে এটিও যে তারা দাঁড়িয়ে আছে আকাশ ও পৃথিবী তার আদেশ অনুসারে। তারপর…
আপনি আগের নিদর্শন সমুহ দেখেনঃ তিনি মৃত্তিকা থেকে তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। এখন তোমরা মানুষ, পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছ। তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। তাঁর আর ও এক নিদর্শন হচ্ছে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃজন এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র। রাতে ও দিনে তোমাদের নিদ্রা এবং তাঁর কৃপা অন্বেষণ।তিনি তোমাদেরকে দেখান বিদ্যুৎ, ভয় ও ভরসার জন্যে এবং আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তদ্দ্বারা ভূমির মৃত্যুর পর তাকে পুনরুজ্জীবিত করেন।
এসব নিদর্শনই দৈনন্দিন জীবনে মানুষ দেখতে পায়। তৎকালীন মানুষেরা জানত না যে পৃথিবী চলমান। মাথার উপর বিশাল আকাশ তার নিচে স্থির পৃথিবীকে তারা স্থিরই মনে করত। আর তাই তাদেরকে পৃথিবী স্থির এই নিদর্শনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। “ক’মা” শব্দের অর্থ দাঁড়ানো। এটি দাড়ানোর সাথে খাস। অনেক অনুবাদক এই ব্যাপারটি বুঝতে পেরে দাঁড়ানো অর্থে না নিয়ে জেগে উঠা (rise) অর্থে নিয়েছেন!
কোন কিছুর প্রতি অন্ধ বিদ্বেষ আমার নেই। আমার ব্যাক্তিগত বিষয়ে আপনার আগ্রহ থাকার কথা নয়। তা সত্যেও বলছি, রমজানে আমাকে তারাবী পড়াতে হবে। তা করতে হবে একজন মুনাফিক হয়ে। এ ব্যপারটা অনেকের কাছে উপহাসের, এমনকি আল্লাহর কাছেও। এ ব্যাপারটি কি মানবিক মনে হয় নাকি কোন ক্ষমতাশালীর খেলা মনে হয়। যিনি কোন বান্দার মনে অসংখ্য প্রশ্ন জাগার মত ব্যাবস্থা করে দিয়েছেন, উত্তর দানের জন্যে চৌদ্দশত বছর আগে একটা বই পাঠিয়ে আর কোন খবর নাই। যে বই এর অনুবাদ চৌদ্দজন চৌদ্দ রকম করেছেন। আর বান্দার এ অবস্থায় তিনি পরিহাস করেন আবার বলেন এসব প্রশ্ন নিয়ে উদ্ভ্রান্ত হয়ে বেরাবার জন্যে তিনি অবকাশ দিয়েছেন! (বাকারা ১৩)
এডিট অপশন নেই। তাই এখানে উল্লেখ করছি। আরাফু মান তাকাল্লামু মায়াকা এ বাক্যটি পড়তে হবে আমি তাকে চিনি যে তোমার সাথে কথা বলেছে।
আনাস,
প্রথমে বলি আপনার লেখাটি খুব পছন্দ হয়েছে। তার মাত্র একটা কারণ, সেটা হলো, অনুবাদের সঠিকতার ব্যাপারে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্ট আপনি তুলে ধরেছেন। সেই পয়েন্টগুলো অনেকেই আলোচনা করেছেন। আমি সেসব নিয়ে কিছু না বলি।
কয়েকটা বিষয়ে আমার একটু অন্যমত প্রকাশের ইচ্ছে হয়েছে। সেইটা একটু করি:
১.
আপনার নিচের কথাটা আমার কাছে ঠিক পরিস্কার হয় নি:
এতে সমস্যা কী হয়েছে? ২:১৯০ আয়াতে যদি উল্লিখিত অংশটার অনুবাদ করেন, তাহলে দাঁড়ায়, {{নিশ্চয় আল্লাহ সীমা অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না। }}
এর অর্থ আমি যেটা বুঝি, তা হলো, আল্লাহর রাস্তায় অবশ্যই যুদ্ধ করো তাদের সাথে যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে। কিন্তু মনে রাখবা, যুদ্ধ মানেই তুমি যা ইচ্ছে তাই করতে পারবা না। তুমি যদি আমার রাস্তায় যুদ্ধ করতেছ দেখায়া যদি সীমা লঙ্ঘন করো, তাহলে মনে রাইখো, আমি তুমারে চিনি না। সীমা লঙ্ঘন জিনিসটা আমার পছন্দ না।
এই আয়াত কি অরিজিনালিই যথেষ্ট মানবিক আছে না???
এই আয়াতকে মানবিক প্রমাণ করতে অনুবাদে ম্যানিপুলেশনের আশ্রয নিতে হবে কেন, সেটা বুঝলাম না। আর, ম্যানিপুলেশনের যে অভিযোগ আপনি এনেছেন, তা ঠিক কীভাবে অরিজিনাল আয়াত-এর চেয়ে মানবিক করে তুললো, সেইটাও বুঝলাম না। একটু বুঝায়ে দেবেন।
২. ম্যানিপুলেশনের অভিযোগ এনেছেন আপনি। বলেছেন,
ভুল কিন্তু আপনিও করেছেন, {{মুলত تَعْتَدُواْ শব্দটি আইন দাল ওয়া থেকে আগত। এর অর্থ সীমা। }} এই অংশটায় ভুল আছে। একটু চেক করবেন।
৩. هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي الأَرْضِ جَمِيعاً এই আয়াতাংশের পরে ব্যবহৃত আপনি সুম্মা নিয়ে আপত্তি করেছেন, অথচ আরো বড় জায়গা রয়ে গিয়েছে।
যে অংশটুকু উল্লেখ করলাম, তার অর্থ হলো:
He it is Who created for you all that is on earth (فِي الأَرْضِ جَمِيعاً)
পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সমস্তই আল্লাহ আগে সৃষ্টি করেছেন, এইটা আপনার কাছে আশ্চর্য লাগে নাই? “তার পর আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেছেন”। আশ্চর্য লাগে নাই?
এই আয়াত হেফাজত কার থাকবে কেয়ামত পর্যন্ত (একর্ডিং টু কোরান ইটসেল্ফ)। এর মানে কি এই যে কেয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে যা কিছু থাকবে, তা সবিকছুই আল্লাহ আগেই সৃষ্টি করে ফেলছেন???
সুম্মা মানে যদি তার পর (ধারাবাহিকতা অর্থে) হয়, তাহলে আল্লাহ ঐ আকাশের ডিজাইনের দিকে যাবার আগে পৃথিবীর সমস্ত কিছু (একদম সমস্ত কিছুই) সৃষ্টি করেছেন!
আপনি সুম্মা নিয়া চিন্তা করতেছেন? খুব ফানি লাগলো।
এই প্রসঙ্গে আপনার কী মনে হয়?
আপনার জবাব পাইলে কথা বলার আগ্রহ থাকলো।
৪. যাযবরকে একটা প্রসঙ্গ দেখানো হইসে। এই বেলা সেই প্রঙ্গটাও যোগ করবেন।
@এন্টাইভন্ড,
ভুল আমি করতেই পারি। আর সেটা আমার কাছে পরিষ্কার হলে কখনোই ইগো নিয়ে বসে থাকি না।যাযাবরের প্রবন্ধে কোন বিষয়টি আপনি বলেছেন সেটা একটু উল্লেখ করবেন। মুক্তমনায় সাম্প্রতিক লিখাগুল ফলো করতে না পারার অন্যতম কারন লোডশেডিং। এক আপনাকে এ মন্তব্য তিনবাদ লিখেছি। তাও আজ সকাল থেকে।
১. অনুবাদের ম্যানিপুলেশন ঘটানো হয়েছে তার প্রমানতো পেয়েছেন। ম্যানিপুলেটেড অর্থ নিলে দাঁড়ায় যে তোমরা আগে থেকে আক্রমন করবে না। আর সঠিক অর্থে নিলে আগ্রাসনের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা আসে না। ফলে তখন এরকম অর্থ নেয়ার কোন সমস্যা থাকে না যে আপনি ইন্ডিয়া আক্রমন করলেন, এতে তাদের সেনাবাহিনী যদি প্রতিরোধ করে। আপনি তাদেরকে হত্যা করবেন। অর্থাৎ আগ্রাসী জিহাদ বৈধ। বিষয়টি নিয়ে একটা ফেসবুক গ্রুপের আলোচনাও হয়েছে। এবং ওমরের একটি হাদিস আছে যেখানে তিনি একটা দেশ আক্রমনের ব্যাপারে পরামর্শ করেছেন। এবং ইতিহাসে এরকম অসংখ্য প্রমাণ আছে যেখানে মুসলিম সেনাবাহিনী নিম্নোক্ত আয়াতের কর্মবাস্তবায়ন করেছেন। ইসলাম গ্রহন কর, আমরা বন্ধু হয়ে যাব। অথবা জিযিয়া দাও আমরা নিরাপত্তা দিব। অথবা আমাদেরকে মোকাবেলা কর।
http://www.facebook.com/note.php?note_id=348042057247
আর আপনি যদি ফারুক ভাই এর মত ইসলামী ইতিহাস ও হাদিস ইত্যাদির বিরুদ্ধে না হোন। তাহলে আআপনার নিশ্চই জানা আছে কুরানের নরম নরম আয়াতসমুহ মক্কা বিজয়ের পর বাতিল হয়ে গিয়েছে। দেখুন
قَاتِلُواْ الَّذِينَ لاَ يُؤْمِنُونَ بِاللّهِ وَلاَ بِالْيَوْمِ الآخِرِ وَلاَ يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللّهُ وَرَسُولُهُ وَلاَ يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُواْ الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُواْ الْجِزْيَةَ عَن يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ: 2:29
তোমরা যুদ্ধ কর তাদের সাথে যারা আল্লাহর উপর ঈমান আনেনা। আখেরাতের উপর ঈমান আনেনা। নিষিদ্ধ মনে করেনা যা নিষিদ্ধ করেছেন আল্লাহ ও তার রাসুল। গ্রহন করেনা সত্য দ্বীন তাদের মধ্যে কিতাবধারীদের সাথেও ততক্ষন, যতক্ষন না তারা আদায় করে জিযিয়া এবং কড়জোড়ে ক্ষমা চায়।(ছোট হয়/নিচু হয়)
২. শব্দটির বিস্তারিত উল্লেখ করিনি। লা তাউদুঃ তোমরা সীমা লঙ্ঘন করো না। সীগাহঃ জামায়া মুজাক্কার। বহসঃ নাহি হাদের মারুফ। বাবে ইফতিয়াল। মাসদার আল ই’তিদা উন। মাদ্দাহঃ আইন দাল ওয়া। জিনসে সহী।
http://www.openquran.org/# সুরা বাকারা ১৯০ ক্লিক করেন।
৩. আমি শুধু এটাই ভেবেছি একটা স্টার সৃষ্টি হবার পর তার জগত তৈরী হবে। যেমন সৌর জগৎ সৃষ্টির আগেই পৃথিবী কিভাবে আসল তা বুঝতে পারিনাই। সৃষ্টি সংক্রান্ত আয়াতগুলোতে দেখবেন তিনি জমীন সৃষ্টি করেছেন। তারপর আসমান সৃষ্টি করেছেন। সেখানে ল্যাম্প লাইট স্থাপন করেছেন, সেখানে শয়তান তাড়ানোর ব্যাবস্থা রেখেছেন। তারা কি দেখেনা আসমান ও জমীন দাঁড়িয়ে বা স্থির হয়ে আছে। আর সব কিছু বাদ দিলাম। বৈজ্ঞানিক ভাবে আজ যে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক নেই। সেটিই উল্লেখ করলাম। পৃথিবীর পর আকাশ সৃষ্টি। এ ব্যাপারে মুফাসসির মুজাহিদ সহ অনেকের অভিনব ব্যাখ্যা রয়েছে। যে পানির উপর আল্লাহ আরশ রাখেন, সেই পানিকে শুকিয়ে দিয়েছেন। সেই শুকনো স্থানকে জমীন হিসেবে রেখেদেন। সেখান থেকে একটি ধুম্রকুন্ডুলী উপরে উঠে যায়। সেই ধুম্রকে আল্লাহ আকাশে রুপান্তরিত করেন।
এসবই ছিল তৎকালীন কুরানের ব্যাখ্যা কারকদের জ্ঞান।
আপনি একটা কথা ভেবে দেখেন। যে কোন ইতিহাস আমরা জানতে চাইলে নিরপেক্ষ ব্যাক্তির সন্ধান করি। হিটলারের কোন ঘটনার বর্ণনায় যদি হিটলারের সাগরেদকে পাওয়া যায়। তাহলে আমরা বলি এই ব্যাটা তো হিটলারের গুনগান গাইবেই। অনেক ক্ষেত্রে তার সঠিক তথ্যও আমরা সন্দেহের চোখে দেখি। অথচ ইসলামের বেলায় আসলে আমাদেরকে অথেন্টিক ইসলামিক সোর্স থেকে সব উল্লেখ করতে হয়। সেখান থেকে উল্লেখের পরো বলা হয় অনুবাদকের ভুল, ব্যাটা শিয়া ছিল। বা ওয়াহাবী ছিল। সুন্নি হলেও অমুকের মতানুসারী ছিল। ইত্যাদি ইত্যাদি। এরকম বদ্ধমনাদের কাছে তথ্য তুলে বুঝায় দেয়া কতটা কঠিন আপনি নিশ্চই বুঝেন। তাই লিখাতো বটেই, মন্তব্য করতে গেলেও অনেক কিছু ঘেটে ঘুটে করতে হয়।
আপনি আপনার বাকী বক্তব্য দিতে পারেন ৩ নং পয়েন্টের ব্যাপারে। সময় করে আলোচনা অবশ্যই করব।
google translationএمَن লিখে search দিলে পাবেন-
pronoun
1.Who
2.Whom
3.Whoever
4.Whosoever
مَن এর এর অর্থ যে (Who) হতে পারে বা যাকে (Whom) ও হতে পারে। সেকারনে কোথায় কোনটা হবে তা জানার জন্য পুরো বাক্য ও مَن এর পরে যে verb আছে সেটার সাথে সামন্জস্য থেকেই বোঝা যায়।
৩৫:৮ এ مَن এর পরে verb يَشَاء third person singular form এ আছে।
সুতরাং যে(Who) চায় gramatically correct.
6:19 এ ‘all **‘whom** it may reach’ এখানে whom এর জায়গায় Who বসান তো দেখি কোন মানে হয় কিনা বা বাক্যের সামন্জস্য থাকে কিনা? ইচ্ছা করলেও আপনি whom এর জায়গায় Who বসাতে পারবেন না।
নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবা ভাল , তবে অন্যকে ইচ্ছাকৃত বিকৃতকারী বলার আগে ভাল মতো চিন্তা করা উচিৎ।
@ফারুক,
আর যে (Whom) চায় gramatically Incorrect.?
কোথায় কোনটা ঠিক হবে সেটা তো কুরানের সব অনূবাদে, শব্দার্থে কুরাণে, আল-কুরাণের বাংলা অভিধানে, সব জায়গাতেই WHOM (ইংরেজী অনুবাদে) বা যাকে(বাংলা অনুবাদে) দেয়া আছে। তাহলে আপনি এই সব আরবী পন্ডিতের চেয়ে বেশি জানেন? কে নিজেকে বেশি চালাক ভাবছে? আসাদও তো প্যাঁচ মেরেও WHO করতে পারেন নি। ব্র্যাকেটের ভেতর নিজের মনের ইচ্ছাটা প্রকাশ করেছেন, ব্র্যাকেটে থাকা মানে ওটা কুরাণের কথা নয়। আর কত চাল চালবেন।
@যাযাবর,
না, গ্রামাটিকালি ইনকারেক্ট না। তবে কোরানের একটা অর্থ বুঝতে গেলে অবশ্যই আগে দেখা উচিত যে এসংক্রান্ত অন্য কোনো আয়াত আছে কি না।
দেখুন:
10:108
قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَكُمُ الْحَقُّ مِن رَّبِّكُمْ ۖ فَمَنِ اهْتَدَىٰ فَإِنَّمَا يَهْتَدِي لِنَفْسِهِ ۖ وَمَن ضَلَّ فَإِنَّمَا يَضِلُّ عَلَيْهَا ۖ وَمَا أَنَا عَلَيْكُم بِوَكِيلٍ
Say, “O people, the truth has come to you from your Lord, so whosoever is guided is guided for him, and whosoever is misguided is misguided against him. I am not a caretaker over you.”
@antibhondo,
ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য কুযুক্তি নিয়ে মাঠে আরেকজন নেমেছেন দেখছি।
তাই নাকি। এটাই কি কুরাণ খুবই পরিস্কার, নিখুত বই দাবীর নমুনা?। এই আয়াত বুঝতে ঐ আয়াত পড়তে হবে, আর ঐ আয়াত পড়তে আর এই (আরেকটা) আয়াত পড়তে হবে? কেউই, এমন কি আল্লাহ ও এটা বলে দেননি কোনটা পড়তে কোনটা লাগবে । আপনি কি এই কাজে সাহায্যের জন্য বিশেষ প্রেরিত পুরুষ?
আর আপনি দেখছি ১০-১০৮ এর এক অভিনব অনুবাদ হাজির করেছেন। কোত্থেকে এটা যোগাড় করেছেন? এর ইংরেজীটাই তো হাস্যকর।
whosoever is guided is guided for him, and whosoever is misguided is misguided against him ? এটা কি আরবিংলিশ? মূল প্রসংগ থেকে বেরিয়ে আপনাদের প্রিয় ইউসুফ আলীকেই নাহয় কুয়োট করিঃ
“O ye men! Now Truth hath reached you from your Lord! those who receive guidance, do so for the good of their own souls; those who stray, do so to their own loss: and I am not (set) over you to arrange your affairs.”
ইউসুফ আলীর অনুবাদে ইংরেজীটা কিছুটা অর্থবহ। কিন্তু তাঁর অনুবাদেও হাসির খোরাক আছে। “those who receive guidance, do so for..”.
receive এর সঙ্গে do so যায় কি করে? যে পথপ্রদর্শিত হচ্ছে সে কি তা করছে? পথপ্রদর্শন তো আল্লাহর ক্রিয়া। এ কি ধরণের ইংরেজী। যাই হোক এই আয়াতের শেষে আল্লাহ তো মুহম্মদকে বলছেন যে হে মুহম্মদ তাদের জীবনের কাজ কারবার দেখার ভার তোমার নয়। এখন আসি মূল প্রসঙ্গে। এই আয়াতের সঙ্গে বিতর্কিত আয়াত (ফারুকের উত্থাপিত) আয়াতের কি যোগসূত্র। বা এতে আপনাদের যুক্তিতে কি সুবিধা হল? প্রসংগ ঘুরিয়ে অন্য দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপের চেষ্টা ? তাতেও তো লাভ হচ্ছে না।
@যাযাবর,
(আপনি এত উত্তেজিত কেন?)
১.
35:8-এর উল্লিখিত অংশটুকুর অনুবাদে
Muhammad Asad:
For, verily, God lets go astray him that wills to go astray][, just as He guides him that wills [to be guided]
Rashad Khalifa
GOD thus sends astray whoever wills (to go astray), and He guides whoever wills (to be guided).
Shabbir Ahmed
Surely, God lets go astray only him who wills to go astray, just as He guides him who wills to be guided.
এই তিনটা অনুবাদই আপনি পাবেন, এই লিঙ্কে:
http://quranix.net/#?RTQ=1&TMG=1&MA=1&RK=1&SH=1&TE=1&A=1&L=en&NA=10&keywords=35%3A8&sinall=cur&slogic=and
এই মূহুর্তে আপনার এই মন্তব্যটি চমৎকারভাবে স্মরণীয় হইসে।
রিলেটিভ প্রোনাউনের এই ক্ষেত্রে নিচ্ছয়ই দ্যাট আর হু-এর মধ্যে বিস্তর ফারাক! কী বলেন ভাইডি???
______________________
২.
(যাযাবর আপনি এত উত্তেজিত কেন?)
একটু গ্রামাটিকালিই যাইতে হবে এখন। আনাস সাহেবের হেল্প চাই। আকাশ ভাই, বস্, আপনেও থাইকেন আশেপাশে।
من يشاء -এর মানে বুঝতে হলে অবশ্যই من এবং يشاء দুটো শব্দেরই মানেটা ভালো করে বুঝতে হবে।
من একটা রিলেটিভ প্রোনাউন। এর অর্থ হু, হুম, দ্যাট ইত্যাদি। কন্টেক্সট অনুসারে বসবে।
এই লিঙ্ক থেকে দুটো উদাহরণ দিচ্ছি:
ক. تومٌ هُوَ مَنْ يَسْتَطِيْعُ أَنْ يَفْعَلَهَاْ
অর্থ: Tom is the one who can do it
এখানে مَنْ ব্যবহৃত হয়েছে who অর্থে।
খ. دَاْنٌ هُوَ مَنْ رَأَيْتُ
অর্থ: Dan is the man whom I saw
এখানে مَنْ ব্যবহৃত হয়েছে whom অর্থে
সুতরাং এইটুকু প্রমাণিত হলো যে مَنْ -এর ভেতরে who কিংবা whom দুটো হবারই সম্ভাবনা আছে।
এখন আমরা দেখি
يشاء মানে কী?
يشاء একটি ভার্ব। জাস্ট একটা ভার্ব। থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাউনের সাথে এগ্রি করে এই ভার্ব। এর অর্থ হলো: {ইচ্ছা করে}
সেই হিসেবে এই ভার্বের সাবজেক্ট হইতে পারে আগের ভার্বের (য়ুদিল্লু অথবা য়াহদি) সাবজেক্ট অথবা “মান “।
যদি আগের ভার্বের সাবজেক্টই يشاء ভার্বের সাবজেক্ট হয় তাহলে এখানে “মান “-এর অর্থ হবে যাকে (whom)। অন্যথায় “মান”-রে অর্থ হবে “যে” (who)।
এবার সরলীকরণ করি:
فَإِنَّ اللَّهَ يُضِلُّ **مَن** يَشَاء وَيَهْدِي مَن يَشَاء
এই কথাটার অর্থ তাহলে দুইরকমই হতে পারে ব্যকরণের সেন্সে:
Indeed God leads astray whomever He will and guides whomever He will.
অথবা
GOD thus sends astray whoever wills (to go astray), and He guides whoever wills (to be guided).
আমি, এন্টাইভন্ড, আরো নিশ্চিত হবার জন্য কোরানেরই আরো একটা আয়াত পড়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছিলাম, তা মানুষ এত উত্তেজিত থাকে!
১০:১০৮ আয়াতে বলা হয়েছে
ইউসুফ আলীর অনুবাদ:
“O ye men! Now Truth hath reached you from your Lord! those who receive guidance, do so for the good of their own souls; those who stray, do so to their own loss: and I am not (set) over you to arrange your affairs.”
বলে দাও, হে মানবকুল, সত্য তোমাদের কাছে পৌঁছে গেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের তরফ থেকে। এমন যে কেউ পথে আসে সেপথ প্রাপ্ত হয় স্বীয় মঙ্গলের জন্য। আর যে বিভ্রান্ত ঘুরতে থাকে, সে স্বীয় অমঙ্গলের জন্য বিভ্রান্ত অবস্থায় ঘুরতে থাকবে। অনন্তর আমি তোমাদের উপর অধিকারী নই।
এই আয়াত থেকে আমি এইটুকু বুঝলাম যে ৩৫:৮ আয়াতের অনুবাদে উপরে উল্লিখিত অনুবাদটিই সম্ভবত সঠিক।
কিন্তু আপনি তো জানেন, এত যুক্তি দেখালাম, তারপরও আমার ভুল হবার সম্ভাবনা আছে। আমি চাই, আমার সেই ভুলটুকু যদি কেউ ধরতে পারে, সে যেন আমাকে একটু ভদ্রভাবে ধরিয়ে দেয়। সেই ভুল সংশোধনকারী লোকটি যদি আপনি হন, আমার তাতে কোনো সমস্যা নেই।
আমার যুক্তি আমি জানি, সঠিক। এবং আপনার সাথে এনিয়ে পূর্ণ কনফিডেন্সের সাথেই ডিবেট করবো। কিন্তু আমি সবসময়ই এই সম্ভাবনাও মাথায় রাখবো যে, আমার অভ্রান্ত যুক্তিটি আসলে ভ্রান্তও হইতে পারে।
উত্তেজিত হওয়াটা আসলেই কি জরূরি???
@যাযাবর,
{do so} = {receive}. do so এখানে receive-এর পরিবর্তে বসেছে।
{who receive guidance} এই ক্লজে সাবজেক্ট হচ্ছে who, তার ভার্ব হলো receive.
পরের ক্লজে receive ভার্বটাই আবার না এনে do so দিয়ে চালানো হয়েছে। সেখানে সাবজেক্ট হলো those.
ইংরেজিতে এটা গ্রহণযোগ্য এবং বেশ ভালোই ব্যবহৃত হয়।
একইরকমের উদাহরণ, Please stand up when you are requested to do so.
এখানে “ডু” মানে “করা” না।
আপনার এই উক্তিতে বিমূঢ় হয়ে গেলাম ভাই। তা নিয়ে আবার আপনি হাসাহাসিও করলেন একচোট!
@যাযাবর,
চাল তো আপনিই চালছেন প্রসঙ্গ থেকে প্রসঙ্গান্তরে চলে যেয়ে। আমার সকল সময়ে লক্ষ্য থাকে অন্যকে বোঝানোর চেয়ে নিজেকে বোঝাতে পারলাম কিনা? কেউ বুঝতে না চাইলে , তাকে বোঝানো সম্ভব নয়।
@ফারুক,
আপনাকে দুয়া করতে বললাম। আপনি করেছেন তো? আল্লাহ কিন্তু আপনাকে শিখিয়ে দিয়েছেন যে তিনি যেন হেদায়েত করার পর আবার হৃদয়কে বক্র করে না দেন। আল্লাহ বিপথে পরিচালিত নাই করেন। তাকে এ অনুরোধ করার মানে কি যে আমাদের হৃদয়কে বক্র করে দিয়েন না? দোয়াতো এরকম হওয়াই উচিত ছিল যে হে রব, সত্যের পথে চলতে চাই যেহেতু সত্যের পথ পেয়েছি। তুমি সাহায্য কর। নিচের ওয়েব সাইটে গিয়ে তুলনামুলক অনুবাদ দেখতে পারেন।
http://www.islamawakened.com/Quran
যাযাবর অনেকগুল আয়াত দিয়েছেন যেখানে এটা পরিষ্কার যে আল্লাহ গাইড করেন এবং তিনিই বিভ্রান্ত করেন। এমন আরেকটি আয়াত হল ২:২৬
إِنَّ اللَّهَ لاَ يَسْتَحْيِي أَن يَضْرِبَ مَثَلاً مَّا بَعُوضَةً فَمَا فَوْقَهَا فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُواْ فَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ وَأَمَّا الَّذِينَ كَفَرُواْ فَيَقُولُونَ مَاذَا أَرَادَ اللَّهُ بِهَـذَا مَثَلاً يُضِلُّ بِهِ كَثِيراً وَيَهْدِي بِهِ كَثِيراً وَمَا يُضِلُّ بِهِ إِلاَّ الْفَاسِقِينَ (2:26)
Basit – Hussari – Minshawi
# 2:26 (Asad) Behold, God does not disdain to propound a parable of a gnat, or of something [even] less than that. [18] Now, as for those who have attained to faith, they know that it is the truth from their Sustainer – whereas those who are bent on denying the truth say, “What could God mean by this parable?” In this way does **He cause** many a one to go astray, just as **He guides** many a one aright: but none does He cause thereby to go astray save the iniquitous
আবার ব্যকরনে যাবার আগে আপনার সাথে একমত হতে পারি কিনা দেখি। আপনি বলেছেন مَنْ يشاء অর্থ যে চায়।يشاء কর্মটি “مَنْ” তথা বান্দা কতৃক তাই না? এবং আপনি বলছেন যে مَنْ এর অর্থ পরের ক্রিয়ার উপর নির্ভর করে। তাই যদি হয়, তাহলে নিচের কথাগুলর সাথে একমত কিনা।
১. বান্দা চাইলেই আল্লাহ তাকে সৎপথে চালাবেন।
২. আল্লাহর কথা আর সাধারন মানুষের কথা একই মুল্য রাখেনা। আল্লাহ যেহেতু কথা দিয়েছেন, তাই বান্দা চাইলেই সৎপথে চলতে পারবে?
৩. বান্দা চাওয়ার পরেও সে যদি সৎপথে চলতে না পারে। তাহলে আল্লাহ তার কথার বরখেলাপ করবেন কিনা?
আপনার উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
@আনাস,
“as for those who have attained to faith,” ও “whereas those who are bent on denying the truth” এই অংশটুকুর উপরে খেয়াল করুন , তাহলে বুঝবেন কিভাবে আল্লাহ উভয়কেই সাহায্য করেন।
২:২৬ আয়াত পড়ে আবারো উপলব্ধি করলাম কোরানের সত্যতা।
একমত।
হ্যা পারবে। আল্লাহর প্রতিশ্রুতি মিথ্যা হতে পারে না।
সৎপথে চলতে পারবে না কেন? কারনটা আগে জানি , তারপরেই না বল্তে পারব আল্লাহ কথার বরখেলাপ করবেন কিনা? বান্দা নিজেই যদি আবার বিপথে যেতে চায় , তার জন্য তো আর আল্লাহ দায়ী নয়।
@ফারুক,
প্রথম অংশটুকু নিয়ে এত প্যাচানোর কিছু নাই। যে আল্লাহ যা বলছে তা সত্য ধরে নিয়েই যল্লাহ যা বলছে তাই সত্যি মনে করে। সেটাতো অন্ধ বিশ্বাস। আর প্রশ্ন যারা করে। তাদেরকে আগে থেকেই সত্যপ্রত্যাক্ষানকারী রুপে ঘোষনা করা কতটা যুক্তিযুক্ত তার উত্তর এসব অন্ধ বিশ্বাসীদের কাছে পাবার কথা নয়। আল্লাহতো বলেই দিয়েছেন এইভাবে তিনি পথভ্রষ্ট করেন। পৃথিবীর কোন শিক্ষককে ছাত্র প্রশ্ন করলে শিক্ষক তাকে পথভ্রষ্ট করেন বলতে পারেন? আর শিক্ষক যদি নিজেই বলেন এভাবেই আমি কিছু ছাত্রকে পথভ্রষ্ট করি। তার মত কুশিক্ষক কি এ জগতে আছে? নাকি আসলে সে শিক্ষাই দিতে জানেনা। নিজের ব্যার্থতা ঢাকতে তার এরকম বক্তব্য।
সহমত জেনে ভাল লাগল। এবার আপনি আমাকে বলেন। পৃথিবীর কোন মানুষটা রুজী বা জীবিকা পেতে চায় না? প্রত্যেকটি মানুষ জীবিকার্জনে রাতদিন খেটে যায়। জীবিকার্জনে দূর দুরান্ত পারি দেয়। ঠেলা গাড়ি চালায়। পৃথিবীতে কত শত মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে প্রতিদিন। এক্ষেত্রে আপনি আমাকে বুঝান কোন মানুষটা জীবাকা পেতে চায় না, এবং পেতে চাইলেও চেষ্টা করে না। সব মানুষকি তার চাওয়া অনুসারে জীবিকা পায়? চাওয়া অনুসারে তো দূর। নুন্যতম জীবিকাওতো অনেকে পায় না। তাহলে আল্লাহ কেন বলছেন যে চাইবে তাকে তিনি বেশুমার জীবিকা দিবেন?
زُيِّنَ لِلَّذِينَ كَفَرُواْ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَيَسْخَرُونَ مِنَ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ اتَّقَواْ فَوْقَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَاللّهُ يَرْزُقُ مَن يَشَاء بِغَيْرِ حِسَابٍ
পার্থিব জীবনের উপর কাফেরদিগকে উম্মত্ত করে দেয়া হয়েছে। আর তারা ঈমানদারদের প্রতি লক্ষ্য করে হাসাহাসি করে। পক্ষান্তরে যারা পরহেযগার তারা সেই কাফেরদের তুলনায় কেয়ামতের দিন অত্যন্ত উচ্চমর্যাদায় থাকবে। আর আল্লাহ সীমাহীন রুযী দান করেন যে চায়।
এ আয়াতে مَن এর পর يَشَاء এসেছে। তাই আপনার মত করেই অনুবাদ করলাম। এবং আপনার সহমত অনুসারে।
১. যে চাইবে তাকেই আল্লাহ সীমাহীন রুযি দান করবেন।
২. পৃথিবীর সব মানুষই সীমাহীনতো বটেই, নুন্যতম রুযী চায়।
৩. মানুষ যারা প্রত্যাশা অনুযায়ী রুযি পায় না অথবা যারা জীবিকার অভাবে মারা যায়, তাদের সাথে আল্লাহ তার কথার বরখেলাপ করেছেন।
৪. প্রত্যেকটি মানুষ তার সাধ্যানুসারে জীবিকার্জনের চেষ্টা করে। এ ক্ষেত্রে এটা বলার কোনই সুযোগ নেই যে কোন ব্যাক্তি জীবিকা চায় না। আল্লাহ বলছেন তিনি সীমাহীন জীবিকা দান করেন যে চায়। এর পরেও আল্লাহ ওয়াদা কেন ভংগ করলেন?
@আনাস,
প্রশ্ন করতে নিষেধ করা হয়েছে বা যারা প্রশ্ন করে তারা সত্যপ্রত্যাক্ষানকারী , এমন আয়াত কোথায় পেয়েছেন? আয়াত নং উল্লেখ করুন। তবে একটা কথা সত্য , যারা আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করে , তাদের কাছে কোন উত্তরি মনঃপূত হবে না।
যদিও আল্লাহ নিজের থেকে কাউকে পথভ্রষ্ট করেন না , যদি না সেই ব্যক্তি পথভ্রষ্ট হতে চায়। এর অর্থ এই নয় যে , কেউ চাইলেই আল্লাহ তাকে হাতে ধরে বা ঠেলে বিপথে নিয়ে যান। আমি যেটা বুঝি , আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাকে বিপথে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারতেন । যেহেতু তিনি বিপথে যাওয়া থেকে বিরত রাখেন্নি , সে কারনেই বলা হয়েছে , যে চায় , তাকেই আল্লাহ বিপথে পাঠান।
শিক্ষক যদি ছাত্রকে আগেই সাবধান করে দেয় কি কি করলে তারা ফেল করবে বা চোরাগর্তগুলো কোথায় বা কিভাবে তিনি কিছু ছাত্রকে ফেল করান , যারা তাকে শিক্ষক বলে মানে না , তাহলে তাকে আপনি কিভাবে কুশিক্ষক বলেন? আমার তো মনে হয় আগে থেকেই পরিস্কার গাইড লাইন দেয়ার জন্য ওনার থেকে সুশিক্ষক আর হতে পারেনা। এটাকে কি বলব- আপনার লজিকের ভুল নাকি আপনি বিদ্বেষে অন্ধ ?
زُيِّنَ لِلَّذِينَ كَفَرُواْ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَيَسْخَرُونَ مِنَ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ اتَّقَواْ فَوْقَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَاللّهُ يَرْزُقُ مَن يَشَاء بِغَيْرِ حِسَابٍ
এই আয়াতটি আবারো প্রমান করে যে , আল্লাহ সাধারনত বান্দার ইচ্ছায় হস্তক্ষেপ করেন না। আয়াতটি দেখুন কাফেরদের নিয়ে। কাফেররা ঈমানদারদের নিয়ে হাসাহাসি করে এবং আল্লাহকে পর্যন্ত অস্বীকার করে , তবুও আল্লাহ তাদেরকে মালদার , ধনী হতে বাধ সাধেন না , তারা যত ইচ্ছা মালদার বা রিজিকের মালিক হতে পারে।
রিজিক আল্লাহর হাতে। যে রিজিক চায় সে পায়। এই চায় বলতে কি বোঝেন? আমি আল্লাহর কাছে চেয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাব এবং আল্লাহ আমার মুখে পৌছে দেবেন নাকি আমার কাজ ও চেষ্টার মাধ্যমে চাইতে হবে। মুখে বল্লেই তো হবেনা , যেমন কোরানেই বলা আছে মুখে ঈমান এনেছি বলাটাই যথেষ্ট নয়, কাজে প্রমান করতে হবে। সুপথ চাই বল্লেই আল্লাহ আপনাকে সুপথে হাতে ধরে নিয়ে যাবেন না, আপনাকে তার গাইড বুক কোরান পড়ে , সেই মতো আমল করা লাগবে। বিপথে যেতে চাই বল্লেই আল্লাহ আপনাকে হাতে ধরে বিপথে নেবেন না , আপনাকে আল্লাহর নির্দেশ পরিপন্থি কাজ করা লাগবে।
তেমনি যে কেউ তার কাজ ও চেষ্টার মাধ্যমে যতটুকু রুজি চায় , সে পাবে।
আল্লাহ কথার বরখেলাপ করেন না। এটা আল্লাহর টেস্ট , যার কথা কোরানেই বলা হয়েছে। আগেই বলা হয়েছে কোরানের essence মাথায় রেখে সমগ্র কোরান পড়লেই কেবল আপনার মনের দ্বন্দ কাটবে।
@ফারুক,
আবারও সেই একই ভুল অনুবাদ। লক্ষবার বল্লেও এটা নির্ভুল হয়ে যাবেনা, গোয়েব্লীয় চেষ্টা সত্বেও। একমাত্র আসাদই আপনার ভরসা। কিন্তু আসাদের ইংরেজীতেও এটা আসাদে নিজেই এর মানে করেছেন।
God lets go astray him that wills [to go astray]
[to go astray] এ তে বন্ধনী ([… ])লক্ষ্য করুন। কুরাণীয় ব্যাখ্যায় বন্ধনীর মানে এটা মূল কুরাণে নেই, অনুবাদকের নিজের সংযোজন। এই বন্ধনীর অংশটি বাদ দিলে যা থাকে সেটাই কুরাণের মূল আয়াত। তাতে এটাই দাঁড়ায় যে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা (মানে আল্লাহর ইচ্ছা) তাকে পথভ্রষ্ট করেন, যেটা বাকী সব অনুবাদে (বাংলা ও ইংরেজী) আছে, আর বাকী সব অনুবাদে এরকম কোন বন্ধনীও নেই। নিশ্চয় মওলানা মতিউর রহমান আরবী ভালই জানেন, তিনিও শব্দার্থে কুরাণে এই মানে করেছেন। মওলানা সিরাজুল ইসলাম ও তাঁর আল-কুরাণের বাংলা অভিধানে পথভ্রষ্ট করাই অনুবাদ করেছেন। যেমনটি করেছেন তাকিউদ্দীন হিলালী (মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবীর আধ্যাপক) খান ও হিলালীর ইংরেজী অনুবাদে। একমাত্র আপনই শুধু বন্ধনী ছাড়া এটা যে কুরাণের আয়াতের প্রকৃত মানে সে দাবী করছেন। পাঠকদের অত বোকা ভাববেন না। তারপরো আপনার এই মানেই ধরে নিয়ে দেখা যায় কি দাঁড়ায়। কেউ যদি পথভ্রষ্ট হতে চায় তাহলেই আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করেন। বেশ। তার মানে কেউ পথভ্রষ্ট হতে চাইলেও আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কেউ পথভ্রষ্ট হতে পারে না? তা নাহলে আল্লাহর হস্তক্ষেপের দরকার কি?। বা পারলেও যারা নিজের চেষ্টায় পথভ্রষ্ট হতে পারছেনা তাদেরকে সহায়তা করেন। তাহলে তো দেখা যাচ্ছে আল্লাহ আসলেই সে পথভ্রষ্ট হোক তাই চান । আল্লাহ যদি পথভ্রষ্ট হতে সাহায্য না করতেন তাহলে তো সে পথভ্রষ্ট হতে ইচ্ছুক হলেও তা হতে পারত না। তার মানে আল্লহই চান সে পথেভ্রষ্ট হোক। তিনি চান্সে থাকেন কেউ যখন পথভ্রষ্ট হতে চায় তখন তার পুরো সুযোগ নিয়ে সানন্দে তাকে পথেভ্রষ্ট করেন। আর দোষটা সেই লোকের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। আমি কি করব, সেই ত চেয়ে ছিল। বাহ , কি সুবিধাজনক! এই না হলে মহান আল্লাহ, এই না হলে এই আয়াতটা আপনার কাছে এত সুন্দর!
@যাযাবর,
এর পরে আর কী বলার থাকতে পারে তা স্বয়ং আল্লাহও বলতে পারবেন না। তবে আল্লাহকে যারা বিশ্বাস করেন তারা এবারও যদি উত্তর নিয়ে আসতে পারেন, তা খোদ আল্লাহর জন্যেও হবে শ্রেষ্ট বিষ্ময়।
@আকাশ মালিক, যদিও আল্লাহ নিজের থেকে কাউকে পথভ্রষ্ট করেন না , যদি না সেই ব্যক্তি পথভ্রষ্ট হতে চায়। এর অর্থ এই নয় যে , কেউ চাইলেই আল্লাহ তাকে হাতে ধরে বা ঠেলে বিপথে নিয়ে যান। আমি যেটা বুঝি , আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাকে বিপথে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারতেন । যেহেতু তিনি বিপথে যাওয়া থেকে বিরত রাখেন্নি , সে কারনেই বলা হয়েছে , যে চায় , তাকেই আল্লাহ বিপথে পাঠান।
@যাযাবর,বুঝলাম যে , হয় আপনি আমার বা এন্টাইভন্ডের মন্তব্যগুলো পড়েন নি বা পড়লেও বোঝেন নি। সকলে মিলে যদি কোরানের ভুল অনুবাদ ও করে , তবে ঐ অনুবাদ শুদ্ধ হবে , এমন কোন কথা নেই।
<blockquote[to go astray] এ তে বন্ধনী ([… ])লক্ষ্য করুন। কুরাণীয় ব্যাখ্যায় বন্ধনীর মানে এটা মূল কুরাণে নেই, অনুবাদকের নিজের সংযোজন। এই বন্ধনীর অংশটি বাদ দিলে যা থাকে সেটাই কুরাণের মূল আয়াত। তাতে এটাই দাঁড়ায় যে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা (মানে আল্লাহর ইচ্ছা) তাকে পথভ্রষ্ট করেন বন্ধনির ভিতরে [to go astray] লেখা হয়েছে যাতে আপনার মতো যারা ইংরেজিতে কাচা তাদের বোঝানোর জন্য। বন্ধনির ভিতরে [to go astray] না লিখলেও ও মানে ঐ একি দাড়ায়।
@ফারুক,
প্রশ্ন করতে নিষেধ করা হয়েছে বা যারা প্রশ্ন করে তারা সত্যপ্রত্যাক্ষানকারী , এমন আয়াত কোথায় পেয়েছেন? আয়াত নং উল্লেখ করুন।
কোরানে কোথাও লেখা আছে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে করো না ? প্রতি বছর ৪ টা বিয়ে করে ৪ টা কেই তালাক দিও না ? ফি বছর বাচ্চা পয়দা করো না ?
এসব লেখা নেই বলে কি আপনি এসব করবেন নাকি ? আর যদি করেন তাহলে আপনাকে সমাজে মানুষ কি হিসেবে ধরে নেবে ? নিশ্চয়ই একজন লম্পট, বাটপার, চরিত্রহীন, নীতিহীন লোক বলে ধরে নেবে। তাই না ?
ইসলামের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো ইমান বা অন্ধ বিশ্বাস। আর খোদ ইসলাম অর্থ হলো- আত্মসমর্পন। অন্ধ বিশ্বাস ও আত্মসমর্পন করতে হবে কোন রকম প্রশ্ন ছাড়া , কোনরকম সন্দেহ ছাড়া , শর্ত ছাড়া। এর পর কোরানে প্রশ্ন করতে বলুক বা না বলুক তাতে তো কিছু যায় আসে না । আপনি তো অত্যন্ত কাচা যুক্তি খাড়া করলেন ভাই। যেমন- একটি চোরের মুখ গামছা দিয়ে ভাল করে বাধলেন যাতে তার মুখ থেকে কথা বের না হয়, এর পর তাকে উত্তম মধ্যম দেয়া শুরু করলেন আর জিজ্ঞেস করতে থাকলেন , সে চুরি করেছে কিনা। এখন সে যদি চুরি করেছে এটা স্বীকার করতেও চায় তাহলেও তো তার পক্ষে তা করা সম্ভব না, কারন তার মুখ বন্দ। এখন কোরানের প্রথম কথাই হলো- ইমান মানে অন্ধ বিশ্বাস। কিসে বিশ্বাস? শুধু আল্লায় বিশ্বাস নয়, সাথে সাথে তার রসূল মোহাম্মদেরও ওপর বিশ্বাস করতে হবে। তাহলেই আপনি খাটি ইমানদার। এর পর আপনি বলছেন কোরানে প্রশ্ন করতে নিষেধ করা হয় নি। তো মুখ বেধে দিয়ে তাকে বলছেন – প্রশ্ন কর- এটা এক মস্ত রসিকতা নয় কি ? অবশ্যই কোরানে কোথাও প্রশ্ন করতে নিষেধ করেনি , তাই বলে প্রশ্ন করতে উদ্বুদ্ধও করে না। বরং, এমন একটা সিষ্টেম করে রেখেছে যাতে প্রশ্ন করাই অসম্ভব। আর সে কারনেই মুসলমানরা জ্ঞান বিজ্ঞানে এত পিছনে পড়ে আছে। কারন তারা বিশ্বাস করে বসে থাকে – কোরানে সব জ্ঞান আছে, অন্য জ্ঞান জানার দরকার নেই। আরও বিশ্বাস করে- ইহজগত দুদিনের , পরজগত আসল জগত। তাহলে দুদিনের ইহজগতে নিয়ে এত মাথা ব্যথা করে লাভ নেই। যদিও খোদ মোহাম্মদ নিজেই একজন মানুষ যতদুর সম্ভব ভোগ করতে পারে তার পুরোটাই ভোগ করে গেছেন দুদিনের এ ইহ জগতে। তার ১৩ টা বউ ছিল, আরও অসংখ্য দাসী বাদি ছিল, গনিমতের মালের এক পঞ্চমাংশ তার জন্য ধার্য ছিল, নিরংকুশ আধিপত্য ছিল আরবদের ওপর। জগত উপভোগের জন্য আর কিছু লাগে ?
আর একটা যায়গাতে আপনি সব সময় ভুল করেন তা হলো- আল্লাহ বা সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাস বহু মানুষ করে যেমন- হিন্দু, খৃস্টান, ইহুদি ইত্যাদিরা, তারা নাস্তিক না। কিন্তু আপনার কাছে আল্লায় বিশ্বাস বলতে বুঝায়- আল্লাহ ও তার রসূলে বিশ্বাস। আর একারনেই আপনার সব যুক্তিতে তাল গোল লেগে যায়।
@ভবঘুরে,আপনার যুক্তি পড়ে ও বিষয়পরিবর্তন দেখে , আমার তো মনে হয় , আপনি মুক্তমনার মান সম্মান মাটিতে লুটাচ্ছেন। প্লিজ এর পর থেকে এরুপ অদ্ভুত যুক্তি ও প্রমান ছাড়া কাউকে দোষারোপ করবেন না।
আমার কোন মন্তব্যের জবাবে আপনার এমন অসংলগ্ন বক্তব্য? ইসলামে অন্ধ বিশ্বাসের কোন স্থান নেই।
@ফারুক,
প্রশ্ন করতে নিষেধ করা হয়েছে বা যারা প্রশ্ন করে তারা সত্যপ্রত্যাক্ষানকারী , এমন আয়াত কোথায় পেয়েছেন? আয়াত নং উল্লেখ করুন। তবে একটা কথা সত্য , যারা আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করে , তাদের কাছে কোন উত্তরি মনঃপূত হবে না।
আনাসকে আপনি উপরোক্ত বক্তব্য দিয়ছিলেন যা কিন্ত্ আমার বক্তব্যে সুন্দর করে উদ্ধৃত করে দেয়া আছে একেবারে উপরে বোল্ড করে। অথচ আপনার নজরেই পড়ল না ???????
মনে হচ্ছে এবার আল্লাহ আপনার চোখ দুটো সত্যিই অন্ধ করে দিয়েছেন।
হে পরোয়ার দেগার আল্লাহ , হেফাজত কর তোমার এ অন্ধ বান্দা কে। আমিন।
@ফারুক,
আপনার উত্তর এখানের অনেকেই দিয়ে দিয়েছেন। কতটা যে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন তা আপনি নিজেও বুঝেননি। আপনার কথার সুত্র ধরে এবং সময়ের অভাবে মন্তব্য করতে না পেরে এই নতুন পোস্ট লিখেছিলাম। আমার মন্তব্যের চার নং পয়েন্টে দেখেন। মানুষ রুজী পেতে প্রাণপন চেষ্টা করে। নাকে তেল দিয়া ঘুমায় না। আল্লাহ এ আয়াতে কোথাও এ চেষ্টার কথা বলেননি। এ আয়াত যেমনি ভাবে কাফেরদের কথা বলা হয়েছে। তেমনি ভাবে যারা আল্লাহকে ভয় করে তাদের কথাও বলা হয়েছে। এবং সাধারনভাবেই বলা হয়েছে আল্লাহ অপরিমেয় রিযিক দেন যে চায়। (আপনার বক্তব্য অনুসারে) আর রিযিকের মালিক আল্লাহ বলেই তিনি দিবেন যে চাইবে। এমন অনেককেই পাবেন যে সারাজীবন নানা প্রকার ব্যাবসা করেছে, দিনরাত খেটেছে, কিন্তু সফল হতে পারেনি। আপনার করা অর্থ নিলে আল্লাহ ওয়াদা ভংগ কারীরুপে দাঁড়িয়ে যান। এ পৃথিবীর বাস্ততায় এটি সত্য বিধায় আমি এ আয়াটি দিয়েছিলাম যাতে আপনি পরিস্কার বুঝতে পারেন। আর যদি অনুবাদটা এরকম হয় যে আল্লাহ অপরেমেয় রিযিক দান করেন যাকে তিনি চান। তাহলেকি এ সমস্যাটা দাঁড়ায়? এটাতো তার ইচ্ছা যাকে খুশি তিনি অপরিমেয় দান করবেন। তা নিয়ে মুমিনদের হতাশ হবার কিছি নাই। এরকম অনেক আয়াত আছে যেখানে আল্লাহ চান, এবং আল্লাহ চাননা তাদের হৃদয়কে পবিত্র করতে। (মায়েদা ৪১)
আপনি বলেছেন অন্ধ বিশ্বাসের কোন জায়গা নেই এবং প্রশ্ন করতে নিষেধ করা হয়নি। দেখা যাক নিচের আয়াতগুল কি বলে।
إِنَّ নিশ্চই اللَّهَ আল্লাহ لاَ يَسْتَحْيِي সংকোচবোধ করেন না।أَن যে يَضْرِبَ পেশ করতে مَثَلاً দৃষ্টান্ত مَّا যা بَعُوضَةً মশা فَمَا فَوْقَهَا বা তদপেক্ষা ছোট বস্তু। فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُواْ তারপর যারা ঈমান এনেছে। فَيَعْلَمُونَ তারা জানে (কেমনে জানে এ প্রশ্নটা এখানে রেখে গেলাম) أَنَّهُ যে এটা (তথা ঐ উদাহরন) الْحَقُّ সত্য مِن رَّبِّهِمْ রবের পক্ষ থেকে। وَأَمَّا الَّذِينَ কিন্তু যারা كَفَرُواْ অস্বীকার করে فَيَقُولُونَ তারা বলে مَاذَا উহা দ্বারা أَرَادَ অভিপ্রায় করেছেন/বোঝাতে চেয়েছেন اللَّهُ بِهَـذَا مَثَلاً আল্লাহ এ দৃষ্টান্ত দ্বারা।
এ আল্লাহর দেয়া উদাহরন কেউ যদি বুঝতে না পারল অস্বীকার করে প্রশ্ন রাখল। তাকে আল্লাহ কি করেন এবং যে সত্য বলে মেনে নিল তাকে আল্লাহ কি করেন তার উত্তর সেই আয়াত থেকে
يُضِلُّ তিনি পদচ্যুত/গোমরাহ/বিভ্রান্ত করেন। بِهِ উহা দ্বারা كَثِيراً অনেককে। বাকীটা পড়ে নিয়েন। আয়াতের শেষে আবার ফাসেককে নিয়ে ঘুরায়েননা। ফাসেক মানে কিন্তু ইদুরও। সুতরাং ফাসেক বলতে যে এসব প্রশ্নকারী উদ্দেশ্য সেটা আশা করি ব্যাখ্যা করা লাগবেনা।
সুরা ইমরানের ৭ এ বলা আছে, বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এই কুরানে রুপক আয়াত সমুহের ব্যাপারে, যে সকল আয়াতের অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা। সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন করে। এই কুরানেই আছে তিনি আল্লাহ যিনি তোমার প্রতি সুষ্পষ্ট কিতাব, পাঠিয়েছেন। আর আল্লাহ যারা অন্ধভাবেই এ কথা বলছে যে সব কিছুই আমাদের প্রভুর কাছ থেকে এসেছে। (হুমম, তারা এভাবেই জানেন) যাদেরকে আল্লাহ বলছেন সুগভীর জ্ঞানের অধীকারী!
এবার আসুন আপনাদের উদ্দেশ্যে যা বলা হয়েছে।
5:101 O YOU who have attained to faith! Do not ask about matters which, if they were to be made manifest to you [in terms of law], might cause you hardship;120 for, if you should ask about them while the Qur’an is being revealed, they might [indeed] be made manifest to you [as laws].121 God has absolved [you from any obligation] in this respect: for God is much-forgiving, forbearing
শানে নুযুলঃ Muhammad Asad – End Note 121 (5:101)
I.e., with possibly unfortunate consequences. An illustration of this problem has been provided in the following authentic Tradition, quoted by Muslim on the authority of Abu Hurayrah. In one of his sermons, the Prophet said: “O my people! God has ordained the pilgrimage (al-hajj) for you; therefore perform it.” Thereupon somebody asked, “Every year, O Apostle of God?” The Prophet remained silent; and the man repeated his question twice. Then the Prophet said: “Had I answered `yes’, it would have become incumbent on you [to perform the pilgrimage every year]: and, indeed, it would have been beyond your ability to do so. Do not ask me about matters which I leave unspoken: for, behold, there were people before you who went to their doom because they had put too many questions to their prophets and thereupon disagreed [about their teachings]. Therefore, if I command you anything, do of it as much as you are able to do. and if I forbid you anything, abstain from it.
শানে নুযুল অংশটা আপনার জন্যে আপ্রয়োজনীয়। এখানে দেখলেনতো, প্রশ্ন করলে শিক্ষক রেগে যান? এরকম প্রশ্ন আমরা অহরহই করি। শিক্ষক ৫টা অঙ্ক দিলে জিজ্ঞাসা করে স্যার এ ৫টাই? যেসব স্যার নরম। তারা বলে হ্যা পাচটাই। আর যারা প্রশ্ন অপছন্দ করে, তারা বলে আমি কি আর কিছু বলেছি? বেশী প্রশ্ন করলে দশটা দিয়া দিব। তাহলে কি দেখলেন? প্রশ্নকারীকে কাফের বলা হচ্ছে। প্রশ্ন করলে বলা হচ্ছে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়। আর আপনাদেরকে বলে দেয়াই হল। বেশী প্রশ্ন করিওনা। করলে এমন কিছু নাযিল করে দিব যা পালন করতে কষ্ট হবে।
আর অন্ধ বিদ্বেষী বললেন। যারা চার বিয়ের বিরোধীতা করত। একসময় তাদেরকেও আমার অন্ধ বিদ্বেষী মনে হত। আমার যুক্তি ছিল ইসলাম যেহেতু বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক এলাও করে না। তাই কোন পুরুষের একের অধীক বিয়ের প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু যখন প্রশ্ন করার সাহস পেলাম। তখন নিজের যুক্তিগুলকে নানা দিক থেকে বিচার করতে শুরু করলাম। তখন থেকে যুক্তিবাদীদেরকে অন্ধ বিদ্বেষী মনে হল না। আবার ভাইবেন না নিজেকে খুব যুক্তিবাদী বলছি। বহুমাত্রিক চিন্তাভাবনা এবং একমুখি চিন্তাভাবনার মধ্যে পার্থক্য আছে।
আমার জন্যে দোয়া করবেন।
কোরানের নিয়ে যত বিতর্ক তার প্রায় সব কটাতেই অবধারিতভাবে এই ভুল/সঠিক অনুবাদের প্রসংগ এসে পড়ে।
পুরো মানব জাতির কেয়ামত পর্যন্ত অবশ্য পালনীয় নির্দেশাবলী আল্লাহ শুধু এক আরবী ভাষায় কেন দিলেন এই রহস্য কোনদিন বুঝি না। তারও আবার ভাষা শৈলী এমনই যে খোদ আরবী ভাষি লোকেরাও অনুবাদের একমত হতে পারেন না, আর নন-এরাবিকদের কথা তো বাদই থাকল।
আল্লাহ নাকি কোরানকে নিজে হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন ও করে যাচ্ছেন। হতে পারে। তবে তাতে লাভ কি হচ্ছে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ। হেফাজত হওয়া গ্রন্থ যদি মানুষ পরিষ্কারভাবে বুঝতেই না পারে তাহলে আর হেফাজতের লাভ কি হল?
দেশী প্রবচণ – তুলা বাছতে বাছতে কম্বল শেষ।
কুরান মানবিক করতে গেলে কুরানের বাকী থাকবে কতটা ?
আমার কাছে কোরানের একটি বাঙলা অনুবাদ আছে। অনুবাদের সাথে সাথে কিছু টীকা টিপ্পনীও রয়েছে। অনুবাদ করেছেন উইলিয়াম গোল্ডশ্যাক।
টীকার মধ্যে একটি কথা বার বার রয়েছে- পাঠকবৃন্ধ আপনারাই ভাবিয়া দেখুন, ইহা কী খোদার কালাম হইতে পারে?
@মাহফুজ,
উক্তিটি থেকে মনে হয় উইলিয়াম গোল্ডশ্যাক একজন অবিশ্বাসী ছিলেন। কাজেই তাঁর অনুবাদ একপেশে হওয়ার আশংকা আছে। অনুরূপ ভাবে বিশ্বাসীরা অন্যপেশে করতে পারেন।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
টিকা টিপ্পনীতে যে কোন ধরনের মন্তব্য থাকতেই পারে। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ তার কাছে লিখিত কুরানে টিকা টিপ্পনী লিখে রাখতেন। সেই কপিটি পরে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল। পোস্টে আমি এটাই দেখাতে চেয়েছি যে মুল আরবীর অনুবাদে অনুবাদকেরা কিভাবে ম্যানিপুলেশন করছে।
চমৎকার বিশ্লেষণ। তবে শেষের মন্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করছিঃ
কুরাণের পরিশোধিত ইংরেজী তর্জমা পশ্চিমাদের ধোকা দেয়ার জন্যে লিখিত। লক্ষ লক্ষ মাদ্রাসায় ও জিহদীরা ঠিকই মূল কুরাণের বাণীই পড়তে থাকবে। মূল আরবী কুরাণ তো পরিমার্জিত হবে না। কুরাণের অনুবাদ মানবিক (কম অমানবিক) হতে পারে, কিন্তু মূল কুরাণ ত অপরিবর্তিত থেকে যাবে। আসাদ ঠিকই ইসলামী দেশে থাকলে জিহাদের পক্ষেই বলবে মুসলিম তরুণদের কে। ভুল ইংরেজী তর্জমা করে পশ্চাত্যজগতকে ধোকা দেয়া ইসলামী কৌশলেরই একটা অংশ। আধুনিক মুসলীমের লেবাজ পরে অনেক মুসলিমই পশ্চিমা দেশে গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ঢুকে অন্তরঘাতী কাজ করে বা করছে। এরা হল গ্রীক বা ভাইরাসের ট্রোজানের মত।
@যাযাবর,
শেষের মন্তব্যটি অনেকটা এরকম। গোল্লা পাওয়া ছাত্রকে শিক্ষকঃ এরকম গোল্লা পেলে পরীক্ষায় পাশ তো করবিই। একেবারে লেটার মার্ক মাইনাস পাওয়া নম্বরে। আপনার কথার সাথে একমত। উগ্রবাদীরা ঠিকই তৈরী হচ্ছে এ কুরান পরে। আর তাই প্রলেপ লাগানোর যোরদার প্রচেষ্টা। যাতে দায়টা আরেকজনের ঘারে পরে।
কিছু নতুনত্বের সাথে বা আমার জানা না থাকায় কিছু পাঠকের ভোগান্তির জন্যে ক্ষমা প্রার্থী। আসলে মন্তব্য করতে দিন ঘরে যে টিক চিহ্ন দিতে হয় সেটা আমার জানা ছিল না। আবার মুল পোস্ট করার পর এডিট করতে গিয়ে পুরো পোস্টই গায়েব হয়ে গিয়েছিল। ড্রাফট করতে না পারায় সর্বশেষ সম্পদনার আগের সম্পাদনাটি দিয়েছি। তবে মুল পোস্টের পরিবর্তন হয়নি। আশা করি পাঠক সদয় হবেন।
@আনাস,
যদি অযাচিত ভাবে প্রবন্ধের গুণগত মান নিয়ে মাতব্বরী বা অনর্থক জ্ঞান দানের অপবাদ না দাও, যদি আমার মন্তব্যকে বন্ধুসুলভ পরামর্শ হিসেবে গ্রহন করো, তাহলে বলবো প্রবন্ধটিতে প্রচুর বানান ভুল রয়ে গেছে, ওগুলো এডিট করে নাও। মুক্তমনা আমাকে লেখা শিখিয়েছে, এর আগে কোনদিন লিখতাম না, এখনও কিছুই শিখি নাই তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আনোয়ারুত তানযিল আর উসুলুশ শাশী বইগুলো কি তোমার কাছে আছে?
@আকাশ মালিক,
বানান ভুল নিয়ে এত বেশী সংকিত থাকি যে লিখতেই ইচ্ছা করে না। এমনকি মন্তব্য লিখতে গেলেও ভাবি বানান ঠিক আছেতো! আগে এত ভুল হত না। তিন বছরে সব ভুলে গেছি 🙁 আবার পড়ে এডিট করে দিব। আপনার কাছে মেইল করতে চেয়েছিলাম। পরে ভাবলাম ব্যাস্ত থাকতে পারেন।
আমার কাছে আলিম পর্যন্ত সবগুল বই আছে। আপনি মনে হয় এগুল রেখে দেননি।